সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস ফাযায়িলুল কোরআন অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৫০২৫– ৫০৬২

৬৬/২০. অধ্যায়ঃ
কুরআন তিলাওয়াতকারী হবার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা।

৫০২৫
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِيْ سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ لَا حَسَدَ إِلَّا عَلَى اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ الْكِتَابَ وَقَامَ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَرَجُلٌ أَعْطَاهُ اللهُ مَالًا فَهُوَ يَتَصَدَّقُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ.

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, দুটি বিষয় ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে ঈর্ষা করা যায় না। প্রথম, যাকে আল্লাহ্‌ তা’আলা কিতাবের জ্ঞান দান করেছেন এবং তিনি তা থেকে গভীর রাতে তিলাওয়াত করেন। দ্বিতীয়ত, যাকে আল্লাহ্‌ তা’আলা সম্পদ দান করেছেন এবং তিনি সেই সম্পদ দিন-রাত দান করতে থাকেন।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৫৫)

৫০২৬
عَلِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سُلَيْمَانَ سَمِعْتُ ذَكْوَانَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا حَسَدَ إِلَّا فِي اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ عَلَّمَهُ اللهُ الْقُرْآنَ فَهُوَ يَتْلُوْهُ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ فَسَمِعَهُ جَارٌ لَهُ فَقَالَ لَيْتَنِيْ أُوْتِيْتُ مِثْلَ مَا أُوْتِيَ فُلَانٌ فَعَمِلْتُ مِثْلَ مَا يَعْمَلُ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالًا فَهُوَ يُهْلِكُهُ فِي الْحَقِّ فَقَالَ رَجُلٌ لَيْتَنِيْ أُوْتِيْتُ مِثْلَ مَا أُوْتِيَ فُلَانٌ فَعَمِلْتُ مِثْلَ مَا يَعْمَلُ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দু’ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারও সাথে ঈর্ষা করা যায় না। এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্‌ তা’আলা কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন এবং সে তা দিন-রাত তিলাওয়াত করে। আর তা শুনে তার প্রতিবেশীরা তাকে বলে, হায়! আমাদেরকে যদি এমন জ্ঞান দেওয়া হত, যেমন অমুককে দেওয়া হয়েছে, তাহলে আমিও তার মত ‘আমাল করতাম। অন্য আর এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্‌ সম্পদ দান করেছেন এবং সে সম্পদ সত্য ও ন্যায়ের পথে খরচ করে। এ অবস্থা দেখে অন্য এক ব্যক্তি বলেঃ হায়! আমাকে যদি অমুক ব্যক্তির মত সম্পদ দেয়া হত, তাহলে সে যেমন ব্যয় করছে, আমিও তেমন ব্যয় করতাম।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫২, ই.ফা . ৪৬৫৬)

৬৬/২১. অধ্যায়ঃ
তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম, যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিখায়।

৫০২৭
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ عُبَيْدَةَ عَنْ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عُثْمَانَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ قَالَ وَأَقْرَأَ أَبُوْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِيْ إِمْرَةِ عُثْمَانَ حَتَّى كَانَ الْحَجَّاجُ قَالَ وَذَاكَ الَّذِيْ أَقْعَدَنِيْ مَقْعَدِيْ هَذَا

‘উসমান (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম যে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিখায়।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৫৭)

৫০২৮
أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَفْضَلَكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ

‘উসমান ইব্‌নু আফ্‌ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম তারা, যারা নিজেরা কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৫৮)

৫০২৯
عَمْرُوْ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةٌ فَقَالَتْ إِنَّهَا قَدْ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلهِ وَلِرَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا لِيْ فِي النِّسَاءِ مِنْ حَاجَةٍ فَقَالَ رَجُلٌ زَوِّجْنِيْهَا قَالَ أَعْطِهَا ثَوْبًا قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ أَعْطِهَا وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيْدٍ فَاعْتَلَّ لَهُ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ قَالَ كَذَا وَكَذَا قَالَ فَقَدْ زَوَّجْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ

সাহল ইব্‌নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর খিদমাতে উপস্থিত হয়ে বলল, সে নিজেকে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের জন্য নিবেদন করার ইচ্ছা করেছে। এ কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার কোন মহিলার নিষ্প্রায়োজন। জনৈক ব্যক্তি তাঁকে বলল, একে আমার সঙ্গে বিবাহ করিয়ে দিন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেল, তাকে একখানা কাপড় দাও। ঐ ব্যক্তি তার অপারগতার কথা জানাল, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তাকে একখানা লোহার আংটি হলেও দাও। এবারেও লোকটি আগের মত অপারগতা জানাল। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার কি কুরআনের কিছু অংশ মুখস্থ আছে? লোকটি উত্তর করল, হাঁ। আমার অমুক অমুক সুরাহ মুখস্থ আছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যে পরিমাণ কুরআন তোমার মুখস্থ আছে, তার বিনিময়ে তোমার নিকট এ মহিলাটিকে বিবাহ দিলাম। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৫৯)

৬৬/২২. অধ্যায়ঃ
মুখস্থ কুরআন পাঠ করা।

৫০৩০
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ جِئْتُ لِأَهَبَ لَكَ نَفْسِيْ فَنَظَرَ إِلَيْهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَصَعَّدَ النَّظَرَ إِلَيْهَا وَصَوَّبَهُ ثُمَّ طَأْطَأَ رَأْسَهُ فَلَمَّا رَأَتْ الْمَرْأَةُ أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ فِيْهَا شَيْئًا جَلَسَتْ فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيْهَا فَقَالَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَ لَا وَاللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ اذْهَبْ إِلَى أَهْلِكَ فَانْظُرْ هَلْ تَجِدُ شَيْئًا فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ لَا وَاللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا وَجَدْتُ شَيْئًا قَالَ انْظُرْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيْدٍ فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ لَا وَاللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَلَا خَاتَمًا مِنْ حَدِيْدٍ وَلَكِنْ هَذَا إِزَارِيْ قَالَ سَهْلٌ مَا لَهُ رِدَاءٌ فَلَهَا نِصْفُهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا تَصْنَعُ بِإِزَارِكَ إِنْ لَبِسْتَهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا مِنْهُ شَيْءٌ وَإِنْ لَبِسَتْهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْكَ شَيْءٌ فَجَلَسَ الرَّجُلُ حَتَّى طَالَ مَجْلِسُهُ ثُمَّ قَامَ فَرَآهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُوَلِّيًا فَأَمَرَ بِهِ فَدُعِيَ فَلَمَّا جَاءَ قَالَ مَاذَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ قَالَ مَعِيْ سُوْرَةُ كَذَا وَسُوْرَةُ كَذَا وَسُوْرَةُ كَذَا عَدَّهَا قَالَ أَتَقْرَؤُهُنَّ عَنْ ظَهْرِ قَلْبِكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ اذْهَبْ فَقَدْ مَلَّكْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ.

