সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস পোশাক পরিচ্ছদ অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৫৮৭১ – ৫৯২৩

৭৭/৪৯. অধ্যায়ঃ
লোহার আংটি প্রসঙ্গে।

৫৮৭১
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّه“ سَمِعَ سَهْلاًيَقُوْلُ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ جِئْتُ أَهَبُ نَفْسِي فَقَامَتْ طَوِيلاً فَنَظَرَ وَصَوَّبَ فَلَمَّا طَالَ مُقَامُهَا فَقَالَ رَجُلٌ زَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ قَالَ عِنْدَكَ شَيْءٌ تُصْدِقُهَا قَالَ لاَ قَالَ انْظُرْ فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ وَاللهِ إِنْ وَجَدْتُ شَيْئًا قَالَ اذْهَبْ فَالْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ قَالَ لاَ وَاللهِ وَلاَ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ وَعَلَيْهِ إِزَارٌ مَا عَلَيْهِ رِدَاءٌ فَقَالَ أُصْدِقُهَا إِزَارِي فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِزَارُكَ إِنْ لَبِسَتْه“ لَمْ يَكُنْ عَلَيْكَ مِنْه“ شَيْءٌ وَإِنْ لَبِسْتَه“ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا مِنْه“ شَيْءٌ فَتَنَحّٰى الرَّجُلُ فَجَلَسَ فَرَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُوَلِّيًا فَأَمَرَ بِه„ فَدُعِيَ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ قَالَ سُورَةُ كَذَا وَكَذَا لِسُوَرٍ عَدَّدَهَا قَالَ قَدْ مَلَّكْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ.

সাহ্‌ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক মহিলা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললঃ আমি নিজেকে হিবা করে দেয়ার জন্য এসেছি। এ কথা বলে সে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল। তিনি তাকালেন ও মাথা নীচু করে রাখলেন। মহিলাটির দাঁড়িয়ে থাকা দীর্ঘ হলে এক ব্যক্তি বললঃ আপনার যদি প্রয়োজন না থাকে, তবে একে আমার সঙ্গে বিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তোমার কাছে মাহর দেয়ার মত কিছু আছে কি? সে বললঃ না। তিনি বললেনঃ খুঁজে দেখ। সে চলে গেল। কিছু সময় পর ফিরে এসে বললঃ আল্লাহ্‌র কসম! আমি কিছুই পেলাম না। তিনি বললেনঃ আবার যাও এবং খোঁজ করো, একটি লোহার আংটি হলেও (আন)। সে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বললঃ কসম আল্লাহ্‌র! কিছুই পেলাম না, একটি লোহার আংটিও না। তার পরনে ছিল একটি মাত্র লুঙ্গি, তার উপর চাদর ছিল না। সে আরয করলঃ আমি এ লুঙ্গিটি তাকে দান করে দেব। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার লুঙ্গি যদি সে পরে তবে তোমার পরনে কিছু থাকে না। আর যদি তুমি পর, তবে তার গায়ে এর কিছুই থাকে না। এরপর লোকটি একটু দূরে সরে গিয়ে বসে পড়ল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখলেন যে, সে পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তখন তিনি তাকে ডাকার জন্যে হুকুম দিলেন। তাকে ডেকে আনা হল। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কি কুরআনের কিছু মুখস্থ আছে? সে বললঃ অমুক অমুক সূরা। সে সূরাগুলোকে গণনা করে শুনাল। তিনি বললেনঃ তোমার কাছে কুরআনের যা কিছু মুখস্থ আছে, তার পরিবর্তে মেয়ে লোকটিকে তোমার অধীনে দিয়ে দিলাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪০)

৭৭/৫০. অধ্যায়ঃ
আংটিতে নক্‌শা অঙ্কণ করা।

৫৮৭২
عَبْدُ الأَعْلٰى حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرَادَ أَنْ يَكْتُبَ إِلٰى رَهْطٍ أَوْ أُنَاسٍ مِنْ الأَعَاجِمِ فَقِيلَ لَه“ إِنَّهُمْ لاَ يَقْبَلُونَ كِتَابًا إِلاَّ عَلَيْهِ خَاتَمٌ فَاتَّخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ نَقْشُه“ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ فَكَأَنِّي بِوَبِيصِ أَوْ بِبَصِيصِ الْخَاتَمِ فِي إِصْبَعِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ فِي كَفِّهِ.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অনারব একটি দলের কাছে বা কিছু লোকের কাছে পত্র লিখতে চাইলেন। তখন তাঁকে বলা হল যে, তারা এমন পত্র গ্রহণ করে না যার উপর মোহরাঙ্কিত থাকে না। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রৌপ্যের একটি আংটি তৈরী করেন। তাতে অঙ্কিত ছিল مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ [বর্ণনাকারী আনাস বলেনঃ] আমি যেন এখনও (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর আঙ্গুলে বা তাঁর হাতে সে আংটির ঔজ্জ্বল্য প্রত্যক্ষ করছি। [৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪১)

৫৮৭৩
مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ اتَّخَذَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ وَكَانَ فِي يَدِه„ ثُمَّ كَانَ بَعْدُ فِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ ثُمَّ كَانَ بَعْدُ فِي يَدِ عُمَرَ ثُمَّ كَانَ بَعْدُ فِي يَدِ عُثْمَانَ حَتّٰى وَقَعَ بَعْدُ فِي بِئْرِ أَرِيسَ نَقْشُه“ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রৌপ্যের একটি আংটি তৈরী করেন। সেটি তাঁর হাতে ছিল। এরপর তা আবূ বাকর -এর হাতে আসে। অতঃপর তা ‘উমার -এর হাতে আসে। অতঃপর তা ‘উসমান -এর হাতে আসে। শেষ পর্যন্ত তা ‘আরীস নামক এক কূপের মধ্যে পড়ে যায়। তাতে অঙ্কিত ছিল محَمَّدٌ رَسُوْل اللهِ। [৫৮৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪২)

৭৭/৫১. অধ্যায়ঃ
কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আংটি পরিধান।

৫৮৭৪
أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ صَنَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا قَالَ إِنَّا اتَّخَذْنَا خَاتَمًا وَنَقَشْنَا فِيهِ نَقْشًا فَلاَ يَنْقُشَنَّ عَلَيْهِ أَحَدٌ قَالَ فَإِنِّي لأَر‘ى بَرِيقَه“ فِي خِنْصَرِهِ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি আংটি তৈরী করেন। তারপর তিনি বলেনঃ আমি একটি আংটি তৈরী করেছি এবং তাতে একটি নকশা করেছি। সুতরাং কেউ যেন নিজের আংটিতে নকশা না করে। তিনি (আনাস) বলেনঃ আমি যেন তাঁর কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আংটিটির ঔজ্জ্বল্য প্রত্যক্ষ করছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৩)

