কোন বয়সে শিশুকে কী খাওয়াবেন, কী খাওয়াবেন না? বয়স অনুযায়ী শিশুর খাদ্যতালিকা যেমন হওয়া উচিৎ

টিভির বিজ্ঞাপনের মতো আরাবিও এইমাত্র সুজির চামচ মুখে নিল কি নিল না দিল ভো দৌড়, এদিকে আরাবির আম্মুও বাটি নিয়ে পিছু পিছু দৌড়। যেন টম এন্ড জেরি খেলা। খুব ছোট বয়সে পুষ্টিকর খিচুড়ি জাতীয় খাবারও তাকে খাওয়াতে হতো জোর করে করে। ফলস্বরূপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব, পুষ্টিহীনতা, অ্যানিমিয়া একের পর এক রোগ লেগেই থাকে। আর আছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রতিই যত ঝোঁক। ফল-সবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করানো কিংবা প্রচেষ্টা করার দুঃসাহস ও যেন করতে পারছেন না। মাঝে মাঝে বুঝেও উঠতে পারছেন না সঠিক বয়সে কোন খাবার কিভাবে দেওয়া উচিত। শিশুদের বয়স অনুযায়ী খাদ্য ও পুষ্টি তালিকা নিয়ে মায়েদের নিত্যদিনের ভোগান্তি এবং তা জানার অভাব-আগ্রহ নিয়েই আজকের এই আয়োজন।

প্রথম ৬ মাসের জন্য, বুকের দুধ বা ফর্মুলা (যদি মায়ের দুধ না পেয়ে থাকে) হল একমাত্র খাবার যা একটি নবজাতকের সকল পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। এরপরে শিশুর অন্যান্য খাবার খাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে একটু করে শক্ত খাবার শুরু করাতে হবে। প্রথমে ছোট্ট সোনামণিদের প্রতিদিন মাত্র কয়েক চা চামচ করে এক-উপাদানযুক্ত খাবার (যেমন একটি বিশুদ্ধ ফল বা  শাকসবজি বা মাংস) দিয়ে শুরু করতে হবে। কয়েক মাসের মধ্যে শিশুরা বিভিন্ন খাবার এবং দিনে এক থেকে দুই খাবারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। ৮ থেকে ১২ মাস বয়সের মধ্যে শিশুদের মাঝে বিভিন্ন খাবারের প্রতি উৎসাহ খেয়াল করা যায় যারা মায়ের হাতের নরম খাবার উপভোগ করতে থাকে এবং প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের সাথে হালকা নাস্তাও খেতে চায়।

নবজাতক থেকে ছয় মাস

নবজাতক সহ দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের দৈহিক ও মানসিক সুষ্ঠ বিকাশের জন্য মায়ের বুকের দুধ অন্যতম ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে সন্তান প্রশবের পর প্রথম যে হলুদ বর্ণের শাল দুধ রয়েছে তা নবজাতকের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ সরবরাহের জন্য দায়ী। কিন্তু অধিকাংশ মা ই তা নবজাতকের জন্য তা ক্ষতিকর আশংকা করে, কুসংস্কারে বিশ্বাসী হয়ে ফেলে দেন যা একদম উচিত নয় বরং শিশুর জন্য এই শাল দুধ না পাওয়াটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

জন্ম হওয়ার পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন ধরনের খাবার, পানীয়, গরু-ছাগলের দুধ, প্রক্রিয়াজাত দুধ, পান করানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর ফলে মাতৃস্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার (স্তন,জরায়ু ইত্যাদি) ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। 

তবে শিশু যদি যথাযথ ভাবে নায়ের দুধ না পেয়ে থাকে তবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

৬ মাস থেকে ১২ মাস

এসকল খাবার ধাপে ধাপে অল্প অল্প পরিমাণে শিশুর দৈনিক খাদ্য তালিকার সংযুক্ত করা।

১ বছর থেকে ২ বছর ২ বছর এর অধিক বয়সী

 

শিশুদের বাড়ন্ত শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি যেন অনীহায় ফেলে রাখা বাটিতেই না রয়ে যায়। একটি সুস্থ ও সৃজনশীল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার জন্য মায়েদের প্রচেষ্টা হোক আরও সহজ ও সুন্দর।

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]