অণুজীব ও রোগজীবাণু কী তা বল পোল্ট্রিতে রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর শ্রেণিবিন্যাস কর

অণুজীব (
যেসব ক্ষুদ্র জীব অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া খালি চোখে দেখা যায় না তাদেরকে
অণুজীব বলে। যেমন− ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, মাইকোপ−জমা, রিকেটশিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, ভাইরাস, যেসব ক্ষদ্র জীব অণুবীক্ষ ু ণ যন্ত্রের প্রোটোজোয়া ইত্যাদি। সাহায্য ছাড়া খালি চোখে দেখা যায় না তাদেরকে অণুজীব বলে।
রোগজীবাণু
অণুজীবের মধ্যে কোনো কোনোটি রোগ সৃষ্টি করে। আবার কোনো কোনোটি পশু বা পাখিদেহে
অবস্থান করলেও কোনো প্রকার রোগ সৃষ্টি করে না। যেসব অণুজীব দেহে রোগ সৃষ্টি করে তাদেরকে
রোগজীবাণু বলে। এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণুর শ্রেণিবিন্যাস দেখানো হলো এবং এগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
ব্যাকটেরিয়া এক ধরনের অতি ক্ষুদ্র এককোষিয় অণুবীক্ষণিক জীবাণু। এদের কোষপ্রাচীর থাকলেও
কোনো নিউক্লিও পর্দা নেই। রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া টক্সিন (ঞড়ীরহ) বা বিষ তৈরি করে। ফলে
আক্রান্ত পাখিতে রোগলক্ষণ দেখা যায়। ব্যাকটেরিয়ার আয়তন ০.৪ হতে ১.৫ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আমরা খালি চোখে ১০০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ক্ষুদ্র বস্তু সাধারণত দেখি না।
নিম্নলিখিতভাবে ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণিবিন্যাস করা যায়। যেমন−
কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল ৫
পোল্ট্রির রোগ ও প্রতিরোধ
১. গ্রাম স্টেইনের প্রতিক্রিয়ার ওপর− গ্রাম স্টেইনে (এৎধস’ং ঝঃধরহ) প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে
ব্যাকটেরিয়াকে গ্রাম পজেটিভ ও গ্রাম নেগেটিভ এ দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন− স্ট্রেপটোকক্কাস গ্রাম পজেটিভ ও ঊংপযবৎরপযরধ পড়ষর গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া।
গ্রাম স্টেইনে প্রতিক্রিয়া,
অক্সিজেনের উপস্থিতি বা
অনুপস্থিতিতে বংশবৃদ্ধি, আকারআকৃতি প্রভৃতির ওপর ভিত্তি
করে সাধারণভাবে ব্যাকটেরিয়ার
শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। ২. অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ওপর− অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে বংশবৃদ্ধি
করতে পারার ওপর এদেরকে সবাত বা অ্যারোবিক ) এবং অবাত বা অ্যানেরোবিক
এ দু’শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন− গণের ব্যাকটেরিয়াগুলো
অ্যারোবিক এবং (ক্লসট্রিডিয়াম বটুলিনাম) ও অন্যান্য ঈ
ব্যাকটেরিয়াগুলো অ্যানেরোবিক।
৩. আকার-আকৃতির ওপর− আকার-আকৃতির ওপর ভিত্তি করে ব্যাকটেরিয়াকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ
করা যায়। যথা−
ক. কক্কাস বা কক্কাই () ঃ এরা দেখতে প্রায় গোলাকার। এরা একাকি, জোড়ায়
জোড়ায় অর্থাৎ ডিপে−া), চেইন আকারে অর্থাৎ স্ট্রেপটোকক্কাই