সাহল ইব্‌নু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা এক মহিলা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি আমার জীবনকে আপনার জন্য দান করতে এসেছি। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকিয়ে তার আপাদমস্তক লক্ষ্য করে মাথা নিচু করলেন। মহিলাটি যখন দেখল যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ফয়সালা দিচ্ছেন না তখন সে বসে পড়ল। এমন সময় রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সহাবীদের একজন বলল, যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে ঐ মহিলাটির সঙ্গে আমার শাদী দিয়ে দিন। তিনি বললেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে? সে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্‌র কসম কিছুই নেই। তিনি বললেন, তুমি তোমার পরিজনের কাছে ফিরে যাও এবং দেখ কিছু পাও কি-না! এরপর লোকটি চলে গেল এবং ফিরে এসে বলল, আল্লাহ্‌র কসম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি কিছুই পেলাম না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, দেখ একটি লোহার আংটি হলেও! তারপর সে চলে গেল এবং ফিরে এসে বলল, আল্লাহ্‌র কসম, একটি লোহার আংটিও পেলাম না; কিন্তু এই যে আমার তহবন্দ আছে। সাহ্‌ল (রাঃ) বলেন, তার কোন চাদর ছিল না। অথচ লোকটি বলল, আমার তহবন্দের অর্ধেক দিতে পারি। এ কথা শুনে রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ তহবন্দ দিয়ে কী হবে? যদি তুমি পরিধান কর, তাহলে মহিলাটির কোন আবরণ থাকবে না। আর যদি সে পরিধান করে, তোমার কোন আবরন থাকবে না। লোকটি বসে পড়লো, অনেকক্ষণ সে বসে থাকল। এরপর সে উঠে দাঁড়াল। রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ফিরে যেতে দেখে তাকে ডেকে আনলেন। যখন সে ফিরে আসল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কুরআনের কতটুকু মুখস্থ আছে? সে উত্তরে বলল, অমুক অমুক সূরা মুখস্থ আছে। সে এমনিভাবে একে একে উল্লেখ করতে থাকল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এ সকল সূরা মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পার? সে উত্তর করল, হাঁ! তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যাও তুমি যে পরিমাণ কুরআন মুখস্ত রেখেছ, তার বিনিময়ে এ মহিলাটির তোমার সঙ্গে বিবাহ দিলাম।

[২৩১০; মুসলিম ১৬/১২, হাঃ ১৪২৫, আহমাদ ২২৯১৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬০)

৬৬/২৩. অধ্যায়ঃ
কুরআন মাজীদ বারবার তিলাওয়াত করা ও স্মরণ রাখা।

৫০৩১
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّمَا مَثَلُ صَاحِبِ الْقُرْآنِ كَمَثَلِ صَاحِبِ الإِبِلِ الْمُعَقَّلَةِ إِنْ عَاهَدَ عَلَيْهَا أَمْسَكَهَا وَإِنْ أَطْلَقَهَا ذَهَبَتْ.

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্তরে কুরআন গেঁথে (মুখস্ত) রাখে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ মালিকের ন্যায়, যে উট বেঁধে রাখে। যদি সে উট বেঁধে রাখে, তবে সে উট তার নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু সে বাঁধন খুলে দেয়, তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।[মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৮৯, আহমাদ ৪৬৬৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬১)

৫০৩২
مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِئْسَ مَا لِأَحَدِهِمْ أَنْ يَقُوْلَ نَسِيْتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ نُسِّيَ وَاسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُوْرِ الرِّجَالِ مِنْ النَّعَمِ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ مِثْلَهُ تَابَعَهُ بِشْرٌ عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ شُعْبَةَ وَتَابَعَهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدَةَ عَنْ شَقِيْقٍ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم

‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এটা খুবই খারাপ কথা যে, তোমাদের মধ্যে কেউ বলবে, আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি; বরং তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করতে থাক কেননা, তা মানুষের অন্তর থেকে উটের চেয়েও দ্রুত গতিতে চলে যায়। [৫০৩৯; মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৯০, আহমাদ ৩৬২০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬২)

৫০৩৩
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَعَاهَدُوا الْقُرْآنَ فَوَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنَ الإِبِلِ فِيْ عُقُلِهَا.

আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা কুরআনের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আল্লাহ্‌র কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন! কুরআন বাঁধন ছাড়া উটের চেয়েও দ্রুত গতিতে দৌড়ে যায়।[মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৯১, আহমাদ ১৯৫৬৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬৩)

৬৬/২৪. অধ্যায়ঃ
জন্তুর পিঠে বসে কুরআন পাঠ করা।

৫০৩৪
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبُوْ إِيَاسٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ مُغَفَّلٍ قَالَ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَهُوَ يَقْرَأُ عَلَى رَاحِلَتِهِ سُوْرَةَ الْفَتْحِ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মাক্কাহ বিজয়ের দিন আমি রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে (উটের পিঠে) আরোহন অবস্থায় ‘সুরাহ আল্‌ ফাত্‌হ’ তিলাওয়াত করতে দেখেছি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬৪)

৬৬/২৫. অধ্যায়ঃ
শিশুদের কুরআন শিক্ষাদান।

৫০৩৫
مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ عَنْ أَبِيْ بِشْرٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ إِنَّ الَّذِيْ تَدْعُوْنَهُ الْمُفَصَّلَ هُوَ الْمُحْكَمُ قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تُوُفِّيَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا ابْنُ عَشْرِ سِنِيْنَ وَقَدْ قَرَأْتُ الْمُحْكَمَ.

