সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস ফিতনা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৭০৯৯– ৭১৩৬

৯২/১৮. অধ্যায়ঃ
সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে অর্পণ করে।

৭০৯৯
عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ حَدَّثَنَا عَوْفٌ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ لَقَدْ نَفَعَنِي اللهُ بِكَلِمَةٍ أَيَّامَ الْجَمَلِ لَمَّا بَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ فَارِسًا مَلَّكُوا ابْنَةَ كِسْرَى قَالَ لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمْ امْرَأَةً.

আবূ বাক্‌রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একটি কথা দিয়ে আল্লাহ জঙ্গে জামাল (উষ্ট্রের যুদ্ধ) এর সময় আমাকে বড়ই উপকৃত করেছেন। (তা হল) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যখন এ খবর পৌছল যে, পারস্যের লোকেরা কিস্‌রার মেয়েকে তাদের শাসক নিযুক্ত করেছে, তখন তিনি বললেনঃ সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে অর্পণ করে। [১৬০](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৮)


[১৬০] মুসলমানরা যদি সফলতা পেতে চায় তবে তাদেরকে অবশ্যই নারী নেতৃত্ব পরিহার করতে হবে।

৭১০০
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ حَدَّثَنَا أَبُو مَرْيَمَ عَبْدُ اللهِ بْنُ زِيَادٍ الأَسَدِيُّ قَالَ لَمَّا سَارَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَعَائِشَةُ إِلَى الْبَصْرَةِ بَعَثَ عَلِيٌّ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ وَحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ فَقَدِمَا عَلَيْنَا الْكُوفَةَ فَصَعِدَا الْمِنْبَرَ فَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَوْقَ الْمِنْبَرِ فِي أَعْلاَهُ وَقَامَ عَمَّارٌ أَسْفَلَ مِنْ الْحَسَنِ فَاجْتَمَعْنَا إِلَيْهِ فَسَمِعْتُ عَمَّارًا يَقُولُ إِنَّ عَائِشَةَ قَدْ سَارَتْ إِلَى الْبَصْرَةِ وَ وَاللهِ إِنَّهَا لَزَوْجَةُ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَكِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ابْتَلاَكُمْ لِيَعْلَمَ إِيَّاهُ تُطِيعُونَ أَمْ هِيَ.

আবূ মারইয়াম ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু যিয়াদ আসাদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ত্বলহা, যুবায়র ও ‘আয়িশাহ (রাঃ) যখন বসরার দিকে গেলেন, তখন ‘আলী (রাঃ) আম্মার ইব্‌নু ইয়াসির ও হাসান ইব্‌নু ‘আলী (রাঃ) – কে পাঠালেন। তাঁরা আমাদের কুফায় আসলেন এবং (মাসজিদের) মিম্বরে উপবেশন করলেন। হাসান ইব্‌নু ‘আলী (রাঃ) মিম্বারের সর্বোচ্চ ধাপে উপবিষ্ট ছিলেন, আর আম্মার (রাঃ) হাসান (রাঃ)-এর নিচের ধাপে দন্ডায়মান ছিলেন। আমরা এসে তাঁর নিকট জড় হলাম। এ সময় আমি শোনলাম, আম্মার (রাঃ) বলেছেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বস্‌রার দিকে রওনা হয়ে গেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের (আমাদের) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পত্নী। কিন্তু আল্লাহ্‌ এ কথা স্পষ্ট করে জেনে নেয়ার জন্য তোমাদের পরীক্ষায় ফেলেছেন যে, তোমরা কি তাঁরই আনুগত্য কর, না তাঁর (অর্থাৎ ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর) আনুগত্য কর। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৯)

৭১০১
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي غَنِيَّةَ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَامَ عَمَّارٌ عَلَى مِنْبَرِ الْكُوفَةِ فَذَكَرَ عَائِشَةَ وَذَكَرَ مَسِيرَهَا وَقَالَ إِنَّهَا زَوْجَةُ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَكِنَّهَا مِمَّا ابْتُلِيتُمْ.

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আম্মার (রাঃ) কূফার (মাসজিদের) মিম্বরে দাঁড়ালেন এবং তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) – ও তাঁর সফরের কথা উল্লেখ্য করলেন। এরপর তিনি বললেন, তিনি (‘আয়িশাহ (রাঃ)) দুনিয়া ও আখিরাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পত্নী। কিন্তু বর্তমানে তোমরা তাঁকে নিয়ে ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২০)

৭১০২
حَدَّثَنَا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يَقُولُ دَخَلَ أَبُو مُوسَى وَأَبُو مَسْعُودٍ عَلَى عَمَّارٍ حَيْثُ بَعَثَهُ عَلِيٌّ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ يَسْتَنْفِرُهُمْ فَقَالاَ مَا رَأَيْنَاكَ أَتَيْتَ أَمْرًا أَكْرَهَ عِنْدَنَا مِنْ إِسْرَاعِكَ فِي هَذَا الأَمْرِ مُنْذُ أَسْلَمْتَ فَقَالَ عَمَّارٌ مَا رَأَيْتُ مِنْكُمَا مُنْذُ أَسْلَمْتُمَا أَمْرًا أَكْرَهَ عِنْدِي مِنْ إِبْطَائِكُمَا عَنْ هَذَا الأَمْرِ وَكَسَاهُمَا حُلَّةً حُلَّةً ثُمَّ رَاحُوا إِلَى الْمَسْجِدِ.

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) যখন যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহবান জানাতে আম্মার (রাঃ) – কে কূফাবাসীদের নিকট পাঠালেন, তখন আবূ মূসা ও আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) তাঁর কাছে হাজির হয়ে বললেন, তোমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে আমাদের জানামতে বর্তমান বিষয়ে (যুদ্ধের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করার বিষয়ে) দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে অপছন্দনীয় কোন কাজ করতে আমরা তোমাকে দেখিনি। তখন আম্মার (রাঃ) বললেন, যখন থেকে আপনারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, আমি আপনাদের কোন কাজ দেখিনি যা আমাদের কাছে অপছন্দনীয় মনে হয়েছে বর্তমানের এ কাজে দেরী করা ব্যতীত। তখন আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) তাদের দু’জনকেই একজোড়া করে পোশাক পরিয়ে দিলেন। এরপর সকলেই (কূফা) মাসজিদের দিকে রওনা হলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২১)

৭১০৩
حَدَّثَنَا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يَقُولُ دَخَلَ أَبُو مُوسَى وَأَبُو مَسْعُودٍ عَلَى عَمَّارٍ حَيْثُ بَعَثَهُ عَلِيٌّ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ يَسْتَنْفِرُهُمْ فَقَالاَ مَا رَأَيْنَاكَ أَتَيْتَ أَمْرًا أَكْرَهَ عِنْدَنَا مِنْ إِسْرَاعِكَ فِي هَذَا الأَمْرِ مُنْذُ أَسْلَمْتَ فَقَالَ عَمَّارٌ مَا رَأَيْتُ مِنْكُمَا مُنْذُ أَسْلَمْتُمَا أَمْرًا أَكْرَهَ عِنْدِي مِنْ إِبْطَائِكُمَا عَنْ هَذَا الأَمْرِ وَكَسَاهُمَا حُلَّةً حُلَّةً ثُمَّ رَاحُوا إِلَى الْمَسْجِدِ.

