রোবটিক্স হলাে প্রকৌশল বিভাগের একটি শাখা

খি সট রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বোের্ড-২০১৮ ] দিন on “” সাহেব একজন বড় ব্যবসায়ী। তার অফিসের কর্মচারীদের একটি সুইচে হাতের ছাপ দিয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হয় এবং কারখানায় প্রবেশ করার জন্য শ্রমিকরা মনিটরের দিকে তাকানোর পর দরজা খুলে যায়। “se" সাহেব এর কপালে টিউমার অপারেশন করতে গেলে ডা, সাহেব কোনাে রক্তপাত ছাড়াই একাত বিশেষ পদ্ধতিতে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় টিউমার অপারেশন করে দেন।
ক, রোবটিক্স কী? য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের আলোকে “S” সাহেবের টিউমার অপারেশনে কোন | প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের “S" সাহেবের অফিসের উপস্থিতি নিশ্চিত ও কারখানা
প্রবেশের প্রক্রিয়া দ্বয়ের মধ্যে কোনটি বহুল ব্যবহৃত?

[ ২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ] ক. রোবটিক্স কী?
রোবটিক্স হলাে প্রকৌশল বিভাগের একটি শাখা, যেখানে রোবট সম্পর্কিত ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে
গবেষণা করা হয়। খ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাখ্যা কর।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলে মানুষের চিন্তাভাবনাগুলোকে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রের মধ্যে রূপ দেয়ার ব্যবস্থা। এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে কম্পিউটারের চিন্তাভাবনাগুলো মানুষের মতো হয় এবং যন্ত্রের মধ্যে যৌক্তিক চিন্তা, জ্ঞান, পরিকল্পনা, শিক্ষণ, যােগাযােগ, উপলব্ধি এবং চলাচল করার সামর্থ্য সংযোজিত হয়। প্রােগ্রামিং ভাষা LISP, PROLOG, C/C++ ইত্যাদি
ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা হয়। গ. উদ্দীপকের আলোকে “s” সাহেবের টিউমার অপারেশনে কোন
প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকের "5" সাহেবের টিউমার অপারেশনে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলাে ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে অত্যধিক ঠান্ডা প্রয়োগ করে অস্বাভাবিক টিস্যু ধ্বংস করার পদ্ধতি, যেখানে তরল নাইট্রোজেন বা আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে এটি ক্যান্সার অথবা ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ক্রায়োপ্রোব দিয়ে আক্রান্ত কোষ বা টিস্যু তরল নাইট্রোজেন, আর্গন বা অন্যান্য ক্রায়োজেনিক এজেন্ট পৃথকভাবে প্রবেশ করিয়ে ৪১ তাপমাত্রায় আক্রান্ত কোষ বা টিস্যু কে ধ্বংস করা হয়। এর সবচাইতে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এতে শল্য চিকিৎসার মতাে কাটা-ছেড়া করা তথা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে না। ফলে এর মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন করা সম্ভব। উদ্দীপক অনুসারে “s” সাহেবের টিউমার অপারেশনে ব্যবহৃত
চিকিৎসা পদ্ধতি নিঃসন্দেহে ক্রায়োসার্জারি। ঘ. উদ্দীপকের “s” সাহেবের অফিসের উপস্থিতি নিশ্চিত ও কারখানায়
প্রবেশের প্রক্রিয়া দ্বয়ের মধ্যে কোনটি বহুল ব্যবহৃত? উদ্দীপকে উল্লিখিত “s” সাহেবের অফিসের উপস্থিতি নিশ্চিত ও কারখানায় প্রবেশ উভয় প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হলেও এদের মধ্যে পদ্ধতিগত ও আচরণিক বৈশিষ্ট্য শনাক্তকরণে পার্থক্য রয়েছে। উদ্দীপকে দেখা যায় যে, “IS” সাহেবের অফিসের কর্মচারীদের একটি সুইচে হাতের ছাপ দিয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হয় এবং কারখানায় প্রবেশ করার জন্য শ্রমিকরা মনিটরের দিকে তাকানোর পর দরজা খুলে যায়। এক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ ও তাকিয়ে থাকা তথা চোখের আইরিশ ও রেটিনা বায়োমেট্রিক্স অন্যতম দুটি উপাদান। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান বায়োমেট্রিক্স সিস্টেমের কোনাে ব্যক্তির সংরক্ষিত নির্দিষ্ট ডেটার সাথে তাৎক্ষণিক ইনপুটকৃত একই বায়োমেট্রিক ডেটা (ঐ ব্যক্তির আঙুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ ও রেটিনা) ম্যাচিং বা মেলানোর মাধ্যমে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়। সুতরাং উদ্দীপকের “S” সাহেবের অফিসের দরজার বায়ােমেট্রিক্স প্রযুক্তিতে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে এবং তার কারখানার দরজায় আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যানের মাধ্যমে প্রবেশ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।

তবে উভয় ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ডেটা গ্রহণকারী ডিভাইসের মধ্যে প্রথমটির দাম সস্তা, সহজলভ্য ও ব্যবহার সহজ। এছাড়াও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক পদ্ধতি দু'একটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ব্যক্তি শনাক্তকরণে সহজ ও দ্রুততার সাথে শতভাগ সফলতা প্রদান করতে সক্ষম। আবার এ পদ্ধতিতে শারীরিক কোনো ঝুঁকি নেই। অন্যদিকে আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এতে প্রচুর মেমোরি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি চোখের জন্য ক্ষাণিকটা ক্ষতিকর ও বটে। উপরিউক্ত বিশ্লেষণে বলা যায় এ দুই বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মধ্যে আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অধিকতর কার্যকর ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।
| মাদ্রাসা বোর্ড-২০১৮ | প্রশ্ন ১০ ড. মিজান একজন আবহাওয়াবিদ। তিনি ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করেন। ভূমিকম্পে বাংলাদেশের মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিভাবে কমানো সম্ভব তা নিয়ে তার গবেষণা। এ গবেষণায় তিনি নিজের ল্যাবে বসে ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলো গবেষকদের সাথে যােগাযােগ রাখেন। ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় পর্যবেক্ষণ করতে তিনি জাপানের একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত গবেষণা কেন্দ্রে গমন করেন।
ক, অ্যাকচুয়েটর (Actuator) কী? খ. ই-কমার্স ব্যবসা বাণিজ্যকে সহজ করেছে- ব্যাখ্যা কর। ২ গ. ড. মিজান কিভাবে অন্যান্য গবেষকদের সাথে যোগাযোগ
করেন? ব্যাখ্যা কর। ঘ. ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় নির্ধারণে ড. মিজান কোন প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে জাপানে গেলেন? বিশ্লেষণ কর। ৪
| ৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর | ক, অ্যাকচুয়েটর (Actuator) কী?
একচুয়েটর (Actuator) হলো এমন এক ধরনের মোটর যা
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘোরানো বা যান্ত্রিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। খ. ই-কমার্স ব্যবসা বাণিজ্যকে সহজ করেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য করার পদ্ধতি হলো ই কমার্স। এ পদ্ধতিতে কোনাে পণ্য অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়, অর্ডার নেয়া ও সরবরাহ করা হয় এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা হলো পণ্যটির বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তা ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করে দেয়। বাজারে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পণ্য কেনা যেমন ক্রেতার কাছে একটি ঝঞাটের ব্যাপার তেমনি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সেটআপে পণ্য বিক্রয়ের ব্যাপারটিতে বিক্রেতাকে বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক সুযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে। এছাড়াও রাস্তাঘাটে চুরি, ছিনতাই, যানজট সহ আরো নানা রকম বিড়ম্বনা সম্ভাবনা থাকতে পারে। কিন্তু অনলাইন শপিং-এর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন ঝুঁকির সম্ভাবনা নেই। তাই ই-কমার্স মাধ্যমে
ব্যবসা অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠেছে। গ. ড. মিজান কিভাবে অন্যান্য গবেষকদের সাথে যােগাযােগ করেন?
ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকে ড: মিজান নিজের ল্যাবে বসে ভূমিকম্পপ্রবণ : দেশগুলোর গবেষকদের সাথে যােগাযােগ রাখেন বিধায় তিনি অবশ্যই তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন যােগাযােগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট, ই-মেইল প্রভৃতির মাধ্যমে এই যোগাযোগ করেন।

ইন্টারনেট হলো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। অন্যদিকে ই-মেইল হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক উপায়ে দ্রুত গতিতে ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি সংযুক্তি সহ যেকোনো তথ্য মেইল বা চিঠি আকারে আদান-প্রদানের ব্যবস্থা। ইন্টারনেটের দ্বারা প্রয়োজনে। সারা বিশ্বের যে কোনাে শহরে তাৎক্ষণিক যােগাযােগ করা এবং ই মেইল ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। এক্ষেত্রে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের লক্ষ লক্ষ শহরে যে কম্পিউটার গুলো রয়েছে সেগুলো সবই ইন্টারনেটের ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু ইন্টারনেট ও ই-মেইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কেউ ঘরে বসে যে কোনাে ব্যক্তির সাথে যে কোনাে সময় তাৎক্ষণিকভাবে যােগাযােগ করতে পারে এবং ইমেইলের মাধ্যমে যেকোনো ডকুমেন্ট ছবি, ভিডিও প্রভূতি আদান প্রদান করতে পারে, সুতরাং এক্ষেত্রে ও: মিজান সহজেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে নিজের ল্যাবে বসে পৃথিবীর যে কোনাে স্থানে থাকা গবেষকদের সাথে
যােগাযােগ করতে পারেন। ঘ. ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় নির্ধারণে ড, মিজান কোন
প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে জাপানে গেলেন? বিশ্লেষণ কর। ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাস্তব অনুভূতি, করণীয় বিষয় কেবল সত্যিকার ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগের সময় অনুধাবন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি এমন কোনাে সিমুলেশন তৈরি সম্ভব হয় যা অবিকল ভূমিকম্পের মতাে বাস্তব কিন্তু নিরাপদ অনুভূতি ও ফলাফল জনিত কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করবে। যেহেতু ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে এরকম যে কোনাে পরিবেশের বাস্তব প্রতিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা সম্ভব হয় তাই ড: মিজান নিঃসন্দেহে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে জাপানে গিয়েছিলেন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে, সে সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণ অনুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। একই কারণে ভার্চুয়াল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমিকম্পের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় নির্ধারণ বিষয়টি অনেক বেশি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত করে তােলা যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সেন্সর ব্যবহার করে সিমুলেশনের সাহায্যে ভুমিকম্পের সময় সৃষ্ট শারীরিক অনুভূতিটি প্রদান করা সম্ভব। অন্যদিকে ত্রিমাত্রিক ডিজাইন এর প্রয়ােগ ঘটিয়ে ভূমিকম্পের পরের পরিবেশটিও নিখুঁতভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে। যেহেতু ডঃ মিজান ভূমিকম্প ঝুঁকি ও তা থেকে উত্তরণের উপায় বিষয়ে গবেষণা করেন সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট একেবারে বাস্তবের ন্যায় এমন কৃত্রিম পরিবেশ তাঁকে করণীয়
সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে সক্ষম হবে। | প্রশ্ন ০৮ সেনাপ্রধান সিদ্ধান্ত নিলেন যে, সৈনিকদের প্রযুক্তিনির্ভর পরিবেশে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে সৈনিকগণ প্রকৃত যুদ্ধের অভিজ্ঞতা লাভ করে। তিনি খাদ্য সরবরাহ ইউনিটকে যুদ্ধের ময়দানে দীর্ঘদিন সতেজ ও মচমচে থাকে এমন পদ্ধতিতে শুকনো খাবার সরবরাহ করার নির্দেশ দিলেন।
ক, হ্যান্ড জিওমিট্রি কী? খ, প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটলেও অপরাধ প্রবণতা রোধ করা সম্ভব
হয়নি- ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের যুদ্ধের ময়দানে খাবার সরবরাহের প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ, সৈনিকদের প্রশিক্ষণের প্রযুক্তিটি কার্যকর ও যুক্তিযুক্ত কেন?
মতামত দাও।

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]