পোল্ট্রির বিভিন্ন রোগব্যাধির নাম পোল্ট্রির রোগব্যাধির ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা

পোল্ট্রির রোগব্যাধি প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা এ কথাটি সর্বজনবিধিত যে, চিকিৎসা অপেক্ষা প্রতিরোধই শ্রেয়। রোগব্যাধি হলে নিরাময়ের জন্য অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে। কিন্তু যদি রোগ হওয়ার আগেই এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় যাতে রোগই না হয়, অর্থাৎ যদি আগে থেকেই রোগ প্রতিরোধ করা যায়, তবে চিকিৎসার কোনো দরকারই পড়বে না। পোল্ট্রি শিল্পে রোগব্যাধি চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের ওপরই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। কারণ, এ অধিক উৎপাদনশীল ছোট্র প্রাণীগুলোর রোগ সারানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করলে অনেকক্ষেত্রেই এরা রোগ থেকে সেরে ওঠে সত্য, কিš ‘ে রাগসংক্রান্ত পীড়নের ফলে এরপর এদের থেকে আর কাঙ্খিত উৎপাদন পাওয়া যায় না। তাছাড়া ভাইরাসঘটিত রোগের জন্য তো এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসাই আবিষ্কৃত হয় নি। পোল্ট্রির রোগব্যাধি প্রতিরোধে খামারী বা পোল্ট্রি পালনকারীর বেশ কিছু করণীয় কাজ আছে। এ কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারলেই পোল্ট্রি খামার রোগমক্ত থাকবে। ু কাঙ্খিত উৎপাদন পাওয়া যাবে এবং খামারী তথা দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। এ কথাটি সর্বজনবিধিত যে, চিকিৎসা অপেক্ষা প্রতিরোধই শ্রেয়। পোল্ট্রির রোগব্যাধি প্রতিরোধে করণীয় পোল্ট্রি খামার তা ছোট হোক বা বড় হোক এবং মুরগি, হাঁস বা কোয়েল যে কোনো প্রজাতির জন্যই হোক না কেন খামারে রোগব্যাধি প্রতিরোধের জন্য কতকগুলো নিয়ম রয়েছে। এগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা প্রত্যেক খামারীর একান্ত কর্তব্য। তবেই খামার হবে রোগমুক্ত। খামারে রোগব্যাধি প্রতিরোধের বেশকিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়। তবে, এগুলোর মধ্যে কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন− খামারের ভৌগলিক অবস্থান, জীব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা, খামারের স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থাপনা, মানুষের মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা, টিকাদান কর্মসূচি ইত্যাদি। খামারে রোগব্যাধি প্রতিরোধের নিয়মকানুনগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা প্রত্যেক খামারীর একান্ত কর্তব্য। জীব-নিরাপত্তা বর্তমান বিশ্বে পোল্ট্রি শিল্পে ‘জীব-নিরাপত্তা’ বা ইরড়-ংবপঁৎরঃু কথাটি বেশি করে আলোচিত হচ্ছে। রোগ এবং রোগজীবাণুর হাত থেকে পোল্ট্রি রক্ষা করার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও কার্যপ্রণালি আছে তাদের সবগুলোর সমম্বয়কে একত্রে ‘জীব-নিরাপত্তা’ বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। অথাৎ বিভিন্নর্ রোগজীবাণুর হাত থেকে পোল্ট্রির জীবন রক্ষা করা বা নিরাপত্তাবিধান করা। তবে, যদিও ‘জীব-নিরাপত্তা’ কথাটি পোল্ট্রি উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে তথাপি এ সম্পর্কে অনেক খামারির মধ্যেই বিভ্রান্তির অন্ত নেই। অনেকে মনে করেন হয়তো পোল্ট্রি হাউজের প্রবেশপথ জীবাণনাশু ক দিয়ে বা এজাতীয় কিছু টুকটাক ব্যবস্থার মাধ্যমেই পোল্ট্রির ‘জীব-নিরাপত্তা’ বিধান করা