৭৭/৫২. অধ্যায়ঃ
কোন কিছুর উপর সীলমোহর করার উদ্দেশ্য অথবা আহলে কিতাব বা অন্য কারও নিকট পত্র লেখার উদ্দেশে আংটি তৈরী করা।

৫৮৭৫
آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَكْتُبَ إِلٰى الرُّومِ قِيلَ لَه“ إِنَّهُمْ لَنْ يَقْرَءُوا كِتَابَكَ إِذَا لَمْ يَكُنْ مَخْتُومًا فَاتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ وَنَقْشُه“ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ فَكَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلٰى بَيَاضِه„ فِي يَدِه„.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রোম সম্রাটের নিকট পত্র লিখতে মনস্থ করেন, তখন তাঁকে বলা হল, আপনার পত্র যদি মোহরাঙ্কিত না হয়, তবে তারা তা পাঠ করে না। এরপর তিনি রৌপ্যের একটি আংটি বানান এবং তাতে محَمَّدٌ رَسُوْل اللهِ খোদাই করা ছিল। [আনাস বলেন] আমি যেন এখনও) তাঁর হাতে সে আংটির শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করছি। [৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৪)

৭৭/৫৩. অধ্যায়ঃ
যে লোক আংটির নাগিনা হাতের তালুর দিকে রাখে।

৫৮৭৬
مُوسٰى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ حَدَّثَه“ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اصْطَنَعَ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ وَجَعَلَ فَصَّه“ فِي بَطْنِ كَفِّه„ إِذَا لَبِسَه“ فَاصْطَنَعَ النَّاسُ خَوَاتِيمَ مِنْ ذَهَبٍ فَرَقِيَ الْمِنْبَرَ فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنٰى عَلَيْهِ فَقَالَ إِنِّي كُنْتُ اصْطَنَعْتُه“ وَإِنِّي لاَ أَلْبَسُه“ فَنَبَذَه“ فَنَبَذَ النَّاسُ قَالَ جُوَيْرِيَةُ وَلاَ أَحْسِبُه“ إِلاَّ قَالَ فِي يَدِهِ الْيُمْنَى.

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের একটি আংটি তৈরী করেন। যখন তিনি তা পরিধান করতেন, তখন তার নাগিনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন। লোকেরাও স্বর্ণের আংটি তৈরী শুরু করল। এরপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন। আল্লাহ্‌র প্রশংসা ও গুণাবলী প্রকাশ করার পর বলেনঃ আমি এ আংটি তৈরী করেছিলাম। কিন্তু তা আর পরিধান করব না। এরপর তিনি তা ছুঁড়ে ফেলেন। লোকেরাও (তাদের আংটি) ছুঁড়ে ফেলল।



জুওয়ায়রিয়াহ (রহঃ) বলেনঃ ‘আমার ধারণা যে, বর্ণনাকারী (নাফি’) এ কথাও বলেছেন যে, আংটিটি তাঁর ডান হাতে ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৫)

৭৭/৫৪. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণীঃ তাঁর আংটির নক্‌শার মত কেউ নক্‌শা বানাতে পারবে না।

৫৮৭৭
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم اتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ وَنَقَشَ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ وَقَالَ إِنِّي اتَّخَذْتُ خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ وَنَقَشْتُ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ فَلاَ يَنْقُشَنَّ أَحَدٌ عَلٰى نَقْشِه„.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রৌপ্যের একটি আংটি তৈরী করেন। তাতে محَمَّدٌ رَسُوْل اللهِ এর নকশা অঙ্কন করেন। এরপর তিনি বলেনঃ আমি একটি রৌপ্যের আংটি বানিয়েছি এবং তাতে محَمَّدٌ رَسُوْل اللهِ এর নকশা অঙ্কন করেছি। সুতরাং কেউ যেন তার আংটিতে এ নকশা অঙ্কণ না করে। [৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৬)

৭৭/৫৫. অধ্যায়ঃ
আংটির নক্‌শা কি তিন লাইনে অঙ্কণ করা যায়?

৫৮৭৮
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأَنْصَارِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ ثُمَامَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ لَمَّا اسْتُخْلِفَ كَتَبَ لَه“ وَكَانَ نَقْشُ الْخَاتَمِ ثَلاَثَةَ أَسْطُرٍ مُحَمَّدٌ سَطْرٌ وَرَسُوْلُ سَطْرٌ وَاللهِ سَطْرٌ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাকর যখন খলীফা নির্বাচিত হন, তখন তিনি তাঁর [আনাস -এর] কাছে যাকাতের পরিমাণ সম্পর্কে) একটি পত্র লেখেন। আংটিটির নক্শা তিন লাইনে ছিল। এক লাইনে ছিল مُحَمَّدُ এক লাইনে ছিল,رَسُوْلআর এক লাইনে ছিল اللهِ। [১৪৪৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৭)

৫৮৭৯
قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَزَادَنِي أَحْمَدُ حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ ثُمَامَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ خَاتَمُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي يَدِه„ وَفِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ بَعْدَه“ وَفِي يَدِ عُمَرَ بَعْدَ أَبِي بَكْرٍ فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُ جَلَسَ عَلٰى بِئْرِ أَرِيسَ قَالَ فَأَخْرَجَ الْخَاتَمَ فَجَعَلَ يَعْبَثُ بِه„ فَسَقَطَ قَالَ فَاخْتَلَفْنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مَعَ عُثْمَانَ فَنَزَحَ الْبِئْرَ فَلَمْ يَجِدْهُ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ ‘আবদুল্লাহ্‌ (ইমাম বুখারী) বলেনঃ আহ্‌মাদের সূত্রে আনাস (রাঃ) থেকে এ কথা অতিরিক্ত বর্ণিত আছে। তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আংটি (তাঁর জীবদ্দশায়) তাঁর হাতেই ছিল। তাঁর (মৃত্যুর) পরে তা আবূ বকর (রাঃ) -এর হাতে থাকে। আবূ বকর (রাঃ) -এর (ইন্তিকালের) পরে তা ‘উমর (রাঃ) -এর হাতে থাকে। যখন ‘উসমান (রাঃ) -এর কাল আসল, তখন (একবার) তিনি ঐ আংটি হাতে নিয়ে ‘আরীস’ নামক কূপের উপর বসেন। আংটিটি বের করে নাড়াচাড়া করছিলেন। হঠাৎ তা (কূপের মধ্যে) পড়ে যায়। আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা তিনদিন যাবৎ ‘উসমান (রাঃ) -এর সাথে তালাশ করলাম, কূপের পানি ফেলে দেয়া হলো, কিন্তু আংটিটি আর পেলাম না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৭)

