সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস দুআ অধ্যায় ৪র্থ ভাগ হাদিস নং ৬৩৯১– ৬৪১১

৮০/৫৭. অধ্যায়ঃ
বারবার দু’আ করা।

৬৩৯১
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْذِرٍ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طُبَّ حَتَّى إِنَّهُ لَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ قَدْ صَنَعَ الشَّىْءَ وَمَا صَنَعَهُ، وَإِنَّهُ دَعَا رَبَّهُ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَشَعَرْتِ أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَفْتَانِي فِيمَا اسْتَفْتَيْتُهُ فِيهِ ‏”‏‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَمَا ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ جَاءَنِي رَجُلاَنِ فَجَلَسَ أَحَدُهُمَا عِنْدَ رَأْسِي، وَالآخَرُ عِنْدَ رِجْلَىَّ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ مَا وَجَعُ الرَّجُلِ قَالَ مَطْبُوبٌ‏.‏ قَالَ مَنْ طَبَّهُ قَالَ لَبِيدُ بْنُ الأَعْصَمِ‏.‏ قَالَ فِيمَا ذَا قَالَ فِي مُشْطٍ وَمُشَاطَةٍ وَجُفِّ طَلْعَةٍ‏.‏ قَالَ فَأَيْنَ هُوَ قَالَ فِي ذَرْوَانَ، وَذَرْوَانُ بِئْرٌ فِي بَنِي زُرَيْقٍ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ فَأَتَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ رَجَعَ إِلَى عَائِشَةَ فَقَالَ ‏”‏ وَاللَّهِ لَكَأَنَّ مَاءَهَا نُقَاعَةُ الْحِنَّاءِ، وَلَكَأَنَّ نَخْلَهَا رُءُوسُ الشَّيَاطِينِ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهَا عَنِ الْبِئْرِ، فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَهَلاَّ أَخْرَجْتَهُ قَالَ ‏”‏ أَمَّا أَنَا فَقَدْ شَفَانِي اللَّهُ، وَكَرِهْتُ أَنْ أُثِيرَ عَلَى النَّاسِ شَرًّا ‏”‏‏.‏ زَادَ عِيسَى بْنُ يُونُسَ وَاللَّيْثُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سُحِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا وَدَعَا وَسَاقَ الْحَدِيثَ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) –এর উপর যাদু করা হলো। অবস্থা এমন হলো যে, তাঁর খেয়াল হতো যে, তিনি একটা কাজ করেছেন, অথচ তিনি তা করেননি। সেজন্যে তিনি আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ করলেন। এরপর তিনি [‘আয়িশাহ(রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি জেনেছ কি? আমি যে বিষয়টা আল্লাহ্‌র নিকট হতে জানতে চেয়েছিলাম, তা তিনি আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! তা কী? তিনি বললেনঃ (স্বপ্নের মধ্যে) আমার নিকট দু’জন লোক আসলেন এবং একজন আমার মাথার কাছে, আরেক জন আমার দু’পায়ের কাছে বসলেন। তারপর একজন তার সাথীকে জিজ্ঞেস করলেনঃ এ লোকের রোগটা কী? তখন অপরজন বললেনঃ তিনি যাদুগ্রস্ত। আবার তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তাকে কে যাদু করেছে? অপরজন বললেনঃ লাবীদ ইবনু আ’সাম। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তা কিসের মধ্যে করেছ। তিনি বললেন, চিরুনী, ছেঁড়া চুল ও কাঁচা খেজুর গাছের খোসার মধ্যে। আবার তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ এটা কোথায়? তিনি বললেনঃ যুরাইক গোত্রের ‘যারওয়ান’ কূপের মধ্যে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেখানে গেলেন (তা বের করিয়ে নিয়ে) ‘আয়িশাহ্‌র কাছে ফিরে এসে বললেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! সেই কূপের পানি যেন মেন্দি তলানি পানি এবং এর খেজুর গাছগুলো ঠিক যেন শয়তানের মাথা। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফিরে এসে তাঁর কাছে কূপের বিস্তারিত বর্ণনা দিলেন। তখন আমি বললামঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি এ বিষয়টি লোকেদের মাঝে প্রকাশ করে দিলেন না কেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তো আমাকে রোগমুক্ত করেছেন। সুতরাং আমি লোকজনের মাঝে উত্তেজনা ছড়ানো পছন্দ করি না। ‘ঈসা ইবনু ইউনুস ও লায়স (রহঃ)….. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) –কে যাদু করা হলে তিনি বারবার দু’আ করলেন, এভাবে পূর্ণ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৬)

