১ নং প্রশ্নের উত্তর
সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে ধনীর ধনবৃদ্ধি।
বিড়ালের কথাগুলো যে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শপূর্ণ -এ কথাটিই বোঝানো হয়েছে।
কমলাকান্তের দুধ বিড়াল চুরি করে খেয়ে ফেললে সে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হয় এবং ‘দিব্যকর্ণপ্রাপ্ত’ হয়ে তার সঙ্গে কথোপকথন করে। বিড়াল তাকে জানায়, এ সমাজব্যবস্থার চরম বৈষম্যের কারণেই মূলত সে খেতে না পেয়ে অভুক্ত অবস্থায় থাকে। তার কথায় প্রচলিত অর্থ ও সমাজব্যবস্থা এমনই যে, এখানে কেবল এক শ্রেণির মানুষের ধনবৃদ্ধি হয় আর বাকিরা না খেয়ে মরে। সাম্যবাদী ‘সমাজতান্ত্রিক’ মতবাদের সঙ্গে এ কথাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই কমলাকান্ত তাকে বলে ‘তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক’। সুতরাং বলা যায়, কথাটির মাধ্যমে বিড়ালের মতামত সমাজতান্ত্রিক ভাবাপন্ন -এ কথাই বোঝানো হয়েছে।
নাজমা এবং বিড়ালের জীবন প্রাণির প্রাণধারণের মৌলিক চাহিদা অন্নসংস্থান করতে না পারার দিক থেকে বিপন্ন।
প্রাণির প্রাণধারণের যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্নসংস্থান অন্যতম। খাদ্য ছাড়া কোনো প্রাণীই বেঁচে থাকতে পারে না। প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কোনো কারণে যদি মানুষ বা অন্য প্রাণীরা খাদ্যসংস্থান করতে না পারে তখন তাদের জীবন চরমভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ে।
উদ্দীপকের নাজমার স্বামী অকর্মণ্য বলেই তাকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। খুব স্বল্প আয় বলে বাধ্য হয়েই তাকে তেল, মশলা, তরকারিসহ বিভিন্ন জিনিস চুরি করে পরিবারের সকলের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হয়। কিন্তু সবাই এক সময় বুঝে ফেলে যে, নাজমা চুরি করে; তাই তাকে আর কেউ কাজে নিতে চায় না। কাজ না থাকার কারণে সংসারের সকল প্রয়োজন কীভাবে পূরণ করবে এতেই তার জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে। অন্যদিকে আমরা ‘বিড়াল’ গল্পে চরম সামাজিক বৈষম্যের বিষয়টি লক্ষ করতে পারি। গল্পে বিড়াল ক্ষুৎপিপাসার তাড়নায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই চুরি করে কমলাকান্তের দুধ খেয়ে ফেলে। এভাবে চুরি করার কারণে শুধু কমলাকান্তই নয়, সমাজের সকল মানুষই তাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় বলে বিড়াল জানায়। তার মতে, মানুষের এ অন্যায় আচরণের জন্যই তার জীবন বিপন্ন। সুতরাং বলা যায় যে, প্রাণধারণের প্রয়োজনীয় খাদ্যসংস্থান করতে না পারার তাড়নার দিক দিয়ে নাজমা ও বিড়ালের জীবন বিপন্ন।
নাজমার কাজ অবশ্যই নীতিবিরুদ্ধ এবং ধর্মাচারবিরোধী; তবে এর পেছনে মূলত আমাদের সমাজব্যবস্থার চরম অসঙ্গতি দায়ী।
কোনো মানুষই পৃথিবীতে অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। সমাজের নানামুখী বৈষম্য এবং অসামঞ্জস্যতার কারণে মানুষ ধীরে ধীরে অপরাধের জগতে পা বাড়ায়। তাই সমাজে সকল অন্যায়, অনাচার ও অপরাধের মূল হলো সামাজিক বৈষম্য বা ভারসাম্যহীনতা।
উদ্দীপকের নাজমা বড়ই অসহায়। তাকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু সে যেসব বাড়িতে কাজ করে সমাজের সেই তথাকথিত ধনিকশ্রেণির মানুষ তাকে এত স্বল্প বেতনই দেয় যে, এতে তার সংসারও ঠিকমতো চলে না। এমনকি মানবিক দায়বোধ থেকেও তারা তার পরিবারকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করে না। এজন্যই ক্ষুধার তাড়না সহ্য করতে না পেরে সে চুরি করে।
অপরদিকে ‘বিড়াল’ গল্পের বিড়ালও ক্ষুৎপিপাসা সহ্য করতে না পেরেই চুরি করে। সমাজের মানুষ নিজেদের খাবারের উচ্ছিষ্ট বা সামান্য মাছের কাঁটাটুকু পর্যন্ত তাকে দেয় না। এজন্য সে কমলাকান্তের জন্য রেখে দেয়া দুধটুকু খেতে দ্বিধাবোধ করে না; তার সঙ্গে সোশিয়ালিস্টিক তর্কে লিপ্ত হয়।
অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
কঞ্জুস ধনী রূপলাল সেনের বাড়িতে দুপুরে একজন সুবেশী ও স্বাস্থ্যবান অতিথি এলে তিনি যথেষ্ট আপ্যায়ন করেন। অতিথি তৃপ্তমনে বাড়ি ফেরেন। কদিন পরে জনৈক ভিখারি দুপুরে রূপলাল সেনের বাড়িতে এসে খাবার চাইলে তিনি তাকে তিরষ্কার করেন এবং তাড়িয়ে দেন। রূপলাল সেন ধনী অতিথিকে আপ্যায়ন করেন আর গরিব ভিখারিকে ভর্ৎসনা করেন।
ক. কমলাকান্ত কীসের উপর ঝিমাচ্ছিল?
খ. চোরকে সাজা দেওয়ার আগে বিচারককে তিনদিন উপবাস করার কথা বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘রূপলাল সেন আর কমলাকান্ত একই মেরুর মানুষ’Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
কমলাকান্ত চারপায়ীর উপর ঝিমাচ্ছিল।
পেটের ক্ষুধার কারণেই যে মানুষ ন্যায়নীতি বিসর্জন দিয়ে চুরি করে সেটি বোঝানোর জন্যই উক্ত কথাটি বলা হয়েছে।
বিচারকের কাজ সর্বদা ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং নিরপেক্ষভাবে অপরাধের কারণ বের করে অপরাধীকে শাস্তি দেয়া। ক্ষুধা না লাগলে কেউ চুরি করে না। তাই চোরের বিচার করার আগে বিচারক যদি তিনদিন উপবাস করেন তবেই তিনি বুঝতে পারবেন ক্ষুধার জ্বালা কেমন এবং চোরের চুরির কারণ কী? বিষয়টি বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।
উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ রচনায় ধনীদের তোষণ ও দরিদ্রকে অবহেলা করার মানসিকতার দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের জবানীতে মানুষের ধনী তোষণের মানসিকতার কথা বলা হয়েছে।
উদ্দীপকের রূপলাল সেনের ধনীর তোষণের মানসিকতা ফুটে উঠেছে। কৃপণ রূপলাল সেন স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর পোশাকে সজ্জিত অতিথিকে সাদর সম্ভাষণে আপ্যায়ন করেন। কিন্তু গরিব ভিখারিকে খাবার দেন না। গরিবের ক্ষুধা রূপলাল সেনের হৃদয়ে দাগ কাটতে পারেনি। বরং প্রভাবশালী মান্য লোককে আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করেন। অনুরূপ অভিযোগের অবতারণা ঘটেছে ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে। সেখানে কোনো ভদ্রকুল শিরোমণি কিংবা কোনো ন্যায়বান তর্কালঙ্কার এসে কমলাকান্তের দুধ খেয়ে গেলে তিনি কিছুই বলতেন না। কিন্তু বিড়ালের মতো ক্ষুদ্র প্রাণী খেয়েছে বলেই আপত্তি উঠেছে। অর্থাৎ উভয়ক্ষেত্রেই তেলা মাথায় তেল ঢালা হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘বিড়াল’ রচনার ধনী তোষণের মানসিকতার প্রতিফলনই উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়।
‘রূপলাল আর কমলাকান্ত এক মেরুর মানুষ’Ñ মন্তব্যটি যথার্থ।
‘বিড়াল’ রচনায় লেখক মানব জাতির ধনী বা খ্যাতিমান তোষণের দিকটি বিড়ালের স্বগতোক্তির মধ্য দিয়ে রূপায়িত করেছেন।
আলোচ্য উদ্দীপকে রূপলাল সেনের ধনী তোষণের মনোভাব ফুটে উঠেছে। অতিথিকে আপ্যায়ন করার ক্ষেত্রে রূপলাল সেন অতিথিবৎসল হলেও গরিব ভিখারির প্রতি নির্দয়। গরিবের পেটের জ্বালা আর মান্য-গণের ক্ষুধা যে এক ও অভিন্ন তা রূপলাল সেন বুঝতে চান না। তাই ধনী অতিথিকে আন্তরিক আপ্যায়ন আর গরিব ভিক্ষুককে ভর্ৎসনা করা তার মতো বিবেকহীন মানুষের পক্ষেই সম্ভব। উদ্দীপকের এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাওয়া যায় ‘বিড়াল’ রচনায়।
‘বিড়াল’ রচনায় কমলাকান্তের কল্পনাপ্রসূত বিড়াল কাহিনির কথকের প্রতি তার তোষামুদে মানসিকতার বিরুদ্ধে অনুযোগ করেছে। তার ভাষ্যে মান্য লোকের ক্ষুধা আর তুচ্ছ প্রাণীর খালি পেট আলাদা অর্থ বহন করে না, যা কমলাকান্তের মতো ধনী তোষণকারীরা বুঝতে পারে না। তুচ্ছ জীব বিড়ালের এমন মনোভাব ধনীদের অমানবিকতাকেই তুলে ধরে। গল্পের এ দিকটির যথার্থ পরিচয় মেলে আলোচ্য উদ্দীপকে। কঞ্জুস রূপলাল সেন এবং ‘বিড়াল’ রচনার কথক উভয়ই তেলা মাথায় তেল দেয়ার মতে বিশ্বাসী। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি সঠিক।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
নাই অধিকার সঞ্চয়ের!
ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান,
ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার!
ভোগের পেয়ালা উপচায়ে পড়ে তব হাতে
তৃষ্ণাতুরের হিস্সা আছে ও পিয়ালাতে
দিয়া ভোগ কর, বীর, দেদার\
ক. কমলাকান্ত কী হাতে নিয়ে ঝিমাচ্ছিল? ১
খ. ‘দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া, প্রেতবৎ নাচিতেছে’Ñকথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটির সাথে ‘বিড়াল’ রচনার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটির মূলবক্তব্যে ‘বিড়াল’ রচনার বিড়ালের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
কমলাকান্ত হুঁকা হাতে নিয়ে ঝিমাচ্ছিল।
প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা শোবার ঘরে ছোট বাতি তেল-স্বল্পতার কারণে মৃদুভাবে জ্বলতে থাকায় ঘরের দেয়ালের ওপর আলো ছায়ার যে নাচন সৃষ্টি হয়, সেটিকে বোঝানো হয়েছে।
রাতে কমলাকান্ত একা শোবার ঘরে বিছানার ওপর বসে হুঁকা হাতে নিয়ে ঝিমাচ্ছিল। পাশেই একটি ক্ষুদ্র প্রদীপ মিটমিট করে জ্বলছিল। প্রদীপটির আলো ঘরের দেয়ালের ওপর পড়ে ওর চঞ্চল ছায়াটি প্রেতের মতো নাচানাচি করছিল। আলোর দেহহীন ছায়াটি অশরীরী আত্মা বা প্রেতের মতো নাচছিল। বিষয়টিকে বোঝাতেই একথা বলা হয়েছে।
সম্পদ সমবণ্টনের ধারণাগত দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে ‘বিড়াল’ গল্পের সাদৃশ্য রয়েছে।
‘বিড়াল’ রচনায় কথকের কল্পনার আবহে সৃষ্ট বিড়ালের স্বগতোক্তির মধ্য দিয়ে লেখক তার নিজস্ব বোধ ও ধারণাকে মূর্ত করে তুলেছেন।
উদ্দীপকে উদ্বৃত্ত সম্পদ সমতার ভিত্তিতে অভাবগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের তাগিদ দেয়া হয়েছে। খাদ্য ও পানীয়সহ সকল ভোগ্য বস্তুতে সব মানুষের অধিকার আছে বলে এখানে স্বীকার করা হয়েছে। এরূপ দর্শনের ধারার প্রতিফলন ঘটেছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ রচনায়। সেখানে কথক গৃহস্থের দুধের পেয়ালায়, মাছের কাঁটা ও খাদ্যদ্রব্যে তুচ্ছ প্রাণী বিড়ালেরও হিস্সা আছে বলে মনে করেন। এ পৃথিবীর মাছ, মাংসে বিড়ালের অধিকার আছে। সহজে তা না পেলে বিড়াল চুরি করে খাবেÑ এতো সহজ কথা। কেননা, অনাহারে মরে যাবার জন্য এ পৃথিবীতে কেউ আসেনি। আলোচ্য রচনায় বিড়ালের মুখ দিয়ে বলা এরূপ যৌক্তিক কথাগুলো উদ্দীপকের মূলবক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘উদ্দীপকটির মূলবক্তব্যে বিড়ালের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে।’Ñমন্তব্যটি সঠিক।
সাম্যের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সম্পদ এবং ভোগ্য বস্তুতে সকলের সমঅধিকার আছে। ‘বিড়াল’ রচনায় এ সত্যকেই তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্দীপকে ধনীদের উদ্বৃত্ত সম্পদ অভাবগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যার্থে প্রদান করার আহŸান জানানো হয়েছে। ক্ষুধার অন্ন সবার হোক, পানীয়ের পেয়ালায় সকলের হিস্সা প্রতিষ্ঠিত হোকÑ এ সাম্যবাদী ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে সেখানে। তেমনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ রচনায় দুধ খেয়ে ফেলার অপরাধে লাঠি দিয়ে বিড়ালকে তাড়া করার বিষয়টিকে ধিক্কার জানানো হয়েছে।
‘বিড়াল’ রচনায় খেতে না পেয়ে বিড়ালের পেট ও শরীর কৃশ, এমনকি জিহŸা ঝুলে পড়েছে। অথচ গৃহস্থ বাড়িতে কত আহার নর্দমায় ফেলে দেয়া হয়। বিড়ালকে অভুক্ত রেখে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করা অনৈতিক এবং এই খাদ্যে বিড়ালের হিস্সা থাকার কথা আলোচ্য রচনায় প্রতিফলিত হয়েছেÑ যা উলিখিত উদ্দীপকটির মূলবক্তব্য। সকলকে সাথে নিয়ে, সকল অনাহারীর মুখে খাবার তুলে দেয়ার মানসিকতারও প্রতিফলন ঘটেছে আলোচ্য উদ্দীপক ও ‘বিড়াল’ গল্পটিতে। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
খোদা বলিবেন, হে আদম সন্তান,
আমি চেয়েছিনু ক্ষুধার অন্ন, তুমি কর নাই দান।
মানুষ বলিবে, তুমি জগতের প্রভু,
আমরা তোমারে কেমনে খাওয়াবো, সে কাজ কী হয় কভু?
বলিবেন খোদা-ক্ষুধিত বান্দা গিয়েছিল তব দ্বারে,
মোর কাছে তুমি ফিরে পেতে তাহা যদি খাওয়াইতে তারে।
ক. কে দুগ্ধ রেখে গিয়েছিল?
