পাঠ পরিচিতি
কবিতাটি আবু জাফর ওবায়দুলাহর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা। রচনাটিতে বিষয় ও আঙ্গিকগত অভিনবত্ব রয়েছে। আলোচ্য কবিতাটিতে উচ্চারিত হয়েছে ঐতিহ্যসচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা। প্রকৃতপক্ষে, রচনার প্রেক্ষাপটে আছে বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাস; এই জাতির সংগ্রাম, বিজয় ও মানবিক উদ্ভাসনের অনিন্দ্য অনুষঙ্গসমূহ। তিনি এই কবিতায় পৌনঃপুনিকভাবে মানবমুক্তির আকাক্সক্ষায় সোচ্চার হন। কবির একান্ত প্রত্যাশিত মুক্তির প্রতীক হয়ে উপস্থাপিত হয় একটি বিশেষ শব্দবন্ধ ‘কবিতা’। কবি তাঁর পূর্বপুরুষের সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তাঁর বক্তব্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেন। কবির বর্ণিত এ ইতিহাস মাটির কাছাকাছি মানুষের ইতিহাস; বাংলার ভ‚মিজীবী অনার্য ক্রীতদাসের লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। ‘কবিতা’ ও সত্যের অভেদকল্পনার মধ্যদিয়ে কবি নিয়ে আসেন মায়ের কথা, বোনের কথা, ভাইয়ের কথা, পরিবারের কথা। কবি এ-ও জানেন মুক্তির পূর্বশর্ত যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে পরিবার থেকে দূরে সরে যেতে হয়। ভালোবাসার জন্য, তাদেরকে মুক্ত করার জন্যই তাদের ছেড়ে যেতে হয়। এ অমোঘ সত্য কবি জেনেছেন আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস থেকে।
কবিতাটির রসোপলব্ধির অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো এর আঙ্গিক বিবেচনা। এক্ষেত্রে, প্রথমেই যে বিষয়টি পাঠককে নাড়া দেয় তাহলো একই ধাঁচের বাক্যের বারংবার ব্যবহার। কবি একদিকে “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি” পঙ্ক্তিটি বারংবার প্রয়োগ করেছেন, অপরদিকে “যে কবিতা শুনতে জানে না/ সে...” কাঠামোর পঙ্ক্তিমালার ধারাবাহিক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে কবিতা আর মুক্তির আবেগকে তিনি একত্রে শিল্পরূপ প্রদান করেছেন। এখানে ‘কিংবদন্তি’ শব্দবন্ধটি হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যের প্রতীক। কবি এ নান্দনিক কৌশলের সঙ্গে সমন্বিত করেছেন গভীরতাসঞ্চারী চিত্রকল্প। একটি কবিতার শিল্পসার্থক হয়ে ওঠার পূর্বশর্ত হলো হৃদয়স্পর্শী চিত্রকল্পের যথোপযুক্ত ব্যবহার। চিত্রকল্প হলো এমন শব্দছবি যা কবি গড়ে তোলেন এক ইন্দ্রিয়ের কাজ অন্য ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে করিয়ে কিংবা একাধিক ইন্দ্রিয়ের সম্মিলিত আশ্রয়ে; আর তা পাঠক-হৃদয়ে সংবেদনা জাগায় ইন্দ্রিয়াতীত বোধের প্রকাশসূত্রে। চিত্রকল্প নির্মাণের আরেকটি শর্ত হলো অভিনবত্ব। এ সকল মৌলশর্ত পূরণ করেই আলোচ্য কবিতায় চিত্রকল্পসমূহ নির্মিত হয়েছে। কবি যখন বলেন : “কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা”; তখন এই ইন্দ্রিয় থেকে ইন্দ্রিয়াতীতের দ্যোতনাই সঞ্চারিত হয়। নিবিড় পরিশ্রমে কৃষকের ফলানো শস্য একান্তই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য একটি অনুষঙ্গ। কিন্তু এর সঙ্গে যখন কবিতাকে অভেদ কল্পনা করা হয় তখন কেবল ইন্দ্রিয় দিয়ে একে অনুধাবন করা সম্ভব হয় না। সার্বিক বিবেচনায় কবিতাটি বিষয় ও আঙ্গিকের সৌকর্যে বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সংযোজন। কবিতাটি গদ্যছন্দে রচিত। প্রচলিত ছন্দের বাইরে গিয়ে এটি প্রাকৃতিক তথা স্বাভাবিক ছন্দ।
কবি পরিচিতি
নাম আবু জাফর ওবায়দুলাহ
জন্মপরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : বরিশাল শহর।
পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : আবদুল জব্বার খান
শিক্ষাজীবন প্রাথমিক শিক্ষা : ম্যাট্রিক (১৯৪৮), ময়মনসিংহ জিলা স্কুল।
মাধ্যমিক : ইন্টারমিডিয়েট (১৯৫০), ঢাকা কলেজ।
উচ্চতর শিক্ষা : বি.এ অনার্স (১৯৫৩),এম.এ (১৯৫৪), ইংরেজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
গবেষণা : খধঃঃবৎ চড়বসং ড়ভ ণবধঃং; ঞযব রহভষঁবহপব ড়ভ টঢ়ধহরংযধফং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য।
ডিপ্লোমা : উন্নয়ন অর্থনীতি, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা/কর্মজীবন লেকচারার : ইরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সচিব : বাংলাদেশ সচিবালয়; মন্ত্রী : কৃষি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার (১৯৮২); রাষ্ট্রদূত ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র,
মহাপরিচালক : ঋঅঙ, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল;
চেয়ারম্যান : বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজ;
ফেলো : হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এবং জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট।
সাহিত্য কর্ম কাব্যগ্রন্থ : ‘সাত নরীর হার’, ‘কখনো রং কখনো সুর’, ‘কমলের চোখ’, ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’, ‘বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা’, ‘আমার সময়’ প্রভৃতি।
পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৯) ইত্যাদি।
ইন্তেকাল মৃত্যু তারিখ : ১৯ মার্চ, ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ।
উৎস পরিচিতি
কবিতাটি আবু জাফর ওবায়দুলাহর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা।
বস্তু সংক্ষেপ
আবু জাফর ওবায়দুলাহ বাংলা কাব্যের আঙ্গিক গঠনে ও শব্দযোজনার ক্ষেত্রে স্বাতন্ত্র্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। সুতীক্ষè জীবনদৃষ্টি, ইতিহাস সচেতনা, স্বদেশপ্রেম তাঁর কবিসত্তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁর কবিতার উপমায়, চিত্রকল্পে ও বিষয় নির্বাচনেও স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় পাওয়া যায়। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি তাঁর অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় কবিতা। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি আবহমান বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে স্মরণ করে বাংলার মানুষের সহজ-সরল অনাড়ম্বর কৃষিনির্ভর জীবনের কথা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। কবি গর্বভরে তাঁর পূর্বপুরুষদের কথা বলতে চান যাদের জীবন ছিল নদীবিধৌত বাংলার উর্বর ও আর্দ্র মাটির মতোই শান্ত এবং অকৃত্রিম। সে মানুষগুলো বাংলার অপেক্ষাকৃত উঁচু, অর্থাৎ পাহাড়ি এলাকায় এসে বসতি স্থাপন করেন এবং পরে তারা সমতলে এসে চাষাবাদ শরু করেন। কবি মনে করেন তাঁদের জীবন ছিল কবিতার মতো আবেগময় এবং গীতিপ্রবণ। সেই কবিতাকে যারা শুনতে চায় না, অর্থাৎ বাঙালির পূর্বের ঐতিহ্যমণ্ডিত সরল জীবনকে যারা ভালোবেসে মনে করতে চায় না তারা বাংলা প্রকৃতির অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। তারা আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে। কবি তাঁর পূর্বপুরুষদের নদীর মতো গতিময় জীবনের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। কবি বলেছেন, যে সাঁতার জানে না সে মাছ ধরতে, অর্থাৎ বর্তমানকে বুঝতে পারবে না। পূর্বপুরুষদের, অর্থাৎ বাঙালি ঐতিহ্যকে যারা ভালোবাসে না সে মা'কে অস্বীকার করে। কবি সেই ঐহিত্যকে ভালোবাসেন তাই তাদের কথা, তাদের ঐতিহ্যময় জীবনের কথা গর্বভরে স্মরণ করেছেন এ কবিতায়। কিংবদন্তির মধ্যেও সত্যের উপস্থিতি থাকে, বাস্তবতার স্পর্শ থাকে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি আমাদের পূর্বপুরুষদের সংগ্রামী চেতনা ও কবি চেতনার বাস্তবতা নিঃসঙ্কোচে ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা ছিলেন নির্ভীক ও সাহসী, কর্মোদ্যোগী ও সৃজনশীল এবং স্বাধীনতাপ্রিয় স্বতন্ত্র সত্তার অধিকারী। তাই চির তারুণ্যের সবুজ স্বদেশে তারা লাল সূর্যকে হৃদপিণ্ডে ধারণ করে ক্রীতদাসের বিড়ম্বনা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন-যশস্বী হতে পেরেছেন। এখানেই তাদের সার্থকতা যা আমাদের জন্য অনুসরণীয়।
নামকরণ
বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে আলোচ্য কবিতার নামকরণ করা হয়েছে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি।’ লোকপরম্পরায় শ্র“ত এবং কথিত কথার নাম কিংবদন্তি। কবি যে কিংবদন্তির কথা বলছেন তাহলো, তার পূর্বপুরুষেরা ক্রীতদাস ছিলেন। যে কারণে তাদের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল। তারা পাহাড় এবং স্বাপদসঙ্কুল অরণ্য অতিক্রম করে এসেছিলেন। তারা পতিত জমি আবাদ করতেন। তাই তাদের করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল। তাদের উচ্চারিত প্রতিটি সত্যই কবিতা, কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানাই কবিতা। প্রাণের স্ফূর্র্তি এবং চিরকাল ক্রীতদাস থেকে যেতে হবে। কবিতা সত্য-স্বপ্নের মতো স্বপ্লীল উনুনের আগুনের উজ্জ্বল আলোর মতো উদার, প্রবাহমান নদীর মতো গতিশীল, মাছের সঙ্গে খেলা করার মতো আনন্দময়, মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনার মতো স্বাচ্ছন্দ্য। কবিতা বিচলিত স্নেহের কথা বলে, গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলে, ভালোবাসার কথা বলে। মাতৃভূমিকে ভালোবাসার কারণে সর্বত্র ষড়যন্ত্র দেখা দেয়, মায়ের ছেলেরা যুদ্ধে যোগ দেয়। সন্তানদের জন্য মায়ের মৃত্যু হয়। ভাই হারিয়ে যায়। কবিতাকে ভালোবাসে বলেই তারা সূর্যকে হৃদপিণ্ডে ধারণ করে মাতৃভূমিকে স্বাধীনতা এনে দেয়। কিংবদন্তির মতো শোনালেও এসব কথা কবিতার মতোই সত্য-বাস্তব। বহু শতাব্দী ধরে এদেশ পরাধীন ছিল বলেই এদেশের মানুষ ক্রীতদাস ছিল। কিন্তু তারা কবিতাকে ভালবেসে অর্জিত স্বাধীনতার কথা বলার সক্ষমতা অর্জন করবে যাতে তা কিংবদন্তি না হয়ে কবিতার মতো বাস্তব সত্য হয়ে স্পন্দিত হয় প্রজন্মের পর প্রজন্মে, হৃদয় থেকে হৃদয়ে। তাই এর নামকরণ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ যথার্থ ও সার্থক হয়েছে।
শব্দার্থ ও টীকা
কিংবদন্তি জনশ্র“তি। লোকপরম্পরায় শ্র“ত ও কথিত বিষয় যা একটি জাতির ঐতিহ্যের পরিচয়বাহী।
পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত মানুষের ওপর অত্যাচারের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এখানে। সেই অত্যাচারের আঘাত যে এখনও তাজা রয়েছে তা বোঝাতেই রক্তজবার প্রসঙ্গ ব্যবহৃত হয়েছে। আরও লক্ষণীয়, আঘাত রয়েছে পিঠে। অর্থাৎ, শত্রæরা ভীরু কাপুরুষের মতো পিছন থেকে আক্রমণ করেছে কিংবা বন্দি ক্রীতদাসের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে, মুক্ত মানুষের সঙ্গে সম্মুখ লড়াইয়ের বীরোচিত সাহস দেখায় নি।
শ্বাপদ হিং¯্র মাংসাশী শিকারি জন্তু।
উনুনের আগুনে আলোকিত
একটি উজ্জ্বল জানালা আগুনে সবকিছু শুচি হয়ে ওঠে। তাই আগুনের উত্তাপে পরিশুদ্ধ হয়ে সকল গøানি মুছে ফেলে আলোয় ভরা মুক্তজীবনের প্রত্যাশা জানাতে উজ্জ্বল জানালার অনুষঙ্গ ব্যবহৃত হয়েছে।
বিচলিত ¯েœহ আপনজনের উৎকণ্ঠা। মুক্তিপ্রত্যাশী মানুষের আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় তাদের স্বজনরা উদ্বিগ্ন হন। ভালোবাসা আর শঙ্কা একসঙ্গে মিশে যায়।
সূর্যকে হৃৎপিণ্ডেÐ ধরে রাখা সূর্য সকল শক্তির উৎস। তাই এ সর্বশক্তির আধারকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারলে মুক্তি অনিবার্য। কবির মতে, এ সামর্থ্য অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কবিতা শোনা; কবিতাকে আত্মস্থ করা। কেননা, কবির কাছে শুধু কবিতাই সত্য আর সত্যই শক্তি।
বানান সতর্কতা
পূর্বপুরুষ, অতিক্রান্ত, স্বাপদ, জিহŸা, ক্রীতদাস, দিগন্ত, কর্ষিত, অরণ্য, বঞ্চিত, উজ্জ্বল, স্বপ্ন, স্নেহ, হৃদপিণ্ড, সম্ভার, দীর্ঘদেহ, প্রজ্বলিত, সুকণ্ঠ, স্বাধীনতা, আশীর্বাদ, পুরস্কার, দীর্ঘায়ু, সশস্ত্র, ইস্পাত, অভ্যুত্থান।
অনুশীলন অংশ (চৎধপঃরপব)
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি
মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি
মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি
ক. প্রবহমান নদী কাকে ভাসিয়ে রাখে?