৮০/৫৮. অধ্যায়ঃ
মুশরিকদের উপর বদ দু’আ করা।

ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাদের মুকাবিলায় সাহায্য করুন যেমন দুর্ভিক্ষের সাত বছর দিয়ে ইউসুফ (আঃ)(আরবী) –কে সাহায্য করেছেন। হে আল্লাহ! আপনি আবূ জাহ্‌লকে শাস্তি দিন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাতে বদ দু’আ করলেন। হে আল্লাহ! অমুককে লা’নত করুন ও অমুককে লা’নাত করুন। তখনই ওহী অবতীর্ণ হলোঃ তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদের শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে আপনার করণীয় কিছুই নেই। (সূরাহ আলে ‘ইমরান ৩/১২৮)

৬৩৯২
حَدَّثَنَا ابْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي أَوْفَى ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الأَحْزَابِ فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ ‏”‏‏.‏

ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (খন্দকের যুদ্ধে) শ্ত্রু বাহিনীর উপর বদ দু’আ করেছেনঃ হে আল্লাহ! হে কিতাব নাযিলকারী! হে ত্বরিৎ হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শ্ত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করুন। তাদের পরাস্ত করুন এবং তাদের প্রকম্পিত করে দিন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৭)

৬৩৯৩
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَالَ ‏”‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏‏.‏ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ مِنْ صَلاَةِ الْعِشَاءِ قَنَتَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَنْجِ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ، اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، اللَّهُمَّ أَنْجِ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، اللَّهُمَّ أَنْجِ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এশার শেষ রাক’আতে যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ্‌’ বলতেন তখন কুনূতে (নাযিলা) পড়তেনঃ হে আল্লাহ! আইয়্যাশ ইবনু আবূ রাবী’আহ্‌কে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদকে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! সালামাহ ইবনু হিশামকে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! আপনি দুর্বল মু’মিনদের মুক্ত করুন। হে আল্লাহ! আপনি মুযার গোত্রকে ভয়াবহ শাস্তি দিন। হে আল্লাহ! আপনি তাদের উপর ইউসুফ (আঃ) -এর সময়ের দুর্ভিক্ষের বছরের মত দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৮)

৬৩৯৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً يُقَالُ لَهُمُ الْقُرَّاءُ فَأُصِيبُوا، فَمَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ عَلَى شَىْءٍ مَا وَجَدَ عَلَيْهِمْ، فَقَنَتَ شَهْرًا فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ وَيَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ عُصَيَّةَ عَصَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏”‏‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটা সারীয়্যা (ক্ষুদ্র বাহিনী) প্রেরণ করলেন। তাদের কুর্‌রা বলা হতো। তাদের হত্যা করা হলো। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে এদের ব্যাপারে যেরূপ রাগান্বিত দেখেছি অন্য কারণে তেমন রাগান্বিত দেখিনি। এজন্য তিনি ফজরের সালাতে এক মাস ধরে কুনূত পড়লেন। তিনি বলতেনঃ উসায়্যা গোত্র আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে।[১০০১; মুসলিম ৫/৫৪, হাঃ ৬৭৭, আহমাদ ১২১৫৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৯)

৬৩৯৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ الْيَهُودُ يُسَلِّمُونَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُونَ السَّامُ عَلَيْكَ‏.‏ فَفَطِنَتْ عَائِشَةُ إِلَى قَوْلِهِمْ فَقَالَتْ عَلَيْكُمُ السَّامُ وَاللَّعْنَةُ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَهْلاً يَا عَائِشَةُ، إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الأَمْرِ كُلِّهِ ‏”‏‏.‏ فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَوَلَمْ تَسْمَعْ مَا يَقُولُونَ قَالَ ‏”‏ أَوَلَمْ تَسْمَعِي أَنِّي أَرُدُّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ فَأَقُولُ وَعَلَيْكُمْ ‏”‏‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়াহূদী সম্প্রদায়ের লোকেরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে সালাম করার সময় বলতো ‘আস্‌সামু ‘আলাইকা’ (ধ্বংস তোমার প্রতি)। ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাদের এ কথার খারাপ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বললেনঃ ‘আলাইকুমুস্‌সাম ওয়াল্‌লা‘নত’ (ধ্বংস তোমাদের প্রতি ও লা’নত)। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘আয়িশাহ থামো! আল্লাহ তা’আলা সকল বিষয়েই নম্রতা পছন্দ করেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ তারা কি বলেছে আপনি কি তা শুনেননি? তিনি বললেন, আমি তাদের কথার জওয়াবে ‘ওয়া’আলাইকুম’ বলেছি- তা তুমি শুননি? আমি বলেছি, তোমাদের উপরও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪০)

