লেখক পরিচিতি
নাম আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
জন্ম ও পরিচয় জন্ম তারিখ : ১২ জানুয়ারি, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে।
জন্মস্থান : গোটিয়া, সাঘাটা, গাইবান্ধা।
পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : বি. এম ইলিয়াস।
মাতার নাম : মরিয়ম ইলিয়াস।
শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : ম্যাট্রিক (১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে), বগুড়া জিলা স্কুল।
উচ্চমাধ্যমিক : ইন্টারমিডিয়েট (১৯৬১), ঢাকা কলেজ।
উচ্চতর : বিএ সম্মান, বাংলা (১৯৬৩); এমএ (১৯৬৪), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মজীবন ও পেশা প্রভাষক : করটিয়া সাদত কলেজ, টাংগাইল; জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা।
সহযোগী অধ্যাপক : বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ কলেজ।
উপপরিচালক : প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধ্যাপক : বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ।
সাহিত্য সাধনা গল্পগ্রন্থ : অন্য ঘরে অন্যস্বর, খোঁয়ারি, দুধভাতে উৎপাত, দোজখের ওম, জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল।
উপন্যাস : চিলে কোঠার সেপাই, খোয়াবনামা।
প্রবন্ধ গ্রন্থ : সংস্কৃতির ভাঙা সেতু।
পুরস্কার ও সম্মাননা হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৭), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), প্রফুল কুমার সরকার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৬), সাদাত আলী আকন্দ পুরস্কার (১৯৯৬), কাজী মাহবুব উলাহ স্বর্ণপদক ইত্যাদি।
ইন্তেকাল মৃত্যু তারিখ : ৪ জানুয়ারি, ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে।
উৎস পরিচিতি
‘রেইনকোট’ গল্পটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। পরে এটি লেখকের সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’ (১৯৯৭) গ্রন্থে সংকলিত হয়। এ গল্পের পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র-১ থেকে।
বস্তুসংক্ষেপ
‘রেইনকোট’ গল্পটি বাংলা কথাসাহিত্যের অনন্যসাধারণ প্রতিভার অধিকারী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়কার ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে রচনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ঢাকার তথা বাংলাদেশের যুদ্ধাবস্থা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বর নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ঢাকা শহরের মানুষের আতঙ্কগ্রস্ত জীবনচিত্র, মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতা এবং এ দেশীয় রাজাকারদের সাথে নিয়ে পাকহানাদারদের নৃশংসতার চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। গল্পের কথক প্রফেসর নুরুল হুদার বর্ণনার মাধ্যমে তখনকার যুদ্ধকালীন অবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে। ‘রেইনকোট’-এর প্রতীকী তাৎপর্য অসাধারণ। যেটা তার শ্যালক মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর। বর্ষার দিনে সেটা গায়ে দিয়ে সাধারণ ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার মধ্যে সঞ্চারিত হয় উষ্ণতা, সাহস ও দেশপ্রেম। গল্পটিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনাকে ধারণ করা হয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে কিছু কিছু সাধারণ ও ভীতু প্রকৃতির মানুষও সাহসী হয়ে ওঠে। যা হওয়ার হবেÑ এই মনোবৃত্তি তাদের ভয় দ‚র করে দেয়। আবার কোনো কোনো পোশাকে এমন বাহাদুরি থাকে যে, তা পরলেই মেজাজ-মর্জি অন্যরকম হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোটটা পরে নুরুল হুদাও নির্ভয়, সাহসী ও দেশপ্রেমিক হয়ে ওঠে। রাস্তায়, বাসস্ট্যান্ডে, বাসে এমনকি গ্রেপ্তার হওয়ার পরও ভয়ডর বলে কিছু থাকে না তাঁর। নিজেকে সে ভাবে, সেও একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা। রেইনকোটটাই প্রতীকী তাৎপর্যে অসাধারণ হয়ে ওঠে।
নামকরণ
বিষয়বস্তু অনুসরণে প্রতীকী তাৎপর্যের ওপর ভিত্তি করে আলোচ্য গল্পের নামকরণ করা হয়েছে, ‘রেইনকোট’। মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দিয়ে সাধারণ ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার যে সাহস, উষ্ণতা ও দেশপ্রেম সঞ্চারিত হয়, তারই ব্যঞ্জনাময় প্রকাশ ঘটেছে ‘রেইনকোট’ গল্পে।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। তারা ঢাকা কলেজের সামনে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ফিরে যাওয়ার সময় প্রিন্সিপাল সাহেবের বাড়িতে গ্রেনেড ছুঁড়েছে। গেট ভেঙে গেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কলেজের শিক্ষকদের প্রিন্সিপালের মাধ্যমে তলব করে। পিয়ন ইসহাক নুরুল হুদাকে সেই খবরটাই দিতে এসেছে। বাসা বারবার বদল করেও চিন্তা শেষ হয় নি, কেননা তার শ্যালক মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। তাই যেকোনো সময় মিলিটারি আসতে পারে এটাই সব সময়কার ভয়। তার বৌ এসময় বাইরে বেরুতে বাধা দিচ্ছে, কেননা মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ বৃষ্টিতে ছাতায় কুলোবে না, তাই মিন্টুর রেইনকোটটা বের করে দিল বৌ। মিন্টুর জন্য শহর থেকে একটু দ‚রে বাসা নিয়েছে। এদিকেও স্টেনগানওয়ালা ছোকরারা নৌকা বোঝাই অস্ত্র নিয়ে আসে। রাস্তায় রিকশা নেই, হাঁটতে হাঁটতে বাসস্ট্যান্ডে এল। বাসে যাত্রী কম। তারা কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না রেইনকোটটার জন্য। বাসে উঠতে যাওয়া লোকজনদের মনে হচ্ছে মিলিটারির দালাল। মিলিটারিরা গাড়িটা থামিয়ে ভেতরে কড়া নজর দিয়ে ছেড়ে দিল। কলেজে আসার পর শিক্ষকদের ভেতর থেকে নুরুল হুদা ও আব্দুস সাত্তার মৃধাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। চোখ বাঁধা অবস্থায় তাদের ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করে। কলেজের আলমারি বয়ে নিয়ে এসেছিল যারা সেই কুলিরাই বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। নুরুল হুদা তাদের ঠিকানা দিলেই তারা তাকে ছেড়ে দেবে। ছাদের আংটার সাথে ঝুলানো অবস্থায় চাবুকের মার খেয়ে সে মুক্তিযোদ্ধা ও কুলিদের ঠিকানা জানার কথা স্বীকার করে, তারপর তার আর হুঁশ থাকে না। মুক্তিযোদ্ধার রেইনকোটটাই তাকে নির্ভীক, সাহসী ও দেশপ্রেমিক করে তোলে। এ দিক বিবেচনায় গল্পের নাম ‘রেইনকোট’ যথার্থ সুন্দর ও সার্থক হয়েছে।
শব্দার্থ ও টীকা
জেনারেল স্টেটমেন্ট সাধারণ বিবৃতি।
স্পেসিফিক ক্লাসিফিকেশন সুনির্দিষ্ট শ্রেণিকরণ।
‘তলব কিয়া। আভি যানা হোগা’ ‘তলব করেছেন। এখনই যেতে হবে।’
‘মিসকিরিয়ান লোগ ইলেকটিরি
টেরানসফার্মার তোড় দিয়া।
অওর ওয়াপস যানে কা টাইম
পিরিনসিপাল সাহাবকা কোঠিমে
গেরেনড ফেকা। গেট তোড়
গিয়া।’ ‘মিসক্রিয়েন্টরা ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার উড়িয়ে দিয়েছে। আবার ফিরে যাওয়ার সময় প্রিন্সিপাল সাহেবের বাড়িতে গ্রেনেড ছুঁড়েছে। গেট ভেঙে গেছে।’
‘ক্যায়সে?’ ‘কীভাবে?’
‘উও আপ হি কহ সকতা’ ‘সেটি আপনিই বলতে পারেন।’
মিসক্রিয়ান্ট দুষ্কৃতকারী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার ও তার সেনাবাহিনী এই শব্দটি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছে।
‘আব্দুস সাত্তার মিরধাকা ঘর
যানে হোগা। আপ আভি আইয়ে।
এক কর্নেল সাহাব পঁওছ গিয়া।
সব পরফসরকো এত্তেলা দিয়া।
ফওরন আইয়ে।’ ‘আবদুস সাত্তার মৃধার বাসায় যেতে হবে। আপনি এখনই আসুন। এক কর্নেল সাহেব এর মধ্যেই চলে এসেছেন। সব প্রফেসরকে ডেকেছেন। তাড়াতাড়ি আসুন।’
ওয়েলডিং ওয়ার্কশপ ঝালাই কারখানা।
সাবভার্সিভ অ্যাকটিভিটিজ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম। মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতাকে পাকিস্তান সরকার ও তাদের সমর্থকরা ১৯৭১ সালে এভাবে অভিহিত করত।
ট্রান্সপারেন্ট স্বচ্ছ।
ক্রাক-ডাউনের রাত ১৯৭১ সালের ২৫ এ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা পরিচালনা করে সেই রাতের কথা বলা হয়েছে।
রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার
আমাদের জেনারেল মনসুন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচÐ শীতের কবলে পড়ে হিটলারের বাহিনী রুশ বাহিনীর হাতে পর্যুদস্ত হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রবল বর্ষায় তেমনি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়েছিল হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। এখানে সেই বিষয়টিরই তুলনা করা হয়েছে।
বানান সতর্কতা
স্টেটমেন্ট, স্পেসিফিক, ক্ল্যাসিফিকেশন, বৃহস্পতি, আলাহুম্মা, কুন্ত, মুখস্থ, প্রিন্সিপ্যাল, আলহামদুলিলাহ, শাঁসটুকু, শুষে, স্কোয়াড, ট্রান্সফর্ম, মিসক্রিয়ান্ট, লেফটেন্যান্ট, ক্যাপ্টেন, ক্যাম্প, নেতৃত্ব, গণতন্ত্র, হ্যান্ডওভার,এক্সট্রা, তটস্থ, দৈর্ঘ্য, ফ্ল্যাট, ইনটার্নাল, কন্ডাক্টর, স্ট্যান্ড, বারান্দা, হিন্দুস্তান, অবশ্যম্ভাবী, উচ্ছিষ্ট, হুঙ্কার, স্টপেজ, প্যাসেঞ্জার, সৎসঙ্গ, ওয়াক্ত, হিস্ট্রি, কেমিস্ট্রি, জিওগ্রাফি, ডিপার্টমেন্ট, ছদ্মবেশী, আস্তানা, ঝুলন্ত, ঘেঁষে, ছুঁচালো, ভারিক্কি, উদ্বিগ্ন।
অনুশীলন অংশ (চৎধপঃরপব)
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. “রেইনকোট” গল্পে মিলিটারি ক্যাম্প কোথায় স্থাপন করা হয়?
খ. দেশে একটা কলেজেও শহিদ মিনার অক্ষত নেই।
গ. চিত্রে “রেইনকোট” গল্পের যেদিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্রিত দিকটি “রেইনকোট” গল্পের খÐাংশ মাত্র-বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
কলেজের জিমন্যাশিয়ামে।
শহিদ মিনার বাঙালি জাতির স্বাধিকার চেতনার উৎস এবং পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী বলেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশের সব কলেজ থেকে শহিদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে।
১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোলনে শহিদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করা হয়েছিল শহিদ মিনার, যা চিরকালই বাঙালির স্বাধিকার চেতনার উৎস। এছাড়া পাক-সরকার শহিদ মিনারকে পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী মনে করত। তাই পাকিস্তানকে বাঁচাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সব কলেজ থেকে শহিদ মিনার ভেঙ্গে দিয়েছিল ।
চিত্রে ‘রেইনকোট’ গল্পের পাকিস্তানিদের বর্বরতার দিকটি ফুটে উঠেছে।
শোষকশ্রেণির মানুষেরা চিরকালই অসহায়-দুর্বলের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে নির্মম নির্যাতন চালায়। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সামান্যতম মানবতার ছোঁয়ামাত্র দেখা যায় না। বরং মধ্যযুগীয় কায়দায় তারা দুর্বলের ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন, যা সহ্য করা ছাড়া দুর্বলের আর কিছুই করার থাকে না।
চিত্রে পাকিস্তান সেনাদের বর্বর অত্যাচারের দিকটি প্রত্যক্ষ করা যায়। তারা পাঁচজন মিলে একজন নিরীহ মানুষের ওপর চালিয়েছে নির্মম নির্যাতন। শুধু তাই নয়, তারা তাকে শেয়াল-কুকুরের মতো টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ‘রেইনকোট’ গল্পেও নুরুল হুদার জবানিতে পাকিস্তানিদের বর্বরতার কথা বর্ণিত হয়েছে। মিলিটারিদের নির্যাতনের ভয়ে সে নিজেই নানা সময় পালিয়ে বেড়িয়েছে নানা স্থানে। এছাড়া তার মতো হাজারো অসহায় বাঙালির ওপর পাকিস্তানিবাহিনী চালিয়েছিল অত্যাচারের স্টিম রোলার। সুতরাং বলা যায়, চিত্রে ‘রেইনকোট’ গল্পের পাকিস্তানিদের বর্বর অত্যাচারের দিকটি ফুটে উঠেছে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বহুমুখী উপস্থাপন বর্তমান। উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তিযুদ্ধের যে চিত্র রয়েছে তা গল্পটির খÐাংশ।
‘রেইনকোট’ গল্পে লেখক নুরুল হুদার চিন্তারাজি এবং অন্যান্য চরিত্রের কথোপকথনের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটি সামগ্রিক চিত্র উন্মোচনের প্রয়াস চালিয়েছেন। যদিও লেখকের ম‚ল লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অর্থাৎ, একজন মুক্তিযোদ্ধার ব্যবহৃত রেইনকোট কীভাবে ভীরু, দুর্বলচিত্ত, পলায়নপর রসায়নের শিক্ষক নুরুল হুদাকে একজন মানসিক যোদ্ধায় পরিণত করেÑসেটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন লেখক। অন্যদিকে উদ্দীপকের বর্ণনায় আমাদের যুদ্ধের একটি খÐ চিত্র রয়েছে।
উদ্দীপকে পশ্চিম, থেকে আসা পাকিস্তানি নরঘাতকদের অগ্নিসংযোগ এবং নরহত্যার বিষয়টি ব্যক্ত হয়েছে। পাকিস্তানি- বাহিনী এদেশের গ্রামে গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে অট্টহাসিতে মেতে উঠেছিল। মার কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে চালিয়েছিল গণহত্যা, এমনকি পিতার সামনে মেয়েকে কেটে রক্তস্নান করেছে। অর্থাৎ, উদ্দীপকের ম‚ল লক্ষ্য অগ্নিসংযোগ এবং গণহত্যার বিষয়টিতে নিবিষ্ট, যা ‘রেইনকোট’ গল্পটিতে আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে।
‘রেইনকোট’ গল্পটিতে মুক্তিযুদ্ধের যে বহু বিচিত্র চিত্র রয়েছে উদ্দীপকে তা মেলে না। উদ্দীপকে আছে কেবল গল্পে বর্ণিত পাকবাহিনীর নরহত্যার বিষয়টি। তাই বলা যায়, “উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পটির খন্ডাংশ সম্প‚র্ণ নয়।”
অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ছোট্ট শুভ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ক্রিকেট খেলায় হাত ধরে মাঠে ঢোকার সুযোগ পায়। জাতীয় সঙ্গীত পর্ব সমাপ্ত হলে শচীন অটোগ্রাফসহ নিজের ক্যাপটি শুভকে উপহার দেন। উপহারটি পেয়ে শুভ বিস্মিত হয়ে যায়। সে সিদ্ধান্ত নেয় বড় হয়ে একজন ক্রিকেটার হবে।
ক. নুরুল হুদাকে রেইনকোটটি কে পরতে বলে?
খ. রেইনকোট খুলে ফেললেও নুরুল হুদার শরীরে তার ওম লেগে থাকার কারণ কী?
গ. উদ্দীপকের শুভ এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল হুদার ভাবনার মাঝে বৈসাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকের শুভর কাছে ক্যাপ এবং ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদার কাছে রেইনকোট জীবনের পালাবদলকারী চেতনার প্রতীক হিসেবে দেখা দিয়েছে।”Ñ উক্তিটির স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ১
২
৩
৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
আসমা পরতে বলে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয় বলে রেইনকোট খুলে ফেললেও নুরুল হুদার শরীরে তার ওম লেগে থাকে।
‘রেইনকোট’ গল্পে বৃষ্টির দিনে নুরুল হুদা কলেজের উদ্দেশে যাওয়ার সময় স্ত্রী আসমা তাকে মিন্টুর রেইনকোটটি পরে যেতে বলেন। মিন্টু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার রেইনকোট নুরুল হুদাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করে। তাইতো পাকসেনাদের অত্যাচারের একপর্যায়ে যখন তার শরীর থেকে রেইনকোটটি খুলে ফেলে তখনও তার মনে হয়, রেইনকোটের ওম তার শরীরে লেগে আছে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদা মিন্টুর রেইনকোটের সংস্পর্শে এসে চিন্তা-চেতনায় একজন মানসিক মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হয়েছেন। উদ্দীপকের শুভও শচীনের ক্যাপ পেয়ে নির্ধারণ করেছে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
‘রেইনকোট’ গল্পে মিন্টুর রেইনকোট পরার পর নানারকমের ভাবনা আসে নুরুল হুদার মনে। হানাদারবাহিনীর নির্যাতন এবং রাজাকারদের বর্বরতার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ পায় তার সেই ভাবনার আড়ালে। এভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি ঘৃণা এবং মিন্টুর মতো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সহানুভ‚তি তাকে ক্রমান্বয়ে মানসিক যোদ্ধায় পরিণত করে। তাই পাকিস্তানিদের নির্যাতন সহ্য করেও তিনি বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। উদ্দীপকে শুভও শচীনের ক্যাপটি উপহার পেয়ে ক্রিকেটার হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
উদ্দীপকের শুভ এবং গল্পের নুরুল হুদা উভয়ই একটি বিশেষ বস্তুকে কেন্দ্র করে নতুন চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে। কিন্তু নুরুল হুদা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতো একটা সংগ্রামী চেতনায় জেগে উঠেছে, যেখানে শুভর জাগরণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক, সে বড় হয়ে একজন ক্রিকেটার হতে চেয়েছে।
‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদার পরিহিত রেইনকোট যেমন জীবনের পালাবদলকারী চেতনার প্রতীক। তেমনি উদ্দীপকে শচীনের ক্যাপটিও শুভর চেতনার পালাবদল ঘটিয়েছে।
‘রেইনকোট’ গল্পে মিন্টুর রেইনকোট নুরুল হুদাকে একজন ভীরু দুর্বলচিত্ত মানুষ থেকে সাহসী মানুষে পরিণত করেছে। তিনি পরিণত হয়েছেন মানসিক যোদ্ধায়। স্বীকার করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি। অর্থাৎ, একজন মুক্তিযোদ্ধার রেইনকোট তার ভাবনায় এনেছে নতুন চেতনা। শচীনের ক্যাপও এমন পালাবদল এনেছে শুভর ভাবনায়।
উদ্দীপকের ছোট্ট শুভ সুযোগ পায় টেন্ডুলকারের হাত ধরে মাঠে প্রবেশের। জাতীয় সঙ্গীত পর্বের পর শচীন তাকে ক্যাপ উপহার দিলে শুভর চেতনায় পালাবদল ঘটে। সে সিদ্ধান্ত নেয় বড় হয়ে ক্রিকেটার হবে। অর্থাৎ, এতদিন শুভ যা ভেবেছিল নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে, ক্যাপটি সেই ভাবনাকে আম‚ল পরিবর্তন করে দিয়েছে। উদ্দীপকের শুভর কাছে শচীনের ক্যাপ যেমন, গল্পের নুরুল হুদার কাছে মিন্টুর রেইনকোট টিও তেমন।
দুটি জিনিস নুরুল হুদা ও শুভর জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। পরিবর্তন এনেছে তাদের জীবনে। একজন হয়েছে মানসিক যোদ্ধা, আর একজন হবে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার। অর্থাৎ, এই দুটি জিনিস তাদের জীবনের পালাবদলকারী চেতনার প্রতীক হিসেবে দেখা দিয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
কীসে কী হইল, পশ্চিম হতে নরঘাতকেরা আসি
সারা গাঁও ভরি আগুন জ্বালায়ে হাসিল অট্টহাসি।
মার কোল হতে শিশুরে কাড়িয়া কাটিল সে খান খান
পিতার সামনে মেয়েরে কাটিয়া করিল রক্তস্নান।
ক. কারা ঢাকা শহরে বাজার পোড়ায়, বস্তিতে আগুন লাগিয়ে মানুষ মারে?
