মাসি-পিসি ,: : মানিক বন্দোপাধ্যায়


 পাঠ-পরিচিতি
“মাসি-পিসি” গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় কলকাতার ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় ১৩৫২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায় (মার্চ-এপ্রিল ১৯৪৬)। পরে এটি সংকলিত হয় ‘পরিস্থিতি’ (অক্টোবর ১৯৪৬) নামক গল্পগ্রন্থে। বর্তমান পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে ‘ঐতিহ্য’ প্রকাশিত মানিক-রচনাবলি পঞ্চম খণ্ড থেকে।
স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার পিতৃমাতৃহীন এক তরুণীর করুণ জীবনকাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে “মাসি-পিসি” গল্প। আহ্লাদি নামক ওই তরুণীর মাসি ও পিসি দুজনই বিধবা ও নিঃস্ব। তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিরূপ বিশ্ব থেকে আহ্লাদিকে রক্ষার জন্য যে বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী সংগ্রাম পরিচালনা করে সেটাই গল্পটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। অত্যাচারী স্বামী এবং লালসা-উন্মত্ত জোতদার, দারোগা ও গুণ্ডা-বদমাশদের আক্রমণ থেকে আহ্লাদিকে নিরাপদে রাখার ক্ষেত্রে অসহায় দুই বিধবার দায়িত্বশীল ও মানবিক জীবনযুদ্ধ খুবই প্রশংসনীয়। দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী স্মৃতি, জীবিকা নির্বাহের কঠিন সংগ্রাম, নারী হয়ে নৌকাচালনা ও সবজির ব্যবসায় পরিচালনা প্রভৃতি এ গল্পের বৈচিত্র্যময় দিক।
 লেখক পরিচিতি
নাম সাহিত্যিক নাম : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
পিতৃপ্রদত্ত নাম : প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯ মে, ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৫ বঙ্গাব্দের ৬ জ্যৈষ্ঠ)
জন্মস্থান : দুমকা শহর, সাঁওতাল পরগনা, বিহার অধুনা : ভারত।
পৈতৃক নিবাস : মালবাদিয়া, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
পিতৃ-পরিচয় পিতার নাম : হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়
পেশা : অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার, সেটেলমেন্ট বিভাগ, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট
মাতার নাম : নীরদাসুন্দরী দেবী।
স্ত্রী স্ত্রীর নাম : কমলা দেবী।
শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : ম্যাট্রিক (১৯২৬), মেদিনীপুর জেলা, স্কুল, ভারত।
উচ্চ মাধ্যমিক : আইএসসি (১৯২৮) ওয়েন্সলিয় মিশন কলেজ, বাঁকুড়া, ভারত।
বিএসসি (অসমাপ্ত) বিষয় : গণিত কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ।
পেশা/কর্মজীবন সহ-সম্পাদক : বঙ্গশ্রী পত্রিকা। নবারুণ পত্রিকা।
পাবলিসিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট : ন্যাশনাল ওয়ার ফ্রন্টের প্রভিন্সিয়াল অর্গানাইজার দপ্তর।
যুগ্ম সম্পাদক : প্রগতি লেখক সংঘ।
রাজনীতি : ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান (১৯৪৪)
সাহিত্য-কর্ম প্রথম গল্প : অতসীমামী (১৯৩৫)
উপন্যাস : ‘জননী’ (১৯৩৫) দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬), পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৩৬), শহরতলী (১৯৪০), অহিংসা (১৯৪১), শহর বাসের ইতিকথা (১৯৪৬), চতুষ্কোণ (১৯৪৮), সোনার চেয়ে দামী (১৯৫১), স্বাধীনতার স্বাদ (১৯৫১), ইতিকথার পরের কথা (১৯৫২), আরোগ্য (১৯৫৩), ‘হরফ (১৯৫৪), হলদু নদী সবুজ বন (১৯৫৬)।
গল্পগ্রন্থ : অতসীমামী ও অন্যান্য গল্প (১৯১৫), প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), (১৯৩৮), সরীসৃপ (১৯৩৯), আজ-কাল-পরশুর গল্প (১৯৪৬), মাটির মাশুল (১৯৪৮), ছোট বকুল পুরের যাত্রী (১৯৫০)। ফেরিওয়ালা (১৯৫৩), শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৫০)।
নাটক : ভিটেমাটি (১৯৪৬); প্রবন্ধ গ্রন্থ : লেখকের কথা।
শেষ জীবন রোগে আক্রান্ত : ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মৃগী রোগে আক্রান্ত।
মৃত্যু ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৬ সাল, কলকাতা ।
 উৎস পরিচিতি
‘মাসি-পিসি’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় কলকাতার ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় (মার্চ-এপ্রিল ১৯৪৬)। পরে এটি সংকলিত হয় ‘পরিস্থিতি’ (অক্টোবর ১৯৪৬) নামক গল্পগ্রন্থে। বর্তমান ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে ‘ঐতিহ্য’ প্রকাশিত ‘মানিক-রচনাবলি’ পঞ্চম খণ্ড থেকে।
 বস্তুসংক্ষেপ
মাসি-পিসির নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা পিতৃমাতৃহীন এক তরুণীর জীবনকাহিনি নিয়ে রচিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাসি-পিসি’ একটি অবিস্মরণীয় গল্প। তরুণীর নাম আহ্লাদি, সে তার স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার, আর মাসি-পিসি দুজনেই বিধবা ও নিঃস্ব এবং আহ্লাদির বাবার বাড়িতে আশ্রিতা। এক সময় পরের বাড়িতে ধান ভেনে শাক-পাতা কুড়িয়ে তাদের চলতো। কিন্তু আহ্লাদি আসার পর থেকে তারা নৌকা চালিয়ে শহরে সবজি বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করে। এ সময় তারা আহ্লাদিকেও সাথে নিয়ে যায়। কারণ অত্যাচারী স্বামী, লালসা-উন্মত্ত জোতদার, দারোগা ও গুন্ডা-বদমাইশদের কু-নজর থেকে রক্ষা করতে এর বিকল্প নেই। তারা সবজি বিক্রি করে শহর থেকে ফিরলে গ্রামের কৈলেশ আহ্লাদির স্বামীর বদলে যাওয়া স্বভাবের প্রশংসা করে জানায় আহ্লাদিকে স্বামীর বাড়ি না পাঠালে জগু মামলা করবে। মাসি-পিসি মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে বলে দেয়Ñ জেলে না হয় গেলাম কৈলেশ, কিন্তু মেয়ে যদি সোয়ামির কাছে যেতে না চায় খুন হবার ভয়ে। বাড়ি এসে মাসি-পিসি আহ্লাদিকে সান্ত্বনা দেয়, সাহস জোগায়Ñ দুদিন বাদে ফের আসবে জামাই। শহরের খারাপ মানুষ আর গ্রামের খারাপ মানুষগুলো মাসি-পিসিকে চিনে চুপচাপ হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামের জোতদার কৈলেশ হাল ছাড়েনি, সে আহ্লাদিকে চায়। রান্না করতে করতে মাসি-পিসি আহ্লাদির সুখ-দুঃখ, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলে, জামাই জগু এলে আদর-যতœ করবে, ভালো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। রান্না সেরে খাওয়ার আয়োজন করছে তারা। এমন সময় বাইরে থেকে কানাই চৌকিদারের হাঁক শোনা যায়। বাইরে এসে গোকুলের পেয়াদা তিনজনকে চিনতে পারে মাসি-পিসি। কানাই বলে, দারোগা বাবু এসে বসে আছেন, কাছারিবাড়ি যেতে হবে একবার। মাসি-পিসি বুঝতে পারে এটা আহ্লাদিকে নিয়ে যাওয়ার ফন্দি।তারা তৈরি হয়ে আসার কথা বলে বড় বঁটি আর রামদার মতো কাটারি নিয়ে হাজির হয়। ঘাবড়ে যায় কানাইরা। তবুও দাপট দেখিয়ে বলে, ধরে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে বলেছে। মাসি বলে, বঁটির এক কোপে গলা ফাঁক করে দেব। পিসি বলে, আয় না হারামজাদারা, কাটারির কোপে গলা কাটি দু-একটার। তারপর হঠাৎ গলা ছেড়ে চিৎকার শুরু করে। হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি শুরু হয়ে যায় পাড়ায়, অনেকেই ছুটে আসে। কানাই অদৃশ্য হয়ে যায় দলবল নিয়ে। পাড়ার লোকদের সাথে কথা বলে মাসি-পিসি বুঝতে পারে গোকুল আর দারোগার ওপর তাদের ভীষণ রাগ। গ্রামের লোকেরা চলে গেলে মাসি-পিসি ভাবে, ওরা আসতে পারে আবার আগুনও লাগিয়ে দিতে পারে। তাই চুপি চুপি উঠে গামলা, খড়া, কলসি ভরে রাখে, পুরনো কাঁথা কম্বল জলে ভিজিয়ে রাখে, বঁটি দা রাখে হাতের কাছে। যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি।
 নামকরণের সার্থকতা যাচাই
সাহিত্য ও শিল্পের নামকরণে সুনির্দিষ্ট রীতিনীতি বা ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। তবে সাহিত্যিক-শিল্পীরা প্রচলিত কোনো একটি রীতিকে অবলম্বন করে একটি সুন্দর শিরোনাম নির্বাচন করেন। প্রচলিত রীতিগুলো হলোÑ বিষয়বস্তু, নায়ক নায়িকা বা মুখ্য চরিত্রের নাম
অন্তর্নিহিত বক্তব্য বা প্রতীকী-ব্যঞ্জনা ইত্যাদি।
আলোচ্য ‘মাসি-পিসি’ গল্পের নামকরণ গল্পের মুখ্য চরিত্রের সম্বোধনের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। গল্পের নায়িকা তরুণী আহ্লাদী, যাকে কেন্দ্র করে গল্পের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। কিন্তু কাহিনির আবর্তনের সাথে তার সক্রিয় কোনো ভ‚মিকা নেই। সে স্বামীর নির্মম-নির্যাতনের শিকার। পিতৃ-মাতৃহীন আহ্লাদীর মাতৃকুলের মাসি আর পিতৃকুলের পিসিই একমাত্র আপনজন। বাপের বাড়ি হলেও তাদের কাছেই সে আশ্রিতা। তারাই তাকে সেবা-যতœ আর নিরাপত্তা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। তারা ধান ভেনে, কাঁথা সেলাই করে, ডালের বড়ি বেচে, হোগলা গেঁথে, খড়কুটো-শাকপাতা কুড়িয়ে কোনোরকম বেঁচে আছে দুর্ভিক্ষের সাথে যুদ্ধ করে। এর মধ্যে জগুর লাথির চোটে মরমর হয়ে মেয়ে এসে হাজির। মাসি-পিসির সেবা যতেœই সেবার বেঁচে গিয়েছিল। মেয়েটাকে বাঁচার জন্যই তারা গেরস্তর বাড়ির বাড়তি ফলমূল নিয়ে সালতি বেয়ে শহরের বাজারে বেচাবিক্রির কাজ শুরু করে। আহ্লাদিকে তারা সব ময় কাছে কাছে রাখে। জগু দু-একবার এসে থেকেছে, আদর-যতœ পেয়েছে জামাইয়ের মতোই। অথচ সেই জগু আজ কৈলেশের মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে আহ্লাদিকে তার বাড়িতে না পাঠালে সে মামলা করবে। মাসি-পিসিও জানিয়ে দিয়েছে মেয়ে খুন হবার ভয়ে যেতে না চাইলে তারা পাঠাবে না। আহ্লাদি ঘুমাচ্ছে। মাসি-পিসি রান্না সেরে খাওয়ার আয়োজন করছে এমন সময় কানাই চৌকিদার গোকুলের লোকজন সাথে নিয়ে এসে মাসি-পিসিকে কাছারিবাড়িতে জোর করে নিয়ে যেতে হুমকি দেয়। মাসি-পিসিও বড় বঁটি আর বড় কাটারি হাতে নিয়ে উল্টা হুমকি দেয়Ñ আয় হারামজাদারা, এক কোপে তোদের গলা কাটি। তারা দ’ুজন একসঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। গাঁয়ের লোক ছুটে এলে কানাইয়ের দল অদৃশ্য হয়ে যায়। ওরা আবার আসতে পারে ভেবে মাসি-পিসি যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে। অত্যাচারী স্বামী, লালসা উন্মত্ত জোতদার গোকুল, দারোগা ও গুন্ডা বদমাশদের আক্রমণ থেকে আহ্লাদীকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে মাসি-পিসির দায়িত্বশীল ও মানবিক জীবন যুদ্ধ খুবই প্রশংসনীয়।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এবং নামকরণের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী আলোচ্য গল্পের নামকরণ ‘মাসি-পিসি’ যথার্থ, সুন্দর ও সার্থক হয়েছে।
 বানান সতর্কতা
প্রৌঢ়া, আহ্লাদি, আঁটসাঁট, সোমত্ত, শ্বশুর, অস্ফুট, ভরণপোষণ, রেষারেষি, দ্বেষ, বন্দোবস্ত, জবরদস্তি, পাঁশুটে, দ্বাদশী, উজ্জ্বল, শুক্লপক্ষ, লাঞ্ছনা, ঈষৎ, যন্ত্রণা, জ্যোৎøা, স্পষ্ট, স্বস্তি।

 অনুশীলন অংশ (চৎধপঃরপব)
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ষাটোর্ধ্ব বিধবা ফাতেমা বেগম। নিঃসন্তান এ বৃদ্ধার আপন বলতে কেউ নেই। একদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে হঠাৎ তিনি একটি মেয়েকে রাস্তায় কাঁদতে দেখেন। বৃত্তান্ত শুনে তিনি মেয়েটিকে নিয়ে আসেন এবং স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ মেয়েটিকে মাতৃস্নেহে আশ্রয় দেন স্বামীপক্ষ খবর পেয়ে তাকে নিয়ে যেতে চান। মেয়েটি কোনোভাবেই যেতে ইচ্ছুক নন। বৃদ্ধাও মেয়েটিকে যেতে দেননি। এতে তাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। মৃত্যুর পূর্বে বৃদ্ধা মেয়েটিকে সমুদয় সম্পত্তি দান করে যান।
ক. ‘ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয় ’ -উক্তিটি কার?
খ. ‘যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি’উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের মেয়েটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির সাথে কীভাবে সঙ্গতিপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি ও উদ্দীপকের বৃদ্ধা কি একসূত্রে গাঁথা- মন্তব্যটি যাচাই কর। ১ ২ ৩ ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর

 প্রশ্নোক্ত উক্তিটি পিসির।

 ষড়যন্ত্র করে আহ্লাদিকে গোকুল তুলে নিতে আসলে মাসি-পিসি তাদের কৌশলে প্রতিহত করে পরবর্তী আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত থাকার বিষয়টিকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের লেখক প্রদত্ত উক্তি দ্বারা বুঝিয়েছেন।
 গোকুল আহ্লাদিকে অনৈতিকভাবে পেতে চায়। মাসি-পিসিকে সে ছলে-বলে-কৌশলে বশীভ‚ত করতে না পেরে কানাই চৌকিদারের মাধ্যমে মাসি-পিসিকে কাছারি বাড়ি পাঠিয়ে তার গুণ্ডা-বাহিনী দিয়ে তুলে নেওয়ার ফাঁদ পাতলে সংসার-অভিজ্ঞ মাসি-পিসি তা বুঝতে পারে এবং বঁটি ও রামদার ভয় দেখিয়ে এবং প্রতিবেশীদের ডেকে তাদের তাড়িয়ে দেয়। গুণ্ডা বাহিনী তাদের ঘরে আগুন দিতে পারে ভেবে জল ও ভেজা কাঁথার ব্যবস্থা করে রাখে, হাতের কাছে রাখে বঁটি আর দা। এভাবেই মাসি গুণ্ডাবাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

 অত্যাচারী স্বামীর সংসার না করার ব্যাপারে অটল সিদ্ধান্তে থাকার বিষয়ে উদ্দীপকের মেয়েটির সাথে মাসি-পিসি গল্পের আহ্লাদির সাদৃশ্য রয়েছে।
 প্রদত্ত উদ্দীপকের মেয়েটি স্বামীর অত্যাচারের শিকার নিঃসন্তান বৃদ্ধার আশ্রয়ে মাতৃøেহে থাকতে পেয়ে শত ঝামেলা সত্তে¡ও স্বামীর বাড়িতে যায়নি।, তেমনি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদিকে তার স্বামী খেতে দিত না, ঝাঁটা দিয়ে পেটাতো, কলকে পোড়া দিয়ে ছ্যাঁকা দিত, সোজা কথায় অত্যাচারীর মত ব্যবহার করত। সে মাসি-পিসির আশ্রয়ে আসতে পেরে তাদের পরম স্নেহে থেকে স্বামীর মামলার এবং গোকুল বাহিনীর ভয়ে ভীত হয়ে স্বামীর ঘরে যায়নি।
 দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ আর পিছু সরতে পারে না, মানুষ সবসময় শন্তিতে বাস করতে চায়। উদ্দীপকের মেয়েটি ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদিও অত্যাচারীর নির্মম হাত থেকে বাঁচার জন্য স্বামীর ঘরে না গিয়ে ভয়শূন্য স্থান বেছে নিয়েছে। তাই বলা যায়, উভয় চরিত্র এই ক্ষেত্রে সাদৃশ্যপূর্ণ।

