সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস ক্রয় বিক্রয় অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২০৯৮ – ২১৪০

৩৪/৩৫. অধ্যায়ঃ
জাহিলী যুগের বাজার যেখানে লোকেরা ক্রয়-বিক্রয় করেছে এরপর ইসলামী যুগে সেগুলোতে লোকেদের ক্রয়-বিক্রয় করা

২০৯৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَتْ عُكَاظٌ وَمَجَنَّةُ وَذُو الْمَجَازِ أَسْوَاقًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ تَأَثَّمُوا مِنَ التِّجَارَةِ فِيهَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏{‏لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ‏}‏ فِي مَوَاسِمِ الْحَجِّ، قَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَذَا‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, উকায, মাজান্না ও যুল-মাজায জাহিলী যুগের বাজার ছিল, ইসলামের আবির্ভাবের পর লোকেরা তথায় ব্যবসা করা গুনাহের কাজ মনে করল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেনঃ তোমাদের ওপর কোন গুনাহ নাই …… (অর্থাৎ) হাজ্জের মওসুমে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এরূপ পড়েছেন।

৩৪/৩৬. অধ্যায়ঃ
তৃষ্ণা কাতর অথবা চর্মরোগে আক্রান্ত উটের ক্রয়-বিক্রয় করা। হায়িম বলা হয় যে কোন ব্যাপারে মধ্যম পন্থা বর্জনকারীকে।

২০৯৯
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو كَانَ هَا هُنَا رَجُلٌ اسْمُهُ نَوَّاسٌ، وَكَانَتْ عِنْدَهُ إِبِلٌ هِيمٌ، فَذَهَبَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ فَاشْتَرَى تِلْكَ الإِبِلَ مِنْ شَرِيكٍ لَهُ، فَجَاءَ إِلَيْهِ شَرِيكُهُ فَقَالَ بِعْنَا تِلْكَ الإِبِلَ‏.‏ فَقَالَ مِمَّنْ بِعْتَهَا قَالَ مِنْ شَيْخٍ، كَذَا وَكَذَا‏.‏ فَقَالَ وَيْحَكَ ذَاكَ ـ وَاللَّهِ ـ ابْنُ عُمَرَ‏.‏ فَجَاءَهُ فَقَالَ إِنَّ شَرِيكِي بَاعَكَ إِبِلاً هِيمًا، وَلَمْ يَعْرِفْكَ‏.‏ قَالَ فَاسْتَقْهَا‏.‏ قَالَ فَلَمَّا ذَهَبَ يَسْتَاقُهَا فَقَالَ دَعْهَا، رَضِينَا بِقَضَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ عَدْوَى‏.‏ سَمِعَ سُفْيَانُ عَمْرًا‏.‏

‘আমর (ইবনু দীনার) (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এখানে নাওওয়াস নামক এক ব্যক্তি ছিল। তার নিকট অতি পিপাসা রোগে আক্রান্ত একটি উট ছিল। ইবনু ‘উমর (রাঃ) তার শরীকের কাছ থেকে সে উটটি কিনে নেন। পরে তার শরীক তার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, সে উটটি বিক্রি করে দিয়েছি। নাওওয়াস জিজ্ঞেস করলেন, কার কাছে বিক্রি করেছ? সে বলল, এমন আকৃতির এক বৃদ্ধের কাছে। নাওওয়াস বলে উঠলেন, আরে কি সর্বনাশ! তিনি তো আল্লাহর কসম ইবনু ‘উমর (রাঃ) ছিলেন। এরপর নাওওয়াস তাঁর নিকট এলেন এবং বললেন, আমার শরীক আপনাকে চিনতে না পেরে আপনার কাছে একটি পিপাসাক্রান্ত উট বিক্রি করেছে। তিনি বললেন, তবে উটটি নিয়ে যাও। সে যখন উটটি নিয়ে যেতে উদ্যত হলো, তখন তিনি বললেন, রেখে দাও। আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ফয়সালায় সন্তুষ্ট যে, রোগে কোন সংক্রমণ নেই। সুফয়ান (রহঃ) ‘আমর (রহঃ) হতে উক্ত হাদীসটি শুনেছেন।

৩৪/৩৭. অধ্যায়ঃ
ফিতনার (গোলযোগপূর্ণ) সময় বা অন্য সময়ে অস্ত্র বিক্রি।

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) ফিতনার সময় অস্ত্র বিক্রয়কে অপছন্দ করতেন।