খ. ‘এসব হলো ইনটার্নাল অ্যাফেয়ার।’Ñ কথাটি কী নির্দেশ করে?
গ. উদ্দীপকে এবং ‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত পাকবাহিনীর নির্যাতনের একটি তুলনাম‚লক বর্ণনা দাও।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পটির আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে, স¤প‚র্ণ নয়।”Ñ উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ১
২
৩
৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
মিলিটারি প্রত্যেকদিন ঢাকা শহরে বাজার পোড়ায়, বস্তিতে আগুন লাগিয়ে মানুষ মারে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস-এর ‘রেইনকোট’ গল্পের ‘এসব হলো ইনটার্নাল অ্যাফেয়ার’ কথাটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে হেনরি কিসিঞ্জার তথা মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গিকে নির্দেশ করে।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মার্কিনিদের পক্ষপাতিত্ব ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের প্রতি। যখন পাকিস্তানি বাহিনী বর্বরতম অত্যাচার শুরু করে, মানুষ মেরে সাফ করে দেয়, বাড়িঘর, গ্রাম, বাজারহাট জ্বালিয়ে দেয়Ñ তখন মার্কিনিদের তেমন কোনো মাথাব্যথা দেখা যায়নি। বরং কিসিঞ্জার সাহেব পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘এসব হলো পাকিস্তানের ইনটার্নাল অ্যাফেয়ার।’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যরাত্রি থেকে ১৬ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত বিজয়ের প‚র্বমুহ‚র্ত পর্যন্ত পাকিস্তানিবাহিনী এদেশীয় মানুষদের ওপর ইতিহাসের ঘৃণ্য ও বর্বরতম অত্যাচার চালায়। ‘রেইনকোট’ গল্প এবং আলোচ্য উদ্দীপকে এই নির্যাতনের পরিচয় মেলে।
‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল হুদার চিন্তার মধ্য দিয়ে পাকবাহিনীর বহুমুখী নির্যাতনের পরিচয় মেলে। পাকিস্তানি বাহিনী এদেশের শহিদ মিনার ভেঙেছে, চালিয়েছে সা¤প্রদায়িক নির্যাতন, গুলি করে মানুষ হত্যা, বাড়িঘর, গ্রাম, বাজারহাট জ্বালিয়ে দেওয়া, লুট করা এবং নারীদের ধর্ষণ করা ছিল তাদের বর্বরতম অত্যাচারের বিভিন্ন দিক। কিন্তু উদ্দীপকে ম‚লত পাকবাহিনীর অগ্নিসংযোগ এবং মানুষ হত্যার বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে।
উদ্দীপকে পাকবাহিনীকে নরঘাতকর‚পে চিিহ্নত করা হয়েছে। এই নরঘাতকরা সারা গ্রাম ভরে আগুন জ্বালিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে। অন্যদিকে তারা মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে খান খান করেছে, আর পিতার সামনে মেয়েকে কেটে করেছে রক্তস্নান। অর্থাৎ, গল্পে পাকবাহিনীর নির্যাতনের যে বহুমুখী চিত্র রয়েছে উদ্দীপকে তার দুটি দিক অগ্নিসংযোগ এবং নরহত্যার বিষয়টিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বহুমুখী উপস্থাপন বর্তমান। উদ্দীপকে বর্ণিত কবিতাংশে মুক্তিযুদ্ধের যে চিত্র রয়েছে তা গল্পটির আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে।
‘রেইনকোট’ গল্পে লেখক নুরুল হুদার চিন্তারাজি এবং অন্যান্য চরিত্রের কথোপকথনের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটি সামগ্রিক চিত্র উন্মোচনের প্রয়াস চালিয়েছেন। যদিও লেখকের ম‚ল লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অর্থাৎ, একজন মুক্তিযোদ্ধার ব্যবহৃত রেইনকোট কীভাবে ভীরু, দুর্বলচিত্ত, পলায়নপর রসায়নের শিক্ষক নুরুল হুদাকে একজন মানসিক যোদ্ধায় পরিণত করেÑসেটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন লেখক। অন্যদিকে উদ্দীপকের বর্ণনায় আমাদের যুদ্ধের একটি খÐ চিত্র রয়েছে।
উদ্দীপকে পশ্চিম, থেকে আসা পাকিস্তানি নরঘাতকদের অগ্নিসংযোগ এবং নরহত্যার বিষয়টি ব্যক্ত হয়েছে। পাকিস্তানি- বাহিনী এদেশের গ্রামে গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে অট্টহাসিতে মেতে উঠেছিল। মার কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে চালিয়েছিল গণহত্যা, এমনকি পিতার সামনে মেয়েকে কেটে রক্তস্নান করেছে। অর্থাৎ, উদ্দীপকের ম‚ল লক্ষ্য অগ্নিসংযোগ এবং গণহত্যার বিষয়টিতে নিবিষ্ট, যা ‘রেইনকোট’ গল্পটিতে আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে।
‘রেইনকোট’ গল্পটিতে মুক্তিযুদ্ধের যে বহু বিচিত্র চিত্র রয়েছে উদ্দীপকে তা মেলে না। উদ্দীপকে আছে কেবল গল্পে বর্ণিত পাকবাহিনীর অগ্নিসংযোগ এবং নরহত্যার বিষয়টি। তাই বলা যায়, “উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পটির আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে সম্প‚র্ণ নয়।”
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মালেক মেম্বার একজন রাজাকার। যুদ্ধের সময় সে নিজের গ্রামে মিলিটারি ডেকে এনে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা করিয়েছে। এছাড়া মিলিটারিকে সন্তুষ্ট রাখতে আশপাশের গ্রাম থেকে সুন্দরী মেয়েদের ধরে নিয়ে পৌঁছে দিয়েছে ক্যাম্পে।
ক. প্রিন্সিপালের পিওনের নাম কী?
খ. মিলিটারি প্রাদুর্ভাবের পর পিওনকে দেখে সবাই তটস্থ থাকত কেন?
গ. যুদ্ধের সময় মালেক মেম্বারের কর্মকাÐ এবং ‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত রাজাকারদের কর্মকাÐের তুলনা কর।
ঘ. মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতন, মিলিটারিকে সহযোগিতা করে রাজাকাররা দেশদ্রোহী ও নরঘাতকের পরিচয় দিয়েছে।” ‘রেইনকোট’ গল্প এবং উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার কর। ১
২
৩
৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ইসহাক মিয়া।
যুদ্ধ শুরুর পর প্রিন্সিপালের পিওন ইসহাক-এর ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে তাকে দেখে সবাই তটস্থ থাকত।
‘রেইনকোট’ গল্পে পিওন ইসহাক মিয়া উর্দু বলা শুরু করে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। লেখকের ব্যঙ্গাত্মক বর্ণনায় ‘ইসহাক নিজেই এখন মিলিটারির কর্নেল বললেও চলে।’ খোদ কর্নেল উপস্থিত থাকলে তার ক্ষমতা কমে আসে সত্য কিন্তু ক্যাপ্টেনের নিচে নামানো যাবে না এবং ইসহাক মিয়ার এই ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে মিলিটারি প্রাদুর্ভাবের পর তাকে দেখলে সবাই তটস্থ থাকত।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা দেশদ্রোহী এবং পাক-মিলিটারির সহযোগীর‚পে দেখা দিয়েছিল। ‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত রাজাকাররা এবং উদ্দীপকের মালেক মেম্বার সেই রাজাকারদেরই প্রতিনিধি।
‘রেইনকোট’ গল্পে রাজাকারার পশ্চিম পাকিস্তানিদের দালালর‚পে দেখা দিয়েছে। তারা মহলায় মহলায় ঘুরে সুন্দরী মেয়েদের ধরে সেনা ক্যাম্পে পৌঁছে দিয়েছে। প্রিন্সিপাল ও ইসহাকও রাজাকারে পরিণত হয়ে উর্দু ভাষায় কথা বলেছে। পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করেছে।
নুরুল হুদার চেতনাস্রোত থেকে জানতে পারি, এক সর্দার গোছের রাজাকারের কর্মকাÐ সম্পর্কে। সে কি না ট্রাক ট্রাক মাল লুট করে নিজের মেয়ের বাড়িতে পাঠায়। উদ্দীপকে মালেক মেম্বারও যুদ্ধের সময় গ্রামে মিলিটারি ডেকে এনে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা করেছে। এছাড়াও গল্পে বর্ণিত রাজাকারদের মতো সে আশেপাশের গ্রাম থেকে সুন্দরী মেয়েদের ধরে ক্যাম্পে পৌঁছে দিয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, ‘রেইনকোট’ গল্পের সমষ্টিগতভাবে রাজাকাররা যেসব কর্মকাÐ করেছে এক মালেক মেম্বার রাজাকারের কর্মে তার বিশাল অংশ প্রতিফলিত হয়েছে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে রাজাকারদের দেশদ্রোহী, লুটতরাজ এবং দালাল চরিত্রের পরিচয় মেলে। উদ্দীপকেও আছে তাদের নরঘাতী ও দেশদ্রোহী র‚পের পরিচয়।
‘রেইনকোট’ গল্পে রাজাকারদের বহুমুখী কর্মকাÐের পরিচয় মেলে। তারা উর্দু ভাষায় কথা বলে ক্ষমতা অর্জন করে। যুদ্ধের সময় গ্রামে মিলিটারি ডেকে এনে গ্রামবাসীর ওপর নির্যাতন চালায়। মিলিটারির কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে দেশদ্রোহীর পরিচয় দেয়। এমনকি মহলায় ঘুরে পাকবাহিনীর জন্য সুন্দরী মেয়েদের ধরে মিলিটারি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়।
উদ্দীপকের মালেক মেম্বার যেন গল্পে বর্ণিত রাজাকারদের প্রতিনিধি। সে যুদ্ধের সময় গ্রামে মিলিটারি ডেকে এনে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা করেছে। এছাড়া পাকিস্তানি-মিলিটারিকে সন্তুষ্ট করতে আশেপাশের গ্রামের মেয়েদের ধরে পৌঁছে দিয়েছে ক্যাম্পে। মালেক মেম্বার একাধারে দেশদ্রোহী ও নরঘাতক। ‘রেইনকোট’ গল্পে রাজাকারদের যে পরিচয় আমরা পেয়েছি তাতে তারা যে মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতন এবং পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উদ্দীপকের রাজাকার মালেক মেম্বার এর থেকে ব্যতিক্রম নয়।
সুতরাং একথা অনস্বীকার্য যে, মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতন, মিলিটারিকে সহযোগিতা করে রাজাকাররা দেশদ্রোহী ও নরঘাতকের পরিচয় দিয়েছে। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির যৌক্তিকতা রয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সেলিনা হোসেন-এর ‘যুদ্ধ’ উপন্যাসে নিখিল ও সরলা অত্যাচারিত হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রতিনিধি। যুদ্ধের সময় হিন্দুদের বেছে বেছে নির্যাতন করা হয়। জীবন বাঁচানোর জন্য নিখিল ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত হয়। টুপি মাথায় দিয়ে নামাজ পড়ে সে। মনে অসহনীয় বেদনা থাকলেও কালেমা সবসময় মুখস্থ রাখে।
ক. রাস্তায় বেরুলে নুরুল হুদা সবসময় ঠোঁটের ওপর কী রেডি রাখে?
খ. নুরুল হুদা অনেক সুরা মুখস্থ করেছে কেন?
গ. উদ্দীপকের নিখিল ও ‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল হুদার জীবন বাস্তবতার তুলনা কর।
ঘ. “জীবন বাস্তবতার সাদৃশ্য থাকলেও উগ্র সা¤প্রদায়িক প্রবণতা নিখিলের জীবনকে বেশি বিপন্ন করেছে।”Ñ উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্প অনুযায়ী উক্তিটির যথার্থতা নির্ণয় কর। ১
২
৩
৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
পাঁচ কালেমা রেডি রাখে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নুরুল হুদা যুদ্ধের সময় নিজেকে মুসলিম হিসেবে প্রমাণ করতে অনেক সুরা মুখস্থ করে।
‘রেইনকোট’ গল্পে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সা¤প্রদায়িক ইস্যুতে পরিচালনা করার নীলনকশা ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসররা সেদিন বেছে বেছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যা করেছিল। এমনকি মিলিটারি চেকপোস্টে যাত্রীদের গোপন জায়গা তলাসি করে হিন্দুদের হত্যা করা হতো। মুসলিমদেরও কালেমা, সুরা পাঠ করিয়ে রেহাই দিত। নুরুল হুদা পাকবাহিনীর এই সা¤প্রদায়িক ইস্যু থেকে বাঁচতে অনেক সুরা মুখস্থ করে।
‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল হুদা পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার, কিন্তু এই নির্যাতন সা¤প্রদায়িকতার জন্য নয়। অন্যদিকে উদ্দীপকে নিখিলের ওপর যে নির্যাতন চলেছে তা সা¤প্রদায়িকতায় দুষ্ট।
‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধা; তিনি নিজে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার অভিযোগে অভিযুক্ত। ফলে তাকে সেনা ক্যাম্পে তলব করে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। কিন্তু নুরুল হুদা মানসিক শক্তি হারায়নি, কারণ তিনি সা¤প্রদায়িকতার শিকার নন। কিন্তু উদ্দীপকের নিখিল সা¤প্রদায়িকতার শিকার হয়।
নিখিল অত্যাচারিত হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রতিনিধি। ফলে তার ওপর ছিল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির খড়্গ। যুদ্ধের সময় হিন্দুদের বেছে বেছে নির্যাতন করা শুরু হলে নিখিল ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত হয়। বুকে ধর্মত্যাগের অসহ্য বেদনা নিয়ে টুপি মাথায় কলেমা মুখস্থ রাখার মতো প্রহসনের শিকার হয়। গল্পের নুরুল হুদাকে নির্যাতনের শিকার হতে হলেও এমন সাম্প্রদায়িকতার শিকার হতে হয়নি। এ কারণে শারীরিক নির্যাতনের সময়ও তিনি নিজেকে মানসিক যোদ্ধা ভেবে তৃপ্ত থাকেন। কিন্তু উদ্দীপকের নিখিলের বাস্তবতা ভিন্ন।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস-এর ‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল হুদা পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হলেও উদ্দীপকের নিখিলের জীবনের সঙ্গে সা¤প্রদায়িকতার বিষয় যুক্ত হওয়ায় সে হয়ে পড়েছে আরও বিপন্ন।
শ্যালক স্বয়ং বীর-মুক্তিযোদ্ধা এবং কলেজে কুলির ছদ্মবেশে যে মুক্তিবাহিনী প্রবেশ করেছিল তাদের সঙ্গেও নুরুল হুদার সম্পর্ক রক্ষার অভিযোগ রয়েছে। তাই নুরুল হুদার ওপর মানসিক নির্যাতন নেমে আসে। কিন্তু উদ্দীপকের নিখিল এমন শারীরিক নির্যাতন সহ্য না করলেও সা¤প্রদায়িক নির্যাতন তাকে আরও বেশি অসহায় করে তুলেছে।
নুরুল হুদা মানসিকভাবে বিপন্ন না হয়ে এবং নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ভেবে গর্ববোধ করেছেন। কিন্তু নিখিল, যে-কিনা অত্যাচারিত হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রতিনিধিÑ জীবন বাঁচানোর তাগিদে ধর্ম ত্যাগ করেছে। আপন ধর্মত্যাগ সকল মানুষের জন্যই বেদনার। নিখিল এই বেদনায় হয়েছে পর্যুদস্ত। বুকে অসহ্য বেদনা নিয়ে সে নামাজ পড়ে, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সবসময় কলেমা মুখস্থ রাখে। বস্তুত যুদ্ধকালীন সা¤প্রদায়িক হামলা তাকে বিপন্ন করেছে।
নুরুল হুদা শারীরিকভাবে নির্যাতিত হলেও মানসিকভাবে বিপন্ন হয়নি। নিখিলও যুদ্ধকালীন নির্যাতনের শিকার তবে সা¤প্রদায়িক প্রবণতা তাকে মানসিকভাবে বিপন্ন করেছে, ধর্মান্তরিত করেছে। সে নুরুল হুদার থেকেও বেশি বিপন্ন বেশি অসহায়।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
তারামন বিবি ১১ নম্বর সেক্টরের একজন নারী-মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুহিব হাবিলদারের কাছে প্রশিক্ষণ নেন। আজিজ মাস্টারের ক্যাম্পে তিনি মুক্তিবাহিনীর জন্য রান্নার দায়িত্ব পালন করেন। এর সঙ্গে পুরুষ যোদ্ধাদের পাশাপাশি সরাসরি যুদ্ধেও অংশ নেন।
ক. স্টেনগানওয়ালা ছোকরার দল নৌকা ভরে কী নিয়ে আসে?
