সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস চিকিৎসা অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৫৬৭৮ – ৫৭৩৭

৭৬/১. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্‌ এমন কোন রোগ পাঠাননি যার আরোগ্যের ব্যবস্থা দেননি ।

৫৬৭৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ دَاءً إِلاَّ أَنْزَلَ لَهُ شِفَاءً ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ এমন কোন রোগ পাঠাননি যার আরোগ্যের ব্যবস্থা দেননি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৩)

৭৬/২. অধ্যায়ঃ
পুরুষ স্ত্রীলোকের এবং স্ত্রীলোক পুরুষের চিকিৎসা করতে পারে কি ?

৫৬৭৯
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ عَنْ خَالِدِ بْنِ ذَكْوَانَ عَنْ رُبَيِّعَ بِنْتِ مُعَوِّذِ بْنِ عَفْرَاءَ قَالَتْ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَسْقِي الْقَوْمَ وَنَخْدُمُهُمْ وَنَرُدُّ الْقَتْلٰى وَالْجَرْحٰى إِلَى الْمَدِينَةِ.

রুবায়ঈ বিন্‌ত মু‘আওয়ায ইবনু ‘আফরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিতাম। তখন আমরা লোকজনকে পানি পান করাতাম, তাদের সেবা-শুশ্রুষা করতাম এবং নিহত ও আহতদের মদীনায় নিয়ে যেতাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৪)

৭৬/৩. অধ্যায়ঃ
নিরাময় আছে তিনটি জিনিসে ।

৫৬৮০
الْحُسَيْنُ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ شُجَاعٍ حَدَّثَنَا سَالِمٌ الأَفْطَسُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ الشِّفَاءُ فِي ثَلاَثَةٍ شَرْبَةِ عَسَلٍ وَشَرْطَةِ مِحْجَمٍ وَكَيَّةِ نَارٍ وَأَنْهٰى أُمَّتِي عَنِ الْكَيِّ رَفَعَ الْحَدِيثَ

وَرَوَاهُ الْقُمِّيُّ عَنْ لَيْثٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْعَسَلِ وَالْحَجْمِ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগমুক্তি আছে। মধু পানে, শিঙ্গা লাগানোতে এবং আগুন দিয়ে দাগ লাগানোতে। আমার উম্মাতকে আগুন দিয়ে দাগ দিতে নিষেধ করছি। হাদীসটি ‘মারফূ’।



কুম্মী হাদীসটি লায়স, মুজাহিদ, ইবনু ‘আববাস সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে فِي الْعَسَلِ وَالْحَجْمِ শব্দে বর্ণনা করেছেন। [৫৬৮১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৫)

৫৬৮১
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ أَخْبَرَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ أَبُو الْحَارِثِ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ شُجَاعٍ عَنْ سَالِمٍ الأَفْطَسِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الشِّفَاءُ فِي ثَلاَثَةٍ فِي شَرْطَةِ مِحْجَمٍ أَوْ شَرْبَةِ عَسَلٍ أَوْ كَيَّةٍ بِنَارٍ وَأَنَا أَنْهٰى أُمَّتِي عَنِ الْكَيِّ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)–এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রোগমুক্তি আছে তিনটি জিনিসে। শিঙ্গা লাগানোতে, মধু পানে এবং আগুন দিয়ে দাগ দেয়াতে। আমার উম্মাতকে আগুন দিয়ে দাগ দিতে নিষেধ করছি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৬)

৭৬/৪. অধ্যায়ঃ
মধুর সাহায্যে চিকিৎসা । মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “এর মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্য নিরাময়।” (সূরাহ আন–নাহলঃ ৬৯)

৫৬৮২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعْجِبُهُ الْحَلْوَاءُ وَالْعَسَلُ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিষ্টান্ন দ্রব্য ও মধু অধিক পছন্দ করতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৭)

৫৬৮৩
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ الْغَسِيلِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ إِنْ كَانَ فِي شَيْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ أَوْ يَكُونُ فِي شَيْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ خَيْرٌ فَفِي شَرْطَةِ مِحْجَمٍ أَوْ شَرْبَةِ عَسَلٍ أَوْ لَذْعَةٍ بِنَارٍ تُوَافِقُ الدَّاءَ وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكْتَوِيَ.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের ঔষধসমূহের কোনটির মধ্যে যদি কল্যাণ থাকে তাহলে তা আছে শিঙ্গাদানের মধ্যে কিংবা মধু পানের মধ্যে কিংবা আগুন দিয়ে ঝলসানোর মধ্যে। রোগ অনুসারে। আমি আগুন দিয়ে দাগ দেওয়া পছন্দ করি না। [৫৬৯৭, ৫৭০২, ৫৭০৪; মুসলিম ৩৯/২৬, হাঃ ২২০৫, আহমাদ ১৪৬০৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৮)

৫৬৮৪
عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلٰى حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَخِي يَشْتَكِي بَطْنَه“ فَقَالَ اسْقِه„ عَسَلاً ثُمَّ أَتَى الثَّانِيَةَ فَقَالَ اسْقِه„ عَسَلاً ثُمَّ أَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ اسْقِه„ عَسَلاً ثُمَّ أَتَاه“ فَقَالَ قَدْ فَعَلْتُ فَقَالَ صَدَقَ اللهُ وَكَذَبَ بَطْنُ أَخِيكَ اسْقِه„ عَسَلاً فَسَقَاه“ فَبَرَأَ.

আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট এসে বললঃ আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ হয়েছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি দ্বিতীয়বার আসলে তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। অতঃপর তৃতীয়বার আসলে তিনি বললেন তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি এসে বললঃ আমি অনুরূপই করেছি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ্‌ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা বলছে। তাকে মধু পান করাও। অতঃপর সে তাকে পান করাল। এবার সে রোগমুক্ত হল। [৫৭১৬; মুসলিম ৩৯/৩১, হাঃ ২২৬৭, আহমাদ ১১১৪৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৯)

৭৬/৫. অধ্যায়ঃ
উটের দুধের সাহায্যে চিকিৎসা ।

৫৬৮৫
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ مِسْكِينٍ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ نَاسًا كَانَ بِهِمْ سَقَمٌ قَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ آوِنَا وَأَطْعِمْنَا فَلَمَّا صَحُّوا قَالُوا إِنَّ الْمَدِينَةَ وَخِمَةٌ فَأَنْزَلَهُمْ الْحَرَّةَ فِي ذَوْدٍ لَه“ فَقَالَ اشْرَبُوا أَلْبَانَهَا فَلَمَّا صَحُّوا قَتَلُوا رَاعِيَ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم وَاسْتَاقُوا ذَوْدَه“ فَبَعَثَ فِي آثَارِهِمْ فَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ مِنْهُمْ يَكْدِمُ الأَرْضَ بِلِسَانِه„ حَتّٰى يَمُوتَ قَالَ سَلاَّمٌ فَبَلَغَنِي أَنَّ الْحَجَّاجَ قَالَ لِأَنَسٍ حَدِّثْنِي بِأَشَدِّ عُقُوبَةٍ عَاقَبَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثَه“ بِهٰذَا فَبَلَغَ الْحَسَنَ فَقَالَ وَدِدْتُ أَنَّه“ لَمْ يُحَدِّثْه“ بِهٰذَا.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কতক লোক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল, তারা বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের আশ্রয় দিন এবং আমাদের খাদ্য দিন। অতঃপর যখন তারা সুস্থ হল, তখন তারা বললঃ মদীনাহ’র বায়ু ও আবহাওয়া অনুকূল নয়। তখন তিনি তাদেরকে তাঁর কতগুলো উট নিয়ে ‘হারবা’ নামক জায়গায় থাকতে দিলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তোমারা এগুলোর দুধ পান কর। যখন তারা আরোগ্য হল তখন তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রাখালকে হত্যা করে ফেলল এবং তাঁর উটগুলোকে হাঁকিয়ে নিয়ে চলল। তিনি তাদের পশ্চাতে ধাওয়াকারীদের পাঠালেন। এরপর তিনি তাদের হাত পা কেটে দেন এবং তাদের চক্ষুগুলোকে ফুঁড়ে দেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি তাদের এক ব্যক্তিকে দেখেছি। সে নিজের জিভ দিয়ে মাটি কামড়াতে থাকে, অবশেষে মারা যায়।



বর্ণনাকারী সাল্লাম বলেনঃ আমার নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে, হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ আনাস (রাঃ) কে বলেছিলেন, আপনি আমাকে সবচেয়ে কঠোর শাস্তি সম্পর্কে বলুন, যেটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিয়েছিলেন। তখন তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। এ খবর হাসান বসরীর কাছে পৌঁছালে তিনি বলেছিলেনঃ যদি তিনি এ হাদীস বর্ণনা না করতেন তবে আমার মতে সেটাই ভাল ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭০)

