সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস পানীয় দ্রব্যসমূহ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৫৫৭৫ – ৫৬১১

৭৪/১. অধ্যায়ঃ
মহান আল্লাহর বাণীঃ হে বিশ্বাসীগণ ! মদ, জুয়া আর আস্তানা ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত শয়তানী কাজ, তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সাফল্যমণ্ডিত হতে পার (সূরা আল-মায়িদা ৫ : ৯০)

৫৫৭৫
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ لَمْ يَتُبْ مِنْهَا حُرِمَهَا فِي الآخِرَةِ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়ায় মদ পান করেছে অতঃপর তা-থেকে তওবা করে নি, সে আখিরাতে তা-থেকে বঞ্চিত থাকবে।[মুসলিম ৩৬/৮, হাঃ ২০০৩, আহমাদ ৪৬৯০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬২)

৫৫৭৬
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّه“ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِه„ بِإِيلِيَاءَ بِقَدَحَيْنِ مِنْ خَمْرٍ وَلَبَنٍ فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا ثُمَّ أَخَذَ اللَّبَنَ فَقَالَ جِبْرِيلُ الْحَمْدُ للهِ÷ الَّذِي هَدَاكَ لِلْفِطْرَةِ وَلَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ تَابَعَه“ مَعْمَرٌ وَابْنُ الْهَادِ وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ وَالزُّبَيْدِيُّ عَنْ الزُّهْرِيِّ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইস্‌রা (মি’রাজের) রাতে ঈলিয়া নামক স্থানে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মুখে শরাব ও দুধের দু’টি পেয়ালা পেশ করা হল। তিনি উভয়টির প্রতি লক্ষ্য করলেন। এরপর দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলেন। তখন জিব্‌রীল (‘আঃ) বললেনঃ যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহ্‌র জন্য যিনি আপনাকে স্বভাবজাত দ্রব্যের দিকে পথ প্রদর্শন করেছেন। অথচ যদি আপনি শরাব গ্রহণ করতেন তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত। [৪৮]



যুহরী (রহঃ) থেকে মা’মার, ইবনু হাদী, ‘উসমান ইবনু ‘উমর ও যুবায়দী এরকম বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬৩)






হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 ব্যাখ্যা
  সরাসরি

৫৫৭৭
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ قَالَ سَمِعْتُ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا لاَ يُحَدِّثُكُمْ بِه„ غَيْرِي قَالَ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَظْهَرَ الْجَهْلُ وَيَقِلَّ الْعِلْمُ وَيَظْهَرَ الزِّنَا وَتُشْرَبَ الْخَمْرُ وَيَقِلَّ الرِّجَالُ وَيَكْثُرَ النِّسَاءُ حَتّٰى يَكُونَ لِخَمْسِينَ امْرَأَةً قَيِّمُهُنَّ رَجُلٌ وَاحِدٌ.

মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ………আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে এমন একটি হাদীস শুনেছি যা আমি ছাড়া আর কেউ তোমাদের বর্ণনা করবে না। তিনি বলেন, কেয়ামতের কতক নিদর্শন হলঃ অজ্ঞতা প্রকাশ পাবে‌, ইল্‌ম (দ্বীনী) হ্রাস পাবে, ব্যভিচার প্রকাশ হতে থাকবে, মদ্যপান ব্যাপক হবে, পুরুষের সংখ্যা কমবে আর নারীদের সংখ্যা বেড়ে যাবে, এমনকি পঞ্চাশ জন নারীর পরিচালক হবে একজন পুরুষ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬৪)

৫৫৭৮
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ وَابْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُوْلاَنِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ يُحَدِّثُه“ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ثُمَّ يَقُوْلُ كَانَ أَبُو بَكْرٍ يُلْحِقُ مَعَهُنَّ وَلاَ يَنْتَهِبُ نُهْبَةً ذَاتَ شَرَفٍ يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ أَبْصَارَهُمْ فِيهَا حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ব্যভিচারী ব্যভিচার করার সময়ে মু’মিন থাকে না, মদ পানকারী মদ পান করার সময়ে মু’মিন থাকে না। চোর চুরি করার সময়ে মু’মিন থাকে না।

ইবনু শিহাব বলেনঃ ‘আবদুল মালিক ইবনু আবূ বক্‌র ইবনু হারিস ইবনু হিশাম আমাকে জানিয়েছে যে, আবূ বকর (রাঃ) এ হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। এরপর তিনি বলেন, আবূ বক্‌র উপরোক্ত হাদীসের সাথে এটিও যোগ করতেন যে, মূল্যবান জিনিস, যার দিকে লোকজন চোখ উঁচিয়ে তাকিয়ে থাকে, ছিনতাইকারী তা ছিনতাই করার সময়ে মু’মিন থাকে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬৫)

৭৪/২. অধ্যায়ঃ
আঙ্গুর থেকে তৈরি মদ

৫৫৭৯
الْحَسَنُ بْنُ صَبَّاحٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ هُوَ ابْنُ مِغْوَلٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ لَقَدْ حُرِّمَتْ الْخَمْرُ وَمَا بِالْمَدِينَةِ مِنْهَا شَيْءٌ.

