পাঠ পরিচিতি
‘অপরিচিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪) কার্তিক সংখ্যায়। এটি প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয় রবীন্দ্রগল্পের সংকলন ‘গল্পসপ্তক’-এ এবং পরে, ‘গল্পগুচ্ছ’ তৃতীয় খণ্ডে (১৯২৭)।
‘অপরিচিতা’ গল্পে অপরিচিতা বিশেষণের আড়ালে যে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী নারীর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, তার নাম কল্যাণী। অমানবিক যৌতুক প্রথার নির্মম বলি হয়েছে এমন নারীদের গল্প ইতঃপূর্বে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু এ গল্পেই প্রথম যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের কথকতা শোনালেন তিনি। এ গল্পে পিতা শম্ভুনাথ সেন এবং কন্যা কল্যানীর স্বতন্ত্র শিক্ষা ও আচরণে সমাজে গেঁড়ে-বসা ঘৃণ্য যৌতুকপ্রথা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। পিতার বলিষ্ঠ প্রতিরোধ এবং কন্যা কল্যাণীর দেশচেতনায় ঋদ্ধ ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও তার অভিব্যক্তিতে গল্পটি সার্থক।
‘অপরিচিতা’ উত্তম পুরুষের জবানিতে লেখা গল্প। গল্পের কথক অনুপম বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের যুদ্ধসংলগ্ন সময়ের সেই বাঙালি যুবক, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর উপাধি অর্জন করেও ব্যক্তিত্বরহিত, পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় পুতুলমাত্র। তাকে দেখলে আজো মনে হয়, সে যেন মায়ের কোলসংলগ্ন শিশুমাত্র। তারই বিয়ে উপলক্ষে যৌতুক নিয়ে নারীর চরম অবমাননাকালে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা-সম্প্রদানে অসম্মতি গল্পটির শীর্ষ মুহূর্ত। অনুপম নিজের গল্প বলতে গিয়ে ব্যঙ্গার্থে জানিয়ে দিয়েছে সেই অঘটন সংঘটনের কথাটি। বিয়ের লগ্ন যখন প্রস্তুত তখন কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে শম্ভুনাথ সেনের নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রত্যাখ্যান নতুন এক সময়ের আশু আবির্ভাবকেই সংকেতবহ করে তুলেছে। কর্মীর ভ‚মিকায় বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণের মধ্য দিয়ে গল্পের শেষাংশে কল্যাণীর শুচিশুভ্র আত্মপ্রকাশও ভবিষ্যতের নতুন নারীর আগমনীর ইঙ্গিতে পরিসমাপ্ত।
‘অপরিচিতা’ মনঃস্তাপে ভেঙেপড়া এক ব্যক্তিত্বহীন যুবকের স্বীকারোক্তির গল্প, তার পাপস্খলনের অকপট কথামালা। অনুপমের আত্মবিবৃতির সূত্র ধরেই গল্পের নারী কল্যাণী অসামান্যা হয়ে উঠেছে। গল্পটিতে পুরুষতন্ত্রের অমানবিকাতার স্ফুরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি একই সঙ্গে পুরুষের ভাষ্যে নারীর প্রশস্তিও কীর্তিত হয়েছে।
লেখক পরিচিতি
নাম প্রকৃত নাম : শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ছদ্মনাম : ভানুসিংহ ঠাকুর।
জন্ম জন্ম তারিখ : ৭ মে, ১৮৬১ খ্রি. (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)।
জন্মস্থান : জোড়াসাঁকো, কলকাতা, ভারত।
বংশ পরিচয় পিতার নাম : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
মাতার নাম : সারদা দেবী।
পিতামহের নাম : প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
শিক্ষাজীবন রবীন্দ্রনাথ বাল্যকালে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেন নি। ১৭ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ড গেলেও কোর্স সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি। তবে গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে জ্ঞানার্জনে কোনো ত্র“টি হয় নি।
পেশা/কর্মজীবন ১৮৮৪ খ্রি. থেকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতার আদেশে বিষয়কর্ম পরিদর্শনে নিযুক্ত হন এবং ১৮৯০ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি দেখাশুনা করেন। এ সূত্রে তিনি কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন।
সাহিত্য সাধনা কাব্য : মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, ক্ষণিকা, নৈবেদ্য, গীতাঞ্জলি, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, বিচিত্রা, সেঁজুতি, জন্মদিনে, শেষলেখা বিশেষ উলেখযোগ্য।
উপন্যাস : গোরা, ঘরে-বাইরে, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, নৌকাডুবি, যোগাযোগ, রাজর্ষি, শেষের কবিতা প্রভৃতি।
কাব্যনাট্য : কাহিনী, চিত্রাঙ্গদা, বসন্ত, বিদায় অভিশাপ, বিসর্জন, রাজা ও রাণী প্রভৃতি।
নাটক : অচলায়তন, চিরকুমার সভা, ডাকঘর, মুকুট, মুক্তির উপায়, রক্তকরবী, রাজা প্রভৃতি।
গল্পগ্রন্থ : গল্পগুচ্ছ, গল্পস্বল্প, তিনসঙ্গী, লিপিকা, সে, কৈশোরক প্রভৃতি।
ভ্রমণ কাহিনী : জাপানযাত্রী, পথের সঞ্চয়, পারস্য, রাশিয়ার চিঠি, য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরী, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র প্রভৃতি।
পুরস্কার ও সম্মাননা নোবেল পুরস্কার (১৯১৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯১৩), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯৩৬)।
মৃত্যু মৃত্যু তারিখ : ৭ আগস্ট, ১৯৪১ খ্রি. (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)।
উৎস পরিচিতি
‘অপরিচিতা’ গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গল্পগুচ্ছ’ তৃতীয় খণ্ড থেকে নেয়া হয়েছে। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় সবুজপত্র পত্রিকায় ১৩২১ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যায়।
বস্তুসংক্ষেপ
গল্পের কথক অনুপমের বয়স তেইশ। উচ্চশিক্ষা অর্জন করার পর তার বিবাহ ঠিক হয় সম্ভুনাথ বাবুর একমাত্র শিক্ষিতা মেয়ে কল্যাণীর সাথে। অনুপমের অভিভাবক মামা অত্যন্ত লোভী প্রকৃতির। ফলে সে বিবাহ বাড়িতে বিবাহ সম্পাদনের পূর্বেই যৌতুকের গহনাগুলো পরখ করে নেয়। এ মানসিকতার পরিবারের সাথে কোনো সম্পর্ক করতে নারাজ শম্ভুনাথ বাবু মেয়ের বিবাহ ভেঙ্গে দেন। কন্যার নিকট বরের একটি ছবি ছিল অথচ বর কখনো কোনোভাবে দেখা পায়নি কন্যাকে। কিছুকাল পর ট্রেনের মধ্যে কন্যার চঞ্চলতা, উদারতা ও সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ হয় অনুপম। মনে মনে ভাবে, এমন একটা মেয়েই তার দরকার। অবশেষে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে মেয়েটির পরিচয় পায় সে। সে যাকে বিয়ে করতে গিয়েছিল এই সে কল্যাণী। ভুল ভাঙ্গে তার। তবে মান ভাঙ্গাতে পারে না কল্যাণীর। নতুন করে সম্বন্ধ পাততে চাইলেও ব্যর্থ হয়। অতঃপর অনুপম মাতুল ছেড়ে কল্যাণীর কল্যাণে ব্যস্ত থাকে। সুযোগ পেলেই সে কল্যাণীর উপকারে ঝাঁপাইয়া পড়ে। এখন তার বয়স সাতাশ অথচ এভাবেই যাচ্ছে কেটে সময়।
প্রেক্ষাপট
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ছোটগল্প ‘অপরিচিতা’ বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের প্রেক্ষাপটে রচিত। তৎকালে হিন্দু পরিবারতন্ত্র ও যৌতুকের যাঁতাকলে কীভাবে বিয়ে ভাঙ্গার মাধ্যমে দুটি যুবক-যুবতীর স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় সে বিষয়টিই এ গল্পে মৌল হয়ে উঠেছে। তাছাড়া গোঁড়া হিন্দু সমাজে শিক্ষিতা যুবতীর বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের রচনায় যৌতুকের বলি হতে হয়েছে নারীকে অথচ এই গল্পে নারীই জিতেছে এবং যৌতুক নিতে গিয়ে পরাজিত হয়েছে পুরুষ।
‘অপরিচিতা’ উত্তম পুরুষের জবানীতে লেখা গল্প। এ গল্পে কথক অনুপমের বিয়েতে যৌতুক নিয়ে অবমাননাকর ঘটনা ঘটে। ফলে কনের বাবা কন্যা স¤প্রদানে অস্বীকৃতি জানান এবং বিয়ে ভেঙ্গে দেন। নায়কের ভুল স্বীকার ও নায়িকার জন্য অপেক্ষা দিয়ে ছোটগল্পটি সমাপ্ত করা হয়েছে।
নামকরণ
ক্যাভেন্ডিস যথার্থই বলেছেন, "অ নবধঁঃরভঁষ হধসব রং নবঃঃবৎ ঃযধহ ধ ষড়ঃ ড়ভ বিধষঃয". অর্থাৎ একটি সুন্দর নাম প্রচুর ধনসম্পত্তির চেয়েও উত্তম। ‘অপরিচিতা’ গল্পটির নামকরণ গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তদানীন্তন গোঁড়া হিন্দু সমাজে এমন উদারপন্থি শিক্ষিতা নারী ছিলনা বললেই চলে। গল্পের কথক নায়ক অনুপম প্রকৃত অর্থে নায়িকাকে চিনতে পারেনি। বিবাহ করবে অথচ কনেকে সে দেখেনি। বিবাহ করতে গিয়ে যৌতুক নিয়ে অবমাননাকর ঘটনার উদ্রেক এবং বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে সে নায়িকাকে দেখতে পারেনি। অনেক ঘটনার পর শেষে একটা রেলস্টেশনে দেখা হয়। পরিচয় পাওয়ার পর নায়কের ধারণা হয় যে, বোঝালে এবার বিয়েটা হবে। কিন্তু নায়িকা অবশেষে অস্বীকৃতি জানালে সে নায়কের কাছে অপরিচিতা-ই থেকে যায়। এই অর্থে গল্পের নামকরণ যথার্থ হয়েছে বলেই বিবেচিত।
শব্দার্থ ও টীকা
‘এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যরে
হিসেবে বড়ো, না
গুণের হিসাবে।’ গল্পের কথক চরিত্র অনুপমের আত্মসমালোচনা। পরিমাণ ও গুণ উভয় দিক দিয়েই যে তার জীবনটি নিতান্তই তুচ্ছ সে কথাই এখানে ব্যক্ত হয়েছে।
ফলের মতো গুটি গুটি এক সময় পূর্ণফলে পরিণত হয়। কিন্তু গুটিই যদি ফলের মতো হয় তাহলে তার অসম্পূর্ণ সারবত্তা প্রকট হয়ে ওঠে। নিজের নিষ্ফল জীবনকে বোঝাতে অনুপমের ব্যবহৃত উপমা।
মাকাল ফল দেখতে সুন্দর অথচ ভেতরে দুর্গন্ধ ও শাঁসযুক্ত খাওয়ার অনুপযোগী ফল। বিশেষ অর্থে গুণহীন।
অন্নপূর্ণা অন্নে পরিপূর্ণা। দেবী দুর্গা।
গজানন গজ আনন যার। গণেশ।
‘আজও আমাকে দেখিলে মনে
হইবে, আমি অন্নপূর্ণার কোলে
গজাননের ছোটো ভাইটি।’ দেবী দুর্গার দুই পুত্র; অগ্রজ গণেশ ও অনুজ কার্তিকেয়। মা দুর্গার কোলে থাকা দেব-সেনাপতি কার্তিকেয়কে বোঝানো হয়েছে। ব্যঙ্গার্থে প্রয়োগ।
ফল্গু ভারতের গয়া অঞ্চলের অন্তঃসলিলা নদী। নদীটির ওপরের অংশে বালির আস্তরণ কিন্তু ভেতরে জল¯্রােত প্রবাহিত।
‘ফল্গুর বালির মতো তিনি
আমাদের সমস্ত সংসারটাকে
নিজের অন্তরের মধ্যে শুষিয়া
লইয়াছেন।’ অনুপম তার মামার চরিত্র-বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে। সংসারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব পালনে তার ভূমিকা এখানে উপমার মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়েছে।
অন্তঃপুর অন্দরমহল। ভেতরবাড়ি।
স্বয়ংবরা যে মেয়ে নিজেই স্বামী নির্বাচন করে।
গুড়গুড়ি আলবোলা। ফরসি। দীর্ঘ নলযুক্ত হুকাবিশেষ।
বাঁধা হুঁকা সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য নারকেল-খোলে তৈরি ধূমপানের যন্ত্রবিশেষ।
উমেদারি প্রার্থনা। চাকরির আশায় অন্যের কাছে ধরনা দেয়া।
অবকাশের মরুভ‚মি এক আনন্দহীন প্রচুর অবসর বোঝানো হয়েছে।
কালে ইহাদের বংশে ল²ীর
মঙ্গলঘট ভরা ছিল। ল²ী ধন ও ঐশ্বর্যের দেবী। মঙ্গলঘট তাঁর প্রতীক। কল্যাণীদের বংশে একসময় ল²ীর কৃপায় ঐশ্বর্যের ঘট পূর্ণ ছিল।
পশ্চিমে এখানে ভারতের পশ্চিম অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে।
আন্ডামান দ্বীপ ভারতীয় সীমানাভুক্ত বঙ্গোপসাগরের দ্বীপবিশেষ। স্বদেশী আন্দোলনের যুগে রাজবন্দিদের নির্বাসন শাস্তি দিয়ে আন্ডামান বা আন্দামানে পাঠানো হতো।
কোন্নগর কলকাতার নিকটস্থ একটি স্থান।
মনু বিধানকর্তা বা শাস্ত্রপ্রণেতা মুনিবিশেষ।
মনু সংহিতা মনু-প্রণীত মানুষের আচরণবিধি সংক্রান্ত গ্রন্থ।
প্রজাপতি জীবের ¯্রষ্টা। ব্রহ্মা। ইনি বিয়ের দেবতা।
পঞ্চশর মদনদেবের ব্যবহার্য পাঁচ ধরনের বাণ।
কন্সর্ট নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের ঐকতান।
সেকরা - স্বর্ণকার, সোনার অলংকার প্রস্তুতকারক
‘বর্বর কোলাহলের মত্ত হস্তী
দ্বারা সংগীতসরস্বতীর পদ্মবন
দলিত বিদলিত করিয়া আমি
তো বিবাহ-বাড়িতে গিয়া উঠিলাম’ অনুপম নিজের বিবাহযাত্রার পরিস্থিতি বর্ণনায় সুরশূন্য বিকট কোলাহলের সঙ্গে সংগীত সরস্বতীর পদ্মবন দলিত হওয়ার তুলনা করেছে।
অভিষিক্ত অভিষেক করা হয়েছে এমন।
সওগাদ উপঢৌকন। ভেট।
লোক-বিদায় পাওনা পরিশোধ। এখানে অনুষ্ঠানের শেষে পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে।
দেওয়া-থোওয়া বিয়ের যৌতুক ও আনুষঙ্গিক খরচ বোঝাতে কথাটি বলা হয়েছে।
কষ্টিপাথর যে পাথরে ঘষে সোনার খাঁটিত্ব যাচাই-পরীক্ষা করা হয়।
মকরমুখো মকর বা কুমিরের মুখের অনুরূপ।
মকরমুখো মোটা একখানা বালা মকরের মুখাকৃতিযুক্ত হাতে পরিধেয় অলঙ্কারবিশেষ।
এয়ারিং কানের দুল। ঊধৎৎরহম
দক্ষযজ্ঞ প্রজাপতি দক্ষ কর্তৃক অনুষ্ঠিত যজ্ঞ। এ যজ্ঞে পতিনিন্দা শুনে সতী দেহত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুসংবাদ শুনে শিব অনুচরসহ যজ্ঞস্থলে পৌঁছে যজ্ঞ ধ্বংস করে দেন এবং সতীর শব কাঁধে তুলে নিয়ে প্রলয় নৃত্যে মত্ত হন। এখানে প্রলয়কা বা হট্টগোল বোঝাচ্ছে।
রসনচৌকি শানাই, ঢোল ও কাঁসিÑ এই তিন বাদ্যযন্ত্রে সৃষ্ট ঐকতানবাদন।
অভ্র এক ধরনের খনিজ ধাতু। গরপধ
অভ্রের ঝাড় অভ্রের তৈরি ঝাড়বাতি।
মহানির্বাণ সবরকমের বন্ধন থেকে মুক্তি।
কলি পুরাণে বর্ণিত শেষ যুগ। কলিযুগ। কলিকাল।
কলি যে চারপোয়া
হইয়া আসিল! কলিকাল পরিপূর্ণরূপে আত্মপ্রকাশ করল।
পাকযন্ত্র পাকস্থলী।
প্রদোষ সন্ধ্যা।
একচক্ষু লণ্ঠন একদিক খোলা তিনদিক ঢাকা বিশেষ ধরনের লণ্ঠন, যা রেলপথের সংকেত দেখানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
মৃদঙ্গ মাটির খোলের দুপাশে চামড়া লাগানো এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র।
‘গাড়ি লোহার মৃদঙ্গে
তাল দিতে দিতে চলিল।’ চলন্ত রেলগাড়ির অবিরাম ধাতব ধ্বনি বোঝানো হয়েছে।
ধুয়া গানের যে অংশ দোহাররা বারবার পরিবেশন করে।
জড়িমা আড়ষ্টতা। জড়ত্ব।
মঞ্জরী কিশলয়যুক্ত কচি ডাল। মুকুল।
একপত্তন একপ্রস্থ।
কানপুর ভারতের একটি শহর।
‘তার পরে বুঝিলাম,
মাতৃভূমি আছে।’ কল্যাণী যে দেশমাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগ করেছে, অনুপমের এই আত্মোপলব্ধি এখানে প্রকাশিত।
বানান সতর্কতা
দৈর্ঘ্য, বিদ্রƒপ, অন্নপূর্ণা, স্বীকার, ঝঞ্ঝাট, স্বয়ম্বরা, সম্বন্ধ, অস্থিমজ্জা, গৃহস্থ, নির্বিঘœ, পণ, সামগ্রী, সর্বত্র, কন্সর্ট, হস্তী, সরস্বতী, পদ্মবন, সর্বাঙ্গ, স্পষ্ট, শ্বশুর, স্মিতহাস্য, সূ², ঠাট্টা, প্রমাণ, লুণ্ঠন, যজ্ঞ, কলঙ্ক, হিতৈষী, সংকীর্ণ, স্ফুলিঙ্গ, বিমর্ষ, তীর্থ, কণ্ঠ, সম্পূর্ণ, স্টেশন, ঝর্না।
অনুশীলন অংশ (চৎধপঃরপব)
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মা মরা ছোট মেয়ে লাবনি আজ শ্বশুড় বাড়ি যাবে। সুখে থাকবে এই আশায় দরিদ্র কৃষক লতিফ মিয়া আবাদের সামান্য জমিটুকু বন্ধক রেখে পণের টাকা যোগাড় করলেন। কিন্তু তাতেও কিছু টাকার ঘাটতি রয়ে গেল। এদিকে বর পারভেজের বাবা হারুন মিয়ার এক কথা সম্পূর্ণ টাকা না পেলে তিনি ছেলেকে নিয়ে চলে যাবেন। বিষয়টি পারভেজের কানে গেলে সে বাপকে সাফ জানিয়ে দেয়, ‘সে দরদাম বা কেনাবেচার পণ্য নয়। সে একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী করতে এসেছে, অপমান করতে নয়। ফিরতে হলে লাবনিকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি ফিরবে।’
ক. শম্ভুনাথ স্যাকরার হাতে কী পরখ করতে দিয়েছিলেন?