৬৩৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْخَنْدَقِ، فَقَالَ ‏ “‏ مَلأَ اللَّهُ قُبُورَهُمْ وَبُيُوتَهُمْ نَارًا، كَمَا شَغَلُونَا عَنْ صَلاَةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ ‏”‏‏.‏ وَهْىَ صَلاَةُ الْعَصْرِ‏.‏

আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তাদের গৃহ এবং ক্ববরকে আগুন দিয়ে ভর্তি করে দিন। কারণ তারা আমাদেরকে ‘সলাতুল উস্তা’ থেকে বারিত করে রেখেছে। এমনকি সূর্য ডুবে গেল। আর ‘সলাতুল উস্তা’ হলো আসর সলাত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪১)

৮০/৫৯. অধ্যায় :
মুশরিকদের জন্য দু’আ।

৬৩৯৭
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَدِمَ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ دَوْسًا قَدْ عَصَتْ وَأَبَتْ، فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهَا‏.‏ فَظَنَّ النَّاسُ أَنَّهُ يَدْعُو عَلَيْهِمْ، فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَأْتِ بِهِمْ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তুফাইল ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) –এর কাছে এসে বললেনঃ দাওস গোত্র বিরুদ্ধাচরণ করেছে ও অবাধ্য হয়েছে এবং ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। সুতরাং আপনি তাদের উপর বদ’দুআ করুন। সাহাবীগণ ভাবলেন যে, তিনি তাদের উপর বদ দু’আই করবেন। কিন্তু তিনি (তাদের জন্য) দু’আ করলেনঃ হে আল্লাহ্‌! আপনি দাওস গোত্রকে হিদায়াত দান করুন। আর তাদের মুসলিম করে নিয়ে আসুন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪২)

৮০/৬০. অধ্যায় :
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর দু’আঃ হে আল্লাহ্‌! আমার আগের ও পরের গুনাহ মাফ করে দিন।

৬৩৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكَ بْنُ صَبَّاحٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ ‏ “‏ رَبِّ اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي وَإِسْرَافِي فِي أَمْرِي كُلِّهِ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي خَطَايَاىَ وَعَمْدِي وَجَهْلِي وَهَزْلِي، وَكُلُّ ذَلِكَ عِنْدِي، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ، وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ وَحَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏ بِنَحْوِهِ.‏

আবূ মূসা (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরুপ দু’আ করতেনঃ হে আল্লাহ্‌! আপনি ক্ষমা করে দিন আমার অনিচ্ছাকৃত গুনাহ, আমার অজ্ঞতা, আমার কাজের সকল বাড়াবাড়ি এবং আমার যেসব গুনাহ আপনি আমার চেয়ে অধিক জানেন। হে আল্লাহ্‌! আপনি ক্ষমা করে দিন আমার ভুল-ত্রুটি, আমার ইচ্ছাকৃত গুনাহ ও আমার অজ্ঞতা এবং আমার উপহাসমূলক গুনাহ আর এ রকম গুনাহ যা আমার মধ্যে আছে। হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন যেসব গুনাহ আমি আগে করেছি। আপনিই অগ্রবর্তী করেন, আপনিই পশ্চাদবর্তী করেন এবং আপনিই সব বিষয়োপরি সর্বশক্তিমান।[৬৩৯৯; মুসলিম ৪৮/১৮, হাঃ ২৭১৯, আহমাদ ১৯৭৫৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৩)

৬৩৯৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى، وَأَبِي، بُرْدَةَ ـ أَحْسِبُهُ ـ عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَدْعُو ‏ “‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي وَإِسْرَافِي فِي أَمْرِي، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي هَزْلِي وَجِدِّي وَخَطَاىَ وَعَمْدِي، وَكُلُّ ذَلِكَ عِنْدِي ‏”‏‏.‏

আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’আ করতেনঃ হে আল্লাহ্‌! আপনি ক্ষমা করে দিন আমার ভুল-ত্রুটিজনিত গুনাহ, আমার অজ্ঞতা, আমার বাড়াবাড়ি এবং আর যা আপনি আমার চেয়ে বেশি জানেন। হে আল্লাহ্‌! আপনি ক্ষমা করে দিন আমার হাসি-ঠাট্টামূলক গুনাহ, আমার প্রকৃত গুনাহ, আমার অনিচ্ছাকৃত গুনাহ এবং ইচ্ছাকৃত গুনাহ, এসব গুনাহ যা আমার মধ্যে আছে। [৬৩৯৮; মুসলিম ৪৮/১৮, হাঃ ২৭১৯, আহমাদ ১৯৭৫৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৪)

৮০/৬১. অধ্যায় :
জুম’আহর দিনে দু’আ কবুলের সময় দু’আ করা।

৬৪০০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا مُسْلِمٌ وَهْوَ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ خَيْرًا إِلاَّ أَعْطَاهُ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ بِيَدِهِ قُلْنَا يُقَلِّلُهَا يُزَهِّدُهَا‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, জুম’আহ্‌র দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যদি সে মুহূর্তটিতে কোন মুসলিম দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে, আল্লাহ্‌র কাছে কোন কল্যাণের জন্য দু’আ করলে তা আল্লাহ্‌ তাকে দান করবেন। তিনি এ হাদীস বর্ণনার সময় আপন হাত দিয়ে ইঙ্গিত করলে আমরা বললাম (বুঝলাম) যে, মুহূর্তটির সময় খুবই স্বল্প।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৫)

৮০/৬২ অধ্যায় :
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর বাণীঃ ইয়াহুদীদের সম্পর্কে আমাদের বদ দু’আ কবূল হবে। কিন্তু আমাদের সম্পর্কে তাদের বদ্‌ দু’আ কবূল হবে না।

৬৪০১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها أَنَّ الْيَهُودَ، أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكَ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَعَلَيْكُمْ ‏”‏‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ السَّامُ عَلَيْكُمْ، وَلَعَنَكُمُ اللَّهُ وَغَضِبَ عَلَيْكُمْ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَهْلاً يَا عَائِشَةُ، عَلَيْكِ بِالرِّفْقِ، وَإِيَّاكِ وَالْعُنْفَ أَوِ الْفُحْشَ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ أَوَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا قَالَ ‏”‏ أَوَلَمْ تَسْمَعِي مَا قُلْتُ رَدَدْتُ عَلَيْهِمْ، فَيُسْتَجَابُ لِي فِيهِمْ، وَلاَ يُسْتَجَابُ لَهُمْ فِيَّ ‏”‏‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার একদল ইয়াহূদী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর নিকট এসে সালাম দিতে গিয়ে বললোঃ ‘আস্‌সামু ‘আলাইকা’। তিনি বললেনঃ ‘ওয়াআলাইকুম’। কিন্তু ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ ‘আস্‌সামু ‘আলাইকুম ওয়া লা’য়ানাকুমুল্লাহ ওয়া গাযিবা ‘আলাইকুম’ (তোমরা ধ্বংস হও, আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর লা’নাত করুন, আর তোমাদের উপর গযব অবতীর্ণ করুন)। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ তুমি থামো! তুমি নম্রতা অবলম্বন করো, আর তুমি কঠোরতা বর্জন করো। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ তারা কী বলেছে আপনি কি শুনেননি? তিনি বললেনঃ আমি যা বলেছি, তা কি তুমি শুননি? আমি তো তাদের কথাটা তাদের উপরই ফিরিয়ে দিলাম। কাজেই তাদের উপর আমার বদ্‌’ দু’আ কবূল হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ব্যাপারে তাদের বদ দু’আ কবূল হবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৬)

৮০/৬৩. অধ্যায় :
আমীন বলা।

৬৪০২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَاهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَمَّنَ الْقَارِئُ فَأَمِّنُوا، فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تُؤَمِّنُ، فَمَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏‏.‏

আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী বলেছেন, যখন ক্বারী ‘আমীন’ বলবে তখন তোমরাও আমীন বলবে। কারণ এ সময় ফেরেশতা আমীন বলে থাকেন। সুতরাং যার আমীন বলা ফেরেশতার আমীন বলার সঙ্গে মিলে যাবে, তার পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৭)

৮০/৬৪. অধ্যায় :
‘লা ইলাহা ইল্লালাহ্‌’-এর (যিক্‌র করার) ফাযীলাত।

৬৪০৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ‏.‏ فِي يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ، كَانَتْ لَهُ عَدْلَ عَشْرِ رِقَابٍ، وَكُتِبَ لَهُ مِائَةُ حَسَنَةٍ، وَمُحِيَتْ عَنْهُ مِائَةُ سَيِّئَةٍ، وَكَانَتْ لَهُ حِرْزًا مِنَ الشَّيْطَانِ يَوْمَهُ ذَلِكَ، حَتَّى يُمْسِيَ، وَلَمْ يَأْتِ أَحَدٌ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلاَّ رَجُلٌ عَمِلَ أَكْثَرَ مِنْهُ ‏”‏‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দিনের মধ্যে একশ’ বার পড়বে ‘আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।’ সে একশ’ গোলাম মুক্ত করার সাওয়াব লাভ করবে এবং তার জন্য একশ’টি নেকী লেখা হবে, আর তার একশ’টি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে। আর সে দিন সন্ধ্যা অবধি এটা তার জন্য রক্ষাকবচ হবে এবং তার চেয়ে অধিক ফাযীলাতপূর্ণ ‘আমাল আর কারো হবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে ব্যক্তি এ ‘আমল তার চেয়েও অধিক করবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৮)

৬৪০৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ مَنْ قَالَ عَشْرًا كَانَ كَمَنْ أَعْتَقَ رَقَبَةً مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ‏.‏ قَالَ عُمَرُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي السَّفَرِ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ رَبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ مِثْلَهُ‏.‏ فَقُلْتُ لِلرَّبِيعِ مِمَّنْ سَمِعْتَهُ فَقَالَ مِنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ‏.‏ فَأَتَيْتُ عَمْرَو بْنَ مَيْمُونٍ فَقُلْتُ مِمَّنْ سَمِعْتَهُ فَقَالَ مِنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى‏.‏ فَأَتَيْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى فَقُلْتُ مِمَّنْ سَمِعْتَهُ فَقَالَ مِنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ يُحَدِّثُهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَوْلَهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏ وَقَالَ مُوسَى حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏ وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ الرَّبِيعِ قَوْلَهُ‏.‏ وَقَالَ آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَيْسَرَةَ سَمِعْتُ هِلاَلَ بْنَ يَسَافٍ عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ وَعَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَوْلَهُ‏.‏ وَقَالَ الأَعْمَشُ وَحُصَيْنٌ عَنْ هِلاَلٍ عَنِ الرَّبِيعِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَوْلَهُ‏.‏ وَرَوَاهُ أَبُو مُحَمَّدٍ الْحَضْرَمِيُّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏ كَانَ كَمَنْ أَعْتَقَ رَقَبَةً مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلِ قَالَ أَبُو عَبْد اللَّهِ وَالصَّحِيحُ قَوْلُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَمْرٍو.‏

আম্‌র ইবনু মাইমুন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক (এ কথাগুলো) দশবার পড়বে সে ঐ লোকের সমান হয়ে যাবে, সে লোক ইসমাঈল (আঃ) -এর বংশ থেকে একটা গোলাম মুক্ত করে দিয়েছে। শাবীও রাবী ইবনু খুসাইম হতে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমর ইবনু মায়মূন হতে। আমর ইবনু মায়মূনের নিকট থেকে শুনেছেন? তিনি বলেন, ‘আমর ইবনু মায়মূন হতে। ‘আমর ইবনু মায়মূনের নিকট গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করল, আপনি এ হাদীস কার নিকট হতে শুনেছেন? তিনি বললেন, ইবনু আবূ লায়লা হতে। আমি ইবনু আবূ লায়লার নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এটি কার নিকট হতে শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি এটি আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) -কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণনা করতে শুনেছি।

কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন সনদে অনুরুপ হাদীস আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকেও বর্ণিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ হাদীসটি তাঁর নিকটেও বলেছেন।

আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে ইসমাঈলের বংশধরের কোন গোলামকে আযাদ করলো। আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী বলেন, ‘’আবদুল মালিক বিন ‘’আমর-এর উক্তিটিই সঠিক। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৯)

৮০/৬৫. অধ্যায় :
সুবহানাল্লাহ পাঠের ফাযীলাত।

৬৪০৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ‏.‏ فِي يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ خَطَايَاهُ، وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক প্রতিদিন একশ’বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ বলবে তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও।[মুসলিম ৪৮/১০, হাঃ ২৬৯১, আহমাদ ৮০১৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫০)

৬৪০৬
زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلٰى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ حَبِيبَتَانِ إِلٰى الرَّحْمٰنِسُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه„.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ দুটি বাক্য এমন যা মুখে উচ্চারণ করা অতি সহজ, পাল্লায় অতি ভারী, আর আল্লাহ্‌র নিকট অতি প্রিয়। তা হলোঃ সুবহানাল্লাহিল আযীম, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ।[৬৬৮২, ৭৫৬৩; মুসলিম ৪৮/১০, হাঃ ২৬৯৪, আহমাদ ৭১৭০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫১)

৮০/৬৬. অধ্যায় :
আল্লাহ তা’’আলার যিক্‌র-এর ফাযীলাত।

৬৪০৭
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسٰى قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَثَلُ الَّذِي يَذْكُرُ رَبَّه“ وَالَّذِي لاَ يَذْكُرُ رَبَّه“ مَثَلُ الْحَيِّ وَالْمَيِّتِ.

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে তার প্রতিপালকের যিক্‌র করে, আর যে যিক্‌র করে না, তাদের উপমা হলো জীবিত ও মৃত ব্যক্তি।[মুসলিম ৬/২৯, হাঃ ৭৭৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫২)

৬৪০৮
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ لله مَلاَئِكَةً يَطُوفُونَ فِي الطُّرُقِ يَلْتَمِسُونَ أَهْلَ الذِّكْرِ فَإِذَا وَجَدُوا قَوْمًا يَذْكُرُونَ اللهَ تَنَادَوْا هَلُمُّوا إِلٰى حَاجَتِكُمْ قَالَ فَيَحُفُّونَهُمْ بِأَجْنِحَتِهِمْ إِلٰى السَّمَاءِ الدُّنْيَا قَالَ فَيَسْأَلُهُمْ رَبُّهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ مِنْهُمْ مَا يَقُوْلُ عِبَادِي قَالُوا يَقُوْلُونَ يُسَبِّحُونَكَ وَيُكَبِّرُونَكَ وَيَحْمَدُونَكَ وَيُمَجِّدُونَكَ قَالَ فَيَقُوْلُ هَلْ رَأَوْنِي قَالَ فَيَقُوْلُونَ لاَ وَاللهِ مَا رَأَوْكَ قَالَ فَيَقُوْلُ وَكَيْفَ لَوْ رَأَوْنِي قَالَ يَقُوْلُونَ لَوْ رَأَوْكَ كَانُوا أَشَدَّ لَكَ عِبَادَةً وَأَشَدَّ لَكَ تَمْجِيدًا وَتَحْمِيدًا وَأَكْثَرَ لَكَ تَسْبِيحًا قَالَ يَقُوْلُ فَمَا يَسْأَلُونِي قَالَ يَسْأَلُونَكَ الْجَنَّةَ قَالَ يَقُوْلُ وَهَلْ رَأَوْهَا قَالَ يَقُوْلُونَ لاَ وَاللهِ يَا رَبِّ مَا رَأَوْهَا قَالَ يَقُوْلُ فَكَيْفَ لَوْ أَنَّهُمْ رَأَوْهَا قَالَ يَقُوْلُونَ لَوْ أَنَّهُمْ رَأَوْهَا كَانُوا أَشَدَّ عَلَيْهَا حِرْصًا وَأَشَدَّ لَهَا طَلَبًا وَأَعْظَمَ فِيهَا رَغْبَةً قَالَ فَمِمَّ يَتَعَوَّذُونَ قَالَ يَقُوْلُونَ مِنْ النَّارِ قَالَ يَقُوْلُ وَهَلْ رَأَوْهَا قَالَ يَقُوْلُونَ لاَ وَاللهِ يَا رَبِّ مَا رَأَوْهَا قَالَ يَقُوْلُ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْهَا قَالَ يَقُوْلُونَ لَوْ رَأَوْهَا كَانُوا أَشَدَّ مِنْهَا فِرَارًا وَأَشَدَّ لَهَا مَخَافَةً قَالَ فَيَقُوْلُ فَأُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ قَالَ يَقُوْلُ مَلَكٌ مِنْ الْمَلاَئِكَةِ فِيهِمْ فُلاَنٌ لَيْسَ مِنْهُمْ إِنَّمَا جَاءَ لِحَاجَةٍ قَالَ هُمْ الْجُلَسَاءُ لاَ يَشْقٰى بِهِمْ جَلِيسُهُمْ

رَوَاه“ شُعْبَةُ عَنْ الأَعْمَشِ وَلَمْ يَرْفَعْه“ وَرَوَاه“ سُهَيْلٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র একদল ফেরেশতা আছেন, যাঁরা আল্লাহ্‌র যিক্‌রে রত লোকদের খোঁজে পথে পথে ঘুরে বেড়ান। যখন তাঁরা কোথাও আল্লাহ্‌র যিক্‌রে রত লোকদের দেখতে পান, তখন ফেরেশতারা পরস্পরকে ডাক দিয়ে বলেন, তোমার আপন আপন কাজ করার জন্য এগিয়ে এসো। তখন তাঁরা তাঁদের ডানাগুলো দিয়ে সেই লোকদের ঢেকে ফেলেন নিকটবর্তী আকাশ পর্যন্ত। তখন তাঁদের প্রতিপালক তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন (যদিও ফেরেশতাদের চেয়ে তিনিই অধিক জানেন) আমার বান্দারা কী বলছে? তখন তাঁরা বলে, তারা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছে, তারা আপনার শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিচ্ছে, তারা আপনার গুণগান করছে এবং তারা আপনার মাহাত্ম্য প্রকাশ করছে। তখন তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তারা কি আমাকে দেখেছে? তখন তারা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার শপথ! তারা আপনাকে দেখেনি। তিনি বলবেন, আচ্ছা, তবে যদি তারা আমাকে দেখত? তাঁরা বলবেন, যদি তারা আপনাকে দেখত, তবে তারা আরও অধিক পরিমাণে আপনার ‘ইবাদাত করত, আরো অধিক আপনার মাহাত্ম্য ঘোষণা করত, আরো অধিক পরিমানে আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করত। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহ্‌ বলবেন, তারা আমার কাছে কি চায়? তাঁরা বলবে, তারা আপনার কাছে জান্নাত চায়। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তারা কি জান্নাত দেখেছে? ফেরেশতারা বলবেন, না। আপনার সত্তার কসম! হে রব! তারা তা দেখেনি। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, যদি তারা দেখত তবে তারা কী করত? তাঁরা বলবে, যদি তারা তা দেখত তাহলে তারা জান্নাতের আরো অধিক লোভ করত, আরো বেশি চাইত এবং এর জন্য আরো বেশি বেশি আকৃষ্ট হত। আল্লাহ্‌ তা’’আলা জিজ্ঞেস করবেন, তারা কি থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয় চায়? ফেরেশতাগণ বলবেন, জাহান্নাম থেকে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তারা কি জাহান্নাম দেখেছে? তাঁরা জবাব দেবে, আল্লাহ্‌র কসম! হে প্রতিপালক! তারা জাহান্নাম দেখেনি। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, যদি তারা তা দেখত তখন তাদের কী হত? তাঁরা বলবে, যদি তারা তা দেখত, তাহলে তারা তাত্থেকে দ্রুত পালিয়ে যেত এবং একে অত্যন্ত বেশি ভয় করত। তখন আল্লাহ্‌ তা’আলা বলবেন, আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি, আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম। তখন ফেরেশতাদের একজন বলবে, তাঁদের মধ্যে অমুক ব্যক্তি আছে, যে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং সে কোন প্রয়োজনে এসেছে। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলবেন, তারা এমন উপবেশনকারী যাদের মাজলিসে উপবেশনকারী বিমুখ হয় না।

শু’বা এটিকে আ‘মাশ হতে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি তাকে চিনেন না। সুহাইল তার পিতা হতে, তিনি আবূ হুরায়রা হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে এটি বর্ণনা করেছেন। [মুসলিম ৪৮/৮, হাঃ ২৬৮৯, আহমাদ ৭৪৩০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫৩)

৮০/৬৭. অধ্যায় :
‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্‌’’ বলা

৬৪০৯
مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَبِي مُوسٰى الأَشْعَرِيِّ قَالَ أَخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي عَقَبَةٍ أَوْ قَالَ فِي ثَنِيَّةٍ قَالَ فَلَمَّا عَلاَ عَلَيْهَا رَجُلٌ نَاد‘ى فَرَفَعَ صَوْتَه“ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ قَالَ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلٰى بَغْلَتِه„ قَالَ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا ثُمَّ قَالَ يَا أَبَا مُوسٰى أَوْ يَا عَبْدَ اللهِ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلٰى كَلِمَةٍ مِنْ كَنْزِ الْجَنَّةِ قُلْتُ بَلٰى قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ.

আবূ মূসা আল আশ’’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা বর্ণনাকারী বলেন, একটি চূড়া হয়ে যাচ্ছিলেন, যখন তার উপর উঠলেন তখন এক ব্যক্তি উচ্চকণ্ঠে বলল, ‘লা ইলাহা ইলাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’। বর্ণনাকারী বলেনঃ তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর খচ্চরের উপরে ছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তো কোন বধির কিংবা কোন অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। তারপর তিনি বললেনঃ হে আবূ মূসা, অথবা বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ্। আমি কি তোমাকে জান্নাতের ধন ভান্ডারের একটি বাক্য বলে দেব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, বলে দিন। তিনি বললেনঃ তা হচ্ছে‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্’।[২৯৯২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫৪)

৮০/৬৮. অধ্যায়
আল্লাহ্‌র এক কম একশত নাম আছে।

৬৪১০
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَفِظْنَاه“ مِنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رِوَايَةً قَالَ لله تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ اسْمًا مِائَةٌ إِلاَّ وَاحِدًا لاَ يَحْفَظُهَا أَحَدٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَهُوَ وَتْرٌ يُحِبُّ الْوَتْرَ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌ তা‘আলার নিরানব্বই নাম আছে, এক কম একশত নাম। যে ব্যক্তি এ (নাম) গুলোর হিফাযাত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ্‌ বিজোড়। তিনি বিজোড় পছন্দ করেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, ‘মান আহসাহা’ অর্থ যে হিফাযাত করল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫৫)

৮০/৬৯. অধ্যায় :
কিছু সময় বাদ দিয়ে নাসীহাত করা।

৬৪১১
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ حَدَّثَنِي شَقِيقٌ، قَالَ كُنَّا نَنْتَظِرُ عَبْدَ اللَّهِ إِذْ جَاءَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ فَقُلْنَا أَلاَ تَجْلِسُ قَالَ لاَ وَلَكِنْ أَدْخُلُ فَأُخْرِجُ إِلَيْكُمْ صَاحِبَكُمْ، وَإِلاَّ جِئْتُ أَنَا‏.‏ فَجَلَسْتُ فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ وَهْوَ آخِذٌ بِيَدِهِ فَقَامَ عَلَيْنَا فَقَالَ أَمَا إِنِّي أَخْبَرُ بِمَكَانِكُمْ، وَلَكِنَّهُ يَمْنَعُنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَخَوَّلُنَا بِالْمَوْعِظَةِ فِي الأَيَّامِ، كَرَاهِيَةَ السَّآمَةِ عَلَيْنَا‏.‏

শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস‘ঊদ -এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় ইয়াযিদ ইব্‌নু মু‘আবিয়াহ (রাঃ) এসে পড়লেন। তখন আমরা তাঁকে বললাম, আপনি কি বসবেন না? তিনি বললেন, না, বরং আমি ভেতরে যাব এবং আপনাদের নিকট আপনাদের সঙ্গীকে নিয়ে আসব। নইলে আমি ফিরে এসে বসব। সুতরাং ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস‘ঊদ (রাঃ) তাঁর হাত ধরে বেরিয়ে এলেন। তিনি আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, আমি তো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবার কথা অবহিত ছিলাম। কিন্তু আপনাদের নিকট বেরিয়ে আসার ব্যপারে আমাকে বাধা দিচ্ছিল এ কথাটা যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওয়ায নাসীহাত করতে আমাদের বিরতি দিতেন, যাতে আমাদের বিরক্তি বোধ না হয়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫৬

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]