খ. ‘কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটির মূলবক্তব্য কোন দিক দিয়ে ‘বিড়াল’ রচনাটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ রচনার মূলভাব ফুটে উঠেছে।”Ñ বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
প্রসন্ন দুগ্ধ রেখে গিয়েছিল।
‘কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই’ বলতে কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধ বিড়াল খেয়ে ফেলার দিকটিকে বোঝানো হয়েছে।
প্রসন্ন কমলাকান্তের খাওয়ার জন্য কিছুটা দুধ বাটিতে করে রেখে যায়। কিন্তু সে অন্যমনস্ক হওয়ার সুযোগে বিড়াল তার দুধটুকু খেয়ে নেয়। প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে এ কথাটিই বোঝানো হয়েছে।
উদ্দীপকটির মূলবক্তব্য পরোপকারের সেবার আদর্শের দিক দিয়ে ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সকলের সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও সেখানে ধনীদের দান করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে এসেছে।
ক্ষুধিত বান্দা বা অনাহারী প্রাণিকে খাবার দিলে সৃষ্টিকর্তাকে খাওয়ানো হয়- এ নৈতিক শিক্ষার দিকটি আলোচ্য উদ্দীপকের মূলবক্তব্য। ক্ষুধার্তকে অন্নদান শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে বিধাতা বিধান দিয়েছেন। অথচ এ জগতে মানুষ এমন মহৎ কর্ম থেকে বিচ্যুত। উদ্দীপকে প্রকাশিত মানবতার এ দিকটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ গল্পটিতেও ফুটে উঠেছে। যেখানে কমলাকান্তের জন্য সযতেœ রাখা দুধ বিড়ালটি খেয়ে যেন কমলাকান্তের পরোপকার তথা ধর্মের মহৎ কাজটি করতে তাকে সহায়তা করেছে। কিন্তু আদর্শচ্যুত কমলাকান্ত সেবার মাহাত্ম্য ভুলে গিয়ে বিড়ালের পিছনে ধাবিত হয়েছে, যা সেবার আদর্শের বিপরীত। ‘বিড়াল’ রচনায় প্রকাশিত এ দিকটি আলোচ্য উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
“উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ রচনার মূলভাব ফুটে উঠেছে।”Ñ মন্তব্যটি সঠিক।
‘বিড়াল’ রচনায় লেখকের কল্পিত বিড়ালের স্বগতোক্তিতে জীব সেবার পরমাদর্শের দিকটি উন্মোচিত হয়েছে।
উদ্দীপকের বর্ণনায় মানবসেবার আদর্শ হতে বিচ্যুত হওয়ায় মানুষকে বিধাতার কাছে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। ক্ষুধিত মানুষকে অন্নদান পরম ধর্ম। কিন্তু মানুষ সে পরমাদর্শ ভুলে গিয়ে মহা অন্যায় ও অধর্মের কাজ করে। আলোচ্য উদ্দীপকে প্রকাশিত এ দিকটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ রচনার মূল বিষয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ রচনায় কমলাকান্তের খাবার জন্যে রাখা দুধ বিড়ালটি খেয়ে অন্যায় করেনি। বরং কমলাকান্তের ধর্মফল সঞ্চিত করার দিকটিকে প্রভাবিত করেছে বলে বিড়ালটি দাবি করে। তাই বিড়ালটিকে না মেরে বরং তার প্রশংসা করা উচিত বলে বিড়ালটি মনে করে। রচনায় উঠে আসা জীব সেবার পরমাদর্শের দিকটি আলোচ্য উদ্দীপকেও প্রকাশ পেয়েছে। জীব সেবার মধ্যেই প্রকৃত ধর্ম নিহিত। তাই ক্ষুধার্তকে খাওয়ালে বিধাতাকে খাওয়ানো হয়Ñ এ বোধ উদ্দীপক ও ‘বিড়াল’ রচনা উভয়ক্ষেত্রে ফুটে উঠেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সবার সুখে হাসবো আমি/ কাঁদবো সবার দুখে
নিজের খাবার বিলিয়ে দেবো/ অনাহারীর মুখে।
ক. কে কমলাকান্তকে ছানা দেবে বলেছে?
খ. কমলাকান্ত মার্জারীর প্রতি ধাবমান হলো কেন?
গ. উদ্দীপকের বক্তব্যের সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনার বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপক এবং কমলাকান্তের ‘বিড়াল’ রচনার বাস্তবতা অভিন্ন।”Ñ মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
প্রসন্ন কমলাকান্তকে ছানা দেবে বলেছে।
চিরায়ত প্রথার কারণে কমলাকান্ত মার্জারীর প্রতি ধাবমান হলো।
কমলাকান্তের মতে চিরায়ত প্রথা অনুসারে বিড়াল দুধ খেলে তাকে তাড়িয়ে মারতে হয়। নইলে মানবসমাজে তাকে কুলাঙ্গার ভাবা হয়। তাছাড়া বিড়ালটি কমলাকান্তকে কাপুরুষও ভাবতে পারে। এজন্যই কমলাকান্ত বিড়ালের প্রতি ধাবমান হয়।
সাম্যবাদী মানসিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনার বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
‘বিড়াল’ রচনায় দরিদ্রের দরিদ্রতার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে ধনীদের কার্পণ্যকে। যারা অভুক্তকেও অন্ন দিতে চায় না।
উদ্দীপকের কবিতাংশে সাম্যবাদী ধারণা ব্যক্ত হয়েছে। যেখানে কবি সবার সুখে হাসতে চান। সবার দুঃখে দুখী হন। এমনকি অনাহারীর মুখে নিজের খাবার তুলে দিয়ে তৃপ্ত হন তিনি। কিন্তু ‘বিড়াল’ রচনায় এর বিপরীত দিকটি উন্মোচিত হয়েছে। সেখানে বিড়ালের অনুযোগের মধ্য দিয়ে ধনীদের তোষণের দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে, যারা সমাজে ধনী-দরিদ্র বৈষম্যের জন্য দায়ী। এটি উদ্দীপকের ভাবনার বিপরীত।
“উদ্দীপক এবং কমলাকান্তের ‘বিড়াল’ রচনার বাস্তবতা অভিন্ন।”Ñমন্তব্যটি যথার্থ।
‘বিড়াল’ রচনায় কমলাকান্তের আচরণে সমদর্শনের দিকটি উঠে এসেছে। উদ্দীপকের কবিতাংশের বর্ণনায় কবির সাম্যবাদী মানসিকতা রূপ লাভ করেছে। তাই সকলের বেদনায় কবি সমব্যথী হতে চান। সকলের সুখে হতে চান সুখী। এমনকি অনাহারীর মুখে খাবার তুলে দেয়ার আনন্দে তৃপ্ত হতে চান তিনি, যা তার উদার সাম্যবাদী মনোভাবকে তুলে ধরে।
‘বিড়াল’ রচনায় লেখক কমলাকান্ত চরিত্রের মধ্য দিয়ে তার সমদর্শনের চেতনাকে মূর্ত করে তুলেছেন। সেখানে কমলাকান্ত তাকে জলযোগের সময় আসার আমন্ত্রণ জানায়, যা উদ্দীপকের কবিতাংশে উঠে আসা কবির সাম্যবাদী মনোভাবেরই প্রতিফলন। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।
বস্তুত উদ্দীপক ও ‘বিড়াল’ রচনার মাঝে বিপন্ন মানবতার প্রতি একটি সহমর্মিতার অনুরাগ আলোকিত হয়েছে। তাই বলা যায় মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
হাজি মুহম্মদ মুহসীন এক রাতে তাঁর শয়নকক্ষে জনৈক চোরকে কিছু মালসহ ধরে ফেলেন। তিনি চোরটিকে শাস্তি না দিয়ে তার চুরির কারণ জিজ্ঞেস করেন। চোরটি অকপটে তার অভাব-অভিযোগ তুলে ধরে। ঘটনা শুনে মুহসীনের দয়া হয়। তিনি চোরকে নগদ অর্থ ও কিছু খাবার দিয়ে বিদায় করেন। চোরটি দণ্ডের বদলে উপহার পেয়ে খুশি মনে ধন্য ধন্য বলে বিদায় হয়।
ক. প্রসন্ন কর্তৃক দোহনকৃত দুধ কার?
খ. চিরায়ত প্রথার অবমাননা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনার যে দিকটি প্রাসঙ্গিকÑ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “যারা প্রয়োজনাতীত ধন থাকতেও চোরের প্রতি মুখ তুলে চান না, তাদের মনের বিপরীত স্রোতের মানুষ মুহসীন।”Ñ ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
প্রসন্ন কর্তৃক দোহনকৃত দুধ মঙ্গলার।
চিরায়ত প্রথার অবমাননা বলতে বিড়াল দুধ চুরি করে খেলে তাকে তাড়িয়ে না দেয়ার বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে।
লোক-সমাজে চিরাচরিত একটি প্রথা প্রচলিত হয়েছে, তা হলো বিড়াল দুধ চুরি করে খেয়ে ফেললে, তার দিকে তেড়ে যেতে হয়। নইলে মনুষ্যকুলে কুলাঙ্গাররূপে চিিহ্নত হতে হয়। কেননা, বিড়াল অন্যায় করলে তাকে লাঠিপেটা করা উচিত। কমলাকান্ত দুধ খাওয়ার অপরাধে বিড়ালটিকে না মারার জন্য যে সিদ্ধান্ত প্রথমে নিয়েছিল, চিরায়ত প্রথার অবমাননা বলতে তাকেই বোঝানো হয়েছে।
উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনায় উঠে আসা বিড়ালের চুরির অন্তর্নিহিত কারণের দিকটি প্রাসঙ্গিক।
‘বিড়াল’ রচনায় লেখক বিড়ালের কাল্পনিক কথোপকথনের মধ্য দিয়ে মানবতার কথা উচ্চারণ করেছেন। যেখানে বিড়ালরূপী লেখকের বিবেক চুরির পেছনে সভ্য সমাজের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
উদ্দীপকে হাজি মুহম্মদ মুহসীনের জীবনের একটি কাহিনি উপস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে মুহসীন একরাতে জনৈক চোরকে হাতে-নাতে ধরে ফেলেন। কিন্তু উদার চিত্ত মুহসীন চৌর্যবৃত্তির জন্য তাকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি। এমনকি তিনি তার অভাব অভিযোগের কথা জানতে পেরে তাকে অর্থ ও খাবার দিয়ে বিদায় করেন। আলোচ্য ‘বিড়াল’ রচনাতেও মার্জারীর জবানিতে চুরির পিছনে অভাবের দিকটিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিই মানুষকে অপরাধ কর্মে প্রবৃত্ত করে।
“যাদের প্রয়োজনাতীত ধন থাকতেও চোরের প্রতি মুখ তুলে চান না, তাদের মনের বিপরীত স্রোতের মানুষ মুহসীন।”Ñ বক্তব্যটি যথার্থ।
বিড়াল রচনায় লেখক কমলাকান্তের কল্পনার আবহে বিড়ালের স্বগতোক্তির মাধ্যমে তার নিজস্ব বোধ ও ধারণাকে তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি চুরির মূল কারণ হিসেবে চিিহ্নত করেছেন ধনীর ধন দান না করাকে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ রচনায় সাধ করে কেউ চোর হয় না বলে মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। যারা অনায়াসে খেতে পায়, তাদের চুরি করার প্রয়োজন হয় না। এ বিশ্বের অনেক বড় বড় সাধু, চোরের নামে যারা শিউরে ওঠেন, তারা অনেকেই চোর অপেক্ষাও অসৎ। কেননা, এদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ধন থাকতেও চোরের প্রতি নির্দয়। তাদের মনের বিপরীত স্রোতের মানুষ হলেন হাজি মুহম্মদ মুহসীন।
উদ্দীপকে হাজি মুহম্মদ মুহসীনের বদান্যতা প্রকাশ পেয়েছে। নিজ ঘরের মধ্যে চোরকে হাতে-নাতে ধরে শাস্তি না দিয়ে তাকে সহায়তা করেন। তিরস্কারের পরিবর্তে পুরস্কার দেন। চোরকে দণ্ডের পরিবর্তে উপহার দেয়ার এমন দৃষ্টান্ত শুধু মুহসীনের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। যার বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয় ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের কল্পিত জবানির মধ্য দিয়ে। যেখানে চুরির জন্য দায়ী করা হয়েছে ধনী কৃপণদের।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
দণ্ডিতের সাথে
দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে
সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
ক. কে বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ ব্যতীত মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না?
খ. “পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়।”Ñ কী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের কোন ভাবটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “অপরাধীর শাস্তিতে বিচারক ব্যথিত হলে সে বিচারকে শ্রেষ্ঠ বিচার বলা যায়”Ñ উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
বিড়াল বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ ব্যতীত বিড়াল মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না।
দুধ চুরির অপরাধে বিড়ালকে লাঠিপেটা করাকে পুরুষের ন্যায় আচরণ করা বলে বোঝানো হয়েছে।
কমলাকান্ত তার শয়নকক্ষে বিবিধ বিষয়ে চিন্তায় অন্যমনস্ক থাকলে বিড়াল এসে তার জন্য রাখা দুধটুকু সাবাড় করে ফেলে। দুধের ওপর বিড়ালের অধিকার বিবেচনায় প্রথমদিকে কমলাকান্ত নীরব থাকলেও শেষ পর্যন্ত এ মনোভাব ধরে রাখতে পারেন নি। তাই অনেক অনুসন্ধান করে একখানা লাঠি নিয়ে বিড়ালকে তাড়া করে পুরুষোচিত মনোভাবের পরিচয় দেন। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা এ কথাটিই বোঝানো হয়েছে।
উদ্দীপকের আসামির প্রতি সহানুভূতির দিকটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
পরিস্থিতির শিকার হয়েই অপরাধী অপরাধ কর্মে প্রবৃত্ত হয়। তাই কার্যকারণ এবং অবস্থার কথা বিবেচনায় সহানুভূতি নিয়েই বিচারকের বিচার করা উচিত।
উদ্দীপকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচারের কথা বলা হয়েছে। যেখানে আসামিকে দণ্ড দিয়ে দণ্ডদাতা নিজেই সমব্যথী হবেন। দণ্ডিতের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের এ দিকটি ‘বিড়াল’ রচনাতেও সমানভাবে উঠে এসেছে। সেখানে বিড়াল চৌর্যবৃত্তির দ্বারা লেখকের জন্য রাখা দুধ খেয়ে নিলেও লেখক সহানুভূতি প্রকাশ করে তাকে পেটান নি। এমনকি বিড়ালের ক্ষুধার তাড়না অনুভব করে তাকে পরদিন প্রসন্ন যে ছানা দেবে তা ভাগ করে খাওয়ার প্রস্তাব দেন। এক্ষেত্রে উদ্দীপকের আসামির প্রতি সহানুভূতির দিকটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
“অপরাধীর শাস্তিতে বিচারক ব্যথিত হলে সে বিচারকে শ্রেষ্ঠ বিচার বলা যায়”Ñ উক্তিটি ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে সঠিক। ‘বিড়াল’ রচনায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত বিড়ালের বিচার করতে গিয়ে তার প্রতি লেখকের সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।
উদ্দীপকে দণ্ডিতের প্রতি দণ্ডদাতার সমব্যথী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কেননা, পরিস্থিতিই অপরাধীকে অপরাধ করতে বাধ্য করে। তাই অপরাধীর অপরাধের অন্তর্নিহিত কারণ বিবেচনায় বিচারক ব্যথিত হলেই বিচার যথার্থ হয়। উদ্দীপকের এ ভাবনা ‘বিড়াল’ রচনাতেও প্রতিভাত হয়।
‘বিড়াল’ রচনায় লেখক বিড়ালের কল্পিত ভাষ্যে কমলাকান্তকে তিনদিন অভুক্ত থাকতে বলার মধ্য দিয়ে অপরাধের কারণ বিবেচনা করার আহŸান জানিয়েছে। কমলাকান্তও বিষয়টিকে আমলে নিয়ে বিড়ালের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় এবং তাকে পরবর্তী দিনের জলযোগে আমন্ত্রণ জানায়। আলোচ্য উদ্দীপকেও অপরাধীর প্রতি তেমনি সহানুভূতির কথাই বলা হয়েছে।
বস্তুত উদ্দীপক ও বিড়াল রচনায় সমাজের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি মানবিকতা ও সহানুভূতি মূর্ত হয়ে উঠেছে। এ দিক থেকে বিচার করলে আলোচ্য মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বিশ্বব্যাপী ২০১৩ সালে ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ১৫২ ট্রিলিয়ন বা ১৫২ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। বিবিসি বলেছে, সা¤প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়ার দেশসমূহের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এর ফলে এই অঞ্চলে ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির হার বেড়েছে।
ক. ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ পড়লে কী বুঝতে পারা যাবে?