 ‘মাসি-পিসি’ গল্পের বিধবা মাসি-পিসি ও উদ্দীপকের বিধবা বৃদ্ধা একই সূত্রে গাঁথা।’-মন্তব্যটি যথার্থ।
 আহ্লাদির বাবার অভাবের সংসারে মাসি-পিসি বোঝাস্বরূপ। আহ্লাদি স্বামীর ঘরে অত্যাচারিত হয়ে কোনোরকমে ফিরে এলে মাসি-পিসির সেবা-যতেœই আহ্লাদি বেঁচে যায়। লোভী স্বামী জগু মামলার ভয় দেখায়। এতে মাসি-পিসি না দমে কৈলেশকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেন। বদচরিত্রের গোকুল আহ্লাদির সভ্রম কৌশলে ছিনিয়ে নিতে চাইলে মাসি-পিসি অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার সাথে প্রতিহত করেন এবং আহ্লাদির নির্ঝঞ্ঝাট জীবন নিশ্চিত করেন।
 মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। অত্যাচারিত, অবহেলিত মানুষকে বাঁচানো মানুষের সাধারণ ধর্ম। উদ্দীপকের ফাতেমা বেগম এবং আমার পঠিত ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি নারীজাতির ত্রাণকর্তারূপে কাজ করে অত্যাচারিত নারীদের চোখ খুলে দিয়েছেন। মানুষের বিপদে এগিয়ে আসতে গেলে অনেক কষ্ট সইতে হয়। তারপরেও মানুষ এগিয়ে আসে। মাসি-পিসির সঙ্গে মাসি-পিসি এবং উদ্দীপকের ফাতেমা বেগম জনকল্যাণের দিক থেকে একই সূত্রে গাঁথা-একথা সুনিশ্চিত করে বলা যায়।
 অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
হাসু ও মায়মুনকে নিয়ে ভেসেই চলছিল জয়গুন। কিন্তু নিজের চেষ্টায় অক‚ল পাথারে সে ক‚ল পায়। লজ্জাশরম বিসর্জন দিয়ে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজে। তাকে বাঁচতে হবে। ছেলেমেয়েকে বাঁচাতে হবে। এই সংকল্প নিয়ে আকালের পাঁচ বছর সে লড়াই করে আসছে।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
খ. আহ্লাদিকে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যেতে হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের জয়গুনের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. সাদৃশ্য থাকলেও জয়গুন গল্পের মাসি-পিসির সমগ্র বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে পারেনি।মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর

 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস ঢাকার বিক্রমপুরে।

 স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আহ্লাদিকে স্বামীর ঘর ছেড়ে যেতে হয়।
 আহ্লাদির বিয়ে হয় নেশাখোর পাষণ্ড জগুর সাথে। জগু কারণে-অকারণে আহ্লাদিকে মারধর করে। নেশার টাকা জোগাড় না হলে আহ্লাদিকে ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে অত্যাচার করে। লাথি, চড়, বাড়ি এমন কোনো মাধ্যম নেই যার দ্বারা জগু আহ্লাদির উপর অত্যাচার করেনি। যার জন্য তাকে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসতে হয়।

 উদ্দীপকের জয়গুনের সাথে মাসি-পিসির জীবন-সংগ্রামের সাদৃশ্য রয়েছে।
 যে পরিশ্রম করাকে ভয় পায় না, সে যে-কোনোভাবে বিপদ থেকে পরিত্রাণ পায়। কর্মবিমুখ লোক জীবন-চলার পথে পদে পদে বিপদে পড়ে। আর যারা যেকোনো পরিস্থিতিতে যে-কোনো কাজ করতে প্রস্তুত থাকে তারা যে-কোনো বিপদ থেকে উদ্ধার পায়। উদ্দীপকের জয়গুণের মাঝে দেখি জীবন-সংগ্রামে জয়ী হওয়ার প্রচেষ্টা চালানোর প্রবণতা। দারিদ্র্যের নাগপাশে আটকা পড়ে সন্তান নিয়ে ভেসে যাচ্ছিল, সেখান থেকে নিজের চেষ্টায় লজ্জাশরম বিসর্জন দিয়ে কাজে নেমে পড়ে। মাসি-পিসির মাঝেও দেখি জীবনসংগ্রামে টিকে থাকার প্রবণতা। তাইতো তারা মন্বন্তরের সময় হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে না থেকে লাজলজ্জা পরিত্যাগ করে সবজির ব্যবসায় নামে। উভয়ক্ষেত্রে এখানেই সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

 কিছু সাদৃশ্য থাকলে উদ্দীপকে জয়গুন মাসি-পিসির সম্পূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করেনি।
 সংসার সমুদ্র বিপদসংকুল। এর কোণে কোণে যেমন বৈচিত্র্য-রোমান্স লুকানো আছে তেমনি আছে বিপদ। সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে চেষ্টার পাশাপাশি থাকতে হবে বুদ্ধিমত্তা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা।
 উদ্দীপকের জয়গুণকে জীবন-সংগ্রামে যুদ্ধরত অবস্থায় আমরা দেখতে পাই। তার মাঝে রয়েছে মাতৃত্বের ¯েœহময়ী রূপ এবং জীবন-সংগ্রামে টিকে থাকার মানসিকতা। কিন্তু এটিই মাসি-পিসির সমগ্র রূপ নয়। এছাড়াও মাসি-পিসিকে আমরা অন্যভাবেও দেখতে পাই গল্পের জমিনে।
 মাসি-পিসি বিধবা, অসহায়, আশ্রয়হীনা। তবু তারা বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছার বশবর্তী হয়ে জীবন-সংগ্রামে নেমে পড়ে। নিজেদের অস্তিত্ব টেকানোই শুধু নয়, স্বামী-পরিত্যক্তা আহ্লাদিকে তারা ভালো রাখতে চায়। সমস্ত বিপদ থেকে উদ্ধার করতে চায়। এজন্য তারা প্রতিবাদী হয় সমাজের মুখোশধারী জানোয়ারদের বিরুদ্ধে। পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে সন্তানতুল্য আহ্লাদিকে বাঁচাতে, তারা এই পুরুষশাসিত সমাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। মাসি-পিসির এ রূপটি উদ্দীপকের জয়গুণের মাঝে প্রকাশিত হয়নি। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মা তাকে জেরা করলেন। দেখলাম সে ভারি চাপা। মার প্রশ্নের ছাঁকা জবাব দিল, নিজে থেকে একটি কথা বেশি কইল না। সে বলল, তার নাম মমতা। আমাদের বাড়ি থেকে খানিক দূরে জীবনময়ের গলি, গলির ভেতরে সাতাশ নম্বর বাড়ির একতলায় সে থাকে। তার স্বামী আছে আর একটি ছেলে। স্বামীর চাকরি নেই চারমাস, সংসার আর চলে না, সে তাই পর্দা ঠেলে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছে। এই তার প্রথম চাকরি। মাইনে? সে তা জানে না। দুবেলা রেঁধে দিয়ে যাবে কিন্তু খাবে না।
ক. মাসি-পিসি কীভাবে শহরে যেতেন?
খ. মাসি-পিসির জমানো টাকা কেন খরচ হয়ে গিয়েছিল?
গ. উদ্দীপকের মমতা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির কোন বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করেছে? আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ১



৩ নং প্রশ্নের উত্তর

 ‘মাসি-পিসি’ সালতি বেয়ে শহরে যেতেন।

 দুর্ভিক্ষের সময় খাবার কিনতে মাসি-পিসিদের জমানো রুপোর টাকা আধুলি সিকি খরচ হয়ে গিয়েছিল।
 মাসি-পিসিরা আহ্লাদির বাবার বাড়িতে আশ্রিতা। ওদিকে দেশে মন্বয়ন্তর। কোথাও কোনো কাজ নেই, খাবার নেই, সামর্থ্যও নেই। তাই তারা তাদের জমানো টাকা দিয়ে কোনোরকমে খাবার কিনে খেয়ে বেঁচেছে। এজন্য তাদের জমানো রুপোর টাকা আধুলি সিকি খরচ হয়ে গিয়েছিল।

 আর্থিক দীনতায় পড়ে স্বজনদের ও নিজের অস্তিত্ব রক্ষার প্রচেষ্টার দিক দিয়ে মমতাদির বৈশিষ্ট্যের সাথে মাসি-পিসির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য রয়েছে।
 দারিদ্র্যের কষাঘাত যখন আসে তখন মানুষের কোনো দিকের ঠিক থাকে না। সমস্ত লজ্জা, ভয়, আত্মসম্মান তখন মেকি, ফাঁকি মনে হয়। যে-কোনো উপায়ে অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন তখন বড় হয়ে ওঠে।
 উদ্দীপকের মমতাদি ভদ্র ঘরের সন্তান বা বৌ হয়েও দারিদ্র্যের চাপে পড়ে পরের বাড়ি কাজ করতে আসে। লজ্জা বা আত্মসম্মান তখন তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। স্বামী-সন্তান নিয়ে উপার্জনহীন সংসারে টিকতে না পেরে চাকরানির কাজ শুরু করেছে। গল্পে মাসি-পিসি চরিত্রের মমতাদির এই বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন দেখি। মন্বয়ন্তের সময় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা এবং আহ্লাদির জীবন বাঁচাতে তারা লজ্জাশরম ত্যাগ করে শহরে গিয়ে সবজির ব্যবসা করে। যা উভয় ক্ষেত্রে সাদৃশ্য রচনা করেছে।

 না, উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি নির্যাতনের শিকার একটি অসহায় মেয়ের জীবনকাহিনি। গল্পের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে নানা বৈচিত্র্যময় ঘটনা। উদ্দীপকে যার মাত্র একটি বিষয় প্রকাশিত করতে দেখা যায়।
 উদ্দীপকে দেখা যায়, জীবন-সংগ্রামে লিপ্ত এক নারীকে যে উপার্জনহীন সংসারে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সমস্ত লজ্জাশরম পরিত্যাগ করে ভদ্র ঘরের মেয়ে হয়েও পরের বাড়ি চাকরানির কাজ নেয়। এটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের একটি মাত্র দিক। যা মাসি-পিসির জীবনধারণের প্রচেষ্টার মাঝে লক্ষ করা যায়।
 উপরিউক্ত বিষয় ছাড়া ‘মাসি-পিসি’ গল্পে অন্যান্য ভাবেরও অবতারণা ঘটেছে। আহ্লাদি নামক স্বামীর নির্যাতনের শিকার এক তরুণীর করুণ জীবনকাহিনি বর্ণিত হয়েছে গল্পে। যেখানে একে-একে উঠে এসেছে এই পুরুষশাসিত ঘুনেধরা সমাজের নানারকম অসঙ্গতির দিক। এ সমাজে নারীর অবস্থান তাদের প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি, দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী চিত্র, অত্যাচারী স্বামী, লালসায় উন্মত্ত জোতদার, গুণ্ডা-বদমাশদের আচরণ, দু’জন বিধবার দায়িত্বশীল ও মানবিক জীবন-যুদ্ধ অন্যায়ের প্রতিবাদ ইত্যাদি আলোচিত হয়েছে যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সম্পূর্ণভাব ধারণ করেনি।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
পিসি বলে, ‘এত রাতে মেয়েনোককে কাছারিবাড়ি ডাকতে কত্তার নজ্জা করে না কানাই?
কানই ফুঁসে ওঠে, ‘না যদি যাও ঠাকরুনারা ভালোয় ভালোয়, ধরে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবার হুকুম আছে কিন্তু বলে রাখলাম।
মাসি বঁটিটা বাগিয়ে ধরে দাঁতে দাঁত কামড়ে বলে, বটে? ধরে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবে? এসো। কে এগিয়ে আসবে এসো। বঁটির এক কোপে গলা ফাঁক করে দেব।
পিসি বলে, আয় না বজ্জাত হারামজাদারা, এগিয়ে আয় না? কাটারির কোপে গলা কাটি দু-একটার।
মাসি বলে, শোনো কানাই, এ কিন্তু এর্টি নয় মোটে। তোমাদের সাথে মেরা মেয়েনোক পারব না জানি কিন্তু দুটো-একটাকে মারব জখম করব ঠিক।
পিসি বলে, মোরা নয় মরব। ’
ক. মাসি পিসিকে ডাকতে কে আসে?
খ. মাসি-পিসি কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করত?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘মাসি-পিসি’ চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে?
ঘ. উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমগ্র ভাবটি ধারণ করেছে কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ১



৪ নং প্রশ্নের উত্তর

 মাসি-পিসিকে ডাকতে আসে কানাই।

 অন্যের বাড়িতে কাজ করে, শহরে শাকপাতা-ফলমূল বিক্রি করে মাসি পিসি কোনোমতে জীবন ধারণ করে।
 মাসি-পিসি আহ্লাদির পিতার আশ্রায় আছে বহুদিন থেকেই। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর তারা নিতান্ত অসহায় হয়ে পড়ে। নিজেদের ভরণ-পোষণের জন্য এবং স্বামী পরিত্যাক্ত আহ্লাদির জন্য তারা ধান ভেনে, কাঁথা সেলাই করে, ডালের বড়ি বেচে, হোগলা গেঁথে গ্রাম থেকে শাকসবজি ফলমুল শহরে নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করে কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ করেন।

 উদ্দীপকে মাসি-পিসি চরিত্রের প্রতিবাদী ও আত্মরক্ষার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
 এ সংসারে প্রত্যেকে জিততে চায়। এজন্য একে-অন্যকে ঠকানোর জন্য সদা প্রস্তুত থাকে। যে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে টিকে থাকতে পারে না, তারা কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে অন্যায়কারী কখনো কাউকে নিস্তার দেয় না।
 উদ্দীপকে মাসি-পিসির প্রতিবাদী মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। সমাজের শোষক জমিদারের হুকুমে কানাই মাসি-পিসিকে অন্যায়ভাবে তুলে নিতে আসে। তাদের এই কু-মতলবকে মাসি-পিসি প্রতিহত করতে বন্ধপরিকর হয়। তারা কানাইকে চ্যালেঞ্জ করে। কাটারি বঁটি নিয়ে তারা যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়। তাদের এই আচরণ এই জুলুমবাজ সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে, কু-মতলব চরিতার্থ করতে চায় যে সব মানুষরূপী জানোয়ারেরা তাদের রিরুদ্ধে মাসি-পিসি তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তাদের মাঝে প্রতিবাদী চেতনার পরিচয় মেলে।

 উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করেনি।
 স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার পিতৃমাতৃহীন এক তরুণীর করুণ জীবনকাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধু মাসি-পিসির প্রতিবাদী চেতনা প্রকাশ পেয়েছে।


 উদ্দীপকটিতে দেখা যায়, মাসি-পিসিকে জমিদারের হুকুমে তুলে নিতে আসে কানাই। তখন মাসি-পিসি কানাইয়ের কু-মতলব বুঝতে পেরে কাছারিতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কানাই জবরদস্তি করলে তারা এর প্রতিবাদ করে এবং কানাইকে মারার জন্য দা, বঁটি উঁচিয়ে শাসায়। অবস্থা বেগতিক দেখে কানাই সরে পড়ে। মাসি-পিসির এ আচরণে এই ঘুণেধরা সমাজের বিরুদ্ধে অসহায় নারীর প্রতিবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে এ বিষয়টিই ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব নয়।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি স্বামীর নির্যাতনের শিকার পিতৃমাতৃহীন এক অসহায় তরুণীর জীবনকাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে। আহ্লাদি নামক ঐ তরুণীর মাসি-পিসি দুজনেই বিধবা। তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিরূপ সমাজ থেকে আহ্লাদিকে রক্ষার যে বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী সংগ্রাম পরিচালনা করেছে তা সত্যিই বিরল। দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী স্মৃতি, জীবিকা নির্বাহের কঠিন সংগ্রাম, নারী হয়ে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করার মানসিকতা এ গল্পের বৈচিত্র্যময় দিক। এসব দিক উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সম্পূর্ণভাব ধারন করেনি।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
আহারে। এরে মাইয়াডারে মাইরা ফালইস না। ওরে ও পাষাইণ্যা, দরজা খোল, মারিস না আর মারিস না, জাহান্নামে যাইবি, মারিস না। বাইরে থেকে দু’হাতে ঝাঁপিটাকে ঠেলছে ফকিরের মা। আবুল একবার তাকাল সেদিকে, কিন্তু ঝাঁপি খুলল না।
বউ মারায় একটা পৈশাচিক আনন্দ পায় আবুল। মেরে মেরে এর আগে দু’-দুটো বউকে প্রাণে শেষ করে দিয়েছে সে। প্রথম বউটা ছিল এ গাঁয়েরই মেয়ে। আয়েশা। একটু বেঁটে, একটু মোটা আর রঙের দিক থেকে শ্যামলা। অপূর্ব সংযম ছিল মেয়িটির। আশ্চর্য শান্ত স্বভাব। কত মেরেছে ওকে আবুল। কোনোদিন একটু শব্দও করেনি। একটা সামান্য প্রতিবাদ নেই।
[তথ্যসূত্র : হাজার বছর ধরে -জহির রায়হান]
ক. মস্ত কাটারিটা দেখতে কীসের মতো ছিল?
খ. আহ্লাদিকে জগু কেন মারধর করে?
গ. উদ্দীপকের আবুল ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? - ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের আয়েশা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি একই পরিস্থিতির শিকার।”মন্তব্যটি যাচাই কর। ১



