সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস পোশাক পরিচ্ছদ অধ্যায় ৪র্থ ভাগ হাদিস নং ৫৯২৪ – ৫৯৬৯

৭৭/৭৫. অধ্যায়ঃ
চিরুনি করা প্রসঙ্গে।

৫৯২৪
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَجُلاً، اطَّلَعَ مِنْ جُحْرٍ فِي دَارِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَحُكُّ رَأْسَهُ بِالْمِدْرَى فَقَالَ ‏ “‏ لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ تَنْظُرُ لَطَعَنْتُ بِهَا فِي عَيْنِكَ، إِنَّمَا جُعِلَ الإِذْنُ مِنْ قِبَلِ الأَبْصَارِ ‏”‏‏.‏

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, একলোক একটি ছিদ্র দিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ঘরে উঁকি মারে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন চিরুনী দিয়ে মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেনঃ আমি যদি জানতাম যে, তুমি ছিদ্র দিয়ে তাকিয়ে দেখছ, তা হলে এ (চিরুনী) দিয়ে আমি তোমার চোখ বিঁধিয়ে দিতাম। দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্যই তো অনুমতি গ্রহণ করার বিধি রাখা হয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৭)

৭৭/৭৬. অধ্যায়ঃ
হারাম অবস্থায় স্বামীর মাথা আঁচড়ে দেয়া।

৫৯২৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كُنْتُ أُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا حَائِضٌ‏.‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি হায়িয অবস্থায় রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথা আঁচড়ে দিয়েছি। [২৯৫] (আ.প্র. ৫৪৯৩, ই.ফা. ৫৩৮৮)

হিশাম তার পিতার সূত্রে ‘আয়িশা থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

৭৭/৭৭. অধ্যায়ঃ
চিরুনী দ্বারা মাথা আঁচড়ানো।

৫৯২৬
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يُعْجِبُهُ التَّيَمُّنُ مَا اسْتَطَاعَ فِي تَرَجُّلِهِ وَوُضُوئِهِ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চিরুনী দিয়ে আঁচড়াতে ও অযু করতে যথাসাধ্য ডান দিক থেকে শুরু করতে পছন্দ করতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৯)

৭৭/৭৮. অধ্যায়ঃ
মিস্‌কের বর্ণনা।

৫৯২৭
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ، إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي، وَأَنَا أَجْزِي بِهِ، وَلَخَلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেছেনঃ বানী আদমের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যেই- সওম ব্যতীত। তা আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। আর সাওম পালনকারীদের মুখের গন্ধ আল্লাহ্‌র নিকট মিস্‌কের ঘ্রাণের চেয়ে অধিক সুগন্ধযুক্ত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯০)

৭৭/৭৯. অধ্যায়ঃ
খুশবু লাগান মুস্তাহাব।

৫৯২৮
حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كُنْتُ أُطَيِّبُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ إِحْرَامِهِ بِأَطْيَبِ مَا أَجِدُ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যে সব সুগন্ধি পেতাম, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট সুগন্ধটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর মুহ্‌রিম অবস্থায় লাগিয়ে দিতাম। [১৫৩৯; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাঃ ২১২৪, আহমাদ ৪৭২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯১)

৭৭/৮০. অধ্যায়ঃ
খুশবু প্রত্যাখ্যান না করা।

৫৯২৯
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي ثُمَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ كَانَ لاَ يَرُدُّ الطِّيبَ، وَزَعَمَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَرُدُّ الطِّيبَ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, (কেউ তাঁকে খুশবু হাদিয়া দিলে) তিনি (সে) খুশবু ফিরিয়ে দিতেন না এবং বলতেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুশবু প্রত্যাখ্যান করতেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯২)

৭৭/৮১. অধ্যায়ঃ
যারীরা নামের সুগন্ধি দ্রব্য।

৫৯৩০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ، أَوْ مُحَمَّدٌ عَنْهُ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، سَمِعَ عُرْوَةَ، وَالْقَاسِمَ، يُخْبِرَانِ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ بِذَرِيرَةٍ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، لِلْحِلِّ وَالإِحْرَامِ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে নিজ হাতে যারীরা নামের সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি, হালাল অবস্থাতেও এবং ইহ্‌রাম অবস্থাতেও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৩)

৭৭/৮২. অধ্যায়ঃ
সৌন্দর্য লাভের উদ্দেশে সম্মুখের দাঁত কেটে সরু করা ও দাঁতের মধ্যে ফাঁক করা।

৫৯৩১
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ، وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ، الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ تَعَالَى، مَالِي لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ ‏{‏وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ‏}‏‏.‏

আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’উদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ্‌র অভিশাপ বর্ষিত হোক সে সব নারীদের উপর যারা শরীরে উল্‌কি অঙ্কণ করে এবং যারা অঙ্কণ করায়, আর সে সব নারীদের উপর যারা চুল, ভ্রু তুলে ফেলে এবং সে সব নারীদের উপর যারা সৌন্দর্যের জন্যে সম্মুখের দাঁত কেটে সরু করে, দাঁতের মধ্যে ফাঁক তৈরি করে, যা আল্লাহ্‌র সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। রাবী বলেনঃ আমি কেন তার উপর অভিশাপ করব না, যাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন? আর আল্লাহ্‌র কিতাবে আছেঃ “রসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহণ কর।” (সূরাহ আল-হাশর ৫৯ : ৭) (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৪)