সা‘ঈদ ইব্‌নু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে সকল সূরাকে তোমরা মুফাস্‌সাল [১৬০] বলো, তা হচ্ছে মুহ্‌কাম।[১৬১] রাবী বলেন, ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, যখন আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করেন, তখন আমার বয়স দশ বছর এবং আমি ঐ বয়সেই মুহ্‌কাম আয়াতসমূহ শিখে নিয়েছিলাম।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬৫)






[১৬০] সূরা হুজুরাত থেকে সুরাহ নাস পর্যন্ত সূরাসমূহকে মুফাস্সাল বলা হয়।

[১৬১] যে সকল আয়াতের ভাষা প্রাঞ্জল এবং অর্থ নির্ধারণের ব্যপারে কোন অসুবিধা হয় না ও সন্দেহের অবকাশ নেই তাকে ‘মুহ্কাম আয়াত’ বলে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৫০৩৬
يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا أَبُوْ بِشْرٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ جَمَعْتُ الْمُحْكَمَ فِيْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ وَمَا الْمُحْكَمُ قَالَ الْمُفَصَّلُ.

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘মুহকাম সূরাসমূহ আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– এর জীবদ্দশায় মুখস্থ করেছিলাম। রাবী সা‘ঈদ (রহঃ) বলেন, আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম, ‘মুহকাম’ অর্থ কী? তিনি বললেন, মুফাস্‌সাল।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬৬)

৬৬/২৬. অধ্যায়ঃ
কোরআন মুখস্ত করে ভুলে যাওয়া এবং কেউ কি বলতে পারে, আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি?

৫০৩৭
رَبِيْعُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا زَائِدَةُ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلًا يَقْرَأُ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَرْحَمُهُ اللهُ لَقَدْ أَذْكَرَنِيْ كَذَا وَكَذَا آيَةً مِنْ سُوْرَةِ كَذَا.

…- مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُوْنٍ حَدَّثَنَا عِيْسَى عَنْ هِشَامٍ وَقَالَ أَسْقَطْتُهُنَّ مِنْ سُوْرَةِ كَذَا تَابَعَهُ عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ وَعَبْدَةُ عَنْ هِشَامٍ.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে মাসজিদে নাববীতে কুরআন পড়তে শুনলেন। তিনি বললেন, তার প্রতি আল্লাহ্‌র রহমাত বর্ষিত হোক, সে আমাকে অমুক সূরার অমুক আয়াত মনে করিয়ে দিয়েছে। (আ.প্র. ৪৬৬৩, ই.ফা. ৪৬৬৭)



———————-



হিশাম (রহঃ) হতে বর্ণিত পূর্বের হাদীসের অতিরিক্ত রয়েছে, “যা ভুলে গেছি অমুক অমুক সূরা থেকে।” ‘আলী এবং ‘আবদাহ হিশাম থেকে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন। (আ.প্র. ৪৬৬৪, ই.ফা. ৪৬৬৮)

৫০৩৮
أَحْمَدُ ابْنُ أَبِيْ رَجَاءٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَمِعَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلًا يَقْرَأُ فِيْ سُوْرَةٍ بِاللَّيْلِ فَقَالَ يَرْحَمُهُ اللهُ لَقَدْ أَذْكَرَنِيْ كَذَا وَكَذَا آيَةً كُنْتُ أُنْسِيْتُهَا مِنْ سُوْرَةِ كَذَا وَكَذَا.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে রাতে কুরআন পড়তে শুনে বললেন, আল্লাহ তাকে রহমাত করুন। কেননা, সে আমাকে অমুক অমুক সূরার অমুক অমুক আয়াত মনে করিয়ে দিয়েছে, যা আমি ভুলতে বসেছিলাম।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬৯)

৫০৩৯
أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِئْسَ مَا لِأَحَدِهِمْ يَقُوْلُ نَسِيْتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ.

‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন লোক এ কথা কেন বলে যে, আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি; বরং (আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে) তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭০)

৬৬/২৭. অধ্যায়ঃ
যারা সূরা বাকারাহ বা অমুক অমুক সূরা বলাতে দোষ মনে করেন না।

৫০৪০
عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِيْ إِبْرَاهِيْمُ عَنْ عَلْقَمَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيْدَ عَنْ أَبِيْ مَسْعُوْدٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الآيَتَانِ مِنْ آخِرِ سُوْرَةِ الْبَقَرَةِ مَنْ قَرَأَ بِهِمَا فِيْ لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ.

আবূ মাস’উদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি সূরা বাক্বারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, তবে এটাই তার জন্য যথেষ্ট।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭১)

৫০৪১
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ حَدِيْثِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ أَنَّهُمَا سَمِعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُوْلُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيْمِ بْنِ حِزَامٍ يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْفُرْقَانِ فِيْ حَيَاةِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَمَعْتُ لِقِرَاءَتِهِ فَإِذَا هُوَ يَقْرَؤُهَا عَلَى حُرُوْفٍ كَثِيْرَةٍ لَمْ يُقْرِئْنِيْهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَكِدْتُ أُسَاوِرُهُ فِي الصَّلَاةِ فَانْتَظَرْتُهُ حَتَّى سَلَّمَ فَلَبَبْتُهُ فَقُلْتُ مَنْ أَقْرَأَكَ هَذِهِ السُّوْرَةَ الَّتِيْ سَمِعْتُكَ تَقْرَأُ قَالَ أَقْرَأَنِيْهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ كَذَبْتَ فَوَاللهِ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَهُوَ أَقْرَأَنِيْ هَذِهِ السُّوْرَةَ الَّتِيْ سَمِعْتُكَ فَانْطَلَقْتُ بِهِ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَقُوْدُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى حُرُوْفٍ لَمْ تُقْرِئْنِيْهَا وَإِنَّكَ أَقْرَأْتَنِيْ سُوْرَةَ الْفُرْقَانِ فَقَالَ يَا هِشَامُ اقْرَأْهَا فَقَرَأَهَا الْقِرَاءَةَ الَّتِيْ سَمِعْتُهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَكَذَا أُنْزِلَتْ ثُمَّ قَالَ اقْرَأْ يَا عُمَرُ فَقَرَأْتُهَا الَّتِيْ أَقْرَأَنِيْهَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَكَذَا أُنْزِلَتْ ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ.

