সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আহার সংক্রান্ত অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৫৪২৭– ৫৪৬৬

৭০/৩০. অধ্যায়ঃ
খাদ্যদ্রব্যের আলোচনা

৫৪২৭
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ أَبِي مُوسٰى الأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الأُتْرُجَّةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا طَيِّبٌ وَمَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ التَّمْرَةِ لاَ رِيحَ لَهَا وَطَعْمُهَا حُلْوٌ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مَثَلُ الرَّيْحَانَةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الْحَنْظَلَةِ لَيْسَ لَهَا رِيحٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ.

আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুরআন পাঠকারী মু’মিনের দৃষ্টান্ত কমলার মত, যার ঘ্রাণও চমৎকার স্বাদও মজাদার। যে মু’মিন কুরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের মত, যার কোন সুঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ মিষ্টি। আর যে মুনাফিক কুরআন পাঠ করে তার উদাহরন রায়হানার মত, যার সুঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পাঠ করে না, তার উদাহরণ হন্‌যালা ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নাই, স্বাদও তিক্ত। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২০)

৫৪২৮
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا خَالِدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَضْلُ عَائِشَةَ عَلٰى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلٰى سَائِرِ الطَّعَامِ.

আনাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সমস্ত খাদ্যের মধ্যে ‘সারীদের’ যেমন মর্যাদা আছে, তেমনি স্ত্রীলোকের মধ্যে ‘আয়িশা (রাঃ)-এর মর্যাদা আছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২১)

৫৪২৯
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ سُمَيٍّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ السَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنَ الْعَذَابِ يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ نَوْمَه“ وَطَعَامَه“ فَإِذَا قَضٰى نَهْمَتَه“ مِنْ وَجْهِه„ فَلْيُعَجِّلْ إِلٰى أَهْلِهِ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সফর হলো ‘আযাবের একটা টুকরা, যা তোমাদের সফরকারীকে নিদ্রা ও আহার থেকে বিরত রাখে। তাই তোমাদের কারো প্রয়োজন পূরন হয়ে গেলে সে যেন শীঘ্র তার পরিবারের কাছে ফিরে আসে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২২)

৭০/৩১. অধ্যায়ঃ
তরকারী প্রসঙ্গে

৫৪৩০
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ رَبِيعَةَ أَنَّه“ سَمِعَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ يَقُوْلُ كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلاَثُ سُنَنٍ أَرَادَتْ عَائِشَةُ أَنْ تَشْتَرِيَهَا فَتُعْتِقَهَا فَقَالَ أَهْلُهَا وَلَنَا الْوَلاَءُ فَذَكَرَتْ ذ‘لِكَ لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَوْ شِئْتِ شَرَطْتِيهِ لَهُمْ فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ قَالَ وَأُعْتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي أَنْ تَقِرَّ تَحْتَ زَوْجِهَا أَوْ تُفَارِقَه“ وَدَخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا بَيْتَ عَائِشَةَ وَعَلٰى النَّارِ بُرْمَةٌ تَفُورُ فَدَعَا بِالْغَدَاءِ فَأُتِيَ بِخُبْزٍ وَأُدْمٍ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ أَلَمْ أَرَ لَحْمًا قَالُوا بَلٰى يَا رَسُوْلَ اللهِ وَلٰكِنَّه“ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِه„ عَلٰى بَرِيرَةَ فَأَهْدَتْه“ لَنَا فَقَالَ هُوَ صَدَقَةٌ عَلَيْهَا وَهَدِيَّةٌ لَنَا.

কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বারীরার ঘটনায় শরীয়াতের তিনিটি বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়। ‘আয়িশা (রাঃ) তাকে ক্রয় করে মুক্ত করতে চাইলে তার মালিকেরা বলল, ‘ওলা’ (উত্তরাধিকার) আমাদের থাকবে। ‘আয়িশা (রাঃ) বিষয়টি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ তুমি ইচ্ছে করলে তাদের জন্য ওলীর শর্ত মেনে নাও। কারন, প্রকৃতপক্ষে ওলীর অধিকারী হল মুক্তিদাতা। তাকে আযাদ করে এখ্‌তিয়ার দেয়া হলো, ইচ্ছে হলে পূর্ব স্বামীর সংসারে তাকে থাকতে কিংবা ইচ্ছে করলে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন ‘আয়িশাহ্‌র গৃহে প্রবেশ করলেন। সে সময় চুলার উপর ডেকচি ফুটছিল। তিনি সকালের খাবার আনতে বললে তাঁর কাছে রুটি ও ঘরের কিছু তরকারী আনা হল। তিনি বললেন, আমি কি গোশ্‌ত দেখিনি? তাঁরা বললেনঃ হাঁ (গোশ্‌ত রয়েছে) হে আল্লাহ্‌র রসূল! কিন্তু তা ঐ গোশ্‌ত যা বারীরাহ্‌কে সদাকাহ করা হয়েছিল। এরপর সে তা আমাদের হাদিয়া দিয়েছে। তিনি বললেনঃ এটা তার জন্য সদাকাহ, কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া স্বরূপ।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৩)

৭০/৩২. অধ্যায়ঃ
হাল্‌ওয়া ও মধু

৫৪৩১
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাল্‌ওয়া ও মধু ভালোবাসতেন। [৪৫](আধুনিক প্রকাশনী- ৫০২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৪)






[৪৫] জ্ঞান, তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও সুকৌশলের দিক দিয়ে মধুমক্ষিকা সমস্ত পতঙ্গের মধ্যে বিশেষ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। মৌমাছি বিভিন্ন প্রকার ফুল ও ফলের রস চুষে। এই রস তাদের পেটের রসে মধুতে রূপান্তরিত হয়। মধু হল মধুমক্ষিকা ও তাদের সন্তানদের খাবার এবং এটি আমাদের সকলের জন্য সুস্বাদু খাদ্য এবং রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্র বলে আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেছেন। খাদ্য ও ঋতুর বিভিন্নতার কারণে মধুর রং ভিন্ন হয়। এ কারণেই কোন বিশেষ অঞ্চলে কোন বিশেষ ফল-ফুলের প্রাচুর্য থাকলে সেই এলাকার মধুতে তার প্রভাব ও স্বাদ পরিলক্ষিত হয়। একটি ছোট প্রানীর পেট থেকে কেমন সুস্বাদু ও উপকারী পানীয় বের হয় অথচ প্রাণীটি স্বয়ং বিষাক্ত। বিষাক্ত প্রানীর দেহে এই রোগ প্রতিষেধক তরল খাদ্য বাস্তবিকই আল্লাহ্‌ তা’আলার অপার শক্তির মহিমার নিদর্শন এবং চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য চিন্তার খোরাক। মধু বলকারক খাদ্য এবং রসনার জন্য আনন্দ ও তৃপ্তিদায়ক, আবার রোগ ব্যাধির জন্যও ফলপ্রদক ব্যবস্থাপত্র। কবিরাজ ও হেকিমগণ সালসা তৈরি করতে এটি ব্যবহার করেন।