৭৭/৮৩. অধ্যায়ঃ
পরচুলা লাগানো প্রসঙ্গে।

৫৯৩২
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، عَامَ حَجَّ وَهْوَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَهْوَ يَقُولُ ـ وَتَنَاوَلَ قُصَّةً مِنْ شَعَرٍ كَانَتْ بِيَدِ حَرَسِيٍّ ـ أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ مِثْلِ هَذِهِ وَيَقُولُ ‏ “‏ إِنَّمَا هَلَكَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ حِينَ اتَّخَذَ هَذِهِ نِسَاؤُهُمْ ‏”‏‏.‏

হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি হাজ্জ করার সময় মু’আবিয়াহ ইবনু সুফইয়ান (রাঃ) -কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন। ঐ সময় তিনি এক দেহরক্ষীর হাত থেকে এক গুচ্ছ চুল নিজ হাতে নিয়ে বলেনঃ তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ রকম করা থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি বলতেনঃ বানী ইসরাঈল তখনই ধ্বংস হয়েছে, যখন তাদের নারীরা এরূপ করা আরম্ভ করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৫)

৫৯৩৩
وَقَالَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ، وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। আল্লাহ্‌ তা’আলা লা’নত করেন সে সব নারীদেরকে যারা নিজে পরচুলা লাগায় এবং যারা অন্যদেরকে তা লাগিয়ে দেয়, যারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উলকি আঁকে এবং অন্যকে করিয়ে দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৫)

৫৯৩৪
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ مُسْلِمِ بْنِ يَنَّاقٍ، يُحَدِّثُ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ جَارِيَةً، مِنَ الأَنْصَارِ تَزَوَّجَتْ، وَأَنَّهَا مَرِضَتْ فَتَمَعَّطَ شَعَرُهَا، فَأَرَادُوا أَنْ يَصِلُوهَا فَسَأَلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ صَفِيَّةَ عَنْ عَائِشَةَ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক আনসারী নারী বিয়ে করে। এরপর সে রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে তার সব চুল পড়ে যায়। লোকজন তাকে পরচুলা লাগিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। আর তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌ লা’নত করেছেন ঐসব নারীকে যারা নিজেরা পরচুলা লাগায় এবং যারা অন্যদেরকে তা লাগিয়ে দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৬)

৫৯৩৫
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَتْنِي أُمِّي، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ امْرَأَةً، جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي أَنْكَحْتُ ابْنَتِي، ثُمَّ أَصَابَهَا شَكْوَى فَتَمَرَّقَ رَأْسُهَا، وَزَوْجُهَا يَسْتَحِثُّنِي بِهَا أَفَأَصِلُ رَأْسَهَا فَسَبَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ‏.‏

আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললঃ আমি আমার একটি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। এরপর সে রোগাক্রান্ত হয়, ফলে তার মাথার চুল পড়ে যায়। তার স্বামী এর কারণে আমাকে তিরস্কার করে। আমি কি তার মাথায় পরচুলা লাগিয়ে দিব? তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে পরচুলা লাগায় এবং যে তা অন্যকে লাগিয়ে দেয়, তাদের নিন্দা করলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৭)

৫৯৩৬
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنِ امْرَأَتِهِ، فَاطِمَةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ لَعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ‏.‏

আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে মহিলা পরচুলা লাগায়, আর যে অপরকে পরচুলা লাগিয়ে দেয়, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের উপর লা’নত করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৮)

৫৯৩৭
مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَعَنَ اللهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ وَقَالَ نَافِعٌ الْوَشْمُ فِي اللِّثَةِ.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ঐ নারীর উপর লা’নত করেন, যে পরচুলা লাগায়, আর অপরকে পরচুলা লাগিয়ে দেয়। আর সে নারী উল্‌কি অঙ্কণ করে এবং যে তা করায়। নাফি’ বলেনঃ উল্‌কি অঙ্কণ হয় উঁচু মাংসের উপরে। [৫৯৪০, ৫৯৪২, ৫৯৪৭; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাঃ ২১২৪, আহমাদ ৪৭২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৯)

৫৯৩৮
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَدِمَ مُعَاوِيَةُ الْمَدِينَةَ آخِرَ قَدْمَةٍ قَدِمَهَا، فَخَطَبَنَا فَأَخْرَجَ كُبَّةً مِنْ شَعَرٍ قَالَ مَا كُنْتُ أَرَى أَحَدًا يَفْعَلُ هَذَا غَيْرَ الْيَهُودِ، إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمَّاهُ الزُّورَ‏.‏ يَعْنِي الْوَاصِلَةَ فِي الشَّعَرِ‏.‏

সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ মু’আবীয়াহ (রাঃ) শেষবারের মত যখন মাদীনায় আসেন, তখন তিনি আমাদের সামনে খুৎবাহ দেন। তিনি এক গোছা চুল বের করে বললেনঃ আমি ইয়াহূদী ছাড়া অন্য কাউকে এ জিনিস ব্যবহার করতে দেখিনি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একে অর্থাৎ পরচুলা ব্যবহারকারী নারীকে প্রতারক বলেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০০)

৭৭/৮৪. অধ্যায়ঃ
ভ্রু উপড়ে ফেলা।

৫৯৩৯
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ لَعَنَ عَبْدُ اللَّهِ الْوَاشِمَاتِ، وَالْمُتَنَمِّصَاتِ، وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ، الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ‏.‏ فَقَالَتْ أُمُّ يَعْقُوبَ مَا هَذَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَمَا لِيَ لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ، وَفِي كِتَابِ اللَّهِ‏.‏ قَالَتْ وَاللَّهِ لَقَدْ قَرَأْتُ مَا بَيْنَ اللَّوْحَيْنِ فَمَا وَجَدْتُهُ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ لَئِنْ قَرَأْتِيهِ لَقَدْ وَجَدْتِيهِ ‏{‏وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا‏}‏‏.‏

আলক্বামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ সৌন্দর্যের উদ্দেশে যে সব নারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উল্কি আঁকে, যে সব নারী ভ্রূ উপড়ে ফেলে এবং যেসব নারী দাঁত সরু করে দাঁতের মাঝে ফাঁক করে- যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ) লা‘নত করেছেন। উম্মু ইয়াকূব বললঃ এ কেমন কথা? ‘আবদুল্লাহ বললেনঃ আমি কেন তাকে লা‘নত করব না, যাকে আল্লাহর রাসূল লা‘নত করেছেন এবং আল্লাহর কিতাবও। উম্মু ইয়াকূব বললঃ আল্লাহর কসম! আমি পূর্ণ কুরআন পাঠ করেছি, কিন্তু এ কথা তো কোথাও পাইনি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! তুমি যদি তা পড়তে, তবে অবশ্যই পেতেঃ {‏وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا‏}‏‏ ‘‘রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর তোমাদেরকে যাথেকে নিষেধ করে তাথেকে বিরত থাক’’- সূরাহ হাশর ৫৯/৭)। [৪৮৮৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০১)

৭৭/৮৫. অধ্যায়ঃ
পরচুলা লাগানো সম্পর্কিত।

৫৯৪০
مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ لَعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلمالْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ পরচুলা লাগানোর পেশাধারী নারী, যে নিজের মাথায় পরচুলা লাগায়, উল্‌কি অঙ্কণকারী নারী এবং যে অঙ্কণ করে, আল্লাহ্‌র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের লা’নত করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০২)

৫৯৪১
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَنَّهُ سَمِعَ فَاطِمَةَ بِنْتَ الْمُنْذِرِ، تَقُولُ سَمِعْتُ أَسْمَاءَ، قَالَتْ سَأَلَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي أَصَابَتْهَا الْحَصْبَةُ، فَامَّرَقَ شَعَرُهَا، وَإِنِّي زَوَّجْتُهَا أَفَأَصِلُ فِيهِ فَقَالَ ‏ “‏ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمَوْصُولَةَ ‏”‏‏.‏

আসমা (বিন্‌ত আবূ বকর) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার এক মেয়ের বসন্ত রোগ হয়ে মাথার চুল পড়ে গেছে। আমি তাকে বিয়ে দিয়েছি। তার মাথায় কি পরচুলা লাগাব? তিনি বললেনঃ পরচুলা লাগিয়ে দেয় ও পরচুলা লাগিয়ে নেয় এমন নারীকে আল্লাহ্‌ অভিশাপ দিয়েছেন। [৫৯৩৫; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাঃ ২১২২, আহমাদ ২৪৮৫৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৩)

৫৯৪২
حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْوَاشِمَةُ وَالْمُوتَشِمَةُ، وَالْوَاصِلَةُ وَالْمُسْتَوْصِلَةُ ‏”‏‏.‏ يَعْنِي لَعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি অথবা বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উল্‌কি অঙ্কনকারী এবং পেশাধারী নারী এবং পরচুলা ব্যবহারকারী পরচুলা লাগানোর পেশাধারী নারীকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লা’নত করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৪)

৫৯৪৩
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ، وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ، الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ، مَا لِي لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সৌন্দর্যের জন্যে উল্‌কি অঙ্কনকারী ও উল্‌কি গ্রহণকারী, ভ্রু উত্তোলনকারী নারী এবং দাঁত সরু করে মাঝে ফাঁক সৃষ্টিকারী নারী, যা আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আল্লাহ্‌র অভিশাপ বর্ষিত হোক। (রাবী বলেন) আমি কেন তাকে অভিশাপ করব না, যাকে আল্লাহ্‌র রসূল অভিশাপ করেছেন এবং তা আল্লাহ্‌র কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৫)

৭৭/৮৬. অধ্যায়ঃ
উল্‌কি অঙ্কনকারী নারী

৫৯৪৪
حَدَّثَنِي يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْعَيْنُ حَقٌّ ‏”‏‏.‏ وَنَهَى عَنِ الْوَشْمِ‏.‏