হাসান ইবনু সাব্বাহ্‌ (রাঃ) ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মদ হারাম ঘোষিত হয়েছে এমন অবস্থায় যে, মদীনায় আঙ্গুরের মদের কিছু অবশিষ্ট ছিল না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬৬)

৫৫৮০
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ نَافِعٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسٍ قَالَ حُرِّمَتْ عَلَيْنَا الْخَمْرُ حِينَ حُرِّمَتْ وَمَا نَجِدُ يَعْنِي بِالْمَدِينَةِ خَمْرَ الأَعْنَابِ إِلاَّ قَلِيلاً وَعَامَّةُ خَمْرِنَا الْبُسْرُ وَالتَّمْرُ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন আমাদের উপর মদ হারাম হল, তখন আমরা মদীনায় আঙ্গুর থেকে তৈরী মদ খুব কম পেতাম। সাধারণভাবে আমাদের মদ ছিল কাঁচা ও পাকা খেজুর থেকে প্রস্তুত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬৭)

৫৫৮১
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ أَبِي حَيَّانَ حَدَّثَنَا عَامِرٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَامَ عُمَرُ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ أَمَّا بَعْدُ نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ وَهِيَ مِنْ خَمْسَةٍ الْعِنَبِ وَالتَّمْرِ وَالْعَسَلِ وَالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالْخَمْرُ مَا خَامَرَ الْعَقْلَ.

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমর (রাঃ) মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে বলেনঃ অতঃপর জেনে রাখ মদ হারাম করে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। আর তা তৈরী হয় পাঁচ রকম জিনিস থেকেঃ আঙ্গুর, খেজুর, মধু, গম ও যব। আর মদ হল, যা বুদ্ধিকে বিলোপ করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬৮)

৭৪/৩. অধ্যায়ঃ
মদ হারাম করে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে এবং তা থেকে তৈরী হত কাঁচা ও পাকা খেজুর থেকে।

৫৫৮২
إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كُنْتُ أَسْقِي أَبَا عُبَيْدَةَ وَأَبَا طَلْحَةَ وَأُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ مِنْ فَضِيخِ زَهْوٍ وَتَمْرٍ فَجَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ قُمْ يَا أَنَسُ فَأَهْرِقْهَا فَأَهْرَقْتُهَا.

আনাস ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ ‘উবাইদাহ, আবূ তালহা ও উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-কে কাঁচা ও পাকা খেজুর থেকে মদ প্রস্তুত মদ পান পান করতে দিয়েছিলাম। এমন সময়ে তাদের নিকট এক আগন্তুক এসে বলল, মদ হারাম করা হয়েছে। তখন আবূ তালহা (রাঃ) বললেন, হে আনাস! দাঁড়াও আর এগুলো গড়িয়ে দাও। আমি তখন তা গড়িয়ে দিলাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬৯)

৫৫৮৩
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا قَالَ كُنْتُ قَائِمًا عَلَى الْحَيِّ أَسْقِيهِمْ عُمُومَتِي وَأَنَا أَصْغَرُهُمْ الْفَضِيخَ فَقِيلَ حُرِّمَتْ الْخَمْرُ فَقَالُوا أَكْفِئْهَا فَكَفَأْتُهَا قُلْتُ لأ÷َنَسٍ مَا شَرَابُهُمْ قَالَ رُطَبٌ وَبُسْرٌ فَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَنَسٍ وَكَانَتْ خَمْرَهُمْ فَلَمْ يُنْكِرْ أَنَسٌ وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِي أَنَّه“ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُوْلُ كَانَتْ خَمْرَهُمْ يَوْمَئِذٍ.

মু‘তামির তার পিতার সূত্রে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ একটি আসরে দাঁড়িয়ে আমি তাদের অর্থাৎ চাচাদের ‘ফাযীখ’ অর্থাৎ কাঁচা ও পাকা খেজুর থেকে প্রস্তুত মদ পান করাচ্ছিলাম। আমি ছিলাম সবার ছোট। এমন সময় বলা হলঃ মদ হারাম করা হয়েছে। তখন তাঁরা বললেনঃ তা গড়িয়ে দাও। সুতরাং আমি তা ঢেলে দিলাম।

রাবী বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বললামঃ তাঁদের শরাব কিসের ছিল? তিনি বললেনঃ কাঁচা ও পাকা খেজুর থেকে তৈরী। তখন আনাস (রাঃ)-এর পুত্র আবূ বক্‌র বললেনঃ সেটিই কি ছিল তাদের মদ? জবাবে আনাস (রাঃ) কোন অসম্মতি জানালেন না।



রাবী আরো বলেন, আমার কতক সঙ্গী বর্ণনা করেছেন যে, তাঁরা আনাস (রাঃ) থেকে শুনেছেন তিনি বলেছেন, সেকালে এটিই ছিল তাদের মদ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭০)

৫৫৮৪
مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا يُوسُفُ أَبُو مَعْشَرٍ الْبَرَّاءُ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ حَدَّثَهُمْ أَنَّ الْخَمْرَ حُرِّمَتْ وَالْخَمْرُ يَوْمَئِذٍ الْبُسْرُ وَالتَّمْرُ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, মদ হারাম করা হয়েছে। আর সেকালে মদ তৈরী হত কাঁচা ও পাকা খেজুর থেকে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭১)

