নেকলেস



 পাঠ-পরিচিতি
বিশ্ববিখ্যাত গল্পকার গী দ্য মোপাসাঁর শ্রেষ্ঠ গল্পগুলোর মধ্যে ‘নেকলেস’ অন্যতম। ফরাসি ভাষায় গল্পটির নাম
‘খধ চধৎঁৎব’। ১৮৮৪ সালের ১৭ই ফেব্র“য়ারি ফরাসি পত্রিকা ‘খধ এধঁষড়রং’-এ গল্পটি প্রকাশিত হয় এবং সে বছরই ইংরেজিতে অনূদিত হয়। একই সালে প্রকাশিত ‘নেকলেস’ শীর্ষক গল্পগ্রন্থের মধ্যে গল্পটি স্থান পায়। অপ্রত্যাশিত কিন্তু অত্যন্ত আকর্ষণীয় সমাপ্তির জন্য গল্পটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
 লেখক পরিচিতি
নাম প্রকৃত নাম : গী দ্য মোপাসাঁ
ছদ্মনাম : ঐবহৎর-জবহৎর-অষনবৎঃ-এুঁ ফব গধঁঢ়ধংংধহঃ
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ৫ আগস্ট, ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ
জন্মস্থান : নর্মান্ডি, ফ্রান্স।
বংশ পরিচয় পিতার নাম : গুস্তাভ দ্যা মোপাসাঁ
মাতার নাম : লরা লি পয়টিভিন
শিক্ষাজীবন নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দ।
সাহিত্য-অভিভাবক পারিবারিক বন্ধু ঔপন্যাসিক গুস্তাভ ফ্লবেয়ার।
পেশা/কর্মজীবন সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চা। কাব্যচর্চা দিয়ে শুরু, গল্পকার হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন। তাঁর বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার তুলনা বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে বিরল। অসাধারণ সংযম ও বিস্ময়কর জীবনবোধে তাঁর রচনা তাৎপর্যপূর্ণ।
মৃত্যু ৬ জুলাই, ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দ।
 অনুবাদক পরিচিতি
নাম পূর্ণেন্দু দস্তিদার।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২০ জুন, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : ধলঘাট, পটিয়া, চট্টগ্রাম।
বংশ পরিচয় পিতার নাম : চন্দ্রকুমার দস্তিদার
মাতার নাম : কুমুদিনী দস্তিদার
পেশা/ কর্মজীবন আইনজীবি, লেখক ও রাজনীতিবিদ।
বিশেষ কর্ম মাষ্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে অংশ গ্রহণ ও কারাবরণ।
প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কবিয়াল রমেশ শীল’, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামে’, ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’।
অনুবাদ : ‘শেখভের গল্প’ ‘মোপাসাঁর গল্প’।
মৃত্যু ৯ মে, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ (মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।)
 বস্তুসংক্ষেপ
গী দ্য মোপাসাঁর সাহিত্যজীবন কাব্যচর্চা দিয়ে শুরু হলেও গল্পকার হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ গল্পগুলোর মধ্যে ‘নেকলেস’ অন্যতম। ফরাসি ভাষায় গল্পটির নাম 'খধ চধৎঁৎব'। ১৮৮৪ সালের ১৭ ফ্রেব্র“য়ারি ফরাসি পত্রিকা খধ এধঁষড়রং-এ গল্পটি প্রকাশিত হয় এবং ‘নেকলেস’ শীর্ষক গল্পগ্রন্থে স্থান পায়। অপ্রত্যাশিত ও অত্যন্ত আকর্ষণীয় সমাপ্তির জন্য গল্পটির বিপুল ‘নেকলেস’ গল্পের নায়িকা মাতিলদা চমৎকার এক সুন্দরী তরুণী। তার মনোভাবে শ্রেষ্ঠম্মন্যতা, আভিজাত্য ও কল্পনাবিলাসের আচ্ছন্নতা ছিল। যে কারণে তাঁর এটা নেই, ওটা নেই, এটা থাকা উচিত ছিল, ওটা থাকা প্রয়োজন ছিলÑ এসব মনে করে দুঃখ, ক্রোধ ও কান্না পেত। বস্তুত ধনী ও অভিজাতদের সাথে নিজেকে তুলনা করে সে হতাশা ও অসহায়ত্বে ভুগত। নিজেকে অপরূপভাবে সজ্জিত করে অন্যের প্রশংসা লাভ ও দৃষ্টি আকর্ষণের ইচ্ছা যেমন তার প্রবল ছিল, তেমনি ঘরদোর দামি জিনিসপত্রে সাজিয়ে রাখারও প্রবল ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ইচ্ছা পূরণ হওয়ার উপায় ছিল না। কারণ নিয়তির ভুলে যেমন গরিব কেরানি পরিবারে তার জন্ম হয়েছে, তেমনি তার বিয়েও হয়েছে মিতব্যয়ী কেরানির সাথে। তবে পরিবার থেকে শ্রী, সৌন্দর্য, মাধুর্য, প্রকৃতিগত সুরুচি ও বুদ্ধির নমনীয়তার শিক্ষা পেয়েছিল। যে কারণে নিজের মতো কিছু না পেয়েও সংসারের বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছিল। তবে আকস্মিকভাবে জনশিক্ষা মন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছে তার মনে হয়েছিল, এমন অনুষ্ঠানে যাওয়ার মতো পোশাক বা অলংকার তার নেই এবং তার যাওয়া উচিত নয়। যদিও মঁসিয়ে লোইসেল তার পোশাক কেনার টাকা দিয়েছিল আর অলংকার ধার করার জন্য তার বান্ধবীর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। সুতরাং যোগ দিতে আর কোনো বাধাই রইল না। যথাসময়ে অনুষ্ঠানে এসে মাদাম লোইসেল আনন্দে মত্ত হয়ে ও উৎসাহ নিয়ে নৃত্যে মেতে উঠল। সব পুরুষ তাকে লক্ষ করছিল ও তার নাম জিজ্ঞেস করে তার সঙ্গে আলাপের আগ্রহ প্রকাশ করছিল। স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীও তার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছিলেন। রূপের বিজয়গর্বে ও সাফল্যের গৌরবে মুহূর্তগুলো মধুর হয়ে ওঠেছিল। কিন্তু হীনমন্যতায় ভুগছিল তার আটপৌরে চাঁদরটির জন্য যা ছিল নৃত্যের পোশাকের সাথে বেমানান। প্রায় লুকিয়ে বেরিয়ে এলো বাইরে। মঁসিয়ে লোইসেল গাড়ি যোগাড় করে বাসায় এলো। মাদাম লোইসেল নিজেকে গৌরবমণ্ডিতরূপে শেষ একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গলার চাঁদর খুলতেই আর্তনাদ করে উঠল। কেননা, হারখানা তার গলায় জড়ানো নেই। শুরু হলো খোঁজাখুঁজি, কিন্তু পাওয়া গেল না। বান্ধবী মাদাম ফোরস্টিয়ার তা ফেরত দেয়ার জন্য তারা স্বর্ণের দোকানগুলো খুঁজে একই রকম হার পেল, যার দাম ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ। এ টাকা পরিশোধ করার জন্য নিচু ছাদের কামরা ভাড়া নিল, দাসীকে বিদায় করে দিয়ে মাদাম লোইসেল নিজেই ঘরকন্না ও রান্নাঘরের যাবতীয় কাজ করার দায়িত্ব নিয়ে নিল। দশ বছর লাগল দোকানের টাকা পরিশোধ করতে। তার শিক্ষা হলো সামান্য একটি বস্তুতে কী করে একজন ধ্বংস হয়ে যেতে আবার বাঁচতেও পারে। এর জন্য থাকতে হয় প্রবল দায়িত্ববোধ, পরিশ্রম ও ত্যাগ। এক রবিবারে সারা সপ্তাহের দুশ্চিন্তা মন থেকে দূর করার জন্য চামপস এলিসিস্-এ ঘুরতে গেল। এখানেই দেখা হয়ে গেল মাদাম ফোরস্টিয়ারের সাথে। সে অন্তরঙ্গভাবে তার কাছে দুর্দিন ও দুঃখের দিনের কথা খোলামেলাভাবে জানিয়ে দিল। মাদাম ফোরস্টিয়ারের কথাটা খুব লাগল। কেননা, হারটা ছিল নকল, যার দাম ছিল পাঁচশ ফ্রাঁ। অথচ বান্ধবী মাতিলদা খাঁটি হীরার হার ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে কিনে তাকে ফেরত দিয়ে এবং অনেক দুঃখ-কষ্ট সয়েছে।
 নামকরণ
বিশ্বখ্যাত গল্পটি যে বস্তুকে কেন্দ্র করে জমে ওঠেছে এবং চমৎকার পরিণতি পেয়েছে, সে বস্তুটির ওপর ভিত্তি করেই গল্পের নামকরণ করা হয়েছে ‘নেকলেস’। নেকলেসই এ গল্পের কাহিনীর ভিত্তি এবং একে কেন্দ্র করেই কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এবং বিকাশ লাভ করেছে। বস্তুত অন্তর্নিহিত বস্তু বা বিষয়কে কেন্দ্র করেই গল্পের যথার্থ নামকরণ হয়েছে ‘নেকলেস’।
গল্পের নায়িকা মাতিলদা অর্থাৎ মাদাম লোইসেল জন্মেছিলেন কেরানির ঘরে তার বিয়েও হয়েছে কেরানির ঘরে। এ কারণে তার মনের কল্পনাবিলাসী ও অভিজাত বাসনাসমূহ বাস্তবে রূপায়িত হয় নি। অথচ পরিবার থেকেই তার মনটা গড়ে ওঠেছিল শ্রী, সৌন্দর্য, মাধুর্য, সুরুচি ও নমনীয়তার আবহে। যে জন্য বাসকক্ষের দারিদ্র্য, হতশ্রী দেয়াল, জীর্ণ চেয়ার আর বিবর্ণ জিনিসপত্র তাকে ব্যথিত, দুঃখিত ও ক্রুদ্ধ করে তুলত। কখনো কখনো না পাওয়ার ও না থাকার দুঃখে সে কেঁদে বুক ভাসাত। তা বলে নিজ সংসারের বাস্তবতাকে সে মেনে নিতে পারেনি তা নয়। মঁসিয়ে লোইসেলের কাছ থেকে পোশাক ও বান্ধবীর কাছ থেকে নেকলেস ধার করে অপরূপ সাজে অনুষ্ঠানে এসে সে যখন নাচতে শুরু করল এবং সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারল, তখন আনন্দ ও তৃপ্তিতে তার মন ভরে ওঠল। তার মনে হলো, সে তার কল্পনার অনেক কিছু আজ পেয়ে গেছে। কিন্তু নেকলেসটা হারিয়ে তার কল্পনাবিলাসী মন কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হলো, দারিদ্র্যের ভয়াবহতা হাড়ে হাড়ে টের পেল। হীরার নেকলেসের মূল্য ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ পরিশোধ করতে গিয়ে কম ভাড়ায় বাসা নিল, দাসীকে ছাড়িয়ে নিজেই ঘরকন্না ও রান্নাবান্নার সমস্ত দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে নিল। এমনকি নিজে বাজার করতে গিয়ে দর কষাকষি করতেও শিখে গেল। এত কষ্ট, পরিশ্রম ও ত্যাগের পর তাদের ঋণ পরিশোধ হলো এমনকি কিছু সঞ্চয়ও হলো। মাদাম লোইসেলকে শক্ত, কর্মঠ ও ত্যাগী করে তুলেছে নেকলেস। তার কল্পনাবিলাসী মনোভাব পাল্টে দিয়ে তাকে বাস্তবানুগ করে তুলেছে ‘নেকলেস’। এমনকি যখন সত্যটা জেনেছে যে, নেকলেসটা ছিল নকল ও কম দামি তখনও সে গর্বের ভাবে ও সরল আনন্দে হেসেছে। নেকলেসই ছিল কাহিনীর মূল উৎস, মূল সঞ্চালক এবং পরিবর্তিত বাস্তবতার যোগসূত্র। তাই গল্পের নামকরণ ‘নেকলেস’ যথার্থ ও সুন্দর হয়েছে।
সার্থকতা : সংসারে কিছু মানুষ থাকে যারা কল্পনাবিলাসী হয়, নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে ভালোবাসে। বাস্তবে তা পায় না বা হতে পারে না বলে তাদের দুঃখবোধও থাকে প্রবল। তাই বলে তারা বাস্তব অবস্থাকে মেনে নিতে পারে না বা তা কার্যকর করতে পারে না, তা নয়। পছন্দের পরিবেশ, পছন্দের জিনিসগুলো না পাওয়া সত্তে¡ও তারা পরিবারের সাথে মিশে থাকে। ‘নেকলেস’ গল্পের মাতিলদা সে রকমই একজন। কেরানি স্বামীকে এবং দরিদ্র অবস্থাকে মেনে নিয়েই সে নিজের মতো থাকে। যখন মনের বাসনা কার্যকর করার সুযোগ হয় তখন মন উজাড় করে তা উপভোগ করে। কিন্তু ধার করা নেকলেস হারানোর পর সে কঠিন বাস্তবতার মোকাবিলা করে তার মূল্য শোধ করার জন্য সচেষ্ট হয়। নেকলেসটি যার ছিল তাকে তা ফেরত দেয়া হয় আগেই। তার মূল্য পরিশোধ করতেই দশ বছর লেগে যায়। অবশেষে জানতে পারে নেকলেসটি নকল ও কমদামি ছিল। কিন্তু গল্পের কাহিনীকে জটিল, রসালো ও আবেদনময় করতে নেকলেসটির ভূমিকাই ছিল জোরালো। তাই নেকলেস নামকরণ সঠিক হয়েছে।
 শব্দার্থ ও টীকা
কনভেন্ট  খ্রিষ্টান নারী মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত স্কুল। মিশনারিদের আবাস।
মসিঁয়ে  সৌজন্য প্রদর্শন ও সম¥ান জানানোর জন্য ফ্রান্সে পুরুষদের মসিঁয়ে স¤ে¦াধন করা হয়।
মাদাম  সৌজন্য প্রদর্শন ও সম¥ান জানানোর জন্য ফ্রান্সে মহিলাদের মাদাম স¤ে¦াধন করা হয়।
ফ্রাঁ  ফরাসি মুদ্রার নাম। ২০০২ সাল পর্যন্ত এই মুদ্রা প্রচলিত ছিল। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় ফ্রান্স ইউরো ব্যবহার করে।
‘বল’ নাচ  বিনোদনমূলক সামাজিক নৃত্যানুষ্ঠান। ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বহু দেশে এ নৃত্য প্রচলিত।
ক্রুশ  খ্রিষ্টান ধর্মীয় প্রতীক।
স্যাটিন  ঝধঃরহ। মসৃণ ও চকচকে রেশমি বস্ত্র।
প্যারী  প্যারিসের ফরাসি নাম।
প্যালেস রয়েল  রাজকীয় প্রাসাদ।
 বানান সতর্কতা
চাতুর্য, আভিজাত্য, দারিদ্র্য, বিবর্ণ, ক্রুদ্ধ, পার্শ্বকক্ষ, বিক্ষিপ্ত, নিদ্রালু, আকাক্সিক্ষত, অন্তরঙ্গ, আড়ম্বরপূর্ণ, সান্ধ্যভোজ, উজ্জ্বল, কাহিনী, কনভেন্ট, মুদ্রিত, বিদ্বেষ, আমন্ত্রণ, ল²ীটি, আতঙ্ক, প্রত্যাখ্যান, ম্লান, গ্রীষ্ম, উদ্বিগ্ন, আশ্বস্ত, কঙ্কন, বিহŸল, সুপরিস্ফুট, স্ট্রিটে, আর্তনাদ বহির্বাস, পুরস্কার, বিজ্ঞাপন, স্মৃতি, স্বর্ণকার, শেষোক্ত, তৈলাক্ত, কষাকষি, সঞ্চয়, ঘাঘরা, বৈচিত্র্য, ধ্বংস, দুশ্চিন্তা, নিশ্চিন্ত।

 অনুশীলন অংশ (চৎধপঃরপব)
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মেধাবী রুবিনার বাবা খুব সামান্য বেতনে চাকরি করেন। তার সহপাঠীরা সকলেই অবস্থাপন্ন পরিবারের। সহপাঠীদের পোশাক, জীবনাচরণের সঙ্গে রুবিনার কিছুতেই খাপ খায় না। তবু তা নিয়ে সে মোটেই হীনমন্যতায় ভোগে না। তার ধনী সহপাঠীরাও রুবিনার বাহ্যিক চাকচিক্যের চেয়ে তার মেধাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। নিজের কঠোর পরিশ্রমে রুবিনা পরীক্ষায় খুব ভালো ফল করে। আজ তিনি একজন বড় কর্মকর্তা।
ক. বন্দুক কিনতে মসিঁয়ে কত ফ্রঁাঁ সঞ্চয় করেছিল?
খ. মাদাম লোইসেল আমন্ত্রণ-লিপিখানা টেবিলের উপর নিক্ষেপ করেন কেন?
গ. রুবিনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি বর্ণনা কর।
ঘ. পারস্পরিক সাদৃশ্য থাকা সত্তে¡ও জীবন পরিণতিতে দুজনের জীবন ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত।Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ১



১ নং প্রশ্নের উত্তর

 চারশ ফ্রঁাঁ সঞ্চয় করেছিল।

 শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মতো কোনো ভালো পোশাক বা জড়োয়া গহনা মাদাম লোইসেলের ছিল না বলে আমন্ত্রণ লিপিখানা টেবিলের উপর নিক্ষেপ করে।


 রুবিনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক হলো কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা।
 পরিশ্রমই মানুষের জীবনে সাফল্য বয়ে আনে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই নিজ শক্তি সম্পর্কে মানুষ সজাগ হয়। এর মধ্যদিয়ে মানুষ দুঃখ, যন্ত্রণাকে জয় করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়।
 ‘নেকলেস’ গল্পে প্রথম জীবনে মাদাম লোইসেল একজন উচ্চাভিলাষী নারী ছিল। কিন্তু ভাগ্য তাকে এই উচ্চাভিলাষী জীবনের আকাক্সক্ষা থেকে বিচ্যুত করেছে। সংসারে যখন প্রবল দারিদ্র্য উপস্থিত, তখন সে তাকে জয় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। শেষ পর্যন্ত সে সফল হয়েছে। উদ্দীপকের রুবিনাও কঠোর পরিশ্রমী। নিজের দারিদ্র্য নিয়ে সে কখনো হীনæ্যতায় ভোগে না; বরং কঠোর পরিশ্রম করে সফলতার দিকে ধাবিত হয়।

 কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতায় সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের রুবিনার সাফল্য ও মাদাম লোইসেলের সাফল্য ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত।
 দুঃখ, দারিদ্র্য ব্যর্থতাকে জয় করার একমাত্র উপায় হলো পরিশ্রম। আলস্য জীবনের করুণ পরিণতিকেই ডেকে আনে। পক্ষান্তরে পরিশ্রম বয়ে আনে সৌভাগ্য ও সফলতা।
 ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেল দারিদ্র্য ও দেনার দায় থেকে মুক্তির জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করে। তারা বাসা বদল করে, দাসীকে বিদায় করে, ঘরের সবকাজ সে একে করে। এভাবে দশ বছর পর তারা তাদের দেনা পরিশোধ করে এবং কিছু সঞ্চয়ও করতে সমর্থ হয়। উদ্দীপকের রুবিনাও কঠোর পরিশ্রমী। নিজের মেধা ও পরিশ্রমই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ দিয়েই শেষ পর্যন্ত সে সফল হয়।
 উদ্দীপকের রুবিনা ও ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল উভয়েই পরিশ্রমী। রুবিনা নিজ পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয় আর মাদাম লোইসেল দেনার দায় থেকে মুক্তি পায় এই পরিশ্রমের বিনিময়ে। তার সাদৃশ্য থাকলেও তাদের জীবন পরিণতি ভিন্ন।
 অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মিরাজ সাহেব ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে হারিয়ে ফেললেন সমস্ত বিষয় সম্পত্তি। এমনকি তাদের রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িও উঠল নিলামে। কিন্তু সাহস ও মনোবল দিয়ে তিনি টিকে রইলেন কঠোর পরিশ্রম করে। শুরু করলেন নতুন ব্যবসা। শোধ করতে লাগলেন ব্যাংক ঋণ। এত বড় বিপদে একমাত্র মনোবল ও সাহসই তাঁকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ক. লোইসেল ও তার স্ত্রী ঋণ শোধের জন্য কত বছর কষ্ট করেছিল?
খ. ‘সামান্য একটি বস্তুতে কী করে একজন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে আবার বাঁচতেও পারে।’Ñ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সিরাজ সাহেবের মনোভাব কীভাবে ‘নেকলেস’ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে? Ñব্যাখ্যা কর।
ঘ. “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও ‘নেকলেস’ গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উদ্দীপকে উপস্থিত।”Ñ বিশ্লেষণ কর। ১



২ নং প্রশ্নের উত্তর

 লোইসেল ও তার স্ত্রী ঋণ শোধের জন্য দশ বছর কষ্ট করেছিল।

 সামান্য একটি বিষয় মানুষের জীবনের উত্থান-পতনের কারণ হতে পারে।
 লোভ-লালসা, প্রভৃতি খারাপ রিপু দ্বারা তাড়িত হয়ে মানুষ নিজের ধ্বংসের পথ সুগম করে। এসব খারাপ পথ পরিহার করে সততা, ন্যায়, নিষ্ঠা, দৃঢ়তার সাথে অগ্রসর হলে মানুষের যেকোনো কাজে বিজয় সুনিশ্চিত। এজন্যই বলা হয়েছে যে, সামান্য একটি বস্তুতে একজন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে আবার বাঁচতেও পারে। কেননা, অন্যায়ের পথ মানুষের ধ্বংস সাধন করে আর ন্যায়ের পথ মানুষের উন্নতি ঘটায়।

 মি. লোইসেলের গহনাটি ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে উদ্দীপকের মিরাজ সাহেবের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে।
 মানুষের জীবনে বড় হওয়া এবং পৃথিবীতে ভালোভাবে টিকে থাকার জন্য মনোবল ও সাহস থাকা খুব জরুরি। এ দুটি থাকলে মানুষ যেকোনোভাবে জীবনের সমস্ত দুর্দশা কাটিয়ে উঠে উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পারে।
 উদ্দীপকের মিরাজ সাহেবের দুর্দিনে মনোবল অটুট রেখে সব কিছু নতুন করে শুরু করার মতো উদ্যম দেখানো হয়েছে। তিনি তার এই মনোবলের জন্যই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তা ছাড়াও সমস্ত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যাওয়ার মতো সাহসও পেয়েছিলেন। তেমনি মাদাম লোইসেলের বান্ধবীর হারটি নতুন করে কিনে দিয়ে মি. লোইসেল বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। সে সময় যদি তিনি মনোবল ও সাহসের মাধ্যমে পথ না চলতেন তাহলে সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারতেন না। দেরি হলেও সমস্ত দুঃখ কষ্টকে পেছনে ফেলে মি. লোইসেলের সামনে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে উদ্দীপকের মিরাজ সাহেবের মনোভাব তুলে ধরা হয়েছে।

 প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নতুন করে সব কিছু শুরু করার বিষয়টি উদ্দীপক ও ‘নেকলেস’ গল্প দু’জায়গাতেই উপস্থিত, আর এখানেই উদ্দীপক ও ‘নেকলেস’ গল্পের মিল রয়েছে।
 ‘নেকলেস’ গল্পে বান্ধবীর হারিয়ে যাওয়া হারটি ফেরত দেয়ার পরিস্থিতি না থাকলেও লোইসেল পরিবার যথাসাধ্য চেষ্টা করে। নিজেদের যা ছিল তা ছাড়া কিছু ঋণও করে। কিন্তু কোনোক্রমেই নিজেদের আত্মমর্যাদা তারা ভূলুণ্ঠিত হতে দেন নি। এই ঘটনার পর ঋণ পরিশোধের জন্য লোইসেল পরিবারকে অনেক কষ্ট করতে হয়। জীবনের বিলাসিতা বর্জন করে তারা নিজেকে শুধু কাজে মনোনিবেশ করে। আর এভাবে এক সময় তারা তাদের সমস্ত ঋণ পরিশোধ করে, কিছু সঞ্চয় করতেও সমর্থ হয়। শুধু অটুট মনোবলের কারণেই তারা এ অসাধ্য সাধন করতে পেরেছিল।
 উদ্দীপকে দেখা যায়, অনেক ধনী থাকা সত্তে¡ও মিরাজ সাহেব ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে সমস্ত বিষয়-সম্পত্তি হারিয়ে ফেলেন। তিনি তার সমস্ত সম্পত্তি হারিয়েও অসম্ভব মনের শক্তিতে নতুন করে আবার ব্যবসা শুরু করলেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে কঠোর পরিশ্রম করলে যে অসাধ্যকেও সাধন করা সম্ভব, সেটি উদ্দীপকের মিরাজ সাহেব এবং ‘নেকলেস’ গল্পের মি. লোইসেলকে দেখলে বোঝা যায়।
 দৃঢ় মনোবল, সততা, সাহস এবং কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতার মতো ভালো গুণগুলোর সন্নিবেশ ঘটেছে উদ্দীপকের মিরাজ সাহেব ও ‘নেকলেস’ গল্পের মি. লোইসেলের মধ্যে। এ গুণগুলোর কারণেই তারা প্রচণ্ড বিপদের মুখোমুখি হয়েও সেখান থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে সফল হয়। মনের দৃঢ়তার মাধ্যমে দুঃসময়গুলোর মুখোমুখি হওয়ার দৃঢ়তা উদ্দীপক ও ‘নেকলেস’ গল্পে দেখা যায়। এজন্যই বলা হয়েছে যে, “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও ‘নেকলেস’ গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উদ্দীপকে উপস্থিত।”
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
দৈন্য যদি আসে আসুক লজ্জা কিবা তাহে?
মাথা উঁচু রাখিস
সুখের সাথী মুখের পানে যদি না চাহে,
ধৈর্য ধরে থাকিস।
ক. “নিয়তির ভুলেই যেন এক কেরানির পরিবারে তার জন্ম হয়েছে।”Ñকার?
খ. মাদাম লোইসেল কেন তার ধনী বান্ধবীর সাথে দেখা করতে চাইত না?
গ. উদ্দীপকের ভাবনার সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেলের ভাবনার বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. ‘নেকলেস’ গল্পের প্রেক্ষিতে উদ্দীপকের অংশটুকুর যৌক্তিকতা তুলে কর। ১



৩ নং প্রশ্নের উত্তর

 এখানে ‘তার’ বলতে মাদাম লোইসেলকে বোঝানো হয়েছে।

 মাদাম লোইসেল গরিব হওয়ায় তার ধনী বান্ধবীর সাথে সে দেখা করতে চাইতেন না।
 মাদাম লোইসেল ছিলেন উচ্চাকাক্সক্ষী মানসিকতার অধিকারী। কিন্তু তার ভালো জামা-কাপড় বা গহনা ছিল না। অথচ এগুলোই ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু। ধনী বান্ধবীর সাথে দেখা হলে তার সাথে নিজের তুলনা করলে মাদাম লোইসেলের কাছে নিজের গরিবি হাল আরও বেশি করে মূর্ত হয়ে উঠত। বান্ধবীর সাথে দেখা হওয়ার পর বিরক্তি, দুঃখ, হতাশা ও নৈরাশ্যে সমস্ত দিন ধরে তিনি কাঁদতেন। এ কারণেই মাদাম তার ধনী বান্ধবীর সাথে দেখা করতে চাইতেন না।

 উদ্দীপকের ভাবনার সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেলের ভাবনার যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
 দরিদ্রতা মানুষের লজ্জার কোনো বিষয় নয়। বরং কেউ যদি এ অবস্থায়ও তার মাথা উঁচু রেখে চলে তবে তার সফলতা অনিবার্য। সুখ সবার কাম্য হলেও কখনো কখনো এটা মানুষের সঙ্গী না হয়ে অধরা থেকে যায়। যদি সুখের দেখা কেউ সহজে না পায় তবে তার উচিত ধৈর্য ধরে থাকা, কারণ ধৈর্যের ফল সুমিষ্ট হয়।
 উদ্দীপকে দীনতাকে লজ্জার বিষয় না ভেবে মাথা উঁচু করে রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেল তার নিজের দীনতায় লজ্জিত। এছাড়াও উদ্দীপকে সুখ না আসলে ধৈর্য ধরার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু মাদাম লোইসেল ধৈর্য ধরতেও আগ্রহী নন। তার ধারণা সুখ, শান্তি, আভিজাত্য এসব কিছু তার কাছে এসে ধরা দেয়ার কথা ছিল। আর এ কারণে তিনি মিথ্যা আভিজাত্য দেখাতে গিয়ে নিজের জীবনে বিপদ ডেকে আনেন। এ বিষয়গুলোই উদ্দীপকের ভাবনার সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেলের ভাবনার বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করে।

 ‘নেকলেস’ গল্পের প্রেক্ষিতে উদ্দীপকের অংশটুকু অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।
 মানুষ যদি তার সঠিক অবস্থা থেকে লজ্জিত হয় তবে তার পতন নিশ্চিত। বরং লজ্জিত না হয়ে যদি নিজের অভাবগ্রস্ত অবস্থাতেও মাথা উঁচু করে বাঁচা যায় তবে সেটি হয় খাঁটি মানুষের মতো বেঁচে থাকা। আর এ সময় যে ধৈর্য ধারণ করে সঠিকভাবে কাজ করতে সমর্থ হয় সে-ই সুখের স্পর্শ লাভ করে।
 ‘নেকলেস’ গল্পে দেখা যায় যে, মাদাম লোইসেল তার দরিদ্র জীবনের প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত এবং হতাশ, এ জীবন তার কাছে একেবারেই কাম্য নয়। সে চায় ধনীদের মতো বিলাসিতা। এছাড়াও সে ভাবত যে, তার জন্ম হয়েছে ধনীদের মতো জীবনযাপন করার জন্য। এ সকল হঠকারী চিন্তায় সর্বদা নিমগ্ন থেকে মাদাম লোইসেল নিজের পরিবারের বিপদ ডেকে আনে এবং এর জন্য তাদের প্রায় দশ বছর এ বিপদের বোঝা বহন করে চলতে হয়।
 ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল যদি তার নিজের পরিস্থিতিতে লজ্জিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করতেন তবে তার জীবনে এত বড়ো বিপর্যয় ঘটতো না। এজন্যই ‘নেকলেস’ গল্পের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্দীপকের অংশটুকু অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের কখান হাড়
সাক্ষী দেছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ রাশি
থাপরেতে নিবিয়ে গেছে দারুণ অভাব আসি
পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস
সোনালি তার গার বরণের করছে উপহাস।
ক. দীর্ঘদিন পর মাদাম ফোরস্টিয়ারের সাথে মাদাম লোইসেলের কোথায় দেখা হয়েছিল?
খ. মাদাম ফোরস্টিয়ার কেন মাদাম লোইসেলকে চিনতে পারলেন না?
গ. উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের একটি বিষয়ের প্রতিফলন ঘটলেও সমগ্রতা ধারণ করেনি।” উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ১



৪ নং প্রশ্নের উত্তর

 চামপস্ Ñএলিমিস এ দেখা হয়েছিল।

 দশ বছর পর দেখা হওয়ার পর মাদাম লোইসেলকে খুব সাধারণ দেখাচ্ছিল বলে মাদাম ফোরস্টিয়ার তাকে চিনতে পারলেন না।
 মাদাম ফোরস্টিয়ারের হারিয়ে যাওয়া জড়োয়া গহনা ফেরত দিতে গিয়ে মাদাম লোইসেলকে ভয়াবহ দারিদ্র্য জীবনের মুখোমুখি হতে হয়। তাদের অবস্থা ঠিক হতে প্রায় দশ বছর লেগে যায়। আর এ দিনগুলো মাদাম লোইসেল কোনো কাজের লোক ছাড়াই সংসারের সমস্ত কাজ করেছেন। গরিব গৃহস্থ ঘরের অমার্জিত মেয়ের মতো অপরিপাটি চালচলনে মাদাম লোইসেলকে অনেক বয়স্কা লাগে। দশ বছরে মাদাম লোইসেলের এ ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে মাদাম ফোরস্টিয়ার তাকে চিনতে পারেন নি।

 বান্ধবীর নেকলেস ফিরিয়ে দেয়ার পর মাদাম লোইসেলের সামনে যে পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছিল সে দিকটিই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
 মানুষের জীবনে যখন অভাবের আগমন ঘটে, তখন তার সমস্ত অবস্থার পরিবর্তন একত্রে সংঘটিত হয়। ঠিকতো খেতে না পাওয়ায় শরীরের হাড় দেখা যায়, মুখের হাসিও মলিন দেখায়। তা ছাড়া পরিধানের জন্য ভালো পোশাক না পাওয়াকে অভাবের দিকটিই নির্দেশ করে। তেমনি বান্ধবীর গহনা ফেরত দিতে গিয়ে মাদাম লোইসেলের পরিবার অভাবের মধ্যে পড়ে। সমস্ত কাজের লোককে বিদায় দিয়ে নিজে সংসারের সমস্ত কাজ করায়, সাধারণ পোশাক, অবিন্যস্ত চুলে মাদাম লোইসেলকে দেখে গৃহস্থ ঘরের মেয়ে বলে মনে হয় এবং বয়সের তুলনায় তাকে অনেক বেশি বয়স্কা লাগে।
 ‘নেকলেস’ গল্পে গরিব হয়ে যাওয়ার পর মাদাম লোইসেলের সার্বিক যে অবস্থা হয়েছিল সেটির সাথে উদ্দীপকের মিল রয়েছে। তাই বলা যায় যে ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল যে দীনহীন অবস্থার মধ্যদিয়ে কালাতিপাত করেছিলেন সে দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।

 উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের একটি বিষয়ের প্রতিফলন ঘটলেও সমগ্রতা ধারণ করেনিÑ কথাটি সঠিক।
 ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেলের হঠকারী চিন্তা-ভাবনার জন্য তাকে এবং তার স্বামীকে সমস্যায় পড়তে হয় এবং এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তাদের জীবনের দশ বছর অতি পরিশ্রমে ব্যয় হয়ে যায়।
 উদ্দীপকে দেখা যায় যে, পেট ভরে খেতে না পাওয়া এবং অনাহারের কারণে মানুষের বুকের হাড় বেরিয়ে যায়। মুখ থেকে হাসি মিলিয়ে গেছে এবং শতছিন্ন বস্ত্র তার গায়ের রঙকে উপহাস করছে। এ বিষয়টি ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেলের অবস্থার সাথে দারুণভাবে মিলে যায়। বান্ধবীর হারানো হার ফিরিয়ে দিতে গিয়ে যে ঋণ নিয়েছিল সেটা পরিশোধ করতে গিয়ে মাদাম লোইসেলেরও একই অবস্থা হয়েছিল। অভাবগ্রস্ত হলে মানুষের কী অবস্থা হয় সেটি উদ্দীপকে দেখানো হয়েছে, আর এটির সাথে মাদাম লোইসেলের কষ্টকর জীবনের মিল পাওয়া যায়। কিন্তু এ উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পে সমগ্রতা ফুটে ওঠেনি। কেননা, এটি শুধু ফলাফলের বর্ণনা দিয়েছে কিন্তু এর মধ্যে কর্মের বর্ণনা অনুপস্থিত।
 মাদাম লোইসেলের উচ্চাকাক্সক্ষা এবং নিজেকে ধনী হিসেবে উপস্থাপিত করার যে চেষ্টা ছিল সেটির প্রতিফলন এ উদ্দীপকে অনুপস্থিত। উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের একটি বিষয়ের প্রতিফলন ঘটলেও সমগ্রতা ধারণ করে নি।

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
চুরির দায়ে চাকরি হারানোর পর দুবছর পেরিয়েছে। তবুও কাজের অভাব হয় নি সাকিবের। মিথ্যে সাক্ষ্যের কারণে দুবছরে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করার রায় হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভাবের সংসার হলেও রাতদিন পরিশ্রম করে সাকিব ও তার স্ত্রী উভয়ে মিলে এ অসাধ্যকে সাধন করেছে।
ক. হারটি খুঁজতে গিয়ে পরদিন সকাল কয়টার দিকে লোইসেল বাড়ি ফিরে এলো?
খ. “ঐ জড়োয়া গহনা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা আমার করতে হবে।” উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের সাকিবের সঙ্গে ‘নেকলেস’ গল্পের মি. লোইসেলের সাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকের পাত্র-পাত্রী যেন মাদাম ও তার স্বামী লোইসেলের মানসিকতার প্রতিচ্ছবি।”Ñউক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ১



৫ নং প্রশ্নের উত্তর

 হারটি খুঁজতে গিয়ে পরদিন সকাল সাতটার দিকে লোইসেল বাড়ি ফিরে এলো।

 “ঐ জড়োয়া গহনা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে”Ñ মি. লোইসেল, তার স্ত্রীর হারটি হারিয়ে ফেলা প্রসঙ্গে এ কথাটি বলেছিল।
 বল-নাচের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বান্ধবীর জড়োয়া গহনা হারিয়ে ফেলে মাদাম লোইসেল। সমস্ত পথ খোঁজার পর না পেয়ে লোইসেল পুলিশের কাছে এবং গাড়ির অফিসে গিয়েছিল। এছাড়াও পুরস্কার ঘোষণা করে একটা বিজ্ঞাপনও দিয়ে এসেছিল। এরপরও এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ায় কোনো সাড়া না পেয়ে সমস্ত আশা ত্যাগ করে লোইসেল বলেছিল যে, ওই জড়োয়া গহনা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।