মধু নিজেও নষ্ট হয় না এবং অন্য বস্তুকে দীর্ঘকাল পর্যন্ত নষ্ট হতে দেয় না। এ কারণেই হেকিম কবিরাজগণ একে এলকোহল এর স্থলে ব্যবহার করেন। মধু বিরোচক এবং পেট থেকে দূষিত পদার্থ অপসারক। অনেকেই বিষনাষক হিসেবে এর ব্যবহার করে থাকেন। মধুর নিরাময় শক্তি ব্যাপক ও স্বতন্ত্র। সাহাবীগণ (রাঃ) মধুর মাধ্যমে ফোঁড়া ও চোখের চিকিৎসা করতেন। ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তাঁর শরীরে ফোঁড়া বের হলে তিনি তাতে মধুর প্রলেপ দিতেন (কুরতুবী)। নবী মোস্তফা (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মধু খুব পছন্দ করতেন। প্রাচীনকাল থেকে আহত স্থান ড্রেসিং করার জন্য মধু ব্যবহার হতো। গবেষকগণ বলেন যে, মধু ত্বকের ক্ষতের জন্য নিরাময়ী। গবেষকদের ধারণা মৌমাছিরা মধু তৈরি করছে আনুমানিক ১০-২০ মিলিয়ন বছর থেকে। সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ যদিও দেহের ক্ষতস্থান ড্রেসিং করার জন্য এবং আরো অন্যান্য অসুখে মধু ব্যবহার করত তবুও বিজ্ঞানীরা বলেছেন মধুর নিরাময়ী ক্ষমতা এখনো সম্পূর্ণ উন্মোচিত হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা গত বছর পোড়া, ক্ষত ও আঘাতের চিকিৎসার জন্য বিশুদ্ধ মধু ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। এখন উন্নত দেশের বাজারে মধুজাত এবং মধু থেকে সংগৃহীত দ্রব্য দেদারসে আসছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৫৪৩২
عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الْفُدَيْكِ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنِ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كُنْتُ أَلْزَمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِشِبَعِ بَطْنِي حِينَ لاَ آكُلُ الْخَمِيرَ وَلاَ أَلْبَسُ الْحَرِيرَ وَلاَ يَخْدُمُنِي فُلاَنٌ وَلاَ فُلاَنَةُ وَأُلْصِقُ بَطْنِي بِالْحَصْبَاءِ وَأَسْتَقْرِئُ الرَّجُلَ الآيَةَ وَهِيَ مَعِي كَيْ يَنْقَلِبَ بِي فَيُطْعِمَنِي وَخَيْرُ النَّاسِ لِلْمَسَاكِينِ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَنْقَلِبُ بِنَا فَيُطْعِمُنَا مَا كَانَ فِي بَيْتِه„ حَتّٰى إِنْ كَانَ لَيُخْرِجُ إِلَيْنَا الْعُكَّةَ لَيْسَ فِيهَا شَيْءٌ فَنَشْتَقُّهَا فَنَلْعَقُ مَا فِيهَا

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি পেট ভরার জন্য যা পেতাম তাতে সন্তুষ্ট হয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সবসময় লেগে থাকতাম। সে সময় রুটি খেত পেতাম না, রেশমী কাপড় পরতাম না, কোন চাকর-চাকরানীও আমার খিদমতে ছিল না। আমি পাথরের সঙ্গে পেট লাগিয়ে রাখতাম। আয়াত জানা সত্ত্বেও কাউকে তা পাঠ করার জন্য বলতাম, যাতে সে আমাকে ঘরে নিয়ে যায় এবং আহার করায়। মিসকীনদের প্রতি অত্যন্ত দরদী ব্যক্তি ছিলেন জা’ফর ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ)। তিনি আমাদের নিয়ে যেতেন এবং ঘরে যা থাকত তাই আমাদের খাওয়াতেন। এমনকি তিনি আমাদের কাছে ঘি’র পাত্রটিও বের করে আনতেন, জাতে ঘি থাকত না। আমরা ওটাই ফেড়ে ফেলতাম আর যা থাকত তাই চাটতাম(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৫)

৭০/৩৩. অধ্যায়ঃ
কদু প্রসঙ্গে

৫৪৩৩
عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتٰى مَوْلًى لَه“ خَيَّاطًا فَأُتِيَ بِدُبَّاءٍ فَجَعَلَ يَأْكُلُه“ فَلَمْ أَزَلْ أُحِبُّه“ مُنْذُ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُهُ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এক দর্জি গোলামের বাড়ীতে আসলেন। তাঁর সামনে কদু উপস্থিত করা হলে তিনি (বেছে বেছে) কদু খেতে লাগলেন। সে দিন থেকে আমিও কদু খেতে ভালোবাসি, যেদিন থেকে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তা খেতে দেখেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৬)

৭০/৩৪. অধ্যায়ঃ
ভাইদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করা

৫৪৩৪
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ قَالَ كَانَ مِنَ الأَنْصَارِ رَجُلٌ يُقَالُ لَه“ أَبُو شُعَيْبٍ وَكَانَ لَه“ غُلاَمٌ لَحَّامٌ فَقَالَ اصْنَعْ لِي طَعَامًا أَدْعُو رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَامِسَ خَمْسَةٍ فَدَعَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَامِسَ خَمْسَةٍ فَتَبِعَهُمْ رَجُلٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّكَ دَعَوْتَنَا خَامِسَ خَمْسَةٍ وَهٰذَا رَجُلٌ قَدْ تَبِعَنَا فَإِنْ شِئْتَ أَذِنْتَ لَه“ وَإِنْ شِئْتَ تَرَكْتَه“ قَالَ بَلْ أَذِنْتُ لَه“ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيْلَ يَقُوْلُ إِذَا كَانَ الْقَوْمُ عَلَى الْمَائِدَةِ لَيْسَ لَهُمْ أَنْ يُنَاوِلُوا مِنْ مَائِدَةٍ إِلٰى مَائِدَةٍ أُخْر‘ى وَلٰكِنْ يُنَاوِلُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فِي تِلْكَ الْمَائِدَةِ أَوْ يَدَعُ.