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) যখন যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহবান জানাতে আম্মার (রাঃ) – কে কূফাবাসীদের নিকট পাঠালেন, তখন আবূ মূসা ও আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) তাঁর কাছে হাজির হয়ে বললেন, তোমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে আমাদের জানামতে বর্তমান বিষয়ে (যুদ্ধের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করার বিষয়ে) দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে অপছন্দনীয় কোন কাজ করতে আমরা তোমাকে দেখিনি। তখন আম্মার (রাঃ) বললেন, যখন থেকে আপনারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, আমি আপনাদের কোন কাজ দেখিনি যা আমাদের কাছে অপছন্দনীয় মনে হয়েছে বর্তমানের এ কাজে দেরী করা ব্যতীত। তখন আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) তাদের দু’জনকেই একজোড়া করে পোশাক পরিয়ে দিলেন। এরপর সকলেই (কূফা) মাসজিদের দিকে রওনা হলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২১)

৭১০৪
حَدَّثَنَا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يَقُولُ دَخَلَ أَبُو مُوسَى وَأَبُو مَسْعُودٍ عَلَى عَمَّارٍ حَيْثُ بَعَثَهُ عَلِيٌّ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ يَسْتَنْفِرُهُمْ فَقَالاَ مَا رَأَيْنَاكَ أَتَيْتَ أَمْرًا أَكْرَهَ عِنْدَنَا مِنْ إِسْرَاعِكَ فِي هَذَا الأَمْرِ مُنْذُ أَسْلَمْتَ فَقَالَ عَمَّارٌ مَا رَأَيْتُ مِنْكُمَا مُنْذُ أَسْلَمْتُمَا أَمْرًا أَكْرَهَ عِنْدِي مِنْ إِبْطَائِكُمَا عَنْ هَذَا الأَمْرِ وَكَسَاهُمَا حُلَّةً حُلَّةً ثُمَّ رَاحُوا إِلَى الْمَسْجِدِ.

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) যখন যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহবান জানাতে আম্মার (রাঃ) – কে কূফাবাসীদের নিকট পাঠালেন, তখন আবূ মূসা ও আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) তাঁর কাছে হাজির হয়ে বললেন, তোমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে আমাদের জানামতে বর্তমান বিষয়ে (যুদ্ধের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করার বিষয়ে) দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে অপছন্দনীয় কোন কাজ করতে আমরা তোমাকে দেখিনি। তখন আম্মার (রাঃ) বললেন, যখন থেকে আপনারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, আমি আপনাদের কোন কাজ দেখিনি যা আমাদের কাছে অপছন্দনীয় মনে হয়েছে বর্তমানের এ কাজে দেরী করা ব্যতীত। তখন আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) তাদের দু’জনকেই একজোড়া করে পোশাক পরিয়ে দিলেন। এরপর সকলেই (কূফা) মাসজিদের দিকে রওনা হলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২১)

৭১০৫
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ أَبِي مَسْعُودٍ وَأَبِي مُوسَى وَعَمَّارٍ فَقَالَ أَبُو مَسْعُودٍ مَا مِنْ أَصْحَابِكَ أَحَدٌ إِلاَّ لَوْ شِئْتُ لَقُلْتُ فِيهِ غَيْرَكَ وَمَا رَأَيْتُ مِنْكَ شَيْئًا مُنْذُ صَحِبْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَعْيَبَ عِنْدِي مِنْ اسْتِسْرَاعِكَ فِي هَذَا الأَمْرِ قَالَ عَمَّارٌ يَا أَبَا مَسْعُودٍ وَمَا رَأَيْتُ مِنْكَ وَلاَ مِنْ صَاحِبِكَ هَذَا شَيْئًا مُنْذُ صَحِبْتُمَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَعْيَبَ عِنْدِي مِنْ إِبْطَائِكُمَا فِي هَذَا الأَمْرِ فَقَالَ أَبُو مَسْعُودٍ وَكَانَ مُوسِرًا يَا غُلاَمُ هَاتِ حُلَّتَيْنِ فَأَعْطَى إِحْدَاهُمَا أَبَا مُوسَى وَالْأُخْرَى عَمَّارًا وَقَالَ رُوحَا فِيهِ إِلَى الْجُمُعَةِ.

শাক্বীক্ব ইব্‌নু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ), আবূ মূসা (রাঃ) ও আম্মার (রাঃ)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) বললেন, তুমি ছাড়া তোমার সঙ্গীদের মাঝে এমন কেউ নেই, যার ব্যাপারে আমি ইচ্ছা করলে কিছু না কিছু বলতে পারি। তবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে দূষণীয় কোন কাজ তোমার নিকট হতে দেখিনি। তখন আম্মার (রাঃ) বললেন, হে আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ)! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তোমাদের সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে ইতস্তত করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে অধিক দূষণীয় কোন কাজ তোমার থেকে এবং তোমার এ সঙ্গী থেকে দেখিনি। আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) ধনবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি (তাঁর খাদেমকে) বললেন, হে বৎস! দু’জোড়া পোশাক নিয়ে এস। এরপর তিনি তার একটি আবূ মূসা (রাঃ) – কে ও অন্যটি আম্মার (রাঃ) – কে দিলেন এবং বললেন, এগুলো প’রে জুম’আহ্‌র সালাতে যাও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২২)

৭১০৬
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ أَبِي مَسْعُودٍ وَأَبِي مُوسَى وَعَمَّارٍ فَقَالَ أَبُو مَسْعُودٍ مَا مِنْ أَصْحَابِكَ أَحَدٌ إِلاَّ لَوْ شِئْتُ لَقُلْتُ فِيهِ غَيْرَكَ وَمَا رَأَيْتُ مِنْكَ شَيْئًا مُنْذُ صَحِبْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَعْيَبَ عِنْدِي مِنْ اسْتِسْرَاعِكَ فِي هَذَا الأَمْرِ قَالَ عَمَّارٌ يَا أَبَا مَسْعُودٍ وَمَا رَأَيْتُ مِنْكَ وَلاَ مِنْ صَاحِبِكَ هَذَا شَيْئًا مُنْذُ صَحِبْتُمَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَعْيَبَ عِنْدِي مِنْ إِبْطَائِكُمَا فِي هَذَا الأَمْرِ فَقَالَ أَبُو مَسْعُودٍ وَكَانَ مُوسِرًا يَا غُلاَمُ هَاتِ حُلَّتَيْنِ فَأَعْطَى إِحْدَاهُمَا أَبَا مُوسَى وَالْأُخْرَى عَمَّارًا وَقَالَ رُوحَا فِيهِ إِلَى الْجُمُعَةِ.

শাক্বীক্ব ইব্‌নু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ), আবূ মূসা (রাঃ) ও আম্মার (রাঃ)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) বললেন, তুমি ছাড়া তোমার সঙ্গীদের মাঝে এমন কেউ নেই, যার ব্যাপারে আমি ইচ্ছা করলে কিছু না কিছু বলতে পারি। তবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে দূষণীয় কোন কাজ তোমার নিকট হতে দেখিনি। তখন আম্মার (রাঃ) বললেন, হে আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ)! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তোমাদের সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে ইতস্তত করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে অধিক দূষণীয় কোন কাজ তোমার থেকে এবং তোমার এ সঙ্গী থেকে দেখিনি। আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) ধনবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি (তাঁর খাদেমকে) বললেন, হে বৎস! দু’জোড়া পোশাক নিয়ে এস। এরপর তিনি তার একটি আবূ মূসা (রাঃ) – কে ও অন্যটি আম্মার (রাঃ) – কে দিলেন এবং বললেন, এগুলো প’রে জুম’আহ্‌র সালাতে যাও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২২)

৭১০৭
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ أَبِي مَسْعُودٍ وَأَبِي مُوسَى وَعَمَّارٍ فَقَالَ أَبُو مَسْعُودٍ مَا مِنْ أَصْحَابِكَ أَحَدٌ إِلاَّ لَوْ شِئْتُ لَقُلْتُ فِيهِ غَيْرَكَ وَمَا رَأَيْتُ مِنْكَ شَيْئًا مُنْذُ صَحِبْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَعْيَبَ عِنْدِي مِنْ اسْتِسْرَاعِكَ فِي هَذَا الأَمْرِ قَالَ عَمَّارٌ يَا أَبَا مَسْعُودٍ وَمَا رَأَيْتُ مِنْكَ وَلاَ مِنْ صَاحِبِكَ هَذَا شَيْئًا مُنْذُ صَحِبْتُمَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَعْيَبَ عِنْدِي مِنْ إِبْطَائِكُمَا فِي هَذَا الأَمْرِ فَقَالَ أَبُو مَسْعُودٍ وَكَانَ مُوسِرًا يَا غُلاَمُ هَاتِ حُلَّتَيْنِ فَأَعْطَى إِحْدَاهُمَا أَبَا مُوسَى وَالْأُخْرَى عَمَّارًا وَقَالَ رُوحَا فِيهِ إِلَى الْجُمُعَةِ.