৭৭/৫৬. অধ্যায়ঃ
মহিলাদের আংটি পরিধান করা।

‘আয়িশা (রাঃ) -এর স্বর্ণের কয়েকটি আংটি ছিল।

৫৮৮০
أَبُو عَاصِمٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم فَصَلّٰى قَبْلَ الْخُطْبَةِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَزَادَ ابْنُ وَهْبٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ فَأَتٰى النِّسَاءَ فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ الْفَتَخَ وَالْخَوَاتِيمَ فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে এক ঈদে হাজির ছিলাম। তিনি খুতবার আগেই সলাত আদায় করলেন।

আবূ ‘আবদুল্লাহ্‌ (ইমাম বুখারী) বলেনঃ ইবনু ওয়াহ্‌ব, ইবনু জুরায়জ থেকে এতটুকু অধিক বর্ণনা করেছেন যে, এরপর তিনি স্ত্রীলোকদের নিকট আসেন। তাঁরা (সদাকাহ হিসেবে) বিলাল (রাঃ) –এর কাপড়ে মালা ও আংটি ফেলতে লাগল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৮)

৭৭/৫৭. অধ্যায়ঃ
মহিলাদের হার পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার ও ফুলের মালা পরিধান করা।

৫৮৮১
مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عِيدٍ فَصَلّٰى رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلُ وَلاَ بَعْدُ ثُمَّ أَتٰى النِّسَاءَ فَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ فَجَعَلَتْ الْمَرْأَةُ تَصَدَّقُ بِخُرْصِهَا وَسِخَابِهَا.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিনে বের হলেন এবং (ঈদের) দু’রাকাত সলাত আদায় করলেন। তার পূর্বে এবং পরে আর কোন নফল সলাত আদায় করেননি। তারপর তিনি মহিলাদের নিকট আসেন এবং তাদের সদাকাহ করার জন্যে নির্দেশ দেন। মহিলারা তাদের হার ও মালা সদাকাহ করতে থাকল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪৯)

৭৭/৫৮. অধ্যায়ঃ
হার ধার নেয়া প্রসঙ্গে।

৫৮৮২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ هَلَكَتْ قِلاَدَةٌ لأَسْمَاءَ، فَبَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي طَلَبِهَا رِجَالاً، فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ وَلَيْسُوا عَلَى وُضُوءٍ وَلَمْ يَجِدُوا مَاءً، فَصَلَّوْا وَهُمْ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ، فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ التَّيَمُّمِ‏.‏ زَادَ ابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ اسْتَعَارَتْ مِنْ أَسْمَاءَ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (একবার কোন এক সফরে) আসমার একটি হার (আমার নিকট থেকে) হারিয়ে যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েকজন পুরুষ লোককে তার খোঁজে পাঠান। এমন সময় সলাতের সময় উপস্থিত হয়। তাদের কারও অযু ছিল না এবং তারা পানিও পেল না। কাজেই অযু ছাড়াই তাঁরা সলাত আদায় করে নিলেন। (ফিরে এসে) তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট বিষয়টি উল্লেখ করলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা তায়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ করলেন। [৩৩৪]

ইবনু নুমায়র হিশামের সূত্রে এ কথা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, ঐ হার ‘আয়িশা (রাঃ) আসমা (রাঃ) থেকে ধার নিয়েছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫০)

৭৭/৫৯. অধ্যায়ঃ
মহিলাদের কানের দুল।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) মহিলাদের সদাকাহ করার নির্দেশ দেন। তখন আমি দেখলাম, তারা তাদের নিজ নিজ কান ও গলার দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

৫৮৮৩
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَدِيٌّ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدًا عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلّٰى يَوْمَ الْعِيدِ رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا ثُمَّ أَتٰى النِّسَاءَ وَمَعَه“ بِلاَلٌ فَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ فَجَعَلَتْ الْمَرْأَةُ تُلْقِي قُرْطَهَا.

ইবনু ‘আবাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) ঈদের দিনে দু’রাকআত সলাত আদায় করেন। না এর আগে তিনি কোন সলাত আদায় করেন, না এর পরে। অতঃপর তিনি মহিলাদের কাছে আসেন, তখন তাঁর সাথে ছিলেন বিলাল (রাঃ) তিনি মহিলাদেরকে সদাকাহ করার নির্দেশ প্রদান করেন। তারা নিজেদের কানের দুল নিক্ষেপ করতে লাগল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫১)

৭৭/৬০. অধ্যায়ঃ
শিশুদের মালা পরিধান করানো।

৫৮৮৪
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ أَخْبَرَنَا يَحْيٰى بْنُ آدَمَ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ بْنُ عُمَرَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي سُوقٍ مِنْ أَسْوَاقِ الْمَدِينَةِ فَانْصَرَفَ فَانْصَرَفْتُ فَقَالَ أَيْنَ لُكَعُ ثَلاَثًا ادْعُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ فَقَامَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يَمْشِي وَفِي عُنُقِهِ السِّخَابُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِه„ هٰكَذَا فَقَالَ الْحَسَنُ بِيَدِه„ هٰكَذَا فَالْتَزَمَه“ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّه“ فَأَحِبَّه“ وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّه“ وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَمَا كَانَ أَحَدٌ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ بَعْدَ مَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا قَالَ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে মাদীনাহর কোন এক বাজারে ছিলাম। তিনি (বাজার থেকে) ফিরলেন। আমিও ফিরলাম। তিনি বললেনঃ ছোট শিশুটি কোথায়? এ কথা তিনবার বললেন। হাসান ইবনু ‘আলীকে ডাক। দেখা গেল হাসান ইবনু ‘আলী হেঁটে চলেছে। তাঁর গলায় ছিল মালা। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে তাঁর হাত উঠালেন। হাসানও এভাবে নিজের হাত উঠালো। তারপর তিনি তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আমি একে ভালবাসি, আপনিও তাকে ভালবাসুন এবং যে ব্যক্তি তাকে ভালবাসে, তাকেও আপনি ভালবাসুন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এ কথা বলার পর থেকে হাসান ইবনু ‘আলীর চেয়ে অন্য কেউ আমার কাছে অধিকতর প্রিয় হয়নি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫২)