খ. ‘ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. ‘উনোনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালার কথার’ সাথে উদ্দীপকের চেতনার ঐক্য নির্দেশ কর।
ঘ. উক্ত ঐক্যের প্রেক্ষাপট উপস্থাপনে কবি আবু জাফর ওবায়দুলাহ “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি” কবিতায় অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
প্রবহমান নদী যে সাঁতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে।
“ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়” বলতে বোঝানো হয়েছে পরিবারকে ভালোবেসে পরিবারের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে মাতৃভূমির ওপর নেমে আসে নির্মমতা।
মা ও মাতৃভূমি একইসূত্রে গ্রথিত। মাকে ভালোবেসে পরিবারের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকলে দেশরক্ষা হয় না। দেশকে শত্র“র আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হলে মায়া, ভালোবাসার বন্ধনকে ছিন্ন করে শত্র“র বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। আর তা হলে দেশমাতার ভাগ্যে নির্ধারিত হয় মৃত্যু।
‘উনোনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালার কথার’ সাথে উদ্দীপকের ঐক্য হলো মুক্ত জীবনের প্রত্যাশার চেতনা।
প্রতিটি মানুষই মুক্ত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার প্রয়াসী। পরাধীনতা কারোরই কাম্য নয়। স্বাধীনতা, মুক্ত জীবনের প্রত্যাশায় মানুষ সকল ভুল-ভ্রান্তি, দুঃখ-বেদনাকে মুছে ফেলতে চায়, ভেঙে-গুঁড়িয়ে দিতে চায় সকল অপশক্তিকে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় এবং উদ্দীপকে এ বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ‘উনোনের আগুনে আলোকিত ‘একটি উজ্জ্বল জানালার কথা’ এ চরণের মধ্য দিয়ে মুক্ত জীবনের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। আগুন সবকিছুকে শুচি-শুদ্ধ করে তোলে। আগুনের উত্তাপেই মুছে যাবে মানুষের জীবনের সকল গ্লানি। মানুষ দেখা পাবে এক মুক্ত জীবনের। উদ্দীপকেও একটি নতুন দিনের সূচনা, মুক্ত জীবনের কথা বলা হয়েছে। আর এ কারণেই মানুষ অস্ত্র ধারণ করে যুদ্ধ করে।
উক্ত ঐক্যের প্রেক্ষাপটে কবি আবু জাফর ওবায়দুলাহ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন-মন্তব্যটি সত্য।
পরাধীন সে মানুষই হোক আর জাতিই হোক সে নির্জীব। এ ভাবে বেঁচে থাকা মৃত্যুরই নামান্তর। যেখানে স্বাধীনতা নেই সেখানে বেঁচে থাকার আনন্দও নেই। তাই প্রত্যেকে মুক্ত ও স্বাধীন জীবনের প্রত্যাশী। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতা এবং উদ্দীপকে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি মানবমুক্তির আকাক্সক্ষা করছেন। এ আকক্সক্ষা থেকেই এ কবিতায় তিনি মুক্তির প্রতীকরূপে ‘কবিতা’ শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন। কবি বার বার ‘কবিতা’ শব্দটিকে ব্যবহার করে মুক্তির আবেগকে শিল্পরূপ দিয়েছেন। এ মুক্তির পূর্বশর্ত হলো সংগ্রাম, যুদ্ধ বা বাঙালির রক্তের মধ্যেই আছে। উদ্দীপকেও আমরা এই মুক্ত জীবনচেতনারই প্রতিফলন লক্ষ করি। এ মুক্ত জীবনকে পেতে হলে যুদ্ধ করতে হয়।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় মুক্ত জীবন প্রত্যাশার প্রেক্ষাপট হলো বাঙালি পুর্বপুরুষদের লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। আর এটি এ কবিতায় উপস্থাপন করে কবি অসাধারণ শিল্প-সফলতা দেখিয়েছেন।
অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বিদেশের অপরিচিত পরিবেশে একাকি মিজান সাহেব তার মাকে খুব অনুভব করেন। বিশেষ করে ছোটবেলায় মায়ের কোলে শুয়ে গল্প, কবিতা ও ছড়া শোনার স্মৃতি তাকে খুব আলোড়িত করে।
ক. যে কবিতা শুনতে জানে না সে কোথায় ভাসতে পারে না?
খ. কে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না? কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?-আলোচনা কর।
ঘ. মায়ের কোলে শুয়ে গল্প, কবিতা ও ছড়া শোনার স্মৃতি তাকে খুব আলোড়িত করে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
যে কবিতা শুনতে জানে না, সে নদীতে ভাসতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না-কারণ কবিতা শোনার ক্ষমতা না থাকলে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনার মানসিকতাও থাকে না।
মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনা যেকোনো মানুষের জীবনের অন্যতম আনন্দের দিক। মূলত মাতৃ-হৃদয়ের আবেগ যাকে টানে না, সে মায়ের গল্পকে ভালোবাসে না, মায়ের কোলের আকর্ষণ অনুভব করে না। যে কবিতা শুনতে জানে না, তার হৃদয় আবেগহীন জড় পদার্থের মতো, এ কারণেই কবিতাহীন মানসিকতার মানুষ মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কবি তাঁর মায়ের মুখে গল্প শোনার যে কথা বলেছেন, তার সাথে উদ্দীপকের মিজানের স্মৃতিকাতরতার সাদৃশ্য রয়েছে।
মা সকলের জীবনেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। মানুষের শৈশব ও কৈশোর মায়ের সাথে জড়িয়ে থাকে এবং এ স্মৃতি মানুষ কখনোই ভুলতে পারে না। মায়ের মমতামাখা স্মৃতি মানুষকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।
উদ্দীপকের মিজান সাহেব বিদেশে থাকেন। সেখানে তাঁর মনে পড়ে মায়ের কথা। ছোটবেলায় কোলে শুয়ে শুয়ে তিনি গল্প, কবিতা শুনতেন। সেসব আজ তাঁর স্মৃতিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে। এ স্মৃতির কথা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাতেও পাওয়া যায়। কবি তাঁর মায়ের মুখে অনেক শুনতেন প্রবহমান নদীর কথা এবং অন্যান্য অনেক গল্প, অর্থাৎ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় এ দিকটিই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
“মায়ের কোলে শুয়ে গল্প, কবিতা ও ছড়া শোনার স্মৃতি তাকে খুব আলোড়িত করে”-উক্তিটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে তাৎপর্য বহন করে।
শৈশব ও কৈশোরে মানুষ মায়ের আদরে বড় হয়। জীবনের প্রাথমিক শিক্ষাও মানুষ মায়ের কাছে পায়। মা বিভিন্ন কবিতা, গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি দিয়ে সন্তানের মনে মানবতাকে জাগিয়ে তোলেন।
উদ্দীপকে প্রবাসী মিজান সাহেবের কথা বিধৃত হয়েছে। মিজান সাহেব তাঁর শৈশব ও কৈশোরের কথা ভাবেন। তাঁর মায়ের কাছে শোনা গল্প, কবিতা, ছড়া- এসব তাঁর কানে বেজে ওঠে, মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মধ্যেও কবি এরূপ স্মৃতিচারণ করেছেন। মায়ের গল্প শোনাকে কবিতাপ্রেমী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায়। কবির মতে, যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে জানে না। যেহেতু কবি এবং উদ্দীপকের মিজান সাহেব দুজনেই মায়ের কাছে গল্প শোনার স্মৃতিকে তুলে ধরেছেন, সেহেতু বলা যায় হাসান সাহেবও কবিতা শোনার মানসিকতা রাখেন।
মিজান সাহেবের মনে কবিতার প্রতি ভালোবাসা আছে। সেই ভালোবাসা থেকেই তিনি সময়ের কাছে শোনা গল্পের স্মৃতিতে আলোড়িত হন। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ছোট ভাইটিকে আমি আর কোথাও দেখি না
নোলক-পরা বোনটিকে কোথাও দেখি না
কেবল উৎসব দেখি, পতাকা দেখি।\
ক. কবি কার মৃত্যুর কথা বলেছেন?