আবূ মাস’ঊদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনসার গোত্রের আবূ শু’আয়ব নামক জনৈক ব্যক্তির এক কসাই গোলাম ছিল। সে তাকে বলল, আমার জন্য কিছু খাবার প্রস্তুত কর, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দাওয়াত করতে চাই। পাঁচজনের মধ্যে তিনি হবেন একজন। তারপর সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দাওয়াত করল। তিনি ছিলেন পাঁচজনের অন্যতম। তখন এক ব্যক্তি তাদের পিছে পিছে আসতে লাগল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তো আমাকে আমাদের পাঁচজনের পঞ্চম ব্যক্তি হিসেবে দাওয়াত দিয়েছ। এ লোকটা আমাদের পিছে চলে এসেছে। তুমি ইচ্ছে করলে তাকে অনুমতি দিতে পার, আর ইচ্ছে করলে বাদও দিতে পার। সে বলল, আমি বরং তাকে অনুমতি দিচ্ছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৭)

৭০/৩৫. অধ্যায়ঃ
কাউকে খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে নিজে অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া

৫৪৩৫
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُنِيرٍ سَمِعَ النَّضْرَ أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ثُمَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كُنْتُ غُلاَمًا أَمْشِي مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلٰى غُلاَمٍ لَه“ خَيَّاطٍ فَأَتَاه“ بِقَصْعَةٍ فِيهَا طَعَامٌ وَعَلَيْهِ دُبَّاءٌ فَجَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَتَتَبَّعُ الدُّبَّاءَ قَالَ فَلَمَّا رَأَيْتُ ذ‘لِكَ جَعَلْتُ أَجْمَعُه“ بَيْنَ يَدَيْهِ قَالَ فَأَقْبَلَ الْغُلاَمُ عَلٰى عَمَلِه„ قَالَ أَنَسٌ لاَ أَزَالُ أُحِبُّ الدُّبَّاءَ بَعْدَ مَا رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَنَعَ مَا صَنَعَ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ছোট ছিলাম। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে চলাফেরা করতাম। একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এক গোলামের কাছে গেলেন, সে ছিল দর্জি। সে তাঁর সামনে একটি পাত্র হাযির করল, যাতে খাবার ছিল। আর তাতে কদুও ছিল। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেছে বেছে কদু খেতে লাগলেন। এ দেখে আমি কদুর টুকরাগুলো তাঁর সামনে জমা করতে লাগলাম। তিনি বললেনঃ গোলাম তার কাজে লেগে গেল। আনাস (রাঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে যখন এরূপ করতে দেখলাম যা তিনি করলেন তারপর থেকে আমিও কদু খাওয়া পছন্দ করতে লাগলাম।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৮)

৭০/৩৬. অধ্যায়ঃ
শুরুয়া প্রসঙ্গে

৫৪৩৬
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّه“ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَنَّ خَيَّاطًا دَعَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِطَعَامٍ صَنَعَه“ فَذَهَبْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَّبَ خُبْزَ شَعِيرٍ وَمَرَقًا فِيهِ دُبَّاءٌ وَقَدِيدٌ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَتَتَبَّعُ الدُّبَّاءَ مِنْ حَوَالَيْ الْقَصْعَةِ فَلَمْ أَزَلْ أُحِبُّ الدُّبَّاءَ بَعْدَ يَوْمِئِذٍ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক দর্জি কিছু খাবার প্রস্তুত করে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দাওয়াত করল। আমিও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে গেলাম। সে যবের রুটি আর শুরুয়ায় ডুবানো কদু আর শুকনা গোশত হাজির করল। আমি দেখলাম রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেয়ালার চারিদিক থেকে কদু বেছে বেছে খাচ্ছেন। সে দিন থেকে আমিও কদু খেতে পছন্দ করলাম।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৯)

৭০/৩৭. অধ্যায়ঃ
শুকনা গোশ্‌ত প্রসঙ্গে

৫৪৩৭
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِمَرَقَةٍ فِيهَا دُبَّاءٌ وَقَدِيدٌ فَرَأَيْتُه“ يَتَتَبَّعُ الدُّبَّاءَ يَأْكُلُهَا.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি দেখলাম রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু শুরুয়া হাজির করা হল, যাতে কদু ও শুকনো গোশ্‌ত ছিল। আমি তাঁকে কদু বেছে বেছে খেতে দেখলাম।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩০)

৫৪৩৮
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ مَا فَعَلَهُ إِلاَّ فِي عَامٍ جَاعَ النَّاسُ، أَرَادَ أَنْ يُطْعِمَ الْغَنِيُّ الْفَقِيرَ، وَإِنْ كُنَّا لَنَرْفَعُ الْكُرَاعَ بَعْدَ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَمَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مَنْ خُبْزِ بُرٍّ مَأْدُومٍ ثَلاَثًا‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এ (তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশ্‌ত রাখার) নিষেধাজ্ঞা কেবল সে বছরের জন্যই ছিল, যে বছর লোকে দুর্ভিক্ষে পড়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন ধনীরা যেন গরীবদের খাওয়ায়। নইলে আমরা তো পরবর্তী সময় পায়াগুলো পনের দিন রেখে দিতাম। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবার পরপর তিন দিন পর্যন্ত তরকারী দিয়ে যবের রুটি পেট ভরে খাননি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩১)

৭০/৩৮. অধ্যায়ঃ
একই দস্তরখানে সাথীকে কিছু এগিয়ে দেয়া বা তার নিকট হতে কিছু নেয়া

ইবনু মুবারক বলেনঃ একজন অপরজনকে কিছু দেয়ায় কোন দোষ নেই । তবে এক দস্তরখান থেকে অন্য দস্তরখানে দিবে না ।

৫৪৩৯
إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّه“ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُوْلُ إِنَّ خَيَّاطًا دَعَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِطَعَامٍ صَنَعَه“ قَالَ أَنَسٌ فَذَهَبْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلٰى ذ‘لِكَ الطَّعَامِ فَقَرَّبَ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم خُبْزًا مِنْ شَعِيرٍ وَمَرَقًا فِيهِ دُبَّاءٌ وَقَدِيدٌ قَالَ أَنَسٌ فَرَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَتَتَبَّعُ الدُّبَّاءَ مِنْ حَوْلِ الصَّحْفَةِ فَلَمْ أَزَلْ أُحِبُّ الدُّبَّاءَ مِنْ يَوْمِئِذٍ وَقَالَ ثُمَامَةُ عَنْ أَنَسٍ فَجَعَلْتُ أَجْمَعُ الدُّبَّاءَ بَيْنَ يَدَيْهِ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একজন দর্জি কিছু খাবার প্রস্তুত করে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দাওয়াত করল। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি সে দাওয়াতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে গেলাম। লোকটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে যবের রুটি এবং শুরুয়ায় ডুবানো কদু ও শুকনো গোশ্‌ত পেশ করল। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি দেখলাম, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেয়ালার চারিদিক থেকে কদু খুঁজে খাচ্ছেন। সেদিন থেকে আমি কদু ভালবাসতে লাগলাম। সুমামা (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ আমি কদুর টুকরাগুলো তার সামনে একত্রিত করতে লাগলাম।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩২)

৭০/৩৯. অধ্যায়ঃ
তাজা খেজুর ও কাঁকুড় প্রসঙ্গে

৫৪৪০
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ الرُّطَبَ بِالْقِثَّاءِ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর ইবনু আবূ ত্বলিব থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাজা খেজুর কাঁকুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দেখেছি। [৫৪৪৭, ৫৪৪৯; মুসলিম ৩৬/২৩, হাঃ ২০৪৩, আহমাদ ১৭৪১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৩)

৭০/৪০. অধ্যায়ঃ
রদ্দি খেজুর প্রসঙ্গে

৫৪৪১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَبَّاسٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ تَضَيَّفْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ سَبْعًا فَكَانَ هُوَ وَامْرَأَتُه“ وَخَادِمُه“ يَعْتَقِبُونَ اللَّيْلَ أَثْلاَثًا يُصَلِّي هٰذَا ثُمَّ يُوقِظُ هٰذَا وَسَمِعْتُه“ يَقُوْلُ قَسَمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَصْحَابهِ تَمْرًا فَأَصَابَنِي سَبْعُ تَمَرَاتٍ إِحْدَاهُنَّ حَشَفَةٌ.





حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَسَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَنَا تَمْرًا فَأَصَابَنِي مِنْهُ خَمْسٌ أَرْبَعُ تَمَرَاتٍ وَحَشَفَةٌ، ثُمَّ رَأَيْتُ الْحَشَفَةَ هِيَ أَشَدُّهُنَّ لِضِرْسِي‏.‏

আবূ ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমি সাতদিন পর্যন্ত আবূ হুরাইরার মেহমান ছিলাম। (দেখলাম) তিনি, তাঁর স্ত্রী ও খাদিম পালাক্রমে রাতকে তিনভাগ করে নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন সলাত আদায় করে অন্যজনকে জাগিয়ে দিলেন। আর আমি তাঁকে এ কথাও বলতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গীদের মাঝে কিছু খেজুর বন্টন করলেন। আমি ভাগে সাতটি পেলাম, তার মধ্যে একটি ছিল রদ্দি। (আ. প্র. ৫০৩৮, ই. ফা. ৪৯৩৪)



———————



৫৪৪১/১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে কিছু খেজুর বন্টন করলেন। আমি ভাগে পেলাম পাঁচটি। চারটি খেজুর (উৎকৃষ্ট) আর একটি রদ্দি। এই রদ্দি খেজুরটিই আমার দাঁতে সবগুলোর চেয়ে শক্তবোধ হল। (আ. প্র. ৫০৩৯, ই. ফা. ৪৯৩৫)

৭০/৪১. অধ্যায়ঃ
তাজা ও শুকনা খেজুর প্রসঙ্গে

আর মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কান্ড নাড়া দাও, তা তোমার জন্য পাকা তাজা খেজুর ঝরাবে।” (সূরাহ মারইয়াম ১৯/২৫)

৫৪৪২
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورِ ابْنِ صَفِيَّةَ، حَدَّثَتْنِي أُمِّي، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ شَبِعْنَا مِنَ الأَسْوَدَيْنِ التَّمْرِ وَالْمَاءِ‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করেন, তখন আমরা দু’টো কালো জিনিস দিয়ে তৃপ্ত হতাম– খেজুর এবং পানি।আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)

৫৪৪৩
سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْن أَبِي رَبِيعَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ كَانَ بِالْمَدِينَةِ يَهُودِيٌّ وَكَانَ يُسْلِفُنِي فِي تَمْرِي إِلَى الْجِدَادِ وَكَانَتْ لِجَابِرٍ الأَرْضُ الَّتِي بِطَرِيقِ رُومَةَ فَجَلَسَتْ فَخَلاَ عَامًا فَجَاءَنِي الْيَهُودِيُّ عِنْدَ الْجَدَادِ وَلَمْ أَجُدَّ مِنْهَا شَيْئًا فَجَعَلْتُ أَسْتَنْظِرُه“ إِلٰى قَابِلٍ فَيَأْبٰى فَأُخْبِرَ بِذ‘لِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لأَصْحَابِه„ امْشُوا نَسْتَنْظِرْ لِجَابِرٍ مِنَ الْيَهُودِيِّ فَجَاءُونِي فِي نَخْلِي فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُكَلِّمُ الْيَهُودِيَّ فَيَقُوْلُ أَبَا الْقَاسِمِ لاَ أُنْظِرُه“ فَلَمَّا رَأٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَامَ فَطَافَ فِي النَّخْلِ ثُمَّ جَاءَه“ فَكَلَّمَه“ فَأَبٰى فَقُمْتُ فَجِئْتُ بِقَلِيلِ رُطَبٍ فَوَضَعْتُه“ بَيْنَ يَدَيْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ ثُمَّ قَالَ أَيْنَ عَرِيشُكَ يَا جَابِرُ فَأَخْبَرْتُه“ فَقَالَ افْرُشْ لِي فِيهِ فَفَرَشْتُه“ فَدَخَلَ فَرَقَدَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَجِئْتُه“ بِقَبْضَةٍ أُخْر‘ى فَأَكَلَ مِنْهَا ثُمَّ قَامَ فَكَلَّمَ الْيَهُودِيَّ فَأَبٰى عَلَيْهِ فَقَامَ فِي الرِّطَابِ فِي النَّخْلِ الثَّانِيَةَ ثُمَّ قَالَ يَا جَابِرُ جُدَّ وَاقْضِ فَوَقَفَ فِي الْجَدَادِ فَجَدَدْتُ مِنْهَا مَا قَضَيْتُه“ وَفَضَلَ مِنْه“ فَخَرَجْتُ حَتّٰى جِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَبَشَّرْتُه“ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنِّي رَسُوْلُ اللهِ

عُرُوشٌ وَعَرِيشٌ بِنَاءٌ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَعْرُوشَاتٍ مَا يُعَرَّشُ مِنَ الْكُرُومِ وَغَيْرِ ذ‘لِكَ يُقَالُ عُرُوشُهَا أَبْنِيَتُهَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ : قَالَ أَبُو جَعْفَرِ : قَالَ مُحَمَّدُ بنُ إسْمَاعِيْلَ فَخَلاَ لَيْسَ عِندِيْ مُقَيِّدًا ثُمَّ قَالَ : فَجَلّٰى لَيْسَ فِيْهِ شَكٌّ