حَدَّثَنِي ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ ذَكَرْتُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ حَدِيثَ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ،، فَقَالَ سَمِعْتُهُ مِنْ أُمِّ يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، مِثْلَ حَدِيثِ مَنْصُورٍ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নযরলাগা প্রকৃত সত্য এবং তিনি উল্‌কি অঙ্কণ করা থেকে নিষেধ করেছেন। [৫৭৪০] (আ.প্র. ৫৫১১, ই.ফা. ৫৪০৬)

সুফ্‌ইয়ান (সাওরী) (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আবদুর রহমান ইবনু আবিসের নিকট মানসূর কর্তৃক বর্ণিত ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ)-এর হাদীস উল্লেখ করি। তখন ‘আবদুর রহমান ইবনু আবিস বলেন, আমি উম্মু ইয়াকূবের মাধ্যমে ‘আবদুল্লাহ থেকে মানসূর বর্ণিত হাদীসের মতই হাদীস শুনেছি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৭)

৫৯৪৫
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ رَأَيْتُ أَبِي فَقَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ ثَمَنِ الدَّمِ، وَثَمَنِ الْكَلْبِ، وَآكِلِ الرِّبَا وَمُوكِلِهِ، وَالْوَاشِمَةِ وَالْمُسْتَوْشِمَةِ‏.‏

আওন ইবনু আবূ জুহাইফাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তের মূল্য ও কুকুরের মূল্য নিতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি সুদ গ্রহীতা, সুদ দাতা, উল্‌কি অঙ্কনকারী উল্‌কি গ্রহণকারী নারীদের উপর লা’নত করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৮)

৭৭/৮৭. অধ্যায়ঃ
যে নারী অঙ্গ–প্রত্যঙ্গে উল্‌কি আঁকিয়ে নেয়।

৫৯৪৬
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أُتِيَ عُمَرُ بِامْرَأَةٍ تَشِمُ فَقَامَ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ مَنْ سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فِي الْوَشْمِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُمْتُ فَقُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَنَا سَمِعْتُ‏.‏ قَالَ مَا سَمِعْتَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تَشِمْنَ وَلاَ تَسْتَوْشِمْنَ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট এক মহিলাকে আনা হয়। সে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গে উল্‌কি আঁকতো। তিনি দাঁড়ালেন এবং বললেন, আমি তোমাদের আল্লাহ্‌র কসম দিয়ে বলছি (তোমাদের মধ্যে) এমন কে আছে যে উল্‌কি আঁকার ব্যাপারে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কিছু শুনেছে? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি দাঁড়িয়ে বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমি শুনেছি। তিনি বললেন, কী শুনেছ? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, মহিলারা যেন উল্‌কি না আঁকে এবং উল্‌কি না আঁকিয়ে নেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৯)

৫৯৪৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ لَعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ، وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরচুলা ব্যবহারকারী এবং এ পেশাধারী এবং উল্‌কি অঙ্কনকারী এবং তা গ্রহণকারী নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১০)

৫৯৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ، الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ‏.‏ مَا لِي لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ‏.‏

আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য যে নারী উল্‌কি আঁকে ও আঁকায়, যে নারী ভ্রূ উপড়ে ফেলে এবং যে নারী দাঁত কেটে চিকন করে দাঁতের মাঝখানে ফাঁক করে- যে কাজগুলো দ্বারা আল্লাহ্‌র সৃষ্টির মধ্যে রূপান্তর ঘটে, এদের উপর আল্লাহ্‌ অভিশাপ বর্ষণ করুন। আমি কেন তার উপর অভিশাপ করব না, যাদের উপর আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন এবং মহান আল্লাহ্‌র কিতাবেই তা বিদ্যমান আছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১১)

৭৭/৮৮. অধ্যায়ঃ
ছবি সম্পর্কিত।

৫৯৪৯
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ ـ رضى الله عنهم ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تَصَاوِيرُ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

আবূ ত্বালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফেরেশতা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর থাকে এবং ঐ ঘরেও না, যে ঘরে ছবি থাকে।

লায়স (রহঃ) আবূ ত্বালহা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে (এ বিষয়ে) শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১২)

৭৭/৮৯. অধ্যায়ঃ
ক্বিয়ামাতের দিন ছবি নির্মাতাদের শাস্তি প্রসঙ্গে।

৫৯৫০
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُسْلِمٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ مَسْرُوقٍ فِي دَارِ يَسَارِ بْنِ نُمَيْرٍ، فَرَأَى فِي صُفَّتِهِ تَمَاثِيلَ فَقَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُونَ ‏”‏‏.‏

মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা (একবার) মাসরূকের সাথে ইয়াসার ইবনু নুমাইরের ঘরে ছিলাম। মাসরূক ইয়াসারের ঘরের আঙিনায় কতগুলো মূর্তি দেখতে পেয়ে বললেনঃ আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‌’ঊদ (রাঃ) থেকে শুনেছি এবং তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেন যে, (ক্বিয়ামাতের দিন) মানুষের মধ্যে সব থেকে শক্ত শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি তৈরি করে। [১২][মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৯, আহমাদ ৩৫৫৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৩)