খ. ‘বাংলাদেশের মধ্যে আমিই একমাত্র পুরুষ যাহাকে কন্যার বাপ বিবাহ আসর হইতে নিজে ফিরাইয়া দিয়াছে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. অনুপম ও পারভেজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বৈপরীত্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অনুপমের মামা ও হারুন মিয়ার মতো মানুষের কারণে আজও কল্যাণী ও লাবনিরা অপমানের শিকার হয়-বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
শম্ভুনাথ স্যাকরার হাতে এয়ারিং পরখ করতে দিয়েছিলেন।
উক্তিটি দ্বারা যৌতুক নিয়ে অবমাননাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় কন্যা স¤প্রদানে পিতার অসম্মতির মধ্য দিয়ে কথক অনুপমের অপমানের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
অনুপম-কল্যাণীর বিয়ে শুরুর পূর্বে অনুপমের মামা কন্যাপক্ষ প্রদত্ত গহনাগুলো স্যাকরা দিয়ে পরখ করায়। এমন অবমাননাকর পরিস্থিতিতে অনুপমের ভূমিকা না থাকায় কল্যাণীর বাবা কন্যা স¤প্রদানের অসম্মতি জানান। বাবা হয়ে মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেয়া এমন ঘটনা সচরাচর লক্ষণীয় নয়। এখানে এই ঘটনাকে অনুপমের ভাষায় বিরল এবং সমাজে অপমানজনক।
পারভেজ এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিক থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত।
‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক অনুপম কেবল একটি কণ্ঠস্বর শুনে কল্পনাবিলাসী হয়ে পড়ে। এরপর সেই কণ্ঠস্বরের মেয়েটিকে আড়চোখে বার বার দেখে। মেয়েটির চঞ্চলতা, সাহসিকতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা তাকে মুগ্ধ করে। উদার ও স্বাধীনচেতা মনোভাবের এমন মেয়ে হয়তো আর দ্বিতীয়টি নেই, সে ভাবে, এর সাথেই কি আমার বিয়ে হবার কথা ছিল?
উদ্দীপকের পারভেজ সম্পূর্ণ বাস্তবধর্মী। পারভেজের বিয়েতে তার বাবা যৌতুক নিতে চাইলে সে তা অস্বীকার করে। সে বলে যে, সে কেনাবেচার পণ্য নয়। একজন মানুষকে সে জীবনসঙ্গী করতে এসেছে। ফিরতে হলে তাকে নিয়েই সে বাড়ি ফিরবে।
“অনুপমের মামা ও হারুন মিয়ার মতো মানুষের কারণে আজও কল্যাণী ও লাবনিরা অপমানের শিকার হয় ।” মন্তব্যটি যথার্থ।
যারা যৌতুক দাবি করে তারা লোভী, নিষ্ঠুর, অমানুষ। বিয়েতে নিজেদের দাবিকৃত পণ না পেলে তাদের এসব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সহজেই ধরা পড়ে। এমনকি চাহিদামাফিক যৌতুক না পেলে তারা বিয়ের আসর ত্যাগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা করে না। তাদের এ ধরনের আচরণ সত্যিই অমানবিক।
‘অপরিচিতা’ গল্পে মামা অনুপমের বিয়েতে টাকা ও গহনা যৌতুক হিসেবে দাবি করেন এবং কন্যার পিতা এতে সম্মত হন। বিয়ের দিন, বিয়ে অনুষ্ঠানের ঠিক কিছুক্ষণ আগে তিনি কন্যার বাবাকে কন্যার গা থেকে গহনাগুলো খুলে আনতে বলেন; তিনি তা স্যাকরা দিয়ে যাচাই করাবেন। মামা এ ধরনের আচরণ ও কথাবার্তায় তার হীনতা, লোভ ও অমানবিকতারই পরিচয় দেন। উদ্দীপকের হারুন মিয়াও অনুপমের মামার মতোই লোভী। তিনিও কন্যাপক্ষের কাছে অঢেল যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু কন্যার পিতা তা দিতে অসমর্থ হলে তিনি বিয়ের আসর থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেন।
‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা এবং উদ্দীপকের হারুন মিয়া উভয়ই সমগোত্রীয়। তারা লোভী, হীন ও অমানবিক। এ কারণেই তারা একসূত্রে গাঁথা। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
জুয়েল আহমেদ বড় চাকরি করেন। মধ্যবিত্ত বাবার একমাত্র মেয়ে ফাতেমার সাথে তার বিয়ের দিন ধার্য হলো। পাত্র পক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক হিসেবে চাইল। এমন পাত্র হাতছাড়া করা ঠিক হবে না ভেবে অসহায় পিতা রাজি হলেন।
ক. অনুপম হাতজোড় করার পর কার হৃদয় গলেছে?
খ. ‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণী আর বিয়ে করবে না কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ,ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের পুরোপুরি ভাব উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে, তুমি কি একমত? পক্ষে যুক্তি দাও। ১
২
৩
৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
অনুপম হাতজোড় করার পর শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় গলেছে।
পাত্রপক্ষের যৌতুকের স্বর্ণালংকার যাচাই করার মানসিকতার কারণে বিয়ে ভেঙে গেছে বলে কল্যাণী আর বিয়ে করবে না।
কল্যাণী বধূ সাজে সেজে বিয়ের জন্য প্রস্তুত। অথচ যৌতুক লোভী পাত্রপক্ষ তাদের গহনা যাচাই করতে চাইলে তাকে গহনাগুলো খুলে দিতে হয়। পাত্রপক্ষের এই হীন-মানসিকতার ফলে শম্ভুনাথ বাবু বিয়ে ভেঙে দেন এবং কল্যাণীও পণ করে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এ সমাজে সে আর বিয়ের পিঁড়িতে বসবে না।
উদ্দীপকে যৌতুকের বিষয়টি যেভাবে ফুটে উঠেছে তা রবীন্দ্রনাথের ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
যৌতুকের বিষয়টি ‘অপরিচিতা’ গল্পে যথার্থরূপে তুলে ধরা হয়েছে। এ গল্পে বিয়ে হবে কী হবে না সেটা মুখ্য বিষয় নয়; বরং যৌতুকের গহনা খাঁটি ও পরিমাণে সঠিক কিনা সেটাই বেশি বিবেচ্য। এর ফলে বিয়ে ভেঙে গেলেও বরের যৌতুকলোভী মামার কিছু আসে যায় না।
উদ্দীপকেও যৌতুকের বিষয়টিকে মুখ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তবে এখানে বিয়ে ভেঙে যায়নি; বরং ভালো ছেলে পেয়ে কনের পিতার যৌতুক প্রদানে নিরুপায় সম্মতি লক্ষ করা যায়। সুতরাং দেখা যায় যে, উদ্দীপকটি গল্পের বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘অপরিচিতা’ গল্পে পুরোপুরি নয়; বরং কেবলমাত্র যৌতুকের বিষয়টি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। যেমনÑ তৎকালীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, ঘটকের চাটুকারিতা, যৌতুক, নায়কের কল্পনাবিলাসী চেতনা, নারীর অগ্রগতি, বিয়ের অনুষ্ঠানে বিয়ে ভেঙে যাওয়া, নায়িকার বিয়ে না করে নারী জাতিকে শিক্ষিত করার ব্রত গ্রহণ এবং নায়কের ভুল বুঝে তা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া ইত্যাদি।
উদ্দীপকে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কেবলমাত্র যৌতুকলোভী সমাজ ও শিক্ষিত যুবকের যৌতুক নিয়ে বিয়ে করার
হীন-মানসিকতা ফুটে উঠেছে। এখানে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অন্যান্য বিষয় বা পরিমাণ অনুপস্থিত। উদ্দীপকের কনের পিতা যৌতুক প্রদানে রাজি এবং বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কোনো উলেখ নেই।
‘অপরিচিতা’ গল্পের অনেকগুলো বিষয় থেকে উদ্দীপকে শুধু যৌতুকের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। অথচ ‘অপরিচিতা’ গল্পের পরিধি আরো বিস্তর। এখানে কনের পিতা যৌতুক যাচাই করে দেখা পাত্রপক্ষের সাথে কোন সম্পর্ক করবে না বলে অসম্মতি জ্ঞাপন করে ও বিয়ে ভেঙে দেয় যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
“দেখিলাম, এই সতের বছরের মেয়েটির উপরে যৌবনের সমস্ত আলো আসিয়া পড়িয়াছে। কিন্তু এখনও শৈশবের কোল হইতে সে জাগিয়া উঠে নাই।”
ক. কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হয়েছিল?
খ. স্যাকরাকে বিয়ে বাড়িতে কেন আনা হয়েছিল? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বয়সের বিষয়টি ‘অপরিচিতা’র কল্যাণীর ক্ষেত্রে কতটুকু প্রযোজ্য? বর্ণনা দাও।
ঘ. ‘এখনও কৈশোরের কোল হইতে সে জাগিয়া উঠে নাই’‘অপরিচিতার’র কল্যাণীর আলোকে বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য অনুপমের পিস্তুতো ভাই বিনুদাদাকে পাঠানো হয়েছিল।
যৌতুক হিসেবে নেয়া গহনাগুলো খাঁটি কি-না তা পরখ করার জন্য স্যাকরাকে বিয়ে বাড়িতে আনা হয়েছিল।
‘অপরিচিতা’য় কল্যাণীর বিয়েতে নগদ স্বর্ণালংকার দেয়ার কথা ছিল। কিছুতেই ঠকবার পাত্র নয় বরের মামা। বিয়ের পূর্বেই তাই গহনাগুলোর গুণাগুণ পরখ করতে বাড়ির স্যাকরাকে সঙ্গে নিয়ে যান। প্রমাণিত হয় কল্যাণীর বাবার দেয়া সকল গহনাই খাঁটি।
উদ্দীপকের বয়সের বিষয়টি রবীন্দ্রনাথের ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়িকা কল্যাণীর ক্ষেত্রে অনেকাংশেই প্রযোজ্য।
‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর বিয়ের সময় বয়স ছিল পনের বছর। অর্থাৎ কেবল যৌবন এসে পরিপূর্ণ করেছে তার অবয়ব। অনুপমের ভাষায়, তার গতি সহজ, দীপ্তি নির্মল, সৌন্দর্যের সূচিতা অপূর্ব, তার কোনো জড়তা নেই। অর্থাৎ যৌবন প্রাপ্তা হলেও কিশোরী সুলভ বৈশিষ্ট্যও তার মধ্যে রয়েছে।
উদ্দীপকের মেয়েটির বয়স সতের। অর্থাৎ কল্যাণীর প্রায় সমান। তার মধ্যে যৌবনের সমস্ত আলো এসে পড়েছে অথচ আচরণে রয়েছে কৈশোরত্ব। এক্ষেত্রে উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’র কল্যাণীর মধ্যে কিছুটা সাদৃশ্য পাওয়া যায়। সুতরাং উদ্দীপকের বয়সের বিষয়টি কল্যাণীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে ধরে নেয়া যায়।
উদ্দীপকের মানসিকতায় কৈশোরের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, অথচ ‘অপরিচিতা’র কল্যাণী এর সম্পূর্ণ বিপরীত। কেননা, সে ব্যক্তিত্বপূর্ণ হিসেবে গল্পে উপস্থিত হয়েছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী সতের বছরের তরুণী হলেও গল্পের শেষদিকে এসে তার ব্যক্তিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। যেখানে সে একজন পরিপূর্ণ মানুষ। দৈহিকভাবে সে উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ অথচ মানসিকভাবে সে অনেক দৃঢ়চিত্ত ও সাহসী।
উদ্দীপকে সতের বছরের যে মেয়েটির উলেখ করা হয়েছে তার যৌবন উদীপ্ত আলোকে ভরপুর, বিবাহযোগ্য কিন্তু তার আচরণে রয়েছে মাত্র ছেড়ে আসা কৈশোরের বৈশিষ্ট্য, চঞ্চলতা। অর্থাৎ দেহ পূর্ণ হলেও সে আচরণে পরিপূর্ণতা লাভ করেনি।
‘অপরিচিতা’র কল্যাণীর মধ্যে যে ব্যক্তিসত্তার প্রকাশ ঘটেছে তা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। কেননা, উদ্দীপকের মেয়েটি কৈশোর থেকে বর্তমানে সতেরো বছর বয়সে জেগে উঠতে না পারলেও কল্যাণী পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কুপ্রথা যৌতুকের রিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। সে ছিল স্টেশন মাস্টারের সাথে স্পষ্টবাদী আর বিয়ে না করার সিদ্ধান্তে অনড়। নারী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সে বাকি জীবন কাটিয়ে দেবার দৃঢ়প্রত্যয়ী ছিল, যা উদ্দীপকে উঠে আসেনি।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
তুচ্ছ কারণে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় রেহানা আক্তার আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেনি। এখন তিনি সমাজসেবামূলক একটি সংস্থায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের লেখাপড়া শেখানোর কাজ করেন।
ক. অনুপম হাত জোড় করে মাথা হেঁট করার পর কার হৃদয় গলেছে?
খ. কল্যাণী বিয়ে না করার পণ করেছে কেন?
গ. রেহানা আক্তারের সমাজসেবামূলক কাজ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন দিককে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “রেহানা আক্তারের মানসিক দৃঢ়তা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর ছায়ারূপ”Ñ কথাটির যৌক্তিকতা বিচার কর। ১
২
৩
৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
অনুমপ হাত জোড় করে মাথা হেঁট করার পর শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় গলেছে।
বিয়ের পিঁড়িতে বসেও পাত্রপক্ষের হীন মানসিকতার কারণে বিয়ে ভেঙে গেছে বলে বিয়ে না করার পণ করেছে কল্যাণী।
বরপক্ষ বিয়ে বাড়িতে মেয়ের গায়ের গহনা খাঁটি কিনা এ নিয়ে সন্দেহ করে। এতে মেয়ের বাবা শম্ভুনাথ বাবু অপমানিত হন। তিনি মেয়েকে আর সে বাড়িতে বিয়ে দেননি। বাবার অপমান ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মানসিকতায় ত্যক্ত হয়ে কল্যাণী আর বিয়ে করতে চায় না। বরং দেশব্রতে মনোযোগী হয়ে শিক্ষকতা পেশা বেছে নেয়।
উদ্দীপকের রেহানা আক্তারের সেবামূলক কাজ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের দিককে নির্দেশ করে।
উদ্দীপকে দেখানো হয়েছে, রেহানা আক্তারের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তিনি আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নি। সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। সেখানে তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের লেখাপড়া শেখানোর কাজ করছেন। তাঁর এ ব্রত ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর ব্রতকেই মনে করিয়ে দেয়।
‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার বছর খানেক পর অনুপমের সাথে আবার দেখা হলেও আর বিয়ে করার কথা ভাবে না। সে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর ব্রত গ্রহণ করে। একাকিত্ব কাটানো ও সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণের জন্যই কল্যাণী এ ব্রত গ্রহণ করে। সুতরাং বলা যায়, সেবামূলক কাজের দিকই উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর মূল দিক বলে বিবেচিত।
রেহানা আক্তারের মানসিক দৃঢ়তা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর ছায়ারূপÑ উক্তিটি যৌক্তিক।
উদ্দীপকে দেখানো হয়েছে, তুচ্ছ কারণে বিয়ে ভেঙে গেলেও রেহানা আক্তার মানসিকভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হননি। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ব্যাপারেও কোনো মত প্রকাশ করেননি। তিনি সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন। ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েনি। অনুপমের মামার পণ সম্পর্কে আদিখ্যেতা ও কল্যাণীর বাবার মনোবলের জন্য বিয়ে ভেঙে যায়। কল্যাণী তখন এলাকার মেয়ে শিশুদের পড়ালেখার ভার গ্রহণ করে। মানসিকভাবে কল্যাণী কখনোই নিজের কাছে পরাজিত হয়নি।
তৎকালীন সমাজের অজ্ঞতা ও গোঁড়ামিকে ছাপিয়ে কল্যাণী নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস পায়, যা উদ্দীপকে চিত্রিত বর্তমান সমাজে রেহানা আক্তারের মাঝে প্রতিফলিত হয়েছে। সমাজের প্রতিবন্ধকতাকে তারা দুজনেই জয় করেছে।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে উদ্দীপকের রেহানা আক্তার এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী দুজনেরই মানসিক দৃঢ়তা একসূত্রে গাঁথা। কেউই সমাজের চাপিয়ে দেয়া অন্যায়ে দমে যায়নি। সুতরাং, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সঠিক।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বিয়ে বাড়িতে যেন মহোৎসব শুরু হয়েছে। চারিদিকে মহাধুমধাম চলছে। কিন্তু হঠাৎ করেই সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে গেল। মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে বাবা-মা অঝোর নয়নে কাঁদতে লাগলেন।
ক. মামার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য কী ছিল?
খ. মামা বাড়ির স্যাকরাকে বিয়ে বাড়িতে কেন এনেছিল?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের মিলগুলো নির্দেশ কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডাংশ মাত্রÑ কথাটির সত্যতা বিচার কর। ১
২
৩
৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
মামার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল তিনি কারো কাছে ঠকবেন না।
গহনা আসল না নকল তা পরীক্ষা করার জন্য মামা বিয়ে বাড়িতে স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিল।
কল্যাণীর বিয়েতে বাবা নগদ পণের সাথে গহনা দিতে চান। এসব গহনা খাঁটি কিনা বা মেয়ের বাবা বরপক্ষকে ফাঁকি দিচ্ছে কিনা তা যাচাই করার জন্য মামা স্যাকরাকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে আসেন। স্যাকরা সমস্ত গহনা দেখে খাঁটি প্রমাণ করেন।
উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিয়ে-উৎসবের আয়োজনে ব্যাপকতা ও হঠাৎ করে বিরূপ পরিবেশ চিত্রণের মিল রয়েছে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, বিয়ে বাড়িতে মহাধুমধাম চলছে। সবাই আনন্দে মহোৎসব জুড়ে দিয়েছে। সবার প্রাণে বয়ে চলেছে খুশির জোয়ার। কোথাও কোনো জড়তা বা কোলাহল চোখে পড়ে না। উৎসবমুখর পরিবেশে একটি বিয়ে বাড়ির চিত্র উদ্দীপকে দেখা যায়। পাশাপাশি কনের বিদায়ের মধ্য দিয়ে সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে যাওয়াও এখানে লক্ষণীয়।
‘অপরিচিতা’ গল্পেও বিয়ে বাড়ির উৎসবমুখরতা চোখে পড়ে। বরপক্ষের অতিরঞ্জিত আয়োজন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। ব্যান্ড, বাঁশি, শখের কনসার্ট কোনোটাই বাদ যায় না। মেয়ের বাড়িতেও তার ছোঁয়া লাগে। কনেপক্ষের আতিথেয়তায় বরপক্ষ খুশি হয়। কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে এ সবকিছুই লণ্ডভণ্ডের মধ্য দিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানের এ উভয় দিকই উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পে ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডাংশ মাত্রÑ কথাটি সঠিক।
উদ্দীপকে দেখা যায়, বিয়ে বাড়ির উৎসবমুখর পরিবেশ এবং সবশেষে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে মা-বাবার কান্নার চিত্র। কিন্তু ‘অপরিচিতা’ গল্পে আরো নানা বিষয় বিস্তারিতভাবে ফুটে উঠেছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পে দেখা যায়, বিয়ের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিয়ে ভেঙে যাওয়ার চিত্র। এছাড়া যৌতুক নিয়ে অনুপমের মামার হীন মানসিকতা ও কল্যাণীর বাবার দৃঢ় মনোবল চোখে পড়ে। গল্পে কল্যাণীর ব্রত গ্রহণের বিষয়টিও চোখে পড়ে। কল্যাণী মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর ব্রত গ্রহণ করে, যা উদ্দীপকে দেখা যায় না। সর্বোপরি ‘অপরিচিতা’ গল্পে দুজন মানব-মানবীর সংসার-জীবনের সম্ভাবনা নষ্ট হওয়ার মধ্য দিয়ে মানসীর প্রতি প্রেমিক হৃদয়ের দুর্বার আকাক্সক্ষার স্বরূপ চিত্রিত হয়েছে, যার আভাসমাত্র উদ্দীপকে নেই।
সুতরাং, দেখা যায় ‘অপরিচিতা’ গল্পে বিস্তারিত বর্ণনার আড়ালে যৌতুক প্রথা, সামাজিকতা ও অপূর্ণতার যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা উদ্দীপকে সম্পূর্ণরূপে ফুটে ওঠেনি। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সঠিক।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বিয়ের আসর। চারদিকে হৈ হৈ রৈ রৈ কাণ্ড। বিয়ের সময় ঘনিয়ে এলো। কনের বাবা গণি মিয়া একটি টেলিভিশন ও একটি মোটর সাইকেল বরপক্ষকে দিতে চাইল। বরের বাবা রফিউদ্দিন বললেন, “আমি আপনার মেয়ে নিতে এসেছি, কোনো যৌতুক নয়।”
ক. বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে কে খুশি হলেন না?