‘উমার ইব্‌নু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হিশাম ইব্‌নু হাকীম ইব্‌নু হিযামকে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জীবদ্দশায় ‘সূরা ফুরকান’ তিলাওয়াত করতে শুনলাম। আমি লক্ষ্য করলাম যে, সে বিভিন্ন কিরাআতে তা পাঠ করছে, যা আল্লাহ্‌র রসূল আমাকে শিখাননি। যার ফলে তাকে সলাতের মধ্যেই ধরতে উদ্যত হলাম। অবশ্য আমি তার সলাত শেষে সালাম ফিরানো পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। সলাত শেষ হতেই তার গলায় রুমাল পেঁচিয়ে ধরলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, এইমাত্র আমি তোমাকে যা পাঠ করতে শুনলাম, তা তোমাকে কে শিখিয়েছে? সে উত্তর করল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এরূপ শিখিয়েছেন। আমি বললাম, তুমি মিথ্যা বলছো! আল্লাহ্‌র কসম, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ভিন্ন ভাবে তিলাওয়াত করা শিখিয়েছেন, যা তোমাকে তিলাওয়াত করতে শুনেছি। এরপর আমি তাকে টেনে নিয়ে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে উপস্থিত হলাম এবং বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি এই ব্যক্তিকে ভিন্ন ভাবে ‘সূরা ফুরকান’ পাঠ করতে শুনেছি, যে পদ্ধতি আপনি আমাকে তিলাওয়াত করতে শিখাননি। অথচ আপনি আমাকে সূরা ফুরকান তিলাওয়াত শিখিয়েছেন। এরপর তিনি বললেন, হে হিশাম! পাঠ করো! সুতরাং আমি যেভাবে পাঠ করতে শুনেছি, সে সেই ভাবেই পাঠ করল। এরপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এভাবে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর রসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে ‘উমার। তুমি পাঠ করো, সুতরাং রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে যেভাবে শিখিয়েছিলেন, সেভাবে আমি পাঠ করলাম। এরপর তিনি বললেন, কুরআন এভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বললেন, সাত কিরাআত বা পদ্ধতিতে পাঠ করার জন্য কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং এর মধ্যে যে পদ্ধতি তোমার জন্য সহজ, সে পদ্ধতিতে পড়।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭২)

৫০৪২
بِشْرُ بْنُ آدَمَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَارِئًا يَقْرَأُ مِنْ اللَّيْلِ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَرْحَمُهُ اللهُ لَقَدْ أَذْكَرَنِيْ كَذَا وَكَذَا آيَةً أَسْقَطْتُهَا مِنْ سُوْرَةِ كَذَا وَكَذَا.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক কারীকে রাতে মাসজিদে কুরআন মাজীদ পড়তে শুনলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ্‌ তার প্রতি করুণা করুন। সে আমাকে অমুক অমুক আয়াত মনে করিয়ে দিয়েছে, যা অমুক অমুক সূরা থেকে ভুলতে বসেছিলাম। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭৩)

৬৬/২৮. অধ্যায়ঃ
সুস্পষ্ট ও ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করা।

এ সম্পর্কে আল্লাহ্‌র বাণীঃ কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরে ধীরে সুস্পষ্টভাবে। আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি তা মানুষের নিকট পাঠ করতে পার ক্রমে ক্রমে। কবিতা পাঠের মতো দ্রুতগতিতে কুরআন পাঠ করা অপছন্দনীয়। আল্লাহর বাণী (আরবী) ‘তাতে পৃথক করা হয়’ এর অর্থ স্পষ্ট করা হয়। ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর বাণী (আরবী) ‘আমরা পৃথক করেছি’ এর অর্থ আমরা স্পষ্ট করেছি।

৫০৪৩
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُوْنٍ حَدَّثَنَا وَاصِلٌ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ غَدَوْنَا عَلَى عَبْدِ اللهِ فَقَالَ رَجُلٌ قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ الْبَارِحَةَ فَقَالَ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّا قَدْ سَمِعْنَا الْقِرَاءَةَ وَإِنِّيْ لَأَحْفَظُ الْقُرَنَاءَ الَّتِيْ كَانَ يَقْرَأُ بِهِنَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سُوْرَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ وَسُوْرَتَيْنِ مِنْ آلِ حم

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) সূত্রে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) বলেন, আমরা একদিন সকালে ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ)- এর কাছে গেলাম। একজন লোক বলল, গতকাল রাতে আমি মুফাস্‌সাল সূরাসমূহ পাঠ করেছি। এ কথা শুনে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, এত শীঘ্র পাঠ করা যেন কবিতা পাঠের মতো; অথচ আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর পাঠ শুনেছি এবং তা আমার ভালভাবে মনে আছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে যে সমস্ত সুরাহ পাঠ করতে আমি শুনেছি, তার সংখ্যা মুফাস্‌সাল হতে আঠারটি এবং ‘আলিফ-লাম হামিম’ হতে দু’টি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭৪)

৫০৪৪
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مُوْسَى بْنِ أَبِيْ عَائِشَةَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ فِيْ قَوْلِهِ {لَا تُحَرِّكْ بِهٰ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهٰ} قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا نَزَلَ جِبْرِيْلُ بِالْوَحْيِ وَكَانَ مِمَّا يُحَرِّكُ بِهِ لِسَانَهُ وَشَفَتَيْهِ فَيَشْتَدُّ عَلَيْهِ وَكَانَ يُعْرَفُ مِنْهُ فَأَنْزَلَ اللهُ الْآيَةَ الَّتِيْ فِيْ {لَآ أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ}{لَا تُحَرِّكْ بِهٰ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهٰإِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ فَإِنَّ عَلَيْنَا أَنْ نَجْمَعَهُ فِيْ صَدْرِكَ وَقُرْآنَهُ فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ فَإِذَا أَنْزَلْنَاهُ فَاسْتَمِعْ ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ} قَالَ إِنَّ عَلَيْنَا أَنْ نُبَيِّنَهُ بِلِسَانِكَ قَالَ وَكَانَ إِذَا أَتَاهُ جِبْرِيْلُ أَطْرَقَ فَإِذَا ذَهَبَ قَرَأَهُ كَمَا وَعَدَهُ اللهُ.

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ “হে নবী! আপনার জিহবাকে তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার জন্য নাড়াবেন না।” আল্লাহ্‌র এই কালাম সম্পর্কে তিনি বলেন, যখনই জিব্‌রীল (আঃ) ওয়াহী নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট আসতেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুব তাড়াতাড়ি জিহবা এবং ঠোঁট নাড়াতেন এবং এটা তার জন্য খুব কঠিন হত। আর এ অবস্থা সহজেই অন্যজনে আঁচ করতে পারত। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে আল্লাহ্ তা’আলা সূরা ক্বিয়ামাহ এর এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “হে নবী! তাড়াতাড়ি ওয়াহী মুখস্থ করার জন্য আপনি আপনার জিহবা নাড়াবেন না। এ মুখস্থ করিয়ে দেয়া ও পাঠ করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমারই। যখন আমি তা পাঠ করতে থাকি, তখন আপনি সে পাঠকে মনোযোগ সহকারে শুনতে থাকুন। পরে এর অর্থ বুঝিয়ে দেয়াও আমার দায়িত্ব।” সুতরাং যখন জিব্‌রীল (আঃ) পাঠ করেন আপনি তার অনুসরণ করুন। এরপর থেকে জিবরীল (আঃ) বলে যেতেন তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ থাকতেন। যখন তিনি চলে যেতেন, আল্লাহ্‌র ওয়াদা অনুযায়ী তিনি তা পাঠ করতেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৭৫)

৬৬/২৯. অধ্যায়ঃ
‘মাদ’ সহকারে কিরাআত।

৫০৪৫
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا جَرِيْرُ بْنُ حَازِمٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قِرَاءَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ يَمُدُّ مَدًّا.

ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ)- কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ‘কিরাআত’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (কোন কোন ক্ষেত্রে শব্দকে) দীর্ঘায়িত করে পাঠ করতেন।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭৬)

৫০৪৬
عَمْرُوْ بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ كَيْفَ كَانَتْ قِرَاءَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَتْ مَدًّا ثُمَّ قَرَأَ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ يَمُدُّ بِبِسْمِ اللهِ وَيَمُدُّ بِالرَّحْمَنِ وَيَمُدُّ بِالرَّحِيْمِ.

ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনাস (রাঃ)- কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– এর ‘কিরাআত’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর ‘কিরাআত’ কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন, কোন কোন ক্ষেত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীর্ঘ করতেন। এরপর তিনি ‘বিস্‌মিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ তিলাওয়াত করে শোনালেন এবং তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘বিসমিল্লাহ্’ ‘আর রহমান’, ‘আর রহীম’ পড়ার সময় দীর্ঘায়িত করতেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭৭)

৬৬/৩০. অধ্যায়ঃ
আত্‌তারজী’ (ছন্দময় সুমধুর সুরে পাঠ করা)

৫০৪৭
آدَمُ بْنُ أَبِيْ إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُوْ إِيَاسٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ مُغَفَّلٍ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ أَوْ جَمَلِهِ وَهِيَ تَسِيْرُ بِهِ وَهُوَ يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْفَتْحِ أَوْ مِنْ سُوْرَةِ الْفَتْحِ قِرَاءَةً لَيِّنَةً يَقْرَأُ وَهُوَ يُرَجِّعُ.

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু মুগাফ্‌ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উষ্ট্রির পিঠে অথবা উটের পিঠে আরোহিত অবস্থায় যখন উষ্ট্রটি চলছিল, তখন আমি তিলাওয়াত করতে দেখেছি। তিনি ‘সূরা ফাত্‌হ’ বা ‘সূরা ফাত্‌হ’র অংশ বিশেষ অত্যন্ত নরম এবং মধুর ছন্দোময় সুরে পাঠ করছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭৮)

৬৬/৩১. অধ্যায়ঃ
মধুর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করা।

৫০৪৮
مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ أَبُوْ بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ جَدِّهِ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ يَا أَبَا مُوْسَى لَقَدْ أُوْتِيْتَ مِزْمَارًا مِنْ مَزَامِيْرِ آلِ دَاوُدَ.

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবূ মূসা! তোমাকে দাঊদ (আঃ)- এর সুমধুর কণ্ঠ দান করা হয়েছে।[মুসলিম ৬/৩৪, হাঃ ৭৯৩, আহমাদ ২৩০৩০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭৯)

৬৬/৩২. অধ্যায়ঃ
যে অন্যের নিকট থেকে কুরআন পাঠ শুনতে ভালবাসে।

৫০৪৯
عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ عَنْ الْأَعْمَشِ قَالَ حَدَّثَنِيْ إِبْرَاهِيْمُ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اقْرَأْ عَلَيَّ الْقُرْآنَ قُلْتُ آقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَ إِنِّيْ أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي.

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, “আমার কাছে কুরআন পাঠ কর।” ‘আবদুল্লাহ্‌ বললেন, আমি আপনার কাছে কুরআন পাঠ করব; অথচ আপনার ওপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বললেন, আমি অন্যের নিকট থেকে তা শুনতে ভালবাসি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮০)

৬৬/৩৩. অধ্যায়ঃ
তিলাওয়াতকারী তিলাওয়াত শোনার পর শ্রোতার মন্তব্য ‘তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট’।

৫০৫০
مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اقْرَأْ عَلَيَّ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ آقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَ نَعَمْ فَقَرَأْتُ سُوْرَةَ النِّسَاءِ حَتَّى أَتَيْتُ إِلَى هَذِهِ الآيَةِ {فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيْدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلَاءِ شَهِيْدًا} قَالَ حَسْبُكَ الْآنَ فَالْتَفَتُّ إِلَيْهِ فَإِذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ.

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, তুমি কুরআন পাঠ কর। আমি আরয করলাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি আপনার কাছে কুরআন পাঠ করব? অথচ তা তো আপনার ওপরই অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর আমি ‘সুরাহ নিসা’ পাঠ করলাম। যখন আমি এই আয়াত পর্যন্ত আসলাম ‘চিন্তা করো আমি যখন প্রত্যেক উম্মাতের মধ্য থেকে একজন করে সাক্ষী উপস্থিত করব এবং সকলের ওপরে তোমাকে সাক্ষী হিসাবে হাযির করব তখন তারা কী করবে।’ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আপাততঃ যথেষ্ট হয়েছে। আমি তাঁর চেহারার দিকে তাকালাম, দেখলাম, তাঁর চোখ থেকে অশ্রু ঝরছে।

(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮১)

৬৬/৩৪. অধ্যায়ঃ
কতটুকু সময়ে কুরআন খতম করা যায়?

এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলার কালামঃ “যতটা কুরআন তোমার সহজসাধ্য হয়, ততটাই পড়।”

৫০৫১
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ لِي ابْنُ شُبْرُمَةَ نَظَرْتُ كَمْ يَكْفِي الرَّجُلَ مِنَ الْقُرْآنِ فَلَمْ أَجِدْ سُوْرَةً أَقَلَّ مِنْ ثَلَاثِ آيَاتٍ فَقُلْتُ لَا يَنْبَغِيْ لِأَحَدٍ أَنْ يَقْرَأَ أَقَلَّ مِنْ ثَلَاثِ آيَاتٍ قَالَ عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ أَخْبَرَنَا مَنْصُوْرٌ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيْدَ أَخْبَرَهُ عَلْقَمَةُ عَنْ أَبِيْ مَسْعُوْدٍ وَلَقِيْتُهُ وَهُوَ يَطُوْفُ بِالْبَيْتِ فَذَكَرَ قَوْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ مَنْ قَرَأَ بِالْآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُوْرَةِ الْبَقَرَةِ فِيْ لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ.

সুফ্‌ইয়ান ইব্‌নু ‘উয়াইনাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাকে ইব্‌নু সুবরুমা (রহঃ) বললেন, আমি দেখতে চাইলাম, সলাতে কী পরিমাণ আয়াত পাঠ করা যথেষ্ট এবং আমি তিন আয়াত বিশিষ্ট সূরার চেয়ে ছোট কোন সুরাহ পেলাম না। সুতরাং আমি বললাম, কারো জন্য তিন আয়াতের কম সলাতে পড়া উচিত নয়। আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, তখন তিনি বায়তুল্লাহ্‌ তাওয়াফ করছিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি কেউ সুরা বাকারার শেষ দু’আয়াত রাতে পাঠ করে, তাহলে তা তার জন্য যথেষ্ট। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮২)

৫০৫২
مُوْسَى حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ عَنْ مُغِيْرَةَ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ أَنْكَحَنِيْ أَبِي امْرَأَةً ذَاتَ حَسَبٍ فَكَانَ يَتَعَاهَدُ كَنَّتَهُ فَيَسْأَلُهَا عَنْ بَعْلِهَا فَتَقُوْلُ نِعْمَ الرَّجُلُ مِنْ رَجُلٍ لَمْ يَطَأْ لَنَا فِرَاشًا وَلَمْ يُفَتِّشْ لَنَا كَنَفًا مُنْذُ أَتَيْنَاهُ فَلَمَّا طَالَ ذَلِكَ عَلَيْهِ ذَكَرَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ الْقَنِيْ بِهِ فَلَقِيْتُهُ بَعْدُ فَقَالَ كَيْفَ تَصُوْمُ قَالَ كُلَّ يَوْمٍ قَالَ وَكَيْفَ تَخْتِمُ قَالَ كُلَّ لَيْلَةٍ قَالَ صُمْ فِيْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلَاثَةً وَاقْرَإِ الْقُرْآنَ فِيْ كُلِّ شَهْرٍ قَالَ قُلْتُ أُطِيْقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ صُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي الْجُمُعَةِ قُلْتُ أُطِيْقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ أَفْطِرْ يَوْمَيْنِ وَصُمْ يَوْمًا قَالَ قُلْتُ أُطِيْقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ صُمْ أَفْضَلَ الصَّوْمِ صَوْمَ دَاوُدَ صِيَامَ يَوْمٍ وَإِفْطَارَ يَوْمٍ وَاقْرَأْ فِيْ كُلِّ سَبْعِ لَيَالٍ مَرَّةً فَلَيْتَنِيْ قَبِلْتُ رُخْصَةَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَذَاكَ أَنِّيْ كَبِرْتُ وَضَعُفْتُ فَكَانَ يَقْرَأُ عَلَى بَعْضِ أَهْلِهِ السُّبْعَ مِنَ الْقُرْآنِ بِالنَّهَارِ وَالَّذِيْ يَقْرَؤُهُ يَعْرِضُهُ مِنْ النَّهَارِ لِيَكُوْنَ أَخَفَّ عَلَيْهِ بِاللَّيْلِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَتَقَوَّى أَفْطَرَ أَيَّامًا وَأَحْصَى وَصَامَ مِثْلَهُنَّ كَرَاهِيَةَ أَنْ يَتْرُكَ شَيْئًا فَارَقَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ قَالَ أَبُوْ عَبْد اللهِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ فِيْ ثَلَاثٍ وَفِيْ خَمْسٍ وَأَكْثَرُهُمْ عَلَى سَبْعٍ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে এক সম্ভ্রান্ত বংশীয় মহিলার সঙ্গে শাদী দেন এবং প্রায়ই তিনি আমার সম্পর্কে আমার স্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করতেন। আমার স্ত্রী বলত, সে কতইনা ভাল মানুষ যে, সে কখনও আমার বিছানায় আসেনি এবং শাদীর পর থেকে আমার সম্পর্কে খোঁজ খবরও নেয়নি। এ অবস্থা যখন দীর্ঘদিন পর্যন্ত চলতে থাকল তখন আমার পিতা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে আমার সম্পর্কে জানালেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পিতাকে বললেন, তাকে আমার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করুন। এরপর আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেমন সওম পালন কর? আমি উত্তর দিলাম, প্রতিদিন সওম পালন করি। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, এ অবস্থায় পূর্ণ কুরআন মাজীদ খতম করতে তোমার কত সময় লাগে? আমি উত্তর দিলাম, প্রত্যেক রাতেই এক খতম করি। তিনি বললেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন সওম পালন করবে এবং কুরআন এক মাসে এক খতম দেবে।” আমি বললাম, আমি এর চেয়ে অধিক করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন সওম পালন করবে। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে অধিক করার শক্তি রাখি। তিনি বললেন, দু’দিন পর একদিন সওম পালন কর। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে অধিক সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে সব চেয়ে উত্তম পদ্ধতির সওম পালন কর। তা হল, দাঊদ (আঃ)- এর সওম। তিনি এক দিন অন্তর একদিন সওম পালন করতেন এবং প্রতি সাত দিনে একবার আল্লাহ্‌র কিতাব খতম করতেন। হায়! আমি যদি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর দেয়া সুবিধা গ্রহণ করতাম! এখন আমি দুর্বল বৃদ্ধ হয়ে গেছি। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) প্রত্যেক দিন তার পরিবারের একজন সদস্যের সামনে কুরআনের সপ্তমাংশ পাঠ করে শোনাতেন। দিবা ভাগে পাঠ করে দেখতেন, তার স্মরণশক্তি সঠিক আছে কিনা? যা তিনি রাতে পাঠ করবেন তা যেন সহজ হয় এবং যখনই তিনি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির ইচ্ছা করতেন তখন কয়েকদিন সওম পালন বন্ধ রাখতেন এবং পরবর্তীতে ঐ ক’দিনের হিসাব করে সওম পালন করতেন। কেননা, তিনি রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জীবদ্দশায় যে নিয়ম পালন করতেন পরে সে নিয়ম ত্যাগ করা অপছন্দ মনে করতেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ বলেন কেউ তিন দিনে, কেউ পাঁচ দিনে এবং অধিকাংশ লোক সাত দিনে কুরআন খতম করতেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮৩)