খ. ‘এদিককার মানুষ চোখে খালি নৌকা দেখে, নৌকা ভরা অস্ত্র।’Ñ উক্তিটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের তারামন বিবির সঙ্গে ‘রেইনকোট’ গল্পের মিন্টুর চরিত্র তুলনা কর।
ঘ. ‘নারী ও পুরুষ মুক্তিযোদ্ধার সম্মিলিত চেষ্টায় আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে।’Ñ উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে উক্তিটি যাচাই কর। ১
২
৩
৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
অস্ত্র নিয়ে আসে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘এদিককার মানুষ চোখে খালি নৌকা দেখে, নৌকা ভরা অস্ত্র।’Ñ উক্তিটিতে মুক্তিবাহিনীর তৎপরতাকে বোঝানো হয়েছে।
মিলিটারি লাগার পর নুরুল হুদা চারবার বাসা পরিবর্তন করে। সবশেষ বাসাটি শহর থেকেও দ‚রে বলা যায়। বাসার প‚র্বদিকে চোখে পড়ে বিল আর ধানক্ষেত। এই বিল দিয়ে নৌকায় করে মুক্তিবাহিনী অস্ত্র নিয়ে আসে, যে অস্ত্র শহরের যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। মুক্তিবাহিনী বার বার এমনভাবে অস্ত্র নিয়ে এলে তা সাধারণ মানুষের চোখও এড়ায় না। এদিককার মানুষ তাই খালি নৌকা দেখে, নৌকা ভরা অস্ত্র।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে মিন্টু একজন সম্মুখ-যুদ্ধের যোদ্ধা। মিন্টুর মতো উদ্দীপকের তারামন বিবিও নারী হয়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু জুন মাসের ২৩ তারিখে যুদ্ধের উদ্দেশে রওনা দেয়। নুরুল হুদার চিন্তাস্রোতে ধরা পড়ে মিন্টুর সাহসিকতা। তুমুল বৃষ্টির মধ্যে তিনি হয়তো কোথাও কোনো নদীর তীরে ওঁৎ পেতে বসে থাকেন। উদ্দীপকের তারামন বিবিও এমন সাহসিক এক নারীযোদ্ধা।
পাকিস্তানি বাহিনী হয়তো গ্রাম জ্বালিয়ে কয়েকশ মানুষ মেরে লাশগুলো গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে। মিন্টু স্টেনগান তাক করে থাকে ঐ মিলিটারিগুলোর দিকে। এ থেকে বোঝা যায়, মিন্টু একজন সাহসী ও সম্মুখযুদ্ধের যোদ্ধা। উদ্দীপকের তারামন বিবিও ১১ নম্বর সেক্টরের একজন নারী মুক্তিযোদ্ধা। নারী হয়েও তিনি ক্যাম্পে রান্না করার পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মিন্টু ও তারামন দুজনই যোদ্ধা এবং অকুতোভয়। কিন্তু তারামন বিবিকে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়ার আগে নিজের পরিস্থিতির সঙ্গে কম যুদ্ধ করতে হয়নি।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কেবল পুরুষের বিজয় গাথা নয়, এদেশের নারীর ত্যাগ ও বীরত্বও স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছিল। এমন বক্তব্যের সমর্থন মেলে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প এবং আলোচ্য উদ্দীপকে।
‘রেইনকোট’ গল্পে স্বাধীনতার জন্য পুরুষের বীরত্ব এবং নারীর ত্যাগকে দেখানো হয়েছে। মিন্টু ও তার সহযোদ্ধাদের বীরত্বও গল্পের একটি প্রান্ত। এছাড়াও পাকবাহিনীর এবং রাজাকারদের দ্বারা এদেশের নারীদের নির্যাতন করার ইঙ্গিতও রয়েছে এ গল্পে, যা চিিহ্নত করে স্বাধীনতার জন্যে নারীর ত্যাগ। অন্যদিকে উদ্দীপকে নারীর ত্যাগ নয়, বীরত্ব প্রদর্শিত হয়েছে।
উদ্দীপকে তারামন বিবি যুদ্ধের সময়ের ‘বীরাঙ্গনা’ নন, বরং তিনি বীর নারী-মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একদিকে যেমন সেনা ক্যাম্পে রান্না করে মুক্তিবাহিনীকে সেবা করেছেন, অন্যদিকে পুরুষদের সঙ্গে একযোগে যুদ্ধে অংশ নিয়ে বীরত্বের পরিচয দিয়েছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে কেবল পুরুষরাই যুদ্ধ করেননি, নারীদেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তারামন বিবিই তার প্রমাণ।
‘রেইনকোট’ গল্পে নারীর ত্যাগ, পুরুষের বীরত্ব এবং উদ্দীপকে তারামন বিবির বীরত্ব প্রমাণ করে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে নারী-পুরুষ সকলের অংশগ্রহণ ছিল। তাই বলা যায়, ‘নারী ও পুরুষ মুক্তিযোদ্ধার সম্মিলিত চেষ্টায় আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে।’Ñ উক্তিটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ব্রিটিশরা ভারতের শাসনভার গ্রহণ করলে অনেক বাঙালি বাংলা ছেড়ে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। ভাষা শিক্ষার জন্য তারা এমনটি করেছিল তা নয়। ম‚লত বেশিরভাগ লোকই ইংরেজি শিখেছিল রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার জন্য।
ক. আকবর সাজিদ কোন বিষয়ের অধ্যাপক?
খ. প্রিন্সিপাল আফাজ আহমদ আজকাল আকবর সাজিদকে তোয়াজ করেন কেন?
গ. বিদেশি ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে আফাজ আহমদ এবং উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালিদের দৃষ্টিভঙ্গির সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “স্বার্থের কারণে মানুষ মাতৃভাষাকে ত্যাগ করার মতো কাজ অনায়াসে করতে পাারে।”Ñ উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে উক্তিটির যথার্থতা নির্ণয় কর। ১
২
৩
৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
আকবর সাজিদ উর্দুর অধ্যাপক।
আখতারুজ্জামন ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে প্রিন্সিপাল আফাজ আহমদ উর্দু শিখে নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য উর্দুর শিক্ষক আকবর সাজিদকে তোয়াজ করতে শুরু করেন।
উর্দুর শিক্ষক আকবর সাজিদ জাতিতে পশ্চিম পাকিস্তানি এবং উর্দুভাষী বলে প্রিন্সিপাল আফাজ আহমদ যুদ্ধের শুরুতে আকবর সাজিদকে তোষামোদি শুরু করেন। সাজিদের কাছ থেকে বিভিন্ন শব্দের উর্দু অর্থ জানতে তার প্রবল আগ্রহ। অর্থাৎ, আকবর সাজিদকে করা প্রিন্সিপালের এই তোয়াজে স্পষ্টতই স্বার্থচিন্তা জড়িত। বস্তুত উর্দু ভাষা জানার মাধ্যমে নিজের স্বার্থরক্ষার লক্ষে প্রিন্সিপাল উর্দুর শিক্ষক আকবর সাজিদকে তোয়াজ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের দেশের অনেক বুদ্ধিজীবী বিদেশি ভাষা উর্দু শিখতে চেয়েছিলেন কেবলমাত্র স্বার্থরক্ষার তাগিদে। ‘রেইনকোট’ গল্পের আফাজ আহমদ এবং উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালিদের মধ্যেও এমন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় মেলে।
‘রেইনকোট’ গল্পে প্রিন্সিপাল উর্দু শিখতে চেয়েছিল অন্য একটি ভাষা শিক্ষার আগ্রহ থেকে নয়, বরং তার উর্দু শিক্ষার উদ্দেশ্য স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য। এ কারণে যুদ্ধ শুরু হলে তিনি উর্দুচর্চায় মনোযোগ দেন এবং উর্দুর শিক্ষক আকবর সাজিদকে বিশেষভাবে তোয়াজ করা শুরু করেন। উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালিদের দৃষ্টিভঙ্গি এর থেকে ব্যতিক্রম নয়।
উদ্দীপকে ব্রিটিশদের ভারত শাসনভার গ্রহণ করার সময় থেকে এদেশের অনেক বাঙালির বাংলা ছেড়ে ইংরেজিতে কথোপকথনের দিকটি উন্মোচিত হয়েছে। এটি সত্যি যে, তখন অনেকেই একটি বিদেশি ভাষা জানার আগ্রহে ইংরেজি চর্চা শুরু করেছিল, কিন্তু এমন অনেকে ছিল যারা ভাষা শিক্ষার জন্য নয়, বরং ইংরেজি শিখে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, আফাজ আহমদ এবং উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালিদের মধ্যে বিদেশি শিক্ষার ক্ষেত্রে একই রকম স্বার্থকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় মেলে।
“মানুষ স্বভাবতই মাতৃভাষাকে ভালোবাসলেও এমন অনেক মানুষ আছে, যারা স্বার্থের কারণে মাতৃভাষাকে ত্যাগ করার মতো কাজ অনায়াসে করতে পারে।” এমন কথার প্রমাণ মেলে আলোচ্য উদ্দীপক এবং ‘রেইনকোট’ গল্পে।
‘রেইনকোট’ গল্পে প্রিন্সিপাল আফাজ আহমদ এবং তার পিওন ইসহাক মিয়ার মাতৃভাষা বাংলা। তারা সাধারণ অবস্থায় বাংলায় কথা বলে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ইসহাক মিয়া মাতৃভাষা বাংলা ছেড়ে দিয়ে উর্দু বলা শুরু করেন। তিনি কলেজে স্থাপিত ক্যাম্পের মিলিটারিদের সঙ্গে উর্দুতে কথা বলেন, নিজের স্বার্থ সন্ধান করেন। অন্যদিকে প্রিন্সিপালও উর্দুতে সঠিকভাবে কথা বলার নানা চেষ্টায় লিপ্ত হন। উর্দুর শিক্ষক আকবর সাজিদের কাছ থেকে জেনে নিতে চান বিভিন্ন বাংলা শব্দের উর্দু অর্থ।
‘রেইনকোট’ গল্পের মতো উদ্দীপকেও দেখা যায়, ব্রিটিশ আমলে অনেক বাঙালি বাংলা ছেড়ে শুধু রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগের আকাক্সক্ষায় ইংরেজি বলা শুরু করে। তাদের এই ইংরেজি চর্চার পিছনে ভাষা শিক্ষার কোনো আগ্রহ ছিল না। বস্তুত স্বার্থের কারণে সেদিন তারা মাতৃভাষাকে ত্যাগ করেছিল। ‘রেইনকোট’ গল্প এবং আলোচ্য উদ্দীপক উভয়ক্ষেত্রেই দেখা যায়,মানুষ মাতৃভাষাকে ত্যাগ করে অন্য ভাষা চর্চা শুরু করেছে কোনো শুভ-চিন্তা থেকে নয়। বরং এর পিছনে ক্রিয়াশীল ছিল ব্যক্তিগত স্বার্থ।
পরিশেষে উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে ‘স্বার্থের কারণে মানুষ মাতৃভাষাকে ত্যাগ করার মতো কাজ অনায়াসে করতে পারে।’Ñ উক্তিটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
একেবারে দিনে-দুপুরে এমন একটি কাÐ নিজের চোখের সামনে সংঘটিত হওয়ার পরেও তা বিশ্বাস হতে চায় না। রাজধানীরও রাজধানী যে পল্টন-রমনা, সেই পল্টনে চারদিকে চার-পাঁচটি আর্মি চেকপোস্টের কড়া নজরদারি এড়িয়ে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে বিচ্ছুগুলো কয়েকটি হ্যান্ডগ্রেনেড ছুঁড়ে গেল। আর্মি অফিসার ও তাদের পরিবার-পরিজন এখানকার মার্কেটে নিয়মিত কেনাকাটা করে। এ ধরনের নিরাপত্তা জোনে গেরিলা বিচ্ছুগুলো অবিশ্বাস্যভাবে বোমা হামলা চালিয়ে গেল। গত রাতের শেষের দিকে তারা সিদ্ধিরগঞ্জ, ডেমরা, গাবতলীর মতো গুরুত্বপ‚র্ণ স্থান ও পাওয়ার স্টেশনগুলোয় তুমুল হামলা চালায়। এরা কীভাবে এসব অবিশ্বাস্য দুঃসাহসী অপারেশন চালায়?
ক. নুরুল হুদার মেয়ের বয়স কত?
খ. কথক কেন বললেন, “এই বৃষ্টির মেয়াদ আলা দিলে পুরো তিন দিন।”
গ. উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে?
ঘ. ‘রেইনকোট’ গল্পের ম‚লভাবে উদ্দীপকের গেরিলা বিচ্ছুগুলোর কর্তব্যকর্মকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়।Ñ মন্তব্যটি ম‚ল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
নুরুল হুদার মেয়ের বয়স আড়াই বছর।
মঙ্গলবার ভোরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় প্রচলিত প্রবাদে আস্থা জ্ঞাপন করে লেখক উপর্যুক্ত কথা বললেন।
বৃষ্টির স্থায়িত্ব সম্পর্কে প্রচলিত একটি প্রবাদে বলা হয়েছে, “শনিতে সাত মঙ্গলে তিন, আর সব দিন দিন। এটা হলো জেনারেল স্টেটমেন্ট। স্পেসিফিক ক্ল্যাসিফিকশনে বলা হয়েছে, “মঙ্গলে ভোর রাতে হইল শুরু, তিন দিন মেঘের গুরুগুরু।” সুতরাং মঙ্গলের ভোর রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কথক বললেন, “এই বৃষ্টির মেয়াদ আলা দিলে পুরো তিন দিন।”
উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পের মুক্তিযোদ্ধা গেরিলাদের কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত আর্মি ক্যাম্পসংলগ্ন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও প্রিন্সিপালের কোয়ার্টারে হামলার দিকটিকে ইঙ্গিত করে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী বাংলাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত করার লক্ষ্যে লুণ্ঠনে মেতে ওঠে এবং হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে এদেশে রক্তের নদী বইয়ে দেয়। কিন্তু এদেশের নানা শ্রেণি-পেশার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা পাকিস্তানি হায়েনাদের এ আক্রমণের সমুচিত জবাব দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন গেরিলা দল হানাদার বাহিনীকে আক্রমণে আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, রাজধানীরও রাজধানী যে পল্টন-রমনা সেই পল্টনের চারদিকে চার-পাঁচটি আর্মি চেকপোস্টের কড়া নজরদারি এড়িয়ে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে মুক্তিযোদ্ধা গেরিলারা সশস্ত্র হামলা চালায়। এ রকম একটি নিরাপত্তা জোনে হামলা করে নির্বিঘেœ বেরিয়ে যাওয়া একটি অবিশ্বাস্য ঘটনার মতো মনে হয়। এমনই একটি অবিশ্বাস্য অপারেশন পরিচালনা ‘রেইনকোট’ গল্পেও দেখা যায়। শহরের মাঝখানে অবস্থিত কলেজের সামনের দেয়াল ঘেঁষে ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার উড়িয়ে দিয়ে সেখান থেকে অনেকখানি পথ ও নানা স্থাপনা এড়িয়ে আর্মি ক্যাম্পের কোল ঘেঁষে প্রিন্সিপাল সাহেবের কোয়ার্টারে সফলভাবে গ্রেনেড হামলাকে কথক বলেছেন ভয়াবহ কাÐ ও অবিশ্বাস্য।
‘রেইনকোট’ গল্পের ম‚লভাবে উদ্দীপকের গেরিলা বিচ্ছুগুলোর কর্তব্যকর্মকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়।”Ñ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অমানুষিক নির্যাতন, হত্যাকাÐ এবং ধ্বংসলীলায় পরিণত হয় বাংলার মাটি। ওরা আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা জন্ম-মৃত্যুর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসাথে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে এবং হাতে অস্ত্র তুলে নেয়, গড়ে তোলে মুক্তিযোদ্ধা দল ও গেরিলা বাহিনী।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, রাজধানী শহরের প্রাণকেন্দ্র পল্টনস্থ বায়তুল মোকাররম মার্কেটে চার-পাঁচটি আর্মি চেকপোস্টের নজরদারি এড়িয়ে গেরিলারা সফল বোমা হামলা চালিয়ে নিরাপদে চলে যায়। দিনেদুপুরে এমনই নিরাপত্তা জোনে আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বিচ্ছুদের চলে যাওয়াটা নিজ চোখে দেখার পরেও লেখকের অবিশ্বাস্য মনে হয়। উদ্দীপকের অনুর‚প ‘রেইনকোট’ গল্পেও দেখা যায়, শহরের মাঝখানে অবস্থিত কলেজ সংলগ্ন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার এবং নানা স্থাপত্য পাড়ি দিয়ে আর্মি ক্যাম্পসংলগ্ন প্রিন্সিপালের গেটে গ্রেনেড ছুঁড়ে দিয়ে নির্বিঘেœ চলে যায়। গেরিলাদের এ অপারেশন সংবাদটি কথকের কাছে অবাক কাÐ ও অবিশ্বাস্য ঠেকে। উদ্দীপকের সাথে ‘রেইনকোট’ গল্পের এ সাদৃশ্য ছাড়াও গল্পে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বিচ্ছুগুলোর কর্তব্যকর্মকে নানাভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
‘রেইনকোট’ গল্পটি একটি মুক্তিযুদ্ধনির্ভর গল্প। এ গল্পে কথক নিজে মুক্তিযুদ্ধে শরিক হতে না পারলেও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধাদের নানা অপারেশন সংবাদে মনে মনে উৎফুল হয়েছেন, গর্বিত হয়েছেন। ‘রেইনকোট’ গল্পের ম‚লভাবে উদ্দীপকের গেরিলা বিচ্ছুদের কর্তব্যকর্মকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
আজগরের মা দু’মাস আগেও মহলার এর-ওর বাসায় ঝিয়ের কাজ করে চলেছে আর আজগর সরকার মঞ্জিলের বিড়ির কারখানায় বিড়ি বাঁধার কাজ করেছে। পঁচিশে মার্চের কালরাতের পর শহরে আর্মি নামায় সবকিছু পাল্টে গেছে। বিহারি আজগর এখন মোগলটুলির ইজারাদার না হলেও ফৌজদার বনে গেছে। এদেশের মাটিতে জন্ম হলেও তার মুখে এখন বাংলা কথা শোনাই যায় না। তার উর্দুর তোড়ে কুমিলা হাইস্কুলের উর্দু শিক্ষক সরফরাজ আলী পর্যন্ত হিমশিম খান। এ মাটির কুলাঙ্গার আজগর মুক্তিদের খুঁজে বের করে সার্কিট হাউসের আর্মি ক্যাম্পে পৌঁছে দিতে বড় তৎপর ছিল।
ক. কার জন্য নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয়?
