অ্যাকচুয়েটর (Actuator) কী?
ই-কমার্স ব্যবসা বাণিজ্যকে সহজ করেছে- ব্যাখ্যা কর।

মাদ্রাসা বোর্ড-২০১৮ |
প্রশ্ন ৩ ড. মিজান একজন আবহাওয়াবিদ। তিনি ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করেন। ভূমিকম্পে বাংলাদেশের মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিভাবে কমানো সম্ভব তা নিয়ে তার গবেষণা। এ গবেষণায় তিনি নিজের ল্যাবে বসে ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলো গবেষকদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় পর্যবেক্ষণ করতে তিনি জাপানের একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত গবেষণা কেন্দ্রে গমন করেন।
ক, অ্যাকচুয়েটর (Actuator) কী?
খ. ই-কমার্স ব্যবসা বাণিজ্যকে সহজ করেছে- ব্যাখ্যা কর।
গ. ড. মিজান কিভাবে অন্যান্য গবেষকদের সাথে যোগাযোগ করেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় নির্ধারণে ড. মিজান কোন প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে জাপানে গেলেন? বিশ্লেষণ কর।

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর |
ক, অ্যাকচুয়েটর (Actuator) কী?
একচুয়েটর (Actuator) হলো এমন এক ধরনের মোটর যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘোরানো বা যান্ত্রিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
খ. ই-কমার্স ব্যবসা বাণিজ্যকে সহজ করেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য করার পদ্ধতি হলো ই কমার্স। এ পদ্ধতিতে কোন পণ্য অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়, অর্ডার নেয়া ও সরবরাহ করা হয় এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা হলো পণ্যটির বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তা ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করে দেয়। বাজারে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পণ্য কেনা যেমন ক্রেতার কাছে একটি ঝঞাটের ব্যাপার তেমনি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সেটআপে পণ্য বিক্রয়ের ব্যাপারটিতে বিক্রেতাকে বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক সুযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে। এছাড়াও রাস্তাঘাটে চুরি, ছিনতাই, যানজট সহ আরো নানা রকম বিড়ম্বনা সম্ভাবনা থাকতে পারে। কিন্তু অনলাইন শপিং-এর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন ঝুঁকির সম্ভাবনা নেই। তাই ই-কমার্স মাধ্যমে ব্যবসা অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠেছে।
গ. ড. মিজান কিভাবে অন্যান্য গবেষকদের সাথে যোগাযোগ করেন? ব্যাখ্যা কর।
উদ্দীপকে ড: মিজান নিজের ল্যাবে বসে ভূমিকম্প প্রবণ : দেশগুলোর গবেষকদের সাথে যোগাযোগ রাখেন বিধায় তিনি অবশ্যই তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন যা যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট, ই-মেইল প্রভৃতির মাধ্যমে এই যোগাযোগ করেন।
ইন্টারনেট হলো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। অন্যদিকে ই-মেইল হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক উপায়ে দ্রুত গতিতে ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি সংযুক্তি সহ যেকোনো তথ্য মেইল বা চিঠি আকারে আদান-প্রদানের ব্যবস্থা। ইন্টারনেটের দ্বারা প্রয়োজনে। সারা বিশ্বের যে কোন শহরে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা এবং ই মেইল ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। এক্ষেত্রে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের লক্ষ লক্ষ শহরে যে কম্পিউটার গুলো রয়েছে সেগুলো সবই ইন্টারনেটের ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু ইন্টারনেট ও ই-মেইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কেউ ঘরে বসে যে কোন ব্যক্তির সাথে যে কোন সময় তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে পারে এবং ইমেইলের মাধ্যমে যেকোনো ডকুমেন্ট ছবি, ভিডিও প্রভূতি আদান প্রদান করতে পারে, সুতরাং এক্ষেত্রে ও: মিজান সহজেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে নিজের ল্যাবে বসে পৃথিবীর যে কোন স্থানে থাকা গবেষকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ঘ. ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় নির্ধারণে ড, মিজান কোন প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে জাপানে গেলেন? বিশ্লেষণ কর।
ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাস্তব অনুভূতি, করণীয় বিষয় কেবল সত্যিকার ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগের সময় অনুধাবন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি এমন কোনাে সিমুলেশন তৈরি সম্ভব হয় যা অবিকল ভূমিকম্পের মতাে বাস্তব কিন্তু নিরাপদ অনুভূতি ও ফলাফল জনিত কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করবে। যেহেতু ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে এরকম যে কোনাে পরিবেশের বাস্তব প্রতিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা সম্ভব হয় তাই ড: মিজান নিঃসন্দেহে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে জাপানে গিয়েছিলেন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে, সে সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণ অনুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। একই কারণে ভার্চুয়াল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় নির্ধারণ বিষয়টি অনেক বেশি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত করে তােলা যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সেন্সর ব্যবহার করে সিমুলেশনের সাহায্যে ভুমিকম্পের সময় সৃষ্ট শারীরিক অনুভূতিটি প্রদান করা সম্ভব। অন্যদিকে ত্রিমাত্রিক ডিজাইন এর প্রয়গ ঘটিয়ে ভূমিকম্পের পরের পরিবেশটিও নিখুঁতভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে। যেহেতু ডঃ মিজান ভূমিকম্প ঝুঁকি ও তা থেকে উত্তরণের উপায় বিষয়ে গবেষণা করেন সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট একেবারে বাস্তবের ন্যায় এমন কৃত্রিম পরিবেশ তাঁকে করণীয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে সক্ষম হবে। |

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]