খ. ‘সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ ধনীর ধনবৃদ্ধি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘বিড়াল’ গল্পের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘বিড়াল’ গল্পের মার্জারীর সম্পূর্ণ বক্তব্য প্রতিফলিত হয় নি। Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ১
২
৩
৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
‘কমলাকান্তের দপ্তর’ পড়লে আফিমের অসীম মহিমা বুঝতে পারা যাবে।
কথাটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, সমাজের ধনবৃদ্ধি ঘটলেও তা মূলত ধনীর হাতেই সীমাবদ্ধ থাকে।
অর্থনৈতিকভাবে সমাজের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন নির্ভর করে সমাজের সম্পদের গতিশীলতার ওপর। কারণ সম্পদের যত হাত-বদল হয় সমাজস্থ মানুষের জীবনযাপনের মানও তত বৃদ্ধি পায়। সে সম্পদ যখন গুটিকয়েক ধনীর হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়ে, তখন আশেপাশের নির্ধন গরিব মানুষের জীবনযাপনের মান অনেক বেশি নিচে নেমে যায়। অথচ সমাজের উন্নতির প্রয়োজনে সমাজের ধনবৃদ্ধির নামে মূলত ধনীরই ধনবৃদ্ধির পাঁয়তারা চলে।
‘বিড়াল’ গল্পের পর্যায়ক্রমিকভাবে ধনীর ধনবৃদ্ধির দিকটির সঙ্গে উদ্দীপকের সাদৃশ্য রয়েছে।
প্রতিটি অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সম্পদ অপরিহার্য। সব মানুষকে উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য থাকা প্রয়োজন সম্পদের সুষম বণ্টন। তা না হলে দ্রুত বেড়ে ওঠা একটা বটগাছের নিচে অবস্থিত অন্য গাছগুলো যেমন স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, ঠিক তেমনি সমাজের একটা অংশও থেকে যাবে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২০১৩ সালে ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ধনী ব্যক্তি আরও বেশি ধনী হয়েছে। আর বিবিসির ভাষ্যমতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাজে লাগিয়ে এশিয়ার দেশসমূহে ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির হার বেড়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। অর্থাৎ সম্পদ নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কুক্ষিগত হওয়াতে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যরা। অন্যদিকে ‘বিড়াল’ গল্পেও উঠে এসেছে, পাঁচশ দরিদ্রকে বঞ্চিত করে একজন পাঁচশ লোকের আহার করছে। এই আহার হরণকারী একজন ধনীর মতো অন্য ধনীরাও ধনবৃদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সামাজিক উন্নয়নের ধারণাকে। এজন্য বলা যায়, উদ্দীপকের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি আর ‘বিড়াল’ গল্পে ধনীর ধনবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
উদ্দীপকটিতে ‘বিড়াল’ গল্পের মার্জারীর বক্তব্য সম্পূর্ণ প্রতিফলিত হয় নিÑ মন্তব্যটি যথার্থ।
মানুষের চাওয়ার কোনো শেষ নেই। যত পায় তত চায়। সে ভাবতে চায় না হয়তো তার দ্বিতীয় চাওয়ার কারণে অন্যজন বঞ্চিত হচ্ছে নির্দিষ্ট প্রাপ্তিটুকু থেকে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, একদিকে একজনের অধীনে সম্পদের বিশাল পাহাড়, অন্যদিকে নিরন্ন মানুষের হাহাকার, বুকফাটা আর্তনাদ।
উদ্দীপকে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির সাথে পালা দিয়ে এশিয়ার দেশগুলো এগিয়ে গেছে বহুমাত্রায়। বিবিসির তথ্যানুসারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হাত ধরে এশিয়া অঞ্চলে ব্যক্তিগত সম্পদের বৃদ্ধি ঘটেছে অর্থাৎ সম্পদ কিছু মানুষের হাতে আটকে থাকছে। অন্যদিকে ‘বিড়াল’ গল্পে কমলাকান্তের সাথে কথা প্রসঙ্গে মার্জারী বলেছে, পাঁচশ দরিদ্রকে বঞ্চিত করে একজন সে পাঁচশ লোকের আহারের পুরোটাই সংগ্রহ করছে সামাজিক উন্নয়নের নামে। কিন্তু নিজে খাওয়ার পর যতটুকু থাকে তা অন্যকে খাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। মার্জারী তাই সে খাবার নিরন্নকে কেড়ে বা চুরি করে খাওয়ার পরামর্শ দিতে চায়। মার্জারী গরিবকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ারও কথা ব্যক্ত করেছে।
উদ্দীপকে ব্যক্তিগত সম্পদের বৃদ্ধি ও তার কৌশলকে তুলে ধরা হয়েছে। তবে ‘বিড়াল’ গল্পে ধনীর সম্পদ বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার পাশাপাশি মার্জারী তার বক্তব্যে গরিবের প্রাপ্য অধিকার বোধকে তুলে এনেছে। এ বিবেচনায় বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
আমরা পরের উপকার করিব মনে করিলেই উপকার করিতে পারি না। উপকার করিবার অধিকার থাকা চাই। যে বড়ো সে ছোটোর অপকার অতি সহজে করিতে পারে, কিন্তু ছোটর উপকার করিতে হইলে কেবল বড়ো হইলে চলিবে না, ছোট হইতে হইবে, ছোটর সমান হইতে হইবে। মানুষ কোনোদিন কোনো যথার্থ হিতকে ভিক্ষারূপে গ্রহণ করিবে না, ঋণরূপেও না, কেবলমাত্র প্রাপ্ত বলিয়াই গ্রহণ করিতে পারিবে।
ক. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাসের নাম কী?
খ. “একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হইতে আলোকে আনিয়াছি, ভাবিয়া কমলাকান্তের বড় আনন্দ হইল!” ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাবে দরিদ্র মানুষের যে অধিকার চেতনাটি প্রকাশ পেয়েছে তা ‘বিড়াল রচনায় প্রতিফলিত অধিকার চেতনার সাথে একসূত্রে গাঁথা। বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাসের নাম দুর্গেশনন্দিনী।
বাক্যটির মাধ্যমে কথক কমলাকান্তের মানসিক উন্নতি ও পরোপকারী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিড়াল’ রচনায় ক্ষুধার্ত এক বিড়াল কমলাকান্ত নামক এক ব্যক্তির জন্য রাখা দুধ খেয়ে ফেলে। বিড়ালের এই দুধ খাওয়া উচিত হয়েছে কিনা তা নিয়ে কমলাকান্ত এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। তাতে একটি সমাজের নানা অসঙ্গতি, চুরির কারণ, ক্ষুধার্তের ক্ষুধার জ্বালা, সামাজিক উন্নতির জন্য ধন সঞ্চয় যে অভাবীদের কোনো উপকার করে না প্রভৃতি বিষয় ফুটে উঠেছে। এতে করে আফিমে নেশাগ্রস্ত কমলাকান্ত সত্যিকার অর্থেই আলোর সন্ধান লাভ করেছে।
উদ্দীপকটি ‘বিড়াল’ রচনায় প্রতিফলিত পরোপকারী মনোভাব এবং দুর্বলের অধিকার সচেতনতাবোধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। যুগযুগ ধরে দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচারের তুলনায় দুর্বলের প্রতি সবলের আশীর্বাদ তেমন দেখা যায় না। অনেক সময় দুর্বলকে সাহায্যের নামে সবলেরা এক ধরনের শোষণ চালায়, যা প্রাথমিক অবস্থায় সহজ-সরল নিরীহ মানুষেরা বুঝতে পারে না। মূলত দুর্বলের প্রতি সবলেরা যে সহানুভূতি দেখায় তা স্বার্থহীন নয়।
উদ্দীপকে ছোটর প্রতি বড়র উপকারী মনোভাব এবং তা প্রদর্শনের বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অহংকারী মনোভাব নিয়ে নিরীহদের উপকার করতে গেলে তা হবে ভিক্ষার নামান্তর। আর ভিক্ষারূপে পরোপকার বা হিতসাধন করা প্রকৃত উপকার নয়। কাজেই ছোটর উপকার করতে হলে, ছোটর কষ্ট-যন্ত্রণাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করেই করতে হবে। ছোটর প্রাপ্যকে ভিক্ষারূপে নয়, ঋণরূপে নয়, সহানুভূতিশীল হৃদয়ের ভালোবাসার দান হিসেবে দিতে হবে।
উদ্দীপকের এই মূল বক্তব্যের সাথে ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের প্রতি কথক কমলাকান্তের সহানুভূতি সাদৃশ্যপূর্ণ। সেখানে বিড়ালকে প্রহার না করে তার প্রাপ্য হিসেবে তা গ্রহণ করাকে কমলাকান্ত মেনে নিয়েছেন।
উদ্দীপকের মূলভাবে মানুষের যে অধিকার চেতনাটি প্রকাশ পেয়েছে তা ‘বিড়াল’ রচনায় প্রতিফলিত অধিকার চেতনার সাথে একসূত্রে গাঁথাÑ মন্তব্যটি যথার্থ।
অধিকার কেউ কাউকে দেয় না, আদায় করে নিতে হয়। জগতের নিয়ম যাই হোক, এভাবেই চলছে। যারা সবল তারা শক্তি প্রয়োগ করে তার অধিকার আদায় করে নেয়। যারা দুর্বল অথচ ঐক্যবদ্ধ তারা সংগ্রামের পথ বেছে নেয়। আর যারা দুর্বল, ক্ষুদ্র, ঐক্যহীন তারাও তাদের অধিকারের প্রশ্নে মত প্রকাশ করে।
উদ্দীপকে দুর্বলকে সবলের উপকার, ভিক্ষা নয়, নাকি ঋণশোধÑ এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সে ব্যাখ্যায় দুর্বলের অধিকার সচেতনতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে, যা ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। রচনায় বিড়াল তার শরীরের করুণ বর্ণনা শেষে বলেছেÑ “এ পৃথিবীতে মৎস্য, মাংসে আমাদের কিছু অধিকার আছে। খাইতে দাও, নইলে চুরি করিব। দরিদ্রের আহার সংগ্রহের দণ্ড আছে, ধনীর কার্পণ্যের দণ্ড নাই কেন?” এই বক্তব্যে ছোটর অধিকার সচেতনতার এবং ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এ বিষয়টি উদ্দীপকের “কেবলমাত্র প্রাপ্ত বলিয়াই গ্রহণ করিতে পারিবে” উক্তিটির সাথে ঐক্য স্থাপন করে।
‘বিড়াল’ রচনায় বিড়াল ন্যায়সঙ্গত যুক্তি প্রদর্শন করেছে। কমলাকান্তের দুধে যে তার অধিকার রয়েছে সে দিকটি বিড়ালের যুক্তি-তর্কে প্রতিফলিত হয়েছে। ধনীর ধন-সম্পদে যে অভাবীদের অধিকার আছে, এ বিষয়টি এখানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এসব দিক বিবেচনা করে তাই বলা হয়েছে যে, উদ্দীপকের মূলভাবে দরিদ্র মানুষের অধিকার চেতনাটি ‘বিড়াল’ রচনায় প্রতিফলিত অধিকার সচেতনতার সাথে একসূত্রে গাঁথা।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
নাফিজ সাহেবের কাজের লোক রুবেল। প্রতিদিন সে বাজার থেকে বড় বড় মাছ, মুরগি, গরু ও খাসির মাংসসহ অনেক জিনিস কিনে আনে। নাফিজ সাহেবের বাড়িতে প্রতিদিনই পোলাও-কোরমা, মাছ-মাংস রান্না করা হয়। তারা অতি তৃপ্তিসহকারে সেসব খাবার খায়। আর কাজের লোকদের জন্য আলাদাভাবে কেবল ডাল, ভাত আর সবজির ব্যবস্থা করা হয়। রুবেল একদিন নিজেই রান্নাঘর থেকে পোলাও আর মাংস খেয়ে নেয়। এ ঘটনা আরেক কাজের মহিলা দেখে ফেললে রুবেল বলে, “বড়লোকদের খাবার থেকে এভাবেই নিজের অধিকার নিয়ে নিতে হয়।”
ক. নির্জল দুগ্ধপানে কে পরিতৃপ্ত হয়েছিল?
খ. “চোর যে চুরি করে, সে অধর্ম কৃপণ ধনীর।”Ñ ব্যাখ্যা কর।
গ. রান্নাঘর থেকে রুবেলের পোলাও ও মাংস চুরি করে খাওয়ার ঘটনাটি ‘বিড়াল’ গল্পের কোন বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নাফিজের মতো কৃপণ ধনী মানুষরাই আমাদের সমাজে চুরি নামক অপকর্মের অন্যতম প্রধান কারণ।”Ñমন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
নির্জল দুগ্ধপানে মার্জার সুন্দরী পরিতৃপ্ত হয়েছিল।
মূলত কৃপণ ধনী সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে বলেই চোর চুরি করে।
কৃপণ ধনী সমাজের অসহায় বঞ্চিতের সম্পদ আর শ্রম শোষণ করে ধনের পাহাড় গড়ে তোলে। কিন্তু যাদের কারণে তার এই ধনসম্পদ তাদের প্রতি তার কোনো ভ্র“ক্ষেপ নেই। এতে বৈষম্যপীড়িত হয়ে ক্ষুব্ধ একশ্রেণির মানুষ তাদের ধনই চুরি করে। তাই বলা হয়েছেÑ “চোর যে চুরি করে, সে অধর্ম কৃপণ ধনীর।”
রান্নাঘর থেকে রুবেলের পোলাও ও মাংস চুরি করে খাওয়ার ঘটনাটি ‘বিড়াল’ গল্পে মার্জারীর দুধ চুরি করে খাওয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
পৃথিবীতে কোনো মানুষই চোর বা অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকট অথবা সামাজিক বৈষম্যের কারণেই মানুষ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
উদ্দীপকের নাফিজ সহেবের বাড়িতে রুবেল কাজ করে। প্রতিদিন নাফিজ বাড়ির জন্য মাছ-মাংস কিনে আনে। সেই পরিবার প্রতিদিনই ভালো ভালো খাবার খেলেও কাজের মানুষদের জন্য নিম্নমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তাই রুবেল একদিন রান্নাঘর থেকেই চুরি করে পোলাও-মাংস খেয়ে নেয়। ‘বিড়াল’ গল্পের মার্জারী ক্ষুধার্ত। বিভিন্ন বাড়ির প্রাচীরে প্রাচীরে ঘুরে বেড়ালেও মানুষ তাকে মাছের কাঁটা পর্যন্ত খেতে দেয় না। এজন্য সে কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধ চুরি করে খেয়ে পরিতৃপ্তি লাভ করে। তাই বলা যায়, মার্জারীর এই দুধ চুরি করে খাওয়ার ঘটনাটি রুবেল চুরি করে পোলাও ও মাংস খাওয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘নাফিজ চৌধুরীর মতো কৃপণ ধনী মানুষরাই আমাদের সমাজে চুরি নামক অপকর্মের অন্যতম প্রধান কারণ।”Ñ মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রতিটি অপরাধের পেছনে কিছু কারণ থাকে। তবে সূ²ভাবে দৃষ্টি দিলে প্রতিটি অপরাধের পেছনেই সামাজিক বৈষম্যের বিষয়টি লক্ষণীয়।
উদ্দীপকের নাফিজ ধনী ব্যক্তি হলেও তার মনটা অনেক ছোট। প্রতিদিন তার পরিবারের জন্য অনেক ভালো খাবার রান্না করা হলেও তিনি বাড়ির কাজের লোকদের জন্য নিম্নমানের খাবারের ব্যবস্থা করেন। তার আচরণের কারণেই রুবেল চুরি করে খেতে বাধ্য হয়েছে। ‘বিড়াল’ গল্পেও দেখা যায় মার্জারী খাবারের জন্য প্রাচীরে প্রাচীরে ঘুরে বেড়ায়। কেউ তাকে মাছের কাঁটা পর্যন্ত খেতে দেয় না। এ জন্যই সে চুরি করে খেয়েছে।
আমাদের সমাজের একশ্রেণির উচ্চবিত্ত মানুষের জন্য সমাজে অপরাধ জন্ম নেয়। তারা নিজেরা ধন কুক্ষিগত করার জন্য অন্যকে শোষণ করে থাকে। নাফিজ এমনই এক কৃপণ উচ্চবিত্ত ধনী ব্যক্তি এবং পরোক্ষভাবে তাদের জন্যই সমাজে এতটা বিশৃঙ্খলা। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
লিটন সাহেব এলাকার শ্রেষ্ঠ ধনী হলেও এলাকার গরিবদের প্রতি তার কোনো খেয়াল নেই। অতি দরিদ্র মানুষগুলো কখনো কখনো না খেয়ে থাকে। এসব মানুষদের প্রতি ঈদের দিনেও লিটন সাহেবের মায়া-মমতা জাগে না। কোনোদিনই সে তাদের কোনো উপকার করে না। অথচ এলাকার এমপি সাহেব সামান্য অসুস্থ হলেই লিটন সাহেবের আর হুঁশ থাকে না। সে তার জন্য ডাক্তার ডাকে, ওষুধ আনে; হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
ক. মার্জারীর ভাষায় কে দুধ খেলে কমলাকান্ত ঠেঙ্গা লইয়া মারিতে যাইত না?