[১২] প্রাণীর ছবি আঁকা নিষিদ্ধ। প্রাকৃতিক দৃশ্য বা জড় বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৫৯৫১
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা এ জাতীয় (প্রাণীর) ছবি তৈরি করে, ক্বিয়ামাতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে। তাদের বলা হবেঃ তোমরা যা বানিয়েছিলে তাতে জীবন দাও।[৭৫৫৮; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৪)

৭৭/৯০. অধ্যায়ঃ
ছবি ভেঙ্গে ফেলা সম্পর্কিত।

৫৯৫২
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حِطَّانَ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ حَدَّثَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ يَتْرُكُ فِي بَيْتِهِ شَيْئًا فِيهِ تَصَالِيبُ إِلاَّ نَقَضَهُ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের ঘরের এমন কিছুই না ভেঙ্গে ছাড়তেন না, যাতে কোন (প্রাণীর) ছবি থাকত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৫)

৫৯৫৩
حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ دَارًا بِالْمَدِينَةِ فَرَأَى أَعْلاَهَا مُصَوِّرًا يُصَوِّرُ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذَهَبَ يَخْلُقُ كَخَلْقِي، فَلْيَخْلُقُوا حَبَّةً، وَلْيَخْلُقُوا ذَرَّةً ‏”‏‏.‏ ثُمَّ دَعَا بِتَوْرٍ مِنْ مَاءٍ فَغَسَلَ يَدَيْهِ حَتَّى بَلَغَ إِبْطَهُ فَقُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَشَىْءٌ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مُنْتَهَى الْحِلْيَةِ‏.‏

আবূ যুর’আ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) -এর সাথে মাদীনাহর এক ঘরে প্রবেশ করি। ঘরের উপরে এক ছবি নির্মাতাকে তিনি ছবি তৈরি করতে দেখলেন। তিনি বললেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি- (আল্লাহ্‌ বলেছেন) ঐ ব্যক্তির চেয়ে বেশি অত্যাচারী আর কে, যে আমার সৃষ্টি সদৃশ কোন কিছু সৃষ্টি করতে যায়? তাহলে তারা একটি দানা সৃষ্টি করুক অথবা একটি অণু পরিমাণ কণা সৃষ্টি করুক! তারপর তিনি একটি পানির পাত্র চেয়ে আনলেন এবং (‘উযূ করতে গিয়ে) বগল পর্যন্ত দু’হাত ধুলেন। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আবূ হুরায়রা! আপনি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে (এ ব্যাপারে) কিছু শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ (হাঁ) অলঙ্কার পরার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত (ধোয়া উত্তম)।[৭৫৫৯; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১১১, আহমাদ ৯০৮৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৬)

৭৭/৯১. অধ্যায়ঃ
ছবিওয়ালা কাপড় দিয়ে বসার আসন তৈরী করা।

৫৯৫৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ ـ وَمَا بِالْمَدِينَةِ يَوْمَئِذٍ أَفْضَلُ مِنْهُ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ سَفَرٍ وَقَدْ سَتَرْتُ بِقِرَامٍ لِي عَلَى سَهْوَةٍ لِي فِيهَا تَمَاثِيلُ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَتَكَهُ وَقَالَ ‏ “‏ أَشَدُّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الَّذِينَ يُضَاهُونَ بِخَلْقِ اللَّهِ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ فَجَعَلْنَاهُ وِسَادَةً أَوْ وِسَادَتَيْنِ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাবূক যুদ্ধের) সফর থেকে ফিরে আসলেন। আমি আমার কক্ষে পাতলা কাপড়ের পর্দা টাঙিয়েছিলাম। তাতে ছিল (প্রাণীর) অনেকগুলো ছবি। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন এটা দেখলেন, তখন তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন সে সব লোকের সব থেকে শক্ত আযাব হবে, যারা আল্লাহ্‌র সৃষ্টির (প্রাণীর) সদৃশ তৈরি করবে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমরা ওটা দিয়ে একটি বা দু’টি বসার আসন তৈরী করি।[২৪৭৯; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৭, আহমাদ ২৪১৩৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৭)

৫৯৫৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ سَفَرٍ، وَعَلَّقْتُ دُرْنُوكًا فِيهِ تَمَاثِيلُ، فَأَمَرَنِي أَنْ أَنْزِعَهُ، فَنَزَعْتُهُ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সফর থেকে ফিরে আসলেন। সে সময় আমি নক্‌শাওয়ালা (প্রাণীর) ছবিযুক্ত কাপড় দিয়ে পর্দা লটকিয়ে ছিলাম। আমাকে তিনি তা খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। তখন আমি খুলে ফেললাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৮)

৫৯৫৬
وَكُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ.