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মদিনায় এক ইয়াহূদী ছিল। সে আমাকে কর্জ দিত, আমার খেজুর পাড়ার মিয়াদ পর্যন্ত। রুমা নামক স্থানের পথের ধারে জাবির (রাঃ)-এর এক টুকরো জমি ছিল। আমি কর্জ পরিশোধে এক বছর বিলম্ব করলাম। এরপর খেজুর পাড়ার সময়ে ইয়াহূদী আমার কাছে আসল, আমি তখনো খেজুর পাড়তে পারিনি। আমি তার কাছে আগামী বছর পর্যন্ত সময় চাইলাম। সে অস্বীকার করল। এ খবর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানানো হল। তিনি সাহাবীদের বললেনঃ চলো জাবিরের জন্য ইয়াহূদী থেকে সময় নেই। তারপর তাঁরা আমার বাগানে আসলেন। নবী ইয়াহূদীর সঙ্গে এ নিয়ে কথাবার্তা বললেন। সে বললঃ হে আবুল কাসিম! আমি তাকে আর সময় দেব না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার এ কথা শুনে উঠলেন এবং বাগানটির চারিদিকে ঘুরে তার কাছে এসে আবার আলাপ করলেন। সে এবারও অস্বীকার করল। এরপর আমি উঠে গিয়ে সামান্য কিছু তাজা খেজুর নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রাখলাম। তিনি কিছু খেলেন। তারপর বললেনঃ হে জাবির! তোমার ছাপড়াটা কোথায়? আমি তাঁকে জানিয়ে দিলাম। তিনি বললেনঃ সেখানে আমার জন্য বিছানা বিছাও। আমি বিছানা বিছিয়ে দিলে তিনি এতে ঢুকে ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুম থেকে জাগলে আমি তাঁর কাছে আরেক মুষ্টি খেজুর নিয়ে আসলাম। তিনি তা থেকে খেলেন। তারপর উঠে আবার ইয়াহূদীর সঙ্গে কথা বললেন। সে অস্বীকার করল। তখন তিনি দ্বিতীয়বার খেজুর বাগানে গেলেন এবং বললেনঃ হে জাবির! তুমি খেজুর পাড়তে থাকে এবং ঋণ শোধ কর। এই বলে, তিনি খেজুর পাড়ার স্থানে বসলেন। আমি খেজুর পেড়ে ইয়াহূদীর পাওনা শোধ করলাম। এরপর আরও খেজুর উদ্বৃত্ত রইল। আমি বেরিয়ে এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সুসংবাদ দিলাম। তিনি বললেনঃ তুমি সাক্ষী থাক যে, আমি আল্লাহ্‌র রসূল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৬)

৭০/৪২. অধ্যায়ঃ
খেজুর গাছের মাথী খাওয়া প্রসঙ্গে

৫৪৪৪
عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِي مُجَاهِدٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم جُلُوسٌ إِذَا أُتِيَ بِجُمَّارِ نَخْلَةٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ مِنَ الشَّجَرِ لَمَا بَرَكَتُه“ كَبَرَكَةِ الْمُسْلِمِ فَظَنَنْتُ أَنَّه“ يَعْنِي النَّخْلَةَ فَأَرَدْتُ أَنْ أَقُولَ هِيَ النَّخْلَةُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ثُمَّ الْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا عَاشِرُ عَشَرَةٍ أَنَا أَحْدَثُهُمْ فَسَكَتُّ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هِيَ النَّخْلَةُ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে কিছু খেজুর গাছের মাথী আনা হলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এমন একটি গাছ আছে যার বারাকাত মুসলিমের বারাকাতের ন্যায়। আমি ভাবলাম, তিনি খেজুর গাছের কথা বলেছেন। আমি বলতে চাইলামঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! সেটি কি খেজুর গাছ? কিন্তু এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম, আমি উপস্থিত দশ জনের দশম ব্যক্তি এবং সকলের ছোট, তাই আমি চুপচাপ থাকলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সেটা খেজুর গাছ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৭)

৭০/৪৩. অধ্যায়ঃ
আজওয়া খেজুর প্রসঙ্গে

৫৪৪৫
جُمْعَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ هَاشِمٍ أَخْبَرَنَا عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرَّه“ فِي ذ‘لِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.

সা’দ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৮)

৭০/৪৪. অধ্যায়ঃ
এক সঙ্গে মিলিয়ে একাধিক খেজুর খাওয়া

৫৪৪৬
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا جَبَلَةُ بْنُ سُحَيْمٍ قَالَ أَصَابَنَا عَامُ سَنَةٍ مَعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَرَزَقَنَا تَمْرًا فَكَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ يَمُرُّ بِنَا وَنَحْنُ نَأْكُلُ وَيَقُوْلُ لاَ تُقَارِنُوا فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهٰى عَنِ الْقِرَانِ ثُمَّ يَقُوْلُ إِلاَّ أَنْ يَسْتَأْذِنَ الرَّجُلُ أَخَاه“ قَالَ شُعْبَةُ الإِذْنُ مِنْ قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ.

জাবাল ইবনু সুহায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু যুবায়র-এর ‘আমলে আমাদের উপর দুর্ভিক্ষ আসলো। তখন তিনি খাদ্য হিসেবে আমাদের কিছু খেজুর দিলেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় আমরা খাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ একত্রে একাধিক খেজুর খেয়ো না। কেননা, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একসাথে একের বেশি খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, তবে কেউ যদি তার ভাইকে অনুমতি দেয়, তবে তাতে কোন দোষ হবে না। শু’বাহ বলেন, অনুমতির কথাটি ইবনু উমারের নিজস্ব কথা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৯)

৭০/৪৫. অধ্যায়ঃ
কাঁকুড় প্রসঙ্গে

৫৪৪৭
إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ جَعْفَرٍ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ الرُّطَبَ بِالْقِثَّاءِ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে কাঁকুড় (ক্ষীরা জাতীয় ফল)-এর সঙ্গে খেজুর খেতে দেখেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪০)

৭০/৪৬. অধ্যায়ঃ
খেজুর বৃক্ষের বারাকাত

৫৪৪৮
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ عَنْ زُبَيْدٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ مِنَ الشَّجَرِ شَجَرَةً تَكُونُ مِثْلَ الْمُسْلِمِ وَهِيَ النَّخْلَةُ.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, গাছের মাঝে একটি গাছ আছে, যা (বারাকাতের ক্ষেত্রে) মুসলিমের ন্যায়, আর তা হল- খেজুর গাছ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪১)

৭০/৪৭. অধ্যায়ঃ
একই সঙ্গে দু’রকম খাদ্য বা সুস্বাদের খাদ্য খাওয়া

৫৪৪৯
ابْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ الرُّطَبَ بِالْقِثَّاءِ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে কাঁকুড়ের সঙ্গে খেজুর খেতে দেখেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪২)