খ. ‘তবে আমার বেলা লাঠি কেন?’Ñ মার্জারী এ কথা কেন বলেছিল?
গ. উদ্দীপকের লিটন সাহেবের তোষামোদির ঘটনাটি ‘বিড়াল’ গল্পের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের লিটন সাহেবের আচরণ ‘বিড়াল’ গল্পের কমলাকান্তের আচরণের বিপরীত।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
মার্জারীর ভাষায় কোনো শিরোমণি বা ন্যায়ালংকার দুধ খেলে কমলাকান্ত ঠেঙ্গা লইয়া মারিতে যাইত না।
শিরোমণি ন্যায়ালংকার দুধ খেলে জোড়হাত করে মানুষ বলে ‘আরও একটু এনে দেই?’ কিন্তু বিড়ালের বেলায় তার উল্টো ঘটে বলে বিড়াল এ প্রশ্নটি করেছে।
সমাজে যারা ছোট, তাদের কেউই ভালোবাসে না। কমলাকান্ত তার দুধ খেয়েছে বলে বিড়ালকে লাঠি দিয়ে মারতে যায়। অথচ এই দুধ যদি কোনো ন্যায়ালংকার বা শিরোমণি খেত তবে সে আরও দেয়ার জন্য হাতজোড় করত। তাই বিড়ালের প্রতি এই বৈষম্য চলে বলে সে বলেছেÑ তবে আমার বেলা লাঠি কেন?
উদ্দীপকের ঘটনাটিকে ‘বিড়াল’ গল্পের আলোকে তেলা মাথায় তেল দেওয়া বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
তেলা মাথায় তেল দেওয়া হলো একটি প্রবাদ বাক্য। এর অর্থ হলো যার ধন-সম্পদ আছে তাকেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ পাওয়া যাবে, যারা গরিব মানুষদের বিপদে এগিয়ে আসে না। অথচ ধনীদের কিছু না হতেই তারা ছুটে যায়।
তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মতো একজন চরিত্র হলো উদ্দীপকের লিটন সাহেব। তার এলাকারও অনেক মানুষ খেতে পায় না। এমনকি ঈদের দিনেও সে তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। অথচ এলাকার এমপির সামান্য অসুখে চিন্তার শেষ নেই। ‘বিড়াল’ গল্পে মার্জারী ও কমলাকান্ত এ বিষয়টি বলেছে। মার্জারী বলে সে সামান্য একটু দুধ খেয়েছে বলে কমলাকান্ত তাকে মারতে এসেছে। মার্জারীর ভাষায় এটিই হলো তেলা মাথায় তেল দেয়া, যা লিটন সাহেবের তোষামোদির মধ্যে পাওয়া যায়। তাই বলা যায় যে, লিটন সাহেবের তোষামোদি ‘বিড়াল’ গল্পের আলোকে তেলা মাথায় তেল দেয়া বলা যেতে পারে।
“উদ্দীপকের লিটন সাহেবের আচরণ ‘বিড়াল’ গল্পের কমলাকান্তের আচরণের বিপরীত।” মন্তব্যটি যথার্থ।
আমাদের সমাজে আমরা প্রতিনিয়তই কিছু বৈষম্য দেখতে পাই। এসব বৈষম্যের অন্যতম প্রধান কারণ, আমরা তাকেই বেশি ভালোবাসি যার অনেক আছে।
লিটন সাহেব তার এলাকার অন্যতম সম্পদশালী ব্যক্তি। তার অনেক থাকা সত্তে¡ও তিনি গরিবদের সাহায্য করেন না। অথচ এমপি সাহেবের সামান্য অসুখেই সর্বস্ব নিয়ে ছুটে যান। কমলাকান্তের প্রতি এমনই ইঙ্গিত করেছে মার্জারী। সে সমাজের সবাইকে উদ্দেশ্য করেই বলেছে, যাদের কিছু নেই তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। অথচ যাদের অনেক কিছু রয়েছে, তাদের দেওয়ার কোনো শেষ নেই।
মার্জারীর ভাষায় একে তেলা মাথায় তেল দেয়া বলা চলে এবং এটি অবশ্যই একটি রোগ। এটি থেকে উদ্ভূত হতাশা সমাজে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলার জন্ম দিতে পারে। লিটন সাহেব যে কাজটি করেছে সেটিও ‘বিড়াল’ রচনায় কমলাকান্তের আচরণের বিপরীত। কারণ কমলাকান্ত বিড়ালের সাথে সেই রকম আচরণ করেনি। তার সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
১ কমলাকান্ত বিড়ালের উপর রাগ করতে না পারার কারণ, বিড়ালের-
চ অধিকার খ দুর্দশা গ ক্ষুৎপিপাসা ঘ দারিদ্র্য
২ ‘বিড়ালের প্রতি পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়’ বলতে কোন ধরনের আচরণকে বোঝানো হয়েছে?
চ প্রথাগত খ স্বাভাবিক
গ স্বভাববিরুদ্ধ ঘ অস্বাভাবিক
ক্স নিচের কবিতাংশটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি বলে এক বাবু সাব তার ঠেলে দিলে
নিচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
৩ কবিতাংশে “বিড়াল” প্রবন্ধের যে চেতনার প্রকাশ ঘটেছে তা হলোÑ
র. শ্রেণিবৈষম্য রর. সাম্যবাদিতা
ররর. মানবিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪ উক্ত চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে নিচের কোন বাক্যে?
ক অতএব পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়
ছ তোমরা মনুষ্য, আমরা বিড়াল, প্রভেদ কী?
গ পরোপকারই পরম ধর্ম
ঘ খাইতে পাইলে কে চোর হয়?
মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক লেখক পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পেশাগত জীবনে কী ছিলেন?
ক আইনজীবী খ শিক্ষক গ প্রকৌশলী ঝ ম্যাজিস্ট্রেট
৬ কোন পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্য জীবনের সূচনা ঘটে?
ক বঙ্গদর্শন ছ সংবাদ প্রভাকর
গ তত্ত¡বোধনী ঘ সমাচার
৭ বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থসংখ্যা কত?
ক ৩৩টি ছ ৩৪টি গ ৩৫টি ঘ ৩৬টি
৮ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন পত্রিকা সম্পাদনা করেন?
চ বঙ্গদর্শন খ বেঙ্গল গেজেট
গ দিগ্দর্শন ঘ সংবাদ প্রভাকর
৯ বঙ্কিমচন্দ্র কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
ক ঢাকায় খ খুলনায় গ বরিশালে ঝ কলকাতায়
১০ ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
ক ১৮৭০ খ ১৮৭১ জ ১৮৭২ ঘ ১৮৭৩
১১ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
চ ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুন খ ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুন
গ ১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুন ঘ ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জুন
১২ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
ক সুবারিপুর খ পশ্চিমগাঁও
জ কাঁঠালপাড়া ঘ আমপাড়া
১৩ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গ্রামটি কোন জেলায় অবস্থিত?
চ চব্বিশ পরগনা খ বর্ধমান
গ মেদিনীপুর ঘ মুর্শিদাবাদ
১৪ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন?
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
গ করাচি বিশ্ববিদ্যালয় ঘ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
১৫ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে বিএ পাস করেন?
ক ১৮৫৭ সালে ছ ১৮৫৮ সালে
গ ১৮৫৯ সালে ঘ ১৮৬০ সালে
১৬ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতার নাম কী?
চ যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় খ রাধারমন চট্টোপাধ্যায়
গ শীর্ষেন্দ চট্টোপাধ্যায় ঘ বিমল চট্টোপাধ্যায়
১৭ কত সালে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা প্রকাশিত হয়?
ক ১৮৫০ খ ১৮৫১ জ ১৮৫২ ঘ ১৮৫৩
১৮ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস কোনটি?
চ দুর্গেশনন্দিনী খ আনন্দপাঠ
গ চন্দ্রশেখর ঘ শকুন্তলা
১৯ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ইংরেজি উপন্যাসটির নাম কী?
চ জধলসড়যড়হং ডরভব খ ঝঁষঃধহম'ধং ফৎবধস
গ ঈরারষরুধঃরড়হ ঘ ঈড়হয়ঁবংঃ ড়ভ যধঢ়ঢ়রহবংং
২০ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই এপ্রিল খ ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ৬ই এপ্রিল
গ ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই এপ্রিল ঝ ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই এপ্রিল
২১ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপাধি কী?
ক পলিকবি খ বিদ্রোহী কবি
জ সাহিত্যসম্রাট ঘ ছন্দের জাদুকর
২২ নিচের কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
চ বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত উপন্যাস রচয়িতা
খ বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত কাব্য রচয়িতা
গ বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত নাটক রচয়িতা
ঘ বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত প্রবন্ধ রচয়িতা
২৩ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতা পেশায় কি ছিলেন?
ক ব্যবসায়ী খ পুলিশ গ বিচার পতি ঝ ডেপুটি কালেক্টর
খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
২৪ বিড়ালটি কমলাকান্তের হাতে যষ্টি দেখে ভয় পেল না কেন?
ক অতিমাত্রায় সাহসী ছিল বলে
খ যষ্টির আঘাতে ব্যথা পাবে না বলে
জ কমলাকান্ত সম্পর্কে জানত বলে
ঘ ক্ষুধা নিবারণ হয়ে গিয়েছিল বলে
২৫ ‘অতএব পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়।’Ñ এখানে ‘পুরুষের ন্যায় আচরণ’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
চ ক্রোধে গর্জে ওঠা খ উচ্চ বাক্য করা
গ সজোরে হুংকার দেয়া ঘ ধৈর্য ধরে থাকা
২৬ ‘বিড়াল’ গল্পে কে শয়নগৃহে ছিল?
ক মঙ্গলা খ প্রসন্ন
জ কমলাকান্ত ঘ নেপোলিয়ন
২৭ কমলাকান্ত চারপায়ীর উপর বসে হুঁকা হাতে কী করছিল?
ক দুধ খাচ্ছিল ছ ঝিমাচ্ছিল গ ঘুমাচ্ছিল ঘ গান করছিল
২৮ দেয়ালের উপর কীসের ছায়া প্রেতবৎ নাচছিল?
ক চারপায়ীর ছ ক্ষুদ্র আলোর
গ কমলাকান্তের ঘ ভাঙা যষ্টির
২৯ কমলাকান্ত কীসের উপর ঝিমাচ্ছিল?
ক কেদারার খ মাদুরের জ চারপায়ীর ঘ সোফার
৩০ কে দুগ্ধ রেখে গিয়েছিল?
চ প্রসন্ন খ মঙ্গলা
গ কমলাকান্ত ঘ ওয়েলিংটন
৩১ দুধের মালিক কে?
ক কমলাকান্ত খ বিড়াল
গ প্রসন্ন ঝ মঙ্গলা
৩২ মঙ্গলা কে?
ক প্রসন্নের স্বামী ছ একটি গাভী
গ মার্জারের বাবা ঘ কমলাকান্তের বাবা
৩৩ কমলাকান্ত কী হাতে বিড়ালের দিকে তেড়ে গিয়েছিল?
চ ভাঙা লাঠি খ ঠেঙা লাঠি গ ইট ঘ পাথর
৩৪ কার কথা ভারি সোশিয়ালিস্টিক?
ক কমলাকান্তের খ নেপোলিয়নের
জবিড়ালের ঘ প্রসন্নের
৩৫ প্রবন্ধে ‘বিড়াল’ কাদের প্রতিনিধি?
ক চোরের ছ ক্ষুধিতের
গ সাধুর ঘ বিচারকের
৩৬ বিড়াল দুধ খেয়ে ফেললেও কমলাকান্ত রাগ করেনি কেন?
চ দুধে দু’জনেরই সমান অধিকার
খ বিড়ালের মতো তুচ্ছ প্রাণীর সঙ্গে রাগ করা লজ্জাজনক
গ বিড়ালের ভয়
ঘ বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা
৩৭ প্রসন্ন কর্তৃক দোহনকৃত দুধ কার?
ক বিড়ালের ছ মঙ্গলার
গ কমলাকান্তের ঘ নেপোলিয়নের
৩৮ বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষা লাভ ব্যতীত মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না কে?
ক কমলাকান্ত ছ বিড়াল গ নেপোলিয়ন ঘ প্রসন্ন
৩৯ বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে কী ব্যতীত মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর নেই?
ক আফিং খাওয়া ছ শিক্ষালাভ
গ চুরি শেখা ঘ হুঁকাটানা
৪০ বিড়াল কার জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না?
চ মানুষের খ মার্জারের
গ আফিংখোরের ঘ অধার্মিকের
৪১ যাঁরা চোরের নামে শিহরিয়া ওঠেন, তাঁরা অনেকে চোর অপেক্ষা কেমন?
ক বক ধার্মিক ছ অধার্মিক
গ আফিংখোর ঘ পরোপকারী
৪২ ‘সংসারে ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্য, মাংস সকলই তোমরা খাইবে’Ñ এখানে ‘তোমরা’ কারা?
ক বিড়ালরা ছ মানুষেরা গ অধার্মিকরা ঘ চোরেরা
৪৩ ‘আমরা কিছু পাইব না কেন?’Ñ এখানে ‘আমরা’ কারা?
চ বিড়ালেরা খ মানুষরা গ ধনীরা ঘ চোরেরা
৪৪ যাঁরা চোরের নামে শিহরিয়া ওঠেন, তাঁরা অনেকে কী অপেক্ষাও অধার্মিক?
ক বিড়াল খ মানুষ গ ধার্মিক ঝ চোর
৪৫ যাঁরা সাধু তাঁরা চোরের নামে কী করেন?
চ শিহরিয়া ওঠেন খ পাষাণবৎ হন
গ প্রেতবৎ নাচেন ঘ ঝিমাতে থাকেন
৪৬ আহারাভাবে বিড়ালের উদর কীরূপ?
ক বিনত ছ কৃশ গ ফুলা ঘ লোমশ
৪৭ আহারাভাবে বিড়ালের জিহŸা কীরূপ হয়েছে?
ক কৃশ ছ ঝুলে পড়েছে গ বিনত ঘ ফেলো
৪৮ বিড়ালের লাঙ্গুল আহারাভাবে কীরূপ ধারণ করেছে?
ক কৃশ খ বাঁকা জ বিনত ঘ মোট
৪৯ আহারাভাবে বিড়ালের দাঁত পরিণতি কোনটি হয়েছে?
ক কৃশ হয়েছে খ ঝুলে পড়েছে
গ বিনত হয়েছে ঝ বের হয়ে গেছে
৫০ আহারাভাবে বিড়ালের কী পরিদৃশ্যমান?
চ অস্থি খ উদর গ লাঙ্গুল ঘ জিহŸা
৫১ মার্জারী স্বজাতিমণ্ডলে কী বলে উপহাস করতে পারে?
ক চোর ছ কাপুরুষ গ ধার্মিক ঘ দূরদর্শী
৫২ মার্জারী কোথায় কমলাকান্তকে কাপুরুষ বলে উপহাস করতে পারে?
ক চারপায়ীর ওপর খ মনুষ্যকুলে
জ স্বজাতিমণ্ডলে ঘ শয়নগৃহে
৫৩ কমলাকান্ত কোনটি প্রাপ্ত হয়ে মার্জারের সকল বক্তব্য বুঝতে পারলো?
ক আফিং খ দৈবশক্তি জ দিব্যকর্ণ ঘ ক্ষুৎপিপাসা
৫৪ কে হঠাৎ বিড়ালম্ব প্রাপ্ত হলো?
চ ওয়েলিংটন খ নেপালিয়ন গ কমলাকান্ত ঘ মার্জারী
৫৫ মার্জারী কাকে চিনত?
ক প্রসন্নকে ছ কমলাকান্তকে
গ মঙ্গলাকে ঘ বিড়ালকে
৫৬ কমলাকান্ত অনেক অনুসন্ধানে কী আবিষ্কার করল?
চ ভগ্ন যষ্টি খ দুগ্ধদধি গ পাষাণবৎ ঘ চঞ্চল ছায়া
৫৭ ‘আমি তোমার ধর্মের সহায়।’Ñ কে বলেছে?
চ বিড়াল খ প্রসন্ন গ কমলা ঘ মঙ্গলা
৫৮ ‘বিড়াল’ রচনায় চতুষ্পদকে কী বলা হয়েছে?