খ. ‘আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি’-এখানে ‘বিচলিত স্নেহ’ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন অনুষঙ্গটি প্রতিফলিত হয়েছে ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. ‘যুদ্ধ মানে স্বজন হারানোর কান্না’-উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
কবি তাঁর গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলেছেন।
‘আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি’-এখানে ‘বিচলিত স্নেহ’ বলতে আপনজনের উৎকণ্ঠাকে বোঝানো হয়েছে।
কেউ সামান্য বিপদে পড়লে আপনজনের উৎকণ্ঠার শেষ থাকে না, কবি সেই উৎকণ্ঠাকে স্মরণ করেন, যা তাঁর মা, বাবা, ভাই, বোনের মধ্যে অসংখ্যবার প্রকাশ পেয়েছে। এখন তারা কেউ নেই। কিন্তু তাদের সেই বিচলিত স্নেহ কবিকে আবেগতাড়িত করে। ‘বিচলিত স্নেহ’ বলতে এটাই বোঝানো হয়েছে।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় স্বজন হারানোর যে বিষয়টি রয়েছে, সেটাই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
১৯৭১ সালে আমরা পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। যে যুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। প্রায় দুই লক্ষ মা-বোনের জীবনে নেমে এসেছে অসহনীয় অপমান আর মৃত্যু।
উদ্দীপকের কবি মুক্তিযুদ্ধে তাঁর স্বজনকে হারিয়েছেন। তাঁর যে ভাইটি যুদ্ধে গেছে, তাঁকে আর কোথাও পাওয়া যায় না। নোলক-পরা বোনও পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। কবি শুধু উৎসব আর স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন লাল সবুজের পতাকা। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কবিও ভাই আর বোন হারানোর বেদনা প্রকাশ করেছেন। কবির গর্ভবতী বোন মারা গেছে। ভাই যুদ্ধ করেছেন মহান স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। অর্থাৎ, ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার এ দিকটাই উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে।
‘যুদ্ধ মানে স্বজন হারানোর কান্না’ উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করা যুক্তিযুক্ত।
ন্যায় আর অন্যায় এ দুইয়ের মধ্যে যখন দ্ব›দ্ব লাগে, তখন শুরু হয় যুদ্ধ। যুদ্ধ মানে মত আর মৌলিক চাহিদা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণপণ সংগ্রাম করা। এ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেমন হারানোর বেদনা আসে তেমনি পাওয়া যায় বিজয়ের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠার দলিল।
উদ্দীপকের কবি তাঁর স্বজনদের মুক্তিযুদ্ধে হারিয়েছেন। যুদ্ধের পরে তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে অনাবিল বিজয়ের উৎসব দেখেছেন। কিন্তু আপন ভাই আর বোনকে কোথাও খুঁজে পাননি। তারা যুুদ্ধে মারা গেছে। এই স্বজন হারানোর প্রবল যন্ত্রণা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাতেও পাওয়া যায়। কবি যুদ্ধে তাঁর ভাই আর বোনকে হারিয়ে শোকাতুর। যুদ্ধ মানুষের জন্য ভালো ও খারাপ, দুই-ই বয়ে আনে। যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। কিন্তু এ যুদ্ধই কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য প্রাণ।
উদ্দীপকের কবি হারিয়েছেন আপন ভাই আর বোনকে। এই হারানোর সুর ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবির কণ্ঠেও একই হাহাকারে প্রকাশ পেয়েছে। তাই বলা যায় যে, ‘যুদ্ধ আনে স্বজন হারানোর কান্না’ উক্তিটি যথার্থ হয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সারাদিন ক্ষেত-খামারে কাজ করে আর পুকুরে মাছ চাষ করে সময় কাটে ফজু মিয়ার। এসব কাজে কষ্ট হলেও যখন ক্ষেতে হলুদ ফসল ফলে আর পুকুর মাছে ভরে যায়, তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না।
ক. শস্যের সম্ভার কাকে সমৃদ্ধ করবে?
খ. জননীর আশীর্বাদ কাকে, কেন দীর্ঘায়ু করবে?
গ. উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. ‘পরিশ্রমে যে ফসল ফলে তা অনাবিল আনন্দের উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
যে কর্ষণ করে, শস্যের সম্ভার তাকে সমৃদ্ধ করবে।
যে গাভীর পরিচর্যা করবে, জননী তাকে দীর্ঘায়ুর জন্য আশীর্বাদ করবেন।
গাভী মায়ের মতো, পরোপকারী এ গৃহপালিত প্রাণী এ অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের অন্যতম অবলম্বনগুলোর একটি। গাভী পরিচর্যার মাধ্যমে কৃষিজীবী সমাজ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধন করে। এখানে জননী বলতে ‘গো-মাতা’ -কে বোঝানো হয়েছে। যে গো-মাতার পরিচর্যা করবে, গো-মাতা তার দীর্ঘায়ু কামনা করবে।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় চাষি ও মৎস্য পালনকারীর প্রতিফলনের কথা বলা হয়েছে, যা উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
শ্রমের বিনিময়ে সুফল আসে। বেঁচে থাকার জন্য পরিশ্রম করা আবশ্যক। পরিশ্রম ছাড়া কোনো প্রকার উন্নতি করা সম্ভব নয়। যে যতো পরিশ্রমী, সে ততো বেশি ফলাফল ভোগ করতে পারে।
উদ্দীপকের ফজু মিয়া একজন কৃষিজীবী মানুষ। সে জমিতে ফসল ফলানোর জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করে এবং পুকুরে মাছ চাষ করে। কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসেবে ফজু মিয়া পায় ফসল এবং সফলতা লাভ করে উৎপাদিত মাছের মাধ্যমে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাতেও দেখা যায়, যে জমি চাষ করে, সে ফসল পেয়ে সমৃদ্ধ হয়, যে মাছ চাষ করে, বহমান নদী তাকে মাছ দেয় ইত্যাদি বলা হয়েছে। কবিতার এ দিকের সাথেই উদ্দীপকের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘পরিশ্রমে যে ফসল ফলে, তা অনাবিল আনন্দের’-উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করা যুক্তিযুক্ত।
মানুষ পরিশ্রম করে ফলাফল লাভের আশায়। যার পরিশ্রম যতো যৌক্তিক ও নিষ্ঠাসমৃদ্ধ, সে তত উন্নত ফলাফল লাভ করবে। আর যে পরিশ্রম-বিমুখ, সে ফলাফল লাভ করে না, বরং তার জীবন দৈন্যের আঘাতে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, ফজু মিয়া সারাদিন মাঠে পরিশ্রম করে এবং মাছ চাষ করে। সে প্রচুর ফসল পায় এবং সুখে জীবন যাপন করে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাতেও বলা হয়েছে, যে কর্ষণ করে, সে শস্যের সম্ভার লাভ করে। যে মাছ চাষ করে, বহমান নদী তাকে মাছ দিয়ে পুরস্কৃত করে। মানুষ পরিশ্রম করলে শক্তি খরচ হয়, কখনো কখনো বিরক্তি উৎপাদন হয়। কিন্তু যে জন্য পরিশ্রম করা হয়, সে ফলাফল ভোগ করতে আবার আনন্দও লাগে।
মূলত পরিশ্রমের শেষ ফলাফলের পাশাপাশি মনে আসে দারুণ আনন্দ। এ কারণেই কৃষক খেতে-খামারে হাড়ভাঙা খাটুনির পরও ফলাফলের কথা ভেবে মনের আনন্দে গান গায়। সমস্ত ক্লান্তি ভুলে যায়।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
পুকুর ঘাটে বসে কবিতার বই পড়ছিল সাজেদ। হঠাৎ তার বন্ধু হাবিব এসে বিদ্রƒপভরা কণ্ঠে বললো, এত কবিতা পড়ে কী হবে? চল পুকুরে সাঁতার কাটি। সাজেদ মাথা তুলে বলল, শোন, যে কবিতা পড়ে না, সে সাঁতার কাটার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।
ক. প্রবহমান নদী কাকে ভাসিয়ে রাখে?
খ. যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না কেন?
গ. উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. “যে কবিতা পড়ে না, সে সাঁতার কাটার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়”-‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
যে সাঁতার জানে না, প্রবহমান নদী তাকে ভাসিয়ে রাখে।
যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না, কারণ তার মধ্যে খেলা করে আনন্দ লাভের প্রবণতা নেই।
মাছের সঙ্গে খেলা বলতে জীবনের তুচ্ছ নিরর্থক, কিন্তু আনন্দ উদ্রেককারী কাজকে বোঝানো হয়েছে। যার মনে আনন্দের বাসনা নেই, সে কখনোই আনন্দ লাভের জন্য কোনো নিরর্থক কাজ করবে না। এছাড়া ছোটবেলায় মানুষ মাছের সঙ্গেও খেলা করে। যার মনে কবিতার ভালোবাসা নেই। মাছের সঙ্গে সে খেলা করার মানসিকতাও বহন করতে পারে না।
উদ্দীপকের সাজেদ ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কবি দুজনেই কবিতা না শুনলে সাঁতার কাটার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মতামত দিয়েছেন, যা পরস্পর সাদৃশ্য।
কবিতা হলো সৃজনশীল মনের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। যার মনে সজীবতা নেই, যে মননশীলতার চর্চা করে না, তার কাছে কবিতার কোনো মূল্য নেই।
উদ্দীপকে দেখা যায়, সাজেদ পুকুরঘাটে বসে কবিতা পড়ছে। তার বন্ধু হাবিব কবিতা নিয়ে বিদ্রƒপ প্রকাশ করলে সে প্রতিবাদ করে। কবিতায় যে আনন্দ পায় না, সাঁতারেও সে প্রকৃত আনন্দ পাবে না বলে অভিমত দেয়। উদ্দীপকের এ বিষয়টিতে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে। কবির মতে, যে কবিতা শুনতে পারে না, সে সাঁতার কাটার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মতামত দিয়েছেন, যা পরস্পর সাদৃশ্য।
‘যে কবিতা পড়ে না, সে সাঁতার কাটার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়’-এ উক্তিটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করার দাবি রাখে।
মানুষ কাজ করে কখনো শুধু কাজের জন্যে, আবার কখনো মনের আনন্দ নিয়ে। যার মনে সঞ্জীবনী শক্তি আছে, আনন্দ আহরণের ক্ষমতা রাখে, সে সমস্ত কাজ আনন্দ নিয়ে করতে পারে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, সাজেদ পুকুর ঘাটে বসে কবিতা পড়ছে এবং তার বন্ধু এ নিয়ে ব্যঙ্গ করে। তখন সাজেদ প্রতিবাদ করে এবং কবিতার আনন্দ না নিতে পারলেও সাঁতারে আনন্দ নেয়াও সম্ভব নয় বলে মতামত দেয়। একই মতামত পাওয়া যায়, ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায়। কবির মতে, যে কবিতা শুনতে পারে না, সে সাঁতারও কাটতে পারে না। সাঁতার কাটা একটা আনন্দঘন কাজ। প্রত্যেকেই সাঁতার কাটে। কিন্তু সাঁতার কাটার যে অন্তর্নিহিত আনন্দবোধ, তা অনুধাবন করার জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল ও আনন্দগ্রাহী মন। বস্তুত প্রশ্নোক্ত উক্তিতে সাঁতার একটা প্রতীকী কাজ। এর দ্বারা সমস্ত আনন্দঘন কাজকে বোঝায়।
উদ্দীপকের সাজেদের মনে সৃজনশীলতা আছে, যা হাবিবের মনে নেই। ফলে সাঁতারের প্রকৃত আনন্দ লাভ করলেও হাবিব তা টের পাবে না। এ আনন্দ আহরণের দিক থেকে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে তাৎপর্যপূর্ণ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সুজানগর গ্রামের যুবক মতিন সবসময় তাঁর পূর্বপুরুষদের নিয়ে গর্ব করে। তাঁরা একসময় অনেক শৌর্য-বীর্যের অধিকারী ছিলেন। তাঁরা অনেক সাহস আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জীবনে অভিনবত্ব, মহিমা ও উন্নতি সাধন করেছিলেন। তাঁরা হিংস্র পশু ও বন্যশ্বাপদময় পরিবেশ উপেক্ষা করে জীবনের শীর্ষ জয়গান গেয়েছিলেন।
ক. ‘অতিক্রান্ত’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি’-কবি এটি কেন বলেছেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?Ñব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মতিন ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবির চিন্তাকে আংশিক প্রতিফলিত করে। Ñমন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
অতিক্রান্ত শব্দের অর্থ অতিক্রম করা হয়েছে এমন।
পূর্বপুরুষদের শৌর্য-বীর্য তুলে ধরতে কবি প্রশ্নোক্ত চরণটি ব্যবহার করেছেন।
একসময় বাংলা অঞ্চলের লোকেরা অধ্যবসায়ী ও সাহসী ছিলেন। তাঁরা নিজেদের চেষ্টায় অনেক সাফল্য লাভ করেছিলেন। যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা ও বীর্যবত্তা তাঁদেরকে সাফল্য এনে দিয়েছিল। এ কারণেই কবি পূর্বপুরুষদের কথা বলেছেন।
উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার বাঙালি পূর্বপুরুষদের কর্মোদ্দীপনার দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
নিজের কাজ নিজ হাতে করার মাঝে যে আনন্দ ও স্বাধীনতা আছে তা অন্যকিছুতে নেই। নিজের কাজ নিজে করার মাঝে কোনো অসম্মান নেই, বরং সম্মানের প্রাচুর্য লক্ষণীয়। সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও কঠোর সাফল্য লাভের অদ্বিতীয় পথ হলো কাজ করে যাওয়া।
উদ্দীপকে বর্ণিত মতিন পূর্বপুরুষদের নিয়ে গর্ব করতেন। তাঁদের সততা, সাফল্য তাকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করে। তাঁরা বন্যশ্বাপদকে উপেক্ষা করে জীবনপথের প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করতেন। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় দেখানো হয়েছে বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষেরা সৎসাহস, অধ্যবসায় আর কর্মোদ্দীপনার মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে গৌরবান্বিত করেছিলেন। সাহস ও আত্মবিশ্বাস তাদের জীবনকে পাল্টে দিয়েছিল। এভাবে উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষদের কর্মোদ্দীপনার দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
উদ্দীপকের মতিন ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটির কবির চিন্তাকে আংশিক প্রতিফলিত করে- মন্তব্যটি যথাযথ।
সাফল্য তাদেরই হয় যারা সঠিক কর্মপরিকল্পনায় অধ্যবসায় সহকারে কাজ করতে পারঙ্গমতা দেখায়। সাফল্যই জীবনের উদ্দেশ্য। তাই মাঝে মাঝে সফল ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে যাওয়া উচিত।
উদ্দীপকে বর্ণিত মতিন তাঁর পূর্বপুরুষদের মর্যাদাসম্পন্ন জীবনকে উপস্থাপন করেছে। তাঁরা সততা, সাহস, কর্মপরিকল্পনা, কর্মোদ্দীপনা আর কঠোর অধ্যবসায়ের চূড়ান্ত লক্ষে পৌঁছতে পেরেছিলেন। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি, কবিতায় কবি শুধু বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষদের বীর্যবত্তার দিকটিই বর্ণনা করেননি, অন্যান্য প্রসঙ্গও বর্ণনা করেছেন। এ কবিতায় কবি বৈচিত্র্যভাব, কৃষক স¤প্রদায় ও সত্য বাক্য উচ্চারণে অসীম সাহস ইত্যাদি প্রসঙ্গক্রমে ব্যবহার করেছেন।
উদ্দীপকে মতিন শুধু তাঁর পূর্বপুরুষদের মর্যাদাসম্পন্ন জীবনকে উপস্থাপন করেছেন। অন্যদিকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি শুধু বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষের জীবনকাহিনী বর্ণনা করেন নি; অন্যান্য বিষয়ও বর্ণনা করেছেন। তাই এ কথা বলা যায়, উদ্দীপকের মতিন ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটির কবির চিন্তাকে আংশিক প্রতিফলিত করে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর জেলার মফিজের সঙ্গে আমার কথা হলো। তিনি তার পূর্বপুরুষদের শ্রমলভ্য সফল জীবন এবং ঔপনিবেশিক শাসনাধীন নিপীড়িত জীবনের কথা বললেন। তিনি বললেন, তার পূর্বপুরুষরা শ্রম-সাধনা আর যুগোপযোগী চাষাবাদে সোনার ফসল ফলিয়ে এক গৌরবময় জীবন রচনা করেছিলেন। পাশাপাশি তাদের সহ্য করতে হতো ঔপনিবেশিক শাসনের চরম নিষ্পেষণ। তাদের শরীরে আজও সেই নিপীড়নের, অপমানের চিহ্ন বিদ্যমান।
ক. পূর্বপুরুষের পিঠে কীসের মতো ক্ষত ছিল?