৭০/৪৮. অধ্যায়ঃ
দশজন দশজন করে মেহমান ভিতরে ডাকা এবং দশজন দশজন করে খেতে বসা ।

৫৪৫০
الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَنَسٍ ح وَعَنْ هِشَامٍ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَنَسٍ وَعَنْ سِنَانٍ أَبِي رَبِيعَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ أُمَّه“ عَمَدَتْ إِلٰى مُدٍّ مِنْ شَعِيرٍ جَشَّتْه“ وَجَعَلَتْ مِنْه“ خَطِيفَةً وَعَصَرَتْ عُكَّةً عِنْدَهَا ثُمَّ بَعَثَتْنِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُه“ وَهُوَ فِي أَصْحَابِه„ فَدَعَوْتُه“ قَالَ وَمَنْ مَعِي فَجِئْتُ فَقُلْتُ إِنَّه“ يَقُوْلُ وَمَنْ مَعِي فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَبُو طَلْحَةَ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّمَا هُوَ شَيْءٌ صَنَعَتْه“ أُمُّ سُلَيْمٍ فَدَخَلَ فَجِيءَ بِه„ وَقَالَ أَدْخِلْ عَلَيَّ عَشَرَةً فَدَخَلُوا فَأَكَلُوا حَتّٰى شَبِعُوا ثُمَّ قَالَ أَدْخِلْ عَلَيَّ عَشَرَةً فَدَخَلُوا فَأَكَلُوا حَتّٰى شَبِعُوا ثُمَّ قَالَ أَدْخِلْ عَلَيَّ عَشَرَةً حَتّٰى عَدَّ أَرْبَعِينَ ثُمَّ أَكَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَامَ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ هَلْ نَقَصَ مِنْهَا شَيْءٌ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর মা উম্মু সুলাইম (রাঃ) এক মুঠ যব নিয়ে তা পিষলেন এবং এ দিয়ে ‘খতীফা’ (দুধ ও আটা মিলানো খাদ্য) তৈরী করলেন এবং ঘি-এর পাত্র নিংড়িয়ে দিলেন। অতঃপর তিনি আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পাঠালেন। তিনি সহাবাদের মাঝে ছিলেন, এ সময় আমি তাঁর কাছে এসে তাঁকে দাওয়াত করলাম। তিনি বললেনঃ আমার সঙ্গে যারা আছে? আমি বাড়ীতে এসে বললাম। তিনি যে জিজ্ঞেস করছেন, আমার সঙ্গে যারা আছেন? তারপর আবূ ত্বলহা (রাঃ) তাঁর কাছে গিয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসুল! অতি অল্প খাদ্য উম্মু সুলাইম তৈরী করেছে। এরপর তিনি বললেনঃ তাঁর কাছে সেগুলো আনা হলে তিনি বললেনঃ দশজনকে আমার কাছে প্রবেশ করতে দাও। তাঁরা এসে তৃপ্ত হয়ে খেলেন। তিনি আবার বললেনঃ আরো দশজনকে আমার কাছে প্রবেশ করতে দাও। তাঁরা এসে তৃপ্ত হয়ে খেলেন। তিনি আবার বললেনঃ আরো দশজনকে আমার কাছে প্রবেশ করতে দাও। তাঁরা এসে তৃপ্ত হয়ে খেলেন। এভাবে তিনি চল্লিশ পর্যন্ত উল্লেখ করলেন। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেলেন এবং চলে গেলেন। আমি দেখতে লাগলাম, তা থেকে কিছু কমেছে কিনা? (অর্থাৎ কিছুমাত্র কমেনি)।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৩)

৭০/৪৯. অধ্যায়ঃ
রসূন ও (দূর্গন্ধযুক্ত) তরকারী মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে

এ সম্পর্কে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

৫৪৫১
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ قِيلَ لِأَنَسٍ مَا سَمِعْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ فِي الثُّومِ فَقَالَ مَنْ أَكَلَ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا.

‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করা হলঃ আপনি রসূন সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে কী শুনেছেন? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি তা খাবে সে যেন আমাদের মাসজিদের কাছেও না আসে (এ কথা শুনেছি)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৪)

৫৪৫২
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ زَعَمَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا.

‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) মনে করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসূন বা পেঁয়াজ খাবে, সে যেন আমাদের হতে দূরে থাকে। অথবা তিনি বলেছেন, সে যেন আমাদের মাসজিদ হতে দূরে থাকে।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৫)

৭০/৫০. অধ্যায়ঃ
কাবাছ-পিলু গাছের পাতা প্রসঙ্গে

৫৪৫৩
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ قَالَ أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِمَرِّ الظَّهْرَانِ نَجْنِي الْكَبَاثَ فَقَالَ عَلَيْكُمْ بِالأَسْوَدِ مِنْه“ فَإِنَّه“ أَيْطَبُ فَقَالَ أَكُنْتَ تَرْعَى الْغَنَمَ قَالَ نَعَمْ وَهَلْ مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ رَعَاهَا.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মাররুয যাহ্‌রান নামক স্থানে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম এবং পিলু ফল তুলছিলাম। তিনি বললেনঃ কালোটা নিও। কারণ, ওটা বেশি সুস্বাদু। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলঃ আপনি কি বক্‌রী চরিয়েছেন? তিনি বললেনঃ হাঁ। বক্‌রী চরায়নি এমন কোন নবী আছে কি?আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৬)

৭০/৫১. অধ্যায়ঃ
আহারের পর কুলি করা

৫৪৫৪
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ سَمِعْتُ يَحْيٰى بْنَ سَعِيدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ النُّعْمَانِ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلٰى خَيْبَرَ فَلَمَّا كُنَّا بِالصَّهْبَاءِ دَعَا بِطَعَامٍ فَمَا أُتِيَ إِلاَّ بِسَوِيقٍ فَأَكَلْنَا فَقَامَ إِلٰى الصَّلاَةِ فَتَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا.

সুওয়ায়দ ইবনু নু’মান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে খাইবার অভিযানে রওয়ানা হলাম। সাহ্‌বা নামক স্থানে পৌছলে তিনি খাবার আনতে বললেন। কিন্তু ছাতু ব্যতীত আর কিছুই আনা হল না। আমরা তা-ই খেলাম। তারপর সলাতের জন্যে উঠে তিনি কুলি করলেন, আমরাও কুলি করলাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৭)

৫৪৫৫
قَالَ يَحْيٰى سَمِعْتُ بُشَيْرًا يَقُوْلُ حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلٰى خَيْبَرَ فَلَمَّا كُنَّا بِالصَّهْبَاءِ قَالَ يَحْيٰى وَهِيَ مِنْ خَيْبَرَ عَلٰى رَوْحَةٍ دَعَا بِطَعَامٍ فَمَا أُتِيَ إِلاَّ بِسَوِيقٍ فَلُكْنَاه“ فَأَكَلْنَا مَعَه“ ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا مَعَه“ ثُمَّ صَلّٰى بِنَا الْمَغْرِبَ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ وَقَالَ سُفْيَانُ كَأَنَّكَ تَسْمَعُه“ مِنْ يَحْيَى.