চ বিজ্ঞ খ অধার্মিক গ কৃপণ ঘ সাধু
৫৯ হাঁড়ি খাওয়ার কথা কী অনুসারে বিবেচনা করা যাইবে?
ক নীতি অনুসারে ছ ক্ষুধানুসারে
গ শক্তি অনুসারে ঘ কৃপণতা অনুসারে
৬০ কাকে অন্ধকার থেকে আলোকে এনেছে বলে কমলাকান্ত মনে করে?
ক প্রসন্নকে ছ পতিত আত্মাকে
গ মঙ্গলাকে ঘ নেপোলিয়নকে
৬১ মার্জার বললো কীসের বিশেষ প্রয়োজন নেই?
চ আফিংয়ের খ দুধের
গ হাঁড়ি খাওয়ার ঘ মাখনের
৬২ তাদের রূপের ছটা দেখে অনেক মার্জার কী হয়ে পড়ে?
ক অধার্মিক খ কৃপণ জ কবি ঘ ধনী
৬৩ সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ কার ধন বৃদ্ধি?
ক চোরদের ছ ধনীদের গ বিড়ালদের ঘ অধার্মিকদের
৬৪ সামাজিক ধনবৃদ্ধি ব্যতীত কীসের উন্নতি নেই?
চ সমাজের খ রাষ্ট্রের গ পরিবারের ঘ গরিবের
৬৫ কমলাকান্তের দপ্তর পড়লে কীসের অসীম মহিমা বুঝতে পারবে?
ক চুরির ছ আফিংয়ের
গ পরোপকারের ঘ দুধের
৬৬ কমলাকান্ত বিড়ালটিকে কীরূপ আফিং দিতে চাইলো?
ক নির্জল ছ সরিষাভোর গ নির্ভেজাল ঘ সোহাগের
৬৭ তিনদিন উপবাস থাকলে কার ভাণ্ডারঘরে ধরা পড়ার সম্ভাবনা?
ক প্রসন্নের খ মঙ্গলার জ নদীবাবুর ঘ কমলাকান্তের
৬৮ কীসের উপর চঞ্চল ছায়া নাচছে?
চ দেয়ালের খ বিড়ালের গ চারপায়ীর ঘ শয়নগৃহের
৬৯ ‘বিড়াল’ রচনায় এক্ষণে আর কাকে অতিরিক্ত পুরস্কার দেয়া যেতে পারে না?
ক নেপোলিয়নকে ছ ডিউক মহাশয়কে
গ কমলাকান্তকে ঘ মার্জার সুন্দরীকে
৭০ “বুঝি তাহার ভিতর একটু ব্যঙ্গ ছিল।”Ñ কীসে?
চ মেও স্বরে খ দুধ চুরিতে
গ অধার্মিকতায় ঘ কৃপণতায়
৭১ মনুষ্যকুলে কুলাঙ্গার হতে চায় না কে?
চ কমলাকান্ত খ প্রসন্ন গ নেপোলিয়ন ঘ ওয়েলিংটন
৭২ মার্জারী কমলাকান্তকে কাপুরুষ বলে কী করতে পারে?
ক পরিহাস ছ উপহাস গ কুলাঙ্গার ঘ পুরস্কার
৭৩ ‘মারপিট কেন?’Ñ কার উক্তি?
ক কমলাকান্তের খ প্রসন্নের
জ বিড়ালের ঘ ধনীর
৭৪ ‘তোমরা আমার কাছে কিছু উপদেশ গ্রহণ কর।’Ñ কে বলেছে?
ক নেপোলিয়ন ছ বিড়াল গ কমলাকান্ত ঘ ওয়েলিংটন
৭৫ মানুষ এত দিনে বিড়ালের কথা বুঝতে পেরেছে বলে কমলাকান্ত মনে করেছে। এটা কী দেখে সে বুঝেছে?
চ বিদ্যালয় খ পরোপকার গ আফিং ঘ শয়নগৃহ
৭৬ বিড়াল কোথায় মেও বলে বেড়ায়?
ক ঘরে ঘরে ছ প্রাচীরে প্রাচীরে
গ নদীবাবুর ভাণ্ডারঘরে ঘ নর্দমায় নর্দমায়
৭৭ যাদের পেট ভরা, তারা কার ক্ষুধা জানতে পারে না?
চ ক্ষুধিতের খ দরিদ্রের গ চোরের ঘ ধার্মিকের
৭৮ দরিদ্রের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া কীসের কথা?
ক ঘৃণার কথা ছ লজ্জার কথা
গ পুরস্কারের কথা ঘ কাপুরুষের কথা
৭৯ অনেকে মুষ্টি ভিক্ষা দেয় না কাকে?
ক বিড়ালকে খ সাধুকে জ অন্ধকে ঘ দরিদ্রকে
৮০ চুরি করার প্রয়োজন নেই বলে কারা চুরি করেন না?
চ সাধুরা খ বিড়ালরা গ কৃপণরা ঘ ধনীরা
৮১ চোরের দণ্ড হলে কার দণ্ড হওয়া উচিত?
ক ধার্মিকের ছ কৃপণের গ সাধুর ঘ প্রসন্নের
৮২ ‘চারপায়’ শব্দটি দ্বারা কোনটিকে নির্দেশ করা হয়েছে?
ক বিড়াল খ গাভী জ টুল ঘ চেয়ার
৮৩ সমাজের প্রধান ব্যক্তিকে কী বলা যায়?
ক ন্যায়ালঙ্কার খ ডিউক গ নৈয়ায়িক ঝ শিরোমণি
৮৪ জলযোগ কী?
ক পানি পূর্ণ করা খ নদী পারাপার
জ হালকা খাবার ঘ তরল খাবার
৮৫ ‘বিড়াল’ রচনাটিতে পতিত আত্মা বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
চ মার্জারকে খ কমলাকান্তকে
গ নেপোলিয়নকে ঘ ওয়েলিংটনকে
৮৬ কোন সমাজে বনেদি বা অভিজাত ব্যক্তিকে ডিউক বলা হতো?
ক এশীয় সমাজে ছ ইউরোপীয় সমাজে
গ আফ্রিকান সমাজে ঘ আমেরিকার সমাজে
৮৭ নেপোলিয়ান আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে কোথায়?
ক আমেরিকায় ছ ইউরোপে গ এশিয়ায় ঘ অস্ট্রেলিয়ায়
৮৮ ‘ব্যূহ’ শব্দের অর্থ কী?
ক ধুম্রজাল খ বাহু জ বেষ্টনি ঘ মায়া
৮৯ ওয়েলিংটন কী ছিলেন?
চ ডিউক খ জর্জ গ জেনারেল ঘ কর্নেল
৯০ নেপোলিয়ন কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
ক সেন্ট হার্মিস দ্বীপে খ সেন্ট জর্জেস দ্বীপে
জ সেন্ট হেলেনা দ্বীপে ঘ সেন্ট আলভিনো দ্বীপে
৯১ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’-এর অন্তর্ভুক্ত রচনাগুলো কেমন?
চ ব্যঙ্গধর্মী ও রসাত্মক খ গম্ভীর ধরনের
গ বেদনা বিধুর ঘ উপদেশমূলক
৯২ ‘বিড়াল’ রচনাটির শেষাংশটি কীসের খোরাক জোগায়?
ক হাস্যরসের ছ গভীর ভাবনার
গ প্রাণীদের প্রতি গভীর অনুরাগের ঘ গভীর বেদনার
৯৩ বিড়াল রচনায় কোন চরিত্রের আশ্রয়ে ধনী-দরিদ্র, শোষক-শোষিতের অধিকার সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে?
ক কমলাকান্ত খ নেপোলিয়ন গ নৈয়ায়িক ঝ বিড়াল
৯৪ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী রচনার সংকলনের নাম কী?
ক কমলাকান্তের কথা খ কমলাকান্তের রম্য
জ কমলাকান্তের দপ্তর ঘ কমলাকান্তের ভাবনা
৯৫ কী কারণে কমলাকান্ত ওয়াটারলু যুদ্ধ নিয়ে ভাবছিলেন?
ক স্মৃতি মনে পড়ে যাওয়ায় খ এ বিষয়ক গল্প হচ্ছিল
গ তখন ওয়াটারলু যুদ্ধ চলছিল ঝ তিনি মাতাল ছিলেন
৯৬ বিড়াল ও কমলাকান্তের মধ্যে কী ধরনের কথা চলছিল?
ক রসাত্মক ছ কাল্পনিক গ ব্যঙ্গাত্মক ঘ গুরুত্বপূর্ণ
৯৭ পরাস্ত হলে কারা উপদেশ প্রদান করে?
চ বিজ্ঞ লোক খ মাতাল লোক
গ মূর্খ লোক ঘ পাকা লোক
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
৯৮ ‘যষ্টি’ অর্থ কী?
ক অনুষ্ঠান খ দিবস জ লাঠি ঘ অবলম্বন
৯৯ ‘পতিত আত্মা’ বলতে ‘বিড়াল’ রচনায় কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক ভূত ছ বিড়াল গ দরিদ্র ব্যক্তি ঘ বৃদ্ধ লোক
১০০ ‘লাঙ্গুল’ শব্দের অর্থ কোনটি?
ক আঙ্গল খ ডানা গ লাঙ্গল ঝ লেজ
১০১ ‘ন্যায়ালংকার’ শব্দের অর্থ হিসেবে নিচের কোনটি সমর্থনযোগ্য?
চ ন্যায়শাস্ত্রে পণ্ডিত খ ব্যাকরণশাস্ত্রে পণ্ডিত
গ মাথায় পরার অলংকার বিশেষ ঘ বাংলাশাস্ত্রে পণ্ডিত
১০২ ‘ঠেঙ্গালাঠি’ বলতে কোনটিকে বোঝায়?
ক পাহারাদারদের লাঠি ছ প্রহার করার লাঠি
গ এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র ঘ এক ধরনের ধাতব অস্ত্র
১০৩ ‘ব্যূহ রচনা’ বলতে কোনটিকে বোঝায়?
ক প্রতিরক্ষা বাহিনী ছ প্রতিরোধ বেষ্টনী তৈরি করা
গ সেনাদের অস্ত্রে সজ্জিত করা ঘ কুচকাওয়াজের জন্য সৈন্য সাজানো
১০৪ ‘মার্জার’ শব্দের অর্থ কোনটি?
চ বিড়াল খ গৃহকর্তা গ বানর ঘ গরু
১০৫ ওয়াটার লু যুদ্ধে নেপোলিয়ন কার হাতে পরাজিত হন?
ক ডিউক খ হেমলেট জওয়েলিংটন ঘ ওয়াশিংটন
১০৬ নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
চ১৭৬৯ খ ১৮৫৯ গ ১৮৮০ ঘ ১৮৬৯
১০৭ ‘কস্মিনকালে’ শব্দের অর্থÑ
ক কখন ছ কোনো সময়ে গ অতীতে ঘ ভবিষ্যতে
১০৮ ‘ক্ষুৎপিপাসার’ সন্ধি বিচ্ছেদ কী?
ক ক্ষুদ + পিপাসা খ ক্ষিধা + পিপাসা
গ ক্ষুৎ + পিয়াস ঝ ক্ষুৎ + পিপাসা
১০৯ ‘তীব্রভাবে যা প্রকাশিত’ তাকে বলে?
ক তীব্রতর খ দ্রুত জ প্রকটিত ঘ প্রলম্বিত
১১০ নিচের কোনটি ‘চার পায়া’ শব্দটির সমার্থক?
চ টুল খ দেয়াল গ গরু ঘ বৃক্ষ
১১১ ‘এ পৃথিবীর মৎস্য, মাংসে আমাদের কিছু অধিকার আছে।”Ñউক্তিটির প্রতিপাদ্য কী?
ক অধিকার চেতনা
খ ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
গ শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
ঝ ওপরের সবগুলোই
১১২ ‘কেহ মরে বিল সেঁচে, কেহ খায় কই’-বাক্যটিতে কী প্রকাশিত হয়েছে?
চ শ্রমজীবীদের অবস্থা খ বিলের অবস্থা
গ মাছের অবস্থা ঘ বিড়ালের অবস্থা
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
১১৩ প্রবন্ধটিতে বিড়ালের কণ্ঠে কী প্রকাশিত হয়েছে?
চ শোষিতের আর্তনাদ খ চুরির সাজা
গ বিড়ালের ধর্ম ঘ নেশার সর্বনাশা দিক
১১৪ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ কী ধরনের রচনার সংকলন?
ক আইন বিষয়ক খ তথ্যমূলক ও ব্যঙ্গধর্মী
গ শিক্ষামূলক ঝ রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী
১১৫ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ কয় অংশে বিভক্ত?
ক দুই ঝ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১১৬ ‘বিড়াল’ রচনার প্রথম অংশটি কেমন?
ক ব্যঙ্গাত্মক খ গূঢ়ার্থে সন্নিহিত
গ তত্ত¡মূলক ঝ নিখাদ হাস্যারসাত্মক
১১৭ ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের কথাগুলো কেমন?
ক ধনবাদী ছ মানবতাবাদী
গ সমাজতান্ত্রিক ঘ রাজনৈতিক
১১৮ ‘বিড়াল’ রচনায় কার কথা শুনে কমলাকান্ত বিস্মিত হয়ে পড়েন?
ক ন্যায়রতœ মহাশয়ের খ ওয়েলিংটনের
গ ডিউকের ঝ বিড়ালের
১১৯ ‘বিড়াল’ রচনায় বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষা কেমন?