খ. গোড়াতেই এস্পার-ওস্পার হতো কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অমিলগুলো দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকের রফিউদ্দিনের মনোভাব ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাব পরিবর্তনের চাবিকাঠি।”Ñ উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর। ১
২
৩
৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে মামা খুশি হলেন না।
শম্ভুনাথ বাবুর উকিল বন্ধুটি যদি বরপক্ষকে বিশেষ খাতির না করতেন তাহলে শুরুতেই একটা এস্পার-ওস্পার হতো।
শম্ভুনাথ বাবুর এককালে প্রচুর টাকা-পয়সা থাকলেও বর্তমানে তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। তাঁর বাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গা সংকুলান হয় না, সমস্ত আয়োজনও মধ্যম রকমের। এসব কারণে বরপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। এমতাবস্থায় তার উকিল বন্ধুটি যদি বরকর্তাদের প্রত্যেককে বিশেষ সমাদর না করতেন তবে বিয়েটা হয়তো শুরুতেই এস্পার-ওস্পার হতো।
উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের যৌতুক নেয়ার ঘটনা এবং মামার মানসিকতার বিশেষ পার্থক্য রয়েছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের মামা যৌতুক নেয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তাই তিনি অনুপমের বিয়েতে যৌতুকের গহনা নিয়ে বড় রকমের হীনমন্যতার পরিচয় দেন। ফলে বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রীর বাবা।
উদ্দীপকের রফিউদ্দিন যৌতুক প্রথার বিরোধী ছিলেন। তাই ছেলের বিয়েতে যৌতুক চাননি। শুধু তাই নয়, মেয়ের বাবা উপহার দিলেও তিনি সেগুলো নিতে চান না। অন্যদিকে ‘অপরিচিতা’ গল্পে দেখা যায়, মামা অনুপমের বিয়ের আগেই যৌতুকের কথা সেরে ফেলেন। তিনি বিয়ে বাড়িতে স্যাকরা নিয়ে উপস্থিত হন, যাতে মেয়ের বাবা তাঁকে কোনো মতেই ফাঁকি দিতে না পারেন। অর্থাৎ, মামার মানসিকতা এভাবে তৈরি হয়েছে যে, বিয়েতে যৌতুক নিতে হবে এবং যে পরিমাণ যৌতুক চাইবেন মেয়ের বাবা সে পরিমাণ যৌতুক দিতে গিয়ে তাঁকে কোনোরকম ঠকাতে পারবেন না। এছাড়াও মামা মনে করেন, যে মেয়ে ঘরে আসবে সে যেন মাথা হেঁট করে থাকে। এভাবে উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের মামার মানসিকতা এবং যৌতুক নেয়ার ঘটনার পার্থক্য রয়েছে। উপরন্তু উদ্দীপকে বিয়েটি সুসম্পন্ন হলেও আলোচ্য গল্পে বিয়ের আসরেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উদ্দীপকের রফিউদ্দিনের যৌতুক না দেয়ার মনোভাবই ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাব পরিবর্তনের চাবিকাঠি। মন্তব্যটি যথার্থ।
‘অপরিচিতা’ গল্পের মামা যৌতুক নেয়ার মানসিকতাই গল্পের নায়ক-নায়িকার বিচ্ছেদের কারণ। মামার এরূপ মানসিকতার কারণেই মেয়ের বাবা মেয়েকে অনুপমের হাতে তুলে দেবার সাহস পান না।
উদ্দীপকের রফিউদ্দিন একজন উদার মনের মানুষ। তাই মেয়ের বাবা তাদেরকে উপহার দিলেও তিনি সেগুলো নিতে নারাজ। কারণ তিনি মনে করেন, তারা উপহার বা যৌতুক নিতে আসেননি। এসেছে ছেলের জন্য মেয়েকে নিতে। অন্যদিকে, ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের বিয়েতে মেয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মেয়ের বাবার দেয়া যৌতুকের প্রতি। ফলে বিয়ে ভেঙে যায়। আর অনুপম ও কল্যাণী চিরদিনের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
উদ্দীপকের রফিউদ্দিনের যৌতুক না নেয়ার মনোভাবই পারে ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাব পরিবর্তন করতে। কেননা, ‘অপরিচিতা’ গল্পের মামা যদি রফিউদ্দিনের মতো হতেন তাহলে অনুপমের বিয়ে ভেঙে যেত না। আর গল্পের পরিণতিও এমন করুণ হতো না। তাই আমরা বলতে পারি, রফিউদ্দিনের যৌতুকবিরোধী মনোভাব ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাব পরিবর্তনে সক্ষম। প্রশ্নোলিখিত উক্তিটি যুক্তিযুক্ত।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
জোছনার বিয়ে। সে সবেমাত্র যৌবনে পা দিয়েছে। সে গরিবের মেয়ে। তার আরো দুটি বোন আছে। অনেক জায়গা থেকে তার বিয়ের প্রস্তাব আসে। কিন্তু যৌতুকের জন্য তার বিয়ে হয় না।
ক. অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
খ. ধনীর কন্যা অনুপমের মামার পছন্দ নয় কেন?Ñ বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল চিত্রটি উদ্দীপকে উপস্থাপিত হয়নি।Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা।
ধনীর কন্যা অনুপমের মামার পছন্দ নয়। কারণ ধনীর মেয়েরা মাথা হেঁট করে স্বামীর সংসারে থাকতে নারাজ।
মামা অনুপমের জন্য এমন পাত্রী খুঁজছেন যার বাবা ধনী নয়। কারণ ধনীর কন্যা সংসারের সকল যন্ত্রণা, অপমান নীরবে সহ্য করবে না। অন্যদিকে গরিবের কন্যা এসব কিছু মাথা পেতে নীরবে সহ্য করে যাবে। অনুপমের ঘরে যে মেয়ে আসবে সে মাথা হেঁট করেই আসবেÑ এটিই মামার প্রত্যাশা।
উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পে নির্দেশিত বাল্যবিয়ে এবং কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার অবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
একটি নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেয়া এবং বরপক্ষের দাবিকৃত যৌতুক-এ দুয়ের চাপে কন্যার পিতা পিষ্ট হন। কারণ, নির্দিষ্ট সময়ে কন্যার বিয়ে দিতে না পারলে সমাজে তিনি অপমানিত হবেন এবং বরপক্ষকে যৌতুক দিতে না পারলে তার কন্যা সুখী হবে না। এ দুয়ে মিলে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার অবস্থা হয় শোচনীয়।
‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়িকা কল্যাণীকে পনেরো বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। কন্যার বিয়ে দিতে গিয়ে শম্ভুনাথ বাবুকে একদিকে যৌতুকের টাকা জোগাড় করতে হয়, অন্যদিকে বরের বাবার কাছে নানাভাবে অপমানিত হতে হয়। উদ্দীপকেও বাল্যবিয়ে এবং কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার অবস্থাও তাই। সেখানে কন্যার মাত্র শৈশব পার হয়েছে। কিন্তু পিতা ভালো পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ, কন্যার পিতা বড়লোক নন, তিনি বেশি যৌতুক দিতে পারবেন না। এছাড়া বয়স বেশি হলে যৌতুক বেশি লাগবে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল চিত্রটি উদ্দীপকে উপস্থাপিত হয়নি। মন্তব্যটি যথার্থ।
যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক ব্যাধি। বর্তমানে এটি আমাদের সমাজে ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। কন্যার বিয়েতে বরপক্ষের চাহিদার সীমা থাকে না। আর সেটি মেটাতে গিয়ে কন্যার পিতাকে কখনো কখনো সর্বস্বান্ত হতে হয়। যারা যৌতুক দাবি করে তারা অমানবিক ও আত্মসম্মানবোধহীন।
‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণীর পিতা নিজের সর্বস্ব দিয়ে বরপক্ষের দাবি পূরণ করেন। যখন দেখেন যে, বরের মামা কন্যার গহনা যাচাই করার জন্য স্যাকরা নিয়ে এসেছেন, তখন তিনি বুঝতে পারেন বরপক্ষ কতটা অমানবিক। সেজন্যই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, এমন ঘরে তিনি মেয়ের বিয়ে দেবেন না। অন্যদিকে উদ্দীপকেও একজন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার পরিচয় পাওয়া যায়। কন্যার জন্য ভালো পাত্র পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, কন্যার পিতা ধনী নন। তিনি বরপক্ষের যৌতুকের চাহিদা মেটাতে পারবেন না।
যৌতুক প্রথা এবং কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার চিত্র উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্প উভয় স্থানেই আছে। তবে ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল চিত্রটি হলো যৌতুক প্রথা ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে কন্যার পিতার অবস্থান, যা উদ্দীপকে নেই। এ কারণেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বিয়ের জন্য কাজী সাহেব এলেন। এলেন বর-কনে পক্ষের সাক্ষী-উকিল। এজিন আনার জন্য উকিল সাক্ষী অন্দর মহলে যেতে চাইল। এমন সময় বরের বাবা রায়বাহাদুর গর্জে উঠে বললেন, “আগে ফ্রিজ আর মোটরসাইকেল, পরে বিয়ে।” কনের বাবা অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। বিয়ের আসর চোখের পলকে ভেঙে গেল।
ক. কে আসর জমাতে অদ্বিতীয়?
খ. মেয়ের বয়স পনেরো শুনে অনুপমের মামার মন ভার হলো কেন?
গ. উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের মধ্যকার সাদৃশ্যের দিকটি তুলে ধর।
ঘ. উদ্দীপকের রায়বাহাদুর এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা একসূত্রে গাঁথা।মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
‘অপরিচিতা’ গল্পের হরিশ আসর জমাতে অদ্বিতীয়।
মেয়ের বয়স পনেরো শুনে অনুপমের মামার মন ভার হলো। কারণ, তিনি মনে করলেন যে, ঐ মেয়ের বংশে কোনো দোষ আছে।
তখনকার সময়ে আট থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেয়ার রীতি ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে না হলে মনে করা হতো মেয়ের বংশে কোনো দোষ আছে। যে কারণে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। যে মেয়ের সাথে অনুপমের বিয়ের কথা চলছিল তার বয়স পনেরো। পনেরো বছর বয়সেও মেয়ের বিয়ে হয়নি, এমনটি ভেবে অনুপমের মামার মন ভার হলো।
বরপক্ষের অমানবিক আচরণের দিক থেকে উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।
যৌতুক প্রথা আমাদের সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরেছে। এর কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অনেক মেয়ের জীবন। যৌতুকের কারণে বরপক্ষ কখনো কখনো হয়ে ওঠে অত্যন্ত অমানবিক। মূলত যারা যৌতুক দাবি করে তারা ব্যক্তিত্বহীন, অমানুষ।
‘অপরিচিতা’ গল্পে ব্যক্তিত্বহীনতা, অমানবিকতার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত অনুপমের মামা। বেছে বেছে তিনি এমন একজন পাত্রী নির্বাচন করেন যার বাবা মেয়ের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিতে কুণ্ঠিত হবেন না। কল্যাণীর বাবা মেয়ের বিয়েতে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেন। কিন্তু বরপক্ষ বিশেষত বরের মামা তার অমানবিকতার চূড়ান্ত পরিচয় দিয়েছেন স্যাকরা নিয়ে এসে মেয়ের গহনা যাচাই করতে চেয়ে। উদ্দীপকেও বরপক্ষের এমন অমানবিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। বরপক্ষ বিয়েতে বিশ হাজার টাকা পণ এবং বহু দানসামগ্রী দাবি করে। কন্যার বাবা পুরো টাকা জোগাড় করতে পারেনি। এ ব্যাপারটি জানার পর বিবাহসভায় বরের বাবা পুরো টাকা হাতে না পেলে বিয়ে হবে না বলে জানিয়ে দেয়।
“উদ্দীপকের রায়বাহাদুর এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের মামা একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটি যথার্থ।
যারা যৌতুক দাবি করে তারা লোভী, নিষ্ঠুর, অমানুষ। বিয়েতে নিজেদের দাবিকৃত পণ না পেলে তাদের এসব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সহজেই ধরা পড়ে। এমনকি চাহিদামাফিক যৌতুক না পেলে তারা বিয়ের আসর ত্যাগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা করে না। তাদের এ ধরনের আচরণ সত্যিই অমানবিক।
‘অপরিচিতা’ গল্পে মামা অনুপমের বিয়েতে টাকা ও গহনা যৌতুক হিসেবে দাবি করেন এবং কন্যার পিতা এতে সম্মত হন। বিয়ের দিন, বিয়ে অনুষ্ঠানের ঠিক কিছুক্ষণ আগে তিনি কন্যার বাবাকে কন্যার গা থেকে গহনাগুলো খুলে আনতে বলেন; তিনি তা স্যাকরা দিয়ে যাচাই করাবেন। মামা এ ধরনের আচরণ ও কথাবার্তায় তার হীনতা, লোভ ও অমানবিকতারই পরিচয় দেন। উদ্দীপকের রায়বাহাদুরও অনুপমের মামার মতোই লোভী। তিনিও কন্যাপক্ষের কাছে অঢেল যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু কন্যার পিতা তা দিতে অসমর্থ হলে তিনি বিয়ের আসর থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেন।
‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা এবং উদ্দীপকের রায়বাহাদুর উভয়ই সমগোত্রীয়। তারা লোভী, হীন ও অমানবিক। এ কারণেই তারা একসূত্রে গাঁথা। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
আমাদের অন্যতম ব্যবসায়Ñ পাস বিক্রয়। এই পাস বিক্রেতার নাম ‘বর’ এবং ক্রেতাকে ‘শ্বশুর’ বলে। এক একটি পাসের মূল্য কত জান? “অর্ধেক রাজত্ব ও এক রাজকুমারী”। এম. এ. পাস অমূল্যরতœ, ইহা যে-সে ক্রেতার ক্রেয় নহে। নিতান্ত সস্তা দরে বিক্রয় হইলে, মূল্যÑ এক রাজকুমারী এবং সমুদয় রাজত্ব। আমরা অলস, তরলমতি, শ্রমকাতর, কোমলাঙ্গ বাঙালি কিনা তাই ভাবিয়া দেখিয়াছি, সশরীরে পরিশ্রম করিয়া মুদ্রালাভ করা অপেক্ষা ঙষফ ভড়ড়ষ শ্বশুরের যথাসর্বস্ব লুণ্ঠন করা সহজ।
ক. বিয়ে ভাঙার পর থেকে কল্যাণী কীসের ব্রত গ্রহণ করেছে?
খ. কোনো কিছুর জন্যই অনুপমকে কোনো ভাবনা ভাবতে হয় না কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর। ১
২
৩
৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
বিয়ে ভাঙার পর থেকে কল্যাণী মেয়ে শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করেছে।
মামা অনুপমদের সংসারটাকে চারদিক থেকে এমনভাবে ঘিরে রেখেছেন যে, কোনোকিছুর জন্যই তাকে কোনো ভাবনা ভাবতে হয় না।
অনুপমের বাবা বেঁচে নেই, মা আছেন। তবে মা থাকলেও তার আসল অভিভাবক তার মামা। তিনি সংসারের সবকিছুর ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন, সংসারের সকল ভাবনা তার। কেননা তিনি তাঁর বিচক্ষণতা দিয়ে সবাইকে হটিয়ে অনুপমদের স্বার্থরক্ষা করে এসেছেন এতকাল। এ কারণেই কোনোকিছু নিয়ে অনুপমকে কোনো ভাবনা ভাবতে হয় না।
আমাদের সমাজব্যবস্থায় পণপ্রথাকে যেভাবে বিবেচনা করা হয় ‘অপরিচিতা’ গল্পের সে বিষয়টির প্রতি উদ্দীপকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
আমাদের সমাজে বরপক্ষ যৌতুককে নিজেদের প্রাপ্য হিসেবেই মনে করে। যে ছেলে যত বেশি যোগ্য, তার মূল্য তত বেশি। অর্থাৎ ছেলের যোগ্যতাকে যৌতুকের মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়।
‘অপরিচিতা’ গল্পে বর এমএ পাস এবং ধনী। আর সে কারণেই অনেক বড় ঘর থেকে তার বিয়ের সম্বন্ধ আসে। তার মামা অবশেষে এমন একটি মেয়ের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে, যার বাবা বরকে সর্বস্ব দিতে কসুর করবে না। উদ্দীপকেও এ বিষয়টি লক্ষ করি। এখানে বরকে বলা হয়েছে বিক্রেতা এবং শ্বশুরকে বলা হয়েছে ক্রেতা। মেয়ের বাবা তার সর্বস্ব দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়ে এক অর্থে জামাই ক্রয় করেন।
উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।মন্তব্যটি যথার্থ।
কন্যার বিয়ের কথা ভাবতে গেলে পরিবারকে প্রথমে যৌতুক নিয়ে ভাবতে হয় । কারণ মোটা অঙ্কের যৌতুক দিতে না পারলে মেয়েকে যোগ্য বরের সাথে বিয়ে দেয়া যাবে না। এ বিষয়টি আমাদের সমাজে এমনভাবেই প্রচলিত হয়ে গেছে যে, এটাকে একটা প্রথাই মনে করা হয়। মূলত বরপক্ষ এটাকে নিজেদের প্রাপ্য হিসেবেই গণ্য করে থাকে।
‘অপরিচিতা’ গল্পে বর এমএ পাস বিধায় তার পরিবারের যৌতুকের দাবিও বেশি। কন্যার বাবাকে চাপ দিয়ে যে-কোনো মূল্যে তারা বিশেষত অনুপমের মামা তা কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করতে বদ্ধপরিকর। উদ্দীপকেও যৌতুক প্রথার এ বিষয়টি লক্ষ করি। উদ্দীপকে বিধৃত হয়েছে যে, আমাদের দেশের ছেলেরা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিনিময়ে জোরপূর্বক আদায় করে শ্বশুরের সর্বস্ব। এ ব্যবস্থাই যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল বিষয় যৌতুক প্রথা হলেও এতে আছে এই নিকৃষ্ট সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চিত্র। কল্যাণী এবং তার বাবা শম্ভুনাথ বাবু প্রতিবাদী চরিত্রের দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল যৌতুক প্রথার চিত্রই ফুটে উঠেছে। এদিক বিচার করে তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
গ্রামের সকল লোক ধুমধামের শবযাত্রা ভিড় করিয়া দেখিতে আসিল। মেয়েরা কাঁদিতে কাঁদিতে মায়ের দুই পায়ে গাঢ় করিয়া আলতা এবং মাথায় ঘন করিয়া সিন্দুর লেপিয়া দিল, বধূরা ললাট চন্দনে চর্চিত করিয়া বহুমূল্য বস্ত্রে শাশুড়ির দেহ আচ্ছাদিত করিয়া দিয়া আঁচল দিয়া তাঁহার শেষ পদধূলি মুছাইয়া লইল। পুষ্পে, পত্রে, গন্ধে, মাল্যে, কলরবে মনে হইল না এ কোনো শোকের ব্যাপারÑ এ যেন বড় বাড়ির গৃহিণী পঞ্চাশ বর্ষ পরে আর একবার নতুন করিয়া তাঁহার স্বামীগৃহে যাত্রা করিতেছেন।
ক. কলিকাতার বাইরের বাকি জগৎটাকে মামা কী বলে জানেন?
খ. কল্যাণীর পিতার আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল?
গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ?Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিশেষ একটি দিককেই নির্দেশ করে, পুরো বিষয়কে নয়।”Ñ মন্তব্যটি আলোচনা কর। ১
২
৩
৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
কলকাতার বাইরের বাকি জগৎটাকে মামা আন্দামান দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন।
কল্যাণীর পিতার আর্থিক অবস্থা খুবই অপ্রতুল ছিল।
কল্যাণীর পিতার পূর্বপুরুষদের আমলে ল²ীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল। এখন তা শূন্য বললেই হয়, যদিও তলায় সামান্য কিছু বাকি আছে। দেশে বংশ মর্যাদা রক্ষা করে চলা সহজ নয় বলে তিনি পশ্চিমে গিয়ে বাস করছেন। সেখানে গরিব গৃহস্থের মতোই থাকেন।
উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিয়ের অনুষ্ঠানাদির আড়ম্বরের বাড়াবাড়ির বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।
সমাজবদ্ধ জীব মানুষ তার দৈনন্দিন নানা কার্যকলাপ ও পারস্পরিক লেনদেন এবং নানা উৎসব-অনুষ্ঠানাদিতে সামাজিকতার পরিচয় দেয়। সামাজিক এসব অনুষ্ঠান মূলত পারস্পরিক সৌহার্দ ও সৌজন্যের বহিঃপ্রকাশ। সমাজের কিছু বৈষয়িক ও স্বার্থবাদী মানুষ এমন অনুষ্ঠানগুলোকেও আড়ম্বর প্রকাশ ও অন্যের বিড়ম্বনার কারণে পরিণত করে তুলেছে।’
উদ্দীপকে মৃতের সৎকারের মতো একটি শোকাবহ অনুষ্ঠানকে অর্থের প্রাচুর্য ও তার বহিঃপ্রকাশে অনুরূপভাবে আড়ম্বরের বাড়াবাড়ি ফুটে উঠেছে। আড়ম্বর ও প্রাচুর্যের নির্দয় বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিয়ের অনুষ্ঠানটিতেও। সেখানে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে এত বাহক যায় যে, তাদের বিদায় করতে কনেপক্ষকে রীতিমতো নাকাল হতে হয়েছে। তারপর বিয়ের দিন ব্যান্ড, বাঁশি, শখের কনসার্ট প্রভৃতি যত প্রকার উচ্চশব্দ আছে সব একসঙ্গে মিশিয়ে বর্বর কোলাহলে বরযাত্রী দল সংগীতসরস্বতীর পদ্মবন মত্তহস্তীর ন্যায় দলিত-বিদলিত করে বিয়েবাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়েছিল।
উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিশেষ একটি দিককেই নির্দেশ করে, পুরো বিষয়কে নয়Ñ শীর্ষক বক্তব্যটি যুক্তিযুক্ত ও যথার্থ।
অর্থলোভী মানুষের কাছে অর্থই সব। আদর্শ, নৈতিক মূল্যবোধ, শিক্ষা সবকিছুই তাদের কাছে অর্থহীন। যে-কোনো মূল্যে তারা অর্থ ও নিজেদের প্রাধান্যকেই কামনা করে। তারা জীবনের সব ক্ষেত্রেই অর্থ ও প্রাধান্যের সমাগম চায়। স্কুল, কলেজে দু-চারটা পা দেয়া সন্তানকে অর্থ উপার্জনের রাস্তা হিসেবে তারা জ্ঞান করে। এতে অপরপক্ষের দুর্ভোগ ও অবমাননার কথা তাদের চেতনায় ন্যূনতম নাড়া দেয় না।
উদ্দীপকে অর্থবিত্তের প্রাচুর্য প্রকাশের এক বিশেষ দিক ফুটে উঠেছে। সেখানে মৃতের সৎকারের মতো একটি শোকাবহ ঘটনা আর শোকাবহ থাকেনি, হয়ে উঠেছে আড়ম্বরপূর্ণ উৎসববিশেষ। ‘অপরিচিতা’ গল্পেও বিয়ের অনুষ্ঠানে বরপক্ষ কনেপক্ষের উপর তাদের অর্থবিত্তের প্রাচুর্যের এমনি উৎকট প্রদর্শনী দেখায় যে, কনেপক্ষের জন্য তা দুর্ভোগের অবমাননার বিষয়ে পরিণত হয়। উদ্দীপকটি গল্পের এ বিষয়টি তুলে ধরলেও এটি গল্পের এক বিশেষ দিক বা অংশবিশেষ মাত্র।
‘অপরিচিতা’ গল্পে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় পুরুষের আধিপত্য, নারীর প্রতি অবমাননা, দু-চারটা পরীক্ষা পাসের বিপরীতে সামাজিক ও আর্থিক নানা সুবিধা লাভ, বৈষয়িক লোকের অর্থলিপ্সা এবং নারীর অন্তর্নিহিত শক্তির বিজয়বার্তা ঘোষিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে গল্পের সামাজিক অনুষ্ঠানাদির আড়ম্বরতা ফুটে উঠেছে মাত্র। এভাবে প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি যুক্তিযুক্ত ও যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত সদর থানার একদল মানুষ বরযাত্রীকে গণধোলাই দিয়ে বিয়ের আসর থেকে তাড়িয়ে দেয়। আর এ বরপক্ষ ছিল বরিশালের গৌরনদী থানার অন্তর্গত চরগ্রামের অধিবাসী। বিয়ের এক পর্যায়ে কাবিননামার দেনমোহরের পরিমাণ ধার্যের বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। বরপক্ষের অস্বাভাবিক আচরণে কন্যাপক্ষের একজন রাগান্বিত হয়ে ওঠে এবং তৎক্ষণাৎ মারামারি বেঁধে যায়। শেষ পর্যন্ত বরপক্ষকে জরিমানা দিয়ে বিয়ের মঞ্চ ত্যাগ করতে হয়।
ক. হবিশ কোথায় কাজ করে?
খ. সমস্ত মন যে সেই অপরিচিতার পানে ছুটিয়া গিয়াছিলÑ কেন?
গ. উদ্দীপকের ঘটনার সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সমাজব্যবস্থা ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমাজব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণÑ বিচার কর। ১
২
৩
৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
হবিশ কানপুরে কাজ করে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক অনুপমের মনটা ছুটে গেল তার কল্পলোকের রাজকন্যা কল্যাণীর দিকে।
অনুপম তার মা ও মামার একান্ত অনুগত আদরের ছেলে। তাদের মুখের উপর কোনো কথা বলার বা সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস বা ইচ্ছা তার ছিল না। সংগত কারণেই আজ তার ভাগ্যে এ করুণ পরিণতি। মামার লোভী মানসিকতা আর শ্বশুরের অপমানবোধের কারণে তার বিয়েটা হতে গিয়েও হলো না। কিন্তু অনুপমের মনটা আজও কিছু একটার অভাব অনুভব করে। দিবা-রাত্রি সে তার প্রেয়সীর পানে ছুটে যেতে চায়। কিন্তু সে তো আজও অপরিচিতা, অচেনা।
উদ্দীপকের সাথে অপরিচিতা গল্পের কাহিনি অনেকটা সাদৃশ্যপূর্ণ। আর এ সাদৃশ্যের বিষয় হলো যৌতুক।
আমাদের দেশে যৌতুক বা পণপ্রথা একটা মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। এ সমাজে মেয়ে বিয়ে দিতে গিয়ে বাবাকে অনেক ধকল সহ্য করতে হয়। এমনকি অনেক বাবা তাঁর সঞ্চয়ের সবটুকু দিয়েও মেয়ের শ্বশুর পক্ষের মন খুশি করতে ব্যর্থ হন। তেমনি বিয়ের কাবিননামার দেনমোহরের পরিমাণ ধার্যের ব্যাপারেও অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়। আর সংগত কারণে অনেক ছেলেমেয়ের জীবনে নেমে আসে অশান্তির ঘোর অন্ধকার।
উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করেছি যে, এক বরযাত্রীদের দল বিয়ে করতে এসে মেয়েপক্ষের কাছে অপমানিত হয়ে ফিরে যায়। বরিশালের গৌরনদী থানার অধিবাসী বরপক্ষ ফরিদপুরের সদরে বিয়ে করতে গিয়ে এ ঘটনার শিকার হয়। তবে এক্ষেত্রে যৌতুক নয়, কাবিননামার দেনমোহরের পরিমাণ ধার্যের বিষয়ে সমস্যা বাঁধে এবং এক পর্যায়ে মারামারিও শুরু হয়। অপরদিকে ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের বিয়ে ভাঙার একমাত্র কারণ হলো মামার হীন ও লোভী দৃষ্টিভঙ্গি এবং শম্ভুনাথের অপমানবোধ। উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ উভয় ক্ষেত্রেই বরপক্ষের হীন ও লোভী মানসিকতার কারণে বিয়ে ভেঙে যায়। আর এদিক থেকে উদ্দীপকের ঘটনার সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকের সমাজ ব্যবস্থার সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমাজব্যবস্থা বহুলাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর এটা হলো বিয়ে সম্পর্কিত জটিলতা ও কুসংস্কার।
বিয়েতে পণপ্রথা, যৌতুক, দেনমোহর ইত্যাদি বিষয়গুলো আদিকাল থেকেই আজ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে চলে আসছে। আর এ ধরনের কুপ্রথার প্রভাব আমাদের সকলকেই বহন করতে হচ্ছে। একদিকে ছেলে পক্ষের লোভী দৃষ্টিভঙ্গি, অন্যদিকে কন্যাপক্ষের না দিতে পারার দুর্বলতা। এ দু’য়ের কারণে উভয়ের জীবনে নানা প্রকার অশান্তি সৃষ্টি হয়, যার ফল উভয় পক্ষকেই বহন করতে হয়।
উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি, পুরুষদের অসৎ পরিকল্পনা ও অমানবিকতার পরিচয়। কারণ উক্ত বরপক্ষের কাবিননামার দেনমোহরের পরিমাণ ধার্যের বিষয়ে নিচু মনমানসিকতার পরিচয় পাওয়া গেছে। এমনকি মারামারিও হয়েছে অনেক। আবার ‘অপরিচিতা’ গল্পে দেখা গেছে অনুপমের মামা তাঁর দাবি অনুযায়ী সকল গহনা পাওয়ার পরও অবিশ্বাসের কারণে শম্ভুনাথের কাছে লোভী স্বার্থপর বলে পরিচিত হয়েছে। এমনকি সংগত কারণে বিয়েটা ভেঙে যায়।
উদ্দীপক ও অপরিচিতা উভয় ক্ষেত্রেই আমরা এ সমাজের মানুষের লোভ, স্বার্থপরতা ও নিচু মানসিকতার পরিচয় পেয়েছি। তাছাড়া পরিণতিও এক রকম। অর্থাৎ বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া আর এর কারণ হিসেবে উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্প উভয় ক্ষেত্রেই বরপক্ষের দোষ ফুটে উঠেছে। তাই উভয় সমাজ ব্যবস্থাতেই সামাজিক অসংগতি ও বিবাহরীতির জটিলতা ফুটে উঠেছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ছবি দেখে পাত্রীটিকে তুহিনের বেশ পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু তার বড় মামা, যিনি তুহিনদের সংসারের আসল অভিভাবকÑ মেয়ে দেখে এসে বললেন, মেয়ের পরিবার বড় বেশি বড়লোক। তাই সেখানে সম্বন্ধ করা চলে না। তুহিন লাজলজ্জার মাথা খেয়ে বলেই ফেলল, বড়লোক হওয়াটা কি দোষের? মামা চোখ নাচিয়ে, মাথা ঝাঁকিয়ে বিজ্ঞের মতো বললেন, মুরব্বিরা বলে গেছেন, মেয়ে বিয়ে দেবে বড় ঘরে, কিন্তু ছেলে বিয়ে করাবে ছোট ঘরে। ছোট ঘরের মেয়ে আর মেয়ের জ্ঞাতি-স্বজনকে সহজেই চেপে রাখা যায়। আবার আদর-আপ্যায়ন ও পাওনাটাও ঘাড় ধরে আদায় করা যায়।
ক. কার চেহারা চোখে পড়ার মতো?
খ. “ভালো মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্ঝাট নাই।”Ñ কেন?
গ. উদ্দীপকের মামা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ?
ঘ. উদ্দীপকের মামা ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের মামা চরিত্রগত দিক থেকে একই আদর্শের অনুসারী।Ñমন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর। ১
২
৩
৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
শম্ভুনাথ বাবুর চেহারা চোখে পড়ার মতো ।
সংসারের কোনো রকম দায়িত্ব কাঁধে না নিয়ে আপাত নিরুপদ্রব ও নির্ঝঞ্ঝাট জীবনযাপনকে ব্যঙ্গ করে অনুপম এ কথা বলেছে।
দায়িত্ববান সামাজিক মানুষ হিসেবে সমাজে বসবাস করতে গেলে মানুষকে সৎকাজে সহযোগিতা এবং অসৎ কাজে বিরোধিতা করতে হবে। ‘অপরিচিতা’ গল্পে কথক যেহেতু শিশুকাল থেকে কোলে কোলেই মানুষ এবং যৌবনেও তেমনটি রয়েছেন তাই তাকে সংসারের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হয়নি। আর বিরোধ-বিপত্তিমূলক কোনো কাজে না থেকে তথাকথিত ভালো মানুষ হওয়াটাকে কথক উপর্যুক্ত বাক্যে ব্যঙ্গ করেছেন।
উদ্দীপকের মামা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কথক অনুপমের মামার চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
বিয়ে একটি সামাজিক নিয়ম। দুটি নর-নারীর মিলনের মাধ্যমে সামাজিক জীবনকে এগিয়ে নেয়ার এক সমাজসিদ্ধ প্রক্রিয়া। আগে দুটি নর-নারীর মধ্যকার মিলনের ব্যাপারটি একান্তভাবেই তাদের পরিবারের অভিভাবকদের মর্জিমাফিক ছিল। এ প্রথাগত বিয়েকে কেন্দ্র করে সমাজে নানা রুচি, পছন্দ, নীতি ও আচার-আচরণের সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে ফটো দেখে পাত্রী পছন্দ হলেও পাত্রের অভিভাবক মামা এক বিশেষ কারণে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। তার যুক্তি হলো মেয়ের পরিবার বেশি বড়লোক। তাই সেখানে আত্মীয়তা করা চলে না। বিয়ে সম্বন্ধে উদ্দীপকের মামার এক বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিও দেখা যায়। উদ্দীপকের অনুরূপ ‘অপরিচিতা’ গল্পেও কথক অনুপমের মামা তার আসল অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। বিয়ে সম্বন্ধে তারও বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ধনীর কন্যা তারও পছন্দ নয়। তার মতে, তাদের ঘরে যে মেয়ে আসবে সে মাথা হেঁট করে আসবে। উদ্দীপকের মামার ভিতরেও অনুরূপ মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান রয়েছে।
উদ্দীপকের মামা ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের মামা চরিত্রগত দিক দিয়ে একই আদর্শের অনুসারী।মন্তব্যটি যথার্থ।
পুরুষপ্রধান সমাজব্যবস্থার অন্যায় ও বৈষম্যটাকে স্থায়ী করতে সমাজপতিরা নানা কুসংস্কার ও প্রথা সৃষ্টি করেছে। বিয়ের মতো একটি সর্বজনীন প্রতিষ্ঠানেও তাদের কায়েমি স্বার্থ প্রতিষ্ঠায় নানা নিয়ম-রেওয়াজ ও সংস্কার প্রথার সংযোজন ঘটিয়েছে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, তুহিনের মামা বিয়ের জন্য কনে নির্বাচন প্রসঙ্গে এক বিশেষ মতের ধারক। অর্থাৎ, বড়লোকের মেয়েকে সংসারের বউ করে আনতে অনিচ্ছুক। তুহিন এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মেয়ে বিয়ে দিতে হবে বড় ঘরে আর ছেলে বিয়ে করাতে হবে ছোট ঘরে। কেননা ছোট ঘরের মেয়ে আর মেয়ের জ্ঞাতি-স্বজনকে সহজেই চেপে রাখা যায়। আবার আদর-আপ্যায়ন ও পাওনাটাও ঘাড় ধরে আদায় করা যায়। উদ্দীপকের মামার এই চারিত্রিক আদর্শ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কথক অনুপমের মামার চারিত্রিক আদর্শের সাথে মিলে যায়।
‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের মামার ভাগ্নেকে বিয়ে করানোর ক্ষেত্রে ধনীর কন্যা পছন্দ নয়। তিনি চান সংসারে যে মেয়ে আসবে সে মাথা হেঁট করে আসবে। তিনি এমন বেয়াই চান যার টাকা নেই অথচ সে টাকা দিতে কসুর করবে না। যাকে শোষণ করা চলবে অথচ বাড়িতে এলে গুড়গুড়ির পরিবর্তে বাঁধা হুঁকায় তামাক দিলে যার নালিশ খাটবে না। উদ্দীপকের মামা এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের মামা চরিত্রগত দিক দিয়ে একই মন-মানসিকতার ধারক-বাহক।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
১ অনুপমের বাবা কী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন?
ক ডাক্তারি ছ ওকালতি গ মাস্টারি ঘ ব্যবসা
২ মামাকে ভাগ্য দেবতার প্রধান এজেন্ট বলার কারণ তার-
ক প্রতিপত্তি খ প্রভাব
জ বিচক্ষণতা ঘ কূট বুদ্ধি
ক্স নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
পিতৃহীন দীপুর চাচাই ছিলেন পরিবারের কর্তা। দীপু শিক্ষিত হলেও তার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ছিল না। চাচা তার বিয়ের উদ্যোগ নিলেও যৌতুক নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে কন্যার পিতা অপমানিত বোধ করে বিয়ের আলোচনা ভেঙে দেন। দীপু মেয়েটির ছবি দেখে মুগ্ধ হলেও তার চাচাকে কিছুই বলতে পারেননি।
৩ দীপুর চাচার সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের মিল আছে?
ক হরিশের ছ মামার গ শিক্ষকের ঘ বিনুর
৪ উক্ত চরিত্রে প্রাধান্য পেয়েছে-
র. দৌরাত্ম্য রর. হীনম্মন্যতা ররর. লোভ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর জ র ও রর ঘ রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক যাচাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক লেখক পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ রবীন্দ্রনাথ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে খ ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে
জ ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে ঘ ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে
৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১২৬১ বঙ্গাব্দে ছ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে
গ ১২৭০ বঙ্গাব্দে ঘ ১২৭২ বঙ্গাব্দে
৭ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন?
ক মহর্ষি পরিবারে ছ ঠাকুর পরিবারে
গ সেন পরিবারে ঘ ভট্টাচার্য পরিবারে
৮ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী?
ক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ শিবনাথ ঠাকুর
জ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কী?
ক সরলা দেবী ছ সারদা দেবী
গ বিমলা দেবী ঘ কল্যাণী দেবী
১০ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন অভিধায় সম্ভাষিত হয়েছেন?
ক শ্রেষ্ঠ কবি ছ বিশ্বকবি গ চারণ কবি ঘ প্রবীণ কবি
১১ বাংলা ছোটগল্পের প্রথম সার্থক শিল্পী কে?
চ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
১২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম রচিত ছোটগল্পের নাম কী?
চ ভিখারিণী খ অপরিচিতা গ রবিবার ঘ হৈমন্তী
১৩ কত বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রথম ছোটগল্প ‘ভিখারিণি’ রচনা করেন?
ক ১২৮২ বঙ্গাব্দে খ ১২৮৩ বঙ্গাব্দে
জ ১২৮৪ বঙ্গাব্দে ঘ ১২৮৫ বঙ্গাব্দে
১৪ কত বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রথম ছোটগল্প রচনা করেন?
ক পনেরো বছর ছ ষোলো বছর
গ সতেরো বছর ঘ আঠারো বছর
১৫ ‘গল্পগুচ্ছতে’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কতটি গল্প সংকলিত হয়েছে?
ক ৮৫টি খ ৯০টি জ ৯৫টি ঘ ১০০টি
১৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ রচিত গল্পের নাম কী?
ক রবিবার খ ক্ষুধিত পাবণ
জ মুসলমানীর গল্প ঘ নিশিথে
১৭ কোন সময়টাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প রচনার স্বর্ণযুগ বলা হয়?
