বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১ মজিদের মহব্বতনগর গ্রামে প্রবেশটা কেমন ছিল?
ক অবধারিত ছ নাটকীয় গ কাব্যিক ঘ স্বাভাবিক
২ ‘মাজারটি তার শক্তির মূল' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
চ বিশ্বাস খ আনুগত্য গ ভীতি ঘ অনুরাগ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
কাজিপাড়া গ্রামের কামরুল কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকেন। তিনি চিন্তা করলেন আধুনিক শিক্ষা ব্যতীত মুসলমানের পরিত্রাণ নেই। এ তাড়না থেকেই তিনি গ্রামে একটি সাধারণ শিক্ষার স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগ নিলেন। গ্রামের সবাই কামরুলের মতি-গতি সম্পর্কে দ্বিধানি¦ত হলেও তাঁর দৃঢ়তার প্রতি আস্থাশীল ছিল। একই সময়ে গ্রামের মসজিদের ইমাম আবদুর রহমান মসজিদ পাকা করতে উদ্যোগ নিলেন। সবাই মসজিদে দান করার জন্য উদগ্রীব হলো। কামরুলের স্কুল করার উদ্যোগ আপাতত চাপা পড়ে গেল।
৩ উদ্দীপকের কামরুলের সঙ্গে ‘লালসালু' উপন্যাসের কোন চরিত্রের মিল পাওয়া যায়?
ক তাহের খ খালেক জ আক্কাস ঘ ধলা মিয়া
৪ উক্ত চরিত্রের মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছেÑ
র. সংগ্রামী মনোভাব ও আস্থাশীলতা
রর. গ্রামের উন্নতি সাধনে আগ্রহ
ররর. আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের ইচ্ছা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঝ র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক যাচাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক কবি পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে ছ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে
গ ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে ঘ ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে
৬ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের কত তারিখে সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ জন্মগ্রহণ করেন?
চ ১৫ আগস্ট খ ১৫ অক্টোবর
গ ১০ নভেম্বর ঘ ১০ নভেম্বর
৭ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোন শহরে জন্মগ্রহণ করেন?
ক খুলনা খ সিলেট জ ষোলশহর ঘ আগ্রাবাদ
৮ ষোলশহর কোথায় অবস্থিত?
ক ঢাকা খ করাচি গ লন্ডন ঝ চট্টগ্রাম
৯ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র পিতা কী ছিলেন?
ক মুক্তিযোদ্ধা খ সাংবাদিক
গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ঝ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট
১০ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাস করেন?
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
গ হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয় ঘ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১১ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন ডিগ্রি লাভ করেন?
ক বি.এ খ এস.এস.সি জ এম.এ ঘ বি. অনার্স
১২ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র কর্মজীবন শুরু হয় কোন চাকরি দিয়ে?
ক আবলা ছ সাংবাদিকতা
গ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঘ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট
১৩ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ সাংবাদিক কর্মজীবন শুরু হয় কোথায়?
ক ঢাকায় খ প্যারিসে গ লন্ডনে ঝ বার্লিনে
১৪ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ ছাত্রাবস্থাতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ পাওয়ার কারণ কী?
চ বাবার কর্মস্থল পরিবর্তন খ নিজের কর্মস্থল পরিবর্তন
গ নিজে ভ্রমণ-বিলাসী বলে ঘ পিতার ভ্রমণ বিলাস
১৫ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ বিভিন্ন অঞ্চলের কীসের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেন?
ক ধর্ম কর্ম ছ জীবনধারা
গ সাংবাদিকতা ঘ ব্যবসা বাণিজ্য
১৬ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র কর্মজীবন শুরু হয় যে ইংরেজি দৈনিকে সেটি কোথা থেকে বের হয়?
ক ঢাকা খ প্যারিস গ লন্ডন ঝ কলকাতা
১৭ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ দীর্ঘদিন কোথায় কাটান?
ক ঢাকায় ছ প্যারিসে গ বিলাতে ঘ দুবাইয়ে
১৮ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ প্যারিসে কোন বিভাগে চাকরি করেন?
চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খ সংবাদপত্র অফিসে
গ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ঘ কারখানায়
১৯ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র সময়ে এদেশের পররাষ্ট্র-মন্ত্রণালয় কার অধীনে ছিল?
ক ইরান সরকারের খ জার্মান সরকারের
জ পাকিস্তান সরকারের ঘবৃটিশ সরকারের
২০ মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোথায় ছিলেন?
ক ঢাকায় ছ প্যারিসে গ চট্টগ্রামে ঘ কলকাতায়
২১ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত খ্রিস্টাব্দে মারা যান?
ক ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে খ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে
গ ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ঝ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে
২২ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোথায় মারা যান?
ক ঢাকায় ছ প্যারিসে গ চট্টগ্রামে ঘ কলকাতায়
২৩ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোন দেশের পক্ষ অবলম্বন করেন?
ক পাকিস্তানের ছ বাংলাদেশের
গ ভারতের ঘ আমেরিকার
২৪ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ জীবনের কোন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেন?
চ ছাত্রাবস্থায় খ চাকরি জীবনে
গ মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘ মরণের অল্প আগে
২৫ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১৯১৮ খ ১৯২০ জ ১৯২২ ঘ ১৯২৪
২৬ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক ঢাকা ছ চট্টগ্রাম গ নোয়াখালীতে ঘ ফেনী
২৭ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র পৈতৃক নিবাস ছিল কোন জেলায়?
ক ফেনীতে ছ নোয়াখালীতে
গ কুমিলায় ঘ চট্টগ্রামে
২৮ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র পিতার নাম কী?
চ সৈয়দ আহমদ উলাহ খ সৈয়দ আকরাম উলাহ
গ সৈয়দ সিরাজ উলাহ ঘ সৈয়দ নবী উলাহ
২৯ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র পিতা কী ছিলেন?
ক বড় ব্যবসায়ী ছ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা
গ কৃষক ঘ স্বনামধন্য আইনজীবী
৩০ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত সালে আই এ পাস করেন?
ক ১৯৪০ সালে ছ ১৯৪১ সালে
গ ১৯৪২ সালে ঘ ১৯৪৩ সালে
৩১ কোন কলেজ থেকে সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ আই এ পাস করেন?
ক ঢাকা কলেজিয়েট কলেজ ছ ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ
গ নটর ডেম কলেজ ঘ কুমিলা ভিক্টোরিয়া কলেজ
৩২ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত সালে বিএ পাস করেন?
ক ১৯৪১ সালে খ ১৯৪২ সালে
জ ১৯৪৩ সালে ঘ ১৯৪৫ সালে
৩৩ কোন কলেজ থেকে সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ বিএ পাস করেন?
ক জগন্নাথ কলেজ খ ঢাকা কলেজ
গ ভিক্টোরিয়া কলেজ ঝ আনন্দমোহন কলেজ
৩৪ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ পড়ার জন্য ভর্তি হন?
চ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় খ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ঘ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোন ইংরেজি দৈনিকে সাব-এডিটর পদে নিযুক্ত হন?
চ দি স্টেটস্ম্যান খ দি মর্নিং সান
গ ইন্ডিয়া টুডে ঘ মর্নিং নিউজ
৩৬ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত সালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে সহকারী বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন?
চ ১৯৪৫ সালে খ ১৯৪৭ সালে
গ ১৯৪৯ সালে ঘ ১৯৫১ সালে
৩৭ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত সালে করাচি বেতার কেন্দ্রে যোগদান করেন?
ক ১৯৪৮ সালে খ ১৯৪৯ সালে
জ ১৯৫০ সালে ঘ ১৯৫১ সালে
৩৮ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ করাচি বেতার কেন্দ্রে কোন পদে নিযুক্ত হন?
ক সহকারী বার্তা সম্পাদক ছ বার্তা সম্পাদক
গ সহকারী প্রযোজক ঘ অনুষ্ঠান অধিকর্তা
৩৯ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র সর্বশেষ কর্মস্থল কোথায় ছিল?
ক বার্লিন খ কায়বা গ জাকার্তা ঝ প্যারিস
৪০ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
চ ১৯৭১ সালে খ ১৯৭২ সালে
গ ১৯৭৩ সালে ঘ ১৯৭৪ সালে
৪১ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ৬ অক্টোবর খ ৮ অক্টোবর
জ ১০ অক্টোবর ঘ ১২ অক্টোবর
৪২ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কোথায় মারা যান?
ক খুলনায় খ কাবুলে গ লন্ডনে ঝ প্যারিসে
৪৩ ‘নয়নচারা’ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র কোন ধরনের গ্রন্থ?
চ গল্পগ্রন্থ খ উপন্যাস গ নাটক ঘ আত্মজীবনী
৪৪ ‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্প-গ্রন্থের লেখক কে?
ক আবু জাফর শামসুদ্দীন ছ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্
গ জহির রায়হান ঘ কাজী নজরুল ইসলাম
৪৫ ‘লালসালু’ উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
ক ১৯৪৬ সালে খ ১৯৪৭ সালে
জ ১৯৪৮ সালে ঘ ১৯৫১ সালে
৪৬ ‘তরঙ্গভঙ্গ'Ñসৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র কোন ধরনের গ্রন্থ?
ক উপন্যাস খ ছোটগল্প জ নাটক ঘ প্রবন্ধ
খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
৪৭ ঊ. গ ঋড়ৎংঃবৎ-এর মতে কমপক্ষে কত হাজার শব্দ দিয়ে উপন্যাস রচিত হওয়া উচিত?
ক ৪০ হাজার ছ ৫০ হাজার
গ ৬০ হাজার ঘ ৮০ হাজার
৪৮ উপন্যাসের প্রধান ভিত্তি কী?
চ প্লট খ চরিত্র গ সংলাপ ঘ স্টাইল
৪৯ চরিত্র সৃষ্টিতে ঔপন্যাসিক মানুষের কোন দিকটিকে বেছে নেন?
ক প্রেম-ভালোবাসা ছ দ্বন্দ¡ময়তা
গ সুখকাতরতা ঘ উগ্রতা
৫০ উপন্যাসে লেখকের শক্তি, স্বাতন্ত্র্য ও বিশিষ্টতার পরিচায়ক কোনটি?
চ স্টাইল খ সংলাপ গ চরিত্র ঘ প্লট
৫১ ফরাসি বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল কত সালে?
ক ১৭৭৮ সালে খ ১৭৮১ সালে
জ ১৭৮৯ সালে ঘ ১৭৯৩ সালে
৫২ উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে কোন শতকটি বিশেষ তাৎপর্যবহ?
ক আঠারো শতক ছ উনিশ শতক
গ বিশ শতক ঘ একুশ শতক
৫৩ ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস'Ñউপন্যাসের লেখক কে?
ক হেনরি ফিল্ডিং খ মিয়োদর দস্তয়ভস্কি
জ লিও তলস্তয় ঘ এমিল জোলার
৫৪ ফিয়োদর দস্তয়ভস্কির উপন্যাস কোনটি?
ক দি জারমিলনে ছ ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট
গ ওয়ার অ্যান্ড পিস ঘ স্কারলেট অ্যান্ড ব্ল্যাক
৫৫ ‘লালসালু' কোন ধরনের উপন্যাস?
চ সামাজিক খ রাজনৈতিক
গ ঐতিহাসিক ঘ মনস্তাত্তি¡ক
৫৬ মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিষাদ-সিন্ধু' কোন ধরনের উপন্যাস?
ক সামাজিক খ রাজনৈতিক
জ ঐতিহাসিক ঘ মনস্তাত্তি¡ক
৫৭ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘চিলেকোঠার সেপাই' কোন ধরনের উপন্যাস?
ক সামাজিক ছ রাজনৈতিক
গ আঞ্চলিক ঘ ঐতিহাসিক
৫৮ মাসুদ রানা সিরিজ কোন্ ধরনের উপন্যাস?
ক সামাজিক খ রাজনৈতিক
গ আÍজৈবনিক ঝ রহস্যোপন্যাস
৫৯ কোন শতকে বাংলা উপন্যাস লেখার সূচনা ঘটে?
ক আঠারো শতকে ছ উনিশ শতকে
গ বিশ শতকে ঘ একুশ শতকে
৬০ টেকচাঁদ ঠাকুরের ‘আলালের ঘরের দুলাল' প্রকাশিত হয় কত সালে?
ক ১৮৫৬ সালে খ ১৮৫৭ সালে
জ ১৮৫৮ সালে ঘ ১৮৫৯ সালে
৬১ বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক উপন্যাস লেখেন কে?
ক টেকচাঁদ ঠাকুর ছ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৬২ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস কোনটি?
ক আলালের ঘরের দুলাল খ কাঁদো নদী কাঁদো
জ দুর্গেশনন্দিনী ঘ নৌকা ডুবি
৬৩ ‘দুর্গেশনন্দিনী' কত সালে প্রকাশিত হয়?
ক ১৮৬২ সালে খ ১৮৬৩ সালে
গ ১৮৬৪ সালে ঝ ১৮৬৫ সালে
৬৪ বঙ্কিমচন্দ্রের পর কোন ঔপন্যাসিক বাংলা উপন্যাসের ধারায় ব্যাপক পরিবর্তন আনেন?
ক মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঘ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৫ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস কোনটি?
ক গণদেবতা ছ পথের পাঁচালী
গ গোরা ঘ পঞ্চগ্রাম
৬৬ ‘পুতুল নাচের ইতিকথা'Ñউপন্যাসের লেখক কে?
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঝ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৭ মনস্তাত্তি¡ক উপন্যাসের মূল উদ্দেশ্য কী?
চ চরিত্রের অন্তর্জগতের জটিল রহস্য উদঘাটন
খ চরিত্রের দ্বান্দি¡ক রহস্য উদঘাটন
গ ঘটনার মহাজাগতিক তত্ত¡ বিশ্লেষণ
ঘ চরিত্রের জীবন দর্শন বিশ্লেষণ
৬৮ বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের শেষে কোন ঔপন্যাসিক জনপ্রিয়তার তুমুল শিখরে ওঠেন?
ক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঘ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৯ কোন ক্রমিক সঠিক?
চ বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র খ বঙ্কিম-টেকচাঁদ-রবীন্দ্রনাথ
গ টেকচাঁদ-রবীন্দ্রনাথ-বঙ্কিম ঘ রবীন্দ্রনাথ-বঙ্কিম-টেকচাঁদ
৭০ “আপনারা জাহের, বেএলেম, আসপড়াহ।”Ñকথাটি কে বলে?
ক তাহের ছ মজিদ
গ রহিমা ঘ খালেক ব্যাপারী
৭১ বিদেশ বিভ‚ঁইয়ে বসবাস করছিল কে?
ক তাহের ছ মজিদ গ আক্কাস ঘ জমিলা
৭২ কী বলতে বলতে মজিদের চোখ দুটো পানিতে ছাপিয়ে ওঠে?
চ উনি একদিন স্বপ্নে ডেকে বললেন
খ আমি ছিলাম গারো পাহাড়ে
গ সেখানে সে সুখে-শান্তিতেই ছিল
ঘ কিন্তু সে একদিন স্বপ্ন দেখে
৭৩ হাওয়া-শূন্য স্তব্ধতায় কী নিথর হয়ে আছে?
চ ধানক্ষেত খ আকাশ গ নৌকা ঘ ঢেউ
৭৪ আকাশটা বুঝি চটের মতো চিরে গেল। কখন এরূপ মনে হয়?
ক মেঘ না থাকলে ছ কাক আর্তনাদ করলে
গ হাওয়াশূন্য হলে ঘ নদীতে ঢেউ না থাকলে
৭৫ গলুইয়ে কীসের মতো একজন দাঁড়িয়ে থাকে?
ক মাঝির মতো ছ মূর্তির মতো
গ কাকের মতো ঘ প্রহরীর মতো
৭৬ গলুইয়ে দাঁড়ানো লোকটির দৃষ্টি কেমন?
চ ধারালো খ স্তব্ধ গ কম্পনহীন ঘ অগ্নিদৃষ্টি
৭৭ ধানের ফাঁকে ফাঁকে সে দৃষ্টি কীভাবে চলে?
ক সন্তর্পণে খ সরাসরি
জ এঁকেবেঁকে ঘ তুলোর মতো
৭৮ গন্ধ ছড়াতে লাগল কী?
ক মোমবাতি খ মরিচাবাতি
জ আগরবাতি ঘ কবর
৭৯ কার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে আছে নচেৎ ভুল মনে থাকে?
চ খোদার খ জমির গ ধানের ঘ কবরের
৮০ মজিদের মতে খোদা কী দেনেওয়ালা?
চ রিজিক খ গুনাহ গ ফসল ঘ আনন্দ
৮১ এত শ্রম, এত কষ্ট, তবু তাদের কীসের ঠিকঠিকানা নেই?
ক রিজিকের ছ ভাগ্যের গ পাপের ঘ শ্রমের
৮২ মজুরেরা ধান কাটে আর বুক ফাটিয়া কী করে?
চ গান গায় খ ভ‚তপূজা করে
গ চিৎকার করে ঘ কবিগান করে
৮৩ মধুপুর গড় থেকে তিন দিনের পথ কোথায়?
ক কালাপাহাড় খ মহব্বতনগর গ্রাম
জ গারোপাহাড় ঘ চট্টগ্রাম
৮৪ মধুপুর থেকে গারো পাহাড় কত দিনের পথ?
চ তিন দিন খ চার দিন গ পাঁচ দিন ঘ ছয় দিন
৮৫ মাঠের এক প্রান্তে একা দাঁড়িয়ে দাঁত খেলাল করে কে?
ক খালেক ব্যাপারী খ রেহান আলী
জ মজিদ ঘ কালুমতি
৮৬ হাঁপানি রোগী কে?
ক জোয়ানমতি খ সোলেমানের বাপ
জ মজিদ ঘ কালুমতি
৮৭ কোথাকার মানুষেরা অশিক্ষিত, বর্বর?
ক মতিগঞ্জের ছ গারো পাহাড়ের
গ মহব্বতনগরের ঘ মধুপুরের
৮৮ মহব্বতনগরে নবাগত লোকটি কে?
ক খালেক ব্যাপারী খ রেহান আলী
জ মজিদ ঘ কালুমতি
৮৯ ‘লালসালু' উপন্যাসে ‘রোগা লোক, বয়সের ভারে যেন চোয়াল দুটো উজ্জ্বল, চোখ বুজে আছে।'Ñকে?
ক খালেক ব্যাপারী খ রেহান আলী
জ মজিদ ঘ কালুমতি
৯০ তাহের-কাদের দুই ভাই মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরে কখন?
চ অপরাহ্ণে খ বিকেলে গ রাতে ঘ সকালে
৯১ মতিগঞ্জের সড়কের ওপর কে মোনাজাত করছিল?
ক খালেক ব্যাপারী খ রেহান আলী
জ মজিদ ঘ কালুমতি
৯২ শিকারির একাগ্রতা কার চোখে?
ক কাদেরের ছ তাহেরের গ মজিদের ঘ কালুমতির
৯৩ হঠাৎ ঈষৎ কেঁপে শক্ত হয়ে যায় কে?
ক মজিদ ছ তাহের গ কাদের ঘ সুমন
৯৪ সামনের পানে চেয়ে থেকেই আঙুল দিয়ে ইশারা দেয় কে?
ক কাদের ছ তাহের গ মজিদ ঘ কালুমতি
৯৫ কোন সড়কের ওপরে একটি অপরিচিত লোক মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে?
চ মতিগঞ্জ সড়ক খ মহব্বতনগর সড়ক
গ গারো পাহাড়গামী সড়ক ঘ মধুপুর সড়ক
৯৬ তাহেরের গায়ের রং কেমন?
ক শ্যামলা খ ফর্সা জ কালো ঘ মূর্তির মতো
৯৭ একটা কোচ কীসের মতো বেরিয়ে গেল?
ক ধনুকের মতো ছ তীরের মতো
গ পথিকের মতো ঘ বিদ্যুতের মতো
৯৮ তাহেরের কালো দেহটি কীসের মতো টান হয়ে ওঠে?
চ ধনুকের মতো খ তীরের মতো
গ পথিকের মতো ঘ বিদ্যুতের মতো
৯৯ কাদের আর তাহের কোনটিকে সতর্ক করে দেবার ভয়ে কথা বলে না?
ক কাককে খ হরিণকে জ মাছকে ঘ শিকারিকে
১০০ মজিদ আপন রক্ত-মাংসের শামিল খেয়াল করে না কাকে?
চ জমিকে খ কবরকে
গ লালসালুকে ঘ ধানকে
১০১ প্রাচীন কবর নতুন দেহ ধারণ করল কী নিয়ে?
ক জঙ্গল ছ ইট-সুরকি গ আগরবাতি ঘ লালসালু
১০২ কে দম খিঁচে লজ্জায় মাথা নত করে রাখে?
চ সোলেমানের বাপ খ মজিদ
গ তাহের ঘ খালেক ব্যাপারী
১০৩ জমি আর ধান চেনে কারা?
ক ভ‚তপূজারীরা ছ গ্রামের লোকেরা
গ মজুররা ঘ কবর ব্যবসায়ীরা
১০৪ সারিবদ্ধ হয়ে মজুররা কীসের মতো কাস্তে নিয়ে ধান কাটে?
ক দ্বিতীয়ার তারার মতো ছ দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো
গ ধনুকের মতো ঘ তীরের মতো
১০৫ কোনটিকে দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো বলা হয়েছে?
ক নৌকা খ কবর জ কাস্তে ঘ ধান
১০৬ মজিদ কোন দৃষ্টিতে ধানকাটা দেখে?
ক সাবধানী দৃষ্টিতে ছ শ্যেন দৃষ্টিতে
গ কৌত‚হলী দৃষ্টিতে ঘ প্রসন্ন দৃষ্টিতে
১০৭ ‘হাসি-প্রাণ'Ñকাদের?
চ মজুরদের খ মজিদের
গ মহব্বতনগরবাসীর ঘ রহীমার
১০৮ ‘সাত ছেলের বাপ’Ñকে?
চ দুদু মিয়া খ সোলেমান গ তাহের ঘ কাদের
১০৯ ‘আমি গরিব মুরুক্ষ মানুষ।’Ñকথাটি কে বলে?
চ দুদু মিয়া খ সোলেমান গ তাহের ঘ কাদের
১১০ মক্তব দিয়েছে কে?
ক দুদু মিয়া ছ খালেক ব্যাপারী
গ মজিদ ঘ তাহের
১১১ খৎনা দেওয়ার জন্য খুঁটি-বন্দি ছেলেটির অবস্থা কীরূপ?
চ কোরবানির ছাগলের মতো খ দ্বিতীয়বার চাঁদের মতো
গ গাধার ভঙ্গির মতো ঘ জাহাজের খালাসির মতো
১১২ দিনমানক্ষণের সবুর কীসের শামিল?
ক কবরের ছ ফাঁসির গ অধৈর্যের ঘ অধীরতার
১১৩ রেলগাড়িটিকে কীসের মতো বলা হয়েছে?
ক সাপের ছ অজগরের গ ধনুকের ঘ তীরের
১১৪ কে ঠিক মানুষের মতোই পানি খায়?
ক অজগর খ গাধা
জ রেলওয়ে ইঞ্জিন ঘ রুই মাছ
১১৫ বেহেস্তে স্থান নির্দিষ্ট কাদের?
ক মজিদের ছ হাফেজদের
গ ন্যাংটা ছেলেদের ঘ মৌলভীর
১১৬ মজিদ যে দেশ থেকে এসেছে সে দেশে শস্য যাও বা হয় তা জনবহুলতার তুলনায় কীরূপ?
চ যৎসামান্য খ সামান্য গ যথেষ্ট ঘ শস্যহীন
১১৭ বিদেশে কেতাবগুলোর অবস্থা কীরূপ বলে উলেখ করা হয়েছে?
ক বিচিত্র ধরনের ছ পোকায় খাওয়া
গ সেলফে রাখা ঘ আর্তনাদ করে
১১৮ মহব্বতনগর গ্রামের লোকগুলো ইদানীং কেমন হয়ে উঠেছে?
ক পরহেজগার খ দরিদ্র
জ অবস্থাপন্ন ঘ কবর ব্যবসায়ী
১১৯ খোদার দিকে মহব্বতনগরবাসীর নজর কীরূপ?
চ কম খ বেশি গ সামান্য ঘ যৎসামান্য
১২০ লালসালুতে আবৃত অজ্ঞাত ব্যক্তির কবরের কোল কীসের মতো বলে উলেখ করা হয়েছে?
চ মাছের পিঠের মতো খ দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো
গ ধনুকের মতো ঘ তীরের মতো
১২১ গারো পাহাড়ের শ্রমক্লান্ত হাড় বের করা দিনের কথা স্মরণ হলে মজিদ কী করে?
ক আফসোস করে খ গর্ব করে
জ শিউরে ওঠে ঘ মোনাজাত করে
১২২ মজিদের স্ত্রীর নাম কী?
ক জমিলা ছ রহীমা গ হাসুনির মা ঘ আমেনা
১২৩ কে লম্বা-চওড়া ও মাংসল দেহের মানুষ?
ক জমিলা ছ রহীমা গ হাসুনির মা ঘ আমেনা
১২৪ কে হাঁটলে মাটিতে আওয়াজ হয়?
ক জমিলা ছ রহীমা গ হাসুনির মা ঘ আমেনা
১২৫ রহীমা শীর্ণ মানুষটির পেছনে মাছের পিঠের মতো কীসের বৃহৎ ছায়া দেখে?
চ মাজারটির খ লালসালুর
গ ধনসম্পদের ঘ ঘরবাড়ির
১২৬ “ও যখন উঠানে হাঁটে, তখন মজিদ চেয়ে দেখে।”Ñ‘ও’ কে?
ক জমিলা ছ রহীমা গ হাসুনির মা ঘ আমেনা
১২৭ কার রহস্যময় দিগন্ত রহীমার অন্তরে বিদ্যুতের মতো ঝিলিক দিয়ে ওঠে?
ক মজিদের খ মাজারের
জ খোদাতাআলার ঘ মোদাচ্ছের পীরের
১২৮ মজিদ যখন দরজার পাশে বসে আছে, তখন তার হাতে কী ছিল?
ক লালসালু ছ হুকা গ লাঠি ঘ কোরআন
১২৯ কাকে গ্রামের লোকদের অন্য সংস্করণ বলা হয়েছে?
চ রহীমা খ স্বজন গ জমিরুন ঘ নসিমন
১৩০ বর্ষণহীন খরার দিনে জমিতে কী হলে খোদাকে স্মরণ হয়?
ক শস্যশূন্য হলে ছ ফাটল ধরলে
গ ধান ফললে ঘ উর্বর হলে
১৩১ বর্ষণহীন খরার দিনে জমিতে ফাটল ধরলে কাকে স্মরণ হয়?
ক মজিদকে খ কবরকে
জ খোদাকে ঘ লালসালুকে
১৩২ অসুস্থ বা মুমূর্ষু আÍীয়-স্বজনের প্রতি মানুষের কী থাকে না?
চ দৃষ্টিভেদ খ হিংসা-বিদ্বেষ
গ øেহভার ঘ অবহেলা
১৩৩ কীসের প্রতি মানুষের অবহেলা নেই?
ক কবর খ লালসালু
জ জমি ঘ আত্মীয়-স্বজন
১৩৪ খোলা মাঠে হাড় কাঁপায় কোন মাসের শীত?
চ অগ্রহায়ণ খ পৌষ গ মাঘ ঘ ফাল্গুন
১৩৫ কৃষকরা স্বøেহে কী সাফ করে?
ক কবর ছ জঞ্জাল গ আগাছা ঘ কচুরিপানা
১৩৬ কোন মাসের পানি সরে এলেও কচুরিপানা জড়িয়ে থাকে জমিতে?
ক ভাদ্র মাসের খ আশ্বিন মাসের
জ কার্তিক মাসের ঘ অগ্রহায়ণ মাসের
১৩৭ কৃষকের অন্তর খাঁ খাঁ করে কীসে?
চ মাটির তৃষ্ণায় খ মাজারের প্রেমে
গ হিংসা-বিদ্বেষে ঘ জমির উর্বতায়
১৩৮ ‘লালসালু’ গল্পে ‘মণ-কে মণ’ কীসের কথা বলা হয়েছে?
ক কচুরিপানা খ ধান জ পানি ঘ লালসালু
১৩৯ কোঁচবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় কে ?
ক আবেদ খ জাবেদ জ ছমিরুদ্দিন ঘ তাহের
১৪০ ছমিরুদ্দিনের মৃতদেহের পানে চেয়ে কাদের মনে দানবীয় উলাস হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে?
ক তাহের-কাদের ছ আবেদ-জাবেদ
গ খালেক ব্যাপারী ঘ দুদু মিঞা
১৪১ মজিদ কাকে বলে, “কলমা জানো মিঞা?”