৭৪/৪. অধ্যায়ঃ
মধু থেকে তৈরী মদ। এটিকে পরিভাষায় ‘বিতা’ বলে।

মা’ন (রহঃ) বলেন, আমি মালিক ইবনু আনাসকে ‘ফুক্‌কা’ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেনঃ নেশাগ্রস্ত না করলে তাতে কোন ক্ষতি নেই। ইবনু দারাওয়ারদী বলেন, আমরা এ সম্পর্কে অনেককে জিজ্ঞেস করেছি, তারা বলেছেন, নেশাগ্রস্ত না করলে তাতে আপত্তি নেই।

৫৫৮৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْبِتْعِ فَقَالَ ‏ “‏ كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهْوَ حَرَامٌ ‏”‏‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘বিতা’ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বললেনঃ সর্বপ্রকার নেশা জাতীয় পানীয় হারাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭২)

৫৫৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْبِتْعِ وَهْوَ نَبِيذُ الْعَسَلِ، وَكَانَ أَهْلُ الْيَمَنِ يَشْرَبُونَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهْوَ حَرَامٌ ‏”‏‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘বিতা’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। ‘বিতা’ হচ্ছে মধু থেকে তৈরী নবীয। ইয়ামানের লোকেরা তা পান করত। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে সকল পানীয় নেশার সৃষ্টি করে তা-ই হারাম। যুহরী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা দুব্বা (কদুর খোল) এর মধ্যে নবীয তৈরী করবে না, মুযাফ্‌ফাত (আলকাতরা যুক্ত পাত্র)’র মধ্যেও করবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭৩)

৫৫৮৭
وَعَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَنْتَبِذُوا فِي الدُّبَّاءِ وَلاَ فِي الْمُزَفَّتِ وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُلْحِقُ مَعَهَا الْحَنْتَمَ وَالنَّقِيرَ.

যুহরী থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) এগুলোর সঙ্গে হান্‌তাম (মাটির সবুজ পাত্র) ও নাকীর (খেজুর বৃক্ষের মূলের খোল) এর কথাও যোগ করতেন।[মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ১৯৯২, ১৯৯৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭৩)

৭৪/৫. অধ্যায়ঃ
মদ এমন পানীয় যা জ্ঞান লোপ করে দেয়।

৫৫৮৮
أَحْمَدُ ابْنُ أَبِي رَجَاءٍ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ أَبِي حَيَّانَ التَّيْمِيِّ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ خَطَبَ عُمَرُ عَلٰى مِنْبَرِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّه“ قَدْ نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ وَهِيَ مِنْ خَمْسَةِ أَشْيَاءَ الْعِنَبِ وَالتَّمْرِ وَالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالْعَسَلِ وَالْخَمْرُ مَا خَامَرَ الْعَقْلَ وَثَلاَثٌ وَدِدْتُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُفَارِقْنَا حَتّٰى يَعْهَدَ إِلَيْنَا عَهْدًا الْجَدُّ وَالْكَلاَلَةُ وَأَبْوَابٌ مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا عَمْرٍو فَشَيْءٌ يُصْنَعُ بِالسِّنْدِ مِنَ الأُرْزِ قَالَ ذَاكَ لَمْ يَكُنْ عَلٰى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ عَلٰى عَهْدِ عُمَرَ وَقَالَ حَجَّاجٌ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ أَبِي حَيَّانَ مَكَانَ الْعِنَبِ الزَّبِيبَ.

ইবনু ‘উমর থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ ‘উমার মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে খুত্বা দিতে গিয়ে বললেন, নিশ্চয় মদ হারাম সম্পর্কীয় আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। আর তা প্রস্ত্তত হয় পাঁচটি জিনিস থেকেঃ আঙ্গুর, খেজুর, গম, যব ও মধু। আর খামর মদ) হল তা, যা বিবেক লোপ করে দেয়। আর তিনটি এমন বিষয় আছে যে, আমি চাচ্ছিলাম যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে সেগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা না করা পর্যন্ত তিনি যেন আমাদের নিকট হতে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যান। বিষয়গুলো হল, দাদার মীরাস, কালালার ব্যাখ্যা এবং সুদের প্রকারসমূহ। রাবী আবূ হাইয়্যান বলেন, আমি বললামঃ হে আবূ আমর! এক প্রকারের পানীয় জিনিস যা সিন্ধু অঞ্চলে চাউল দিয়ে তৈরী করা হয়, তার হুকুম কী? তিনি বললেনঃ সেটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আমলে ছিল না। কিংবা তিনি বলেছেনঃ সেটি ‘উমার -এর আমলে ছিল না।



হাম্মাদ সূত্রে আবূ হাইয়্যান থেকে হাজ্জাজ الْعِنَبِ আঙ্গুর) এর জায়গায় الزَّبِيب কিসমিস) বলেছেন। [৪৬১৯; মুসলিম ৫৪০/৬, হাঃ ৩৩২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭৪)

৫৫৮৯
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ قَالَ الْخَمْرُ يُصْنَعُ مِنْ خَمْسَةٍ مِنَ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ وَالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالْعَسَلِ.

‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, মদ প্রস্তুত করা হয় পাঁচটি বস্তু থেকে। সেগুলো হলঃ কিসমিস, খেজুর, গম, যব ও মধু। [মুসলিম ৫৪/৬, হাঃ ৩০৩২]আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭৫)

৭৪/৬. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি মদকে ভিন্ন নামে নামকরণ ক’রে তা হালাল মনে করে।

৫৫৯০
وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ الْكِلاَبِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ غَنْمٍ الأَشْعَرِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عَامِرٍ أَوْ أَبُو مَالِكٍ الأَشْعَرِيُّ وَاللهِ مَا كَذَبَنِي سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْحِرَ وَالْحَرِيرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ وَلَيَنْزِلَنَّ أَقْوَامٌ إِلٰى جَنْبِ عَلَمٍ يَرُوحُ عَلَيْهِمْ بِسَارِحَةٍ لَهُمْ يَأْتِيهِمْ يَعْنِي الْفَقِيرَ لِحَاجَةٍ فَيَقُوْلُونَ ارْجِعْ إِلَيْنَا غَدًا فَيُبَيِّتُهُمْ اللهُ وَيَضَعُ الْعَلَمَ وَيَمْسَخُ آخَرِينَ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.

‘আবদুর রহমান ইবনু গানাম আশ’আরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার নিকট আবূ আমির কিংবা আবূ মালিক আশ’আরী বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ্‌র কসম! তিনি আমার কাছে মিথ্যে কথা বলেননি। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশমী কাপড়, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে। তেমনি এমন অনেক দল হবে, যারা পাহাড়ের ধারে বসবাস করবে, বিকেল বেলায় যখন তারা পশুপাল নিয়ে ফিরবে তখন তাদের নিকট কোন অভাব নিয়ে ফকীর আসলে তারা বলবে, আগামী দিন সকালে তুমি আমাদের নিকট এসো। এদিকে রাতের অন্ধকারেই আল্লাহ্ তাদের ধ্বংস করে দেবেন। পর্বতটি ধ্বসিয়ে দেবেন, আর বাকী লোকদেরকে তিনি কেয়ামতের দিন পর্যন্ত বানর ও শূকর বানিয়ে রাখবেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭৬)

৭৪/৭. অধ্যায়ঃ
বড় ও ছোট পাত্রে ‘নবীয’ প্রস্তুত করা।

৫৫৯১
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ سَهْلاً يَقُوْلُ أَتٰى أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ فَدَعَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي عُرْسِه„ فَكَانَتْ امْرَأَتُه“ خَادِمَهُمْ وَهِيَ الْعَرُوسُ قَالَ أَتَدْرُونَ مَا سَقَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْقَعْتُ لَه“ تَمَرَاتٍ مِنَ اللَّيْلِ فِي تَوْرٍ.

সাহ্‌ল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ উসাইদ সা’ঈদী (রাঃ) এসে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর বিয়ের দাওয়াত দিলেন। তখন তাঁর স্ত্রী নববধূ তাঁদের মধ্যে পরিবেশনকারিণী ছিলেন। তিনি বলেন, তোমরা কি জান আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কী জিনিস পান করতে দিয়েছিলাম? (তিনি বলেন) আমি রাতেই কয়েকটি খেজুর একটি পাত্রের মধ্যে ভিজিয়ে রেখেছিলাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭৭)

৭৪/৮. অধ্যায়ঃ
বিভিন্ন ধরনের বরতন ও পাত্র ব্যবহার নিষেধ করার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে পুনঃ অনুমতি প্রদান।

৫৫৯২
يُوسُفُ بْنُ مُوسٰى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ نَهٰى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الظُّرُوفِ فَقَالَتْ الأَنْصَارُ إِنَّه“ لاَ بُدَّ لَنَا مِنْهَا قَالَ فَلاَ إِذًا وَقَالَ خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا يَحْيٰى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ جَابِرٍ بِهٰذَا حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بِهٰذَا وَقَالَ فِيهِ لَمَّا نَهٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الأَوْعِيَةِ.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতগুলো পাত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন। তখন আনসারগণ বললেনঃ সেগুলো ছাড়া আমাদের কোন গত্যন্তর নেই। তিনি বললেনঃ তাহলে ব্যবহার করতে পার।

খালীফাহ (রাঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ আমাদের কাছে সুফিয়ান, মানসূর, সালিম ইবনু আবুল জাদ-জাবির (রহঃ) থেকে এরকমই বর্ণনা করেন।(আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭৯)

৫৫৯৩
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي مُسْلِمٍ الأَحْوَلِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ أَبِي عِيَاضٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ لَمَّا نَهٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الأَسْقِيَةِ قِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ كُلُّ النَّاسِ يَجِدُ سِقَاءً فَرَخَّصَ لَهُمْ فِي الْجَرِّ غَيْرِ الْمُزَفَّتِ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রকমের পাত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলা হল, সব মানুষের নিকট তো মশ্‌ক মওজুদ নেই। ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের কলসীর জন্য অনুমতি দেন, তবে আলকাতরার প্রলেপ দেয়া পাত্রের জন্য অনুমতি দেননি।[মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ২০০০]আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৭৯)

৫৫৯৪
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ عَلِيٍّ نَهٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ بِهٰذَا.