৫ নং প্রশ্নের উত্তর

 মস্ত কাটারিটা দেখতে রামদা’র মতো ছিল।

 নেশার টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে টাকা জোগাড় করার লোভে জগু আহ্লাদিকে মারধর করতো।
 পাষণ্ড জগু নেশা করে। কিন্তু সব-সময় নেশার জিনিস কেনার টাকা তার কাছে থাকে না। সে সংসার এবং স্ত্রীর প্রতিও উদাসীন। নেশার ঘোরে থেকে সে তার স্ত্রী আহ্লাদির ওপর নির্যাতন চালায়। বউয়ের ওপর চড়াও হয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় বউকে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে মারধর করে।

 উদ্দীপকের আবুল ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জগু চরিত্রের প্রতিনিধি।
 আমাদের এই পুরুষশাসিত সমাজে স্ত্রীরা বা নারীরা চরমভাবে নিগৃহীত, নির্যাতিত হয়। তাদের কোনো মুল্যায়ন করে না পাষণ্ড পুরুষেরা। তারা কারণে-অকারণে নারীর ওপর অত্যাচার চালিয়ে পুরুষত্বের মর্যাদা রক্ষা করতে চায়।
 উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, আবুল নামের এক পাষণ্ডকে, যে তার স্ত্রীকে অমানুষের মতো নির্যাতন করে। ঘরের দরজা বন্ধ করে বৌকে মারে এবং পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে। আবুলের মতো এক পাষণ্ডকে আমরা দেখতে পাই ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জগুর চরিত্রের মাঝে। জগুও তার বউকে কারণে অকারণে মারপিট করে। নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেরে বৌকে বেঁধে রেখে পেটায়। এই জগু চরিত্রের প্রতিনিধি উদ্দীপকের আবুল।

 “উদ্দীপকের আয়েশা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি একই পরিস্থিতির শিকার।”মন্তব্যটি যথার্থ।
 আমাদের সমাজব্যবস্থায় নানা অসংগতির মাঝে নারী-নির্যাতন অন্যতম একটা ঘৃণিত বিষয়। এই পুরুষশাসিত সমাজে এ বিষয়টি অহরহ ঘটে চলেছে। এর প্রতিকার করার যেন কেউ নেই।
 উদ্দীপকেও দেখি এমনই একটা চিত্র-যা ‘মাসি-পিসি’ গল্পেও পরিলক্ষিত হয়। উদ্দীপকে আয়েশা নামের মেয়েটি স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে পারে না। তবু সে মুখ ফুটে কিছু বলে না। এটাকে যেন তার ভাগ্য বলে মেনে নেয়। সমাজের ঘৃণিত পরিস্থিতির শিকার এই আয়েশার মতো ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি।
 আহ্লাদি পিতৃমাতৃহীন অসহায় এক তরুণী। তার বিয়ে হয় নেশাখোর জগুর সাথে। জগু সংসারের প্রতি উদাসীন এবং কারণে-অকারণে বউকে অত্যাচার করে। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আহ্লাদি বাবার বাড়ি চলে আসে। সমাজ এর কোনো বিহিত করে না। এ সমাজে নারীরা এভাবেই অবমূল্যায়িত হয়ে আসছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের আয়েশা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি একই পারিস্থিতির শিকার।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
কাজের শেষে বাড়িতে ফিরে আসে লায়লা। ভাঙা খাটে ক্লান্ত দেহখানি এলিয়ে দেয়। দেহের চাইতে তার মনটা বেশি ক্লান্ত। মনটা আজ তার কেমন কেমন করছে। রহিমা খালা রান্না-বান্না করছে। অন্যদিন এ কাজটা সেই নিজেই করে। আজ কেন জানি এতে মন বসছে না। হঠাৎ মনের আয়নায় ফেলে আসা অতীত ছায়া ফেলে। তার একটা সংসার ছিল ছোট একটি সাজানো ঘর ছিল। হঠাৎ একদিন কালবৈশাখীর ঝড় এলো। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য স্বামী আমজাদ লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেয়। তারপর রহিমা খালার হাত ধরে শহরে আসে। গার্মেন্ট চাকরি নেয়। তারা অঙ্গভরা যৌবন তার শত্র“। বাইরে পা রাখলে বেহায়া পুরুষগুলো তাকিয়ে থাকে। মাঝে-মাঝে আবার ঘর বাঁধতে সাধ জাগে।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত গল্পের সংখ্যা কত?
খ. মাসি-পিসি রোজগারের জন্য কী উপায় খোঁজে?
গ. উদ্দীপকে মাসি-পিসি চরিত্রে কোন ভাবের প্রকাশ ঘটেছে?Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের আহ্লাদি আমাদের এই পুরুষশাসিত সমাজের নির্যাতিত নারীদের প্রতিনিধি।”মন্তব্যটি যাচাই কর। ১



৬ নং প্রশ্নের উত্তর

 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত গল্পের সংখ্যা প্রায় তিন’শ।

 মাসি-পিসি জীবন চালাতে হিমশিম খায়। দুর্ভিক্ষের জন্য কোথাও রোজগার নেই। তাই তারা বেঁচে থাকার জন্য ভিন্ন উপায়ে রোজগারের চিন্তা-ভাবনা করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় গ্রাম থেকে তরিতরকারি ফলমূল কিনে নিয়ে শহরে গিয়ে বিক্রি করে কিছু রোজগার করবে এবং এটা ভেবেই তারা এ কাজে হাত দেয়।

 উদ্দীপকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির মাঝে মাতৃস্নেহের প্রকাশ লক্ষণীয়।
 নারীর চরম সার্থকতা তার মাতৃত্বে। নিঃসন্তান হলেও সন্তানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের সহজাত ইচ্ছা তাদের মাঝে থেকেই যায়। মাসি-পিসির আচরণে সেই মাতৃøেহের ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে।
 উদ্দীপকে দেখা যায়, সারাদিন খাটুনির পর বাড়ি ফিরে রান্নাবান্না সারতে লেগে যায়। সন্তানের মতো আহ্লাদিকে তারা কোনো কষ্ট করতে দিতে নারাজ। উপরন্তু এই কদর্য সমাজের নানা প্রকার কুৎসিত লোকের কু-দৃষ্টি থেকে আহ্লাদিকে রক্ষা করার চেতনা তাদের মাঝে পরিলক্ষিত হয়। মা সন্তানকে যেমন আগলে রাখে, মাসি-পিসিও আহ্লাদিকে সেভাবে আগলে রাখতে চায়, øেহ ভালোবাসায় সিক্ত করতে চায়।

 উদ্দীপকের আহ্লাদি এই পুরুষশাসিত সমাজের নির্যাতিত নারীদের প্রতিনিধি।
 নারীপুরুষ উভয়ের অবদানে সমাজ টিকে থাকে। অথচ নারীরা এই সমাজে কোনো মূল্যায়ন পায় না। পুরুষেরা তাদের নিজেদের ভোগের সামগ্রী ভাবে। এজন্যই আমাদের সমাজ বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে পারছে না।
 উদ্দীপকে দেখা যায় সমাজের পুরুষের দ্বারা নিমর্মভাবে নির্যাতিতা নারীর প্রতিচ্ছবি। যে স্বামীর অত্যাচারে টিকতে না পেরে অসহায়ের মতো বাপের বাড়ি চলে আসে। কিন্তু এখানেও এসে সে শান্তিতে থাকতে পারে না। সমাজের কুরুচিপূর্ণ কিছু পুরুষ তাকে নোংরা চোখে দেখে। তাকে অন্যায়ভাবে পেতে চায়।
 আহ্লাদির এই অবস্থা আমাদের এই পুরুষশাসিত সমাজের এক চরমতম লজ্জাজনক দিক। আহ্লাদি এ সমাজে নির্যাতিত এক অসহায় নারী। সে অবস্থার শিকার হয়ে চরম হীনম্মন্যতায় ভোগে। নিজেকে নর্দমার নোংরা কীট মনে করে। ব্যভিচারী পুরুষের চোখ তাকে স্বস্তিতে থাকতে দেয় না। একে তো স্বামী দ্বারা নির্যাতিতা উপরন্ত মাসি-পিসির কাছে এসেও তার নিস্তার নেই। তাই সে মনে করে, মাসি-পিসিকে গঞ্জনা দেওয়ার চেয়ে অত্যাচারী স্বামীর কাছে ফিরে গিয়ে লাথি ঝাঁটা খাওয়া ভালো। মূলত তার এই মনোভাব সমাজের অন্যান্য নারীদের চেতনাকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ইউরোপের জ্ঞানগুরু প্লেটো মিসর ভ্রমণকালে মাথায় করে তেল বেচে খরচ জোগাড় করতেন। যে কুড়ে, আলসে, ঘুষখোর ও চোর, সেই হীন। ব্যবসা বা ছোট স্বাধীন কাজে মানুষ হীন হয় না- হীন হয় মিথ্যা চতুরতা ও প্রবঞ্চনায়। পাছে জাত যায়, সম্মান নষ্ট হয়- এই ভয়ে পরের গলগ্রহ হয়ে মাসের পর মাস কাটিয়ে দিচ্ছ? সম্মান কোথায়, তা তুমি টের পাওনি।
[তথ্যসূত্র :উদ্যম ও পরিশ্রম- মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।
ক. শকুনরা উড়ে এসে কোথায় বসেছে?
খ. জগু কেন মামলা করতে চাইল?
গ. উদ্দীপকের প্লেটোর মাঝে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন বিষয়ের সাদৃশ্য রয়েছে?Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মিল থাকলেও প্লেটোর তেল বিক্রি এবং মাসি-পিসির শাকসবজি বিক্রির উদ্দেশ্যগত ভিন্নতা রয়েছে।”মন্তব্যটি যাচাই কর। ১



৭ নং প্রশ্নের উত্তর

 শকুনরা উড়ে এসে পাতাশূন্য শুকনো গাছটার উপরে বসেছে।

 জগু তার বৌ আহ্লাদিকে ফিরিয়ে আনার জন্য মামলা করতে চাইল।
 জগুর অত্যাচারে ঘর ছেড়ে চলে আসে আহ্লাদি। তারপর জগু তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে এসেছে তার শ্বশুরের রেখে যাওয়া সম্পত্তির লোভে। কিন্তু মাসি-পিসি আহ্লাদিকে পাঠাতে নারাজ। তা ছাড়া আহ্লাদিও যেতে রাজি নয়। আহ্লাদিকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য জগু মামলা করতে চায়।

 উদ্দীপকের প্লেটোর সাথে মাসি-পিসির জীবনধারণের জন্য যেকোনো কাজ করে টিকে থাকার বিষয়টির সাদৃশ্য রয়েছে।
 জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে মানুষ যেকোনো কাজ করতে বাধ্য হয়। তখন যদি আত্মসম্মানের ভয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকে, তবে সে টিকে থাকতে পারে না। বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ সবকিছুই করতে পারে।
 উদ্দীপকের প্লেটোর মাঝে দেখি এই চেতনার প্রতিফলন। তিনি মিশরে ভ্রমণকালে মাথায় করে তেল বিক্রয় করে খরচ জোগাড় করতেন। তিনি কোনো কাজকে ছোট ভাবেননি, লজ্জা করেননি। এই একই চেতনার প্রতিফলন দেখি ‘মাসি-পিসি’ গল্পে মাসি-পিসির মধ্যে। তারা বেঁচে থাকার তাগিদে লাজ-সরমের তোয়াক্কা না করে সবজি ব্যবসায় নেমে পড়ে এবং জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। লোকচক্ষুর ভয়ে বসে থাকে না। উভয় ক্ষেত্রে এখানেই সাদৃশ্য দৃশ্যমান।

 প্লেটোর তেল বিক্রি এবং মাসি-পিসির সবজি বিক্রির মাঝে মিল থাকলেও উদ্দেশ্যগত পার্থক্য বা ভিন্নতা রয়েছে। মন্তব্যটি যথার্থ।
 সংসারে বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ নানারকম কাজ করে। কোনো কাজ ছোট বা হীন ভেবে যদি তা করা থেকে বিরত থাকা হয়, তবে নিজের প্রয়োজন মিটবে না এবং জীবনটা হুমকির মুখে পড়বে।
 উদ্দীপকের প্লেটো এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পে মাসি-পিসির কাজের মাঝে সাদৃশ্য থাকলেও কাজের উদ্দেশ্যগত ভিন্নতা রয়েছে। প্লেটো মিশর ভ্রমণকালে রাস্তার খরচ জোগাড়ের জন্য মাথায় করে তেল বিক্রি করতেন। তিনি সচ্ছন্দে চলাফেরার জন্য একাজ করেছিলেন। এই কাজের উদ্দেশ্যগত ভিন্নতা রয়েছে মাসি-পিসির সবজি বিক্রি করার ক্ষেত্রে।
 মাসি-পিসি নিঃসম্বল, অসহায়। বেঁচে থাকার অন্য কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য তারা ঘরের বাইরে যেতে বাধ্য হন। নিজেদের ভরণপোষণ এবং আশ্রিত আহ্লাদিকে বাঁচিয়ে রাখতে তারা গাঁ থেকে শাকসবজি ফলমূল কিনে শহরে গিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাদের এ ব্যবসা অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। জীবিকা নির্বাহের কঠিন সংগ্রামে তারা এ পথে নামেন। এটা যদি তারা না করতেন, তবে না খেয়ে মরতে হতো। কিন্তু উদ্দীপকের প্লেটোকে তেলের ব্যবসা না করলে আর যাই হোক না খেয়ে মরতে হতো না। তাই বলা যায়, উভয় কাজে উদ্দেশ্যগত ভিন্নতা রয়েছে, যা প্রশ্নের মন্তব্যকে যথার্থ প্রতিপন্ন করেছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
জামাল : আবে চাষা আবু, তোর ভাত খাওয়া শেষ হলো। জলদি কর, না হয় ঘরে ঢুকে তোর গলার মধ্যে লাঠি ঢুকিয়ে দেব।
আবু : বললাম যে চারটে খেয়ে নিই। যেখানে যেতে বলবে, যাব। এত গলাবাজি কর কেন পেয়াদাজী।
জামাল : নখরামি রাখ। চল। ...
আবু : ছাড়। গায়ে হাত দিও না। আমি কি চুরি করেছি, আমি কি জমিদারের ঘরে আগুন দিয়েছি?
জামাল : খরবদার আর একটাও ফালতু কথা বলবি না। ছোট মালিকের হুকুম তোকে তুরন্ত হাজির হতে হবে। ...
আবু : কি, এতখানি কথা। জমিদারের কুত্তাÑ (আবি দাওয়া থেকে দা তুলে নিল।)
[তথ্যসূত্র : জমিদার দর্পণ- মীর মশারফ হোসেন
ক. কানাইয়ের সাথে কতজন পেয়াদা এসেছিল?
খ. ঈষৎ তন্দ্রার ঘোরে আহ্লাদি শিউরে ওঠে কেন?
গ. উদ্দীপকের জামাল ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি?তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ১



৮ নং প্রশ্নের উত্তর

 কানাইয়ের সাথে তিন জন পেয়াদা এসেছিল।

 সংসারে নিজের অবস্থান, অত্যাচারী স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে সে শিউরে উঠেছিল।
 আহ্লাদি যদিও সবকিছু মেনে নিয়ে আবারও অত্যাচারী স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু যখন সে ভাবে স্বামীর অত্যাচারের কথা এবং মাসি-পিসিকে ছেড়ে থাকার কথা, তখন সে ভয়ে শিউরে ওঠে। তার দুই পাশে মাসি-পিসিকে না নিয়ে শুলে ঘুম আসে না। তাই এই পরিস্থিতির ব্যতিক্রম চিন্তায় সে ভয়ে শিউরে ওঠে।