৭৬/৬. অধ্যায়ঃ
উটের পেশাব ব্যবহার করে চিকিৎসা ।

৫৬৮৬
مُوسٰى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ نَاسًا اجْتَوَوْا فِي الْمَدِينَةِ فَأَمَرَهُمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَلْحَقُوا بِرَاعِيهِ يَعْنِي الإِبِلَ فَيَشْرَبُوا مِنَ الْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا فَلَحِقُوا بِرَاعِيهِ فَشَرِبُوا مِنَ الْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا حَتّٰى صَلَحَتْ أَبْدَانُهُمْ فَقَتَلُوا الرَّاعِيَ وَسَاقُوا الإِبِلَ فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ فِي طَلَبِهِمْ فَجِيءَ بِهِمْ فَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ قَالَ قَتَادَةُ فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ أَنَّ ذ‘لِكَ كَانَ قَبْلَ أَنْ تَنْزِلَ الْحُدُودُ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কতকগুলো লোক মদীনায় তাদের প্রতিকূল আবহাওয়া অনুভব করল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের হুকুম দিলেন, তারা যেন তাঁর রাখাল অর্থাৎ তাঁর উটগুলোর নিকট গিয়ে থাকে এবং উটের দুগ্ধ এবং প্রস্রাব পান করে। তারা রাখালের সাথে গিয়ে মিলিত হল এবং উটের দুধ ও পেশাব পান করতে লাগল। অবশেষে তাদের শরীর সুস্থ হলে তারা রাখালটিকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এ খবর পৌঁছালে তিনি তাদের খোঁজে লোক পাঠান। এরপর তাদের ধরে আনা হল। এরপর তিনি তাদের হাত পা কেটে দেন এবং তাদের চক্ষু ফেঁড়ে দেন।

ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, এটি হুদুদ (অর্থাৎ শাস্তি সম্পর্কিত আইন) অবতীর্ণ হবার পূর্বের ঘটনা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭১)

৭৬/৭. অধ্যায়ঃ
কালো জিরা

৫৬৮৭
عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ خَرَجْنَا وَمَعَنَا غَالِبُ بْنُ أَبْجَرَ فَمَرِضَ فِي الطَّرِيقِ فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَهُوَ مَرِيضٌ فَعَادَهُ ابْنُ أَبِي عَتِيقٍ فَقَالَ لَنَا عَلَيْكُمْ بِهٰذِهِ الْحُبَيْبَةِ السَّوْدَاءِ فَخُذُوا مِنْهَا خَمْسًا أَوْ سَبْعًا فَاسْحَقُوهَا ثُمَّ اقْطُرُوهَا فِي أَنْفِه„ بِقَطَرَاتِ زَيْتٍ فِي هٰذَا الْجَانِبِ وَفِي هٰذَا الْجَانِبِ فَإِنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا سَمِعَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ إِنَّ هٰذِهِ الْحَبَّةَ السَّوْدَاءَ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ مِنْ السَّامِ قُلْتُ وَمَا السَّامُ قَالَ الْمَوْتُ.

খালিদ ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা (যুদ্ধের অভিযানে) বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনু আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদীনায় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে দেখাশুনা করতে আসেন ইবনু আবূ ‘আতীক। তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা এ কালো জিরা সাথে রেখ। এত্থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে, তারপর তন্মধ্যে যাইতুনের কয়েক ফোঁটা তৈল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এ দিক-ওদিকের ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবিষ্ট করাবে। কেননা, ‘আয়িশাহ (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ এই কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ। আমি বললামঃ ‘সাম’ কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭২)

৫৬৮৮
يَحْيٰى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُمَا أَنَّه“ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ فِي الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَالسَّامُ الْمَوْتُ وَالْحَبَّةُ السَّوْدَاءُ الشُّونِيزُ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া যাবতীয় রোগের ঔষধ।

ইবনু শিহাব বলেছেনঃ আর ‘সাম’ অর্থ হল মৃত্যু এবং কালো জিরাকে ‘শুনীয’ও বলা হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৩)

৭৬/৮. অধ্যায়ঃ
রোগীর জন্য তালবীনা (তরল খাদ্য)।

৫৬৮৯
حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا كَانَتْ تَأْمُرُ بِالتَّلْبِينِ لِلْمَرِيضِ وَلِلْمَحْزُونِ عَلَى الْهَالِكِ، وَكَانَتْ تَقُولُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ التَّلْبِينَةَ تُجِمُّ فُؤَادَ الْمَرِيضِ، وَتَذْهَبُ بِبَعْضِ الْحُزْنِ ‏”‏‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রোগীকে এবং কারো মৃত্যুজনিত শোকাহত ব্যক্তিকে তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়ানোর আদেশ করতেন। তিনি বলতেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, ‘তালবীনা’ রোগীর কলিজা মযবূত করে এবং নানাবিধ দুশ্চিন্তা দূর করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৪)

৫৬৯০
فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا كَانَتْ تَأْمُرُ بِالتَّلْبِينَةِ وَتَقُولُ هُوَ الْبَغِيضُ النَّافِعُ.

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তালবীনা খেতে আদেশ দিতেন এবং বলতেনঃ এটি হল অপছন্দনীয়, তবে উপকারী। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৫)

৭৬/৯. অধ্যায়ঃ
নাকে ঔষধ সেবন।

৫৬৯১
مُعَلّٰى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَأَعْطَى الْحَجَّامَ أَجْرَه“ وَاسْتَعَطَ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং যে ব্যক্তি শিঙ্গা লাগিয়ে দেয় তাকে পারিশ্রমিক দিয়েছেন আর তিনি নাকে ঔষধ টেনে নিয়েছেন।[১৮৩৫; মুসলিম ১৫/১১, হাঃ ১২০২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৬)

৭৬/১০. অধ্যায়ঃ
ভারতীয় ও সামুদ্রিক এলাকার চন্দন কাঠের (ধোঁয়ার) সাহায্যে নাকে ঔষধ টেনে নেয়া।

(আরবী) কে (আরবী) ও বলা হয়। যেমন (আরবী) ও (আরবী) বলা যায়। অনুরূপভাবে (আরবী) কে (আরবী) পড়া যায়। (আরবী) এর অর্থ হল (আরবী) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) (আরবী) পড়েছেন।

৫৬৯২
صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ أُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ عَلَيْكُمْ بِهٰذَا الْعُودِ الْهِنْدِيِّ فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ يُسْتَعَطُ بِه„ مِنَ الْعُذْرَةِ وَيُلَدُّ بِه„ مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ.

উম্মু কায়স বিন্‌ত মিহসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা ভারতীয় এই চন্দন কাঠ ব্যবহার করবে। কেননা তাতে সাতটি আরোগ্য রয়েছে। শ্বাসনালীর ব্যথার জন্য এর (ধোঁয়া) নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়, পাঁজরের ব্যথা বা পক্ষাঘাত রোগ দূর করার জন্যও তা ব্যবহার করা যায়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৭)

৫৬৯৩
وَدَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم بِابْنٍ لِي لَمْ يَأْكُلْ الطَّعَامَ فَبَالَ عَلَيْهِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَرَشَّ عَلَيْهِ.

উম্মু কায়স বিন্‌ত মিহসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে আমার এক শিশু পুত্রকে নিয়ে এলাম, সে খাবার খেতে চাইত না। এ সময় সে তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি চেয়ে পাঠালেন। তারপর কাপড়ে পানি ছিটিয়ে দিলেন।[২২৩; মুসলিম ৩৯/২৮, হাঃ ২২১৪, আহমাদ ২৭০৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৭)

৭৬/১১. অধ্যায়ঃ
কোন্‌ সময় শিঙ্গা লাগাতে হয়।

আবূ মূসা (রাঃ) রাতে শিঙ্গা লাগাতেন।

৫৬৯৪
أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ احْتَجَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَائِمٌ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমরত অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৮)

৭৬/১২. অধ্যায়ঃ
সফরে ও ইহ্‌রামের অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো।

ইবনু বুহাইনাহ (রাঃ) এ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন।

৫৬৯৫
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ وَعَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ احْتَجَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُحْرِمٌ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরামের অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৯)

৭৬/১৩. অধ্যায়ঃ
রোগের চিকিৎসার জন্য শিঙ্গা লাগানো।

৫৬৯৬
مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ أَنَسٍ أَنَّه“ سُئِلَ عَنْ أَجْرِ الْحَجَّامِ فَقَالَ احْتَجَمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَجَمَه“ أَبُو طَيْبَةَ وَأَعْطَاه“ صَاعَيْنِ مِنْ طَعَامٍ وَكَلَّمَ مَوَالِيَه“ فَخَفَّفُوا عَنْه“ وَقَالَ إِنَّ أَمْثَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ وَالْقُسْطُ الْبَحْرِيُّ وَقَالَ لاَ تُعَذِّبُوا صِبْيَانَكُمْ بِالْغَمْزِ مِنَ الْعُذْرَةِ وَعَلَيْكُمْ بِالْقُسْطِ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁকে শিঙ্গা লাগানোর পারিশ্রমিক দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিঙ্গা লাগিয়েছেন। আবূ তাইবা তাঁকে শিঙ্গা লাগায়। এরপর তিনি তাকে দু সা‘ খাদ্যবস্তু প্রদান করেন। সে তার মালিকের সঙ্গে এ সম্পর্কে কথা বললে, তারা তাঁর থেকে পারিশ্রমিক কমিয়ে দেয়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ তোমরা যে সব জিনিস দিয়ে চিকিৎসা কর, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল শিঙ্গা লাগানো এবং সামুদ্রিক চন্দন কাঠ। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের জিহ্বা, তালু টিপে কষ্ট দিও না। বরং তোমরা চন্দন কাঠ দিয়ে চিকিৎসা কর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮০)

৫৬৯৭
سَعِيدُ بْنُ تَلِيدٍ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو وَغَيْرُه“ أَنَّ بُكَيْرًا حَدَّثَه“ أَنَّ عَاصِمَ بْنَ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ حَدَّثَه“ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ عَادَ الْمُقَنَّعَ ثُمَّ قَالَ لاَ أَبْرَحُ حَتّٰى تَحْتَجِمَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ إِنَّ فِيهِ شِفَاءً.