৭৭/৬১. অধ্যায়ঃ
পুরুষের নারীর বেশ ধারণ এবং নারীর পুরুষের বেশ ধারণ প্রসঙ্গে।

৫৮৮৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ‏.‏ تَابَعَهُ عَمْرٌو أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে। (আ.প্র. ৫৪৫৭, ই.ফা. ৫৩৫৩)

‘আমরও এরকমই বর্ণনা করেছেন। আমাদের কাছে শু‘য়বা এ সংবাদ দিয়েছেন।

৭৭/৬২. অধ্যায়ঃ
নারীর বেশধারী পুরুষদের ঘর থেকে বের করে দেয়া প্রসঙ্গে

৫৮৮৬
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمُخَنَّثِينَ مِنَ الرِّجَالِ، وَالْمُتَرَجِّلاَتِ مِنَ النِّسَاءِ وَقَالَ ‏ “‏ أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ ‏”‏‏.‏ قَالَ فَأَخْرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فُلاَنًا، وَأَخْرَجَ عُمَرُ فُلاَنًا‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লা’নত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ওদেরকে ঘর থেকে বের করে দাও। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অমুককে বের করেছেন এবং ‘উমার (রাঃ) অমুককে বের করে দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৪)

৫৮৮৭
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، أَنَّ عُرْوَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ زَيْنَبَ ابْنَةَ أَبِي سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَهَا وَفِي الْبَيْتِ مُخَنَّثٌ، فَقَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ أَخِي أُمِّ سَلَمَةَ يَا عَبْدَ اللَّهِ إِنْ فُتِحَ لَكُمْ غَدًا الطَّائِفُ، فَإِنِّي أَدُلُّكَ عَلَى بِنْتِ غَيْلاَنَ، فَإِنَّهَا تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَدْخُلَنَّ هَؤُلاَءِ عَلَيْكُنَّ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ يَعْنِي أَرْبَعَ عُكَنِ بَطْنِهَا، فَهْىَ تُقْبِلُ بِهِنَّ، وَقَوْلُهُ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ‏.‏ يَعْنِي أَطْرَافَ هَذِهِ الْعُكَنِ الأَرْبَعِ، لأَنَّهَا مُحِيطَةٌ بِالْجَنْبَيْنِ حَتَّى لَحِقَتْ وَإِنَّمَا قَالَ بِثَمَانٍ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ بِثَمَانِيَةٍ‏.‏ وَوَاحِدُ الأَطْرَافِ وَهْوَ ذَكَرٌ، لأَنَّهُ لَمْ يَقُلْ ثَمَانِيَةَ أَطْرَافٍ‏.‏

উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা তাঁর ঘরে ছিলেন। তখন ঐ ঘরে এক হিজড়া ছিল। সে উম্মু সালামাহ্‌র ভাই ‘আবদুল্লাহ্‌কে বললঃ হে ‘আবদুল্লাহ! আগামীকাল তায়েফের উপর যদি তোমরা জয়ী হও, তবে আমি তোমাকে বিন্‌ত গাইলানকে দেখাব। সে সামনের দিকে আসলে, (তার পেটে) চার ভাঁজ দেখা যায়। আর যখন সে পিছনের দিকে যায়, তখন (তার পিঠে) আট ভাঁজ দেখা যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওরা যেন তোমাদের কাছে কক্ষনো না আসে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৫)

৭৭/৬৩. অধ্যায়ঃ
গোঁফ ছাটা।

ইবনু ‘উমার (রাঃ) গোঁফ এত ছোট করতেন যে, চামড়ার শুভ্রতা দেখা যেত এবং তিনি গোঁফ ও দাড়ির মাঝের পশমও কেটে ফেলতেন।

৫৮৮৮
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَنْظَلَةَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ أَصْحَابُنَا عَنِ الْمَكِّيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مِنَ الْفِطْرَةِ قَصُّ الشَّارِبِ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ গোঁফ কেটে ফেলা ফিতরাত (স্বভাবের) অন্তর্ভুক্ত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৬)

৫৮৮৯
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رِوَايَةً ‏ “‏ الْفِطْرَةُ خَمْسٌ ـ أَوْ خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ ـ الْخِتَانُ، وَالاِسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الإِبْطِ، وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ ফিতরাত (অর্থাৎ মানুষের জন্মগত স্বভাব) পাঁচটিঃ খাত্‌না করা, ক্ষুর ব্যবহার করা (নাভীর নিম্নে), বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো করা। [৭] [৫৮৯১, ২৬৯৭; মুসলিম ২/১৬, হাঃ ২৫৭, আহমাদ ৭১৪২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৭)






[৭] গোঁফ ছোট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এগুলো মুখের ভিতর এসে না পড়ে। গোঁফ বেশী দীর্ঘ হলে নাকের এবং বাইরের ময়লা মিশে মুখের ভিতরে ঢোকে। পানি পান করার সময় এবং আহারের সময় গোঁফে আটকানো নাকের ও বাইরের রোগজীবানু ও ময়লাগুলো মুখের ভিতরে প্রবেশ করে নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই ইসলামে গোঁফ লম্বা করে রাখা নিষিদ্ধ। কেননা এটা স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার বিরোধীও বটে। যথাসময়ে গোঁফ কাটা, গুপ্তস্থানের ক্ষৌরকার্য্য করা, বগলের চুল ছেঁড়া ও নখ কাটা উচিত। ৪০ রাত বা দিন যেন অতিক্রম না করে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়াও উচিত। কারণ রসূল এগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্ধারণ করতে গিয়ে বলেছেনঃ ৪০ রাত বা দিন যেন অতিক্রান্ত না হয় (মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ্‌ ও আহমাদ)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৭৭/৬৪. অধ্যায়ঃ
নখ কাটা

৫৮৯০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ حَنْظَلَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مِنَ الْفِطْرَةِ حَلْقُ الْعَانَةِ، وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নাভীর নীচের পশম কামানো, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা মানুষের স্বভাব। [৮](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৮)