 উদ্দীপকের সাকিবের সঙ্গে ‘নেকলেস’ গল্পের মি. লোইসেলের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
 উদ্দীপকে দেখা যায় যে, সামান্য বেতনভুক্ত কর্মচারী সাকিবের চুরির দায়ে চাকরি চলে যায়। তা ছাড়া মিথ্যা মামলায় দুই বছরের মধ্যে তাকে পাঁচ লাখ টাকা শোধও করতে হয়। সামান্য আয়ের মানুষ হওয়া সত্তে¡ও দিনরাত পরিশ্রম করে সে এবং তার স্ত্রী মিলে টাকা পরিশোধ করেছে। অত্যন্ত সৎ মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের পক্ষেই এটা সম্ভব।
 উদ্দীপকে নিজের দোষ না থাকলেও শাস্তি মাথা পেতে নিয়ে সমস্ত টাকা পরিশোধ করেছে সাকিব ও তার স্ত্রী। ‘নেকলেস’ গল্পেও জড়োয়া গহনাটি মাদাম লোইসেলের গলা থেকে হারিয়ে যাওয়ায় সেটি খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় মি. লোইসেল। কিন্তু যখন তার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তখন তিনি তার পুরো জমানো টাকা এবং বেশকিছু টাকা ঋণ নিয়ে দেখতে একই রকম আর একটি হার কিনে তার স্ত্রীর বান্ধবীকে ফেরত দেয়ার কথা বলে। উদ্দীপকের সাকিবের এবং ‘নেকলেস’ গল্পের মি. লোইসেলের চরিত্রে যে সততা বিদ্যমান সেটিই তাদের কর্মকাণ্ডে ফুটে উঠেছে এবং তাঁদের দুজনার মধ্যে এ সাদৃশ্যটিই প্রতীয়মান হয়।

 ‘প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকের পাত্র-পাত্রী যেন মাদাম ও তার স্বামী লোইসেলের মানসিকতার প্রতিচ্ছবি”Ñ উক্তিটি যথার্থ।
 ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল বান্ধবীর হারটি কোনো ক্রমেই খুঁজে পাচ্ছে না। তখন তিনি বলেন যে, হারটি বানিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। হারটি বানাতে গিয়ে তারা তাদের জমানো সমস্ত টাকা শেষ করে ফেলে এবং কিছু টাকা অতিরিক্ত সুদে ঋণও নেয়। সে সুদ এবং ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে তাদের জীবনযাত্রার মান বহু নিচে নেমে যায়। কিন্তু তবুও মি. লোইসেল এবং তার স্ত্রী কষ্টের কাছে পরাস্ত হয়। সততার কারণে মাদাম লোইসেল ও মি. লোইসেল বহু কষ্ট সহ্য করে। এত টাকার একটা জিনিস ফেরত দিতে গিয়ে তাদের জীবনে কষ্টের শেষ থাকে না।
 উদ্দীপকে দেখা যায় যে, সাকিব সামান্য বেতনভুক্ত কর্মচারী হলেও তার মধ্যে সততার কোনোরূপ অভাব নেই। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় তাকে শুধু শুধু পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এমনিতেই অভাবগ্রস্ত পরিবার তার উপর এতগুলো টাকা দুবছরের মধ্যে পরিশোধ করতে গিয়ে সাকিব এবং তার স্ত্রীকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অসম্ভব সততা এবং মনের জোর থাকায় কাজটি করতে পেরেছে সাকিব এবং তার স্ত্রী।
 সৎ ও দৃঢ় মানসিকতার কারণে অসাধ্যকে সাধন করায় এ কথা বলা হয়েছে যে, “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকের পাত্র-পাত্রী যেন মাদাম ও তার স্বামী লোইসেলের মানসিকতার প্রতিচ্ছবি”।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
‘নেকলেস’ গল্পটি পড়ানো শেষে বাংলা বিভাগের শিক্ষক অনিন্দ্য চৌধুরী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেনÑ
“প্রয়োজনীয়তা যেমন উদ্ভাবনের জনক
তেমনি উচ্চাকাক্সক্ষা ও বিলাসিতা ধ্বংসের জননী।”
ক. বল-নাচে যাওয়ার জন্য মাদাম লোইসেল কার কাছ থেকে হারটি ধার নিয়েছিল?
খ. হারটি হারিয়ে গেলে সেটি কেনার পর মাদাম লোইসেল ও তার স্বামী কীভাবে ঋণ পরিশোধ করেছিল?
গ. উদ্দীপকটি কীভাবে ‘নেকলেস’ গল্পের সাথে সম্পর্কিত?Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উচ্চাকাক্সক্ষা ও বিলাসিতা ধ্বংসের জননী”Ñউক্তিটি ‘নেকলেস’ গল্পের পরিণতির সাথে যেন একসূত্রে গাঁথা।Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ১



৬ নং প্রশ্নের উত্তর

 বল-নাচে যাওয়ার জন্য মাদাম লোইসেল মাদাম ফোরস্টিয়ারÑএর কাছ থেকে হারটি ধার নিয়েছিল।

 হারটি হারিয়ে গেলে সেটি কেনার পর মাদাম লোইসেল ও তার স্বামী অনেক কষ্ট করে ঋণ পরিশোধ করেছিল।
 পাওনাদারের ঋণ পরিশোধের জন্য তারা কম টাকায় একটা বাসা ভাড়া করেছিল এবং দাসীদেরকে বিদায় করে দিয়েছিল। সাধারণ পরিবারের মেয়েদের মতো সংসারের সমস্ত কাজ করতে লাগলো মাদাম লোইসেল। অপরদিকে মাদাম লোইসেলের স্বামীও অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য সন্ধ্যাবেলাতেও কাজ করতো। এভাবে দশ বছর অমানুষিক পরিশ্রম করে মাদাম লোইসেল ও তার স্বামী ঋণ পরিশোধ করেছিল।

 উদ্দীপক এবং ‘নেকলেস’ গল্পের মূল বক্তব্য প্রায় একই হওয়ায় উদ্দীপক এবং গল্পটি পরস্পর সম্পর্কিত।
 মানুষের আকাক্সক্ষার কোনো শেষ নেই। কিন্তু নিজের ক্ষমতার কথা চিন্তা করে মানুষকে কোনো কিছু পাওয়ার আশা করা উচিত। সেক্ষেত্রে নিজেকে কিছুটা হলেও পতন হতে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
 উদ্দীপকে উচ্চাকাক্সক্ষা ও বিলাসিতাকে ধ্বংসের জননী বলা হয়েছে। ‘নেকলেস’ গল্পেও এ বিষয়টিই উপস্থাপিত হয়েছে। মাদাম লোইসেল তার উচ্চাকাক্সক্ষাকে চরিতার্থ করতে গিয়ে তার স্বামীর জমানো টাকা শেষ করে ফেলে। পরবর্তীতে যখন নেকলেসটা হারিয়ে যায় তারা তাদের সমস্ত সম্পদ শেষ করে দিয়ে বান্ধবীকে নেকলেসটা ফেরত দেয় এবং তাদের কষ্টকর জীবন অতিবাহিত করতে থাকে। নিজের বর্তমান পরিস্থিতির চেয়ে অধিক করতে গিয়ে তারা যে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে সে কথাটিই উদ্দীপকে উপস্থাপিত হয়েছে। নিজের প্রয়োজনের অধিক কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ার বিষয়টি উদ্দীপকের সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের সম্পর্ক নির্দেশ করে।


 উচ্চাকাক্সক্ষা ও বিলাসিতা ধ্বংসের জননী’Ñ উক্তিটি ‘নেকলেস’ গল্পের পরিণতির সাথে যেন একসূত্রে গাঁথাÑ মন্তব্যটি যথার্থ।
 ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল উচ্চাকাক্সক্ষী ছিলেন। তিনি চাইতেন সুন্দর ঘরে থাকবেন, ভালো জামা-কাপড় পরবেন, ভালো ভালো খাবার-দাবার খাবেন। তার মধ্যে বিলাসিতা করার ইচ্ছা ছিল প্রবল। প্রয়োজনীয়তা বিষয় পূরণ হওয়ার পরও এ উচ্চাকাক্সক্ষা এবং বিলাসী মনোভাবের জন্য তার নিজেকে সর্বদা অসুখী মনে হতো।
 উদ্দীপকে বলা হয়েছে যে, প্রয়োজন মানুষকে অনেক কিছু আবিষ্কার করতে শেখায়। যেমনÑ প্রয়োজনেই মানুষ আগুন, অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসের উদ্ভাবন করেছে। তেমনি উদ্দীপকে আরো বলা হয়েছে যে, উচ্চাকাক্সক্ষা ও বিলাসিতা ধ্বংসের জননী। আর এর যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায় ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল ছিলেন অত্যন্ত উচ্চাকাক্সক্ষী। তিনি ভাবতেন যে, তার জন্ম হয়েছে ধনীদের মতো অর্থাৎ বিলাসিতার মধ্যদিয়ে জীবনযাপন করার জন্য। এসব কথা চিন্তা করে তিনি সর্বদা দুঃখী ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে থাকতেন। নিজেকে ধনী প্রমাণিত করতে নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য অন্যের কাছে থেকে গহনা চেয়ে নিয়ে এসে পরেন। অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গহনাটি মাদাম লোইসেল হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে বান্ধবীকে হারটি ফেরত দিতে গিয়ে তাদের সমস্ত জমানো টাকা খরচ হয়ে উল্টো তারা আরো ঋণী হয়ে যায় এবং অবস্থার উন্নতি করার জন্য প্রায় দশ বছর মাদাম লোইসেল ও তার স্বামীকে প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে হয়। ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেল যদি নিজেকে বড় প্রমাণিত করতে না চাইতেন তাহলে তারা এ সমস্যায় পতিত হতেন না।
 সুতরাং বলা যায়, “উচ্চাকাক্সক্ষা বিলাসিতা ধ্বংসের জননী”Ñ উক্তিটি ‘নেকলেস’ গল্পের পরিণতির সাথে যেন এক সূত্রে গাঁথাÑ মন্তব্যটি এ কারণেই যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
আনন্দময়ী বিদ্যানিকেতনের প্রবীণ শিক্ষক ‘কর্মদোষে ফল লাভ’ গল্পটি পড়ানো শেষে ছাত্রদের দুটি উপদেশ দেন।
উপদেশÑ১. উচ্চাকাক্সক্ষা বশবর্তী হয়ে এমন কাজ করো না, যা তোমাদের বিপদে ফেলতে পারে।
উপদেশÑ২. সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে পারলেই নিজেকে সুখী ভাবা যায়।
ক. ‘নেকলেস’ গল্পে নিয়তির ভুলে কার জন্ম হয়েছিল কেরানির পরিবারে?
খ. মাদাম লোইসেলের মনে সর্বদা দুঃখ বিরাজ করতো কেন?
গ. উদ্দীপকের ২ নম্বর উপদেশ ‘নেকলেস’ গল্পের কোন দিকটির ইঙ্গিত বহন করে?Ñব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের উপদেশ দুটি ‘নেকলেস’ গল্পের চেতনাকেই ধারণ করে।”Ñ উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ১



৭ নং প্রশ্নের উত্তর

 মাদাম লোইসেলের জন্ম হয়েছিল কেরানির পরিবারে।

 দরিদ্রের মতো জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে মাদাম লোইসেলের মনে সর্বদা দুঃখ বিরাজ করতো।
 মাদাম লোইসেল সুন্দরী তরুণী হওয়া সত্তে¡ও তার বিয়ে হয়েছে এক দরিদ্র কেরানির সাথে। ধারণা ছিল যতসব সুরুচিপূর্ণ ও বিলাসিতার বস্তু আছে সেগুলোর জন্যই তার জন্ম। নিজের উচ্চাকাক্সক্ষার ফল বাস্তবায়ন হচ্ছে না দেখে মাদাম লোইসেলের মনে সর্বদা দুঃখ বিরাজ করতো।

 উদ্দীপকের ২ নম্বর উপদেশটি মাদাম লোইসেলের পরিবারের দুরবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে।
 মানুষের জীবনে আকাক্সক্ষা বা সাধের শেষ নেই। একটার পর একটা আকাক্সক্ষা এসে হাজির হয়। কিন্তু যে সকল ইচ্ছা বা আকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন করা নিজের পক্ষে সম্ভব নয়। সেসব আকাক্সক্ষা ঝেড়ে ফেলাই অবশ্য কর্তব্য। কেননা, কোনো কিছু পাওয়ার আগ্রহ থাকলেও নিজের সামর্থ্যরে কথা বিবেচনা করে সে অনুযায়ী চললে তাতে কল্যাণ হয়। তেমনি মাদাম লোইসেল যদি নিজের অবস্থার কথা বিবেচনা করে পথ চলতো তবে তাকে এতটা খারাপ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করতে হতো না এবং এতটা কষ্টকর জীবনযাপনও করতে হতো না।
 উদ্দীপকের মানুষের অবস্থা এবং আকাক্সক্ষাকে সমন্বয় সাধন করে চলার কথা বলা হয়েছে। ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেল অধিক উচ্চাকাক্সক্ষার বশবর্তী হয়ে এ দুটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন না করায় যে বিপদে পতিত হয়েছে উদ্দীপকের ২ নম্বর উপদেশ সে দিকটির প্রতিই ইঙ্গিত করে।

 উদ্দীপকের উপদেশ দুটি ‘নেকলেস’ গল্পের চেতনাকেই ধারণ করে।Ñ উক্তিটি যথাযথ।
 ‘নেকলেস’ গল্পে উচ্চাকাক্সক্ষার বশবর্তী হয়ে মাদাম লোইসেল নিজেও পরিবারকে বিপদে ফেলেন। তিনি যদি তার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে চলতে পারতেন, তবে তাকে এত বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো না।
 উচ্চাকাক্সক্ষার বশবর্তী হয়ে মানুষ তার স্বাভাবিক কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে অস্বাভাবিক আচরণও করে থাকে। যেমনÑ তিনি যে একজন দরিদ্র কেরানির স্ত্রী এ কথা জেনেও একমাত্র প্রবল উচ্চাকাক্সক্ষার কারণে তিনি নিজেকে অসুখী ভাবতে থাকে। শুধু তাই নয়, তিনি তার আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা না করেই বল-নাচ অনুষ্ঠানের জন্য একটা ড্রেস তৈরি করে। এরপরও তার আকাক্সক্ষার সমাপ্তি ঘটে না। সে তার স্বামীকে গহনার কথা বললে তার স্বামী তাকে গহনা হিসেবে ফুলের কথা বলে। কিন্তু মাদাম লোইসেল যুক্তি দেখায় যে এতে তাকে অপমানজনক লাগবে। অবশেষে সে অনুষ্ঠানে পরার জন্য বান্ধবীর কাছ থেকে গহনা ধার করে নিয়ে আসে। আর এ গহনাটি হারানোর মধ্যদিয়ে তার জীবনে করুণ অধ্যায়ের সূচনা ঘটে।
 ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল যদি নিজের রিপুকে বশ করে নিজের বর্তমান পরিস্থিতিতে খুশি থাকতেন তাহলে তাকে কঠিন বিপদের মধ্যদিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হতো না। মূলত মাদাম লোইসেল উচ্চাকাক্সক্ষার বশবর্তী হওয়ায় এবং সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় না ঘটিয়ে চলার জন্যই কষ্টের জীবনে পদার্পণ করতে বাধ্য হয়। অতএব “উদ্দীপকের উপদেশ দুটি ‘নেকলেস’ গল্পের চেতনাকেই ধারণ করে।”Ñ উক্তিটি যথাযথ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
“হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সম্মান।”
ক. ‘নেকলেস’ গল্পটিতে কে দরিদ্র জীবনের ভয়াবহতা বুঝতে পারে?
খ. দারিদ্র্যের মধ্যে দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করায় মাদামের অবস্থা কেমন হয়েছিল?
গ. কবিতাংশে কবির ভাবনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের ভাবনার বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. “উদ্দীপকের চেতনার বিষয়টি মাদাম লোইসেলের মধ্যে থাকলে তার পরিণতি হতো ভিন্ন”Ñমন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১



৮ নং প্রশ্নের উত্তর

 নেকলেস গল্পটিতে মাদাম লোইসেল দরিদ্র জীবনের ভয়াবহতা বুঝতে পারে।

 দারিদ্র্যের মধ্যে দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করায় মাদামের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়েছিল।
 বান্ধবীর জড়োয়া গহনা হারিয়ে ফেলার পর সেটা ফেরত দেয়ার জন্য মাদাম লোইসেল এবং তার স্বামী ঋণ নেয়। ঋণ পরিশোধের জন্য তার স্বামী সন্ধ্যাতেও কাজ করত আর মাদাম তার বাসার সব কাজের লোককে বিদায় দিয়ে সংসারের যাবতীয় কাজ নিজেই করা শুরু করে। ময়লা কাপড়-চোপড় পরা আর অবিন্যস্ত চুলে তাকে বয়স্কা লাগে। কাজ করতে করতে তার হাতগুলো লাল, শক্ত, কর্মঠ ও অমার্জিত মেয়ের মতো হয়ে গেছে। দশ বছর দারিদ্র্যের মধ্যে দিনাতিপাত করায় মাদাম লোইসেলকে দেখে বিশ্বাস করা কঠিন যে তিনি এক সময় চমৎকার সুন্দরী ছিলেন।

 উদ্দীপকের কবির ভাবনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের ভাবনার বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
 কবির মতে, দারিদ্র্য মানুষকে মহান করে তোলে। সোনা যেমন আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি করা হয়, তেমনি দরিদ্রতার কষ্ট মানুষকে সঠিকপথে পরিচালিত এবং খাঁটি মানুষ হতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে মানুষ সর্বোচ্চ সম্মানিত আসনে উপবিষ্ট হতে পারে।
 উদ্দীপকে দারিদ্র্যকে অনেক বড় করে দেখানো হলেও ‘নেকলেস’ গল্পে দেখা যায় যে, মাদাম লোইসেল তার দারিদ্র্য অবস্থাকে ঘৃণা করে। মাদাম লোইসেল সুন্দরী হওয়ায় তিনি ভাবতেন যে সমস্ত বিলাসিতা করার জন্যই তার জন্ম হয়েছে। কিন্তু তার বিয়ে হয়েছে এক দরিদ্র কেরানির সাথে, যার ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, চলাফেরা, এমনকি পোশাক-আশাকও নিতান্ত গরিব মানুষের মতো। এ বিবর্ণ জীবনকে মাদাম লোইসেল ঘৃণা করত। ধনীদের মতো চলাফেরা করার উচ্চাকাক্সক্ষা ছিল তার। আর এখানেই উদ্দীপকের কবির ভাবনার সাথে মাদাম লোইসেলের ভাবনার বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।