এবং অনিয়মিত গুচ্ছকারে বা স্টেফাইলোকক্কাই (হিসেবে থাকতে পারে (চিত্র ১ ক
দেখুন)। যেমন− (স্ট্রেপটোকক্কাস পায়োজেনিস), (স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস) ইত্যাদি।
ডিপে−াকক্কাই স্ট্রেপটোকক্কাই স্টেফাইলোকক্কাই
চিত্র ১ (ক) ঃ বিভিন্ন ধরনের কক্কাই ব্যাকটেরিয়া
খ. ব্যসিলাস বা ব্যাসিলাই ঃ দন্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ব্যাসিলাস
(একবচনে) বা ব্যাসিলাই (বহুবচনে) বলে। যেমন− ইত্যাদি। পোল্ট্রি উৎপাদনে রোগব্যাধির গুরুত্ব
এ আদিকোষি জীবাণুটি এককোষি বা বহুকোষি হতে পারে। এককোষি ছত্রাকগুলোকে ঈস্ট (ণবধংঃ)
বলে। আর বহুকোষি ছত্রাকগুলোকে বলে মোল্ড (গড়ঁষফ)। মোল্ডের কোষগুলো সূ² সূত্রের ন্যায়
ফিলামেন্টের সাহায্যে শাখাপ্রশাখা সৃষ্টি করে। প্রতিটি সূত্র হাইফা (ঐুঢ়যধ) নামে
পরিচিত। একসাথে অনেকগুলো হাইফা মিলে ছত্রাক দেহ বা মাইসেলিয়াম গঠন করে।
প্রতিটি হাইফা আয়তনে ২−১০ মাইক্রোমিটার হতে পারে। ছত্রাকের মধ্যে অংঢ়বৎমরষষঁং ভঁসরমধঃঁং
(অ্যাসপারজিলাস ফিউমিগেটাস),ভধাঁং (অ্যাসপারজিলাস ফ্যাভাস) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। ছত্রাক এক বা বহুকোষি হতে পারে। এককোষি ছত্রাকগুলোকে ঈস্ট, আর বহুকোষিগুলোকে মোল্ড বলে। হাইফা আরথোস্পোর ্র
মাইকোপ−জমা
মাইকোপ−াজমা আয়তনে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মাঝামাঝি। এদের আয়তন ০.১৫−১.০
মাইক্রোমিটার হতে পারে। এ জীবাণুর বৈশিষ্ট্য হলো এদের কোনো কোষপ্রাচীর নেই। তাই এদের
বিরুদ্ধে পেনিসিলিন কার্যকরী নয়। তবে, কোষপ্রাচীর না থাকলেও এরা তিন স্তরের প−াজমা পর্দা দিয়ে
আবৃত থাকে।(মাইকোপ−াজমা গ্যালিসেপ্টিকাম), (মাইকোপ−াজমা সাইনোভি) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ মাইকোপ−জমা জীবাণু।
মাইকোপ−াজমা আয়তনে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের
মাঝামাঝি। এদের কোনো
কোষপ্রাচীর নেই।
কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল ৭
পোল্ট্রির রোগ ও প্রতিরোধ
ক্ল্যামাইডিয়া
ক্ল্যামাইডিয়া দেখতে গোলাকৃতির। পূর্বে এদেরকে ভাইরাস মনে করা হতো। এ অতিক্ষুদ্র জীবাণুটি
কোষের মধ্যে ( বিস্তারলাভ করে। যেমন− (ক্ল্যামাইডিয়া সিটাসি)।
ক্ল্যামাইডিয়া গোলাকৃতির। এরা
কোষের মধ্যে বিস্তারলাভ করে।
রিকেটশিয়া
এরাও এক ধরনের অতি ক্ষুদ্র জীবাণু যারা কোষের মধ্যে বিস্তারলাভ করে। এক সময় এদেরকে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মধ্যবর্তী বলে বিবেচনা করা হতো। তবে, বর্তমানে এগুলোকে
ব্যাকটেরিয়ার অধীনে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। তথাপি এরা ব্যাকটেরিয়া থেকেও কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির।
যেমন− (রিকেটশিয়া রিকেটশি), (কক্সিয়েলা বারনেটি) ইত্যাদি।
পূর্বে রিকেটশিয়াকে ব্যাকটেরিয়া
ও ভাইরাসের মধ্যবর্তী বলে
বিবেচনা করা হতো।
ভাইরাস
ভাইরাস আমিষ ও নিউক্লিক অ্যাসিড সমম্বয়ে গঠিত এক ধরনের অতি অণুবীক্ষণিক
বস্তু যা শুধু উপযুক্ত পোষকের দেহের ভিতরে বংশবৃদ্ধি করতে
সক্ষম। এদের আয়তন মাত্র ০.০১−০.০৩ মাইক্রোমিটার। সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ০.২
মাইক্রোমিটারের থেকে ছোট বস্তু দেখা যায় না। তাই ভাইরাস শণাক্তকরণের জন্য ইলেকট্রন
অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়। পাখির বিভিন্ন ভাইরাসের মধ্যে
রাণীক্ষেত রোগ ভাইরাস, মারেক’স ডিজিজ ভাইরাস, ইনফেকশাস বারসাল ডিজিজ ভাইরাস, ডাক পে−গ ভাইরাস ইত্যাদি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাস আমিষ ও নিউকিক ¬
অ্যাসিড সমম্বয়ে গঠিত অতি
অণুবীক্ষণিক বস্তু যা উপযুক্ত
পোষকের দেহের ভিতরে
বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম।
প্যারামিক্সোভাইরাস পক্সভাইরাস
হারপেসভাইরাস অ্যাডেনোভাইরাস রিওভাইরাস
পোল্ট্রি উৎপাদনে রোগব্যাধির গুরুত্ব
প্রোটোজোয়া
এরা এককোষি জীব। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া এদেরকে দেখা না গেলেও সাধারণত অণুজীব
হিসেবে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক প্রভৃতির সঙ্গে শ্রেণিবিন্যাস না করে বরং এদেরকে পরজীবীর
(চধৎধংরঃব) সঙ্গে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। পোল্ট্রির বিভিন্ন প্রোটোজোয়ার মধ্যে ককসিডিয়া,
হিস্টোমোনাস, ট্রাইকোমোনাস ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোটোজোয়া এককোষি জীব
হলেও এদেরকে পরজীবীর
সঙ্গেই শ্রেণিবিন্যাস করা হয়।
ককসিডিয়া হিস্টোমোনাস ট্রাইকোমোনাস
রোগজীবাণুর বিস্তার
রোগজীবাণুর উৎস ও বিস্তার সম্পর্কে সঠিক ও পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকলে সহজেই যে কোনো জীবাণুঘটি,
পরজীবীঘটিত বা অন্যান্য রোগ দমন ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কাজেই পোল্ট্রি খামার ও গ্রাম বা অন্যান্য
পোল্ট্রি পালন এলাকায় রোগ নিয়ন্ত্রণে রোগের উৎস ও বিস্তার জানা একান্ত জরুরি। এখানে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পোল্ট্রির রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগের উৎস ও বিস্তার জানা একান্ত জরুরি।
বিভিন্ন জীবাণ ও পরজীবী পোল্টি ু ্রতে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো পোল্ট্রিতে বিভিন্নভাবে প্রবেশ করতে পারে। যেমন−
বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। যেমন−
বাহক পোল্ট্রি; ডিম; অন্যান্য
পশুপাখি; ইঁদুর, ইঁদুরজাতীয় প্রাণী
ও টিকটিকি; কীটপতঙ্গ; বাতাস;
খাদ্য ও পানি; লিটার; বিভিন্ন
যন্ত্রপাতি; খাদ্য ও পানির পাত্র;
বিভিন্ন প্রজাতি ও বয়সের পোল্ট্রি
একত্রে পালন; সর্বোপরি মানুষের মাধ্যমে।
ক্স বাহক পোল্ট্রির মাধ্যমে ঃ রোগ থেকে সেরে ওঠা পোল্ট্রি অনেক সময় বহুদিন পর্যন্ত সে রোগের
জীবাণু বহন করে বেড়ায়। আবার অনেক পোল্ট্রি স্বাভাবিকভাবেও রোগের জীবাণু বহন করতে
পারে। এ ধরনের পোল্ট্রি খাদ্য, পানি ও পরিবেশ দুষিত করে সুস্থ পোল্ট্রিতে রোগজীবাণু ছড়ায়।
তাছাড়া এসব বাহক পোল্ট্রি এক খামার থেকে অন্য খামারে বা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়
স্থানান্তরের মাধ্যমেও রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। বাহক পোল্ট্রির মাধ্যমে সাধারণত পুলোরাম,
ফাউল টাইফয়েড, ককসিডিওসিস, হিস্টোমোনিয়াসিস ইত্যাদি রোগ ছড়াতে পারে।
ক্স ডিমের মাধ্যমে ঃ কোনো কোনো রোগজীবাণু বাহক বা আক্রান্ত পোল্ট্রির ডিমের ভিতর প্রবেশ
করতে পারে। তাছাড়া এসব জীবাণু কলুষিত মাটি থেকেও ডিমের ভিতর প্রবেশ করতে পারে।
এসব জীবাণুযুক্ত ডিম বাচ্চা ফোটানোর কাজে ব্যবহার করলে ডিমের ভিতরেই বাচ্চার মৃত্যু
ঘটে। যেসব বাচ্চা ফুটে বের হয় সেগুলোও বাঁচে না। ডিমের মাধ্যমে পুলোরাম, ফাউল
টাইফয়েড, মাইকোপ−াজমোসিস, মারেক’স প্রভৃতি রোগের জীবাণু বিস্তারলাভ করতে পারে।
ক্স অন্যান্য পশুপাখির মাধ্যমে ঃ সঠিকভাবে মৃত পোল্ট্রি সৎকার না করে যত্রতত্র ফেললে বিভিন্ন
পশুপাখি, যেমন− কাক, চিল, শকুন, কুকুর, শিয়াল প্রভৃতি এসব মৃত পোল্ট্রি ভক্ষণ করে একস্থান
থেকে অন্যস্থানে রোগজীবাণু ছড়ায়। তাছাড়া রোগাক্রান্ত বা বাহক বন্য পশুপাখি খামার বা
পোল্ট্রি পালন এলাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা করলে বা প্রবেশ করলেও বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে।
ক্স ইঁদুর, ইঁদুরজাতীয় প্রাণী ও টিকটিকির মাধ্যমে ঃ এসব প্রাণীর মাধ্যমে সহজেই খামারের এক
ঘর থেকে অন্য ঘরে বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। যেমন−(সালমোনেলা) জীবাণু।
কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল ৯
পোল্ট্রির রোগ ও প্রতিরোধ
ক্স কীটপতঙ্গের মাধ্যমে ঃ বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ, যেমন− মশা, মাছি, ফ্লি, আটালি ইত্যাদির
মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ পোল্ট্রিতে ছড়াতে পারে। যেমন− বসন্ত, মারেক’স, পাইরোপ−াজমোসিস,
লিউকোসাইটোজোনিয়াসিস ইত্যাদি।
ক্স বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাধ্যমে ঃ এভাবে বহু রোগের জীবাণু পোল্ট্রিতে ছড়াতে পারে।
যেমন− রাণীক্ষেত, গামবোরো, মারেক’স ইত্যাদি।
ক্স খাদ্য ও পানির মাধ্যমে ঃ রোগজীবাণু স্নারা খাদ্য ও পানি দুষিত হলে সে খাদ্য ও পানির
মাধ্যমে পোল্ট্রিতে রোগ ছড়াতে পারে। যেমন− ঝধষসড়হবষষধ জীবাণু। আবার খাদ্য ছত্রাক স্নারা
দুষিত হলেও পোল্ট্রি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেমন− অ্যাসপারজিলোসিস,
মাইকোটক্সিকোসিস ইত্যাদি।
ক্স পোল্ট্রির লিটারের মাধ্যমে ঃ রোগজীবাণু স্নারা লিটার দুষিত হলে সে লিটারে পালিত পোল্ট্রিও
রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেমন− রাণীক্ষেত, গামবোরো, ককসিডিওসিস ইত্যাদি রোগের
জীবাণু লিটারের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
ক্স পোল্ট্রি খামারে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, খাদ্য ও পানির পাত্রের মাধ্যমে ঃ এসবের মাধ্যমে
পোল্ট্রিতে বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়াতে পারে।
ক্স বিভিন্ন প্রজাতির পোল্ট্রি একত্রে পালন করলে ঃ বিভিন্ন প্রজাতির পোল্ট্রি একত্রে পালন করা
উচিত নয়। কারণ, এতে এক প্রজাতির পোল্ট্রির রোগজীবাণু অন্য প্রজাতির পোল্ট্রিকে আক্রান্ত
করতে পারে। যেমন− মুরগির হিস্টোমোনিয়াসিস রোগ এভাবে টার্কিতে প্রবেশ করতে পারে।
ক্স বিভিন্ন বয়সের পোল্ট্রি একত্রে পালনের মাধ্যমে ঃ বিভিন্ন বয়সের পোল্ট্রি একত্রে পালন করলে
সহজেই বয়স্ক বাহক পোল্ট্রি থেকে বাচ্চায় রোগজীবাণু ছড়ায়। যেমন− ঝধষসড়হবষষধ ও
ঊরসবৎরধ প্রজাতির জীবাণু বা পরজীবী সহজেই এভাবে বাচ্চা মুরগিতে ছড়ায়।
ক্স মানুষের মাধ্যমে ঃ পোল্ট্রিতে রোগজীবাণু ছড়ানোর জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষও কম
দায়ী নয়। খামারের শ্রমিক, কর্মচারী বা দর্শণার্থীর জামা, জুতো পভৃতির সাথে রোগ ্র জীবাণু লেগে
থাকলে কাজ করার সময় বা পরিদর্শনকালে অসাবধানতাবশত এ রোগজীবাণুগুলো খামারের পোল্ট্রিতে ছড়াতে পারে।
অনুশীলন (অপঃরারঃু) ঃ পোল্ট্রির বিভিন্ন রোগজীবাণু বা রোগের নাম ও বিস্তারের মাধ্যম ছক
আকারে লিখুন।
সারমর্ম ঃ পোল্ট্রিকে আক্রান্তকারী রোগজীবাণু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন− ব্যাকটেরিয়া,
ছত্রাক, মাইকোপ−াজমা, রিকেটশিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি। এরা আকার, আকৃতি ও গঠনে একেক রকম
হয়ে থাকে। এসব জীবাণুর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া অন্যতম। ব্যাকটেরিয়াকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা
যায়। যেমন− গ্রাম স্টেইনে প্রতিক্রিয়া, অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে বংশবিস্তার, আকারআকৃতি প্রভৃতির ওপর। আকার-আকৃতির ওপর ভিত্তি করে ব্যাকটেরিয়া গোলাকার, দন্ডাকৃতি, কমা,
স্ক্রু বা হিটারের কয়েলের ন্যায় প্যাঁচানো প্রভৃতি ধরনের হতে পারে। আবার ছত্রাক হতে পারে এক বা
বহুকোষি। প্রোটেজোয়া এককোষি এবং অণুবীক্ষণিক হলেও এদেরকে সাধারণত পরজীবী হিসেবে
শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ও পরজীবী পোল্ট্রিতে বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে।
যেমন− বাহক পোল্ট্রি; ডিম; অন্যান্য পশুপাখি; ইঁদুর, ইঁদুরজাতীয় প্রাণী ও টিকটিকি; কীটপতঙ্গ;
বাতাস; খাদ্য ও পানি; লিটার; বিভিন্ন যন্ত্রপাতি; খাদ্য ও পানির পাত্র; বিভিন্ন প্রজাতি ও বয়সের
পোল্ট্রি একত্রে পালন; সর্বোপরি মানুষের মাধ্যমে।
" পাঠোত্তর মূল্যায়ন ১.২ ১। সঠিক উত্তরে পাশে টিক চিহ্ন (৩) দিন। ক. গোলাকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে কী বলে? র) কক্কাস রর) ব্যাসিলাস ররর) ভিব্রিওস রা) লেপ্টোস্পাইরা খ. রিকেটশিয়াকে কার অধীনে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়? র) ভাইরাস রর) প্রোটোজোয়া ররর) মাইকোপ−জমা রা) ব্যাকটেরিয়া ২। সত্য হলে ‘স’ এবং মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন। ক. এককোষি ছত্রাকগুলোকে ঈস্ট বলে। খ. ক্ল্যামাইডিয়া এক প্রজাতির ভাইরাস। ৩। শূন্যস্থান পূরণ করুন। ক. ভাইরাস থথথথথথথথ বস্তু যা শুধু উপযুক্ত পোষকের দেহে বংশবৃদ্ধি করে। খ. পুলোরাম রোগের জীবাণু থথথথথ মাধ্যমে ছড়াতে পারে। ৪। এক কথা বা বাক্যে উত্তর দিন। ক. যেসব ব্যাকটেরিয়া চেইন আকারে থাকে তাদেরকে কী বলে? খ. কীটপতঙ্গের মাধ্যমে কোন্ কোন্ রোগ ছড়াতে পারে?

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]