আসিম ইবনু ‘উমর ইবনু ক্বাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) অসুস্থ মুকান্নাকে দেখতে যান। এরপর তিনি বলেনঃ আমি হাটবো না, যতক্ষণ না তুমি শিঙ্গা লাগাবে। কেননা, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় এতে আছে নিরাময়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮১)

৭৬/১৪. অধ্যায়ঃ
মাথায় শিঙ্গা লাগানো।

৫৬৯৮
إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ عَنْ عَلْقَمَةَ أَنَّه“ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ الأَعْرَجَ أَنَّه“ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ ابْنَ بُحَيْنَةَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ بِلَحْيِ جَمَلٍ مِنْ طَرِيقِ مَكَّةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ فِي وَسَطِ رَأْسِهِ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইবনু বুহাইনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহ্‌রাম বাঁধা অবস্থায় মক্কার পথে ‘লাহযী জামাল’ নামীয় জায়গায় তাঁর মাথার মাঝখানে শিঙ্গা লাগান।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮২)

৫৬৯৯
وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ فِي رَأْسِهِ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইবনু বুহাইনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনসারী (রহঃ) হিশাম ইবনু হাস্‌সান (রহঃ) ইকরামার সূত্রে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মাথায় শিঙ্গা লাগান।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮২)

৭৬/১৫. অধ্যায়ঃ
আধ কপালি কিংবা পুরো মাথা ব্যাথার কারণে শিঙ্গা লাগানো।

৫৭০০
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ احْتَجَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي رَأْسِه„ وَهُوَ مُحْرِمٌ مِنْ وَجَعٍ كَانَ بِه„ بِمَاءٍ يُقَالُ لَه“ لُحْيُ جَمَلٍ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মাথার ব্যাথায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহ্‌রাম অবস্থায় ‘লাহয়ী জামাল’ নামের একটি কুয়োর ধারে মাথায় শিঙ্গা লাগান।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৩)

৫৭০১
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ فِي رَأْسِه„ مِنْ شَقِيقَةٍ كَانَتْ بِه„.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরামের অবস্থায় আধ কপালির কারণে তাঁর মাথায় শিঙ্গা লাগান।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৩)

৫৭০২
إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا ابْنُ الْغَسِيلِ قَالَ حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ إِنْ كَانَ فِي شَيْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ خَيْرٌ فَفِي شَرْبَةِ عَسَلٍ أَوْ شَرْطَةِ مِحْجَمٍ أَوْ لَذْعَةٍ مِنْ نَارٍ وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكْتَوِيَ.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ যদি তোমাদের ঔষধগুলোর কোনটিতে কল্যাণই থাকে, তাহলে তা আছে মধুপানে কিংবা শিঙ্গা লাগানোতে কিংবা আগুন দিয়ে দাগ লাগানোতে। তবে আমি দাগ দেওয়া পছন্দ করি না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৪)

৭৬/১৬. অধ্যায়ঃ
কষ্ট দূর করার জন্য মাথা মুড়ানো।

৫৭০৩
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ أَيُّوبَ قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلٰى عَنْ كَعْبٍ هُوَ ابْنُ عُجْرَةَ قَالَ أَتٰى عَلَيَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ وَأَنَا أُوقِدُ تَحْتَ بُرْمَةٍ وَالْقَمْلُ يَتَنَاثَرُ عَنْ رَأْسِي فَقَالَ أَيُؤْذِيكَ هَوَامُّكَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَاحْلِقْ وَصُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ أَوْ أَطْعِمْ سِتَّةً أَوْ انْسُكْ نَسِيكَةً.

قَالَ أَيُّوبُ لاَ أَدْرِي بِأَيَّتِهِنَّ بَدَأَ.

কা’ব ইবনু উজরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ হুদাইবিয়ার সফরকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে আসলেন। আমি তখন পাতিলের নীচে আগুন দিচ্ছিলাম, আর আমার মাথা থেকে তখন উকুন ঝরছিল। তিনি বললেনঃ তোমার উকুনগুলো তোমাকে কি খুব কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি মাথা মুড়িয়ে নাও এবং তিন দিন সাওম পালন কর অথবা ছয়জন (মিসকীন) কে খাদ্য দাও কিংবা একটি কুরবাণীর পশু যবেহ্‌ করে নাও।

আইউব (রহঃ) বলেনঃ আমি বলতে পারি না, এগুলোর কোনটি তিনি প্রথমে বলেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৫)

৭৬/১৭. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি আগুনের দ্বারা দাগ দেয় কিংবা অন্যকে দাগ লাগিয়ে দেয় এবং যে ব্যাক্তি এভাবে দাগ দেয়নি তার ফযীলাত ।

৫৭০৪
أَبُو الْوَلِيدِ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الْغَسِيلِ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا عَنْ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم قَالَ إِنْ كَانَ فِي شَيْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ شِفَاءٌ فَفِي شَرْطَةِ مِحْجَمٍ أَوْ لَذْعَةٍ بِنَارٍ وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكْتَوِيَ.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ যদি তোমাদের চিকিৎসা সমূহে কোনটির মধ্যে আরোগ্য থাকে, তাহলে তা আছে শিঙ্গা লাগানোতে কিংবা আগুন দ্বারা দাগ লাগানোতে, তবে আমি আগুন দিয়ে দাগ দেয়া পছন্দ করি না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৬)

৫৭০৫
عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ عَنْ عَامِرٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ لاَ رُقْيَةَ إِلاَّ مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ فَذَكَرْتُه“ لِسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عُرِضَتْ عَلَيَّ الأُمَمُ فَجَعَلَ النَّبِيُّ وَالنَّبِيَّانِ يَمُرُّونَ مَعَهُمْ الرَّهْطُ وَالنَّبِيُّ لَيْسَ مَعَه“ أَحَدٌ حَتّٰى رُفِعَ لِي سَوَادٌ عَظِيمٌ قُلْتُ مَا هٰذَا أُمَّتِي هٰذِه„ قِيلَ بَلْ هٰذَا مُوسٰى وَقَوْمُه“ قِيلَ انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ فَإِذَا سَوَادٌ يَمْلاَ الأُفُقَ ثُمَّ قِيلَ لِي انْظُرْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا فِي آفَاقِ السَّمَاءِ فَإِذَا سَوَادٌ قَدْ مَلاَ الأُفُقَ قِيلَ هٰذِه„ أُمَّتُكَ وَيَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ هَؤُلاَءِ سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ ثُمَّ دَخَلَ وَلَمْ يُبَيِّنْ لَهُمْ فَأَفَاضَ الْقَوْمُ وَقَالُوا نَحْنُ الَّذِينَ آمَنَّا بِاللهِ وَاتَّبَعْنَا رَسُوْلَه“ فَنَحْنُ هُمْ أَوْ أَوْلاَدُنَا الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الإِسْلاَمِ فَإِنَّا وُلِدْنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ فَقَالَ هُمْ الَّذِينَ لاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ وَلاَ يَكْتَوُونَ وَعَلٰى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ فَقَالَ عُكَاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ أَمِنْهُمْ أَنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ نَعَمْ فَقَامَ آخَرُ فَقَالَ أَمِنْهُمْ أَنَا قَالَ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ.

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ বদ-নযর কিংবা বিষাক্ত দংশন ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক নেই। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর এ হাদীস আমি সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) -এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ আমাদের নিকট ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সামনে সকল উম্মাতকে পেশ করা হয়েছিল। (তখন আমি দেখেছি) দু’একজন নবী পথ চলতে লাগলেন এমতাবস্থায় যে, তাঁদের সঙ্গে একজনও নেই। অবশেষে আমার সামনে তুলে ধরা হল বিশাল দল। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এটা কী? এ কি আমার উম্মত? উত্তর দেয়া হলঃ না, ইনি মূসা (‘আঃ) এবং তাঁর কওম। আমাকে বলা হলঃ আপনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে তাকান। তখন দেখলামঃ বিশাল একটি দল যা দিগন্তকে ঢেকে রেখেছে। তারপর আমাকে বলা হলঃ আকাশের দিগন্তসমূহ ঢেকে দিয়েছে এমন একটি বিশাল দলের প্রতি লক্ষ্য করুন। তখন বলা হলঃ এরা হল আপনার উম্মাত। আর তাদের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে চলে গেলেন। উপস্থিতদের কাছে কথাটির কোন ব্যাখ্যা প্রদান করলেন না। (যে বিনা হিসাবের লোক কারা হবে?) ফলে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হল। তারা বললঃ আমরা আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অনুসরণ করে থাকি। সুতারাং আমরাই তাদের অন্তর্ভূক্ত। কিংবা তারা হল আমাদের সে সকল সন্তান-সন্ততি যারা ইসলামের যুগে জন্মগ্রহন করেছে। আর আমাদের জন্ম হয়েছে জাহিলী যুগে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছালে তিনি বেরিয়ে আসলেন এবং বললেনঃ তারা হল সে সব লোক যারা মন্ত্র পাঠ করে না, পাখির মাধ্যমে কোন কাজের ভাল-মন্দ নির্ণয় করে না এবং আগুনের সাহায্যে দাগ লাগায় না। বরং তারা তো তাদের রবের উপরই ভরসা করে থাকে। তখন উক্‌কাশা ইবনু মিহসান (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! তাদের মধ্যে কি আমি আছি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন আরেকজন দাঁড়িয়ে বললঃ তাদের মধ্যে কি আমিও আছি? তিনি বললেনঃ ‘উক্‌কাশাহ এ সুযোগ তোমার আগেই নিয়ে নিয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৭)