চ কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাসের সময়কে
খ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বসবাসের সময়কে
গ শান্তিনিকেতনে বসবাসের সময়কে
ঘ পতিসরে বসবাসের সময়কে
১৮ কোন কাব্যগ্রন্থের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে থাকাকালে রচনা করেন?
ক মানসী খ খেয়া গ বলাকা ঝ সোনার তরী
১৯ বিশ শতকের ছোটগল্পে কোন জিনিসটি প্রাধান্য পেয়েছে?
ক প্রকৃতি খ গীতময়তা গ রাজনীতি ঝ বাস্তবতা
২০ ‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কী ধরনের গ্রন্থ?
ক কাব্যগ্রন্থ খ গল্পগ্রন্থ জ উপন্যাস ঘ নাটক
২১ ‘যোগাযোগ’ উপন্যাসটির রচয়িতা কে?
চ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
২২ ‘রক্তকরবী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কী ধরনের গ্রন্থ?
ক কাব্যগ্রন্থ খ গল্পগ্রন্থ গ উপন্যাস ঝ নাটক
২৩ ‘ডাকঘর’ নাটকের রচয়িতা কে?
চ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ কাজী নজরুল ইসলাম
গ মীর মশাররফ হোসেন ঘ সৈয়দ শামসুল হক
২৪ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু সাল কত?
চ ১৯৪১ খ ১৯৪৩ গ ১৯৪৫ ঘ ১৯৪৭
২৫ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর মৃত্যু তারিখ কোনটি?
ক ৭ই মে খ ৭ই জুন গ ৭ই জুলাই ঝ ৭ই আগস্ট
২৬ কত বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরলোকগমন করেন?
ক ১৩৪২ ছ ১৩৪৮ গ ১৩৫৮ ঘ ১৩৬৮
২৭ নিচের কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু দিবস?
চ ২৫শে বৈশাখ খ ১১ই জ্যৈষ্ঠ
গ ২২শে শ্রাবণ ঘ ১৩ই কার্তিক
২৮ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাবসান ঘটে কোথায়?
চ জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে খ বোলপুরের শান্তিনিকেতনে
গ কুষ্টিয়ার শিলাইদহে ঘ কলকাতার হাসপাতালে
খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
২৯ ‘অপরিচিতা’ গল্পে কার আচরণে যৌতুক প্রথা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে?
ক অনুপমের ছ কল্যাণীর পিতার
গ অনুপমের মামার ঘ কল্যাণীর
৩০ নিচের কোনটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী চরিত্রের ক্ষেত্রে সাযুজ্যপূর্ণ?
ক ভীতু খ পরমুখাপেক্ষী
গ সংকীর্ণতা ঝ বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব
৩১ ‘সবুজপত্র’ মাসিক পত্রের সম্পাদক কে ছিলেন?
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছ প্রমথ চৌধুরী
গ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ অক্ষয়কুমার দত্ত
৩২ ‘ফল্গু’ নদী কোথায় অবস্থিত?
চ ভারত খ বাংলাদেশ গ মালদ্বীপ ঘ মায়ানমার
৩৩ বকুল বনের নবপলবরাশির সাথে কার তুলনা করেছেন?
ক কল্যাণীর ছ অনুপমের
গ পাত্রী দর্শনের অভিজ্ঞতার ঘ নিরুপমার
৩৪ মামার টাকার প্রতি আসক্তিকে অনুপম কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?
চ অস্থি-মজ্জা খ হাড়-হাড্ডি গ চোখ-কান ঘ গলা-নাক
৩৫ বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা হয় কাকে?
ক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় খ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
জ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ কাজী নজরুল ইসলাম
৩৬ দৈর্ঘ্যে বা হিসাবে কোন জীবনটা বড় নয়?
ক বাল্য জীবন খ যুবক জীবন
গ পঁচিশ বছর বয়সের জীবন ঝ সাতাশ বছর বয়সের জীবন
৩৭ ‘অপরিচিতা’ গল্পে ফুলের বুকের উপরে কী এসে বসেছিল?
ক মৌমাছি খ বোলতা গ হামিংবার্ড ঝ ভ্রমর
৩৮ ‘সেই ইতিহাসটুকু আকারে ছোট।’ এ চিত্রকল্পে ফুটে ওঠা নিচের কোন যুক্তিটি সমর্থনযোগ্য?
ক অনুপমের বিবাহের দিন ছ অনুপমের সাতাশ বছরের জীবন
গ অনুপমের কৈশোর ঘ অনুপমের যুবক বয়স
৩৯ এশীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান কে?
ক ড. অমর্ত্য সেন খ ড. মোহাম্মদ ইউনূস
জ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ মাদার তেরেসা
৪০ ‘অপরিচিতা’ গল্পে নায়কের বয়স কত বলা হয়েছে?
ক আটাশ বছর খ ছাব্বিশ বছর
জ সাতাশ বছর ঘ পঁচিশ বছর
৪১ অনুপমকে শিমুল ফুল, মাকাল ফল অভিহিত করার মধ্যে অনুপমের প্রতি পণ্ডিতমশায়ের কী ধরনের মনোভাব ফুটে উঠেছে?
ক রাগ খ ভালোবাসা গ তিরস্কার ঝ বিদ্রƒপ
৪২ ‘এটা আপনারাই রেখে দিন’-কোনটিকে রেখে দেয়ার কথা বলা হয়েছে?
ক বালা খ কানের দুল জ এয়ারিং ঘ হার
৪৩ স্যাকরাকে মামা ডেকেছিলেন কেন?
ক গয়না বানাতে ছ গয়নার খাঁদ যাচাই করতে
গ কনের বাবাকে অপমান করতে ঘ ভুল করে
৪৪ কোন শব্দটি অনুপমের কাছে চিরজীবনের হয়ে রইল?
চ ‘জায়গা আছে’ খ জায়গা নেই
গ ভালোবাসি ঘ মাতৃআজ্ঞা
৪৫ মামা গয়নার হিসাব কেন ফর্দে টুকে রাখলেন?
চ ফাঁকি এড়াতে খ স্বভাববশত
গ স্মরণ রাখতে ঘ সরল বিশ্বাসে
৪৬ কল্যাণীর মাতৃআজ্ঞা বলতে কী বোঝা যায়?
ক মায়ের নির্দেশ খ মায়ের নিষেধ
জ মাতৃভূমির আদেশ ঘ জন্মভূমির বাধা
৪৭ কনের পিতা কার সাথে কথা বলা আবশ্যক করলেন না?
চ অনুপমের খ অনুপমের মামার
গ বরযাত্রীদের ঘ হরিশের
৪৮ ‘এ জোড়া আপনারাই রাখিয়া দিন’- এ কথা কে বলেছেন?
ক অনুপম খ হরিশ জ শম্ভুনাথ ঘ মামা
৪৯ বাড়ির লোকেরা কেন রেগে আগুন?
ক খেতে না পেয়ে খ গয়না না পেয়ে
জ অপমানিত হয়ে ঘ বিয়েতে যেতে না পারায়
৫০ মেয়ে-শিক্ষা ব্রত গ্রহণের মাধ্যমে কল্যাণীর কোন চেতনার প্রকাশ পায়?
ক দাম্ভিক ছ মানবিক গ অর্থলোভী ঘ জ্ঞানান্বেষণ
৫১ ‘ও আবার কী বলিবে। আমি যা বলিব তাই হইবে।”Ñকথাটির মাধ্যমে অনুপমের মামার কোন রূপ প্রকাশ পায়?
ক হীনম্মন্যতা খ নির্বুদ্ধিতা
জ দাম্ভিকতা ঘ øেহশীলতা
৫২ ‘তবু ইহার বিশেষ মূল্য আছে’Ñ এখানে কীসের মূল্যের কথা বলা হয়েছে?
চ জীবনের খ মরণের গ কর্মের ঘ ধর্মের
৫৩ ছেলেবেলায় পণ্ডিতমশায় অনুপমকে কীসের সাথে তুলনা করতেন?
ক ভিজে বেড়াল ছ মাকাল ফল
গ গোলাপ ফুল ঘ পূর্ণিমার চাঁদ
৫৪ অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
ক বাবা ছ মামা গ মা ঘ শিক্ষক
৫৫ ‘অপরিচিতা’ গল্পে মামার সাথে অনুপমের বয়সের পার্থক্য কত?
ক বছর চারেক ছ বছর ছয়েক
গ বছর আষ্টেক ঘ বছর দশেক
৫৬ কন্যার পিতামাত্রই কোনটি স্বীকার করবেন?
ক অনুপম রুচিবান ছ অনুপম সৎপাত্র
গ অনুপম রূপবান ঘ অনুপম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন
৫৭ অনুপম কোনটি খায় না বলে গর্ব প্রকাশ করেছে?
চ তামাক খ মদ গ চুরুট ঘ কফি
৫৮ কে নিজেকে ভালো মানুষ বলে আখ্যা দিয়েছে?
ক মামা খ কল্যাণী গ হরিশ ঝ অনুপম
৫৯ মামা কেমন ঘরের মেয়ে পছন্দ করতেন?
ক ধনী ছ গরিব গ গ্রামীণ ঘ শহুরে
৬০ অনুপমের বন্ধুর নাম কী?
ক সতীশ খ জ্যোতিষ জ হরিশ ঘ মনীষ
৬১ হরিশ কোথায় কাজ করত?
চ কলকাতায় খ আন্দামানে গ রাজপুরে ঘ কানপুরে
৬২ অনুপমের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
ক বিএ পাস ছ এমএ পাস
গ বিএসসি পাস ঘ এমএসসি পাস
৬৩ ‘মেয়ে যদি বল, তবে’Ñ উক্তিটি কার?
ক অনুপমের ছ হরিশের গ শম্ভুনাথের ঘ মামার
৬৪ ‘অপরিচিতা’ গল্পে রসিক মনের মানুষ কে?
ক অনুপম খ ঘটক জ হরিশ ঘ মামা
৬৫ ‘একবার মামার কাছে কথাটা পাড়িয়া দেখ’Ñউক্তিটি কার?
ক বিনুদাদার খ শম্ভুনাথের গ হরিশের ঝ অনুপমের
৬৬ ‘মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তার কাছে গুরুতর’Ñকার কাছে?
ক হরিশের খ অনুপমের জ মামার ঘ ঘটকের
৬৭ ‘ইহাদের বংশে ল²ীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল’Ñউক্তিতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
চ কল্যাণীদের খ মামাদের গ অনুপমদের ঘ হরিশদের
৬৮ আসর জমাতে অদ্বিতীয় কে?
ক অনুপম খ কল্যাণী গ মামা ঝ হরিশ
৬৯ ‘অপরিচিতা’ গল্পে কোন দ্বীপের উলেখ আছে?
চ আন্দামান দ্বীপ খ হাইকু দ্বীপ
গ ক্যারিবীয় দ্বীপ ঘ বালি দ্বীপ
৭০ কে কন্যাকে আশীর্বাদ করতে গেল?
ক হরিশ খ অনুপম গ মামা ঝ বিনুদাদা
৭১ বিনুদাদার সাথে অনুপমের সম্পর্ক কী?
ক মাসতুতো ভাই ছ পিস্তুতো ভাই
গ খুড়তুতো ভাই ঘ মামাতো ভাই
৭২ “মন্দ নয় হে, খাঁটি সোনা বটে।”Ñ উক্তিটি কার?
চ বিনুদার খ হরিশের গ মামার ঘ ঘটকের
৭৩ বিনুদাদা ‘চমৎকার’Ñ এর স্থলে কী বলে?
চ চলনসই খ অসাধারণ গ বিস্ময়কর ঘ সাদামাটা
৭৪ কল্যাণীর পিতার নাম কী?
ক হরিশচন্দ্র দত্ত খ বিনোদবিহারী সেন
জ শম্ভুনাথ সেন ঘ গৌরিশংকর দত্ত
৭৫ শম্ভুনাথ বাবুর বয়স কত?
চ প্রায় চলিশ বছর খ প্রায় পঞ্চাশ বছর
গ প্রায় ষাট বছর ঘ প্রায় সত্তর বছর
৭৬ ‘তাহার বিনয়টা অজস্র নয়’Ñ কার?
ক অনুপমের খ বিনুদাদার জ শম্ভুনাথের ঘ মামার
৭৭ ‘বাবাজি একবার এদিকে আসতে হচ্ছে’Ñ উক্তিটি কার?
ক মামার ছ শম্ভুনাথের গ হরিশের ঘ মায়ের
৭৮ কষ্টিপাথর নিয়ে কে বসেছিল?
ক মামা ছ স্যাকরা গ বিনুদাদা ঘ হরিশ
৭৯ ‘এয়ারিং’ কোথা থেকে আনা হয়েছে?
চ বিলেত খ কানপুর
গ মরুরা ঘ ফাঁসি
৮০ ‘ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করবার ইচ্ছা আমার নাই’Ñউক্তিটি কার?
ক বিনুদাদার খ অনুপমের
গ মামার ঝ শম্ভুনাথ বাবুর
৮১ অনুপম কাকে নিয়ে তীর্থযাত্রা শুরু করে?
ক কল্যাণীকে ছ মাকে গ হরিশকে ঘ বিনুদাদাকে
৮২ মা-পুত্রের তীর্থযাত্রার বাহন কী ছিল?
চ রেলগাড়ি খ গরুর গাড়ি
গ মোটর গাড়ি ঘ ঘোড়ার গাড়ি
৮৩ ‘শিগগির চলে আয়, এ গাড়িতে জায়গা আছে’ Ñউক্তিটি কার?
ক অনুপমের ছ কল্যাণীর গ বিনুদাদার ঘ হরিশের
৮৪ ‘এখানে জায়গা আছে’Ñউক্তিটি কার?
ক আর্দালির খ গার্ডের জ কল্যাণীর ঘ অনুপমের
৮৫ স্টেশনে অনুপম কী ফেলে গেল?
ক টিকিট ছ ক্যামেরা গ তোরঙ্গ ঘ লণ্ঠন
৮৬ ট্রেনে দেখা হওয়ার সময় কল্যাণীর বয়স কত ছিল?
ক ১৪/১৫ বছর খ ১৫/১৬ বছর
জ ১৬/১৭ বছর ঘ ১৭/১৮ বছর
৮৭ কল্যাণী মেয়েটির সঙ্গে কতজন মেয়ে ছিল?
ক ২/৩ ছ ৩/৪ গ ৪/৫ ঘ ৫/৬
৮৮ কল্যাণী স্টেশন হতে কী খাবার কিনে নেয়?
চ চানা-মুঠ খ ঝালমুড়ি গ চিনেবাদাম ঘ ঝুরিভাজা
৮৯ শম্ভুনাথ পেশায় কী ছিলেন?
ক উকিল খ শিক্ষক জ ডাক্তার ঘ ব্যবসায়ী
৯০ মাতৃ-আজ্ঞা বলতে কল্যাণী কার প্রতি ইঙ্গিত করেছে?
ক মায়ের প্রতি ছ মাতৃভূমির প্রতি
গ ধরনীর প্রতি ঘ অন্নপূর্ণার প্রতি
৯১ বিবাহের সময় অনুপমের বয়স কত ছিল?
ক একুশ ছ তেইশ
গ পঁচিশ ঘ সাতাশ
৯২ গজাননের মায়ের নাম কী?
ক অন্নদা ছ অন্নপূর্ণা গ কল্যাণী ঘ হৈমন্তী
৯৩ ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’Ñ এখানে ছোট ভাইটি কে?
ক গণেশ ছ কার্তিক গ পঞ্চশর ঘ প্রজাপতি
৯৪ হরিশ কী উপলক্ষে কলকাতায় এসেছে?
ক তীর্থ উপলক্ষে ছ ছুটি উপলক্ষে
গ পূজা উপলক্ষে ঘ বিয়ে উপলক্ষে
৯৫ কাকে অনুপমের ভাগ্য দেবতা বলে উলেখ করা হয়েছে?
ক হরিশকে ছ মামাকে গ বিনুদাকে ঘ শম্ভুনাথকে
৯৬ কার টাকার প্রতি আসক্তি বেশি?
ক শম্ভুনাথের খ কল্যাণীর গ অনুপমের ঝ মামার
৯৭ ‘কিছুদিন পূর্বে এমএ পাস করিয়াছি’Ñ উক্তিটি কার?
ক মামার খ বিনুদার জ অনুপমের ঘ হরিশের
৯৮ ‘একবার মামার কাছে কথাটা পাড়িয়া দেখ’Ñকথাটি কীসের?
ক দানের খ চাকরির জ বিয়ের ঘ ভ্রমণের
৯৯ বিয়ের সময় কল্যাণীর প্রকৃত বয়স কত ছিল?
ক চৌদ্দ ছ পনেরো গ ষোল ঘ সতেরো
১০০ মামার বাইরের যাত্রাপথের সীমানা কতদূর?
ক আন্দামান পর্যন্ত ছ কোন্নগর পর্যন্ত
গ কানপুর পর্যন্ত ঘ হাওড়া পর্যন্ত
১০১ বিয়ের কতদিন পূর্বে অনুপমের সাথে তার শ্বশুরের সাক্ষাৎ হয়?
ক দুই দিন ছ তিন দিন গ চার দিন ঘ পাঁচ দিন
১০২ ‘তিনি বড়ই চুপচাপ’Ñ এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
ক মামা খ হরিশ জ শম্ভুনাথ ঘ মা
১০৩ ‘তিনি কিছুতেই ঠকবেন না।’Ñকার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
চ মামা খ মা গ বিনুদাদা ঘ হরিশ
১০৪ ‘অপরিচিতা’ গল্পে কোন সময় অনুপম বিনুদাদার বাড়িতে যেত?
ক সন্ধ্যায় খ রাতে জ দুপুরে ঘ বিকালে
১০৫ মেয়েটিকে অনুপমের ফটোগ্রাফ দেয়ার কথা কে বলেছে?
ক অনুপম খ বিনুদাদা গ মামা ঝ হরিশ
১০৬ রেল কর্মচারী কতটি টিকিট বেঞ্চে ঝুলিয়েছিল?
চ দুইটি খ তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি
১০৭ আর্দালিসহ ভ্রমণে বের হয়েছে কে?
ক রেলওয়ে কর্মকর্তা ছ ইংরেজ জেনারেল
গ জমিদারের নায়েব ঘ রায়বাহাদুর সাহেব
১০৮ কল্যাণী টিকিটগুলো কোথায় ছুঁড়ে ফেললো?
ক সিটে খ গেইটে গ বার্থে ঝ প্লাটফর্মে
১০৯ কল্যাণী কোন স্টেশনে নেমে গেল?
ক কোন্নগর খ কলকাতা জ কানপুর ঘ হাওড়া
১১০ তোমার নাম কী?-কল্যাণীকে কে জিজ্ঞাসা করলো?
ক অনুপম ছ অনুপমের মা
গ জেনারেল ঘ স্টেশন মাস্টার
১১১ পূর্বে অনুপমের পিতার অবস্থা কেমন ছিল?
চ গরিব খ ধনী গ অভিজাত ঘ নিঃস্ব
১১২ সরস রসনার গুণ আছে কার?
চ হরিশের খ বিনুদাদার
গ কল্যাণীর ঘ মামার
১১৩ অত্যন্ত আঁট ভাষার বক্তা কে?
ক হরিশ ছ বিনুদাদা গ মামা ঘ শম্ভুনাথ
১১৪ কার সঙ্গে পঞ্চশরের বিরোধ নেই বলে অনুপমের মনে হলো?
ক গজাননের খ কার্তিকের জ প্রজাপতির ঘ অন্নপূর্ণার
১১৫ সুপুরুষ বটেÑ কে?
ক বিনুদাদা খ হরিশ গ মামা ঝ শম্ভুনাথ
১১৬ চুল কাঁচা গোঁফে পাক ধরেছে কার?
ক মামার ছ শম্ভুনাথের গ বিনুদাদার ঘ হরিশের
১১৭ ‘আমার জীবনটা না দৈর্ঘ্যরে হিসাবে বড়ো, না গুণের হিসাবে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
চ সংসারে অনভিজ্ঞ খ কমবয়সী
গ বিয়ের অনুপযুক্ত ঘ মামার ওপর নির্ভরশীল
১১৮ ছোটবেলায় পণ্ডিত মশাই বিদ্রুপ করত কেন?