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আর আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৮)

৭৭/৯২. অধ্যায়ঃ
ছবির উপর বসা অপছন্দনীয়।

৫৯৫৭
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا اشْتَرَتْ نُمْرُقَةً فِيهَا تَصَاوِيرُ، فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْبَابِ فَلَمْ يَدْخُلْ‏.‏ فَقُلْتُ أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مِمَّا أَذْنَبْتُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا هَذِهِ النُّمْرُقَةُ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ لِتَجْلِسَ عَلَيْهَا وَتَوَسَّدَهَا‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ‏.‏ وَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ لاَ تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ الصُّورَةُ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার ছবিওয়ালা গদি ক্রয় করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তা দেখে) দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকলেন, প্রবেশ করলেন না। আমি বললাম, যে পাপ আমি করেছি তা থেকে আল্লাহ্‌র কাছে তাওবাহ করছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ এ গদি কিসের জন্যে? আমি বললামঃ আপনি এতে বসবেন ও টেক লাগাবেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব ছবি প্রস্ততকারীদের ক্বিয়ামাতের দিন ‘আযাব দেয়া হবে। তাদের বলা হবে, যা তোমরা তৈরী করেছিলে সেগুলোকে জীবিত কর। আর যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করেনা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১৯)

৫৯৫৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ لاَ تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ الصُّورَةُ ‏”‏‏.‏ قَالَ بُسْرٌ ثُمَّ اشْتَكَى زَيْدٌ فَعُدْنَاهُ، فَإِذَا عَلَى بَابِهِ سِتْرٌ فِيهِ صُورَةٌ فَقُلْتُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ رَبِيبِ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَلَمْ يُخْبِرْنَا زَيْدٌ عَنِ الصُّوَرِ يَوْمَ الأَوَّلِ‏.‏ فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ أَلَمْ تَسْمَعْهُ حِينَ قَالَ إِلاَّ رَقْمًا فِي ثَوْبٍ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنَا عَمْرٌو ـ هُوَ ابْنُ الْحَارِثِ ـ حَدَّثَهُ بُكَيْرٌ، حَدَّثَهُ بُسْرٌ، حَدَّثَهُ زَيْدٌ، حَدَّثَهُ أَبُو طَلْحَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

আবূ ত্বলহা থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথী আবূ ত্বলহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এ হাদীসের (এক রাবী) বুস্‌র বলেনঃ যায়দ একবার অসুস্থ হয়ে পড়ল। আমরা তার সেবা শুশ্রূষার জন্যে গেলাম। তখন তার ঘরের দরজাতে ছবিওয়ালা পর্দা দেখতে পেলাম। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সহধর্মিণী মাইমূনাহ (রাঃ) –এর পালিত ‘উবাইদুল্লাহর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, ছবির ব্যাপারে প্রথম দিনই যায়দ আমাদের কি জানায়নি? তখন ‘উবাইদুল্লাহ বললেন, তিনি যখন বলেছিলেন, তখন কি তুমি শোননি যে, কারুকাজ করা কাপড় বাদে?

ইবনু ওয়াহ্‌ব অন্য সূত্রে আবূ ত্বলহা (রাঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২০)

৭৭/৯৩. অধ্যায়ঃ
ছবিওয়ালা কাপড়ে সলাত আদায় করা অপছন্দনীয়।

৫৯৫৯
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ قِرَاَمٌ لِعَائِشَةَ سَتَرَتْ بِهِ جَانِبَ بَيْتِهَا، فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَمِيطِي عَنِّي، فَإِنَّهُ لاَ تَزَالُ تَصَاوِيرُهُ تَعْرِضُ لِي فِي صَلاَتِي ‏”‏‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) –এর নিকট কিছু পর্দার কাপড় ছিল, তা দিয়ে তিনি ঘরের এক দিকে পর্দা করেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ আমার থেকে এটা সরিয়ে নাও, কেননা এর ছবিগুলো সলাতের মধ্যে আমাকে বাধা দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২১)

৭৭/৯৪. অধ্যায়ঃ
যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে (রাহমাতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না।

৫৯৬০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ ـ هُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ ـ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ وَعَدَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جِبْرِيلُ فَرَاثَ عَلَيْهِ حَتَّى اشْتَدَّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَقِيَهُ، فَشَكَا إِلَيْهِ مَا وَجَدَ، فَقَالَ لَهُ ‏ “‏ إِنَّا لاَ نَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ وَلاَ كَلْبٌ ‏”‏‏.‏

সালিমের পিতা (‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ জিব্‌রীল (আঃ) (একবার) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট (আগমনের) ওয়াদা করেন। কিন্তু তিনি আসতে দেরী করেন। এতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর খুবই কষ্ট হচ্ছিল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে পড়লেন। তখন জিব্‌রীলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত ঘটল। তিনি যে মনোকষ্ট পেয়েছিলেন সে বিষয়ে তাঁর কাছে বর্ণনা করলেন। তখন জিব্‌রীল (আঃ) বললেনঃ যে ঘরে ছবি বা কুকুর থাকে সে ঘরে আমরা কক্ষনো প্রবেশ করিনা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২২)

৭৭/৯৫. অধ্যায়ঃ
ছবি আছে এমন ঘরে যিনি প্রবেশ করেন না।

৫৯৬১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا اشْتَرَتْ نُمْرُقَةً فِيهَا تَصَاوِيرُ، فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ عَلَى الْبَابِ فَلَمْ يَدْخُلْ، فَعَرَفَتْ فِي وَجْهِهِ الْكَرَاهِيَةَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ، مَاذَا أَذْنَبْتُ قَالَ ‏”‏ مَا بَالُ هَذِهِ النُّمْرُقَةِ ‏”‏‏.‏ فَقَالَتِ اشْتَرَيْتُهَا لِتَقْعُدَ عَلَيْهَا وَتَوَسَّدَهَا‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَيُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ ـ وَقَالَ ـ إِنَّ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ الصُّوَرُ لاَ تَدْخُلُهُ الْمَلاَئِكَةُ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, (একবার) তিনি ছবিওয়ালা গদি খরিদ করেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তা দেখতে পেলেন, তখন দরজার উপর দাঁড়িয়ে গেলেন। প্রবেশ করলেন না। [‘আয়িশা (রাঃ)] নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর চেহারার অসন্তুষ্টি বুঝতে পারলেন। তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্‌র নিকট ও তাঁর রসূলের নিকট এ গুনাহ থেকে তাওবাহ করছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ গদি কোথা থেকে আসল? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আপনার উপবেশন ও হেলান দেয়ার জন্যে আমি এটি ক্রয় করেছি। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেনঃ এসব ছবি নির্মাতাদের ক্বিয়ামাতের দিন আযাব দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে তোমরা যা বানিয়েছিলে তা জীবিত কর। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বললেনঃ যে ঘরে (প্রাণীর) ছবি থাকে, সে ঘরে (রাহমাতের) ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৩)

৭৭/৯৬. অধ্যায়ঃ
ছবি নির্মাতাকে যিনি অভিশাপ করেছেন।

৫৯৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنِي غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ اشْتَرَى غُلاَمًا حَجَّامًا فَقَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ ثَمَنِ الدَّمِ، وَثَمَنِ الْكَلْبِ، وَكَسْبِ الْبَغِيِّ، وَلَعَنَ آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ وَالْمُصَوِّرَ‏.‏

আবূ জুহাইফাহ হতে (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তের মূল্য, কুকুরের মূল্য ও যিনাকারীর উপার্জন গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি সুদ গ্রহীতা, সুদদাতা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উল্‌কি অঙ্কণকারী আর যে তা করায় এবং ছবি নির্মাতাকে অভিশাপ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৪)

৭৭/৯৭. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি ছবি বানায় তাকে ক্বিয়ামাতের দিন তাতে জীবন দানের জন্যে হুকুম করা হবে, কিন্তু সে অপারগ হবে।

৫৯৬৩
حَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، قَالَ سَمِعْتُ النَّضْرَ بْنَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، يُحَدِّثُ قَتَادَةَ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهُمْ يَسْأَلُونَهُ وَلاَ يَذْكُرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى سُئِلَ فَقَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ صَوَّرَ صُورَةً فِي الدُّنْيَا كُلِّفَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنْ يَنْفُخَ فِيهَا الرُّوحَ، وَلَيْسَ بِنَافِخٍ ‏”‏‏.‏

ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ)–এর নিকট ছিলাম। আর লোকজন তাঁর কাছে নানান কথা জিজ্ঞেস করছিল। কিন্তু জবাবে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর (হাদীস) উল্লেখ করছিলেন না। অবশেষে তাঁকে ছবির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি বললেনঃ আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি দুনিয়ায় কোন প্রাণীর ছবি তৈরি করে, ক্বিয়ামাতের দিন তাকে কঠোরভাবে হুকুম দেয়া হবে ঐ ছবির মধ্যে জীবন দান করার জন্যে। কিন্তু সে জীবন দান করতে পারবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৫)

৭৭/৯৮. অধ্যায়ঃ
সাওয়ারীর উপর কারও পেছনে বসা।

৫৯৬৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكِبَ عَلَى حِمَارٍ، عَلَى إِكَافٍ عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ فَدَكِيَّةٌ، وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ وَرَاءَهُ‏.‏

উসামাহ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) গাধার পিঠে চড়েন। পিঠের উপরে ফাদাকের তৈরী মোটা গদি ছিল। উসামাহকে তিনি তাঁর পশ্চাতে উপবিষ্ট করেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৬)

৭৭/৯৯. অধ্যায়ঃ
এক সাওয়ারীর উপর তিনজন বসা।

৫৯৬৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ اسْتَقْبَلَهُ أُغَيْلِمَةُ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَحَمَلَ وَاحِدًا بَيْنَ يَدَيْهِ وَالآخَرَ خَلْفَهُ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আসেন, তখন ‘আবদুল মুত্তালিব গোত্রের তরুণরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। তাদের একজনকে তিনি তাঁর সম্মুখে এবং অন্য একজনকে তাঁর পশ্চাতে উঠিয়ে নেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৭)

৭৭/১০০. অধ্যায়ঃ
সওয়ারীর মালিক অন্যকে সামনে বসাতে পারে কি না?

কেউ কেউ বলেছেন সওয়ারীর মালিক সামনে বসার অধিক হকদার, তবে যদি কাউকে সে অনুমতি দেয়।

৫৯৬৬
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، ذُكِرَ الأَشَرُّ الثَّلاَثَةُ عِنْدَ عِكْرِمَةَ فَقَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ حَمَلَ قُثَمَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَالْفَضْلَ خَلْفَهُ، أَوْ قُثَمَ خَلْفَهُ، وَالْفَضْلَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَيُّهُمْ شَرٌّ أَوْ أَيُّهُمْ خَيْرٌ‏.‏

আইউব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, খারাপ তিন লোকের কথা ইকরামার কাছে উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আসেন তখন তিনি কুসামকে (তাঁর সওয়ারীর) সম্মুখে ও ফায্‌লকে পশ্চাতে উপবিষ্ট করেন। অথবা কুসামকে পশ্চাতে ও ফায্‌লকে সম্মুখে উপবিষ্ট করেন। তবে কে তাদের মধ্যে মন্দ অথবা কে তাদের মধ্যে ভাল?(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৮)

৭৭/১০১. অধ্যায়ঃ
জন্তুযানে পুরুষের পেছনে পুরুষের বসা।

৫৯৬৭
حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَيْنَا أَنَا رَدِيفُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ إِلاَّ أَخِرَةُ الرَّحْلِ فَقَالَ ‏”‏ يَا مُعَاذُ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ‏.‏ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا مُعَاذُ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ‏.‏ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا مُعَاذُ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ حَقُّ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ‏”‏‏.‏ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا مُعَاذُ بْنَ جَبَلٍ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ إِذَا فَعَلُوهُ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ ‏”‏‏.‏

মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পশ্চাতে উপবিষ্ট ছিলাম। আমার ও তাঁর মাঝে লাগামের রশি ছাড়া অন্য কিছু্‌ই ছিল না। তিনি বললেনঃ মু’আয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তারপর কিছুক্ষণ চললেন। আবার বললেনঃ হে মু’আয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তারপর আরও কিছুক্ষণ চললেন। আবার বললেনঃ হে মু’আয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বললেনঃ তুমি জান, বান্দার উপর আল্লাহ্‌র কী হক? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূলই বেশি জানেন। তিনি বললেনঃ বান্দার উপর আল্লাহ্‌র হক এই যে, তারা একমাত্র তাঁরই ‘ইবাদাত করবে, অন্য কিছুকে তাঁর অংশীদার গণ্য করবে না। এরপর কিছু সময় চললেন। তারপর বললেনঃ হে মু’আয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বললেনঃ বান্দারা যখন তাদের দায়িত্ব পালন করে, তখন আল্লাহ্‌র প্রতি বান্দার অধিকার কী, তা জান কি? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূলই অধিক জানেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌র উপর বান্দার অধিকার এই যে, তিনি তাদের ‘আযাব দিবেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৯)

৭৭/১০২. অধ্যায়ঃ
সওয়ারীর উপর পুরুষের পশ্চাতে মহিলার উপবেশন।

৫৯৬৮
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَبَّاحٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْبَرَ، وَإِنِّي لَرَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ وَهْوَ يَسِيرُ وَبَعْضُ نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَدِيفُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَثَرَتِ النَّاقَةُ فَقُلْتُ الْمَرْأَةَ‏.‏ فَنَزَلْتُ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّهَا أُمُّكُمْ ‏”‏‏.‏ فَشَدَدْتُ الرَّحْلَ وَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا دَنَا أَوْ رَأَى الْمَدِينَةَ قَالَ ‏”‏ آيِبُونَ تَائِبُونَ، عَابِدُونَ لِرَبِّنَا، حَامِدُونَ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে খাইবার থেকে (মদিনায়) প্রত্যাবর্তন করছিলাম। আমি আবূ ত্বলহার সাওয়ারীর উপর পশ্চাতে উপবিষ্ট ছিলাম, আর তিনি সাওয়ারী চালাচ্ছিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এক সহধর্মিণী তাঁর সাওয়ারীর পশ্চাতে উপবিষ্ট ছিলেন। হঠাৎ উষ্ট্রী হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল। আমি বললামঃ মহিলা, এরপর আমি নেমে পড়লাম। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইনি তোমাদের মা। আমি হাওদাটি শক্ত করে বেঁধে দিলাম। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাওয়ারীতে উঠলেন। যখন তিনি মাদীনাহ্‌র নিকটবর্তী হলেন, কিংবা রাবী বলেছেন, তিনি যখন (মাদীনাহ্‌) দেখতে পেলেন, তখন বললেনঃ আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাহ্‌কারী, আমাদের প্রতিপালকের ‘ইবাদাতকারী, (তাঁর) প্রশংসাকারী।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩০)

৭৭/১০৩. অধ্যায়ঃ
চিৎ হয়ে শয়ন করা এবং এক পা অন্য পায়ের উপর রাখা।

৫৯৬৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ أَبْصَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَضْطَجِعُ فِي الْمَسْجِدِ، رَافِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى‏.‏

আব্বাদ ইবনু তামীম এর চাচা (‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মাসজিদের ভিতর চিৎ হয়ে শয়ন করতে দেখেছেন যখন তাঁর এক পা অন্য পায়ের উপর উঠানো ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩১)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]