শাক্বীক্ব ইব্‌নু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ), আবূ মূসা (রাঃ) ও আম্মার (রাঃ)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) বললেন, তুমি ছাড়া তোমার সঙ্গীদের মাঝে এমন কেউ নেই, যার ব্যাপারে আমি ইচ্ছা করলে কিছু না কিছু বলতে পারি। তবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে দূষণীয় কোন কাজ তোমার নিকট হতে দেখিনি। তখন আম্মার (রাঃ) বললেন, হে আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ)! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তোমাদের সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে ইতস্তত করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে অধিক দূষণীয় কোন কাজ তোমার থেকে এবং তোমার এ সঙ্গী থেকে দেখিনি। আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) ধনবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি (তাঁর খাদেমকে) বললেন, হে বৎস! দু’জোড়া পোশাক নিয়ে এস। এরপর তিনি তার একটি আবূ মূসা (রাঃ) – কে ও অন্যটি আম্মার (রাঃ) – কে দিলেন এবং বললেন, এগুলো প’রে জুম’আহ্‌র সালাতে যাও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২২)

৯২/১৯. অধ্যায়ঃ
যখন আল্লাহ্‌ কোন সম্প্রদায়-এর উপর আযাব অবতীর্ণ করেন ।

৭১০৮
عَبْدُ اللهِ بْنُ عُثْمَانَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَنْزَلَ اللهُ بِقَوْمٍ عَذَابًا أَصَابَ الْعَذَابُ مَنْ كَانَ فِيهِمْ ثُمَّ بُعِثُوا عَلَى أَعْمَالِهِمْ.

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন আল্লাহ্‌ কোন কাওমের এর উপর আযাব অবতীর্ণ করেন তখন সেখানে বসবাসরত সকলের উপরই সেই আযাব পতিত হয়। অবশ্য পরে প্রত্যেককে তার ‘আমাল অনুযায়ী উঠানো হবে। [১৬১] [মুসলিম ৫১/১৯, হাঃ ২৮৭৯, আহমাদ ৪৯৮৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৩)


[১৬১] হাদীসটি প্রমাণ করে যে, যখন আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের গুনাহের কারণে তাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করেন তখন তা ভাল মন্দ সবার উপরই অবতীর্ণ হয়। ঐ সম্প্রদায়ের মাঝে অবস্থানকারী সৎ লোকেরা আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা পান না।

“যায়নাব বিনতু জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমাদের মাঝে সৎ লোক থাকা অবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উত্তরে বলেন, হ্যাঁ, যখন নোংরামির মাত্রা বেড়ে যাবে। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, যখন গর্হিত ও গুনাহের কাজ প্রকাশ পাবে তখন সবার ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়বে। তবে সৎ ও মন্দ লোকের মৃত্যুর ব্যাপারে অংশীদারিত্ব নেকী ও শাস্তির ব্যাপারে অংশীদারিত্বকে অপরিহার্য করবে না। বরং তাদের প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ আমলের নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিদান দেয়া হবে। আর এ ক্ষেত্রে সৎ লোকের উপর আযাবের উদ্দেশ্য হবে তাদেরকে পবিত্র করা আর মন্দ লোকের জন্য শাস্তি দেয়া। (ফাতহুল বারী)

৯২/২০. অধ্যায়ঃ
হাসান ইব্‌নু ‘আলী (রাঃ) সম্পর্কে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর উক্তিঃ অবশ্যই আমার এ দৌহিত্র সরদার। আর সম্ভবত আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর মাধ্যমে মুসলিমদের দু’টি দলের মধ্যে মীমাংসা করে দিবেন।

৭১০৯
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ أَبُو مُوسَى وَلَقِيتُهُ بِالْكُوفَةِ وَجَاءَ إِلَى ابْنِ شُبْرُمَةَ فَقَالَ أَدْخِلْنِي عَلَى عِيسَى فَأَعِظَهُ فَكَأَنَّ ابْنَ شُبْرُمَةَ خَافَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَفْعَلْ قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ قَالَ لَمَّا سَارَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالْكَتَائِبِ قَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ لِمُعَاوِيَةَ أَرَى كَتِيبَةً لاَ تُوَلِّي حَتَّى تُدْبِرَ أُخْرَاهَا قَالَ مُعَاوِيَةُ مَنْ لِذَرَارِيِّ الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ أَنَا فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَامِرٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَمُرَةَ نَلْقَاهُ فَنَقُولُ لَهُ الصُّلْحَ قَالَ الْحَسَنُ وَلَقَدْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ قَالَ بَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ جَاءَ الْحَسَنُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ وَلَعَلَّ اللهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنْ الْمُسْلِمِينَ.

হাসান বস্‌রী (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন হাসান ইব্‌নু ‘আলী (রাঃ) সেনাবাহিনী নিয়ে মু‘আবিয়াহ (রাঃ) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রওনা হলেন, তখন ‘আম্‌র ইব্‌নু ‘আস (রাঃ) মু‘আবিয়াহ (রাঃ) – কে বললেন, আমি এমন এক সেনাবাহিনী দেখছি, যারা বিপক্ষকে না ফিরিয়ে যাবে না। মু‘আবিয়াহ (রাঃ) বললেন, তাহলে মুসলিমদের সন্তান-সন্ততির দেখাশুনা কে করবে? ‘আম্‌র ইব্‌নু ‘আস (রাঃ) বললেন, আমি। এ সময় ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু আমির (রাঃ) ও ‘আবদুর রহমান ইব্‌নু সামুরাহ (রাঃ) বললেন, আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করব এবং তাঁকে সন্ধির কথা বলব। হাসান বস্‌রী (রহঃ) বলেন, আমি আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলেন, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণ দিচ্ছিলেন। এমন সময় হাসান (রাঃ) আসলেন। তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে দেখে) বললেনঃ আমার এ দৌহিত্র সরদার আর সম্ভবত আল্লাহ্‌ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে মুসলিমদের দু‘টি দলের মাঝে মীমাংসা করে দিবেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৪)

৭১১০
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ قَالَ عَمْرٌو أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ أَنَّ حَرْمَلَةَ مَوْلَى أُسَامَةَ أَخْبَرَهُ قَالَ عَمْرٌو قَدْ رَأَيْتُ حَرْمَلَةَ قَالَ أَرْسَلَنِي أُسَامَةُ إِلَى عَلِيٍّ وَقَالَ إِنَّهُ سَيَسْأَلُكَ الْآنَ فَيَقُولُ مَا خَلَّفَ صَاحِبَكَ فَقُلْ لَهُ يَقُولُ لَكَ لَوْ كُنْتَ فِي شِدْقِ الأَسَدِ لأَحْبَبْتُ أَنْ أَكُونَ مَعَكَ فِيهِ وَلَكِنَّ هَذَا أَمْرٌ لَمْ أَرَهُ فَلَمْ يُعْطِنِي شَيْئًا فَذَهَبْتُ إِلَى حَسَنٍ وَحُسَيْنٍ وَابْنِ جَعْفَرٍ فَأَوْقَرُوا لِي رَاحِلَتِي.