ইয়াহ্‌ইয়া বলেন, আমি বুশাইরকে সুওয়ায়েদ থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে খাইবারের দিকে রওয়ানা হলাম। আমরা যখন সাহ্‌বা নামক জায়গায় পৌছলাম, ইয়াহ্‌ইয়া বলেন, এ স্থানটি খাইবার থেকে এক মনযিলের পথে, তিনি খাবার নিয়ে আসতে বললেন। কিন্তু ছাতু ব্যতীত অন্য কিছু আনা হল না। আমরা তাই মুখে দিয়ে নাড়াচাড়া করে খেলাম। তিনি পানি আনতে বললেন এবং কুলি করলেন, আমরাও কুলি করলাম। এরপর তিনি আমাদের নিয়ে মাগরিবের সলাত আদায় করলেন কিন্তু অযু করলেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৭)

৭০/৫২. অধ্যায়ঃ
রুমাল দিয়ে মুছে ফেলার আগে আঙ্গুল চেটে ও চুষে খাওয়া

৫৪৫৬
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَمْسَحْ يَدَه“ حَتّٰى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন আহার করে সে যেন তার হাত না মোছে, যতক্ষণ না সে তা চেটে খায় কিংবা অন্যের দ্বারা চাটিয়ে নেয়। [মুসলিম ৩৬/১৮, হাঃ ২০৩১, আহমাদ ১৯২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৮)

৭০/৫৩. অধ্যায়ঃ
রুমাল প্রসঙ্গে

৫৪৫৭
إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّه“ سَأَلَه“ عَنِ الْوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتْ النَّارُ فَقَالَ لاَ قَدْ كُنَّا زَمَانَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ نَجِدُ مِثْلَ ذ‘لِكَ مِنَ الطَّعَامِ إِلاَّ قَلِيلاً فَإِذَا نَحْنُ وَجَدْنَاه“ لَمْ يَكُنْ لَنَا مَنَادِيلُ إِلاَّ أَكُفَّنَا وَسَوَاعِدَنَا وَأَقْدَامَنَا ثُمَّ نُصَلِّي وَلاَ نَتَوَضَّأُ.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আগুনে স্পর্শ বস্তু খাওয়ার পর অযূ করা সম্বন্ধে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ না, অযূ করতে হবে না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে তো আমরা এমন খাবার কমই পেতাম। যখন আমরা তা পেতাম, তখন আমাদের তো হাতের তালু, হাত ও পা ব্যতীত কোন রুমাল ছিল না (আমরা এগুলো দিয়ে মুছে নিতাম)। তারপর (আবার) অযু না করেই আমরা সলাত আদায় করতাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৯)

৭০/৫৪. অধ্যায়ঃ
খাওয়ার পর কী পড়বে?

৫৪৫৮
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ثَوْرٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَفَعَ مَائِدَتَه“ قَالَ الْحَمْدُ لله كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ وَلاَ مُوَدَّعٍ وَلاَ مُسْتَغْنًى عَنْه“ رَبَّنَا.

আবূ উমামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দস্তর খান তুলে নেয়া হলে তিনি বলতেনঃ পবিত্র বারাকাতময় অনেক অনেক প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। হে আমাদের রব, এত্থেকে কখনো মুখ ফিরিয়ে নিতে পারব না, বিদায় নিতে পারব না এবং এ থেকে বেপরওয়া হতেও পারব না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫০)

৫৪৫৯
أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا فَرَغَ مِنْ طَعَامِه„ وَقَالَ مَرَّةً إِذَا رَفَعَ مَائِدَتَه“ قَالَ الْحَمْدُ لله الَّذِي كَفَانَا وَأَرْوَانَا غَيْرَ مَكْفِيٍّ وَلاَ مَكْفُورٍ وَقَالَ مَرَّةً الْحَمْدُ لله رَبِّنَا غَيْرَ مَكْفِيٍّ وَلاَ مُوَدَّعٍ وَلاَ مُسْتَغْنًى رَبَّنَا.

আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খাদ্য গ্রহণ শেষ করতেন, রাবী আরো বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দস্তরখান যখন তুলে নেয়া হতো তখন তিনি বলতেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য যিনি যথেষ্ট খাইয়েছেন এবং পরিতৃপ্ত করেছেন। তা থেকে মুখ ফিরানো যায় না এবং তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা যায় না। রাবী কখনো বলেনঃ হে আমাদের রব! তোমার জন্যই সকল প্রশংসা, এর থেকে মুখ ফিরানো যাবে না, একে বিদায় করাও যাবে না এবং এর থেকে বেপরওয়া হওয়া যাবে না; হে আমাদের রব!(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫১)

৭০/৫৫. অধ্যায়ঃ
খাদিমের সঙ্গে আহার করা

৫৪৬০
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدٍ هُوَ ابْنُ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَتٰى أَحَدَكُمْ خَادِمُه“ بِطَعَامِه„ فَإِنْ لَمْ يُجْلِسْه“ مَعَه“ فَلْيُنَاوِلْه“ أُكْلَةً أَوْ أُكْلَتَيْنِ أَوْ لُقْمَةً أَوْ لُقْمَتَيْنِ فَإِنَّه“ وَلِيَ حَرَّه“ وَعِلاَجَهُ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো খাদিম যখন তার খাবার নিয়ে আসে, তখন তাকে যদি সাথে না বসায় তাহলে সে যেন তাকে এক লুক্‌মা বা দু’ লুক্‌মা খাবার দেয়, কেননা সে তার গরম ও কষ্ট সহ্য করেছে। [২৫৫৭; মুসলিম ২৭/১০, হাঃ ১৬৬৩, আহমাদ ৭৭৩০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫২)

৭০/৫৬. অধ্যায়ঃ
কৃতজ্ঞ আহারকারী ধৈর্যশীল সিয়াম পালনকারীর মতো

এ ব্যাপারে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি হাদিস বর্ণিত আছে।

৭০/৫৭. অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তিকে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দিলে এ কথা বলা যে, এ ব্যক্তি আমার সঙ্গের।

আনাস (রাঃ) বলেন, তুমি কোন মুসলিমের কাছে গেলে তার খাদ্য থেকে খাও এবং তার পানীয় থেকে পান কর।

৫৪৬১
عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا شَقِيقٌ حَدَّثَنَا أَبُو مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيُّ قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُكْنٰى أَبَا شُعَيْبٍ وَكَانَ لَه“ غُلاَمٌ لَحَّامٌ فَأَتٰى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي أَصْحَابِه„ فَعَرَفَ الْجُوعَ فِي وَجْهِ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم فَذَهَبَ إِلٰى غُلاَمِهِ اللَّحَّامِ فَقَالَ اصْنَعْ لِي طَعَامًا يَكْفِي خَمْسَةً لَعَلِّي أَدْعُو النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَامِسَ خَمْسَةٍ فَصَنَعَ لَه“ طُعَيِّمًا ثُمَّ أَتَاه“ فَدَعَاه“ فَتَبِعَهُمْ رَجُلٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا شُعَيْبٍ إِنَّ رَجُلاً تَبِعَنَا فَإِنْ شِئْتَ أَذِنْتَ لَه“ وَإِنْ شِئْتَ تَرَكْتَه“ قَالَ لاَ بَلْ أَذِنْتُ لَهُ.