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুব্বা ও মুযাফ্‌ফাত ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। ‘উসমান (রহঃ) বলেন, জারীর (রহঃ) সূত্রে এরকমই বর্ণনা করেছেন। [মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ১৯৯৪, আহমাদ ৬৩৪]আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮০)

৫৫৯৫
عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قُلْتُ لِلأَسْوَدِ هَلْ سَأَلْتَ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَمَّا يُكْرَه“ أَنْ يُنْتَبَذَ فِيهِ فَقَالَ نَعَمْ قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَمَّ نَهٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنْتَبَذَ فِيهِ قَالَتْ نَهَانَا فِي ذ‘لِكَ أَهْلَ الْبَيْتِ أَنْ نَنْتَبِذَ فِي الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ قُلْتُ أَمَا ذَكَرَتْ الْجَرَّ وَالْحَنْتَمَ قَالَ إِنَّمَا أُحَدِّثُكَ مَا سَمِعْتُ أَفَأُحَدِّثُ مَا لَمْ أَسْمَعْ.

ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আসওয়াদকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আপনি কি উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কোন্ কোন্ পাত্রের মধ্যে ‘নবীয’ তৈরী করা মাকরূহ। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বলেছিলাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! কোন্ কোন্ পাত্রের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবীয তৈরী করতে নিষেধ করেছেন? তখন তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের অর্থাৎ আহলে বায়তকে দুব্বা ও মুযাফফাত নামক পাত্রে নবীয তৈরী করতে নিষেধ করেছেন। (ইবরাহীম বলেন) আমি বললামঃ ‘আয়িশা (রাঃ) কি জার (মাটির কলসী) ও হানতাম (মাটির সবুজ পাত্র) এর কথা উল্লেখ করেননি? তিনি বললেন, আমি যা শুনেছি কেবল তাই তোমাকে বর্ণনা করেছি। আমি যা শুনিনি তাও কি আমি তোমাদের কাছে বর্ণনা করব?[মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ১৯৯৫, আহমাদ ২৪২৫৬]আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮১)

৫৫৯৬
مُوسٰى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي أَوْفٰى قَالَ نَهٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْجَرِّالأَخْضَرِ قُلْتُ أَنَشْرَبُ فِي الأَبْيَضِ قَالَ لاَ.

মূসা বিন ইসমাঈল (রহঃ)……… ‘আবদুল্লাহ্‌ ইবনু আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবুজ রং এর কলসী ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। আমি বললামঃ তাহলে সাদা রং এর পাত্রে (নবীয) পান করা যাবে কি? তিনি বললেনঃ না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮২)

৭৪/৯. অধ্যায়ঃ
শুকনো খেজুরের রস যতক্ষণ তা নেশা না সৃষ্টি করে।

৫৫৯৭
يَحْيٰى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ الْقَارِيُّ عَنْ أَبِي حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ أَنَّ أَبَا أُسَيْدٍ السَّاعِدِيَّ دَعَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِعُرْسِه„ فَكَانَتْ امْرَأَتُه“ خَادِمَهُمْ يَوْمَئِذٍ وَهِيَ الْعَرُوسُ فَقَالَتْ مَا تَدْرُونَ مَا أَنْقَعْتُ لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْقَعْتُ لَه“ تَمَرَاتٍ مِنَ اللَّيْلِ فِي تَوْرٍ.

সাহল ইবনু সা’দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ উসাইদ সা’ঈদী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর ওলীমার দাওয়াত করেছিলেন। সেদিন তার স্ত্রী নববধু অবস্থায় সবার খিদমত করছিলেন। তিনি বললেনঃ আপনারা কি জানেন, আমি রসূলল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কিসের রস পান করতে দিয়েছিলাম? আমি তাঁর জন্য রাতে কতকগুলো খেজুর পাত্রে ভিজিয়ে রেখেছিলাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮৩)

৭৪/১০. অধ্যায়ঃ
‘বাযাক’ (অর্থাৎ আঙ্গুরের হালকা জাল দেয়া রস)-এর বর্ণনা।

এবং যারা নেশা সৃষ্টিকারী সকল পানীয় নিষিদ্ধ বলেন তার বর্ণনা। ‘উমর, আবূ ‘উবাইদাহ ও মু’ আয (রাঃ) ‘তিলা’ অর্থাৎ আঙ্গুরের যে রসকে পাকিয়ে এক-তৃতীয়াংশ করা হয়েছে, তা পান করা জায়িয মনে করেন। বারা ও আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) পাকিয়ে অর্ধেক থাকতে রস পান করেছেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ আমি তাজা অবস্থার আঙ্গুরের রস পান করেছি। ‘উমর (রাঃ) বলেছেনঃ আমি উবাইদুল্লাহর মুখ হতে শরাবের গন্ধ পেয়েছি এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসও করেছি। যদি তা নেশার সৃষ্টি করত, তাহলে আমি বেত্রাঘাত করতাম।

৫৫৯৮
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الْبَاذَقِ فَقَالَ سَبَقَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم الْبَاذَقَ فَمَا أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ قَالَ الشَّرَابُ الْحَلاَلُ الطَّيِّبُ قَالَ لَيْسَ بَعْدَ الْحَلاَلِ الطَّيِّبِ إِلاَّ الْحَرَامُ الْخَبِيثُ.