যাবে। কিন্ত প্রকতপক্ষে এটি ঠিক নয়। আ ৃ সলে জীব-নিরাপত্তা হচ্ছে সফল পোল্ট্রি উৎপাদনের জন্য এমন একটি পূর্ণাঙ্গ বিধিব্যবস্থা যার সাহায্যে পোল্ট্রিকে বিভিন্ন রোগজীবাণুর কবল থেকে রক্ষা করা যাবে। রোগ ও রোগজীবাণুর হাত থেকে পোল্ট্রিকে রক্ষা করার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও কার্যপ্রণালি রয়েছে তাদের সমম্বয়কে একত্রে ‘জীব-নিরাপত্তা’ বলে অভিহিত করা হয়। রোগপতিরোধের চাবিকাঠি ্র নিম্নে আলোচিত বিষয়গুলোকে পোল্ট্রির রোগপ্রতিরোধের চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন− ক্স পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি এবং অন্য কোনো পোল্ট্রি বা পশুপাখির খামার থেকে যতটা সম্ভব দূরে খামার স্থাপন। ক্স আরামদায়ক তাপমাত্রা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নয়ন, যেমন− আপেক্ষিক আর্দ্রতা, বিশুদ্ধ বাতাস ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। ক্স সুষম খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা। লক্ষণীয় বিষয় হলো এ খাদ্য ও পানি যেন পোল্ট্রির স্বাস্থ্য ও দৈহিক বৃদ্ধিতে বাধাদানকারী উৎপাদকমুক্ত থাকে। ক্স কার্যকর নিরোধন ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাছাড়া খামারের প্রবেশপথে চেক পয়েন্টের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এতে করে খামারে কোনো জীবজন্তু বা মানুষের প্রবেশ ও বের হয়ে যাওয়ার ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে। খামারে কার্যকর নিরোধন ব্যবস্থা থাকতে হবে। ক্স খামারের ভৌগলিক অবস্থান ও আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে পরিবেশ উপযোগী ঘর তৈরি করতে হবে। ক্স ইঁদুর ও অন্যান্য ইঁদুরজাতীয় প্রাণী, কীটপতঙ্গ এবং অন্যান্য পশুপাখির উপদ্রব থেকে খামারকে মুক্ত রাখতে হবে। ক্স খামারে ‘সব-ভিতরে-সব-বাইরে’ পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ খামারের কোনো ঘরে একটি ব্যাচ ঢোকানোর পরে তা বিক্রি না করা পর্যন্ত সে ঘরে আর কোনো নতুন ব্যাচ ঢোকানো যাবে না। তবে বাস্তবক্ষেত্রে এটি সম্ভব না হলে যত কম রাখা যায় ততই ভালো। খামারে ‘সব-ভিতরে-সববাইরে‘ পদ্ধতি মেনে চলতে ক্স কার্যকর টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। টিকাদান কমসূচি অবশ্যই খামার্ র ও তার আশপাশের এলাকায় রোগের প্রাদুর্ভাব এবং ঐ এলাকায় প্রাপ্ত জীবাণুর সেরোটাইপের (ঝবৎড়ঃুঢ়ব) ওপর নির্ভর করে করতে হবে। ক্স মৃত পোল্ট্রি ও পোল্ট্রি বর্জের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে খামারের পরিবেশ জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। এছাড়াও খামারের অন্যান্য বর্জ্য, যেমন− খালি কার্টন, বাক্স, বোতল, টিকা বা ওষুধের খালি শিশি ইত্যাদি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপযুক্ত স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে। ক্স খামারে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যপ্রদ পরিবেশের সৃষ্টি করতে হবে। যেমন− পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ধৌতকরণ, স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধন, ফিউমিগেশন ব্যব¯া’ ইত্যাদির মাধ্যমে পোল্টি হ্র াউজের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি খামারের সঙ্গে সংশি−ষ্ট সকল কর্মচারি ও কর্তাব্যক্তিকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত হয়ে থাকতে হবে। খামারে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যপ্রদ পরিবেশের সৃষ্টি করতে হবে। ক্স খামারে পেশাগতভাবে যোগ্য ও দক্ষ লোক নিয়োগ করতে হবে। যে কোনো প্রকার হাতুড়ে লোক খামারের লোকসানের জন্য যথেষ্ট। ক্স ‘জীব-নিরাপত্তা’ সম্পর্কে সঠিক ও পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। এ বারটি উপাদানের সবকয়টি একই সঙ্গে সঠিকভাবে যদি মেনে চলা না যায় তবে যে কোনো পোল্ট্রি খামারীর মহৎ উদ্যোগই ভেস্তে যাবে। যে কোনো ‘জীব-নিরাপত্তা’ কর্মসূচির সার্থকতা নির্ভর করে নির্দিষ্ট পরিস্থিতি ও সময়ের মধ্যে সেটা সমাধা করার ওপর। আর তা করতে হলে খামারের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাছাড়া এ সম্পর্কে সকলের পর্যাপ্ত জ্ঞানও থাকতে হবে। কোনো জীব-নিরাপত্তা কার্যক্রমে, যেমন− হ্যাচারি বা ব্রæডিং এর জন্য এক ধরনের মানদন্ড আর গ্রোয়িং হাউস বা লেয়িং হাউজের জন্য অন্য এক ধরনের মানদন্ড থাকলে চলবে না। সবক্ষেত্রেই সনির্দিষ্ট মানদ ু ন্ড থাকতে হবে। যে কোনো জীব-নিরাপত্তা কর্মসূচির সার্থকতা নির্ভর করে নির্দিষ্ট পরিস্থিতি ও সময়ের মধ্যে সেটা সমাধা করার ওপর। জীব-নিরাপত্তা বিষয়টি যেহেতু পোল্ট্রি খামার ব্যবস্থাপনা ও এর সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তিকে একত্রে নির্দেশ করে সেহেত মানুষ জীব-নিরা ু পত্তা কার্যক্রমের একটি প্রধান অংশ। যেহেতু পোল্ট্রি পালনের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তির সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত হওয়ার ওপর জীবাণুঘটিত রোগ হওয়া বহুলাংশে নির্ভর করে সেহেতু পোল্ট্রি খামারের আশেপাশে যারা অবস্থান করবে তাদের সকলকেই সমানভাবে স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মানুষের মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ানো রোধের উপায় মানুষের মাধ্যমে যাতে পোল্ট্রিতে রোগজীবাণু ছড়াতে না পারে সেজন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন− ক্স অপ্রয়োজনে যে কোনো দর্শনার্থীকে খামারের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেয়া। ক্স যেসব দর্শনার্থী অনুমতি সাপেক্ষে খামারে পবেশ করবে তাদে ্র র পত্যেকে ্র র রেকর্ড রাখতে হবে। যেমন− তাদের পেশা কী, কেন এবং কখন তারা খামারে পবেশ ক ্র রেছিল, তারা ঠিকভাবে জীবাণুমক্ত ু হয়েছিল কি−না ইত্যাদি। ক্স এমন একটি পবেশ প ্র ক্রিয়ার প ্র বর্তন কর ্র তে হবে যার সারা œ ময়লা এবং পরিষ্কার এলাকা সঠিকভাবে পার্থক্য করা যাবে। অর্থাৎ ময়লা এবং পরিষ্কার এলাকার মধ্যে ডিভাইডার (উরারফবৎ) থাকবে যাতে যে কেউ বুঝতে পারে পরিষ্কার এলাকায় যেতে হলে নিজেকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত হতে হবে। এমন একটি প্রবেশ প্রক্রিয়ার প্রবর্তন করতে হবে যার স্নারা ময়লা এবং পরিষ্কার এলাকা সঠিকভাবে পার্থক্য করা যাবে। ক্স যে কোনো বড় খামারের ক্ষেত্রেই গাড়ি পার্কিংয়ের এলাকা, দর্শনণার্থী কক্ষ ইত্যাদিকে ময়লা এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। গাড়ির ডাইভার এব ্র ং গাড়ি দটোই ময়লা হিে ু সবে বিবেচিত হবে। কাজেই পোল্ট্রিসামগ্রী বহনকারী গাড়ি, ড্রাইভার এবং পোল্ট্রিম্যানকে পরিষ্কার এলাকাতে ঢকতে হ ু লে অবশ্যই সঠিকভাবে জীবাণমুক্ত হতে ু হবে। ক্স দর্শনর্থীর মধ্যে যারা পোল্ট্রি খামারের পরিষ্কার এলাকায় প্রবেশ করবে তাদেরকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত হতে হবে। আর পোল্ট্রি হাউজে যেসব পোল্ট্রিম্যান কাজ করতে ঢুকবে তারা অবশ্যই রাবারের জুতো, বিশেষ ধরনের জামা ও মাথায় বিশেষ ধরনের টুপি পরে ঢুকবে। তাছাড়া প্রত্যেকটি হাউজের দরজার সামনে জীবাণনাশক ওষুধ ু থাকবে যা তাদেরকে মাড়িয়ে যেতে হবে। ছোটখাট খামারে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পোল্ট্রিতে রোগজীবাণু প্রবেশ করতে পারে। যেমন− খাদ্য ও পানির পাত্র, ডিম সংগ্রহের যন্ত্র, পোল্ট্রি বর্জ সংগ্রহের যন্ত্র এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি রোগ ছড়ানোর মাধ্যম হওয়ার কারণে এগুলোকে ব্যবহারের পূর্বে ও পরে সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করে ভিতরে ঢোকাতে হবে। আর এগুলোর নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর নীতি অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া খামারের এক ঘরের যন্ত্রপাতি অন্য ঘরে নেয়ার মাধ্যমেও রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। সেকারণেই সম্ভব হলে প্রত্যেক ঘরের জন্য আলাদা আলাদা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা উচিত। খামারে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পোল্ট্রিতে রোগজীবাণু প্রবেশ করতে পারে। খামারের নিজস্ব পোল্ট্রি বাদে আশেপাশের এলাকার যে কোনো পোল্ট্রি, পোষা পাখি বা প্রাণী এবং বন্যজন্তু রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভমিকা রা ‚ খে। কাজেই এগুলোকে খামারের ত্রিসীমানায় প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। খামারে অবস্থানরত অনেক কর্মচারিই ব্যক্তিগতভাবে মুরগি বা অন্যান্য পশুপাখি পুষে থাকেন। এগুলো অবশ্যই রোধ করতে হবে। আর এটি করার উৎকৃষ্ট পথ হলো তাদেরকে সস্তায় ডিম ও মাংস সরবরাহ করা। বন্যজন্তু এবং ইঁদুর যেহেতু পোল্ট্রিতে রোগজীবাণু ছড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভ‚মিকা রাখে তাই ঘরের দরজা, জানালা, ভেন্টিলেটর ইত্যাদিতে চিকন তারজালির স্ক্রীন লাগিয়ে হাউসে এদের প্রবেশ রোধ করা যায়। তবে, খাদ্য এবং লিটার গুদাম এদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা বেশ কষ্টকর। খামারে ইদুরের উ ঁ পদব ্র কমাতে হলে খাদ্যগুদাম সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তাছাড়া পোল্ট্রির ঘরে ব্যবহৃত খাদ্যের উচ্ছিষ্টাংশ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। যেখানে সেখানে খাদ্যের উচ্ছিটাংশ ফেললে বা পোল্ট্রি খামারের আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার না রাখলে সহজেই ইঁদুর সেখানে বাসা তৈরি করবে, বাচ্চা দেবে, উৎপাত করবে এবং রোগজীবাণ ছড়া ু বে। কাজেই পড়িয়ে বা অন্য কে ু ানো উৎকষ্ট ও নিরাপ ৃ দ পদ্ধতিতে সৎকার করতে হবে। তাছাড়া কম্পোস্ট বা পিট পদ্ধতির মাধ্যমেও এগুলো থেকে উৎকৃষ্টমানের সার তৈরি করা যায়। খামারে ইঁদুরের উপদ্রব কমাতে হলে খাদ্যগুদাম সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা সঠিক স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারের সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত। খামারে স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা রক্ষা করতে হলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্য পালনীয়− সঠিক স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারের সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত। ক্স পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি এবং আশেপাশে অন্য কোনো পোল্ট্রি বা পশুপাখির খামার না থাকলেই ভালো। ক্স আরামদায়ক তাপমাত্রা ও অন্যান্য পারিপার্শি¦ক অবস্থার উন্নয়ন, যেমন− আপেক্ষিক আর্দ্রতা, বিশুদ্ধ বাতাস ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। ক্স খামারে বিভিন্ন প্রজাতির পোল্ট্রি পালন না করা। ক্স বিভিন্ন বয়সের পোল্ট্রি রোগবিহীন, স্বাস্থ্যবান বংশ এবং বিশুদ্ধ খামার থেকে সংগ্রহ করা। ক্স রোগাক্রান্ত ও স্বাস্থ্যহীন পোল্ট্রি সুস্থ পাখিদের থেকে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি পৃথক করে ফেলা। বিভিন্ন বয়সের পোল্ট্রি রোগবিহীন, স্বাস্থ্যবান বংশ এবং বিশুদ্ধ খামার থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ক্স ডিম ফোটানোর পূর্বে সঠিকভাবে ফিউমিগেশনের মাধ্যমে তা জীবাণুমুক্ত করা। ক্স খামার থেকে কোনো একটি ব্যাচ বিক্রি করার পর বা ঘর থেকে স্থানান্তর করার পর সেখানে আরেকটি ব্যাচ প্রবেশ করানোর পূর্বে অবশ্যই ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এরপর পরবর্তী ব্যাচ প্রবেশ করানোর পূর্বে ঘর কিছদিন খালি অবস্থায় ফেলে রাখা উচিত। তাছাড়া ু খামারের অন্যান্য ঘরদোর, জিনিসপত্র, সরঞ্জামও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি খামারের সঙ্গে সংশি−ষ্ট সকলকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত হয়ে থাকতে হবে। ক্স ইঁদুর ও ইঁদুরজাতীয় প্রাণী বা রডেন্ট কীটপতঙ্গ ও অন্যান্য পশুপাখির উপদব থেকে ্র খামার মুক্ত রাখতে হবে। এসব প্রাণী খাদ্য নষ্ট করা, খাদ্যে রোগজীবাণুর দুষণ ঘটানো ছাড়াও বিভিন্ন রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। সে কারণে খামারে ইঁদুরের উপস্থিতি জেনে নিয়ে এদের দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইঁদুরের উৎপাত বন্ধ করতে ঘরের মেঝে সিমেন্ট দিয়ে ভালোভাবে পলেস্তরা (চষধংঃবৎ) করতে হবে। তাছাড়া ঘর এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন কোনো ফাঁকফোকড় না থাকে। খাদ্য বা ময়লা-আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে রাখা চলবে না। খামার বা শেডে (ঝযবফ) সঠিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলে বিভিন্ন ধরনের পাখি সহজেই পবেশ করবে। তাই ্র ভেন্টিলেটর, জানালা বা অন্যান্য খোলা জায়গায় চিকন তারজালির স্ক্রিন লাগিয়ে খামারে এদের প্ের বশ বন্ধ করতে হবে। খাদ্য বা ময়লা-আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে রাখা চলবে না। ক্স খামারে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাকে তাকে খামারে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। যদি কারও প্রবেশের প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে। কোনো দর্শনার্থীর স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিলে তাকে পবেশ করতে দেয়া ্র উচিত নয়। ক্স মুরগির ক্ষেত্রে কার্যকর টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। টিকাদান কর্মসূচি অবশ্যই খামার ও তার আশেপাশের এলাকায় রোগের প্রাদুর্ভাবের ওপর নির্ভর করে করতে হবে। তাছাড়া সময়মতো কৃমির ওষুধও খাওয়াতে হবে। তবে কোয়েলের ক্ষেত্রে এসবের কোনো দরকার নেই। মুরগির ক্ষেত্রে কার্যকর টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ক্স মৃত পোল্ট্রি ও পোল্ট্রি বর্জের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে খামারের পরিবেশ জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। এছাড়াও খামারের অন্যান্য বর্জ, যেমন− খালি কার্টুন, বাক্স, বোতল, ওষুধ বা টিকার খালি শিশি ইত্যাদি গর্ত করে মাটিচাপা দিতে হবে বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। পোল্ট্রির টিকাদান কর্মসূচি সফল করার উপায় রোগপ্রতিরোধে টিকার ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই খামারে রোগপ্রতিরোধের জন্য টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করতে হয়। এখানে টিকাদান কর্মসূচি সফল করার উপায় আলোচনা করা হয়েছে। যেমন− রোগপ্রতিরোধে টিকার ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্স টিকা উৎপাদনাকরী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিত নিয়ম অনুসারে নির্দিষ্ট সময়, ক্রম ও মাত্রায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে। ক্স কোনোক্রমেই সময়োর্ত্তীণ টিকা ব্যবহার করা যাবে না। কোনোক্রমেই সময়োর্ত্তীণ টিকা ব্যবহার করা যাবে না। ক্স টিকা সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহণের ক্ষেত্রে নির্দেশিত তাপমাত্রায় বরফসহ ফ্লাক্সে পরিবহণ করাই ভালো। ক্স সরাসরি সূর্যালোকে মিশণ করলে ি ্র টকাবীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সব সময় ছায়াযুক্ত শীতল স্থানে টিকা মিশ্রণ করতে হবে। ক্স ৩০ক্কসে. এর অধিক তাপমাত্রায় টিকা প্রদান করা হলে তা সঠিকভাবে কাজ করবে না, তাই দিনের অপেক্ষাকৃত শীতল সময়ে অর্থাৎ সকাল ও বিকেলে টিকা প্রদান করা উচিত। ক্স অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত পোল্ট্রিকে টিকা দেয়া যাবে না। ক্স মুখের সাহায্যে পানির মাধ্যমে ব্যবহার্য টিকা পানির ভিতর গুলতে হবে। টিকা গুলতে পরিস্রুত পানি ব্যবহার করাই ভালো। ক্স ট্যাপের পানিতে জীবাণুনাশক ক্লোরিন থাকায় টিকা গুলতে এ পানি ব্যবহার করা যাবে না। এ কাজে পরিস্রুত পানি ব্যবহার করাই ভালো। ক্স টিকা গুলতে ধাতব পাত্র ব্যবহার না করে প−াস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা ভালো। ক্স অনেক ওষুধ আছে যেগুলো ব্যবহার করার সময় টিকা দিলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় না। যেমন− হাইড্রোকর্টিসোন, টেস্টোসটেরন, প্রেডনিসোলন ইত্যাদি। তাছাড়া ব্যাকটেরিয়াল টিকার ক্ষেত্রে টিকা দেয়ার তিনদিন পর্ব থেকে ূ তিনদিন পর পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। ক্স টিকা ব্যবহারে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন না করলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জীবিত টিকা থেকে রোগ সৃষ্টি হতে পারে। নষ্ট হয়ে যাওয়া বা বেঁচে যাওয়া টিকা এবং টিকার খালি বোতল শক্তিশালী জীবাণুনাশক দিয়ে নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে হবে। টিকা ব্যবহারে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন না করলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জীবিত টিকা থেকে রোগ সৃষ্টি হতে পারে। ক্স মুখের সাহায্যে ব্যবহার্য টিকা পান করানোর ২−৩ ঘন্টা পূর্বে পানি পান করানো বন্ধ রাখতে হবে যেন মিশ্রিত টিকা দেয়ার পর দ্রæত এরা এগুলো পান করে। অবশ্যই মিশ্রণের দুঘন্টার মধ্যে সমস্ত টিকা পান করাতে হবে। ক্স খাবার পানির সঙ্গে মিশিয়ে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে পানির পরিমাণ মুরগির বয়স, আবহাওয়া এবং লেয়ার বা ব্রয়লার অর্থাৎ মুরগির টাইপের ওপর নিভর র্ক রে ঠিক করতে হবে। টিকাদানের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি রোগজীবাণুমুক্ত হতে হবে। ক্স টিকাদানের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি রোগজীবাণুমুক্ত হতে হবে। পোল্ট্রি খামারে রোগের মড়কে করণীয় পোল্টি খাম ্র ারে রোগের মড়ক পোল্ট্রি খামারে রোগের মড়ক দেখা দিলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন− দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সুস্থ পাখি থেকে রোগাক্রান্ত পাখি পৃথক করে ফেলতে হবে। ক্স সুস্থ পোল্ট্রি থেকে সত্ত¡র রোগাক্রান্ত পোল্ট্রি পৃথক করে ফেলতে হবে। ক্স রোগাক্রান্ত পাখির চিকিৎসা ও সুস্থ পোল্ট্রিকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্স খামারে দর্শণাথীরর্ পবেশাধিকা ্র র সংরক্ষণ করতে হবে। ক্স চিকিৎসাতেও যেসব পোল্ট্রি আরোগ্য লাভ করবে না বা রোগ থেকে সেরে ওঠার পরে বাহক পোল্ট্রিতে পরিণত হবে সেগুলোকে মেরে মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। ক্স রোগজীবাণুর উৎস খুঁজে বের করে তা নিমূর্ল করতে হবে। ক্স মৃত পোল্ট্রি ও পোল্ট্রি বর্জ যথাযথভাবে সদ্বব্যবহার করতে হবে। ক্স রোগাক্রান্ত পোল্ট্রির ঘর, খাঁচা, খাদ্য ও পানির পাত্র এবং অন্যান্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম উপযুক্ত জীবাণনাশক ু পদার্থ দিয়ে ধয়ে পি ু রষ্কার করে রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে। ক্স সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য নিকটস্থ ভেটেরিনারি সার্জন বা পশু চিকিৎসকের পরামর্শমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অনুশীলন (অপঃরারঃু) আপনার মতে খামারে কীভাবে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের সৃষ্টি করা যায়? যুক্তিসহ লিখুন। ঃ সারমর্ম ঃ পোল্ট্রি শিল্পে রোগব্যাধি চিকিৎসার চেয়ে দমন ও প্রতিরোধের ওপরই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। খামারে রোগব্যাধি দমনে বেশকিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়। যেমন− খামারের ভৌগলিক অবস্থান, জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থাপনা, মানুষের মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা, টিকাদান কর্মসূচি ইত্যাদি। রোগ এবং রোগজীবাণর ু হাত থেকে পোল্ট্রিকে রক্ষা করার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও কার্যপ্রণালি রয়েছে তাদের সবগুলোর সমম্বয়কে একত্রে ‘জীব-নিরাপত্তা’ বলে। এটি সফল পোল্ট্রি উৎপাদনের জন্য এমন একটি পূর্ণাঙ্গ বিধিব্যবস্থা যার সাহায্যে পোল্ট্রিকে বিভিন্ন রোগজীবাণুর কবল থেকে রক্ষা করা যাবে। মানুষের মাধ্যমে যাতে পোল্ট্রিতে রোগজীবাণু ছড়াতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সঠিক স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারের সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত। রোগপ্রতিরোধে টিকার ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই খামারে রোগপ্রতিরোধের জন্য টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করতে হয়। পোল্ট্রি খামারে রোগের মড়ক দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সুস্থ পোল্ট্রি থেকে রোগাক্রান্ত পোল্ট্রি পৃথক করে ফেলতে হবে। পাঠোত্তর মূল্যায়ন ১.৩"
১। সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (৩) দিন।
ক. পোল্ট্রি খামাারে রোগজীবাণু ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম কে?
র) মানুষ
রর) বন্যপ্রাণী
ররর) খামারের যন্ত্রপাতি
রা) ইঁদুর
খ. কত তাপমাত্রার উপর টিকা দিলে তা সঠিকভাবে কাজ করবে না?
র) ১০ক্ক সে.
রর) ১৫ক্ক সে.
ররর) ২২ক্ক সে.
রা) ৩০ক্ক সে.
২। সত্য হলে ‘স’ এবং মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন।
ক. খামারে দশর্নার্থীর প্রবেশাধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
খ. টিকার সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকও ব্যবহার করা যায়।
৩। শূণ্যস্থান পূরণ করুন।
ক. খামারে পর্যাপ্ত থথথথথথথথ পরিবেশের সৃষ্টি করতে হবে।
খ. থথথথথথ সম্পর্কে সঠিক ও পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
৪। এক কথা বা বাক্যে উত্তর দিন।
ক. পোল্ট্রি হাউজে কীভাবে বন্যজন্তু ও ইঁদুরের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
খ. মুরগির রোগপ্রতিরোধে খামারে কী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়?
কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল ১৭
পোল্ট্রির রোগ ও প্রতিরোধ
চ‚ড়ান্ত মূল্যায়ন − ইউনিট ১
সংক্ষিপ্ত ও রচনামূলক প্রশ্ন
১। পোল্ট্রির বিভিন্ন রোগব্যাধির নাম লিখুন।
২। পোল্ট্রির রোগব্যাধির ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা করুন।
৩। বাংলাদেশে পোল্ট্রি উৎপাদনে কোন্ রোগটি প্রধান অন্তরায়? পোল্ট্রিতে রোগব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ লিখুন।
৪। অণুজীব ও রোগজীবাণু কী? উদাহরণসহ লিখুন।
৫। কী কী বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণিবিন্যাস করা হয়? সংক্ষেপে উদাহরণসহ
বর্ণনা করুন।
৬। ছত্রাক, মাইকোপ−জমা ও ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্যগুলো লিখুন।
৭। উদাহরণসহ বাহক পাখি ও ডিমের মাধ্যমে পোল্ট্রিতে রোগজীবাণুর বিস্তার আলোচনা করুন।
৮। জীব-নিরাপত্তা কী? কীভাবে পোল্ট্রি খামারে জীব-নিরাপত্তা বিধান করা যায়?
৯। কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে মানুষের মাধ্যমে পোল্ট্রিতে রোগজীবাণু ছড়াবে না?
১০। কীভাবে পোল্ট্রির টিকাদান কর্মসূচী সফল করা যায়?
উত্তরমালা − ইউনিট ১
পাঠ ১.১
১। ক. রা ১। খ. ররর ২। ক. স. ২। খ. স ৩। ক. মাইকোটক্সিকোসিস ৩। খ.
নীতির ৪। ক. পরিবেশে রোগজীবাণু ছড়ায় ৪। খ. রাণীক্ষেত, গামবোরো ও ডাক পে−গ
পাঠ ১.২
১। ক. র ১। খ. রা ২। ক. স ২। ক. মি ৩। ক. অতি অণুবীক্ষণিক ৩। খ. ডিমের
৪। ক. ঝঃৎবঢ়ঃড়পড়পপঁং ৪। খ. বসন্ত, মারেক’স, মাইকোপ−াজমোলোসিস,
লিউকোসাইটোজোনিয়াসিস ইত্যাদি
পাঠ ১.৩
১। ক. র ১। খ. রা ২। ক. স ২। ক. মি ৩। ক. স্বাস্থ্যপ্রদ ৩। খ. জীবনিরাপত্তা ৪। ক. হাউজের দরজা, জানালা ও ভেন্টিলেটরে চিকন তারজালির স্ক্রীন লাগিয়ে
৪। খ. টিকাদান কর্মসূচি

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]