ক হাস্যকর খ মর্মস্পর্শী গ আবেগঘন ঝশ্লেষাত্মক
ঙ বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নোত্তর :
১২০ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব পালনে ছিলেনÑ
র. নিষ্ঠাবান
রর. যোগ্যবিচারক ররর. ব্যক্তিত্ববান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১২১ বঙ্কিমচন্দ্র প্রবন্ধ রচনা করেছেনÑ
র. সাহিত্য বিষয়ক রর. সমাজ বিষয়ক
ররর. দর্শন বিষয়ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১২২ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেনÑ
র. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন
রর. নিষ্ঠাবান ও যোগ্য বিচারক
ররর. বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১২৩ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ সাহিত্য হলোÑ
র. কৃষ্ণচরিত্র রর. লোকরহস্য
ররর. কমলাকান্তের দপ্তর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১২৪ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস হলোÑ
র. কপালকুণ্ডলা রর. দেবী চৌধুরাণী
ররর. লোকরহস্য
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৫ দেয়ালের ওপরের ছায়াটি হলোÑ
র. চঞ্চল রর. প্রেতবৎ ররর. নিমীলিত
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৬ কমলাকান্তের ভাবনা হলোÑ
র. নেপোলিয়ন হওয়ার ইচ্ছে
রর. ওয়োলিংটনের বিড়াল হওয়া ররর. ওয়াটার লু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১২৭ আফিং ভিক্ষা করতে এসেছেÑ
র. ওয়েলিংটন রর. বিড়াল ররর. নেপোলিয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৮ যাকে ইতিপূর্বে যথোচিত পুরস্কার দেওয়া হয়েছেÑ
র. ডিউক মহাশয়কে রর. ওয়েলিংটনকে
ররর. বিড়ালটিকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১২৯ ওয়াটার লু সম্পর্কে বলা যায়Ñ
র. এখানে নেপোলিয়নের জীবনের শেষ যুদ্ধ হয়
রর. ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দে এখানে যুদ্ধ হয়েছিল
ররর. এটি ব্রাসেলস থেকে ১০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৩০ “কেহ মরে বিল সেঁচে, কেহ খায় কই”Ñ এ কথাটি বলার কারণ হলোÑ
র. প্রসন্নর জন্য রাখা দুধ মঙ্গলায় খাওয়া
রর. কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধ বিড়ালে খাওয়া
ররর. একজনের ভাগের খাবার অন্যে খেয়ে ফেলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩১ চিরায়ত প্রথার অবমাননা হলোÑ
র. দুধ চোর বিড়ালকে তাড়ালে মানবতার অপমান হয়
রর. দুধ চোর বিড়ালকে না তাড়ালে মনুষ্যকুলের কুলাঙ্গার হয়
ররর. বিড়াল দুধ খেলে তাকে তাড়াতে লাঠিপেটা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩২ চতুষ্পদের বৈশিষ্ট্য হলোÑ
র. এরা বিজ্ঞ রর. এরা চোর
ররর. এরা চঞ্চল
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৩ কমলাকান্তের মতে, পুরুষের ন্যায় আচরণ হলোÑ
র. পুরুষ চোরকে লাঠিপেটা করে
রর. পুরুষ নির্মম ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির
ররর. পুরুষ অপরাধীকে শাস্তি দেয়
নিচের কোনটি সঠিক
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৩৪ অধার্মিকরাÑ
র. চোরের নামে শিহরিয়া ওঠেন
রর. তাঁরা অনেকে চোরাপেক্ষা অধার্মিক
ররর. চুরি করার প্রয়োজন নেই বলে চুরি করেন না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৩৫ ‘ধনীর দোষেই দরিদ্র চোর হয়।’ কারণÑ
র. ধনীরা গরিবকে বঞ্চিত করে সম্পদ জমায়
রর. গরিবরা ক্ষুধার জ্বালায় চুরি করে
ররর. ধনীরা পাঁচশ জনের আহার্য ভোগ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৩৬ আহারাভাবে বিড়ালেরÑ
র. উদর কৃশ হয় রর. অস্থি পরিদৃশ্যমান হয়
ররর. লাঙ্গুল বিনত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৩৭ “খাইতে দাও, নইলে চুরি করিব।”Ñ বিড়ালের এ কথা বলার কারণÑ
র. পেটের জ্বালা নীতি মানে না
রর. এ সংসারে মাছ-মাংসে তার অধিকার আছে
ররর. চুরি করে খাওয়া অধর্ম বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮ বিশেষ অপরিমিত লোভ ভালো না হওয়ার কারণ হলোÑ
র. এতে বিপদ ডেকে আনে
রর. এতে অধর্ম হয়
ররর. এতে সম্মানহানি ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও রর
১৩৯ মার্জারী যষ্টি দেখে বিশেষ ভীত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে নি। কারণÑ
র. সে কমলাকান্তকে চিনত
রর. কমলা তেমন রাগী নয়
ররর. চিরায়ত প্রথার অবমাননা করায়
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪০ ‘কৃপণ, চুরির মূল কারণ।’ এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো, কৃপণরাÑ
র. ধন সম্পদ নিজ হাতে কুক্ষিগত করে রাখে
রর. অভাবীদের মাঝে বিতরণ করে না
ররর. প্রয়োজনাতীত ধন থাকতে দুঃস্থদের দেয় না
নিচের কোনটি সঠিক
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪১ ‘আমি তোমার ধর্মের সহায়।’ একথা বলার কারণ হলোÑ
র. চুরি করে বিড়ালটি দুধ খাওয়ায় পরোপকার সিদ্ধ হয়েছে
রর. বিড়ালটি দুধ খাওয়ায় কমলাকান্ত সেই ফলভাগী হলো
ররর. বিড়ালের দ্বারা কমলাকান্তের ধর্ম রক্ষা সম্ভবপর হয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪২ ‘বিড়াল’ রচনায় ছোট লোকের দুঃখে কাতর হওয়াকে ধিক্কার জানানোর কারণ হলো
র. ছোটলোকদের দরিদ্রের জন্য ব্যথিত হওয়ায় গৌরব নেই
রর. দরিদ্রের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া লজ্জার কথা
ররর. রাজা ফাঁপরে পড়লে রাতে ঘুম বন্ধ হয়ে যায়
নিচের কোনটি সঠিক
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৩ বিড়ালটিকে ‘পতিত আত্মা’ বলার কারণ হলোÑ
র. ধর্মাচরণে মন দেয় না বলে
রর. অন্যের খাদ্য চুরি করে খেয়েছে বলে
ররর. তুচ্ছ প্রাণী হয়ে বিজ্ঞ মনোভাব পোষণ করেছে বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৪ বিচারক বা নৈয়ায়িক কিছু বোঝাতে না পারার কারণ হলো মার্জারÑ
র. সুবিচারক রর. সুতার্কিক
ররর. সুভাষিণী
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৫ কমলাকান্ত বিড়ালটিকে সরিষাভোর আফিং দিতে আইলো যে কারণেÑ
র. কারো হাঁড়ি খেতে বারণ করেছে বলে
রর. ক্ষুধায় নিতান্ত অধীর হয়ে পড়লে
ররর. চুরি করে খাওয়ার নিষেধ শুনলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৬ ‘বিড়াল’ রচনায় বিজ্ঞ হলোÑ
র. চতুষ্পদ রর. মার্জার ররর. প্রসন্ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৭ বিড়াল দুধ খেলে তাকে তাড়িয়ে মারতে যেতে হয়, এটা হলোÑ
র. দিব্যগত প্রথা রর. মনুষ্যকুলের গৌরব
ররর. সুপুরুষভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৮ কমলাকান্তের হাতে একটি ভগ্ন যষ্টি দেখে-
র. হাই তুলল রর. একটু সরে বসল
ররর. মেও শব্দ করল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৯ ‘দুগ্ধে আমারও যে অধিকার, বিড়ালেরও তাই।’ কারণÑ
র. দুধ আমার বাপের নয়
রর. দুধ মঙ্গলার, দুহিয়েছে প্রসন্ন
ররর. দুধে সবার অধিকার আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৫০ দুধ উদরসাৎ করার পর বিড়ালের স্বাভাবিক কর্ম হলোÑ
র. অতি মধুর স্বরে বলছে মেও
রর. ভাবছে, কেহ মরে বিল সেঁচে, কেউ খায় কই
ররর. ওয়াটারলু মাঠে বূহ্য রচনায় ব্যস্ত
নিচের কোনটি সঠিক
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫১ বিড়ালের মনের ভাব হলোÑ
র. শেষ অপরিমিত লোভ ভালো নহে
রর. কেহ মরে বিল সেঁচে, কেহ খায় কই
ররর. তোমার দুধত খাইয়া বসিয়া আছি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫২ বাঞ্ছনীয় নয় যা, তাহলোÑ
র. দুধ খাওয়ার অপরাধে বিড়ালকে মারা
রর. চিরায়ত প্রথার অবমাননা করা
ররর. মনুষ্যকুলের কুলাঙ্গার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৩ পুরুষের ন্যায় আচরণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে কমলাকান্ত যা করলেন, তা হলোÑ
র. হস্ত হতে হুঁকা নামালেন
রর. সগর্বে মার্জারীর প্রতি ধাবমান হলেন
ররর. একটি ভগ্ন যষ্ঠি আবিষ্কার করলেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৫৪ মার্জারীর যষ্টি দেখে ভীত না হওয়ার কারণ বোঝা যায় যা দেখে
র. মুখপানে চেয়ে হাই তুলল রর. একটু সরে বসলো
ররর. মেও বলে শব্দ করলো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৫৫ দুধ পানের অভিযোগে মারপিটের বদলে বিড়ালটির প্রত্যাশা হলোÑ
র. স্থির হয়ে চিন্তা করে দেখুক
রর. হুঁকায় সুখ টান দিয়ে ভাবুক
ররর. একটু বিচার করে দেখুক
নিচের কোনটি সঠিক
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৫৬ ‘এ সংসারে ক্ষীর, সর, দুধ, দই, মাছ, মাংসে বিড়ালেরও অধিকার আছে।’ এ ব্যাপারে তার যুক্তি হলোÑ
র. তোমরা মনুষ্য, আমরা বিড়াল প্রভেদ কী?
রর. তোমাদের ক্ষুৎপিপাসা আছে আমাদের কী নাই?
ররর. তোমরা খাও, আপত্তি নাই, আমরা খাইলে ঠেঙ্গাও কেন?
নিচের কোনটি সঠিক
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৫৭ বিড়াল মানুষের ধর্মের সহায় বলে তার প্রতি যে আচরণ করতে হবে,Ñ
র. প্রহার করা যাবে না
রর. তার প্রশংসা করতে হবে
ররর. আদর করে দুধ খাওয়াতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৮ বিড়ালটি স্বীকার করে বলেছেÑ
র. সে সাধ করে চোর হয় নি
রর. খেতে পেলে কেউ চোর হয় না
ররর. সাধুরা চোর অপেক্ষাও অধার্মিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৫৯ ‘বিড়াল’ রচনা মতে বড় বড় সাধুদের প্রকৃতি হলোÑ
র. চোরের নামে শিহরিয়া ওঠেন
রর. চুরি করার প্রয়োজন নেই বলে করেন না
ররর. প্রয়োজনাতীত ধন থাকতেও কাউকে দেন না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৬০ ‘বিড়াল’ রচনা মতে চোরের চুরি করার কারণ হলোÑ
র. খেতে পায় না বলে
রর. চুরি করা অধর্ম বলে
ররর. ধনীরা কৃপণ বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬১ প্রয়োজনীয় ধন থাকতেও চোরের প্রতি যারা মুখ তুলে চান না, তারা হলেনÑ
র. সাধু রর. অধার্মিক ররর. কৃপণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৬২ চোরের চেয়ে শত গুণে দোষী হলোÑ
র. কৃপণেরা রর. ধনীরা ররর. ধার্মিকেরা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৩ কৃপণের দণ্ড হওয়া উচিত। কেননা কৃপণরাÑ
র. চুরি করার মূল কারণ রর. ধর্মের কথা বলে বেড়ায়
ররর. ধন সঞ্চয় করে রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৪ মানুষ মাছের কাঁটা, পাতের ভাত যেখানে ফেলেÑ
র. জলে রর. নর্দমায় ররর. ভাণ্ডারঘরে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৫ ‘পেতবৎ’ বলতে বোঝায়Ñ
র. ভূতের মতো রর. নোংরা
ররর. শক্তিশালী
নিচের কোনটি সঠিক
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৬ নৈয়ায়িক অর্থ হলোÑ
র. বিচারক রর. ন্যায় শাস্ত্রবেত্তা
ররর. অধার্মিক
নিচের কোনটি সঠিক
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৭ ‘বিজ্ঞ লোকের মত এই যে, যখন বিচারে পরাস্ত হইবে, তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে’Ñ কমলাকান্তের এই উক্তিটিÑ
র. আত্মরক্ষামূলক রর. শ্লেষাত্মক ররর. যুক্তিনিষ্ঠ
নিচের কোনটি সঠিক
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৮ কমলাকান্তের মতে বিড়ালটিÑ
র. সুবিচারক রর. সুতার্কিক
ররর. সোশিয়ালিস্ট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৬৯ ও ১৭০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
‘আপনারে রাখিলে ব্যর্থ জীবন সাধনা
জনম বিশ্বের তরে পরার্থে কামনা।’
১৬৯ অনুচ্ছেদটিতে ‘বিড়াল’ রচনার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক স্বার্থপরতা খ স্বজনপ্রীতি জ পরহিতব্রত ঘ বিচ্ছিন্নতা
১৭০ উপরিউক্ত ভাব প্রকাশক বাক্য হলোÑ
র. দরিদ্রের ক্ষুধা সবার বোঝা উচিত
রর. অনাহারে মরে যাবার জন্য পৃথিবীতে কেউ আসেনি
ররর. সামাজিক ধনবৃদ্ধি ব্যতীত সমাজের উন্নতি নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৭১ ও ১৭২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
‘বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর
জীবে প্রেম করে যেজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।
১৭১ অনুচ্ছেদে ‘বিড়াল’ রচনার কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ
চ জীবে প্রেম খ স্বার্থপরতা গ স্বজনপ্রেম ঘ বিবেকহীনতা
১৭২ উপরিউক্ত ভাব প্রকাশ পেয়েছে
র. এ পৃথিবীর মৎস্য, মাংসে বিড়ালেরও অধিকার আছে
রর. চোরের দণ্ড আছে, নির্দয়তার কি দণ্ড নাই
ররর. সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ ধনীর ধনবৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৭৩ ও ১৭৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
‘পরের অভাব মনে করিলে চিন্তন
আপন অভাব ক্ষোভ থাকে কতক্ষণ।’
১৭৩ ‘বিড়াল’ রচনার কোন ভাবটি অনুচ্ছেদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক পরের কল্যাণে বিরোধিতা ছ পরের মঙ্গল চিন্তা
গ আপন স্বার্থসিদ্ধি ঘ সুখের প্রত্যাশা
১৭৪ উপরিউক্ত ভাব প্রকাশ পেয়েছে যে বাক্যেÑ
র. ধনীদের খাবার হলে দরিদ্রকে দেওয়া দরকার
রর. দরিদ্রদের ক্ষুধা আর ধনীর ক্ষুধা আলাদা নয়
ররর. দরিদ্রদের জন্য ব্যথী হলে ধনীর অগৌরব নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৭৫ ও ১৭৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও;
তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’
১৭৫ ‘বিড়াল’ রচনার কোন ভাবটি অনুচ্ছেদে প্রকাশ পেয়েছে?
