সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর | ক. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলে মানুষের চিন্তাভাবনাগুলোকে কৃত্রিম উপায়ে
কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রের মধ্যে রূপ দেয়ার ব্যবস্থা। খ. আচরণের মাধ্যমে ব্যক্তি শনাক্তকরণের পদ্ধতি বুঝিয়ে লেখ।
আচরণের মাধ্যমে ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি হলে বায়োমেট্রিক, যার মাধ্যমে কোনাে ব্যক্তির আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করা হয়। প্রত্যেক ব্যক্তির আচরণিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। তাই বায়োমেট্রিক্সে ব্যক্তি শনাক্তকরণে আচরণিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তিতে মানুষের কন্ঠের ধ্বনি, হাতের দস্তখত প্রভৃতি ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে তা পূর্ব থেকে রক্ষিত কণ্ঠস্বর বা দস্তখতের সাথে মিলিয়ে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য মানুষের আচরণগত বৈশিষ্ট্যের বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি হলো ৩টি যথাঃ কণ্ঠস্বর, সিগনেচার ও টাইপিং স্ট্রোক। , ডাঃ নিলয়ের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উদ্দীপকের হাসানের জ্ঞানার্জনের চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে অত্যধিক ঠাণ্ডা প্রয়োগ করে অস্বাভাবিক টিস্যু ধ্বংস করার পদ্ধতি, যেখানে তরল নাইট্রোজেন বা আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে এটি ক্যান্সার অথবা ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থায় চিকিৎসা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে, ক্রায়োপ্রোব দিয়ে আক্রান্ত কোষ বা টিস্যুতে তরল নাইট্রোজেন, আর্গন বা অন্যান্য ক্রায়োজেনিক এজেন্ট পৃথকভাবে প্রবেশ করিয়ে-৪১° তাপমাত্রায় আক্রান্ত কোষ বা টিস্যু কে ধ্বংস করা হয়। এর সবচাইতে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এতে শল্য চিকিৎসার মতাে কাটা-ছেড়া করা তথা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে না।
উদ্দীপক অনুসারে যেহেতু হাসান অস্ত্রোপচার ছাড়াই কোনাে শ চিকিৎসার বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছে তা হাসানের জ্ঞানাজন
চিকিৎসা পদ্ধতি নিঃসন্দেহে ক্রায়োসার্জারি। ঘ, ড নিলয়ের অপারেশনের অভিজ্ঞতা লাভের পরিবেশের প্রভাব
বিশ্লেষণ কর। উদ্দীপকের ডঃ নিলয়ের অপারেশনের অভিজ্ঞতা লাভের পরিবেশের প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণ অনুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা, অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। উদ্দীপকে উল্লিখিত ডাঃ নিলয়ের সিমুলেটেড অপারেশন ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি বর্তমানে প্রাত্যহিক জীবনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। একদিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অনেকগুলো ইতিবাচক প্রভাব প্রাত্যহিক জীবনে পরিলক্ষিত হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কার ড্রাইভিং ও বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়া, সামরিক বাহিনীতে শত্রুর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়া, ডাক্তারদের উন্নত প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব। অন্যদিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ব্যবহারে স্বাস্থ্যগত সমস্যা, কাল্পনিক জগতে অতিরিক্ত অবস্থানের কারণে মানসিক সমস্যা তথা বাস্তব থেকে দূরে সরে যাওয়া, মনুষ্যত্বহীনতা প্রভৃতি। তবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে এর নেতিবাচক প্রভাবগুলাে দূর করে সহজেই এই প্রযুক্তিকে প্রাত্যহিক জীবনে ইতিবাচক সেবার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।