 উদ্দীপকের জামাল ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কানাই চরিত্রের প্রতিনিধি।
 এ সমাজে অনেক লোক আছে যারা নিজ স্বার্থের জন্য ক্ষমতাধরদের পা-চাটা কুকুরে পরিণত হয়। নিজেদের ব্যক্তিত্ব বলে এদের কিছু থাকে না। প্রভুর কথায় এরা সাধারণ মানুষের উপর জুলুম করে।
 উদ্দীপকের জামাল এ ধরনের একজন মানুষ। সে জমিদারের হুকুমে চাষি আবুকে ডাকতে আসে এবং অমানবিক আচরণ করে। প্রভুর মনোরঞ্জনের জন্য সমস্ত মানবিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে দুর্বলের উপর নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে। এমনই একটা চরিত্র ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কানাই। সেও তার প্রভুর হুকুমে অন্যায় কাজ করতে দ্বিধা করে না। রাতের বেলায় মাসি-পিসিকে বাড়ির বার করে আহ্লাদিকে গোকুলের হাতে তুলে দেয়ার কুৎসিত উদ্দেশ্যে মাসি-পিসির উপর জুলুম করে।

 না, উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে না।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পটিতে স্বামী দ্বারা অত্যাচারিত পিতৃমাতৃহীন এক অসহায় তরুণীর জীবনকাহিনি বর্ণিত হয়েছে গভীর মমতায়। লেখক এ গল্পে সমাজের নানা অসংগতির দিক তুলে ধরেছেন অসামান্য শিল্প-কুশলতায়। উদ্দীপকের বিষয়টি এর একটি মাত্র ভাবকে ধারণ করেছে।
 উদ্দীপক দেখা যায়, এক মানুষরূপী প্রভুভক্ত কুকুরের কুৎসিত আচরণ জামাল পেয়াদার মাঝে। যে কিনা জমিদারের হুকুমে সাধারণ চাষিদের উপর জুলুম, নির্যাতন করে। ‘মাসি-পিসি’ গল্পে এ দৃশ্য দেখতে পাই কানাই যখন ‘মাসি-পিসিকে’ জোর করে তুলে নিতে চায় তার মালিকের হুকুমে। তবে এ বিষয়টি গল্পের একটি মাত্র দিক। এর পাশাপাশি গল্পে অন্যান্য বিষয়ও উঠে এসেছে।
 গল্পটিতে একে একে তুলে ধরা হয়েছে দুন নিঃস্ব বিধবার জীবন যুদ্ধের চিত্র। মাসি-পিসি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় আহ্লাদিকে এ সমাজের বিরূপ পরিস্থিতিতে বাঁচিয়ে রাখতে নিরন্তর সংগ্রাম করে চলেছে। এ বিষয়টিই গল্পটিকে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। এই পুরুষ শাসিত সমাজের অত্যাচারী স্বামী, কুরুচিপূর্ণ মানুষ, লোলুপ জোতদার, দারোগা, গুণ্ডা-বদমাশদের আক্রমণ থেকে সন্তানত‚ল্য আহ্লাদিকে বাঁচাতে অসহায় দুই বিধবার দায়িত্বশীল ও মানবিক জীবন যুদ্ধের চিত্র লেখকের অসামান্য শিল্প দক্ষতার জন্য বাস্তব রূপে আমাদের সামনে উঠে এসেছে। এসব বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি মাসি-পিসি গল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করেনি।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ধনীকন্যা তাহেরাকে বিয়ে দেয় অপেক্ষাকৃত দরিদ্র নাফিজের সাথে। এজন্য তাহেরা নাফিজকেই দোষ দেয় এবং তাকে সহ্য করতে পারে না। নাফিজ সৎ, হৃদয়বান এবং স্ত্রীকে সে প্রাণাধিক ভালোবাসে। তাহেরা একে স্রেফ ন্যাকামি মনে করে এবং বাবার টাকার অহংকারে নাফিজের ঘর করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে।
ক. ‘পদ্মানদীর মাঝি’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
খ. আহ্লাদি কেন স্বামীর ঘরে যেতে চায় না?
গ. উদ্দীপকের নাফিজের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জগুর বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. উদ্দীপকের তাহেরা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির স্বামীর ঘর ছাড়ার কারণ এক নয়।”মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১



৯ নং প্রশ্নের উত্তর

 ‘পদ্মানদীর মাঝি’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।

 পাষণ্ড স্বামীর অত্যাচার, নির্যাতনের ভয়ে আহ্লাদি স্বামীর ঘরে যেতে চায় না।
 আহ্লাদির স্বামী জগু নেশাখোর, লম্পট। তার মধ্যে কোনো মানবিকতার ছোঁয়া নেই। সে অমানুষের মতো আহ্লাদিকে নির্যাতন করে। লাথি, ঝাঁটা, কলকেপোড়া ছ্যাঁকা, খুঁটির সাথে বেঁধে প্রহার করা -এভাবেই সে স্ত্রীকে নির্যাতন করে। যার জন্য আহ্লাদি স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হয় এবং অত্যাচারের ভয়ে আবারও সেখানে যেতে চায় না।

 উদ্দীপকের নাফিজের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জগুর বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
 এ সমাজে নানা ধরনের লোকজন বাস করে। কেউবা মহৎ হৃদয়ের অধিকারী হয়, কেউবা বিবেকহীন অমানুষে পরিণত হয়। ভালোমন্দ উভয় মিলে কোনোভাবে টিকে আছে আমাদের এই সমাজ। আমরা চাই মানুষের মাঝে অন্তত মানবিকতাটুকু বিদ্যমান থাক।
 উদ্দীপকের নাফিজ একজন হৃদয়বান সৎ ছেলে। কিন্তু তার এই সততার কোনো মূল্যায়ন সে পায় না। ধন-দৌলতের দাঁড়িপাল­ায় তার সততা মূল্য পায় না। তাইতো স্ত্রীকে ভালোবাসলেও প্রতিদানে শুধু অপমানই জোটে তার ভাগ্যে। এই নাফিজের ঠিক বিপরীত চরিত্র ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জগু। সে লম্পট, মাতাল, চরিত্রহীন। স্বামী হয়ে স্ত্রীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। আবার শ্বশুরের সম্পত্তির প্রতি লোভ করে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে চায়। এমনই ঘৃণ্য চরিত্রের অধিকারী সে। এখানেই নাফিজের সাথে জগু চরিত্রের বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

 “উদ্দীপকের তাহেরার এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির স্বামীর ঘর ছাড়ার কারণ এক নয়। ”মন্তব্যটি যথার্থ।
 বিচিত্র মানুষের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজ-সংসার। এখানে একেক জনের একেক রকম মূল্যবোধ, চেতনা, জীবনদর্শন। একজনে যা আশা করে, স্বপ্ন দেখে অন্যজন সেটা অবহেলার দু’পায়ে মাড়িয়ে চলে যায়। এজন্যই জীবন এত বিচিত্র।
 উদ্দীপকে তাহেরা ধনীকন্যা। বিয়ে হয় অপেক্ষাকৃত দরিদ্র নাফিজের সাথে, যা তাহেরা মেনে নিতে পারে না। তাই টাকার অহংকারে স্বামীর আন্তরিক ভালোবাসাকে সে পদদলিত করে। এক সময় তাকে ত্যাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়। ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদিকেও বাবার বাড়ি ফিরে আসতে হয়, তবে সেটা অন্য কারণে।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি এই আহ্লাদির জীবনকাহিনি নিয়ে রচিত। সে স্বামী-পরিত্যক্তা পিতৃমাতৃহীন নিঃস্ব। স্বামী তাকে দিনের পর দিন অত্যাচার করতো। লাথি, ঝাঁটা, কলকেপোড়া ছ্যাঁকা খেয়ে তাকে স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হতে হয় এবং অসহায় মাসি-পিসির আশ্রয়ে এসে উঠতে হয়। তার এই বাবার বাড়ি আসার কারণ আর উদ্দীপকের তাহেরার বাবার বাড়ি আসার কারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাহেরা স্বামীকে অপমান করে, স্বামীর ভালোবাসাকে টাকার অহংকারে অস্বীকার করে চলে আসে। অন্যদিকে আহ্লাদি স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি ফিরে আসে। তাই বলা যায়, তাহেরা এবং আহ্লাদির বাবার বাড়ি ফিরে আসার কারণ এক নয়।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সাবিনা ও রেহানা দুই বোন। দুজনেরই স্বামী মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের কাছে এসে আশ্রয় নেয়। ভাইয়ের দরিদ্র সংসারে তারা নিজেদের বোঝা মনে করে, তাই জীবিকার ভিন্ন পথ খোঁজ করে এবং পেয়েও যায়। গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁস-মুরগির ডিম কিনে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে, যা আয় করে তা ভাইয়ের হাতে তুলে দেয়। ক্রমে তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসে।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত বছর বয়সে প্রথম গল্প ‘অতসীমামী’ রচনা করেন?
খ. রাতের বেলা কানাই পেয়াদা নিয়ে আসে কেন?
গ. উদ্দীপকের সাবিনা ও রেহানা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আংশিক ভাব ধারণ করেছে মাত্র।”মন্তব্যটি বিচার কর। ১



১০ নং প্রশ্নের উত্তর

 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ বছর বয়সে প্রথম গল্পগন্থ ‘অতসীমামী’ রচনা করেন।

 মাসি-পিসিকে কাছারি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য কানাই রাতের বেলা আসে।
 কানাই রাতের বেলা এসে হাঁক দেয় মাসি-পিসিকে তাদের কাছারি বাড়ির দারোগা বাবুর সামনে হাজির হবার জন্য। কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। কাছারি বাড়ির কথা বলে মাসি-পিসিকে বাড়ি থেকে বের করতে পারলে তারা অসহায় আহ্লাদিকে গোকুলের হাতে তুলে দিতে পারবে। এজন্য কানাই তিনজন পেয়াদা নিয়ে রাতের বেলা মাসি-পিসির বাড়িতে আসে।

 উদ্দীপকের সাবিনা ও রেহানা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির জীবন সংগ্রামের বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
 এ জগতে টিকে থাকার জন্য মানুষকে নিরন্তর লড়াই করতে হয়। যে লড়াইয়ে জয়লাভ করে তার অস্তিত্ব বজায় থাকে আর যে পরাজিত হয় সে নিষ্ঠুর বাস্তবতার শিকার হয়ে কালের অতল গর্ভে তলিয়ে যায়। উদ্দীপকের সাবিনা ও রেহানা এবং গল্পের মাসি-পিসিকে দেখা যায় জীবন-যুদ্ধে লিপ্ত হতে।
 উদ্দীপকের সাবিনা ও রেহানা স্বামী মারা যাওয়ার পর গরিব ভাইয়ের সংসারে আশ্রয় নেয়। একসময়ে নিজেদের বোঝা মনে করে নিজেরাই জীবন-যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গল্পে মাসি-পিসিকেও দেখা যায় অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নামতে। দেশের মন্বন্তরের সময় নিজেদের ভরণপোষণ এবং অসহায় আহ্লাদিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তারা জীবন-যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এখানেই উভয় চরিত্রের সাদৃশ্য বিদ্যমান।

 “উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আংশিক ভাব ধারণ করেছে মাত্র।মন্তব্যটি যথার্থ।
 উত্থান-পতন বিচিত্র মানবজীবনের একটা অংশ। মানুষের জীবন সবসময় একভাবে যায় না। কখনো সুখ, কখনো দুঃখের ভেতর দিয়ে জীবনটা অতিবাহিত হয়। এজন্য দুঃখের সময় শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবেলা করলে সুখের সময় আসবেই। তার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া বাঞ্ছনীয়।
 উদ্দীপকে সাবিনা ও রেহানা চরম দুঃখের দিনে হাল না ছেড়ে জীবন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে ডিমের ব্যবসা করে ভাইয়ের সংসারে তথা নিজেদের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। ‘মাসি-পিসি’ গল্পেও মাসি-পিসির এধরনের প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। তবে এ বিষয়টি গল্পের একমাত্র বিষয় নয়।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পে বর্ণিত হয়েছে স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার পিতৃমাতৃহীন অসহায় এক তরুণীর জীবনকাহিনি। যার শেষ আশ্রয় মাসি-পিসি। আশ্রয়দাতা তারা নিঃস্ব, বিধবা। জীবন যুদ্ধে তারাও বিপর্যস্ত। তবে তারা হাল ছাড়েনি। এই নিষ্ঠুর সমাজে কারো কাছে কোনো সহযোগিতা বা সহানুভ‚তি না পেয়ে নিজেরাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নেমে পড়ে কাজে। সাথে সাথে তারা এই ঘুণে ধরা সমাজের কুদৃষ্টি থেকে সন্তানতুল্য আহ্লাদিকে রক্ষা করে। এজন্য তাদের নিরন্তর বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। গল্পে আরও বর্ণিত হয়েছে অত্যাচারী স্বামীর আচরণ, লালসায় উন্মাত্ত জোতদারের লোলুপতা ইত্যাদি। এদের কাছ থেকে আহ্লাদিকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে মাসি-পিসির দায়িত্বশীল ও মানবিক জীবন যুদ্ধ বর্ণিত হয়েছে। এর মাঝের একটি বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।



অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
১ কানাইয়ের সাথে গোকুলের কতজন পেয়াদা এসেছিলেন?
ক দুই ছ তিন গ চার ঘ পাঁচ
২ মাসি-পিসি আহ্লাদিকে জগুর কাছে পাঠাতে চায়নি কেন?
চ নির্যাতনের ভয়ে খ স্নেহের আতিশয্যে
গ দারিদ্র্যের কারণে ঘ আহ্লাদি যেতে চায়নি বলে
* উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
দেখি নাই যারে, চিনি নাই যারে
শুনি নাই নাম কভু
তিনিই আজিকে দেবতা আমার
তিনিই আমার প্রভু।
৩ উদ্দীপকের প্রভু ‘মাসি-পিসি’ রচনার কার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক লেখকের ছ জগুর গ কৈলেশের ঘ গোকুলের
৪ উভয়ের মধ্যে যে-বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে তা হলো :
ক আধিপত্য খ পাণ্ডিত্য জ স্বৈরাচারী ঘ অহংবোধ
মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক যাচাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক লেখক পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কী হিসেবে বাংলা সাহিত্যে খ্যাতিমান?
ক উপন্যাস ও প্রবন্ধ লেখক খ প্রবন্ধ ও নাটক লেখক
গ নাটক ও উপন্যাস লেখক ঝ উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক
৬ মানিক বন্দোপাধ্যায় কত বছর বেঁচে ছিলেন?
চ ৪৮ বছর খ ৪৯ বছর গ ৫০ বছর ঘ ৫১ বছর
৭ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসসি পড়েন কোথায়?
ক কলকাতা হিন্দু কলেজে ছ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে
গ আনন্দ মোহন কলেজে ঘ ঢাকা কলেজে
৮ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাজি ধরে লিখেছিলেন কোন গল্প?
ক সমুদ্রের দ্বন্দ¡ খ হলুদপোড়া
জ অতসীমামী ঘ টিকটিকি
৯ কত বছর বয়সে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়?
ক ১৬ বছর খ ১৮ বছর জ ২০ বছর ঘ ২২ বছর
১০ চাকরি ও ব্যবসায়িক কাজে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত বছর নিয়োজিত ছিলেন?
চ ৩ বছর খ ৪ বছর গ ৫ বছর ঘ ৬ বছর
১১ ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’Ñ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ধরনের রচনা?
ক নাটক ছ উপন্যাস গ পালাগান ঘ ছোটগল্প
১২ ‘দিবারাত্রির কাব্য’Ñ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী জাতীয় রচনা?
ক ছোটগল্প খ নাটক গ কবিতা ঝ উপন্যাস
১৩ ‘প্রাগৈতিহাসিক’ ছোটগল্পের রচয়িতা কে?
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ আলাউদ্দিন-আল-আজাদ
গ আতা সরকার ঝ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৪ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসের সংখ্যা কত?
ক প্রায় বিশটি খ প্রায় ত্রিশটি
জ প্রায় চলি­শটি ঘ প্রায় পঞ্চাশটি
১৫ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত কেমন মানুষ ছিলেন?
চ বিজ্ঞানমনস্ক খ ধর্মমনস্ক
গ প্রকৃতিপ্রেমি ঘ রাজনীতিক
১৬ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ছোটগল্পের সংখ্যা কত?
ক প্রায় আড়াইশো ছ প্রায় তিনশো
গ প্রায় সাড়ে তিনশো ঘ প্রায় চারশো
১৭ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য রচনার ব্যাপ্তি কত বছর?
ক ২৬ বছর ছ ২৮ বছর গ ৩০ বছর ঘ ৩২ বছর
১৮ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
চ প্রবোধকুমার বন্দোপাধ্যায় খ সুবোধকুমার বন্দোপাধ্যায়
গ বরুণকুমার বন্দোপাধ্যায় ঘ প্রদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি কোন জেলায়?
ক মানিকগঞ্জ খ নারায়ণগঞ্জ গ শরিয়তপুর ঝ বিক্রমপুর
২০ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কোথায়?
ক কলকাতার কালীঘাটে ছ বিহারের সাঁওতাল পরগনায়
গ ঢাকার বিক্রমপুরে ঘ চাঁদপুরের জেলে পলি­তে
২১ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কত খ্রিষ্টাব্দে?
ক ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে ছ ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে
গ ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ঘ ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে
২২ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ে কবে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১ ডিসেম্বর
খ ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২ ডিসেম্বর
জ ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর
ঘ ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর
২৩ ১৯২৬ সালের সাথে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক রয়েছেÑ
চ ম্যাট্রিক পাসের ক্ষেত্রে খ আইএসসি পাসের ক্ষেত্রে
গ বি.এসসি পাসের ক্ষেত্রে ঘ এম.এসসি পাসের ক্ষেত্রে
২৪ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পাস করেন কোন স্কুল থেকে?
ক সেন্ট গ্রেগরী স্কুল থেকে
ছ মেদেনীপুর জেলা স্কুল থেকে
গ বরিশাল পাইলট স্কুল থেকে
ঘ কুচবিহার হাই স্কুল থেকে
২৫ কোন কলেজ থেকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আইএসসি পাস করেন?
চ বাঁকুড়া ওয়েসলিয় মিশন কলেজ
খ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ
গ মেদেনীপুর সেন্ট্রাল কলেজ
ঘ কুচবিহার মডার্ন কলেজ
২৬ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন বিষয়ে অনার্স নিয়ে বিএসসি ক্লাসে ভর্তি হন?
ক পদার্থ খ রসায়ন গ জীববিদ্যা ঝ গণিত
২৭ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিতে অনার্সে ভর্তি হনÑ
ক স্কটিস চার্চ কলেজে ছ প্রেসিডেন্সি কলেজে
গ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
২৮ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনার্স পাস করা হয়নি কেন?
ক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় খ দারিদ্র্যের কারণে
জ সাহিত্য সাধনায় অতি মগ্ন হওয়ায়
ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ায়
২৯ ১৯৫৬ সালের ডিসেম্বর মাসের কত তারিখে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন?
চ ৩ খ ৫ গ ৭ ঘ ৯
৩০ বিক্রমপুর অঞ্চলটি কোন জেলায় অবস্থিত?
ক নারায়ণগঞ্জ ছ মুন্সিগঞ্জ
গ মানিকগঞ্জ ঘ নরসিংদী
৩১ কথা সাহিত্য বলতে কী বোঝায়?
ক সংগীত খ নাটক জ গল্প-উপন্যাস ঘ কাব্য
৩২ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মোট কতটি উপন্যাস রচনা করেন?
ক ২০টি খ ২৫টি গ ৬০টি ঝ ৫০টির অধিক
খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
৩৩ আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?
ক কৈলাশ ছ জগু গ গোকুল ঘ কানাই
৩৪ মাসি-পিসি কীসের ব্যবসা শুরু করে?
ক ফলমূলের খ কাপড়ের গ বিড়ির ঝ তরকারির
৩৫ মাসি-পিসি তরকারি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়Ñ
ক বন্দরে ছ শহরে গ গঞ্জে ঘ মহল­ায়
৩৬ খড় মাথায় তুলে দিতে কত জনে সাহায্য করেছে?
চ ২ জনে খ ৩ জনে গ ৪ জনে ঘ ৫ জনে
৩৭ খড় স্থানান্তরের কাজ করছে কত জনে?
ক ২ জনে ছ ৩ জনে গ ৪ জনে ঘ ৫ জনে
৩৮ চৌকিদার কে?
ক কৈলেশ খ গোকুল গ বুড়ো রহমান ঝ কানাই
৩৯ নকশা পাড়ের সাদা শাড়ি পরেছে কে?
ক মাসি খ পিসি জ আহ্লাদি ঘ রহমানের মেয়ে
৪০ বাইরে থেকে মাসির উদ্দেশ্যে কে হাঁকাহাঁকি করে?
ক জগু খ কৈলেশ জ কানাই ঘ গকুল
৪১ ‘বেলা আর নেই ‘কৈলেশ’।Ñকথাটি কে বলেছে?
চ মাসি খ পিসি গ আহ্লাদি ঘ রহমান
৪২ ছাই বর্ণ বিশিষ্ট রঙকে কী বলে?
ক ছাই ছ পাণ্ডুর গ গোধুলির রং ঘ মেজেন্ডা
৪৩ ‘খপর’ কোন শব্দের আঞ্চলিক উচ্চারণ?
ক খাপরা ছ খবর গ গোবর ঘ খুপরী
৪৪ গল্পে লেখক ‘প্যাঁচালো’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
চ ব্যভিচারিতা খ নির্দয়তা গ বিতর্ক ঘ আনুগত্য
৪৫ ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় কোন পত্রিকায়?
ক যুগবানি পত্রিকায় খ কলে­াল পত্রিকায়
জ পূর্বাশা পত্রিকায় ঘ নওরোজ পত্রিকায়
৪৬ ‘মাসি-পিসি’ কী জাতীয় রচনা?
ক ছোটগল্প খ উপন্যাস গ প্রবন্ধ ঝ গল্প
৪৭ ‘ওঠানামার পথে ওরা খড় ফেলে নিয়েছে কাদায়’Ñ কেন?
চ চলাচলের সুবিধার জন্য খ খড় অনেক বেশি বলে
গ কাজে ফাঁকি দেয়ার জন্য ঘ মালিকের প্রতি রাগের কারণে
৪৮ অন্য তিনজনের মাথায় খড়ের বোঝা তুলে দেয়ার জন্য সালতিতে কতজন মানুষ ছিল?
ক একজন ছ দুইজন গ তিনজন ঘ চারজন
৪৯ কদমছাঁটা চুল বলতে কেমন চুলকে বোঝায়?
ক লম্বা চুল খ কোঁকড়ানো চুল
জ ছোট করে ছাঁটা চুল ঘ আধাপাকা চুল
৫০ লেখক প্রঢ়া অর্থে কোন বয়সকে বুঝিয়েছেন?
ক প্রবীণ খ আশিঊর্ধ্ব নারী
জ চলি­শোর্ধ্ব নারী ঘ বিধবা নারী
৫১ ‘মরণ ঠেকাতেই ফুরিয়ে আসছে তাদের জীবনীশক্তি’ Ñএখানে ‘মরণ’ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক মৃত্যু খ নিপীড়ন জ দুর্ভিক্ষ ঘ মহামারী
৫২ ভোজনের পাশাপাশি মাসি-পিসির বছরে কত জোড়া থান পরন লাগত?
ক এক জোড়া ছ দু'জোড়া
গ তিন জোড়া ঘ চারজোড়া
৫৩ দুর্ভিক্ষের সময়ে মাসি-পিসিদের থাকাটা বরাদ্দ রেখে খাওয়াটা ছাঁটাই করার কারণÑ
চ আর্থিক সংকট খ সামাজিক সংকট
গ পারিবারিক সংকট ঘ রাজনৈতিক সংকট
৫৪ “তোর মেসো ঠিক ছিল, শাউড়ি-ননদ ছিল বাঘ।” এখানে ‘বাঘ’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক ভয়ংকর খ হিংস্র জ নিষ্ঠুর ঘ ক্রুদ্ধ
৫৫ আহ্লাদির পিসে স্বভাবে কার মতো ছিল?
চ জগুর খ কৈলেশের গ গোকুলের ঘ কানাইয়ের
৫৬ গর্ভাবস্থায় মেয়েদের কার কাছে থাকতে হয় বলে মাসি জানায়?
ক মাসি-পিসির কাছে খ বাবা-মার কাছে
গ দাদা-নানির কাছে ঝ মা-মাসির কাছে
৫৭ আহ্লাদি কত মাসের গর্ভবতী?
ক তিন ছ চার গ পাঁচ ঘ ছয়
৫৮ পুলের তলা দিয়ে দ্বিতীয় যে সালতি আসে, তাতে মোট কতজন মানুষ রয়েছে?
চ দুইজন খ তিনজন গ চারজন ঘ পাঁচজন
৫৯ ‘মোটা ময়লা থানের আঁচল দুজনেরই কোমরে বাঁধা’Ñ এখানে ‘থান’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক ওড়না ছ শাড়ি গ গামছা ঘ চাদর
৬০ ‘অল্পবয়সী একটি বৌ। গায়ে জামা আছে, নকশা পাড়ের সস্তা সাদা শাড়ি’Ñ বর্ণনাটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কাকে নির্দেশ করে?
ক কৈলেশকে খ মাসিকে গ পিসিকে ঝ আহ্লাদিকে
৬১ আহ্লাদি ঘরে এসে পড়ায় মাসি-পিসির মধ্যকার মিল কী হলো?
চ জমজমাট খ সুদৃঢ় গ শক্ত ঘ ভালো
৬২ জগু আহ্লাদিকে কেন নিতে চায়?
ক যৌতুকের লোভে খ ভালোবেসে
জ সম্পত্তির লোভে ঘ আবার নির্যাতন করতে
৬৩ কাদের নজর থেকে আহ্লাদিকে সামলে রাখতে হবে মাসি-পিসির?
চ শ্বশুরঘর খ কৈলেশ-জগুর
গ বড় বাবু-দারোগা ঘ পাড়ার লোকদের
৬৪ আহ্লাদির বাবার বেশির ভাগ সম্পদ কার দখলে গেছে?
ক জগুর ছ গোকুলের
গ দারোগা বাবুর ঘ বড় বাবুর
৬৫ মাসি-পিসির উপর আহ্লাদির সব দায়িত্ব কেন?
চ মা-বাবা নেই বলে
খ তারা আহ্লাদিদের বাড়ি থাকে বল
গ আহ্লাদির বাবা তাদের খেতে দেয় বলে
ঘ জগু আহ্লাদিকে নির্যাতন করে বলে
৬৬ আহ্লাদিকে একা রেখে কোথাও যেতে মাসি-পিসির সাহস হয় না কেন?
চ একা পেয়ে কেউ ক্ষতি করবে বলে
খ জগু তুলে নিয়ে যাবে বলে
গ একা থাকতে আহ্লাদি ভয় পায় বলে
ঘ তারা আহ্লাদিকে অনেক ভালোবাসে বলে
৬৭ দারোগা বাবু কার সাথে বসে আছে বলে কানাই মাসি-পিসিকে জানায়?
ক সরকার বাবুর সাথে খ ইন্সপেক্টর বাবুর সাথে
জ বাবুর সাথে ঘ জগুর সাথে
৬৮ আহ্লাদিকে মাসি-পিসি বদ মতলবে আটকে রেখেছে বলে কার ধারণা?
চ জগুর খ কৈলেশের
গ দারোগার ঘ রহমানের
৬৯ স্বামী নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখা আইনের দৃষ্টিতে কেমন?
ক স্বাভাবিক খ অন্যায়
গ মহাপাপ ঝ শাস্তিযোগ্য অন্যায়
৭০ ‘জেল হয়ে যাবে তোমাদের’Ñ উক্তিটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
চ আশঙ্কা খ দুঃখ
গ ঘৃণা ঘ আনন্দ
৭১ সরকার বাবুর সঙ্গে মাসি-পিসির ঝগড়া হয়েছে কী নিয়ে?
ক আহ্লাদীর দর নিয়ে ছ বাজারের তোলা নিয়ে
গ তরকারি বিক্রি নিয়ে ঘ বাজারে জায়গা দখল নিয়ে
৭২ মাসি-পিসি মূলত কোন সমাজের কাছে হার মেনেছে?
ক সন্ত্রাসী সমাজ খ মাতৃতান্ত্রিক সমাজ
জ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ঘ বাবুশাসিত সমাজ
৭৩ মাসি-পিসি আহ্লাদিকে কোথায় পাঠাতে নারাজ?
ক স্কুলে খ কাজে
জ শ্বশুরবাড়িতে ঘ শহরে
৭৪ “এতবড় সোমত্ত মেয়া”Ñ আহ্লাদিকে নির্দেশ করে এ কথা কে বলেছে?
ক মাসি ছ কৈলেশ গ পিসি ঘ দারোগা বাবু
৭৫ মাসি-পিসির ঘরে মোট কতজন মানুষ থাকে?
ক দুজন ছ তিনজন গ চারজন ঘ পাঁচজন
৭৬ “খুনসুটি রাখো দিকি কৈলেশ তোমার”Ñ মাসির এ উক্তিটিতে কৈলেশের প্রতি কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক øেহ ছ বিরক্তি গ অনুজ্ঞা ঘ ক্ষোভ
৭৭ উজ্জ্বল জ্যোৎøায় কোন লোকটাকে মাসি-পিসির অচেনা মনে হলো?
চ মাথায় লাল পাগড়ি আঁটা লোকটা
খ মাথায় সবুজ পাগড়ি আঁটা লোকটা
গ তিন জন পেয়াদার শেষের জনকে
ঘ তিনজন পেয়াদার প্রথম জনকে
৭৮ বাইরে দিন কাটলেও আহ্লাদির কোনো পরিশ্রম হয়নি কেন?
ক শুয়ে-বসে ছিল বলে
ছ মাসি-পিসি কাজ করতে দেয়নি বলে
গ মাসি-পিসি নিজেরাই নৌকা চালিয়েছে বলে
ঘ আহ্লাদি নিজে থেকে কোনো কাজ করতে চায়নি বলে
৭৯ কে আহ্লাদিকে পাওয়ার হাল এখনো ছাড়েনি?
ক জগু খ কানাই জ গোকুল ঘ ওসমান
৮০ জগু কে?
ক মাসির স্বামী খ পিসির স্বামী
জ আহ্লাদির স্বামী ঘ কৈলেশের আপন ভাই
৮১ জগুর সাথে কৈলেশের কোথায় দেখা হয়েছে বলে উলে­খ করা হয়েছে?
ক মদের দোকানে ছ চায়ের দোকানে
গ মন্দিরের চাতালে ঘ বাজারের মোড়ে
৮২ পিসির মতে জগু বারো মাস কোথায় পড়ে থাকে?
ক বাজারে ছ শুঁড়িখানায়
গ খালে-বিলে ঘ ফকিরের আস্তানায়
৮৩ ‘জগু আর সেই জগু নেই’Ñ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
চ জগুর চরিত্রে পরিবর্তন এসেছে
খ জগুর চরিত্র অপরিবর্তনীয় রয়েছে
গ জগু আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে
ঘ জগু মারা গেছে
৮৪ মাসি-পিসি বুকে নতুন জোর পায় কেন?
ক প্রতিবেশীরা তাদের সাথে আছে বলে
ছ সবাই কানাইয়ের উপর রেগে আছে বলে
গ সবার সঙ্গে একই আচরণ করা হয়েছে বলে
ঘ প্রতিবেশীরা তাদের সান্ত্বনা দিয়েছে বলে
৮৫ কীভাবে আহ্লাদির গর্ভপাত হয়েছিলো?
চ লাথির চোটে খ আছাড় খেয়ে
গ জ্বীনের আছরে ঘ স্বাভাবিকভাবে
৮৬ জগু আহ্লাদিকে কীসের সাথে দিনভর বেঁধে রাখতো?
ক বেড়ার সাথে ছ খুঁটির সাথে
গ গাছের সাথে ঘ চালের সাথে
৮৭ জগু মাসি-পিসির বাড়িতে গেলে কেমন অভ্যর্থনা পায়?
ক গালমন্দ শোনে খ কটু কথা শোনে
গ অসম্মানিত হয় ঝ জামাই আদর পায়
৮৮ ‘বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো’Ñ এ উক্তিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক স্বামীর প্রতি ভালোবাসা খ খুনের প্রতি ঘৃণা
গ মেয়ের প্রতি ভালোবাসা ঝ মেয়ে জামাইয়ের প্রতি দরদ
৮৯ মাসির মতে, মেয়ের জামাই যতবার আসবে, ততবার কী পাবে?
ক অভ্যর্থনা খ খাবার গ অপবাদ ঝ জামাই-আদর
৯০ মায়ের বোন মাসি হলে বাপের বোন হলো কী?
ক ঠাকুরঝি ছ পিসি
গ ঠাম্মা ঘ মাসিমা
৯১ কোন কলেজ থেকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আই এসসি পাস করেন?
চ বাঁকুড়া ওয়েসলিয় মিশন কলেজ
খ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ
গ মেদেনীপুর সেন্ট্রাল কলেজ
ঘ কুচবিহার মডার্ন কলেজ
৯২ কৈলেশের সাথে নৌকায় যে বৃদ্ধ থাকে, তার নাম কী?
ক রহিম মিয়া খ করিম মিয়া
জ বুড়ো রহমান ঘ আলিম মিয়া
৯৩ বুড়ো রহমানের মেয়ে কোথায় মারা গেছে?
ক বাবার বাড়িতে খ নৌকাডুবিতে
গ পথে হাড়িচাপায় ঝ শ্বশুরবাড়িতে
৯৪ শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ার জন্য কে দাপাদাপি করে কেঁদেছে?
ক আহ্লাদি খ মাসি
জ রহমানের মেয়ে ঘ পিসি
৯৫ জমির সারাক্ষণ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে, জমিরের সাথে ‘মাসি-পিসি' গল্পের কার মিল রয়েছে?
ক বুড়ো রহমানের খ কৈলেশের
জ জগুর ঘ দারগা বাবুর
৯৬ আহ্লাদির দিকে কে ছলছল চোখে তাকায়?
ক জগু খ কৈলেশ
জ রহমান ঘ মাসি
৯৭ রহমান তার মেয়েকে জোর করে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছিল কেন?
চ মেয়ের ভালোর জন্য খ মেয়ের মৃত্যুর জন্য
গ সমাজের মুখ রক্ষার জন্য ঘ বিভিন্ন চাপের জন্য
৯৮ জগু বৌ নেওয়ার জন্য কী করবে?
ক মারামারি করবে খ বিচার বসাবে
জ মামলা করবে ঘ প্রার্থনা করবে
৯৯ আহ্লাদি অস্ফুট আর্তনাদের মতো শব্দ করে কেন?
ক মাসির কথা শুনে খ রহমানের দিকে তাকিয়ে
গ কৈলেশের কথা মনে করে ঝ মামলার কথা শুনে
১০০ কার ফ্যাঁকাসে মুখে রহমান নিজের মেয়ের মুখের ছাপ দেখতে পায়?
ক মাসির খ পিসির
জ আহ্লাদির ঘ আহ্লাদির মায়ের
১০১ নিরাশ্রয় বিধবারা কীভাবে বেঁচে থাকে?
ক আরাম-আয়েশে ছ কুড়িয়ে খেয়ে
গ ভিক্ষা করে ঘ ঝগড়া করে
১০২ কোথায় ফলমূলের দাম চড়া?
ক গ্রামের বাজারে খ সবখানে
গ আড়তে ঝ শহরের বাজারে
১০৩ মাসি-পিসি জীবিকার তাগিদে কীসের ব্যবসা শুরু করে?
ক কাপড়ের ব্যবসা ছ শাকসবজির ব্যবসা
গ খড়ের ব্যবসা ঘ হাঁস-মুরগির ব্যবসা
১০৪ মাসি-পিসিরা ঘড়া আর হাঁড়ি-কলসিতে কোথা থেকে জল নিয়ে এসে ভর্তি করে রাখে?
ক পুকুর খ খাল গ নদী ঝ ডোবা
১০৫ দুর্ভিক্ষকে ঠেকিয়েছিল কে?
ক আহ্লাদির মা ছ আহ্লাদির বাবা
গ মাসি ঘ পিসি
১০৬ আহ্লাদির বাবা কী রোগে মারা যায়?
ক আমাশয় খ ডেঙ্গুজ্বর জ কলেরা ঘ কালাজ্বর
১০৭ কলেরায় আহ্লাদি পরিবারের কত জন সদস্যকে হারিয়েছিল?
ক দুইজন ছ তিনজন গ চারজন ঘ পাঁচজন
১০৮ ‘রফিক মিয়ার মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হয়ে মারা গেছে’Ñ রফিক মিয়ার সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কার মিল রয়েছে?
ক জগুর খ কৈলেশের
গ দারোয়ানের ঝ রহমানের
১০৯ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে পাতাশূন্য গাছটাতে কোন পাখির দল উড়ে এসে বসেছে?
ক টিয়া পাখিরা খ কাকেরা
গ চিলেরা ঝ শকুনেরা
১১০ মাসি-পিসির সমস্ত মন জুড়ে কীসের ভাবনা রয়েছে?
ক ব্যবসার ভাবনা খ নতুন সংসারের ভাবনা
জ আহ্লাদিকে রক্ষার ভাবনা ঘ পালিয়ে যাবার ভাবনা
১১১ আহ্লাদির সব দায়িত্ব মাসি-পিসি কেন নিয়েছে?
ক সাবালিকা বলে খ বিধবা বলে
জ পিতা-মাতা হারা বলে ঘ ধনী বলে
১১২ আহ্লাদিকে মাসি-পিসি শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর কথা চিন্তাও করতে পারে না কেন?
ক স্বামী মাতাল বলে খ স্বামী পঙ্গু বলে
গ স্বামী উদাস বলে ঝ স্বামী খুনী বলে
১১৩ স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কথা ভাবতেই আহ্লাদির মনে কী জন্ম নেয়?
চ আতঙ্ক খ আনন্দ গ ভালোবাসা ঘ ঘৃণা
১১৪ আহ্লাদির কয় জন ভাই ছিল?
চ এক জন খ দুই জন গ তিন জন ঘ চার জন
১১৫ আহ্লাদির বাবা মাসি-পিসির খাবার ছাঁটাই করেছিলেন কেন?
ক রাগের কারণে খ পর হওয়ার কারণে
জ দুর্ভিক্ষের কারণে ঘ কোনো কারণ ছাড়াই
১১৬ কাদের সেবা-যতেœ মৃত্যু পথযাত্রী আহ্লাদি বেঁচে গিয়েছিল?
চ মাসি-পিসির খ পিতা-মাতার
গ পাড়া-প্রতিবেশীর ঘ ননদ-শাশুড়ীর
১১৭ বিক্রির জন্য মাসি-পিসি শাকসবজি ও ফলমূল কোথা থেকে সংগ্রহ করতো?
চ গেরস্ত বাড়ি থেকে খ মাঠ থেকে
গ বাজার থেকে ঘ শহর থেকে
১১৮ ‘নিজেকে তার ছ্যাঁচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে’Ñ কার?
ক মাসির খ জগুর জ আহ্লাদির ঘ পিসির
১১৯ আহ্লাদির পিতার মোট সম্পদের কতভাগ গোকুল কেড়ে নিয়েছে?
ক চার ভাগের একভাগ খ চার ভাগের দুই ভাগ
জ চার ভাগের তিন ভাগ ঘ পুরো চারভাগ
১২০ ‘ওরা এসে আহ্লাদিকে নিয়ে যাবে’Ñ কারা?
ক দারোগার লোকেরা খ সরকার বাবুর লোকেরা
গ জগুর লোকেরা ঝ গুন্ডা, সাধু বৈদ্য, ওসমানেরা
১২১ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে পাড়ায় রাতে হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি শুরু হয় কেন?
ক ডাকাত আসায় খ পুলিশ আসায়
জ মাসি-পিসির চিৎকারে ঘ বিপিনের মৃত্যুতে
১২২ পাড়ার লোক ছুটে এসে মাসি-পিসি কার কার চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করতে সাহস পায়?
ক গোকুল ও কৈলেশের ছ গোকুল ও দারোগাবাবুর
গ দারোগাবাবু ও জগুর ঘ জগু ও কৈলেশের
১২৩ মাসি-পিসি কেন হাঁকডাক শুরু করেছিল?
চ কানাইকে ভড়কে দেয়ার জন্য
খ গ্রামবাসীর সাহায্য পাওয়ার জন্য
গ আহ্লাদিকে রক্ষা করার জন্য
ঘ গোকুলকে মার দেয়ার জন্য
১২৪ দুর্বৃত্তরা সোনাদের ঘরে মাঝরাতে আগুন দেয় কেন?
ক মেয়েকে বিয়ে দেয়ায়
খ মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর
জ মেয়েকে কুটুমবাড়িতে পাঠানোয়
ঘ মেয়েকে ঘরে আটকে রাখার
১২৫ আসন্ন যুদ্ধের জন্য মাসি-পিসি কী করে?
ক কান্নাকাটি খ হাহাকার
গ সলা-পরামর্শ ঝ আয়োজন
১২৬ আহ্লাদিকে পাওয়ার জন্য কে মাসি-পিসিকে পাগল করে তুলেছে?
ক কৈলেশ ছ গোকুল
গ জগু ঘ দারোগাবাবু
১২৭ “মায়ের বাড়া তার এই মাসি-পিসি”  উক্তিটি দ্বারা কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক মায়ের মতোই এই মাসি-পিসি
খ মায়ের শত্র“ এই মাসি-পিসি
গ মায়ের চেয়ে কম এই মাসি-পিসি
ঝ মায়ের চেয়ে বেশি এই মাসি-পিসি
১২৮ কখন থেকে মাসি-পিসির মধ্যে বেঁচে থাকার সাহস জাগে?
ক দুর্ভিক্ষের সময় থেকে খ মহামারীর সময় থেকে
গ আহ্লাদির অসুস্থতার সময় থেকে
ঝ ব্যবসা শুরুর পর থেকে
১২৯ কানাই চৌকিদারের সাথে আর কতজন লোক রাতে মাসি-পিসির বাড়িতে আসে?
ক দুইজন ছ চারজন গ ছয়জন ঘ আটজন
১৩০ কানাই চৌকিদারের সাথে কতজন পেয়াদা মাসি-পিসির বাড়িতে আসে?
ক একজন খ দুইজন জ তিনজন ঘ চারজন
১৩১ কানাই চৌকিদারের সাথে আসা যে লোকটাকে মাসি-পিসি চিনতে পারে না, তার মাথায় কী রয়েছে?
চ লাল পাগড়ি খ নীল পাগড়ি
গ বাবড়ি চুল ঘ মস্ত টাক
১৩২ কানাই চৌকিদার মাসি-পিসিকে কোথায় নিয়ে যেতে এসেছে?
ক সরকারবাবুর ঘরে ছ কাছারিবাড়িতে
গ থানায় ঘ গ্রাম্য সালিশে
১৩৩ মাসি-পিসির মতে কখন জগু ঠিক হয়ে যাবে?
ক আহ্লাদি শ্বশুরবাড়ি গেলে খ আহ্লাদির সম্পদ পেলে
গ আহ্লাদি জগুর কাছে ক্ষমা চাইলে
ঝ আহ্লাদির সন্তান হলে
১৩৪ শুক্লপক্ষের দ্বাদশীর রাতে জ্যোৎøা কেমন হয়?
ক হালকা উজ্জ্বল খ অনুজ্জ্বল
জ বেশ উজ্জ্বল ঘ অসম্ভব উজ্জ্বল
১৩৫ ঘরে গিয়ে আবার মাসি যখন কানাই চৌকিদারের সামনে আসে, তখন তার হাতে কী থাকে?
ক রামদা খ ছুরি জ বঁটি ঘ খুন্তি
১৩৬ ঘরে গিয়ে পিসি কী হাতে করে আবার কানাইয়ের সামনে ফিরে আসে?
চ কাটারি খ বঁটি গ চাকু ঘ বল­ম
১৩৭ ‘মেয়েলোকের এতরাতে কাছারি বাড়িতে যেতে লজ্জা করে’ মাসি-পিসি গল্পে এ উক্তিটি কার?
ক আহ্লাদির ছ মাসির গ পিসির ঘ কানুর মায়ের
১৩৮ ভালোয় ভালোয় না গেলে মাসি-পিসিকে কীভাবে ধরে নেয়ার হুকুম আছে?
ক কানে ধরে ছ ধরে বেঁধে টেনে হিঁচড়ে
গ শেকল দিয়ে বেঁধে ঘ বেত দিয়ে পেটাতে পেটাতে
১৩৯ ‘কে এগিয়ে আসবে এসো, বঁটির এক কোপে গলা ফাঁক করে দেবো’Ñ এ উক্তিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক অবশ্যই দু’একটাকে কাটবো
খ দু’একটাকে না মেরে শান্তি নেই
জ যদি এগিয়ে আসো, তবে মারা পড়বে
ঘ এগিয়ে না এলে গলা কাটবো
১৪০ কানাই চৌকিদার যখন মাসি-পিসিকে ডাকতে আসে, তখন কোথায় তিন-চারজন ঘুপটি মেরে লুকিয়েছিল?
ক ঘরের পেছনে ছ কাঁঠাল গাছের ছায়ায়
গ ডোবার পানিতে ঘ ফনিমনসার ঝোঁপে
১৪১ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে কোন চরিত্রের বাবরি চুল রয়েছে?
চ সাধু বৈদ্যের খ কৈলেশের
গ বুড়ে রহমানের ঘ চৌকিদার কানাইয়ের
১৪২ কানাই চৌকিদারের সাথে লাল পাগড়িওয়ালা যে অচেনা লোকটি মাসি-পিসির বাড়িতে আসে সে আসলে কে?
ক একজন চৌকিদার খ একজন দফাদার
জ একজন কনস্টেবল ঘ একজন দারোগা
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
১৪৩ ‘প্রৌঢ়া’ বলতে কোন বয়সকে নির্দেশ করা হয়েছে?
ক ১৫ Ñ ২০ বছর খ ২০ Ñ ২৫ বছর
জ ৩৫ Ñ ৪০ বছর ঝ ৪৫ Ñ ৫০ বছর
১৪৪ “মাথায় তুলে রাখা” মানেÑ
ক মাথার মধ্যে মারা ছ খুব আদর-যতœ করা
গ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া ঘ ঘৃণা অবহেলা করা
১৪৫ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে ‘পাষাণ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে যে অর্থেÑ
ক শিলা খ পাথর জ হৃদয়হীন ঘ বাটখারা
১৪৬ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে ‘শকুনেরা’ কীসের প্রতীক?
ক দুঃশাসন খ দীর্ঘশ্বাস
গ হাহাকার ঝ দুঃসময় ও শঙ্কা
১৪৭ ‘পয়সা কামানো’ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক রোজগার খ ব্যবসা
গ পতিতাবৃত্তি ঝ গৃহস্থালির কাজ
১৪৮ ‘ইয়ার্কি’ শব্দের আঞ্চলিক উচ্চারণ হিসেবে ‘মাসি-পিসি’ গল্পে যে শব্দটি এসেছে তাহলোÑ
ক কাটারি ছ এর্কি গ মেয়া ঘ লগি
১৪৯ ‘সালতি' শব্দের অর্থ কী?
ক কাঁঠাল কাঠের সরু ডোঙা ছ শালকাঠ নির্মিত ডোঙা
গ মাথার চুল বিশেষ ঘ সন্ধ্যার প্রদীপের আলো
১৫০ নৌকা চালানোর জন্য ব্যবহৃত বাঁশের দণ্ডকে কী বলা হয়?
চ লগি খ হাতল গ ব্যঞ্জন ঘ লাঠি
১৫১ ‘খুনসুটি’ অর্থÑ
চ ঝগড়াঝাটি খ একগুঁয়ে গ বয়স্ক ঘ হালকা
১৫২ ‘সোমত্ত’ শব্দের অর্থ কী?
ক শাস্তি ছ যৌবনপ্রাপ্ত গ সোমবার ঘ সন্ডা
১৫৩ ‘বেমক্কা’ শব্দের অর্থÑ
ক বেহিসেবী ছ অসংগত গ বেঈমান ঘ বেরসিক
১৫৪ ‘রাত’ শব্দটির সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
ক যামিনী খ বিভাবরী জ দিনমান ঘ নিশি
১৫৫ ‘হাঙ্গামা’ শব্দের অর্থ কী?
ক হানাহানি খ সংঘর্ষ জ বিশৃঙ্খলা ঘ শৃঙ্খলা
১৫৬ ‘মরণ’ শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
চ জীবন খ মৃত্যু গ ইন্তেকাল ঘ তিরোধান
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
১৫৭ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে মাসি-পিসি কীসের প্রতীক?
ক অত্যাচারী নারীর
ছ অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সংগ্রামী হয়ে ওঠা নারীর
গ আত্মঅহংকারী নারী ঘ স্বার্থপর নারীর
১৫৮ ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
ক যুগবাণী পত্রিকায় খ কলে­াল পত্রিকায়
জ পূর্বাশা পত্রিকায় ঘ নওরোজ পত্রিকায়
১৫৯ ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি কোন গল্পগ্রন্থে সংকলিত হয়?
ক প্রাগৈতিহাসিক ছ পরিস্থিতি
গ জননী ঘ মানিক গল্পসমগ্র
১৬০ ‘মাসি-পিসি’ গল্প কত খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়?
চ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে খ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
গ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ঘ ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে
১৬১ ১৩৫২ বঙ্গাব্দের কোন সংখ্যায় ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়?
ক শ্রাবণ খ ভাদ্র গ ফাল্গুন ঝ চৈত্র
১৬২ ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কাহিনি রচিত হয়েছে মূলত কোন চরিত্রের আবহে?
ক জগু খ মাসি গ পিসি ঝ আহ্লাদি
১৬৩ ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি কোন গল্পগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
চ পরিস্থিতি খ সরীসৃপ
গ প্রাগৈতিহাসিক ঘ হলুদপোড়া
১৬৪ মাসি-পিসির বর্তমান পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে কোথা থেকে?
ক মানিক রচনাবলি ৩য় খণ্ডজস
খ মানিক রচনাবলি ৪র্থ খণ্ড
জ মানিক রচনাবলি ৫ম খণ্ড
ঘ মানিক রচনাবলি ৬ষ্ঠ খণ্ড
ঙ বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নোত্তর :
১৬৫ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে খ্যাতি লাভ করেছেনÑ
র. উপন্যাস লিখে
রর. কবিতা লিখে
ররর. ছোটগল্প লিখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর
জ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৬ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেনÑ
র. বিজ্ঞানমনস্ক
রর. বাস্তববাদী
ররর. স্বপ্নবিলাসী
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র খ রর গ র ও ররর ঘ ররর
১৬৭ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস হলোÑ
র. অতসীমামী
রর. জননী
ররর. পদ্মানদীর মাঝি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ রর ও ররর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১৬৮ ‘সড়গড়’ যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছেÑ
র. রপ্ত
রর. অভ্যস্ত
ররর. স্মৃতিগত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৬৯ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে খালে ভাটা আসার কারণেÑ
র. পানি কমে গেছে
রর. ভাঙা ইট পাটকেল বেরিয়ে পড়েছে
ররর. ওজনে ভারি আবর্জনা বেরিয়ে পড়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৭০ জগু যে প্রকৃতির মানুষÑ
র. স্বল্পভাষী
রর. নির্দয়
ররর. লোভী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও ররর ঝ রর ও ররর
১৭১ জগু আহ্লাদিকে যেভাবে নির্যাতন করতোÑ
র. লাথি মারতো
রর. কলকোপোড়া ছ্যাঁকা দিত
ররর. বেঁধে রেখে দিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর ঝ র, রর ও ররর
১৭২ এই সমাজে আহ্লাদি হলোÑ
র. নির্যাতিতা
রর. অত্যাচারিতা
ররর. স্বামী পরিত্যক্তা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ ররর ঝ র, রর ও ররর
১৭৩ মাসি-পিসিকে বলা যায়Ñ
র. বিধবা
রর. প্রৌঢ়া
ররর. গরিব

নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৭৪ গল্প ও উপন্যাস ছাড়াও মানিক বন্দোপাধ্যায় লিখেছেনÑ
র. পালাগান
রর. প্রবন্ধ
ররর. ডায়েরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৫ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প হলোÑ
র. জননী
রর. টিকটিকি
ররর. হলুদ পোড়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৬ সালতি বলা হয়Ñ
র. শাল কাঠের ডোঙা
রর. তাল গাছের কাঠের সরু ডোঙা
ররর. আম কাঠের নৌকাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৭ ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদিÑ
র. স্বামীর সংসারে সুখী
রর. স্বামীর সংসারে নির্যাতিত
ররর. মাসি-পিসির আদরে লালিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৮ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে জগুÑ
র. হৃদয়হীন নিষ্ঠুর
রর. মাতাল
ররর. লোভী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৭৯ মহামারীতে আহ্লাদি হারায়Ñ
র. বাবাকে
রর. মাকে
ররর. ভাইকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৮০ মাসির মতে জগু হলোÑ
র. বজ্জাত
রর. খুনে
ররর. মাতাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৮১ পূর্বে মাসির সঙ্গে পিসিরÑ
র. সম্পর্ক ভালো ছিল না
রর. রেষারেষি, কোন্দল ছিল
ররর. ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮২ জগু শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এলেÑ
র. ভালোমন্দ খাবার দেয়া হয়
রর. গালমন্দ করা হয়
ররর. জামাই আদর পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৮৩ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অনেকটা সমধর্মীÑ
র. মাসি-পিসি
রর. জগু-গোকুল
ররর. কানাই-ওসমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৮৪ মাসি-পিসি বাঁটি ও কাটারি হাতে কানাইদের সামনে আসে কেন?
র. তাদের ভড়কে দেয়ার জন্য
রর. আহ্লাদিকে বাঁচানোর জন্য
ররর. গোকুলকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৫ মাসি-পিসিকে কাছারিবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কারণÑ
র. সেখানে নিয়ে তাদের অপমান করা
রর. আহ্লাদিকে তুলে নিয়ে যাওয়া
ররর. জগুর মনোবাসনা পূর্ণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৬ মাসি এবং পিসির মধ্যে যে দিকটি বিশেষভাবে সাদৃশ্যপূর্ণÑ
র. তারা সমবয়সী
রর. শ্বশুরঘরে নির্যাতন
ররর. সন্তান জন্মদানে কদরবৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৭ ‘মাসি-পিসি' গল্পে দুর্ভিক্ষের সময়Ñ
র. মাসি-পিসি আহ্লাদিকে রক্ষা করেছে
রর. মাসি-পিসি নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে
ররর. আহ্লাদি স্বামীর বাড়ি থেকে ফেরত এসেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৮৮ মাসি-পিসি দুজনেরইÑ
র. এক অবস্থা
রর. সমান বয়স
ররর. এক ঘরে বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৮৯ “বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো”-মাসির এই ভাবনার কারণÑ
র. সমাজ পুরুষতান্ত্রিক
রর. মাসিপিসির অসহায়ত্ব
ররর. সামাজিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯০ মাসি-পিসি আহ্লাদিকে জগুর কাছে পাঠাতে চায় নাÑ
র. খুন হওয়ার ভয়ে
রর. সম্পত্তি দখলের ভয়ে
ররর. গর্ভপাতের ভয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ ররর জ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯১ মাসি-পিসি শহরের বাজারে নিয়ে যায়Ñ
র. তরিতরকারি
রর. বাগানের ফলমূল
ররর. হোগলা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯২ মাসি এবং পিসির এক দেহ এক মন হয়ে যাওয়ার কারণÑ
র. ব্যবসায়িক সম্পর্ক
রর. আহ্লাদির দেখাশোনার ভার
ররর. নিজেদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯৩ পিসির স্বামী ছিলো জগুর মতো, কারণÑ
র. সে মাল টানতো
রর. সে পিসিকে মারতো
ররর. সে শুঁড়িখানায় যেত
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৪ পূর্বে মাসির উপর পিসির অহংকার করার কারণÑ
র. আহ্লাদির বাবা তার আপন ভাই
রর. পিসি এই বাড়িরই মেয়ে
ররর. অর্থনৈতিকভাবে পিসি কিছুটা ভালো ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৫ “একজনের বয়স হয়েছে, আধপাকা চুল, রোগা শরীর”Ñএখানে কার কথা বলা হয়েছে?
র. বৃদ্ধ লোকটির
রর. রহমানের
ররর. কৈলেশের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর জ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১৯৬ জগু আহ্লাদির উপর যে নির্যাতন করতÑ
র. লাথি ঝাঁটা মারত
রর. কলকেপোড়া ছ্যাঁকা দিত
ররর. খুঁটির সাথে বেঁধে রাখত দিন-রাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৭ কানাই চৌকিদার মাসি-পিসির বাড়িতে আসার মূল কারণ হলোÑ
র. মাসি-পিসির অন্যায়ের শাস্তি দেওয়া
রর. মাসি-পিসিকে ঘর থেকে বের করা
ররর. আহ্লাদির ক্ষতি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯৮ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে জগুÑ
র. হৃদয়হীন নিষ্ঠুর
রর. মাতাল
ররর. লোভী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৯ মাসি-পিসির ডাকাডাকিতে পাড়ায়Ñ
র. ডাকাডাকি শুরু হয়
রর. অনেকে ছুটে আসে
ররর. অনেকে জানালা খুলে উঁকি দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর

চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
* নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২০০  ২০২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
চারিদিকে বন্যার পানি আর পানি। বিধবা রহিমা তার দুই সন্তানকে একরকম অনাহারেই রেখেছে। কোথাও কোন সাহায্য পায় না। এক পর্যায়ে সে লজ্জাসরম ফেলে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে বেঁচে থাকার তাগিদে।
২০০ মাসি-পিসি কীসের ব্যবসা শুরু করেন?
ক ডিমের খ নারকেলের গ আমের ঝ সবজির
২০১ উদ্দীপকের রহিমা গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?
চ মাসি-পিসি খ আহ্লাদি
গ রহমান ঘ কৈলাশ
২০২ উভয় চরিত্রে প্রকাশিত হয়েছেÑ
র. জীবন-সংগ্রামের প্রস্তুতি
রর. অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই
ররর. দুর্ভিক্ষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও রর গ ররর ঘ রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২০৩  ২০৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
পরেশ তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসে। সারাক্ষণ চিন্তা করে কীভাবে তাকে ভালো রাখা যাবে। কিন্তু তার স্ত্রী দিপালী স্বামীর ভালোবাসার মূল্যায়ন না করে গরিব বলে বাবার বাড়ি চলে যায়।
২০৩ ‘সোমত্ত’ শব্দের অর্থ কী?
ক শাস্তি ছ যৌবনপ্রাপ্ত
গ সোমবার ঘ সণ্ডা
২০৪ উদ্দীপকের পরেশের সাথে গল্পের জগুর বৈসাদৃশ্য রয়েছেÑ
র. আচরণে
রর. মূল্যবোধে
ররর. ভালোবাসায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও রর গ র ও ররর ঘ ররর
২০৫ উদ্দীপকের দিপালীর ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে অমিল রয়েছে?
চ আহ্লাদির খ মাসির গ পিসির ঘ জগুর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২০৬ ও ২০৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
সাহস মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, ভয় মানুষকে মৃত্যুর আগেই মৃত্যু-পথযাত্রী করে তোলে।
২০৬ উদ্দীপকের মূলভাব প্রকাশ পেয়েছে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রে?
চ মাসি-পিসি খ মাসি-আহ্লাদি
গ পিসি-কৈলেশ ঘ কৈলেশ-জগাই
২০৭ উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আলোকে বলা যায়Ñ
র. বিপদে সাহস প্রয়োজন
রর. ভয় বিপদ বাড়ায়
ররর. মাসি-পিসি দুজনেই সাহসী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
* নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২০৮ ও ২০৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঘরের চালে খড় চাপাতে চাপাতে মন্তু দেখতে পায় রাহেলা বেগমকে। জোরে ডাক দেয়। রাহেল বেগম এলে মন্তু বলে “ভাবি, যাও কই, বসো পান খাও,” রাহেলা বেগমের বিরক্তি ধরে। বেলা প্রায় শেষ, ঘরে অনেক কাজ বাকি।
২০৮ উদ্দীপকের রাহেলা বেগমের সাথে মাসি-পিসি গল্পের কোন চরিত্রদ্বয়ের সাদৃশ্য রয়েছে?
ক মাসি ও আহ্লাদির খ পিসি ও আহ্লাদির
জ মাসি ও পিসির ঘ আহ্লাদি ও কানুর মায়ের
২০৯ উদ্দীপকের মন্তুকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আলোকে বলা যায়Ñ
র. কৈলেশ চরিত্রের প্রতিনিধি
রর. সময় অপচয়কারী
ররর. একজন শ্রমজীবী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
* নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২১০ থেকে ২১২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারী-অগ্রগতি বড় ভূমিকা রাখলেও ঘরের মধ্যে নারীর অবস্থা তেমন বদলায়নি। দেশের বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীর দ্বারা কোনো না কোনো সময়ে, কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
২১০ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে?
র. স্ত্রী-নির্যাতন
রর. জীবনমান উন্নয়নে নারীর ভূমিকা
ররর. ভ্রƒণ হত্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১১ কোন গল্পের সঙ্গে উদ্দীপকটি সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক চেতনার এ্যালবাম চ মাসি-পিসি
গ তাজমহল ঘ সভ্যতা
২১২ জগু এবং উদ্দীপকের মতো স্বামীরা সমাজের চোখেÑ
র. ঘৃণিত
রর. নিন্দিত
ররর. বর্জনীয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
* নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২১৩Ñ২১৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
রামদাস তার একমাত্র মেয়ে মালিনাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়েছেন ভিটে-মাটি বিক্রি করে। কিন্তু দুদিন বাদেই মেয়ে হাজির। শরীরে ক্ষত-চিহ্নের শুকনো দাগ। মেয়ের জামাই টাকা চায় শ্বশুরের কাছে।
২১৩ উদ্দীপকটিতে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক কৈলেশের হঠকারিতা ছ জগুর স্ত্রী নির্যাতন
গ বাঁচার জন্য সংগ্রাম ঘ সাহসের জয়
২১৪ উদ্দীপকের রামদাসের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য পাওয়া যায়?
ক কানাইয়ের খ কৈলেশের
জ আহ্লাদির বাপের ঘ দারোগা বাবুর
২১৫ উদ্দীপকের মলিনা ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি, দুজনেইÑ
র. স্বামীর দিক থেকে নির্যাতিতা
রর. নারী হওয়ায় নির্যাতিতা
ররর. সামাজিক বৈষম্যের শিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
* নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২১৬ ও ২১৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
আবুল বউকে মেরে শান্তি পায়। পাশবিক নির্যাতনে তার বউ অবশেষে আত্মহত্যা করে। আবুল পুনরায় বিয়ে করে এবং আবারও স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে।
২১৬ উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হলোÑ
চ নারী-নির্যাতন
খ পুরুষের আধিপত্যবাদী মনোভাব
গ নারীর অসহায়ত্ব ঘ উগ্রতা
২১৭ উদ্দীপকের আবুল ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
চ জগু খ কৈলেশ গ কানাই ঘ গোকুল


 রিভিশন অংশ (জবারংরড়হ)
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলে­খ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

 বাড়ির কাজ
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পের গোকুলকে দুষ্ট প্রতিবেশী বলা যায় কোন বিবেচনায়, তা ব্যাখ্যা কর।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদিও অন্যের আশ্রয়ে মানুষ হচ্ছে। এ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির জীবন-সংগ্রামের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির দাম্পত্য-জীবনে যন্ত্রণার দিকটি ব্যাখ্যা কর।
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পে প্রতিবেশিদের যে-ইতিবাচক মানসিকতার প্রকাশ পেয়েছে  ব্যাখ্যা কর।
 গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
 ‘মাসি-পিসি’ গল্পের প্রধান দুই নারী চরিত্র মাসি ও পিসি। দুজনেই বিধবা, নিঃসন্তান, অত্যন্ত গরীব, তাদের টিকে থাকার সংগ্রামই এ গল্পের আলেখ্য।
 ‘মাসি-পিসি' গল্পের আহ্লাদি অনাথ ও বিবাহিতা। স্বামীর সংসারে নির্যাতন সয়ে অবশেষে পৈতৃক ভিটায় এসে মাসি-পিসির কাছে আশ্রয় নেয়।
 জগু ‘মাসি-পিসি’ গল্পের প্রধান পুরুষ চরিত্র। সে মদ্যপ, স্ত্রী-নির্যাতনকারী ও সম্পদলোভী। শ্বশুরবাড়ির সম্পদ পাওয়ার লোভে সে অনেক ক‚ট-কৌশল প্রয়োগ করে।
 কৈলেশকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পে তোষামুদে হিসেবে পাওয়া যায়। সে মূলত জগুর পক্ষ নিয়ে মাসি-পিসির কাছে উমেদারি করে।
 বুড়ো রহমান এ গল্পে অপ্রধান চরিত্র। তাকে সন্তানহারা, øেহপরায়ণ পিতা হিসেবে পাওয়া যায়।
 মাসি ও পিসি আহ্লাদিকে সন্তানের মতোই ভালোবাসে এবং যেকোনো বিপদ থেকে দূরে রাখতে সবসময় সচেষ্ট থাকে।
 স্ত্রীকে ঘরে নিতে না পারায় মাসি-পিসিকে জব্দ করতে জগু গভীর রাতে আহ্লাদিদের বাড়িতে জমিদারের পেয়াদা ও অজ্ঞাত কিছু খারাপ লোক পাঠায়।
 রাতের আঁধারে শত্র“ বাড়িতে এলে মাসি-পিসি অস্ত্র হাতে রুখে দাঁড়ায়। ভয় পেয়ে তখন শত্র“রা বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়।
 মাসি-পিসির প্রতি প্রতিবেশীরা অত্যন্ত সদয়।
 দুর্ভিক্ষ, মহামারী ইত্যাদি কারণে আহ্লাদি বাবা-মাকে হারায়। মাসি-পিসিও একই পরিস্থিতিতে জীবিকার জন্য ঘরের বাইরে যেতে বাধ্য হয়।
 সালতি বলতে শালকাঠ বা তালগাছের গুঁড়ি দিয়ে নির্মিত ডোঙাকে বোঝায়। কাটারি হলো এক প্রকার ধারালো দা-জাতীয় অস্ত্র।
 পাঁশুটে মানে ফ্যাঁকাসে, হাসি-তামাশাযুক্ত বিবাদ বা ক্ষণস্থায়ী ঝগড়াকে খুনসুটি বলা হয়।
 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘মাসি-পিসি' গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৫২ বঙ্গাব্দে কলকাতার ‘পূর্বাশা' পত্রিকার চৈত্র সংখ্যায়। পরে এ গল্পটি ‘পরিস্থিতি’ নামক গল্প গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
 তৎকালীন সমাজে নারীদের হীন অবস্থান ও দৈন্যক্লিষ্ট জীবনের চরম রূপ ‘মাসি-পিসি’ গল্পের প্রধান সামাজিক প্রেক্ষাপট।
 মাসি ও পিসি এ দুটি চরিত্র নির্মাণের মাধ্যমে এ গল্পে সমাজের প্রান্তিক ও অসহায় নারীদের জীবনযুদ্ধকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া টিকে থাকার লড়াই এবং প্রতিবাদী চেতনা এ দুটি চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
 দুর্ভিক্ষ কবলিত সময়ে সমাজের নানা অস্থিরতা এবং সংঘর্ষ ছাড়াও এ গল্পের অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে বৈচিত্র্যময় চেতনা ও মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে।


টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস

ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১ আহ্লাদি কোন পর্যন্ত ঘোমটা টেনে দেয়?
উত্তর : আহ্লাদি সিঁথির সিঁদুর পর্যন্ত ঘোমটা টেনে দেয়।
২ কী উপলক্ষে মাসি-পিসি উপোস ছিল?
উত্তর : শুক্লপক্ষের একাদশী উপলক্ষে মাসি-পিসি উপোস ছিল।
৩ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত প্রথম গল্পের নাম কী?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত প্রথম গল্পের নাম ‘অতসীমামী’।
৪ ‘মাসি-পিসি' গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
৫ মাসি-পিসি কী পণ করেছে?
উত্তর : মাসি-পিসি আহ্লাদিকে জগুর ঘরে ফেরত না পাঠানোর পণ করেছে।
৬ কার শ্বাশুড়ি-ননদ বাঘের মতো ছিল?
উত্তর : আহ্লাদির মাসির শ্বাশুড়ি-ননদ বাঘের মতো ছিল।
৭ আহ্লাদির জমিজমার সিকিভাগ ছাড়া বাকিটা কার দখলে গেছে?
উত্তর : আহ্লাদির জমিজমার সিকিভাগ ছাড়া বাকিটা গোকুলের দখলে গেছে।
৮ আহ্লদিকে পাওয়ার জন্য কে হাল ছাড়েনি?
উত্তর : আহ্লাদিকে পাওয়ার জন্য গোকুল হাল ছাড়েনি।
৯ কীভাবে আহ্লাদির বাবা, মা, ভাই মারা গিয়েছিল?
উত্তর : কলেরায় আক্রান্ত হয়ে আহ্লাদির বাবা, মা ও ভাই মারা গিয়েছিল।
১০ আহ্লাদির পিসির স্বভাব বদলেছিল কখন?
উত্তর : ছেলে হওয়ার পর আহ্লাদির পিসির স্বভাব বদলেছিল।
১১ কখন কৈলেশের স্বভাব বিগড়ে যায়?
উত্তর : হাতে দুটো পয়সা এলে কৈলেশের স্বভাব বিগড়ে যায়।
১২ মাসি-পিসির চিৎকারে কে দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়?
উত্তর : মাসি-পিসির চিৎকারে কানাই চৌকিদার দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়।
১৩ কৈলেশের কাছে কোন ব্যাপারটি প্যাঁচালো মনে হয়েছিল?
উত্তর : কৈলেশের কাছে আহ্লাদির গর্ভবতী হওয়ার ব্যাপারটি প্যাঁচালো মনে হয়েছিল।
১৪ ‘সোমত্ত মেয়া’ বলে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে?
উত্তর : ‘সোমত্ত মেয়া’ বলে আহ্লাদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
১৫ ভালোয় ভালোয় না গেলে কানাই মাসি-পিসিকে কীভাবে কাছারিবাড়ি নিয়ে যাবার হুকুমের কথা বলে?
উত্তর : ভালোয় ভালোয় না গেলে কানাই মাসি-পিসিকে ধরে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবার হুকুমের কথা বলে।
১৬ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস বিক্রমপুরে।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১ বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে কেন?
উত্তর : মেয়ের কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে।
আহ্লাদির চেয়ে বয়সে ছোট মেয়েটাকে রহমান বিয়ে দিয়েছিল। অবুঝ মেয়েটা শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ার জন্য খুব কেঁদেছিল। কিন্তু তার ভালোর জন্যই তাকে জোর জবরদস্তি করে শ্বশুরবাড়ি পাঠায় রহমান। সেখানে গিয়ে অল্পদিন পরেই মেয়েটা মারা যায়। একই সমস্যার শিকার আহ্লাদিকে দেখে মেয়ের কথা মনে হওয়ায় রহমানের চোখ ছলছল করে।
২ জগু মাসি-পিসির বিরুদ্ধে মামলা করবে কেন?
উত্তর : আহ্লাদিকে ঘরে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য জগু মাসি-পিসির বিরুদ্ধে মামলা করবে।
পাষণ্ড স্বামীর অত্যাচার থেকে আহ্লাদিকে রক্ষা করার জন্য মাসি-পিসি তাকে নিজেদের কাছে রাখে। আহ্লাদির স্বামী জগু বার বার তাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে চাইলেও মাসি-পিসি যেতে দেয় না। এতে জগুর মনে হয় যে, তার বিয়ে করা বউকে মাসি-পিসি বদ মতলবে আটকে রেখেছে এবং তাকে দিয়ে পয়সা-কামাচ্ছে। এজন্যই সে মাসি-পিসির বিরুদ্ধে মামলা করবে।


 পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ (অংংবংসবহঃ)
 সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-১: উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মা তাকে জেরা করলেন। দেখলাম সে ভারি চাপা। মার প্রশ্নের ছাঁকা জবাব দিল, নিজে থেকে একটি কথা বেশি কইল না। সে বলল, তার নাম মমতা। আমাদের বাড়ি থেকে খানিক দূরে জীবনময়ের গলি, গলির ভেতরে সাতাশ নম্বর বাড়ির একতলায় সে থাকে। তার স্বামী আছে আর একটি ছেলে। স্বামীর চাকরি নেই চারমাস, সংসার আর চলে না, সে তাই পর্দা ঠেলে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছে। এই তার প্রথম চাকরি। মাইনে? সে তা জানে না। দুবেলা রেঁধে দিয়ে যাবে, কিন্তু খাবে না।
ক. মাসি-পিসি কীভাবে শহরে যেতেন? ১
খ. মাসি-পিসির জমানো টাকা কেন খরচ হয়ে গিয়েছিল? ২
গ. উদ্দীপকের মমতা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির কোন বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করেছে? আলোচনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. ‘মাসি-পিসি’ সালতি বেয়ে শহরে যেতেন।
খ. দুর্ভিক্ষের সময় খাবার কিনতে মাসি-পিসিদের জমানো রূপোর টাকা আধুলি সিকি খরচ হয়ে গিয়েছিল।
মাসি-পিসিরা আহ্লাদির বাবার বাড়িতে আশ্রিতা, ওদিকে দেশে মন্বন্তর। কোথাও কোনো কাজ নেই, সামর্থ্যও নেই। তাই তারা তাদের জমানো টাকা দিয়ে কোনোরকমে খাবার কিনে খেয়ে বেঁচেছে। এজন্য তাদের জমানো রূপোর টাকা আধুলি সিকি খরচ হয়ে গিয়েছিল।
 টিপস্ :
গ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে মমতা চরিত্রটি অনুধাবন কর। এরপর মাসি-পিসির সাথে উদ্দীপকের মমতার সাদৃশ্য নির্ণয় করে তার ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি মনোযোগ সহকারে পড়ে মমতা চরিত্রটি অনুধাবন কর। এরপর ‘মাসি-পিসি’ গল্পের চরিত্রগুলো নির্ণয় কর এবং সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নÑ২: উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হাসু ও মায়মুনকে নিয়ে ভেসেই চলছিল জয়গুন। কিন্তু নিজের চেষ্টায় অক‚ল পাথারে সে ক‚ল পায়। লজ্জাশরম বিসর্জন দিয়ে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজে। তাকে বাঁচতে হবে। ছেলেমেয়েকে বাঁচাতে হবে। এই সংকল্প নিয়ে আকালের পাঁচ বছর সে লড়াই করে আসছে।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যয়ের পৈতৃক নিবাস কোথায়? ১
খ. আহ্লাদিকে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যেতে হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের জয়গুনের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে? ৩
ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও জয়গুন গল্পের মাসি-পিসির সমগ্র বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে পারেনি।”মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস ঢাকার বিক্রমপুরে।
খ. স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আহ্লাদিকে স্বামীর ঘর ছেড়ে যেতে হয়।
আহ্লাদির বিয়ে হয় নেশাখোর পাষণ্ড জগুর সাথে। জগু কারণে -অকারণে আহ্লাদিকে মারধর করে। নেশার টাকা যোগাড় না হলে আহ্লাদিকে ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে অত্যাচার করে, লাথি, চড়, বাড়ি এমন কোনো মাধ্যম নেই যার দ্বারা জগু আহ্লাদির উপর অত্যাচার করেনি। যার জন্য তাকে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসতে হয়।
 টিপস্ :
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে জয়গুন চরিত্রটি অনুধাবন কর। এতে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির সাথে জয়গুনের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়। উদ্দীপকের জয়নগুনের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নÑ৩ : উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আহারে। এরে মাইয়াডারে মাইরা ফালাইস না। ওরে ও পাষাইণ্যা, দরজা খোল, মারিস না আর মারিস না, জাহান্নামে যাইবি, মারিস না। বাইরে থেকে দু’হাতে ঝাঁপিটাকে ঠেলছে ফকিরের মা। আবুল একবার তাকাল সেদিকে, কিন্তু ঝাঁপি খুলল না।
বউ মারায় একটা পৈশাচিক আনন্দ পায় আবুল। মেরে মেরে এর আগে দু’দুটো বউকে প্রাণে শেষ করে দিয়েছে সে। প্রথম বউটা ছিলো। এ গাঁয়েরই মেয়ে। আয়েশা। একটু বেঁটে, একটু মোটা আর রঙের দিক থেকে শ্যামলা। অপূর্ব সংযম ছিল মেয়েটির। আশ্চর্য শান্ত স্বভাব। কত মেরেছে ওকে আবুল। কোনোদিন একটু শব্দও করেনি। একটা সামান্য প্রতিবাদ নেই।
ক. মস্ত কাটারিটা দেখতে কীসের মতো ছিল? ১
খ. আহ্লাদিকে জগু কেন মারধর করে? ২
গ. উদ্দীপকের ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?  ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের আয়েশা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি একই পরিস্থিতির শিকার।”মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. মস্ত কাটারিটা দেখতে রামদা’র মতো ছিল।
খ. নেশার টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে টাকা যোগাড় করার লোভে জগু আহ্লাদিকে মারধর করতো।
পাষণ্ড জগু নেশা করে। কিন্তু সবসময় নেশায় জিনিস কেনার টাকা তার কাছে থাকে না। সে সংসার এবং স্ত্রীর প্রতিও উদাসীন। নেশার ঘোরে থেকে সে তার স্ত্রী আহ্লাদির উপর নির্যাতন চালায়। বউয়ের উপর চড়াও হয়ে মধ্যযুগীয় কায়দার বউকে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে মারধর করে।
 টিপস্ :
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়। উদ্দীপকের আবুল চরিত্রের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জগু চরিত্রের সাদৃশ্য বিশ্লেষণ কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জগু ও উদ্দীপকের আবুলের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন-৪: উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
স্বামী মারধর করলে ফুলির রহিমা খালা ফুলিকে ঢাকায় নিয়ে আসে। প্রথমে সে এক সাহেবের বাড়িতে কাজ নেয়। পরে সে গার্মেন্টেসে ঢোকে। মাসের শেষে ৮-৯ হাজার টাকা আসে। শহরের পরিবেশে তার দেহের রূপ-সৌন্দর্য বেড়ে যায়। মানুষ তার দিকে বদ নজরে তাকিয়ে থাকে। ঢাকায় এসে গায়ের ফুলি ফুলমেহের হয়ে যায়। তার দেহের ভাঁজে ভাঁজে যৌবনের ঢল, রূপের ঝিলিক। তার দেহের রূপলাবণ্য তার শত্র“। পথেঘাটে, হাটেবাজারে কর্মস্থলে পুরুষেরা তাকে গিলে ফেলতে চায়। খালা তাকে আগলে রাখে।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গল্পের সংখ্যা কত? ১
খ. ফুলিকে বাঁচাতে ফুলির খালা কী করে? ২
গ. উদ্দীপকে ফুলির চরিত্রে কোন ভাবের প্রকাশ ঘটেছে?  ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের ফুলি আমাদের এই পুরুষশাসিত সমাজের নির্যাতিত নারীদের প্রতিনিধি।”মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত গল্প প্রায় তিনশ।
খ. ফুলির খালা ফুলিকে বাঁচাতে পথ খোঁজে। তাকে ঢাকা শহরে নিয়ে আসে এবং একটি গার্মন্টে চাকরি দেয়। ফুলি নিজের পায়ে মাথা তুলে দাঁড়ায়। এখন সে কারো করুণার পাত্র নয়।
 টিপস্ :
গ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে রহিমা খালার চরিত্রটি অনুধাবন কর। এতে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির সাথে রহিমা খালার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকটি মনোযোগ সহকারে পড়ে মাসি-পিসি ও আহ্লাদি এবং উদ্দীপকের রহিম খালা ও ফুলির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নÑ৫: উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইউরোপের জ্ঞানগুরু প্লেটো মিশর ভ্রমণকালে মাথায় করে তেল বেচে রাস্তা-খরচ যোগাড় করতেন। যে কুড়ে, আলসে, ঘুষখোর ও চোর, সেই হীন। ব্যবসা বা ছোট স্বাধীন কাজে মানুষ হীন হয় না- হীন হয় মিথ্যা, চতুরতা ও প্রবঞ্চনায়। পাছে জাত যায়, সম্মান নষ্ট হয় এই ভয়ে পরের গলগ্রহ হয়ে মাসের পর মাস কাটিয়ে দিচ্ছে। সম্মান কোথায়, তা তুমি টের পাওনি।
ক. শকুনরা উড়ে এসে কোথায় বসেছে? ১
খ. জগু কেন মামলা করতে চাইল? ২
গ. উদ্দীপকের প্লেটোর মাঝে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন বিষয়ের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “মিল থাকলেও প্লেটোর তেল বিক্রি এবং মাসি-পিসির শাকসবজি বিক্রির উদ্দেশ্যগত ভিন্নতা রয়েছে।”মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. শকুনরা উড়ে এসে পাতা শূন্য শুকনো গাছটার উপরে বসেছে।
খ. জগু তার বৌ আহ্লাদিকে ফিরিয়ে আনার জন্য মামলা করতে চাইল।
জগুর অত্যাচারে ঘর ছেড়ে চলে আসে আহ্লাদি। তারপর জগু তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে এসেছে তার শ্বশুরের রেখে যাওয়া সম্পত্তির লোভে। কিন্তু মাসি-পিসি আহ্লাদিকে পাঠাতে নারাজ। তাছাড়া আহ্লাদিও যেতে রাজি নয়। এজন্য আহ্লাদিকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য জগু মামলা করতে চায়।
 টিপস্ :
গ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়। উদ্দীপকের প্লেটোর সাথে মাসি-পিসির প্রয়োজনের সময় যে-কোনো কাজ করার সিদ্ধান্তের মাঝে কাজ করার সাদৃশ্য রয়েছে, তা আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি মনোযোগসহকারে পড়। মিল থাকলেও প্লেটোর তেল বিক্রি এবং ‘মাসি-পিসির সবজি বিক্রির মাঝে উদ্দেশ্যগত ভিন্নতা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নÑ৬ : উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ধনীকন্যা তাহেরাকে বিয়ে দেয় অপেক্ষাকৃত দরিদ্র নাফিজের সাথে। এজন্য তাহেরা নাফিসকেই দোষ দেয় এবং তাকে সহ্য করতে পারে না। নাফিজ সৎ, হৃদয়বান এবং ্স্ত্রীকে সে প্রাণাধিক ভালোবাসে। তাহেরা একে স্রেফ ন্যাকামি মনে করে এবং বাবার টাকার অহংকারে নাফিজের ঘর করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে।
ক. ‘পদ্মানদীর মাঝি’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম? ১
খ. আহ্লাদি কেন স্বামীর ঘরে যেতে চায় না? ২
গ. উদ্দীপকের নাফিজের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জগুর বৈসাদৃশ্য নিরুপণ কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের তাহেরা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির স্বামীর ঘর ছাড়ার কারণ এক নয়।”মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]