খ. পিয়নকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে ইচ্ছা করেছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের আজগর ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের আজগররাই ’৭১-এ এদেশের লাখো জনতা হত্যায় ইন্ধন যুগিয়েছিল।”Ñ বক্তব্য বিষয়ের যথার্থতা নির‚পণ কর। ১
২
৩
৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
মিন্টুর জন্য নুরুল হুদাকে এক্সটা তটস্থ থাকতে হয়।
পিয়নের মুখ দর্শনে পাকিস্তানি মিলিটারির ভয় কেটে যাওয়ায় তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে ইচ্ছা করেছিল।
দরজায় প্রবল কড়া নাড়ার শব্দে কথক হানাদার ঘাতক পাকিস্তানি মিলিটারির হানা দেয়ার আতঙ্কে শিউরে উঠলেন। মুসলমান রীতি অনুসারে চরম বিপদের সমযে পড়া “আলাহুম্মা ইন্না আন্তা সুবহানাকা ইন্তি কুন্তু মিনাজ জোয়ালেমিন”ও পড়ে ফেলেনে। দুরু দুরু বুকে দরজা খুলে কথক দেখতে পান হানাদার ঘাতক নয়, প্রিন্সিপালের পিয়ন। এমন পরিস্থিতিতে কথকের পিয়নকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে ইচ্ছা করেছিল।
উদ্দীপকের আজগর ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপালের পিয়ন ইসহাক মিয়ার চরিত্রের প্রতীক।
’৭১-এর পঁচিশে মার্চ মধ্যরাতের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ ও বর্বরোচিত হত্যাকাÐ চালিয়ে আবহমান গ্রামবাংলার শান্তসংহত জীবনকে তছনছ করে দেয়। তাদের এ ঘৃণ্য কাজে এদেশে জন্মগ্রহণকারী, এদেশের আলোÑহাওয়া-জল-অন্নে প্রতিপালিত কিছু দুরাচার, গাদ্দার পশু সৈন্যদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
উদ্দীপকের আজগর এমনই এক দুরাচারী গাদ্দারের জীবন্ত প্রতিম‚র্তি। এদেশে বাস করে এদেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহায়তাকারী হিসেবে মহলার কাজের ঝি’র ছেলে মহলার ফৌজদার বনে যায়। বাংলায় জন্ম নেয়া তার মুখে পঁচিশে মার্চের পর থেকে উর্দুর তোড়ে স্কুল-কলেজের উর্দুর শিক্ষকরাও হিমশিম খান। এ কুলাঙ্গার এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। উদ্দীপকের আজগরের অনুর‚প ‘রেইনকোট’ গল্পে প্রিন্সিপালের পিয়ন ইসহাক মিয়াও পঁচিশে মার্চের পর থেকে বাংলা জবান একেবারে ভুলে গেছে। তার উর্দুর তোড়ে স্বয়ং প্রিন্সিপালও গলদঘর্ম হয়ে পড়েন। সুতরাং উদ্দীপকের আজগর ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপালের পিয়ন ইসহাক মিয়া চরিত্রের প্রতিচ্ছবি।
“উদ্দীপকের আজগররাই ’৭১-এ দেশের লাখো জনতা হত্যার ইন্ধন জুগিয়েছিল।” প্রশ্নোক্ত এ মন্তব্যটি ঐতিহাসিকভাবে যথার্থ।
১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলায় প্রবেশ করে শান্তিপ্রিয় নিরস্ত্র মানুষের ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিতে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। তাদের এ ঘৃণ্য কাজের দোসর ছিল এদেশেরই কতিপয় কুলাঙ্গার।
উদ্দীপকে আজগর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কর্মকাÐের পর এলাকায় কাজের ঝির ছেলে থেকে ফৌজদার বনে যায়। বাংলায় জন্ম নিয়েও সে বাংলা জবান ভুলে অবিরাম উর্দু বোলচাল ছাড়তে থাকে। এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিতে সে সদাসচেষ্ট। এমনই আরেকটি চরিত্র হলো ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপালের পিয়ন ইসহাক মিয়া। মিলিটারি আসার পর থেকে সে নিজেই একজন কর্নেল বনে গেছে। উর্দু বোলচাল ছাড়া বাংলা জবানে সে এখন আর কথা বলে না। মিলিটারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে তাকে দেখে কলেজের সবাই তটস্থ। উদ্দীপকের আজগর এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের ইসহাক মিয়ারা এ জাতির কুলাঙ্গার ।
এ দেশ, এ জনপদ সম্প‚র্ণ অচেনা পাকিস্তানি পশুদের কাছে, তাদের পথ-ঘাট চিনিয়ে দিয়ে বাংলার কিছু কুলাঙ্গার দুরাচারাই বাংলার, বাঙালির সম‚হ সর্বনাশ করেছিল। উদ্দীপকের আজগর ‘রেইনকোট’ গল্পের ইসহাক মিয়াদের মতো গাদ্দারদের কারণেই প্রফেসর নুরুল হুদা, প্রফেসর আবদুস সাত্তার মৃধার মতো শত সহস্র দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী নির্মম নির্যাতন ও হত্যাকাÐের শিকার হন। প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি তাই যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
শিবলির বড় ভাই একজন শহিদ বুদ্ধিজীবী। ’৭১-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পঁচিশে মার্চের কালরাতে যে ক্র্যাকডাউন হয়েছিল, তার জন্য পাকিস্তানি বর্বর হানাদারদের তিনি কখনো ক্ষমা করেননি। পাকিস্তানি রাষ্ট্রের মৃত্যুর জন্য এর সামরিক বাহিনীই যে দায়ী তা খোলাখুলি বলতেন। দু-একজন হিতাকাক্সক্ষী প্রাণটা বাঁচাতে মুখ বুজে থাকতে বললেও পাকিস্তানি জুলুম ও অন্যায়ের প্রতিবাদে তিনি ছিলেন সোচ্চার। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে তিনি তাদের ভ‚য়সী প্রশংসাও করতেন। ১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাাকিস্তানি হানাদারদের এদেশীয় দোসররা তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন রায়েরবাজার বধ্যভ‚মিতে তাঁর ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া গিয়েছিল।
ক. ইসহাক কোন বিষয়ের প্রফেসরের বাড়ির দিকে রওনা হলো?
খ. মিলিটারি আক্রমণের পর থেকে ‘রেইনকোট’ গল্পের কথক চারবার বাড়ি পাল্টালেন কেন?
গ. উদ্দীপকের শিবলির বড় ভাই এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপাল সাহেবের মধ্যকার বৈসাদৃশ্য নির‚পণ কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পের শহিদ বুদ্ধিজীবীর মতো শত-সহস্র শহিদ বুদ্ধিজীবীর ত্যাগে আমরা কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ বিষয়ে তোমার মতামত দাও। ১
২
৩
৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ইসহাক জিওগ্রাফির প্রফেসরের বাড়ির দিকে রওনা হলো।
প্রতিবেশী ও মিলিটারির কাছে শ্যালক মিন্টুর মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের কথা আড়াল করতেই মিলিটারি আক্রমণের পর থেকে ‘রেইনকোট’ গল্পের কথক চারবার বাড়ি পাল্টালেন।
মিন্টু কথকের বাড়িতে থেকেই মানুষ। যুদ্ধের শুরুতেই সে সীমান্ত পার হয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। বিষয়টি অবরুদ্ধ ঢাকায় আটকাপড়া কথকের জন্য হয়েছে ভয়াবহ বিপদের। হানাদার বাহিনী ব্যাপারটি জানলেই কথককে তথ্য বের করার নামে নানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করবে। এ কারণে হানদার মিলিটারি ও প্রতিবেশীর কাছে শ্যালকের যুদ্ধে গমনের তথ্য আড়াল করতে কথক চারবার বাসা পাল্টালেন।
উদ্দীপকের শিবলির বড় ভাই এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপাল সাহেবের মধ্যে বিস্তর বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
বাংলার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশের গৌরব বলে বিবেচিত বুদ্ধিজীবীরাও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাকাÐ থেকে রেহাই পায়নি। কিন্তু বাঙালি জাতি একসময় রুখে দাঁড়ায়, যদিও কিছু দুর্বলচিত্তের লোক হানাদারদের তোয়াজ করে বেঁচে থাকার পথ বেছে নেয়।
উদ্দীপকে শিবলির বড় ভাই একজন শহিদ বুদ্ধিজীবী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক পঁচিশে মার্চের কালরাতে ক্র্যাকডাউনের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে কখনো ক্ষমা করেননি। পাকিস্তানি জুলুম ও অন্যায়ের প্রতিবাদে তিনি ছিলেন সোচ্চার। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল তিনি তাদের ভ‚য়সী প্রশংসা করতেন। উদ্দীপকের শিবলির বড় ভাইয়ের সম্প‚র্ণ বিপরীত চরিত্রের হলো ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপাল সাহেব। এ প্রিন্সিপাল সাহেব পাকিস্তানের জন্য দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ে, সময় নেই অসময় নেই আলাহর দরবারে কান্নাকাটি করে এবং সময় করে কলিগদের গালাগালিও করে। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি এ প্রিন্সিপাল মিলিটারির বড়কর্তাদের কাছে সবিনয়ে নিবেদন করেছিল পাকিস্তানকে যদি বাঁচাতে হয় তো সব স্কুল-কলেজ থেকে শহিদ মিনার হটাও। এসব ব্যাপারে উদ্দীপকের শিবলির বড় ভাই এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপাল সাহেবের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লক্ষ প্রাণের দান। এই লক্ষ প্রাণের মধ্যে শহিদ-বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ ছিল অতি ম‚ল্যবান এক মহৎকর্ম।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী আতর্কিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে শান্ত-স্নিগ্ধ বাংলায় অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, হত্যাকাÐ, নির্যাতন ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালির জনজীবন তছনছ করে দেয়। দেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীরাও তাদের নির্মম হত্যাকাÐ থেকে রেহাই পায়নি।
উদ্দীপকের শিবলির বড় ভাই একজন শহিদ বুদ্ধিজীবী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদে ছিলেন সোচ্চার। দু-একজন হিতাকাক্সক্ষী প্রাণটা বাঁচাতে মুখ বুজে থাকতে বললেও অন্যায়ের প্রতিবাদে তিনি যেমন সোচ্চার ছিলেন, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে তাদের ভ‚য়সী প্রশংসাও করতেন। ১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভ‚মিতে হত্যা করা হয়। উদ্দীপকের শিবলির বড় ভাইয়ের, মতো এমনই সৎ-সাহসী-নির্র্ভীক-দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী আমরা ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রফেসর নুরুল হুদা, প্রফেসর আবদুস সাত্তার মৃধার মাঝে দেখতে পাই।
‘রেইনকোট’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রফেসর নুরুল হুদার মধ্যে সত্যিকার দেশপ্রেম, নির্ভীকতা ও দুঃসাহস ফুটে ওঠে পাকিস্তানি হানাদারদের শত নির্যাতনের মুখেও মুক্তিযোদ্ধাদের আস্তানার তথ্য না দেওয়ায়। তেমনি উদ্দীপকের শিবলির বড় ভাই এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রফেসর নুরুল হুদা, প্রফেসর আবদুস সাত্তার মৃধাদের মতো শত-সহস্র বুদ্ধিজীবীর আত্মত্যাগে আমরা কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
১ কার জবানিতে “রেইনকোট” গল্পের অধিকাংশ ঘটনা বিবৃত হয়েছে?
ক আবদুস সাত্তার মৃধা খ ড. আফাজ আহমদ
গ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ঝ নুরুল হুদা
২ নুরুল হুদাকে পাাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তলব করার কারণÑ
ক কমান্ডারের নির্দেশে ছ প্রিন্সিপালের অভিযোগ
গ মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী ভেবে ঘ তাকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে
অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
মুক্তিফৌজ! কথাটা এত ভারী যে এই রকম অত্যাচারী সৈন্য দিয়ে ঘেরা অবরুদ্ধ ঢাকা শহরে বসে মুক্তিফৌজ শব্দটা শুনলেও কেমন যেন অবিশ্বাস্য মনে হয়। আবার ওই অবিশ্বাসের ভেতর থেকে একটা আশা, একটা ভরসার ভাব ধীরে ধীরে মনের কোণে জেগে উঠতে থাকে।
৩ অনুচ্ছেদে ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে?
ক পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা
খ মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য শক্তি-সাহস
গ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর আস্থা
ঝ যুদ্ধকালীন অবরুদ্ধ মানুষের উৎকণ্ঠা
৪ উক্ত ভাবটি যে বাক্যে প্রকাশ পেয়েছে তা হলোÑ
ক মিসক্রিয়ান লোগ ইলেকটিরি টেরানসফার্মার তোর দিয়া
খ একটা জিপ উড়াইয়া দিছে, কমপক্ষে পাঁচটা খানসেনা খতম
গ নুরুল হুদার ঝুলন্ত শরীর এতটাই কাঁপে যে চাবুকের বাড়ির দিকে আর মনোযোগ দেওয়া হয়ে ওঠে না
ঘ বউয়ের এই ভাইটার জন্যই তাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয়
মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক যাচাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক লেখক পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৪৩ সালের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১১ই ফেব্রæয়ারি ছ ১২ ই ফেব্রæয়ারি
গ১৩ই ফেব্রæয়ারি ঘ ১৪ই ফেব্রæয়ারি
৬ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস জন্মগ্রহণ করনে কোন জেলায়?
চ বগুড়া খ দিনাজপুর গ গাইবান্ধা ঘ পঞ্চগড়
৭ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন?
চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
গ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ঘ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পাঁচটি গল্পগ্রন্থে কয়টি গল্প সংকলিত আছে?
চ ২৮টি খ ২৯টি গ ৩০টি গ ৩১টি
৯ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘খোয়াবনামা’ কী ধরনের রচনা?
ক ছোটগল্প ছ উপন্যাস গ নাটক ঘ প্রবন্ধ
১০ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কয়টি ছোটগল্প গ্রন্থ রয়েছে?
চ ৫টি খ ৬টি গ ৭টি ঘ ৮টি
১১ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
ক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান খ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
গ মোহাম্মদ ইলিয়াস উদ্দিন
ঝ আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস
১২ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মাতার নাম কী?
ক মনোয়ারা ইলিয়াস ছ মরিয়ম ইলিয়াস
গ শরিফা ইলিয়াস ঘ সামসুন নাহার ইলিয়াস
১৩ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৯৭ সালের কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
ক পহেলা জানুয়ারি খ দোসরা জানুয়ারি
গ তেসরা জানুয়ারি ঝ চৌঠা জানুয়ারি
১৪ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন?
ক জন্ডিস ছ ক্যান্সার গ কলেরা ঘ ধনুষ্টঙ্কার
১৫ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
ক সাগরদাঁড়ি গ্রামে খ চুরুলিয়া গ্রামে
জ গোহাটি গ্রামে ঘ শংকরপাশা গ্রামে
১৬ ‘রেইনকোট’ গল্পের গল্পকার কে?
ক জহির রায়হান ছ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
গ শওকত ওসমান ঘ কাজী মোতাহের হোসেন
১৭ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক বাবার বাড়িতে খ আত্মীয়ের বাড়িতে
গ অনাথ আশ্রমে ঝ মাতুলালয়ে
১৮ ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট কী?
চ ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপট
খ ফকির-সন্ন্যাসী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
গ তেভাগা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
ঘ একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনির প্রেক্ষাপট
১৯ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ম‚লত কী ছিলেন?
ক গল্পকার ছ কথাসাহিত্যিক
গ সাংবাদিক ঘ ঔপন্যাসিক
২০ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত গ্রন্থ কোনটি?
ক চার ইয়াতির কথা খ সংস্কৃতি কথা
জ সংস্কৃতির ভাঙা সেতু ঘ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
২১ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কোন পুরস্কার লাভ করেন?
ক স্বাধীনতা পুরস্কার খ একুশে পদক
জ বাংলা একাডেমি ঘ মুক্তধারা পুরস্কার
২২ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত উপন্যাসের সংখ্যা কয়টি?
চ দুটি ক তিনটি গ চারটি ঘ তিনটি
২৩ ‘দুধে ভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থের রচয়িতা কে?
ক শওকত ওসমান ছ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
গ কাজী নজরুল ইসলাম ঘ হাসান আজিজুল হক
২৪ মহাকাব্যিক রচনা নিচের কোনটি?
চ চিলেকোঠার সেপাই খ অন্য ঘরে অন্য স্বর
গ খোয়ারি ঘ দোজখের ওম
২৫ নিচের কোনটি উপন্যাস?
ক আমার অবিশ্বাস খ অন্য ঘরে অন্য স্বর
জ খোয়াবনামা ঘ ছাড়পত্র
২৬ ‘দোজখের ওম’ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কোন ধরনের রচনা?
ক উপন্যাস খ প্রবন্ধ জ গল্পগ্রন্থ ঘ নাটক
২৭ নিচের কোনটির রচয়িতা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস?
চ খোয়াবনামা খ ন‚রনামা গ জঙ্গনামা ঘ সফরনামা
২৮ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ছোট গল্প গ্রন্থের সংখ্যা কয়টি?
ক ৭টি খ ২টি গ ৩টি ঝ ৫টি
২৯ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কত সালে ‘বাংলা একাডেমি’ পুরস্কার লাভ করেন?
ক ১৯৮৯ সালে ছ ১৯৮৩ সালে
গ ১৯৭১ সালে ঘ ১৯৭৭ সালে
৩০ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ১৯৭৭ সালের ৪ জানুয়ারি খ ১৯৯৬ সালের ১০ জানুয়ারি
জ ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঘ ২০০০ সালের ১১ অক্টোবর
খ ম‚ল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
৩১ ‘রেইনকোট’ গল্পে কখন থেকে বৃষ্টি শুরুর কথা বলা হয়েছে?
চ ভোর রাত থেকে খ সকাল থেকে
গ বিকাল থেকে ঘ রাত থেকে
৩২ ইলেকট্রিক ট্র্যাান্সফর্মারটি কীসের দেয়াল ঘেঁষে ছিল?
চ কলেজের সামনের খ কলেজের পিছনের
গ বাড়ির সামনের ঘ বাড়ির পিছনের
৩৩ প্রিন্সিপালের কোয়ার্টারটি কোথায়?
ক মাঠ পেরিয়ে ডান দিকে ছ মাঠ পেরিয়ে বাঁ দিকে
গ মাঠের সীমানায় ঘ মাঠের পিছন দিকে
৩৪ প্রিন্সিপালের কোয়ার্টারের সঙ্গে আর কী ছিল?
ক পিওনের বাড়ি খ সরকারি অফিস
জ মিলিটারি ক্যাম্প ঘ কলেজের অফিস
৩৫ মিলিটারি প্রাদুর্ভাবের পর থেকে কাকে দেখে কলেজের সবাই তটস্থ ছিল?
ক কর্নেলকে খ আহমদকে
গ মিলিটারির বড় কর্তাকে ঝ ইসহাককে
৩৬ এপ্রিলের শুরু থেকে কে বাংলা বলা ছেড়েছে?
চ ইসহাক খ কর্নেল গ আসমা ঘ মিন্টু
৩৭ পাকিস্তানের জন্য দিনরাত কে দোয়া দরুদ পড়ে?