ক স্বজনপ্রীতি খ স্বার্থপরতা
গ সুখের প্রত্যাশা ঝ পরের জন্য স্বার্থত্যাগ
১৭৬ উপরিউক্ত ভাব প্রকাশ পেয়েছে যে বাক্যেÑ
র. অনেক অনুসন্ধানে এক ভগ্ন যষ্টি আবিষ্কার করিলাম
রর. সে দুধে আমার যে অধিকার, বিড়ালেরও তাই
ররর. দুধ আমার রূপান্তর নয়, দুধ মঙ্গলার
নিচের কোনটি সঠিক
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৭৭ ও ১৭৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
‘আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।’
১৭৭ অনুচ্ছেদের কোন দিকটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক স্বার্থপরতা খ বিবেকহীনতা
গ পরের স্বার্থ হরণ ঝ উদারতা
১৭৮ উপরিউক্ত ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে যে বাক্যেÑ
র.বিড়ালটি দুধ খেয়েছে বলে রাগ না করা
রর. বিড়ালটি যাতে আরো ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা
ররর. ভগ্ন যষ্টি নিয়ে বিড়ালটির পিছনে ছোটা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৭৯ ও ১৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
‘হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিষ্টের সম্মান।’
১৭৯ অনুচ্ছেদের কোন ভাবটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
চ দারিদ্র্য গৌরবের খ দারিদ্র্য ঘৃণার
গ দরিদ্ররা চোর ঘ দরিদ্ররা কাতর
১৮০ এরূপ সাদৃশ্যপূর্ণ ভাবটি হলোÑ
র. দরিদ্র ও খ্রিষ্টান অসম্মানের
রর. দরিদ্রের জন্য ব্যথিত হওয়া গৌরবের
ররর. দরিদ্রদের হীনন্মন্যতা থাকা উচিত নয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৮১ ও ১৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একবার বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে যান। সেখানে একটি কুকুরের সঙ্গে লেখকের সখ্যতা গড়ে ওঠে। লেখকের দৈনন্দিন ভ্রমণ সঙ্গী এই কুকুরটিকে ছেড়ে যেতে তার খুব কষ্ট হয়েছে।
১৮১ অনুচ্ছেদের কোন দিকটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক গৃহপালিত প্রাণীর প্রতি আকর্ষণ
ছ তুচ্ছ জীবের প্রতি মমত্ববোধ
গ বেওয়ারিশ কুকুরের প্রতি অবজ্ঞা
ঘ নিম্নশ্রেণির জীবের জন্য বিলাপ
১৮২ এরূপ সাদৃশ্যের কারণ হলোÑ
র. ব্যবহারে পশুও পোষ মানে
রর. প্রাণীর ক্ষুৎপিপাসা অনুধাবন
ররর. নিম্নশ্রেণির প্রাণীর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন
নিচের কোনটি সঠিক
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৮৩ ও ১৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
রাম বাবু গাঁ ছেড়ে, স্বজন ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। প্রবাস জীবনে সে অর্থ-প্রতিপত্তি সবই পেয়েছে। কিন্তু আজও কাজলচোখা টিয়া আর শ্যামলী গাভিটার মায়া ভুলতে পারেনি সে। দেশে থাকতে রাম বাবু প্রত্যহ নিজ হাতে এই অবলা জীব দুটোকে পরম যতেœ খাবার খাইয়েছেন।
১৮৩ অনুচ্ছেদে ‘বিড়াল’ রচনার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
চ অবলা জীবের প্রতি মমত্ব খ প্রবাস জীবনের জৌলুস
গ স্বদেশের প্রতি অনুরাগ ঘ প্রবাস জীবনের প্রতি আকর্ষণ
১৮৪ অনুচ্ছেদের যে ভাবটি ‘বিড়াল’ রচনায় ফুটে উঠেছেÑ
র. দুটো অবলা প্রাণির প্রতি আকর্ষণ
রর. বিড়ালের মর্মবেদনা অনুভব করা
ররর. বিড়ালটিকে দুধ খাওয়ার সুযোগ দেয়া
নিচের কোনটি সঠিক
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৮৫ ও ১৮৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
পশুপাখির জন্য জগলুর মমতা অত্যন্ত গভীর। সে আহত খরগোশকে বাঁচাতে ওষুধ খোঁজে। ঝড়ে আহত পাখিদের বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। পশু পাখিদের কষ্টে সে কষ্ট পায়।
১৮৫ অনুচ্ছেদটিতে ‘বিড়াল’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ক বন-জঙ্গলের প্রতি আকর্ষণ ছ বিড়ালের জন্য মমতা
গ আহত-পাখিদের প্রতি ঘৃণা ঘ পাখিদের অপচিকিৎসার ব্যবস্থা
১৮৬ এরূপ সাদৃশ্যের দিকটি প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. কমলাকান্তের আচরণে
রর. কমলাকান্তের উদারতায়
ররর. কমলাকান্তের মানসিকতায়
নিচের কোনটি সঠিক
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৮৭ ও ১৮৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘এক কক্ষে ভাই লয়ে, অন্য কক্ষে ছাগ,
দুজনের বাঁটি দিল সমান সোহাগ।
পশুশিশু নরশিশু, দিদি মাঝে প’ড়ে
দোঁহারে বাঁধিয়া দিল পরিচয় ডোরে।”
(‘পরিচয়’Ñ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
১৮৭ অনুচ্ছেদটির কোন দিকটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
চ পশুশিশু মানবশিশু দুইই সমান
খ মানুষের স্নেহ দৃষ্টির পার্থক্য
গ তুচ্ছ জীবকে আরো তুচ্ছ ভাবা
ঘ অসাধারণ স্নেহহীনতার পরিচয়
১৮৮ বিড়াল রচনার আলোকে এ সাদৃশ্যকে বলা যায়Ñ
র. সহানুভূতির কাছে নরশিশু ও পশুশিশুর পার্থক্য কম
রর. স্নেহ-মমতা সমানভাবে ভাগ করে দিলে মানবতার প্রকাশ ঘটে
ররর. মমতায় ভেদাভেদ ঘুচে যায়, স্নেহের পরিচয় বড় হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
রিভিশন অংশ (জবারংরড়হ)
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলেখ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বাড়ির কাজ
‘বিড়াল’ রচনার আলোকে রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী রচনার বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
‘বিড়াল’ রচনায় ক্ষুধার যে সর্বজনীন রূপ চিত্রিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ কর।
‘বিড়াল’ রচনায় বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার যে আকাক্সক্ষা ব্যক্ত হয়েছে তার যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।
‘বিড়াল’ রচনায় সমাজের মানুষের প্রতি বিড়ালের অভিযোগসমূহ ব্যাখ্যা কর।
বিড়ালের বক্তব্যে ক্ষুধার্ত ও অবহেলিতের প্রতি যে সমবেদনার প্রকাশ ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর।
‘বিড়াল’ রচনায় বিড়াল চুরি করে দুধ খাওয়ার পক্ষে যেসব যুক্তি উত্থাপন করেছে তা মূল্যায়ন কর।
বিড়ালের বক্তব্য অনুযায়ী খাবারমাত্রেই ক্ষুধিতের অধিকার আছেÑ এ বিষয়টির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
‘বিড়াল’ রচনায় উলিখিত ‘পরোপকারই পরম ধর্ম’ কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
‘বিড়াল’ রচনা অনুযায়ী সমাজে প্রচলিত নৈতিকতার ধারণা, অপরাধপ্রবণতা ও বিচার ব্যবস্থার ত্র“টি বিশ্লেষণ কর।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
দুধ খাওয়ার অপরাধে কমলাকান্ত বিড়ালকে লাঠি হাতে তাড়া করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। এরপর আপনমনে বিড়ালের সাথে কল্পনায় কথোপকথন শুরু করেন।
ক্ষুধিত চুরি করলে দোষী সাব্যস্ত হয় অথচ যার অঢেল খাবার ও সম্পদ আছে কিন্তু কৃপণতা করে, তাকে কেন দোষী সাব্যস্ত করা হয় না?Ñ এটাই ছিল বিড়ালের অভিযোগ।
পৃথিবীর কেউ ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুবরণ করতে চায় না বরং এর চেয়ে চুরি করাই জীবনের জন্য শ্রেয় বলে বিড়াল দাবি করেছে।
মানুষ খাবার ধ্বংস করে, পানিতে বা নর্দমায় ফেলে দেয়, কিন্তু অভুক্ত বিড়ালকে কিছুই দেয় না, এজন্যই ক্ষুধার্ত বিড়াল খাবার চুরি করে।
তেলা মাথায় তেল দেয়া মানুষের চারিত্রিক রোগ, অভুক্তকে কেউ খেতে দেয় না। বরং যার অনেক খাবার আছে তাকে খাবারের জন্য জোর করা হয়।
পৃথিবীতে জ্ঞানী, মূর্খ, পশু, মানুষ সকলের খাবার পাওয়ার আধিকার আছে। বিড়ালের এরূপ কথোপকথনে সমাজতান্ত্রিক চেতনা প্রকাশ পায়।
ধন বৃদ্ধি ব্যতীত সমাজের উন্নতি নেই। কিন্তু কেউ যদি না খেতে পায়, সমাজের উন্নতি তার কোনো কাজে আসে না।
বিড়ালের মতে, চুরির অপরাধে চোরকে ফাঁসি দিক কিন্তু তার আগে বিচারকের তিন দিন উপবাস করা আবশ্যক। বিড়ালের বিশ্বাস, তিন দিন উপবাসের কষ্ট সহ্য না করতে পেরে বিচারকও চুরির দায়ে ধরা পড়বেন।
‘বিড়াল’ রচনায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিড়ালের মুখ অত্যন্ত কৌশলে ও সমাজের ধনীক শ্রেণির অপচয়, কৃপণতা ও অন্যায়ের প্রতি ব্যঙ্গ প্রকাশ করেছেন।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১ কমলাকান্ত শয়নগৃহে চারপায়ীর উপর বসে হুঁকা হাতে কী করছিল?
উত্তর : হুঁকা হাতে ঝিমাচ্ছিল।
২ ‘বিড়াল’ রচনায় দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া কীসের মতো নাচছিল?
উত্তর : চঞ্চল ছায়া প্রেতের মতো নাচছিল।
৩ কমলাকান্ত নেপোলিয়ন হয়ে কী জিততে পারত কিনা ভাবছিল?
উত্তর : ওয়াটারলু জিততে পারত কিনা ভাবছিল।
৪ কে হঠাৎ বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হয়ে কমলাকান্তের কাছে আফিম ভিক্ষা করতে এসেছে বলে প্রথমে তার মনে হলো?
উত্তর : ওয়েলিংটন।
৫ কাকে ইতোপূর্বে যথোচিত পুরস্কার দেওয়া গিয়েছে বলে কমলাকান্ত মনে করল?
উত্তর : ডিউক মহাশয়কে।
৬ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ১৮৩৮ সালের ২৬ জুন।
৭ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাসের নাম কী?
উত্তর : ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)।
৮ বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র কী নামে সমধিক পরিচিত?
উত্তর : ‘সাহিত্য সম্রাট’ নামে সমধিক পরিচিত।
৯ ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে?
উত্তর : ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থ থেকে।
১০ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : ১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
১১ কমলাকান্ত ভালো করে তাকিয়ে ওয়েলিংটনের পরিবর্তে কাকে দেখতে পেল?
উত্তর : ওয়েলিংটনের পরিবর্তে ক্ষুদ্র মার্জারকে দেখতে পেল।
১২ মার্জার কমলাকান্তের দিকে তাকিয়ে কী ভাবছিল বলে কমলাকান্তের মনে হলো?
উত্তর : মার্জার কমলাকান্তের দিকে তাকিয়ে “কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই”Ñ এ কথা ভাবছিল বলে কমলাকান্তের মনে হলো।
১৩ মঙ্গলার দুধ কে দোহন করে কমলাকান্তের কাছে এনেছে?
উত্তর : মঙ্গলার দুধ প্রসন্ন দোহন করে এনেছে।
১৪ “বিড়াল দুধ খাইয়া গেলে তাহাকে তাড়াইয়া মারিতে যাইতে হয়”Ñ এটি কী?
উত্তর : এটি একটি চিরায়ত প্রথা।
১৫ চিরায়ত প্রথার অবমাননা করে মনুষ্যকুল সমাজে কীরূপে পরিচিত হয় বলে কমলাকান্তের ধারণা?
উত্তর : কুলাঙ্গার স্বরূপ পরিচিত হয় বলে কমলাকান্তের ধারণা।
১৬ চিরায়ত প্রথার অবমাননায় মার্জারী স্বজাতিমণ্ডলে কমলাকান্ত কে কী বলে উপহাস করতে পারে?
উত্তর : কমলাকান্তকে কাপুরুষ বলে উপহাস করতে পারে।
১৭ কমলাকান্ত অনেক অনুসন্ধান করে কী আবিষ্কার করে সগর্বে মার্জারীর প্রতি ধাবমান হলেন?
উত্তর : এক ভগ্ন যষ্টি আবিষ্কার করে সগর্বে মার্জারীর প্রতি ধাবমান হলেন।
১৮ ‘বিড়াল’ গল্পে কে দিব্যকর্ণ প্রাপ্ত হয়েছিল?
উত্তর : কমলাকান্ত দিব্যকর্ণ প্রাপ্ত হয়েছিল।
১৯ বিড়াল কার কাছে শিক্ষালাভ ব্যতীত মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না?
উত্তর : বিড়াল বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ ব্যতীত মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না।
২০ মার্জারীর মতে ধর্ম কী?
উত্তর : মার্জারীর মতে পরোপকারই পরম ধর্ম।
২১ বিড়ালের দুগ্ধ পানে কে পরম ধর্মের ফলভাগী?
উত্তর : কমলাকান্ত পরম ধর্মের ফলভাগী?
২২ মার্জারী নিজেকে কী বলে স্বীকার করেছে?
উত্তর : মার্জারী নিজেকে চোর বলে স্বীকার করেছে।
২৩ কারা চোর অপেক্ষাও অধার্মিক?
উত্তর : যারা বড় বড় সাধু অথচ কৃপণ, তারা চোর অপেক্ষাও অধার্মিক।
২৪ চোরে যে চুরি করে সে অধর্ম কার?
উত্তর : সে অধর্ম কৃপণ ধনীর।
২৫ চোরের দণ্ড হলেও কার দণ্ড হয় না?
উত্তর : কৃপণ ধনীর দণ্ড হয় না।
২৬ মার্জারী কোথায় মেও মেও করে বেড়ালেও কেউ তাকে মাছের কাঁটা পর্যন্ত দেয় না?
উত্তর : প্রাচীরে প্রাচীরে।
২৭ মানুষ মাছের কাঁটা, পাতের ভাত কোথায় ফেলে দেয়?
উত্তর : নর্দমা আর জলে ফেলে দেয়।
২৮ বড় রাজা ফাঁপরে পড়লে কার রাত্রে ঘুম হয় না?
উত্তর : যে কখনো অন্ধকে মুষ্টি ভিক্ষা দেয় না, তারও রাত্রে ঘুম হয় না।
২৯ বিড়ালের মতো দরিদ্রের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া কীসের কথা?
উত্তর : লজ্জার কথা।
৩০ কে কমলাকান্তের দুধ খেয়ে গেলে সে ঠেঙ্গা নিয়ে মারতে যেত না বলে মার্জারী মনে করে?
উত্তর : নাম না-জানা শিরোমণি আর ন্যায়ালংকার মহাশয়।
৩১ মনুষ্য জাতির রোগ কী?
উত্তর : ‘তেলা মাথায় তেল দেওয়া’।
৩২ আমাদের সমাজে কার জন্য ভোজের আয়োজন করা হয়?
উত্তর : যে খেতে বললে বিরক্ত হয়।
৩৩ কাদের রূপের ছটা দেখে অনেক মার্জারী কবি হয়ে পড়ে?
উত্তর : সোহাগের বিড়ালের রূপের ছটা দেখে।
৩৪ আহারাভাবে ক্ষুধার্ত মার্জারীর কী পরিদৃশ্যমান?
উত্তর : আহারাভাবে ক্ষুধার্ত মার্জারীর অস্থি পরিদৃশ্যমান।
৩৫ মার্জারী তাদের কী দেখে ঘৃণা করতে নিষেধ করেছে?
উত্তর : কালো চামড়া দেখে।
৩৬ ধনীর কীসের দণ্ড নেই বলে মার্জারী প্রশ্ন উত্থাপন করেছে?
উত্তর : ধনীর কার্পণ্যের দণ্ড নেই বলে মার্জারী প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
৩৭ কতজন দরিদ্রকে বঞ্চিত করে একজনে কত লোকের খাদ্য সংগ্রহ করে?
উত্তর : পাঁচশ দরিদ্রকে বঞ্চিত করে একজনে পাঁচশ লোকের খাদ্য সংগ্রহ করে।
৩৮ কীসে মরে যাওয়ার জন্য এ পৃথিবীতে কেউ আসেন নি?
উত্তর : অনাহারে।
৩৯ মার্জারপণ্ডিতের কথাগুলো কী রকম?
উত্তর : ভারি সোশিয়ালিস্টিক।
৪০ কাকে কস্মিনকালেও কেউ কিছু বোঝাতে পারে না?
উত্তর : বিচারক বা নৈয়ায়িককে।
৪১ সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ কী?
উত্তর : ধনীর ধনবৃদ্ধি।
৪২ যে বিচারক চোরকে সাজা দেবেন তাকে আগে কতদিন উপবাস থাকার নিয়মের কথা মার্জারী উত্থাপন করল?
উত্তর : তাকে আগে তিন দিন উপবাস থাকার নিয়মের কথা মার্জারী উত্থাপন করল।
৪৩ তিন দিন উপবাস করলে কমলাকান্ত কোথায় ধরা পড়বে বলে মার্জারী নিশ্চিত?
উত্তর : কমলাকান্ত নসীরাম বাবুর ভাণ্ডার ঘরে ধরা পড়বে বলে মার্জারী নিশ্চিত।
৪৪ বিচারে যখন পরাস্ত হবে তখন বিজ্ঞ লোকের মত কী?
উত্তর : গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করা।
৪৫ নীতিবিরুদ্ধ কথা পরিত্যাগ করে কমলাকান্ত মার্জারীকে কীসে মন দিতে বলল?
উত্তর : ধর্মাচরণে মন দিতে বলল।
৪৬ মার্জারী চাইলে কার গ্রন্থ দিতে পারে বলে কমলাকান্ত বলল?
উত্তর : নিউমান ও পার্কারের গ্রন্থ দিতে পারে বলে কমলাকান্ত বলল।
৪৭ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ পড়লে কী বুঝতে পারা যাবে?
উত্তর : আফিমের অসীম মহিমা বুঝতে পারা যাবে।
৪৮ প্রসন্ন কাল কী দেবে বলে কমলাকান্তকে বলে গিয়েছিল?
উত্তর : প্রসন্ন ছানা দেবে বলে কমলাকান্তকে বলে গিয়েছিল।
৪৯ কমলাকান্তের বড় আনন্দ হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার থেকে আলোকে এনেছে।
৫০ হাঁড়ি খাওয়ার কথা কী অনুসারে বিবেচনা করা যাবে?
উত্তর : ক্ষুধানুসারে বিবেচনা করা যাবে।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১ “সে দুধে আমারও যে অধিকার, বিড়ালেরও তাই।”Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দুধের প্রকৃত মালিক বিড়ালও না, কমলাকান্ত নিজেও না। তাই কমলাকান্ত এ কথা বলেছে।
কমলাকান্ত আফিমখোর হলেও জ্ঞানী মানুষ। বিড়াল ক্ষুধার তাড়নায় দুধ খেয়ে ফেলেছে এটি সে ভালো করেই জানে। তাকে দেয়া দুধ মূলত মঙ্গলার এবং এটি দোহন করেছে প্রসন্ন গোয়ালিনী। সুতরাং এই দুধ তার নিজের নয়, এটি সে উপলব্ধি করতে পেরেছে। যেহেতু এই দুধ তার ব্যক্তিগত সম্পদ নয় তাই এখানে সবার অধিকার সমান বলেই সে মনে করেছে। তাই বলেছে, “সে দুধে আমারও যে অধিকার, বিড়ালেরও তাই।”
২ বিড়াল দুধ খেয়ে গেলে মানুষ তাকে তাড়িয়ে মারতে যায় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানুষ তার চিরায়ত প্রথার কারণে বিড়াল দুধ খেয়ে গেলে তাকে তাড়িয়ে মারতে যায়।
মানুষ নিজে মূলত কিছু উৎপাদন করতে না পারলেও সে যা প্রকৃতি থেকে পায় বা দখল করে সেটাকে তার একান্তই নিজের ভাবে। এজন্য ঐ সম্পদে অন্য কেউ ভাগ বসাতে চাইলে সে তীব্রভাবে তাতে বাধা দেয়, যা মানুষের চিরায়ত একটি প্রথা। এ কারণে বিড়াল দুধ খেয়ে ফেললে তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষ তাকে তাড়িয়ে মারতে চায়।
৩ কমলাকান্ত কেন এক ভগ্ন যষ্টি আবিষ্কার করে সগর্বে মার্জারীর প্রতি ধাবমান হলো?