খ. “তার করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল” -কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন দিককে নির্দেশ করেছে?
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয় ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সমগ্র ভাবকে প্রকাশ করে না।-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল।
বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষেরা কঠিন মাটিতে সোনার ফসল ফলাতেন চরণটি দ্বারা কবি সেটিকে বুঝিয়েছেন।
বাঙালি জাতির গৌরবময় জীবন বৈচিত্র্যপূর্ণ। তাঁরা কঠিন মাটির বুকে কঠিন শ্রমে সোনার ফসল ফলাতেন। কবির মনে হয়, সেই ফসলের মাঠের পলিমাটির স্নিগ্ধ এখনও বিদ্যমান। এ বিষয়টিকে উপস্থাপন করতেই তিনি প্রশ্নোক্ত চরণটি ব্যবহার করেছেন।
উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সোনার ফসল ফলানোর এবং বাঙালি জাতি নিপীড়িত হওয়ার দিকটিকে নির্দেশ করছে।
এমন একটি সময় ছিল যখন মাঠে বিপুল পরিমাণ ফসল জন্মাত। এতে জীবনে আনন্দ ও হাসি লেগে থাকত। অন্যদিকে এ শ্রমনির্ভর সফল মানুষের ওপর নেমে আসত ঔপনিবেশিক শাসনের ব্যাপক নিষ্পেষণ।
উদ্দীপকের মফিজের বর্ণনা থেকে জানা যায়, তার পূর্বপুরুষের জীবনকাহিনি। তিনি বলেন, তাঁরা শ্রম, অধ্যবসায় আর সঠিক কর্মোদ্দীপনায় মাঠে ফসল ফলিয়ে বেশ গৌরবময় জীবন রচনা করেছিলেন। কিন্তু তাদের সহ্য করতে হতো ঔপনিবেশিক শাসনের কঠিন নিপীড়ন। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি বাঙালি জাতির গৌরবময় কৃষি উৎপাদনের বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তাদেরকে ঔপনিবেশিক শাসনাধীনের নানারকম নির্যাতন সহ্য করতে হতো। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার বাঙালি পূর্বপুরুষের শ্রমনির্ভর জীবন ও ঔপনিবেশিক শাসনাধীনের নিপীড়িত জীবনের দিকটিকে উপস্থাপন করেছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয় ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সমগ্র ভাববে ধারণ করে না-মন্তব্যটি যথাযথ।
সাহস, আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায় জীবনের সাফল্য আনতে ভূমিকা রাখে। সফল মানুষের ইতিহাসই পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। তাই সাফল্য লাভে সময়সচেতন, কর্মোদ্দীপ্ত ও অধ্যবসায়ী হওয়া প্রয়োজন।
মফিজ রংপুর জেলার অধিবাসী। সে তার পূর্বপুরুষের জীবন থেকে অনেক কিছু জেনেছে। তারা কঠিন পরিশ্রমে সোনার ফসল ফলিয়ে জীবনে প্রাচুর্য আনতেন এবং পরাধীন শাসনের নির্যাতন তাদের সহ্য করতে হতো। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’, কবিতাতেও বাঙালি-পূর্বপুরুষের ফসল ফলানোর বিষয়টি জানা যায়। আর ঔপনিবেশিক শাসনের নির্যাতনের ক্ষতও তাদের পিঠে চিিহ্নত হয়ে আছে। এছাড়াও কবিতায় অন্যান্য বিষয়, যেমন-বাঙালির নির্ভীক জীবনযাত্রা, মাতৃভূমি ও ভাষার প্রতি সচেতনতা এবং মানুষের কষ্টের দিক ইত্যাদিও বর্ণিত হয়েছে।
উদ্দীপকের বর্ণিত বিষয়ে শুধু পূর্বপুরুষদের কঠিন সাধনায় ফসল ফলানোর ও ঔপনিবেশিক শাসনাধীনের ক্ষত জীবনের চিহ্ন প্রধান হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’, কবিতায় বাঙালি-পূর্বপুরুষদের শ্রমপ্রচেষ্টায় ফসল ফলানো এবং ঔপনিবেশিক শাসনের যাঁতাকলে নিষ্পেষণের চিত্রই উপস্থাপিত হয়নি মাত্র, অন্যান্য বিষয়ও প্রধান হয়ে উঠেছে। অতএব, উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয় ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সমগ্র ভাবকে প্রকাশ করে না-মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
জহির মনে করতেন তার পূর্বপুরুষেরা মননশীলতা, সৃজনশীলতা ও অধ্যবসায়ের স্বাধীনচেতা মানসিকতা প্রকাশে যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তা আজ ইতিহাস, কারণ তারা ঔপনিবেশিক শাসনাধীনে ক্রীতদাসে পরিণত হয়ে নানা নিপীড়ন সহ্য করলেও স্বাধীনতার বাক্য উচ্চারণ করতে দ্বিধা করেন নি। আর জহিরও তাদের মনোভাব আঁকড়ে ধরে সামনের দিকে এগোতে চায়, সত্য প্রকাশ করতে চায়।
ক. ‘কিংবদন্তি’ শব্দের অর্থ কী?
খ “আমরা কি তাঁর মতো কবিতার কথা বলতে পারব” চরণটি বুঝিয়ে দাও।
গ. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন দিকটি উদ্দীপকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত জহিরের পূর্বপুরুষের চিত্র মূলত ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতারই সারাংশ। Ñবিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
‘কিংবদন্তি’ শব্দের অর্থ জনশ্র“তি।
বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যময়, স্বাধীনচেতনায় উদ্দীপ্তময় জীবনকে বর্ণনা করতে কবি চরণটি ব্যবহার করেছেন।
ঔপনিবেশিক শাসনাধীনে বাঙালি জাতি ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছিলেন। তারপরও তারা সত্যের কথা, জীবনের কথা, স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন দ্বিধাহীনভাবে। তাদের সহ্য করতে হয়েছিল অসহনীয় কষ্ট। বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষের জীবনের চেতনা ধারণ করতেই কবি প্রশ্নোক্ত চরণ ব্যবহার করেছেন।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার বাঙালির স্বাধীনচেতা মনোভাবের দিকটি উদ্দীপকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
স্বাধীন হয়ে বেঁচে থাকার স্বাদ অমৃতসমান। স্বাধীনতার এই স্পর্শই একজন ব্যক্তিকে সততা, সাহস, বিশ্বাসে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই হতাশা-নিরাশা আর গ্লানিকে মুছে ফেলে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অভিনব সুন্দর জীবনের সান্নিধ্যে যাওয়া উচিত।
উদ্দীপকের জহিরের পূর্বপুরুষ স্বাধীনতার শক্তিকে হৃদয়ে লালিত করে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। যদিও অনেক অত্যাচার তাদের সহ্য করতে হয়েছিল। তারপরও স্বাধীন মনোভাবের বিকাশকে কেউ তিল পরিমাণও ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাতেও বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষদের ক্রীতদাস হিসেবে জানা যায়। কিন্তু তারা সততা, নিষ্ঠা, স্বাধীন হওয়ার উদগ্র বাসনা দিয়ে সকল ঔপনিবেশিক শোষণ উপেক্ষা করে সত্যের কথা বলতেন। ফলে স্বাধীন হয় তাদের জীবন ও জীবনবাসনা। এভাবে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বাঙালি জাতির স্বাধীনচেতা মনোভাব উদ্দীপকের বর্ণিত বিষয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত জহিরের পূর্বপুরুষের চিত্র মূলত ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতারই সারাংশ।Ñমন্তব্যটি যথার্থ।
ইতিহাস মানুষই রচনা করে, আবার সেটাকে মানুষই হৃদয়পটে উজ্জীবিত করে রাখে। নিপীড়ন, নিষ্পেষণ আর গ্লানির শেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলে মানুষ আবার স্বাধীনতায় উদ্দীপ্ত হয়।
জহিরের পূর্বপুরুষরা স্বাধীনচেতা ছিলেন। তারা সকল নিপীড়ন, নির্যাতন ও জীবনযন্ত্রণাকে উপেক্ষা করে স্বাধীনভাবে সত্যকথা বলেছেন সবসময়। পূর্বপুরুষের গৌরবই কামরানের জীবনে দিশারি হয়ে পথ দেখায়। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটিতে কবি বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষদের জীবন কথা তুলে ধরেছেন। তারা নিপীড়ন ও অধীনতা উপেক্ষা করে জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য অবলোকন করে সত্যকে হৃদয়ে স্থান দেন। পূর্বপুরুষদের গৌরবোদ্দীপ্ত জীবনই বাঙালিকে অভিনব দিকের সন্ধান দিতে পারে।
উদ্দীপকে জহিরের পূর্বপুরুষদের সফল জীবনের দিকটি উপস্থাপিত হয়েছে। একইপভাবে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটিতেও বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষের জীবন-কথা আলোচিত হয়েছে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে বর্ণিত জহিরের পূর্বপুরুষের চিত্র মূলত ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতারই সারাংশÑ মন্তব্যটি যুক্তিসংগত।
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১ কবির পূর্বপুরুষের করতলে কিসের সৌরভ ছিল?