ক আসমা খ মিন্টু জ প্রিন্সিপাল ঘ ইসহাক
৩৮ পাকিস্তান বাঁচাতে হলে স্কুল কলেজ থেকে শহিদ মিনার হটাতে হবে। নিবেদনটি কে মিলিটারির বড় কর্তাদের কাছে করেছিল?
ক মিন্টু খ নুরুল হুদা জ প্রিন্সিপাল ঘ ইসহাক
৩৯ পাকিস্তানের পাক সাফ শরীরটাকে নীরোগ করতে হলে এসব কাঁটা ওপড়াতে হবে।Ñ উক্তিটিতে ‘কাঁটা’ বলতে কোন জিনিসটিকে বোঝানো হয়েছে?
ক মুক্তিযুদ্ধের গান ছ শহিদ মিনার
গ মুক্তিযোদ্ধা ঘ শ্যামা সঙ্গীত
৪০ ‘আসমা’ সম্পর্কে মিন্টুর কী হয়?
ক দ‚রসম্পর্কের বোন ছ আপন বোন
গ চাচাতো বোন ঘ মামাতো বোন
৪১ মগবাজারের ফ্ল্যাট থেকে মিন্টু কবে চলে যায়?
ক জুলাই মাসের ২৩ তারিখে ছ জুন মাসের ২৩ তারিখে
গ মে মাসের ২৩ তারিখে ঘ মার্চ মাসের ২৩ তারিখে
৪২ প্রফেসর বাড়ি বদলাবার জন্য হন্যে হয়ে লেগে গেল কেন?
ক পাশের বাড়িতে গোলাগুলি শুনে
খ মিলিটারিদের অত্যাচারে
জ পাশের ফ্ল্যাটের মহিলার কথা শুনে
ঘ মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেবার ভয়ে
৪৩ মিলিটারি লাগার পর থেকে তারা কয়বার বাড়ি পাল্টিয়েছিল?
ক একবার খ দুবার গ তিনবার ঝ চারবার
৪৪ ওয়েলডিং ওয়ার্কশপের মালিকের শ্বশুর কী ছিল?
ক মুক্তিযোদ্ধা ছ রাজাকার
গ চোরাকারবারী ঘ সুদ ব্যবসায়ী
৪৫ এই ভাইকে নিয়ে এরকম বাড়াবাড়ি করাটা কি আসমার ঠিক হচ্ছে? বাক্যটিতে ‘বাড়াবাড়ি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক মিন্টুকে প্রশ্রয় দেয়া
খ মিন্টুকে মিলিটারির পক্ষ নিতে বলা
জ মিন্টুর সঙ্গে প্রফেসরের দৈর্ঘ্যরে তুলনা দেয়া
ঘ মিন্টুর সঙ্গে প্রফেসরের কাজের তুলনা দেয়া
৪৬ প্রফেসর কার ‘রেইনকোটটি’ পরে?
চ শালার খ ভাইয়ের গ বন্ধুর ঘ কলিগের
৪৭ আসমার ছেলের বয়স কত বছর?
ক তিন বছর খ চার বছর জ পাঁচ বছর ঘ ছয় বছর
৪৮ রেইনকোটটি কী রঙের মতো দেখাচ্ছিল?
ক খাকি রঙের ছ মাটি রঙের
গ কালো রঙের ঘ ছাই রঙের
৪৯ ‘আকবর সাজিদ’ কোন বিষয়ের প্রফেসর ছিলেন?
ক বাংলা খ আরবি গ ফারসি ঝ উর্দু
৫০ প্রিন্সিপালের নাম কী ছিল?
চ আফাজ আহমদ খ আবরার আহমেদ
গ আসাদ আহমেদ ঘ আহনাফ আহমদ
৫১ প্রফেসর নুরুল হুদা যখন রেইনকোট পরে হাঁটছিল সে সময় কোন ঋতু ছিল?
ক গ্রীষ্ম খ বর্ষা জ হেমন্ত ঘ শীত
৫২ ‘রেইনকোট’ গল্পে কলেজের পিওনটির নাম কী ছিল?
ক ইসমাইল খ ইসতিয়াক জ ইসহাক ঘ ইসলাম
৫৩ ‘আবদুস সাত্তার মৃধা’ কোন বিষয়ের প্রফেসর ছিলেন?
ক বাংলা খ কেমিস্ট্রি গ উর্দু ঝ জিওগ্রাফি
৫৪ চলন্ত বাস থেকে দুজন যাত্রী নেমে যায়, তাদেরকে কী বলে মনে হয়?
চ ক্রিমিনাল, চোর অথবা পকেটমার
খ মুক্তিযোদ্ধা অথবা কলেজ পড়–য়া ছাত্র
গ রাজাকার অথবা ডাকাত
ঘ চোর অথবা ডাকাত
৫৫ বাসে বসে নুরুল হুদা ম‚লত কাদের সম্পর্কে ভাবছিল?
ক চোর, ডাকাত ছ রাজাকার
গ মুক্তিযোদ্ধা ঘ সহকর্মী
৫৬ নুরুল হুদা কোন বিষয়ের লেকচারার ছিলেন?
ক বাংলা খ আরবি জ কেমিস্ট্রি ঘ উর্দু
৫৭ মিলিটারিরা নুরুল হুদাকে ধরে নিয়ে গিয়ে প্রথমে কী বিষয়ে প্রশ্ন করে?
ক বাড়ির বিষয়ে খ কলিগদের বিষয়ে
গ মিন্টুর বিষয়ে ঝ কলেজের বিষয়ে
৫৮ কলেজে মোট কটা আলমারি আনা হয়েছে বলে ‘নুরুল হুদা’ মিলিটারিদের জানায়?
ক তিনটি খ চারটা গ পাঁচটি ঝ দশটি
৫৯ মিলিটারিরা শান্ত গলায় কাকে দলের সক্রিয় সদস্য বলে মনে করে?
ক আফাজ সাহেবকে ছ মিন্টুকে
গ নুরুল হুদাকে ঘ আব্দুস সাত্তারকে
৬০ মিলিটারি কাদেরকে ছদ্মবেশী মিসক্রিয়েন্ট মনে করে?
ক শিক্ষকদের ছ কুলিদের
গ বাসের যাত্রীদের ঘ পিওনদের
৬১ ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ’ কথাটা কে বলেছিল?
ক পিওন খ প্রিন্সিপাল জ কুলি ঘ নুরুল হুদা
৬২ নুরুল হুদা যে মিসক্রিয়েন্টের সক্রিয় সদস্য, মিলিটারিরা আরেকটু নিশ্চিত হয় কীভাবে?
চ তার মৌনতায় খ স্বীকারোক্তিতে
গ চিৎকার করে অস্বীকার করায় ঘ কুলিদের সম্পর্কে বলায়
৬৩ নুরুল হুদাকে কীসের সঙ্গে মিলিটারিরা ঝুলিয়ে দেয়?
ক রডের সঙ্গে খ ফ্যানের সঙ্গে
জ ছাদের লাগানো আংটার সঙ্গে ঘ দড়ির সঙ্গে
৬৪ নুরুল হুদার শরীরে মিলিটারির চাবুকের বাড়ি কী বলে মনে হয়?
ক অসহ্য যন্ত্রণা ছ স্রেফ উৎপাত
গ ভয়ংকর অত্যাচার ঘ বিরতিহীন আঘাত
৬৫ রেইনকোটটা খুলে ফেললেও নুরুল হুদার শরীরে কী অনুভ‚ত হয়?
চ রেইনকোটের ওম খ রেইনকোটের ভেজা গন্ধ
গ রেইনকোটের শীতলতা ঘ রেইনকোটের পুরনো গন্ধ
৬৬ নুরুল হুদার মেয়ের বয়স কত ছিল?
ক তিন বছর খ চার বছর
গ সাড়ে চার বছর ঝ আড়াই বছর
৬৭ ‘ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নতুনর‚পে সে ভ্যাবাচ্যাকা খায়।’ উক্তিটি কার সম্পর্কে বলা হয়েছে?
চ প্রিন্সিপাল খ পিওন গ নুরুল হুদা ঘ মিন্টু
৬৮ ‘ঐ ঠিকানাটা বলে দিলে তাকে সসম্মানে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ কাদের ঠিকানার কথা বলা হয়েছে?
চ মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিকানা খ প্রিন্সিপালের ঠিকানা
গ প্রফেসরদের ঠিকানা ঘ উর্দু প্রফেসরের ঠিকানা
৬৯ ‘পিওন কি তাকে মিসক্রিয়ান্টদের লোক ভাবে নাকি?’ বাক্যটিতে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ বলতে ম‚লত কাদের বোঝানো হয়েছে?
ক মিলিটারি ছ মুক্তিযোদ্ধা
গ রাজাকার ঘ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার
৭০ ‘পাকিস্তান যদি বাঁচাতে হয় তো স্কুল কলেজ থেকে শহিদ মিনার হটাও।’ বাক্যটিতে শহিদ মিনার প্রকৃতপক্ষে কীসের প্রতীক?
চ বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশের প্রতীক
খ বাঙালি জাতির প্রতীক
গ স্মৃতিরক্ষার প্রতীক ঘ বাংলাভাষা চর্চার প্রতীক
৭১ মিলিটারিদের শহিদ মিনার হটানোর পরামর্শের মধ্য দিয়ে প্রিন্সিপালের চরিত্রে কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক মিলিটারিদের সচেতন করা ছ মিলিটারিদের তোষামোদি
গ মিলিটারিদের সাহস জোগানো
ঘ মিলিটারিদের সৎ পরামর্শ দেয়া
৭২ ‘রেডিও টেলিভিশনে হরদম বলছে, সিচুয়েশন নর্মাল।’ নুরুল হুদার এ ধরনের চিন্তার নেপথ্যে কোন বিষয়টি কাজ করেছে?
ক সাহস ছ ভয় গ ক্ষোভ ঘ আক্ষেপ
৭৩ ‘বৌয়ের এই ভাইটার জন্যেই তাকে এক্সট্রা তটস্থ হয়ে থাকতে হয়।’ কেন?
ক ভাইটি ছিল ভীতু ছ ভাইটি মুক্তিযোদ্ধা
গ ভাইটি দ‚রে থাকত ঘ ভাইটি ছিল কামার
৭৪ ‘বাসের লোক দুটো পালিয়ে গেল তাকে দেখেই।’ নুরুল হুদা এর কারণ হিসেবে কোনটিকে সনাক্ত করলো ?
ক তার চেহারা খ তার উচ্চতা
জ পরনের রেইনকোট ঘ মাথার টুপি
৭৫ মিলিটারি অফিসারকে দেখে প্রিন্সিপালের কালো মুখ বেগুনি হয় কেন?
ক উত্তেজনায় ছ ভয়ে গ দুশ্চিন্তায় ঘ উৎকণ্ঠায়
৭৬ ‘আমার নাম? সত্যি বলেছে? আমার নাম বলেছে? বাক্যটিতে নুরুল হুদার কী ধরনের মনোভাব বিবৃত হয়েছে?
চ অজানা ভয়
খ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আক্ষেপ
গ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর অনুভ‚তি
ঘ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বির‚প মনোভাব
৭৭ ‘তার মৌনতা মিলিটারিকে আরেকটু নিশ্চিত করে কেন?
ক মৌনতা সম্মতির লক্ষণ বলে
খ প্রথম থেকেই তিনি মৌন ছিলেন বলে
গ মৌনতা তাদের সুযোগ করে দেয় বলে
ঝ মিলিটারিরা প‚র্ব থেকেই তার সম্পর্কে অবগত ছিল বলে
৭৮ তারাও তাকে চেনে এবং তার ওপর তাদের আস্থাও কম নয়। এখানে ম‚লত কাদের আস্থার কথা বলা হচ্ছে?
ক মিলিটারিদের আস্থা ছ মুক্তিযোদ্ধাদের আস্থা
গ কলিগদের আস্থা ঘ পরিবারের আস্থা
৭৯ নুরুল হুদার জ্বলন্ত শরীর কাঁপতে থাকে কেন?
ক মিলিটারিদের ভয়ে খ পরিবারের দুশ্চিন্তায়
গ অসহ্য যন্ত্রণা ও আঘাতে
ঝ মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্পর্ক রাখার উত্তেজনায়
৮০ চাবুকের বাড়ির দিকে তার আর মনোযোগ দেয়া হয়ে ওঠে না কেন?
ক মৃত্যু নিশ্চিত জানায়
খ ধীরে ধীরে শরীর অবশ হওয়ায়
গ ক্রমাগত চাবুকের বাড়ি খাওয়ায়
ঝ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে গভীর ভাবনায়
৮১ দেশকে মুক্ত করার জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা অকাতরে প্রাণ দান করেন। ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অন্য আর একটি নামে চিনতে পারি। সেটি কী?
ক মুক্তিবাহিনী ছ মিসক্রিয়ান্ট গ মুক্তিফৌজ ঘ মুক্তিকামী
৮২ মুক্তিযুদ্ধের সময় নানা কারণে বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত। কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ঠিকই হাজিরা দিতে হয়েছে। এরকম কোন প্রতিষ্ঠানটির কথা আমরা ‘ ‘রেইনকোট’ গল্পে জানতে পারি?
ক স্কুল খ বিমা অফিস জ কলেজ ঘ আদালত
৮৩ ‘রাজাকার’ বা ‘মুক্তিবাহিনী’ কোনোটির সঙ্গেই সরাসরি জড়িত নয়, বরং হানাদার বাহিনীকে খুশি করার জন্য তোষামোদি চরিত্র হিসেবে কার পরিচয় পাওয়া যায়?
ক নুরুল হুদা ছ প্রিন্সিপাল গ ইসহাক ঘ দোকানদার
৮৪ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও ‘রেইনকোট’ গল্পে রেইনকোটটি ম‚লত কীসের প্রতীক?
ক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার খ মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্ন প‚রণের
গ মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত হওয়ার
ঝ স্বাধীনতার প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার
৮৫ শহিদদের স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য জাতীয়ভাবে শহিদ মিনারের মতো আর কী তৈরি হয়েছে?
চ স্মৃতিসৌধ খ শহিদবেদি গ স্মৃতিস্তম্ভ ঘ স্মৃতিফলক
৮৬ দেশকে স্বাধীন করার অদম্য বাসনায় স্বজনদের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে ছুটে গিয়েছিল অনেক তরুণ প্রাণ। ‘রেইনকোট’ গল্পে এরকম কার সন্ধান মেলে?
ক নুরুল হুদা ছ মিন্টু
গ দোকানদার ঘ ইসহাক
৮৭ বড়ো রাস্তায় মিলিটারির লরি দেখে তার ‘চৈতন্যোদয়’ ঘটে। ‘চৈতন্যোদয়’ শব্দটির সাথে নিচের কোন শব্দটির মিল রয়েছে?
ক ভাবের উদয় খ নতুন চিন্তা
গ এলোমেলো চিন্তা ঝ প‚র্বের চেতনায় ফেরা
৮৮ ‘ফের নতুন করে অপরাধীমুক্ত বাসে যেতে এখন ভালো লাগছে।’ লেকচারার নুরুল হুদার এ ভাবনার কারণ কী ছিল?
ক অপরাধীরা ধরা পড়ায়
খ অপরাধীরা অপরাধ স্বীকার করায়
জ বাস থেকে অপরাধীরা নেমে যাওয়ায়
ঘ অপরাধীদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ায়
৮৯ লেকচারার ও তার সহকর্মীকে মিলিটিরিরা প্রথম কোথায় নিয়ে আসে?
ক ক্যাম্পের তিন তলায় ছ মস্ত উঁচু একটা ঘরে
গ একটা পুরনো বাড়িতে ঘ কলেজের অফিসে
৯০ ‘সাবভার্সিভ অ্যাকটিভিটিজ’ বলতে কী বোঝায়?
ক যুদ্ধবিরোধী কার্যক্রম ছ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম
গ মানবতা বিরোধী কার্যক্রম ঘ গণতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রম
৯১ ‘ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
চ ঝালাই কারখানা খ মেরামত কারখানা
গ গাড়ি তৈরির কারখানা ঘ গাড়ি রঙের কারখানা
৯২ নুরুল হুদাকে বহনকৃত বাস আসাদ গেট বাসস্টপেজে এলে কতজন যাত্রী উঠল?
ক ৪ জন খ ৫ জন গ ৮ জন ঝ ৯ জন
৯৩ কে একটু বাচাল টাইপের?
ক সাজিদ ছ দোকানদার ছেলেটা
গ ইসহাক ঘ প্রিন্সিপাল
৯৪ বর্ডার ক্রস করল কে?
ক ইসহাক খ মিলিটারি
জ নুরুল হুদার শালা ঘ মিসক্রিয়ান্টরা
৯৫ নুরুল হুদার ছেলের বয়স কত বছর?
ক তিন খ চার জ পাঁচ ঘ ছয়
৯৬ বর্ডার ক্রস করে এসে মিন্টু কী করে?
ক দেশে ত্রাণ বিতরণ করে
খ মিলিটারিদের সাথে বৈঠক করে
জ দমাদম মিলিটারি মারে
ঘ বোনের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে
৯৭ বাস ডিপোর পেছনে কী আছে?
ক বড় রাস্তা খ ডোবা-নালা জ বস্তি ঘ থানা
৯৮ ‘রেইনকোট’ গল্পে কোন ঋতুর কথা বলা হয়েছে?
ক গ্রীষ্ম খ শরৎ জ হেমন্ত ঘ শীত
৯৯ স্টাফরুমে কে বসলে সবাই উসখুস করে?
ক প্রিন্সিপাল খ ইসহাক
জ উর্দুর আকবর সাজিদ ঘ মিলিটারি
১০০ আকবর সাজিদের বন্ধু কে?
ক ইংরেজির আল কবির খ উর্দুর আলী মোহাম্মদ
জ হিস্ট্রির আল কবির ঘ জিওগ্রাফির আলী মনসুর
১০১ আসমা নিত্য কী শোনে?
ক কবিতা আবৃত্তি খ রেডিও
জ গুলির শব্দ ঘ রণসংগীত
১০২ কে ছন্দবেশী কুলিদের আস্তানা চেনে?
চ নুরুল হুদা খ ইসহাক গ মিন্টু ঘ সাজ্জাদ
১০৩ সমস্ত ভালোলাগাটা চিড় খায় কখন?
ক গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে ছ বাস ব্রেক কষলে
গ মিলিটারির আগমনে ঘ গোলাগুলি শুরু হলে
১০৪ প্রফেসর নুরুল হুদাকে কী দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল?
ক রাইফেল ছ চাবুক গ লাঠি ঘ ছুরি
১০৫ মিলিটারি যাবতীয় গাড়ি থামিয়ে কী করছে?
চ প্যাসেঞ্জারদের তলাশি করছে
খ গাড়ি ভাঙচুর করছে
গ জিপে করে প্যাসেঞ্জারদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে
ঘ পকেটমারদের আটকাচ্ছে
১০৬ দরজার কড়া নাড়াতে লেখক কীসের আশঙ্কা করেছিলেন?