ক কুৎসিত এবং নির্গুণ হওয়ার কারণে
খ কুৎসিত হয়ে গুণবান হওয়ার কারণে
গ সুদর্শন এবং গুণবান হওয়ার কারণে
ঝ সুদর্শন হয়েও নির্গুণ হওয়ার কারণে
১১৯ ‘আমার পুরোপুরি বয়সই হলো না’কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
ক তরুণ বয়সী খ অপরিণত বয়সী
জ অতি নির্ভরশীল ঘ চিন্তায় অপরিণত
১২০ ‘তামাকটুকু পর্যন্ত খাই না’Ñ উক্তিটি দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
ক তামাক ক্ষতিকর খ তামাক অপছন্দ
জ অতি ভালো মানুষ ঘ খাওয়ায় অরুচি
১২১ কনের বয়স নিয়ে মন ভারি হওয়া সত্তে¡ও শেষ পর্যন্ত মামার মন নরম হলো কীভাবে?
ক পণের আশ্বাসে খ কনের গুণমুগ্ধতায়
জ হরিশের বাকপটুতায় ঘ বিনুদার ব্যবহারে
১২২ মামার মন ভারি হলো কেন?
ক পণের অঙ্ক সামান্য বলে খ মেয়ের শিক্ষা কম বলে
জ মেয়ের বয়স বেশি বলে ঘ মেয়ে দেখতে ভালো নয়
১২৩ ‘খাঁটি সোনা বটে!’ বলতে বিনুদাদা কোনটিকে বুঝিয়েছেন?
ক বনেদী ঘর ছ উপযুক্ত পাত্রী
গ সুশীল পাত্র ঘ কনের গহনা
১২৪ মামা শম্ভুনাথ বাবুকে গাড়িতে তুলে দিতে গেলেন না কেন?
ক সময়ের অভাব হেতু খ রাস্তা দূরবর্তী বলে
গ অসুস্থ ছিলেন বলে ঝ আত্মগরিমার কারণে
১২৫ বেয়াই স¤প্রদায়ের তেজ থাকাটা মামার মতে কেমন?
ক গর্বের বিষয় ছ দোষের বিষয়
গ গুণের বিষয় ঘ লজ্জার বিষয়
১২৬ মামাকে দমানো শক্ত কেন?
চ আত্মপ্রশংসায় মুখর বলে খ পরনিন্দায় আগ্রহী বলে
গ ভাগ্নের স্নেহে অন্ধ বলে ঘ আয়োজনে রুষ্ট বলে
১২৭ মামা হরিশকে ছাড়তে চান না কেন?
ক তার স্বভাব ভালো তাই খ হরিশের রসনার গুণে
ঝ মামার গুণমুগ্ধ বলে ঘ হরিশ বিত্তশালী বলে
১২৮ সাহস করে অনুপম কীসের কথা বলতে পারল না?
ক বিয়ের তারিখের কথা খ পণের টাকার কথা
গ নিজের পছন্দের কথা ঝ মেয়ে দেখার কথা
১২৯ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান কেমন হলো?
চ ধুমধাম করে খ হেলাফেলাভাবে
গ অতি গোপনে ঘ সাদামাটাভাবে
১৩০ মামা বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না কেন?
চ স্থান ও আয়োজন দেখে খ আপ্যায়নের ত্র“টির কারণে
গ গহনার পরিমাণ দেখে ঘ বেয়াইয়ের আচার-আচরণে
১৩১ শ্বশুরের সামনে অনুপম মাথা হেঁট করে রইল কেন?
ক বিয়ে বাড়ির আয়োজন দেখে
খ শম্ভুনাথের ব্যবহারে
জ মামার গহনা পরীক্ষার কারণে
ঘ মামার আত্মগরিমার কারণে
১৩২ একখানা বালা বেঁকে গেল কেন?
চ খাদ নেই বলে খ খাদ বেশি বলে
গ সোনা কম বলে ঘ পুরোনো গহনা বলে
১৩৩ মামার ক্ষেত্রে কোন বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে উপযোগী?
চ অর্থলোভী খ বিচক্ষণ গ বাকসর্বস্ব ঘ কূপমণ্ডক
১৩৪ অনুপম কেমন প্রকৃতির লোক?
ক স্বার্থান্বেষী ছ ব্যক্তিত্বহীন গ অতি বিনয়ী ঘ সহজ-সরল
১৩৫ কল্যাণী মাতৃ-আজ্ঞা পালনে নিয়োজিত হয়েছে কেন?
চ শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে
খ অনুপম ও তার মামাকে সমুচিত শিক্ষা দিতে
গ বিয়ে ভঙ্গের অপমান থেকে চিরস্থায়ী মুক্তি পেতে
ঘ বিয়ে করে সংসারী না হওয়ার বিকল্প পন্থা খুঁজে পেতে
১৩৬ বিয়ে সম্পর্কে মামার বিশেষ মতের কারণ কী?
ক তার অহমিকাবোধ বজায় রাখা
ছ সংসারের শান্তি বিষয়ক দূরদৃষ্টি
গ সম্বন্ধ করে যেন ঠকতে না হয়
ঘ বিবাহ সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা
১৩৭ কল্যাণীর বাপ কেবলই সবুর করছেন কেন?
ক বাবা মেয়ের বয়স সম্পর্কে অজ্ঞ বলে
ছ বাবার দৃষ্টিতে মেয়ের বয়স কম বলে
গ বাবা মেয়ের প্রতি উদাসীন বলে
ঘ যোগ্য বরের অভাবে বিয়ে হচ্ছিল না বলে
১৩৮ অনুপম আহারে বসতে পারল না কেন?
ক তেমন ক্ষুধা ছিল না বলে
খ খাবার সুস্বাদু ছিল না বলে
গ মন কষাকষি হয়েছিল বলে
ঝ মামার অনুমতি ছিল না বলে
১৩৯ অনুপমকে বিয়ের আসর থেকে ফিরিয়ে দেবার কারণ কী?
চ অনুপমের ব্যক্তিত্বহীনতার কারণে
খ মামার হীনম্মন্যতার কারণে
গ গয়না নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে
ঘ কনের বাবার আত্মগরিমার কারণে
১৪০ অনুপমকে শিমুল ফুলের সঙ্গে তুলনা করতেন কে?
ক পিতা খ মাতা জ পণ্ডিতমশায় ঘ বড়দা
১৪১ ‘আমার পিতা এককালে গরিব ছিলেন’Ñ কার পিতা?
চ অনুপমের খ কল্যাণীর গ হরিশের ঘ শম্ভুনাথ বাবুর
১৪২ অনুপমের বন্ধু হরিশ কোথায় কাজ করে?
ক ঢাকায় খ কর্ণাটকে
জ কানপুরে ঘ কোচবিহারে
১৪৩ শিমুলের বাবা তার ছেলের বউকে পদানত করে রাখার বাসনা থেকে ধনী পরিবারের কন্যা চান না। ‘অপরিচিতা’ গল্পে শিমুলের বাবার সাথে তুলনীয় চরিত্র কোনটি?
ক হরিশ খ শম্ভুনাথ গ অনুপম ঝ মামা
১৪৪ কলকাতায় এসে অনুপমের মন উতলা করে দিল কে?
ক কল্যাণী ছ হরিশ গ মামা ঘ বিনুদাদা
১৪৫ কল্যাণীর বাবা বিয়ের কতদিন আগে অনুপমকে আশীর্বাদ করে যান?
চ তিন দিন খ পাঁচ দিন গ সাত দিন ঘ নয় দিন
১৪৬ ‘মামা মনে মনে খুশি হইলেন’Ñকেন?
ক পণের অঙ্কের পরিমাণ শুনে
ছ শম্ভুনাথ বাবুর নির্জীবতা দেখে
গ কনের রূপে-গুণে মুগ্ধ হয়ে
ঘ বিবাহ আয়োজনের সমারোহ দেখে
১৪৭ ‘ওকালতি করিয়া তিনি প্রচুর টাকা রোজগার করিয়াছেন’ Ñকে?
ক হরিশ খ অনুপম
গ শম্ভুনাথ বাবু ঝ অনুপমের বাবা
১৪৮ বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী কী কাজে জড়িত হয়েছিল?
ক পড়াশোনার কাজে খ পারিবারিক কাজে
জ মেয়েদের শিক্ষার কাজে ঘ ধর্মপ্রচারের কাজে
১৪৯ অনুপমের বাবা নিজের উপার্জিত টাকা ভোগ করতে পারল না কেন?
ক খুবই মিতব্যয়ী ছিলেন বলে
খ ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বলে
গ টাকা-পয়সা লুট হয়েছিল বলে
ঝ কেবল উপার্জনে ব্যস্ত ছিলেন বলে
১৫০ ‘গজানন’ কাকে বলা হয়?
ক ল²ণকে ছ গণেশকে গ রাবণকে ঘ কার্তিককে
১৫১ ‘ফল্গু’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
চ ভারতের গয়া রাজ্যের অন্তঃসলিলা নদী
খ পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের জলধারা বিশেষ
গ রাশিয়ার বরফ ঢাকা হ্রদ
ঘ মিশরের নীলনদের বয়ে চলা অববাহিকা
১৫২ ‘পঞ্চশর’ শব্দের অর্থ কী?
চ মদনদেবের ব্যবহার্য পাঁচ ধরনের বাণ
খ মদনদেবের কণ্ঠের পাঁচ রকমের সুর
গ প্রজাপতির পাখার পাঁচ রকমের রঙ
ঘ প্রজাপতি দেবতার পাঁচ রকমের অস্ত্র
১৫৩ নিচের কোনটি ‘সওগাদ’ শব্দের অর্থ?
ক কানের দুল খ প্রার্থনা জ উপঢৌকন ঘ অভিবাদন
১৫৪ ‘প্রদোষ’ শব্দের অর্থ কোনটি?
ক সকাল খ বিকেল জ সন্ধ্যা ঘ রাত্রি
১৫৫ ‘চুকান’ শব্দটি বাংলা ভাষার কোন পদের অন্তর্ভুক্ত?
ক বিশেষ্য খ বিশেষণ জ ক্রিয়া ঘ অব্যয়
১৫৬ ‘চুকাইয়াছি’ শব্দটি ব্যাকরণের কোন নিয়মে ব্যবহার হয়েছে?
ক বাগর্থতত্তে¡ ছ বিশিষ্টার্থক শব্দে
গ বাক্য সংকোচনে ঘ প্রবাদ-প্রবচনে
১৫৭ ‘অভ্র’ শব্দের অর্থ কী?
ক এক প্রকারের উজ্জ্বল রং ছ এক ধরনের খনিজ ধাতু
গ এক রকমের তীব্র সুগন্ধি ঘ এক রকমের বুনো ফুল
১৫৮ গানের যে অংশ দোহাররা বারবার পরিবেশন করে তাকে কী বলে?
ক লয় ছ ধুয়া গ মীড় ঘ তাল
১৫৯ ‘এসপার-ওসপার’ বাগধারাটির অর্থ কী?
চ মীমাংসা করা খ ইচ্ছাবোধ করা
গ খুশি করা ঘ এদিক ওদিক করা
১৬০ ‘এজেন্ট’ শব্দের অর্থ কী?
ক প্রতিধ্বনি খ প্রতিবিম্ব জ প্রতিনিধি ঘ প্রতিফলন
১৬১ ‘আমার পিতা এককালে গরিব ছিলেন।”- কার পিতা গরিব ছিলেন?
চ অনুপমের পিতা খ হরিশের পিতা
গ কল্যাণীর পিতা ঘ নিরুপমার পিতা
১৬২ ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মায়ের আদেশ মেনে চলার ক্ষমতা আছে কেন?
ক নিতান্তই সৎপাত্র বলে
খ ছেলেবেলা থেকে মায়ের কোলে মানুষ হয়েছে বলে
জ না মানার ক্ষমতা নেই বলে ঘ মামার তত্ত¡াবধানে থাকায়
১৬৩ ছেলেবেলায় অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে পণ্ডিতমশায় তাকে কোন ফুলের সাথে তুলনা করতেন?
ক শ্বেতপত্র খ রজনীগন্ধা জ শিমুল ঘ বকুল
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
১৬৪ ‘চুকান’ শব্দটি বাংলা ভাষার কোন পদের অন্তর্ভুক্ত?
ক বিশেষ্য খ বিশেষণ জ ক্রিয়া ঘ অব্যয়
১৬৫ ‘খাসা’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে?
চ আরবি খ ফারসি গ উর্দু ঘ হিন্দি
১৬৬ ‘মাকাল ফল’ কথাটি কোন বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়?
ক আদরের ছ গুণহীন গ জ্ঞানবান ঘ জ্ঞানহীন
১৬৭ ‘মকর’-এর সমার্থক শব্দ কোনটি?
ক বিড়াল খ রাশি জ কুমির ঘ শিয়াল
১৬৮ ‘চুকাইয়াছি’ শব্দটি ব্যাকরণের কোন নিয়মে ব্যবহার হয়েছে?
ক বাগর্থতত্তে¡ ছ বিশিষ্টার্থক শব্দে
গ বাক্য সংকোচনে ঘ প্রবাদ-প্রবচনে
১৬৯ ‘কোলে কোলেই মানুষ’-শব্দসমষ্টিতে ব্যাকরণের কোন নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক রূপতত্ত¡ খ বাক্যতত্ত¡ গ বাগর্থতত্ত¡ ঝ বাগধারা
১৭০ ‘গজানন’ শব্দটির অর্থ কী?
চ‘গজ’ এর (হাতির) মতো মুখ যার
খ পাখির মতো আনন (মুখ) যার
গ গজকচ্ছপ
ঘ মিষ্টির মতো চেহারা যার
১৭১ ‘গণ্ডূষ’ শব্দটি কোথা থেকে এসেছে?
চ সংস্কৃত খ ফারসি গ আরবি ঘ জাপানি
১৭২ ‘নাকাল’ শব্দের অর্থ কী?
ক নাবালক খ নয় কাল জ বিব্রত ঘ হতাশা
১৭৩ ‘মত্ত হস্তী’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
ক যে হাতি মেতে আছে খ সমস্ত হাতি
গ বড় হাতি ঝ পাগলা হাতি
১৭৪ ‘আগুন’-এর সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
ক হুতাশন খ অগ্নি গ পাবক ঝ অরি
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
১৭৫ ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় কোন পত্রিকায়?
ক প্রগতি খ পরিচয় জ সবুজপত্র ঘ শিখা
১৭৬ ‘অপরিচিতা’ গল্পটি ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার কোন সংখ্যায় বের হয়?
চ ১৩২১ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যা খ ১৩২১ বঙ্গাব্দের পৌষ সংখ্যা
গ ১৩২১ বঙ্গাব্দের ফাগ্লুন সংখ্যা ঘ ১৩২১ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যা
১৭৭ ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয় কোন গ্রন্থে?
ক গল্পগুচ্ছে খ গল্পসংগ্রহে জ গল্পসপ্তকে ঘ গল্পস্বল্পে
১৭৮ ‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণীর মাঝে কোনটি দেখা যায়?
চ দেশ চেতনায় ঋদ্ধ ব্যক্তিত্বের জাগরণ
খ যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সচেতন প্রয়াস
গ সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান
ঘ ব্যক্তিগত জেদের প্রাধান্য বিস্তার
১৭৯ ‘অপরিচিতা’ গল্পের লেখক কে?
ক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় খ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ঝ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮০ ‘অপরিচিতা’ গল্পের উৎসমূল কী?
ক সোনার তরী ছ গল্পগুচ্ছ
গ সঞ্চয়িতা ঘ শেষের কবিতা
১৮১ ‘অপরিচিতা’ গল্পে গল্পের নায়কের বয়স কত বছর উলেখ আছে?
ক পতের ছ সাতাশ গ আঠাশ ঘ সাঁইত্রিশ
১৮২ ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিশেষ দিক কোনটি?
ক নারীর প্রতি সহানুভূতি ছ পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতা
গ পুরুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ঘ নারীশিক্ষার প্রসার
১৮৩ ‘অপরিচিতা’ কোন পুরুষের জবানিতে লেখা গল্প?