উসামাহ (রাঃ)-এর গোলাম হারমালাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উসামাহ (রাঃ) আমাকে’ ‘আলী (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। আর তিনি বলে দিলেন যে, সেখানে যাওয়ার পরই (‘আলী (রাঃ)) তোমাকে জিজ্ঞেস করবেন যে, তোমার সাথীকে (আমার সহযোগিতা থেকে) কিসে ফিরিয়ে রেখেছে? তুমি তাঁকে বলবে, তিনি আপনার কাছে এ কথা বলে পাঠিয়েছেন যে, যদি আপনি সিংহের মুখে পড়েন, তবুও আমি আপনার সঙ্গে সেখানে থাকাকে ভাল মনে করব। তবে এ বিষয়টি (অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে) আমি ভাল মনে করছি না। (হারমালাহ বলেন) তিনি (‘আলী (রাঃ)) আমাকে কিছুই দিলেন না। এরপর আমি হাসান, হুসাইন ও ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু জা’ফর (রাঃ)-এর কাছ গেলাম। তাঁরা আমার বাহন বোঝাই করে দিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৫)

৯২/২১. অধ্যায়ঃ
যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে অতঃপর বেরিয়ে এসে উল্টো কথা বলে।

৭১১১
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ قَالَ لَمَّا خَلَعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ جَمَعَ ابْنُ عُمَرَ حَشَمَهُ وَوَلَدَهُ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَإِنَّا قَدْ بَايَعْنَا هَذَا الرَّجُلَ عَلَى بَيْعِ اللهِ وَرَسُولِهِ وَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ غَدْرًا أَعْظَمَ مِنْ أَنْ يُبَايَعَ رَجُلٌ عَلَى بَيْعِ اللهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُنْصَبُ لَهُ الْقِتَالُ وَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ أَحَدًا مِنْكُمْ خَلَعَهُ وَلاَ بَايَعَ فِي هَذَا الأَمْرِ إِلاَّ كَانَتْ الْفَيْصَلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ.

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন মাদীনার লোকেরা ইয়াযীদ ইব্‌নু মু‘আবিয়াহ (রাঃ)-এর বাই‘আত ভঙ্গ করল, তখন ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) তাঁর বিশেষ ভক্তবৃন্দ ও সন্তানদের একত্রিত করলেন এবং বললেন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি যে, ক্বিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে ঝান্ডা (পতাকা) উঠানো হবে। আর আমরা এ লোকটির (ইয়াযীদের) প্রতি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের বর্ণিত শর্তানুযায়ী বাই‘আত গ্রহণ করেছি। বস্তুত কোন একজন লোকের প্রতি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের দেয়া শর্ত মুতাবিক বাই‘আত গ্রহণ করার পর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে বড় কোন বিশ্বাসঘাতকতা আছে বলে জানি না। ইয়াযীদের বাই‘আত ভঙ্গ করেছে, কিংবা তার আনুগত্য করছে না আমি যেন কারো সম্পর্কে জানতে না পাই। তা না হলে তার ও আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৬)

৭১১২
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ عَنْ عَوْفٍ عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ قَالَ لَمَّا كَانَ ابْنُ زِيَادٍ وَمَرْوَانُ بِالشَّأْمِ وَوَثَبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ وَوَثَبَ الْقُرَّاءُ بِالْبَصْرَةِ فَانْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي إِلَى أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَيْهِ فِي دَارِهِ وَهُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ عُلِّيَّةٍ لَهُ مِنْ قَصَبٍ فَجَلَسْنَا إِلَيْهِ فَأَنْشَأَ أَبِي يَسْتَطْعِمُهُ الْحَدِيثَ فَقَالَ يَا أَبَا بَرْزَةَ أَلاَ تَرَى مَا وَقَعَ فِيهِ النَّاسُ فَأَوَّلُ شَيْءٍ سَمِعْتُهُ تَكَلَّمَ بِهِ إِنِّي احْتَسَبْتُ عِنْدَ اللهِ أَنِّي أَصْبَحْتُ سَاخِطًا عَلَى أَحْيَاءِ قُرَيْشٍ إِنَّكُمْ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ كُنْتُمْ عَلَى الْحَالِ الَّذِي عَلِمْتُمْ مِنْ الذِّلَّةِ وَالْقِلَّةِ وَالضَّلاَلَةِ وَإِنَّ اللهَ أَنْقَذَكُمْ بِالإِسْلاَمِ وَبِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَلَغَ بِكُمْ مَا تَرَوْنَ وَهَذِهِ الدُّنْيَا الَّتِي أَفْسَدَتْ بَيْنَكُمْ إِنَّ ذَاكَ الَّذِي بِالشَّأْمِ وَاللهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلاَّ عَلَى الدُّنْيَا وَإِنَّ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ وَاللهِ إِنْ يُقَاتِلُونَ إِلاَّ عَلَى الدُّنْيَا وَإِنْ ذَاكَ الَّذِي بِمَكَّةَ وَاللهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلاَّ عَلَى الدُّنْيَا.

আবু মিনহাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইব্‌নু যিয়াদ ও মারওয়ান যখন সিরিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত ছিলেন এবং ইব্‌নু যুবায়র (রাঃ) মক্কার শাসন ক্ষমতা দখল করেন, আর ক্বারী নামধারীরা (খারেজীরা) বসরায় ক্ষমতায় চেপে বসল, তখন একদিন আমি আমার পিতার সাথে আবূ বারযা আসলামী (রাঃ)-এর উদ্দেশ্যে রওনা করে আমরা তাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি তাঁর বাঁশের তৈরি ঘরের ছায়ায় উপবিষ্ট ছিলেন। আমরা তাঁর কাছে বসলাম। আমার পিতা তাঁর নিকট হতে কিছু হাদীস শুনতে চাইলেন। পিতা বললেন, হে আবূ বারযা! লোকেরা কী ভীষণ বিপদে পড়েছে তা কি আপনি দেখছেন না? সর্বপ্রথম যে কথাটি তাঁকে বলতে শুনলাম তা হল, আমি যে কুরাইশের গোত্রগুলোর প্রতি বিরূপ ভাব পোষণ করি, এজন্য আল্লাহ্‌র কাছে অবশ্যই সওয়াবের আশা করি। হে আরববাসীরা! তোমরা যে কেমন ভ্রষ্টতা, অভাব-অনটন ও লাঞ্ছনার মধ্যে ছিলে তা তোমরা জান। মহান আল্লাহ্ তা’আলা ইসলাম ও মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাধ্যমে সে অবস্থা থেকে মুক্ত করে তোমাদের বর্তমান অবস্থায় পৌঁছিয়েছেন, যা তোমরা দেখছ। আর এ পার্থিব দুনিয়াই তোমাদের মাঝে গোলযোগের সৃষ্টি করেছে। ঐ যে লোকটা সিরিয়ায় (ক্ষমতা বসে আছে) আছে, আল্লাহ্‌র কসম! কেবল পার্থিব স্বার্থ ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে সে লড়াই করেনি। [১৬২](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৭)


[১৬২] আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীরা দুনিয়ার স্বার্থকে ত্যাগ করে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জিহাদ ও যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আজ পার্থিব স্বার্থ উদ্ধারই আমাদের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

৭১১৩
آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ وَاصِلٍ الأَحْدَبِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَالَ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ الْيَوْمَ شَرٌّ مِنْهُمْ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَانُوا يَوْمَئِذٍ يُسِرُّونَ وَالْيَوْمَ يَجْهَرُونَ.

হুযাইফাহ ইব্‌নু ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বর্তমান কালের মুনাফিকরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কালের মুনাফিকদের চেয়েও জঘন্য। কেননা, সে কালে তারা (মুনাফিকী) করত গোপনে আর আজ করে প্রকাশ্যে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৮)

৭১১৪
خَلاَّدٌ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ إِنَّمَا كَانَ النِّفَاقُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَّا الْيَوْمَ فَإِنَّمَا هُوَ الْكُفْرُ بَعْدَ الإِيمَانِ.

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন নিফাক বস্তুত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে ছিল। আর এখন হল তা ঈমান গ্রহণের পর কুফরী।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৯)

৯২/২২. অধ্যায়ঃ
কবরবাসীদের উপর হিংসা না জাগা কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিত হবে না ।

৭১১৫
إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَمُرَّ الرَّجُلُ بِقَبْرِ الرَّجُلِ فَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي مَكَانَهُ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ কোন লোক অন্য লোকের কবরের পাশ দিয়ে যাবার সময় না বলবে, হায়! যদি আমি তার স্থলে হতাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩০)

৯২/২৩. অধ্যায়ঃ
কালের এমন পরিবর্তন ঘটবে যে, আবার মূর্তিপূজা শুরু হবে। [১৬৩]

[১৬৩] কালের এমন পরিবর্তন ঘটবে যে, আবার মূর্তির্পূজা শুরু হবে। বাংলাদেশে শিখা অনির্বাণ, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ আর বিভিন্ন ওজুহাতে মূর্তি নির্মাণই এ কথার সত্যতা প্রমাণ করছে।

৭১১৬
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَضْطَرِبَ أَلَيَاتُ نِسَاءِ دَوْسٍ عَلَى ذِي الْخَلَصَةِ وَذُو الْخَلَصَةِ طَاغِيَةُ دَوْسٍ الَّتِي كَانُوا يَعْبُدُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি যে, ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ ‘যুল্‌খালাসাহ্‌র’ পাশে দাওস গোত্রীয় মহিলাদের নিতম্ব দোলায়িত না হবে।

‘যুলখালাসাহ’ হলো দাওস গোত্রের একটি মূর্তি। জাহিলী যুগে তারা এর ইবাদাত করত।[মুসলিম ৫২/১৭, হাঃ ২৯০৬, আহমাদ ৭৬৮১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩১)


[*] কালের এমন পরিবর্তন ঘটবে যে. আবার মূর্তিপূজা শুরু হবে। বাংলাদেশে শিখা অনির্বান, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ আর বিভিন্ন ওজুহাতে মূর্তি নির্মাণই এ কথার সত্যতা প্রমাণ করছে।

৭১১৭
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ عَنْ ثَوْرٍ عَنْ أَبِي الْغَيْثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ رَجُلٌ مِنْ قَحْطَانَ يَسُوقُ النَّاسَ بِعَصَاهُ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না কাহ্‌তান গোত্র থেকে এমন এক লোক বের হবে, যে মানুষকে লাঠি দিয়ে তাড়িয়ে দেবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩২)

৯২/২৪. অধ্যায়ঃ
আগুন বের হওয়া।

আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের সর্বপ্রথম আলামত হবে আগুন, যা মানুষকে পূর্ব থেকে তাড়িয়ে নিয়ে পশ্চিমে একত্রিত করবে।

৭১১৮
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَخْرُجَ نَارٌ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ تُضِيءُ أَعْنَاقَ الإِبِلِ بِبُصْرَى.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ হিজাযের যমীন থেকে এমন আগুন বের হবে, যা বুস্‌রার উটগুলোর গর্দান আলোকিত করে দেবে।[মুসলিম ৩৩/৪১, হাঃ ১৯০২, আহমাদ ১৯৫৫৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৩)

৭১১৯
عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ جَدِّهِ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُوشِكُ الْفُرَاتُ أَنْ يَحْسِرَ عَنْ كَنْزٍ مِنْ ذَهَبٍ فَمَنْ حَضَرَهُ فَلاَ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا قَالَ عُقْبَةُ وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ يَحْسِرُ عَنْ جَبَلٍ مِنْ ذَهَبٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিকট ভবিষ্যতে ফোরাত নদী তার ভূগর্ভস্থ সোনার খণি বের করে দেবে। সে সময় যারা উপস্থিত থাকবে তারা যেন তা থেকে কিছুই গ্রহণ না করে।

‘উক্বাহ (রাঃ)…..আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীসটি এরূপেই বর্ণনা করেছেন। তবে সেখানে كَنْزٍ مِنْ ذَهَبٍএর স্থলে جَبَلٍ مِنْ ذَهَبٍ (স্বর্ণের পর্বত) উল্লেখ আছে। [মুসলিম ৫২/৮, হাঃ ২৮৯৪, আহমাদ ২১৩১৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৪)

৯২/২৫. অধ্যায়ঃ
তোমরা সাদাকা কর।

৭১২০
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ حَدَّثَنَا مَعْبَدٌ سَمِعْتُ حَارِثَةَ بْنَ وَهْبٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ تَصَدَّقُوا فَسَيَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَمْشِي الرَّجُلُ بِصَدَقَتِهِ فَلاَ يَجِدُ مَنْ يَقْبَلُهَا قَالَ مُسَدَّدٌ حَارِثَةُ أَخُو عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ لِأُمِّهِ قَالَهُ أَبُو عَبْدِ اللهِ.

হারিসা ইব্‌নু ওয়াহ্‌ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা সাদাকা কর। কেননা, শীঘ্রই এমন এক সময় আসবে যে মানুষ সদাকাহ নিয়ে ঘোরাফেরা করবে কিন্তু সদাকাহ গ্রহণ করে এমন কাউকে পাবে না। মুসাদ্দাদ (রহঃ) বলেন, হারিসা ‘উবাইদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ)-এর বৈপিত্রেয় ভাই। [১৬৪](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬২১ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৫)


[১৬৪] আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ ভবিষ্যৎবাণী ওমর (রাঃ)-এর যামানায় পূর্ণ হতে দেখা গিয়েছিল।

৭১২১
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتَتِلَ فِئَتَانِ عَظِيمَتَانِ يَكُونُ بَيْنَهُمَا مَقْتَلَةٌ عَظِيمَةٌ دَعْوَتُهُمَا وَاحِدَةٌ وَحَتَّى يُبْعَثَ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ قَرِيبٌ مِنْ ثَلاَثِينَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَحَتَّى يُقْبَضَ الْعِلْمُ وَتَكْثُرَ الزَّلاَزِلُ وَيَتَقَارَبَ الزَّمَانُ وَتَظْهَرَ الْفِتَنُ وَيَكْثُرَ الْهَرْجُ وَهُوَ الْقَتْلُ وَحَتَّى يَكْثُرَ فِيكُمْ الْمَالُ فَيَفِيضَ حَتَّى يُهِمَّ رَبَّ الْمَالِ مَنْ يَقْبَلُ صَدَقَتَهُ وَحَتَّى يَعْرِضَهُ عَلَيْهِ فَيَقُولَ الَّذِي يَعْرِضُهُ عَلَيْهِ لاَ أَرَبَ لِي بِهِ وَحَتَّى يَتَطَاوَلَ النَّاسُ فِي الْبُنْيَانِ وَحَتَّى يَمُرَّ الرَّجُلُ بِقَبْرِ الرَّجُلِ فَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي مَكَانَهُ وَحَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا فَإِذَا طَلَعَتْ وَرَآهَا النَّاسُ يَعْنِي آمَنُوا أَجْمَعُونَ فَذَلِكَ حِينَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدْ نَشَرَ الرَّجُلاَنِ ثَوْبَهُمَا بَيْنَهُمَا فَلاَ يَتَبَايَعَانِهِ وَلاَ يَطْوِيَانِهِ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدْ انْصَرَفَ الرَّجُلُ بِلَبَنِ لِقْحَتِهِ فَلاَ يَطْعَمُهُ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَهُوَ يُلِيطُ حَوْضَهُ فَلاَ يَسْقِي فِيهِ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدْ رَفَعَ أُكْلَتَهُ إِلَى فِيهِ فَلاَ يَطْعَمُهَا.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ দু’টি বড় দল পরস্পরে মহাযুদ্ধে লিপ্ত না হবে। উভয় দলের দাবি হবে অভিন্ন। আর যতক্ষণ ত্রিশের কাছাকাছি মিথ্যাচারী দাজ্জাল-এর প্রকাশ না পাবে। তারা প্রত্যেকেই নিজেকে আল্লাহ্‌র প্রেরিত রাসূল বলে দাবি করবে এবং যতক্ষণ ইল্‌ম উঠিয়ে নেয়া না হবে। আর ভূমিকম্প আধিক হারে না হবে। আর যামানা (কাল) সংক্ষিপ্ত না হবে এবং (ব্যাপক হারে) ফিতনা প্রকাশ না পাবে। আর হারজ ব্যাপকতা লাভ করবে। হারজ হল হত্যা। আর যতক্ষণ তোমাদের মাঝে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি না পাবে। তখন সম্পদের এমন সয়লাব শুরু হবে যে, সম্পদের মালিক তার সদাকাহ কে গ্রহণ করবে – এ নিয়ে চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়বে। এমন কি যার নিকট সে সম্পদ আনা হবে সে বলবে আমার এ মালের কোনই প্রয়োজন নেই। আর যতক্ষণ মানুষ উঁচু উঁচু প্রাসাদ নির্মাণের জন্য পরস্পরে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ না হবে। আর যতক্ষণ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কবরের পাশ অতিক্রম করার সময় বলবে হায়! আমি যদি এ কবরবাসীর স্থলে হতাম এবং যতক্ষণ সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত না হবে। যখন সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে এবং সকল লোক তা দেখবে এবং সেদিন সবাই ঈমান আনবে। কিন্তু সে দিন তার ঈমান কাজে আসবে না, যে এর আগে ঈমান আনেনি। কিংবা ইতোপূর্বে যারা ঈমান আনেনি কিংবা ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করেনি – (সূরাহ আন’আম ৬/১৫৮)। আর অবশ্যই ক্বিয়ামাত এমন অবস্থায় কায়িম হবে যে, দু’ব্যক্তি (পরস্পরে বেচাকেনার উদ্দেশ্যে) কাপড় খুলবে। কিন্তু তারা বেচাকেনা ও গুটিয়ে রাখা শেষ করতে পারবে না। অবশ্যই ক্বিয়ামাত এমন অবস্থায় কায়িম হবে যে, এক ব্যক্তি তার উটের দুধ দোহন করে নিয়ে ফিরেছে। কিন্তু সে তা পান করতে পারবে না। ক্বিয়ামাত এমন অবস্থায় কায়িম হবে যে, এক ব্যক্তি তার হাওয আস্তর করছে, কিন্তু সে পানি পান করাতে পারবে না। অবশ্যই ক্বিয়ামাত এমন (অতর্কিত) ভাবে কায়িম হবে যে, এক ব্যক্তি মুখের কাছে লোক্‌মা তুলবে কিন্তু সে তা আহার করতে পারবে না।[৮৫; মুসলিম ১/৭২, হাঃ ১৫৭, আহমাদ ৭১৬৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৬)

৯২/২৬. অধ্যায়ঃ
দাজ্জাল সম্পর্কিত আলোচনা ।

৭১২২
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي قَيْسٌ قَالَ قَالَ لِي الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ مَا سَأَلَ أَحَدٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الدَّجَّالِ أَكْثَرَ مَا سَأَلْتُهُ وَإِنَّهُ قَالَ لِي مَا يَضُرُّكَ مِنْهُ قُلْتُ لِأَنَّهُمْ يَقُولُونَ إِنَّ مَعَهُ جَبَلَ خُبْزٍ وَنَهَرَ مَاءٍ قَالَ هُوَ أَهْوَنُ عَلَى اللهِ مِنْ ذَلِكَ.

মুগীরাহ ইব্‌নু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে দাজ্জালের ব্যাপারে যত বেশি প্রশ্ন করতাম তত আর কেউ করেনি। তিনি আমাকে বললেনঃ তা থেকে তোমার কি ক্ষতি হবে? আমি বললাম, লোকেরা বলে যে, তার সঙ্গে রুটির পর্বত ও পানির নহর থাকবে। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌র নিকট তা খুব সহজ। [১৬৫][মুসলিম ৫২/২২, হাঃ ২৯৩৯, আহমাদ ১৮১৭৯] (আধুনিক প্রকাশনী-৬৬২৩ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৭)


[১৬৫] এ সমস্ত হাদীসের মধ্যে দাজ্জালের অস্তিত্বের সত্যতা সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের জন্য দলীল রয়েছে যে, সে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি। তার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাদের পরীক্ষা করবেন। আল্লাহ তাকে অনেক বিষয়ে শক্তি দেবেন। যেমন কাউকে হত্যার পর জীবিত করার, জমিনের উর্বরতা প্রকাশ, নদী প্রবাহিত করা, জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো, জমিনের ধন ভান্ডারের তাকে অনুসরণ করা, আসমানকে বৃষ্টি বর্ষণের আদেশ দিলে আসমান পানি বর্ষণ করবে। জমিনকে শস্য উদ্‌গত করতে বললে জমিন তা উদ্‌গত করবে। আর এগুলো সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছাতেই হবে। আর তাইতো এরপর যখন তাকে আল্লাহ অক্ষম করে দেবেন, তখন আর ঐ ব্যক্তিকে বা অন্য কাউকে হত্যা করতে সক্ষম হবে না। এরপর তার সব কর্ম বিফল হয়ে যাবে। অবশেষে ঈসা (আঃ) তাকে হত্যা করবেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু কিছু খারেজী, মু’তাযিলা, ও জাহমিয়া সম্প্রদায় বিরোধিতা করেছে। ফলে তারা তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং সহীহ হাদীসগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে। অন্যদিকে জাবরিয়া সম্প্রদায় দাজ্জালের অস্তিত্বের সত্যতা মেনে নিলেও তার অলৌকিক ও অস্বাভাবিক কাজগুলোকে বলে যে, ওগুলোর কোন বাস্তবতা নেই। (ফাতহুল বারী)

৭১২৩
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أُرَاهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَعْوَرُ عَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّهَا عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ.

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, আবূ ‘আবদুল্লাহ্‌ (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয় তিনি হাদীসটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকেই বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ দাজ্জালের ডান চোখ কানা হবে, যেন তা ফোলা আঙ্গুরের ন্যায়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৮)

৭১২৪
سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ يَحْيَى عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَجِيءُ الدَّجَّالُ حَتَّى يَنْزِلَ فِي نَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ ثُمَّ تَرْجُفُ الْمَدِينَةُ ثَلاَثَ رَجَفَاتٍ فَيَخْرُجُ إِلَيْهِ كُلُّ كَافِرٍ وَمُنَافِقٍ.

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দাজ্জাল আসবে। অবশেষে মাদীনাহ্‌র এক পার্শ্বে অবতরণ করবে। (এ সময় মাদীনাহ) তিনবার কেঁপে উঠবে। তখন সকল কাফির ও মুনাফিক বের হয়ে তার নিকট চলে আসবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৯)

৭১২৫
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَدْخُلُ الْمَدِينَةَ رُعْبُ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَلَهَا يَوْمَئِذٍ سَبْعَةُ أَبْوَابٍ عَلَى كُلِّ بَابٍ مَلَكَانِ.

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ মাসীহ্‌ দাজ্জালের প্রভাব মদিনায় প্রভাব পড়বে না। সে সময় মদিনায় সাতটি প্রবেশপথ থাকবে। প্রতিটি প্রবেশপথে দু’জন করে ফেরেশ্‌তা নিযুক্ত থাকবেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪১)

৭১২৬
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَدْخُلُ الْمَدِينَةَ رُعْبُ الْمَسِيحِ لَهَا يَوْمَئِذٍ سَبْعَةُ أَبْوَابٍ عَلَى كُلِّ بَابٍ مَلَكَانِ قَالَ وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَدِمْتُ الْبَصْرَةَ فَقَالَ لِي أَبُو بَكْرَةَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا.

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ মদিনায় মাসীহ্‌ দাজ্জাল-এর প্রভাব পড়বে না। সে সময় মদিনায় সাতটি প্রবেশদ্বার থাকবে। প্রতিটি প্রবেশদ্বারে দু’জন করে ফেরেশ্‌তা নিযুক্ত থাকবেন। (আ. প্র. ৬৬২৭, ই. ফা. ৬৬৪০)

ইব্‌নু ইসহাক…..ইব্‌রাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি যখন বস্‌রায় আগমন করলাম তখন আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) আমাকে বললেন যে, এ হাদীসটি আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪০)

৭১২৭
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ إِنِّي لأُنْذِرُكُمُوهُ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ وَقَدْ أَنْذَرَهُ قَوْمَهُ وَلَكِنِّي سَأَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلاً لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ إِنَّهُ أَعْوَرُ وَإِنَّ اللهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ.

আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোক সমাবেশে দাঁড়ালেন এবং মহান আল্লাহ্‌র প্রশংসা করলেন। এরপর তিনি দাজ্জাল প্রসঙ্গে বললেনঃ তার সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে সতর্ক করছি। এমন কোন নবী নেই যিনি তাঁর কাওমকে এ বিষয়ে সতর্ক করেননি। তবে তার সম্পর্কে আমি তোমাদের এমন একটি কথা বলব যা কোন নাবীই তাঁর জাতিকে বলেননি। তা হল এই যে, সে কানা হবে আর আল্লাহ্ অবশ্যই কানা নন। [১৬৬](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪২)


[১] উল্লেখিত হাদীসে দাজ্জাল সম্পর্কে দু’টি বিষয় বর্ণিত হয়েছেঃ

প্রথম বিষয় : প্রত্যেক নবী তাদের নিজ নিজ উম্মতদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করেছেন। তারই ধারাবাহিকতা স্বরূপ রাসূল (সাঃ)ও তাঁর উম্মতকে উদ্দেশ করে বলেন, إني لأنذركموه (অর্থাৎ নিশ্চয় আমিও অবশ্যই তোমাদেরকে তার ব্যাপারে সতর্ক করেছি)।

দ্বিতীয় বিষয় : রাসূল (সাঃ) বলেন, আমার পূর্ববর্তী সব নবী দাজ্জালের ভীতি প্রদর্শন করলেও তার সম্পর্কে যে কথাটি বলেননি, আমি তোমাদের অবশ্যই সে কথাটি বলব। আর তা হচ্ছে সে কানা। আল্লাহ কিন্তু কানা নয়। এখানে একদিকে যেমন দাজ্জালের এক চোখ নেই তা প্রমাণ হচ্ছে, অপরদিকে আল্লাহর চোখ রয়েছে এবং তিনি দেখেন এটাও প্রমাণিত হচ্ছে। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার অসংখ্য সিফাতের মধ্যে এটিও তাঁর একটি সিফাত যে, তাঁর চক্ষু রয়েছে এবং তিনি দেখেন। তাঁর চক্ষু কেমন তা যেমন বলা যাবে না, তদ্রুপ তা অস্বীকার, অপব্যাখ্যা, সাদৃশ্য দেয়া বা প্রকৃতি বর্ণনা করা মোটেও ঠিক নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ليس كمثله شيء وهو السميع البصير

৭১২৮
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ فَإِذَا رَجُلٌ آدَمُ سَبْطُ الشَّعَرِ يَنْطُفُ أَوْ يُهَرَاقُ رَأْسُهُ مَاءً قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوا ابْنُ مَرْيَمَ ثُمَّ ذَهَبْتُ أَلْتَفِتُ فَإِذَا رَجُلٌ جَسِيمٌ أَحْمَرُ جَعْدُ الرَّأْسِ أَعْوَرُ الْعَيْنِ كَأَنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ قَالُوا هَذَا الدَّجَّالُ أَقْرَبُ النَّاسِ بِهِ شَبَهًا ابْنُ قَطَنٍ رَجُلٌ مِنْ خُزَاعَةَ

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি ঘুমের অবস্থায় দেখতে পেলাম যে, আমি কা’বার তাওয়াফ করছি। হঠাৎ একজন লোককে দেখতে পেলাম ধূসর বর্ণের আলুথালু কেশধারী, তার মাথা থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে কিংবা টপকে পড়ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? লোকেরা বলল, ইনি মারিয়ামের পুত্র। এরপর আমি তাকাতে লাগলাম, হঠাৎ দেখতে পেলাম, এক ব্যক্তি স্থুলকায় লাল বর্ণের, কোঁকড়ানো চুল, এক চোখ কানা, চোখটি যেন ফোলা আঙ্গুরের মত। লোকেরা বলল এ-হল দাজ্জাল! তার সঙ্গে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ লোক হল ইব্‌নু কাতান, বানী খুযা’আর এক লোক। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৩)

৭১২৯
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَعِيذُ فِي صَلاَتِهِ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে, সালাতের ভিতরে দাজ্জালের ফিতনা হতে পানাহ চাইতে শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৪)

৭১৩০
عَبْدَانُ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ رِبْعِيٍّ عَنْ حُذَيْفَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الدَّجَّالِ إِنَّ مَعَهُ مَاءً وَنَارًا فَنَارُهُ مَاءٌ بَارِدٌ وَمَاؤُهُ نَارٌ قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ أَنَا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم.

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হুযাইফাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে বলেছেনঃ তার সঙ্গে পানি ও আগুন থাকবে। আসলে তার আগুনই হবে শীতল পানি, আর তার পানি হবে আগুন।

আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আমিও এ হাদীসটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৫)

৭১৩১
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا بُعِثَ نَبِيٌّ إِلاَّ أَنْذَرَ أُمَّتَهُ الأَعْوَرَ الْكَذَّابَ أَلاَ إِنَّهُ أَعْوَرُ وَإِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ وَإِنَّ بَيْنَ عَيْنَيْهِ مَكْتُوبٌ كَافِرٌ فِيهِ أَبُو هُرَيْرَةَ وَابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন কোন নাবী প্রেরিত হন নি যিনি তার উম্মাতকে এই কানা মিথ্যাবাদী সম্পর্কে সতর্ক করেননি। জেনে রেখো, সে কানা, আর তোমাদের রব কানা নন। আর তার দুই চোখের মাঝখানে কাফির كَافِرٌ শব্দটি লিপিবদ্ধ থাকবে। এ সম্পর্কে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) ও ইবনু ‘আববাস (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। [৭৪০৮; মুসলিম ৫২/২০, হাঃ ২৯৩৩, আহমাদ ১৩৩৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৬)

৯২/২৭. অধ্যায়ঃ
দাজ্জাল মদীনাহয় প্রবেশ করবে না ।

৭১৩২
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا حَدِيثًا طَوِيلاً عَنْ الدَّجَّالِ فَكَانَ فِيمَا يُحَدِّثُنَا بِهِ أَنَّهُ قَالَ يَأْتِي الدَّجَّالُ وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيْهِ أَنْ يَدْخُلَ نِقَابَ الْمَدِينَةِ فَيَنْزِلُ بَعْضَ السِّبَاخِ الَّتِي تَلِي الْمَدِينَةَ فَيَخْرُجُ إِلَيْهِ يَوْمَئِذٍ رَجُلٌ وَهُوَ خَيْرُ النَّاسِ أَوْ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ فَيَقُولُ أَشْهَدُ أَنَّكَ الدَّجَّالُ الَّذِي حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثَهُ فَيَقُولُ الدَّجَّالُ أَرَأَيْتُمْ إِنْ قَتَلْتُ هَذَا ثُمَّ أَحْيَيْتُهُ هَلْ تَشُكُّونَ فِي الأَمْرِ فَيَقُولُونَ لاَ فَيَقْتُلُهُ ثُمَّ يُحْيِيهِ فَيَقُولُ وَاللهِ مَا كُنْتُ فِيكَ أَشَدَّ بَصِيرَةً مِنِّي الْيَوْمَ فَيُرِيدُ الدَّجَّالُ أَنْ يَقْتُلَهُ فَلاَ يُسَلَّطُ عَلَيْهِ.

আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে দাজ্জাল সম্পর্কে দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করলেন। তিনি তার সম্পর্কে আমাদেরকে যা কিছু বলেছিলেন, তাতে এও বলেছেন যে, দাজ্জাল আসবে, তবে মাদীনার প্রবেশপথে তার প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকবে। মাদীনার নিকটবর্তী বালুময় একটি স্থানে সে অবস্থান নিবে। এ সময় তার দিকে এক ব্যক্তি আসবে, যে মানুষের মাঝে উত্তম। কিংবা উত্তম ব্যক্তিদের একজন। সে বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুই সেই দাজ্জাল, যার সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে তাঁর হাদীস বর্ণনা করেছেন। তখন দাজ্জাল বলবে, তোমরা দেখ – আমি যদি একে হত্যা করে আবার জীবিত করে দেই তাহলে কি তোমরা এ ব্যাপারে সন্দেহ করবে? লোকেরা বলবে, না। এরপর সে তাকে হত্যা করবে এবং আবার জীবিত করবে। তখন সে লোকটি বলবে, আল্লাহ্‌র কসম! তোর সম্পর্কে আজকের মত দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলাম না। তখন দাজ্জাল তাকে হত্যা করতে চাইবে কিন্তু সে তা করতে পারবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৭)

৭১৩৩
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُجْمِرِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلاَئِكَةٌ لاَ يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلاَ الدَّجَّالُ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার প্রবেশপথগুলোতে ফেরেশ্তা নিযুক্ত আছেন। কাজেই সেখানে প্লেগ ও দাজ্জাল প্রবেশ করবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৮)


[১] হাদীসটিতে মাদীনার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। মাদীনার আরোও ফযীলত হচ্ছে :

১. রসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা থেকে মাদীনায় হিজরত করার পূর্বে মাদীনার নাম ছিল ইয়াসরিব। ফলে রসূল (সাঃ) সেখানে হিজরত করার কারণে তার নামকরণ করা হয়েছে মাদীনাতুল রাসূল বা মাদীনাতুন নববী।

২. সেখানে রসূলের হিজরত হবার কারণে মাদীনার আরেকটি নাম হলো দারুল হিজরাহ।

৩. রসূল (সাঃ) এর নামকরণ করেন ত্বায়্যিবাহ, ত্বীবা ইত্যাদী নামে।

৪. ইবরাহীম u যেমন মাক্কার জন্য দু‘আ করেছিলেন তেমনি রসূল (সাঃ)ও মাদীনার বরকতের জন্য দু‘আ করেছিলেন। যথা : اللهم اجعل في المدينة ضعفي ما مكة من البركة (বুখারী ও মুসলিম) (ফাতহুল বারী)

৫. মাদীনাহ ঈমানের অবস্থানস্থল ও ঠিকানা। দ্বীন এখান থেকেই প্রসারিত হয়েছিল আবার এখানে ফিরে আসবে। নাবী (সাঃ) বলেন, إن الإيمان ليأرز إلى المدينة كما تأرز الحية إلى جحرها (বুখারী ও মুসলিম)

৬. রসূল (সাঃ) মাদীনাবাসীদের জন্য বরকতের দু‘আ করেন যথা : اللهم بارك لأهل المدينة।

৭১৩৪
يَحْيَى بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمَدِينَةُ يَأْتِيهَا الدَّجَّالُ فَيَجِدُ الْمَلاَئِكَةَ يَحْرُسُونَهَا فَلاَ يَقْرَبُهَا الدَّجَّالُ قَالَ وَلاَ الطَّاعُونُ إِنْ شَاءَ اللهُ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, মাদীনাহ্‌র দিকে দাজ্জাল আসবে, সে ফেরেশ্তাদেরকে মাদীনা প্রহরারত অবস্থায় দেখতে পাবে। অতএব দাজ্জাল ও প্লেগ এর নিকটবর্তী হবে না ইনশা আল্লাহ্‌।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৯)

৯২/২৮. অধ্যায়ঃ
ইয়াজূজ ও মা’জূজ ।

৭১৩৫
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ ح و حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي أَخِي عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَتْهُ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا يَوْمًا فَزِعًا يَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدْ اقْتَرَبَ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ وَحَلَّقَ بِإِصْبَعَيْهِ الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا قَالَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَفَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ قَالَ نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الْخُبْثُ.

যাইনাব বিন্ত জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদ্বিগ্ন অবস্থায় এরূপ বলতে বলতে আমার গৃহে প্রবেশ করলেন যে, আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই। আক্ষেপ আরবের জন্য মন্দ থেকে যা অতি নিকটবর্তী। বৃদ্ধাঙ্গুল ও তৎসংলগ্ন আঙ্গুল গোলাকৃতি করে তার দিকে ইশারা করে বললেনঃ আজ ইয়াজূজ ও মাজূজের দেয়াল এ পরিমাণ খুলে গেছে। যাইনাব বিন্ত জাহাশ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের মাঝে সৎ লোকেরা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি পাপকাজ বৃদ্ধি পায়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫০)

৭১৩৬
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يُفْتَحُ الرَّدْمُ رَدْمُ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ وَعَقَدَ وُهَيْبٌ تِسْعِينَ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ ইয়াজূজ- মাজূজের দেয়াল এ পরিমাণ খুলে গেছে। রাবী ওহায়ব নব্বই সংখ্যা নির্দেশক গোলাকৃতি তৈরি করে (দেখালেন)(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫১)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]