২১০০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ أَفْلَحَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حُنَيْنٍ، فَأَعْطَاهُ ـ يَعْنِي دِرْعًا ـ فَبِعْتُ الدِّرْعَ، فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِي بَنِي سَلِمَةَ، فَإِنَّهُ لأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الإِسْلاَمِ‏.‏

আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, আমরা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাথে হুনাইনের যুদ্ধে গমন করেছিলাম। তখন তিনি আমাকে একটি বর্ম দিয়েছিলেন। আমি সেটি বিক্রয় করে তার মূল্য দ্বারা বণূ সালিমা গোত্রের এলাকায় একটি বাগান ক্রয় করি। এ ছিল ইসলাম গ্রহণের পর আমার প্রথম স্থাবর সম্পত্তি অর্জন।

৩৪/৩৮. অধ্যায়ঃ
আতর ও মিস্‌ক বিক্রেতাদের সম্পর্কে।

২১০১
حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بُرْدَةَ بْنَ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَثَلُ الْجَلِيسِ الصَّالِحِ وَالْجَلِيسِ السَّوْءِ كَمَثَلِ صَاحِبِ الْمِسْكِ، وَكِيرِ الْحَدَّادِ، لاَ يَعْدَمُكَ مِنْ صَاحِبِ الْمِسْكِ إِمَّا تَشْتَرِيهِ، أَوْ تَجِدُ رِيحَهُ، وَكِيرُ الْحَدَّادِ يُحْرِقُ بَدَنَكَ أَوْ ثَوْبَكَ أَوْ تَجِدُ مِنْهُ رِيحًا خَبِيثَةً ‏”‏‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিস্‌ক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয় তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে।

৩৪/৩৯. অধ্যায়ঃ
রক্ত মোক্ষমকারীদের প্রসঙ্গে।

২১০২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ حَجَمَ أَبُو طَيْبَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ لَهُ بِصَاعٍ مِنْ تَمْرٍ، وَأَمَرَ أَهْلَهُ أَنْ يُخَفِّفُوا مِنْ خَرَاجِهِ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ তায়বা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে শিঙ্গা লাগলেন তখন তিনি তাকে এক সা’ পরিমাণ খেজুর দিতে আদেশ করলেন এবং তার মালিককে তার দৈনিক পারিশ্রমিকের হার কমিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন।

২১০৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ ـ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ ـ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ احْتَجَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَعْطَى الَّذِي حَجَمَهُ، وَلَوْ كَانَ حَرَامًا لَمْ يُعْطِهِ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিঙ্গা লাগালেন এবং যে তাঁকে শিঙ্গা লাগিয়েছে, তাকে তিনি মজুরী দিলেন। যদি তা হারাম হতো তবে তিনি তা দিতেন না।

৩৪/৪০. অধ্যায়ঃ
যা পরিধান করা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ সেই জিনিসের ব্যবসা।

২১০৪
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَرْسَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ بِحُلَّةِ حَرِيرٍ ـ أَوْ سِيرَاءَ ـ فَرَآهَا عَلَيْهِ، فَقَالَ ‏ “‏ إِنِّي لَمْ أُرْسِلْ بِهَا إِلَيْكَ لِتَلْبَسَهَا، إِنَّمَا يَلْبَسُهَا مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ، إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَسْتَمْتِعَ بِهَا ‏”‏‏.‏ يَعْنِي تَبِيعُهَا‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমর (রাঃ)-এর নিকট একটি রেশমী চাদর পাঠিয়ে দেন, পরে তিনি তা তাঁর গায়ে দেখতে পেয়ে বলেন, আমি তা তোমাকে এই জন্য দেই নি যে, তুমি তা পরিধান করবে। অবশ্য তা তারাই পরিধান করে, যার (আখিরাতে) কোন অংশ নেই। আমি তো তা তোমার কাছে এ জন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি তা দিয়ে উপকৃত হবে অর্থাৎ তা বিক্রি করবে।

২১০৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا اشْتَرَتْ نُمْرُقَةً فِيهَا تَصَاوِيرُ، فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ عَلَى الْبَابِ، فَلَمْ يَدْخُلْهُ، فَعَرَفْتُ فِي وَجْهِهِ الْكَرَاهِيَةَ، فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم مَاذَا أَذْنَبْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا بَالُ هَذِهِ النُّمْرُقَةِ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ اشْتَرَيْتُهَا لَكَ لِتَقْعُدَ عَلَيْهَا وَتَوَسَّدَهَا‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُعَذَّبُونَ، فَيُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ إِنَّ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ الصُّوَرُ لاَ تَدْخُلُهُ الْمَلاَئِكَةُ ‏”‏‏.‏