ক মধ্যম পুরুষ খ শেষ পুরুষ
গ কালপুরুষ ঝ উত্তম পুরুষ
ঙ বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নোত্তর :
১৮৪ পণ্ডিতমশায় অনুপমকে যার সাথে তুলনা করেছেনÑ
র. শিমুল ফুল
রর. মাকাল ফল
ররর. আমড়া কাঠের ঢেঁকি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর জ র ও রর ঘ রর ও ররর
১৮৫ অনুপমকে তার সংসারের জন্য ভাবতে হয় না, কারণÑ
র. সংসারভিজ্ঞ বলে
রর. সব দায়িত্ব মামা বহন করে
ররর. সংসারের প্রতি ক্রোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর জ রর ঘ রর ও ররর
১৮৬ ‘আমি গাড়ি ছাড়িব না’Ñঅপরিচিতা মেয়েটির এই কথার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. আত্মসম্মান
রর. অন্যায়ের প্রতিবাদ
ররর. গভীর ব্যক্তিত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ ররর ঝ র, রর ও ররর
১৮৭ ‘গাড়িতে জায়গা আছে।’Ñবাক্যটি ভালো লাগার কারণÑ
র. কণ্ঠের মাধুর্যতায়
রর. নতুন আবেশে
ররর. কণ্ঠে হৃদয়ের রূপ দেখতে পেরে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ঝ র, রর ও ররর
১৮৮ “এসব কথায় আমার সম্পূর্ণ অনধিকার।”অনুপমের এ কথার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. ব্যক্তিত্বহীনতা
রর. হীনম্মন্যতা
ররর. কাপুরুষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ঝ র, রর ও ররর
১৮৯ কল্যাণী বিয়ে করবে না কারণÑ
র. আত্মমর্যাদা বোধ রর. সমাজের প্রতি ঘৃণা
ররর. দেশসেবার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯০ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে বাংলা ছোটগল্পেরÑ
র. উদ্ভব ঘটেছে রর. বিকাশ ঘটেছে
ররর. সমৃদ্ধি ঘটেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯১ ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থের বাইরেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প সংকলিত হয়েছে যে গ্রন্থেÑ
র. সে রর. গল্পস্বল্প ররর. লিপিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস হলোÑ
র. চতুরঙ্গ রর. অচলায়তন
ররর. গোরা
কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৩ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক হলোÑ
র. ঘরে-বাইরে রর. মুক্তধারা ররর. রাজা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৪ কল্যাণীর বিবাহ ভঙ্গের কারণÑ
র. অনুপমের অসহায়ত্ত রর. মামার স্বার্থপরতা
ররর. পণপ্রথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯৫ কল্যাণীর চরিত্রে ফুটে উঠেছেÑ
র. পিতার প্রতি শ্রদ্ধা রর. ব্যক্তি স্বাধীনতা
ররর. অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯৬ কল্যাণীর পিতাÑ
র. দৃঢ়চেতা ব্যক্তি রর. একজন আদর্শ পিতা
ররর. অন্যায়ের ক্ষেত্রে প্রতিবাদী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯৭ কল্যাণীর বাবা পাত্রপক্ষকে বিদায় করে দিলÑ
র. অনুপমের নীরবতার কারণে
রর. মামার হীনম্মন্যতার কারণে
ররর. বরপক্ষের আচরণের কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯৮ ‘মামা বিবাহ-বাড়িতে ঢুকিয়া খুশি হইলেন না।’ কারণÑ
র. বরযাত্রীর বসার জায়গাটা প্রশস্ত ছিল না
রর. বিয়ের আয়োজনটা ছিল মধ্যম রকমের
ররর. কনের পিতার বিনয়ের মাত্রাটা বেশি ছিল না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৯৯ ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপম জন্মান্তরে প্রত্যাশা করেছেÑ
র. নিজের মুখের সুরূপ রর. কল্যাণীর সান্নিধ্য
ররর. পণ্ডিতমশায়ের বিদ্রুপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০০ অনুপমের মামা ধনীর কন্যাকে ভাগ্নের বউ করতে চায়নিÑ
র. ধনীর কন্যা সংসারে আত্মগরিমা করবে বলে
রর. কন্যার পিতার অহংকার ও সম্মানবোধ থাকবে বলে
ররর. কন্যা অকারণে সংসারের অর্থ নষ্ট করবে বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০১ ‘থাকিবার মধ্যে ভিতরে আছেন মা এবং বাইরে আছেন মামা।’Ñ অনুপমের এ উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে তারÑ
র. অক্ষমতা
রর. নির্ভরতা
ররর. কাপুরুষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২০২ বয়স বেশি হলেও অনুপমের মামা কল্যাণীকে পছন্দ করলেন। কারণÑ
র. পণের পরিমাণ বেশি হবে বলে
রর. বাবার একমাত্র কন্যা বলে
ররর. কল্যাণী রূপসী ও গুণবতী বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৩ শম্ভুনাথ বাবু একজনÑ
র. বিশ্বাসপ্রবণ মানুষ রর. আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন মানুষ
ররর. স্বল্পভাষী ও সদ্বিবেচক মানুষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২০৪ ‘আমি মাথা হেঁট করিয়া চুপ করিয়া রহিলাম।’Ñএই উক্তি থেকে বোঝা যায় অনুপমÑ
র. প্রতিবাদহীন রর. বিবেকবোধহীন
ররর. বাকস্বাধীনতাহীন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৫ ‘মামার মুখ লাল হইয়া উঠিল।’ কারণÑ
র. নিজের অসততা ধরা পড়ায়
রর. কল্যাণীর বাবার সততায়
ররর. নিজের দেয়া এয়ারিং ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২০৬ ‘ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।’-শম্ভুনাথ বাবুর এই উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. আত্মীয়তা না করার দৃঢ়তা
রর. বরযাত্রীদের বিদায় হয়ে যাবার নির্দেশ
ররর. নিজের সম্মান ও আভিজাত্যবোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২০৭ কল্যাণীর বাবা বুঝতে পেরেছিলেন, অনুপম শিক্ষিত ছেলে হলেও সেÑ
র. সাহসী নয় রর. বাক স্বাধীনতাহীন
ররর. ব্যক্তিত্ববর্জিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২০৮ মা ও মামার নিষেধ উপেক্ষা করে কানপুরে গিয়ে অনুপমÑ
র. শম্ভুনাথ বাবুর মন জয় করতে পেরেছে
রর. কল্যাণীর উপেক্ষার পাত্র হয়েছে
ররর. পরিবারের সবার কাছে অপমানিত হয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৯ কল্যাণীর মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করার কারণÑ
র. বিবাহ ভঙ্গ রর. নারীর প্রতি মমত্ববোধ
ররর. মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২১০ বিয়ে না হলেও অনুপমের কাছে কল্যাণীÑ
র. পবিত্রতার প্রতীক
রর. ভালোবাসার মানসী
ররর. অনুভবের কেন্দ্রবিন্দু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২১১ বিয়ে ভাঙার পর অনুপমÑ
র. অন্য কাউকে বিয়ে করেনি
রর. মামার প্রভাবমুক্ত হয়েছে
ররর. মাকে পরিত্যাগ করেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১২ চন্দনার স্বামীকে আশীর্বাদ করতে ওর বড় কাকা রঘুদাস শ্রীনগরে গিয়েছিল। ‘অপরিচিতা’ গল্পে রঘুদাসের অনুরূপ চরিত্র হলোÑ
র. বিনুদাদা
রর. হরিশ
ররর. অনুপমের পিস্তুতো ভাই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৩ কল্যাণীর বিয়ে না করার পণকে বলা যায়Ñ
র. ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ
রর. আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ
ররর. দৃঢ় মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৪ ‘জড়িমা’ শব্দের অর্থÑ
র. জড়ত্ব
রর. আড়ষ্টতা
ররর. ঘনত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৫ ‘অপরিচিতা’ গল্পের প্রজাপতি হলোÑ
র. জীবের স্রষ্টা রর. বিয়ের দেবতা
ররর. একটি সুদৃশ্য পতঙ্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৬ ‘অপরিচিতা’ গল্পে ‘দক্ষযজ্ঞ’ বলতে বোঝায়Ñ
র. প্রলয়কাণ্ড
রর. বিচ্ছিন্নতা
ররর. হট্টগোল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৭ ‘অপরিচিতা’ গল্পটি পাঠ করে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেÑ
র. যৌতুক প্রথার কুফল সম্পর্কে
রর. দৃঢ়চেতা নারীর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে
ররর. হীনম্মন্য মানসিকতার মানুষ সম্পর্কে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২১৮ রবীন্দ্রনাথের ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলসুর হলোÑ
র. পণপ্রথার কুফল রর. প্রচলিত শিক্ষার অসারতা
ররর. মানবিক সম্পর্কের স্বরূপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২১৯ ও ২২০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
বাসের সুপারভাইজার রাফির কাছ থেকে বেশি টাকা দাবি করে। রাফি এ নিয়ে সুপারভাইজারের সাথে বাদানুবাদ করে। সুপারভাইজার নকল টিকিট বের করলে রাফি ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
২১৯ রাফির ও কল্যাণীর মাঝে কোনটি ফুটে উঠেছে?
চ প্রতিবাদ খ সঙ্কোচ গ লজ্জা ঘ দ্বিধা
২২০ রাফির সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছেÑ
র. অনুপমের রর. অপরিচিতার ররর. কল্যাণীর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২২১ ও ২২২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
মুক্তার স্বামী যৌতুকের জন্য প্রতিদিন তাকে মানসিক নির্যাতন করে। সে স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করে, স্বামী কিছুতেই বুঝতে চায় না। তাই সে স্বামীকে তালাক দিয়ে গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করে।
২২১ মুক্তার সাথে কার তুলনা করা যায়?
চ কল্যাণীর খ হৈমন্তীর গ বিলাসীর ঘ আহ্লাদির
২২২ এ সাদৃশ্যের কারণÑ
র. প্রতিবাদী মানসিকতা
রর. পেশাগত জীবন ররর. বৈবাহিক অবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২২৩ ও ২২৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
তাজিম পিতার খুব অনুগত ছেলে। তার পিতা যা বলে সে তার প্রতিবাদ করে না। বাবা রাজনীতিবিদ, অন্যায়ভাবে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। সে সব বুঝেও নির্বাক দেখে যায়।
২২৩ তাজিমের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছেÑ
চ অনুপমের খ মামার গ কল্যাণীর ঘ হরিশের
২২৪ এ সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হলোÑ
র. পরিবারের প্রতি আনুগত্য রর. মামার প্রতি আনুগত্য
ররর. নির্বাক ভূমিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২২৫ ও ২২৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
চাহিদামতো স্বর্ণালংকার না আনায় নাযিফার বাবা আহম্মদ আলী সাহেব খাবার-দাবার খাইয়ে বিয়ের আসর থেকে বরযাত্রীদেরকে বিদায় করে দিলেন।
২২৫ উদ্দীপকের আহম্মদ আলীর সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের শম্ভুনাথ বাবুর সাদৃশ্য রয়েছেÑ
র. বরপক্ষকে তাড়িয়ে দেয়ার দিক থেকে
রর. মানসিকতার দিক থেকে
ররর. আপ্যায়নের দিক থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৬ যে বৈশিষ্ট্যগুলো উদ্দীপকের আহম্মদ আলী থেকে শম্ভুনাথ বাবুকে পৃথক করেছে সেগুলো হলোÑ
র. মতাদর্শ রর. সমাজবোধ
ররর. স্বার্থপরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২২৭ ও ২২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
মাছম উচ্চশিক্ষিত ছেলে। বাবার মোটা অঙ্কের যৌতুক আবদারের কারণে ওর বিয়ে ভেঙে যেতে বসল। পিতার অনুগত ছেলে হওয়া সত্তে¡ও শেষ পর্যন্ত বাবার সাথেই তর্ক জুড়ে বসল মুরাদ। কোনোরকম যৌতুক না নিয়েই বিয়ে করল তামান্না নামের মেয়েটিকে।
২২৭ উদ্দীপকের মাসুমের বাবার আবদার ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়?
ক অনুপম খ হরিশ গ শম্ভুনাথ ঝ মামা
২২৮ মাসুমের যে বৈশিষ্ট্যগুলো ধারণ করলে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের জীবনে বিয়ে ভঙ্গের কলঙ্ক ঘটত না, সেগুলো হলোÑ
র. সাহসিকতা
রর. প্রতিবাদী ভূমিকা
ররর. ব্যক্তিত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২২৯ ও ২৩০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
যৌতুক প্রতিরোধে পুরুষকে অর্থলোভ ত্যাগ করে মানবিক ও উদার হতে হবে। নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
২২৯ উদ্দীপকের নারী শিক্ষার প্রসারের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রটির কার্যক্রম সম্পর্কযুক্ত?
ক অনুপম ছ কল্যাণী গ হরিশ ঘ শম্ভুনাথ
২৩০ ‘অর্থলোভ ত্যাগ করে মানবিক ও উদার হতে হবে।’Ñ উদ্দীপকের এ বক্তব্য ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের ক্ষেত্রে উপদেশমূলক?
ক অনুপম খ হরিশ গ কল্যাণী ঝ মামা
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৩১ ও ২৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী মারা যাবার পর বাবা মায়ের শত চাপেও দ্বিতীয় বিবাহ না করে সংসার নির্বাহের জন্য স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে ফাহিমা।
২৩১ উদ্দীপকের ফাহিমা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের অনুরূপ?
ক অনুপম ছ কল্যাণী গ হরিশ ঘ শম্ভুনাথ
২৩২ যে দিক থেকে উক্ত চরিত্রদ্বয়ের মিল তাহলোÑ
র. বিবাহের সিদ্ধান্তের দিক থেকে
রর. পেশা গ্রহণের দিক থেকে
ররর. চেতনাগত দিক থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রিভিশন অংশ (জবারংরড়হ)
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলেখ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বাড়ির কাজ
‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে তৎকালীন হিন্দু-সমাজের বিবাহপ্রথা আলোচনা কর।
গরিব ও নিম্নবিত্তের প্রতি যে মানসিকতা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছে, তার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে তৎকালীন সমাজবাস্তবতার রূপ বিশ্লেষণ কর।
ব্যক্তিজীবনে সুশিক্ষা ও ব্যক্তিত্ববোধের প্রয়োজনীয়তা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের চরিত্রের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য ও শিল্পরূপ আলোচনা কর।
‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর চরিত্র বিশ্লেষণ কর।
‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণীর প্রতি অনুপমের দুর্বার আকর্ষণবোধের কারণ ব্যাখ্যা কর।
‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে যৌতুকের কুফল আলোচনা কর।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
‘অপরিচিতা’ গল্পটির প্রধান চরিত্র অনুপমের দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তম পুরুষের বর্ণনা করা হয়েছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের প্রধান চরিত্র অনুপম বাল্যকালে পিতাকে হারায়, মাতার আদরে ও মামার শাসনে বড় হয়, ফলে পরিবারের মতামতকেই সবসময় নিঃসঙ্কোচে গ্রহণ করে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের প্রধান নারী চরিত্র কল্যাণী বুদ্ধিদীপ্ত, মেধাবী, শিক্ষিত ও রূপসী। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের যৌতুকলোভী মানসিকতায় বিতৃষ্ণ হয়ে সারাজীবন কুমারী থেকে নারী শিক্ষা প্রসারের ব্রত গ্রহণ করে।
অনুপমের মামা সংসারের প্রধান কর্তা। তিনি সবসময় জিততে চান এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে কাউকে বিশ্বাস করেন না। অনুপম কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই সবচেয়ে বেশি দায়ী।
হরিশ অত্যন্ত সদালাপী ও বিবেচক। কল্যাণী ও অনুপমের বিয়ের ঘটকালি তার মাধ্যমেই হয়।
মায়ের তীর্থ-যাত্রার সময় ট্রেনে অপরিচিত নারী কণ্ঠের ঝংকার অনুপমকে মুগ্ধ করে। সে কণ্ঠ কল্যাণীর।
ট্রেনের সিট রিজার্ভের বিষয়ে গার্ড মিথ্যা বললে অনুপম কোনো প্রতিবাদ করে না, কিন্তু কল্যাণী জোর প্রতিবাদ করে, যা অনুপমের মাকে বিস্মিত করে।
কল্যাণীর সাহস ও সৌন্দর্যে অনুপম এতোই আপ্লুত হয় যে, নিজের উদ্যোগে সে কল্যাণীকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু কল্যাণী রাজি হয় না।
অন্নপূর্ণা দেবী বলা হয় দুর্গাকে। গজানন বলা হয় গনেশকে। গজানন মানেÑ গজ আনন যার। ধন ও ঐশ্বর্যের দেবী হলেন ল²ী, তাঁর প্রতীক হল মঙ্গলঘট।
ভারতের গয়া অঞ্চলে একটি নদী আছে, যার উপরের অংশ বালির স্তর, কিন্তু নিচ দিয়ে জল প্রবাহিত হয়। এ নদীর নাম ফল্গু।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর
১ ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের নাম কী?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের নাম অনুপম।
২ ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের বয়স কত?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের বয়স সাতাশ বছর।
৩ কার সুন্দর চেহারা নিয়ে পণ্ডিতমশায় বিদ্রƒপ করতেন?
উত্তর : অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে পণ্ডিতমশায় বিদ্রƒপ করতেন।
৪ পণ্ডিতমশায় অনুপমের সুন্দর চেহারা কীসের সঙ্গে তুলনা করতেন?
উত্তর : পণ্ডিতমশায় অনুপমের সুন্দর চেহারা শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করতেন।
৫ অনুপমের মা কেমন ঘরের মেয়ে ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের মা গরিব ঘরের মেয়ে ছিলেন।
৬ অনুপমের পিতা পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের পিতা পেশায় উকিল ছিলেন।
৭ অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
উত্তর : অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা।
৮ বিয়ে সম্বন্ধে কার একটা বিশেষ মত ছিল?
উত্তর : বিয়ে সম্বন্ধে মামার একটা বিশেষ মত ছিল।
৯ অনুপমের বন্ধুর নাম কী?
উত্তর : অনুপমের বন্ধুর নাম হরিশ।
১০ হরিশ কোথায় কাজ করে?
উত্তর : হরিশ কানপুরে কাজ করে।
১১ ছুটিতে হরিশ কোথায় এসেছে?
উত্তর : ছুটিতে হরিশ কলকাতায় এসেছে।
১২ হরিশ অনুপমকে কী ধরনের মেয়ের সন্ধান দিয়েছিল?
উত্তর : হরিশ অনুপমকে খাসা মেয়ের সন্ধান দিয়েছিল।
১৩ অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপম কীসের মরীচিকা দেখছিল?
উত্তর : অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপম নারীরূপের মরীচিকা দেখছিল।
১৪ মেয়ের বয়স পনেরো শুনে কার মন ভার হলো?
উত্তর : মেয়ের বয়স পনেরো শুনে মামার মন ভার হলো।
১৫ মামা কলকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে কোন দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন?
উত্তর : মামা কলকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে আন্দামান দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন।
১৬ বিশেষ কাজে মামা একবার কোথায় গিয়েছিলেন?
উত্তর : বিশেষ কাজে মামা একবার কোন্নগর গিয়েছিলেন।
১৭ এককালে কাদের বংশে ল²ীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল?
উত্তর : এককালে শম্ভুনাথ সেনদের বংশে ল²ীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল।
১৮ কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হলো?
উত্তর : কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য বিনুদাদাকে পাঠানো হলো।
১৯ বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে কী হন?
উত্তর : বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে পিস্তুতো ভাই হন।
২০ বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপরে অনুপম কতটুকু নির্ভর করতে পারেন?
উত্তর : বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপর গল্পকথক ষোলো আনা নির্ভর করতে পারেন।
২১ গল্পকথকের মতে কার ভাষাটা অত্যন্ত আঁট?
উত্তর : গল্পকথকের মতে বিনুদাদার ভাষাটা অত্যন্ত আঁট।
২২ বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কোথায় আসতে হলো?
উত্তর : বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কলকাতায় আসতে হলো।
২৩ কার চেহারা চোখে পড়বার মতো ?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর চেহারা চোখে পড়বার মতো।
২৪ গল্পকথকের মতে বেহাই স¤প্রদায়ের কী থাকাটা দোষের?
উত্তর : গল্পকথকের মতে বেহাই স¤প্রদায়ের তেজ থাকাটা দোষের।
২৫ শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় ছিলেন উকিল।
২৬ শম্ভুনাথ বাবুর মেয়ের গহনাগুলো কোন আমলের ছিল?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর মেয়ের গহনাগুলো তাঁর পিতামহীদের আমলের ছিল।
২৭ মামা অনুপমকে কোথায় গিয়ে বসতে বললেন?
উত্তর : মামা অনুপমকে সভায় গিয়ে বসতে বললেন।
২৮ বরযাত্রীদের খাওয়া শেষ হলে শম্ভুনাথ বাবু কাকে খেতে বললেন?
উত্তর : বরযাত্রীদের খাওয়া শেষ হলে শম্ভুনাথ বাবু অনুপমকে খেতে বললেন।
২৯ কার বিরুদ্ধে চলা অনুপমের পক্ষে অসম্ভব?
উত্তর : মামার বিরুদ্ধে চলা অনুপমের পক্ষে অসম্ভব।
৩০ কল্যাণীকে কার ফটোগ্রাফ দেখানো হয়েছিল?
উত্তর : কল্যাণীকে অনুপমের ফটোগ্রাফ দেখানো হয়েছিল।
৩১ অনুপমের মতে, তার ছবিটি কীসের মধ্যে লুকানো আছে?
উত্তর : অনুপমের মতে, তার ছবিটি একটি বাক্সের মধ্যে লুকানো আছে।
৩২ কে বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে?
উত্তর : কল্যাণী বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে।
৩৩ মাকে নিয়ে অনুপম কোথায় চলছিল?
উত্তর : মাকে নিয়ে অনুপম তীর্থে চলছিল।
৩৪ তীর্থে যাওয়ার সময় মায়ের ভার কার উপর ছিল?
উত্তর : তীর্থে যাওয়ার সময় মায়ের ভার ছিল অনুপমের উপর।
৩৫ শম্ভুনাথ সেনের মেয়ের নাম কী?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেনের মেয়ের নাম কল্যাণী।
৩৬ কার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছে?
উত্তর : মামার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছে?
৩৭ বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?
উত্তর : বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করেছে।
৩৮ কে লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না?
উত্তর : মামা লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না।
খ অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর
১ শম্ভুনাথ সেন পশ্চিমে গিয়ে বাস করছেন কেন?
উত্তর : দেশে বংশমর্যাদা রেখে চলা সহজ নয় বলে শম্ভুনাথ সেন পশ্চিমে গিয়ে বাস করছেন।
এককালে শম্ভুনাথ সেনদের বংশে ল²ীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল। টাকা-পয়সার কোনো অভাব ছিল না তাদের। কিন্তু বর্তমানে তেমন কিছু নেই বললেই চলে। আর সামান্য যা বাকি আছে তা দিয়ে বংশমর্যাদা রেখে চলা সহজ নয় বলে তিনি পশ্চিমে চলে গিয়েছেন।
২ মামা কেন হরিশকে পেলে ছাড়তে চান না?
উত্তর : হরিশ আসর জমাতে অদ্বিতীয় হওয়ার কারণে মামা তাকে পেলে ছাড়তে চান না।
হরিশকে সবাই খুব খাতির করে। কেননা তার সরস রসনার গুণ সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়। মামাও তাকে খুব খাতির করেন। মূলত তার আসর জমানোর গুণের কারণেই মামা তাকে পেলে ছাড়তে চান না।
৩ মামা বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না কেন?