৫০৫৩
سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ كَمْ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কত দিনে তুমি কুরআন খতম কর? (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮৪)

৫০৫৪
سْحَاقُ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوْسَى عَنْ شَيْبَانَ عَنْ يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَوْلَى بَنِيْ زُهْرَةَ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ قَالَ وَأَحْسِبُنِيْ قَالَ سَمِعْتُ أَنَا مِنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اقْرَإِ الْقُرْآنَ فِيْ شَهْرٍ قُلْتُ إِنِّيْ أَجِدُ قُوَّةً حَتَّى قَالَ فَاقْرَأْهُ فِيْ سَبْعٍ وَلَا تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, “এক মাসে কুরআন পাঠ সমাপ্ত কর।” আমি বললাম, “আমি এর চেয়ে অধিক করার শক্তি রাখি।” তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তাহলে সাত দিনে তার পাঠ শেষ করো এবং এর চেয়ে কম সময়ে পাঠ করা শেষ করো না।”(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮৫)

৬৬/৩৫. অধ্যায়ঃ
কুরআন তিলাওয়াতকালে ক্রন্দন করা।

৫০৫৫
صَدَقَةُ أَخْبَرَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ يَحْيَى بَعْضُ الْحَدِيْثِ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ الْأَعْمَشُ وَبَعْضُ الْحَدِيْثِ حَدَّثَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ مُرَّةَ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ وَعَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اقْرَأْ عَلَيَّ قَالَ قُلْتُ أَقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَ إِنِّيْ أَشْتَهِيْ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِيْ قَالَ فَقَرَأْتُ النِّسَاءَ حَتَّى إِذَا بَلَغْتُ {فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍمبِشَهِيْدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلٰى هٰؤُلَآءِ شَهِيْدًا}قَالَ لِيْ كُفَّ أَوْ أَمْسِكْ فَرَأَيْتُ عَيْنَيْهِ تَذْرِفَانِ

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, তুমি আমার কাছে কুরআন পাঠ কর। আমি উত্তরে বললাম, আমি আপনার কাছে কুরআন পাঠ করবো, অথচ আপনারই ওপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বললেন, আমি অন্যের নিকট হতে কুরআন পাঠ শোনা পছন্দ করি। আমি তখন সুরাহ নিসা পাঠ করলাম যখন আমি এই আয়াত পর্যন্ত পৌঁছলামঃ “তারপর চিন্তা করো, আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্যে একজন করে সাক্ষী হাযির করব এবং এ সকলের ওপরে তোমাকে সাক্ষী হিসেবে হাযির করব তখন তারা কী করবে।” তখন তিনি আমাকে বললেন, “থাম!” আমি লক্ষ্য করলাম, তাঁর [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর] দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে।[৪৫৮২; মুসলিম ৬/৩৯, হাঃ ৮০০, আহমাদ ৩৫৫০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮৬)

৫০৫৬
قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَبِيْدَةَ السَّلْمَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اقْرَأْ عَلَيَّ قُلْتُ أَقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَ إِنِّيْ أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي.

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, আমার কাছে কুরআন পাঠ করো। আমি বললাম, আমি আপনার নিকট কুরআন পাঠ করব, অথচ আপনারই ওপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বললেন, আমি অন্যের তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮৭)

৬৬/৩৬. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি দেখানো বা দুনিয়ার লোভে অথবা গর্বের জন্য কুরআন পাঠ করে

৫০৫৭
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيْرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ خَيْثَمَةَ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ عَلِيٌّ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ يَأْتِيْ فِيْ آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ حُدَثَاءُ الْأَسْنَانِ سُفَهَاءُ الْأَحْلَامِ يَقُوْلُوْنَ مِنْ خَيْرِ قَوْلِ الْبَرِيَّةِ يَمْرُقُوْنَ مِنَ الإِسْلَامِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنْ الرَّمِيَّةِ لَا يُجَاوِزُ إِيْمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ فَأَيْنَمَا لَقِيْتُمُوْهُمْ فَاقْتُلُوْهُمْ فَإِنَّ قَتْلَهُمْ أَجْرٌ لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

‘আলী (রা) থেকে বর্ণিতঃ

বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি যে, শেষ যামানায় এমন একদল মানুষের আবির্ভাব হবে, যারা হবে কমবয়স্ক এবং যাদের বুদ্ধি হবে স্বল্প। ভাল ভাল কথা বলবে, কিন্তু তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান গলার নীচে পৌঁছবে না। সুতরাং তোমরা তাদেরকে যেখানে পাও, হত্যা কর। এদের হত্যাকারীর জন্য ক্বিয়ামাতে পুরস্কার রয়েছে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮৮)

৫০৫৮
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ يَخْرُجُ فِيْكُمْ قَوْمٌ تَحْقِرُوْنَ صَلَاتَكُمْ مَعَ صَلَاتِهِمْ وَصِيَامَكُمْ مَعَ صِيَامِهِمْ وَعَمَلَكُمْ مَعَ عَمَلِهِمْ وَيَقْرَءُوْنَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُوْنَ مِنْ الدِّيْنِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنْ الرَّمِيَّةِ يَنْظُرُ فِي النَّصْلِ فَلَا يَرَى شَيْئًا وَيَنْظُرُ فِي الْقِدْحِ فَلَا يَرَى شَيْئًا وَيَنْظُرُ فِي الرِّيْشِ فَلَا يَرَى شَيْئًا وَيَتَمَارَى فِي الْفُوْقِ.