আবূ মাস’উদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনসার গোত্রের এক ব্যক্তি যার কুনিয়াত (ডাক নাম) ছিল আবূ শু’আইব তার একটি কসাই গোলাম ছিল। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এল, তখন তিনি সহাবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। তখন সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারায় ক্ষুধার চিহ্ন অনুভব করল, লোকটি তার কসাই গোলামের কাছে গিয়ে বললঃ আমার জন্য কিছু খাবার তৈরি কর; যা পাঁচজনের জন্য যথেষ্ট হয়। আমি হয়তো পাঁচজন ব্যক্তিকে দাওয়াত করব, যার পঞ্চম ব্যক্তি হবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। গোলামটি তার জন্য অল্প কিছু খাবার তৈরি করল। লোকটি তাঁর কাছে এসে তাঁকে দাওয়াত করল। এক ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে শু’আইব! এক ব্যক্তি আমাদের সাথে এসেছে। তুমি ইচ্ছা করলে তাকে অনুমতি দিতে পার, আর ইচ্ছা করলে তুমি তাকে বাদ দিতেও পার। সে বললঃ না। আমি বরং তাকে অনুমতি দিলাম।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৩)

৭০/৫৮. অধ্যায়ঃ
রাতের খাবার পরিবেশন করা হলে তা রেখে অন্য কাজে জলদি করবে না।

৫৪৬২
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي جَعْفَرُ بْنُ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ أَنَّ أَبَاه“ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ أَخْبَرَه“ أَنَّه“ رَأٰى رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَحْتَزُّ مِنْ كَتِفِ شَاةٍ فِي يَدِه„ فَدُعِيَ إِلٰى الصَّلاَةِ فَأَلْقَاهَا وَالسِّكِّينَ الَّتِي كَانَ يَحْتَزُّ بِهَا ثُمَّ قَامَ فَصَلّٰى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ.

‘আম্‌র ইবনু উমাইয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে নিজ হাতে বকরীর স্কন্ধ থেকে কেটে খেতে দেখেছেন। তারপর সলাতের প্রতি আহ্বান করা হলে তিনি তা রেখে দিলেন এবং ছুরিটিও (রেখে দিলেন) যা দিয়ে তিনি কেটে খাচ্ছিলেন। তারপর উঠলেন এবং সলাত আদায় করলেন। তিনি (নতুন) অযূ করলেন না।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৪)

৫৪৬৩
مُعَلّٰى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا وُضِعَ الْعَشَاءُ وَأُقِيمَتْ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ وَعَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি রাতের খাবার পরিবেশিত হয় এবং ইকামাত দেয়া হয়, তাহলে তোমরা আগে খাবার খেয়ে নিবে। অন্য সনদে আইয়ূব, নাফি’ (রহঃ)-এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকেও অনুরূপ হাদীস নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৫)

৫৪৬৪
وَعَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّه“ تَعَشّٰى مَرَّةً وَهُوَ يَسْمَعُ قِرَاءَةَ الإِمَامِ.

আইয়ূব নাফি’ (রহঃ)-এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার রাতের খাবার খাচ্ছিলেন, এ সময় ইমামের কিরাআতও শুনছিলেন। [৬৭৩; মুসলিম ৫/১৬, হাঃ ৫৫৭, ৫৫৯, আহমাদ ৪৭০৯] আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৫)

৫৪৬৫
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أُقِيمَتْ الصَّلاَةُ وَحَضَرَ الْعَشَاءُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ قَالَ وُهَيْبٌ وَيَحْيٰى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ هِشَامٍ إِذَا وُضِعَ الْعَشَاءُ.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন সলাতের ইকামাত দেয়া হয় এবং রাতের খাবারও হাজির হয়ে যায়, তাহলে তোমরা আগে খাবার হয়ে নেবে।



উহাইব ও ইয়াহইয়া বিন সা’ঈদ হিশাম হতে বর্ণনা করেছেনঃ যখন রাতের খাবার আনা হয়।[মুসলিম ৫/১৬, হাঃ ৫৫৮, আহমাদ ২৫৬৭৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৬)

৭০/৫৯. অধ্যায়ঃ
মহান আল্লাহর বাণীঃ “খাওয়া শেষ হলে তোমরা চলে যাবে।” (সূরাহ আল-আহযাব ৩৩: ৫৩)

৫৪৬৬
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ أَنَسًا قَالَ أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِالْحِجَابِ كَانَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ يَسْأَلُنِي عَنْه“ أَصْبَحَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَرُوسًا بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَكَانَ تَزَوَّجَهَا بِالْمَدِينَةِ فَدَعَا النَّاسَ لِلطَّعَامِ بَعْدَ ارْتِفَاعِ النَّهَارِ فَجَلَسَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَلَسَ مَعَه“ رِجَالٌ بَعْدَ مَا قَامَ الْقَوْمُ حَتّٰى قَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَمَشٰى وَمَشَيْتُ مَعَه“ حَتّٰى بَلَغَ بَابَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ ثُمَّ ظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا فَرَجَعْتُ مَعَه“ فَإِذَا هُمْ جُلُوسٌ مَكَانَهُمْ فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ الثَّانِيَةَ حَتّٰى بَلَغَ بَابَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَه“ فَإِذَا هُمْ قَدْ قَامُوا فَضَرَبَ بَيْنِي وَبَيْنَه“ سِتْرًا وَأُنْزِلَ الْحِجَابُ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি পর্দা (এর আয়াত অবতীর্ণ হওয়া) সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত। এ ব্যাপারে ‘উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন। যাইনাব বিন্‌ত জাহ্‌শের সঙ্গে নববিবাহিত হিসেবে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভোর হল। তিনি মদিনায় তাঁকে বিয়ে করেছিলেন। বেলা ওঠার পর তিনি লোকজনকে খাওয়ার জন্য দাওয়াত করলেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা ছিলেন। (খাদ্য গ্রহণ শেষে) অনেক লোক চলে যাওয়ার পরও কিছু লোক তাঁর সাথে বসে থাকলো। অবশেষে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে গেলেন আমিও তাঁর সাথে সাথে গেলাম। আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর হুজুরার দরজায় পৌঁছলেন। তারপর ভাবলেন, লোকেরা হয়ত চলে গেছে। আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে আসলাম। (এসে দেখলাম) তারা আপন জায়গায় বসেই রয়েছে। তিনি আবার ফিরে গেলাম। আমিও তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয়বার ফিরে গেলাম। এমনকি তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর গৃহের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে আবার ফিরে আসলেন। আমিও তার সঙ্গে ফিরে আসলাম। এবার তারা উঠে গেছে। তারপর তিনি আমার ও তাঁর মাঝে পর্দা ঝুলিয়ে দিলাম। তখন পর্দা সম্পর্কিত বিধান অবতীর্ণ হল।আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৭)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]