উত্তর : কমলাকান্ত নিজের পৌরুষত্ব জাহির করার জন্য এক ভগ্ন যষ্টি আবিষ্কার করে সগর্বে মার্জারীর প্রতি ধাবমান হলো।
দুধ খাওয়ার দোষে বিড়ালকে মারতে না গেলে কমলাকান্ত মনুষ্যসমাজে কুলাঙ্গাররূপে পরিচিত হবে। মার্জারী একথা স্বজাতিমণ্ডলে প্রচার করলে তারাও তাকে কাপুরুষ ভাববে। এজন্য পুরুষের ন্যায় আচরণ করাকেই কমলাকান্ত বিবেচ্য মনে করল। আর নিজের পৌরুষত্ব জাহির করে বিড়ালকে যথোচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য কমলাকান্ত এক ভগ্ন যষ্টি আবিষ্কার করে সগর্বে মার্জারীর দিকে এগিয়ে গেল।
৪ মার্জারী তাকে প্রহার না করে বরং তার প্রশংসা করতে বলেছে কেন?
উত্তর : মার্জারী কমলাকান্তের মূলীভূত কারণ বলে তাকে প্রহার না করে বরং তার প্রশংসা করতে বলেছে।
মার্জারীর মতে পরোপকারই পরম ধর্ম। কমলাকান্তের দুধ খেয়ে তার পরম উপকার সাধন হয়েছে বলে এই উপকারের ফলভাগী কমলাকান্ত নিজেই। মার্জারীর মতে, সে চুরি করে খাক আর যা করেই খাক না কেন, তার খাওয়ার ফলে যে উপকার সিদ্ধ হয়েছে তাতে মূলত কমলাকান্তের ধর্মসঞ্চয় হয়েছে। আর ধর্মসঞ্চয়ের মূলীভূত কারণে মার্জারী তাকে প্রহার না করে বরং তার প্রশংসা করতে বলেছে।
৫ “আমি কি সাধ করিয়া চোর হইয়াছি?”Ñ একথা কে, কাকে কেন বলেছে?
উত্তর : নিজের চুরি করার প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্জারী কমলাকান্তকে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছে।
মার্জারীর মতে, সমাজের বড় বড় সাধুরা, সাধারণ মানুষরা খাবার কুক্ষিগত করে রাখে। এ জন্যই মার্জারীরা খেতে পায় না। সে আরও জানায় যে, তারা যদি ঠিকমতো খেতে পারত তাহলে আর এভাবে চুরি করত না। তাই বলা যায়, নিজের চুরির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্জারী কমলাকান্তকে উদ্দেশ্য করে বলেছেÑ আমি কি সাধ করে চোর হয়েছি?
৬ চোরের চেয়ে কৃপণ ধনী শতগুণ বেশি দোষী কেন?
উত্তর : চোরের চুরি করার মূল কারণ হলো কৃপণ ধনীর সম্পদ এবং খাদ্য আত্মাসাৎ। এজন্যই চুরির ক্ষেত্রে চোরের চেয়ে কৃপণ ধনী শতগুণ বেশি দোষী। সমাজে এমন কিছু ধনী আছে যারা নিম্নশ্রেণির মানুষের মুখের দিকে তাকায় না। এসব কৃপণ ধনীর প্রয়োজনের অতিরিক্ত ধন সম্পদ থাকলেও তারা সমাজের কল্যাণে তা ব্যয় না করে নিজেদের কুক্ষিগত রাখে। এজন্যই দরিদ্র খেতে না পেয়ে চুরি করে। ধনীর এমন স্বভাবের কারণেই সে চুরি করতে বাধ্য হয়। তাই বলা হয়েছেÑ চোরের চেয়ে কৃপণ ধনী শতগুণ বেশি দোষী।
৭ ছোটলোকের দুঃখে অপরের ব্যথিত না হওয়ায় কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সমাজের সকলেই তেলা মাথায় তেল দিতে চায় বলে ছোটলোকের দুঃখে অপরে ব্যথিত হয় না।
সমাজে যারা বড় বা উচ্চশ্রেণির মানুষ তাদের ব্যথায় ব্যথিত হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু যারা গরিব বা ছোটলোক, তাদের দুঃখে দুঃখিত হলে কোনো জাগতিক লাভ হয় না। এক কথায়, সমাজের সকলেই তেলা মাথায় তেল দিতে ব্যস্ত। এ জন্যই ছোটলোকের দুঃখে অপরে কোনোভাবেই ব্যথিত হয় না।
৮ “তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ।” -কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষদের তোষামোদি মানবজাতির এক ধরনের সংক্রামক ব্যাধি।
সমাজে প্রধানত উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত দুই শ্রেণির মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। উচ্চশ্রেণির মানুষদের কথামতো চললে বা তাদের তোষামোদি করলে ভবিষ্যতে আর্থিক এবং অন্যান্য সহযোগিতা লাভ করা যায়। তাই সবাই সেসব মানুষের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে থাকে, যা মানবজাতির এক খারাপ বৈশিষ্ট্য। এজন্যই বলা হয়েছেÑ তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ।
৯ মার্জারী কথায় কথায় ‘ছি! ছি!’ উচ্চারণ করেছে কেন?
উত্তর : মনুষ্যজাতিকে তাদের বিবেকহীনতার কারণে ধিক্কার জানাতে মার্জারী কথায় কথায় ‘ছি! ছি!’ উচ্চারণ করেছে।
আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষই বিবেকবোধহীন অন্যায় কাজে বেশি মনোযোগী। তারা স্বল্পবিত্তের ব্যথায় ব্যথিত না হয়ে উচ্চ শ্রেণির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। তারা চোরের চুরির কারণ যে কৃপণ ধনী, তার শাস্তিবিধান না করে চোরের শাস্তি বিধান করে। এক কথায়, তারা কেবল তেলা মাথাতেই তেল দিয়ে থাকে। মনুষ্যজাতির এহেন আচরণের প্রতি তীব্র ঘৃণা আর ধিক্কার জানাতেই মার্জারী বারবার ‘ছি! ছি!’ উচ্চারণ করেছে।
১০ ক্ষুধার্ত মার্জারীদের দৈহিক অবস্থা বর্ণনা কর।
উত্তর : ক্ষুধার্ত মার্জারীদের দৈহিক বা শারীরিক অবস্থা খুবই করুণ। তাদের স্বাস্থ্যে অনেকটা ভগ্নদশা পরিলক্ষিত হয়।
অনাহারে ক্ষুধার্ত মার্জারীদের উদর কৃশ; অস্থি পরিদৃশ্যমান। দেখে মনে হয় তাদের দাঁত বের হয়ে গেছে আর জিহŸা ঝুলে পড়েছে। তাদের চামড়াও অতিশয় কালো, যা দেখে অনেকে ঘৃণা করে। খাদ্যাভাবের কারণেই তাদের এহেন করুণ ভগ্নদশা প্রতীয়মান হয়।
১১ “চোরের দণ্ড আছে, নির্দয়তার কি দণ্ড নাই?”Ñ কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চোর নিজের অপকর্মের জন্য দণ্ড পেলেও নির্দয় ব্যক্তি তার হীন কাজের জন্য কোনো দণ্ডে দণ্ডিত হয় না। চুরি করা অবশ্যই দণ্ডনীয় কাজ। কিন্তু চুরি করার প্রধান কারণ হলো কৃপণ ধনী ব্যক্তিদের নির্মম নির্দয় মনোভাব। তারা যদি নির্মমতার পথ পরিহার করে দরিদ্রের প্রতি একটু মুখ তুলে তাকায় তবে সমাজে আর চুরি হয় না। কিন্তু আমাদের এই সমাজে চুরি নামক অপকর্মের জন্য দণ্ডবিধানের ব্যবস্থা থাকলেও নির্দয়তার কোনো দণ্ড নেই, যা সূ² বিচারে গর্হিত অন্যায়।
১২ চোরের দণ্ডবিধান কেন কর্তব্য বলে কমলাকান্ত মনে করে?
উত্তর : সমাজের উন্নতি অর্থাৎ ধনীদের ধনবৃদ্ধির জন্যই চোরের দণ্ড বিধান কর্তব্য।
আমাদের সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যাদের ধনবৃদ্ধিকেই মূলত সমাজের ধনবৃদ্ধি বা সমাজের উন্নতি বলে বিবেচনা করা হয়। অথচ এ ধরনের উন্নতিতে মূলত দরিদ্রের কোনো লাভ নেই। সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষের ধনবৃদ্ধি অর্থাৎ সামাজিক উন্নতির পথে মূল অন্তরায় হলো চোরের চুরি করা। এজন্যই তথাকথিত সামাজিক উন্নতির জন্য চোরের দণ্ডবিধান হওয়া কর্তব্য বলে কমলাকান্ত মনে করেন।
১৩ চোরকে ফাঁসি দেওয়া প্রসঙ্গে মার্জারীর নতুন নিয়মটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চোরকে ফাঁসি দেওয়া প্রসঙ্গে মার্জারীর নতুন নিয়মটি হলো বিচারককে তিন দিন উপবাসে রাখা।
মার্জারীর মতে, বিচারক যদি তাকে চুরির অপরাধে বিচার করেন তার কোনো আপত্তি নেই। তবে শর্ত হলো, বিচারকাজের পূর্বে বিচারককে তিন দিন অভুক্ত থাকতে হবে। কেননা, বিচারক যদি তিন দিন অভুক্ত থাকেন, তবে বুঝতে পারবেন, অভুক্ত থাকার কষ্ট কতটা তীব্র এবং কেনই বা লোকে চুরি করে।
১৪ কমলাকান্ত মার্জারীকে সব দুশ্চিন্তা পরিত্যাগ করে ধর্মাচরণে মন দিতে বলল কেন?
উত্তর : কমলাকান্ত যুক্তিতে মার্জারীর সঙ্গে না পেরে উঠে সব দুশ্চিন্তা পরিত্যাগ করে ধর্মাচরণে মন দিতে বলল। বিজ্ঞ লোকের মত, যখন বিচারে পরাস্ত হবে তখন গুরুগম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করবে। কমলাকান্ত মার্জারীর সঙ্গে প্রতিটি যুক্তিতেই হেরে গেছে। এমনকি তার দুধ খাওয়ার দণ্ডে দণ্ডিত হওয়া বিষয়েও সে মার্জারীর সঙ্গে পেরে ওঠেনি। তাই বিজ্ঞ লোকদের আপ্তবাক্য অনুসারে সে উপদেশ দিতে গিয়ে মার্জারীকে সকল দুশ্চিন্তা পরিত্যাগ করে ধর্মাচরণে মন দিতে বলল।
১৫ মার্জারী চরিত্রের মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র কাকে রূপায়ণ করতে চেয়েছেন?
উত্তর : মার্জারী চরিত্রের মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র একজন বিবেকবোধসম্পন্ন সচেতন মানুষকে রূপায়ণ করতে চেয়েছেন।
বঙ্কিমচন্দ্রের মার্জারী চরিত্রটি মূলত একটি রূপক চরিত্র। এ চরিত্রটি অতি সচেতন এবং সময়ের প্রতি অন্যায়-অবিচারের মূলে সে কুঠারাঘাত করেছে। আমাদের সমাজের সচেতন বুদ্ধিজীবী শ্রেণির মানবিক যুক্তিপূর্ণ কথাগুলো মার্জারীর মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র বলিয়েছেন। তাই বলা যায়, সমাজের সচেতন বুদ্ধিজীবী বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষকে তিনি মার্জারী চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়ণ করতে চেয়েছেন।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ (অংংবংসবহঃ)
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-১: উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি বলে এক বাবুসাব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে!
চোখ ফেটে এলো জল,
এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
ক. ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে? ১
খ. কমলাকান্ত বিড়ালের দিকে তেড়ে এসেছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কুলি ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের বাবু ও ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের কমলাকান্তের মধ্যে কিছুটা সাদৃশ্য থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থ থেকে।
খ. কমলাকান্ত বিড়ালকে শাসাতে তার দিকে তেড়ে গিয়েছিল।
কমলাকান্ত এক সাধারণ আফিমখোর মানুষ। প্রতিদিনের মতো সেদিনও গোয়ালিনী তার দুধ রেখে যায়। তখন সুযোগ পেয়ে এক ক্ষুধার্ত বিড়াল তা খেয়ে ফেলে। এতে কমলাকান্ত নিজের বীরত্ব প্রদর্শন করতে ও বিড়ালটিকে মারার জন্য তার দিকে তেড়ে গিয়েছিল।
টিপস :
গ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে কুলি চরিত্রটি অনুধাবন কর। এরপর ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি পড়ে উদ্দীপকের কুলির সঙ্গে সাদৃশ্য নির্ণয় করে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি মনোযোগ সহকারে পড়ে বাবু চরিত্রটি অনুধাবন কর। এরপর ‘বিড়াল’ প্রবন্ধে কমলাকান্তের চরিত্রের দিকগুলো নির্ণয় কর। দেখবে উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান। এ বিষয়টিই বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নÑ২: উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চাষা ব’লে কর ঘৃণা!
দে’খো চাষা রূপে লুকায়ে জনক ‘বলরাম এলো কিনা!
যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারাও ধরিল হাল,
তারাই আনিল অমর বাণীÑ যা আছে র’বে চিরকাল।
ক. বিচারে যখন পরাস্ত হবে তখন বিজ্ঞ লোকের মত কী? ১
খ. বিড়াল তাকে ঘৃণা করতে নিষেধ করেছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণে ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটি যেন ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের মূল সুর।Ñমন্তব্যটি যাচাই কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করা।
খ. বিড়ালও এ সমাজেরই একটি প্রাণী। তাই সে তাকে ঘৃণা করতে নিষেধ করেছে।
প্রাবন্ধিক বিড়ালকে নিম্নশ্রেণির প্রাণীরূপে উপস্থাপন করেছেন। যারা দরিদ্র অসহায়, অপরিষ্কার বলে তাদের ঘৃণা করা উচিত নয়। কেননা, তারা এ সমাজের অংশ; বিড়ালকে তেমনিই ভাবা যায়। তাই সে তাকে ঘৃণা করতে নিষেধ করেছে।
টিপস :
গ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে প্রথম দুই চরণের ভাবার্থ অনুধাবন কর। তারপর ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি পড়ে তার মধ্যে যে বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে তা সংক্ষেপে উপস্থাপন কর।
ঘ. উদ্দীপকটি মনোযোগসহকারে পড়ে এর মধ্যে ফুটে ওঠা দিকগুলো নির্ণয় কর। তারপর ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি পড়ে তার মূল সুর অনুধাবন কর। দেখবে উভয়ের বক্তব্যই অভিন্ন। এ বিষয়টি যাচাই অংশে বর্ণনা কর।
প্রশ্নÑ৩ : উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রিপন ‘মম গার্মেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। প্রতিদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা সে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। কিন্তু তার প্রাপ্য মজুরি সে ও তার সহকর্মীরা কেউই পায় না। এদিকে তাদের শ্রমে প্রতিষ্ঠানটি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। এভাবে শোষণ করার বিষয়টি রিপন মেনে নিতে পারে না। তাই সে তার সহকর্মীদের নিয়ে অধিকার আদায়ের আন্দোলন করে।
ক. নীতিবিরুদ্ধ কথা পরিত্যাগ করে কমলাকান্ত মার্জারীকে কীসে মন দিতে বলল? ১
খ. বিড়ালটি কমলাকান্তকে নীতিকথা শুনিয়েছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের রিপন ও ‘বিড়াল’ প্রবন্ধের বিড়াল যেন একই মানসিকতার অধিকারী।Ñ মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