[৮] পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। ইসলামের মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুবই তাগিদ দিয়েছেন। কোন ঈমানদার ব্যক্তি এমন হতে পারে না যে, গোসল না করার কারণে তার শরীর থেকে গন্ধ বের হবে যাতে সকলেই তাকে ঘৃণা করবে। মুখ পরিষ্কার না করার কারণে মুখ থেকে গন্ধ আসবে, মাথার চুলে জট দেখা দিবে, বড় বড় গোঁফে মুখ ঢেকে যাবে, নখগুলো হবে হিংস্র জন্তুর মত, সারা দেহে ময়লার স্তুপ জমবে- কোন ঈমানদার ব্যক্তি কক্ষনো এরকম হতে পারে না। সে হতে পারে না জটাজটধারী গাঁজার কলকিওয়ালা দুর্গন্ধে ভরপুর ইসলামের আদর্শ বিবর্জিত আশ্রমবাসীর মত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৫৮৯১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الْفِطْرَةُ خَمْسٌ الْخِتَانُ، وَالاِسْتِحْدَادُ، وَقَصُّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ، وَنَتْفُ الآبَاطِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি- ফিত্‌রাত পাঁচটিঃ খাত্‌না করা, (নাভীর নীচে) ক্ষুর ব্যবহার করা, গোঁফ ছোট করা, নখ কাটা ও বগলের পশম উপড়ে ফেলা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৯)

৫৮৯২
بَاب تَقْلِيمِ الأَظْفَارِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ، وَفِّرُوا اللِّحَى، وَأَحْفُوا الشَّوَارِبَ ‏”‏‏.‏ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا حَجَّ أَوِ اعْتَمَرَ قَبَضَ عَلَى لِحْيَتِهِ، فَمَا فَضَلَ أَخَذَهُ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের উল্টো করবেঃ দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে।

ইবনু ‘উমার (রাঃ) যখন হাজ্জ বা ‘উমরাহ করতেন, তখন তিনি তাঁর দাড়ি মুষ্টি করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাইরে যতটুকু বেশী থাকত, তা কেটে ফেলতেন। [৫৮৯৩; মুসলিম ২/১৬, হাঃ ২৫৯, আহমাদ ৪৬৫৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬০)

৭৭/৬৫. অধ্যায়ঃ
দাড়ি বড় রাখা প্রসঙ্গে।

‘আফাও’ অর্থ বর্ধিত করা। তাদের মাল বর্ধিত হয়েছে।

৫৮৯৩
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ انْهَكُوا الشَّوَارِبَ، وَأَعْفُوا اللِّحَى ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা গোঁফ অধিক ছোট করবে এবং দাড়ি ছেড়ে দিবে (বড় রাখবে)।(আধুনিক প্রকাশনী- ,৫৪৬৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬১)

৭৭/৬৬. অধ্যায়ঃ
বার্ধক্যকালের (খিযাব লাগান সম্পর্কিত) বর্ণনা।

৫৮৯৪
حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسًا أَخَضَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَمْ يَبْلُغِ الشَّيْبَ إِلاَّ قَلِيلاً‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি খিযাব লাগিয়েছেন? তিনি বললেনঃ বার্ধক্য তাঁকে অতি অল্পই পেয়েছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬২)

৫৮৯৫
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ عَنْ خِضَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّهُ لَمْ يَبْلُغْ مَا يَخْضِبُ، لَوْ شِئْتُ أَنْ أَعُدَّ شَمَطَاتِهِ فِي لِحْيَتِهِ‏.‏

সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) -কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খিযাব লাগানোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খিযাব লাগানোর অবস্থা পর্যন্ত পৌঁছেননি। আমি তাঁর সাদা দাড়িগুলো গুনতে চাইলে, সহজেই গুনতে পারতাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৩)

৫৮৯৬
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، قَالَ أَرْسَلَنِي أَهْلِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ ـ وَقَبَضَ إِسْرَائِيلُ ثَلاَثَ أَصَابِعَ ـ مِنْ فِضَّةٍ فِيهِ شَعَرٌ مِنْ شَعَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَكَانَ إِذَا أَصَابَ الإِنْسَانَ عَيْنٌ أَوْ شَىْءٌ بَعَثَ إِلَيْهَا مِخْضَبَهُ، فَاطَّلَعْتُ فِي الْجُلْجُلِ فَرَأَيْتُ شَعَرَاتٍ حُمْرًا‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে আমার পরিবারের লোকেরা এক পেয়ালা পানিসহ উম্মু সালামাহ্‌র কাছে পাঠাল। (উম্মু সালামাহ্‌র কাছে রক্ষিত) একটি পানির পাত্র হতে (আনাসের পুত্র) ইসরাঈল তিনিটি আঙ্গুল দিয়ে কিছু পানি তুলে নিল। ঐ পাত্রের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কয়েকটি চুল ছিল। কারো চোখ লাগলে কিংবা কোন রোগ দেখা দিলে, উম্মু সালামাহ্‌র নিকট হতে পানি আনার জন্য একটি পাত্র পাঠিয়ে দিত। আমি সে পাত্রের মধ্যে একবার তাকালাম, দেখলাম লাল রং-এর কয়েকটি চুল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৪)

৫৮৯৭
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سَلاَّمٌ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَأَخْرَجَتْ إِلَيْنَا شَعَرًا مِنْ شَعَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَخْضُوبًا‏.

আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (একবার) আমি উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) -এর নিকট গেলাম। তখন তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কয়েকটি চুল বের করলেন, যাতে খিযাব লাগানো ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৫)

৫৮৯৮
وَقَالَ لَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا نُصَيْرُ بْنُ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنِ ابْنِ مَوْهَبٍ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ، أَرَتْهُ شَعَرَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَحْمَرَ‏.‏

আবূ নু’আয়ম …………. ইবনু মাওহাবের থেকে বর্ণিতঃ

আবূ নু’আয়ম …………. ইবনু মাওহাবের সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, উম্মু সালামা (রাঃ) তাকে (ইবনু মাওহাবকে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর লাল রং এর চুল দেখিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৫)

৭৭/৬৭. অধ্যায়ঃ
খিযাব

৫৮৯৯
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى لاَ يَصْبُغُونَ فَخَالِفُوهُمْ ‏”‏‏.‏

আবূ হুয়াইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদ ও নাসারারা (চুল ও দাড়িতে) রং লাগায় না। কাজেই তোমরা তাদের উল্টো কর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৬)