ক রক্তজবার ছ পলিমাটির গ শস্যদানার ঘ শ্বাপদের
২ “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি” বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
র. বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য
রর. বাঙালির সুদীর্ঘকালের শোষণ-বঞ্চনার ইতিকথা
ররর. অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালির শাশ্বত প্রতিবাদী সত্তা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের কবিতাংশটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি,
আমি বাংলার আল পথ দিয়ে হাজার বছর চলি।
চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরোশত নদী শুধায় আমাকে, ‘কোথা থেকে তুমি এলে?’
৩ কবিতাংশের ‘বাংলার আলপথ’Ñ এর সাথে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ চেতনা হলো
র. ইতিহাসমনস্কতা
রর. ঐতিহ্যপ্রিয়তা
ররর. সংগ্রামশীলতা
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪ উদ্দীপকে প্রতিফলিত চেতনা ব্যক্ত হয়েছে নিচের কোন চরণে?
ক সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা
খ সুপুরুষ ভালোবাসার সুকণ্ঠ সংগীত কবিতা
জ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
ঘ যে কর্ষণ করে। শস্যের সম্ভার তাকে সমৃদ্ধ করবে
মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক যাচাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক কবি পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক খুলনা খ ভোলা জ বরিশাল ঘ সাতক্ষীরা
৬ আবু জাফর ওবায়দুলাহ যে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তার নাম কী?
চ বহেরচর, ক্ষুদ্রকাঠি খ বহেরচর, বড়কাঠি
গ শিলচর, ক্ষুদ্রকাঠি ঘ শিলচর, বড়কাঠি
৭ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ৮ ফেব্র“য়ারি, ১৯৩৩ ছ ৮ ফেব্র“য়ারি, ১৯৩৪
গ ৮ ফেব্র“য়ারি, ১৯৩৫ ঘ ৯ ফেব্র“য়ারি, ১৯৩৪
৮ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন বিষয়ে বিএ (সম্মান) ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন?
ক বাংলা সাহিত্যে খ দর্শনে
গ ইতিহাসে ঝ ইংরেজি সাহিত্যে
৯ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন?
চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
গ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
১০ অধ্যাপনা ছেড়ে আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন পেশায় যোগ দেন?
ক সাংবাদিকতায় খ এনজিও প্রতিষ্ঠানে
জ সিভিল সার্ভিসে ঘ বাংলা একাডেমিতে
১১ কে সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেন?
ক আল মাহমুদ ছ আবু জাফর ওবায়দুলাহ
গ দিলওয়ার ঘ আহসান হাবীব
১২ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন?
ক বিদ্যুৎ ও জালানি মন্ত্রণালয়ে খ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে
গ খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ে ঝ কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে
১৩ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন?
ক যুক্তরাজ্যে ছ যুক্তরাষ্ট্রে
গ অস্ট্রেলিয়ায় ঘ ইংল্যান্ডে
১৪ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং সে বিষয়ের সাহিত্য রচনায় বিশেষ অবদান রাখায় আবু জাফর ওবায়দুলাহ কী লাভ করেন?
চ একুশে পদক খ স্বাধীনতা পুরস্কার
গ বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘ আদমজী পুরস্কার
১৫ সাহিত্যে অবদানের জন্য আবু জাফর ওবায়দুলাহকে কী পুরস্কার প্রদান করা হয়?
ক একুশে পদক খ স্বাধীনতা পুরস্কার
জ বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘ আদমজী পুরস্কার
১৬ ‘সাত নরীর হার’ ও ‘কখনো রং কখনো সুর’ কাব্যগ্রন্থ দুটির রচয়িতা কে?
ক সিকান্দার আবু জাফর ছ আবু জাফর ওবায়দুলাহ
গ দিলওয়ার ঘ আদমজী পুরস্কার
১৭ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে খ ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে
জ ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে
খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
১৮ কবি আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন পুরুষের কথা বলেছেন?
চ পূর্বপুরুষ খ উত্তর পুরুষ গ মাতৃপুরুষ ঘ পিতৃপুরুষ
১৯ আমাদের পূর্বপুরুষের করতলে কোন মাটির সৌরভ ছিল?
ক বেলে মাটি খ দো-আঁশ মাটি
জ পলি মাটি ঘ এঁটেল মাটি
২০ আমাদের পূর্ব পুরুষের পিঠে কীসের মতো ক্ষত ছিল?
ক কৃষ্ণচূড়া খ শিমুল জ রক্তজবা ঘ জবা
২১ আমাদের পূর্বপুরুষ কী রকম পাহাড়ের কথা বলতেন?
ক হিমালয় পর্বত খ বিন্ধ্য পর্বত
জ অতিক্রান্ত পাহাড় ঘ ছোট পাহাড়
২২ আমাদের পূর্বপুরুষরা কোন জমি আবাদের কথা বলতেন?
ক উর্বর জমি খ মাঠের জমি গ নিচু জমি ঝ পতিত জমি
২৩ ‘তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন’-এখানে তিনি কে?
ক আমাদের ওপর পুরুষ ছ আমাদের পূর্বপুরুষ
গ আমাদের মাতৃপুরুষ ঘ আমাদের ভবিষ্যৎ পুরুষ
২৪ ‘জিহŸায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ’ কী?
ক গান খ স্লোগান জ কবিতা ঘ গদ্য
২৫ কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কী?
ক গান খ স্লোগান জ কবিতা ঘ গদ্য
২৬ যে কবিতা শুনতে জানে না সে কী শুনবে?
চ ঝড়ের আর্তনাদ খ বজ্রের নিনাদ
গ বৃষ্টির শব্দ ঘ মেঘের গর্জন
২৭ কে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে?
ক যে কবিতা পড়তে জানে না
ছ যে কবিতা শুনতে জানে না
গ যে কবিতা লিখতে জানে না
ঘ যে কবিতা পাঠ করতে জানে না
২৮ ‘সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে’-চরণটির পূর্বের চরণ কোনটি?
ক আমি উচ্চারিত ঝড়ের মতো
ছ যে কবিতা শুনতে জানে না
গ আমি উচ্চারিত সত্যের মতো
ঘ সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে
২৯ মায়ের ছেলেরা ভালোবেসে কোথায় যায়?
ক গ্রামে খ বিদেশে জ যুদ্ধে ঘ পরপারে
৩০ কবির মতে কে নদীতে ভাসতে পারে না?
ক যে সাঁতার জানে না
ছ যে কবিতা শুনতে জানে না
গ যে গান শোনে না
ঘ যে ভালোবাসতে জানে না
৩১ কবিতায় কবি কার মৃত্যুর কথা বলেছেন?
ক মায়ের খ পিতার
জ গর্ভবতী বোনের ঘ ভাইয়ের
৩২ কবিতায় কবি ভালোবাসা দিলে কে মরে যায় বলেছেন?
চ মা খ বোন গ ভাই ঘ বন্ধু
৩৩ শস্যের সম্ভার কাকে সমৃদ্ধ করবে?
ক যে মৎস্য লালন করে ছ যে কর্ষণ করে
গ কবির ভাইদের ঘ দেশের মানুষকে
৩৪ কবির মতে প্রবহমান নদী কাকে পুরস্কৃত করবে?
ক যে ভালোবাসতে জানে খ যে সাঁতার জানে
জ যে মৎস্য লালন করে ঘ যে মৎস্য শিকার করে
৩৫ কে জমি কর্ষণ করে?
ক জেলে ছ চাষি গ তাঁতি ঘ কামার
৩৬ কবিতা কীসের অনিবার্য অভ্যুত্থান?
ক পলিমাটির খ ঝড়ের
জ সশস্ত্র সুন্দরের ঘ বীরের
6-Feb-00 কবির পূর্বপুরুষ কী ছিলেন?
ক চাষি খ কবি জ ক্রীতদাস ঘ জমিদার
৩৮ পলিমাটির সৌরভ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
চ উর্বর মাটি খ নরম মাটি
গ নদীমাতৃক দেশ ঘ কোমল হৃদয়
৩৯ অরণ্য এবং শ্বাপদের কথা কে বলতেন?
ক ইতিহাসবিদ ছ কবির পূর্বপুরুষ
গ কবির ভাই ঘ জ্ঞানীজন
৪০ যে কবিতা শুনতে জানে না, সে আজন্ম কী থেকে যাবে?
ক বন্দি খ মনিব গ দাস ঝ ক্রীতদাস
৪১ কবি উচ্চারিত সত্যের মতো কীসের কথা বলেছেন?
ক আকাক্সক্ষার খ আশার জ স্বপ্নের ঘ ইচ্ছার
৪২ কবি উনুনের আগুনে আলোকিত কেমন জানালার কথা বলেছেন?
চ উজ্জ্বল খ নি®প্রভ গ ছোট ঘ বড়
৪৩ নিচের কোনটি যে সাঁতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে?
ক স্থির নদী ছ প্রবহমান নদী
গ পাহাড়ি নদী ঘ সমুদ্র
৪৪ যে কবিতা শুনতে জানে না, সে কোথায় ভাসতে পারবে না?
ক পুকুরে খ খালে জ নদীতে ঘ সমুদ্রে
৪৫ যে কবিতা শুনতে জানে না, সে কার সঙ্গে খেলা করতে পারবে না?
ক সন্তানের খ বন্ধুর গ গাভীর ঝ মাছের
৪৬ যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মায়ের কোলে শুয়ে কী শুনতে পাবে না?
ক গান খ কবিতা গ ছড়া ঝ গল্প
৪৭ ‘কিংবদন্তির কথা’ বলেছেন কে?
ক আবু জাফর শামসুদ্দীন ছ আবু জাফর ওয়ায়দুলাহ
গ শামসুদ্দীন জাফর ঘ আহসান হাবীব
৪৮ কবি কোন ধরনের স্নেহের কথা বলেছেন?
ক মায়ের খ পিতার গ স্নিগ্ধ ঝ বিচলিত
৪৯ গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে কোন কবিতায়?
ক লোক-লোকান্তর
খ রক্তে আমার অনাদি অস্থি
গ সেই অস্ত্র
ঝ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
৫০ ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়, আর কী আসে?
ক ভয় খ বিদ্রোহ জ যুদ্ধ ঘ আন্দোলন
৫১ যে কবিতা শুনতে জানে না, সে সন্তানের জন্য কী করতে পারে না?
চ মরতে পারে না খ বাঁচতে পারে না
গ দায়িত্ব পালন করতে পারে না
ঘ সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারে না
৫২ যে কবিতা শুনতে জানে না, সে ভালোবেসে কোথায় যেতে পারে না?
চ যুদ্ধে খ গ্রামে গ আন্দোলনে ঘ বিদেশে
৫৩ যে কবিতা শুনতে জানে না, সে সূর্যকে কোথায় ধরে রাখতে পারে না?
ক হাতে খ মাথায় গ অন্তরে ঝ হৃৎপিণ্ডে
৫৪ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় আমাদের পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল কেন?
ক তিনি যোদ্ধা ছিলেন বলে
ছ তিনি ক্রীতদাস ছিলেন বলে
গ বন্যা পশুর আক্রমণে
ঘ তিনি অভিশপ্ত ছিলেন বলে
৫৫ শস্যের সম্ভার কাকে সমৃদ্ধ করে?
ক যে মৎস্য পালন করে ছ যে কর্ষণ করে
গ যে গাভীর পরিচর্যা করে ঘ যে লৌহখণ্ডকে প্রলম্বিত করে
৫৬ যে কর্ষণ করে তাকে কী বলা যায়?
ক জেলে খ কামার জ কৃষক ঘ রাখাল
৫৭ কাকে প্রবহমান নদী পুরস্কৃত করবে?
ক যে নৌকা চালায় খ যে কর্ষণ করে
গ যে গাভীর পরিচর্যা করে ঝ যে মৎস্য পালন করে
৫৮ জননীর আশীর্বাদ কাকে দীর্ঘায়ু করবে?
ক যে নৌকা চালায় খ যে কর্ষণ করে
জ যে গাভীর পরিচর্যা করে ঘ যে মৎস্য পালন করে
৫৯ ইস্পাতের তরবারি কাকে সশস্ত্র করবে?