ক ডাকাতের ছ মিলিটারির গ চোরের ঘ রাজাকারের
১০৭ নুরুল হুদার চড়া বাসে কেমন মিলিটারি উঠল?
ক বেঁটে, কালো খ ফরসা, খাটো
জ লম্বা ও খুব ফরসা ঘ খুব লম্বা ও মোটা
১০৮ প্রফেসর নুরুল হুদা কেন আলহামদুলিলাহ বলেন?
ক আগন্তুক তার আত্মীয় বলে খ আগন্তুক তার শ্যালক মিন্টু বলে
গ আগন্তুক তার স্ত্রী বলে ঝ আগন্তুক মিলিটারি নয় বলে
১০৯ ছুঁচালো চোখের মণি কাঁটার মতো বিঁধে যায় তার মুখে”-কার চোখের মণি কার মুখে বিঁধে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
ক মিলিটারির চোখের মণি, নুরুল হুদার মুখে
ছ ইসহাকের চোখের মণি, মিলিটারির মুখে
গ ইসহাকের চোখের মণি, মিন্টুর মুখে
ঘ মিন্টুর চোখের মণি, ইসহাকের মুখে
১১০ চিনচিনে গলায় গম্ভীর স্বরে কে হাসে?
ক মিলিটারি খ র্উদুর প্রফেসর
জ প্রিন্সিপ্যালের পিওন ঘ রাজাকার
১১১ কলেজের সবাই তটস্থ থাকে কেন?
ক ডাকাতের ভয়ে খ ছাত্রদের বিদ্রোহের ভয়ে
জ মিলিটারির ভয়ে ঘ প্রিন্সিপালের ভয়ে
১১২ নুরুল হুদার চোখের চাহনি কেমন?
ক মায়াবী ছ ভোঁতা কিন্তু গরম
গ অপলক ঘ স্বাভাবিক
১১৩ ‘তাকে এখন মিলিটারির কর্নেল বললেও চলে।’ -এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
চ ইসহাক খ নুরুল হুদা
গ প্রিন্সিপ্যাল ঘ উর্দুর প্রফেসর
১১৪ ‘রেইনকোট’ গল্পে কীসের ঝমঝম বোলে কথা বলা হয়েছে?
ক ঢাকের খ তবলার জ বৃষ্টির ঘ বাতাসের
১১৫ বৃষ্টির মেয়াদ কয়দিন ছিল?
ক দুদিন ছ তিনদিন গ চারদিন ঘ পাঁচদিন
১১৬ ‘মঙ্গলে ভোর রাতে হইল শুরু’- প্রবাদটির পরের অংশ কী?
ক সারাদিন মেঘের গুরুগুরু ছ তিন দিন মেঘের গুরুগুরু
গ ভাবনা চিন্তা হলো শুরু ঘ চুপচাপ থাকে ছাগল গরু
১১৭ ‘শনিতে সাত মঙ্গলে তিন’-বাক্যটির পরের অংশ কী?
ক আর সব তিন দিন খ ভাবনা চিন্তা ছেড়ে দিন
জ আর সব দিন দিন ঘ বাক্স পেটরা গুছিয়ে নিন
১১৮ গল্পে কতদিন ফুটপাত বন্ধ থাকার কথা বলা আছে?
ক দুই দিন ছ তিন দিন গ চার দিন ঘ পাঁচ দিন
১১৯ এটাকে কোন স্টেটমেন্টের কথা বলা হয়েছে?
চ জেনারেল খ ফেডারেল গ মিনারেল ঘ কতবেল
১২০ কীসের শব্দে হেমন্তের শীত শীত পর্দা ছিঁড়ল?
ক কামানের খ রাইফেলের
জ দরজার কড়া নাড়ার ঘ কলিংবেলের
১২১ গল্প অনুসারে কীসের দেয়াল ঘেঁসে ট্র্যান্সফরমার রয়েছে?
ক হাসপাতালের ছ কলেজের
গ স্কুলের ঘ বাড়ির
১২২ নিচের কোন ঋতুর নাম ‘রেইনকোট’ গল্পে উলিখিত আছে?
চ হেমন্ত খ বর্ষা গ বসন্ত ঘ গ্রীষ্ম
১২৩ দরজার কপাট খুললে কে ভিতরে প্রবেশ করে?
ক মিন্টু খ মিলিটারি
জ প্রিন্সিপ্যালের পিওন ঘ উর্দুর প্রফেসর
১২৪ ‘রেইন কোট’ গল্পের প্রেক্ষাপট কী?
ক ১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোলন
খ ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন
গ ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান
ঝ ১৯৭১ সালের গণঅভ্যুত্থান
১২৫ ‘স্যার নে সালাম দিয়া’-কথাটি কে বলেছে?
ক এক খান সেনা খ প্রিন্সিপাল
জ প্রিন্সিপ্যালের পিওন ঘ মিন্টু মামা
১২৬ এই কয়েক মাসে কত সুরাই সে মুখস্থ করেছে। এখানে ‘সে’ সর্বনাম দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক প্রিন্সিপালকে খ আসমাকে
জ নুরুল হুদাকে ঘ ইকবালকে
১২৭ মিলিটারি ক্যাম্পের অবস্থান কোথায়?
ক স্কুল ঘরে খ কলেজের হল রুমে
জ কলেজের ব্যায়ামাগারে ঘ হাসপাতালে
১২৮ ‘দোয়া মনে হলো ঠিকই কিন্তু Ñ মাথায় দিতে ভুলে গেল।’ শ‚ন্যস্থানে উপযুক্ত কোন শব্দটি বসবে?
ক মাথাল ছ টুপিটা গ হেলমেট ঘ পরচুলা
১২৯ প্রিন্সিপ্যালের পিওনের নাম কী?
চ ইসহাক খ এমদাদ গ ফরহাদ ঘ কামাল
১৩০ বাতাস আর বৃষ্টির ঝাপটার সঙ্গে ঘরে ঢোকে কে?
ক আবদুর রহিম খ সাজিদ
জ প্রিন্সিপালের পিয়ন ঘ প্রিন্সিপালের বউ
১৩১ কোন মাসের শুরু থেকে ইসহাক বাংলা বলা ছেড়েছে?
ক মার্চ ছ এপ্রিল গ মে ঘ জুন
১৩২ পিয়ন ঘরে ঢুকলে নুরুল হুদার কী করতে ইচ্ছে করে?
ক দু’গালে চড় থাপ্পড় মারতে
খ জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করতে
জ জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে ইচ্ছে করে
ঘ মিলিটারি ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিতে
১৩৩ প্রিন্সিপালের কোয়ার্টার কোথায় অবস্থিত?
ক কলেজের পুকুর পাড়ের বাঁ দিকে
খ কলেজের বাগানের দক্ষিণ পাশে
জ মাঠ পেরিয়ে একটু বাঁ দিকে
ঘ কলেজের ক্লাবের দেয়াল ঘেঁষে বাঁ দিকে
১৩৪ গল্প অনুসারে গ্রামেগঞ্জে প্রথমে কীসের দিকে কামান তাক করে পাক মিলিটারি?
চ শহিদ মিনারের খ স্কুলের
গ মন্দিরের ঘ মানুষের
১৩৫ “কলেজের দেওয়াল ঘেঁষে কারা বোমা ফাটিয়ে গেছে?”Ñনুরুল হুদার এই প্রশ্ন কার উদ্দেশে?
চ পিয়নের খ সাজিদের গ ইকবালের ঘ সিপাইয়ের
১৩৬ কে শহিদ মিনারকে পকিস্তানের শরীরের কাঁটা বলেছে?
ক ইসহাক খ মিন্টু জ প্রিন্সিপাল ঘ নুরুল হুদা
১৩৭ হাঁপানির টান আছে কার?
ক আসমার ছ নুরুল হুদার
গ প্রিন্সিপালের ঘ আব্দুস সাত্তার মৃধার
১৩৮ নুরুল হুদার মেয়ের বয়স কত?
চ আড়াই বছর খ তিন বছর
গ চার বছর ঘ পাঁচ বছর
১৩৯ “নিজের চাপরাশির সঙ্গে নতুন জবান লব্জ করতে গিয়ে তার গলায় রক্ত উঠে যায়।” এখানে তার শব্দটি দিয়ে কাকে নির্দেশ করা হয়েছে?
ক আবদুস সাত্তার মৃধাকে ছ নুরুল হুদার
গ প্রিন্সিপালকে ঘ মিলিটারি কর্নেলকে
১৪০ ইসহাক এপ্রিল মাস থেকে কোন ভাষায় কথা বলে?
ক ফারসি খ হিন্দি গ বাংলা ঝ উর্দু
১৪১ মিন্টু কত তারিখে মুক্তিযুদ্ধে গেল?
ক ২৩শে এপ্রিল ছ ২৩শে জুন
গ ২০-শে আগস্ট ঘ ২৫শে আগস্ট
১৪২ ইসহাক কোন মাস থেকে বাংলা বলা ছেড়ে দিয়েছে?
ক মার্চ মাস থেকে ছ এপ্রিল মাস থেকে
গ ডিসেম্বর মাস থেকে ঘ ফেব্রæয়ারি মাস থেকে
১৪৩ নুরুল হুদার স্ত্রীর ভাইয়ের নাম কী?
চ মিন্টু খ রিন্টু গ সেন্টু ঘ পল্টু
১৪৪ বৌ কার রেইনকোট নিয়ে যেতে বললেন?
ক ইসহাকের ছ মিন্টুর গ তার ছেলের ঘ প্রতিবেশীর
১৪৫ ‘রেইনকোট’ গল্পে মিলিটারি বাহিনীর নেতৃত্বে আছেন কে?
চ কর্নেল সাহেব খ ইসহাক
গ প্রিন্সিপাল নিজেই ঘ আব্দুস সাত্তার মৃধা
১৪৬ ‘রেইনকোট’ গল্পে কলেজটা এখন কাদের দখলে আছে?
ক শিক্ষকদের খ ছাত্রদের
জ মিলিটারিদের ঘ মুক্তিবাহিনীর
১৪৭ ‘এই বৃষ্টিতে ছাতায় কুলাবে না গো- কথাটি কে বলেছেন?
ক প্রিন্সিপাল খ মিন্টু
জ নুরুল হুদার স্ত্রী ঘ ইসহাক
১৪৮ ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দটি দ্বারা কাদেরকে বুঝিয়েছে?
ক বাংলার নারীদের খ দালালদের
গ পাকবাহিনীকে ঝ মুক্তিবাহিনীকে
১৪৯ গল্প অনুসারে মিরপুর ব্রিজের দিক দিয়ে কীসের আওয়াজ আসছিল?
ক কামানের খ বোমার জ গুলির ঘ কান্নার
১৫০ কলেজের জিমন্যাশিয়াম এখন কী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে?
ক পিওনের বাসা খ প্রিন্সিপালের কোয়ার্টার
জ মিলিটারি ক্যাম্প ঘ মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প
১৫১ গল্পটিতে কোন রাশিয়ান জেনারেলের নাম উলেখ আছে?
চ জেনারেল উইনটার খ জেনালের হন্টিং
গ জেনারেল সাজ্জাদ ঘ জেনারেল মার্টিন
১৫২ ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘মিন্টু’ কে?
ক নুরুল হুদার ভাই ছ আসমার ভাই
গ কলেজ শিক্ষক ঘ পিয়ন
১৫৩ ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ’ কথাটি কতবার বলেছিল?
ক একবার ছ দুবার গ তিনবার ঘ চারবার
১৫৪ “তুমি বরং মিন্টুর রেইনকোটটা নিয়ে যাও।” কাকে উদ্দেশ করে আসমা উক্তিটি করে?
চ নুরুল হুদাকে খ পিয়নকে
গ প্রিন্সিপালকে ঘ ইকবালকে
১৫৫ ছাদে লাগানো একটা আংটার সাথে কাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো?
ক ইসহাককে ছ নুরুল হুদাকে গ মিন্টুকে ঘ প্রিন্সিপালকে
১৫৬ রাতে দুই-চারবার গুলির আওয়াজ না শুনলে ঘুম হয় না কার?
ক নুরুল হুদার খ মিন্টুর জ আসমার ঘ ইকবালের
১৫৭ ‘রেইনকোট’ গল্পে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর কে?
ক কর্নেল খ মুক্তিবাহিনী জ প্রেসিডেন্ট ঘ মিলিটারি
১৫৮ মিসক্রিয়েন্টরা কী ছদ্মবেশে কলেজে ঢুকেছেন?
চ কুলির খ ভিখারির গ ডাক্তারের ঘ ছাত্রের
১৫৯ পাকিস্তানি বাহিনী গ্রামেগঞ্জে গিয়েই প্রথমে কীসের দিকে কামান তাক করেছে?
ক ধন-সম্পদের দিকে খ মুক্তিবাহিনীর দিকে
জ শহিদ মিনারের দিকে ঘ মেয়েলোকের দিকে
১৬০ কে দ্বিতীয়বার আলাহকে ডাকার সুযোগ পেলেন?
ক মিন্টু খ নুরুল হুদা জ মোয়াজ্জিন ঘ ইসহাক
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
১৬১ ‘ক্যায়সে’ শব্দের অর্থ কী?
ক ক্যামনে ছ কীভাবে গ কী করে ঘ কী জন্য
১৬২ ‘ট্রান্সপারেন্ট’ শব্দের অর্থ কী?
চ স্বচ্ছ খ সজীব গ সতেজ ঘ নির্মল
১৬৩ ‘শনিতে সাত মঙ্গলে তিন, আর সব দিন দিন- বাক্যটিকে বাংলা সাহিত্যে কী বলে?
চ প্রবাদ খ ছড়া গ গান ঘ টপ্প
১৬৪ নিচের কোন শব্দটি ভিন্নার্থক?
ক বন্য খ প্লাবন গ সয়লাব ঝ বন্যা
১৬৫ নিচের কোনটি ‘মেঘ’- এর সমার্থক শব্দ?
ক বারিধি ছ জলদ গ পয়োধি ঘ বারি
১৬৬ ‘নেহি’ শব্দটি নিচের কোন ভাষায় ব্যবহৃত হয়?
ক বাংলা ছ উর্দু গ তামিল ঘ ইংরেজি
১৬৭ ‘ক্যাম্প’ শব্দটি কোন ভাষার?
ক হিন্দি খ ফারসি গ উর্দু ঝ ইংরেজি
১৬৮ “খামোশ মেরে যাওয়া” মানে কী?
ক ভয় পাওয়া খ ভয় দেখানো
গ ধমক মেরে দেওয়া ঝ স্তব্ধ হয়ে চুপচাপ থাকা
১৬৯ “বলিয়ে জেনারেল সাহাবকোঁ মেহেরবানি।”Ñকথাটি কে কাকে বলেছে?
ক ড. আফাজ, ইসহাককে
খ মিলিটারির জাদরেল মেজর, ড. আফাজকে
জ আকবার সাজিদ, ড. আফাজকে
ঘ মিলিটারির জাঁদরেল মেজর, নুরুল হুদাকে
১৭০ “জি হাঁ। আপনার মেহেরবানি।”Ñ কথাটি কে, কাকে বলেছে?
ক ড. আফাজ, মিলিটারিকে
ছ ড. আফাজ, আকবর সাজিদকে
গ ড. আফাজ, কলেজের স্টাফ ও শিক্ষকদের
ঘ ইসহাক, ড. আফাজকে
১৭১ “আপকা তবিয়ৎ ভালো হ্যায়”-বাক্যের অর্থ কী?
ক আপনার ভবিষ্যৎ ভালো তো ছ আপনার শরীর ভালো তো
গ আপনার মন ভালো তো ঘ আপনার কী খবর?
১৭২ ‘আমলে দেওয়া’ বলতে বোঝায়Ñ
চ পাত্তা দেওয়া খ সম্মান করা
গ অনুসরণ করা ঘ দাম দেওয়া
১৭৩ ‘তোয়াজ’ শব্দটির সমার্থক নয় কোনটি?
ক স্বার্থসিদ্ধির জন্য যতœ খ স্বার্থসিদ্ধির জন্য খাতির
জ স্বার্থসিদ্ধির জন্য বেইমানি করা ঘ স্বার্থসিদ্ধির জন্য মনোরঞ্জন
১৭৪ ‘আলগোছে’ শব্দটির ভিন্নার্থক কোনটি?
ক অসংলগ্নভাবে খ সন্তর্পণে
গ স্পর্শদোষ বাঁচিয়ে ঝ আলগা করে
১৭৫ ‘টুঁ শব্দটি না করা’ বাগধারাটির অর্থ কী?
ক চুপচাপ লুকিয়ে থাকা খ প্রচÐ আঘাতের শব্দ
জ কোনো প্রতিবাদ না করা ঘ নীরব থাকা
১৭৬ ‘রেইনকোট’ গল্পে ব্যবহৃত দ্বিরুক্তি শব্দযুগল কোনটি?
ক দমদম, টপটপ খ দমাদম. চুপচাপ
জ দমাদম, টপাটপ ঘ দমাদম, হেঁ হেঁ
১৭৭ “আব্বু ছোট মামা হয়েছে”Ñকথাটির অর্থ কী?
ক আব্বুকে জানানো হচ্ছে ছোট মামা সম্পর্কে
ছ আব্বুকে ছোট মামার মতো লাগছে
গ আব্বু আর ছোট মামার একাত্মতা
ঘ আব্বুর সাথে ছোট মামার বৈসাদৃশ্য
১৭৮ ‘হরদম’ শব্দটি কোন রীতির?
ক বাংলা খ আরবি গ পর্তুগিজ ঝ ফারসি
১৭৯ নিচের কোনটি ‘চাপরাশি’ শব্দের সমার্থক নয়?
ক পেয়াদা খ আরদালি গ পিয়ন ঝ আইনজীবী
১৮০ ইসহাক কোন মাস থেকে বাংলা বলা ছেড়ে দিয়েছে?
ক মার্চ মাস থেকে ছ এপ্রিল মাস থেকে
গ ডিসেম্বর মাস থেকে ঘ ফেব্রæয়ারি মাস থেকে
১৮১ ‘তটস্থ’ শব্দের ভিন্নার্থক কোনটি?
ক বিচলিত খ ভীত গ অতিব্যস্ত ঝ স্থির হওয়া
১৮২ ‘খোদ’ শব্দটির সমার্থক নয় কোনটি?
ক আপন খ নিজে গ আত্ম ঝ খোদা
১৮৩ ‘মিসক্রিয়ান্ট’ অর্থ কী?
ক বিশ্বাসী, বিশ্বস্ত ছ দুর্বৃত্ত, দু®কৃতিকারী
গ রাজাকার, দালাল ঘ জ্ঞানী, বিজ্ঞ
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
১৮৪ ‘রেইনকোট’ গল্পটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
ক ১৯৯৩ সালে খ ১৯৯৪ সালে
জ ১৯৯৫ সালে ঘ ১৯৯৬ সালে
১৮৫ ‘রেইনকোট’ গল্পটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কোন গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত?