আবুল জুওয়াইরিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে ‘বাযাক’ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তর দিলেনঃ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘বাযাক’ উৎপাদনের আগে বিদায় হয়ে গেছেন। কাজেই যে বস্তু নেশা জন্মায় তা-ই হারাম। তিনি বলেন, হালাল পানীয় পবিত্র। তিনি বলেন, হালাল ও পবিত্র পানীয় ছাড়া অন্য সব পানীয় ঘৃণ্য হারাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮৪)

৫৫৯৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিষ্টি ও মধু পছন্দ করতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮৫)

৭৪/১১. অধ্যায়ঃ
যারা মনে করেন নেশাদার হবার পর কাঁচা ও পাকা খেজুর একসঙ্গে মিশানো ঠিক নয় এবং উভয়ের রসকে একত্র করা ঠিক নয়।

৫৬০০
مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ قَالَ إِنِّي لأَسْقِي أَبَا طَلْحَةَ وَأَبَا دُجَانَةَ وَسُهَيْلَ بْنَ الْبَيْضَاءِ خَلِيطَ بُسْرٍ وَتَمْرٍ إِذْ حُرِّمَتْ الْخَمْرُ فَقَذَفْتُهَا وَأَنَا سَاقِيهِمْ وَأَصْغَرُهُمْ وَإِنَّا نَعُدُّهَا يَوْمَئِذٍ الْخَمْرَ وَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ سَمِعَ أَنَسًا.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ ত্বলহা, আবূ দুজনা এবং সুহাইল ইবনু বাইযা -কে কাঁচা ও শুকনো খেজুরের মেশানো রস পান করাচ্ছিলাম। এ সময়ে মদ হারাম করা হল, তখন আমি তা ফেলে দিলাম। আমি ছিলাম তাঁদের পরিবেশনকারী এবং তাঁদের সবার ছোট। সে সময় আমরা এটিকে মদ গণ্য করতাম।



‘আমর ইবনু হারিস বলেনঃ ক্বাতাদাহ (রহ.) আমাদের নিকট عَنْ أَنَسٍ এর স্থলে سَمِعَ أَنَساً বর্ণনা করেছেন। [২৪৬৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮৬

৫৬০১
أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّه“ سَمِعَ جَابِرًا يَقُوْلُ نَهٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالرُّطَبِ.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিসমিস, শুকনো খেজুর, কাঁচা ও পাকা খেজুর মিশাতে নিষেধ করেছেন। [মুসলিম ৩৬/৫, হাঃ ১৯৮৬, আহমাদ ১৪২০৩]আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮৭)

৫৬০২
مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَخْبَرَنَا يَحْيٰى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ نَهٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ التَّمْرِ وَالزَّهْوِ وَالتَّمْرِ وَالزَّبِيبِ وَلْيُنْبَذْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلٰى حِدَةٍ.

আবূ ক্বাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুরমা ও আধাপাকা খেজুর এবং খুরমা ও কিসমিস একত্র করতে নিষেধ করেছেন। আর এগুলোর প্রত্যেকটিকে আলাদাভাবে ভিজিয়ে ‘নবীয’ তৈরী করা যাবে।[মুসলিম ৩৬/৫, হাঃ ১৯৮৮, আহমাদ ২২৬৯২]আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮৮)

৭৪/১২. অধ্যায়ঃ
দুধ পান করা

মহান আল্লাহর বাণীঃ “পান করাই ওদের পেটের গোবর আর রক্তের মাঝ থেকে বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্য খুবই উপাদেয়।” [৪৯] (নাহল ১৬ : ৬৬)



[৪৯] গোবর ও রক্তের মাঝখান দিয়ে পরিষ্কার দুধ বের করা সম্পর্কে আবদুল্লাহ্‌ ইবনে আব্বাস বলেনঃ জন্তুর ভক্ষিত ঘাস তার পাকস্থলীতে একত্রিত হলে তা সিদ্ধ করে। পাকস্থলীর এই ক্রিয়ার ফলে খাদ্যের বিষ্ঠা নীচে বসে যায় এবং দুধ উপরে থেকে যায়। দুধের উপর থাকে রক্ত। এরপর যকৃত এই তিন প্রকার বস্তুকে পৃথকভাবে তাদের স্থানে ভাগ করে দেয়, রক্ত পৃথক করে রগের মধ্যে চালায় এবং দুধ পৃথক করে রগের মধ্যে চালায় এবং দুধ পৃথক করে জন্তুর স্তনে পৌঁছে দেয়। এখন পাকস্থলীতে শুধু বিষ্ঠা থেকে যায়, যা গোবর হয়ে বের হয়ে আসে। (মাআরেফুল কুরআন বাংলা সংস্করণ পৃঃ ৭৪৬)

৫৬০৩
عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أُتِيَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِه„ بِقَدَحِ لَبَنٍ وَقَدَحِ خَمْرٍ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে রাতে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভ্রমণ করানো হয়, সে রাতে তাঁর সামনে পেশ করা হয়েছিল দুধের একটি পেয়ালা এবং শরাবের একটি পেয়ালা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮৯)

৫৬০৪
الْحُمَيْدِيُّ سَمِعَ سُفْيَانَ أَخْبَرَنَا سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ أَنَّه“ سَمِعَ عُمَيْرًا مَوْلٰى أُمِّ الْفَضْلِ يُحَدِّثُ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ قَالَتْ شَكَّ النَّاسُ فِي صِيَامِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَرَفَةَ فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بِإِنَاءٍ فِيهِ لَبَنٌ فَشَرِبَ فَكَانَ سُفْيَانُ رُبَّمَا قَالَ شَكَّ النَّاسُ فِي صِيَامِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَرَفَةَ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ أُمُّ الْفَضْلِ فَإِذَا وُقِّفَ عَلَيْهِ قَالَ هُوَ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ.