৭৭/৬৮. অধ্যায়ঃ
কোঁকড়ানো চুল প্রসঙ্গে।

৫৯০০
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ، وَلاَ بِالْقَصِيرِ، وَلَيْسَ بِالأَبْيَضِ الأَمْهَقِ، وَلَيْسَ بِالآدَمِ، وَلَيْسَ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ، وَلاَ بِالسَّبْطِ، بَعَثَهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ، وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً، وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُونَ شَعَرَةً بَيْضَاءَ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) না অতিরিক্ত লম্বা ছিলেন, না বেটে ছিলেন; না ধবধবে সাদা ছিলেন, আর না ফ্যাকাশে ছিলেন; চুল অতিশয় কোঁকড়ানোও ছিল না, আর সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না। চল্লিশ বছর বয়সে আল্লাহ তাঁকে নবুওত দান করেন। এরপর মক্কায় দশ বছর এবং মদিনায় দশ বছর অবস্থান করেন। ষাট বছর বয়সকালে আল্লাহ তাঁকে মৃত্যু দান করেন। এ সময় তাঁর মাথায় ও দাড়িতে বিশটি চুলও সাদা হয়নি। [৯](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৭)






[৯] নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্মের বছর, হিজরাতের বছর ও মৃত্যুর বছরসমূহকে যারা পূর্ণ বছর গননা করেছেন তাদের মতানুযায়ী ৬৩ বছর। এবং যারা পূর্ণ ১২ মাসের বছর না হবার কারণে উক্ত বছরগুলো ছেড়ে দিয়েছেন তাদের মতানুসারে ৬০ বছর। মূলতঃ ৬৩ বছর বয়স পাওয়ার হাদীসের সাথে এ হাদীসের কোন দন্দ্ব নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৫৯০১
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَحْسَنَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم‏.‏ قَالَ بَعْضُ أَصْحَابِي عَنْ مَالِكٍ إِنَّ جُمَّتَهُ لَتَضْرِبُ قَرِيبًا مِنْ مَنْكِبَيْهِ‏.‏ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُهُ غَيْرَ مَرَّةٍ، مَا حَدَّثَ بِهِ قَطُّ إِلاَّ ضَحِكَ‏.‏ تَابَعَهُ شُعْبَةُ شَعَرُهُ يَبْلُغُ شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ‏.‏

বারা’আ’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লাল জোড়া কাপড় পরিহিত অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অন্য কাউকে আমি অধিক সুন্দর দেখিনি। (ইমাম বুখারী বলেন) আমার জনৈক সঙ্গী মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথার চুল প্রায় তাঁর কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছাত। আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ আমি বারা’আ’ (রাঃ) -কে কয়েকবার এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। যখনই তিনি এ হাদীস বর্ণনা করতেন, তখনই হাসতেন। শু’বাহ বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল তাঁর উভয় কানের লতি পর্যন্ত পৌঁছতো।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৮)

৫৯০২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أُرَانِي اللَّيْلَةَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ، فَرَأَيْتُ رَجُلاً آدَمَ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنْ أُدْمِ الرِّجَالِ، لَهُ لِمَّةٌ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنَ اللِّمَمِ، قَدْ رَجَّلَهَا، فَهْىَ تَقْطُرُ مَاءً مُتَّكِئًا عَلَى رَجُلَيْنِ، أَوْ عَلَى عَوَاتِقِ رَجُلَيْنِ، يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَسَأَلْتُ مَنْ هَذَا فَقِيلَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ‏.‏ وَإِذَا أَنَا بِرَجُلٍ جَعْدٍ، قَطَطٍ، أَعْوَرِ الْعَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّهَا عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ، فَسَأَلْتُ مَنْ هَذَا فَقِيلَ الْمَسِيحُ الدَّجَّالُ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি এক রাত্রিতে স্বপ্নে কা’বা ঘরের সন্নিকটে এক গেরুয়া রঙের পুরুষ লোক দেখতে পেলাম। এমন সুন্দর গেরুয়া লোক তুমি কখনও দেখনি। তাঁর মাথার চুল ছিল কাঁধ পর্যন্ত। কাঁধ পর্যন্ত লম্বা এমন সুন্দর চুল তুমি কখনও দেখনি। লোকটি চুল আঁচড়িয়েছে, আর তাথেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছে। সে দু’জন লোকের উপর ভর দিয়ে কিংবা দু’জন লোকের স্কন্ধে ভর করে কা’বা ঘর প্রদিক্ষণ করছে। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোকটি কে? জবাব দেওয়া হলঃ ইনি মারিয়ামের পুত্র (‘ঈসা) মাসীহ্‌! অন্য আরেকজন লোক দেখলাম, যার চুল ছিল খুবই কোঁকড়ান, ডান চোখ টেরা, ফুলে উঠা আঙ্গুর যেন। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোকটি কে? বলা হলঃ ইনি মাসীহ্‌ দাজ্জাল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৯)

৫৯০৩
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَضْرِبُ شَعَرُهُ مَنْكِبَيْهِ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথার চুল (কখনও) কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হতো। [৫৯০৪; মুসলিম ৪৩/২৬, হাঃ ২৩৩৮, আহমাদ ১৩৫৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭০)

৫৯০৪
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، كَانَ يَضْرِبُ شَعَرُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْكِبَيْهِ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল (কখনও) কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হতো।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭১)

৫৯০৫
حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنْ شَعَرِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ شَعَرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجِلاً، لَيْسَ بِالسَّبِطِ، وَلاَ الْجَعْدِ، بَيْنَ أُذُنَيْهِ وَعَاتِقِهِ‏.‏

ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) -কে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল মধ্যম ধরনের ছিল- না একেবারে সোজা, না বেশী কোঁকড়ানো। আর তা ছিল দু’কান ও দু’কাঁধের মাঝ পর্যন্ত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭২)

৫৯০৬
حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ضَخْمَ الْيَدَيْنِ، لَمْ أَرَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَكَانَ شَعَرُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم رَجِلاً، لاَ جَعْدَ، وَلاَ سَبِطَ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাত গোশ্‌তে পূর্ণ ছিল। তাঁর পরে আমি কোন লোককে এমন দেখিনি। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল ছিল মাঝারি রকমের, অধিক কোঁকড়ানোও না, অধিক সোজাও না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৩)

৫৯০৭
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ضَخْمَ الْيَدَيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ حَسَنَ الْوَجْهِ، لَمْ أَرَ بَعْدَهُ وَلاَ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَكَانَ بَسِطَ الْكَفَّيْنِ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথা ও দু’পা ছিল মাংসপূর্ণ। তাঁর আগে ও তাঁর পরে আমি তাঁর মত অপর (কাউকে এত অধিক সুন্দর) দেখিনি। তাঁর হাতের তালু ছিল চওড়া।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৩)

৫৯০৮
حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ،‏.‏ أَوْ عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ضَخْمَ الْقَدَمَيْنِ، حَسَنَ الْوَجْهِ، لَمْ أَرَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’ পা ছিল মাংসপূর্ণ। চেহারা ছিল সুন্দর। আমি তাঁর পরে তাঁর মত কাউকে দেখিনি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৪)

৫৯০৯
حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ،‏.‏ أَوْ عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ضَخْمَ الْقَدَمَيْنِ، حَسَنَ الْوَجْهِ، لَمْ أَرَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’ পা ছিল মাংসপূর্ণ। চেহারা ছিল সুন্দর। আমি তাঁর পরে তাঁর মত কাউকে দেখিনি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৪)

৫৯১০
وَقَالَ هِشَامٌ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَثْنَ الْقَدَمَيْنِ وَالْكَفَّيْنِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’ পা ও হাতের দু’ কব্জা গোশ্তবহুল ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৪)

৫৯১১
وَقَالَ أَبُو هِلاَلٍ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ،‏.‏ أَوْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ضَخْمَ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ، لَمْ أَرَ بَعْدَهُ شَبَهًا لَهُ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’টি কব্জি ও দু’টি পা গোশতপূর্ণ ছিল। আমি তাঁর পরে তাঁর মত কাউকে দেখিনি(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৪)

৫৯১২
وَقَالَ أَبُو هِلاَلٍ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ،‏.‏ أَوْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ضَخْمَ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ، لَمْ أَرَ بَعْدَهُ شَبَهًا لَهُ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’টি কব্জি ও দু’টি পা গোশতপূর্ণ ছিল। আমি তাঁর পরে তাঁর মত কাউকে দেখিনি(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৪)

৫৯১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ فَذَكَرُوا الدَّجَّالَ فَقَالَ إِنَّهُ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمْ أَسْمَعْهُ قَالَ ذَاكَ وَلَكِنَّهُ قَالَ ‏ “‏ أَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَانْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ، وَأَمَّا مُوسَى فَرَجُلٌ آدَمُ جَعْدٌ، عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ مَخْطُومٍ بِخُلْبَةٍ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ إِذِ انْحَدَرَ فِي الْوَادِي يُلَبِّي ‏”‏‏.‏

মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা একবার ইবনু আব্বাসের কাছে ছিলাম। তখন লোকজন দাজ্জালের কথা আলোচনা করল। একজন বললঃ তার দু’চোখের মাঝে লেখা থাকবে ‘কাফির’।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ আমি এমন কথা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনিনি। তবে তিনি বলেছেনঃ তোমরা যদি ইব্রাহিম (আঃ)-কে দেখতে চাও, তা হলে তোমাদের সঙ্গী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দিকে তাকাও। আর মূসা (আঃ) হচ্ছেন শ্যাম রঙের মানুষ, কোঁকড়ানো চুলের অধিকারী, নাকে লাগাম পরান লাল বর্ণের উষ্ট্রে আরোহণকারী। আমি যেন তাকেঁ লক্ষ্য করছি তিনি তালবিয়া (লাববাইকা………….) পাঠরত অবস্থায় (মাক্কাহ) উপত্যকায় নামছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৫)

৭৭/৬৯. অধ্যায়ঃ
মাথার চুলে জট করা।

৫৯১৪
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ مَنْ ضَفَّرَ فَلْيَحْلِقْ، وَلاَ تَشَبَّهُوا بِالتَّلْبِيدِ‏.‏ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُلَبِّدًا‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি ‘উমার (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি- যে লোক চুলে জট পাকায়, সে যেন তা মুড়ে ফেলে। আর তোমরা মাথার চুলে তালবীদকারীদের মত চুলে জট পাকিও না। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলতেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে চুল তালবীদ করা অবস্থায় দেখেছি। [১০](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৬)






[১০] ‘তালবীদ’ এর অর্থ মাথার চুল কোন আঠাল জিনিস দিয়ে জমিয়ে রাখা, জট করা । বাবরী চুলওয়ালাদের জন্যে ইহরাম অবস্থায় এরূপ করা মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বছর হাজ্জ করেছিলেন সে বছর তাঁর মাথার বাবরি ছিল। সে বছর তিনি যাতে চুল বিক্ষিপ্ত না হয় ও উকুন না জন্মে সে জন্য তা করেছিলেন। এতদ্ব্যতীত ইসলামে তালবীদ বা জট পাকাতে নিষেধ করা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৫৯১৫
حِبَّانُ بْنُ مُوسٰى وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُهِلُّ مُلَبِّدًا يَقُوْلُ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لاَ يَزِيدُ عَلٰى هَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে চুল জট করা অবস্থায় মুহরিম হয়ে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ লাব্বাইকা আমি হাযির, হে আল্লাহ! আমি হাযির, আমি হাযির, আপনার কোন শরীক নেই। আমি হাযির, নিশ্চয়ই প্রশংসা এবং দয়া কেবল আপনারই, আর রাজত্বও। এতে আপনার কোন শরীক নেই। এ শব্দগুলো থেকে বাড়িয়ে তিনি অতিরিক্ত কিছু বলেননি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৭)

৫৯১৬
حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا بِعُمْرَةٍ، وَلَمْ تَحْلِلْ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي، وَقَلَّدْتُ هَدْيِي، فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ‏”‏‏.‏

হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী হাফসাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল! লোকদের কী হলো, তারা তাদের ‘উমরাহ্‌র ইহ্‌রাম খুলে ফেলেছে, অথচ আপনি এখন্ও আপনার ইহরাম খুলেননি। তিনি বললেনঃ আমি আমার মাথার চুল জড়ো করে রেখেছি এবং আমার সঙ্গী (অর্থাৎ কুরবানীর পশু)-কে কিলাদাহ [১১] পরিয়েছি। তাই তা যব্‌হ করার আগে আমি ইহ্‌রাম খুলব না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৮)






[১১] কুরবানীর পশুর গলায় ঝুলানোর জন্য বিশেষ ধরনের মালা ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৭৭/৭০. অধ্যায়ঃ
মাথার চুল মাথার মাঝখানে দু’ভাগে ভাগ করা।

৫৯১৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ مُوَافَقَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ فِيمَا لَمْ يُؤْمَرْ فِيهِ، وَكَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَسْدِلُونَ أَشْعَارَهُمْ، وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ يَفْرُقُونَ رُءُوسَهُمْ، فَسَدَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نَاصِيَتَهُ، ثُمَّ فَرَقَ بَعْدُ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে সব বিষয়ে আহলে কিতাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে চলা পছন্দ করতেন, যে সব বিষয়ে তাঁকে (কুরআনে) কোন সুস্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়নি। আর আহলে কিতাবরা তাদের চুল ঝুলিয়ে রাখত এবং মুশরিকরা তাদের মাথার চুলে সিঁথি কাটতো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চুল ঝুলিয়েও রাখতেন, সিঁথিও কাটতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭৯)

৫৯১৮
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي مَفَارِقِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَهْوَ مُحْرِمٌ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فِي مَفْرِقِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহরিম অবস্থায় সিঁথিতে যে খুশবু ব্যবহার করতেন, আমি যেন তাঁর ঔজ্জ্বল্য এখনও দেখতে পাচ্ছি।

‘আবদুল্লাহ বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিঁথিতে অর্থাৎ ‘মাফারিক’ শব্দের পরিবর্তে তিনি ‘মাফরাক’ শব্দ বলেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮০)

৭৭/৭১. অধ্যায়ঃ
চুলের ঝুটি প্রসঙ্গে।

৫৯১৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ عَنْبَسَةَ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ بِتُّ لَيْلَةً عِنْدَ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ خَالَتِي، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَهَا فِي لَيْلَتِهَا ـ قَالَ ـ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ، فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ ـ قَالَ ـ فَأَخَذَ بِذُؤَابَتِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ‏.‏ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، بِهَذَا، وَقَالَ بِذُؤَابَتِي أَوْ بِرَأْسِي‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একবার আমি আমার খালা মাইমূনাহ বিন্ত হারিসের নিকট রাত কাটাচ্ছিলাম। ঐ রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -ও তাঁর কাছে ছিলেন। ইবনু ‘আববাস বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে রাতের সালাত আদায় করতে লাগলেন। আমি তাঁর বাম পার্শ্বে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন তিনি আমার চুলের ঝুটি ধরে আমাকে তাঁর ডান পাশে নিয়ে দাঁড় করালেন। আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮১)



আবূ বিশর (রহ.) থেকেبِذُؤَابَتِيঅথবা بِرَأْسِي বলে বর্ণনা করেছেন। [১১৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮২)

৭৭/৭২. অধ্যায়ঃ
‘কাযা’ অর্থাৎ মাথার কিছু চুল মুড়ানো ও কিছু অংশে চুল রেখে দেয়া।

৫৯২০
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَخْلَدٌ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ حَفْصٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ نَافِعٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ نَافِعٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنِ الْقَزَعِ‏.‏ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ قُلْتُ وَمَا الْقَزَعُ فَأَشَارَ لَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ قَالَ إِذَا حَلَقَ الصَّبِيَّ وَتَرَكَ هَا هُنَا شَعَرَةً وَهَا هُنَا وَهَا هُنَا‏.‏ فَأَشَارَ لَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ إِلَى نَاصِيَتِهِ وَجَانِبَىْ رَأْسِهِ‏.‏ قِيلَ لِعُبَيْدِ اللَّهِ فَالْجَارِيَةُ وَالْغُلاَمُ قَالَ لاَ أَدْرِي هَكَذَا قَالَ الصَّبِيِّ‏.‏ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ وَعَاوَدْتُهُ فَقَالَ أَمَّا الْقُصَّةُ وَالْقَفَا لِلْغُلاَمِ فَلاَ بَأْسَ بِهِمَا وَلَكِنَّ الْقَزَعَ أَنْ يُتْرَكَ بِنَاصِيَتِهِ شَعَرٌ، وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ غَيْرُهُ، وَكَذَلِكَ شَقُّ رَأْسِهِ هَذَا وَهَذَا‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে ‘কাযা’ থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। রাবী ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ‘কাযা’ কী? তখন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের ইঙ্গিতে দেখিয়ে বললেনঃ শিশুদের যখন চুল কামানো হয়, তখন এখানে ওখানে চুল রেখে দেয়। এ কথা বলার সময় ‘উবাইদুল্লাহ তাঁর কপাল ও মাথার দু’পাশে দেখালেন। ‘উবাইদুল্লাহকে আবার জিজ্ঞেস করা হলঃ বালক ও বালিকার জন্য কি একই নির্দেশ? তিনি বললেনঃ আমি জানি না। এভাবে তিনি বালকের কথা বলেছেন। ‘উবাইদুল্লাহ বলেনঃ আমি এ কথা আবার জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ পুরুষ শিশুর মাথার সামনের ও পিছনের দিকের চুল কামানো দূষণীয় নয়। আর (অন্য এক ব্যাখ্যা মতে) ‘কাযা’ বলা হয়- কপালের উপরে কিছু চুল রেখে বাকী মাথার কোথাও চুল না রাখা। তেমনিভাবে মাথার চুল একপাশ থেকে অথবা অপর পাশ থেকে কাটা। [৫৯২১; মুসলিম ৩৭/১৩, হাঃ ২১২০, আহমাদ ৪৪৭৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৩)

৫৯২১
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْقَزَعِ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘কাযা’ থেকে নিষেধ করেছেন। [৫৯২০; মুসলিম ৩৭/৩১, হাঃ ২১২০, আহমাদ ৪৪৭৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৪)

৭৭/৭৩. অধ্যায়ঃ
স্ত্রী কর্তৃক নিজ হাতে স্বামীকে খুশবু লাগানো।

৫৯২২
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ طَيَّبْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِي لِحُرْمِهِ، وَطَيَّبْتُهُ بِمِنًى قَبْلَ أَنْ يُفِيضَ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর মুহ্‌রিম অবস্থায় নিজ হাতে খুশবু লাগিয়ে দিয়েছি এবং মিনাতেও সেখান থেকে রওনা হবার আগে তাঁকে আমি খুশবু লাগিয়েছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৫)

৭৭/৭৪. অধ্যায়ঃ
মাথায় ও দাড়িতে খুশবু লাগানো প্রসঙ্গে।

৫৯২৩
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أُطَيِّبُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِأَطْيَبِ مَا يَجِدُ، حَتَّى أَجِدَ وَبِيصَ الطِّيبِ فِي رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যত উৎকৃষ্ট খুশবু পেতাম, তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে লাগিয়ে দিতাম। এমন কি সে খুশবুর ঔজ্জ্বল্য তাঁর মাথায় ও দাড়িতে দেখতে পেতাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৬)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]