সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করা অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৭৩২১ – ৭৩৫১

৯৬/১৫. অধ্যায়ঃ
পথভ্রষ্টতার দিকে ডাকা অথবা কোন খারাপ পদ্ধতি প্রবর্তনের অপরাধ।

কারণ, আল্লাহ্‌র বাণীঃ এবং পাপের ভার তাদেরও যাদের তারা অজ্ঞতার কারণে পথভ্রষ্ট করেছে…। (সূরাহ নাহল ১৬/২৫)

৭৩২১
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَيْسَ مِنْ نَفْسٍ تُقْتَلُ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْهَا ـ وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ مِنْ دَمِهَا ـ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ أَوَّلاً ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তিকেই অন্যায়ভাবে কতল করা হয়, তার পাপের ভাগ আদাম (আঃ)-এর প্রথম (হত্যাকারী) পুত্রের উপরও পড়বে। রাবী সুফ্ইয়ান مِنْ دَمِهَا তার রক্তপাত করার অপরাধ তার উপরেও পড়বে উল্লেখ করেছেন। কারণ সেই প্রথমে হত্যার রীতি চালু করে।[১] [৩৩৩৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 ব্যাখ্যা
  সরাসরি

৯৬/১৬. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন এবং আলেমগণকে ঐক্যের ব্যাপারে যে উৎসাহ দান করেছেন।

আর যেসব ব্যাপারে দুই হারাম মক্কা ও মদীনার আলেমগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। মদীনায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাজির ও আনসারদের স্মৃতিচিহ্ন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সালাতের স্থান, মিনা ও কবর সম্পর্কে।

৭৩২২
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ السَّلَمِيِّ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الإِسْلاَمِ، فَأَصَابَ الأَعْرَابِيَّ وَعْكٌ بِالْمَدِينَةِ، فَجَاءَ الأَعْرَابِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقِلْنِي بَيْعَتِي‏.‏ فَأَبَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي‏.‏ فَأَبَى ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي‏.‏ فَأَبَى فَخَرَجَ الأَعْرَابِيُّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا الْمَدِينَةُ كَالْكِيرِ، تَنْفِي خَبَثَهَا، وَيَنْصَعُ طِيبُهَا ‏”‏‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক বেদুঈন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট ইসলামের উপর বায়’আত নিল। এরপর সে মদীনায় জ্বরে আক্রান্ত হল। বেদুঈন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার বায়’আত ফিরিয়ে দিন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অস্বীকৃতি জানালেন। আবার সে এসে বলল, আমার বায়’আত ফিরিয়ে দিন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অস্বীকৃতি জানালেন। এরপর সে আবার এসে বলল, আমার বায়’আত ফিরিয়ে দিন। এবারও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অস্বীকৃতি জানালেন, বেদুঈন বেরিয়ে গেল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মদীনা হাপরের মত। সে তার মধ্যেকার ময়লাকে দূর করে দেয় এবং ভালটুকু ধরে রাখে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২৩)

৭৩২৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كُنْتُ أُقْرِئُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، فَلَمَّا كَانَ آخِرَ حَجَّةٍ حَجَّهَا عُمَرُ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بِمِنًى، لَوْ شَهِدْتَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَتَاهُ رَجُلٌ قَالَ إِنَّ فُلاَنًا يَقُولُ لَوْ مَاتَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ لَبَايَعْنَا فُلاَنًا‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ لأَقُومَنَّ الْعَشِيَّةَ فَأُحَذِّرَ هَؤُلاَءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَغْصِبُوهُمْ‏.‏ قُلْتُ لاَ تَفْعَلْ فَإِنَّ الْمَوْسِمَ يَجْمَعُ رَعَاعَ النَّاسِ يَغْلِبُونَ عَلَى مَجْلِسِكَ، فَأَخَافُ أَنْ لاَ يُنْزِلُوهَا عَلَى وَجْهِهَا فَيُطِيرُ بِهَا كُلُّ مُطِيرٍ، فَأَمْهِلْ حَتَّى تَقْدَمَ الْمَدِينَةَ دَارَ الْهِجْرَةِ وَدَارَ السُّنَّةِ، فَتَخْلُصُ بِأَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ فَيَحْفَظُوا مَقَالَتَكَ، وَيُنَزِّلُوهَا عَلَى وَجْهِهَا‏.‏ فَقَالَ وَاللَّهِ لأَقُومَنَّ بِهِ فِي أَوَّلِ مَقَامٍ أَقُومُهُ بِالْمَدِينَةِ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، فَكَانَ فِيمَا أُنْزِلَ آيَةُ الرَّجْمِ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) – কে কুরআন পড়াতাম। ‘উমর (রাঃ) যখন তার শেষ হজ্জ পালন করতে আসলেন, তখন ‘আবদুর রহমান (রাঃ) মিনায় আমাকে বললেন, তুমি আজ আমীরুল মু’মিনীনের কাছে থাকলে দেখতে পেতে যে, তাঁর কাছে এক লোক এসে বলল, এক লোক বলেছে, যদি আমীরুল মু’মিনীন মারা যেতেন, তাহলে আমরা অমুক লোকের হাতে বায়’আত নিতে পারতাম। ‘উমর (রাঃ) বললেন, আজ বিকেলে অবশ্য অবশ্যই দাঁড়িয়ে আমি তাদেরকে সতর্ক করব, যারা মুসলিমদের হক ছিনিয়ে নিতে চায়। আমি বললাম, আপনি এমনটি করবেন না। কেননা, এখন হাজ্জের মৌসুম। এখন সাধারণ মানুষের সমবেত হওয়ার সময়। তারা আপনার মাজলিসকে কাবু করে ফেলবে। আমার ভয় হচ্ছে যে, তারা আপনার বক্তব্য সঠিকভাবে বুঝতে পারবে না। হের-ফের করে চারদিকে রটিয়ে দেবে। বরং আপনি হিজরত ও সুন্নাতের আবাসভূমি মদীনায় পোঁছা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারা আপনার বক্তব্য হেফাজত করবে এবং তার উপযুক্ত মর্যাদা দিবে। ‘উমর (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমি মদীনায় পোঁছলে অবশ্য অবশ্যই সবচেয়ে আগে এটি করবো। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমরা মদীনায় পোঁছলাম। তখন ‘উমর (রাঃ) ভাষণ দিলেন, আল্লাহ্‌ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে সত্য বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন, তাঁর উপর কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে ‘রজম’ – এর আয়াতও রয়েছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২৪)
আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীরা যে কত গভীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ ছিলেন এ হাদীসে তারই কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সব হাদীস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদেরকে অতি উচ্চ মানের চরিত্র গঠন ও দূরদর্শিতা অবলম্বন করতে হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৭৩২৪
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَلَيْهِ ثَوْبَانِ مُمَشَّقَانِ مِنْ كَتَّانٍ فَتَمَخَّطَ فَقَالَ بَخْ بَخْ أَبُو هُرَيْرَةَ يَتَمَخَّطُ فِي الْكَتَّانِ، لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنِّي لأَخِرُّ فِيمَا بَيْنَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ مَغْشِيًّا عَلَىَّ، فَيَجِيءُ الْجَائِي فَيَضَعُ رِجْلَهُ عَلَى عُنُقِي، وَيُرَى أَنِّي مَجْنُونٌ، وَمَا بِي مِنْ جُنُونٍ، مَا بِي إِلاَّ الْجُوعُ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবূ হুরায়রা (রাঃ) – এর নিকটে ছিলাম। তিনি লাল রঙের দু’টো কাতান পরে ছিলেন। এরপর তিনি নাক পরিষ্কার করলেন এবং বললেন, বাহঃ! বাহঃ! আবূ হুরায়রা আজ কাতান দিয়ে নাক পরিষ্কার করছে। অথচ আমার অবস্থা এমনও ছিল যে, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর মিম্বর ও ‘আয়িশা (রাঃ) – এর হুজরার মধ্যবর্তী স্থানে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকতাম। আগমনকারী আসতো, তার নিজ পা আমার গর্দানে রাখতো, মনে হতো আমি যেন পাগল। অথচ আমার তিলমাত্র পাগলামি ছিল না। আমার ছিল একমাত্র ক্ষুধার যন্ত্রণা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২৫)

৭৩২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، قَالَ سُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَشَهِدْتَ الْعِيدَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ وَلَوْلاَ مَنْزِلَتِي مِنْهُ مَا شَهِدْتُهُ مِنَ الصِّغَرِ، فَأَتَى الْعَلَمَ الَّذِي عِنْدَ دَارِ كَثِيرِ بْنِ الصَّلْتِ فَصَلَّى ثُمَّ خَطَبَ، وَلَمْ يَذْكُرْ أَذَانًا وَلاَ إِقَامَةً، ثُمَّ أَمَرَ بِالصَّدَقَةِ فَجَعَلَ النِّسَاءُ يُشِرْنَ إِلَى آذَانِهِنَّ وَحُلُوقِهِنَّ، فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَتَاهُنَّ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

আবদুর রহমান ইবনু আবিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) – কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল; আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সঙ্গে কোন ঈদে উপস্থিত ছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। যদি তাঁর কাছে আমার বিশেষ একটা মর্যাদা না থাকতো তবে এত অল্প বয়সে তাঁর কাছে যাওয়ার সুযোগ পেতাম না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাসীর ইবনু সালাতের বাড়ির নিকটের পতাকার নিকট আসলেন। এরপর ঈদের সালাত পড়লেন। তারপর খুৎবা দিলেন। রাবী আযান এবং ইকামত-এর উল্লেখ করেননি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে সদকা প্রদানের নির্দেশ দিলেন। নারীরা তাদের কান ও গলার (অলঙ্কারের) দিকে ইশারা করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ) (তাদের কাছে যাবার) হুকুম করলেন। বিলাল (রাঃ) (অলঙ্কারাদি নিয়ে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)‘র কাছে ফিরে আসলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২৬)

৭৩২৬
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْتِي قُبَاءً مَاشِيًا وَرَاكِبًا‏.‏

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুবার মসজিদে কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো, সওয়ার হয়েও আসতেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২৭)

৭৩২৭
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ ادْفِنِّي مَعَ صَوَاحِبِي وَلاَ تَدْفِنِّي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْبَيْتِ، فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُزَكَّى‏.‏ وَعَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ، أَرْسَلَ إِلَى عَائِشَةَ ائْذَنِي لِي أَنْ أُدْفَنَ مَعَ صَاحِبَىَّ فَقَالَتْ إِي وَاللَّهِ‏.‏ قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَرْسَلَ إِلَيْهَا مِنَ الصَّحَابَةِ قَالَتْ لاَ وَاللَّهِ لاَ أُوثِرُهُمْ بِأَحَدٍ أَبَدًا‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রকে বললেন, আমাকে আমার অন্যান্য সঙ্গিণীদের সঙ্গে দাফন করবে। আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সঙ্গে ঘরে দাফন করবে না। কেননা তাতে আমাকে অধিক দ্বীনদার পরহেজগার মনে করা হবে, আমি তা পছন্দ করি না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১৬ প্রথমাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২৮ প্রথমাংশ)

৭৩২৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ ادْفِنِّي مَعَ صَوَاحِبِي وَلاَ تَدْفِنِّي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْبَيْتِ، فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُزَكَّى‏.‏ وَعَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ، أَرْسَلَ إِلَى عَائِشَةَ ائْذَنِي لِي أَنْ أُدْفَنَ مَعَ صَاحِبَىَّ فَقَالَتْ إِي وَاللَّهِ‏.‏ قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَرْسَلَ إِلَيْهَا مِنَ الصَّحَابَةِ قَالَتْ لاَ وَاللَّهِ لاَ أُوثِرُهُمْ بِأَحَدٍ أَبَدًا‏.‏

বর্ণনাকারী হিশাম তাঁর পিতা থেকে থেকে বর্ণিতঃ

উমর (রাঃ) আয়িশা (রাঃ) – এর নিকট লোক পাঠালেন, আমাকে আমার দু’ সঙ্গী [রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বাকর (রাঃ) – এর সঙ্গে দাফন হবার অনুমতি দিন। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ। আল্লাহ্‌র কসম! বর্ণনাকারী আরো বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) – এর কাছে সাহাবাদের কেউ যখনই এই অনুমতির জন্য কাউকে পাঠাতেন, তখনি তিনি বলতেন, না। আল্লাহ্‌র কসম! আমি তাঁদের কাউকে কক্ষনো প্রাধান্য দেবো না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১৬ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২৮ শেষাংশ)

৭৩২৯
حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ فَيَأْتِي الْعَوَالِيَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ‏.‏ وَزَادَ اللَّيْثُ عَنْ يُونُسَ، وَبُعْدُ الْعَوَالِي أَرْبَعَةُ أَمْيَالٍ أَوْ ثَلاَثَةٌ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আসরের সালাত পড়তেন। তারপর আমরা ‘আওয়ালী’ (মদীনার নিকট উঁচু টিলার স্থান) যেতাম। তখনও সূর্য উপরে থাকত। বর্ণনাকারী লায়স (রহঃ) ইউনুস (রহঃ) হতে আরো বর্ণনা করেছেন যে, ‘আওয়ালী’র দূরত্ব চার অথবা তিন মাইল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮২৯)

৭৩৩০
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مَالِكٍ، عَنِ الْجُعَيْدِ، سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ كَانَ الصَّاعُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُدًّا وَثُلُثًا بِمُدِّكُمُ الْيَوْمَ، وَقَدْ زِيدَ فِيهِ‏.‏

سَمِعَ الْقَاسِمُ بْنُ مَالِكٍ الْجُعَيْدَ

সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর যুগের সা’ তোমাদের এ সময়ের এক মুদ ও এক মুদের এক-তৃতীয়াংশ মাপের ছিল। অবশ্য (পরবর্তী সময়ে) তা বৃদ্ধি পেয়েছে। (হাদীসটি) কাসিম ইবনু মালিক (রহঃ) যুআয়দ (রহঃ) থেকে শুনেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩০)

৭৩৩১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مِكْيَالِهِمْ، وَبَارِكْ لَهُمْ فِي صَاعِهِمْ وَمُدِّهِمْ ‏”‏ يَعْنِي أَهْلَ الْمَدِينَةِ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই বলে দু’আ করেছেনঃ হে আল্লাহ্‌! তাঁদের পরিমাপে বরকত দান করুন, তাদের সা’–এ বরকত দিন এবং তাদের মুদে- অর্থাৎ মদীনাবাসীদের। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩১)

৭৩৩২
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ الْيَهُودَ، جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ وَامْرَأَةٍ زَنَيَا، فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا قَرِيبًا مِنْ حَيْثُ تُوضَعُ الْجَنَائِزُ عِنْدَ الْمَسْجِدِ‏.‏

ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহূদীগণ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট এক ব্যভিচারী পুরুষ এবং এক ব্যভিচারিণী নারীকে নিয়ে আসলো। তখন তিনি তাঁদের দু’জনকে শাস্তি দেয়ার নির্দেশ দিলে মসজিদে নাবাবীর নিকট জানাজা রাখার স্থানে তাদেরকে পাথর নিক্ষেপে মারা হয়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩২)

৭৩৩৩
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَمْرٍو، مَوْلَى الْمُطَّلِبِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَلَعَ لَهُ أُحُدٌ فَقَالَ ‏ “‏ هَذَا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ، اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ، وَإِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ سَهْلٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي أُحُدٍ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা উহুদ পাহাড় নজরে পড়লে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ পর্বত আমাদেরকে ভালোবাসে আর আমরাও একে ভালোবাসি। হে আল্লাহ্‌! ইবরাহীম (‘আঃ) মক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন, আর আমি এ মদীনার দু’টি কঙ্করময় প্রান্তের মাঝের স্থানকে হারাম ঘোষণা করছি। উহুদ সংক্রান্ত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ হাদীস বর্ণনায় সাহল (রাবী) আনাস (রাঃ) – এর অনুসরণ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩৩)

৭৩৩৪
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ، أَنَّهُ كَانَ بَيْنَ جِدَارِ الْمَسْجِدِ مِمَّا يَلِي الْقِبْلَةَ وَبَيْنَ الْمِنْبَرِ مَمَرُّ الشَّاةِ‏.‏

সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মসজিদে নববীর কিব্‌লার দিকের দেয়াল ও মিম্বরের মাঝে মাত্র একটা বকরী যাতায়াতের জায়গা ছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩৪)

৭৩৩৫
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ، وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মাঝের জায়গা জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান। আর আমার মিম্বর আমার হাওযের উপর। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩৫)

৭৩৩৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَابَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ الْخَيْلِ، فَأُرْسِلَتِ الَّتِي ضُمِّرَتْ مِنْهَا وَأَمَدُهَا إِلَى الْحَفْيَاءِ إِلَى ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ، وَالَّتِي لَمْ تُضَمَّرْ أَمَدُهَا ثَنِيَّةُ الْوَدَاعِ إِلَى مَسْجِدِ بَنِي زُرَيْقٍ، وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ كَانَ فِيمَنْ سَابَقَ‏.‏ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ عَنْ لَيْثٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়দৌড়ের প্রতিযোগিতা করিয়েছিলেন। ক্ষিপ্র গতির জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়াগুলোর প্রতিযোগিতার স্থান ছিল হাফয়া হতে সানীয়্যাতুল বিদ্যা পর্যন্ত। আর প্রশিক্ষণবিহীনগুলোর স্থান ছিল সানীয়্যাতুল বিদ্যা হতে বনী যুরায়ক-এর মসজিদ পর্যন্ত। ‘আবদুল্লাহও প্রতিযোগীদের মধ্যে ছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩৬)

৭৩৩৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ عَنْ لَيْثٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ‏‏ ح. وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، وَابْنُ، إِدْرِيسَ وَابْنُ أَبِي غَنِيَّةَ عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ، عَلَى مِنْبَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উমর (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর মিম্বরে (খুৎবাহ দিতে) শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- র৩৭)

৭৩৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ، سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، خَطَبَنَا عَلَى مِنْبَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

সায়িব ইব্‌নু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উসমান ইব্‌নু ‘আফ্‌ফান (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর মিম্বরে (খুত্‌বাহ দিতে) শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩৮)

৭৩৩৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، أَنَّ هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ يُوضَعُ لِي وَلِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْمِرْكَنُ فَنَشْرَعُ فِيهِ جَمِيعًا‏.‏

আয়িশা (রাঃ) হতে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার এবং রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর গোসলের জন্য এ পাত্রটি রাখা হত। আমরা এক সাথে এর থেকে গোসল করতাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৩৯)
দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করার উদ্দেশ্যে মুসলমানদের ঘরগুলোতে ব্যবস্থা থাকা দরকার যাতে তারা রাসূলের এ সুন্নাত পালন করতে পারেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৭৩৪০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ حَالَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ الأَنْصَارِ وَقُرَيْشٍ فِي دَارِي الَّتِي بِالْمَدِينَةِ‏.‏ وَقَنَتَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى أَحْيَاءٍ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসার ও মুহাজিরদেরকে আমার মদীনার বাড়িতে প্রীতির ডোরে বেঁধেছিলেন। এবং বনী সুলায়মের গোত্রের উপর বদদু’আ করার জন্য মাসব্যাপী তিনি (ফাজ্‌রের সালাতে) কুনূত (নাযিলা) পড়েছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২৮ প্রথমাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪০ প্রথমাংশ)

৭৩৪১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ حَالَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ الأَنْصَارِ وَقُرَيْشٍ فِي دَارِي الَّتِي بِالْمَدِينَةِ‏.‏ وَقَنَتَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى أَحْيَاءٍ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসার ও মুহাজিরদেরকে আমার মদীনার বাড়িতে প্রীতির ডোরে বেঁধেছিলেন। এবং বনী সুলায়মের গোত্রের উপর বদদু’আ করার জন্য মাসব্যাপী তিনি (ফাজ্‌রের সালাতে) কুনূত (নাযিলা) পড়েছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২৮ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪০ শেষাংশ)

৭৩৪২
حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَلَقِيَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ فَقَالَ لِي انْطَلِقْ إِلَى الْمَنْزِلِ فَأَسْقِيَكَ فِي قَدَحٍ شَرِبَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَتُصَلِّي فِي مَسْجِدٍ صَلَّى فِيهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏.‏ فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ، فَسَقَانِي سَوِيقًا، وَأَطْعَمَنِي تَمْرًا، وَصَلَّيْتُ فِي مَسْجِدِهِ‏.‏

আবূ বূরদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মদীনায় আসলে ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু সালাম (রাঃ) আমার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি আমাকে বললেন, চলুন ঘরে যাই। আমি আপনাকে একটি পাত্রে পান করাবো, যেটিতে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পান করছেন। আপনি ঐ সালাতের জায়গায় সালাত পড়তে পারবেন, যেখানে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত পড়েছিলেন। অতঃপর আমি তার সঙ্গে গেলাম। তিনি আমাকে ছাতু গুলে খাওয়ালেন এবং খেজুর খাওয়ালেন। তারপর আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সালাত পড়ার স্থানে সালাত পড়লাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪১)

৭৩৪৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ رَبِّي وَهْوَ بِالْعَقِيقِ أَنْ صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ عُمْرَةٌ وَحَجَّةٌ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ هَارُونُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ‏.‏

উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ আকীক নামক জায়গায় থাকার সময় এক রাতে আমার রব্বের নিকট হতে একজন আগন্তুক (ফেরেশ্‌তা) আমার কাছে এলেন। তিনি বলেন, এই বারাকাতময় উপত্যকায় সালাত পড়ুন এবং বলুন, ‘উমরা ও হাজ্জের নিয়ত করছি। হারূন ইব্‌নু ইসমাঈল (রহঃ) বলেন, ‘আলী (রাঃ) আমার কাছে হাজ্জের সঙ্গে ‘উমরার নিয়ত করুন’ শব্দ বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪২)

৭৩৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَقَّتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَرْنًا لأَهْلِ نَجْدٍ، وَالْجُحْفَةَ لأَهْلِ الشَّأْمِ، وَذَا الْحُلَيْفَةِ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ هَذَا مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَلَغَنِي أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ وَلأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمُ ‏”‏‏.‏ وَذُكِرَ الْعِرَاقُ فَقَالَ لَمْ يَكُنْ عِرَاقٌ يَوْمَئِذٍ‏.‏

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মীকাত নির্ধারন করেছেন নাজদবাসীদের জন্য কারনকে, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহ্‌ফাকে এবং মদীনাবাসীদের জন্য যুল হুলাইফাকে। ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বলেন, আমি এগুলো নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি। আমার কাছে খবর পৌঁছেছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইয়ামানের লোকদের মীকাত হচ্ছে ইয়া’লামলাম এবং ইরাকের কথা উল্লেখ করা হল। তখন ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বললেন, সে সময় ইরাক ছিল না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৩)

৭৩৪৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أُرِيَ وَهْوَ فِي مُعَرَّسِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّكَ بِبَطْحَاءَ مُبَارَكَةٍ‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, তিনি যুলহুলাইফাতে রাতের শেষ ভাগে অবস্থানকালে তাঁকে বলা হলো আপনি একটি বরকতপূর্ণ জায়গায় আছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৪)

৯৬/১৭. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ (হে নবী!) কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া তোমার কাজ নয়। (সূরাহ আল্‌ ‘ইমরান ৩/১২৮)

৭৩৪৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ فِي الأَخِيرَةِ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ الْعَنْ فُلاَنًا وَفُلاَنًا ‏”‏‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَىْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ‏}‏‏.‏

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে ফাজ্‌রের সালাতের শেষে রুকু’ থেকে মাথা উঠানোর সময় বলতে শুনেছেন, (আরবী) (হে আমাদের প্রতিপালক! সমস্ত প্রশংসা কেবলমাত্র আপনারই জন্য। তিনি আরো বললেন, হে আল্লাহ্‌! আপনি অমুক অমুক লোকের উপর অভিশাপ দিন। তখন আল্লাহ্‌ নাজিল করলেনঃ “আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন – এ ব্যাপারে তোমার কিছু করার নেই। কেননা তারা হচ্ছে যালিম” – (সূরাহ আলু ‘ইমরান ৩/১২৮)। [৪০৬৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৫)

৯৬/১৮. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্‌র বাণীঃ মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্কপ্রিয়। (সূরা আল-কাহাফ ১৮/৫৪)

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা কিতাবধারীদের সঙ্গে বিতর্ক করোনা….. । (সূরাহ্‌ আল-‘আনকাবূত ২৯/৪৬)

৭৩৪৭
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ ـ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُمْ ‏”‏ أَلاَ تُصَلُّونَ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ عَلِيٌّ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَالَ لَهُ ذَلِكَ وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِ شَيْئًا، ثُمَّ سَمِعَهُ وَهْوَ مُدْبِرٌ يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَهْوَ يَقُولُ ‏{‏وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً‏}‏‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ يُقَالُ مَا أَتَاكَ لَيْلاً فَهْوَ طَارِقٌ‏.‏ وَيُقَالُ الطَّارِقُ النَّجْمُ، وَالثَّاقِبُ الْمُضِيءُ، يُقَالُ أَثْقِبْ نَارَكَ لِلْمُوقِدِ‏.‏

আলী ইব্‌নু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক রাতে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এবং রসূলের মেয়ে ফাতিমা (রাঃ) এর নিকট আসলেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা সালাত পড়েছ কি? ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের জীবন তো আল্লাহ্‌র হাতে। তিনি আমাদেরকে যখন জাগাতে চান, জাগিয়ে দেন। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলে গেলেন, তার কথার জবাব দিলেন না। ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি শুনতে পেলাম, তিনি চলে যাচ্ছেন, আর ঊরুতে হাত মেরে মেরে বলছেনঃ মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্কপ্রিয়। আবূ ‘আব্দুল্লাহ্‌ (বুখারী) (রহঃ) বলেন, তোমার কাছে রাতের বেলা আগমনকারী আসে তাকে ‘তারিক’ বা রাতের অতিথি বলে। ‘তারিক’ একটি তারাকেও বলা হয়। আর ‘সাক্বিব’ অর্থ হল জ্যোতির্ময়। এজন্যই আগুন যে জ্বালায় তাকে বলা হয়, তুমি আগুন জ্বালাও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৬)
শাইখ আবূ মুহাম্মাদিবনু আবি জামরাহ বলেন, এ হাদীসের মধ্যে শিক্ষণীয় হচ্ছেঃ

১. বিশেষ করে গাফেল নিকটাত্মীয় এবং সঙ্গী সাথীদেরকে স্মরণ করে দেওয়ার বৈধতা।

২. যা অন্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সেই ব্যাপারে কোন ব্যক্তির তার নিজের সাথে কথোপকথনের বৈধতা।

৩. আশ্চর্য হওয়ার সময় কোন ব্যক্তি তার নিজের কোন অঙ্গের উপর প্রহার করার বৈধতা। অনুরূপভাবে আফসোস বা পরিতাপের সময় ও তা বৈধ।

৪. আলী (রাঃ)’র ফযীলত। (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৭৩৪৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَا نَحْنُ فِي الْمَسْجِدِ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ انْطَلِقُوا إِلَى يَهُودَ ‏”‏‏.‏ فَخَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى جِئْنَا بَيْتَ الْمِدْرَاسِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَنَادَاهُمْ فَقَالَ ‏”‏ يَا مَعْشَرَ يَهُودَ أَسْلِمُوا تَسْلَمُوا ‏”‏‏.‏ فَقَالُوا بَلَّغْتَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ‏.‏ قَالَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ذَلِكَ أُرِيدُ أَسْلِمُوا تَسْلَمُوا ‏”‏‏.‏ فَقَالُوا قَدْ بَلَّغْتَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ‏.‏ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ذَلِكَ أُرِيدُ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ قَالَهَا الثَّالِثَةَ فَقَالَ ‏”‏ اعْلَمُوا أَنَّمَا الأَرْضُ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُجْلِيَكُمْ مِنْ هَذِهِ الأَرْضِ، فَمَنْ وَجَدَ مِنْكُمْ بِمَالِهِ شَيْئًا فَلْيَبِعْهُ، وَإِلاَّ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا الأَرْضُ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমরা মসজিদে নাবাবীতে ছিলাম। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদ থেকে বের হয়ে আমাদেরকে বললেনঃ তোমরা চলো ইয়াহূদীদের সেখানে যাই। আমরা তাঁর সঙ্গে বেরোলাম। শেষে আমরা বায়তুল মিদরাসে (তাদের শিক্ষালয়ে) পৌঁছলাম। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে দাঁড়িয়ে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ হে ইয়াহূদী সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম কবূল কর, এতে তোমরা নিরাপত্তা লাভ করবে। ইয়াহূদীরা বলল, হে আবূল কাসিম! আপনার পৌঁছানোর দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমার ইচ্ছা তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর এবং শান্তিতে থাক। তারাও আবার বলল, হে আবূল কাসিম! আপনার পৌঁছানোর দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি এরকমই ইচ্ছে পোষন করি। তৃতীয়বারেও তিনি তাই বললেন। অবশেষে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জেনে রেখো, যমীন একমাত্র আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের। আমি তোমাদেরকে এই এলাকা থেকে নির্বাসিত করতে চাই। কাজেই তোমাদের যাদের মালপত্র আছে, তা যেন সে বিক্রি করে দেয়। তা নাহলে জেনে রেখো যমীন আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৭)
ইয়াহূদীদের সঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শান্তি চুক্তি থাকলেও তাঁরা চুক্তি লঙ্ঘন করে মুসলমানদের বিরোধিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। ইয়াহূদীদের কায়নুকা বাজারে পর্দানশীল এক আরব মহিলা দুধ বিক্রি করতে আসলে ইয়াহূদীরা তাঁকে চরমভাবে অপমানিত করে। ইয়াহূদীদের নানামূখী ষড়যন্ত্র ও নির্লজ্জ শত্রুতার প্রেক্ষাপটে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বললেন – “হে ইয়াহূদ সমাজ! তোমরা আনূগত্য স্বীকার কর, না হলে কুরাইশদের মত তোমাদেরকেও বিপন্ন হতে হবে। তারা তা না করায় রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নেন। তারা দূর্গে আশ্রয় নেয়। পনের দিন অবরুদ্ধ থাকার পর তারা আত্ন সমর্পণে বাধ্য হয়। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নির্বাসিত করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৯৬/১৯. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্‌র বাণীঃ এভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতি করেছি, যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষী হও। (সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/১৪৩)

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামা’আতকে আঁকড়ে ধরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আর জামা’আত আলিমগণকেই বলা হয়েছে।

৭৩৪৯
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يُجَاءُ بِنُوحٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ لَهُ هَلْ بَلَّغْتَ فَيَقُولُ نَعَمْ يَا رَبِّ‏.‏ فَتُسْأَلُ أُمَّتُهُ هَلْ بَلَّغَكُمْ فَيَقُولُونَ مَا جَاءَنَا مِنْ نَذِيرٍ‏.‏ فَيَقُولُ مَنْ شُهُودُكَ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ‏.‏ فَيُجَاءُ بِكُمْ فَتَشْهَدُونَ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏{‏وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا‏}‏ قَالَ عَدْلاً ‏{‏لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا‏}‏ وَعَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন নূহ্ (আঃ)-কে হাযির করে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি কি (দ্বীনের দা’ওয়াত) পৌঁছে দিয়েছ? তখন তিনি বলবেন, হ্যাঁ। হে আমার রব। এরপর তাঁর উম্মাতকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমাদের কাছে নূহ্ (দা’ওয়াত) পৌঁছিয়েছে কি? তারা সকলে বলে উঠবে, আমাদের কাছে কোন ভয় প্রদর্শনকারী আসেনি। তখন নূহ্ (আঃ)-কে বলা হবে, তোমার কোন সাক্ষী আছে কি? তিনি বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মাতরাই (আমার সাক্ষী)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদেরকে তখন নিয়ে আসা হবে এবং তোমরা (তাঁর পক্ষে) সাক্ষ্য দেবে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বাণী পাঠ করলেনঃ এভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে মধ্যমপন্থী উম্মাত বানিয়েছেন। (وسط অর্থ ভারসাম্যপূর্ণ) তাহলে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষী হতে পারবে আর রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হবেন- (সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/১৪৩)। জা‘ফর ইবনু ‘আওন (রহ.)….আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে এরকমই বর্ণনা করেছেন। [৩৩৩৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৮)

৯৬/২০. অধ্যায়ঃ
কোন কর্মকর্তা কিংবা বিচারক অজ্ঞতার কারণে ইজ্‌তিহাদে ভুল করে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর মতের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিলে তা বাতিল।

কেননা, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি এমন কাজ করে, যার আমি নির্দেশ করিনি তা অগ্রাহ্য।

৭৩৫০
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَخِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ سُهَيْلِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يُحَدِّثُ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، وَأَبَا، هُرَيْرَةَ حَدَّثَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَخَا بَنِي عَدِيٍّ الأَنْصَارِيَّ وَاسْتَعْمَلَهُ عَلَى خَيْبَرَ، فَقَدِمَ بِتَمْرٍ جَنِيبٍ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَكُلُّ تَمْرِ خَيْبَرَ هَكَذَا ‏”‏‏.‏ قَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لَنَشْتَرِي الصَّاعَ بِالصَّاعَيْنِ مِنَ الْجَمْعِ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَفْعَلُوا، وَلَكِنْ مِثْلاً بِمِثْلٍ، أَوْ بِيعُوا هَذَا وَاشْتَرُوا بِثَمَنِهِ مِنْ هَذَا وَكَذَلِكَ الْمِيزَانُ ‏”‏‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনী আদী আনসারী গোত্রের এক লোককে খায়বারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে পাঠালেন। এরপর সে ফিরে আসল উন্নতমানের খেজুর নিয়ে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞাসা করলেন, খায়বারের সব খেজুরই কি এ রকম? তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্‌র কসম! সব খেজুরই এমন নয়। আমরা দু’ সা’ মন্দ খেজুরের বিনিময়ে এরূপ এক সা’ ভাল খেজুর খরিদ করেছি। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এমন করো না। বরং সমানে সমানে কেনা বেচা করো। কিংবা এগুলো বিক্রি করে এর মূল্য দিয়ে সেগুলো খরিদ করো। ওজনের সব জিনিষের হুকুম এটাই। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৯)

৭৩৫১
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَخِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ سُهَيْلِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يُحَدِّثُ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، وَأَبَا، هُرَيْرَةَ حَدَّثَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَخَا بَنِي عَدِيٍّ الأَنْصَارِيَّ وَاسْتَعْمَلَهُ عَلَى خَيْبَرَ، فَقَدِمَ بِتَمْرٍ جَنِيبٍ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَكُلُّ تَمْرِ خَيْبَرَ هَكَذَا ‏”‏‏.‏ قَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لَنَشْتَرِي الصَّاعَ بِالصَّاعَيْنِ مِنَ الْجَمْعِ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَفْعَلُوا، وَلَكِنْ مِثْلاً بِمِثْلٍ، أَوْ بِيعُوا هَذَا وَاشْتَرُوا بِثَمَنِهِ مِنْ هَذَا وَكَذَلِكَ الْمِيزَانُ ‏”‏‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনী আদী আনসারী গোত্রের এক লোককে খায়বারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে পাঠালেন। এরপর সে ফিরে আসল উন্নতমানের খেজুর নিয়ে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞাসা করলেন, খায়বারের সব খেজুরই কি এ রকম? তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্‌র কসম! সব খেজুরই এমন নয়। আমরা দু’ সা’ মন্দ খেজুরের বিনিময়ে এরূপ এক সা’ ভাল খেজুর খরিদ করেছি। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এমন করো না। বরং সমানে সমানে কেনা বেচা করো। কিংবা এগুলো বিক্রি করে এর মূল্য দিয়ে সেগুলো খরিদ করো। ওজনের সব জিনিষের হুকুম এটাই। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৯)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]