ক সোলেমানকে খ তাহেরকে
জ দুদু মিঞাকে ঘ খালেক ব্যাপারীকে
১৪২ খতম পড়াবার জন্য মজিদের কাছে মাতব্বর ছুটে আসে কখন?
চ খরা পড়লে খ খৎনার সময় হলে
গ ধান কাটা শুরু হলে ঘ মাজারে এলে
১৪৩ মুখে লজ্জার হাসি কার?
ক সোলেমানের খ তাহেরের
জ দুদু মিঞার ঘ খালেক ব্যাপারীর
১৪৪ ‘লালসালু' উপন্যাসে সাত ছেলের কতজন দুদু মিঞার সঙ্গে মজিদের কাছে এসেছিল?
চ একজন খ দুইজন গ তিনজন ঘ চারজন
১৪৫ “কলমা জানস না ব্যাটা?”Ñএটি কার উক্তি?
ক সোলেমানের খ তাহেরের
গ দুদু মিঞার ঝ খালেক ব্যাপারীর
১৪৬ ‘লোকটির মাথায় যেন ছিট।’Ñকার?
ক সোলেমানের খ তাহেরের
জ দুদু মিঞার ঘ খালেক ব্যাপারীর
১৪৭ ছেলেটির খৎনা হয়নি মজিদ তা শুনেছে কোথা থেকে?
ক সমর্থিত সূত্রে ছ বিশ্বস্ত সূত্রে
গ স্বপ্ন সূত্রে ঘ নামাজ সূত্রে
১৪৮ মজিদ ছুরি-তেনা নিয়ে কখন খৎনার জন্য ছেলেটির কাছে আসে?
চ আসরের নামাজের পর খ আসরের নামাজের আগে
গ জুম্মা নামাজের পর ঘ জুম্মা নামাজের আগে
১৪৯ মজিদের চেষ্টায় কত সময়ের মধ্যে দু-দুটো খৎনা হয়ে গেল?
চ আধ ঘণ্টা খ তিন ঘণ্টা গ দেড় ঘণ্টা ঘ দুই ঘণ্টা
১৫০ মহব্বতনগর গ্রামে মজিদ কীসের শিকড় গেড়েছে?
ক কবরের ছ শক্তির গ খৎনার ঘ মাজারের
১৫১ শক্তি শাখা-প্রশাখা মেলে সারা গ্রামকে আচ্ছন্ন করে লোকদের জীবনকে কীভাবে জড়িয়ে ধরেছে?
চ সবলভাবে খ প্রচ্ছন্নভাবে গ শক্তভাবে ঘ স্থায়ীভাবে
১৫২ ছোটবেলায় নাকে নোলক পরে হলদে শাড়ি পেঁচিয়ে ছুটোছুটি করত কে?
ক জমিলা ছ রহীমা গ হাসুনির মা ঘ আমেনা
১৫৩ অপরের দুঃখের কথা শুনে হৃদয় গলে আসে কার?
ক মজিদের ছ রহীমার গ মাজারের ঘ লালসালুর
১৫৪ এখনো মানুষের দুঃখ-যাতনায় কে কাঁদে বলে রহীমা মনে করে?
চ যে রুহ কবরে ঘুমিয়ে আছে খ মজিদের মাজারপ্রেমী মন
গ রহীমার পরদুঃখকাতর হৃদয় ঘ বাপ-বেটার খৎনার যন্ত্রণা
১৫৫ রহীমা কার জন্য দোয়া করে?
ক নিজের জন্য খ স্বামীর জন্য
জ মানবজাতির জন্য ঘ মাজারের জন্য
১৫৬ পক্ষাঘাতে কষ্ট পাচ্ছে কে?
ক ছনুর বাপ খ হাসুনির মা
জ খেতানির মা ঘ মজিদ
১৫৭ মরণরোগ্য যন্ত্রণা পাচ্ছে কে?
চ ছনুর বাপ খ হাসুনির মা
গ খেতানির মা ঘ মজিদ
১৫৮ ক’দিন আগে বড় নদীতে ঝড়ের মুখে কয়েকজন লোক কীভাবে মারা গেছে?
ক সাঁতরে ছ ডুবে
গ মাছ ধরতে গিয়ে ঘ বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে
১৫৯ মেয়েলোকেরা রহীমার কাছে কেন আসে?
ক আলাপ করতে খ কান্না করতে
জ আর্জি জানাতে ঘ বিলাপ করতে
১৬০ হাসুনির মা’র পেশা কী?
চ ধান ভানা খ মাছ ধরা
গ ধান কাটা ঘ মাজার সাফ করা
১৬১ ‘হাসুনির মা’ কার বোন?
ক মজিদের ছ তাহের-কাদেরের
গ খালেক ব্যাপারীর ঘ রহীমার
১৬২ হাসুনির মায়ের আর্জি কী?
ক বাঁচা খ রোগমুক্তি জ মওত ঘ কল্যাণ
১৬৩ তাহের-কাদেরের কনিষ্ঠ ভাই কে?
চ রতন খ মজিদ
গ খালেক ব্যাপারী ঘ আওয়ালপুরের পীর
১৬৪ এককালে উড়–নি মেয়ে ছিল কে?
ক জমিলা খ রহীমা জ বুড়ি ঘ হাসুনির মা
১৬৫ কার হাসি আর নাচন দেখে লোক পাগল হতো?
ক জমিলার খ রহীমার জ বুড়ির ঘ হাসুনির মার
১৬৬ রহীমার পাশে বসে মরাকান্না জুড়ে দিল কে?
ক জমিলা ছ হাসুনির মা গ তাহের ঘ দুদু মিঞা
১৬৭ বিচারের ক্ষেত্রে কার প্রশ্নগুলো তেমন জুতসই হচ্ছিল না বলে মজিদ মনে করে?
ক মজিদের ছ খালেক ব্যাপারীর
গ দুদু মিঞার ঘ আওয়ালপুরের পীরের
১৬৮ কুৎসা রটনা কেমন কাজ?
চ গর্হিত কাজ খ সওয়াবের কাজ
গ ফরজ কাজ ঘ ভালো কাজ
১৬৯ মজিদের মতে মানুষের মধ্যে বিদ্যমান বড় ভয়ানক বস্তু কোনটি?
ক জিহŸা ছ রসনা গ বিবেকবোধ ঘ সাধনা
১৭০ মানুষের রসনা কার চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে?
ক বাঘের খ কবরের
জ বিষাক্ত সাপের ঘ আগুনের
১৭১ কারা শয়তানের ফাঁদে ধরা দেয়?
চ যারা শয়তানের চাতুরি বোঝে না
খ যারা কবরকে মাজার বানায়
গ যারা জমিতে মজুরি খাটে
ঘ যারা স্বামী-স্ত্রীতে কলহ করে
১৭২ প্রিয় পয়গম্বরের বাণী এলো কত হিজরিতে?
চ পঞ্চম হিজরিতে খ ষষ্ঠ হিজরিতে
গ সপ্তম হিজরিতে ঘ অষ্টম হিজরিতে
১৭৩ লড়াই করে প্রত্যাবর্তন করার সময় কে নবীর দলচ্যুত হন?
ক খাদিজা ছ আয়েশা গ জমিলা ঘ রহীমা
১৭৪ মানুষের কানে লাগে, প্রাণে লাগে কীসের ঝঙ্কার?
ক কবরের খ লালসালুর জ কেরাতের ঘ বিচারের
১৭৫ তাহেরের বাপের মতে বুড়ি বেটির দেমাক কী হয়েছে?
ক ভালো ছ খারাপ গ অস্থির ঘ বেমানান
১৭৬ পাপের জ্বালায় এখন কে ছটফট করছে বলে মজিদ মনে করে?
ক মজিদ ছ তাহেরের বাপ
গ খালেক ব্যাপারী ঘ দুদু মিঞা
১৭৭ “ও যেন ঘোর পাপী।”Ñএখানে কার কথা বলা হয়েছে?
ক মজিদ ছ তাহেরের বাপ
গ খালেক ব্যাপারী ঘ দুদু মিঞা
১৭৮ বিচার সভায় সর্বসমক্ষে ঢেঙা বদমেজাজি বৃদ্ধ লোকটি কী করে?
চ কাঁদে খ মাফ চায় গ রাগ করে ঘ চলে যায়
১৭৯ বুড়ো বাড়ি গিয়ে কী করে?
ক ঘুমিয়ে যায় ছ সটান শুয়ে পড়ে
গ কাঁদতে থাকে ঘ রাগানি¦ত হয়
১৮০ বিচার সভায় উপস্থিত জমায়েত কী জানতে পেরেছে?
চ বুড়ো মেরুদণ্ডহীন খ বুড়ো নীতিবান
গ বুড়ো স্ত্রৈণ ঘ বুড়ো কাঁদুনে
১৮১ বুড়ো চেলাকাঠ দিয়ে বুড়ির কীরূপ মুখখানা ফাটিয়ে দিতে চায়?
ক সুন্দর খ নির্লজ্জ জ আমসিদানাঘ রক্তমাখা
১৮২ বুড়োর দেহ কীসে ছেয়ে থাকে?
ক আলস্যে ছ অবসাদে গ অপমানে ঘ আনন্দে
১৮৩ বুড়োর কীসের গর্ব ধূলিসাৎ হয়ে গেছে?
চ পৌরুষের খ মেরুদণ্ডের গ মাজারের ঘ অহঙ্কারের
১৮৪ ঝড়ে মহব্বতনগরের সর্বোচ্চ তালগাছটি কীসের মতো আছড়াতে থাকে?
চ বাজপাখির মতো খ বন্দি পাখির মতো
গ হাতির মতো ঘ দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো
১৮৫ ঝড় এলে হৈ-হৈ করার অভ্যাস কার?
চ হাসুনির মার খ বুড়ির
গ জমিলার ঘ রহীমার
১৮৬ ঝড়ে হাসুনির মা কী খুঁজে পায় না?
ক ছাগল ছ মুরগি গ হাসুনিকে ঘ গরুটাকে
১৮৭ বাপের ব্যথায় বুক চিনচিন করে কার?
ক মজিদের খ রহীমার
জ হাসুনির মার ঘ খালেক ব্যাপারীর
১৮৮ দু-দিনের রোজা--ভাঙা-বুড়োর দৃষ্টি কোথায় নিবদ্ধ?
চ কোণের অন্ধকারের দিকে খ ঝড়ে-ভেজা মেয়ের দিকে
গ তালগাছের দিকে ঘ কালো কালো মেঘের দিকে
১৮৯ বিচারে বিধ্বস্ত বুড়ো চিড়া খেয়ে ক'দিনের রোজা ভাঙে?
ক এক দিনের ছ দুই দিনের
গ তিন দিনের ঘ চার দিনের
১৯০ বুড়ো কাউকে না বলে কখন বাড়ি থেকে চলে গেল?
ক সকালে ছ সন্ধ্যায় গ রাত্রে ঘ দুপুরে
১৯১ বুড়ো চলে যাওয়ার পর ঘরে বুড়ির অবস্থা কীরূপ হলো?
ক চঞ্চল খ অস্থির জ স্তব্ধ ঘ নীরব
১৯২ বুড়ি কেমনভাবে আলা, আলা বলে?
চ শিশুর মতো খ যুবকের মতো
গ কিশোরের মতো ঘ প্রৌঢ়ের মতো
১৯৩ খোদার সৃষ্টির মর্ম সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা কী?
ক অসাধ্য খ সাধ্যাতীত জ দুষ্কর ঘ অসম্ভব
১৯৪ যে জিনিস বোঝার জন্য নয়, তার জন্যে কৌত‚হল প্রকাশ করা কী?
চ অর্থহীন খ অর্থপূর্ণ গ ব্যঞ্জনাময় ঘ তাৎপর্যপূর্ণ
১৯৫ যারা বুড়োর ঘর পালানো নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের প্রশ্ন কীসের মতো ক্ষীণ?
ক অপরাধীর মতো ছ দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো
গ দুর্বলের মতো ঘ চৈত্রের নদীর মতো
১৯৬ কোনটি উঠেই ডুবে যায়?
চ দ্বিতীয়ার চাঁদ খ সূর্য
গ তারা ঘ নদীর ঢেউ
১৯৭ জন্ম-মৃত্যু, ফসল হওয়া না হওয়া, খেতে পাওয়া না পাওয়া কীসের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত?
চ স্রষ্টা খ অদৃশ্য শক্তি
গ মাজারওয়ালা ঘ গেঁয়ো মোড়ল
১৯৮ মানুষের স্মরণে বহুদিন জাগ্রত হয়ে থাকে কোনটি?
ক ভালো কাজ খ অন্যায় কর্ম
জ অপরাধের ঘটনা ঘ বিচার ব্যবস্থা
১৯৯ এ বিচিত্র দুনিয়ায় প্রচুর কদর কার?
ক যারা মাজার বানায়
ছ যারা দশজনের চেয়ে বেশি জানে
গ যারা সাধারণের বিচার করে
ঘ যারা মিহি মধুর সুরে কোরান পড়ে
২০০ মাজারের ঘনিষ্ঠতায় যে মানুষ বসবাস করে তার দ্বারাই কাকে ভেদ করা সম্ভব বলে মহব্বতনগরবাসী মনে করে?
চ মহাসত্যকে খ গূঢ়তত্ত¡কে
গ সৃষ্টির মর্মকে ঘ অদৃশ্য শক্তিকে
২০১ কখন মজিদের সামনে সৃষ্টি-রহস্য নিরাবরণ স্পষ্টতায় প্রতিভাত হয় বলে মহব্বনগরবাসী মনে করে?
ক যখন মজিদ বিচারকের আসনে বসে
ছ মজিদের ক্ষুদ্র চোখ দুটি যখন ক্ষুদ্রতর হয়
গ মজিদ যখন মিহি মধুর কণ্ঠে কেরাত শুরু করে
ঘ মজিদ যখন মাজারে থাকে
২০২ বাপের বিরুদ্ধে মিথ্যে কলঙ্ক রটানোর জন্য হাসুনির মা তার মায়ের প্রতি কিরূপ দৃষ্টি হানে?
ক শুভ দৃষ্টি খ তির্যক দৃষ্টি জ অগ্নিদৃষ্টি ঘ ঘৃণ্যদৃষ্টি
২০৩ হাসুনির মায়ের মতে, তার বাবা কীরূপ মানুষ ছিল?
ক মাজারভক্ত ছ নেকবন্দ
গ আলাহওয়ালা ঘ নিরীহ
২০৪ মজিদের বাড়িতে হাসুনির মায়ের যাতায়াত বেড়ে গেল কখন?
ক মাজার উৎসবে ছ বতোর দিনে
গ বিচারকালে ঘ ঝড়ের দিনে
২০৫ “হুকায় এক ছিলিম তামাক ভইরা দেও গো বিটি।”Ñকথাটি কে বলে?
ক খালেক ব্যাপারী খ দুদু মিঞা
জ মজিদ ঘ বুড়ো
২০৬ “হুকায় এক ছিলিম তামাক ভইরা দেওগো বিটি।”Ñমজিদ এ কথা কাকে বলে?
ক রহীমাকে খ জমিলাকে
জ হাসুনির মাকে ঘ হাসুনিকে
২০৭ গভীর রাতে রহীমা আর কে ধান সিদ্ধ করে?
ক জমিলা ছ হাসুনির মা গ মজিদ ঘ দুদু মিঞা
২০৮ “পা-টা একটু টিপা দিবা?”Ñমজিদ কাকে বলে?
চ রহীমাকে খ জমিলাকে
গ হাসুনির মাকে ঘ হাসুনিকে
২০৯ কার দেহে ভরা ধানের গন্ধ?
ক জমিলার ছ রহীমার
গ হাসুনির মার ঘ হাসুনির
২১০ রহিমার দেহভরা কীসের গন্ধ?
ক ঘামের খ ফুলের জ ধানের ঘ সাপের
২১১ অন্ধকারে কীসের মতো মজিদের চোখ চকচক করে?
ক সাপের মতো ছ ধানের মতো
গ ফসলের মতো ঘ আগুনের মতো
২১২ কার মনের অস্থিরতা কাটে না?
ক খালেক ব্যাপারীর ছ মজিদের
গ রহীমার ঘ জমিলার
২১৩ কার নামোচ্চারণে সংকোচ কাটে?
ক মজিদের ছ খোদার গ কবরের ঘ প্রত্যুষের
২১৪ মাজার জেয়ারত করতে আসা লোকেরা চেয়ে চেয়ে কী দেখে?
ক টিনের বেড়া খ লালসালু
জ মজিদের ধান ঘ শুকতারা
২১৫ মজিদকে অভিনন্দিত করে কারা?
চ মাজার জেয়ারতকারীরা খ মহব্বতনগরবাসীরা
গ বিচারপ্রত্যাশীরা ঘ নেকবন্দ মানুষেরা
২১৬ মজিদের ঘরে ধানের প্রাচুর্যে কী উপচে পড়ছে?
ক মাজার ছ মগড়া গ হাঁড়ি ঘ আঙ্গিনা
২১৭ মজিদের ঘরে কীসের বন্যা?
ক মগড়ার ছ ধানের
গ লালসালুর ঘ জেয়ারতকারীর
২১৮ সকলকে কী বলে সম্বোধন করার অভ্যাস মজিদের?
ক সাহেব খ শয়তান জ মিঞা ঘ ব্যাপারী
২১৯ গৃহস্থদের গোলা যখন ধানে ভরে ওঠে তখন কাদের সফর শুরু হয়?
ক মাজারওয়ালাদের ছ পীরদের
গ মজিদদের ঘ মাতব্বরদের
২২০ মতলুব খাঁ কে?
চ ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট খ মহব্বনগরের মাতব্বর
গ মাজারের ভক্ত ঘ বিচারসভার প্রধান
২২১ মজিদ তার প্রভাব কীসের মতো মিলিয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখতে পায়?
ক দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো ছ কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের মতো
গ ধনুকের মতো ঘ বিদ্যুতের মতো
২২২ মতিগঞ্জের সড়ক দিয়ে দলে-দলে লোক উত্তর দিকে কোথায় যায়?
ক মজিদের মাজারে ছ নবাগত পিরের কাছে
গ ধানের জমিতে কাজ করতে ঘ মাজারে সিন্নি দিতে
২২৩ মতলুব মিঞার বাড়ি কোথায়?
ক মহব্বতনগর খ মতিগঞ্জ
জ আওয়ালপুর ঘ ময়মনসিংহ
২২৪ পীর সাহেবকে বাতাস করার ঝালরওয়ালা পাখাটি দেখতে কেমন?
চ হাতির কানের মতো খ দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো
গ কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের মতো ঘ লালসালুর মাজারের মতো
২২৫ মজিদের মতে, বেদাতি কারবারের প্রতি প্রচণ্ড লোভ কার?
ক খোদার ছ শয়তানের গ পিরের ঘ মাজারের
২২৬ সিদ্ধান্ত হলো, মহব্বতনগরের মানুষ কার ত্রিসীমানায় ঘেঁষবে না?
ক মজিদের খ কবরের
জ পীর সাহেবের ঘ মুসলিদের
২২৭ ‘লালসালু' উপন্যাসে হাসপাতালের অবস্থান কোথায়?
চ করিমগঞ্জে খ মহব্বতনগরে
গ আউয়ালগঞ্জে ঘ মতিগঞ্জে
২২৮ শয়তানের চ্যালারা কার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে?
ক দুদু মিঞার খ মতলুব খাঁর
জ কালু মিঞার ঘ মজিদের
২২৯ হাসপাতালের কম্পাউন্ডারের চেহারা কেমন?
চ ভাঙ-গাঁজা খাওয়া রসকষ শূন্য হাড়গিলে
খ মোটাসোটা বৃহৎ মাথা
গ নামাজি মুসলিপনা ঘ মাজারে বিশ্বাসী স্থূল দেহ
২৩০ পীর সাহেবের সাগরেদরা আফসোস করে কেন?
চ কালুর কলা ধরাচ্যুত করতে পারেনি বলে
খ পীর সাহেব দাঙ্গাবাজি হৈ-হাঙ্গামা ভালোবাসেনা বলে
গ পীর সাহেব উদার মানুষ বলে
ঘ কুত্তা কামড়ালে কুত্তাকে কামড়ানো অনুচিত বলে
২৩১ খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রী কে?
ক রহীমা ছ আমেনা গ তানুবিবি ঘ জমিলা
২৩২ কত বছর বয়সে আমেনার বিয়ে হয়েছিল?
ক বারো ছ তেরো গ চৌদ্দ ঘ পনেরো
২৩৩ আকাশের চাঁদের মতো সুন্দর হবে কার সন্তান?
ক রহীমার ছ আমেনার গ তানুবিবির ঘ জমিলার
২৩৪ কোন ব্যাপারটা ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার মতো?
ক মজিদকে ব্যাপারীর অবিশ্বাস
খ মজিদকে না জানিয়ে সেই পিরের কাছে পানি পড়ার জন্য পাঠানো
জ সবকিছু জেনেই মাতব্বর পিরের পানিপড়া নেবে না
ঘ মাতব্বর মজিদের সাথে পরামর্শ করেনি বলে
২৩৫ রহীমার পেটে কত প্যাঁচের বেড়ি রয়েছে?
ক সাত ছ চৌদ্দ গ একুশ ঘ বাইশ
২৩৬ মজিদ আমেনা বিবিকে তালাক দিতে বলে কেন?
ক শরীরের দুর্বলতার জন্য তিনি অজ্ঞান হননি বলে
ছ মাজারের চারপাশে সাতবার ঘুরতে না পারার ব্যর্থতার জন্য
গ পাক দিল আর গুনাহগার দিল এক সুতায় বাঁধা থাকে বলে
ঘ পানিপড়া খেয়ে তিনি সাত পাক দিতে পারলেন বলে
২৩৭ আমেনার আনন্দ আর সুখের নিশানা কী?
চ থোতামুখের তালগাছ খ তেঁতুল গাছ
গ মাজার ঘ বড় নদী
২৩৮ মজিদের কথা অনুযায়ী আক্কাসের বদ মতলব কোনটি?
ক দাড়ি না রাখা ছ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা
গ নামাজ পড়া ঘ কবর জেয়ারত করা
২৩৯ বাড়িতে একটা নুলা ভাইকে ফেলে এসেছে কে?
ক রহীমা ছ জমিলা গ হাসুনির মা ঘ হাসুনি
২৪০ অতি সন্তর্পণে ধানের ফাঁকে ফাঁকে তারা নৌকা চালায় কেন?
ক মাছ সহ্য করতে পারে না বলে
খ মাছ ধরার দক্ষতার জন্য
জ শব্দ করলে মাছ পালায় বলে
ঘ সাবধানের মার নেই বলে
২৪১ মজিদ বিদেশ বিভ‚ঁইয়ে অবস্থান করছিল কেন?
চ অশিক্ষিতদের মধ্যে খোদার আলো ছড়াতে
খ নিজ গ্রামে কবর ছিল না বলে
গ কবরকে পিরের মাজারে পরিণত করতে
ঘ নিজে এলেম শিক্ষা লাভ করতে
২৪২ মজিদ জমিকে ধন মনে করে না কেন?
চ কবর ব্যবসা ভালো চললে ঘাম ঝরানো অনর্থক
খ জমিতে রোদ-বৃষ্টিতে শ্রম দিতে হয় না বলে
গ মজুরেরা ধান কাটতে গিয়ে গীত গায় বলে
ঘ জমির মালিকেরা খোদাকে মানে না বলে
২৪৩ খোদা-রসুলের ডাক একবার পৌঁছে দিতে পারলে কারা বেচাইন হয়ে যায়?
ক মতিগঞ্জের লোক ছ গারো পাহাড়ের লোক
গ মহব্বতনগরের মানুষ ঘ মধুপুরের অধিবাসী
২৪৪ ‘তাদের দিল সাচ্চা, খাঁটি সোনার মতো।'Ñকাদের?
ক মতিগঞ্জের মানুষদের
ছ গারো পাহাড়ের লোকদের
গ মহব্বতনগরের লোকদের
ঘ মধুপুরের অধিবাসীদের
২৪৫ কাদের খাতির-মমতার মধ্যে মজিদের বেশ দিন কাটছিল?
চ গারো পাহাড়ের লোকদের
খ মধুপুরের মানুষদের
গ মহব্বতনগরের অধিবাসীদের
ঘ মোদাচ্ছের পিরের শিষ্যদের
২৪৬ হাসি ও গীত মজিদের ভালো লাগে না কেন?
ক এগুলো মজুরের কাজ বলে
ছ এগুলো মাজারকে অবজ্ঞা করে বলে
গ এগুলো মজুরের প্রাণ বলে
ঘ এগুলো নাস্তিকের কর্ম বলে
২৪৭ বয়সে ছোকড়াদের দেহে বিন্দুমাত্র বস্ত্র থাকে না কেন?
চ গিরে দিতে পারে না বলে
খ বয়সে পরিপক্ক বলে
গ গাড়িতে উঠার জন্য ছুটাছুটি করে বলে
ঘ দক্ষ হাতে গিরে দেয় বলে
২৪৮ এটা যে খোদাতা'লার বিশেষ দেশ, তা বোঝা যায় কীভাবে?
চ ভোরে মক্তবে আমসিপাড়ার আওয়াজ শুনে
খ মাঠে মাঠে শস্যের প্রাচুর্য দেখে
গ লালসালুতে ঢাকা কবর দেখে
ঘ অজগরের মতো দীর্ঘ রেলগাড়ি দেখে
২৪৯ ক্ষুধার্ত চোখের তলে চামড়াটে চোয়ালের দীনতা কাটে না কেন?
চ না খেতে পেয়ে চোখে আলাদা ভাব জাগে বলে
খ দরিদ্রদের মুখের চামড়া ঝুলে বলে
গ শীর্ণ দেহ শক্ত হয়ে ওঠে বলে
ঘ ফিকে দাড়ি অসংযত দৌর্বল্যে ঝুলে থাকে বলে
২৫০ হাøাহেনার মিষ্টি মধুর গন্ধ ছড়ায় কীসে?
চ মজিদের কণ্ঠে চমৎকার সুরের কোরান তেলাওয়াত
খ মাজারের ধূপকাঠি
গ সালু কাপড়ে আবৃত মাজারটি
ঘ মাটিতে ফিরে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা
২৫১ জমি মানুষের শ্রমের সম্মান দেয় কীভাবে?
চ ভালো ফসল দিয়ে খ উর্বরতা দিয়ে
গ শীতলতা দিয়ে ঘ আশ্রয় দিয়ে
২৫২ জমি প্রাণের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে কখন?
ক সিপাহির খণ্ডিত ছিন্ন দেহের একতাল অর্থহীন মাংসের কথা মনে হলে
ছ যখন ফসলের গন্ধ নাকে লাগে এবং হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যায়
গ জমিকে দাবার ছকের মতো ভাগ করে ফেলা হলে
ঘ দুনিয়ার দূষিত আবহাওয়ার মধ্যে বর্বরতা আসলে
২৫৩ ভাগ্যকে ঘষে সাফ করবার উপায় নেই কেন?
চ ভাগ্যের লেখা অখণ্ডনীয় বলে
খ কৃষকের ভাগ্য বলে কিছু নেই বলে
গ ভাগ্যের ওপর দাগ পড়ে বলে
ঘ ভাগ্য ছাড়া মানুষ নেই বলে
২৫৪ জমিতে চারা ছড়াবার সময় কৃষকরা খোদাকে স্মরণ করে না কেন?
ক চারা ছড়ানো নিয়ে ব্যস্ত বলে
খ জমির আশেপাশে মসজিদ নেই বলে
গ হাল দিতে সময় যায় বলে
ঝ খোদার প্রতি বিশেষ টান না থাকায়
২৫৫ “তাকিয়ে থাকতে ঘোর লাগে, চোখ অবশ হয়ে আসে।” Ñকোথায়?
চ মাজারে খ হাট-বাজারে
গ ক্ষেতে ঘ মতিগঞ্জ সড়কে
২৫৬ বিভ্রান্ত বুড়োটির পানে চেয়ে সমবেদনা হয় না কেন?
চ তাকে দেখে ঘৃণা আসে বলে
খ বুড়ো তার বউকে ভালোবাসে বলে
গ বুড়ো তার বউকে ঘৃণা করে বলে
ঘ তার বউ নির্দোষ বলে
২৫৭ মজিদ নিজে তার মাফ দাবি করে না কেন?
ক মাজার তার পরিচালনায় চলে বলে
ছ বুড়ো তার মেয়ের কাছে মাফ চাইলে নির্দেশ দাতার কাছেই মাফ চাওয়া হবে বলে
গ খালেক ব্যাপারীর উপস্থিতিতে বিচার হয়েছে বলে
ঘ মজিদের বিচারে বুড়ো লোকটি কেঁদেছে বলে
২৫৮ হাসুনির মা তার মায়ের প্রতি অগ্নিদৃষ্টি হানে কেন?
চ বাপের বিরুদ্ধে মিথ্যে কলঙ্ক রটানোর জন্য
খ তার মা কর্তৃক পিতাকে অবহেলা করার জন্য
গ মাজারের প্রতি মায়ের টান ছিল না বলে
ঘ ছোটবেলায় তার মা চড়–ই পাখির মতো নাচতো বলে
২৫৯ বুড়ি চুপ থাকে কেন?
ক সবাই তাকে দোষ দেয় বলে
ছ খেলোয়াড় না থাকলে খেলা জমে না বলে
গ স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যে বলায়
ঘ কথা বলার দোসর নেই বলে
২৬০ হাসুনির মা প্রথম প্রথম মজিদের বাসায় আসতো না কেন?
ক ঘৃণা লাগতো বলে খ রাগ ছিল বলে
জ লজ্জা হতো বলে ঘ অভিমান ছিল বলে
২৬১ হাসুনির মা মজিদের সামনাসামনি হলে তার বুক কাঁপতো কেন?
চ ভয়ে খ ঘৃণায় গ রাগে ঘ লজ্জায়
২৬২ ক্রমে খোলা মুখে মজিদের সামনে দিয়ে হাসুনির মা আসা-যাওয়া শুরু করে কেন?
চ কাজের মেয়ের লজ্জা করা অর্থহীন বলে
খ উপায়হীনের উপায় থাকে না বলে
গ বতোর দিনে কাজ থাকে না বলে
ঘ সঙ্কোচ আর ভয় ক্ষণস্থায়ী বলে
২৬৩ মজিদের দেয়া শাড়ি পেয়ে হাসুনির মা খুশি হয়েও মুখ গম্ভীর করে কেন?
চ নিজের শাড়ির চেয়ে মেয়ের জামা বেশি প্রয়োজন বলে
খ নিজের অনেক শাড়ি আছে বলে
গ শাড়ির দাম অনেক বেশি বলে
ঘ হাসনির মায়ের জামা পরার শখ ছিল বলে
২৬৪ সিদ্ধ ধানের ভাপের শব্দটিকে গল্পকার কীসের সাথে তুলনা করেছেন?
চ সাপের শিস খ কালো ধোঁয়া
গ আগুনের শিখা ঘ আলোকিত উঠান
২৬৫ মানুষের দুনিয়া আর খোদার দুনিয়া আলাদা হয়ে গেছে কীভাবে?
ক সীমাহীন আকাশ কালো আবরণে সীমাবদ্ধ বলে
ছ খড়কুটোর আলোয় প্রাঙ্গণ আলোকিত হলেও আকাশ অন্ধকার তাই
গ মাজারে আলো জ্বলে কিন্তু গ্রামে অন্ধকার বলে
ঘ মানুষ দুনিয়াকে আলোকিত করে আর খোদা আকাশ আলোকিত করে
২৬৬ এখানে সে একাই মালিক কেন?
চ মজিদ বাড়ি ও স্ত্রীর একচ্ছত্র অংশীদার বলে
খ মজিদ মাজারের একমাত্র মালিক বলে
গ গ্রামের সবাই মজিদের কথা মেনে চলে বলে
ঘ গাঁয়ের মাতব্বর খালেক ব্যাপারীও মজিদের অন্ধ সমর্থক বলে
২৬৭ মজিদের মনে অস্থিরতা কীসের জন্য?
চ বেগুনি রঙের শাড়ি পরিহিতা হাসুনির মাকে কাছে পাওয়ার জন্য
খ উঠান থেকে সিদ্ধ ধানের শিসের আওয়াজ বেড়ার গায়ে লাগে বলে
গ এক অজানা আকাক্সক্ষায় মজিদের মন আশ-পাশ করে ওঠে বলে
ঘ দ্রুত সেই মুহ‚র্তগুলো ঘনতর হয়ে ওঠে বলে
২৬৮ মজিদ শঙ্কিত হয়ে ওঠে কখন?
ক যখন কবর জেয়ারতকারীরা তাকে নানা প্রশ্ন করে
খ যখন হাসুনির মাকে কুপ্রস্তাব দিতে চায়
জ যখন জাঁদরেল পিররা আশে-পাশে এসে আস্তানা গাড়ে
ঘ যখন বিচারের নামে মানুষকে অমানবিক শাস্তি দেয়
২৬৯ ধলামিঞার কালামিঞা বনে যাবার যোগাড় কীভাবে?
চ পানি পড়া আনতে গিয়ে বিপদের সম্ভাবনার কথা ভেবে
খ দাঙ্গা-হাঙ্গামার প্রকোপে
গ আওয়ালপুর ও মহব্বতনগরের মধ্যে রেষারেষি চলছে বলে
ঘ দাঙ্গা-হাঙ্গামার কথা শুনে সেখানে যাওয়া যায় না তাই
২৭০ কার কথা শুনলে পুরুষ মেয়েমানুষেরও অধম হয়?
চ বিবির খ মহিলার
গ মেয়েদের ঘ কাজের বেটির
২৭১ গ্রামে কীসের হিড়িক পড়েছে?
ক মসজিদ স্থাপনের ছ ইস্কুল তৈরির
গ রাজা বউদের দূর করার ঘ মাজার নির্মাণের
২৭২ মজিদের পেশা কী?
ক আবাদ করা খ মাছ ধরা
জ কবর ব্যবসা ঘ মজুরখাটা
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
২৭৩ ‘উপন্যাস’-এর আক্ষরিক অর্থ কী?
চ বিশেষ রূপে স্থাপন খ ঘটনার বিশদ বর্ণনা
গ চরিত্রের ধারাবাহিক বিন্যাস ঘ ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
২৭৪ ‘উপন্যাস’ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
ক ঝঃড়ৎু ছ ঘড়াবষ গ ঘড়াবষধ ঘ ইরম ঝঃড়ৎু
২৭৫ ‘কোঁচ-জুতি’ শব্দের অর্থ কী?
চ মাছ ধরার হাতিয়ার খ যুদ্ধাস্ত্র
গ নৌকার হাল গ ফসল কাটার যন্ত্র
২৭৬ ‘নিরাক’ শব্দের অর্থ কী?
ক সাবধান ছ স্তব্ধ গ অপরাহ্ণ গ পাপী
২৭৭ ‘বেচাইন’ শব্দের অর্থ কী?
চ অস্থির খ স্থির গ স্তব্ধ গ স্থবির
২৭৮ ‘অশীতিপর’ শব্দের অর্থ কী?
চ আশির পর খ আশির কম
গ সত্তরের পর ঘ সত্তরের বেশি
২৭৯ ‘জটলা’ শব্দের অর্থ কী?
ক কোলাহল ছ ভীড় গ সাচ্চা ঘ বেচাইন
২৮০ ‘হা-শূন্য’ শব্দের অর্থ কী?
ক অসন্ন ছ অভাবগ্রস্ত গ স্থির ঘ কণ্ঠস্থ
২৮১ ‘বেওয়া’ শব্দের অর্থ কী?
ক সধবা খ এতিম জ বিধবা ঘ মিসকিন
২৮২ ‘সাচ্চা’ শব্দের অর্থ কী?
ক মিথ্যা খ পাপ জ সত্য ঘ স্তব্ধ
২৮৩ ‘রদি’ শব্দের অর্থ কী?
চ বাসি খ টাটকা গ গরম ঘ নরম
২৮৪ ‘ভ‚ত পূজারী’ বলতে কী বুঝায়?
চ যারা মূর্তি পূজা করে খ যারা ঠাকুরের পূজা করে
গ যারা ধানের পূজা করে ঘ যারা মানুষের পূজা করে
২৮৫ মহব্বতনগর গ্রামের অধিবাসীদের ‘জাহেল’ বলা হয়েছে কেন?
ক মূর্খ বলে ছ পীরের মাজার ফেলে রাখায়
গ নিরক্ষর বলে ঘ জেদী বলে
২৮৬ ‘জাহেল’ শব্দের অর্থÑ
চ মূর্খ খ নিরক্ষর গ শিক্ষিত ঘ পন্ডিত
২৮৭ ‘বেএলেম’ শব্দের অর্থ হলোÑ
চ জ্ঞানহীন খ বুদ্ধিহীন গ বিবেকহীন ঘ চেতনাহীন
২৮৮ ‘নির্মীলিত’ শব্দের অর্থÑ
চ চোখ বুজা খ দৃষ্টি গ দিল ঘ খোলা
২৮৯ ‘মগরা মগরা ধান’ বলতে বুঝায়Ñ
ক প্রচুর ধান ছ গোলা ভর্তি ধান
গ মোড়া ভর্তি ধান ঘ কলস ভর্তি ধান
২৯০ ‘নধর নধর’ বলতে বুঝায়Ñ
ক নবীন খ র্দুবল জ কমনীয় ঘ সবল
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
২৯১ ‘লালসালু’ কত খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়?
চ ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে খ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে
গ ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ঘ ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
২৯২ ‘লালসালু’ প্রথম প্রকাশিত হয় কোন প্রকাশনা থেকে?
চ কমরেড পাবলিশার্স খ এটলাস পাবলিশার্স
গ মাওলা ব্রাদার্স ঘ কথাবিতান প্রকাশনা
২৯৩ ‘লালসালু’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় কত সালে?
ক ১৯৫২ সালে খ ১৯৫৪ সালে
জ ১৯৬০ সালে ঘ ১৯৬৪ সালে
২৯৪ কত সালের মধ্যে ‘লালসালু’-এর দশম সংস্করণ প্রকাশিত হয়?
ক ১৯৬৫ সালে খ ১৯৭০ সালে
গ ১৯৭৬ সালে ঝ ১৯৮১ সালে
২৯৫ কত সালে ‘লালসালু’-এর উর্দু অনুবাদ প্রকাশিত হয়?
ক ১৯৫৫ সালে ছ ১৯৬০ সালে
গ ১৯৬৫ সালে ঘ ১৯৭০ সালে
২৯৬ ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু সংস্করণের অনুবাদক কে ছিলেন?
ক সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ খ সফিউলাহ
জ কলিমুলাহ ঘ আমিনুলাহ
২৯৭ ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ প্রকাশিত হয় কত সালে?
ক ১৯৫৭ সালে ছ ১৯৬১ সালে
গ ১৯৬৬ সালে ঘ ১৯৬৯ সালে
২৯৮ ‘লালসালু’ উপন্যাসটি ফরাসি ভাষায় কী নামে প্রকাশিত হয়?
চ খ অৎষড়ৎব ংধহং ৎধপরহবং খ ঞযব খধষ ঝযধষঁ
গ খধষ ঝধংং ঝযধষঁ ঘ খ এৎ-ঝধষঁ
২৯৯ ‘লালসালু’ উপন্যাস ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেন কে?
ক সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ ছ অ্যান-মারি-থিবো
গ পল-দ্য সিমন ঘ অনা-লা-কুইন
৩০০ অ্যান-মারি থিবো সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র কে ছিলেন?
ক সহকর্মী ছ সহধর্মিণী গ বান্ধবী ঘ পুত্রবধূ
৩০১ কত সালে ‘লালসালু' উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদের পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়?
ক ১৯৬১ সালে খ ১৯৬২ সালে
জ ১৯৬৩ সালে ঘ ১৯৬৪ সালে
৩০২ ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদ প্রকাশিত হয় কোথা থেকে?
ক করাচি ছ প্যারিস গ লন্ডন ঘ ঢাকা
৩০৩ কত সালে ‘লালসালু' উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়?
ক ১৯৬৫ সালে ছ ১৯৬৬ সালে
গ ১৯৬৭ সালে ঘ ১৯৬৮ সালে
৩০৪ ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ কী নামে প্রকাশিত হয়েছিল?
ক ঞযব জবফ ঝযধষঁ ছ ঞৎবব রিঃযড়ঁঃ জড়ড়ঃং
গ খধষ ঝযধষঁ ঘ জবফ ঝযধষঁ ড়ভ ইধহমষধ
৩০৫ ‘লালসালু' উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদক কে?
চ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ খ অ্যান-মারি-থিবো
গ জন হিলটন ঘ আলী রেজা
৩০৬ ‘লালসালু' উপন্যাসের পটভ‚মি কী?
ক রাজনীতি খ ধর্মনীতি
গ উদ্বাস্তু সমাজ ঝ গ্রামীণ সমাজ
৩০৭ ‘লালসালু’ কী ধরনের উপন্যাস?
চ সামাজিক সমস্যামূলক খ ধর্মীয় সমস্যামূলক
গ রাজনৈতিক সমস্যামূলক ঘ আঞ্চলিক সমস্যামূলক
৩০৮ ‘লালসালু’ উপন্যাসে লেখক কোনটি উন্মোচন করতে সমর্থ হয়েছেন?
চ প্রতারণার মুখোশ খ ধর্মের মুখোশ
গ সমাজের মুখোশ ঘ নারীর মুখোশ
৩০৯ ‘লালসালু' উপন্যাসে বর্ণিত সকল ঘটনার নিয়ন্ত্রক কে?
ক খালেক বেপারী ছ মজিদ
গ আমেনা ঘ আক্কাস
৩১০ মহব্বত নগরের সামাজিক নেতৃত্ব কার হাতে ন্যস্ত ছিল?
ক মজিদের হাতে ছ খালেক ব্যাপারীর হাতে
গ আক্কাসের হাতে ঘ রহীমার হাতে
৩১১ ‘লালসালু’ উপন্যাসের প্রধান উপাদান কী?
চ সমাজ-বাস্তবতা খ ধর্মীয় গোঁড়ামি
গ প্রতারণা ঘ ক‚টকৌশল
৩১২ মজিদ কীভাবে তাঁর ক্ষমতা ও প্রভাবকে প্রতিষ্ঠিত করে?
চ মানুষকে অন্ধবিশ্বাসে আচ্ছন্ন করে
খ মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করে
গ নিজের অঢেল অর্থ-প্রতিপত্তির জোরে
ঘ অলৌকিক ক্ষমতা বলে
৩১৩ মজিদের সমস্ত কর্মকাণ্ডকে খালেক ব্যাপারী সমর্থন জানিয়েছে কেন?
চ শোষণের স্বার্থে খ শ্রদ্ধাবশত
গ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ঘ অলৌকিক ক্ষমতা বলে
ঙ বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
৩১৪ ‘লালসালু’ অনূদিত হয়েছেÑ
র. ইংরেজি ভাষায়
রর. ফারসি ভাষায়
ররর. হিন্দি ভাষায়
রা বাংলা ভায়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র রর, ররর ও.
৩১৫ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র লেখার উদ্দেশ্য হলোÑ
র. শহরের মুসলমান সমাজের সামাজিক সমস্যা সম্বন্ধে লেখা
রর. গ্রাম-বাংলার মুসলমান সমাজের সামাজিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ
ররর. গ্রাম-বাংলার মুসলমান সমাজের স্বরূপ সম্পর্কে লেখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৬ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র গদ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলোÑ
র. মননশীলতা
রর. ভাষার নিটোল গাঁথুনি
ররর. অঞ্চলপ্রীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৭ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র উলেখযোগ্য গ্রন্থ হলোÑ
র. চাঁদের অমাবস্যা
রর. বহিপীর
ররর. দুই তীর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর, রররও রা
৩১৮ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র উপন্যাস হলোÑ
র. কাঁদো নদী কাঁদো
রর. চাঁদের অমাবস্যা
ররর. তরঙ্গভঙ্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৯ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র নাটক হলোÑ
র. বহিপীর
রর. উজানের মৃত্যু
ররর. সুড়ঙ্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩২০ উপন্যাসের কাহিনী হয়Ñ
র. বিশেষণাত্মক
রর. দীর্ঘ
ররর. সমগ্রতাসন্ধানী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩২১ উপন্যাসের সংলাপ মূলতÑ
র. চরিত্রের বৈচিত্র্যময় মনস্তত্ত¡কে প্রকাশ করে
রর. উপন্যাসের বাস্তবতাকে নিশ্চিত করে
ররর. উপন্যাসের শিল্পরূপকে সমৃদ্ধ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩২২ সামাজিক উপন্যাস হলোÑ
র. কৃষ্ণকান্তের উইল
রর. চোখের বালি
ররর. গৃহদাহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩২৩ মনস্তাত্তি¡ক উপন্যাস হলোÑ
র. ক্রাইম এ্যান্ড পানিশমেন্ট
রর. চাঁদের অমাবস্যা
ররর. কাঁদো নদী কাঁদো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩২৪ আঞ্চলিক উপন্যাস হলোÑ
র. হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
রর. তিতাস একটি নদীর নাম
ররর. কাঁশবনের কন্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩২৫ আত্মজৈবনিক উপন্যাস হলোÑ
র. পথের পাঁচালী
রর. শ্রীকান্ত
ররর. গোরা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩২৬ ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের যে উপন্যাসেÑ
র. গোরা
রর. চার অধ্যায়
ররর. চোখের বালি
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩২৭ রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের পরবর্তী সময়ের প্রধান ঔপন্যাসিক হলেনÑ
র. বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
রর. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
ররর. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩২৮ ‘লালসালু' উপন্যাসটি অনূদিত হয়Ñ
র. জার্মান ভাষায়
রর. ফরাসি ভাষায়
ররর. চেক ভাষায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩২৯ ‘লালসালু' উপন্যাসের চরিত্রগুলোÑ
র. কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মভীরু
রর. দরিদ্র শোষিত গ্রামবাসী
ররর. শঠ, প্রতারক, ধর্ম ব্যবসায়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৩০ ‘লালসালু' উপন্যাসের বিষয়Ñ
র. কুসংস্কার
রর. অন্ধবিশ্বাস
ররর. শঠতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৩১ মহব্বত নগরের সমাজ জীবনÑ
র. কুসংস্কারাচ্ছন্ন
রর. অন্ধ বিশ্বাসে জয় জয়কার
ররর. শোষণে নির্দেশিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৩২ ‘লালসালু' উপন্যাসে বর্ণিত সামাজিক অবস্থাÑ
র. বদ্ধ
রর. শৃঙ্খলিত
ররর. স্থবির
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৩৩ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র মতে, ধর্মের ভিত্তি ধর্মের ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছেÑ
র. কুসংস্কার
রর. শঠতা
ররর. অন্ধবিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৪ মজিদ যে বিষয়ের প্রতীকী চরিত্রÑ
র. কুসংস্কার
রর. শঠতা
ররর. অন্ধবিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৩৫ ‘লালসালু' উপন্যাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খালেক ব্যাপারীর উপস্থিতি থাকলেও সে কখনোইÑ
র. আত্মমর্যাদাশীল হতে পারেনি
রর. ব্যক্তিসম্পন্ন হতে পারেনি
ররর. মজিদকে নিজের অনুগামী করতে পারেনি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৩৬ ‘লালসালু' উপন্যাসে জমিলা হয়ে উঠেছেÑ
র. নারী ধর্মের প্রতিনিধি
রর. হৃদয়ধর্মের প্রতিনিধি
ররর. ইসলাম ধর্মের প্রতিনিধি
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৭ বৃদ্ধ সোলেমানের বাপের লজ্জার কারণ হলোÑ
র. মাজারের প্রতি অমর্যাদা
রর. মজিদকে অবহেলা করা
ররর. হাঁপানি রোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৮ তারা যখন সন্তর্পণে নৌকা চালায় তখনÑ
র. ঢেউ হয় না
রর. শব্দ হয় না
ররর. নৌকা দ্রুত চলে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৯ মাঠভরা ধান দেখে যাদের মনে মাটির প্রতি পূজার ভাব জাগে, তারা হলোÑ
র. ভ‚ত পূজারী
রর. গুনাহগার
ররর. বেএলেম
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪০ জঙ্গল সাফ করে ইট-সুরকি নিয়ে প্রাচীন কবর নতুন দেহ ধারণ করলে সেখানকার পরিবেশেÑ
র. আগরবাতি গন্ধ ছড়াতে লাগল
রর. মোমবাতি জ্বলতে লাগল রাত-দিন
ররর. ঝালরওয়ালা লালসালু দ্বারা আবৃত হলো কবর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৪১ গ্রামের লোকেরা যা চেনে তা হলোÑ
র. খোদা
রর. জমি
ররর. ধান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪২ কবরটিতে লালসালু বিছানোর পরÑ
র. অন্য গ্রাম থেকে লোক আসতে লাগল
রর. ক্রমে মজিদের ঘরবাড়ি উঠল
ররর. মজিদের জমি হলো, গৃহস্থালি হলো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৪৩ খোদাকে স্মরণ হয় কেবলÑ
র. খরার দিনে
রর. জমিতে ফাটল ধরলে
ররর. স্মরণ করিয়ে দিলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৪৪ গ্রামবাসীরা পরিশ্রম করে চলেÑ
র. কাঠফাটা রোদে
রর. মুষলধারে বৃষ্টিতে
ররর. মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৪৫ প্রাচীন কবরটির অবস্থান হলোÑ
র. বাঁশ ঝাড়ের ক-গজ ওধারে
রর. একটা পরিত্যক্ত পুকুরের পাশে
ররর. যেখানে গাছপালা ঘন হয়ে আছে সেখানে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৪৬ মজিদের শারীরিক গঠন হলোÑ
র. মুখে ক-গোছা দাড়ি
রর. কোটরাগত চোখে কম্পন নেই
ররর. বয়সের ভারে চোয়াল দুটো উজ্জ্বল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৪৭ কাদের ইশারার অপেক্ষায় থাকেÑ
র. ভাইয়ের
রর. তাহেরের
ররর. মজিদের
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪৮ রহীমার শরীর আর মজিদের মধ্যে মূল সাদৃশ্য হলোÑ
র. উভয়ের রক্ত এক
রর. উভয়েই তাগড়া জোয়ান
ররর. দেহ গাট্টাগোট্টা ও প্রশস্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৪৯ মজিদের ভালো লাগে না যা, তা হলোÑ
র. হাসি
রর. গান
ররর. লালসালু
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৫০ মজিদের আÍবিশ্বাসের কারণ হলোÑ
র. গাঁয়ের মাতব্বর ওর কথা ছাড়া কথা কয় না
রর. খতম পড়াবার জন্যে সবাই তার কাছে ছুটে আসে
ররর. মাজারের মুখপাত্র হিসেবে সবাই তার কথা সাগ্রহে শোনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫১ সময় পেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মজিদেরÑ
র. জমি-জোত বাড়ে
রর. সম্মানও বাড়ে
ররর. নছিহতের জন্য তার কাছে লোক আসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫২ দুদু মিঞার পরিস্থিতি হলোÑ
র. চোখ পিটপিট করে
রর. ভেতরের আগুনে সব পোড়ে
ররর. গাধার মতো পিঠে-ঘাড়ে সমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫৩ এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের সর্বপ্রচেষ্টা শেষ হয় যা করে তা হলোÑ
র. ভাগাভাগি রর. লুটালুটি
ররর. খুনাখুনি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫৪ নিশুতি রাতে রেলগাড়িটা যে দেশে এসেছে, সে দেশটাতেÑ
র. শস্য নেই
রর. বিরান মাঠ
ররর. বন্যায় ভাসানো ক্ষেত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫৫ এদেশে যা বেশি, তা হলোÑ
র. শস্যের চেয়ে টুপি বেশি
রর. ধর্মের আগাছা বেশি
ররর. ভোরবেলায় মক্তবে আর্তনাদ বেশি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫৬ তলায় পেট শূন্য বলেÑ
র. ক্ষুধার্ত চোখ বৈরিভাবাপন্ন
রর. খোদার এলেমের বুক ভরে না
ররর. ব্যক্তি সুখ উদাসীন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫৭ এরা দেশ ত্যাগ করে যা হয়, তা হলোÑ
র. জাহাজের খালাসি
রর. কারখানার শ্রমিক
ররর. বাসাবাড়ির চাকর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫৮ মহব্বতনগর গ্রামের লোকগুলো অবস্থাপন্ন হওয়ার কারণ হলোÑ
র. গরু-ছাগল আর মেয়ে মানুষ পুষেছে
রর. চড়াই-উতরাই ভাব ছেড়ে ধীর-স্থির হয়ে উঠেছে
ররর. জোত-জমি করেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৫৯ তামার দাঁত খিলাল দিয়ে দাঁতের গহŸর খোঁচাতে খোঁচাতে মজিদ সেদিন যে কথা স্পষ্ট বুঝেছিল, তা হলোÑ
র. মহব্বতনগর গ্রামবাসীরা জাহেল, বেএলেম, আনপড়াহ্
রর. এখানে ধানক্ষেতে হাওয়া গান তোলে
ররর. মুসলীদের গলা আকাশে ভাসে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬০ দু-বেলা খেয়ে বাঁচবার জন্যে মজিদ যে খেলা খেলতে যাচ্ছে তাকে সে সাংঘাতিক বলার কারণ হলোÑ
র. যদি গ্রামবাসীরা মজিদকে ভালোভাবে গ্রহণ না করে
রর. মজিদের মনের সন্দেহ এবং ভয়
ররর. লালসালু ঘেরা কবরের প্রতি গ্রামবাসীদের সমর্থন দেয়া না দেয়া নিয়ে সংশয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬১ মজিদের যে খেলা সাংঘাতিক, তা হলোÑ
র. দুনিয়ায় সচ্ছলভাবে দু-বেলা খেয়ে বাঁচা
রর. কবরে লালসালু বিছিয়ে মোদাচ্ছের পিরের মাজার বলা
ররর. গ্রামবাসীকে ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজের আখের গোছানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬২ গাছপালায় ঢাকা স্থানটি আগে স্যাঁতস্যাঁতে ছিল, এখনÑ
র. রোদ পড়ে খটখটে হয়ে উঠল
রর. হাওয়ায় ভ্যাঁপসা গন্ধ খড়ের মতো শুষ্ক হয়ে উঠল
ররর. লোকজনের আগমনে মাজার এলাকা মুখরিত হয়ে পড়ল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬৩ দিনের পর দিন কবরের কোলে যা ব্যক্ত হতে লাগল, তা হলোÑ
র. মানুষের মর্মন্তুদ কান্না
রর. অশ্র“সজল কৃতজ্ঞতা
ররর. আশার কথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬৪ কবরে ছড়াছড়ি যেতে থাকা পয়সার ধরন হলোÑ
র. ঝকঝকে
রর. ঘষা
ররর. সিকি, দুয়ানি-আধুলি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬৫ ক্রমে মজিদের বাড়িতে যেসব ঘর হলো, তা হলোÑ
র. বাহির বাড়ি
রর. অন্দর বাড়ি
ররর. গোয়াল ঘর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬৬ সেই দিনের কথা স্মরণ করে মজিদ ভাবেÑ
র. খোদার বান্দা সে নির্বোধ ও জীবনের জন্য অন্ধ
রর. তার ভুলভ্রান্তি তিনি মাফ করে দেবেন
ররর. তাঁর করুণা অপার, সীমাহীন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬৭ রহীমার দেহ সৌষ্ঠব হলোÑ
র. আলি-ঝালি চওড়া বেওয়া মেয়ে
রর. দেহে যৌবন যেন ব্যাপ্ত হয়ে ছড়িয়ে আছে
ররর. বিশাল তার রূপ, প্রশস্ত দেহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬৮ রহীমার কর্মদক্ষতা হলোÑ
র. বড় বড় হাঁড়ি সে অনায়াসে একস্থান থেকে অন্যস্থানে তুলে নিয়ে যায়
রর. গোঁয়ার ধামড়া গাইকেও স্বচ্ছন্দে গোয়াল থেকে টেনে বের করে
ররর. যখন হাঁটে, মাটিতে আওয়াজ হয়, কথা বললে মাঠ থেকে শোনা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৬৯ রহীমার স্বভাব হলোÑ
র. সে ঠাণ্ডা মানুষ
রর. ভীতু মানুষ
ররর. দশ কথায় রা নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৭০ মজিদের প্রতি রহীমার রয়েছেÑ
র. সম্মান
রর. শ্রদ্ধা
ররর. ভয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৭১ রহীমার হাঁটা দেখে মজিদ যা বলে তা হলোÑ
র. অমন করে হাঁটতে নাই বিবি
রর. মাটি-এ গোস্বা করে
ররর. মাটিরে কষ্ট দেওন গুনাহ্
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৭২ রহীমা ভয় পায়Ñ
র. খোদাকে
রর. মাজারকে
ররর. মজিদকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৭৩ পুকুরে গোসল করে সিক্ত বসনে রহীমা যখন চুল ঝাড়ে, তখন মজিদের ভাবনা হলোÑ
র. বিছানার পাশে সে দেহটির তাল পায় না
রর. রহীমার দেহটি সিক্ত কাপড়ে অদ্ভুত সুন্দর হয়ে ওঠে
ররর. সে চেয়ে চেয়ে দেখে আর তার চোখ চকচক করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৭৪ মজিদের গলা কাশার শব্দ শুনে চুল ঝাড়া বন্ধ করে রহীমাÑ
র. বুকে ভালো করে আঁচল টেনে দেয়
রর. পেছনে সাপ্টে থাকা কাপড় আলগা করে
ররর. এধার-ওধার বেগানা-বেগাঁয়ের লোকের সন্ধানে তাকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৭৫ তাগড়া-তাগড়া দেহের গ্রাম্য লোকেরা যা চেনে তা হলোÑ
র. জমি
রর. ধান
ররর. পেট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৭৬ জমিকে দাবার ছকের মতো ভাগ করে ফেলার কারণ হলোÑ
র. ঘরোয়া হিংসা-বিদ্বেষ
রর. আত্মমর্যাদার ভ‚য়ো ঝাণ্ডা উঁচিয়ে রাখা
ররর. জমিতে পুরাতন কবর খুঁজে মাজার বানানো
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭৭ মহব্বতনগর গ্রামের জমিগুলো গ্রামবাসীর একান্ত আপন। কারণÑ
র. খাবলা খাবলা রুঠা জমি
রর. ডোবাজমি, কাদাজমি
ররর. ফাটল ধরা জ্যৈষ্ঠের জমি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৭৮ কৃষকরা মাঠে কাজ করার সময় যেটিকে গুরুত্ব দেয় না তা হলোÑ
র. অগ্রহায়ণের শীত খোলা মাঠে হাড় কাঁপায়
রর. রোদ-পানি খাওয়া মোটা কর্কশ ত্বকের ডাসা লোমগুলো খাড়া হয়
ররর. লালসালুতে ঢাকা কবরের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭৯ কৃষকরা দল বেঁধে যা করে তা হলোÑ
র. মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাটে
রর. জমি থেকে কার্তিকের পানি সরায়
ররর. জমিতে জঞ্জালমুক্ত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮০ চারা ছড়ানো জমি শুকিয়ে কঠিন হওয়ার কারণ হলোÑ
র. খোদাকে স্মরণ না করা
রর. রোদ চড়া হয়ে আসা
ররর. ঋতু পরিবর্তন
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮১ গাঁয়ের মাতব্বর মজিদের কাছে আসার কারণÑ
র. সলা-পরামর্শ করা
রর. আদেশ-উপদেশ গ্রহণ
ররর. নছিহত গ্রহণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৮২ মজিদ আমসিপারা পড়তোÑ
র. খালেক ব্যাপারীর মক্তবে
রর. শৈশবের স্মৃতিঘেরা যে দেশ ছেড়ে এসেছে সেখানে
ররর. যে শস্যহীন দেশ তার জন্মস্থান সেখানে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮৩ বাপ-বেটার খৎনা দেখার জন্য হাট-বাজারের মতো মানুষের ভীড় হওয়ার কারণ হলোÑ
র. খৎনার দৃশ্য দেখা সওয়াব বলে
রর. বাপ-বেটাকে ধরবার জন্যে লোকের প্রয়োজন ছিল তাই
ররর. এসব দৃশ্য না দেখে থাকা যায় না বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮৪ বেড়ার ফুটো দিয়ে খৎনার দৃশ্য দেখেছেÑ
র. মেয়েরা
রর. জোয়ান, বুড়ি
ররর. রহীমা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৮৫ মজিদের শক্তির মূল উৎস হলোÑ
র. সালুকাপড়ে আবৃত মাজার
রর. খালেক ব্যাপারীর সমর্থন
ররর. ধর্মের ভয় দেখিয়ে লোকজনকে দুর্বল করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৮৬ মেয়ে মানুষরা আজ রহীমাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে। কারণÑ
র. মজিদের শক্তি রহীমার ওপর প্রতিফলিত হয়েছে
রর. মেয়েরা গলা নরম করে সুপারিশের জন্য রহীমাকে ধরে
ররর. খিড়কির দরজা দিয়ে তারা এসে সন্তর্পণে কথা কয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৮৭ মজিদের প্রকৃতি হলোÑ
র. মাজারের মতো সেও রহস্যময়
রর. মজিদ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
ররর. মজিদের সকল কাজের যোগসূত্র হলো রহীমা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৮৮ রহীমা যখন মাজারে যায়, তখনÑ
র. মাথায় কপাল পর্যন্ত ঘোমটা টানা থাকে
রর. দেহ নিশ্চল হয়
ররর. মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৮৯ রহীমার আর্জি হলোÑ
র. মাজারের রুহ যেন তাকে একটি সন্তান দেন
রর. সন্তান-শূন্য কোলটির খাঁ খাঁ ভাব যেন দূর হয়
ররর. কী একটা মহাভয় তার রক্ত শীতল করে দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯০ রহীমা মাজারের করুণা চায়Ñ
র. ও পাড়ার ছনুর বাপ মরণরোগ্য যন্ত্রণা পাচ্ছে বলে
রর. খেতানির মা পক্ষাঘাতে কষ্ট পাচ্ছে বলে
ররর. ঘরে স্ত্রী-পুত্র রেখে যারা নদীতে যায় তাদের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৯১ অপরাহ্ণে জমায়েতে বিচারক মজিদের যে বোধ হয় তা হলোÑ
র. বুড়ো লোকটা শয়তানের খাম্বা
রর. অন্তরে বুড়োর কুটিলতা আর অবিশ্বাস
ররর. প্রাণের আশ মিটিয়ে বুড়ো তার মেয়েকে মারে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯২ যে রকম মেয়ে মজিদের ভালো লাগে, তা হলোÑ
র. ক্রন্দনরতা
রর. কথায় কথায় ঠোঁট ফুলানো
ররর. লুটিয়ে পড়ে কান্না করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৯৩ মজিদের ভালো লাগে না যে রকম মানুষ, তা হলোÑ
র. যে মানুষ কোনো কথা নির্বিবাদে মেনে নেয়
রর. যার মাঝে কোনো মান-অভিমান নেই
ররর. যে লোকের মধ্যে কোনো চপলতা থাকে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৯৪ জমায়েতে তাহেরের বাপের অবস্থা হলোÑ
র. যেন ভয়-ডর নেই
রর. হাতের আঙুলগুলো কাঁপছিল
ররর. ভেতরে তার ক্রোধের আগুন জ্বলছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৯৫ মজিদের বক্তব্য অনুযায়ী মানুষের মধ্যে যা যা আছে, তা হলোÑ
র. দোষ-গুণ
রর. শয়তান
ররর. ফেরেস্তা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৯৬ মজিদের মতে মানুষের প্রক্ষিপ্ত রসনাÑ
র. মানুষকে পির-মুর্শিদ বানাতে পারে
রর. পরিবার ধ্বংস করে দিতে পারে
ররর. নিমিষে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে সমগ্র পৃথিবীতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯৭ মানুষের মধ্যে যা আছেÑ
র. গুনাহগার
রর. মাজারপ্রেমী
ররর. নেকবন্দ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯৮ বিচারের আসরে মজিদের বক্তব্য যেনÑ
র. মধুর মতো
রর. সুর তোলে
ররর. শ্রোতাদের মোহিত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৩৯৯ মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণ হলোÑ
র. আপন বাল-বাচ্চার সুখ-শান্তি
রর. সংসারের ভালো করা
ররর. কবরকে মাজার বানানো
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০০ মজিদের অভিযোগ হাসুনির মায়ের শরীরেÑ
র. ঠ্যাঙানোর চিহ্ন
রর. দড়া পড়ার দাগ
ররর. নীল বেদনার ছাপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪০১ মজিদের কেরাতের গলা হলোÑ
র. মিহি মধুর রর. শান্তির ঝরনার মতো
ররর. অবিশ্রান্ত করুণা ঝরে পড়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪০২ মজিদের জমায়েতের বিচারের রায় হলোÑ
র. বুড়োকে তার মেয়ের কাছে মাফ চাইতে হবে
রর. তাকে ঘরে নিয়ে যতেœ রাখতে হবে
ররর. মাজারে পাঁচ পয়সার সিন্নি দিতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪০৩ ঝড়ে হাসুনির মায়ের অনবরত বক্তব্য হলোÑ
র. হাসুনি কোথায় গেলো রে
রর. ছাগলটা কোথায় গেলো রে
ররর. লাল ঝুটিওয়ালা মুরগিটা কোথায় গেলো রে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪০৪ বুড়ো কোথায় পালিয়েছে তা জানার জন্য যাদের কৌত‚হল, তারাÑ
র. মজিদের শিক্ষার মর্মার্থ উপলব্ধি করতে অক্ষম
রর. স্রষ্টা নিত্য-নিয়ত যা করেন তার গুরুত্ব বোঝা দুষ্কর
ররর. যে লোক অপরাধ করে অনুতপ্ত হয় না, তারা এসব জানতে চায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪০৫ মজিদের বাড়িতে হাসুনির মাকে বতোর দিনে যা করতে হয়, তা হলোÑ
র. ধান এলানো
রর. ধান মাড়ানো
ররর. সিদ্ধ করা, ভানা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪০৬ মজিদ হাসুনির মাকে যে শাড়ি আনিয়ে দিল, সেটিÑ
র. বেগুনি রঙের রর. লাল পাড়ের
ররর. কালো পাড়ের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০৭ হাসুনির মাকে দেখে মজিদের মন অস্থির হওয়ার কারণ হলোÑ
র. তারই দেয়া বেগুনি শাড়িতে খড়কুটোর আলো পড়ে চক্চক করছিল
রর. হাসুনির মার দেহের কতক অংশ উজ্জ্বল লালিত্যে জ্বলজ্বল করছিল
ররর. মজিদ লালসালু ঘেরা মাজারের যোগ্য প্রতিনিধি
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০৮ নবাগত পিরের কাছে মজিদের আগমনকে গল্পকার যেভাবে বর্ণনা করেছেন, তা হলোÑ
র. বড়র নিকট বৃহতের প্রতাপ
রর. বিশাল সূর্যের কাছে প্রদীপ নিশ্চিহ্ন
ররর. শত শত লোকের মাঝে মজিদ ম্লান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০৯ মজিদের মতে, আউয়ালপুরের পিরের উদ্দেশ্য হলোÑ
র. মুখোশ পরা
রর. মানুষকে বিপথে নেয়া
ররর. খোদার পথ থেকে সরিয়ে দেয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১০ হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের পাশে বসে মজিদ যা করলো, তা হলোÑ
র. শয়তান ও খোদার কাজের তারতম্য বর্ণনা
রর. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাহাত্ম্যব্যাখ্যা
ররর. বেহেস্ত ও দোজখের জলজ্যান্ত বিবরণ দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১১ করিমগঞ্জ হাসপাতালের পরিবেশ সম্পর্কে মজিদের ধারণা হলোÑ
র. অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা
রর. শাহি কাণ্ডকারখানা
ররর. ওষুধপত্র বা সেবা শুশ্র“ষার শেষ নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১২ ধলা মিঞা হলোÑ
র. খালেক ব্যাপারীর শ্যালক
রর. তানুবিবির ভাই
ররর. বোন-জামাইয়ের বাড়ি খায়-দায় ঘুমায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪১৩ মজিদের মতে পেটে যত প্রকার বেড়ি পড়ে, তা হলোÑ
র. সাত প্যাঁচ
রর. চৌদ্দ প্যাঁচ ররর. একুশ প্যাঁচ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
৪১৪ মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী জমিলার হাসি হলোÑ
র. বিচিত্রভাবে জীবন্ত হাসি
রর. ফিসফিস করে চাপা হাসি
ররর. ঝরনার অনাবিল গতির মতো ছন্দময় হাসি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪১৫ ও ৪১৬ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
“কুকুর আসিয়া এমন কামড় দিল পথিকের পায়,
কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে বিষ লেগে গেল তায়।
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়,
তা'বলে কুকুরে কামড়ানো কি করে মানুষের শোভা পায়?”
৪১৫ উদ্দীপকে পথিকের মানসিকতায় ‘লালসালু' উপন্যাসের পীর সাহেবের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
চ সহিষ্ণুতা খ শিষ্যপ্রীতি গ মাজারপ্রীতি ঘ পিরপ্রীতি
৪১৬ উক্ত অনুভ‚তি ফুটে উঠেছে যে বাক্যে, তা হলোÑ
র. কুত্তা তোমাকে কামড়ালে তুমিও কি উল্টো তাকে কামড়ে দেবে?
রর. এ বয়সে দাঙ্গাবাজি, হৈ-হাঙ্গামা আর ভালো লাগে না
ররর. খ্যাপা কুকুরের তী²তায় নিঃসঙ্গ একটা গলা আর্তনাদ করে উঠল
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪১৭ ও ৪১৮ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
বিষ্ণুপুর মহাশ্মশান মন্দিরের তত্ত¡াবধায়ক বিপুল বাবু প্রতিবছর মন্দিরে পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করে লাভবান হন। কেননা পুরোনো দ্রব্যগুলোর বদলে নতুন দ্রব্য কিনে দেয়ার মতো ভক্ত ঐ মন্দিরে অভাব নেই।
৪১৭ উদ্দীপকের বিপুল চরিত্রের সাথে ‘লালসালু' উপন্যাসের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে?
ক খালেক ব্যাপারী ছ মজিদ
গ তাহের ঘ দুদু মিঞা
৪১৮ এ মিল প্রকাশ পেয়েছে, খালেক ব্যাপারীরÑ
র. মাজারের গাত্রাবরণ বদলাবার খরচ বহন করার মধ্য দিয়ে
রর. মজিদ পুরোনো লালসালুগুলো পরিবর্তন করতে চায় না
ররর. মজিদের ঘর-বাড়ি ওঠার মধ্য দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪১৯ ও ৪২০ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
হায়দারাবাদের এক রাজা সরকারি সফরে আগ্রা যাচ্ছিলেন। তিনি ট্রেনের প্রথম শ্রেণির যাত্রী। প্রজারা স্টেশনে জয়ধ্বনি দিয়ে তাঁকে বিদায় জানিয়ে গেছে। সেই কামরায় দুইজন বন্দুকধারী ইংরেজ ছিল। তাদের জুতো ছিল কাদামাখা। ইংরেজদ্বয় রাজামশাইয়ের কান ধরে তাদের জুতো পরিষ্কার করে নেয়। রাজা সে কাজ করতে বাধ্য হন।
৪১৯ উদ্দীপকের ইংরেজদ্বয় ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের অনুরূপ?
ক খালেক ব্যাপারী ছ মজিদ
গ তাহের ঘ দুদু মিঞা
৪২০ এই মিল প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. রহীমাকে দিয়ে পা টিপে নেয়ার মাধ্যমে মজিদের স্বামীত্ব ফলানোর মাধ্যমে
রর. জীবনের নিষ্ফলতা রহীমার কাছে বড় মনে হলেও তার বলবার কিছু নেই বলে
ররর. জোর করে খৎনার ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪২১ ও ৪২২ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
ধীরেন বাবুর বড় ছেলে গ্রামে একটি হাসপাতাল স্থাপন করতে চায়। গ্রাম্য সমাজপতি ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ দেন। ব্যবসা বন্ধ হবার আশঙ্কায় তিনি হাসপাতাল স্থাপন করার বিপক্ষে উঠে পড়ে লাগলেন।
৪২১ উদ্দীপকের ধীরেন বাবুর বড় ছেলে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের অনুরূপ?
চ আক্কাস খ মজিদ
গ মোদাব্বের মিঞা ঘ দুদু মিঞা
৪২২ এরূপ মিল হলোÑ
র. স্কুল দেবার বাসনায়
রর. জনকল্যাণমূলক কাজে
ররর. স্কুলে না পড়লে মুসলমানের পরিত্রাণ নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪২৩ ও ৪২৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
চৈত্র মাসের রোদে মাঠটা খাঁ খাঁ করছে। যেদিকে তাকানো যায় শুধু শুকনো মাটি। পাথরের চেয়েও শক্ত। আর অসংখ্য ফাটল। মাটি উত্তাপ সহ্য করতে না পেরে ফেটে যায়। দাঁড় কাকগুলো তৃষ্ণায় সারাক্ষণ কা-কা করে উড়ে বেড়ায়। (‘হাজার বছর ধরে'Ñজহির রায়হান)
৪২৩ উদ্দীপকটি ‘লালসালু' উপন্যাসের সাথে কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক গ্রীষ্মকালীন দেশ ছ প্রকৃতির অবস্থা
গ ধর্মের দেশ ঘ কাকের দেশ
৪২৪ এরূপ সাদৃশ্যপূর্ণ ভাব প্রকাশক বাক্য হলোÑ
র. বিরান মাঠ, ভাঙা পাড় আর বন্যা-ভাসানো ক্ষেত
রর. কিন্তু দেশটা কেমন মরার দেশ, শস্য শূন্য
ররর. দেশে নিরন্তর টানাটানি, মরার খরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪২৫ ও ৪২৬ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
মকবুলের তিন বউয়ের মধ্যে সবার ছোট টুনি। সংসার কাকে বলে তা সে বোঝে না। সমবয়সী কারো সঙ্গে দেখা হলে সবকিছু ভুলে গল্প জুড়ে দেয় আর হাসে। হাসতে হাসতে মেঝেতে গড়াগড়ি দেয় টুনি।
৪২৫ উদ্দীপকের টুনি ‘লালসালু' উপন্যাসের কোন চরিত্রের অনুরূপ?
ক রহীমা ছ জমিলা গ হাসুনি ঘ হাসুনির মা
৪২৬ এরূপ মিল হলোÑ
র. বয়সে
রর. মানসিকতায়
ররর. বাল্যবিবাহে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪২৭ ও ৪২৮ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
লক্ষীকোলা গ্রামে একজন সাধুর আগমন ঘটেছে। এই সাধু নাকি ঝড়-বৃষ্টি থামাতে পারেন। নদীর ওপর দিয়ে হাঁটতে পারেন। চাঁদকে হাতের মুঠোয় পুরতে পারেন।
৪২৭ উদ্দীপকের সাধু ‘লালসালু' উপন্যাসের কোন চরিত্রের অনুরূপ?
চ আওয়ালপুরের পির খ মজিদ
গ মতলুব মিয়া ঘ দুদু মিঞা
৪২৮ এরূপ মিল হওয়ার কারণÑ
র. পীর সাহেব সূর্যকে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখেন
রর. তিনি হুকুম না দিলে নামাজের সময় গড়ায় না
ররর. তিনি মুরীদদেরকে বেহেস্তে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪২৯ ও ৪৩০ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
বিধাতানগর এক আজব গ্রাম। এখানকার লোকেরা পাঠশালায় যায় না। মন্দির বা টোলে সামান্য ধর্মীয় শিক্ষা নেয়। পুরোহিতদের কথা অনুযায়ী চলে। তাবিজ, কবজ, দেবতার চরণামৃত, জলপড়া এগুলোই বিধাতানগরের একমাত্র চিকিৎসা ব্যবস্থা।
৪২৯ উদ্দীপকের বিধাতানগরের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন গ্রামের সাদৃশ্য বিদ্যমান?
ক হাগুয়া গ্রাম খ মতিগঞ্জ
জ মহব্বতনগর ঘ মধুপুরগড়
৪৩০ এরূপ সাদৃশ্যÑ
র. শিক্ষায় রর. চিকিৎসায় ররর. ধর্মীয় বোধে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৩১ ও ৪৩২ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
দীর্ঘদিন শহরের বিদ্যালয়ে পাঠ শেষে বাড়িতে ফিরে আসে সুশীল। জেঠামশাই গোঁড়া ব্রাহ্মণ। তিনি সুশীলের কণ্ঠে তুলসী মালা না দেখে রেগে যান। হিন্দুর ছেলে ইংরেজি শিখে সাহেব হবে কিন্তু বামুন হবে নাÑতা জেঠু মেনে নিতে পারেন না।
৪৩১ উদ্দীপকে জেঠামশাইয়ের মানসিকতা ‘লালসালু’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক আক্কাস ছ মজিদ
গ মোদাব্বের মিঞা ঘ খালেক ব্যাপারী
৪৩২ এরূপ সাদৃশ্য হলোÑ
র. গোঁড়ামীতে
রর. ক‚পমণ্ডুকতায়
ররর. অনুন্নত মানসিকতায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৩৩ ও ৪৩৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
মহেশের প্রতি গফুরের ভালোবাসা ছিল প্রবল। মহেশ অন্যের ফসল খেয়েছে বলে শাস্তি পেতে হয়েছে গফুরকে। তাই রাগে ক্ষুব্ধ হয়ে গফুর মহেশকে আঘাত করে। গরুটি মারা যায়। জমিদার শিবচরণ গফুরকে গরু হত্যার অপরাধে শাস্তি দিতে পারে। তাই সকলের অজান্তেই সে গ্রাম ছাড়ে। (‘মহেশ’Ñশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
৪৩৩ উদ্দীপকে গফুরের সকলের অজান্তে গ্রাম ছাড়ার ঘটনাটির সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কার গ্রাম ছাড়ার ঘটনার মিল রয়েছে?
ক খালেক ব্যাপারীর ছ তাহেরের বাপের
গ মজিদের ঘ দুদু মিঞার
৪৩৪ এরূপ মিল হলোÑ
র. সকলের অগোচরে গ্রাম ছাড়ায়
রর. মাজারের সাফল্যে ররর. নিরুদ্দেশ যাত্রায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৩৫ - ৪৩৮ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
বিনোদ ভাগ্যানে¦ষী মানুষ। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সে গোবিন্দপুর গ্রামে এসে আস্তানা গড়ে। সেখানে একটি জঙ্গলাকীর্ণ স্থানকে তীর্থস্থান বলে শুরু হয় বিনোদের তথাকথিত ধর্ম বাণিজ্য।
৪৩৫ উদ্দীপকের বিনোদ চরিত্রের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কার মিল রয়েছে?
ক খালেক ব্যাপারীর ছ মজিদের
গ তাহেরের ঘ আক্কাস মিঞার
৪৩৬ এরূপ মিল হলোÑ
র. পির সাজার অপচেষ্টায়
রর. ভাগ্যানে¦ষণ থেকে ভাগ্য পরিবর্তনে
ররর. মানুষের মনে ধর্মের ভয় দেখিয়ে বাণিজ্য করায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৩৭ উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘লালসালু’ গল্পের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক পির, মুর্শিদের প্রতি অবিশ্বাস ছ পির, মুর্শিদের প্রতি বিশ্বাস
গ মাজার, খানকায় অবিশ্বাস ঘ মাজার, খানকায় অনাস্থা
৪৩৮ এরূপ সাদৃশ্যের অন্তর্নিহিত কারণ হলোÑ
র. অশিক্ষা ও কুসংস্কার
রর. পীর-ফকিরের আধিপত্য
ররর. পীর-ফকিরের প্রতি বিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৩৯ ও ৪৪০ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
গণেশডাঙ্গা বারোয়ারি মন্দিরের পূজারী সত্যসুন্দর বাবাজী ইদানিং কিছু কিছু মিথ্যে কথা বলেন। এমনকি প্রায়ই পূজার ফল, অর্থ, দ্রব্য সরিয়ে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
৪৩৯ উদ্দীপকের সত্যসুন্দর বাবাজী ‘লালসালু’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিরূপ?
ক খালেক মাতব্বর খ আওয়ালপুরের পির
জ মজিদ ঘ আক্কাস মিঞা
৪৪০ এরূপ সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়Ñ
র. মিথ্যা বলার মধ্য দিয়ে
রর. অজু না করে মাজারে গেলে আওয়াজ হওয়ার বানানো গল্প বলার মধ্য দিয়ে
ররর. হাসপাতালের ডাক্তারকে মুরিদ বলার মধ্য দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৪১ ও ৪৪২ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
সোনাতলার পুতুল পতিপরায়ণ নারী। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলেও পুতুলের স্বামীভক্তিতে ফাটল ধরেনি। কিন্তু সতীনের প্রতি স্বামীর রূঢ় আচরণে পুতুল স্বামীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।
৪৪১ উদ্দীপকের পুতুল ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?
ক জমিলা ছ রহীমা গ আমেনা ঘ হাসুনি
৪৪২ এরূপ প্রতিনিধিত্বের কারণ হলোÑ
র. দু’জন দুই মেরুর মহিলা
রর. উভয়ের স্বামীভক্তি প্রবল
ররর. পুতুল-রহীমা দু’জনেই সতীনের প্রতি দুর্বল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৪৩ ও ৪৪৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
বিধবা মেয়ে মিনতি বাবার বাড়িতে থাকে। সে বৃদ্ধ মা-বাবার প্রাত্যহিক ঝগড়ায় অতিষ্ঠ। তাই মিনতি স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে মা-বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যায়।
৪৪৩ উদ্দীপকের মিনতি ‘লালসালু’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিরূপ?
ক হাসুনি ছ হাসুনির মা গ জমিলা ঘ রহীমা
৪৪৪ এরূপ সাদৃশ্যের কারণÑ
র. বিধবা মেয়ে বাপের বাড়িতে থাকলে কলহ বাঁধে
রর. মা-বাবার কলহ অপছন্দ বলে
ররর. বুড়ো-বুড়ির বিবাদের বিচার চায় বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৪৫ ও ৪৪৬ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
শ্রী সদানন্দ চক্রবর্তীকে গ্রামের অর্ধেক লোক ‘সাদা দাদা’, অর্ধেক লোক ‘সাদা পাগলা’ বলিয়া ডাকিত। তাহার পিতা গোঁড়া হিন্দু ছিলেন। ইংরেজি ম্লেচ্ছ ভাষা, ইংরেজি শিখলে ধর্ম নষ্ট হইতে পারে, এই আশঙ্কায় তিনি পুত্রকে লিখিতে-পড়িতে শিখান নাই। (‘শুভদা’ ষষ্ঠ পরিচ্ছেদÑশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
৪৪৫ উদ্দীপকের সদানন্দের পিতা ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের অনুরূপ?
চ মোদাব্বের মিঞা খ আওয়ালপুরের পির
গ আক্কাস ঘ দুদু মিঞা
৪৪৬ এরূপ সাদৃশ্যের কারণÑ
র. কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও স্বল্পধর্মীয় জ্ঞান
রর. গোঁড়া ও অন্ধ মন-মানসিকতা
ররর. ইংরেজি ভাষায় অজ্ঞতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৪৭ ও ৪৪৮ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
সুবর্ণদহ গ্রামে একজন হিন্দু ধর্মযাজকের আগমন ঘটে। দলে দলে লোক তার কাছে আসতে লাগল। এতে গ্রামের স্থানীয় পুরোহিত তার যশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
৪৪৭ উদ্দীপকের সুবর্ণদহে আগমনকৃত ধর্মযাজক ‘লালসালু’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
ক মজিদ ছ আওয়ালপুরের পির
গ আক্কাস ঘ খালেক ব্যাপারী
৪৪৮ এরূপ সাদৃশ্যের কারণ হলোÑ
র. দুর্বলের ক্ষমতা চিরস্থায়ী হয়
রর. ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা
ররর. প্রতিপক্ষের আবির্ভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৪৯ ও ৪৫০ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
প্রতাপবাবু ধনী ও প্রভাবশালী লোক। গ্রাম্য বিচার, সালিশ তাকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়।
৪৪৯ উদ্দীপকের প্রতাপ বাবুর সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে?
ক মজিদ ছ খালেক ব্যাপারী
গ আওয়ালপুরের পির ঘ আক্কাস
৪৫০ এরূপ সাদৃশ্যের কারণ হলোÑ
র. দুজনই প্রভাবশালী ব্যক্তি
রর. তার নিজস্বতা অন্যের ওপরে নির্ভরশীল
ররর. উভয়েই গ্রামের মাতব্বর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৫১ ও ৪৫২ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
শ্রীরামগঞ্জের অশীতিপর মাধবের স্ত্রী লীলাবতী যৌবনে বেশ হাসিখুশি ও ছটফটে মেয়ে ছিল। আজ দারিদ্র আর বার্ধক্যে তার সুন্দর চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে।
৪৫১ উদ্দীপকের লীলাবতী ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করছে?
চ তাহেরের মা খ হাসুনির মা
গ রহীমা ঘ জমিলা
৪৫২ এই প্রতিনিধিত্বের কারণ হলোÑ
র. দৈহিক সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া রর. বয়স বাড়লে সৌষ্ঠব বাড়ে
ররর. যৌবনের রূপ ও চাঞ্চল্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৫৩ ও ৪৫৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
অসহায় মালতি জানায়, তার বাল্যকালে বিবাহ হয়েছিল। অনেক দিন আগের সেসব কথা মালতির আর মনে পড়ে না। মালতি এখন বাবার বাড়িতে পিসির সঙ্গে থাকে।
৪৫৩ উদ্দীপকের মালতি ‘লালসালু’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?
ক রহীমা ছ হাসুনির মা
গ জমিলা ঘ আমেনা
৪৫৪ এরূপ সাদৃশ্যপূর্ণ ভাবটি হলোÑ
র. স্বামী মারা যাওয়া
রর. বাপের বাড়িতে অবস্থান
ররর. টানাটানি ও আধপেটা খেয়ে দিন গুজরান
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৫৫ ও ৪৫৬ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
বিশ্বনাথ শ্যামপুর শ্মশানকালী মন্দিরের কম বয়সী পূজারী। ঘরে সুন্দরী স্ত্রী আছে। তবুও পূজার মন্দিরে আগত সুন্দরী রমণী দেখলে তার মনে আদিম কামনা সাপের জিভের মতো লকলক করে।
৪৫৫ উদ্দীপকের বিশ্বনাথ ‘লালসালু’ গল্পের কার অনুরূপ?
ক খালেক ব্যাপারীর খ আক্কাসের
জ মজিদের ঘ মোদাব্বের মিঞার
৪৫৬ উক্ত সাদৃশ্যের কারণÑ
র. এরা দুজনেই বিবাহিত
রর. দুজনেরই নারী আসক্তি প্রবল
ররর. দুজনই ভালো মানুষ
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ক জ্ঞানমূলক
১ ‘লালসালু’ উপন্যাসটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসটি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
২ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
৩ ‘চাঁদের অমাবস্যা’ ও ‘কাঁদো নদী কাঁদো’Ñএ দুটি উপন্যাসের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘চাঁদের অমাবস্যা’ ও ‘কাঁদো নদী কাঁদো’Ñএ দুটি উপন্যাসের রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউলাহ।
৪ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ চট্টগ্রামের ষোল শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
৫ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ কত খ্রিস্টাব্দে স্নাতক পাস করেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে স্নাতকপাস করেন।
৬ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ কত খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বেতারে সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বেতারে সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন।
৭ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ কোন কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন।
৮ সৈয়দ ওয়ালীউলাহর পিতার নাম কী?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহর পিতার নাম সৈয়দ আহমদ উলাহ।
৯ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ ইংরেজি কোন পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ ইংরেজি ‘দি স্টেটস্ম্যান’ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন।
১০ ‘বহিপীর’ তরঙ্গভঙ্গ, ‘সুড়ঙ্গ’Ñএ নাটকগুলোর রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘বহিপীর’ তরঙ্গভঙ্গ, ‘সুড়ঙ্গ’Ñএ নাটকগুলোর রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউলাহ
১১ ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত মহব্বতনগরে শস্যের চেয়ে কী বেশি?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত মহব্বতনগরে শস্যের চেয়ে ধর্মের আগাছা বেশি।
১২ ‘নয়নচারা’ ও ‘দুই তীর’ এ দুটি গল্পগ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘নয়নচারা’ ও ‘দুই তীর’ এ দুটি গল্পগ্রšে’র রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউলাহ।
১৩ ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত বক্তব্যে ভোরবেলায় ল্যাংটা ছেলেরা কী পড়ে?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত বক্তব্যে ভোরবেলায় ল্যাংটা ছেলেরা আমসিপারা পড়ে।
১৪ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ কত খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
১৫ মহব্বতনগরের লোকজন কখন মাছ ধরতে বের হয়?
উত্তর: মহব্বতনগরের লোকজন নিরাকপড়া মাছ ধরতে বের হয়।
১৬ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।
১৭ ‘তাই-তারা-ছোটে, ছোটে’Ñ‘লালসালু’ উপন্যাসে কারা ছোটে?
উত্তর: ‘তাই-তারা-ছোটে, ছোটে’Ñ‘লালসালু’ উপন্যাসে মহব্বতনগরের লোকজন ছোটে।
১৮ তাহের ও কাদের মাছ ধরার সময় মতিগঞ্জের সড়কে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়াতে কাকে দেখে?
উত্তর: তাহের ও কাদের মাছ ধরার সময় মতিগঞ্জের সড়কে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়াতে মজদিকে দেখে।
১৯ মজিদ মতিগঞ্জের সড়কে খোলা আকাশের নিচে কোন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়েছিল?
উত্তর: মজিদ মতিগঞ্জের সড়কে খোলা আকাশের নিচে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়েছিল।
২০ মহব্বতনগর গ্রামে মজিদ প্রথমে কার বাড়িতে আশ্রয় নেয়?
উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামে মজিদ প্রথমে খালেক ব্যাপারীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
২১ মহব্বতনগর গ্রামের বিলে কী গাছ ছিল?
উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামের বিলে অশ্বথ গাছ ছিল।
২২ ‘লালসালু’ উপন্যাসে মুহ‚র্তের পর মুহ‚র্ত কেটে গেলেও কার চেতনা নেই?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মুহ‚র্তের পর মুহ‚র্ত কেটে গেলেও মজিদের চেতনা নেই।
২৩ মহব্বতনগর গ্রামে প্রবেশ করার আগে মজিদ কোথায় দাঁড়িয়েছিল?
উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামে প্রবেশ করার আগে মজিদ মতিগঞ্জের সড়কের ওপর দাঁড়িয়েছিল।
২৪ গ্রামের প্রান্তে শ্যাওলা ধরা কবরকে অবহেলায় ফেলে রাখায় কে মহব্বতনগরের লোকজনকে গালাগাল করে?
উত্তর: গ্রামের প্রান্তে শ্যাওলা ধরা কবরকে অবহেলায় ফেলে রাখায় মজিদ মহব্বতনগরের লোকজনকে গালাগাল করে।
২৫ কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মহব্বতনগরের কোথায় ছিল?
উত্তর: কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মহব্বতনগর গ্রামের প্রান্তের পুকুর পাড়ে ছিল।
২৬ কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের কবরটির ভেতরটা দেখতে কীসের মতো?
উত্তর: কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের কবরটির ভেতরটা দেখতে সুড়ঙ্গের মতো।
২৭ গারো পাহাড় থেকে মধুপুরগড় যেতে কত সময় লাগে?
উত্তর: গারো পাহাড় থেকে মধুপুরগড় যেতে তিন দিন সময় লাগে।
২৮ মজিদের দৃষ্টিতে, কারা অশিক্ষিত ও বর্বর?
উত্তর: মজিদের দৃষ্টিতে, গারো পাহাড়ের লোকজন অশিক্ষিত ও বর্বর।
২৯ মজিদ কার নির্দেশে মহব্বতনগর গ্রামে আসে?
উত্তর: মজিদ মোদাচ্ছের পিরের নির্দেশে মহব্বতনগর গ্রামে আসে।
৩০ ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের মতে, খোদার দিকে নজর কম কাদের?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের মতে, খোদার দিকে নজর কম মহব্বতনগর গ্রামের লোকজনের।
৩১ কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মজিদ কোন প্রকার কাপড় দ্বারা ঢেকে দিয়েছিল?
উত্তর: কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মজিদ লালসালু কাপড় দ্বারা ঢেকে দিয়েছিল।
৩২ দিনে মহব্বতনগর গ্রামের কৃষকদের ঘরে কী আসে?
উত্তর: দিনে মহব্বতনগর গ্রামের কৃষকদের ঘরে মগরা-মগরা ধান আসে।
৩৩ ‘আনপড়াহ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘আনপড়াহ’ শব্দের অর্থ যাদের কোনো পড়াশোনা নেই।
৩৪ মহব্বতনগরের আলি ঝালি চওড়া বেওয়া মেয়েটি কে?
উত্তর: মহব্বতনগরের আলি ঝালি চওড়া বেওয়া মেয়েটি রহীমা।
৩৫ মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম রহীমা।
৩৬ খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রীর নাম আমেনা।
৩৭ মহব্বতনগরে কার একটি মক্তব ছিল?
উত্তর: মহব্বতনগরে খালেক ব্যাপারীর একটি মক্তব ছিল।
৩৮ কার রূপ দেখে মজিদের রসনা হয়?
উত্তর: রহীমার রূপ দেখে মজিদের রসনা হয়।
৩৯ কে মাটিতে আওয়াজ করে হাঁটে?
উত্তর: রহীমা মাটিতে আওয়াজ করে হাঁটে।
৪০ মজিদের কোরআন পাঠের সময় চারদিকে কীসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে?
উত্তর: মজিদের কোরআন পাঠের সময় চারদিকে হাসনাহেনার মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
৪১ জমিতে বর্ষণহীন খরায় মহব্বতনগর গ্রামবাসীর কার কথা মনে পড়ে?
উত্তর: জমিতে বর্ষণহীন খরায় মহব্বতনগর গ্রামবাসীর খোদার কথা মনে পড়ে।
৪২ মহব্বতনগরের কৃষকেরা জমিকে কীসের মতো ভাগ করে?
উত্তর: মহব্বতনগরের কৃষকেরা জমিকে দাবার ছকের মতো ভাগ করে।
৪৩ কোন মাসে মহব্বতনগরের কৃষকদের জমিতে কচুরিপানা জড়িয়ে থাকে?
উত্তর: কার্তিক মাসে মহব্বতনগরের কৃষকদের জমিতে কচুরিপানা জড়িয়ে থাকে।
৪৪ মেঘশূন্য আকাশের জমাট ঢালা নীলিমার মধ্যে কী শুকিয়ে ওঠে?
উত্তর: মেঘশূন্য আকাশের জমাট ঢালা নীলিমার মধ্যে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ শুকিয়ে ওঠে।
৪৫ ‘বেওয়া’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘বেওয়া’ শব্দের অর্থ সন্তানহীনা বিধবা।
৪৬ রহীমা কী ভালোবাসে?
উত্তর: রহীমা ফসলের প্রাচুর্য ভালোবাসে।
৪৭ কোন দৃশ্য মজিদের কাছে ভালো লাগে না?
উত্তর: গ্রামবাসীর হাসি-গান মজিদের কাছে ভালো লাগে না।
৪৮ মহব্বতনগরের দুদু মিঞা কয় সন্তানের জনক?
উত্তর: মহব্বতনগরের দুদু মিঞা সাত সন্তানের জনক।
৪৯ মজিদের শক্তির মূল উৎস কী?
উত্তর: মজিদের শক্তির মূল উৎস ঝালত ওয়ালা মাজার।
৫০ কে গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল?
উত্তর: আক্কাস মিঞা গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
৫১ মহব্বতনগরের কৃষকদের কখন খোদার কথা স্মরণ থাকে না?
উত্তর: মহব্বতনগরের কৃষকদের চারা ছড়াবার সময় খোদার কথা স্মরণ থাকে না।
৫২ শিলাবৃষ্টি হওয়ার রাতে মজিদ কাকে একাকী মাজারে বেঁধে রেখে আসে?
উত্তর: শিলাবৃষ্টি হওয়ার রাতে মজিদ জমিলাকে একাকী মাজারে বেঁধে রেখে আসে।
৫৩ শিলাবৃষ্টির পর সকালে কৃষকেরা জমিতে কী দেখে শঙ্কিত হয়ে ওঠে?
উত্তর: শিলাবৃষ্টির পর সকালে কৃষকেরা জমিতে কচি-নধর ধান দেখে শঙ্কিত হয়ে ওঠে।
৫৪ কখন ঝড়ের সাথে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়?
উত্তর: বৈশাখের শুরুতে ঝড়ের সাথে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়।
৫৫ মহব্বতনগরে কে জমিকে ধন মনে করে না?
উত্তর: মহব্বতনগরে মজিদ জমিকে ধন মনে করে না।
৫৬ মজিদ মহব্বতনগরে এসে কীসের ব্যবসা শুরু করে?
উত্তর: মজিদ মহব্বতনগরে এসে মাজার ব্যবসা শুরু করে।
৫৭ মহব্বতনগরের ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের এক প্রান্তে একাকী দাঁড়িয়ে দাঁত খিলালকারী ব্যক্তিটি কে?
উত্তর: মহব্বতনগরের ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের এক প্রান্তে একাকী দাঁড়িয়ে দাঁত খিলালকারী ব্যক্তিটি মজিদ।
৫৮ মহব্বতনগরের কৃষকেরা ধান কাটার সময় বুক ফাটিয়ে কী গায়?
উত্তর: মহব্বতনগরের কৃষকেরা ধান কাটার সময় বুক ফাটিয়ে গান গায়।
৫৯ মাটির প্রতি যাদের পূজার ভাব জেগেছে মজিদ তাদেরকে কী বলেছে?
উত্তর: মাটির প্রতি যাদের পূজার ভাব জেগেছে মজিদ তাদেরকে ভ‚ত-পূজারী বলেছে।
৬০ খরার সময় মহব্বতনগরের লোকজন খতম পড়াবার জন্য কার কাছে ছুটে যায়?
উত্তর: খরার সময় মহব্বতনগরের লোকজন খতম পড়াবার জন্য মজিদের কাছে ছুটে যায়।
৬১ কার সন্তানশূন্য কোলটি খাঁ খাঁ করে?
উত্তর: রহীমার সন্তানশূন্য কোলটি খাঁ খাঁ করে।
৬২ রহীমা অতি সঙ্গোপনে মজিদের কাছে কী আর্জি জানায়?
উত্তর: রহীমা অতি সঙ্গোপনে মজিদের কাছে সন্তান কামনার আর্জি জানায়।
৬৩ মহব্বতনগরের কোন লোকটি মরণরোগে যন্ত্রণা পাচ্ছে?
উত্তর: মহব্বতনগরের ছুনুর বাপ মরণরোগে যন্ত্রণা পাচ্ছে।
৬৪ মজিদ মহব্বতনগরের কাকে ‘কলমা না জানার জন্য অকথ্য ভাষায় তিরস্কার করে?
উত্তর: মজিদ মহব্বতনগরের দুদু মিঞাকে ‘কলমা না জানার জন্য অকথ্য ভাষায় তিরস্কার করে।
৬৫ মহব্বতনগরে এসে মজিদ কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তোলে?
উত্তর: হব্বতনগরে এসে মজিদ খালেক ব্যাপারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তোলে।
৬৬ হাসুনির মায়ের পেশা কী ছিল?
উত্তর: হাসুনির মায়ের পেশা ছিল ধান ভানা।
৬৭ দিলে চায় না বলে কে শ্বশুর বাড়ি যায় না?
উত্তর: দিলে চায় না বলে হাসুনির মা শ্বশুর বাড়ি যায় না।
৬৮ ধানক্ষেতের তাজা রঙ দেখে হাসুনির মায়ের মনে কী জাগে?
উত্তর: ধানক্ষেতের তাজা রঙ দেখে হাসুনির মায়ের মনে পুলক জাগে।
৬৯ কাকে দেখে তাহের-কাদেরের বৃদ্ধ বাবার মেজাজ গরম হয়ে ওঠে?
উত্তর: হাসুনির মাকে দেখে তাহের-কাদেরের বৃদ্ধ বাবার মেজাজ গরম হয়ে ওঠে।
৭০ অন্যের আত্মার শক্তিতে কার খাঁটি বিশ্বাস নেই?
উত্তর: অন্যের আত্মার শক্তিতে মজিদের খাঁটি বিশ্বাস নেই।
৭১ কৃষকদের গোলায় ধান ভরে ওঠার সময় নোয়াখালি অঞ্চলে কারা সফরে আসে?
উত্তর: কৃষকদের গোলায় ধান ভরে ওঠার সময় নোয়াখালি অঞ্চলে পিরেরা সফরে আসে।
৭২ মজিদ কখন আউয়ালপুরে পৌঁছালো?
উত্তর: মজিদ সূর্য হেলে পড়ার সময় আউয়ালপুরে পৌঁছালো।
৭৩ কোথায় একজন বৃদ্ধ নতুন পিরের আগমন ঘটেছে?
উত্তর: আউয়ালপুরে একজন বৃদ্ধ নতুন পিরের আগমন ঘটেছে।
৭৪ আমেনা বিবি সন্তান কামনায় কার পানিপড়া খেতে চেয়েছিল?
উত্তর: আমেনা বিবি সন্তান কামনায় আউয়ালপুরের পিরের পানিপড়া খেতে চেয়েছিল।
৭৫ হাসুনির মা মজিদের কাছে কী দোয়া চায়?
উত্তর: হাসুনির মা মজিদের কাছে মওতের দোয়া চায়।
৭৬ কোন জিনিসটি বিষাক্ত সাপের রসনার চেয়েও ভয়ঙ্কর?
উত্তর: মানুষের রসনা জিনিসটি বিষাক্ত সাপের রসনার চেয়েও ভয়ঙ্কর।
৭৭ মজিদের দৃষ্টিতে, মহব্বতনগরের কাকে দোজখের লেলিহান শিখা স্পর্শ করেছে?
উত্তর: মজিদের দৃষ্টিতে, মহব্বতনগরের হাসুনির মায়ের বাপকে দোজখের লেলিহান শিখা স্পর্শ করেছে।
৭৮ “খেলোয়াড় চলে গেছে, খেলবে কার সাথে।”Ñ‘লালসালু’ উপন্যাসের এ বাক্যে কোন খেলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ঝগড়া।
৭৯ মজিদের দেওয়া হাসুনির মায়ের শাড়িটির রঙ কেমন ছিল?
উত্তর: মজিদের দেওয়া হাসুনির মায়ের শাড়িটির রঙ বেগুনি ছিল।
৮০ মজিদ মহব্বতনগরের কোন লোকটিকে শয়তানের খাম্বা বলেছে?
উত্তর: মজিদ মহব্বতনগরের তাহেরের বাপকে শয়তানের খাম্বা বলেছে।
৮১ শ্বশুরবাড়ির কোন জিনিস দেখে আমেনার কান্না আসতো?
উত্তর: শ্বশুরবাড়ির থোতামুখো তাল গাছটি দেখে আমেনার কান্না আসতো।
৮২ আউয়ালপুরের পিরের প্রধান মুরিদ কে?
উত্তর: আউয়ালপুরের পিরের প্রধান মুরিদ মতলুব খাঁ।
৮৩ মতলুব খাঁর মতে, আউয়ালপুরের পিরের কোন জিনিসটিকে ধরে রাখার ক্ষমতা আছে?
উত্তর: মতলুব খাঁর মতে, আউয়ালপুরের পিরের সূর্যকে ধরে রাখার ক্ষমতা আছে।
৮৪ ‘লালসালু’ উপন্যাসে উলিখিত হাসপাতালটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে উলিখিত হাসপাতালটি করিমগঞ্জে অবস্থিত।
৮৫ হাসপাতালের কাকে মজিদ ডাক্তার ভেবেছিল?
উত্তর: হাসপাতালের কম্পাউন্ডারকে মজিদ ডাক্তার ভেবেছিল।
৮৬ ‘লালসালু’ উপন্যাসে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কে সময়ে অসময়ে মিথ্যা কথা বলে?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভণ্ড মজিদ সময়ে অসময়ে মিথ্যা কথা বলে।
৮৭ মহব্বতনগরের কে আউয়ালপুরের পির সাহেবের সাহায্য চায়?
উত্তর: মহব্বতনগরের আমেনা বিবি আউয়ালপুরের পির সাহেবের সাহায্য চায়।
৮৮ কত বছর আমেনা বিবি স্বামীর সাথে সংসার করার পর সন্তানহীনতায় তালাকপ্রাপ্ত হয়?
উত্তর: ত্রিশ বছর আমেনা বিবি স্বামীর সাথে সংসার করার পর সন্তানহীনতায় তালাকপ্রাপ্ত হয়।
৮৯ খালেক ব্যাপারী কার কথামতো আমেনা বিবিকে তালাক দেয়?
উত্তর: খালেক ব্যাপারী মজিদের কথামতো আমেনা বিবিকে তালাক দেয়।
৯০ মহব্বতনগরের কোন নারী বছর বছর সন্তানের জন্ম দেয়?
উত্তর: মহব্বতনগরের তানু বিবি বছর বছর সন্তানের জন্ম দেয়।
৯১ তানু বিবি কে?
উত্তর: তানু বিবি খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী।
৯২ আউয়ালপুরের পিরকে মজিদ কী নামে আখ্যায়িত করেছে?
উত্তর: আউয়ালপুরের পিরকে মজিদ ইবলিশ শয়তান নামে আখ্যায়িত করেছে।
৯৩ আমেনা বিবি কাকে দিয়ে পানিপড়া আনতে বলে?
উত্তর: আমেনা বিবি ধলা মিঞাকে দিয়ে পানিপড়া আনতে বলে।
৯৪ ধলা মিঞা কে?
উত্তর: ধলা মিঞা তানু বিবির বড় ভাই।
৯৫ আউয়ালপুর ও মহব্বতনগরের মাঝ পথে দেবংশি গাছটির নাম কী?
উত্তর: আউয়ালপুর ও মহব্বতনগরের মাঝ পথে দেবংশি গাছটির নাম তেঁতুল গাছ।
৯৬ মজিদের ধমকে কার মুখ হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে ওঠে?
উত্তর: মজিদের ধমকে ধলা মিঞার মুখ হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে ওঠে।
৯৭ মহব্বতনগরের কার গুণচর্চায় মজিদের কোনো আকর্ষণ নেই?
উত্তর: মহব্বতনগরের ধলা মিঞার গুণচর্চায় মজিদের কোনো আকর্ষণ নেই।
৯৮ মজিদের মতে, পেটের কয় বেড়িতে মেয়ে মানুষের সন্তান হয় না?
উত্তর: মজিদের মতে, পেটের সতেরো বেড়িতে মেয়ে মানুষের সন্তান হয় না।
৯৯ আমেনা বিবি সন্তান লাভের আশায় মাজারে কয় পাক ঘোরে?
উত্তর: আমেনা বিবি সন্তান লাভের আশায় মাজারে সাত পাক ঘোরে।
১০০ আউয়ালপুর থেকে ফেরার পথে কোথায় মজিদের একটা মূর্তি নজরে পড়ে?
উত্তর: আউয়ালপুর থেকে ফেরার পথে মোলা শেখের কাঁঠাল গাছ তলায় মজিদের একটা মূর্তি নজরে পড়ে।
১০১ মহব্বতনগরের কাকে চিনতে মজিদের এক পলকও দেরি হয় না?
উত্তর: মহব্বতনগরের হাসুনির মাকে চিনতে মজিদের এক পলকও দেরি হয় না।
১০২ মহব্বতনগরের কে কেরায়া নায়ের মাঝি হতে চায়?
উত্তর: মহব্বতনগরের কাদের কেরায়া নায়ের মাঝি হতে চায়।
১০৩ হাসুনির মায়ের জানাযা পড়ায় কে?
উত্তর: হাসুনির মায়ের জানাযা পড়ায় মোলা শেখ।
১০৪ হাসুনির মায়ের মন কী ভাবতেই ভয় ও বেদনায় নীল হয়ে ওঠে?
উত্তর: হাসুনির মায়ের মন মায়ের কবরের আজাব ভাবতেই ভয় ও বেদনায় নীল হয়ে ওঠে।
১০৫ মজিদের কথামতো আমেনা বিবি কোনদিন রোজা রাখে?
উত্তর: মজিদের কথামতো আমেনা বিবি শুক্রবার দিন রোজা রাখে।
১০৬ আমেনা বিবি কোন যানে চড়ে মজিদের মাজারে গিয়েছিল?
উত্তর: আমেনা বিবি পালকিতে চড়ে মজিদের মাজারে গিয়েছিল।
১০৭ পালকি থেকে নামার সময় আমেনার কোনটি দেখে মজিদের মনে কামভাব জেগে ওঠে?
উত্তর: পালকি থেকে নামার সময় আমেনার সুন্দর মসৃণ পা দেখে মজিদের মনে কামভাব জেগে ওঠে।
১০৮ মজিদের কাম বাসনাকে কোনটির সাথে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর: মজিদের কাম বাসনাকে সাপের বিষের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
১০৯ মজিদের মাজারের গাত্রাবরণ কতদিন অন্তর বদলানো হয়?
উত্তর: মজিদের মাজারের গাত্রাবরণ দু-তিন বছর অন্তর বদলানো হয়।
১১০ মজিদের মাজারের গাত্রাবরণের খরচ কে বহন করে?
উত্তর: মজিদের মাজারের গাত্রাবরণের খরচ খালেক ব্যাপারী বহন করে।
১১১ খালেক ব্যাপারী কে?
উত্তর: খালেক ব্যাপারী মহব্বতনগরের জোতদার।
১১২ রূপালি ঝালটের বিবর্ণ অংশটা কার মনকে কালো করে রেখেছে?
উত্তর: রূপালি ঝালটের বিবর্ণ অংশটা মজিদের মনকে কালো করে রেখেছে।
১১৩ আক্কাস মিঞা কোন স্কুলে পড়াশোনা করেছে?
উত্তর: আক্কাস মিঞা করিমগঞ্জ স্কুলে পড়াশোনা করেছে।
১১৪ আক্কাস মিঞা কোথায় চাকরি করে পয়সা জমিয়েছে?
উত্তর: আক্কাস মিঞা পাট ও তামাকের আড়তে চাকরি করে পয়সা জমিয়েছে।
১১৫ মহব্বতনগরের লোকজন স্কুলের পরিবর্তে কী প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত?
উত্তর: মহব্বতনগরের লোকজন স্কুলের পরিবর্তে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত।
১১৬ মজিদ কৌশলে সভায় আক্কাসের স্কুলের পরিবর্তে কী প্রতিষ্ঠার কথা বলে?
উত্তর: মজিদ কৌশলে সভায় আক্কাসের স্কুলের পরিবর্তে নতুন মসজিদ প্রতিষ্ঠার কথা বলে।
১১৭ মসজিদ নির্মাণে খালেক ব্যাপারী একাই কত অংশ বহন করার কথা বলে?
উত্তর: মসজিদ নির্মাণে খালেক ব্যাপারী একাই বারো আনা বহন করার কথা বলে।
১১৮ মহব্বতনগর গ্রামে শিলাবৃষ্টির ভয় কাটানোর জন্য কারা মন্ত্র পাঠ করে?
উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামে শিলাবৃষ্টির ভয় কাটানোর জন্য শিরালীরা মন্ত্র পাঠ করে।
১১৯ মহব্বতনগরের কার নীরবতা পাথরের মতো ভারী?
উত্তর: মহব্বতনগরের মজিদের নীরবতা পাথরের মতো ভারী।
১২০ মাজারের অনাবৃত কোণটা কোন জিনিসের মতো দেখাচ্ছিল?
উত্তর: মাজারের অনাবৃত কোণটা মৃত মানুষের চোখের মতো দেখাচ্ছিল।
১২১ কোন জিনিসটি মজিদের মনে ভাবান্তর আনে?
উত্তর: ফাল্গুনের দমকা হাওয়া মজিদের মনে ভাবান্তর আনে।
১২২ কার হাসি ঝরনার অনাবিল গতির মতো ছন্দময়?
উত্তর: জমিলার হাসি ঝরনার অনাবিল গতির মতো ছন্দময়।
১২৩ বিয়ের দিনে মজিদকে দেখে জমিলার কী মনে হয়েছিল?
উত্তর: বিয়ের দিনে মজিদকে দেখে জমিলার দুলার বাপ মনে হয়েছিল।
১২৪ শ্বশুরবাড়িতে আনার পর কার জন্য জমিলার প্রাণটা কাঁদে?
উত্তর: শ্বশুরবাড়িতে আনার পর নুলা ভাইয়ের জন্য জমিলার প্রাণটা কাঁদে।
১২৫ কে মজিদের মাজারে খোদার অন্যায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করতে এসেছে?
উত্তর: খ্যাংটা বুড়ি মজিদের মাজারে খোদার অন্যায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করতে এসেছে।
১২৬ কার মেহেদি দেওয়া একটা পা মাজারের গায়ে লেগে থাকে?
উত্তর: জমিলার মেহেদি দেওয়া একটা পা মাজারের গায়ে লেগে থাকে।
১২৭ কার চোখ দুটি পৃথিবীর দুঃখ বেদনার অর্থহীনতায় হারিয়ে গেছে?
উত্তর: জমিলার চোখ দুটি পৃথিবীর দুঃখ বেদনার অর্থহীনতায় হারিয়ে গেছে।
১২৮ জমিলার হাসি কেমন?
উত্তর: জমিলার হাসি মিহি সুন্দর।
১২৯ বিছানায় জমিলা কান পেতে কীসের আওয়াজ শোনে?
উত্তর: বিছানায় জমিলা কান পেতে ঢোলকের আওয়াজ শোনে।
১৩০ অবিশ্রান্ত ঢোলক বেজে চলেছে কোথায়?
উত্তর: অবিশ্রান্ত ঢোলক বেজে চলেছে ডোম পাড়ায়।
১৩১ জমিলার কখন ঘুম পাড়ার অভ্যাস?
উত্তর: জমিলার সন্ধ্যায় ঘুম পাড়ার অভ্যাস।
১৩২ মজিদ কাকে হ্যাঁচকা টানে ঘুম থেকে উঠায়?
উত্তর: মজিদ জমিলাকে হ্যাঁচকা টানে ঘুম থেকে উঠায়।
১৩৩ মজিদ হ্যাঁচকা টানে উঠানোর পর জমিলাকে কোথায় নিয়ে যায়?
উত্তর: মজিদ হ্যাঁচকা টানে উঠানোর পর জমিলাকে মাজারে নিয়ে যায়।
১৩৪ মজিদের মতে, কার দিলে খোদার ভয় নেই?
উত্তর: মজিদের মতে, জমিলার দিলে খোদার ভয় নেই।
১৩৫ জিকির অনুষ্ঠানে মজিদ কী পরিধান করেছে?
উত্তর: জিকির অনুষ্ঠানে মজিদ লম্বা সাদা আলখেলা পরিধান করেছে।
১৩৬ জিকির অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য কী রান্না হয়েছে?
উত্তর: জিকির অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য খিচুড়ি রান্না হয়েছে।
১৩৭ হঠাৎ কীসের আওয়াজে জমিলা বিচলিত হয়ে পড়ে?
উত্তর: হঠাৎ জিকিরের আওয়াজে জমিলা বিচলিত হয়ে পড়ে।
১৩৮ মজিদের মতে, কে তার সংসারে ফাটল ধরিয়ে দিতে এসেছে?
উত্তর: মজিদের মতে, জমিলা তার সংসারে ফাটল ধরিয়ে দিতে এসেছে।
১৩৯ জমিলা দেখতে কেমন?
উত্তর: জমিলা দেখতে ক্ষুদ্র লতার মতো।
১৪০ কার জন্য মজিদের খুব মায়া হয়?
উত্তর: জমিলার জন্য মজিদের খুব মায়া হয়।
১৪১ মজিদের দৃষ্টিতে কী চেয়ে চেয়ে দেখা এক রকম এবাদত?
উত্তর: মজিদের দৃষ্টিতে প্রকৃতির লীলা চেয়ে চেয়ে দেখা এক রকম এবাদত।
১৪২ মহব্বতনগরে এক রাতে ঝড়ের পর কী শুরু হয়?
উত্তর: মহব্বতনগরে এক রাতে ঝড়ের পর শিলাবৃষ্টি শুরু হয়।
১৪৩ কীসের অপেক্ষায় রহীমা গায়ে হাত দিয়ে চুপচাপ বসেছিল?
উত্তর: পরিষ্কার প্রভাতের অপেক্ষায় রহীমা গায়ে হাত দিয়ে চুপচাপ বসেছিল।
১৪৪ মজিদের মতে, কাকে তাড়াবার জন্য খোদা শিলা বৃষ্টি ছোড়ে?
উত্তর: মজিদের মতে, শয়তানকে তাড়াবার জন্য খোদা শিলা বৃষ্টি ছোড়ে।
১৪৫ এক রাতে মহব্বতনগরের আকাশ থেকে পাথরের মতো কী ঝরতে থাকে?
উত্তর: এক রাতে মহব্বতনগরের আকাশ থেকে পাথরের মতো খণ্ড খণ্ড বরফের অজস্র টুকরা ঝরতে থাকে।
১৪৬ শিলার আঘাতে মহব্বতনগরে কী ঝরে ঝরে মাটিতে পড়ে?
উত্তর: শিলার আঘাতে মহব্বতনগরে নধর কচি ধানের শীষ ঝরে ঝরে মাটিতে পড়ে।
১৪৭ মজিদ কল্পিত মাজারের কী বলে নিজেকে পরিচয় দেয়?
উত্তর: মজিদ কল্পিত মাজারের খাদেম বলে নিজেকে পরিচয় দেয়।
১৪৮ খালেক ব্যাপারীর মোট কতজন স্ত্রী ছিল?
উত্তর: খালেক ব্যাপারীর মোট ২ জন স্ত্রী ছিল।
১৪৯ মজিদের মোট কয়জন স্ত্রী ছিল?
উত্তর: মজিদের মোট ২ জন স্ত্রী ছিল।
১৫০ আক্কাস মিঞা কার ছেলে?
উত্তর: আক্কাস মিঞা মোতাব্বের মিঞার ছেলে।
১৫১ মজিদের সমস্ত অপকর্মের নিঃসন্দিগ্ধ সমর্থক কে ছিল?
উত্তর: মজিদের সমস্ত অপকর্মের নিঃসন্দিগ্ধ সমর্থক প্রথমা স্ত্রী রহীমা ছিল।
১৫২ মহব্বতনগরের মহিলারা কার কাছে তাদের সমস্যার কথা বলতো?
উত্তর: মহব্বতনগরের মহিলারা রহীমার কাছে তাদের সমস্যার কথা বলতো।
১৫৩ পোষা জীবজন্তু আহার না করলে কে দুশ্চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠে?
উত্তর: পোষা জীবজন্তু আহার না করলে রহীমা দুশ্চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠে।
১৫৪ মজিদ কার বিশ্বাসকে পর্বতের মতো অটল বলেছে?
উত্তর: মজিদ রহীমার বিশ্বাসকে পর্বতের মতো অটল বলেছে।
১৫৫ কে মজিদের ঘরের খুঁটি?
উত্তর: রহীমা মজিদের ঘরের খুঁটি।
১৫৬ মাজারে কে হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়েছিল?
উত্তর: মাজারে জমিলা হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়েছিল।
১৫৭ ‘লালসালু’ উপন্যাসে কার চোখ বিশ্বাসের পাথরে খোদাই করা?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের চোখ বিশ্বাসের পাথরে খোদাই করা।
১৫৮ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের মানুষের কথা তাঁর ‘লালসালু’ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন?
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ বাংলাদেশের নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষের কথা তাঁর ‘লালসালু’ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।
১৫৯ ‘লালসালু’ উপন্যাসের ঔপন্যাসিক নোয়াখালি জেলার কোন গ্রামের মানুষের কাহিনি তুলে ধরেছেন?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের ঔপন্যাসিক নোয়াখালি জেলার মহব্বতনগর গ্রামের মানুষের কাহিনি তুলে ধরেছেন।
১৬০ মজিদ মহব্বতনগর গ্রামের পরিত্যক্ত কবরকে কার কবর বলে গ্রামবাসীকে জানায়?
উত্তর: মজিদ মহব্বতনগর গ্রামের পরিত্যক্ত কবরকে মোদাচ্ছের পিরের কবর বলে গ্রামবাসীকে জানায়।
১৬১ মজিদ রহীমার পেটে কয়টি বেড়ির কারণে সন্তান না হওয়ার কথা বলে?
উত্তর: মজিদ রহীমার পেটে চোদ্দটি বেড়ির কারণে সন্তান না হওয়ার কথা বলে।
১৬২ সতীন হলেও রহীমা জমিলাকে কোন দৃষ্টিতে দেখতো?
উত্তর: সতীন হলেও রহীমা জমিলাকে সন্তানের দৃষ্টিতে দেখতো।
১৬৩ ‘লালসালু’ উপন্যাসের নায়ক চরিত্রটি কে?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের নায়ক চরিত্রটি মজিদ।
১৬৪ কোন জিনিসটি মজিদ তার পেছনে মাছের পিঠের মতো সর্বক্ষণ দেখতে পায়?
উত্তর: মাজারের ছায়া মজিদ তার পেছনে মাছের পিঠের মতো সর্বক্ষণ দেখতে পায়।
১৬৫ খরার সময় মহব্বতনগরের জমিগুলো কীসে পরিণত হয়?
উত্তর: খরার সময় মহব্বতনগরের জমিগুলো বিরান ভ‚মিতে পরিণত হয়।
১৬৬ কখন মজিদের ঘরে প্রচুর ধান আসে?
উত্তর: পৌষ মাসে মজিদের ঘরে প্রচুর ধান আসে।
১৬৭ জিকির অনুষ্ঠানের সময় কে ঘরের বাইরে চলে যায়?
উত্তর: জিকির অনুষ্ঠানের সময় জমিলা ঘরের বাইরে চলে যায়।
১৬৮ জিকির অনুষ্ঠানে মজিদ জমিলাকে কী বলে পরিচয় দেয়?
উত্তর: জিকির অনুষ্ঠানে মজিদ জমিলাকে কাজের বেটি বলে পরিচয় দেয়।
১৬৯ শত্র“র আভাস পাওয়া হরিণের মতো কার চোখ সতর্ক হয়ে ওঠে?
উত্তর: শত্র“র আভাস পাওয়া হরিণের মতো জমিলার চোখ সতর্ক হয়ে ওঠে।
১৭০ জমিলাকে কাছে পেয়ে রহীমার মনে কোন ভাব জাগে?
উত্তর: জমিলাকে কাছে পেয়ে রহীমার মনে শ্বাশুড়ির ভাব জাগে।
১৭১ রহীমার চালচলন কেমন?
উত্তর: রহীমার চালচলন বেসামাল।
১৭২ কার আগমন মুহ‚র্ত মহব্বতনগরের সমগ্র গ্রামকে চমকে দেয়?
উত্তর: মজিদের আগমন মুহ‚র্ত মহব্বতনগরের সমগ্র গ্রামকে চমকে দেয়।
১৭৩ মজিদ কাদের জাহেল, বে-এলেম ও আনপড়াহ বলেছে?
উত্তর: মজিদ মহব্বতনগরবাসীদের জাহেল, বে-এলেম ও আনপড়াহ বলেছে।
১৭৪ মহব্বতনগরের বৃদ্ধ সোলেমনের বাপ কীসের রোগী?
উত্তর: মহব্বতনগরের বৃদ্ধ সোলেমনের বাপ হাঁপানির রোগী।
১৭৫ মহব্বতনগরের কার গলার আওয়াজ মাঠ থেকেও শোনা যায়?
উত্তর: মহব্বতনগরের রহীমার গলার আওয়াজ মাঠ থেকেও শোনা যায়।
১৭৬ কারা জমিকে বুকের রক্ত দিয়েও রক্ষা করতে দ্বিধা করে না?
উত্তর: মহব্বতনগরের লোকজন জমিকে বুকের রক্ত দিয়েও রক্ষা করতে দ্বিধা করে না।
১৭৭ মহব্বতনগরের কৃষকেরা কোথা থেকে কেঁদে কেঁদে ফসল তোলে?
উত্তর: মহব্বতনগরের কৃষকেরা বিল থেকে কেঁদে কেঁদে ফসল তোলে।
১৭৮ কীসের তৃষ্ণায় কৃষকের অন্তর খাঁ খাঁ করে?
উত্তর: মাটির তৃষ্ণায় কৃষকের অন্তর খাঁ খাঁ করে।
১৭৯ কার চোখে মজিদ ভয় দেখেছে?
উত্তর: রহীমার চোখে মজিদ ভয় দেখেছে।
১৮০ মহব্বতনগরের কে পক্ষাঘাতে কষ্ট পায়?
উত্তর: মহব্বতনগরের খেতানির মা পক্ষাঘাতে কষ্ট পায়।
১৮১ ঝড় এলে কার হৈ হৈ করার অভ্যাস?
উত্তর: ঝড় এলে হাসুনির মায়ের হৈ হৈ করার অভ্যাস।
১৮২ গভীর রাতে রহীমা আর হাসুনির মা কী করে?
উত্তর: গভীর রাতে রহীমা আর হাসুনির মা ধান সিদ্ধ করে।
১৮৩ কার দেহভরা ধানের গন্ধ?
উত্তর: রহীমার দেহভরা ধানের গন্ধ।
১৮৪ জাঁদরেল পিররা আশেপাশে আস্তানা গাড়লে কে শঙ্কিত হয়ে উঠে?
উত্তর: জাঁদরেল পিররা আশেপাশে আস্তানা গাড়লে মজিদ শঙ্কিত হয়ে উঠে।
১৮৫ ‘লালসালু’ কোন জাতীয় উপন্যাস?
উত্তর: ‘লালসালু’ সামাজিক উপন্যাস।
১৮৬ মজিদ জমিলাকে মাজারের কোথায় বসিয়ে দেয়?
উত্তর: মজিদ জমিলাকে মাজারের পাদপ্রান্তে বসিয়ে দেয়।
১৮৭ কার হাত হতে দুষ্ট আনা ও ভ‚তপ্রেতও রক্ষা পায় না?
উত্তর: মজিদের হাত হতে দুষ্ট আনা ও ভ‚তপ্রেতও রক্ষা পায় না।
১৮৮ মজিদ কাকে নাজুক শিশু বলেছে?
উত্তর: মজিদ জমিলাকে নাজুক শিশু বলেছে।
১৮৯ জিকির করতে করতে কে অজ্ঞান হয়ে পড়ে?
উত্তর: জিকির করতে করতে মজিদ অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
১৯০ কখন থেকে একটানা ঢোলক বেজে চলেছে?
উত্তর: সন্ধ্যা থেকে একটানা ঢোলক বেজে চলেছে।
১৯১ রহীমার প্রশস্ত বুকে মুখ গুঁজে কে অঘোরে ঘুমাচ্ছে?
উত্তর: রহীমার প্রশস্ত বুকে মুখ গুঁজে জমিলা অঘোরে ঘুমাচ্ছে।
১৯২ মজিদের দৃষ্টিতে, কার বাপ-মা জাহেল কিছিমের মানুষ?
উত্তর: মজিদের দৃষ্টিতে, জমিলার বাপ-মা জাহেল কিছিমের মানুষ।
১৯৩ মজিদ কী দিয়ে দাঁত মেছোয়াক করে?
উত্তর: মজিদ নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মেছোয়াক করে।
১৯৪ মজিদ কার মনের হদিস পায় না?
উত্তর: মজিদ জমিলার মনের হদিস পায় না।
১৯৫ কোন কারণে আমেনা বিবির সন্তান হয় না?
উত্তর: বন্ধ্যাত্বের কারণে আমেনা বিবির সন্তান হয় না।
১৯৬ মহব্বতনগর গ্রামের লোকেরা ধান ক্ষেতে কী নিয়ে বেড়ায়?
উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামের লোকেরা ধান ক্ষেতে নৌকা নিয়ে বেড়ায়।
১৯৭ ‘লালসালু’ উপন্যাসে কাদের দিনমানক্ষণের সবর ফাঁসির সামিল?
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মহব্বতনগরবাসীর দিনমানক্ষণের সবর ফাঁসির সামিল।
খ অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর
১ ‘মনে হয় এটা খোদাতালার বিশেষ দেশ।’Ñউক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নোয়াখালি অঞ্চলের জনজীবনে অভাব-অনটন থাকা সত্তে¡ও ধর্মীয় কাজে কার্পণ্য না থাকায় লেখক ব্যঙ্গ করে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
নোয়াখালি অঞ্চলের মানুষের জীবনে অভাব থাকলেও দেখা যায় ভোরবেলায় মক্তবে কচিকণ্ঠে ধ্বনিত হয়ে উঠে আমসিপারা পড়ার কোলাহল। পরনে কাপড় নেই, পেটে ভাত নেই, ল্যাংটা ক্ষুধাতুর ছেলেরা সেই কোলাহলের অংশীদার। তারা জীবনকে যতটা ভালোবাসে মৃত্যুকে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ভয় পায়। তাই লেখক কিছুটা ব্যাঙ্গাত্বক ভাষায় বলেছেন, এটি হয়তো খোদাতালার বিশেষ একটি অঞ্চল যেখানে মানুষ এতটা ধর্ম সংলগ্ন।
২ মজিদ যে খেলা খেলতে যাচ্ছে তা সাংঘাতিক কেন?
উত্তর: পাছে তার ভণ্ডামি ধরা পড়ে যায়Ñএই ভয় ও সন্দেহের জন্যে মজিদ তার খেলাকে সাংঘাতিক বলেছে।
মজিদ ঠিকই জানে প্রাণধর্মের যাঁতাকলে পিষ্ট হবে একদিন তার প্রথা-ধর্ম। সকল বাধা ছিঁড়ে একদিন সত্য বেড়িয়ে আসবে। সে বোঝে যেদিন মানুষ সজাগ হবে সেদিন তার মিথ্যা ফাঁদ ভণ্ডামির দিন শেষ হবে; জয় হবে মানবতার সুনিশ্চিত।
তাই তিনি যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অশিক্ষিত, মূর্খ গ্রামবাসীদের নিয়ে সচ্ছলভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে খেলায় নেমেছেন, তা বড়ই সাংঘাতিক।
৩ ‘কিন্তু তারও যে বাঁচবার অধিকার আছে সেই কথাটাই সে সাময়িক চিন্তার মধ্যে প্রধান হয়ে ওঠে।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আলোচ্য উক্তিটি দ্বারা মজিদের নিজস্ব ভাবনার একটি দিক উদঘাটিত হয়েছে।
মজিদ সচ্ছলভাবে বেঁচে থাকার জন্য মধুপুর ছেড়ে নতুন আশায় মহব্বতনগর গ্রামে এসেছে। তার মূল সিদ্ধান্ত হলো টিকে থাকা ও সচ্ছলভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা করা প্রয়োজন, তাই তাকে করতে হবে। ন্যায়-অন্যায়, সুনীতি, দুর্নীতি হলো মানুষেরই সৃষ্টি, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিতে তারও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাই সে মিথ্যা প্রতারণার কথা জেনেও এই কঠিন দুঃসাহসী কাজে নেমে পড়ে।
৪ ‘মাটি-এ গোস্বা করে’Ñএ কথার ভাবার্থ কী?
উত্তর: মাটিতে রহীমা শব্দ করে হাঁটার ফলশ্র“তিতে মজিদ এ উক্তিটি করে।
মাটিতে তৈরি দেহ একদিন মাটিতে মিশে যাবে। মাটিকে আঘাত করে হাঁটলে মৃত্যুর পর মাটি বদলা নিবেÑএমন কুসংস্কার একনও গ্রাম বাংলায় প্রচলিত। মজিদের প্রথমা স্ত্রী রহীমা মাটিতে আওয়াজ করে হাঁটলে তা মজিদের পছন্দ হয় না। তাই মজিদ স্ত্রীকে ধর্মের মোড়কে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য শাসন করেছে, মজিদ চায় রহীমার মনে যেমন স্বামীর ভয় থাকবে, অনুরূপ চলনেও।
৫ মজিদ রহীমার প্রতি গুরুগম্ভীর হয়ে পড়ে কেন?
উত্তর: রহীমাকে মজিদ তার ও মাজারের প্রতি ভয় সঞ্চার ও ধর্মের মোড়কে জড়ানো নিজের কথার মর্ম বোঝানোর জন্য গম্ভীর হয়ে পড়ে।
মজিদ মহব্বতনগরে স্থায়ী আসন পাতার পাশাপাশি রহীমা নামের এক যৌবন প্রাপ্ত তরুণীকে বিয়ে করে। কিন্তু সাদা-সিধে রহীমার চালচলন একটু বেসামাল। হাঁটার সময় মাটিতে শব্দ করে হাঁটে যা মজিদের পছন্দ নয়। তাই মজিদ তার প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য রহীমার প্রতি গুরুগম্ভীর হয়ে পড়ে।
৬ ‘কুৎসা রটনা বড় গর্হিত কাজ’Ñকেন?
উত্তর: কুৎসায় মানুষের মান-মর্যাদার হানি ঘটে বলে তা বড় গর্হিত কাজ।
অনেক সময় মানুষ শয়তানের ফাঁদে পড়ে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে আপন মানুষেরও কুৎসা রটনা করে। কিন্তু সে বোঝে না ভালো মানুষ কখনো কুৎসা রটনা করে না; কুৎসা বড় খারাপ কাজ। হাসুনির মায়ের মা স্বামীর বিরুদ্ধে যে কুৎসিত বক্তব্য দিয়েছে তা চরম কুৎসা। কুৎসা রটনাকারী সর্বত্র ঘৃণিত এবং মানুষের মধ্যে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ায়।
৭ ‘সে ঝংকার মানুষের প্রাণে লাগে, কানে লাগে।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউলাহ ‘লালসালু’ উপন্যাসের এই তাৎপর্য পূর্ণ উক্তিটি মজিদের কোরআনের আয়াত পড়ার ঝঙ্কারের প্রতি ইঙ্গিত করেছে।
তাহের-কাদেরের বাপের শালিসের দিন সুচতুর মজিদ কোরআনের আয়াত পড়ে তা ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে উপস্থিত উৎসুক জনতার মনে ধর্মের ভয় জোগানোর চেষ্টা করে এবং সফলতা লাভ করে। মজিদের সুরেলা গলার ঝঙ্কার দ্বারা ঘরময় যেন ঝঙ্কৃত হচ্ছিল এবং সে ঝঙ্কার উপস্থিত জনতার কানে বাজছিল এবং প্রাণকে স্পর্শ করছিল। অর্থাৎ মজিদের কোরআন পড়ার সুমধুর সুরে তারা মোহিত হয়ে পড়েছিল।
৮ যে জিনিস বোঝার নয়, তার জন্য কৌত‚হল প্রকাশ করা অর্থহীন কেন?
উত্তর: আলাহর মহিমা ও মর্ম বোঝা সকলের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তার জন্য অহেতুক কৌত‚হল প্রকাশ করা অর্থহীন।
মজিদ মহব্বতনগরের লোকজনকে শিক্ষা দিয়েছে যে, জন্ম মৃত্যু, রোগ-শোক সবই আলাহর ইচ্ছায় হয়। সৃষ্টির মর্ম সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা বেশ কঠিন। তবে এটি বুঝতে হবে যে, আলাহ যা কিছু করেন তা মানুষের ভালোর জন্যই করেন। সেজন্য আলাহর কাজকর্মের ব্যাপারে বান্দার এত কৌত‚হল না হওয়াই ভালো। বস্তুত এটি মানুষকে দমিয়ে রাখার অপকৌশল।
৯ আলাহর ওপর এত ভরসা সত্তে¡ও মজিদের চোখে জ্বালাময়ী ছবি ভেসে ওঠে কেন?
উত্তর: মজিদের ভেতরে পশুবৃত্তির কারণেই তার চোখে জ্বালাময়ী ছবি ভেসে ওঠে।
সে যতই মুখে আলাহ, রসূল, দ্বীনের কথা বলুক, তার ভেতরে রয়েছে পশুবৃত্তি। তাই তো তার ঘরে যৌবন ব্যাপ্ত সুঠাম স্ত্রী থাকা সত্তে¡ও সে কাজের মেয়ে হাসুনির মার জন্য আকুলি বিকুলি করে, কামনার আগুনে পোড়ে। গ্রামবাসীর সাথে আলাহ রসুলের কথা বলতে গিয়েও চোখে তার ভেসে ওঠে ভোর রাতে দেখা হাসুনির মার জ্বালাময়ী দেহ, উন্মুক্ত গলা কাঁধ ও বাহুর উজ্জ্বলতা।
১০ মজিদের মন থম থম করে কেন?
উত্তর: মজিদের মন থম থম করে এজন্য যে, আউয়ালপুরের পির সাহেবের আগমনে সে সত্যি সত্যি ভয় পেয়েছে।
মজিদ ওপরে যাই বলুক, ভেতরে ভেতরে সে তার নিজের শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন। পির সাহেবের মতো তার রুহানী শক্তি নেই, আউয়ালপুরে পিরের আগমনে লোকজনতার মাজারে কম আসে। সবাই নতুন পিরকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে, তার পায়ে একটু চুমু দিতে চায়। এইসব দৃশ্য দেখে মজিদ গম্ভীর হয়ে যায় এবং মাজারের রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রমে তার মনটা থম থম করে।
১১ মজিদের ক্রোধ হয় কেন?
উত্তর: আউয়ালপুরে নতুন পিরের আগমনে তার মাজার ব্যবসার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রামবাসীর ওপর ক্রোধ হয়।
রাতে শোয়ার সময় মজিদের স্ত্রী রহীমা পির সাহেবের অলৌকিক শক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে। এতে মজিদ বোঝে ব্যাপারটা অনেক দূর এগিয়েছে। তাছাড়া পরদিন মজিদ দেখে তার এলাকার লোকজনও পিরের কাছে ছুটে চলেছে। এতে মজিদের মনে গাঁয়ের লোকজনের প্রতি ভীষণ ক্রোধ হয়। মূলত আউয়ালপুরের নতুন পিরের আগমনে মজিদের ভীত নড়ে ওঠে।
১২ ‘এ বিচিত্র বিশাল দুনিয়ায় কী যাবার জায়গার কোনো অভাব আছে?’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গাঁয়ের লোকজনের প্রতি ক্রুদ্ধ মজিদের মনোভাবের পরিচয় আলোচ্য বাক্যটিতে প্রকাশ পেয়েছে।
আউয়ালপুরে নতুন পিরের আগমনে দলে দলে লোক ঐ পিরের কাছে যাওয়ায় মজিদের মাজারে লোকজন আসা কমে যায়। এতে মজিদ চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং গ্রামবাসীর এই ধরনের কাজ তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতরাই শামিল মনে করে। তাই ক্রুদ্ধ হয়ে মজিদ বলেছে, এখানে যদি তার ভালোভাবে থাকবার উপায় না থাকে, তাহলে অন্যত্র সে তার ভবিষ্যৎ দেখবে। বাক্যটিতে মুখোশের আড়ালে মজিদের প্রকৃত চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে।
১৩ মজিদ আউয়ালপুরে গেল কেন?
উত্তর: আউয়ালপুরের পির সাহেবের প্রসার ঘটলে তার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবেÑএকথা ভেবে মজিদ আউয়ালপুরে গেল।
মজিদ অত্যন্ত চতুর এবং ক‚টকৌশলী একজন মানুষ। সে বুঝতে পেরেছিল মহব্বতনগরের লোকদের ফিরিয়ে আনতে না পারলে তার ধর্মব্যবসায় মন্দা পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা, একবার তার প্রতি কারো অবিশ্বাস বা সন্দেহ দেখা দিলে তা ক্রমান¦য়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য, নিজের অবস্থান অটুট রাখার জন্য, নতুন পিরের কারসাজি সরিয়ে দেওয়ার জন্য সে আউয়ালপুরে যায়।
১৪ ‘যেন বিশাল সূর্যোদয় হয়েছে, আর সে আলোয় প্রদীপের আলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আলোচ্য অংশটুকু দ্বারা আউয়ালপুরের পির সাহেবের সঙ্গে মজিদের তুলনা করা হয়েছে।
মজিদ ধর্মকে ব্যবহার করে মহব্বতনগরের লোকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। কিন্তু সেই লোকজনই আউয়ালপুরের পিরের কাছে গিয়েছে। মজিদ আউয়ালপুরে গিয়ে দেখে মহব্বতনগরের বহুলোক ভিড়ের মধ্যে আছে কিন্তু কেউ আজ মজিদকে লক্ষ করছে না। পির যেন তাদের কাছে সূর্য আর মজিদ হলো ক্ষুদ্র প্রদীপ। সূর্যের প্রখর আলোয় প্রদীপের আলো যেমন ম্লাণ হয়ে যায়, তেমনি পিরের কাছে মজিদ আজ ক্ষীন।
১৫ পির সাহেব হামলা করতে চায়নি কেন?
উত্তর: আউয়ালপুরের পির আউয়ালপুরে স্থায়ী নয়। তাছাড়া তার বয়স হয়েছে তাই সে মহব্বতনগরে হামলা করতে চায়নি।
আউয়ালপুর থেকে মহব্বতনগর অনেকটা দূর, প্রায় তিন গ্রাম ব্যবধান। এত দূরে এসে হামলা করা তেমন সুবিধার হবে বলে পির সাহেব মনে করেন নি। তাছাড়া বয়সের কারণে এখন সে জরাক্রান্ত ও দুর্বল, যৌবনের তেজ নেই। এই বয়সে দাঙ্গা-হাঙ্গামা তার পছন্দের নয় বলে মহব্বতনগরে সে হামলা করতে উৎসাহ দেখায়নি।
১৬ মজিদের মনে অস্বস্তি কেন?
উত্তর: আউয়ালপুরে মজিদের মতো অনুরূপ এক ধর্মব্যবসায়ীর আগমনে তার মনে অস্বস্তি বিরাজ করে।
মজিদ আউয়ালপুরের পিরের সম্পর্কে মহব্বতনগরের লোকজনকে বুঝিয়েছে, ঐ পির আসলে ভণ্ড এবং বিপদগামী। মজিদের বক্তৃতায় আবিষ্ট হয়ে মহব্বতনগরের কিছু যুবক পিরের আস্তানায় হামলা করেছে। মজিদ আশঙ্কা করছে যে পির সাহেবের সাঙ্গপাঙ্গরা এ হামলার বদলা নেবে। কিন্তু কোনো খোঁজ খবর না পাওয়ায় মজিদের মনে রাত-দিন অস্বস্তি লেগে রয়েছে।
১৭ আমেনা আউয়ালপুরের পিরের সাহায্য চায় কেন?
উত্তর: আমেনা সন্তান কামনার জন্য আউয়ালপুরের পিরের সাহায্য চায়। খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রী আমেনা বিবি পীরের অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাসী। ব্যাপারীর সাথে বহুদিন ঘর করেছে সে, কিন্তু তার কোনো সন্তান হয় না। তার বিশ্বাস, পির সাহেবের পানিপড়া খেলে সে সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হবে। সে জন্য আমেনা বিবি মাতৃত্ব পূর্ণ করার জন্য আউয়ালপুরের পিরের সাহায্য চায়।
১৮ ধলা মিঞা আউয়ালপুরে যেতে চায় না কেন?
উত্তর: আউয়ালপুর ও মহব্বতনগরের মাঝপথে দেবংশি তেঁতুল গাছটির ভয় এবং পিরের সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে ধলা মিঞা আউয়ালপুরে যেতে চায় না।
খালেক ব্যাপারী তার সম্বন্ধী ধলা মিঞাকে আমেনা বিবির জন্য আউয়ালপুর থেকে গোপনে পির সাহেবের পানিপড়া আনতে বলে। ধলা মিঞা ভাবে পানিপড়া আনতে হলে শেষ রাতে যাত্রা শুরু করে ভোর হওয়ার পূর্বেই ফিরে আসতে হবে। পথের মাঝে তেঁতুল গাছের ভ‚তপ্রেতের আস্তানা এবং পির সাহেবের সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে ধলা মিঞা আওয়ালপুরে যেতে চায় না।
১৯ ‘সে অন্দরের লোক, আর তার তাগিদটা বাঁচা মরার মতো জোরালো।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে এ লাইনটিতে আমেনা বিবির জন্য পানিপড়া আনার গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে।
আমেনা বিবির বিবাহের দীর্ঘ ত্রিশ বছর পরও তার সন্তান হয় না। এজন্য সে মাতৃত্ব হৃদয় পূর্ণ করবার জন্য পিরের সাহায্য চায়। পিরের পানিপড়া খেলে তার ইহজীবনের দুঃখ ঘুচে যাবে, সে সন্তানবতী হবে; পাবে মাতৃত্বের স্বাদ। তাই মজিদ নতুন পিরের কাছে মহব্বতনগরের লোকজনকে যেতে নিষেধ ও তার সাথে দাঙ্গা করা আমেনা বিবি মোটেও পছন্দ করেনি।
২০ ‘সজ্ঞানে না জানলেও তারা একটা, পথ তাদের এক’
উত্তর: এ লাইনটিতে মহব্বতনগরের দুই শক্তিশালী মানুষ মজিদ ও খালেক ব্যাপারীর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।
মহব্বতনগরের দুই শক্তিশালী মানুষ মজিদ আর খালেক ব্যাপারী। খালেক ব্যাপারী বিস্তর জমি জমার মানুষ এবং সে গ্রামের মাতব্বরও। অন্যদিকে মজিদ হলো মাজারের খাদেম। খালেক ব্যাপারীর দৃষ্টিতে সে হলো সমাজের মূল। তাঁর কথায় সমাজ ওঠে বসে।
মজিদের যেমন খালেক ব্যাপারীর প্রয়োজন, তদ্রুপ অলৌকিক শক্তিধর যাকে গ্রামবাসী শ্রদ্ধা, ভয় ও ভক্তি করে, সে মজিদকে খালেক ব্যাপারী হটায় না। তাই বলা যায়, মজিদ আর খালেক ব্যাপারী একই পথের পথিক।
২১ হাসুনির মার মন বেদনায় নীল হয়ে ওঠে কেন?
উত্তর: মায়ের মৃত্যুর পর মজিদের কাছে কবরের আযাবের কথা শুনে হাসুনির মার মন বেদনায় নীল হয়ে ওঠে।
অশিক্ষিত ধর্মভীরু হাসুনির মার মায়ের বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যু হলে তেমন একটা শোক লাগে না তার। কিন্তু যখন সে মজিদের কথায় বোঝে যে, তার মায়ের কবরে আযাব হবে তখনই তার মনে হাহাকার জাগে। কবরে মায়ের একাকী যন্ত্রণাভোগে তার মনের মধ্যে বেদনা জেগে ওঠে।
২২ ‘বার্ধক্যের শেষ স্তরে কারো মৃত্যু ঘটলে দুঃখটা তেমন জোরালোভাবে বুকে লাগে না।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: উদ্ধৃত অংশটুকু দ্বারা বৈজ্ঞানিক তত্তে¡র ভিত্তিতে শিশু, কিশোর বা যৌবন বয়সের মৃত্যু আর বার্ধক্যের মৃত্যুর মধ্যে শোকের তারতম্য তুলে ধরা হয়েছে।
অল্প বয়সে কারো মৃত্যু ঘটলে নিকটজনেরা খুব বেশি শোক করে। কেননা তার মরার বয়স হয়নি বা সে আরো বহুদিন বেঁচে থাকতে পারত। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে কারো মৃত্যু হলে নিকটজনেরা অধিক শোকাহত হয় না, কারণ তারা ধরে নেয় প্রকৃতির নিয়মে স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। তাই হাসুনির মাও তার বৃদ্ধ মায়ের মৃত্যুকে সেভাবে নিয়েছে।
২৩ আমেনা বিবির মনে আশার সঞ্চার হলো কেন?
উত্তর: মজিদ যখন মাজার প্রদক্ষিণের কথা বলে তখন আমেনা বিবির ভয় হলেও সন্তান প্রাপ্তির আশায় তার মনে আশার সঞ্চার হয়।
সরল প্রকৃতির মানুষ আমেনা বিবি সন্তান কামনায় অধীর। প্রথমে এসে আউয়ালপুরের পির সাহেবের পানিপড়া না পেয়ে নিরাশ হয়েছিল। সে ধরেই নিয়েছিল তার আর সন্তান হবে না। কিন্তু মজিদ অমন পেটের বেড়ির কথা বলল এবং সাতের বেশি বেড়ি না থাকলে তা খোলার ব্যবস্থার কথা জানাল, তখন তার মনে আশার আলো দেখা দিল।
২৪ “দুই তানিতে যে প্রচুর তফাৎ আছে সে কথা কী করে বোঝায়?”Ñকথাটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদ ও খালেক ব্যাপারী দুইজনই ক্ষমতাধর মানুষ হলেও দুজনের ক্ষমতা দু ধরনের, সে বিষয়টি এখানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দুই তানির মধ্যে একজন মজিদ অন্যজন খালেক ব্যাপারী। রহীমার পেটে চৌদ্দ বেড়ি আছে মজিদ তা কী করে জানেÑএ হলো খালেক ব্যাপারীর স্ত্রী তানু বিবির জিজ্ঞাসা। রহীমার কাছে যখন জানল যে তার স্বামী তাই বুঝতে পেরেছে তখন তানু বিবির প্রশ্ন হলো খালেক ব্যাপারী আমেনা বিবির স্বামী হওয়া সত্তে¡ও কেন তার বেড়ির কথা জানে না। তানু বিবিকে বুঝতে হবে, মজিদ খোদার পথের মানুষ। সে খালেক ব্যাপারীর মতো সাধারণ মানুষ নয়। তাই মজিদের ক্ষমতা মাজার থেকে আসে বলে দুই জনের মধ্যে পার্থক্যও যথেষ্ট।
২৫ এক ঢিলের পথ হলেও ব্যাপারীর বউ হেঁটে যেতে পারে না কেন?
উত্তর: সারাদিন রোজা রেখে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির জন্য এক ঢিলের পথ তবুও ব্যাপারীর বউ হেঁটে যেতে পারে না।
মজিদের নির্দেশ অনুযায়ী সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যাবেলায় নুন আর আদা খেয়ে মাগরিবের নামাজের পর আমেনা বিবি মাজারে আসে। পালকি থেকে নামার পর মাজারের দূরত্ব একঢিলের পথ হলেও সারাদিন অভুক্ত থাকায় শরীর-মন ক্লান্ত ও অবসন্নের কারণে মাজারে যাওয়ার বাকি পথ আমেনা বিবি হেঁটে যেতে পারে না।
২৬ মজিদের কাম বাসনাকে সাপের দংশের সঙ্গে কেন তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর: কাম বাসনা মানুষের মনের বিবেচনা শক্তি নষ্ট করে এবং জ্বালা-যন্ত্রণা সৃষ্টি করে বলে মজিদের কামভাবকে সাপের দংশনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
পালকি থেকে নেমে যাওয়ার সময় আমেনা বিবির সুন্দর ফর্সা পা দেখে ভণ্ড পির, পরনারীতে আসক্ত মজিদের ভিতর কামভাব জেগে ওঠে। সাপে কামড়ালে সাপের বিষে যেমন মানুষের শরীরে জ্বালা-যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়, তেমনি কামভাব জাগলে মানুষের দেহে ও মনে যন্ত্রণা হয়। সেজন্য ধর্মের লেবাস পরা ভণ্ড মজিদের কামভাবকে সাপের বিষের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
২৭ ‘সে মুখ ফ্যাকাশে, রক্তশূন্য এবং সে মুখে দুনিয়ার ছায়া নেই।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে এ লাইনটিতে পালকি থেকে মাজারে যাওয়ার পর আমেনা বিবির ভয়ার্ত চেহারার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
বিনা আহারে রোজা রেখে, সারাদিন কুরআন পাঠ করে এবং আদা-নুন দিয়ে ইফতার করা আমেনা বিবির শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে অজানা আশঙ্কা যে, মাজার প্রদক্ষিণের পরও যদি সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হয়। একদিকে অভুক্ত দুর্বল শরীর আরেক দিকে ভয়-শঙ্কা সবÑমিলিয়ে আমেনার চেহারা রক্তশূন্য ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করে। সে মুখ কোনো জীবন্ত মানুষের নয়, সে মুখে পৃথিবীর কোনো লক্ষণ নেই।
২৮ একটা প্রখর আলো তার ভেতরটা কানা করে দিয়েছে কেন?
উত্তর: মজিদ কর্তৃক আবিষ্কৃত মোদাচ্ছের পিরের মাজারের চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে গিয়ে এক মহাশক্তির প্রখর অত্যুজ্জ্বল আলো আমেনা বিবির ভেতরটা কানা করে দিয়েছে।
মাজারে পাক দিতে গিয়ে এক ভিন্ন রকম শক্তিতে আমেনা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তার মনে হয় সে অনুভ‚তিশূন্য, কোনো কামনা বাসনা নেই আর কোনো অভাব অভিযোগও নেই তার। যে সন্তানশূন্যতা তাকে এতদিন কুরে কুরে খাচ্ছে, তা যেন এক নিমিষেই অন্তর্হিত হয়ে গেছে। সন্তানের জন্য হাহাকার করা তীব্র বেদনা আজ অতীতের স্মৃতির মতো অস্পষ্ট ধ্বংসস্তূপ।
২৯ মজিদ এত নিষ্ঠুর কেন?
উত্তর: যে ধর্মের লেবাসে মজিদ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার মানসে মহব্বতনগরে এসেছে, সেই লক্ষ্য অর্জনে ধীরে ধীরে ভণ্ড মজিদ নিষ্ঠুর হয়ে পড়ে।
চালাক মজিদ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য মহব্বতনগর গ্রামে আসে, তার প্রতিষ্ঠার মূলে যে তাকে অবজ্ঞা করেছে বা উপেক্ষা করেছে, তাকে সে সরাবেই। যে তার বিরুদ্ধে গেছে, তাকে সে শাস্তি দেবেই। কারণ সে জানে কোমলতা দেখালে সে মহব্বতনগরে টিকে থাকতে পারবে না। তাই না খেতে পাওয়া তৃণমূল থেকে সমাজ চালকের আসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে মজিদ ক্রমান¦য়ে নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে।
৩০ ‘খোদার কালামের সাহায্যে যে কথা জানা যায় তা মূর্খের রোজগারের মত সাফ।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে ভণ্ড, প্রতারক মজিদ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে খোদার কালাম নিয়ে মিথ্যাচার করেছে, তা বাক্যটিতে ফুটে উঠেছে।
সুচতুর মজিদ তার প্রতিষ্ঠার পথে বিন্দুমাত্র যাকে বাধা মনে করেছে তাকে সমূলে উৎপাটিত করেছে। আমেনা বিবি আউয়ালপুরের পির সাহেবের পানিপড়া খেতে চেয়ে তাকে যে অপমান ও অবহেলা করেছে, তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ব্যাপারীর মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিয়েছে। মজিদ ব্যাপারীকে বলে খোদার কালামের মাধ্যমে প্রাপ্ত কথাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা চলে না। এ কথা সূর্যের আলোর চেয়েও পরিষ্কার। সহজ কথায় সে ব্যাপারীকে বুঝিয়ে দেয়, আমেনার মনে পাপ আছে, তাকে নিয়ে ঘর সংসার করা যথার্থ হবে না।
৩১ খালেক ব্যাপারী মজিদের কথা ঠিক মনে করল কেন?
উত্তর: খালেক ব্যাপারী ধর্মভীরু বলেই মজিদের কথা ঠিক মনে করল। খালেক ব্যাপারী বিশ্বাস করে মজিদ কোরআন-কেতাব পড়া আলেম মানুষ বলে আমেনা বিবি সম্পর্কে যা জেনেছে, তা খোদার কালাম পড়েই জেনেছে। সে জন্য আমেনা বিবিকে তার অপবিত্রতার কারণে তালাক দিতে বলেছে। তার ধারণা আমেনা বাইরের দিক থেকে নির্দোষ ও তার আচার-ব্যবহারে আপত্তিকর কিছু না থাকলেও ভিতরে নিশ্চয় গলদ আছে, তা না হলে মজিদ তালাকের কথা বলত না।
৩২ ‘ওটা ছিল নিশানা, আনন্দ আর সুখের’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের এ লাইনটি দ্বারা স্বামীর বাড়ি যে আমেনা বিবির জন্য সুখের স্থান ছিল, তা ব্যক্ত হয়েছে।
মেয়েরা স্বামীর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা শুনলেই আনন্দে বুকটা ভরে ওঠে। কিন্তু স্বামী কর্তৃক তালাক প্রাপ্তা হয়ে বাপের বাড়ি যাওয়ার সময় তার চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে, নেই কোনো ‘আনন্দ’। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির একটা নিশানা ছিল তার আনন্দ আর সুখের, তা হলো থোতামুখো তালগাছ যার জন্য তার বুক কান্নায় ভাসতো। বিয়ের পর বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি আসার পথে পালকির মধ্যে থেকে তালগাছটি দেখলেই বুঝত সে স্বামীর বাড়িতে এসে গেছে।
৩৩ মজিদের মন অন্ধকার হয়ে আসে কেন?
উত্তর: মাজারের রক্ষক ও পির মজিদ এক রাতে মোমবাতির উজ্জ্বল আলোয় মাজারের গিলাফের ঝালরের একটি অংশ বিবর্ণ দেখে তার মন অন্ধকার হয়ে আসে।
মজিদ বোঝে মাজারের রহস্য যতদিন থাকবে, তার ক্ষমতাও থাকবে তত দিন। তাই মাজারের প্রতি তার টান প্রচণ্ড বলে মাজারের সামান্য ক্ষতি হলে তার মন খারাপ হয়। সে চায় মাজারটি সব সময় ঝকঝকে থাকুক। এ কারণেই মোমবাতির আলোয় মাজারের গিলাফের ঝালরের একটি অংশ বিবর্ণ এবং এক জায়গাতে সুতো খসে গেলে তার মন অন্ধকার হয়ে আসে।
৩৪ রহীমা মজিদের সামনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কেন?
উত্তর: দয়ালু খোদা এত কঠিন কেন এই ভেবে আমেনার জন্য রহীমা মজিদের সামনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
মজিদ খোদার কালামের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য জেনে আমেনাকে শাস্তি দিয়েছে। এ বিষয়টি রহীমার কাছে অস্পষ্ট। তাই আমেনার তালাকের দিন রহীমার মনটা সারাদিন খারাপ থাকে। তার প্রশ্ন একটাইÑতা হলো আমেনা তো অন্যায় কিছু করেছে বলে মনে হয় না। আবার মজিদ যখন বলেছে তা অবিশ্বাসও করা যায় না। ভীষণ দ্বন্দে¡ পড়ে যায় রহীমা এবং আমেনার জন্য তার খারাপ লাগে।
৩৫ আক্কাস মিঞা গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চায় কেন?
উত্তর: সমাজের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আক্কাস গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গ্রামে মক্তব থাকা সত্তে¡ও স্কুলে না পড়লে মুসলমান ছেলের উন্নতি হবে না এবং আধুনিক চিন্তা থেকে বঞ্চিত হবে এই ধারণা থেকেই আক্কাস গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সে মনে করে গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা হলে সমাজের মানুষ শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে। সমাজ থেকে সকল প্রকার কুসংস্কারে রবাহু দূর হলে মানুষ তার নিজের ভালোমন্দ বুঝতে শিখবে। এইসব কারণে আক্কাস মিঞা মনে করে গ্রামে একটি স্কুল থাকা উচিত।
৩৬ আক্কাস বৈঠক থেকে উঠে চলে যায় কেন?
উত্তর: বৈঠকের পরিবেশ পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত তার অনুক‚লে ছিল না বলেই অবাঞ্ছিতের মতো আক্কাস বৈঠক থেকে উঠে যায়।
আক্কাস মিঞা গ্রামবাসীর মঙ্গলের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা বৈঠকে উপস্থাপন করলে সুচতুর মজিদ তার দাড়ি নেই কেন এমন একটি অবান্তর প্রশ্ন করে তাকে চুপসে দেয়। তার পর মজিদ গ্রামে একটি পাকা মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দিলে উপস্থিত সবাই এক বাক্যে সায় দিল। আক্কাস পুনরায় স্কুলের কথা তুলতে চেয়ে পিতার ধমকে চুপ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সবাইকে মসজিদ করা নিয়ে আলোচনা করতে দেখে সে আসর থেকে উঠে চলে গেল।
৩৭ ‘তাঁর জীবনে শৌখিনতা কিছু যদি থাকে তা এই কয়েক গজ রূপালি চাকচিক্য।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের উদ্ধৃত লাইনে মাজারের প্রতি মজিদের মমতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
মজিদ বাইরে থেকে এসে মহব্বতনগর গ্রামে অখ্যাত কবরকে সালু দ্বারা ঘিরে সুন্দর গিলাফ দিয়ে ধর্মের লেবাসে পির সেজে গ্রামবাসীর ভক্তি ও সম্মান পাচ্ছে। সুতরাং মাজারটি তার শক্তির মূল ভিত্তি এবং মাজারের কোনো রকম অবহেলা-অনাদার তার কাম্য হতে পারে না। এজন্য এক রাতে মোমবাতির উজ্জ্বল আলোয় গিলাফের একাংশ বিবর্ণ হয়ে গেলে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং মনে দুঃখ অনুভব করে। তাই মাজারের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে সে তৎপর। কেননা মাজারটিই তার সৌখিনা।
৩৮ ‘যাদের ঘরে রাজা মেয়ে তাদের আর শান্তি নেই।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের এ বাক্যটি দ্বারা বন্ধ্যা মেয়েদের প্রতি সামাজিক ধ্যান-ধারণার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
সন্তান না হলে স্বামীর ঘরে মেয়েদের আদর কমে যায় এবং এ মেয়েকে সমাজ ভাবে অপয়া। আমেনা বিবি বন্ধ্যা হওয়ায় ব্যাপারী একদিকে যেমন তার প্রতি খুশি ছিল না, অপরদিকে দ্বিতীয় বিবাহ করতেও বিলম্ব হয়নি। পরবর্তীতে মজিদের চক্রান্তে ব্যাপারী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় তার মনের শান্তি নষ্ট হয়। বন্ধ্যা মেয়েরা যে সামাজিক নির্যাতনের শিকার; আমেনা বিবির ঘটনাই তার প্রমাণ।
৩৯ ফাল্গুনের দমকা হাওয়া মজিদের মনে ভাব জাগায় কেন?
উত্তর: ফাল্গুনের দমকা হাওয়া ধুলো উড়াতে দেখে মজিদের ফেলে আসা দেশের কথা, স্বজনদের কথা ও পরিবারের কথা মনে পড়ে।
ধর্মব্যবসায়ী, প্রতারক, ভণ্ড, নিম্নরুচিসম্পন্ন মজিদ এদেশে তথা মহব্বতনগর গ্রামে বহুদিন ধরে বসবাস করছে। এক সময় সে টাকা পয়সাহীন গরিব মানুষ হিসেবে এ গ্রামে এসেছিল। কিন্তু আজ তার অনেক জায়গা জমি এবং মান-মর্যাদা ও ক্ষমতা। এখন সে বাতাসে উড়ে যাওয়া পাতা নয়, মাটিতে শিকড় গাড়া গাছ। তাই অতীতের সেই সব কষ্টের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে তার মনকে বেদনাময় করে তোলে।
৪০ কবরটি মজিদকে ভীত করে তোলে কেন?
উত্তর: ধর্মব্যবসায়ী মজিদ দশ-বারো বছর ধরে যে কবরটি নিয়ে ব্যবসা করছে সেই মানুষকে সে চেনে না। তাই মাজারের সালু কাপড়ের একটি অংশ উল্টে গেলে সে ভীত হয়ে পড়ে।
জীবনের প্রয়োজনে ধর্মকে পুঁজি করে মজিদ একটি অজানা কবরকে কামেল পিরের কবর বলে চালিয়ে তার ধর্ম ব্যবসা শুরু করেন। অল্প দিনের মধ্যেই সে মান সম্মান ও অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যায়। কিন্তু কবরটি কার মজিদ তা জানে না বলে বাতাসে উন্মুক্ত সালু কাপড়ের একটি অংশ উড়ে গেলে সেই অনাবৃত অংশ মরা মানুষের চোখের মতো দেখালে তার ভিতরে ভীতি সঞ্চার হয়। আসলে মানুষ যতই ধূর্ত বা পশুবৃত্তির হোক, দুর্বল মুহ‚র্তে তার ভেতরের সুপ্ত বিবেকের জাগরণ ঘটে, তখন সে ভীত হয়ে পড়ে।
৪১ ‘মজিদের নীরবতা পাথরের মত ভারী’।Ñকথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামে মজিদ প্রভুর আসনে অধিষ্ঠিত হলেও সন্তানহীনতা তাকে পীড়া দেয়।
রহীমা বন্ধ্যা মেয়ে হওয়ায় তার সন্তান হবে না। এক রাতে এ কথা নিয়ে রহীমা ও মজিদ কথাবার্তা বলার পর দুজনার চুপ হওয়ার পর রহীমা ভাবতে বসে। মজিদের সন্তান চায় বলে সে কথা বলে না, নীরব হয়ে থাকে। মজিদ এই নীরবতা রহীমার কাছে পাথরের মতো ভারী মনে হয়। এ নীরবতার মধ্যে যেন ভাবনা আছে, সন্তান না পাওয়ার হাহাকারও আছে।
৪২ মজিদ দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চায় কেন?
উত্তর: মহব্বতনগরের বিধবা রহীমাকে বিয়ের পর সন্তান না হওয়ায়, সন্তান লাভের আশায় মজিদ দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চায়।
মজিদ ভাগ্যের সন্ধানে মহব্বতনগরে এসে প্রতারণার মাধ্যমে নিজের ভাগ্য ফেরায়। রহীমার সন্তান না হওয়ায় মজিদ রহীমাকে বলে তার জন্য একজন সাথী আনবে। অর্থাৎ সে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায়। অন্যদিকে মজিদের সন্তান প্রয়োজনÑএ কথা সত্য হলেও অল্পবয়সী একটি মেয়েকে ভোগ করার বাসনাও লম্পট মজিদকে লালায়িত করে।
৪৩ ‘এখন সে ঝড়ের মুখে উড়ে চলা পাতা নয়, সচ্ছলতার শিকড় গাড়া বৃক্ষ।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের এ উক্তিটিতে এক সময়ে জীবিকার সন্ধানে পথে নামা মজিদের মহব্বতনগরে পাকাপোক্ত হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।
বহুদিন পূর্বে ভাগ্য অনে¦ষণে মজিদ মহব্বতনগরে এসেছিল। তখন সে ছিল নিঃস্ব। কিন্তু এখন একটি মাজারকে কেন্দ্র করে এ গ্রামে পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর তার এই বর্তমান অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে এভাবে-ঝরা পাতা উড়ে যায়; কিন্তু শক্ত শিকড়ওয়ালা গাছকে ঝড় উপড়ে ফেলতে পারে না। মজিদও গাছের মতো এই গ্রামের মাটিতে শক্তভাবে শিকড় গেড়েছে।
৪৪ মজিদ চমকিত হয় কেন?
উত্তর: মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী জমিলার হাসিতে মজিদ চমকিত হয়।
সংকীর্ণ ও জটিল প্রকৃতির মজিদ ধর্মব্যবসায়ী, ভণ্ড, প্রতারক এবং প্রথা-ধর্মে বিশ্বাসী। একদিন সে বাইরের ঘর থেকে প্রাণ ধর্মমুখর, উচ্ছ¦ল, চঞ্চল জমিলার হাসির ঝংকার শুনে চমকিত হয়। কারণ দীর্ঘদিন এখানে বসবাসকালে কেউ কোনোদিন এমন হাসি হাসে নাই বরং মাজারে যারা আসে তারা দুঃখের ফরিয়াদ নিয়ে আসে এবং প্রবলভাবে কাঁদে।
৪৫ “তানি বুঝি দুলার বাপ”Ñকথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: প্রশ্নোলিখিত এ উক্তিটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের প্রাণধর্মমুখর চঞ্চল জমিলা মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী রহীমাকে জানিয়েছিল।
বিয়ের আগে জমিলার মেজো আপা বেড়ার ফাঁক দিয়ে মজিদকে দেখেয়েছিল। দাঁড়িওয়ালা বেশি বয়সী মজিদকে জমিলা ভেবেছিল এ লোক নিশ্চয়ই বরের বাপ হবে। কিন্তু এর সঙ্গেই তার বিয়ের পর এ রকম পিতৃতুল্য অসমবয়সী মানুষকে জমিলা স্বামী হিসেবে ভাবতে পারেনি। তার দুঃখের কথা, অপছন্দের কথা হাসতে হাসতে সে রহীমাকে জানিয়েছে।
৪৬ “জমিলা যেন ঠাটা মানুষের মত হয়ে গেছে।”Ñএ বাক্যটি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: চঞ্চল প্রাণধর্মমুখর জমিলার পিতৃবয়সী মজিদের সাথে বিয়ের পর মজিদের প্রতিনিয়ত শাসন আর উপদেশে সে বজ্রাহতের মতো হয়ে গেছে।
অল্পবয়সী কিশোরী বধূ জমিলারও জীবনে কামনা বাসনা আছে। কিন্তু সে জীবনকে যেভাবে ভেবেছিল, তার জীবনটা সেভাবে হলো না। তার বিয়ে হয় পিতৃবয়সের এক বুড়ো লোকের সঙ্গে যার পূর্বের এক বৌ আছে। সব মিলিয়ে তার জীবনকে কৌতুকের মত মনে হয়।
৪৭ ‘চোখে বিন্দুমাত্র খোদার ভয় নেই, মানুষের ভয় তো দূরের কথা।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে এ লাইনটি দ্বারা জমিলার সাহসিকতা এবং গোয়ার্তুমির কথা ফুটে উঠেছে।
বিয়ের পর মজিদের কথামতো চলার জন্য মজিদ জমিলার ওপর পীড়ন করেছে, কিন্তু জমিলা বশে আসেনি। এখন সে মজিদের কোনো কথা শোনে না, তার দিকে তাকায় না, ভাবলেশহীন ভাবে এক জায়গায় বসে থাকে। মজিদ বৌয়ের দিকে আড়চোখে তাকায়, আর দেখে জমিলার চোখে মানুষের ভয়তো নেই, খোদার ভয়ও নেই। আসলে অস্তিত্ববাদী মানুষের অস্তিত্ব যখন বিপন্ন হয় তখন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিন্দুমাত্র সময় লাগে না।’
৪৮ ‘শত্র“র আভাস পাওয়া হরিণের চোখের মতই সতর্ক হয়ে ওঠে তার চোখ।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের এ লাইনটিতে মজিদ যখন জমিলার রূপের প্রতি ইঙ্গিত করে এবং জীবনের শেষ পরিণতি মৃত্যুর ভয় দেখায়, তখনকার জমিলার অবস্থা বর্ণিত হয়েছে।
রাতে মজিদ ঘুমন্ত জমিলাকে আচমকা একটানে উঠানোর ফলে জমিলা ব্যথা পায় এবং ভীত-বিহŸল হয়ে পড়ে। পরদিন সকালে জমিলা সব কিছু উপেক্ষা করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে পরিপাটি করতে দেখে মজিদ আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং জমিলার রূপের কথা তুলে নিজের দর্শন শোনায়-মৃত্যুর সাথে সাথে রূপের সমাপ্তি, জীবন অল্প দিনের। একথা শুনে জমিলা মজিদের দিকে ক্ষিপ্রগতিতে এমনভাবে তাকায় যেন শত্র“র আভাস পাওয়া হরিণের চোখে যেমন সতর্কতা, তার চোখেও তেমনি সতর্কতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
৪৯ ‘লতার মতো মেয়েটি যেন এ সংসারে ফাটল ধরিয়ে দিতে এসেছে।’Ñবুঝিয়ে দাও।
উত্তর: প্রশ্নোলিখিত এ বাক্যে প্রাণ ধর্মমুখর কিশোরী জমিলার আগমন ধর্ম ব্যবসায়ী মজিদের সংসারে শুধু উৎপাতই নয়, এক জীবন্ত প্রতিবাদÑতাই ব্যক্ত হয়েছে।
নেশার বশে মজিদ জমিলাকে বিয়ের পর প্রথম দিকে জমিলাকে বিড়াল ছানার মতো মনে হলেও অল্প দিনের মধ্যেই তার আসল রূপ বেরিয়ে আসে। সে মজিদের কোনো বাধা মানে না, মজিদের সামনে চুপ থাকলেও মজিদকে পছন্দ করে না। সহজ কথায় অনেক দিনের গড়া সংসারের নিয়মনীতিকে ভাঙন ধরায় সে। এক পর্যায়ে মজিদ জমিলাকে ভয় পেতে থাকে। আর এজন্য সে নিজের ভাগ্যকে দায়ী করলেও তার ভেতরের ক্ষোভ পুড়িয়ে দিতে চায় মজিদের সাজানো সংসারকে।
৫০ ‘বালুতীরে যুগ যুগ আঘাত পাওয়া শক্ত কঠিন পাথর তো সে নয়।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের এ বাক্যটিতে জিকিরের সময় জমিলার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়েছে।
মাজারে সন্ধ্যায় জিকিরের সময় রহীমা খিচুড়ি রান্না করে আর জমিলা রহীমার রান্নাবান্নার কাজ দেখে। বাইরে থেকে যখন বহুমানুষের সম্মিলিত জিকিরের আওয়াজ জমিলার কানে আসে তখন সে ভয়ে সচকিত হয়ে উঠে, কারণ জমিলা কখনো জিকির শোনেনি। ঝড়ের সময় সমুদ্রের এক একটা ঢেউ যেমন তীরে আঘাত হানে, ঠিক তেমনি জিকিরের ঘন ঘন ধ্বনি জমিলার হৃদয়ে আঘাত হানে। জমিলার হৃদয় সমুদ্রের তীরের মতো শক্ত নয়।
৫১ ‘তার আনুগত্য ধ্র“ব তারার মতো অনড়, তার বিশ্বাস পর্বতের মতো অটল।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রশ্নোলিখিত এ বাক্যটি দ্বারা মজিদের প্রথম স্ত্রী রহীমার স্বামীভক্তির এক চমৎকার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
মজিদের প্রথম স্ত্রী রহীমা মজিদের ঘরে আসার পর থেকেই মজিদের খুব অনুগত। শান্তশিষ্ট কর্ম-নিপুণা এই মেয়েটি যেন সমস্ত শ্রম, ভালোবাসা আর সেবা দিয়ে খুঁটির মতো মজিদের সংসারকে আগলে রেখেছে। কিন্তু মজিদ পরে জমিলাকে বিয়ে করার পর জমিলার অবাধ্যতার কারণে মজিদ ভীত-শঙ্কিত। তাই জমিলা ও রহীমার মাঝে তুলনা করে বলেছে, রহীমাকে আমার খুব আপন মনে হয় কারণ তার ওপর সবকিছু নির্ভর করা যায়।
৫২ মজিদ জমিলাকে হ্যাঁচকা টান মেরে বসিয়ে দেয় কেন?
উত্তর: মজিদ জমিলাকে খোদাভীতির আড়ালে নিজের প্রতি অনুগত করতে সংসার সম্বন্ধে অজ্ঞ জমিলাকে হ্যাঁচকা টান মেরে বসিয়ে দেয়।
রাত গভীর হলে মজিদ দেখে জমিলা জায়নামাযে সেজদা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। এতে মজিদের ধারণা হয় জমিলার মনে খোদার ভয় নেই, থাকলে এভাবে সে ঘুমাত না। ভয়ানক ক্রুদ্ধ হয়ে মজিদ জমিলাকে এক হ্যাঁচকা টানে জায়নামায থেকে উঠিয়ে বসায়।
৫৩ জমিলা বেঁকে বসে কেন?
উত্তর: জমিলা কিশোরী হলেও যখন বুঝতে পারে মজিদ তাকে মাজারে নিয়ে যাচ্ছে, তখন সে বেঁকে বসে।
জমিলা প্রথমে বোঝে নি যে তাকে মাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে যখন বুঝল তখন সে বেঁকে বসে, এর কারণ মাজার সম্পর্কে তার ভীতি। প্রথমত, সে মাজারের ত্রিসীমানায় কখনও ঘেঁষেনি, দ্বিতীয়ত, মজিদ আজ যে গল্প বলেছে তাতে ভয় আরো বেড়ে গেছে। সেজন্য সে মজিদের শক্ত হাত থেকে নিজেকে ছাড়াতে চায়।
৫৪ ‘নাফরমানি করিও না। খোদার উপর তোয়াক্কল রাখো।’ Ñবুঝিয়ে লিখ।
উত্তর: ভণ্ড, প্রতারক ও ধর্মব্যবসায়ী মজিদ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে আলোচ্য অংশটুকু বলেছে।
মহব্বতনগরে প্রচণ্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলে মজিদকে দেখে গ্রামবাসী হাহাকার করে ওঠে। মজিদ এ অবস্থায় তাদেরকে আশ্বাস দেয়; আলাহই মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, খাদ্যের যোগান দেন। সেজন্য মানুষের উচিত আলাহকে স্মরণ করা। আসলে মজিদ বিশ্বাসের কথা বলে মানুষকে উদ্দীপ্ত ও ধর্মভাবাপন্ন করে রাখতে চায়।
৫৫ না ঘুমিয়ে মজিদ দাওয়ার ওপর বসে থাকে কেন?
উত্তর: জমিলাকে মাজারে একাকী বেঁধে রাখার পর মজিদের ধারণা জমিলা ভয়ে চিৎকার করবে, তাই মজিদ না ঘুমিয়ে দাওয়ার ওপর বসে থাকে।
মজিদ জমিলার ওপর নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে এবং শেষ পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকার রাতে মাজারে জমিলাকে বেঁধে রেখে আসে। মজিদের ধারণা জমিলা ভয় পেয়ে চিৎকার করবে। তাই ঘরের মধ্যে না গিয়ে দাওয়ায় বসে থাকে। কিন্তু মজিদের এ কৌশলও ব্যর্থ হয়।
৫৬ রহীমা মজিদের কথায় কোনো সাড়া দেয় না কেন?
উত্তর: রহীমা জমিলার বিপদে মজিদের কথায় কোনো সাড়া দেয় না। মজিদের প্রথম স্ত্রী রহীমা মজিদকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করে। কিন্তু মজিদ যখন জমিলাকে ঝড়-বৃষ্টির রাতে একাকী মাজারে বেঁধে রেখে আসে তখন তার একমাত্র চিন্তা জমিলা মাজারে কেমন আছে। শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত স্বামীভক্ত রহীমা স্বামীকে বলেই বসে, ‘ধান দিয়া কী হইব, মানুষের জান যদি না থাকে’। তাই জমিলার এই বিপদে রহীমার ভেতরটা ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠে।
৫৭ ‘প্রকৃতির লীলা চেয়ে চেয়ে দেখাও এক রকম এবাদত’। Ñবুঝিয়ে দাও।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের এ বাক্যটিতে মজিদের প্রকৃতির বৈচিত্র্য দেখে সৃষ্টিকর্তার মহিমার উপলব্ধির কথা বলা হয়েছে।
যে রাতে মজিদ জমিলাকে মাজারে বেঁধে রেখে আসে, সেই রাতে মাজার ঘরে ছিল ভৌতিক পরিবেশ, আর বাইরের প্রকৃতিতে আসন্ন বিপদের অবস্থা। মেঘের গর্জন, বিদ্যুতের ঝলকানি, ঝড়, বৃষ্টি সব মিলিয়ে এক ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মজিদের ধারণা ছিল সে জমিলার আর্তনাদ শুনবে। মজিদ চেয়ে চেয়ে বাইরের প্রকৃতির ভয়াবহ রূপ দেখে এবং আলাহর মহিমা উপলব্ধি করে। প্রকৃতিকে যারা এভাবে দেখে, তারা প্রকৃতপক্ষে আলাহর এবাদত করে।
৫৮ ‘আর একটা সত্যের সীমানায় পৌঁছে, জন্ম বেদনার তী² যন্ত্রণা অনুভব করে মনে মনে।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের এ উক্তিটিতে ঝড়-বৃষ্টি শেষে সংজ্ঞাহীন জমিলাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়ার পর মজিদের মনে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাই বিবৃত হয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টির শেষে জমিলার সংজ্ঞাহীন দেহ ঘরে নিয়ে আসার পর রহীমার মনে জমিলার জন্য মায়া ছলছল করে ওঠে। মজিদের সব কথাই তখন গুরুত্বহীন মনে হয়। মজিদ দূর থেকে এসব দেখে তার চোখের সামনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। একটা সত্য প্রকাশিত হয়। সে বুঝে যায় জোর করে বা প্রভাব খাটিয়ে কারও মনে বিশ্বাসের জন্ম দেওয়া যায় না।
৫৯ ‘শুধু জীবন্ত হয়ে সেই ডালপালা শাখা-প্রশাখায় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ Ñবুঝিয়ে দাও।
উত্তর: এ উক্তিটি দ্বারা আমেনা বিবির তালাক দেওয়ার ঘটনাটি যে মানুষের মুখে মুখে জীবন্ত হয়েছে তা প্রকাশিত হয়েছে।
খালেক ব্যাপারী সহজ-সরল। স্বামীভক্ত, ধর্মভীরু ও নিঃসন্তান স্ত্রী আমেনা বিবিকে মজিদের চক্রান্তে তালাক দেয়। তালাক দেওয়ার ঘটনাটি গ্রামের মানুষের কানাঘুষায় নানা শাখা-প্রশাখার জন্ম দিয়েছে। আর এ ব্যাপারে যার যেমন খুশি রং ছড়াবেই এবং যাদের ঘরে নিঃসন্তান বৌ আছে তাদের মনেও সন্দেহ ঢুকেছে। খালেক ব্যাপারীর মতো তাদের মনেও শান্তি নেই, আর এর প্রভাব পড়েছে সমাজজীবনেও।
৬০ ‘রুপালি ঝালরের বিবর্ণ অংশটা কালো করে রেখেছে সে মন।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: এ উক্তিটিতে মাজারের ঝালরের রূপালি ঔজ্জ্বল্য বিবর্ণ হওয়ায় মজিদের মনে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, তা বর্ণিত হয়েছে।
মজিদ বাইরে থেকে এসে কথিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারকে কেন্দ্র করে মহব্বতনগর গ্রামে আস্তানা গেড়েছে। এক রাতে মোমবাতির শুভ্র আলোয় গিলাফের রুপালি ঝালরের এক প্রান্তের সুতা খসে যাওয়ায় মজিদ বিচলিত হয় এবং মনে দুঃখ অনুভব করে, কারণ মাজারটিই তার একমাত্র শক্তি। তাই মহব্বতনগরে প্রভুর আসনে টিকে থাকতে হলে তাকে মাজারের চাকটিক্য বজায় রাখতে হবে।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ [অংংবংংসবহঃ]
এ অংশে সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক ও উপন্যাসের বহুনির্বাচনি মডেল টেস্ট সংযোজিত হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা এ অংশটির উত্তরপত্র তৈরি করে শ্রেণিশিক্ষককে দেখাতে পারে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ও দক্ষতা যাচাই হয়ে যাবে।
প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন ১. উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গ্রামের নাম রাধিকাপুর। অজ গ্রাম। এ গ্রামে একজন গোঁড়া মৌলভী খুব প্রভাবশালী। তাঁর কথমতো সবাই চলে। এখানে টিভি দেখা অন্যায়। এ গাঁয়ের একজন হিন্দু শিক্ষক একটি টিভি কিনেছেন। এলাকার মৌলভীর অনেক ছাত্রই এখন ঐ শিক্ষকের নিকট দল বেঁধে পড়তে আসে। মৌলভীর ধারণা, ঐ হিন্দু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের টিভি দেখতে দেন বলে তাঁর কাছে তাদের এত ভীড়। তাই একদিন মৌলভী সাহেব স্থানীয় মানুষজনদের সাথে নিয়ে গিয়ে টিভিটি ভেঙে দেন।
ক. কার ওপর আমাদের প্রগাঢ় ভরসা?
খ. খোদার দিকে তাদের (মহব্বতনরবাসী) নজর কম কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকের গোঁড়া মৌলভী’ আর ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ এর মনোভাবের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম।” মন্তব্যটি পর্যালোচনা কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. খোদার উপর আমাদের প্রগাঢ় ভরসা।
খ শিক্ষাদীক্ষা ও জ্ঞানবুদ্ধি বিবর্জিত হওয়ায় খোদার দিকে তাদের নজর কম।
মহব্বতনগর গ্রামবাসীরা জাহেল, বে এলেম, আনপড়াহ। জীবন ধারণের ক্ষেত্রে ধর্ম-কর্ম সম্পর্কে তাদের কেউ কোনো দিন বলেনি। খোদা ও তাঁর রসুল এবং দ্বীনে-এলেম তাদের কাছে অস্পষ্ট, অপরিচিত। মজিদ মহব্বতনগর গ্রামের লোকদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য ধর্মের আশ্রয়ে পাকা শিকারির মতো এমন মিথ্যাচার করে।
টিপস
গ. ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের চরিত্রে যে ধর্ম বিষয়ক নির্মমতা প্রকাশ পেয়েছে, উদ্দীপকের মৌলভীর চরিত্রে সেটার সাদৃশ্য রয়েছে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ধর্ম বিষয়ে উদ্দীপকের মৌলভী ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ যে আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে সে দিকটা আলোচনা কর।
প্রশ্ন ২. উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এক ব্যক্তি আপন ভ্রাতার এতিম সন্তানের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লোভ করেছে। সে যেদিন থেকে এই পিতৃ-মাতৃহীনদের সম্পত্তির কেশাগ্র নষ্ট করতে ইচ্ছে করেছে, সেদিন হতে তার জীবনের সমস্ত এবাদত, সমস্ত তীর্থযাত্রার পুণ্য, রোজা-নামাজ, পূজা-অর্চনা নষ্ট হয়েছে। হে অন্ধ, মানুষ ঠকাচ্ছ? আলাহকে কী করে ঠকাবে!
ক. দুদু মিঞার কয় ছেলে?
খ. ‘মানুষের দুনিয়া আর খোদার দুনিয়া আলাদা হয়ে গেছে।’ এ কথার তাৎপর্য কী?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘লালসালু’ উপন্যাসের ফুটে ওঠা দিকটি তুলে ধর।
ঘ. “উদ্দীপকের মানুষ ঠকানো ব্যক্তি আর ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের ভূমিকা অভিন্ন।” মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. দুদু মিঞার সাত ছেলে।
খ ভণ্ড ও লম্পট মজিদের নারী লোলুপতা স্পষ্ট করে তুলতেই ঔপন্যাসিক আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
রাতভর রহীমা এবং হাসুনির মা উঠানে ধান সিদ্ধ করে। ভোর রাতে মজিদ দেখে রাতের অন্ধকারকে ম্লান করে দিয়ে আগুনের শুভ্র আলো পড়ে হাসুনির মায়ের উন্মুক্ত গলা, কাঁধ আর বাহুতে। তার দেওয়া বেগুনি শাড়ি পরা হাসুনির মাকে দেখে উত্তেজনায় আকৃষ্ট হতে থাকে এবং বিছানায় শুয়ে আশপাশ করতে থাকে। ওপরে আকাশ আঁধারে ঘেরা, নিচে উঠান আগুনের শিখায় আলোকিত। খোদার দুনিয়ায় রয়েছে মনুষ্যত্ব আর মানুষের দনিয়ায় রয়েছে পশুত্ব।
টিপস
গ. লালসালু উপন্যাসের মজিদের চরিত্রে মানুষ ঠকানোর যে প্রবণতা, সেটাই উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্য-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে মানুষের চরিত্রে ঠকানোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছে। যার প্রতিফলন পাওয়া যায় ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রে- এ দিকটি বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন ৩. উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিংশ শতাব্দীর বুকে দাঁড়িয়ে এখনো যে সকল গ্রামে সভ্যতার আলো পৌঁছায়নি নোয়াখালীর হোসেনপুর তার একটি। এখানে মানুষ লড়ছে প্রকৃতির বিরুদ্ধে, সর্বনাশা নদীর বিরুদ্ধে। কখনো বা অন্ধকার আর অজ্ঞতার বিরুদ্ধে। ধর্মের প্রাচীর, সামাজিক প্রথার দেয়াল তাদের কাছে বেশ ভারী মনে হয়।
ক. মজিদ কার নির্দেশে মহব্বতনগর গ্রামে আসে?
খ. ধান ক্ষেতের তাজা রঙে হাসুনির মায়ের মনে পুলক জাগে কেন?
গ. উদ্দীপকটি কোন দিক থেকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটিই ‘লালসালু’ উপন্যাসের উপজীব্য” মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. মজিদ স্বপ্নে মোদাচ্ছের পিরের নির্দেশ পেয়ে মহব্বতনগর গ্রামে আসে।
খ যৌবনের প্রবল উদ্দামতায় বিধবা হাসুনির মার মনে ধান ক্ষেতের তাজা রঙে পুলক জাগে।
মানুষ স্বভাবতই ভোগবাদী। ভাত কাপড়ের অভাব আছে, তাই বলে যৌবন তাকে নাড়া দেবে না তা তো নয়। সেও রক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ। তাই বতোর দিনে বাড়ি বাড়ি কাজ করার সময় দূরে ধানক্ষেতের তাজা রঙ হাসুনির মায়ের মনে পুলক জাগায়। জীবনকে ভিন্নভাবে ভাবতে শেখায় এবং জীবনের রঙিন স্বপ্নগুলো পাখা মেলে ওড়ে তার সামনে।
টিপস
গ. উদ্দীপকের হোসেনপুর গ্রাম ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের প্রাচীন আবাসস্থল সামঞ্জস্যপূর্ণ-এটা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ ও মহব্বতনগর গ্রামকে ঘিরে যে সমাজ বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে, উদ্দীপকের হোসেনপুর গ্রামেও সে সমাজবাস্তবা বিদ্যমান-এ দিকটি আলোচনা কর।
প্রশ্ন ৪. উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শান্তিপুর গ্রামে পুরোহিত, মোলা, ঠাকুর, কবিরাজ, বৈদ্যের আনাগোনা খুব বেশি। পির-ফকিরেরা এখানে ধর্ম ব্যবসায় নেমেছে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই অজ্ঞ, অশিক্ষিত ও চেতনাহীন। হঠাৎ এ গ্রামে একজন আগন্তুক এলেন। তিনি মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হলেন যে, পুরুত- মৌলভীর অযৌক্তিক কথায় কান দেয়া অন্যায়। অচেনা লোকটির কথায় গ্রামটির মানুষেরা যেন শান্তির পরশ খুঁজে পেল।
ক. কখনো কখনো কে সারা দিন মানব জাতির জন্য দোয়া করে?
খ. ‘আপন হাতে সৃষ্ট মাজারের পাশে বসে দুনিয়ার অনেক কিছুতে তার বিশ্বাস হয় না।’ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের তুলনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের আগন্তুকের মতো লোক মহব্বতনগর গ্রামে এলে গ্রামবাসীরা মজিদের অশান্তি থেকে মুক্তি পেত।” মন্তব্যটি পর্যালোচনা কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. কখনো কখনো রহীমা সারা দিন মানব জাতির জন্য দোয়া করে।
খ মজিদ নিজে যতই ভণ্ড প্রতারক হোক না কেন, সে তার আসল চেহারা সম্পর্কে অবগত বলেই অনেক কিছুতেই তার বিশ্বাস হয় না।
হৃত সর্বস্ব মজিদ মহব্বতনগরে এসে নিজের ভাগ্যকে বদলাতে সমর্থ হয়। মাজার ব্যবসায় তার ঘরবাড়ি, জোতজমি, মান-সম্মান ও খ্যাতি সবই সে অত্যন্ত সুকৌশলে অর্জন করে। কিন্তু সে নিজে বোঝে- এ সবই তার লোক ঠকনো ব্যবসা মাত্র। তাই আওয়ালপুরে পিরের আগমনে ভীত হয়ে পড়ে এবং তার নিজের মাজার সম্পর্কেও তার বিশ্বাস নেই। তার নিজের সৃষ্টির প্রতি নিজেরই যদি আস্থা না থাকে তবে অন্যেরা কতটুকু আস্থা রাখবে- এই তার ভয়।
টিপস
গ. ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ ও উদ্দীপকের আগন্তুক সম্পূর্ণ বিপরীত মানসিকতার অধিকারী এ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আগন্তুক মানুষের জন্য শান্তি কয়ে এনেছে। ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদও যদি মানবতার পক্ষে কাজ করতো, তবে মহব্বতনগরে কোনো অশান্তি থাকত না- এ দিকটি আলোচনা কর।
প্রশ্ন ৫. উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
লোক- দেখানো নামাজে কখনও প্রার্থনা হয় না। পৃথিবীতে আলাহর সত্তা জীবন্ত করে রাখবার জন্যেই এই প্রকাশ্য সামাজিক অনুষ্ঠান। প্রার্থনা যা, তা একান্ত আন্তরিক হবে, তা হবে আত্মার স্বতঃউৎসারিত ভাব। দীর্ঘ পঞ্চাশ, ত্রিশ, বিশ ও চৌদ্দবার উঠা-বসা না করে সংক্ষিপ্তভাবে শুধু ফরয নামাযটুকু পালন করে সামাজিক প্রার্থনার মর্যাদা রাখলেই যথেষ্ট হয়।
ক. কে নামাজ পড়তে গিয়ে জায়নামাজে ঘুমিয়ে যায়?
খ. খালেক ব্যাপারী মসজিদ নির্মাণে কেন বারো আনা খরচ বহন করতে চায়?
গ. উদ্দীপকের মূল বক্তব্য কোন দিক দিয়ে ‘লালসালু’ উপন্যাসের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? বর্ণনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের লেখকের চিন্তা- চেতনাই প্রতিফলিত হয়েছে।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. জমিলা নামাজ পড়তে গিয়ে জায়নামাজে ঘুমিয়ে যায়।
খ আমেনাকে তালাক দেবার পর অশান্ত খালেক ব্যাপারী পরকালের সওয়াবের আশায় মসজিদের বারো আনা খরচ বহন করতে চায়।
খালেক ব্যাপারী মহব্বতনগরের মাতবর এবং সবচেয়ে ধনী লোক। মজিদের ক‚টকৌশলের জালে আটকে সে তার স্ত্রী আমেনাকে তালাক দেবার পর মনে মনে নিজেকে অপরাধী ভাবে। তার মনটা বড় অশান্তিতে আছে, সংসারেও তার বিরাগ এসেছে। তাই সে ধর্ম কর্মে মন দেবার জন্য মসজিদ নির্মাণের বারো আনা খরচ একাই বহন করতে চায়।
টিপস
গ. ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদ জমিলার সাথে নামাজের জন্য যে ব্যবহার করে, উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে তা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘লালসালু’ উপন্যাসে ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে ঔপন্যাসিক যে সত্যকে নিরূপণ করতে চেয়েছেন, উদ্দীপকে তা সরলভাবে আলোচিত হয়েছে এ দিকটা বিশ্লেষণ কর।
বহুনির্বাচনি মডেল টেস্ট
১ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের কত তারিখে সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১৫ আগস্ট খ ১৫ অক্টোবার
গ ১০ নভেম্বর ঘ ১০ নভেম্বর
২ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১৯১৮ খ ১৯২০ গ ১৯২২ ঘ ১৯২৪
৩ ফরাসি বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল কত সালে?
ক ১৭৭৮ সালে খ ১৭৮১ সালে
গ ১৭৮৯ সালে ঘ ১৭৯৩ সালে
৪ ‘লালসালু’ উপন্যাসে ‘রোগা লোক, বয়সের ধারে যেন চোয়াল দুটো উজ্জ্বল, চোখ বুজে আছে।’Ñকে?
ক খালেক ব্যাপারী খ রেহান আলী
গ মজিদ ঘ কালুমতি
৫ মজিদ কোন দৃষ্টিতে ধানকাটা দেখে?
ক সাবধানী দৃষ্টিতে খ শ্যেন দৃষ্টিতে
গ কৌত‚হলী দৃষ্টিতে ঘ প্রসন্ন দৃষ্টিতে
৬ কীসের প্রতি মানুষের অবহেলা নেই?
ক কবর খ লালসালু
গ জমি ঘ আত্মীয়-স্বজন
৭ ‘লালসালু’ উপন্যাসে সাত ছেলের কতজন দুদু মিঞার সঙ্গে মজিদের কাছে এসেছিল?
ক একজন খ দুইজন গ তিনজন ঘ চারজন
৮ ঝড়ে হাসুনির মা কী খুঁজে পায় না?
ক ছাগল খ মুরগি গ হাসুনিকে ঘ গরুটাকে
৯ লড়াই করে প্রত্যাবর্তন করার সময় কে নবীর দলচ্যুত হন?
ক খাদিজা খ আয়েশা গ জমিলা ঘ রহীমা
১০ মানুষের স্মরণে বহুদিন জাগ্রত হয়ে থাকে কোনটি?
ক ভালো কাজ খ অন্যায় কর্ম
গ অপরাধের ঘটনা ঘ বিচার ব্যবস্থা
১১ রহিমার দেহভরা কীসের গন্ধ?
ক ঘামের খ ফুলের গ ধানের ঘ সাপের
১২ আমেনার আনন্দ আর সুখের নিশানা কী?
ক থোতামুখের তালগাছ খ তেঁতুল গাছ
গ মাজার ঘ বড় নদী
১৩ মজিদ শঙ্কিত হয়ে ওঠে কখন?
ক যখন কবর জেয়ারতকারীরা তাকে নানা প্রশ্ন করে
খ যখন হাসুনির মাকে কুপ্রস্তাব দিতে চায়
গ যখন জাঁদরেল পিররা আশে-পাশে এসে আস্তানা গাড়ে
ঘ যখন বিচারের নামে মানুষকে অমানবিক শাস্তি দেয়
১৪ ‘নির্মীলিত’ শব্দের অর্থ হলোÑ
ক চোখ বুজা খ দৃষ্টি
গ দিল ঘ খোলা
১৫ সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র গদ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলোÑ
র. মননশীলতা
রর. ভাষার নিটোল গাঁথুনি
ররর. অঞ্চলপ্রীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬ রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের পরবর্তী সময়ের প্রধান ঔপন্যাসিক হলেনÑ
র. বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
রর. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
ররর. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭ গ্রামের লোকেরা যা চেনে তা হলোÑ
র. খোদা
রর. জমি
ররর. ধান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮ দু-বেলা খেয়ে বাঁচবার জন্যে মজিদ যে খেলা খেলতে যাচ্ছে তাকে সে সাংঘাতিক বলার কারণ হলোÑ
র. যদি গ্রামবাসীরা মজিদকে ভালোভাবে গ্রহণ না করে
রর. মজিদের মনের সন্দেহ এবং ভয়
ররর. লালসালু ঘেরা কবরের প্রতি গ্রামবাসীদের সমর্থন দেয়া না দেয়া নিয়ে সংশয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৯ ও ২০ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
দীর্ঘদিন শহরের বিদ্যালয়ে পাঠ শেষে বাড়িতে ফিরে আসে সুশীল। জেঠামশাই গোঁড়া ব্রাহ্মণ। তিনি সুশীলের কণ্ঠে তুলসী মালা না দেখে রেগে যান। হিন্দুর ছেলে ইংরেজি শিখে সাহেব হবে কিন্তু বামুন হবে নাÑতা জেঠু মেনে নিতে পারেন না।
১৯ উদ্দীপকে জেঠামশাইয়ের মানসিকতা ‘লালসালু’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক আক্কাস খ মজিদ
গ মোদাব্বের মিঞা ঘ খালেক ব্যাপারী
২০ এরূপ সাদৃশ্য হলোÑ
র. গোঁড়ামীতে
রর. ক‚পমণ্ডুকতায়
ররর. অনুন্নতমানসিকতায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
উত্তরমালা ১ ক ২ গ ৩ গ ৪ গ ৫ খ ৬ গ ৭ ক ৮ খ ৯ খ ১০ গ
১১ গ ১২ ক ১৩ গ ১৪ ক ১৫ ক ১৬ ঘ ১৭ গ ১৮ ঘ ১৯ গ ২০ ঘ