৭৬/১৮. অধ্যায়ঃ
চোখের রোগে সুরমা ব্যবহার করা।

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) থেকেও বর্ণনা রয়েছে।

৫৭০৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ امْرَأَةً تُوُفِّيَ زَوْجُهَا فَاشْتَكَتْ عَيْنَهَا، فَذَكَرُوهَا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرُوا لَهُ الْكُحْلَ، وَأَنَّهُ يُخَافُ عَلَى عَيْنِهَا، فَقَالَ ‏ “‏ لَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ تَمْكُثُ فِي بَيْتِهَا فِي شَرِّ أَحْلاَسِهَا ـ أَوْ فِي أَحْلاَسِهَا فِي شَرِّ بَيْتِهَا ـ فَإِذَا مَرَّ كَلْبٌ رَمَتْ بَعْرَةً، فَلاَ، أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ‏”‏‏.‏

উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলার স্বামী মারা গেলে তার চোখে অসুখ দেখা দেয়। লোকজন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে মহিলার কথা উল্লেখ করতঃ সুরমা ব্যাবহারের কথা আলোচনা করল এবং তার চোখ সংকটাপন্ন বলে জানাল। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের একেকটি মহিলার অবস্থাতো এমন ছিল যে, তার ঘরে তার সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাপড়ে সে থাকত কিংবা তিনি বলেছেনঃ সে তার কাপড়ে আচ্ছাদিত হয়ে তার সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঘরে (বছরের পর বছর) অবস্থান করত। অতঃপর যখন কোন কুকুর হেঁটে যেত, তখন সে কুকুরটির দিকে উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করে (বেরিয়ে আসার অনুমতি পেত)। অতএব, সে চোখে সুরমা লাগাবে না বরং চার মাস দশ দিন সে অপেক্ষা করবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৮)

৭৬/১৯. অধ্যায়ঃ
কুষ্ঠ রোগ

৫৭০৭
وَقَالَ عَفَّانُ حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ عَدْو‘ى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنْ الأَسَدِ.

আফফান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সালীম ইবনু হাইয়ান, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমন নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক।(আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)

৭৬/২০. অধ্যায়ঃ
জমাট শিশির চোখের জন্য শেফা।

৫৭০৮
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنّٰى حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ سَمِعْتُ عَمْرُو بْنَ حُرَيْثٍ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ.

قَالَ شُعْبَةُ وَأَخْبَرَنِي الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ شُعْبَةُ لَمَّا حَدَّثَنِي بِهِ الْحَكَمُ لَمْ أُنْكِرْه“ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ.

সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ ছত্রাক এক প্রকারের শিশির থেকে হয়ে থাকে। আর এর রস চোখের আরোগ্যকারী।



শু’বাহ (রহঃ) বলেনঃ হাকাম উতাইবা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আমার কাছে এরূপ বর্ণনা করেছেন। শু‘বাহ (রহঃ) বলেনঃ হাকাম যখন আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করেন তখন ‘আবদুল মালিক বর্ণিত হাদীসকে তিনি অগ্রাহ্য করেননি।(আধুনিক প্রকাশনী- দ্বিতীয় অংশ নেই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৯)

৭৬/২১. অধ্যায়ঃ
রোগীর মুখে ঔষধ ঢেলে দেয়া।

৫৭০৯
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا يَحْيٰى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنِي مُوسٰى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ قَبَّلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مَيِّتٌ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ও ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মৃতদেহে চুমু দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯০)

৫৭১০
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا يَحْيٰى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنِي مُوسٰى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ قَبَّلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مَيِّتٌ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ও ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মৃতদেহে চুমু দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯০)

৫৭১১
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا يَحْيٰى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنِي مُوسٰى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ قَبَّلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مَيِّتٌ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ও ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মৃতদেহে চুমু দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯০)

৫৭১২
قَالَ وَقَالَتْ عَائِشَةُ لَدَدْنَاه“ فِي مَرَضِه„ فَجَعَلَ يُشِيرُ إِلَيْنَا أَنْ لاَ تَلُدُّونِي فَقُلْنَا كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ تَلُدُّونِي قُلْنَا كَرَاهِيَةَ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ فَقَالَ لاَ يَبْقٰى فِي الْبَيْتِ أَحَدٌ إِلاَّ لُدَّ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلاَّ الْعَبَّاسَ فَإِنَّه“ لَمْ يَشْهَدْكُمْ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ও ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণনাকারী বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) আরো বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অসুখের সময় আমরা তাঁর মুখে ঔষধ ঢেলে দিলাম। তখন তিনি আমাকে ইঙ্গিত দিতে থাকলেন যে, তোমরা আমার মুখে ঔষধ ঢেল না। আমরা মনে করলাম, এটা ঔষধের প্রতি একজন রোগীর স্বভাবজাত অনীহা মাত্র। এরপর তিনি যখন সুস্থবোধ করলেন তখন বললেনঃ আমি কি তোমাদের আমার মুখে ঔষধ ঢেলে দিতে নিষেধ করিনি? আমরা বললামঃ আমরাতো ঔষধের প্রতি রোগীর স্বভাবজাত অনীহা ভেবেছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ আমি এখন যাদেরকে এ ঘরে দেখতে পাচ্ছি তাদের সবার মুখে ওষুধ ঢালা হবে। ‘আব্বাস (রাঃ) ছাড়া কেউ বাদ যাবে না। কেননা, তিনি তোমাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯০)]

৫৭১৩
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ أُمِّ قَيْسٍ قَالَتْ دَخَلْتُ بِابْنٍ لِي عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ مِنَ الْعُذْرَةِ فَقَالَ عَلٰى مَا تَدْغَرْنَ أَوْلاَدَكُنَّ بِهٰذَا الْعِلاَقِ عَلَيْكُنَّ بِهٰذَا الْعُودِ الْهِنْدِيِّ فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ مِنْهَا ذَاتُ الْجَنْبِ يُسْعَطُ مِنَ الْعُذْرَةِ وَيُلَدُّ مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ فَسَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يَقُوْلُ بَيَّنَ لَنَا اثْنَيْنِ وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا خَمْسَةً.

قُلْتُ لِسُفْيَانَ فَإِنَّ مَعْمَرًا يَقُوْلُ أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ قَالَ لَمْ يَحْفَظْ إِنَّمَا قَالَ أَعْلَقْتُ عَنْه“ حَفِظْتُه“ مِنْ فِي الزُّهْرِيِّ وَوَصَفَ سُفْيَانُ الْغُلاَمَ يُحَنَّكُ بِالإِصْبَعِ وَأَدْخَلَ سُفْيَانُ فِي حَنَكِه„ إِنَّمَا يَعْنِي رَفْعَ حَنَكِه„ بِإِصْبَعِه„ وَلَمْ يَقُلْ أَعْلِقُوا عَنْه“ شَيْئًا.

উম্মু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার এক পুত্র সন্তানকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট গেলাম। ছেলেটির আলাজিহবা ফোলার কারণে আমি তা দাবিয়ে দিয়েছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ এ রকম রোগ-ব্যাধি দমনে তোমরা নিজেদের সন্তানদের কেন কষ্ট দিয়ে থাক? তোমরা ভারতীয় চন্দন কাঠ ব্যবহার কর। কেননা, তাতে সাত রকমের নিরাময় আছে। তার মধ্যে পাঁজরের ব্যথা বা পক্ষাঘাত রোগ অন্যতম। আলাজিহবা ফোলার কারণে এটির ধোঁয়া নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়। পাঁজরের ব্যথার রুগী বা পক্ষাঘাত রুগীকে তা সেবন করানো যায়। সুফিয়ান বলেনঃ আমি যুহরীকে বলতে শুনেছি যে, তিনি আমাদের কাছে দু’টির কথা বর্ণনা করেছেন। আর পাঁচটির কথা বর্ণনা করেননি। বর্ণনাকারী ‘আলী বলেনঃ আমি সুফ্ইয়ানকে বললাম মা‘মার স্মরণ রাখতে পারেননি। তিনি বলেছেন أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ আর যুহরী তো বলেছেন, أَعْلَقْتُ عَنْه” শব্দ দ্বারা। আমি যুহরীর মুখ থেকে শুনে মুখস্থ করেছি। আর সুফ্ইয়ানেররিওয়ায়াতে তিনি ছেলেটির অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন যে, আঙ্গুল দিয়ে তার তালু দাবিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় সুফ্ইয়ান নিজের তালুতে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দেখিয়েছেন অর্থাৎ তিনি তাঁর আঙ্গুলের দ্বারা তালুকে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু أَعْلِقُوا عَنْه” شَيْئًا এভাবে কেউই বর্ণনা করেননি। [৫৬৯২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯১)

৭৬/২২. অধ্যায়ঃ
৭৬/২২. অধ্যায়ঃ

৫৭১৪
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، وَيُونُسُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَدَّ وَجَعُهُ، اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ فِي أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي، فَأَذِنَّ، فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ، تَخُطُّ رِجْلاَهُ فِي الأَرْضِ بَيْنَ عَبَّاسٍ وَآخَرَ‏.‏ فَأَخْبَرْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ هَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الآخَرُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قُلْتُ لاَ‏.‏ قَالَ هُوَ عَلِيٌّ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ مَا دَخَلَ بَيْتَهَا وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ ‏ “‏ هَرِيقُوا عَلَىَّ مِنْ سَبْعِ قِرَبٍ لَمْ تُحْلَلْ أَوْكِيَتُهُنَّ، لَعَلِّي أَعْهَدُ إِلَى النَّاسِ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ فَأَجْلَسْنَاهُ فِي مِخْضَبٍ لِحَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ثُمَّ طَفِقْنَا نَصُبُّ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْقِرَبِ، حَتَّى جَعَلَ يُشِيرُ إِلَيْنَا أَنْ قَدْ فَعَلْتُنَّ‏.‏ قَالَتْ وَخَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَصَلَّى لَهُمْ وَخَطَبَهُمْ‏.‏