ক যে কর্ষণ করে ছ যে লৌহখণ্ডকে প্রজ্বলিত করে
গ যে যুদ্ধে যায় ঘ যে মৎস্য পালন করে
৬০ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় যে পুত্রগণের কথা বলেছেন তারা কেমন?
চ দীর্ঘদেহী খ খর্বদেহী গ স্থূলদেহী ঘ সূ²দেহী
৬১ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি কার মৃত্যুর কথা বলেছেন?
ক ভাইয়ের খ মায়ের জ বোনের ঘ নিজের
৬২ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি কার যুদ্ধের কথা বলেছেন?
ক বাবার ছ ভাইয়ের গ বন্ধুর ঘ নিজের
৬৩ কবিতা কার অনিবার্য অভ্যুত্থান?
ক সশস্ত্রের খ সুন্দরের
গ শস্ত্রহীন সুন্দরের ঝ সশস্ত্র সুন্দরের
৬৪ হিংস্র মাংসাশী শিকারি জন্তুকে কী বলা হয়?
ক দৈত্য খ দানব জ শ্বাপদ ঘ অসুর
৬৫ কোনটি সকল শক্তির উৎস?
ক চন্দ্র খ গ্রহ গ পৃথিবী ঝ সূর্য
৬৬ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতামতে মুক্তির সামর্থ্য অর্জনের একমাত্র উপায় কোনটি?
ক গল্প শোনা খ গান শোনা
জ কবিতা শোনা ঘ কবিতা পাঠ
৬৭ কোন কবির নিরলস সাফল্যে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে?
ক সৈয়দ শামসুল খ আহসান হাবীব
জ আবু জাফর ওবায়দুলাহ ঘ জসীমউদ্দীন
৬৮ কবির পূর্বপুরুষের করতলে কীসের সৌরভ ছিল?
ক শ্বাপদের খ রক্তজবার জ পলিমাটির ঘ শস্যদানার
৬৯ “আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলছি।”Ñএখানে ‘স্বপ্ন’ শব্দটির সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য অর্থ কোনটি?
ক নিদ্রিত অবস্থায় কোনো বিষয়ের প্রত্যক্ষ অনুভব
খ নিদ্রিত অবস্থায় অনুভূত বিষয়
গ নিদ্রিত অবস্থায় মনের ক্রিয়া
ঝ স্বপ্ন অথচ মিথ্যে নয়
৭০ “আমরা কি তাঁর মতো কবিতার কথা বলতে পারব”-পঙ্ক্তিটিতে কবিমনের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক আনন্দ খ বিস্ময় গ হতাশা ঝ শঙ্কা
৭১ “ক্ষণকালের জন্য স্থির ছিল”-কথাটি দ্বারা কী বোঝায়?
ক বাতাসের খামখেয়ালি আচরণ
ছ বাতাসের প্রবাহের অনুপস্থিতি
গ লেখকের মনের ভাববিহলতা
ঘ লেখকের মতিভ্রম
৭২ “সে সূর্যকে হৃৎপিণ্ডে ধরে রাখতে পারে না”-পঙ্ক্তিটিতে ‘সূর্য’ কোন অর্থ বহন করছে?
ক অরুণ খ কাণ্ড গ অর্ক ঝ তেজ
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
৭৩ মানুষের জিহŸায় উচ্চারিত কোন ধরনের শব্দ একেকটি কবিতা?
ক বদ্ধ ছ মুক্ত গ তীব্র ঘ মৃদু
৭৪ ‘অরণ্য এবং শ্বাপদ’Ñএই শব্দযুগল কীসের প্রতীক?
চ বিপদের খ সতর্কতার গ রোমাঞ্চের ঘ বন-বনানীর
৭৫ “প্রতিটি শস্যদানা কবিতা”Ñএটিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব?
ক শ্রম = কবিতা ছ খাদ্যশস্য = কবিতা
গ সততা = কবিতা ঘ রক্ত = কবিতা
৭৬ ‘কিংবদন্তি’ শব্দটির অর্থ কী?
ক অদ্ভুত খ কিংকর্তব্যবিমূঢ়
জ জনশ্র“তি ঘ বেদান্ত জাতীয়
৭৭ কবিতায় ‘অতিক্রান্ত পাহাড়’ অনুষঙ্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক বিপদের খ পথের
জ বাধা-বিপত্তির ঘ দীর্ঘসূত্রতার
৭৮ ‘রক্তজবার মতো ক্ষত’ উপমাটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
চ নিপীড়নের খ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
গ রোগের ঘ যুদ্ধের ভয়াবহতা
৭৯ ‘করতল’ শব্দটির অর্থ কী?
ক বাদ্যযন্ত্র ছ হাতের তালু
গ পায়ের পাতা ঘ করের তল
৮০ ‘অরণ্য’ শব্দটির সমার্থক নয় কোনটি?
ক বিটপী খ বন গ জঙ্গল ঝ পর্বত
৮১ ‘আজন্ম’ শব্দটির সমার্থক শব্দ কোনটি?
চ চিরকালীন খ যে জন্মেছে
গ জন্মমাত্র ঘ যে জন্মগ্রহণ করবে
৮২ গর্ভবতী বোনের মৃত্যু কীসের প্রতীক?
ক যন্ত্রণার খ হতাশার জ নিপীড়নের ঘ বিপদের
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৮৩ কবি শেষ পঙ্ক্তিতে তাঁর বলতে কী বুঝিয়েছেন?
ক নিজেকে ছ পূর্বপুরুষকে গ মাকে ঘ বাবাকে
৮৪ লোকপরম্পরায় শ্র“ত ও কথিত বিষয়, যা একটি জাতির ঐতিহ্যের পরিচয়বাহী তাকে কী বলে?
চ কিংবদন্তি খ লোককথা গ খনার বচন ঘ বাগধারা
৮৫ মানুষের ওপর অত্যাচারের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে কোন পঙ্ক্তিটিতে?
ক সূর্যকে হৃৎপিণ্ডে ধরে রাখতে পারে না
ছ তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল
গ সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে
ঘ সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে
৮৬ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
চ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি খ সাত নরীর হার
গ কমলের চোখ
ঘ বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা
৮৭ ঐতিহ্য সচেতন শিকড় সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীন মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা ব্যক্ত হয়েছে কোন কবিতায়?
ক লোক-লোকান্তর খ রক্ত আমার অনাদি অস্থি
জ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি ঘ সাত নরীর হার
৮৮ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
ক অক্ষরবৃত্ত ছন্দে ছ গদ্য ছন্দে
গ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে ঘ স্বরবৃত্ত ছন্দে
৮৯ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যের অন্তর্গত?
ক কমলের চোখ খ সাত নরীর হার
গ আমার সময় ঝ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
৯০ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটির প্রেক্ষাপট কী?
ক সৌন্দর্য চেতনা
খ কবিতা প্রেম
জ বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাস
ঘ বাঙালির অত্যাচারিত জীবনের ইতিহাস
ঙ বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নোত্তর :
৯১ ‘কিংবদন্তি’ শব্দের সমার্থক শব্দÑ
র. গুজব রর. জনরব ররর. জনশ্র“তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৯২ কবি তাঁর কবিতায় পূর্বপুরুষ বলতে বুঝিয়েছেন-
র. নিজের পূর্বজনদের রর. নিজের অতীতকে
ররর. নিজের ইতিহাসকে
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৩ পলিমাটির সৌরভ মনে করিয়ে দেয়-
র. নদীর কথা রর. সমৃদ্ধির কথা ররর. বিশ্বাসের কথা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৪ পূর্বপুরুষের মুখে কবি ও কবিতার শোনার অর্থ হলো
র. সৃষ্টি ও স্রষ্টার কথা শোনা
রর. অতীত সমৃদ্ধির কথা শোনা
ররর. অতীত ঐতিহ্যের কথা শোনা
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৫ কবিতাকে সত্য শব্দ বলা হয়েছে। কারণ
র. সত্যই কবিতা রর. শব্দ সত্য বলে
ররর. কবি সত্য বলে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর. ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৬ কবিতা না শোনা ব্যক্তি আজন্ম ক্রীতদাস থাকবে কারণ
র. আত্মার মুক্তি ঘটবে না রর. সামাজিক মুক্তি ঘটবে না
ররর. সত্য থেকে বঞ্চিত হবে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র. ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৯৭ দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া বলতে বোঝায়
র. জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হওয়া
রর. নিজের ভূমি থেকে বঞ্চিত
ররর. আপন উৎসমূল থেকে বঞ্চিত
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৮ কবি মায়ের কথার মধ্য দিয়ে বলতে চেয়েছেন
র. প্রকৃতির রূপকে রর. আত্ম-অধিকারকে
ররর. স্বদেশের রূপকে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৯ সাঁতার না জানা মানুষও প্রবহমান নদীতে ভেসে থাকে। কারণ
র. জলের ধর্ম ভাসিয়ে রাখা রর. জলস্রোত ভাসিয়ে রাখে
ররর. নদীতে জীবনের উৎপত্তি
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১০০ কবিতা না শোনা মানুষ মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না। কারণ
র. কল্পবিলাসী হতে পারে না
রর. সত্য জানতে পারে না
ররর. আত্মোপলব্ধি করে না
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০১ মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়
র. নিজের শৈশব স্মৃতিকে রর. নিজের আত্মস্মৃতিকে
ররর. নিজের অতীত স্মৃতিকে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০২ কবি বিচলিত স্নেহের কথা বলেছেন
র. পূর্বজনদের স্নেহ মনে করে
রর. পূর্বজনদের ব্যর্থতা মনে করে
ররর. পূর্বজনদের ভালোবাসা মনে করে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১০৩ গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলার কারণ
র. স্বজন হারানোর বেদনা
রর. মৃত্যুকে কাছে থেকে দেখা
ররর. নিজের মানবিকতাবোধ
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৪ কবি তাঁর ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন
র. নিজের পূর্বপূরুষের কথা রর. বিচলিত স্নেহের কথা
ররর. বোনের মৃত্যুর কথা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৫ ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়। এ কথার অর্থ হলো
র. ভালোবাসা হারানোর ভয় সৃষ্টি করে
রর. ভালোবাসলে একদিন মরতে হয়
ররর. মৃত্যু ভালোবাসাকে উজ্জীবিত করে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৬ মায়ের ছেলেরা চলে যায়। কারণ
র. দেশকে শত্র“মুক্ত করতে হবে
রর. দেশকে স্বাধীন করতে হবে
ররর. দেশকে সমৃদ্ধ করতে হবে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৭ কবি তার ভাইয়ের কথা বলেছেন-
র. মাকে স্মরণ করে রর. মৃত্যুকে স্মরণ করে
ররর. যুদ্ধকে স্মরণ করে
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৮ ভালোবেসে যুদ্ধে যাওয়া হলো
র. ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
রর. আত্মশক্তির বহিঃপ্রকাশ
ররর. আত্মগর্বের বহিঃপ্রকাশ
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৯ সূর্যকে হৃৎপিণ্ডে ধরে রাখার অর্থ হলো
র. মুক্তির অনিবার্যতা
রর. সর্বশক্তিকে ধারণ
ররর. সামর্থ্য অর্জন করা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১১০ কবি তাঁর পূর্বপুরুষকে ক্রীতদাস বলেছেন। কারণ
র. নিজের অতীতকে জানতেন
রর.নিজের দুরবস্থাকে জানতেন
ররর. অত্যাচারের চিত্র দেখতেন
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১ শস্যসম্ভার ও নদীর পুরস্কার আমাদের জানিয়ে দেয়
র. পিতৃপুরুষের সমৃদ্ধিকে রর. বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে
ররর. প্রাকৃতিক ধনপ্রাচুর্যকে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১২ গাভীর পরিচর্যা বলতে বোঝানো হয়েছে
র. প্রাণের পরিচর্যাকে রর. প্রকৃতির পরিচর্যাকে
ররর. নিজের পরিচর্যাকে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৩ লৌহখণ্ডের প্রজ্বলন বলতে বোঝায়
র. যুদ্ধের সংকেত রর. কঠোর পরিশ্রম
ররর. সৃষ্টির উন্মাদনা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৪ সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
র. সুন্দর প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে রর. সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে
ররর. অবশ্যম্ভাবী সব সংগ্রামকে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৫ কবিতাকে ভালোবাসার সুকণ্ঠ সংগীত বলার কারণ হলো
র. কবিতা স্নিগ্ধ বলে রর. কবিতা সুরেলা বলে
ররর. কবিতা নান্দনিক বলে
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬ কবিতাকে মুক্ত শব্দ বলা হয়েছে। কারণ
র. আত্মাকে মুক্তি দেয় রর. মুক্তির কথা বলে
ররর. সত্যের রূপ দেখায়
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১১৭ কবিতাকে প্রতিরোধের উচ্চারণ বলা হয়েছে। কারণ
র. কবিতা প্রতিবাদ করে রর. কবিতা মুক্তি আনে
ররর.কবিতা জ্ঞান আনে
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৮ ‘সূর্যকে হৃৎপিণ্ডে ধরে রাখা দ্বারা কবি বুঝিয়েছেনÑ
র. তেজ ধরে রাখা রর. মনে সাহস সঞ্চয় করা
ররর. আলোতে বেঁচে থাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৯ আবু জাফর ওবায়দুলাহর কবিতায় প্রাধান্য পেয়েছেÑ
র. রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন রর. মুক্তিযুদ্ধ
ররর. প্রকৃতি প্রেম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২০ যে কবিতা শুনতে জানে নাÑ
র. সে নদীতে ভাসতে পারে না
রর. সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না
ররর. সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১২১-১২২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
যেখানেই থাকি, হৃদয়ে বাংলাদেশ।
১২১ উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি কোন মনোভাবকে উপস্থাপন করে?
চ শেকড়সন্ধানী মনোভাব খ দেশদরদি মনোভাব
গ প্রকৃতিচেতনার মনোভাব ঘ স্বাধীনতার মনোভাব
১২২ উক্ত মনোভাবের সপক্ষের পঙ্ক্তিটি হলো
ক তাঁর পিঠে রক্ত জবার মতো ক্ষত ছিল
ছ আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি
গ তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন
ঘ আমি একটি উজ্জ্বল জানালার কথা বলছি
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১২৩-১২৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রফেসর গোলাম মুরশিদ তাঁর ‘হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি’ গ্রন্থে বাঙালি সংস্কৃতির রূপরেখা তুলে ধরেছেন।
১২৩ উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন বিষয়টি উপস্থাপন করে?
ক বাঙালির গৌরব খ বাঙালির বিজয়
জ বাঙালির ঐতিহ্য ঘ বাঙালির সংগ্রাম
১২৪ উক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাকে বলা যায়
র. আত্মচেতনার কবিতা
রর. আত্মপরিচয়ের কবিতা
ররর. আত্মসমালোচনার কবিতা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১২৫-১২৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পড়ে মাঠ ভরা ধান্য শীর্ষ পরে
দেশের মাটিতে মানুষের ঘরে ঘরে
১২৫ উদ্দীপকে কবিতায় কোন দিকটি উপস্থিত?
ক সংগ্রামী বাংলার কথা ছ ঐতিহ্যের কথা
গ ইতিহাসের কথা ঘ সমৃদ্ধির কথা
১২৬ উক্ত উপস্থিত দিকটি কবিতায় এনেছে
র. বাংলাদেশের প্রকৃতি রর. আবহমান বাংলাদেশ
ররর. বাংলাদেশের সমৃদ্ধি
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১২৭-১২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রতি দিবসের সূর্য-আলোকে অন্তর অনুরাগে
আমাদের দেশের মাটিতে মেশানো আমার প্রাণের ঘ্রাণ
গৌরবময় জীবনের সম্মান
১২৭ উদ্দীপকের সূর্য-আলোক ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় এসেছে-
ক স্বপ্নের কথা হয়ে খ ইস্পাত কথা হয়ে
জ উজ্জ্বল জানালা হয়ে ঘ যুদ্ধের কথা হয়ে
১২৮ কবিতায় আসা উক্ত বিষয়টি হলো
র. মানুষের বিজয় অর্জন
রর. মুক্তজীবনের প্রত্যাশা
ররর. সংগ্রামী মনোভাব
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১২৯-১৩০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নিতি নবরূপে ভরে মন জীবনের আশ্বাসে
১২৯ উদ্দীপকের জীবনের আশ্বাস কবিতায় এসেছে
চ কবিতার কথা হয়ে খ জমির কথা হয়ে
গ প্রতিরোধের কথা হয়ে ঘ শস্যের কথা হয়ে
১৩০ প্রকৃতার্থে কবিতায় কবি জীবনের আশ্বাস খুঁজেছেন
র. কিংবদন্তির কথায়
রর. পূর্বপুরুষের কথায়
ররর. সত্যশব্দের কথায়
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৩১-১৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ভয়হারা কোটি অপলক চোখ একাকার হলো সূর্যের অনিমিখে।
১৩১ উদ্দীপকে ভয়হারা অপলক চোখ কবিতায় কীভাবে এসেছে?
ক অনিবার্য অভ্যুত্থান হয়ে খ দীর্ঘদেহী পুত্রগণ হয়ে
জ প্রতিরোধের উচ্চারণ হয়ে ঘ বিচলিত স্নেহের কথা হয়ে
১৩২ কবিতায় আসা উক্ত বক্তব্যাবলি মনে করিয়ে দেয়
ক পলাশির যুদ্ধের কথা খ সিপাহি বিপ্লবের কথা
গ নীলবিদ্রোহের কথা ঝ মুক্তিযুদ্ধের কথা
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৩৩-১৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে,
আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙ্গার বহর থেকে।
১৩৩ উদ্দীপকের ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় এসেছে
র. কিংবদন্তির কথা হয়ে
রর. পূর্বপুরুষের কথা হয়ে
ররর. পলিমাটির কথা হয়ে
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৪ প্রকৃতার্থে উদ্দীপকের আমি ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় আমি হলো
র. কবির আত্মসত্তা রর. কবির অহংবোধ
ররর. কবির সংস্কারবোধ
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর. জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৩৫-১৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
এসেছি আবার ফিরে ...... রাত জাগা নির্বাসন শেষে
এসেছি জননী বঙ্গে স্বাধীনতা উড়িয়ে উড়িয়ে
১৩৫ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাদৃশ্য কোথায়?
ক প্রতিরোধের কথা বলায়
খ বাংলাদেশের কথা বলায়
জ ঐহিত্য পুনরুত্থানের শব্দে
ঘ যুদ্ধ শব্দের গাঢ় উচ্চারণে
১৩৬ উক্ত সাদৃশ্য ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটিকে করেছে-
র. সংস্কারমুক্তির কবিতা
রর. শেকড়সন্ধানী কবিতা
ররর. আত্মোদ্বোধনের কবিতা
নিচের কোনটি ঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
* অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৩৭-১৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়।
১৩৭ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বৈসাদৃশ্য হলো-
র. শব্দ ব্যবহারে রর. ছন্দ ব্যবহারে
ররর. চিত্রকল্প ব্যবহারে
নিচের কোনটি ঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮ বৈসাদৃশ্য থাকলেও উভয়ের যোগসূত্র হলো
ক ঐতিহ্যনির্মাণে ছ আত্মস্বীকারোক্তিতে
গ জীবনের প্রকাশে ঘ গভীরতা সঞ্চারে
* নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩৯-১৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
আমিতো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে।
আমিতো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।
[তথ্যসূত্র : আমার পরিচয়-সৈয়দ শামসুল হক]
১৩৯ কবির পূর্বপুরুষদের কোথায় ক্ষত ছিল?
ক হাতে খ বুকে জ পিঠে ঘ নাকে
১৪০ উদ্দীপকে কবিতার কোন ভাবটি ফুটে উঠেছে?
চ ঐতিহ্য চেতনা খ জন্মপরিচয়
গ সৌন্দর্য চেতনা ঘ জীবন দর্শন
১৪১ উদ্দীপকের সাথে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মিল রয়েছেÑ
র. কবির চেতনার
রর. পূর্ব পুরুষের কথার
ররর. জাতীয়তা বোধে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
* নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৪২-১৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
সাহিত্যের ক্লাসে জমির স্যার কবিতা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, “কবিতা মানুষের চেতনাকে সমৃদ্ধ করে। যে কবিতা ভালোবাসে না সে মানুষকে খুন করতে পারে।”
১৪২ কবির মতে কিংবদন্তি কারা?
চ পূর্বপুরুষরা খ শহিদরা গ আর্যরা ঘ জমিদাররা
১৪৩ উদ্দীপকের জমির স্যারের সাথে কবির সাদৃশ্য কোথায়?
চ কবিতাকে ভালোবাসায় খ ছাত্রদের ভালোবাসায়
গ স্বদেশ প্রেমে ঘ সৌন্দর্যবোধে
১৪৪ জমির স্যারের চেতনায় কবিতার যে ভাবটি প্রকাশিতÑ
র. জীবন দর্শন
রর. ঐতিহ্য চেতনা
ররর. কবির প্রীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র খ রর ও ররর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
রিভিশন অংশ (জবারংরড়হ)
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলেখ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বাড়ির কাজ
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় বর্ণিত কবির পূর্বপুরুষদের লড়াইয়ের ইতিহাস সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় উলিখিত কবির পূর্বপুরুষদের অর্জনগুলো বিশ্লেষণ কর।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় উলিখিত বাংলার প্রকৃতিতে কবিতার উজ্জ্বল উপস্থিতির স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কবি যেভাবে জীবন ও পরিবেশের বিচিত্র অনুষঙ্গের সাথে কবিতার যোগসূত্র তৈরি করেছেন তা বিশ্লেষণ কর।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবিতাকে আত্মস্থ করার প্রতি বারংবার আহŸানের বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবিতাকে ভালোবাসার প্রতি কবির যে অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে তার কারণ বিশ্লেষণ কর।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
আবু জাফর ওবায়দুলাহর জন্ম ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই ফেব্র“য়ারি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে। মৃত্যু ১৯ শে মার্চ ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে। তাঁর কবিতায় বিশেষভাবে প্রাধান্য পেয়েছে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ। তিনি একুশে পদক এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
আবু জাফর ওবায়দুলাহর উলেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো ‘সাত নরীর হার’, ‘কখনো রং কখনো সুর’, ‘কমলের চোখ’, ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’, ‘বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা’, ‘আমার সময়’ প্রভৃতি। এছাড়া ইংরেজি ভাষায়ও তাঁর একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
বাঙালি জাতির ইতিহাস বাংলার মাটি, বাংলার মানুষের ওপর অত্যাচার, বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণিত হয়েছে।
মানবজীবনে কবিতার নানামুখী প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। কবি তাঁর স্বপ্নের কথা বলেছেন। কবিতা ভালোবাসা, মা, বোন, ভাই সন্তানের প্রসঙ্গ এসেছে। শ্রমজীবী মানুষের প্রতি প্রকৃতির আশীর্বাদের কথা বলা হয়েছে।
কিংবদন্তি হলো জনশ্র“তি।
শ্বাপদ হলো হিংস্র মাংসশী শিকারি জন্তু।
বিচলিত স্নেহ বলতে আপনজনের উৎকণ্ঠাকে বোঝানো হয়েছে।
সূর্যকে হৃৎপিণ্ডে ধরে রাখার সামর্থ্য অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কবিতা শোনা; কবিতাকে আত্মস্থ করা।
কবিতাটিতে উচ্চারিত হয়েছে ঐতিহ্যসচেতন শিকড় সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা। রচনার প্রেক্ষাপটে আছে বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাস, এই জাতির সংগ্রাম, বিজয় ও মানবিক উদ্ভাসের অনিন্দ্য অনুষঙ্গসমূহ।
কবিতায় ‘কিংবদন্তি’ শব্দবন্ধটি হয়ে উঠেছে ঐহিত্যের প্রতীক।
কবি এই নান্দনিক কৌশলের সঙ্গে সমন্বিত করেছেন গভীরতাসঞ্চারী চিত্রকল্প।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুলাহ ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই ফেব্র“য়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
২ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুলাহ বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
৩ আবু জাফর ওবায়দুলাহ কোন দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন?
উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুলাহ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৪ আবু জাফর ওবাদুলাহ কত খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুলাহ ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
৫ আবু জাফর ওবায়দুলাহ মৃত্যুবরণ করেন কবে?
উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুলাহ মৃত্যুবরণ করেন ২০০১ সালের ১৯ শে মার্চ।
৬ পলিমাটির সৌরভ কার করতলে ছিল?
উত্তর : পূর্বপুরুষের করতলে পলি মাটির সৌরভ ছিল।
৭ কে কবি এবং কবিতার কথা বলতেন?
উত্তর : কবির পূর্বপুরুষগণ কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
৮ কে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে?
উত্তর : যে কবিতা শুনতে জানে না সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।
৯ প্রবহমান নদীর কথা কে বলতেন?
উত্তর : কবির মা প্রবহমান নদীর কথা বলতেন।
১০ কে ক্রীতদাস ছিল?
উত্তর : কবির পূর্বপুরুষ ক্রীতদাস ছিল।
১১ প্রবহমান নদী কাকে পুরস্কৃত করে?
উত্তর : যে মৎস্য লালন করে, তাকে প্রবাহমান নদী পুরস্কৃত করে।
১২ জননীর আশীর্বাদ কাকে দীর্ঘায়ু করবে?
উত্তর : যে গাভীর পরিচর্যা করে, জননীর আশীর্বাদ তাকে দীর্ঘায়ু করবে।
১৩ যে লৌহখণ্ডকে প্রজ্বলিত করে কী তাকে সশস্ত্র করবে?
উত্তর : যে লৌহখণ্ডকে প্রজ্বলিত করে তাকে ইস্পাতের তরবারি সশস্ত্র করবে।
১৪ সুপুরুষ ভালোবাসার সুকণ্ঠ সংগীত কী?
উত্তর : সুপুরুষ ভালোবাসার সুকণ্ঠ সংগীত কবিতা।
১৫ ‘কিংবদন্তি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘কিংবদন্তি’ শব্দের অর্থ জনশ্র“তি।
১৬ ‘শ্বাপদ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘শ্বাপদ’ শব্দের অর্থ হিংস্র মাংসাশী শিকারি জন্তু।
১৭ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কী ঘোষিত হয়েছে?
উত্তর : ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ঘোষিত হয়েছে ঐতিহ্যসচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তি।
১৮ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
উত্তর : ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি গদ্য ছন্দে রচিত।
১৯ ‘অভিনবত্ব’ কী নির্মাণের শর্ত?
উত্তর : ‘অভিনবত্ব’ চিত্রকল্প নির্মাণের শর্ত।
২০ ‘কিংবদন্তি’ শব্দবন্ধটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কীসের প্রতীক?
উত্তর : ‘কিংবদন্তি’ শব্দবন্ধটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১ “তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল”-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : এখানে কবি তাঁর পূর্বপুরুষের করতলে পলিমাটির সৌরভ থাকার কথা উলেখ করেছেন।
পলিমাটিতে উৎকৃষ্ট ফসল ফলে। কবির পূর্বপুরুষের হাতে সেই পলিমাটির সৌরভ থাকায় এটি স্পষ্ট হয় যে, তিনি কৃষক ছিলেন। কারণ, কৃষকেরা মাটি চাষ করে ফসল ফলায়। ফলে তাদের হাতে ও শরীরে মাটির সোঁদা গন্ধ থাকা খুবই স্বাভাবিক।
২ ‘জিহŸায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা’-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জিহŸায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা-পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবিতার মর্মমূলে নিহিত সত্যের প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে।
কবিতা মূলত সত্যেরই ধারক-বাহক। কবিতার বহির্লোকে আপাত মিথ্যার খোলস থাকলেও অন্তর্লোকে থাকে সত্যের নির্যাস। কবি মানুষের জিহŸায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দকে কবিতায় মহিমা দিয়েছেন। অর্থাৎ, সত্যের দ্যোতনা থাকলেই কোনো শব্দ কবিতার অভিধা পাবে।
৩ ‘সূর্যকে হৃৎপিণ্ডে ধরে রাখা’-বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘সূর্যকে হৃৎপিণ্ডে ধরে রাখা’-বলতে কবিতায় মানুষের প্রতিবাদী ও সংগ্রামী চেতনাকে হৃদয়ে ধরে রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে। যারা কবিতা শুনতে জানে না তারা সংগ্রামী চেতনাকে নিজের ভেতরে পালন করার ক্ষমতা রাখে না। আর যারা কবিতাপ্রেমী তারাই পারে সূর্যের উত্তাপময় প্রতিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত হতে।
৪ ‘যুদ্ধ আসে ভালোবেসে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘যুদ্ধ আসে ভালোবেসে’ বলতে মূলত যুদ্ধের সহজ, স্বতঃস্ফূর্ত ও অনিবার্য আগমনকে বোঝানো হয়েছে।
যদিও যুদ্ধ কখনো কারো কাম্য নয়। কিন্তু কখনো কখনো যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। যখন মানুষ তার অধিকারবঞ্চিত হতে থাকে, হতে থাকে নিপীড়িত ও নির্যাতিত; তখন যুদ্ধের কোনো বিকল্প থাকে না। এখন যুদ্ধ নিজেই যেন ভালোবেসে আবির্ভূত হয়।
৫ কবির পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল কেন?
উত্তর : কবির পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল। কারণ, তার পূর্বপুরুষ ছিল ক্রীতদাস।
‘রক্তজবার মতো ক্ষত’ বলতে প্রকৃতপক্ষে আঘাতের ফলে রক্ত জমে ক্ষত হয়ে লাল দাগ পড়ে যাওয়াকে বোঝানো হয়েছে। আগের দিনে ক্রীতদাসদের নির্মম নির্যাতন করা হতো। ফলে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতচিহ্ন থাকতো। কবির পূর্বপুরুষগণ ক্রীতদাস ছিলেন বলেই তাঁর পিঠেও ছিল রক্তজবার মতো ক্ষত।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ (অংংবংসবহঃ)
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্নÑ১ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে।
আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।
আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে।
আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলা থেকে।
ক. পূর্বপুরুষদের পিঠে কীসের মতো ক্ষত ছিল? ১
খ. “যে কবিতা শুনতে জানে না/সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না”-বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটি কোন দিক থেকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণরূপ নয়, খণ্ডাংশ মাত্র।”-মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. পূর্বপুরুষদের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল।
খ. যে কবিতা শুনতে জানে না সে জীবনে আনন্দ খুঁজে পায় না। এ বিষয়টি আলোচ্য অংশে ব্যক্ত হয়েছে। খেলা করার মূল উদ্দেশ্য হলো আনন্দ লাভ। যে ব্যক্তির মধ্যে সৃজনশীলতা নেই সে এই, আনন্দ উপভোগ করতে পারে না। তাই যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মাছের সাথে খেলা করার আনন্দ উপভোগ করতে পারে না।
টিপস
গ. প্রথমে উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার মধ্যে কোন বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে তা নির্ণয় কর। এরপর নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি ব্যাখ্যা কর। সবশেষে উক্ত বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার সাদৃশ্যমূলক আলোচনা কর।
ঘ. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মূলভাব চিিহ্নত কর। তারপর উদ্দীপকটি মনযোগ দিয়ে পড়ে এর মূলভাব নির্ণয় কর। উভয়ের মূলভাবের তুলনামূলক আলোচনা কর। সবশেষে তুমি যুক্তি দিয়ে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
প্রশ্নÑ২ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
এদেশ আমি বিকিয়ে দেব না পণ্যের বিনিময়ে
এদেশ আমার প্রেম, অপ্রেমে; শঙ্কা ও সংশয়ে
শত্র“কে আমি দেব না এখানে অকারণ প্রশ্রয়
রক্তের দামে কিনেছি এ দেশ
আমার স্বদেশ তবে আর ভয় কেন?
বলুন এবং আত্মীয়জন, মোর প্রিয়তমা নারী
আমরা সবাই শত্র“র সংহারী।
ক. কে মাছের সঙ্গে খেলা করতে জানে না? ১
খ. “যে কবিতা শুনতে জানে না সে ভালোবেসে যুদ্ধে যেতে পারে না”Ñবলতে কী বোঝ? ২
গ. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন বিষয়টি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে?Ñব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকে উলিখিত দেশপ্রেম এবং সাহসিকতাই ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য”Ñমন্তব্যটি সত্যতা পরীক্ষা কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. যে কবিতা শুনতে জানে না সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে জানে না।
খ. যে কবিতা শুনতে জানে না, তার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হয় না। -এ বিষয়টি আলোচ্য অংশে প্রকাশ পেয়েছে।
কবিতা হলো সৃজনশীল ব্যক্তির অভিব্যক্তির প্রকাশ। যে কবিতা পড়তে বা শুনতে ভালোবাসে, তার মধ্যে সৃজনশীলতা, সৌন্দর্যবোধ, দেশপ্রেম প্রভৃতি তথা নতুন নতুন বোধের জন্ম হয়। এ শ্রেণির মানুষ দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারে। আর যারা কবিতা শুনতে জানে না, তারা নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, দেশের জন্য কিছু করতে জানে না।
টিপস
গ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পাঠ করে বাঙালির যে বৈশিষ্ট্য এখানে ফুটে উঠেছে তা চিিহ্নত কর। এখন দেখ, এ বৈশিষ্ট্যটি আলোচ্য কবিতায় কীভাবে আছে। এবার বিষয়টির একটি তুলনামূলক ব্যাখ্যা প্রদান কর নিজের ভাষায়।
ঘ. উদ্দীপকে কোন বিষয়টি আলোচিত হয়েছে তা নির্ণয় কর এবং ব্যাখ্যা কর। আলোচ্য কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য চিিহ্নত কর। এখন উভয়ের মধ্যে তুলনা কর এবং প্রমাণ কর যে, উদ্দীপকের বিষয়টিই আলোচ্য কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য।
প্রশ্নÑ৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
আবরার হোসেন একজন কবি। খুব বিখ্যাত বা নামকরা না হলেও সে একজন কবি। স্কুলজীবনেই তার কবিতায় হাতেখড়ি। সে কবিতা ভালোবাসে; ভালোবাসে কবিতার প্রতিটি শব্দকে, প্রতিটি অক্ষরকে। সে ভাবে, যে কবিতা সে লিখছে তা তো তার চেতনারই ফসল। একটি নতুন কবিতা জন্ম দিতে পেরে সে শিহরিত হয়, আনন্দিত হয়।
ক. কে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে? ১
খ. “যে কবিতা শুনতে জানে না/সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।”-কেন? ২
গ. উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’ কবিতার মধ্যকার সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’ কবিতার প্রতিরূপ।”Ñমূল্যায়ন কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. যে কবিতা শুনতে জানে না সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে।
খ. যে কবিতা শুনতে জানে না তার হৃদয় একটি গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকে- এ বিষয়টি আলোচ্য অংশে প্রকাশিত হয়েছে।
কবিতার সাথে মানবহৃদয়ের এক নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। কবিতা মানুষকে সংকীর্ণতার গণ্ডি থেকে মুক্ত করে, হৃদয়ের বিশালতাকে জাগ্রত করে। যে ব্যক্তি কবিতা শুনতে জানে না, সে এ বিশালতার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এটিকেই কবি আলোচ্য চরণে রূপদান করেছেন।
টিপস
গ. উদ্দীপকটি ভালোভাবে পাঠ করে তাতে কোন বিষয়টি প্রাধান্য লাভ করেছে তা নির্দেশ কর। অতঃপর আলোচ্য কবিতার সাথে উক্ত বিষয়টি মিলিয়ে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রথমে আলোচ্য কবিতার মূল বিষয়টি চিিহ্নত কর। তারপর উদ্দীপকে সেই বিষয়টি কীভাবে এসেছে তা ব্যাখ্যা কর। এরপর উভয়ের তুলনামূলক আলোচনা কর এবং প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
Quality Can Do Soft - এর মোবাইল এপস পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুণ