টেলিমেডিসিন কী?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এক্সপার্ট সিস্টেম বুঝিয়ে লেখ।

প্রশ্ন ১5 নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্ন উত্তর দাও :
গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলফা-এর বিজ্ঞানীগণ রোগাক্রান্ত কোষে সরাসরি ওষুধ প্রয়োগ করার জন্য আণবিক মাত্রার একটি যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করছেন। ব্রেইনের অভ্যন্তরের গঠন ও কোষ পর্যবেক্ষণের জন্য তারা একটি সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরি করেন।
ক. টেলিমেডিসিন কী?
খ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এক্সপার্ট সিস্টেম বুঝিয়ে লেখ।
গ. বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যন্ত্র তৈরির প্রযুক্তিটি খাদ্যশিল্পে কি ধরনের প্রভাব রাখে? বিশ্লেষণ কর।
[ ১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ]
ক. টেলিমেডিসিন কী?
তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে কোন ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থিত রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার ব্যবস্থা হলো টেলিমেডিসিন। এক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য টেলিফোন, ইন্টারনেট, ভিডিও কনফারেন্সিং প্রভৃতি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
খ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এক্সপার্ট সিস্টেম-বুঝিয়ে লেখ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলে মানুষের চিন্তাভাবনাগুলোকে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রের মধ্যে রূপ দেয়ার ব্যবস্থা। প্রকৃতপক্ষে এক্সপার্ট সিস্টেম হল একটি প্যাকেজ সফটওয়্যার যা সুসংগঠিত তথ্য ব্যবহার করে কম্পিউটারকে কোন বিষয়ে দক্ষ বা বিশেষজ্ঞ করে তােলে। এটি এমন একধরনের সিদ্ধান্ত সমর্থন পদ্ধতি যা নির্দিষ্ট বিষয়ে মানুষের ন্যায় কৃত্রিম দক্ষতা নিয়ে তৈরি। ব্যবহারকারীরা এ সিস্টেম থেকে প্রশ্ন করে উত্তর জানতে পারেন। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একটি সুনির্দিষ্ট ভাবে অনুধাবন করা যায় যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এক্সপার্ট সিস্টেম ও বটে।
গ. বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উদ্দীপকে বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী এই পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণ অনুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা, অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। বাস্তবের ন্যায় অভিজ্ঞতা অর্জনের অনুভূতি সৃষ্টির জন্য এক্ষেত্রে মাথায়, চোখে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে নানা যন্ত্রপাতি পরিধান বা সংযুক্ত করতে হয়- যেগুলো ব্যবহারকারীর শারীরিক অনুভূতি, উত্তেজনা প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তাকে কৃত্রিমভাবে তৈরি বাস্তব জগতের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। উদ্দীপক অনুসারে জীবিত প্রাণীর ব্রেইনের গঠন ও কোষ পর্যবেক্ষণের বিষয়টি নানাবিধ জটিলতা এবং প্রতিবন্ধকতার কারণে পুরোপুরি সফলভাবে করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। তার পরিবর্তে জিওমেট্রি ইফেক্টৰ অ্যাপ্লিকেশন ও সিমুলেটর ব্যবহার করে ব্রেইনের কোষ ও অভ্যন্তরীণ গঠন পুরপুরি বাস্তবের ন্যায় কৃত্রিম উপায়ে সিমুলেটেড করা হলে বিজ্ঞানীদের জন্য গবেষণাটি যথেষ্ট কার্যকর হবে। সুতরাং তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি অবশ্যই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যন্ত্র তৈরির প্রযুক্তিটি খাদ্যশিল্পে কি ধরনের প্রভাব রাখে? বিশ্লেষণ কর।
উদ্দীপকে উল্লিখিত যন্ত্র তৈরির প্রযুক্তিটি হলে ন্যানো টেকনোলজি। খাদ্যশিল্পে খাদ্য উৎপাদন, প্যাকেজিং এবং সংরক্ষণের বিভিন্ন ধাপে বর্তমানে ন্যানোটেকনোলজির ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। নিচে খাদ্য শিল্পে ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলচনা করা হল। খাদ্য উপাদানের রং, টেক্সার এবং স্বাদ বৃদ্ধি ও খাদ্য শিল্পে এখন ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে ন্যানো স্কেলে খাদ্য উপাদান উৎপাদন করা হচ্ছে যা খাদ্যের রং, টেলর ও স্বাদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ন্যানােপার্টিকেলগুলাের মধ্যে টিটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড (০২), অ্যামােরফাস সিলিকা প্রভৃতি খাদ্য সংযোজন ও প্রলেপ দেয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। খাদ্য প্যাকেজিং : সিলভার ন্যানো পার্টিকেল সমৃদ্ধ প্লাস্টিকের মোড়ক দ্বারা খাদ্যদ্রব্য প্যাকেজিং করা হলে তা খাদ্যের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে মুক্ত রাখে। এগুলতে ন্যানােপার্টিকেল জিংক অক্সাইড (ZnO) ও ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড (MgO) ব্যবহৃত হয় বিধায় এর অভ্যন্তরে থাকা শুকনাে খাদ্যদ্রব্যসমূহ দীর্ঘদিন টাটকা ও মচমচে থাকতে পারে। ' খাদ্য সংরক্ষণ : খাদ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনের সময় ন্যানােপার্টিকেলের এন্টিমাইক্রোবায়াল উপাদানসমূহ খাদ্যকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাদ্যকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখতে রেফ্রিজারেটরের মূল উপকরণের সাথে ১০ ভাগ ন্যানােপার্টিকেল মেশান হয়। এতে করে খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে রােধ করা যায়। ন্যানসেন্সর : বর্তমানে নতুন ধরনের ফুড প্যাকেজিং-এর জন্য ব্যবহৃত হবে এমন ন্যানসেন্সর উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া চালান হচ্ছে। প্যাকেট করা খাদ্যদ্রব্য থেকে গ্যাস বের হয়ে এসে খাবারকে নষ্ট করে ফেললে এই ন্যান সেন্সরগুল স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্যাকেটের রং পরিবর্তন করে ফেলবে যাতে করে ক্রেতা সাবধান হতে পারে। নতুন ধরনের প্লাস্টিকের ফ্লিম তৈরির চেষ্টা চালান হচ্ছে যার প্যাকেজিং-এ সিলিকেট ন্যানােপার্টিকেল ব্যবহার করা হয় যা প্যাকেটের অক্সিজেনের প্রবাহ প্রতিরােধ করে প্যাকেটের ভেতরের ময়েশ্চার বাইরে আসতে বাধা দেয়।

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]