উম্মুল ফায্‌ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আরাফার দিন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সিয়াম পালনের ব্যাপারে লোকেরা সন্দেহ করে। তখন আমি তাঁর নিকট দুধ ভর্তি একটা পেয়ালা পাঠালাম। তিনি তা পান করলেন। বর্ণনাকারী সুফিয়ান অনেক সময় এভাবে বলতেন, আরাফার দিন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সিয়াম পালন সম্পর্কে লোকেরা সন্দেহ করছিল। তখন উম্মুল ফায্‌ল (রাঃ) তাঁর কাছে দুধ পাঠিয়েছিলেন। হাদীসটি মাউসূল না মুরসাল, এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, এটি উম্মুল ফায্‌ল (রাঃ) হতে বর্ণিত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৯০)

৫৬০৫
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ وَأَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ جَاءَ أَبُو حُمَيْدٍ بِقَدَحٍ مِنْ لَبَنٍ مِنَ النَّقِيعِ فَقَالَ لَه“ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَلاَّ خَمَّرْتَه“ وَلَوْ أَنْ تَعْرُضَ عَلَيْهِ عُودًا.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুমাইদ (রাঃ) এক বাটি দুধ নিয়ে আসলেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ এটিকে ঢাকলে না কেন? একটি কাঠি দিয়ে হলেও ঢেকে রাখা দরকার।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৯১)

৫৬০৬
عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ يَذْكُرُ أُرَاه“ عَنْ جَابِرٍ قَالَ جَاءَ أَبُو حُمَيْدٍ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ مِنَ النَّقِيعِ بِإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَلاَّ خَمَّرْتَه“ وَلَوْ أَنْ تَعْرُضَ عَلَيْهِ عُودًا



وَحَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنْ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم بِهٰذَا.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুমাইদ (রাঃ) নামক এক আনসারী নাফি’ নামক জায়গা থেকে এক পেয়ালা দুধ নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ এটিকে ঢেকে আননি কেন? এর উপর থেকে কাঠি দিয়ে হলেও ঢেকে রাখা দরকার।

আবূ সুফিয়ান (রহঃ) এ হাদীসটি জাবির (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এরকমই বর্ণনা করেছেন। [৫৬০৫; মুসলিম ৩৬/১২, হাঃ ২০১১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৯২)

৫৬০৭
مَحْمُودٌ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ وَأَبُو بَكْرٍ مَعَه“ قَالَ أَبُو بَكْرٍ مَرَرْنَا بِرَاعٍ وَقَدْ عَطِشَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَحَلَبْتُ كُثْبَةً مِنْ لَبَنٍ فِي قَدَحٍ فَشَرِبَ حَتّٰى رَضِيتُ وَأَتَانَا سُرَاقَةُ بْنُ جُعْشُمٍ عَلٰى فَرَسٍ فَدَعَا عَلَيْهِ فَطَلَبَ إِلَيْهِ سُرَاقَةُ أَنْ لاَ يَدْعُوَ عَلَيْهِ وَأَنْ يَرْجِعَ فَفَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم.

বারা‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা থেকে রওয়ানা হলেন, তখন তাঁর সাথে ছিলেন আবূ বকর (রাঃ)। আবূ বকর (রাঃ) বলেনঃ আমরা এক রাখালের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। সে সময়ে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন খুব পিপাসার্ত। আবূ বকর (রাঃ) বলেনঃ আমি তখন একটি পাত্রে ভেড়ার দুধ দুইলাম। তিনি তা পান করলেন, আমি খুব খুশি হলাম। এমন সময় সুরাকা ইবনু জু‘শুম একটি ঘোড়ার উপর চড়ে আমাদের কাছে আসলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বদ দু‘আ করতে চাইলে সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আরয করল, যেন তিনি তার জন্য বদ দু‘আ না করেন এবং সে যেন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাই করলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৯৩)

৫৬০৮
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نِعْمَ الصَّدَقَةُ اللِّقْحَةُ الصَّفِيُّ مِنْحَةً وَالشَّاةُ الصَّفِيُّ مِنْحَةً تَغْدُو بِإِنَاءٍ وَتَرُوحُ بِآخَرَ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উত্তম সদকা হল উপহার স্বরূপ দেয়া দুধেল উটনী কিংবা বক্‌রী, যা সকালে একটি পাত্র পূর্ণ করে আর বিকালে পূর্ণ করে আরেকটি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৯৪)

৫৬০৯
أَبُو عَاصِمٍ عَنْ الأَوْزَاعِيِّ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ لَبَنًا فَمَضْمَضَ وَقَالَ إِنَّ لَه“ دَسَمًا.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুধপান করেছেন, এরপর তিনি কুলি করেছেন এবং বলেছেনঃ এর মধ্যে তৈল আছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯৯১), ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৯৫)

৫৬১০
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رُفِعْتُ إِلٰى السِّدْرَةِ فَإِذَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ نَهَرَانِ ظَاهِرَانِ وَنَهَرَانِ بَاطِنَانِ فَأَمَّا الظَّاهِرَانِ النِّيلُ وَالْفُرَاتُ وَأَمَّا الْبَاطِنَانِ فَنَهَرَانِ فِي الْجَنَّةِ فَأُتِيتُ بِثَلاَثَةِ أَقْدَاحٍ قَدَحٌ فِيهِ لَبَنٌ وَقَدَحٌ فِيهِ عَسَلٌ وَقَدَحٌ فِيهِ خَمْرٌ فَأَخَذْتُ الَّذِي فِيهِ اللَّبَنُ فَشَرِبْتُ فَقِيلَ لِي أَصَبْتَ الْفِطْرَةَ أَنْتَ وَأُمَّتُكَ.