উত্তর : বিয়ে বাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এবং সমস্ত আয়োজন নিতান্ত মধ্যম রকমের হওয়ায় মামা বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না। শম্ভুনাথ সেনের এককালে প্রচুর ধন-সম্পদ থাকলেও বর্তমানে তাঁর তেমন কিছুই নেই। তাই শম্ভুনাথ সেনের আয়োজনে কোনো আড়ম্বর ছিল না। সমস্ত আয়োজন ছিল মধ্যম রকমের। আর বিয়ে বাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গাও সংকুলান হচ্ছিল না। এসব কারণে মামা বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে খুশি হলেন না।
৪ অনুপমের বিয়েতে মামা কেন স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেনের মুখের কথার উপর নির্ভর করতে পারেননি বলে মামা অনুপমের বিয়েতে স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিলেন।
মামার উদ্দেশ্য ছিল, তিনি কোনোভাবেই কারও কাছে ঠকবেন না। তাই বিয়েতে আগেই পণের কথা পাকাপাকি করে ফেলেছিলেন। কিন্তু বাড়িভাড়া, লোক-বিদায় প্রভৃতি বিষয়ে শম্ভুনাথ সেনের টানাটানির পরিচয় পাওয়ায় মামা তাঁর উপর আর বিশ্বাস রাখতে পারেননি। তাই তিনি স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিলেন।
৫ শম্ভুনাথ বাবু কেন মেয়ের গা থেকে সমস্ত গহনা খুলে আনলেন?
উত্তর : বরপক্ষ মেয়ের গহনা যাচাই করে দেখতে চেয়েছিল বলে শম্ভুনাথ বাবু মেয়ের গা থেকে সমস্ত গহনা খুলে আনলেন।
গল্পকথকের মামা শম্ভুনাথ সেনের মুখের কথার উপর নির্ভর করতে পারেননি বলে স্যাকরাকে সঙ্গে করে এনেছিলেন। আর মামা শম্ভুনাথ সেনকে জানালেন যে, তিনি সমস্ত গহনা যাচাই করে দেখতে চান। শম্ভুনাথ এ ব্যাপারে বরের মতামত জানতে চান। কিন্তু বর এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকে। এরপর শম্ভুনাথ বাবু মেয়ের গা থেকে সমস্ত গহনা খুলে নিয়ে আসেন।
৬ মামার মুখ লাল হয়ে উঠল কেন?
উত্তর : নিজের ফাঁকি ধরা পড়ায় লজ্জায় মামার মুখ লাল হয়ে উঠল।
মামা স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিলেন মূলত মেয়ের বাবাকে অপমান করার জন্য। কিন্তু মেয়ের গহনায় কোনো খাদ না থাকায় এবং গহনা সংখ্যা ওজনে দাবির তুলনায় বেশি হওয়ায় মামা বিপাকে পড়লেন। অন্যরদিকে, বরপক্ষের দেয়া এয়ারিংয়ে সোনার ভাগ সামান্য থাকায় এবং মেয়ের বাবা সেটি ফেরত দেয়ায় মামা রাগে ও লজ্জায় লাল হয়ে উঠলেন।
৭ ‘তবে আপনাদের গাড়ি বলিয়া দিই’?Ñ উক্তিটি শম্ভুনাথ কেন করেছিলেন?
উত্তর : মেয়েকে অনুপমের সাথে বিয়ে দেবেন না বলে শম্ভুনাথ সেন প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিলেন।
বরপক্ষ মেয়ের গহনা যাচাই করতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব অপমানিতবোধ করেন। আর এ ব্যাপারে বর নিশ্চুপ থাকায় তিনি খুব অবাক হয়ে যান। আর মনে মনে ঠিক করে ফেলেন যাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করেন না, তাদের হাতে মেয়ে তুলে দেবেন না। তাই বরপক্ষের খাওয়া শেষ হলে তিনি তাদেরকে বিদায় দেয়া প্রসঙ্গে উক্তিটি করেন।
৮ শম্ভুনাথ সেন কেন অনুপমকে একটি কথা বলারও আবশ্যক বোধ করলেন না?
উত্তর : অনুপম তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ নয়, এটা প্রমাণিত হওয়ায় শম্ভুনাথ সেন তাকে একটি কথা বলারও আবশ্যক বোধ করলেন না।
মেয়ের গহনা যাচাইয়ের ব্যাপারে শম্ভুনাথ সেন অনুপমের মতামত জানতে চাইলে সে কোনো মতামত দিতে পারে না। অনুপমকে শম্ভুনাথ সেন খেতে বললেও মামার আদেশ অমান্য করে সে খেতে পারে না। এসব কারণে শম্ভুনাথ বাবু বুঝতে পারেন অনুপম তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ নয়। তাই পরে শম্ভুনাথ সেন অনুপমকে একটি কথা বলারও আবশ্যক বোধ করেননি।
৯ মা কেন অনুপমকে ছাড়তে পারেননি?
উত্তর : নিতান্ত এক ছেলে বলে মা অনুপমকে ছাড়তে পারেননি। অনুপম যখন খুব ছোট তখন তার বাবা মারা যান। সে তার মায়ের হাতেই মানুষ। বড় হয়ে অনুপম কল্যাণীর প্রেমে পড়লে সে মায়ের আজ্ঞাকে অবহেলা করে কল্যাণীর সাথে দেখা করতে কানপুরে যায়। এসব কিছু তার মা পছন্দ না করলেও তাকে ছাড়তে পারেন না। কেননা অনুপম তাঁর একমাত্র সন্তান।
১০ মামার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কেন কানপুরে এসেছে?
উত্তর : কল্যাণী এবং কল্যাণীর বাবার সাথে দেখা করার জন্য অনুপম মামার নিষেধ অমান্য করে কানপুরে এসেছে।
কল্যাণীর সাথে অনুপমের বিয়ে ভেঙে গেলেও অনুপম তাকে ভুলতে পারেনি। অনুপমের কল্পনার জগতের সর্বত্র বিরাজ করে কল্যাণী। কল্যাণীর রূপ-যৌবন এমনকি তার মুখের ভাষাও অনুপমের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাই সে তার সাথে দেখা করার জন্য কানপুরে যেতে চায়। এ ব্যাপারে তার মামা নিষেধ করলেও সে তা অগ্রাহ্য করে।
১১ ধনীর মেয়ে মামার পছন্দ নয় কেন?
উত্তর : মামার ধারণা, গরিবের মেয়ে ঘরে আসলে মাথা হেঁট করে আসবে তাই তাঁর ধনীর মেয়ে পছন্দ নয়।
বিয়ে সম্বন্ধে মামার একটা বিশেষ মত ছিল। বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি ধনীর মেয়ে পছন্দ করতেন না। কেননা তাঁর ধারণা, গরিবের মেয়ে ঘরে আসলে মাথা হেঁট করে আসবে আর তিনি এটাই চান। আর ধনীর মেয়ে আসলে তা করবে না। তাই তিনি ধনীর মেয়ে পছন্দ করতেন না।
১২ হরিশ কীভাবে অনুপমের মন উতলা করে দিল?
উত্তর : একটি খাসা মেয়ের সন্ধান দিয়ে হরিশ অনুপমের মন উতলা করে দিল।
হরিশ কানপুরে কাজ করে। ছুটিতে সে কলকাতা এসেছে। এদিকে অনুপমেরও পড়ালেখা শেষ। তার তেমন কোনো কাজ নেই। এমন অবকাশের সময় হরিশ একটি খাসা মেয়ের সন্ধান দিয়ে অনুপমের মন উতলা করে দিল।
১৩ অনুপমকে কেন সংসারের কোনো কিছুর জন্য ভাবতে হতো না?
উত্তর : সংসারের সব দায়িত্ব মামা পালন করতেন বলে অনুপমকে সংসারের কোনো কিছুর জন্য ভাবতে হতো না।
অনুপমের বাবা ছিলেন না। সংসারে ছিলেন মা আর মামা। তবে সব দায়িত্ব ছিল মামার হাতে। সব খুঁটিনাটি বিষয়ে মামা খেয়াল রাখতেন। তাই অনুপমকে সংসারের কোনো কিছুর জন্য ভাবতে হতো না।
১৪ মামার মন কীভাবে নরম হয়েছিল?
উত্তর : হরিশের সরস রসনার গুণে মামার মন নরম হয়েছিল।
অনুপমের পরিবারের সর্বময় কর্তা ছিলেন মামা। তাই অনুপমের বিয়ের ব্যাপারে মামার মতামত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর মামাকে রাজি করানোর দায়িত্ব ছিল রসিক হরিশের উপর। আর হরিশের সরস রসনার গুণে সহজেই মামার মন নরম হয়েছিল।
১৫ অনুপমের বিয়ের ভূমিকা অংশটি নির্বিঘেœ সমাধান হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মামার মন নরম হওয়াতে অনুপমের বিয়ের ভূমিকা অংশটি নির্বিঘেœ সমাধান হয়েছিল।
অনুপমের বন্ধু হরিশ ছিলেন রসিক প্রকৃতির। আর এ জন্যই মামা তাঁকে পছন্দ করতেন। আর অনুপমের বিয়ের ব্যাপারে মামাকে রাজি করানোর দায়িত্ব ছিল হরিশের উপর। হরিশের সরস রসনার গুণে মামার মন নরম হয়েছিল। আর এ কারণেই অনুপমের বিয়ের ভূমিকা অংশটি নির্বিঘেœ সমাধান হয়েছিল।
১৬ অনুপম নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি কেন?
উত্তর : সাহসের অভাবে অনুপম নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি।
অনুপমের প্রকৃত অভিভাবক ছিলেন মামা। মা ও মামার কথার বাইরে সে নিজ থেকে কোনো কথা বলতে পারত না। কারণ অনুপম ছোটবেলা থেকে এমনভাবে বড় হয়েছে যে, নিজের কোনো মতামত বা ইচ্ছা পোষণের সাহস ছিল না। তাই বিয়ের সময়ও সে নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি।
১৭ মামা কেন শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন?
উত্তর : যৌতুকের গহনাগুলো যাচাই করে দেখার কথা বলার জন্য মামা শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
মামা ছিলেন চতুর প্রকৃতির লোক। তাঁর জীবনের সংকল্প ছিল জীবনে কারো কাছে ঠকবেন না। শম্ভুনাথ সেন গহনা কম দিয়ে বা খাদযুক্ত গহনা দিয়ে তাঁকে ঠকাতে পারেন। এরূপ ভাবনা থেকেই তিনি গহনাগুলো যাচাই করে দেখতে চান। আর এজন্যই শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
১৮ শম্ভুনাথ বাবু কেন অনুপমকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন?
উত্তর : মেয়ের গহনা যাচাইয়ের ব্যাপারে অনুপমের মতামত জানার জন্য শম্ভুনাথ বাবু তাকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
শম্ভুনাথ বাবু ছিলেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। তাই মামা গহনা যাচাইয়ের কথা বললে তিনি খুব কষ্ট পান। তিনি ভেবেছিলেন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত অনুপমও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ এবং সে গহনা যাচাইয়ের ব্যাপারে নেতিবাচক মতামত পোষণ করবে। এরূপ ভাবনা থেকেই তিনি অনুপমকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
১৯ মামা কেন অবাক হয়ে গেলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেন মেয়েকে পাত্রস্থ করতে না চাওয়ায় মামা অবাক হয়ে গেলেন।
মামা কনের গহনা যাচাই করে দেখতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব কষ্ট পান এবং তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আর বরও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। তাই তিনি মামাকে গহনা যাচাই করে দেখান এবং বলেন যে সম্পর্কটা স্থায়ী করার ইচ্ছা নেই। আর এ কথা শুনে মামা অবাক হয়ে যান।
২০ অনুপমের মন পুলকের আবেশে ভরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কল্যাণী বিয়ে না করার পণ করেছে এ কথা শুনে অনুপমের মন পুলকের আবেশে ভরে যায়।
অনুপম কল্যাণীর বিয়ে না হলেও তারা কেউ কাউকে ভুলতে পারেনি। অনুপম সবসময় প্রত্যাশা করত কল্যাণী তার কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু মনে মনে কল্যাণী অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার শঙ্কায় শঙ্কিত থাকত। কিন্তু যখন শুনতে পেল যে, কল্যাণী বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে, তখন তার মন পুলকের আবেশে ভরে যায়।
২১ বরযাত্রীদের কপাল চাপড়ানোর কারণ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : কনের বাপ বরযাত্রীদের ফাঁকি দিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। এজন্য তারা কপাল চাপড়াতে থাকে।
মামার অনৈতিক প্রস্তাবে শম্ভুনাথ সেন স্থির করেন মেয়েকে অনুপমের সাথে বিয়ে দেবেন না। কিন্তু বরযাত্রীদের বিষয়টা বুঝতে দেন না। তিনি তাদের সসম্মানে খাইয়ে দেন এবং তারপর বিদায় করে দেন। আর এজন্যই বরযাত্রীরা কপাল চাপড়াতে থাকে।
২২ শেষ পর্যন্ত গল্পকথকের বয়স পুরোপুরি হলো না কেন?
উত্তর : গল্পকথক শিশুকালে কোলে কোলেই মানুষ হয়েছে বলে শেষ পর্যন্ত তার বয়স পুরোপুরি হলো না।
গল্পকথক তার মায়ের একমাত্র সন্তান। তাই সে খুব আদর-যতেœ মানুষ হয়েছিল। আর মামার কারণে তার সংসারের কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে হতো না। সবকিছু মিলিয়ে মানসিক দিক দিয়ে অপরিপক্ব থেকে যায়।
২৩ শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় কীভাবে গলেছিল?
উত্তর : অনুপম মাথা হেঁট করে হাত জোড় করায় শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় গলেছিল।
শম্ভুনাথ সেন মামার আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কল্যাণীকে বিয়ে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি কঠিন হৃদয়ের মানুষ। কিন্তু এক পর্যায়ে অনুপম যখন কল্যাণীকে ফিরে পাওয়ার আশায় তাঁর কাছে মাথা হেঁট করে, হাত জোড় করে, তখন তাঁর হৃদয় গলে যায়।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ (অংংবংসবহঃ)
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন : ১। উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অবশেষে বিবাহের দিন উপস্থিত হইল। নিতান্ত অতিরিক্ত সুদে একজন বাকি টাকাটা ধার দিতে স্বীকার করিয়াছিল, কিন্তু সময়কালে সে উপস্থিত হইল না। বিবাহ সভায় একটা তুমুল গোলযোগ বাঁধিয়া গেল। রামসুন্দর আমাদের রায়বাহাদুরের হাতে-পায়ে ধরিয়া বলিলেন, শুভকার্য সম্পন্ন হইয়া যাক, আমি নিশ্চয় টাকা শোধ করিয়া দিব। রায়বাহাদুর বলিলেন, টাকা হাতে না পাইলে বর সভাস্থ করা যাইবে না।
ক. বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কোথায় আসতে হলো?
খ. পণপ্রথা বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের রামসুন্দর ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘অপরিচিতা’ গল্পের একমাত্র বিষয় নয়।Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কলকাতায় আসতে হলো।
খ. পণপ্রথা হলো বিয়ে দিতে বরপক্ষ বা কন্যাপক্ষকে বাধ্যতামূলকভাবে যৌতুক দেবার প্রথা।
পণপ্রথা সমাজের একটি ঘৃণিত প্রথা। তবুও কন্যাকে সুখে রাখতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বর বা বরপক্ষকে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে। সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জীবন সৃজনে কন্যাপক্ষও বরপক্ষকে আর্থিক সহযোগিতা করতে রাজি হয়, যদিও পণের টাকা পরিশোধ করতে অনেক পরিবারকে পথে নামতে হয়।
টিপস্
গ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে এখানে কী ধরনের চরিত্র আছে সেটি শনাক্ত করার চেষ্টা কর। তারপর ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে সেটি দেখাও ও ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি মনোযোগের সাথে পড়ে কী বিষয় এখানে প্রতীয়মান হয় সেটি লেখ। তারপর ‘অপরিচিতা’ গল্পের
বিভিন্ন বিষয় তুলে ধর। মূল্যায়ন অংশে উদ্দীপক ও গল্পের সমন্বয়ে নিজের যুক্তি দ্বারা সংক্ষিপ্তাকারে প্রশ্ন মাফিক উত্তর দাও।
প্রশ্ন : ২। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তারেক আর আরিফ দুই বন্ধু। স¤প্রতি আরিফ বিয়ে করার জন্য উপযুক্ত কন্যার সন্ধান করছে। এ বিষয়টি আরিফ তার কাছের বন্ধু তারেককে জানালে সে উচ্চশিক্ষিতা, সুন্দরী, চঞ্চলা এবং অন্যান্য গুণে গুণান্বিতা মুক্তার কথা ব্যক্ত করে। তারেক অনেক রসিক বলে এ বিয়ের সম্বন্ধটির কথা আরিফের চাচাকে জানিয়ে দেয় সহজেই।
ক. কে লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না?
খ. হরিশ আসর জমাতে কীভাবে অদ্বিতীয়?
গ. উদ্দীপকের আরিফ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চিরত্রের ধারক? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মজমা কিংবা আসর জমাতে উদ্দীপকের তারেক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের হরিশ দুজনই পারঙ্গমতা দেখাতে পারে।Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. মামা লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না।
খ. রসিকমনা মানুষ বলে হরিশ আসর জমাতে অদ্বিতীয় ছিল।
রসিকতা বা আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করা একজন মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য। এ বৈশিষ্ট্যটি ছিল মূলত হরিশের চরিত্রে। সে অসাধারণ কৌতুকপ্রিয় ছিল বলে তার প্রিয় বন্ধু অনুপমের বিয়ের সম্বন্ধের বিষয়টি অনুপমের মামাকে বলতে পেরেছিল সহজেই। এভাবেই হরিশ কথায়, আচরণে, গল্পে আসর জমাত।
টিপস্
গ. প্রথমেই উদ্দীপকটি মনোযোগের সাথে পড়ে আরিফ চরিত্রের প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে তৎপর হবে। তারপর ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের ধারক হবে উদ্দীপকের আরিফ সেটি দেখাবে।
ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের হরিশের আসর জমানোর বিষয়টি উপস্থাপন কর এবং উদ্দীপকের তারেকের আসর জমানোর বিষয়টি ক্রমান্বয়ে বর্ণনা কর। তারপর মূল্যায়ন অংশে নিজস্বতার সাথে উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের আলোকে চরিত্রদ্বয় তুলে ধর।
প্রশ্ন ৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তবে পরানে ভালোবাসা কেন গো দিলে
রূপ না দিলে যদি বিধি হে?
পূজার তরে হিয়া উঠে যে ব্যাকুলিয়া
পূজিব তারে গিয়া কি দিয়ে?
মনে গোপনে থাকে প্রেম, যায় না দেখাÑ
কুসুম দেয় তাই দেবতায়।
ক. বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে কী হন?
খ. দেয়ালটুকুর আড়ালে রয়ে গেল।Ñ কী এবং কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন বিষয়কে উপস্থাপন করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের বর্ণিত বিষয় ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমগ্র ভাবের ধারক নয়। Ñবর্ণনা কর। ১
২
৩
৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে পিস্তুতো ভাই হন।
খ. কল্যাণীকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়া অনুপমের কাছে দেয়ালটুকুর আড়ালে রয়ে গেল।
অনুপম কল্যাণীকে নববধূর সাজ সাজতে দেখে হৃদয়ে পুলক অনুভব করে। তার স্নিগ্ধ-কোমল মুখ, হালকা গড়নের শারীরিক অবয়ব ইত্যাদি অনুপমকে বড় বেশি বিমোহিত করতে থাকে। কিন্তু অনুপমের যৌতুক সংক্রান্ত বিষয়ে বিয়ে ভেঙে গেলে কল্যাণীকে তার আর পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই বলা হয়েছে, কল্যাণীকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়া অনুপমের কাছে দেয়ালটুকুর আড়ালে রয়ে গেল।
টিপস্
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগ সহকারে পড়। তারপর ‘অপরিচিতা’ গল্পটির কোন বিষয় উদ্দীপকে উপস্থাপিত হয়েছে সেটি উলেখ কর।
ঘ. সাবধানতার সাথে উদ্দীপকটি পড়ে ভাব বোঝার চেষ্টা কর এবং ভাবটি লেখ। তারপর ‘অপরিচিতা’ গল্পটির বিভিন্ন বিষয় ক্রমান্বয়ে তুলে ধর। তারপর মূল্যায়ন অংশে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রশ্নমাফিক উত্তর দাও।
Quality Can Do Soft - এর মোবাইল এপস পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুণ