উপরের বর্ণিত নিয়মে মনোযোগ, আবেগ ও ভক্তির সাথে
দেহ ও মনের ধীরতা সহ সালাত আদায় করতে হবে। যথাসাধ্য
চেষ্টা করতে হবে মাসনূন পদ্ধতির কোন কিছুই স্বেচ্ছায় ত্যাগ না
করা। তবে সালাতের পূর্বের বা মধ্যে ফরয কর্মগুলি সক্ষমতা
সত্বেও ত্যাগ করলে সালাত ভঙ্গ হয়ে যাবে। এছাড়া নি¤েœর
কাজগুলি সালাত নষ্ট করে দেয়:
১. সালাতের মধ্যে জাগতিক কথা বলা। সালাতের
মধ্যে বান্দা আল্লাহর সাথে কথা বলবে। জাগতিক বা মানুষের
সাথে বলার মত কোন কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলে সালাত
নষ্ট হয়ে যাবে।
অনুরূপভাবে সালামের জবাব দিলে, কারো হাঁচির জওয়াব
দিলে, দুঃসংবাদে “ইন্না লিল্লাহি...” পড়লে, সুসংবাদে আলহামদু
লিল্লাহ বললে বা অনুরূপ জাগতিক বিষয়ক যে কোন কথাবার্তা
বললে সালাত ভেঙ্গে যাবে।
২. জাগতিক কারণে, কষ্ট বা ব্যথা বেদনার জন্য কাঁদলে
বা কাতরালে সালাত ভেঙ্গে যাবে। তবে কুরআন তিলাওয়াতের
আবেগের ফলে, জান্নাতের আগ্রহে, জাহান্নামের ভয়ে, আল্লাহর
ভালবাসায় বা ভয়ে কাঁদলে সালাত নষ্ট হবে না। তবে নিজেকে
যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করা উচিত। রাসূলুল্লাহ ও
সাহাবীগণ সালাতের মধ্যে আবেগে কাঁদতেন। তবে তাঁদের কান্না
গলার মধ্যে অস্পষ্ট শব্দ ও চোখের পানির মধ্যে সীমিত রাখতে
চেষ্টা করতেন।
৩. সালাতের মধ্যে “আমলে কাসীর” বা বেশি কাজ
করলে। সালাতের মধ্যে বান্দা আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
পরিপূর্ণ আদবের সাথে দাঁড়াতে হবে এবং সালাতের প্রয়োজন
ছাড়া যথাসম্ভব কম নড়াচড়া করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত
নড়াচড়া, হাত, পা, পোষাক, দাড়ি ইত্যাদি নাড়া পরিহার করতে
হবে। বিনা প্রয়োজনে বেশি কর্মে সালাত ভেঙ্গে যায়।
বেশি কর্ম বা আমলে কাসীরের সংজ্ঞা হিসাবে বলা হয়
যে, যদি কেউ সালাতের মধ্যে বারবার এরূপভাবে হাত পা,
পোশাক ইত্যাদি নাড়তে থাকেন বা নড়াচাড়া করতে থাকেন যে,
একজন অভিজ্ঞ মানুষ দেখে মনে করেন যে, লোকটি নামাযের
মধ্যে নেই বা নামায পড়ছে না তাহলে তা “আমলে কাসীর” এবং
তাতে সালাত নষ্ট হবে।