 উদ্দীপকের চেতনার বিষয়টি মাদাম লোইসেলের মধ্যে থাকলে তার পরিণতি এতটা খারাপ হতো না।
 ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল অতি উচ্চাকাক্সক্ষী হওয়ায় তিনি সুখী ছিলেন না। দরিদ্র কেরানির ঘরে স্ত্রী হিসেবে এসে তার জীবনকে মনে হতো বিবর্ণ। সর্বদা তিনি মনে মনে ধনী লোকের মতো জীবনযাপন করার স্বপ্ন দেখতেন।
 উদ্দীপকে দেখা যায় যে, অভাবের স্বরূপ এবং এটা হতে উত্তরণের পথ আর এটা মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত হতে সাহায্য করে। কিন্তু ‘নেকলেস’ গল্পে দেখা যায় যে মাদাম লোইসেল দরিদ্র কেরানির সাথে বিয়ে হওয়ায় সুখী নয়। তিনি এ দরিদ্র অবস্থার কারণে ব্যথিত। তার ধারণা ছিল যে, এ গরিবি হালে জীবন কাটানোর জন্য তার জন্ম নয়। সর্বদা তিনি স্বপ্ন দেখতেন অনেক ধনী হওয়ার। কিন্তু তার কাছে বিলাসী কোনো ফ্রক বা জড়োয়া গহনা ছিল না। এ সব বিষয় তাকে সর্বদা বিরক্তি, দুঃখ এবং হতাশার মধ্যে ডুবিয়ে রাখতো। এরপর বল-নৃত্যের আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে সেজেগুজে যাওয়ার জন্য বান্ধবীর কাছ থেকে গহনা ধার করে নিয়ে আসে এবং সেটি হারিয়ে ফেলে। তারপর সে গহনাটি কিনে দিতে গিয়ে তাদের ঋণ নিতে হয়েছিল। সেটা থেকে মুক্ত হতে তার পরিবারের দশ বছর লেগে যায়।
 নিজের অবস্থার প্রতি মাদাম লোইসেলের যদি সম্মানবোধ থাকতো তাহলে সে অন্যের বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হতো না। এজন্যই বলা হয়েছে যে, “উদ্দীপকের চেতনার বিষয়টি যদি মাদাম লোইসেলের মধ্যে থাকতো তাহলে তার পরিণতি ভিন্ন হতো।”
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সাকী, শিখি, সাথী খুব ভালো বন্ধু। সাথীর বিয়েতে সাকী ও শিখিকে নিমন্ত্রণ করেছে সাথী। বিয়ের দিন সাকী ও শিখি যে যার সাধ্যমতো উপহার সামগ্রী নিয়ে সাথীদের বাড়িতে উপস্থিত হয়। সাথীর মা-বাবা বিয়েতে মেয়েকে হীরার অলংকার দিয়েছে। শ্বশুর-শাশুড়ি আরও অনেক গহনা দিয়েছে। সাথীকে একেবারে পরীর মতো লাগছিল। বিয়ে বাড়ি থেকে বাসায় গিয়ে শিখির সে কী কান্না, কারণ সে জানে এরকম চাইলেও সে কোনোদিনই পাবে না।
ক. মাদার লোইসেলের ‘কনভেন্ট’-এর সহপাঠিনী কেমন ছিল?
খ. লোইসেল কেন তার সহপাঠিনীর সাথে দেখা করতে অনীহা প্রকাশ করত?
গ. উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘শিখি ও লোইসেলের মধ্যে নিয়তিকে মানতে না পারার ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে।”Ñউক্তিটি ‘নেকলেস’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ১



৯ নং প্রশ্নের উত্তর

 মাদার লোইসেলের কনভেন্ট-এর সহপাঠিনী ধনী ছিল।

 লোইসেলের সহপাঠিনী ধনী ছিল তাই সে দেখা করতে অনীহা প্রকাশ করত।
 পৃথিবীতে শ্রেণিভেদ রয়েছে। লোইসেল এক দরিদ্র কেরানি পরিবারে জন্ম নেয়। দরিদ্র পরিবারের জন্ম হলেও সে দারিদ্র্যকে মেনে নিতে পারেনি। ধনী সহপাঠিনীর সাথে দেখা করতে গেলে নিজের অবস্থান আরও বেশি প্রকাশ হয়ে পড়ত, আর তাই লোইসেল কনভেন্ট-এর সহপাঠিনীর সাথে দেখা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করত।

 উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের অন্যের অবস্থান নিজের থেকে ভালো হওয়াতে যে মনোবেদনা সেটি প্রকাশ পেয়েছে।
 পৃথিবীতে উঁচু-নীচুর সহাবস্থান রয়েছে। নিয়তির কারণেই কেউ উঁচু ঘরে জন্ম নেয় আবার কারও আশ্রয় হয় নীচু পরিবারে। কিন্তু শুধু জন্মগত অবস্থানের কারণে মানুষ তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না এটা অনেকেই সহজে মেনে নিতে পারে না।
 উদ্দীপকে তিনজন বান্ধবীর মধ্যে সাথীর বিয়েতে অপর দুই বান্ধবী সাকী ও শিখিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু সাকী ও শিখি খুশি মনে বিয়েতে উপস্থিত হলেও ধনী পরিবারের মেয়ে হওয়ার কারণে সাথীর বিয়ের আয়োজন দেখে শিখির খুব কষ্ট হয়। কারণ শুধু দরিদ্র হওয়ার কারণে সে এরকম পাবে না। এ বিষয়টি মেনে নিতে না পেরেই বাসায় এসে কান্না করেছে। ‘নেকলেস’ গল্পে লোইসেলও নিজের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়ার ব্যাপারটি মেনে নিতে পারে নি, আর তাই ধনী বান্ধবীর সাথে দেখা করে বাসায় ফিরে কাঁদতে শুরু করেছে।

 শিখি ও লোইসেলের মধ্যে নিয়তিকে মানতে না পারার ভাবনা বিদ্যমান রয়েছেÑ উক্তিটি যথার্থ।
 নিয়তির কারণে ইচ্ছা না থাকলেও অনেক কিছুই ঘটে যায়। পৃথিবীতে শ্রেণিভেদের প্রথা বিদ্যমান। আর নিয়তির কারণেই কারও জন্ম ধনীর ঘরে কেউ বা দরিদ্রের ঘরে। নিয়তির ব্যাপারটা অনেকেই সহজে মেনে নিতে পারে না।
 উদ্দীপকে শিখি, সাকী ও সাথী তিনজন খুব ভালো বন্ধু। সাথীর বিয়ে উপলক্ষে সাকী ও শিখি নিমন্ত্রণ পেয়েছে। দুজনেই নিজেদের সাধ্যমতো বিয়েতে উপস্থিত হলেও সাথীর জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে দরিদ্র শিখির কষ্টের কারণ হয়েছে। ‘নেকলেস’ গল্পের লোইসেল নিয়তির কারণে দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েছে। আর তাই রূপ, গুণ সবকিছু থাকা সত্তে¡ও সে অনেক কিছু পায় না। ধনী বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গিয়ে শুধু জন্মগত পার্থক্যের কারণে এ রকম বঞ্চনা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি।
 ‘নেকলেস’ গল্পের লোইসেল নিজের অবস্থান ধনী বান্ধবীর সাথে মেলাতে না পেরে কষ্ট পেয়েছে। কারণ সে জানে শুধু দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে সে এসব কিছুই পাবে না। আর লোইসেলের এ কষ্টটা আমরা উদ্দীপকের শিখির মধ্যেও প্রত্যক্ষ করি। তাই বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সায়মা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। তার সখীদের সাথে নদীর ঘাটে বাসন মাজতে, জল আনতে যায়। মাহবুব চৌধুরীর বাংলোতে ফুল আনতে যায়। প্রতিদিনের মতো ফুল আনতে গিয়ে মাহবুব চৌধুরীর সুদর্শন, শিক্ষিত ছেলে দেখে তার মনে প্রণয় আকাক্সক্ষা জাগে কিন্তু কাউকে কিছু না বলে বাবার পছন্দ করা দরিদ্র এক পাত্রকেই বিয়ে করে নেয়। কারণ সে জানে তার স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়।
ক. লোইসেলের কেমন পরিবারে জন্ম হয়েছে?
খ. লোইসেল কেরানির সঙ্গে বিবাহ স্বীকার করেছিল কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “আশা থাকলেও মানুষ সবকিছু পায় না।” এ চিরন্তন সত্যটি উদ্দীপকের সায়মা ও ‘নেকলেস’ গল্পের লোইসেলের জীবনে প্রতীকায়িত হয়েছেÑ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ১



১০ নং প্রশ্নের উত্তর

 লোইসেলের এক কেরানি পরিবারে জন্ম হয়েছে।

 কেরানির পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে ধনী বা বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কোনো উপায় না থাকাতে কেরানির সঙ্গে বিবাহ স্বীকার করে নিয়েছিল।
 নিয়তির কারণে মানুষের অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকে যায়। লোইসেল সুন্দরী তরুণী হলেও কেরানি পরিবারে জন্ম নেয়াটা পরিচিত হওয়ার, প্রশংসা পাওয়ার, প্রেম লাভ বা ধনী লোকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কোনো উপায় ছিল না। তাই শিক্ষা পরিষদ অফিসের সামান্য এক কেরানির সঙ্গে বিবাহ সে স্বীকার করে নেয়।

 নিজের অবস্থানের কারণে অনেকেই তার ইচ্ছা পূরণ করতে পারে না। উদ্দীপকের এ বিষয়টি ‘নেকলেস’ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে।
 সবকিছু থাকা সত্তে¡ও শুধু নিয়তির কারণে মানুষের অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকে যায়। আর তা মেনে নেয়া সবার জন্যই সহজসাধ্য হয়ে ওঠে না। আর এখান থেকে মানুষের মনে কষ্টের জন্ম হয়।
 উদ্দীপকের সায়মা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় সবকিছু স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছে। কিন্তু ধনীর পুত্রকে নিয়ে তার যে প্রণয় আকাক্সক্ষা জেগেছে শুধু গরিব হওয়ার কারণে যে তার এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না তা সে বুঝতে পেরেই নীরব থেকেছে। ‘নেকলেস’ গল্পের লোইসেল সুন্দরী হওয়া সত্তে¡ও আনন্দ বা আশা ছিল না। কারণ, প্রশংসা, প্রেম লাভ বা বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বিয়ে করার উপায় না থাকাতে বাবার পছন্দের দরিদ্র পাত্রকেই বিয়ে করতে রাজি হয়েছে।

 ‘আশা থাকলেও মানুষ সবকিছু পায় না’-বাক্যটি সঠিক ও যথার্থ।
 প্রত্যেক মানুষই স্বপ্ন দেখে। প্রতিনিয়ত নানা কারণে মানুষের স্বপ্ন ভেঙে যায়। আর এ স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার অন্যতম একটি কারণ দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া। নিয়তির কাছে মানুষ যেন পুতুল মাত্র।
 উদ্দীপকের সায়মা সখীদের সাথে মিলেমিশে ভালোই ছিল। কিন্তু ধনীর পুত্রকে নিয়ে তার যখন স্বপ্ন শুরু হয়, তার পরক্ষণেই সে বুঝতে পারে এ স্বপ্ন কখনো পূরণ হওয়ার নয়। এজন্য নিজের পছন্দের কথা কাউকে বলার প্রয়োজনই মনে করেনি। ‘নেকলেস’ গল্পের লোইসেলের অনেক স্বপ্ন ছিল পরিচিত হওয়ার, প্রশংসা পাওয়ার, প্রেমলাভ করার কিন্তু শুধু নিয়তির কারণে কেরানি পরিবারে জন্ম নিয়ে তার সকল আশা পূর্ণ হয়নি।
 ‘নেকলেস’ গল্পের লোইসেলের মনে অনেক আশা ছিল, কিন্তু দরিদ্র হওয়ার কারণে তার আশা অপূর্ণ থেকেছে। নিয়তির কারণে সুন্দরী তরুণী হওয়া সত্তে¡ও সে তার যোগ্য, পছন্দমতো পাত্র বেছে নেয়ার সুযোগ পায়নি। উদ্দীপকের সায়মাও একজনকে পছন্দ করেছে কিন্তু নিষ্ফল প্রণয় নিবেদন হবে জেনে কাউকে কিছু না বলেই বাবার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করেছে। আশাহতের এ ব্যাপারটি উদ্দীপক ও ‘নেকলেস’ গল্পে বিদ্যমান। এসব আলোচনায় প্রমাণ হয় মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
নাদিয়া ও মিলি একই ক্লাসে পড়ে। মিলিকে দেখে নাদিয়ার শৈশবে ফেলে আসা নূপুরের কথা মনে হয়। এজন্য মিলি দরিদ্র হওয়া সত্তে¡ও ধনীর কন্যা নাদিয়া মিলিকে বন্ধু করে নেয়। নাদিয়া জন্মদিনে মিলিকে নিমন্ত্রণ জানালে মিলি নাদিয়াদের বাড়িতে উপস্থিত হয়। নাদিয়াদের বাড়িতে গিয়ে মিলি অবাক হয়ে যায়, সে যেমন স্বপ্ন দেখে নাদিয়াদের বাড়ির অবস্থা ঠিক তেমনি।
ক. লোইসেলের ধারণা কী?
খ. লোইসেলের দুঃখ হতো কেন?
গ. উদ্দীপকের মিলি ‘নেকলেস’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেÑ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল ও উদ্দীপকের মিলি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি।Ñউক্তিটির যথার্থতা বিচার কর। ১



১১ নং প্রশ্নের উত্তর

 লোইসেলের ধারণা যত সব সুরুচিপূর্ণ ও বিলাসিতার বস্তু আছে, সেগুলোর জন্যই তার জন্ম হয়েছে।

 লোইসেল আশা করত সব ভালোকিছু সে পাবে, আর এ আশার সাথে যখন না পাওয়ার দ্ব›দ্ব হতো এ ব্যাপারটাই তখন তাকে দুঃখ দিত।
 চাওয়ার সাথে পাওয়ার ইচ্ছা মানুষের সহজাত। লোইসেল কেরানি পরিবারে জন্ম নিলেও তার বিলাসি জীবনের স্বপ্ন ছিল আর এসব যখন পূর্ণ হতো না, তখন লোইসেল দুঃখ পেত।

 উদ্দীপকের মিলি ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে।
 মানুষের চাওয়া-পাওয়ার সাথে দ্ব›েদ্ব যখন আশা পূর্ণ হয় না, তখন মানুষের কষ্ট হয়। আর এ পাওয়ার পথে যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় নিয়তি, সেটা মেনে নেয়া সত্যিই কষ্টকর।
 উদ্দীপকের মিলির সাথে নাদিয়ার বন্ধুত্ব হয়। নাদিয়ার জন্মদিনে মিলি নিমন্ত্রণ পেয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছে। ধনী নাদিয়াদের বাড়ি গিয়ে মিলি অবাক হয়ে যায়। কারণ, মিলি স্বপ্ন দেখে নাদিয়াদের বাড়ির সবকিছুর মতো তারও হবে। ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল ভাবতো তার থাকবে প্রাচ্য-চিত্র-শোভিত, উচ্চ ব্রোঞ্জ-এর আলোকমণ্ডিত পার্শ্বকক্ষ। আরও ধনীদের বাড়ির নানান সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

 ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল ও উদ্দীপকের মিলি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনিÑ উক্তিটি যথার্থ হয়েছে।
 আশা মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। সংসারের শত প্রতিকূলতার মাঝেও মানুষ স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকে। আর এই স্বপ্ন পূরণের ব্যর্থতাই মানুষকে আবার নানারকম কষ্ট দেয়।
 উদ্দীপকে ধনী নাদিয়ার সুবাদে মিলি তার বন্ধুত্ব লাভের সুযোগ পেয়েছে। মিলি দরিদ্র হলেও বন্ধুত্বের সুবাদে নাদিয়ার জন্মদিনে নিমন্ত্রণ পেয়েছে। সবার মতো মিলিরও স্বপ্ন ছিল। তার সে স্বপ্ন পূরণ বান্ধবী নাদিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছে। তার নিজের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল নিয়তির কারণে দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু সেও অন্যদের মতো নিজের মাঝে স্বপ্নকে লালন করেছে। আর তার সে স্বপ্ন বরাবরই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
 ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল স্বপ্ন দেখে ধনীদের মতো বেঁচে থাকার, স্বপ্ন পুরুষকে বিয়ে করার, সুন্দর ঐশ্বর্যময় বাড়ি তার ভেতরের আসবাবপত্র। কিন্তু তার স্বপ্ন কখনও পূরণ হয়নি। তেমনি উদ্দীপকের মিলিও স্বপ্ন দেখে নাদিয়াদের বাড়ির অবস্থার মতো তাদের বাড়ির অবস্থা হবে। সেটাও অপূর্ণ থেকে গেছে মিলির কাছে। স্বপ্নকে ছুঁতে পারেনি লোইসেল ও মিলি। এসব আলোচনায় বলা যায়, উক্তিটি যথার্থ হয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
কাসেমের বস মশিউর রহমান তাঁর বাড়িতে পার্টির আয়োজন করেছেন মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে। অফিসের সবাইকে তিনি নিমন্ত্রণ কার্ড পাঠিয়েছেন। কার্ড পেয়ে কাসেম মহাখুশি এত বড় অনুষ্ঠানে সপরিবারে নিমন্ত্রণ পেয়ে। কিন্তু কাসেমের স্ত্রী কিছুতেই খুশি হতে পারল না। কারণ, বড় পার্টিতে যাওয়ার জন্য সে নিজের যা আছে তা পরে যেতে রাজি নয়। অনেক চেষ্টা করেও কাসেম রাজি করাতে পারল না। তাই কাসেমের ইচ্ছা সত্তে¡ও তার স্ত্রীর জন্য সেখানে যাওয়া হলো না।
ক. নিজ বাসগৃহে মসিঁয়ে ও মাদাম লোইসেলের উপস্থিতি কামনা করেন কেন?
খ. মঁসিয়ে লোইসেল নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে গেল কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘নেকলেস’ গল্পের কোনদিককে ইঙ্গিত করে? বুঝিয়ে লেখ।
ঘ. আংশিক মিল থাকলেও উদ্দীপকের সাথে ‘নেকলেস’ গল্পে যথেষ্ট বৈসাদৃশ্যও রয়েছেÑ মূল্যায়ন কর। ১




১২ নং প্রশ্নের উত্তর

 জনশিক্ষামন্ত্রী ও মাদাম জর্জ রেমপাননু নিজ বাসগৃহে মসিঁয়ে ও মাদাম লোইসেলের উপস্থিতি কামনা করেন।

 মঁসিয়ে লোইসেল স্ত্রীকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে সে আতঙ্কে নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে গেল।
 মসিঁয়ে লোইসেল আনন্দিত হয়ে জনশিক্ষামন্ত্রী ও মাদাম জর্জের কার্ডটি লোইসেলকে দিয়েছিল। ভেবেছিল এত বড় অনুষ্ঠানে যাওয়ার নিমন্ত্রণ কার্ড পেয়ে তার স্ত্রী খুব খুশি হবে। কিন্তু এর পরিবর্তে কার্ডটি পেয়ে সে তার স্ত্রীকে কাঁদতে দেখেছে। তাই সে নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে গেল।

 উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের বিলাসী ভাবনার দিকটিকে ইঙ্গিত করে।
 স্বপ্নবিলাসী মানুষ বাস্তবতার সম্মুখীন হতে ভয় পায়। নিজের অবস্থান থেকে সুখী হওয়ার চেষ্টা না করে অন্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টায় থাকে। এসব মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
 উদ্দীপকে কাসেম বসের বাড়িতে পার্টির নিমন্ত্রণ পেয়ে খুশি হয়ে খবরটি স্ত্রীকে দিতে এসেছিল। কিন্তু কাসেমের স্ত্রী খুশি হতে পারেনি। সে নিজের অবস্থানে খুশি নয়, অন্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়। সে তাই পার্টিতে যাওয়ার জন্য নিজের যা আছে তা পরেই সন্তুষ্ট হতে পারবে না। ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেলের স্বামী খুশি মনে কার্ড দিলেও সে খুশি হতে পারেনি। বিলাসী মনের মাদাম লোইসেল পার্টিতে আর দশজন ধনীর দুলালীদের মতো সাজগোজ করে যাওয়ার আশা পোষণ করে।

 আংশিক মিল থাকলেও উদ্দীপকের সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য রয়েছেÑ উক্তিটি সঠিক হয়েছে।
 স্বপ্নের পথ বেয়ে মানুষের এগিয়ে চলা আর সেখানেই বাস্তবতার মুখোমুখি, তখন অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও উপায় সবসময় হয়ে ওঠে না। তারপরও মানুষ সাধ্যমতো চেষ্টা করে।
 উদ্দীপকের কাসেম তার বসের কাছ থেকে পার্টির নিমন্ত্রণ পেয়েছিল। আর তাতেই কাসেম খুশি হয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে পার্টিতে যাওয়ার আশা পোষণ করেছিল। কিন্তু তার স্ত্রী ভালো সাজ-পোশাক নেই বলে কাসেমের সাথে যেতে রাজি হয় নি। অন্যদিকে ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল স্বামীর হাত থেকে কার্ডটি পড়ে খুব হতাশ হয়েছে। কারণ সে তার কমমূল্যের সাজ-পোশাক পরে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যেতে পারবে না। মাদাম লোইসেলের ইচ্ছা ধনী মেয়েদের মতো সাজ-পোশাক পরে অনুষ্ঠানে যাওয়া। তাই অনেক কষ্ট করে সবকিছু জোগাড় করে তবেই বল-নাচের দিন উপস্থিত হয়েছে।
 ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেলের প্রথমে নিজের সাজ-পোশাক পরে যাওয়ার অনিচ্ছা থাকলেও স্বামীর সহায়তায় ধনীদের মতো করে যেতে পেরেছে বল-নাচের দিন। কিন্তু উদ্দীপকের কাসেমের স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে কোনোরকম সহায়তা পায়নি, তাই নিজের সাজ-পোশাক পরে অনুষ্ঠানে যেতেও রাজি হয়নি। এসব আলোচনা প্রেক্ষিতে বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।


অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
১ এক সন্ধ্যায় মাদাম লোইসেলের স্বামী মঁসিয়ে কী হাতে ঘরে ফিরলেন?
ক সুন্দর গয়নার বাক্স ছ একটি বড় খাম
গ উজ্জ্বল রৌপ্য পাত্র ঘ কারুকার্যপূর্ণ পর্দা
২ মাদাম লোইসেলের সর্বদা দু:খ কারণ, সে-
ক নেকলেস হারিয়ে ফেলেছে ছ কাঙ্খিত জীবন পায়নি
জ রান্নাঘরে কাজ করে ঘ দামি পোশাক পরতে পারে না
ক্স অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
তন্বী সাধারণ পরিবারের একটি মেয়ে। সাজগোজের বড় শখ তার। কিন্তু প্রসাধনী ক্রয়ের সামর্থ্য তার বাবা-মায়ের নেই। তবে বড়লোকের ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামী প্রায়ই গরিবের মেয়ে বলে ধিক্কার দিয়ে তন্বীকে শারীরিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেলে বাবা-মায়ের ভাঙা কুটিরেই তিনি ফিরে আসেন। তন্বী উপলব্ধি করেন, বিত্ত-বৈভবই মানুষের প্রকৃত পরিচয় নয়।
৩ উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের যে ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে তা হলোÑ
র. উচ্চাশা রর. পরশ্রীকাতরতা
ররর. লোভ-লালসা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও রর ঘ র, রর ও ররর
৪ ৩নং প্রশ্নে উলি­খিত ভাবের প্রতিফলন যে বাক্যে প্রকাশ পেয়েছে তা হলো
চ যত সব সুরুচিপূর্ণ ও বিলাসিতার বস্তু আছে, সেগুলির জন্যই তার জন্ম হয়েছে।
খ মুরগির পাখনা খেতে খেতে মুখে সিংহ-মানবীর হাসি নিয়ে কান পেতে শুনবে চুপি চুপি বলা প্রণয়লীলার কাহিনী।
গ সুখী করার, কাম্য হওয়ার, চালাক ও প্রণয়যাচিকা হবার কতই না তার ইচ্ছা।
ঘ আমার কোনো মণিমুক্তা, একটি দামি পাথর কিছুই নেই যা দিয়ে নিজেকে সাজাতে পারি।

মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক যাচাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক লেখক অনুবাদক পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ ‘নেকলেস’ গল্পটি কে লিখেছেন?
ক গুস্তাভ দ্য মোপাসাঁ খ গুস্তাভ ফ্লবেয়ার
জ গী দ্য মোপাসাঁ ঘ লরা লি পয়টিভিন
৬ গী দ্য মোপাসাঁ ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ৫ই মে খ ৫ই জুন গ ৫ই জুলাই ঝ ৫ই আগস্ট
৭ গী দ্য মোপাসাঁ ফ্রান্সের কোন শহরে জন্মগ্রহণ করেন?
চ নর্মান্ডি খ প্যারিস গ নান্টেস ঘ স্টার্সবার্গ
৮ কত সালে গী দ্য মোপাসাঁ নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হন?
ক ১৮৫৩ সালে খ ১৮৫৭ সালে
গ ১৮৬৩ সালে ঝ ১৮৬৭ সালে
৯ পারিবারিক বন্ধু গুস্তাভ ফ্লবেয়ার মোপাসাঁর সাহিত্য জীবনে কীসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন?
ক সহপাঠীর ভূমিকায় ছ অভিভাবকের ভূমিকায়
গ সহলেখকের ভূমিকায় ঘ সহকর্মীর ভূমিকায়
১০ মোপাসাঁর সাহিত্য জীবন শুরু কী রচনার মাধ্যমে?
চ কবিতা খ গল্প গ উপন্যাস ঘ নাটক
১১ কাব্যচর্চা দিয়ে সাহিত্য জীবন শুরু করলেও মোপাসাঁ কী হিসেবে সমধিক খ্যাতি অর্জন করেন?
চ গল্পকার খ ঔপন্যাসিক গ নাট্যকার ঘ প্রাবন্ধিক
১২ গী দ্য মোপাসাঁ ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
চ ৬ই জুলাই খ ১১ই জুলাই
গ ১৭ই জুলাই ঘ ২১ শে জুলাই
১৩ পূর্ণেন্দু দস্তিদার চট্টগ্রামের কোন উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
চ পটিয়া খ হাটহাজারী
গ সীতাকুণ্ড ঘ সাতকানিয়া
১৪ পূর্ণেন্দু দস্তিদার ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ২০শে মে ছ ২০শে জুন
গ ২০শে জুলাই ঘ ২০শে আগস্ট
১৫ পূর্ণেন্দু দস্তিদারের মাতার নাম কী?
চ কুমুদিনী দস্তিদার খ কুসুমকুমারী দস্তিদার
গ বিনোদিনী দস্তিদার ঘ রাজমোহিনী দস্তিদার
১৬ পূর্ণেন্দু দস্তিদারের পিতার নাম কী?
চ চন্দ্রকুমার দস্তিদার খ চন্দ্রনাথ দস্তিদার
গ বিমল দস্তিদার ঘ সুবিমল দস্তিদার
১৭ পূর্ণেন্দু দস্তিদার পেশাগত জীবনে কী ছিলেন?
ক অধ্যাপক খ প্রকৌশলী গ ব্যবসায়ী ঝ আইনজীবী
১৮ লেখক হিসেবে পূর্ণেন্দু দস্তিদারের খ্যাতি কী হিসেবে ছিল?
ক সমাজ সচেতন লেখক খ সমাজ উন্নয়ন লেখক
জ সমাজ ভাবুক লেখক ঘ সমাজ প্রগতিশীল লেখক
১৯ পূর্ণেন্দু দস্তিদার ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ৯ই মার্চ ছ ৯ই মে গ ৯ই জুন ঘ ৯ই আগস্ট
২০ কোথায় যাওয়ার পথে পূর্ণেন্দু দস্তিদার মৃত্যুবরণ করেন?
ক মায়ানমার খ মালয়েশিয়া জ ভারত ঘ পাকিস্তান
২১ কোন বিদ্রোহে অংশ নেয়ার কারণে পূর্ণেন্দু দস্তিদার কারাবরণ করেছিলেন?
ক কারাবিদ্রোহ খ চাকমা বিদ্রোহ
জ চট্টগ্রামে যুব বিদ্রোহ ঘ নোয়াখালী বিদ্রোহ
২২ পূর্ণেন্দু দস্তিদার কার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন?
ক প্রীতিলতার ছ মাস্টার দা সূর্যসেন-এর
গ বিনোদবিহারী-এর ঘ অনির্বান বড়–য়া-র
২৩ কোনটি পূর্ণেন্দু দস্তিদার-এর প্রকাশিত গ্রন্থ?
ক নেকড়ে অরণ্য খ সংকর সংকীর্তন
গ সমুদ্রের স্বাদ ঝ কবিয়াল রমেশ শীল
২৪ কোনটি পূর্ণেন্দু দস্তিদার-এর অনুবাদ গ্রন্থ?
ক জুলভার্ন খ সংকর সংকীর্তন
জ শেখভের গল্প ঘ কবিয়াল রমেশ শীল
২৫ পূর্ণেন্দু দস্তিদার জীবনের সর্বশেষ সফরে ভারত যাচ্ছিলেন কেন?
ক চিকিৎসার জন্য ছ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য
গ রাষ্ট্রীয় সফরে ঘ আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে
খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
২৬ মাদাম লোইসেলের পিতা পেশায় কী ছিলেন?
ক হকার খ শিক্ষক জ কেরানি ঘ আইনজীবী
২৭ মাদাম লোইসেল তার শ্রেণির অন্যতম হিসেবে কেমন ছিল?
ক কৃপণ খ রাগী গ বঞ্চিত ঝ অসুখী
২৮ মাদাম লোইসেলের স্বামী পেশায় কী ছিলেন?
ক আইনজীবী ছ শিক্ষা পরিষদ অফিসের কেরানি
গ রাজকর্মচারী ঘ ব্যবসায়ী
২৯ কোন বস্তু মাদাম লোইসেলের খুব প্রিয়?
ক টুপি খ গোলাপ ফুল
গ হাতের চুড়ি ঝ জড়োয়া গহনা
৩০ ‘নেকলেস’ গল্পে কোন মাছের উলে­খ রয়েছে?
ক শ্যামন খ রূপচাঁদা গ ইলিশ ঝ রোহিত
৩১ ও কী ভালো মানুষ!Ñকার সম্পর্কে মসিঁয়ে লোইসেল একথা বলেছে?
ক শিক্ষামন্ত্রী খ ফোরস্টিয়ার
জ মাদাম লোসিয়েল ঘ জেনি
৩২ মাদাম লোইসেল চরিত্রটি কেমন?
ক বাস্তববাদী খ স্পষ্টভাষী
জ কল্পনাপ্রবণ ঘ আবেগপ্রবণ
৩৩ মাদাম লোইসেলের ধারণা কোন ধরনের বস্তুর জন্যই তার জন্ম হয়েছে?
ক কমমূল্যের খ রুচিহীন জ সুরুচিপূর্ণ ঘ মূল্যহীন
৩৪ “দরিদ্র কৃষকের কন্যা হেনা নিজ অবস্থার জন্য অত্যন্ত ব্যথিত।”-হেনার সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের কার সাদৃশ্য রয়েছে?
ক মসিঁয়ে ছ মাদাম লোইসেল
গ ফোরসটিয়ার ঘ জেনি
৩৫ ‘থাকবে তাতে বিভিন্ন চমৎকার আসবাব’-এখানে কীসের কথা বলা হয়েছে?
ক পার্শ্বকক্ষ খ বাসকক্ষ গ খাবারঘর ঝ বৈঠকখানা
৩৬ মাদাম লোইসেল ভাবত তার কতজন গৃহভৃত্য থাকবে?
চ দুইজন খ তিনজন গ চারজন ঘ পাঁচজন
৩৭ ‘অদম্য কামনায় তার বুক দুরু দুরু করে।’-এই ‘অদম্য কামনা’ কীসের জন্য?
ক হার গলায় পরার ছ হার ধার পাওয়ার
গ স্বামীকে খুশি করার ঘ সবাইকে অবাক করে দেওয়ার
৩৮ খ্রিস্টান মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত স্কুলকে কী বলা হয়?
ক মনুমেন্ট ছ কনভেন্ট গ চার্চ ঘ বিদ্যাপীঠ
৩৯ “তার দাম দিতে দশ বছর লেগেছে।”-এখানে কীসের কথা বলা হয়েছে?
চ হার খ ফ্রক গ জুতো ঘ কঙ্কন
৪০ “লোইসেল পরম আবেগে তাকে বুকে চেপে ধরে।”-এর মধ্য দিয়ে কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে?
চ আনন্দ খ হতাশা গ দুঃখ ঘ নিরাশা
৪১ “যেকোনো মেয়ের অন্তরে এই পরিপূর্ণ বিজয় কত মধুর।”-এই ‘পরিপূর্ণ বিজয়’ কোনটির সাথে তুলনীয়?
ক প্রিয়জনের বিজয় খ শিক্ষার বিজয়
জ সৌন্দর্যের বিজয় ঘ ভালোবাসার বিজয়
৪২ কোন দিকটি ‘নেকলেস’ গল্পটিকে জনপ্রিয় করে তোলে?
ক প্রাঞ্জলতা সূচনা খ সহজ সরল ভাষা
গ আকর্ষণীয় ঘটনা
ঝ অপ্রত্যাশিত কিন্তু অত্যন্ত আকর্ষণীয় সমাপ্তি
৪৩ ফরাসি ভাষায় ‘নেকলেস’ গল্পটির নাম কী?
ক খধ চধৎব ছ খধ চধৎঁৎব
গ ইব চধৎঁৎব ঘ খর চধৎঁৎব
৪৪ ‘খধ চধৎঁৎব’ সর্বপ্রথম কত সালে প্রকাশিত হয়?
ক ১৮৮০ সালে খ ১৮৮২ সালে
গ ১৮৮৬ সালে ঝ ১৮৮৪ সালে
৪৫ ‘খধ এধঁষড়রং’ কী?
চ একটি ফরাসি পত্রিকা খ একটি বই
গ একধরনের পোশাক ঘ রাজকীয় অনুষ্ঠান
৪৬ “ঈদে স্বামীর কাছে এমন পোশাকই রিনি চেয়েছে যা তার স্বামীর সাধ্যের মধ্যে। সে চায় না তাকে পোশাক দিতে গিয়ে তার স্বামীর কষ্ট হোক।”Ñকোন দিক থেকে রিনি ও মাদাম লোইসেলের মধ্যে বৈসাদৃশ্য লক্ষণীয়?
ক লোভ ছ স্বামীর প্রতি ভালোবাসা
গ উচ্চাকাক্সক্ষা ঘ নিজ অবস্থান সচেতনতা
৪৭ “ঐ দুঃখজনক দেনা শোধ করা প্রয়োজন”Ñএখানে দেনাকে ‘দুঃখজনক’ বলা হয়েছে কেন?
ক দেনাটা তাদের কোনো কাজে আসেনি বলে
ছ দেনা করেও তারা দুঃখ ঘোচাতে পারেনি বলে
গ দেনা করেও মাদাম ফোরস্টিয়ারের কথা রাখতে পারেনি বলে
ঘ দেনা করেও তারা বিপদ থেকে রক্ষা পায়নি বলে
৪৮ মাদাম লোইসেলের স্বামী সন্ধ্যাবেলায় কী করে?
ক স্ত্রীর কাজে সাহায্য করে
ছ কয়েকজন ব্যবসায়ীর হিসাবের খাতা ঠিক করে
গ অন্য একটি অফিসে কাজ করে
ঘ একটি নৈশ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে
৪৯ প্যালেস রয়েলে মসিঁয়ে ও মাদাম লোইসেল যে হীরার কণ্ঠহার দেখল তার দাম কত ছিল?
চ চলি­শ হাজার ফ্রঁাঁ খ পঞ্চাশ হাজার ফ্রঁাঁ
গ পঁয়তালি­শ হাজার ফ্রঁাঁ ঘ ষাট হাজার ফ্রঁাঁ
৫০ মাদাম লোইসেলের নৃত্যের মধ্যে কী লক্ষ্য করা যায়?
ক অভিজ্ঞতা ছ আবেগ ও উৎসাহ
গ ভয় ও উদ্বেগ ঘ জড়তা
৫১ ‘হতাশভাবে তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে।’ কেন?
চ হার হারিয়ে ফেলার কারণে
খ সোনার কাঁকন হারিয়ে ফেলার কারণে
গ মুক্তার গাউন ছিঁড়ে ফেলার কারণে
ঘ দামি গাউন ছিঁড়ে ফেলার কারণে
৫২ মেয়েটি হঠাৎ আর্তনাদ করে ওঠে কেন?
ক নিজের বিকৃত রূপ দেখে খ হাতের কঙ্কন খুঁজে না পেয়ে
গ পোশাক ছিঁড়ে গেছে বলে ঝ হারখানা গলায় না দেখে
৫৩ মাদাম লোইসেল দারিদ্র্যের ভয়াবহতা বুঝতে পারে কীভাবে?
ক স্বামী চাকরি হারালে খ পিতা চাকরি হারালে
জ দুঃখজনক দেনার কারণে ঘ পিতার মৃত্যুর কারণে
৫৪ নেকলেস গল্পের লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী নিয়তির ভুলে কেরানির পরিবারে কার জন্ম হয়েছে?
ক মি. লোইসেলের ছ মাদাম লোইসেলের
গ মাদাম ফোরস্টিয়ারের ঘ কমিশনারের
৫৫ মাদাম লোইসেলের স্বামী পেশায় কী ছিলেন?
চ কেরানি খ স্বর্ণকার গ পাহারাদার ঘ মজুতদার
৫৬ ‘সর্বদা তার মনে দুঃখ।’Ñনেকলেস গল্পে কার দুঃখের কথা বলা হয়েছে?
ক মি. লোইসেল ছ মাদাম লোইসেল
গ ফোরস্টিয়ার ঘ ব্রেটন
৫৭ কোনগুলো মাদাম লোইসেলের কাছে প্রিয় ছিল?
চ ফ্রক, জড়োয়া গহনা খ ফ্রক, রুপার গহনা
গ সুরুয়ার পাত্র, জড়োয়া গহনা ঘ আরামকেদারা, ফ্রক
৫৮ মাদাম লোইসেলের সহপাঠিনীর অবস্থা কেমন ছিল?
ক দরিদ্র খ মধ্যবিত্ত জ ধনী ঘ নিম্ন মধ্যবিত্ত
৫৯ এক সন্ধ্যায় মি. লোইসেল কী হাতে নিয়ে ঘরে ফিরল?
চ খাম খ ফুল গ গহনা ঘ পোশাক
৬০ মাদাম লোইসেলের হাতে আসা খামটির মধ্যে কী ছিল?
চ আমন্ত্রণলিপি খ দরখাস্ত
গ প্রমোশন পত্র ঘ বিজ্ঞাপন
৬১ মাদাম লোইসেলকে আমন্ত্রণটি কে করেছিল?
ক অর্থমন্ত্রী খ সংস্কৃতিমন্ত্রী
গ কৃষিমন্ত্রী ঝ জনশিক্ষামন্ত্রী
৬২ মি. লোইসেল প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র অনুযায়ী কত তারিখে জনশিক্ষামন্ত্রীর বাসগৃহে নিমন্ত্রণ ছিল?
চ ১৮ই জানুয়ারি খ ১৮ই ফেব্র“য়ারি
গ ১৮ই মার্চ ঘ ১৮ই এপ্রিল
৬৩ মি. লোইসেল আমন্ত্রণপত্র তার স্ত্রীকে দেবার পর কী দেখে নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে গেল?
চ স্ত্রীকে অখুশি দেখে
খ স্ত্রীকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে
গ স্ত্রীকে অত্যন্ত উৎফুল­ দেখে
ঘ স্ত্রীকে বিড়বিড় করে বকতে দেখে
৬৪ মাদাম লোইসেলের দামি পোশাক না থাকায় অভিমানে কার্ডটি কাকে দিতে বললো?
চ সহকর্মীকে খ বান্ধবী ফোরস্টিয়ারকে
গ দূরসম্পর্কের আত্মীয়কে ঘ ধনী কোনো আত্মীয়কে
৬৫ মাদাম লোইসেল আমন্ত্রণে যাবার জন্য কত ফ্রাঁ দিয়ে পোশাক কিনতে চাইল?
ক পাঁচশত ছ চারশত গ তিনশত ঘ সাতশত
৬৬ মি. লোইসেল তার স্ত্রীকে মণিমুক্তাখচিত দামী গহনার পরিবর্তে কী দিয়ে সাজতে পরামর্শ দিলেন?
ক রুপার গহনা দিয়ে খ সোনার গহনা দিয়ে
গ কাগজের ফুলের গহনা দিয়ে
ঝ সত্যিকারের ফুলের গহনা দিয়ে
৬৭ মাদাম লোইসেলকে তাঁর স্ত্রী দশ ফ্রাঁর বিনিময়ে কটি গোলাপ ফুল পাবার কথা বলে?
ক দুটি খ তিনটি জ চারটি ঘ পাঁচটি
৬৮ জড়োয়া গহনা ধার নেবার জন্য মি. লোইসেল তার স্ত্রীকে কার কাছে যেতে বলে?
চ বান্ধবীর খ বোনের গ সহকর্মীর ঘ আত্মীয়ের
৬৯ মাদাম লোইসেল স্যাটিনের বাক্সথেকে কীসের হার দেখতে পেল?
ক সোনার খ রুপার জ হীরার ঘ মুক্তার
৭০ বল-নাচের অনুষ্ঠান শেষে মাদাম লোইসেল কখন বাড়ি ফিরল?
চ ভোর চারটায় খ বিকাল পাঁচটায়
গ রাত বারোটায় ঘ রাত দুইটায়
৭১ বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি না পেয়ে মাদাম লোইসেল ও তার স্বামী কোন নদীর দিকে হাঁটতে থাকে?
ক সিন ছ বিন গ টাইগ্রিস ঘ ফোরাত
৭২ বাড়ি ফিরে আয়নার সামনে গিয়ে মাদাম লোইসেল কেন আর্তনাদ করে উঠলো?
চ হারটি গলায় না দেখে খ হারটি ভেঙে গেছে দেখে
গ হারটি নকল দেখে ঘ হারটির অর্ধেকটা নেই দেখে
৭৩ হারটি খুঁজতে গিয়ে মি. লোইসেল পরদিন কখন ফিরে এলো?
ক সকাল ছয়টার দিকে ছ সকাল সাতটার দিকে
গ সকাল আটটার দিকে ঘ সকাল নয়টার দিকে
৭৪ হারটি হারিয়ে গেলে সেটি ফেরত দেয়ার ব্যাপারে মি. লোইসেল তার স্ত্রীকে কী পরামর্শ দিয়েছিল?
ক হারটি ফেরত দিতে দেরি হবে
ছ হারটি মেরামত করতে দেয়া হয়েছে
গ হারটি ছিনতাইকারী হরণ করেছে
ঘ হারটি অসাবধানে হারিয়ে গেছে
৭৫ মি. লোইসেল তার স্ত্রীর চেয়ে কত বছরের বড় ছিল?
ক তিন বছরের খ চার বছরের
জ পাঁচ বছরের ঘ ছয় বছরের
৭৬ প্যালেস রয়েলে মি. ও মাদাম লোইসেল কীসের হার দেখেছিল?
ক সোনার খ রুপার জ হীরার ঘ মুক্তার
৭৭ হীরার কণ্ঠ হারটির দাম কত ছিল?
ক ত্রিশ হাজার ফ্রাঁ ছ পঁয়ত্রিশ হাজার ফ্রাঁ
গ চলি­শ হাজার ফ্রাঁ ঘ একচলি­শ হাজার ফ্রাঁ
৭৮ হারটি কয়দিন বিক্রি না করার জন্য মি. ও মাদাম লোইসেল স্বর্ণকারকে অনুরোধ করল?
ক দুই দিন ছ তিন দিন গ চার দিন ঘ পাঁচ দিন
৭৯ লোইসেল তার বাবার মৃত্যুর পর কত হাজার ফ্রাঁ পেয়েছিল?
ক সতেরো হাজার ছ আঠারো হাজার
গ উনিশ হাজার ঘ ষোলো হাজার
৮০ মি. লোইসেল ও মাদাম লোইসেলের দুঃখের জীবন কত দিন যাবৎ চললো?
ক আট বছর খ নয় বছর
জ দশ বছর ঘ বারো বছর
৮১ দুঃখের জীবন অতিবাহিত করার পর মাদাম লোইসেলকে কেমন দেখাত?
ক মধ্যবয়স্ক ছ বয়স্ক
গ তরুণী ঘ আগের মতোই
৮২ মাদাম লোইসেলের অবস্থা দশ বছর পর কেমন হয়েছিল?
চ গৃহস্থ ঘরের শক্ত, কর্মঠ ও অমার্জিত ঘরের মেয়ের মতো
খ মধ্যবিত্ত ঘরের কর্মঠ মেয়ের মতো
গ নিম্নবিত্ত ঘরের দরিদ্র, কর্মঠ মেয়ের মতো
ঘ নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের দরিদ্র ও অমার্জিত ঘরের মেয়ের মতো
৮৩ দুঃখের জীবনে সে কীভাবে কথা বলতো?
ক মৃদু স্বরে ছ চড়া গলায় গ ধীরে ধীরে ঘ কর্কশ স্বরে
৮৪ মাদাম ফোরস্টিয়ারের সাথে চামপস্ এলিসিসে মাদাম লোইসেলের কী বারে দেখা হয়েছিল?
ক শনিবার ছ রবিবার গ সোমবার ঘ মঙ্গলবার
৮৫ চামপস-এলিসিসে ফোরস্টিয়ারকে কেমন দেখাচ্ছিল?
চ যুবতী, সুন্দরী ও আকর্ষণীয়া খ বয়স্ক ও বিষণœ
গ মধ্য বয়সী ও আকর্ষণীয়া ঘ পূর্বের ন্যায় যুবতী
৮৬ মাদাম লোইসেলকে তার বান্ধবী চিনতে না পারায় সে নিজেকে কী বলে সম্বোধন করেছিল?
ক আমি তোমার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছ আমি মাতিলদা লোইসেল
গ আমি তোমার পরিচিত ঘ আমি লোইসেলের স্ত্রী
৮৭ বান্ধবী বিস্ময়ে চেঁচিয়ে ওঠে কী বলেছিল?
ক ‘হায়, আমার বান্ধবী মাতিলদা ছ ‘হায়, আমার বেচারী মাতিলদা
গ ‘হায়, মাদাম লোইসেল ঘ ‘হায়, আমার প্রিয় মাতিলদা
৮৮ ‘মাদাম লোইসেল’ ধার করা হারটি সম্পর্কে পরবর্তীতে কী জানতে পারে?
চ হারটি ছিল নকল খ হারটি ছিল অল্পদামী
গ হারটি ছিল দামী ঘ হারটি ছিল মহামূল্যবান
৮৯ হারটির দাম কত ফ্রাঁর বেশি হবে না বলে মাদাম লোইসেল জানতে পারে?
ক চারশত ফ্রাঁ ছ পাঁচশত ফ্রাঁ গ ছয়শত ফ্রাঁ ঘ তিনশত ফ্রাঁ
৯০ মাদাম লোইসেলের মনে সর্বদা দুঃখ বিরাজ করতো কেন?
ক পার্টিতে যেতে না পারায় খ সহপাঠিনীরা ধনী হওয়ায়
গ সাধারণ পরিবারের মেয়ে হওয়ায়
ঝ আকাক্সক্ষার সঙ্গে প্রাপ্তির অমিল হওয়ায়
৯১ বল নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মাদাম লোইসেল কেন উৎসাহ দেখায় নি?
চ দামী পোশাক ও গহনা না থাকায়
খ আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায়
গ স্বামী সামান্য বেতনের চাকুরে হওয়ায়
ঘ আমন্ত্রণটি অনাকাক্সিক্ষত হওয়ায়
৯২ ‘হিসাবি কেরানির কাছ থেকে সঙ্গে সঙ্গে এক আতঙ্কিত প্রত্যাখ্যান যেন না আসে।’Ñ বাক্যটিতে আতঙ্কিত প্রত্যাখ্যান কীসের?
চ সামর্থ্যরে সঙ্গে পোশাক ক্রয়ের বিষয়
খ পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী পোশাক ক্রয়ের বিষয়
গ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক তৈরির বিষয়
ঘ মাদাম লোইসেলের সাথে কেরানির সম্পর্কের বিষয়
৯৩ পোশাক কিনতে চারশত ফ্রাঁ লাগবে শুনে মি. লোইসেলের মুখ ম্লান হয়ে গেল কেন?
ক লোইসেলের সামর্থ্য ছিল না বলে
খ চারশত ফ্রাঁ ধার করতে হবে বলে
গ নতুন পোশাক কেনা লোইসেলের পছন্দ নয় বলে
ঝ বন্দুক কেনার জন্য সঞ্চয়ের টাকা খরচ করতে হবে বলে
৯৪ ‘বল-নাচের অনুষ্ঠানে মাদাম লোইসেলের জয়জয়কার।’ এখানে কোন জয়জয়কারের কথা বলা হয়েছে?
ক মাদাম লোইসেলের জড়োয়া গহনা
খ মাদাম লোইসেলের পারিবারিক আভিজাত্য
গ মাদাম লোইসেলের চমৎকার নৃত্য পরিবেশনা
ঝ মাদাম লোইসেলের সৌন্দর্য ও সুরুচিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
৯৫ ‘বল-নাচের’ পোশাকে অপরূপ সৌন্দর্যের সঙ্গে ঐটির দারিদ্য সুপরিস্ফুট হয়ে ওঠেছিল। বাক্যটিতে ‘ঐটি’ বলতে কোন জিনিসটার কথা বলা হয়েছে?
ক কম দামি পোশাক ছ সাধারণ চাদর
গ ফুলের গহনা ঘ কম দামি গহনা
৯৬ “ঐ ভয়ানক বিপর্যয়ে মেয়েটি সারাদিন এক বিভ্রান্ত অবস্থায় কাটাল।”Ñ এখানে ভয়ানক বিপর্যয়টি কীসের?
ক নতুন পোশাক কেনার বিপর্যয়
খ গহনা কেনার বিপর্যয়
গ হারটি ভেঙে ফেলার বিপর্যয়
ঝ হারটি হারিয়ে ফেলার বিপর্যয়
৯৭ হারটি হারিয়ে গেলে মি. লোইসেলের মধ্যে কী ধরনের ভাবনা হয়েছিল?
ক স্ত্রীর প্রতি দোষারোপের মনোভাব
ছ মাদামের বান্ধবীকে সত্যি বলার মনোভাব
গ যেকোনো মূল্যে হারটি ফেরত দেবার ব্যবস্থা
ঘ সঞ্চয়ের টাকা থেকে নতুন হার কেনার ব্যবস্থা
৯৮ হারিয়ে যাওয়া হারের মতো নতুন হার কিনে ফেরত দিতে গেলে মাদাম লোইসেল কেন ভয় পাচ্ছিল?
ক হারটি বেশি দামি নয় ভেবে
খ নতুন হারটির নকশা ভালো নয় ভেবে
গ নতুন হারটি ঠিক আগেরটির মতো নয় ভেবে
ঝ হারটি দেখে ফোরস্টিয়ার চিনতে পারবে ভেবে
৯৯ দশ বছর পরে মাদাম লোইসেলকে কেন বয়স্কা বলে মনে হতো?
চ অতিরিক্ত পরিশ্রম ও দুশ্চিন্তায়
খ কঠিন অসুখ হয়েছিল বলে
গ স্বামীর অসিহষ্ণু মনোভাবের জন্য
ঘ সব সময় নিজেকে অপরাধী মনে হওয়ায়
১০০ হীরার হার কেনার পর মাদাম লোইসেল ও তার স্বামী কীভাবে ঋণ পরিশোধ করেছিল?
ক সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করে
খ আত্মীয়ের কাছ থেকে ঋণ করে
জ কঠিন পরিশ্রম ও সাধারণ জীবনযাপন করে
ঘ লোইসেলের পিতার কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ পেয়ে
১০১ মাদাম লোইসেল তার ‘কনভেন্ট’-এর সহপাঠিনীর সঙ্গে দেখা করার পর কষ্ট পেত কেন?
চ বান্ধবী ধনী হওয়ায় হীনম্মন্যতার জন্য
খ বান্ধবীর খারাপ আচরণের জন্য
গ একসাথে কম সময় কাটানোর জন্য
ঘ বান্ধবীর মতো গহনা না থাকার জন্য
১০২ ‘নেকলেস’ গল্পে ‘খেলো’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
ক নিকৃষ্ট বা মূল্যহীন খ সাধারণ বা খারাপ
জ অতি সামান্য বা কম দামী ঘ সাধারণ বা কৃত্রিম
১০৩ ‘বাড়ি ফিরবার পথে মাদাম লোইসেল আটপৌরে চাদর দ্বারা নিজেকে আবৃত করেছিল।’-‘আটপৌরে’ বলতে কী বুঝ?
ক বিবর্ণ ছ অতি সাধারণ
গ বৈচিত্র্যহীন ঘ নিম্নমানের
১০৪ “ভাগ্যের লিখন না যায় খণ্ডন’Ñ উক্তিটির সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের কোন চরিত্র দুটির মিল রয়েছে?
ক ফোরস্টিয়ার ও লোইসেল খ লোইসেল ও ব্রেটন
জ লোইসেল ও মাদাম লোইসেল
ঘ ফোরস্টিয়ার ও মাদাম লোইসেল
১০৫ “ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না”Ñ উক্তিটি ‘নেকলেস’ গল্পের কোন লাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
ক সুখী করার, কাম্য হওয়ার, কতই না তার ইচ্ছে
খ সে কি ঐ মেয়েটির সঙ্গে কথা বলবে? হ্যাঁ, অবশ্যই বলবে
জ যদি সে গলার সেই হারখানা না হারাত তাহলে কেমন হতো?
ঘ তার রূপের বিজয়গর্বে, সাফল্যের গৌরবে সে আর কিছুই ভাবে না
১০৬ ‘যাক প্রাণ, তবু রক্ষা হোক মান’Ñ ‘নেকলেস’ গল্পের কোন চরিত্র দুটির মধ্যে উক্তিটির আদর্শগত মিল রয়েছে?
ক ফোরস্টিয়ার ও লোইসেল
ছ লোইসেল ও মাদাম লোইসেল
গ ব্রেটন ও লোইসেল ঘ লেখক ও লোইসেল
১০৭ আভিজাত্যের অদম্য বাসনায় নিঃস্ব হলো মেয়েটি। স্বামীর অসহিষ্ণু মনোভাব তাকে করল ঘর ছাড়া।Ñ উলি­খিত ঘটনাটির সাথে নিচের কোন চরিত্রটির মানসিকতার অমিল রয়েছে?
চ লোইসেল খ ফোরস্টিয়ার গ মাদাম জর্জ ঘ ব্রেটন
১০৮ ‘মাদাম লোইসেল’ চরিত্রটির মধ্যে কী ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়?
ক ভদ্র ও নম্র খ কৌশলী ও উদার
জ বিলাসী ও পরিশ্রমী ঘ নির্মম ও কৌশলী
১০৯ “বিরক্তি, দুঃখ, হতাশা ও নৈরাজ্যে সমস্ত দিন ধরে সে কাঁদত”Ñ মাদাম লোইসেলের এ ধরনের মনোভাবের জন্য কৃত কারণ কী ছিল?
চ দারিদ্র্য খ পারিবারিক সমস্যা
গ ঈর্ষাপরায়ণ ঘ প্রতিশোধ স্পৃহা
১১০ ‘নেকলেস’ গল্পে মি. লোইসেল সম্পর্কে কোনটি যথার্থ?
চ সৎ, কর্মনিষ্ঠ, ধৈর্যশীল খ পরিশ্রমী, সৎ, কৌতূহলী
গ অসহিষ্ণু, সৎ, উচ্চাকাক্সক্ষী ঘ ধৈর্যশীল, পরিশ্রমী, বিলাসী
১১১ ‘নেকলেস’ গল্পের নামকরণ ‘মাদাম লোইসেলের করুণ পরিণতি’ রাখা হলে নিচের কোন যুক্তিটি সমর্থনযোগ্য?
ক দারিদ্র্য খ উচ্চাকাক্সক্ষা
জ কেন্দ্রীয় চরিত্র ঘ বিলাসী মনোভাব
১১২ ‘মাদাম লোইসেলের’ চরিত্র বিশ্লেষণে নিচের কোন শব্দটি সমর্থনযোগ্য?
ক নির্মম ছ উচ্চাকাক্সক্ষী
গ প্রতিশোধপরায়ণ ঘ অনাড়ম্বর
১১৩ ‘নেকলেস’ গল্পে মূলত কোন বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে?
ক লোভ করা মহাপাপ খ পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
গ বিলাসিতা জীবনের সব নয়
ঝ উচ্চাকাক্সক্ষা ও লোভের পরিণাম ভয়াবহ
১১৪ ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়
আড়ালে তার সূর্য হাসে।”Ñ চরণ দুটির সঙ্গে ‘নেকলেস’ গল্পটির সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় কোনটি?
ক মাদাম লোইসেলের পোশাক কেনা
ছ কঠোর পরিশ্রম ও ঋণ পরিশোধ
গ ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে হার কেনা
ঘ বান্ধবীর কাছ থেকে জড়োয়া গহনার ব্যবস্থা করা
১১৫ চামপস্ এলিসিসে ভ্রমণরতা মেয়েটির নাম কী ছিল?
ক মাদাম লোইসেল ছ মাদাম ফোরস্টিয়ার
গ মাদাম জেনেলিয়া ঘ মাদাম এলিসিয়া
১১৬ “মুকুতা মাণিক্য নিধি
আমারে দিও না বিধি
চাহিনা এ জগতের রাজত্ব সম্মান।”
কবিতাংশের সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের কোন চরিত্রটির অমিল রয়েছে?
ক মি. লোইসেলের ছ মাদাম লোইসেলের
গ মাদাম ফোরস্টিয়ারের ঘ মাদাম জেনিলিয়ার
১১৭ “কি অনন্যসাধারণ এ জীবন আর তার মধ্যে কত বৈচিত্র্য।” বাক্যটির সঙ্গে মিল রয়েছে নিচের কোন চরণটির?
চ মানবজীবন প্রবহমান নদীর মতো।
খ এক জীবনে আর কী বা ঘটবে?
গ ক্ষুদ্র জীবনের আশাও বড় নয়!
ঘ আশা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না।
১১৮ ‘মানুষকে যুদ্ধক্ষেত্রের সাহসী সৈনিকের মতোই সংসারে ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে বাঁচতে হয়।’Ñ উক্তিটির বাস্তব অবস্থা ‘নেকলেস’ গল্পে কাদের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে?
ক লোইসেল ও ব্রেটন
খ ফোরস্টিয়ার ও লোইসেল
জ মি. লোইসেল ও মাদাম লোইসেল
ঘ ফোরস্টিয়ার ও মাদাম লোইসেল
১১৯ “আয় বুঝে ব্যয় কর।”Ñ প্রবাদটির ভুল ভাবনা অনুপস্থিত রয়েছে নিচের কোন চরিত্রটির মধ্যে?
চ মাদাম লোইসেল খ মি. লোইসেল
গ ফোরস্টিয়ার ঘ মাদাম জেনিলিয়ার
১২০ ‘একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে
ভুল করেছে যারা সবাই ভুক্তভোগী বটে।”
চরণ দুটি ‘নেকলেস’ গল্পের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক মাদাম লোইসেলের নতুন পোশাক কেনা
খ মি. লোইসেলের সারারাত ধরে হার খোঁজা
জ মাদাম লোইসেলের গহনা ধার ও সেটি হারিয়ে ফেলা
ঘ মাদাম লোইসেলের দারিদ্র্যের জীবন কাটানো
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
১২১ ‘প্যারি’ কী?
ক এক ধরনের নৃত্য খ এক ধরনের পোশাক
গ ফ্রান্সের অধিবাসী ঝ প্যারিসের ফরাসি নাম
১২২ ‘স্যাটিন’ বলতে কী বোঝানো হয়?
ক প্যারিসের একটি শহর ছ রেশমি বস্ত্র
গ পাট বস্ত্র ঘ অলংকার
১২৩ কত সাল পর্যন্ত ফ্রাঁ ফ্রান্সে প্রচলিত ছিল?
ক ২০০০ সাল ছ ২০০২ সাল
গ ২০০৪ সাল ঘ ২০০৬ সাল
১২৪ সৌজন্য প্রদর্শন ও সম্মান জানানোর জন্য কোন দেশে পুরুষদের মসিঁয়ে সম্বোধন করা হয়?
ক মিশর খ ইরাক গ চীন ঝ ফ্রান্স
১২৫ বর্তমানে ফ্রান্স ‘ইউরো’ মুদ্রা ব্যবহার করে কেন?
ক জাতিসংঘের সদস্য হওয়ায়
খ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করায়
গ আইসিসির সদস্য হওয়ায়
ঝ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায়
১২৬ “জনের গলায় সুন্দর লকেটটি হলো ক্রুশের লকেট।” উদ্দীপকের জন কোন ধর্মাবলম্বী?
ক বৌদ্ধ খ জৈন জ খ্রিস্টান ঘ হিন্দু
১২৭ ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর বহু দেশে কোন নৃত্য প্রচলিত?
চ বল খ বেলি
গ ধ্র“পদী পাঠ পরিচিতি ঘ ভরত
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
১২৮ একটি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সূত্রে কোন বিখ্যাত ঔপন্যাসিকের সাথে মোপাসাঁর পরিচয় ঘটে?
ক লিও তলস্তয় খ ম্যাক্সিম গোর্কি
গ ফিওদর দস্তয়েভস্কি ঝ গুস্তাভ ফ্লবেয়ার
১২৯ কী হিসেবে মোপাসাঁ বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন?
চ গল্পকার খ নাট্যকার গ কবি ঘ সাংবাদিক
১৩০ ফ্লবেয়ারের বাসায় মোপাসাঁর কোন বিশ্ববিখ্যাত লেখকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে?
ক শেলী জ ইভান তুর্গনেভ
গ ফিওদর দস্তয়েভস্কি ঘ বায়রন
১৩১ কীভাবে মোপাসাঁ এমিল জোলা ও ইভান তুর্গনেভসহ অনেক বিশ্ববিখ্যাত লেখকের সাথে পরিচিত হন?
ক চাকরির সুবাদে খ সাহিত্য সমিতিতে গিয়ে
জ ফ্লবেয়ারের বাসায় গিয়ে ঘ পিতার মাধ্যমে
১৩২ সাহিত্যসাধনার ক্ষেত্রে মোপাসাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন?
ক নাস্তিক খ পক্ষপাতী গ ধর্মীয় ঝ নিরপেক্ষ
১৩৩ মোপাসাঁর রচনা কোন ধরনের?
ক ব্যক্তিনিষ্ঠ খ ভাবপ্রবণ জ বস্তুনিষ্ঠ ঘ রোমান্টিক
১৩৪ পূর্ণেন্দু দস্তিদার কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১৯০৬ খ্রি. খ ১৯০৫ খ্রি. গ ১৯০৭ খ্রি.ঝ ১৯০৯ খ্রি.
১৩৫ চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ কার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়?
ক মঙ্গল পান্ডে ছ মাস্টার দা সূর্যসেন
গ প্রীতিলতা ঘ কবিয়াল রমেশ শীল
ঙ বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নোত্তর :
১৩৬ “বিপদে মোরে রক্ষা কর
এ নহে মোর প্রার্থনা
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।”
কাবিতাংশের সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের যে উক্তিটির মিল রয়েছেÑ
র. ঐ জড়োয়া গহনা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে
রর. ঘরকন্নার কঠিন সব কাজ ও রান্নাঘরের বিরক্তিকর কাজকর্ম সে শিখে নিল
ররর. সিঁড়ির প্রত্যেক ধাপে শ্বাস নেয়ার জন্য থেমে থেমে সে জল তোলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৩৭ “সর্বদা মাদাম লোইসেলের মনে দুঃখ বিরাজ করত।”Ñএর কারণ হচ্ছেÑ
র. দারিদ্র্য ও বিবর্ণ জিনিসপত্রের জন্য
রর. আকাক্সক্ষা ও প্রাপ্তির মিল না থাকায়
ররর. হতশ্রী দেয়াল ও জীর্ণ চেয়ারের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৩৮ মাদাম লোইসেল তার সহপাঠিনীর সঙ্গে দেখা করে ফিরে কষ্টে থাকতÑ
র. বান্ধবী ধনী হওয়ায়
রর. বান্ধবীর আচরণে কষ্ট পাওয়ায়
ররর. মাদাম লোইসেলের নিজের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৯ ‘ধনী মেয়েদের মাঝখানে পোশাক-পরিচ্ছদে ঐ রকম খেলা দেখানোর মতো আর বেশি কিছু অপমানজনক নেই।’Ñউক্তিটির মধ্যে কী প্রকাশ পেয়েছে?
র. হতাশা ও অভিমান রর. হতাশা ও ক্ষোভ
ররর. অভিমান ও নির্লিপ্ততা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪০ ‘হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান।”Ñচরণ দুটির বিপরীত প্রতিফলন ‘নেকলেস’ গল্পের কার মধ্যে লক্ষ করা যায়?
র. ফোরস্টিয়ার রর. মাদাম লোইসেল
ররর. মি. লোইসেল
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪১ “মাদাম লোইসেল দারিদ্র্যের জীবনের ভয়াবহতা বুঝতে পারে।”Ñ উক্তিটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণÑ
র. লোভ করা মহাপাপ রর. যেমন কর্ম তেমন ফল
ররর. ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪২ “মাদাম লোইসেলকে দেখলে এখন বয়স্কা বলে মনে হয়।”Ñএর পিছনে রয়েছেÑ
র. দুশ্চিন্তা রর. কঠিন রোগ ররর. কঠোর পরিশ্রম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৩ ‘সামান্য একটি বস্তুতে কি করে একজন ধ্বংস হয়ে যেতে আবার বাঁচতেও পারে!Ñ উক্তিটির মধ্যে প্রকৃতপক্ষে মাদাম লোইসেলের প্রতিফলন ঘটেছেÑ
র. ক্ষোভের রর. হতাশার
ররর. অনুশোচনাবোধের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৪ ‘নেকলেস’ গল্পে মি. লোইসেলের চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা রর. কষ্টসহিষ্ণু মনোভাব
ররর. কঠোর পরিশ্রমী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৪৫ পূর্ণেন্দু দস্তিদার ছিলেন একজনÑ
র. কলামিস্ট রর. লেখক
ররর. রাজনীতিবিদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৬ পূর্ণেন্দু দস্তিদার-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য হলোÑ
র. তিনি ছিলেন বিপ্লবী
রর. তিনি পেশাগত জীবনে চিকিৎসক ছিলেন
ররর. তিনি ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৭ গুস্তাভ ফ্লবেয়ার নির্দেশনা ও সহযোগিতায় মোপাসাঁ প্রবেশ করেনÑ
র. জ্ঞানের জগতে রর. সাহিত্যের জগতে
ররর. সাংবাদিকতার জগতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৮ ফ্লবেয়ারের বাসায় মোপাসাঁর পরিচয় ঘটেÑ
র. এমিল জোলার সঙ্গে
রর. দস্তয়বস্কির সঙ্গে
ররর. ইভান তুর্গনেভের সঙ্গে
কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৯ মোপাসাঁর রচনার বৈশিষ্ট্য হলোÑ
র. বস্তুনিষ্ঠতা
রর. নিরপেক্ষতা
ররর. মননশীলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫০ গী দ্য মোপাসাঁর সাহিত্যে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছেÑ
র. বিস্ময়কর জীবনবোধ
রর. পরিমিত রুচিশীলতা
ররর. অসাধারণ সংযম
কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫১ মোপাসাঁ বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হন নিÑ
র. ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা
রর. সামাজিক বিশ্বাস দ্বারা ররর. রাজনৈতিক বিশ্বাস দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর খ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৫২ ও ১৫৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
মানুষের নিয়তি অনেক সময় মানুষকে চির দুঃখী করে তোলে। নিয়তিকে খণ্ডানো মানুষের আয়ত্তের বাইরে থাকে বলেই মনে করা হয়।
১৫২ উদ্দীপকটির সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের কোন চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক ব্রেটন খ ফোরস্টিয়ার
গ মি. লোইসেল ঝ মাদাম লোইসেল
১৫৩ উলি­খিত চরিত্রটির মধ্যে কোন বিষয়টির জন্য ভাগ্যের নির্মম পরিণতি ঘটেছে?
র. লোভের রর. নিয়তির ররর. উচ্চাকাক্সক্ষার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৫৪ ও ১৫৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
শ্রীময়ী মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ। ধনী বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠানে সে আমন্ত্রিত হয়। এরকম অনুষ্ঠানে যাওয়ার মতো তার কোনো জড়োয়া গহনা নেই। তবুও সে পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে ঢাকাই শাড়ির সাথে মাটির গহনা পরে যাবে বলে মনস্থির করে।
১৫৪ উদ্দীপকের ‘শ্রীময়ী’ মানসিকতার দিক থেকে ‘নেকলেস’ গল্পে কোন চরিত্রটির বিপরীত?
ক মি. লোইসেল ছ মাদাম লোইসেল
গ ফোরস্টিয়ার ঘ মাদাম জেনিলিয়ার
১৫৫ উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের করুণ পরিণতির জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হিসেবে সমর্থনযোগ্যÑ
র. আয় বুঝে ব্যয় কর রর. লোভ করা মহাপাপ
ররর. উচ্চাকাক্সক্ষা ধ্বংসের কারণ হতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৫৬ ও ১৫৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘সততা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।’
১৫৬ উদ্দীপকটি আদর্শ ‘নেকলেস’ গল্পের কোন ঘটনার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে?
ক কঠোর পরিশ্রম করা
খ নিজ টাকায় পার্টির জন্য পোশাক কেনা
গ জড়োয়া গহনার বদলে ফুলের গহনা পরতে বলা
ঝ হারটি হারিয়ে গেলে পুনরায় ফেরতের ব্যবস্থা করা
১৫৭ উদ্দীপকটির বাস্তব প্রতিফলন কোন চরিত্রগুলোর মধ্যে লক্ষ করা যায় ?
র. মাদাম লোইসেল রর. মি. লোইসেল
ররর. ফোরস্টিয়ার
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৫৮ ও ১৫৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইফতেখার সাহেব সামান্য বেতনের সরকারি চাকুরে। ঈদ উপলক্ষে স্ত্রীর আবদার শুনে আঁৎকে ওঠে। এত দামি আসবাবের শখ পূরণ করা তার সামান্য বেতনে সম্ভব নয়। স্ত্রীকে তিনি বলেন আমার যা সামর্থ্য সেভাবেই চলা উচিত।
১৫৮ উদ্দীপকের ইফতেখার সাহেবের স্ত্রী ও ‘নেকলেস’ গল্পে ‘মাদাম লোইসেল’ চরিত্র দুটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
চ উচ্চাকাক্সক্ষা ও লোভ খ উচ্চাকাক্সক্ষা ও নির্লিপ্ততা
গ লোভ ও হিংসা ঘ উচ্চাকাক্সক্ষা ও অভিমান
১৫৯ উদ্দীপকটি ‘নেকলেস’ গল্পের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হলোÑ
র. আয় বুঝে ব্যয় করা উচিত
রর. লোভ করা ভালো নয়
ররর. উচ্চাকাক্সক্ষা প্রশ্রয় না দেয়াই শ্রেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর

 রিভিশন অংশ (জবারংরড়হ)
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলে­খ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
 বাড়ির কাজ
চধৎঃ-১ ও চধৎঃ-২ থেকে অর্জিত জ্ঞান ও শিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এক নজরে জবারংরড়হ.
 ‘নেকলেস’ গল্পের লোইসেলের আভিজাত্য প্রকাশ ও এর ভয়াবহ পরিণতি ব্যাখ্যা কর।
 ‘নেকলেস’ গল্পের মসিঁয়ে লোইসেল স্ত্রীর কল্পনাবিলাসকে যেভাবে প্রাধান্য দিয়েছেন তা ব্যাখ্যা কর।
 ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেলের যন্ত্রণাকাতর দশ বছরের দিকটি ব্যাখ্যা কর।
 গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
 মাদাম লোইসেল এক সুন্দরী রমনী, যার মনে সব সময় বিলাসী চিন্তা ও আভিজাত্যের লোভ ছিল। কিন্তু তার স্বামী এক গরিব কেরানি হওয়ায় তার দুঃখের অন্ত ছিল না।
 একবার জনশিক্ষামন্ত্রী ও মাদাম জর্জ রেমপন্নু লোইসেল দম্পতিকে বল-নাচের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায়।
 জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য গরিব লোইসেল চারশ ফ্রাঁ খরচে করে জামা বানায়। এছাড়াও লোইসেল স্বামীর পরামর্শে বান্ধবী মাদাম ফোরস্টিয়ারের কাছ থেকে একটা হীরার নেকলেস ধার নেয়।
 আনন্দঘন অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে লোইসেল নেকলেসটি হারিয়ে ফেলে।
 হারানো নেকলেসের মূল্য প্রায় চৌত্রিশ হাজার ফ্রাঁ, যা তারা ধার নেয় পরবর্তীতে তা হারিয়ে যায়, যার কারণে নিজস্ব সম্পদ থেকে একত্র করে। অবশেষে নেকলেস ফেরত দেয়।
 ধার করা টাকা ও সুদ শোধ করতে করতে প্রায় দশ বছর সময় ব্যয় হয়। ততদিনে লোইসেলের সমস্ত সৌন্দর্য হারিয়ে যায়।
 দশ বছর পর একদিন লোইসেল তার বান্ধবীকে দেখতে পায়। বান্ধবী ফোরস্টিয়ার লোইসেলের গত দশ বছরের দুর্দশার কথা শুনে খুবই দুঃখ পায়। কারণ, যে নেকলেস তারা হারিয়েছে, তা হীরের নয়। যার দাম মাত্র পাঁচশ ফ্রাঁ ।
 খ্রিষ্টান নারী মিশনারির দ্বারা পরিচালিত স্কুলকে কনভেন্ট বলে। ফ্রান্সে পুরুষদেরকে সম্মান জানাতে ‘মসিঁয়ে’ সম্বোধন করা হয়।
 ফ্রান্সের সরকারি মুদ্রার নাম ফ্রাঁ। বর্তমানে ফ্রান্সের মুদ্রার নাম ইউরো। রাজকীয় প্রাসাদকে বলা হয় প্যালেস রয়াল।
 চকচকে ও মসৃণ রেশমি বস্ত্রকে বলা হয় সাটিন, বিনোদনমূলক সামাজিক নাচকে বলা হয় ‘বল’ নাচ। বিশ্বের প্রায় সব দেশে এ নাচের প্রচলন আছে।
 গী দ্য মোপাসাঁর অন্যতম গল্পগুলোর একটি হলো ‘নেকলেস’ যার ফরাসি নাম 'খধ চধৎঁৎব' । ১৮৮৪ সালের ১৭ই ফেব্র“য়ারি ফরাসি পত্রিকা 'খধ এধঁষড়রং'-এর এটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
 এ গল্পের মাধ্যমে লোইসেল নামক নারীর জীবনের করুণ যন্ত্রণা প্রকাশ পেয়েছে।
 আভিজাত্যের প্রতি লোভ এবং নিজের যা আছে, তাতে সন্তুষ্ট না থাকার পরিণাম যে কত ভয়াবহ হতে পারেÑ সেটাই এ গল্পের প্রধান উপজীব্য বিষয়।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস


ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১ মাদাম লোইসেলের কয়জন ভৃত্য থাকবে বলে তিনি কল্পনা করেন?
উত্তর : দুইজন ভৃত্য থাকবে বলে তিনি কল্পনা করেন।
২ মাদাম লোইসেলের ভৃত্যগুলো দেখতে কেমন থাকবে?
উত্তর : ভৃত্যগুলো দেখতে মোটাসোটা থাকবে।
৩ লোইসেলের সন্ধ্যাভোজের টেবিলটা কোন আকৃতির ছিল?
উত্তর : গোল আকৃতির ছিল।
৪ সন্ধ্যাভোজে মাদাম লোইসেল তাঁর স্বামীর কোন দিকে বসেন?
উত্তর : তাঁর স্বামীর বিপরীত দিকে বসেন।
৫ খামটি ছিঁড়ে মাদাম লোইসেল কী বের করেন?
উত্তর : একখানা ছাপানো কার্ড বের করেন।
৬ পোশাক কেনার জন্য মাদাম লোইসেল কত ফ্রাঁ চেয়েছিলেন?
উত্তর : চারশত ফ্রাঁ চেয়েছিলেন।
৭ লোইসেলের বন্ধুরা কী শিকার করতে গিয়েছিল?
উত্তর : ভরতপক্ষী শিকার করতে গিয়েছিল?
৮ লোইসেলের কার সাথে শিকারে যোগ দেয়ার ইচ্ছা?
উত্তর : তাঁর বন্ধুদের সাথে।
৯ লোইসেল মাদাম লোইসেলকে কী ফুল দিয়ে সাজতে বলেছিলেন?
উত্তর : গোলাপ ফুল দিয়ে সাজতে বলেছিলেন।
১০ দু তিনটি গোলাপের দাম কত ছিল?
উত্তর : দশ ফ্রাঁ।
১১ মাদাম লোইসেলের বান্ধবীর নাম কী?
উত্তর : মাদাম ফোরস্টিয়ার।
১২ বাক্সটি খুলে মাদাম লোইসেল প্রথমে কী দেখলেন?
উত্তর : কয়েকটি কঙ্কন দেখলেন।
১৩ বল-নাচের অনুষ্ঠানে সবাই কাকে লক্ষ করেছিল?
উত্তর : মাদাম লোইসেলকে লক্ষ করছিল।
১৪ মাদাম ফোরস্টিয়ার গোপন কক্ষ থেকে কী বের করলেন?
উত্তর : জড়োয়া গহনার বাক্স বের করলেন।
১৫ শিক্ষামন্ত্রী কার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছিলেন?
উত্তর : লোইসেলের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছিলেন।
১৬ হতাশ হয়ে লোইসেল দম্পতি কোন দিকে হাঁটে?
উত্তর : বিন নদীর দিকে হাঁটে।
১৭ কতদিন পর লোইসেল দম্পতি হারের আশা ত্যাগ করলেন?
উত্তর : এক সপ্তাহ পর।
১৮ হীরার হারটি বিক্রি না করার জন্য লোইসেল কাকে অনুরোধ করেন?
উত্তর : স্বর্ণকারকে অনুরোধ করেন।
১৯ চুক্তিমতো হারটি ফেরত দিলে লোইসেল কত ফ্রাঁ পাবে?
উত্তর : চৌত্রিশ হাজার ফ্রাঁ ফেরত পাবে।
২০ অতিরিক্ত আয়ের জন্য মি. লোইসেল কী করতেন?
উত্তর : ব্যবসায়ীর খাতা ঠিক করতেন।
২১ মাদাম লোইসেলকে গল্পে অন্য কী নামে ডাকা হয়েছে?
উত্তর : মাতিলদা নামে ডাকা হয়েছে।
২২ নকল হারটির দাম কত?
উত্তর : পাঁচশত ফ্রাঁর কাছাকাছি।
২৩ চামপস এলিসিস এ মাদাম লোইসেল কোন দিন ঘুরছিলেন?
উত্তর : রবিবার দিন ঘুরছিলেন?
২৪ সন্ধ্যাভোজে মাদাম লোইসেল কীসের পাখনা খাবেন বলে কল্পনা করেন?
উত্তর : মুরগির পাখনা খাবেন বলে কল্পনা করেন।
২৫ মাদাম লোইসেলের সন্ধ্যাভোজে কী মাছ থাকবে?
উত্তর : গোলাপী রং এর রোহিত মাছ থাকবে।
২৬ ‘নেকলেস’ গল্পটির লেখক কে?
উত্তর : গী দ্য মোপাসাঁ।
২৭ মাদাম লোইসেলের বৈঠকখানায় কী পর্দা ঝুলবে?
উত্তর : পুরানো রেশমি পর্দা ঝুলবে।
২৮ কার গৃহে লোইসেল দম্পতি নিমন্ত্রণ পায়?
উত্তর : শিক্ষামন্ত্রীর গৃহে।
২৯ বল-নাচের অনুষ্ঠানে কার জয়জয়কার ছিল?
উত্তর : মাদাম লোইসেলের জয়জয়কার ছিল।
৩০ কাকে দেখলে এখন বয়স্কা মনে হয়?
উত্তর : মাদাম লোইসেলকে।

খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১ অতিরিক্ত পরিশ্রম মাদাম লোইসেলের শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে?
উত্তর : অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে মাদাম লোইসেলকে বয়স্কা মনে হতো।
মাদাম লোইসেল গরিব দুঃস্থ ঘরের শক্ত, কর্মঠ ও অমার্জিত মেয়ের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর চুল অবিন্যস্ত ও ঘাঘড়া একপাশে মোচড়ানো থাকতো। দশ বছর পর মাদাম ফোরস্টিয়ারের সঙ্গে তাঁর দেখা হলে ফোরস্টিয়ার তাকে চিনতেই পারেননি।
২ মাদাম লোইসেল দুর্দশার জন্য ফোরস্টিয়ারকে দায়ী করলেন কেন?
উত্তর : ফোরস্টিয়ারের কাছ থেকে ধার নেয়া হারটি হারিয়েই মাদাম লোইসেল দুর্দশায় পড়েন। তাই তিনি ফোরস্টিয়ারকে দুর্দশার জন্য দায়ী করেছিলেন।
মাদাম লোইসেল বল নাচের অনুষ্ঠানে যাবার জন্য ফোরস্টিয়ারের কাছ থেকে একটি হীরার হার ধার নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে তিনি হারটি হারিয়ে ফেলেন। হারটির মূল্য পরিশোধ করতে তিনি দাসীকে বিদায় করে দিয়েছিলেন এবং বাসা পরিবর্তন করে নিচু ছাদের কামরা ভাড়া নিয়ে ছিলেন।
৩ মাদাম লোইসেলকে ফুল দিয়ে সাজতে বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : লোইসেলের কাছে মণিমুক্তা বা দামি পাথর কিনে দেয়ার টাকা ছিল না বলে তিনি মাদাম লোইসেলকে ফুল দিয়ে সাজতে বলেছিলেন।
লোইসেল ছিলেন শিক্ষা পরিষদ অফিসের সামান্য কেরানি। তাঁর পক্ষে মাদাম লোইসেলকে দামি অলঙ্কার কিনে দেয়া সম্ভব ছিল না। তাই বল-নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মাদাম লোইসেলকে তিনি ফুল দিয়ে সাজতে বলেছিলেন।
৪ মাদাম লোইসেলের কী জন্য জন্ম হয়েছে বলে তিনি মনে করতেন?
উত্তর : মাদাম লোইসেলের ধারণা বিলাসী জীবনযাপন ও মণিমুক্তার আতিশয্যের জন্যই তাঁর জন্ম হয়েছিল।
সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছিল। অলঙ্কারের প্রতি তাঁর মোহ ছিল। কিন্তু তাঁর কাছে দামি ফ্রক বা জড়োয়া গহনা বলতে কিছুই ছিল না। অথচ সে সব ছিল তাঁর প্রিয় বস্তু। তিনি কল্পনায় সে গুলোর ছবি আঁকতেন।
৫ লোইসেল দম্পতি নদীর দিকে হাঁটছিলেন কেন?
উত্তর : বাড়ি যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে লোইসেল দম্পতি বিন নদীর দিকে হাঁটছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষ করে রাস্তায় পৌঁছে তাঁরা কোনো গাড়ি পেলেন না। রাস্তায় অনেক দূর খোঁজ করেও কোনো সুফল হয়নি। হতাশ হয়ে কাঁপতে কাঁপতে তাঁরা বিন নদীর দিকে হাঁটতে থাকেন।
৬ লোইসেলের মুখ ম্লান হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর : পোশাক কেনার জন্য মাদাম লোইসেল চারশত ফ্রাঁ চাওয়ায় লোইসেলের মুখ ম্লান হয়ে গিয়েছিল।
বল-নাচে যোগ দেয়ার জন্য মাদাম লোইসেল নতুন পোশাক কিনতে চেয়েছিলেন। লোইসেল চারশত ফ্রাঁ সঞ্চয় করেছিলেন বন্দুক কেনার জন্য। মাদাম লোইসেলের পোশাক কিনলে তাঁর বন্দুক কেনা হবে না। লোইসেলের আশা ভঙ্গ হয়েছিল।
৭ প্যালেস রয়েলে হারটি লোইসেল চুক্তিতে কেনেন কেন?
উত্তর : হারানো হারটি ফেরত পেলে ক্রয়কৃত হারটি ফেরত দেয়ার উদ্দেশ্যে লোইসেল চুক্তিতে হারটি ক্রয় করেন।
প্যালেস রয়েল থেকে কেনা হরটির দাম ছিল ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ। বাবার মৃত্যুর পর প্রাপ্ত আঠারো হাজার ফ্রাঁ আর বাকি টাকা ধার করে লোইসেল হারটি কেনেন। ফেব্র“য়ারি মাসের মধ্যে হারানো হারটি পেলে ক্রয়কৃত হারটি ফেরত দিয়ে তাঁরা চৌত্রিশ হাজার ফ্রাঁ ফেরত পেতে পারতো।
৮ হীরার হারটি ধার পেয়ে মাদাম লোইসেল কেমন আবেগ দেখালেন?
উত্তর : হীরার হারটি ধার পেয়ে মাদাম লোইসেল সবেগে তাঁর বান্ধবীর গলা জড়িয়ে ধরলো। পরম আবেগে তাকে বুকে ধরলেন। মাদাম লোইসেলের অলঙ্কারের প্রতি মোহ ছিল। অর্থ সঙ্কটের কারণে তিনি তাঁর আশা পূর্ণ করতে পারছিলেন না। পরম আরাধ্য বস্তুকে হাতে পেয়ে তিনি তাঁর সবটুকু আবেগকে যেন প্রকাশ করেছিলেন।
৯ লোইসেলের নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মাদাম লোইসেলকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে লোইসেল নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন।
মাদাম লোইসেল থিয়েটার দেখতে যাওয়ার জন্য একটা পোশাক ব্যবহার করতেন। বল-নাচের অনুষ্ঠানে মাদাম লোইসেলকে লোইসেল সে পোশাক পরে যেতে বলেছিল। এতে মাদাম লোইসেরের দুচোখ বেয়ে অশ্র“ গড়িয়ে পড়তে থাকে।
১০ মাদাম লোইসেল অসুখী ছিলেন কেন?
উত্তর : মাদাম লোইসেলের কল্পনার জগৎ ও বাস্তবতার জগৎ বৈসামাঞ্জস্যপূর্ণ ছিল বলে তিনি অসুখী ছিলেন।
লোইসেলের উচ্চাকাক্সক্ষা তাকে অসুখী করে তুলেছিল। তিনি তাঁর ধনী বান্ধবীর সাথে নিজের তুলনা করতেন। ধনী বান্ধবীর সঙ্গে তিনি দেখা করতে চাইতেন না। তিনি নিজেকে গরিব মনে করতেন। অথচ তাঁর কল্পনার রাজ্যটি ছিল বিশাল।
১১ মাদাম লোইসেলের কল্পনার রাজ্যটি কেমন ছিল?
উত্তর : মাদাম লোইসেলের কল্পনার রাজ্যটি ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ।
তিনি কল্পনা করতেন তাঁর বৈঠকখানায় থাকবে রেশমি পর্দা, আসবাবপত্রগুলো থাকবে চমৎকার চিত্র শোভিত। ঘরে থাকবে আরাম কেদারা। সন্ধ্যাভোজনে অপূর্ব খাদ্য হিসেবে থাকবে গোলাপী রং এর রোহিত মাছ অথবা মুরগির পাখনা। বিকেলে বন্ধুদের সাথে গল্পগুজবের জন্য থাকবে আলাদা একটি কক্ষ। মোটাসোটা দুজন ভৃত্য থাকবে তাঁর বাড়িতে।
১২ হীরার হারটি দেখে মাদাম লোইসেলের অভিব্যক্তি কেমন ছিল?
উত্তর : হীরার হারটি দেখে অদম্য কামনায় মাদাম লোইসেলের বুক দুরু দুরু করে।
হারটি তুলে নিতে গিয়ে তাঁর হাত কাঁপে। তিনি তাঁর পোশাকের উপর দিয়ে সেটা গলায় তুলে নেন। আনন্দে বিহŸল হয়ে যান। তিনি তারপর উদ্বেগ ভরা কণ্ঠে মাদাম ফোরস্টিয়ারকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি ঐ খানা আমায় ধার দেবে? শুধু এটা?”


 পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ (অংংবংসবহঃ)

 সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন- ১ : উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ফয়সাল অল্পকিছু অর্থ-সম্পদ নিয়ে লন্ডনের মতো শহরে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন, অথচ তিনি কারো কাছে কোনো হাত পাতেন নি। এক বন্ধু তাঁকে এক সময় এক জোড়া জুতা দিয়েছিল। অপমানবোধ করে তিনি সে জুতা পথে ফেলে দিয়েছিলেন। উদ্যাম, পরিশ্রম ও চেষ্টার সামনে সব বাধাই দূরীভূত হয়ে যায়। এ গুণ যার মধ্যে আছে, সে ব্যক্তি পরিশ্রমী তার দুঃখ নেই। ফয়সালকে অনেক সময় রাত্রিতে না খেয়ে শুয়ে থাকতে হতো, তাতে তিনি কোনোদিন ব্যথিত বা হতাশ হন নি।
ক. মাদাম লোইসেল এখন কাদের মতো হয়ে গেছে? ১
খ. “কী অনন্যসাধারণ এ জীবন আর তার মধ্যে কতো বৈচিত্র্য”Ñবুঝিয়ে দাও। ২
গ. উদ্দীপকে ‘নেকলেস’ গল্পের কোন বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি “নেকলেস’ গল্পের আংশিক ভাব ধারণ করেছে, সামগ্রিক ভাব নয়।”-মূল্যায়ন কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. মাদাম লোইসেল এখন গরিব গৃহস্থ ঘরের শক্ত, কর্মঠ, মার্জিত মেয়েদের মতো হয়ে গেছে।
খ. মানুষের জীবনের বৈচিত্র্য সম্পর্কে এ কথাটির বলা হয়েছে।
মানুষের জীবন সবসময় একই ধারায় প্রবাহিত হয় না। সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ প্রভৃতি বিপরীত প্রক্রিয়া মানুষের জীবনে সর্বদাই চলমান। জীবন একঘেঁয়ে নয়। জীবন বৈচিত্র্যময় অনন্যসাধারণ।
 টিপস্
গ. প্রথমে উদ্দীপকটি ভালোভাবে পাঠ কর। পরে ‘নেকলেস’ গল্পের কোন বিষয়টি এতে প্রতিফলিত হয়েছে তা চি‎িহ্নত কর এবং ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রথমে উদ্দীপকটি পড়ে এতে প্রতিফলিত বিষয়টি চি‎িহ্নত কর। তারপর ‘নেকলেস’ গল্পের সাথে এর তুলনা কর। শেষে মূল্যায়ন অংশে গিয়ে তোমার মতামত প্রতিষ্ঠা কর।
প্রশ্ন- ২ : উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাল্যকাল থেকেই আনোয়ার বাবার অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা দেখে আসছে। সংসারটাকে চালাতে বাবা কতকিছুই না করেছে! তাই সে কোনোদিন কোনো সাধ-আহ্লাদকে মনে স্থান দেয়নি। সে জানে যদি তার বাবাকে বলে একটা নতুন জামা দরকার তাহলে বাবা হয়ত কিনে দেবে। কিন্তু তাতে তার অনেক কষ্ট হবে।
ক. মাদাম লোইসেলের কেমন পরিবারে জন্ম হয়েছে? ১
খ. ‘হঠাৎ সে আর্তনাদ করে উঠল।’Ñকে, কেন আর্তনাদ করে উঠল? ২
গ. উদ্দীপকের আনোয়ারের সাথে ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেলের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘নেকলেস’ গল্পের মূলভাবের প্রতিফলক।”Ñ মূল্যায়ন কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. মাদাম লোইসেলের এক কেরানি পরিবারে জন্ম হয়েছে।
খ. মাদাম লোইসেল হঠাৎ আর্তনাদ করে উঠল।
মাদাম লোইসেল ‘বল’ নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য একটি জড়োয়া হার ধার করে নিয়ে এসেছিল। অনুষ্ঠান শেষে ঘরে এসে সে শেষবারের মতো একবার আয়নায় নিজেকে দেখে নিতে চাইল। জামার উপর থেকে চাদর সরাতেই সে দেখে তার গলায় হারটি নেই। তাই সে আর্তনাদ করে উঠল।
 টিপস
গ. প্রথমে উদ্দীপকটি মনোযোগসহকারে পাঠ কর। তারপর উদ্দীপকের চরিত্রের সাথে মাদাম লোইসেলের বৈসাদৃশ্যের দিকটি তুলে ধরে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘নেকলেস’ গল্পের মূলভাব চি‎িহ্নত কর। তারপর উদ্দীপকের মূলভাব চি‎িহ্নত কর। এরপর উভয়ের তুলনা কর। সবশেষে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যের আলোকে তোমার মত প্রতিষ্ঠা কর।

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]