ক খোয়ারি খ দুধভাতে উৎপাতে
গ অন্য ঘরে অন্য স্বর ঝ জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল
১৮৬ ‘রেইনকোট’ গল্প মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কোন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে রচিত?
চ ঢাকা খ গাজীপুর গ রংপুর ঘ গাইবান্ধা
১৮৭ রেইন কোটটি কীসের প্রতীক?
ক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার খ মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্ন প‚রণের
গ মুক্তি যোদ্ধাদের একত্রিত হওয়ার
ঝ স্বাধীনতার প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার
১৮৮ প্রিন্সিপালের বাড়ির গেটে বোমা ফেলার অর্থ কী?
ক মুক্তিবাহিনীকে আটক করা খ মিলিটারি ক্যাম্প আটক করা
গ মিলিটারিদের সাহায্য করা ঝ মিলিটারি ক্যাম্প অ্যাটাক করা
১৮৯ ‘তাকে এখন মিলিটারির কর্নেল বললেও চলে।’ Ñএখানে কার কথা বলা হয়েছে?
চ ইসহাক খ নুরুল হুদা
গ প্রিন্সিপ্যাল ঘ উর্দুর প্রফেসর
১৯০ প্রিন্সিপ্যাল দিনরাত দোয়া দরুদ পড়ছে কেন?
চ পাকিস্তানের জন্য খ বাংলাদেশের জন্য
গ মুক্তিবাহিনীর ভয়ে ঘ রাজাকারের ভয়ে
১৯১ প্রিন্সিপ্যালের মতে পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা কী?
ক মুক্তিবাহিনী ছ শহিদ মিনারগুলো
গ মন্দিরগুলো ঘ মসজিদগুলো
১৯২ মিন্টুর সাথে নুরুল হুদার সম্পর্ক কী?
চ শালা-দুলাভাই খ মামা-ভাগ্নে
গ জামাই-শ্বশুর ঘ দুলাভাই-শালা
১৯৩ প্রফেসর নুরুল হুদার কতজন সন্তান?
চ দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৯৪ নুরুল হুদার কোন জিনিসটি বাসের সবাইকে ঘাবড়ে দিল?
ক কথাবার্তা ছ রেইনকোট
গ চালচলন ঘ রক্তচক্ষুর চাহনি
১৯৫ নুরুল হুদার বউয়ের ঘনঘন বাসা পাল্টানোর কারণ কী?
ক অভ্যাসের দোষ
ছ ভাই মিন্টু মুক্তিযোদ্ধা তাই
গ নিত্য নতুন জায়গায় থাকতে চায় তাই
ঘ ভাড়া কম লাগে তাই
১৯৬ প্রফেসর নুরুল হুদার কয়টি ছেলে এবং কয়টি মেয়ে?
চ একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে
খ তিনটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে
গ চারটি ছেলে ঘ পাঁচটি ছেলে
১৯৭ মিলিটারিরা যাবতীয় গাড়ি কেন থামাচ্ছে?
ক নিরাপত্তার জন্য ছ মানুষ মারার জন্য
গ ভীত হয়ে ঘ কারফিউর জন্য
১৯৮ গল্পে মিসক্রিয়েন্ট কাদের বলা হয়েছে?
ক ডাকাতদের খ সন্ত্রাসীদের
গ হানাদারদের ঝ মুক্তিযোদ্ধাদের
১৯৯ কে কলেজের টিচারদের মধ্যে নুরুল হুদার নাম বলেছে?
চ কুলিরা খ শিক্ষকরা গ প্রিন্সিপ্যাল ঘ ইসহাক
২০০ নুরুল হুদা অবাক হয়ে কেন তাকিয়ে থাকে?
চ বিহŸলতায় খ রাগে গ অবিশ্বাসে ঘ চালাকি করে
২০১ চাবুকের বাড়ি নুরুল হুদার উৎপাত মনে হয় কেন?
চ বিরতিহীনভাবে পড়তে থাকায় খ চৈতন্য হারিয়ে ফেলাতে
গ অত্যাচারের তীব্রতায় ঘ বিরক্তিতে
২০২ “কিন্তু তার ওম তার শরীরে এখনো লেগেই রয়েছে।”-বাক্যে রেইনকোটের ওমের ইঙ্গিতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক রেইনকোটের ভেতরের তাপ
ছ মিন্টুর মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে
গ প্রিন্সিপালের শক্ত আদেশ
ঘ মিলিটারিদের জুলুমের চিরস্থায়ী ওম
২০৩ সপাং সপাং চাবুকের বাড়িকে নুরুল হুদার কী মনে হচ্ছে?
ক যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর রেইনকোটের উপর
ছ যেন টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ
গ প্রিন্সিপালের শক্ত আদেশ
ঘ মিলিটারিদের জুলুমের চিরস্থায়ী ওম
২০৪ মিসক্রিয়ান্টদের ঠিকানা বলে দিলে নুরুল হুদাকে ছেড়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে তাকে কী খাওয়ানো হয়?
ক দুধ-কলা ছ পাউরুটি-দুধ গ দুধ-ভাত ঘ দই-চিড়া
২০৫ “বাংলার বর্ষা তো শালারা জানে না। রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইনটার, আমাদের জেনারেল মনসুন।”-কথাটি কে বলেছিল?
ক এক কুলি ছ স্টাফরুমের কলিগ
গ ছদ্মবেশী ছেলে ঘ মিন্টু
২০৬ নুরুল হুদা মৌন মিলিটারিকে আরেকটু নিশ্চিত করে কীভাবে?
ক নুরুল হুদার ভ্যাবাচ্যাকা মুখ দেখে
খ নুরুল হুদার অপরাধী ভাব দেখে
জ নুরুল হুদার উৎসাহিত হয়ে এদিক-ওদিক তাকানো দেখে
ঘ নুরুল হুদার স্বীকারোক্তিতে
২০৭ মিসক্রিয়ান্টরা কলেজে কী বেশে ঢুকেছিল?
ক ফকিরের ছদ্মবেশে ছ কুলির ছদ্মবেশে
গ পাগলের ছদ্মবেশে ঘ দরবেশের ছদ্মবেশে
২০৮ “আগে বাড়ো”Ñড্রাইভারকে কে এই নির্দেশনা দেয়?
ক ইসহাক ছ মিলিটারি
গ মিন্টু ঘ চোর ও পকেটমার
২০৯ ‘রেইনকোট’ গল্পে পানির দেশ বলা হয়েছে কোনটিকে?
ক পাকিস্তান ছ বাংলাদেশ গ ভারত ঘ মায়ানমার
২১০ নুরুল হুদার বেঁটেখাটো শরীরটাকে মিলিটারিরা কী করে?
ক পিটিয়ে লম্বা করে খ গরম পানিতে ডোবায়
জ ছাঁদে লাগানো আংটার সাথে ঝুলিয়ে দেয়
ঘ ফাঁসি দেয়
২১১ কলেজের জন্য কেনা আলমারিগুলো কোন গাড়ি করে নিয়ে আসা হয়?
ক ট্রাক খ পিকআপ জ ঠেলাগাড়ি ঘ বাস
২১২ কোন দুজনের চোখ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল?
ক প্রফেসর নুরুল হুদার ও প্রিন্সিপালের
খ নুরুল হুদা ও আবদুস সাত্তার মৃধার
জ প্রিন্সিপাল ও আকবর সাজিদের
ঘ প্রিন্সিপাল ও আবদুস সাত্তার মৃধার
২১৩ মিসক্রিয়ান্টরা কলেজে কী বেশে ঢুকেছিল?
ক ফকিরের ছদ্মবেশে ছ কুলির ছদ্মবেশে
গ পাগলের ছদ্মবেশে ঘ দরবেশের ছদ্মবেশে
২১৪ নুরুল হুদা বাস থেকে কোথায় নামে?
ক আসাদ গেট খ নীলক্ষেত
জ নিউমার্কেট ঘ ঢাকা কলেজের গেট
২১৫ প্রিন্সিপালের সিংহাসন-মার্কা চেয়ারে কে বসে রয়েছে?
ক প্রিন্সিপাল
ছ জাঁদরেল টাইপের মিলিটারি পাÐা
গ আকবর সাজিদ ঘ মিসক্রিয়ান্টদের নেতা
ঙ বহুপদী সমাপ্তিস‚চক প্রশ্নোত্তর :
বহুপদী সমাপ্তিস‚চক প্রশ্নোত্তর
২১৬ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লেখার সংখ্যা বৃদ্ধির উপর জোর দেননি কারণÑ
র. গুণগত মান বজায় রাখতে চেয়েছেন
রর. বেশি লেখা পছন্দ করতেন না
ররর. বেশি লিখতে পারতেন না
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৭ লেখকের লিখিত উপন্যাস হলোÑ
র. চিলেকোঠার সেপাই
রর. খোয়াবনামা
ররর. অন্য ঘরে অন্য স্বর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৮ বৌয়ের ভাইয়ের জন্য নুরুল হুদাকে তটস্থ থাকতে হয় কারণÑ
র. সে একজন মুক্তিযোদ্ধা
রর. সে একজন রাজাকার
ররর. মুক্তিযোদ্ধার আত্মীয় বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর ও ররর খ র ও রর জ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৯ ‘রেইনকোট’ গল্পে প্রকাশিত হয়েছেÑ
র. পাকিস্তানিদের নৃশংসতা
রর. যুদ্ধকালীন অবস্থা
ররর. বাঙালির সংগ্রামী চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২২০ মোয়াজ্জিন সাহেব দ্বিতীয়বার যে কারণে আলাহর মহত্ত¡ ঘোষণা করতে পারেন নিÑ
র. মিলিটারিরা হত্যা করায়
রর. মাইক্রোফোন নষ্ট হওয়ায় ররর. বিদ্যুৎ না থাকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২১ নুরুল হুদা যে কারণে অত্যাচার সহ্য করেও চুপ করে থাকেÑ
র. দেশপ্রেমের জন্য
রর. সংগ্রামী চেতনার জন্য
ররর. কিছু জানতেন না তাই
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২২ ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘প্রিন্সিপাল’ চরিত্র সম্বন্ধে বলা যেতে পারেÑ
র. ভীতু রর. দেশ বিরোধী ররর. তোষামুদে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২২৩ ‘পাকিস্তান যদি বাঁচাতে হয় তো স্কুল কলেজ থেকে শহিদ মিনার হটাও।’ প্রিন্সিপাল উক্তিটি করেছিলেনÑ
র. মিলিটারিদের চোখে নিজেকে ভালো করার জন্য
রর. তোষামোদের জন্য
ররর. বাংলাভাষাকে ধ্বংস করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৪ ‘মিসক্রিয়েন্টরা সব খতম’Ñ এখানে মিসক্রিয়েন্ট বলতে বোঝানো হয়েছেÑ
র. মুক্তিযোদ্ধাদের রর. মুক্তিফৌজদের
ররর. মুক্তিযোদ্ধার বন্ধুদের
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৫ ‘রেইনকোটটি’ ম‚লতÑ
র. মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার প্রতীক
রর. প্রতিবাদের ও সাহসের প্রতীক
ররর. অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২২৬ ‘যাক, মিন্টুর রেইনকোটে তার কাজ হচ্ছে।’ নুরুল হুদার কাছে এ বিষয়টি মনে হওয়ার পিছনে কারণ ছিলÑ
র. রেইকোটটি মিলিটারির মতো দেখাচ্ছে
রর. রেইনকোটটি সকলকে সতর্ক করে দিচ্ছে
ররর. রেইনকোটটি রক্তে ভরা ছিল এ জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৭ লেকচারার নুরুল হুদা সম্পর্কে সমর্থনযোগ্যÑ
র. অরাজনৈতিক চরিত্র রর. অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন
ররর. তোষামুদে চরিত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৮ ‘সেও তার চোখের ভোঁতা কিন্তু গরম চাটনিটাকে স্থির করে আলগোছে বিছিয়ে দেয় মিলিটারির খাড়া নাকে।’ এখানে নুরুল হুদা চরিত্রটিতে যে ধরনের অনুভ‚তি কাজ করে তা হলোÑ
র. সাহসিকতার রর. অন্যায় প্রতিরোধের
ররর. মাথা নত না করার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২২৯ ভীতু ‘নুরুল হুদা’ প্রকৃতপক্ষে ধীরে ধীরে সাহসী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হনÑ
র. রেইনকোটটি পরার পর
রর. মুক্তিযোদ্ধার দলে নিজেকে সদস্য হিসেবে কল্পনা করায়
ররর. মিন্টুর উপস্থিতি অনুভব করায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২৩০ ‘রেইনকোট’ গল্পে মিলিটারিরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিিহ্নত করেÑ
র. কুলিদের রর. মিসক্রিয়েন্টদের ররর. বাসের যাত্রীদের
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩১ ‘তাদের সঙ্গে তার আঁতাত রাখার উত্তেজনায় নুরুল হুদার ঝুলন্ত শরীর এতটাই কাঁপে যে চাবুকের বাড়ির দিকে তার মনোযোগ দেওয়া ওঠে না।’ এখানে উত্তেজনাটি ম‚লতÑ
র. দেশকে মুক্ত করার রর. নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা কল্পনা করার
ররর. মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নিজেকে উজ্জীবিত করার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩২ ‘রেইনকোট’ গল্পে ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদা মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দিলে তার মধ্যে সঞ্চারিত হয়Ñ
র. উষ্ণতা রর. সাহস ররর. দেশপ্রেম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২৩৩ ‘রেইনকোট’ গল্পে ফুটে উঠেছেÑ
র. পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ
রর. পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর নিপীড়ন
ররর. গেরিলা আক্রমণের ঘটনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
২৩৪ ‘রেইনকোট’ গল্পটি পাঠ করে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেÑ
র. মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা আক্রমণের স্বর‚প
রর. মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা
ররর. একজন সাধারণ ব্যক্তির মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
* নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৩৫-২৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
রাশেদ দুই মাস হলো বাড়ি ছাড়া। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সে নিখোঁজ। মাস তিনেক পরে হঠাৎ একদিন এসে হাজির সাথে কয়েকজন যুবক নিয়ে। তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। তা দিয়ে তারা দেশকে শত্রæ মুক্ত করতে চায়।
২৩৫ ‘রেইনকোট’ গল্পমতে রাশেদ কী?
চ মিসক্রিয়েন্ট খ রাজাকার গ দেশদ্রোহী ঘ আল-বদর
২৩৬ উদ্দীপকের রাশেদ ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?
ক নুরুল হুদা ছ মিন্টু গ প্রিন্সিপ্যাল ঘ ইসহাক
২৩৭ উদ্দীপকের রাশেদ ও গল্পের মিন্টু চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. দেশপ্রেম রর. সংগ্রামী চেতনা ররর. স্বার্থপরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
* নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৩৮-২৪০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
জিনাত আলী গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে পাকহানাদারদের জন্য খবর সংগ্রহ করে। সে চায় পাকিস্তানের অখÐতা। তাই সে পাকসেনাদের সহায়তা করে।
২৩৮ জিনাত আলী ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রকে স্মরণ করিয়ে দেয় ?
ক ইসহাক খ নুরুল হুদা গ মিন্টু ঝ প্রিন্সিপ্যাল
২৩৯ জিনাত আলী ও প্রিন্সিপ্যাল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার কাদের প্রতিনিধি?
ক সাধারণ মানুষের ছ রাজাকারদের
গ হানাদারদের ঘ মুক্তিযোদ্ধাদের
২৪০ জিনাত আলী ও প্রিন্সিপ্যাল চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. স্বার্থান্বেষী মনোভাব
রর. দেশের মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
ররর. স্বদেশ প্রেম
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৪১ ও ২৪২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ
নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ,
মুÐুহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বীভৎস শরীর
ভেসে ওঠে চোখের ভিতরেÑ আমি ঘুমুতে পারি না।’
২৪১ ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন বিষয়টির সঙ্গে উদ্দীপকের মিল পাওয়া যায়
ক বাঙালির বীরত্ব ছ পাকবাহিনীর বর্বরতা
গ বাঙালির দেশপ্রেম ঘ বাঙালির দুঃস্বপ্ন
২৪২ উপরের উদ্দীপকটি কবি মনের স্বাজাত্যবোধের চেতনা ‘রেইনকোট’ গল্পের শেষভাগে কার মধ্যে লক্ষ করা যায়?
ক প্রিন্সিপ্যালের ছ লেকচারার নুরুল হুদার
গ পিওনের ঘ আবদুস সাত্তার মৃধার
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৪৩ ও ২৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘শাসকের শোষকের পীড়কের নিষ্ঠুর পীড়ন
রোধিতে ওরা করেছে পণ’
২৪৩ উদ্দীপকে ‘ওরা’ রেইনকোট’ গল্পে কাদের সাথে সাদৃশ্যপ‚র্ণ?
চ মিসক্রিয়েন্ট খ মিলিটারি
গ প্রফেসর ঘ বাসের যাত্রী
২৪৪ উদ্দীপকের চেতনা কীভাবে ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে?
ক মিলিটারিদের অত্যাচারের জবাব দেওয়ায়
ছ মিলিটারিদের সাথে আপস না করায়
গ কুলিদের জন্য গভীরভাবে ভাবায়
ঘ রেইনকোটটি নিয়ে প্রতিবাদ করায়
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৪৫ ও ২৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো ছিল ভঙ্কর অনিশ্চয়তায় ভরা। কেউ যুদ্ধ করেছে প্রাণপণে, আবার কেউ পাকিস্তানি হানাদারদের ভয়ে তাদের তোষামোদ করেছে। আবার কেউবা ভয়কে জয় করে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে।
২৪৫ উদ্দীপকটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত মানুষগুলোর সঙ্গে ‘রেইনকোট’ গল্পে কার সাদৃশ্য রয়েছে?
ক প্রিন্সিপ্যাল ছ নুরুল হুদা
গ মিন্টু ঘ আকবর সাজিদ
২৪৬ নুরুল হুদার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাদৃশ্যে বিষয়টি কোন দিক থেকে যৌক্তিক?
ক মিলিটারিদের সঠিক উত্তর না দেয়া
ছ নিজেকে কল্পনায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ ভাবা
গ বাসযাত্রীদের রাজাকার ভাবা
ঘ মিন্টুর রেইনকোটটি পরা
ক্স অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৪৭ ও ২৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বস্ব হারিয়ে নির্ঝর আজ দার্শনিক হয়ে উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের বাঁশি বাজানোর কথা মনে করে একদিন কথায় কথায় বলে ওঠেÑ‘শারীরিক উপস্থিতি মানেই কাছে থাকা নয়, মুক্তিযোদ্ধারা আমার অন্তরে গভীরে এ বাঁশির সুরের মতোই মিশে আছে।’
২৪৭ উদ্দীপকটিতে মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের বাঁশি যেমন সকল মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতি তেমনি ‘রেইনকোট’ গল্পের রেইনকোটটি কার মনে সকল মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতি নির্দেশ করে?