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বয়স বেড়ে গেল এবং রোগ-যন্ত্রনা তীব্র আকার ধারণ করল, তখন তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে অনুমতি চাইলেন যে, তিনি যেন আমার গৃহে অসুস্থ কালীন সময় অবস্থান করতে পারেন। এরপর তাঁরা অনুমতি দিলে তিনি দু’ব্যাক্তি অর্থাৎ ‘আব্বাস (রাঃ) ও আরেকজনের সাহায্যে এভাবে বেরিয়ে আসলেন যে, মাটির উপর তাঁর দু’পা হেঁচড়াতে ছিল। (বর্ণনাকারী বলেন) আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) -কে হাদীসটি জানালে তিনি বলেনঃ আপনি কি জানেন, আরেক ব্যাক্তি যার নাম ‘আয়িশা (রাঃ) উল্লেখ করেননি, তিনি কে ছিলেন? আমি উত্তর দিলামঃ না। তিনি বললেনঃ তিনি হলেন ‘আলী (রাঃ)। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ যখন তাঁর রোগ-যন্ত্রণা আরো তীব্র হল তখন তিনি বললেন, যে সব মশ্‌কের মুখ এখনো খোলা হয়নি এমন সাত মশ্‌ক পানি আমার গায়ে ঢেলে দাও। আমি লোকজনের কাছে কিছু অসীয়ত করে আসার ইচ্ছে পোষণ করেছি। তিনি বলেন, তখন আমরা তাঁকে তাঁর স্ত্রী হাফসা (রাঃ) -এর একটি কাপড় কাচার জায়গায় নিয়ে গিয়ে বসালাম। এরপর তাঁর পায়ের উপর সেই মশকগুলো থেকে পানি ঢালতে লাগলাম। অবশেষে তিনি আমাদের দিকে ইশারা দিলেন যে, তোমরা তোমাদের কাজ করেছ। তিনি বলেনঃ এরপর তিনি লোকজনের দিকে বেরিয়ে গেলেন। আর তাদের নিয়ে সলাত আদায় করলেন এবং তাদের সম্মুখে খুত্‌বা দিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯২)

৭৬/২৩. অধ্যায়ঃ
উযরা-আলাজিহ্বা যন্ত্রণার বর্ণনা।

৫৭১৫
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ أُمَّ قَيْسٍ بِنْتَ مِحْصَنٍ الأَسَدِيَّةَ أَسَدَ خُزَيْمَةَ وَكَانَتْ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ اللاَّتِي بَايَعْنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ أُخْتُ عُكَاشَةَ أَخْبَرَتْه“ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِابْنٍ لَهَا قَدْ أَعْلَقَتْ عَلَيْهِ مِنَ الْعُذْرَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلٰى مَا تَدْغَرْنَ أَوْلاَدَكُنَّ بِهٰذَا الْعِلاَقِ عَلَيْكُمْ بِهٰذَا الْعُودِ الْهِنْدِيِّ فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ مِنْهَا ذَاتُ الْجَنْبِ يُرِيدُ الْكُسْتَ وَهُوَ الْعُودُ الْهِنْدِيُّ



وَقَالَ يُونُسُ وَإِسْحَاقُ بْنُ رَاشِدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَلَّقَتْ عَلَيْهِ.

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসাদ গোত্রের অর্থাৎ আসাদে খুযাইমা গোত্রের উম্মু কায়স বিন্ত মিহসান আসাদিয়া ছিলেন প্রথম যুগের হিজরাতকারীদের অন্তর্ভুক্ত, যাঁরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বাই‘আত গ্রহণ করেছিলেন। আর তিনি ছিলেন ‘উকাশাহ -এর বোন। তিনি বলেছেন যে, তিনি তাঁর এক ছেলেকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসেছিলেন। ছেলেটির আলাজিহবা ফুলে যাওয়ার কারণে তিনি তা দাবিয়ে দিয়েছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এ সব রোগ দমনে তোমাদের সন্তানদের কেন কষ্ট দাও? তোমরা এই ভারতীয় চন্দন কাঠ সংগ্রহ করে রেখে দিও। কেননা এতে সাত রকমের আরোগ্য আছে। তার মধ্যে একটি হল পাঁজর ব্যথা।এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন কোস্ত। আর কোস্ত হল ভারতীয় চন্দন কাঠ। আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৭)



ইউনুস ও ইসহাক ইবনু রাশিদ-যুহরী থেকে عَلَّقَتْ عَلَيْهِ শব্দে বর্ণনা করেছেন। [৫৬৯২]ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৩)

৭৬/২৪. অধ্যায়ঃ
পেটের পীড়ার চিকিৎসা।

৫৭১৬
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ أَخِي اسْتَطْلَقَ بَطْنُه“ فَقَالَ اسْقِه„ عَسَلاً فَسَقَاه“ فَقَالَ إِنِّي سَقَيْتُه“ فَلَمْ يَزِدْه“ إِلاَّ اسْتِطْلاَقًا فَقَالَ صَدَقَ اللهُ وَكَذَبَ بَطْنُ أَخِيكَ تَابَعَهُ النَّضْرُ عَنْ شُعْبَةَ.

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এসে বলল যে, আমার ভাইয়ের পেট খারাপ হয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাকে মধু পান করাও। সে তাকে মধু সেবন করাল। এরপর বলল, আমি তাকে মধু পান করিয়েছি কিন্তু আসুখ আরো বাড়ছে। তিনি বললেনঃ আল্লাহ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট তা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে চায়। নযর (রহঃ) শু’বাহ থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৪)

৭৬/২৫. অধ্যায়ঃ
‘সফর’ পেটের পীড়া ছাড়া কিছুই না।

৫৭১৭
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ وَغَيْرُه“ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ عَدْو‘ى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَمَا بَالُ إِبِلِي تَكُونُ فِي الرَّمْلِ كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ فَيَأْتِي الْبَعِيرُ الأَجْرَبُ فَيَدْخُلُ بَيْنَهَا فَيُجْرِبُهَا فَقَالَ فَمَنْ أَعْدَى الأَوَّلَ.

رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَسِنَانِ بْنِ أَبِي سِنَانٍ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমণ নেই, সফরের কোন অশুভ আলামত নেই, পেঁচার মধ্যেও কোন আশুভ আলামত নেই। তখন এক বেদুঈন বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! তাহলে আমার এ উটের এ অবস্থা কেন হয়? সেগুলো যখন চারণ ভূমিতে থাকে তখন সেগুলো যেন মুক্ত হরিণের পাল। এমন অবস্থায় চর্মরোগাগ্রস্ত উট এসে সেগুলোর পালে ঢুকে পড়ে এবং এগুলোকেও চর্ম রোগে আক্রান্ত করে ফেলে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে প্রথমটিকে চর্ম রোগাক্রান্ত কে করেছে? যুহরী হাদীসটি আবূ সালামাহ ও সিনান ইবনু আবূ সিনান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।



[৫৭০৭; মুসলিম ৩৯/৩৩, হাঃ ২২২০, আহমাদ ৭৬২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৫)

৭৬/২৬. অধ্যায়ঃ
পাঁজরের ব্যাথা।

৫৭১৮
مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ عَنْ إِسْحَاقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ أُمَّ قَيْسٍ بِنْتَ مِحْصَنٍ وَكَانَتْ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ اللاَّتِي بَايَعْنَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ أُخْتُ عُكَاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ أَخْبَرَتْه“ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِابْنٍ لَهَا قَدْ عَلَّقَتْ عَلَيْهِ مِنَ الْعُذْرَةِ فَقَالَ اتَّقُوا اللهَ عَلٰى مَا تَدْغَرُونَ أَوْلاَدَكُمْ بِهٰذِهِ الأَعْلاَقِ عَلَيْكُمْ بِهٰذَا الْعُودِ الْهِنْدِيِّ فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ مِنْهَا ذَاتُ الْجَنْبِ يُرِيدُ الْكُسْتَ يَعْنِي الْقُسْطَ قَالَ وَهِيَ لُغَةٌ.

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উম্মু কায়স বিন্ত মিহসান, তিনি ছিলেন প্রথম কালের হিজরাতকারিণী ‘উকাশাহ ইবনু মিহসান -এর বোন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বাই‘আত গ্রহণকারিণী মহিলা সহাবী। তিনি বলেছেনঃ তিনি তাঁর এক ছেলেকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে আসেন। ছেলেটির আলাজিহবা ফুলে গিয়েছিল। তিনি তা দাবিয়ে দিয়েছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, কেন তোমরা তোমাদের সন্তানদের তালু দাবিয়ে কষ্ট দাও। তোমরা এই ভারতীয় চন্দন কাঠ ব্যবহার কর। কেননা, এতে রয়েছে সাত প্রকারের চিকিৎসা। তন্মধ্যে একটি হল পাঁজরের ব্যথা। কাঠ বলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উদ্দেশ্য হল কোস্ত। الْقُسْطَ শব্দেও তার আভিধানিক ব্যবহার আছে। [৫৬৯২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৬)

৫৭১৯
عَارِمٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ قَالَ قُرِيءَ عَلٰى أَيُّوبَ مِنْ كُتُبِ أَبِي قِلاَبَةَ مِنْه“ مَا حَدَّثَ بِه„ وَمِنْه“ مَا قُرِئَ عَلَيْهِ وَكَانَ هٰذَا فِي الْكِتَابِ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ وَأَنَسَ بْنَ النَّضْرِ كَوَيَاه“ وَكَوَاه“ أَبُو طَلْحَةَ بِيَدِهِ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ ত্বালহা ও আনাস ইবনু নাযর (রাঃ) তাকে আগুন দিয়ে দাগ দিয়েছেন। আর আবূ ত্বালহা (রাঃ) তাকে নিজ হাতে দাগ দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৭)

৫৭২০
وَقَالَ عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ أَذِنَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِأَهْلِ بَيْتٍ مِنْ الأَنْصَارِ أَنْ يَرْقُوا مِنَ الْحُمَةِ وَالأُذُنِ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের এক পরিবারের লোকদের বিষাক্ত দংশন ও কান ব্যথার কারণে ঝাড়ফুঁক গ্রহণ করার জন্য অনুমতি দেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৭)

৫৭২১
قَالَ أَنَسٌ كُوِيتُ مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَيٌّ وَشَهِدَنِي أَبُو طَلْحَةَ وَأَنَسُ بْنُ النَّضْرِ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَأَبُو طَلْحَةَ كَوَانِي.

‘আব্বাস ইবনু মানসূর বলেন, আইউব আবূ কিলাবা…………. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমাকে পাঁজর ব্যথা রোগের কারণে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জীবিত কালে আগুন দিয়ে দাগ দেয়া হয়েছিল। তখন আমার নিকট উপস্থিত ছিলেন আবূ ত্বালহা, আনাস ইবনু নাযর এবং যায়দ ইবনু সাবিত (রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা)। আর আবূ ত্বালহা (রাঃ) আমাকে দাগ দিয়েছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৭)

৭৬/২৭. অধ্যায়ঃ
রক্ত বন্ধ করার জন্য চাটাই পুড়িয়ে ছাই লাগানো।

৫৭২২
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ الْقَارِيُّ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ لَمَّا كُسِرَتْ عَلٰى رَأْسِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيْضَةُ وَأُدْمِيَ وَجْهُه“ وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُه“ وَكَانَ عَلِيٌّ يَخْتَلِفُ بِالْمَاءِ فِي الْمِجَنِّ وَجَاءَتْ فَاطِمَةُ تَغْسِلُ عَنْ وَجْهِهِ الدَّمَ فَلَمَّا رَأَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلاَم الدَّمَ يَزِيدُ عَلَى الْمَاءِ كَثْرَةً عَمَدَتْ إِلٰى حَصِيرٍ فَأَحْرَقَتْهَا وَأَلْصَقَتْهَا عَلٰى جُرْحِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَرَقَأَ الدَّمُ.

সাহ্‌ল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথায় লৌহ শিরস্ত্রাণ চূর্ণ করে দেয়া হল, আর তাঁর মুখমন্ডল রক্তাক্ত হয়ে গেল এবং তাঁর রুবাঈ দাঁত ভেঙ্গে গেল, তখন ‘আলী (রাঃ) ঢাল ভর্তি করে পানি দিতে থাকলেন এবং ফাতিমা (রাঃ) এসে তাঁর চেহারা থেকে রক্ত ধুয়ে দিতে লাগলেন। ফাতিমা (রাঃ) যখন দেখলেন যে, পানি ঢালার পরও অনেক রক্ত ঝরে চলছে, তখন তিনি একটি চাটাই নিয়ে এসে তা পুড়ালেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যখমের উপর ছাই লাগিয়ে দিলেন। ফলে রক্ত বন্ধ হয়ে গেল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৮)

৭৬/২৮. অধ্যায়ঃ
জ্বর হল জাহান্নামের উত্তাপ।

৫৭২৩
يَحْيٰى بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْحُمّٰى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَطْفِئُوهَا بِالْمَاءِ قَالَ نَافِعٌ وَكَانَ عَبْدُ اللهِ يَقُوْلُ اكْشِفْ عَنَّا الرِّجْزَ.

ইবনু ‘উমর (রাঃ) –এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়। কাজেই তাকে পানি দিয়ে নিভাও।

নাফি‘ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তখন বলতেনঃ আমাদের উপর থেকে শাস্তিকে হালকা কর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৯)

৫৭২৪
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ أَنَّ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ كَانَتْ إِذَا أُتِيَتْ بِالْمَرْأَةِ قَدْ حُمَّتْ تَدْعُو لَهَا أَخَذَتْ الْمَاءَ فَصَبَّتْه“ بَيْنَهَا وَبَيْنَ جَيْبِهَا قَالَتْ وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا أَنْ نَبْرُدَهَا بِالْمَاءِ.

ফাতিমা বিন্‌ত মুনযির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসমা বিন্‌ত আবু বক্‌র (রাঃ) -এর নিকট যখন কোন জ্বরে আক্রান্ত স্ত্রীলোকদেরকে দু‘আর জন্য নিয়ে আসা হত, তখন তিনি পানি হাতে নিয়ে সেই স্ত্রীলোকটির জামার ফাঁক দিয়ে তার গায়ে ছিটিয়ে দিতেন এবং বলতেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নির্দেশ করতেন, আমরা যেন পানির সাহায্যে জ্বরকে ঠান্ডা করি।[মুসলিম ৩৯/২৬, হাঃ ২২১১,আহমাদ ২৬৯৯২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০০)

৫৭২৫
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنّٰى حَدَّثَنَا يَحْيٰى حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْحُمّٰى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَابْرُدُوهَا بِالْمَاءِ.

‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ জ্বর হয় জাহান্নামের তাপ থেকে। কাজেই তোমরা পানি দিয়ে তা ঠান্ডা কর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০১)

৫৭২৬
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ جَدِّه„ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الْحُمّٰى مِنْ فَوْحِ جَهَنَّمَ فَابْرُدُوهَا بِالْمَاءِ.

রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ জ্বর হয় জাহান্নামের তাপ থেকে। কাজেই তোমরা তা পানি দিয়ে ঠান্ডা কর। [৩২৬২; মুসলিম ৩৯/২৬, হাঃ ২২১২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০২)

৭৬/২৯. অধ্যায়ঃ
অনুকূল নয় এমন ভূখণ্ড ছেড়ে বের হওয়া ।

৫৭২৭
عَبْدُ الأَعْلٰى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ حَدَّثَهُمْ أَنَّ نَاسًا أَوْ رِجَالاً مِنْ عُكْلٍ وَعُرَيْنَةَ قَدِمُوا عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَتَكَلَّمُوا بِالإِسْلاَمِ وَقَالُوا يَا نَبِيَّ اللهِ إِنَّا كُنَّا أَهْلَ ضَرْعٍ وَلَمْ نَكُنْ أَهْلَ رِيفٍ وَاسْتَوْخَمُوا الْمَدِينَةَ فَأَمَرَ لَهُمْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِذَوْدٍ وَبِرَاعٍ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا فِيهِ فَيَشْرَبُوا مِنَ الْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا فَانْطَلَقُوا حَتّٰى كَانُوا نَاحِيَةَ الْحَرَّةِ كَفَرُوا بَعْدَ إِسْلاَمِهِمْ وَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْتَاقُوا الذَّوْدَ فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ الطَّلَبَ فِي آثَارِهِمْ وَأَمَرَ بِهِمْ فَسَمَرُوا أَعْيُنَهُمْ وَقَطَعُوا أَيْدِيَهُمْ وَتُرِكُوا فِي نَاحِيَةِ الْحَرَّةِ حَتّٰى مَاتُوا عَلٰى حَالِهِمْ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উক্‌ল ও ‘উরাইনাহ গোত্রের কতগুলি মানুষ কিংবা তিনি বলেছেন, কতিপয় পুরুষ লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আগমন করে ইসলাম সম্পর্কে কথাবার্তা বলল। এরপর তারা বললঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা ছিলাম পশুপালন এলাকার অধিবাসী, আমরা কখনো কৃষি কাজের লোক ছিলাম না। কাজেই মদীনায় বাস করা তাদের জন্য প্রতিকূল হল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য কিছু উট ও একজন রাখাল দেয়ার নির্দেশ প্রদান করলেন এবং তাদের হুকুম দিলেন যেন এগুলো নিয়ে যায় এবং এগুলোর দুগ্ধ ও প্রস্রাব পান করে। এরপর তারা রওয়ানা হয়ে যখন ‘হাররা’ এলাকার নিকটবর্তী হল, তখন তারা ইসলাম ত্যাগ করে কুফরী অবলম্বন করল এবং তারা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রাখালকে হত্যা করে উটগুলো নিয়ে গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট সংবাদ পৌঁছল। তিনি তাদের পশ্চাতে সন্ধানী দল পাঠালেন। (তারা ধৃত হলে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত আদেশ দিলেন। কাজেই সাহাবীগণ (রাঃ) তাদের চক্ষু ফুঁড়ে দিলেন, তাদের হাত কেটে দিলেন এবং তাদের হার্‌রা এলাকায় ফেলে রাখা হল। শেষ পর্যন্ত তারা ঐ অবস্থাতেই মারা গেল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০৩)

৭৬/৩০. অধ্যায়ঃ
প্লেগ রোগ সম্পর্কে ।

৫৭২৮
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سَعْدٍ قَالَ سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ يُحَدِّثُ سَعْدًا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّه“ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ بِالطَّاعُونِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوهَا وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا فَقُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَه“ يُحَدِّثُ سَعْدًا وَلاَ يُنْكِرُه“ قَالَ نَعَمْ.

উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি সা‘দ (রাঃ) -এর কাছে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন অঞ্চলে প্লেগের বিস্তারের সংবাদ শোন, তখন সেই এলাকায় প্রবেশ করো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান কর, সেখানে প্লেগের বিস্তার ঘটলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না। (বর্ণনাকারী হাবীব ইবনু আবূ সাবিত বলেন) আমি জিজ্ঞেস করলামঃ আপনি কি উসামাহ (রাঃ) -কে এ হাদীস সা‘দ (রাঃ) -এর কাছে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, তিনি (সা‘দ) তাতে কোন অসম্মতি জ্ঞাপন করেননি?

ইবরাহীম ইবনু সা‘দ বলেনঃ হাঁ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০৪)

৫৭২৯
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّأْمِ حَتّٰى إِذَا كَانَ بِسَرْغَ لَقِيَه“ أُمَرَاءُ الأَجْنَادِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابُه“ فَأَخْبَرُوه“ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِأَرْضِ الشَّأْمِ.

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ عُمَرُ ادْعُ لِي الْمُهَاجِرِينَ الأَوَّلِينَ فَدَعَاهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّأْمِ فَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ قَدْ خَرَجْتَ لأَ÷مْرٍ وَلاَ نَر‘ى أَنْ تَرْجِعَ عَنْه“ وَقَالَ بَعْضُهُمْ مَعَكَ بَقِيَّةُ النَّاسِ وَأَصْحَابُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ نَر‘ى أَنْ تُقْدِمَهُمْ عَلٰى هٰذَا الْوَبَاءِ فَقَالَ ارْتَفِعُوا عَنِّي ثُمَّ قَالَ ادْعُوا لِي الأَنْصَارَ فَدَعَوْتُهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ فَسَلَكُوا سَبِيلَ الْمُهَاجِرِينَ وَاخْتَلَفُوا كَاخْتِلاَفِهِمْ فَقَالَ ارْتَفِعُوا عَنِّي ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي مَنْ كَانَ هَا هُنَا مِنْ مَشْيَخَةِ قُرَيْشٍ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْفَتْحِ فَدَعَوْتُهُمْ فَلَمْ يَخْتَلِفْ مِنْهُمْ عَلَيْهِ رَجُلاَنِ فَقَالُوا نَر‘ى أَنْ تَرْجِعَ بِالنَّاسِ وَلاَ تُقْدِمَهُمْ عَلٰى هٰذَا الْوَبَاءِ فَنَاد‘ى عُمَرُ فِي النَّاسِ إِنِّي مُصَبِّحٌ عَلٰى ظَهْرٍ فَأَصْبِحُوا عَلَيْهِ.

قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ أَفِرَارًا مِنْ قَدَرِ اللهِ فَقَالَ عُمَرُ لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ نَعَمْ نَفِرُّ مِنْ قَدَرِ اللهِ إِلٰى قَدَرِ اللهِ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لَكَ إِبِلٌ هَبَطَتْ وَادِيًا لَه“ عُدْوَتَانِ إِحْدَاهُمَا خَصِبَةٌ وَالأُخْر‘ى جَدْبَةٌ أَلَيْسَ إِنْ رَعَيْتَ الْخَصْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللهِ وَإِنْ رَعَيْتَ الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللهِ قَالَ فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ عَوْفٍ وَكَانَ مُتَغَيِّبًا فِي بَعْضِ حَاجَتِه„ فَقَالَ إِنَّ عِنْدِي فِي هٰذَا عِلْمًا سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ إِذَا سَمِعْتُمْ بِه„ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْه“ قَالَ فَحَمِدَ اللهَ عُمَرُ ثُمَّ انْصَرَفَ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) সিরিয়ার দিকে রওনা করেছিলেন। শেষে তিনি যখন সারগ এলাকায় গেলেন, তখন তাঁর সঙ্গে সৈন্য বাহিনীর প্রধানগণ তথা আবূ ‘উবাইদাহ ইবনু জাররাহ ও তাঁর সঙ্গীগণ সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা তাঁকে জানালেন যে, সিরিয়া এলাকায় প্লেগের বিস্তার ঘটেছে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) বললঃ আমার নিকট প্রবীণ মুহাজিরদের ডেকে আন। তখন তিনি তাঁদের ডেকে আনলেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁদের সিরিয়ার প্লেগের বিস্তার ঘটার কথা জানিয়ে তাঁদের কাছে পরামর্শ চাইলেন। তখন তাঁদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল। কেউ বললেনঃ আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে বের হয়েছেন; কাজেই তা থেকে প্রত্যাবর্তন করা আমরা পছন্দ করি না। আবার কেউ কেউ বললেনঃ বাকী লোক আপনার সঙ্গে রয়েছেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীগণ। কাজেই আমরা সঠিক মনে করি না যে, আপনি তাদের এই প্লেগের মধ্যে ঠেলে দিবেন। ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমরা আমার নিকট থেকে চলে যাও। এরপর তিনি বললেনঃ আমার নিকট আনসারদের ডেকে আন। আমি তাদের ডেকে আনলাম। তিনি তাদের কাছে পরামর্শ চাইলে তাঁরাও মুহাজিরদের পথ অবলম্বন করলেন এবং তাঁদের মতই মতপার্থক্য করলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমরা উঠে যাও। এরপর আমাকে বললেনঃ এখানে যে সকল বয়োজ্যেষ্ঠ কুরাইশী আছেন, যাঁরা মাক্কাহ জয়ের বছর হিজরাত করেছিলেন, তাদের ডেকে আন। আমি তাদের ডেকে আনলাম, তখন তারা পরস্পরে মতভেদ করলেন না। তাঁরা বললেনঃ আপনার লোকজনকে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করা এবং তাঁদের প্লেগের মধ্যে ঠেলে না দেয়াই আমরা ভাল মনে করি। তখন ‘উমার (রাঃ) লোকজনের মধ্যে ঘোষণা দিলেন যে, আমি ভোরে সাওয়ারীর পিঠে আরোহণ করব (ফিরার জন্য)। অতএব তোমরাও সকালে সওয়ারীর পিঠে আরোহণ করবে। আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ) বললেনঃ আপনি কি আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর থেকে পালানোর জন্য ফিরে যাচ্ছেন? ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ হে আবূ ‘উবাইদাহ! যদি তুমি ব্যতীত অন্য কেউ কথাটি বলত! হাঁ, আমরা আল্লাহর, এক তাকদীর থেকে আল্লাহর আরেকটি তাকদীরের দিকে ফিরে যাচ্ছি। তুমি বলত, তোমার কিছু উটকে যদি তুমি এমন কোন উপত্যকায় নিয়ে যাও যেখানে আছে দু’টি মাঠ। তন্মধ্যে একটি হল সবুজ শ্যামল, আর অন্যটি হল শুষ্ক ও ধূসর। এবার বল ব্যাপারটি কি এমন নয় যে, যদি তুমি সবুজ মাঠে চরাও তাহলে তা আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ীই চরিয়েছ। আর যদি শুষ্ক মাঠে চরাও, তাহলে তাও আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ীই চরিয়েছ। বর্ণনাকারী বলেন, এমন সময় ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) আসলেন। তিনি এতক্ষণ যাবৎ তাঁর কোন প্রয়োজনের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে আমার নিকট একটি তথ্য আছে, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা যখন কোন এলাকায় (প্লেগের) বিস্তারের কথা শোন, তখন সেখানে প্রবেশ করো না। আর যদি কোন এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব নেমে আসে, আর তোমরা সেখানে থাক, তাহলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর ‘উমার (রাঃ) আল্লাহর প্রশংসা করলেন, তারপর প্রত্যাবর্তন করলেন। [৫৭৩০, ৬৯৭৩; মুসলিম ৩৯/৩২, হাঃ ২২১৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০৫)

৫৭৩০
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ عُمَرَ خَرَجَ إِلَى الشَّأْمِ فَلَمَّا كَانَ بِسَرْغَ بَلَغَه“ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّأْمِ فَأَخْبَرَه“ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ بِه„ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার (রাঃ) সিরিয়া যাবার জন্য বের হলেন। এরপর তিনি ‘সারগ’ নামক স্থানে পৌছলে তাঁর কাছে খবর এল যে সিরিয়া এলাকায় মহামারী দেখা দিয়েছে। তখন ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) তাঁকে জানালেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন স্থানে এর বিস্তারের কথা শোন, তখন সে এলাকায় প্রবেশ করো না; আর যখন এর বিস্তার ঘটে, আর তোমরা সেখানে অবস্থান কর, তাহলে তা থেকে পালিয়ে যাওয়ার নিয়তে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০৬)

৫৭৩১
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَدْخُلُ الْمَدِينَةَ المَسِيحُ وَلاَ الطَّاعُونُ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মদীনায় ঢুকতে পারবে না মাসীহ্ দাজ্জাল, আর না মহামারী।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০৭)

৫৭৩২
مُوسٰى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ حَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ بِنْتُ سِيرِينَ قَالَتْ قَالَ لِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ يَحْيٰى بِمَ مَاتَ قُلْتُ مِنْ الطَّاعُونِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الطَّاعُونُ شَهَادَةٌ لِكُلِّ مُسْلِمٍ.

হাফসাহ বিনত সীরীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়াহ্ইয়া কী রোগে মারা গেছে? আমি বললামঃ প্লেগ রোগে। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্লেগ রোগে মারা গেলে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য তা শাহাদাত হিসেবে গণ্য।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০৮)

৫৭৩৩
أَبُو عَاصِمٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ سُمَيٍّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمَبْطُونُ شَهِيدٌ وَالْمَطْعُونُ شَهِيدٌ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ উদরাময় রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ, আর প্লেগ রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০৯)

৭৬/৩১. অধ্যায়ঃ
প্লেগ রোগে যে ধৈর্য্য ধরে তার সাওয়াব।

৫৭৩৪
إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا حَبَّانُ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي الْفُرَاتِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ يَحْيٰى بْنِ يَعْمَرَ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا أَخْبَرَتْنَا أَنَّهَا سَأَلَتْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الطَّاعُونِ فَأَخْبَرَهَا نَبِيُّ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّه“كَانَ عَذَابًا يَبْعَثُهُ اللهُ عَلٰى مَنْ يَشَاءُ فَجَعَلَهُ اللهُ رَحْمَةً لِلْمُؤْمِنِينَ فَلَيْسَ مِنْ عَبْدٍ يَقَعُ الطَّاعُونُ فَيَمْكُثُ فِي بَلَدِه„ صَابِرًا يَعْلَمُ أَنَّه“لَنْ يُصِيبَه“إِلاَّ مَا كَتَبَ اللهُ لَه“إِلاَّ كَانَ لَه“مِثْلُ أَجْرِ الشَّهِيدِ تَابَعَهُ النَّضْرُ عَنْ دَاوُدَ.

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে প্লেগ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তখন আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে জানান যে, এটি হচ্ছে এক রকমের আযাব। আল্লাহ যার উপর তা পাঠাতে ইচ্ছে করেন, পাঠান। কিন্তু আল্লাহ এটিকে মুমিনদের জন্য রহমাত বানিয়ে দিয়েছেন। অতএব প্লেগ রোগে কোন বান্দা যদি ধৈর্য ধরে, এ বিশ্বাস নিয়ে আপন শহরে অবস্থান করতে থাকে যে, আল্লাহ তার জন্য যা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন তা ছাড়া আর কোন বিপদ তার উপর আসবে না; তাহলে সেই বান্দার জন্য থাকবে শহীদের সাওয়াবের সমান সাওয়াব। দাঊদ থেকে নাযরও এ রকম বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১০)

৭৬/৩২. অধ্যায়ঃ
কুরআন পড়ে এবং সূরা নাস ও ফালাক (অর্থাৎ মু‘আব্বিযাত) পড়ে ফুঁক দেয়া।

৫৭৩৫
حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْفُثُ عَلَى نَفْسِهِ فِي الْمَرَضِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ، فَلَمَّا ثَقُلَ كُنْتُ أَنْفِثُ عَلَيْهِ بِهِنَّ، وَأَمْسَحُ بِيَدِ نَفْسِهِ لِبَرَكَتِهَا‏.‏ فَسَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ كَيْفَ يَنْفِثُ قَالَ كَانَ يَنْفِثُ عَلَى يَدَيْهِ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا وَجْهَهُ‏.‏

ইবরাহীম ইবনু মূসা (রাঃ) ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে রোগে ওফাত পান সেই রোগের সময়ে তিনি নিজ দেহে ‘মু‘আব্বিযাত’ পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর যখন রোগের তীব্রতা বেড়ে গেল, তখন আমি সেগুলো পড়ে ফুঁক দিতাম। আর আমি তাঁর নিজের হাত তাঁর দেহের উপর বুলিয়ে দিতাম। কেননা, তাঁর হাতে বারাকাত ছিল। রাবী বলেনঃ আমি যুহরীকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কীভাবে ফুঁক দিতেন? তিনি বললেনঃ তিনি তাঁর দু’হাতের উপর ফুঁক দিতেন, অতঃপর সেই দু’হাত দিয়ে আপন মুখমণ্ডল বুলিয়ে নিতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১১)

৭৬/৩৩. অধ্যায়ঃ
সূরা ফাতিহার দ্বারা ফুঁক দেয়া।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে এ ব্যাপারে উল্লেখ আছে।

৫৭৩৬
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَتَوْا عَلٰى حَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَلَمْ يَقْرُوهُمْ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذ‘لِكَ إِذْ لُدِغَ سَيِّدُ أُولَئِكَ فَقَالُوا هَلْ مَعَكُمْ مِنْ دَوَاءٍ أَوْ رَاقٍ فَقَالُوا إِنَّكُمْ لَمْ تَقْرُونَا وَلاَ نَفْعَلُ حَتّٰى تَجْعَلُوا لَنَا جُعْلاً فَجَعَلُوا لَهُمْ قَطِيعًا مِنْ الشَّاءِ فَجَعَلَ يَقْرَأُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَيَجْمَعُ بُزَاقَه“ وَيَتْفِلُ فَبَرَأَ فَأَتَوْا بِالشَّاءِ فَقَالُوا لاَ نَأْخُذُه“ حَتّٰى نَسْأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوه“ فَضَحِكَ وَقَالَ وَمَا أَدْرَاكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ خُذُوهَا وَاضْرِبُوا لِي بِسَهْمٍ.

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীদের কতক সাহাবী আরবের এক গোত্রের নিকট আসলেন। গোত্রের লোকেরা তাঁদের কোন আতিথেয়তা করল না। তাঁরা সেখানে থাকতেই হঠাৎ সেই গোত্রের নেতাকে সর্প দংশন করল। তখন তারা এসে বললঃ আপনাদের কাছে কি কোন ঔষধ আছে কিংবা আপনাদের মধ্যে ঝাড়-ফুঁককারী লোক আছেন কি? তাঁরা উত্তর দিলেনঃ হাঁ। তবে তোমরা আমাদের কোন আতিথেয়তা করনি। কাজেই আমাদের জন্য কোন পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত আমরা তা করব না। ফলে তারা তাদের জন্য এক পাল বকরী পারিশ্রমিক দিতে রাযী হল। তখন একজন সাহাবী উম্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) পড়তে লাগলেন এবং মুখে থুথু জমা করে সে ব্যক্তির গায়ে ছিটিয়ে দিলেন। ফলে সে রোগমুক্ত হল। এরপর তাঁরা বকরীগুলো নিয়ে এসে বলল, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করার পূর্বে এটি স্পর্শ করব না। এরপর তাঁরা এ বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুনে হেসে দিলেন এবং বললেনঃ তোমরা কীভাবে জানলে যে, এটি রোগ সারায়? ঠিক আছে বক্‌রীগুলো নিয়ে যাও এবং তাতে আমার জন্যও এক ভাগ রেখে দিও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১২)

৭৬/৩৪. অধ্যায়ঃ
সূরা ফাতিহার দ্বারা ঝাড়-ফুঁক দেয়ার বদলে শর্তারোপ করা।

৫৭৩৭
سِيدَانُ بْنُ مُضَارِبٍ أَبُو مُحَمَّدٍ الْبَاهِلِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ الْبَصْرِيُّ هُوَ صَدُوقٌ يُوسُفُ بْنُ يَزِيدَ الْبَرَّاءُ قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ الأَخْنَسِ أَبُو مَالِكٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرُّوا بِمَاءٍ فِيهِمْ لَدِيغٌ أَوْ سَلِيمٌ فَعَرَضَ لَهُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَاءِ فَقَالَ هَلْ فِيكُمْ مِنْ رَاقٍ إِنَّ فِي الْمَاءِ رَجُلاً لَدِيغًا أَوْ سَلِيمًا فَانْطَلَقَ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ عَلٰى شَاءٍ فَبَرَأَ فَجَاءَ بِالشَّاءِ إِلٰى أَصْحَابِه„ فَكَرِهُوا ذ‘لِكَ وَقَالُوا أَخَذْتَ عَلٰى كِتَابِ اللهِ أَجْرًا حَتّٰى قَدِمُوا الْمَدِينَةَ فَقَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَخَذَ عَلٰى كِتَابِ اللهِ أَجْرًا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَحَقَّ مَا أَخَذْتُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا كِتَابُ اللهِ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীগণের একটি দল একটি কুয়ার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। কূপের পাশে অবস্থানকারীদের মধ্যে ছিল সাপে কাটা এক ব্যক্তি কিংবা তিনি বলেছেন, দংশিত এক ব্যক্তি। তখন কূপের কাছে বসবাসকারীদের একজন এসে তাদের বললঃ আপনাদের মধ্যে কি কোন ঝাড়-ফুঁককারী আছেন? কূপ এলাকায় একজন সাপ বা বিচ্ছু দংশিত লোক আছে। তখন সাহাবীদের মধ্যে একজন সেখানে গেলেন। এরপর কিছু বকরী দানের বিনিময়ে তিনি সূরা ফাতিহা পড়লেন। ফলে লোকটির রোগ সেরে গেল। এরপর তিনি ছাগলগুলো নিয়ে সাথীদের নিকট আসলেন, কিন্তু তাঁরা কাজটি পছন্দ করলেন না। তাঁরা বললেনঃ আপনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক নিয়েছেন। অবশেষে তাঁরা মদীনায় পৌঁছে বলল, হে আল্লাহর রসূল! তিনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক গ্রহণ করেছেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে সকল জিনিসের উপর তোমরা বিনিময় গ্রহণ করে থাক, তন্মধ্যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার সবচেয়ে বেশি হক রয়েছে আল্লাহর কিতাবের।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৩)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]