قَالَ هِشَامٌ وَسَعِيدٌ وَهَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الأَنْهَارِ نَحْوَه“ وَلَمْ يَذْكُرُوا ثَلاَثَةَ أَقْدَاحٍ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সম্মুখে ‘সিদ্‌রাতুল মুনতাহা’ তুলে ধরা হল। তখন দেখলাম চারটি নহর। দু‘টি নহর হল যাহেরী, আর দু‘টি নহর হল বাতেনী। যাহেরী দু‘টি হল, নীল ও ফোরাত। আর বাতেনী দু‘টি হল, জান্নাতের দু‘টি নহর। আমার সম্মুখে তিনটি পেয়ালা তুলে ধরা হল, একটি পেয়ালায় আছে দুধ, একটি পেয়ালায় আছে মধু আর একটিতে শরাব। আমি দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলাম এবং পান করলাম। তখন আমাকে বলা হল, আপনি এবং আপনার উম্মাত স্বভাবজাত বস্তু গ্রহণ করেছেন। তবে তাঁরা তিনটি পেয়ালার কথা উল্লেখ করেননি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৯৯২), ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৯৫)

৭৪/১৩. অধ্যায়ঃ
সুপেয় পানি তালাশ করা।

৫৬১১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ أَبُو طَلْحَةَ أَكْثَرَ أَنْصَارِيٍّ بِالْمَدِينَةِ مَالاً مِنْ نَخْلٍ، وَكَانَ أَحَبُّ مَالِهِ إِلَيْهِ بَيْرَحَاءَ، وَكَانَتْ مُسْتَقْبِلَ الْمَسْجِدِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَاءٍ فِيهَا طَيِّبٍ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا نَزَلَتْ ‏{‏لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ‏}‏ قَامَ أَبُو طَلْحَةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ ‏{‏لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ‏}‏ وَإِنَّ أَحَبَّ مَالِي إِلَىَّ بَيْرُحَاءَ، وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلَّهِ أَرْجُو بِرَّهَا وَذُخْرَهَا عِنْدَ اللَّهِ فَضَعْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ حَيْثُ أَرَاكَ اللَّهُ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ بَخٍ ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ ـ أَوْ رَايِحٌ شَكَّ عَبْدُ اللَّهِ ـ وَقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الأَقْرَبِينَ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَفْعَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَسَمَهَا أَبُو طَلْحَةَ فِي أَقَارِبِهِ وَفِي بَنِي عَمِّهِ‏.‏ وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ وَيَحْيَى بْنُ يَحْيَى رَايِحٌ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ ত্বলহা ছিলেন মদিনার আনসারদের মধ্যে সবার চেয়ে অধিক খেজুর গাছের মালিক। আর তাঁর নিকট তাঁর প্রিয় সম্পত্তি ছিল ‘‘বাইরুহা’’ নামক বাগানটি। সেটি ছিল মসজিদে নববীর ঠিক সামনে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বাগানে যেতেন এবং সেখানকার উৎকৃষ্ট পানি পান করতেন।’’ আনাস বলেন, যখন আয়াত অবতীর্ণ হলঃ ‘‘তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু খরচ না করা পর্যন্ত কক্ষনো পুণ্য লাভ করবে না’’সূরাহ আলু ‘ইমরান ৩/৯২)।তখন আবূ ত্বলহা দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ ইরশাদ করেছেনঃ‘‘তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু খরচ না করা পর্যন্ত কক্ষনো পুণ্য লাভ করবে না’’ – আর আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ হল ‘‘বাইরুহা’’ বাগান। এটিকে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে সদাকাহ করে দিলাম। আমি আল্লাহর কাছে এর সাওয়াব এবং সঞ্চয় আশা করি। হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এটিকে গ্রহণ করুন, আল্লাহর ইচ্ছেয় যেখানে ব্যয় করতে আপনি ভাল মনে করেন, সেখানে ব্যয় করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খুব ভাল, এটিতো লাভজনক কিংবা বলেছেন) মুনাফা দানকারী। কথাটিতে রাবী ‘আবদুল্লাহ সন্দেহ পোষণ করেছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি যা বলেছ, আমি তা শুনেছি। তবে আমি ভাল মনে করি যে, তুমি এটিকে আত্মীয়দের মাঝে বণ্টন করে দেবে। আবূ ত্বলহা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাই করব। এরপর আবূ ত্বলহা বাগানটি তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে এবং তাঁর চাচাত ভাইদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।ইসমাঈল ও ইয়াহ্ইয়া رَابِحٌ এর জায়গায় رَايِحٌ বলেছেন। [১৪৬১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৯৬)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]