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছিঃ ভবিষ্যতে এমন সব লোকের আগমন ঘটবে, যাদের সলাতের তুলনায় তোমাদের সলাতকে, তাদের সওমের তুলনায় তোমাদের সওমকে এবং তাদের ‘আমালের তুলনায় তোমাদের ‘আমালকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীর নিচে (অর্থাৎ অন্তরে) প্রবেশ করবে না। এরা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমনভাবে নিক্ষিপ্ত তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। আর শিকারী সেই তীরের আগা পরীক্ষা করে দেখতে পায়, তাতে কোন চিহ্ন নেই। সে তীরের ফলার পার্শ্বদেশে নযর করে; অথচ সেখানে কিছু দেখতে পায় না। শেষে ঐ ব্যক্তি কোন কিছু পাওয়ার জন্য তীরের নিম্নভাগে সন্দেহ পোষণ করে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮৯)

৫০৫৯
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمُؤْمِنُ الَّذِيْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَعْمَلُ بِهِ كَالْأُتْرُجَّةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَرِيْحُهَا طَيِّبٌ وَالْمُؤْمِنُ الَّذِيْ لَا يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَعْمَلُ بِهِ كَالتَّمْرَةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَلَا رِيْحَ لَهَا وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِيْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَالرَّيْحَانَةِ رِيْحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِيْ لَا يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَالْحَنْظَلَةِ طَعْمُهَا مُرٌّ أَوْ خَبِيْثٌ وَرِيْحُهَا مُرٌّ.

আবূ মূসা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ঐ মু’মিন যে কুরআন পাঠ করে এবং সে অনুযায়ী ‘আমাল করে, তাঁর দৃষ্টান্ত ঐ লেবুর মত যা খেতে সুস্বাদু এবং গন্ধে চমৎকার। আর ঐ মু’মিন যে কুরআন পাঠ করে না; কিন্তু এর অনুসারে ‘আমাল করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ খেজুরের মত যা খেতে সুস্বাদু কিন্তু সুগন্ধ নেই। আর মুনাফিক যে কুরআন পাঠ করে; তার উদাহরণ হচ্ছে, ঐ রায়হানের মত, যার মত মাতানো খুশবু আছে, অথচ খেতে একেবারে বিস্বাদ। আর ঐ মুনাফিক যে কুরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ মাকাল ফলের মত, যা খেতে বিস্বাদ এবং গন্ধে দুর্গন্ধময়।(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯০)

৬৬/৩৭. অধ্যায়ঃ
যতক্ষণ মন চায় কুরআন তিলাওয়াত করা।

৫০৬০
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ جُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ مَا ائْتَلَفَتْ قُلُوْبُكُمْ فَإِذَا اخْتَلَفْتُمْ فَقُوْمُوْا عَنْهُ.

জুনদুব ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইবাদাত মনের চাহিদার অনুকূল হয় তিলাওয়াত করতে থাক এবং (তাতে) মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটলে পড়া ত্যাগ কর। [৫০৬১, ৭৩৬৪, ৭৩৬৫; মুসলিম ৪৭/১, হাঃ ২৬৬৭, আহমাদ ১৮৮৩৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯১)

৫০৬১
عَمْرُوْ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا سَلَّامُ بْنُ أَبِيْ مُطِيْعٍ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ جُنْدَبٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اقْرَءُوا الْقُرْآنَ مَا ائْتَلَفَتْ عَلَيْهِ قُلُوْبُكُمْ فَإِذَا اخْتَلَفْتُمْ فَقُوْمُوْا عَنْهُ

تَابَعَهُ الْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ وَسَعِيْدُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ وَلَمْ يَرْفَعْهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَأَبَانُ وَقَالَ غُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا قَوْلَهُ وَقَالَ ابْنُ عَوْنٍ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ عُمَرَ قَوْلَهُ وَجُنْدَبٌ أَصَحُّ وَأَكْثَرُ.

জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইবাদাত মনের চাহিদার অনুকূল হয় তিলাওয়াত করতে থাক এবং তাতে মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটলে পড়া ত্যাগ কর। হারিস ইবনু ‘উবায়দ ও সা’ঈদ ইবনু যায়দ আবূ ‘ইমরান এর মাধ্যমে জুনদাবের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাম্মাদ ইবনু সালামাহ ও আবান এটিকে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেননি। ….. তবে জুনদাবের বর্ণনাটি অধিক বিশুদ্ধ ও অধিক বর্ণিত।

৫০৬২
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ آيَةً سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خِلَافَهَا فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ فَانْطَلَقْتُ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كِلَاكُمَا مُحْسِنٌ فَاقْرَأَا أَكْبَرُ عِلْمِيْ قَالَ فَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ اخْتَلَفُوْا فَأُهْلَكَهُمْ.

‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তিনি এক ব্যক্তিকে আয়াত পড়তে শুনলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে যেভাবে পড়তে শুনতেন, তার থেকে সে অন্য রকম করে পড়ছিল। তখন ঐ ব্যক্তিকে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট নিয়ে গেলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা উভয়ই সঠিকভাবে পাঠ করেছ। সুতরাং এভাবে কুরআন পাঠ করতে থাক। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বললেন, তোমাদের পূর্বেকার জাতিগুলো তাদের পারস্পরিক বিভেদের জন্যই ধ্বংস হয়ে গেছে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯২)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]