ক প্রিন্সিপ্যাল খ আসমা
জ নুরুল হুদা ঘ আকবর সাজিদ
২৪৮ উদ্দীপক এবং রেইনকোট গল্পে ম‚লত কোন বিষয়টি আমাদের মনে দাগ কাটে?
চ স্বজাত্যবোধ ও দেশপ্রেম খ স্বজন হারানোর বেদনা
গ মুক্তিযুদ্ধের নির্মমতা ঘ মুক্তিযুদ্ধের ঘটন
রিভিশন অংশ (জবারংরড়হ)
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাÐারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপ‚র্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানম‚লক এবং অনুধাবনম‚লক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলেখ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চ‚ড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্প‚র্ণ হয়ে যাবে।
বাড়ির কাজ
চ‚ড়ান্ত প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ের যেসব গুরুত্বপ‚র্ণ অংশ জবারংরড়হ দিতে হবেÑ
‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত মিন্টুর রেইনকোটের বর্ণনা দাও।
‘রেইনকোট’ গল্পের মোয়াজ্জিন সাহেবের করুণ পরিণতি তুলে ধর।
‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত প্রিন্সিপালের দেশদ্রোহিতার পরিচয় দাও।
‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত শহিদ মিনার সম্পর্কে ড. আফাজের ভাবনা তুলে ধর।
‘রেইনকোট’ গল্পে রেইনকোটের প্রতীকী তাৎপর্য তুলে ধর।
‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ণিত মুসলমানদের মিলিটারির অত্যাচারের বর্ণনা দাও ।
‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপালের প্রতি এদেশবাসীর জাগ্রত ঘৃণ্য মনোভাব তুলে ধর।
‘রেইনকোট’ গল্পে শহিদ মিনার সম্পর্কে ড. আফাজের ভাবনার নেতিবাচক দিকের বর্ণনা দাও।
গুরুত্বপ‚র্ণ তথ্যকণিকা
‘রেইনকোট’ গল্পের কথক নুরুল হুদা কলেজে রসায়নের লেকচারার পদে নিয়োজিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি নিরপরাধ হয়েও হানাদারদের হাতে নির্যাতিত হন।
মুক্তিবাহিনীরা রাতে কলেজের মিলিটারি ক্যাম্পে হামলা চালালে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন হিসেবে নুরুল হুদাকে চিিহ্নত করা হয়।
কলেজের পিওন এক সকালে নুরুল হুদাকে ডাকতে আসে। বৃষ্টির দিন হওয়ায় নুরুল হুদার স্ত্রী আসমা তাঁর ভাইয়ের রেইনকোট স্বামীকে পরতে দেয়।
রেইনকোট পরার পর সাধারণ মানুষ নুরুল হুদাকে আর সাধারণ মনে হয় না। মনে হয় মুক্তিবাহিনী। রাস্তায় মানুষের তী²দৃষ্টি আর ফিসফিস গুজব এবং নুরুল হুদার চিন্তার বলয়ে তার স্পষ্ট প্রকাশ ঘটে।
কলেজের প্রিন্সিপাল ড. আফাজ আহমদ একজন রাজাকার। নুরুল হুদাকে সহেন্দহভাজন হিসেবে সনাক্ত করার পেছনে তার ভ‚মিকাই সবচেয়ে বেশি।
কলেজে যাওয়ার পর হানাদাররা নুরুল হুদাকে সন্দেহভাজন হিসেবে হামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ভীরু প্রকৃতির নুরুল হুদাও স্বীকার করে যে, সে মিসক্রিয়েন্টদের ঠিকানা জানে।
এক পর্যায়ে যখন হানাদাররা নুরুল হুদার রেইনকোট খুলে ছাদের আংটার সাথে ঝুলিয়ে মারতে থাকে, তখন তার মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন আসে, ম‚লত মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট নুরুল হুদার মনে এই পরিবর্তন আনে।
হঠাৎ অসীম সাহসী হয় ওঠা নুরুল হুদা অমানুষিক নির্যাতনকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা লাভ করে। নির্যাতনের মুহ‚র্তে নিজেকে সে মুক্তিযোদ্ধা ভাবতে শুরু করে।
সাধারণ বিবৃতির ইংরেজি পরিভাষা হলো জেনারেল স্টেটমেন্ট (এবহবৎধষ ঝঃধঃবসবহঃ), আর (ঝঢ়ধপরভরপ ঈষধংংরভরপধঃরড়হ) স্পেসিফিক ক্লাসিফিকেশন মানে সুনির্দিষ্ট শ্রেণিকরণ।
মিসক্রিয়েন্ট অর্থ দুষ্কৃতিকারী। এ গল্পে মিসক্রিয়েন্ট দ্বারা গেরিলা যোদ্ধাদের বোঝানো হয়েছে। ওয়েলডিং ওয়ার্কশপ অর্থ ঢালাই কারখানা।
সাব সার্ভিস অ্যাকটিভিটিজ (ঝঁন-ংবৎারপব ধপঃরারঃরবং) বলতে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাÐকে বোঝায়। ট্রান্সপারেন্ট (ঞৎধহংঢ়ধৎবহঃ) অর্থ স্বচ্ছ।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। পরবর্তীতে এটি ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’ নামক গল্পগ্রন্থে সংকলিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এ গল্পটি একজন সাধারণ শিক্ষককে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও হানাদারদের হাতে নির্যাতিত হন।
এ গল্পে ‘রেইনকোট’ প্রতীকী চেতনা হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। নুরুল হুদার শ্যালক একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার রেইনকোট গায়ে দেয়ার পর সাধারণ শিক্ষক নুরুল হুদার চেতনাতেও সঞ্চারিত হয় মুক্তিযুদ্ধের জ্বালাময়ী অনুভব।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানম‚লক প্রশ্নোত্তর
১ ‘রেইনকোট’ গল্পটির রচয়িতা কে?
উত্তর : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
২ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৩ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : গোটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৪ ইসহাক কোন বিষয়ের প্রফেসরের বাড়ির দিকে রওনা হলো?
উত্তর : জিওগ্রাফির প্রফেসরের বাড়ির দিকে রওনা হলো।
৫ কাকে দেখে কলেজের সবাই তটস্থ?
উত্তর : ইসহাক মিয়াকে দেখে।
৬ কোন মাসের শুরু থেকে ইসহাক বাংলা বলা ছেড়ে দিয়েছে?
উত্তর : এপ্রিল মাসের শুরু।
৭ কে দিনরাত উর্দু বলে?
উত্তর : ইসহাক মিয়া।
৮ কে পাকিস্তানিদের জন্য দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ছে?
উত্তর : কলেজের প্রিন্সিপাল।
৯ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
উত্তর : আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস।
১০ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
১১ কাকে জড়িয়ে ধরে নুরুল হুদার চুমু খেতে ইচ্ছা করছে?
উত্তর : পিওনকে।
১২ রেডিও, টেলিভিশনে হরদম কী বলছে?
উত্তর : হরদম বলছে সিচ্যুয়েশন নর্মাল।
১৩ নুরুল হুদার স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর : আসমা।
১৪ ‘মিন্টু কার ভাই?
উত্তর : আসমার ভাই।
১৫ কার জন্য নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয়?
উত্তর : মিন্টুর জন্য।
১৬ নুরুল হুদা কতবার বাড়ি পাল্টায়?
উত্তর : চারবার বাড়ি পাল্টায়।
১৭ নুরুল হুদার মেয়ের বয়স কত?
উত্তর : আড়াই বছর।
১৮ নুরুল হুদার ছেলের বয়স কত?
উত্তর : পাঁচ বছর।
১৯ কোথাকার হাফের বেশি জায়গা স্বাধীন?
উত্তর : রংপুর-দিনাজপুরের হাফের বেশি জায়গা স্বাধীন।
২০ মসজিদের ছাদ থেকে কে পড়ে গিয়েছিল?
উত্তর : মুয়াজ্জিন সাহেব পড়ে গিয়েছিল।
২১ কে জুমার নামাজটা নিয়মিত পড়ে?
উত্তর : নুরুল হুদা।
২২ নুরুল হুদা কোন বিষয়ের লেকচারার?
উত্তর : নুরুল হুদা কেমিস্ট্রির লেকচারার।
২৩ উর্দুর প্রফেসরের নাম কী?
উত্তর : উর্দুর প্রফেসরের নাম আকবর সাজিদ।
২৪ কাদের ঠিকানা নুরুল হুদার জানা আছে?
উত্তর : মিসক্রিয়ান্টদের।
২৫ ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : দুষ্কৃতিকারী।
২৬ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ কোনটি?
উত্তর : ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’।
২৭ ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসটির রচয়িতা কে?
উত্তর : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
২৮ ‘রেইনকোট’ গল্পের কথক কে?
উত্তর : নুরুল হুদা।
২৯ ‘রেইনকোট’ গল্পের রেইনকোটটি কার?
উত্তর : রেইনকোটটি মিন্টুর।
৩০ নুরুল হুদাকে কে ডেকে পাঠিয়েছে?
উত্তর : প্রিন্সিপাল ডেকে পাঠিয়েছে।
খ অনুধাবনম‚লক প্রশ্নোত্তর
১ ‘ক্যাপ্টেনের এদিকে তাকে ঠেলা মুশকিল’Ñ কেন?
উত্তর : ‘ক্যাপ্টেনের এদিকে তাকে ঠেলা মুশকিল’Ñ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসহাক মিয়ার দাপট খুব বেশি বেড়ে যাওয়ায় এ কথা বলা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসহাক মিয়া পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করায় তার দাপট খুব বেড়ে গিয়েছিল। সে নিজেকে কর্নেলের মতো ক্ষমতাবান ভাবতে শুরু করে। তাই তাকে কর্নেল বা লেফটেন্যান্ট কর্নেল বা ক্যাপ্টেন ভাবা যায়। কিন্তু ক্যাপ্টেনের নিচের পদে তাকে ভাবা যায় না।
২ নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয় কেন?
উত্তর : মিন্টু মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছে বলে নুরুল হুদাকে এক্সট্টা তটস্থ থাকতে হয়।
নুরুল হুদা অত্যন্ত ভীরু প্রকৃতির মানুষ। সে দেশকে খুব ভালোবাসে কিন্তু ভয়ে প্রকাশ করতে পারে না। তাই তার শালা মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধাএকথা ‘হানাদার’ বাহিনী জানতে পারলে তাকে খুব বিপদে পড়তে হবে, এই ভয়ে সে সবসময় তটস্থ থাকে।
৩ ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর : ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযোদ্ধাদের বোঝাতে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দের আভিধানিক অর্থ দুষ্কৃতিকারী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার ও তার সেনাবাহিনী এ শব্দটি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছে। আর এ বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে ‘রেইনকোট’ গল্পে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
৪ নুরুল হুদা কেন চারবার বাড়ি পাল্টায়?
উত্তর : নুরুল হুদার সাথে মুক্তিবাহিনীর আঁতাত রয়েছে একথা গোপন রাখার জন্য নুরুল হুদা চারবার বাড়ি পাল্টায়।
নুরুল হুদার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ খবরটি কেউ যদি হানাদার বাহিনীকে জানিয়ে দেয় এ ভয়ে সে চারবার বাড়ি পাল্টায়। যাতে আশপাশের কেউ তাকে চিনতে না পারে।
৫ ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করায় ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে গিয়েছিল।
ইসহাক মিয়া ছিল পাকিস্তানিদের দোসর। সে অবাধে চলাফেরা করত এবং সব সময় উর্দুতে কথা বলত। আর পাকিস্তানিদের দোসর হওয়ায় সবাই তাকে খুব ভয় পেত।
৬ প্রিন্সিপাল কেন দিন-রাত দোয়া-দরুদ পড়তো?
উত্তর : প্রিন্সিপাল পাকিস্তানিদের জন্য দিনরাত দোয়া দরুদ পড়ত।
পাকিস্তানিদের জন্য প্রিন্সিপাল পাাকিস্তানিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সে সবসময় তাদের মঙ্গল কামনা করত। আর তাদের জয়ের জন্য দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ত।
৭ নুরুল হুদা কেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন?
উত্তর : মিলিটারিদের ভয়ে নুরুল হুদা পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশবাসীর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতে নিরুপায় মানুষগুলো নানা কৌশল অবলম্বন করেছিল। আর তাই নুরুল হুদা রাতভর ট্যাংকের হুঙ্কার, মেশিনগান আর স্টেনগানের প্রচÐ শব্দে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন। আতঙ্কিত হয়ে, জীবন রক্ষার জন্য।
৮ ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নুরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান কেন?
উত্তর : ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নুরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান, কারণ তাকে দেখতে অনেকটা মিন্টুর মতো লাগছিল।
মিন্টু ছিল মুক্তিযোদ্ধা। তাই নুরুল হুদাকে যদি দেখতে তার মতো লাগে তাহলে সে খুব বিপদে পড়বে। তাই ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে যখন সে দেখে তাকে নিজেকে মিন্টুর মতো দেখতে লাগে, তখনই ন‚রুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ (অংংবংসবহঃ)
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
সৃজনশীল প্রশ্ন ১উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মুক্তিযোদ্ধা নানাভাবে পাকিস্তানিবাহিনীকে আটক করতে সদা সচেষ্ট। এ রকম একজন মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী তিনি সবসময় দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা এবং কীভাবে মিলিটারির হাত থেকে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখা যায় সেসব ভাবেন। তিনি সৈনিকের পোশাক পরে মিলিটারিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের অনেক গোলাবারুদ ধ্বংস করতে সক্ষম হন।
ক. কাকে জড়িয়ে ধরে নুরুল হুদার চুমু খেতে ইচ্ছা করছে?
খ. ‘রেইনকোট’ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন বিষয়কে প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের সেকান্দার আলী এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের মিন্টু একই উদ্দেশ্যে মুক্তিবাহিনীর খাতায় নাম দিয়েছে।”Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. পিওনকে।
খ. রেইনকোট ম‚লত এমন একটি পোশাক, যা পরলে বৃষ্টিতে শরীর ভেজে না।
রেইনকোট অনেকটা মিলিটারির পোশাকের মতো। বিশেষ করে বৃষ্টিভেজা রেইনকোট অবিকল যেন মিলিটারির পোশাক। একাত্তরে যেহেতু বাংলা অঞ্চলে মিলিটারি বাহিনীর অত্যাচার ছিল, তাই এ পোশাক পরিহিত কাউকে দেখলে মিলিটারি মনে করে ভয়ে পালিয়ে যেত সাধারণ মানুষ।
টিপস্
গ. উদ্দীপকটি পড়ে অনুধাবন কর কোন বিষয় এখানে বর্তমান। এরপর ‘রেইনকোট’ গল্পের যে বিষয়ের সাথে উদ্দীপকের বিষয়টি একীভ‚ত, সেটি সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন কর।
ঘ. উদ্দীপকের সেকান্দার আলীর মুক্তিবাহিনী হওয়ার বিষয়টি তুলে ধর এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের মিন্টু চরিত্রের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের বিষয়টি উপস্থাপন কর। এরপর উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে উভয় চরিত্রের উদ্দেশ্যে নিজের ভাষায় সংক্ষেপে আলোচনা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘জামী স্কুলে যাচ্ছে না। যাবে নাÑ শরীফ, আমি, রুমী, জামীÑ চারজনে বসে আলাপ-আলোচনা করে আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম স্কুল খুললেও স্কুলে যাওয়া হবে না। দেশে কিছুই স্বাভাবিক চলছে না, দেশে এখন যুদ্ধাবস্থা, দেশবাসীর ওপর হানাদার পাকিস্তানি জানোয়ারদের চলছে নির্মম নিষ্পেষণের স্টিমরোলার। এ অবস্থায় কোনো ছাত্রের উচিত নয় বই-খাতা বগলে স্কুলে যাওয়া।
ক. কে দিনরাত উর্দু বলে?
খ. ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের বিষয়টিতে ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন বিষয় প্রধানত ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের বর্ণিত বিষয় ‘রেইনকোট’ গল্পের খÐাংশ মাত্র। মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. ইসহাক মিয়া।
খ. মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করায় ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে গিয়েছিল।
ইসহাক মিয়া ছিল পাকিস্তানিদের দোসর। সে অবাধে চলাফেরা করত এবং সবসময় উর্দুতে কথা বলত। আর পাকিস্তানিদের দোসর হওয়ায় সবাই তাকে খুব ভয় পেত।
টিপ্
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগের সাথে পড়ে এর প্রধান বিষয়টি বোঝার চেষ্টা কর। এরপর ‘রেইনকোট’ গল্পের যে বিষয়ের সাথে প্রধানত মিল পরিলক্ষিত হয় সেটি দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকের বিষয়টি তুলে ধর এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা কর। এরপর বিশ্লেষণ অংশে উদ্দীপক ও গল্পের সমন্বয়ে নিজের সিদ্ধান্ত সংক্ষেপে তুলে ধর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে জ্বলন্ত
ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,
নতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগি¦দিক
ক. স্টেনগানওয়ালা ছোকরার দল নৌকা ভরে কী নিয়ে আসে? ১
খ. মিলিটারি স্টেনগান তাক করে রেখেছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের বিষয়টি ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রতিনিধিত্ব করছে কীভাবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের বর্ণিত বিষয় “রেইনকোট” গল্পের পরিপ‚র্ণ ভাবের ধারক নয়।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. অস্ত্র নিয়ে আসে।
খ. পাকিস্তানি মিলিটারি স্টেনগান তাক করে রেখেছে বাংলার নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় চরম অত্যাচার শুরু করেছিল পাকিস্তানের সেনারা। তারা শহরে-গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করত এমনকি রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সাধারণ মানুষকে স্টেনগান উঁচিয়ে ভয় দেখাত। ম‚লত এ অঞ্চলে ত্রাস সৃষ্টি করার জন্যই তরা এ ধরনের অপকর্ম চালাত।
টিপস্
গ. উদ্দীপকটি মনোযোগ সহকারে পড় এবং বোঝার চেষ্টা কর কোন বিষয়টি এখানে ফুটে উঠেছে? তারপর ‘রেইনকোট’ গল্পটির যে ঘটনাংশের সাথে উদ্দীপকের বিষয়টির সামঞ্জস্য রয়েছে সেটি তুলে ধর।
ঘ. প্রথমেই উদ্দীপক বিষয়টি উপস্থাপন কর। তারপর ‘রেইনকোট’ গল্পের বিভিন্ন বিষয়ের বর্ণনা দাও। ম‚ল্যায়ন অংশে উদ্দীপক এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের সমন্বয়ে নিজের মতো করে প্রশ্নানুযায়ী সহজবোধ্য ভাষায় উত্তর লেখ।
Quality Can Do Soft - এর মোবাইল এপস পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুণ