৯৭/৪৬. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ হে রসুল! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর, যদি না কর তাহলে তুমি তাঁর বার্তা পৌছানোর দায়িত্ব পালন করলে না। (সূরা আল-মায়িদাহ ৫/৬৭)
যুহ্রী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হচ্ছে বার্তা পাঠানো আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দায়িত্ব হলো পৌছে দেয়া (মানুষের কাছে) আর আমাদের দায়িত্ব হলো মেনে নেয়া। আল্লাহ্ বলেনঃ রসূলগণ তাঁদের প্রতিপালকের বাণী পৌছে দিয়েছেন কিনা তা জানার জন্য- (সূরা জ্বিন ৭২/২৮)। তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের কাছে আল্লাহ্র বার্তাসমূহ পৌছে দিচ্ছি। কাব ইব্নু মালিক (রাঃ) যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে (তাবূক যুদ্ধ) থেকে পিছনে রয়ে গেলেন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আল্লাহ্ তো তোমাদের কাজকর্ম দেখবেন এবং তাঁর রসূল ও মু‘মিনগণও- (সূরা আত্ তাওবাহ ৯/১০৫)। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, কারো ভালো কাজে তোমাকে আনন্দিত করলে বলো, ‘আমাল কর, তোমার এ ‘আমাল আল্লাহ্, আল্লাহ্র রসূল, সমস্ত মু‘মিন দেখবেন। আর তোমাকে কেউ যেন বিচলিত করতে না পারে।
মা‘মার (রহঃ) বলেন, (—) এর অর্থ এ কুরআন, (—) -এর অর্থ বর্ণনা করা ও পথ দেখানো। আল্লাহ্র এ বাণীর মত (—) এর অর্থ এটি আল্লাহ্র হুকুম। (—) এর অর্থ এতে কোন সন্দেহ নেই। (—)(—) অর্থাৎ এগুলো কুরআনের নিদর্শন। এর দৃষ্টান্ত আল্লাহ্রই বাণীঃ যখন তোমরা নৌকায় অবস্থান করো আর চলতে থাকে সেগুলো তাদের নিয়ে। এখানে (—) এর অর্থ (—) অর্থাৎ তোমাদের নিয়ে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মামা হারমকে তাঁর কাওমের কাছে পাঠালেন। তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর কি? আমি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। এই বলে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন
৭৫৩০
الْفَضْلُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْمُزَنِيُّ وَزِيَادُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ حَيَّةَ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ حَيَّةَ قَالَ الْمُغِيرَةُ أَخْبَرَنَا نَبِيُّنَا صلى الله عليه وسلم عَنْ رِسَالَةِ رَبِّنَا أَنَّهُ مَنْ قُتِلَ مِنَّا صَارَ إِلَى الْجَنَّةِ
মুগীরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে আমাদের রবের বার্তা সম্পর্কে জানিয়েছেন যে আমাদের মধ্য থেকে যে, নিহত হবে, সে জান্নাতে চলে যাবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২২)
৭৫৩১
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم كَتَمَ شَيْئًا وَقَالَ مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَتَمَ شَيْئًا مِنْ الْوَحْيِ فَلاَ تُصَدِّقْهُ إِنَّ اللهَ تَعَالَى يَقُولُ {يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ}
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাকে যে বলবে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ওয়াহীর) কিছু বিষয় গোপন করেছেন। মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, ………’আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, যে লোক তোমার কাছে বলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়াহীর কোন কিছু গোপন করেছেন, তাকে তুমি সত্যবাদী মনে করো না। আল্লাহ্ বলেনঃ হে রসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর-(সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৬৭)। [৩১৫৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৩)
৭৫৩২
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ أَيُّ الذَّنْبِ أَكْبَرُ عِنْدَ اللهِ قَالَ أَنْ تَدْعُوَ لِلَّهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ قَالَ ثُمَّ أَيْ قَالَ ثُمَّ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ مَخَافَةَ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ قَالَ ثُمَّ أَيْ قَالَ أَنْ تُزَانِيَ حَلِيلَةَ جَارِكَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَصْدِيقَهَا وَالَّذِينَ {لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ} الْآيَةَ
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আল্লাহ্র কাছে কোন্ গুনাহ্টি সব চেয়ে বড়? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র বিপরীতে কাউকে ডাকা অথচ তিনিই (আল্লাহ্) তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সে বলল, এরপর কোন্টি? তিনি বললেনঃ এরপর তোমার সঙ্গে আহার করবে এ ভয়ে (তোমার) সন্তানকে হত্যা করা। সে বলল, এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ এরপর তোমাদের প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করা। এরই সমর্থনে আল্লাহ্ নাযিল করলেনঃ তারা আল্লাহ্র সাথে অন্য কোন ইলাহ্কে ডাকে না। আর যথার্থতা ব্যতীত কোন প্রাণ হত্যা করে না যা আল্লাহ্ নিষিদ্ধ করেছেন আর তারা ব্যভিচার করে না। আর যে এগুলো করে সে শাস্তির সাক্ষাৎ লাভ করবে। তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে ……….. (সূরাহ আল-ফুরক্বান ২৫/৬৮)। [৪৪৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৪)
৯৭/৪৭. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ বল, তোমরা সত্যবাদী হলে তাওরাত আন এবং পাঠ কর। (সূরা আল্ ইমরান ৩/৯৩)
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণীঃ তাওরাত ওয়ালাদেরকে তাওরাত দেয়া হলে তারা সে মোতাবেক ‘আমাল করল। ইনজিল ওয়ালাদেরকে ইনজিল দেয়া হলে তারাও সে মোতাবেক ‘আমাল করল। তোমাদেরকে দেয়া হলো কুরআন, সুতরাং তোমরা এ মোতাবেক ‘আমাল কর।
আবূ রাযীন (রহঃ) বলেন (—) এর অর্থ তাঁর হুকুমকে যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে অনুসরণ করা। আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (রহঃ) বলেন, (—) অর্থ। (—) পাঠ করা হয়। (—)(—) অর্থাৎ কুরআন সুন্দরভাবে পাঠ করা। (—)(—) -এর অর্থ কুরআনের স্বাদ ও উপাকারিতা কুরআনের বিশ্বাসীদের ছাড়া না পাওয়া। কুরআনের উপর সঠিক আস্থা স্থাপনকারী ছাড়া কেউই তা যথাযথভাবে বহন করতে পারবে না। কেননা, আল্লাহ্ বলেনঃ যাদের উপর তাওরাতের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তা তারা বহন করেনি (অর্থাৎ তারা তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করেনি) তাদের দৃষ্টান্ত হল গাধার মত, যে বহু কিতাবের বোঝা বহন করে (কিন্তু তা বুঝে না)। যে সম্প্রদায় আল্লাহ্র আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে, তাদের দৃষ্টান্ত কতইনা নিকৃষ্ট! যালিম সম্প্রদায়কে আল্লাহ সঠিক পথে পরিচালিত করেন না। (সূরা আল- জুমু‘আহ ৬২/৫)
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসলাম, ঈমান ও সালাতকে ‘আমাল নামে আখ্যায়িত করেছেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ) কে বললেনঃ ইসলামে থাকা অবস্থায় যেটি দ্বারা তুমি মুক্তির বেশী আশাবাদী, আমাকে তুমি সে ‘আমালটি সম্পর্কে জানাও। বিলাল (রাঃ) বললেন, আমার মতে মুক্তির বেশী আশা রাখতে পারি যে ‘আমাল দ্বারা, তা হচেছ আমি যখনই ওযু করেছি, তখন সালাত আদায় করেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করা হলো- কোন্ ‘আমালটি সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনা, এরপর জিহাদ, এরপর কবূল হওয়া হাজ্জ।
৭৫৩৩
عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّمَا بَقَاؤُكُمْ فِيمَنْ سَلَفَ مِنْ الْأُمَمِ كَمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعَصْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ أُوتِيَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ التَّوْرَاةَ فَعَمِلُوا بِهَا حَتَّى انْتَصَفَ النَّهَارُ ثُمَّ عَجَزُوا فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ثُمَّ أُوتِيَ أَهْلُ الإِنْجِيلِ الإِنْجِيلَ فَعَمِلُوا بِهِ حَتَّى صُلِّيَتْ الْعَصْرُ ثُمَّ عَجَزُوا فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ثُمَّ أُوتِيتُمْ الْقُرْآنَ فَعَمِلْتُمْ بِهِ حَتَّى غَرَبَتْ الشَّمْسُ فَأُعْطِيتُمْ قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ فَقَالَ أَهْلُ الْكِتَابِ هَؤُلاَءِ أَقَلُّ مِنَّا عَمَلاً وَأَكْثَرُ أَجْرًا قَالَ اللهُ هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ حَقِّكُمْ شَيْئًا قَالُوا لاَ قَالَ فَهُوَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ
ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পূর্বের উম্মাতদের তুলনায় তোমাদের অবস্থানকালের দৃষ্টান্ত হচ্ছে, ‘আসরের সালাত এবং সূর্যাস্তের মাঝের সময়টুকু। তাওরাতধারীদেরকে তাওরাত দেয়া হলে তারা সে মোতাবেক ‘আমাল করল। এ ভাবে দুপুর হয়ে গেল এবং তারাও দুর্বল হয়ে পড়ল। তাদেরকে এক কীরাত করে মজুরী দেয়া হল। তারপর ইনজিল ধারীদেরকে ইনজিল দেয়া হলে তারা সে মোতাবেক ‘আমাল করল। এ অবস্থায় ‘আসরের সালাত আদায় করা হল। তারাও ক্লান্ত হয়ে গেল। তারপর তাদেরকেও এক কীরাত করে দেয়া হল। শেষে তোমাদেরকে কুরআন দেয়া হয়। তোমরা সে মোতাবেক ‘আমাল করেছ। এ অবস্থায় সূর্য ডুবে গেল। আর তোমাদেরকে দেয়া হল দু‘কীরাত করে। ফলে কিতাবীগণ বলল, এরা তো আমাদের তুলনায় কাজ করল কম, অথচ মজুরী পেল বেশী। এতে আল্লাহ্ বললেন, তোমাদের হকের ব্যাপারে তোমাদের প্রতি কোন যুলুম করা হয়েছে কি? এরা বলবে, না। আল্লাহ্ বললেনঃ এটা আমার অনুগ্রহ, তা আমি যাকে চাই তাকে দিয়ে থাকি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৫)
৯৭/৪৮. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযকে ‘আমাল বলেছেন।
তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ল না , তার সালাত আদায় হল না।
৭৫৩৪
سُلَيْمَانُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْوَلِيدِ ح و حَدَّثَنِي عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الأَسَدِيُّ أَخْبَرَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ عَنْ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ الْعَيْزَارِ عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَجُلاً سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ الصَّلاَةُ لِوَقْتِهَا وَبِرُّ الْوَالِدَيْنِ ثُمَّ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ
ইব্নু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক (সহাবী) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ ‘আমালটি সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেনঃ যথা সময়ে সালাত আদায় করা, মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার, অতঃপর আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৬)
৯৭/৪৯. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে খুবই অস্থির-মনা করে, বিপদ তাকে স্পর্শ করলে সে হয় উৎকন্ঠিত, কল্যাণ তাকে স্পর্শ করলে সে হয়ে পড়ে অতি কৃপণ। (সূরা মা‘আরিজ ৭০/১৯-২৯)
৭৫৩৫
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَالٌ فَأَعْطَى قَوْمًا وَمَنَعَ آخَرِينَ فَبَلَغَهُ أَنَّهُمْ عَتَبُوا فَقَالَ إِنِّي أُعْطِي الرَّجُلَ وَأَدَعُ الرَّجُلَ وَالَّذِي أَدَعُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ الَّذِي أُعْطِي أُعْطِي أَقْوَامًا لِمَا فِي قُلُوبِهِمْ مِنْ الْجَزَعِ وَالْهَلَعِ وَأَكِلُ أَقْوَامًا إِلَى مَا جَعَلَ اللهُ فِي قُلُوبِهِمْ مِنْ الْغِنَى وَالْخَيْرِ مِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ فَقَالَ عَمْرٌو مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِكَلِمَةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حُمْرَ النَّعَمِ
আম্র ইব্নু তাগলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে কিছু মাল এল। এ থেকে তিনি এক দলকে দিলেন। অন্য দলটিকে দিলেন না। অতঃপর তাঁর কাছে এ খবর পৌঁছল যে, যারা পেলো না তারা অসন্তুষ্ট হয়েছে। এতে তিনি বললেনঃ আমি একজনকে দেই আবার অন্য জনকে দেই না। কিন্তু যাকে আমি দেই না, সে-ই আমার কাছে বেশী প্রিয় যাকে দেই তার থেকে। এমন কিছু কাওমকে আমি দেই, যাদের হৃদয়ে আছে অস্থিরতা ও দ্বন্দ। আর কিছু কাওমকে আমি মাল না দিয়ে তাদের হৃদয়ে আল্লাহ্ যে অমুখাপেক্ষিতা ও কল্যাণ রেখেছেন তার উপর সোর্পদ করি। এদেরই একজন হলেন, আম্র ইব্নু তাগলিব (রাঃ)। ‘আম্র (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর এ কথার বিনিময়ে আমি একপাল লাল রং এর উটের মালিক হওয়াও অধিক পছন্দ করি না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৭)
৯৭/৫০. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক তাঁর রবের থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা।
৭৫৩৬
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ الْهَرَوِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّهِ قَالَ إِذَا تَقَرَّبَ الْعَبْدُ إِلَيَّ شِبْرًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا وَإِذَا تَقَرَّبَ مِنِّي ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعًا وَإِذَا أَتَانِي مَشْيًا أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমার বান্দা যখন আমার দিকে এক বিঘত নিকটবর্তী হয়, আমি তখন তার দিকে এক হাত নিকটবর্তী হই। আর সে যখন আমার দিকে এক হাত নিকটবর্তী হয়, আমি তখন তার দিকে দু‘হাত নিকটবর্তী হই। সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৮)
৭৫৩৭
مُسَدَّدٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ التَّيْمِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ رُبَّمَا ذَكَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا تَقَرَّبَ الْعَبْدُ مِنِّي شِبْرًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا وَإِذَا تَقَرَّبَ مِنِّي ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعًا أَوْ بُوعًا وَقَالَ مُعْتَمِرٌ سَمِعْتُ أَبِي سَمِعْتُ أَنَسًا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিকবার বর্ণনা করেছেন যে, (আল্লাহ্ বলেন) : আমার বান্দা যদি আমার দিকে এক বিঘত নিকটবর্তী হয়, আমি তার দিকে এক হাত নিকটবর্তী হই। আর সে যদি আমার দিকে এক হাত নিকটবর্তী হয়, আমি তার দিকে দু হাত নিকটবর্তী হই। বর্ণনাকারী এখানে بَاعًا কিংবা بُوعًا বলেছেন। মুতামির (রহ.) বলেন, আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, তিনি আনাস (রাঃ) থেকে শুনেছেন, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কর্তৃক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি তাঁর প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেছেন। [৭৪০৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৯)
৭৫৩৮
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّكُمْ قَالَ لِكُلِّ عَمَلٍ كَفَّارَةٌ وَالصَّوْمُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ وَلَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: প্রতিটি আমলের কাফ্ফারা রয়েছে, সে সব আমলের ত্রুটি দূর করার জন্য। কিন্তু সওম আমার জন্যই, এতে লোক দেখানোর কিছু নেই, তাই আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব। সওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহ্র কাছে মিস্কের চেয়েও বেশী সুগন্ধময়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩০)
৭৫৩৯
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ ح و قَالَ لِي خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّهِ قَالَ لاَ يَنْبَغِي لِعَبْدٍ أَنْ يَقُولَ إِنَّهُ خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى وَنَسَبَهُ إِلَى أَبِيهِ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রতিপালকের নিকট হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ বলেন: কোন বান্দার জন্য এ দাবী করা শোভনীয় নয় যে, সে ইউনুস ইব্নু মাত্তার চেয়ে ভাল। এখানে ইউনুস (আঃ) -কে তাঁর পিতার দিকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩১)
৭৫৪০
أَحْمَدُ بْنُ أَبِي سُرَيْجٍ أَخْبَرَنَا شَبَابَةُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ الْمُزَنِيِّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفَتْحِ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفَتْحِ أَوْ مِنْ سُورَةِ الْفَتْحِ قَالَ فَرَجَّعَ فِيهَا قَالَ ثُمَّ قَرَأَ مُعَاوِيَةُ يَحْكِي قِرَاءَةَ ابْنِ مُغَفَّلٍ وَقَالَ لَوْلاَ أَنْ يَجْتَمِعَ النَّاسُ عَلَيْكُمْ لَرَجَّعْتُ كَمَا رَجَّعَ ابْنُ مُغَفَّلٍ يَحْكِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لِمُعَاوِيَةَ كَيْفَ كَانَ تَرْجِيعُهُ قَالَ آ آ آ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ
আবদুল্লাহ্ ইব্নু মুগাফ্ফাল আলমুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মাক্কাহ বিজয়ের দিন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাঁর উঠনীর উপর বসা অবস্থায় সূরা ফাত্হ কিংবা সূরা ফাতহের কিছু অংশ পড়তে দেখেছি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তারজীসহ তা পাঠ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, মু’আবিয়া (রাঃ) ইবনুল মুগাফ্ফালের কিরাআত নকল করে পড়ছিলেন। তিনি বললেন, যদি তোমাদের কাছে লোকের ভিড় করার ভয় না হত, তাহলে আমিও তারজী করে ঠিক ঐভাবে পাঠ করতাম, যেভাবে ইব্নুল মুগাফ্ফাল (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কিরাআত নকল করে তারজীসহ পাঠ করেছিলেন। তারপর আমি মু’আবীয়াহ (রাঃ) -কে বললাম, তাঁর তারজী কেমন ছিল? তিনি বললেন, আ, আ, আ, তিনবার। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩২)
৯৭/৫১. অধ্যায়ঃ
তাওরাত ও অন্যান্য আসমানী কিতাব আরবী ইত্যাদি ভাষায় ব্যাখ্যা করা বৈধ। কেননা, আল্লাহ্র বাণী: তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো, এবং তা পাঠ কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সূরা আল ‘ইমরান ৩/৯৩)
৭৫৪১
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَخْبَرَنِي أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ أَنَّ هِرَقْلَ دَعَا تَرْجُمَانَهُ ثُمَّ دَعَا بِكِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَهُ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللهِ وَرَسُولِهِ إِلَى هِرَقْلَ وَ {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ} الآيَةَ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ সুফ্ইয়ান ইবনু হারব (রাঃ) আমাকে এ খবর দিয়েছেন, হিরাক্লিয়াস তাঁর তর্জমাকারীকে ডাকলেন। তারপর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চিঠিখানা আনার জন্য হুকুম করলেন এবং তা পড়লেন। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম- আল্লাহর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে হিরাক্লিয়াসের প্রতি এ চিঠি পাঠানো হল। তাতে আরও লেখা ছিল يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ (হে আহলে কিতাব! এমন এক কথার দিকে আসো, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই,)। [৭] (আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)
৭৫৪২
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَقْرَءُونَ التَّوْرَاةَ بِالْعِبْرَانِيَّةِ وَيُفَسِّرُونَهَا بِالْعَرَبِيَّةِ لِأَهْلِ الإِسْلاَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تُصَدِّقُوا أَهْلَ الْكِتَابِ وَلاَ تُكَذِّبُوهُمْ {قُولُوا آمَنَّا بِاللهِ وَمَا أُنْزِلَ} الْآيَةَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আহলে কিতাব তাওরাত হিব্রু ভাষায় পাঠ করত, আর মুসলিমদের জন্য আরবী ভাষায় এর ব্যাখ্যা করত। এ প্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ঃ কিতাবধারীদেরকে তোমার বিশ্বাস করো না আবার তাদেরকে মিথ্যেবাদী সাব্যস্তও করো না। বরং তোমরা আল্লাহর এ বাণীটি قُولُوا آمَنَّا بِاللهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا (তোমরা বল, ‘আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি এবং যা আমাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে) বল। (সূরাহ বাকারাহ ২/১৩৬) [৪৪৮৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩৩)
৭৫৪৩
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ وَامْرَأَةٍ مِنْ الْيَهُودِ قَدْ زَنَيَا فَقَالَ لِلْيَهُودِ مَا تَصْنَعُونَ بِهِمَا قَالُوا نُسَخِّمُ وُجُوهَهُمَا وَنُخْزِيهِمَا قَالَ {فَأْتُوا بِالتَّوْرَاةِ فَاتْلُوهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ} فَجَاءُوا فَقَالُوا لِرَجُلٍ مِمَّنْ يَرْضَوْنَ يَا أَعْوَرُ اقْرَأْ فَقَرَأَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَوْضِعٍ مِنْهَا فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ قَالَ ارْفَعْ يَدَكَ فَرَفَعَ يَدَهُ فَإِذَا فِيهِ آيَةُ الرَّجْمِ تَلُوحُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ عَلَيْهِمَا الرَّجْمَ وَلَكِنَّا نُكَاتِمُهُ بَيْنَنَا فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا فَرَأَيْتُهُ يُجَانِئُ عَلَيْهَا الْحِجَارَةَ
ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দু’জন ইয়াহূদী নারী-পুরুষকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে আনা হলো। তারা যিনা করেছিল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমরা ইয়াহূদীর এদের সাথে কী আচরন করে থাক? তারা বলল, আমরা এদের মুখ কালো করি ও লাঞ্ছিত করি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমরা তাওরাত নিয়ে এসো, এবং তা পাঠ কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তারা তাওরাত নিয়ে আসল এবং তাদেরই ইচ্ছেমত এক লোককে ডেকে বলল, হে আওয়ার! তুমি পাঠ কর। সে পাঠ করতে লাগল, শেষে এক স্থানে এসে সে তাতে আপন হাত রেখে দিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমার হাতটি উঠাও। সে হাত উঠাল। তখন যিনার শাস্তি পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা আয়াতটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। তিলাওয়াতকারী বলল, হে মুহাম্মাদ! এদের মাঝে শাস্তি আসলে রজমই, কিন্তু আমরা তা গোপন করছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে রজম করার হুকুম দিলে তাদেরকে রজম করা হল। বর্ণনাকারী বলেন, যিনাকারী পুরুষটিকে স্ত্রী লোকটির উপর ঝুঁকে পড়ে তাকে পাথর থেকে রক্ষার চেষ্টা করতে দেখেছি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩৪)
৯৭/৫২. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণী: কুরআন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি জান্নাতে সন্মানিত পূত-পবিত্র কাতিব ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে। অতএব, তোমাদের (সুললিত) কন্ঠ দ্বারা কুরআনকে সৌন্দর্যমন্ডিত কর।
৭৫৪৪
إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ يَزِيدَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَا أَذِنَ اللهُ لِشَيْءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ حَسَنِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِ يَجْهَرُ بِهِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেন। তিনি বলেছেন: আল্লাহ্ উচ্চৈঃস্বরে সুমধুর কন্ঠে কুরআন তিলাওয়াতকারী নবীর প্রতি যত সন্তোষ প্রকাশ করেন, অন্য কোন কিছুর প্রতি তত সন্তোষ প্রকাশ করেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩৫)
৭৫৪৫
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَعَلْقَمَةُ بْنُ وَقَّاصٍ وَعُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ حِينَ قَالَ لَهَا أَهْلُ الإِفْكِ مَا قَالُوا وَكُلٌّ حَدَّثَنِي طَائِفَةً مِنْ الْحَدِيثِ قَالَتْ فَاضْطَجَعْتُ عَلَى فِرَاشِي وَأَنَا حِينَئِذٍ أَعْلَمُ أَنِّي بَرِيئَةٌ وَأَنَّ اللهَ يُبَرِّئُنِي وَلَكِنِّي وَاللهِ مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَنَّ اللهَ يُنْزِلُ فِي شَأْنِي وَحْيًا يُتْلَى وَلَشَأْنِي فِي نَفْسِي كَانَ أَحْقَرَ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ اللهُ فِيَّ بِأَمْرٍ يُتْلَى وَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {إِنَّ الَّذِينَ جَاءُوا بِالإِفْكِ عُصْبَةٌ مِنْكُمْ} الْعَشْرَ الْآيَاتِ كُلَّهَا
ইব্নু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে ‘উরওয়াহ ইব্নু যুবায়র, সা’ঈদ ইব্নু মুসাইয়্যাব, ‘আলক্বামাহ ইব্নু ওয়াক্কাস, ‘উবাইদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ), ‘আয়িশাহ (রাঃ) -এর হাদীস সম্পর্কে বলেছেন। অপবাদকারীরা যখন তার উপর অপবাদ দিয়েছিল। ইব্নু শিহাব (রহঃ) বলেন, বর্ণনাকারীদের একেকজন সে সম্পর্কে আমার কাছে হাদীসের একেক অংশের বর্ণনা দিয়েছেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, এর ফলে আমি আমার বিছানায় শুয়ে পড়লাম। অথচ আমি তখন জানি, আমি নির্দোষ পবিত্র এবং আল্লাহ্ আমাকে নির্দোষ বলে প্রমান করবেন। আল্লাহ্র শপথ! কিন্তু আমার মর্যাদা আমার কাছে এমন যোগ্য ছিল না যে, এ ব্যাপারে ওয়াহীই অবতীর্ণ করবেন যা তিলাওয়াত করা হবে। আমার মর্যাদা আমার কাছে এর চেয়ে তুচ্ছ ছিল যে, আল্লাহ্ আমার সম্পর্কে এমন কোন কালাম করবেন যা তিলাওয়াত করা হবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ নাযিল করলেন: যারা এমন জঘন্য অপবাদ এনেছে……..পুরো দশটি আয়াত (সূরা আন্-নূর ২৪/১১-২০)। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩৬)
৭৫৪৬
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ أُرَاهُ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْعِشَاءِ {وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ} فَمَا سَمِعْتُ أَحَدًا أَحْسَنَ صَوْتًا أَوْ قِرَاءَةً مِنْهُ
বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এশার সালাতে সূরা وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ পড়তে শুনেছি। স্বর কিংবা কিরআতের দিক থেকে তার চেয়ে সুন্দর আমি আর কাউকে দেখিনি। [৭৬৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩৭)
৭৫৪৭
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُتَوَارِيًا بِمَكَّةَ وَكَانَ يَرْفَعُ صَوْتَهُ فَإِذَا سَمِعَ الْمُشْرِكُونَ سَبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم {وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا}
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় লুকিয়ে থাকতেন। আর তিনি উচ্চৈঃস্বরে (তিলাওয়াত) করতেন। যখন তা মুশরিক্রা শুনল, তারা কুরআন ও তাঁর বাহককে গালমন্দ করল। এ অবস্থায় আল্লাহ্ তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জানিয়ে দিলেন, আপনি আপনার সালাতে কুরআন উচ্চৈঃস্বরেও পড়বেন না এবং খুব চুপে চুপেও পড়বেন না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩৮)
৭৫৪৮
إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ لَهُ إِنِّي أَرَاكَ تُحِبُّ الْغَنَمَ وَالْبَادِيَةَ فَإِذَا كُنْتَ فِي غَنَمِكَ أَوْ بَادِيَتِكَ فَأَذَّنْتَ لِلصَّلاَةِ فَارْفَعْ صَوْتَكَ بِالنِّدَاءِ فَإِنَّهُ لاَ يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلاَ إِنْسٌ وَلاَ شَيْءٌ إِلاَّ شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আবদুর রহমান ইব্নু আবূস’স’আহ (রহঃ) -কে বললেন, আমি তোমাকে দেখেছি, তুমি বক্রীপাল ও ময়দানকে ভালবাস। সুতরাং তুমি যখন বক্রীর পাল কিংবা ময়দানে থাকবে, তখন সালাতের জন্য উচ্চৈঃস্বরে আযান দেবে। কারণ মুআয্যিনের আযানের স্বর যতদূর পৌছবে, তত দূরের জ্বিন, ইনসান, অন্যান্য জিনিস যারাই শুনবে, ক্বিয়ামতের দিন তারা তার স্বপক্ষে সাক্ষ্য দেবে। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেন, আমি এটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৩৯)
৭৫৪৯
قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أُمِّهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَرَأْسُهُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কুরআন পড়তেন তখন তাঁর মাথা থাকত আমার কোলে যদিও আমি থাকতাম ঋতুবতী।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪০)
৯৭/৫৩. অধ্যায়ঃ
৯৭/৫৩. অধ্যায়ঃ
৭৫৫০
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدٍ الْقَارِيَّ حَدَّثَاهُ أَنَّهُمَا سَمِعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمٍ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَمَعْتُ لِقِرَاءَتِهِ فَإِذَا هُوَ يَقْرَأُ عَلَى حُرُوفٍ كَثِيرَةٍ لَمْ يُقْرِئْنِيهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَكِدْتُ أُسَاوِرُهُ فِي الصَّلاَةِ فَتَصَبَّرْتُ حَتَّى سَلَّمَ فَلَبَبْتُهُ بِرِدَائِهِ فَقُلْتُ مَنْ أَقْرَأَكَ هَذِهِ السُّورَةَ الَّتِي سَمِعْتُكَ تَقْرَأُ قَالَ أَقْرَأَنِيهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ كَذَبْتَ أَقْرَأَنِيهَا عَلَى غَيْرِ مَا قَرَأْتَ فَانْطَلَقْتُ بِهِ أَقُودُهُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى حُرُوفٍ لَمْ تُقْرِئْنِيهَا فَقَالَ أَرْسِلْهُ اقْرَأْ يَا هِشَامُ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَذَلِكَ أُنْزِلَتْ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اقْرَأْ يَا عُمَرُ فَقَرَأْتُ الَّتِي أَقْرَأَنِي فَقَالَ كَذَلِكَ أُنْزِلَتْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ
মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রহঃ) ও ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদুল ক্বারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে ‘উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জীবিত অবস্থায় আমি হিশাম ইব্নু হাকীম (রাঃ) -কে (সালাতে) সূরায়ে ফুরকান তিলাওয়াত করতে শুনেছি। আমি একাগ্রমনে তাঁর তিলাওয়াত শুনছিলাম। তিনি এমন অনেকগুলো শব্দ তিলাওয়াত করছিলেন, যেগুলো রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তিলাওয়াত করাননি। এতে আমি তাঁকে সালাতের অবস্থায় ধরে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সালাম ফেরানো অবধি আমি ধৈর্য ধরলাম। তারপর আমি তাঁর চাদর দিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরলাম। আর বললাম, আমি তোমাকে যে সূরা পাঠ করতে শুনলাম, তা তোমাকে কে শিখিয়েছে? তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি বললাম, তুমি মিথ্যে বলেছ, তিনি আমাকে শিখিয়েছেন, তবে তোমার কিরাআতের মত নয়। তারপর আমি তাঁকে টেনে টেনে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে নিয়ে চললাম। এরপর আমি বললাম, আমি শুনলাম একে ভিন্ন শব্দ দ্বারা সূরা ফুরকান পাঠ করতে, যা আপনি আমাকে শিখাননি। তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ] বললেনঃ আচ্ছা তাঁকে ছেড়ে দাও। তুমি পড়, হে হিশাম! এরপর আমি যেমন কিরাআত শুনেছিলাম তিনি তেমন কিরাআত পড়লেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কুরআন এভাবেই নাযিল হয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘উমর! তুমি পড়। আমি সেভাবে পড়লাম যেভাবে আমাকে শিখানো হয়েছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কুরআন এভাবেই নাযিল হয়েছে। এ কুরআন সাত হরফে (কিরাআতে) নাযিল করা হয়েছে। কাজেই যেভাবে সহজ হয়, সেভাবে তা পাঠ কর। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪১)
৯৭/৫৪. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি? (সূরা আল-ক্বামার ৪৫/৩২)
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক ব্যক্তি যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সে কাজ সহজ করে দেয়া হয়। (—) অর্থ প্রস্তুতকৃত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, (—) –এর অর্থ আমি কুরআন পাঠ আপনার জন্য সহজ করে দিয়েছি।
৭৫৫১
أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ قَالَ يَزِيدُ حَدَّثَنِي مُطَرِّفُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ عِمْرَانَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ فِيمَا يَعْمَلُ الْعَامِلُونَ قَالَ كُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ
ইমরান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! ‘আমলকারীরা কিসে ‘আমল করছে? তিনি বললেন, যাকে যে কাজ করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সে কাজ করা সহজ করে দেয়া হয়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪২)
৭৫৫২
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ وَالأَعْمَشِ سَمِعَا سَعْدَ بْنَ عُبَيْدَةَ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَلِيٍّ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ فِي جَنَازَةٍ فَأَخَذَ عُودًا فَجَعَلَ يَنْكُتُ فِي الأَرْضِ فَقَالَ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنْ النَّارِ أَوْ مِنْ الْجَنَّةِ قَالُوا أَلاَ نَتَّكِلُ قَالَ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ {فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى الْآيَةَ}
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একবার কোন জানাযায় ছিলেন। তারপর তিনি একটি কাঠের টুকরা হাতে নিয়ে তা দিয়ে মাটি খোঁচাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, তোমাদে র মধ্যে এমন কেউ নেই যার ঠিকানা জাহান্নাম কিংবা জান্নাতে নির্দিষ্ট করা হয়নি। সহাবীগণ বললেন, তা হলে আমরা কি এর উপর নির্ভর করব না? তিনি বললেনঃ তোমরা ‘আমাল করতে থাক। প্রত্যেকের জন্য সহজ করে দেয়া হয়। (অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ …..فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى। সুতরাং কেউ দান করলে, মুত্তাকী হলে…..। [১৩৬২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪৩)
৯৭/৫৫. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণী : বস্তুত এটি সম্মানিত কুরআন, সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ- (সূরা বুরুজ ৮৫/২১-২২)। শপথ তূর পর্বতের। শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে- (সূরা আত্ তূর ৫২/১-২)।
ক্বাতাদাহ (রহ:) বলেন, (—) অর্থ লিপিবদ্ধ (—) অর্থ তারা লিখছে (—)। অর্থাৎ কিতাবের স্তর ও মূল (—) অর্থ যা কিছু বলা হয়, তা লিপিবদ্ধ হয়। এর ব্যাখ্যায় ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, ভালমন্দ সব লিপিবদ্ধ করা হয়। (—) এর অর্থ পরিবর্তন করা। এমন কেউ নেই, যে আল্লাহ্র কোন কিতাবের শব্দ পরিবর্তন করতে পারে। তবে তারা তাহরীফ তথা অপব্যাখ্যা করতে পারে। (—) অর্থ তাদের তিলাওয়াত, (—) অর্থ সংরক্ষণকারী, (—) অর্থ তা সংরক্ষণ করে। এবং এ কুরআন আমার কাছে পাঠানো হয়েছে, যেন তোমাদেরকে এর দ্বারা আমি সতর্ক করি- (সূরা আন’আম ৬/১৯)। অর্থাৎ মক্কাবাসী এবং যাদের কাছে এ কুরআন প্রচারিত হবে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্যে সতর্ককারী। ( এই অধ্যায়টা লিখা ছিল না। আমি লিখে দিলাম। চেক করে নেবেন। navim )
৭৫৫৩
و قَالَ لِي خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ سَمِعْتُ أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَمَّا قَضَى اللهُ الْخَلْقَ كَتَبَ كِتَابًا عِنْدَهُ غَلَبَتْ أَوْ قَالَ سَبَقَتْ رَحْمَتِي غَضَبِي فَهُوَ عِنْدَهُ فَوْقَ الْعَرْشِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ যখন তাঁর মাখলূকাত সৃষ্টি করলেন, তাঁর কাছে একটি কিতাব লিপিবদ্ধ রাখলেন। “আমার গযবের উপর আমার রহমত অগ্রগামী হয়েছে’ এটি তাঁর কাছে আরশের ওপর আছে।(আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)
৭৫৫৪
مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي غَالِبٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ أَنَّ أَبَا رَافِعٍ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ اللهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الْخَلْقَ إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي فَهُوَ مَكْتُوبٌ عِنْدَهُ فَوْقَ الْعَرْشِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ সমস্ত সৃষ্টিকে সৃষ্টি করার আগে একটি লেখা লিখে রেখেছেন। তা হলো “আমার গযবের উপর আমার রহমত অগ্রগামী হয়েছে”, এটি তাঁরই নিকটে আরশের ওপর লেখা আছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪৪)
৯৭/৫৬. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে আর তোমরা যা তৈরী কর সেগুলোকেও- (সূরা আস সফ্ফাত ৩৭/৯৬)। আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে। (সূরা আল ক্বামার ৫৪/৪৯)।
ছবি নির্মাতাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছ, তাতে জীবন দাও। তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ যিনি ছয় দিনে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন , অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। দিনকে তিনি রাতের পর্দা দিয়ে ঢেকে দেন, তারা একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে এবং সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি তাঁরই আজ্ঞাবহ। জেনে রেখ, সৃষ্টি তাঁর, হুকুমও (চলবে) তাঁর, মহীয়ান, গরীয়ান আল্লাহ্ বিশ্বজগতের প্রতিপালক। (সূরা আল-আরাফ ৭/৫৪)।
ইবনু ‘উয়াইনাহ (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ সৃষ্টিকে হুকুম থেকে পৃথক করে বর্ণনা করেছেন। কেননা তার বাণী হলোঃ …………………… জেনে রাখ সৃষ্টি ও হুকুম তাঁরই। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈমানকেও ‘আমল বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ যার (রহঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করা হল, কোন ‘আমলটি সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা, তাঁর পথে জিহাদ করা। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ …………… এটা তাদের কাজেরই প্রতিদান। আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বললেন, আমাদের কিছু সংক্ষিপ্ত বিষয়ের নির্দেশ দিন , যেগুলো মেনে চললে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি তাদের আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা,রাসুলের রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান, সালাত কায়িম করা এবং যাকাত আদায়ের হুকুম দিলেন। এ সবকেই তিনি ‘আমলরূপে উল্লেখ করেছেন।
৭৫৫৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، وَالْقَاسِمِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ زَهْدَمٍ، قَالَ كَانَ بَيْنَ هَذَا الْحَىِّ مِنْ جُرْمٍ وَبَيْنَ الأَشْعَرِيِّينَ وُدٌّ وَإِخَاءٌ، فَكُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ الطَّعَامُ فِيهِ لَحْمُ دَجَاجٍ، وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ كَأَنَّهُ مِنَ الْمَوَالِي، فَدَعَاهُ إِلَيْهِ فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ، فَحَلَفْتُ لاَ آكُلُهُ. فَقَالَ هَلُمَّ فَلأُحَدِّثْكَ عَنْ ذَاكَ، إِنِّي أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلُهُ قَالَ ” وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ ”. فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِنَهْبِ إِبِلٍ فَسَأَلَ عَنَّا فَقَالَ ” أَيْنَ النَّفَرُ الأَشْعَرِيُّونَ ”. فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى، ثُمَّ انْطَلَقْنَا قُلْنَا مَا صَنَعْنَا حَلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَحْمِلُنَا، وَمَا عِنْدَهُ مَا يَحْمِلُنَا، ثُمَّ حَمَلَنَا، تَغَفَّلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمِينَهُ، وَاللَّهِ لاَ نُفْلِحُ أَبَدًا، فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا لَهُ فَقَالَ ” لَسْتُ أَنَا أَحْمِلُكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ، إِنِّي وَاللَّهِ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، إِلاَّ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ، وَتَحَلَّلْتُهَا ”.
যাহদাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জারমের এ কাওমটির সঙ্গে আশ’আরী কাওমের গভীর ভালবাসা ও ভ্রাতৃভাব ছিল। এক সময় আমরা আবু মুসা আশ’আরী (রাঃ) এর কাছে ছিলাম। তাঁর কাছে খাদ্য আনা হল। এতে মুরগীর গোশতও ছিল। এ সময় তাঁর নিকট বানী তায়মুল্লাহ্র এক লোক ছিল। সে (দেখতে) যেন আযাদকৃত গোলাম। তাকেও আবূ মুসা (রাঃ) খেতে ডাকলেন। সে বলল, আমি এ মুরগীকে এমন কিছু জিনিস খেতে দেখেছি, যার ফলে এটি খেতে আমি খেতে ঘৃনা করি। এ জন্য শপথ করেছি, আমি তা খাব না। আবূ মুসা (রাঃ) বললেন, তুমি এদিকে এসো, এ ব্যাপারে আমি তোমাকে একটি হাদীস শোনাব। আমি এক সময় আশ’আরী কওমের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে বাহন চাওয়ার জন্য গেলাম। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের বাহন দেব না। আর তোমাদের দেয়ার মত আমার কাছে বাহন নেই। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে গনীমতের কিছু উট আনা হলে তিনি আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন এবং বললেন, আশ’আরীদের দলটি কোথায়? তারপর তিনি পাঁচটি মোজা তাজা ও উৎকৃষ্ট উট আমাদের দেয়ার জন্য হুকুম করলেন। আমরা এগুলো নিয়ে রওনা দেয়ার সময় বললাম, আমরা কী কর্মটি করলাম! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শপথ করে বললেন, আমাদের বাহন দেবেন না এবং তাঁর কাছে দেয়ার মত বাহন নেই। তারপরও তো তিনি আমাদের বাহন দিয়ে দিলেন। হয়ত আমরা তাঁকে তাঁর শপথ সম্পর্কে বেখেয়াল করে দিয়েছি। আল্লাহর শপথ! আমরা কক্ষনো সফলকাম হবো না। তাই আমরা তাঁর কাছে আবার গেলাম এবং তা তাঁকে বললাম। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে বাহন দেইনি, বরং দিয়েছেন আল্লাহ্ ! আল্লাহর শপথ! আমি কোন বিষয়ে শপথ করি আর যদি তার বিপরীতে কল্যাণ দেখতে পাই, তবে তাতেই ফিরে আসি এবং (কাফ্ফারা আদায় করে) তা বৈধ করে নেই। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪৫)
৭৫৫৬
عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا أَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ الْمُشْرِكِينَ مِنْ مُضَرَ وَإِنَّا لاَ نَصِلُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي أَشْهُرٍ حُرُمٍ فَمُرْنَا بِجُمَلٍ مِنْ الأَمْرِ إِنْ عَمِلْنَا بِهِ دَخَلْنَا الْجَنَّةَ وَنَدْعُو إِلَيْهَا مَنْ وَرَاءَنَا قَالَ آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ آمُرُكُمْ بِالإِيمَانِ بِاللهِ وَهَلْ تَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ بِاللهِ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَتُعْطُوا مِنْ الْمَغْنَمِ الْخُمُسَ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ لاَ تَشْرَبُوا فِي الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالظُّرُوفِ الْمُزَفَّتَةِ وَالْحَنْتَمَةِ
আবূ জামরাহ দুবায়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কে বললাম। তিনি বললেন ‘আবদুল কায়সের প্রতিনিধিদল রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বলল, আমাদের এবং আপনাদের মাঝখানে মুযার গোত্রের মুশরিকরা আছে। সে কারনে আমরা সম্মানিত মাস (আশহুরে হুরুম) ব্যতীত আর কোন সময় আপনার কাছে আসতে পারি না। কাজেই আমাদেরকে সংক্ষিপ্ত কিছু বিষয়ের হুকুম দিন, যার উপর আমল করলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করব এবং আমরা যাদের রেখে এসেছি তাদেরও এ পথে আহ্বান জানাতে পারব। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাদেরকে চারটি বিষয়ের হুকুম করছি। আর চারটি বিষয় থেকে নিষেধ করেছি। আমি তোমাদেরকে হুকুম দিচ্ছি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার। আর তোমরা জান কি, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কাকে বলে? তা হলো, সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, সালাত কায়িম করা, যাকাত দেয়া, গনীমতের মালের এক পঞ্চমাংশ দেয়া। তোমাদের চারটি বিষয় হতে নিষেধ করছি, লাউয়ের খোল দিয়ে তৈরী পাত্রে, খেজুর গাছের মূল খোদাই করে তৈরী পাত্রে, আলকাতরা ইত্যাদি দিয়ে প্রলেপ দেয়া পাত্রে, এবং মাটির সবুজ ঘটিতে তোমরা পান করবে না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪৬)
৭৫৫৭
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এসব ছবি নির্মাতাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে। তখন তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হবে তোমরা যা বানিয়েছ ,তা জীবিত কর। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪৭)
৭৫৫৮
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ
ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এসব ছবি নির্মাতাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, যা তোমরা সৃষ্টি করেছ, তাকে জীবিত কর। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪৮)
৭৫৫৯
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذَهَبَ يَخْلُقُ كَخَلْقِي فَلْيَخْلُقُوا ذَرَّةً أَوْ لِيَخْلُقُوا حَبَّةً أَوْ شَعِيرَةً
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ বলেছেনঃ তাদের চেয়ে বড় যালিম আর কে আছে যে আমার সৃষ্টির মত সৃষ্টি করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে? তা হলে তারা একটা অণু কিংবা শস্যদানা কিংবা যব তৈরী করুক। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৪৯)
৯৭/৫৭. অধ্যায়ঃ
পাপী ও মুনাফিকের কিরাআত, তাদের স্বর ও তাদের কিরাআত কন্ঠনালী অতিক্রম করে না।
৭৫৬০
هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ حَدَّثَنَا أَنَسٌ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَالْأُتْرُجَّةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَرِيحُهَا طَيِّبٌ وَمَثَلُ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ كَالتَّمْرَةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَلاَ رِيحَ لَهَا وَمَثَلُ الْفَاجِرِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الرَّيْحَانَةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ وَمَثَلُ الْفَاجِرِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الْحَنْظَلَةِ طَعْمُهَا مُرٌّ وَلاَ رِيحَ لَهَا
আবূ মুসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুরআন তিলাওয়াতকারী ঈমানদারের দৃষ্টান্ত উত্রুজ্জার (কমলালেবু) মত। এর স্বাদও উৎকৃষ্ট এবং সুগন্ধও উৎকৃষ্ট। আর যে মু‘মিন কুরআন তিলাওয়াত করে না তার দৃষ্টান্ত যেন খেজুরের মত। এটি খেতে সুস্বাদু বটে, তবে তার কোন সুঘ্রাণ নেই। কুরআন তিলাওয়াতকারী পাপী ব্যক্তিটি সুগন্ধি ফুলের মত। এর সুগন্ধ আছে বটে, তবে স্বাদে তিক্ত। আর যে অতি পাপী হয়ে আবার কুরআনও তিলাওয়াত করে না সে মাকাল ফলের মত। এ ফল স্বাদেও তিক্ত আর এর কোন সুগন্ধ নেই।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৫০)
৭৫৬১
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ ح و حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ قَالَتْ عَائِشَةُ سَأَلَ أُنَاسٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْكُهَّانِ فَقَالَ إِنَّهُمْ لَيْسُوا بِشَيْءٍ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّهُمْ يُحَدِّثُونَ بِالشَّيْءِ يَكُونُ حَقًّا قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تِلْكَ الْكَلِمَةُ مِنْ الْحَقِّ يَخْطَفُهَا الْجِنِّيُّ فَيُقَرْقِرُهَا فِي أُذُنِ وَلِيِّهِ كَقَرْقَرَةِ الدَّجَاجَةِ فَيَخْلِطُونَ فِيهِ أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ كَذْبَةٍ
আ’য়িশা (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকজন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জ্যোতিষদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, তারা মূলত কিছুই নয়। তারা জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! কখনো কখনো তারা তো এমন কিছু কথাও বলে ফেলে যা সত্য হয়। এতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব কথা সত্য। জ্বিনেরা এসব কথা প্রথম শোনে, (মনে রেখে) পরে এদের দোসরদের কানে মুরগির মত করকর রবে নিক্ষেপ করে দেয়। এরপর এসব জ্যোতিষী সামান্য সত্যের সাথে শত মিথ্যার মিশ্রণ ঘটায়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৫১)
৭৫৬২
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ يُحَدِّثُ عَنْ مَعْبَدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَخْرُجُ نَاسٌ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ وَيَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنْ الرَّمِيَّةِ ثُمَّ لاَ يَعُودُونَ فِيهِ حَتَّى يَعُودَ السَّهْمُ إِلَى فُوقِهِ قِيلَ مَا سِيمَاهُمْ قَالَ سِيمَاهُمْ التَّحْلِيقُ أَوْ قَالَ التَّسْبِيدُ
আবূ সাঈদ খুদ্রী (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পূর্বাঞ্চল থেকে একদল লোকের অভ্যুদয় ঘটবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, তবে তাদের এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে, যেভাবে শিকার (ধনুক) থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তারা আর ফিরে আসবে না, যে পর্যন্ত তীর ধনুকের ছিলায় না আসে। বলা হল, তাদের আলামত কি? তিনি বললেন, তাদের আলামত হল মাথা মুণ্ডন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৫২)
৯৭/৫৮. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্ তা’আলার বানীঃ কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করব ন্যায়বিচারের মানদণ্ড (২১:৪৭)।
আদম সন্তানদের আমল ও কথা পরিমাপ করা হবে। মুজাহিদ (র.) বলেন, রুমীদের (ইটালীয়দের) ভাষায় ……. … অর্থ ন্যায় ও ইনসাফ। ……. ….. শব্দমূল হল …… … অর্থ ন্যায়পরায়ন। অপর পক্ষে ……. …. -এর অর্থ (কিন্তু) জালিম।
৭৫৬৩
أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كَلِمَتَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’টি কলেমা (বাণী) রয়েছে, যেগুলো দয়াময় আল্লাহ্র কাছে অতি প্রিয়, উচ্চারনে খুবই সহজ (আমলের) পাল্লায় অত্যন্ত ভারী। (বাণী দু’টি হচ্ছে), সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহান্নাল্লাহিল আযীম’—আমরা আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, মহান আল্লাহ্ অতীব পবিত্র।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৫৩)