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি একটি ছবিওয়ালা বালিশ ক্রয় করেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দেখতে পেয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে গেলেন, ভিতরে প্রবেশ করলেন না। আমি তাঁর চেহারায় অসন্তুষ্টি ভাব দেখতে পেলাম। তখন বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কাছে তওবা করছি। আমি কি অপরাধ করেছি? তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ বালিশের কী ব্যাপার? ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আমি এটি আপনার জন্য ক্রয় করেছি, যাতে আপনি টেক লাগিয়ে বসতে পারেন। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এই ছবি তৈরীকারীদের ক্বিয়ামাতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে। তাদের বলা হবে, তোমরা যা তৈরী করেছিলে, তা জীবিত কর। তিনি আরো বলেন, যে ঘরে এ সব ছবি থাকে, সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না।

৩৪/৪১. অধ্যায়ঃ
দ্রব্যসামগ্রীর মালিক মূল্য বলার অধিক হকদার।

২১০৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ ‏”‏‏.‏ وَفِيهِ خِرَبٌ وَنَخْلٌ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে বানূ নাজ্জার! আমাকে তোমাদের বাগানের মূল্য বল। বাগানটিতে ঘরের ভাঙা চুরা অংশ ও খেজুর গাছ ছিল।

৩৪/৪২. অধ্যায়ঃ
(ক্রেতা-বিক্রেতার) ক্রয়-বিক্রয় বাতিল করার ইখতিয়ার কতক্ষণ থাকবে?

২১০৭
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى، قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْمُتَبَايِعَيْنِ بِالْخِيَارِ فِي بَيْعِهِمَا، مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا، أَوْ يَكُونُ الْبَيْعُ خِيَارًا ‏”‏‏.‏ قَالَ نَافِعٌ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا اشْتَرَى شَيْئًا يُعْجِبُهُ فَارَقَ صَاحِبَهُ‏.‏

ইবনু ‘উমর (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন না হবে, ততক্ষণ তাদের বেচা-কেনার ব্যাপারে উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। আর যদি খিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হয় (তাহলে পরেও ইখতিয়ার থাকবে)। নাফি’ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমর (রাঃ) কোন পণ্য ক্রয়ের পর তা পছন্দ হলে মালিক হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তেন।

২১০৮
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَفْتَرِقَا ‏”‏‏.‏ وَزَادَ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، قَالَ قَالَ هَمَّامٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي التَّيَّاحِ فَقَالَ كُنْتُ مَعَ أَبِي الْخَلِيلِ لَمَّا حَدَّثَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بِهَذَا الْحَدِيثِ‏.‏

হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যতক্ষণ ক্রেতা-বিক্রেতা বিচ্ছিন্ন না হবে ততক্ষণ তাদের খিয়ারের অধিকার থাকবে।

আহমাদ (রহঃ) বাহ্‌য (রহঃ) সূত্রে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, হাম্মাম (রহঃ) বলেন, আমি আবূ তাইয়্যাহ্‌ (রহঃ)-কে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বললেন, তখন আমি তার সাথে ছিলাম যখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু হারিস এই হারিস এই হাদীসটি আবূ খলীলকে বর্ণনা করেন।

৩৪/৪৩. অধ্যায়ঃ
ইখতিয়ারের সময়-সীমা নির্ধারণ না করলে ক্রয়-বিক্রয় কি বৈধ হবে?

২১০৯
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا، أَوْ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ اخْتَرْ ‏”‏‏.‏ وَرُبَّمَا قَالَ أَوْ يَكُونُ بَيْعَ خِيَارٍ‏.‏

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের খিয়ার থাকবে অথবা একপক্ষ অপর পক্ষকে বলবে, গ্রহণ করে নাও। রাবী কখনো বলেছেনঃ অথবা গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হলো।

৩৪/৪৪. অধ্যায়ঃ
ক্রেতা-বিক্রেতা বেচা-কেনা বাতিল করার ইখতিয়ার ততক্ষণ পর্যন্ত থাকে যতক্ষণ না তারা পরস্পর পৃথক হয়।

ইবনু ‘উমর (রাঃ), শুরাইহ, শা’বী, তাউস ও ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

২১১০
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ قَتَادَةُ أَخْبَرَنِي عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ سَمِعْتُ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا، فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا، وَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا ‏”‏‏.‏

হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা (একে অপরের সাথে) বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। যদি তারা উভয়ে সত্য কথা বলে ও (পণ্যের দোষ-ত্রুটি) যথাযথ বর্ণনা করে তবে তাদের কেনা বেচায় বরকত হবে, আর যদি তারা মিথ্যা বলে ও (ত্রুটি) গোপন করে, তবে তাদের কেনা বেচার বরকত নষ্ট হয়ে যাবে।

২১১১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمُتَبَايِعَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ عَلَى صَاحِبِهِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا، إِلاَّ بَيْعَ الْخِيَارِ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের একে অপরের উপর ইখতিয়ার থাকবে, যতক্ষণ তারা বিচ্ছিন্ন না হবে। তবে খিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয়ে (বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও ইখতিয়ার থাকবে)।

৩৪/৪৫. অধ্যায়ঃ
ক্রেতা এবং বিক্রেতা ক্রয়-বিক্রয়ের পর একে অপরকে ইখতিয়ার প্রদান করলে ক্রয়-বিক্রয় অবশ্যই বহাল হবে।

২১১২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِذَا تَبَايَعَ الرَّجُلاَنِ فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ، مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا، وَكَانَا جَمِيعًا، أَوْ يُخَيِّرُ أَحَدُهُمَا الآخَرَ فَتَبَايَعَا عَلَى ذَلِكَ، فَقَدْ وَجَبَ الْبَيْعُ، وَإِنْ تَفَرَّقَا بَعْدَ أَنْ يَتَبَايَعَا، وَلَمْ يَتْرُكْ وَاحِدٌ مِنْهُمَا الْبَيْعَ، فَقَدْ وَجَبَ الْبَيْعُ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমর (রাঃ) সূত্রে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন দু’ ব্যক্তি ক্রয়-বিক্রয় করে, তখন তাদের উভয়ে যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন না হবে অথবা একে অপরকে ইখতিয়ার প্রদান না করবে, ততক্ষণ তাদের উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। এভাবে তারা উভয়ে যদি ক্রয়-বিক্রয় করে তবে তা সাব্যস্ত হয়ে যাবে। আর যদি তারা উভয়ে ক্রয়-বিক্রয়ের পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তাদের কেউ যদি তা পরিত্যাগ না করে তবে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হয়ে যাবে।

৩৪/৪৬. অধ্যায়ঃ
শুধু বিক্রেতার জন্য ইখতিয়ার থাকলে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে কি?

২১১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ كُلُّ بَيِّعَيْنِ لاَ بَيْعَ بَيْنَهُمَا حَتَّى يَتَفَرَّقَا، إِلاَّ بَيْعَ الْخِيَارِ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমর থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন না হবে, ততক্ষণ তাদের মাঝে কোন ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হবে না। অবশ্য ইখতিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হলে তা সাব্যস্ত হবে।

২১১৪
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا ‏”‏ ـ قَالَ هَمَّامٌ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي يَخْتَارُ ثَلاَثَ مِرَارٍ ـ ‏”‏فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا، وَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا فَعَسَى أَنْ يَرْبَحَا رِبْحًا، وَيُمْحَقَا بَرَكَةَ بَيْعِهِمَا ‏”‏‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ، يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকবে উভয়ে বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত। যদি তারা উভয়ে সত্য কথা বলে এবং (পণ্যের দোষগুণ) যথাযথ বর্ণনা করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত দেওয়া হবে, আর যদি তারা মিথ্যা বলে এবং গোপন করে, তবে হয়তো খুব লাভ করবে এবং কিন্তু তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত মুছে যাবে। অপর সনদে হাম্মাম …..’আবদুল্লাহ ইবনু হারিস (রহঃ) হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

৩৪/৪৭. অধ্যায়ঃ
কেউ কোন দ্রব্য ক্রয় করে উভয়ের বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে সে মুহূর্তেই দান করে দিল, এবং ক্রেতা বিক্রেতা এই কাজে আপত্তি না জানায় অথবা কেউ ক্রীতদাস খরিদ করে সে সময়ই মুক্ত করে দেয়।

তাউস (রহঃ) বলেন, স্বেচ্ছায় পণ্য ক্রয় করে পরে তা বিক্রি করে দিলে তা সাব্যস্ত হয়ে যাবে এবং মুনাফা সেই (প্রথম ক্রেতা যে পরে বিক্রি করল) পাবে।

২১১৫
وَقَالَ الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَكُنْتُ عَلَى بَكْرٍ صَعْبٍ لِعُمَرَ، فَكَانَ يَغْلِبُنِي فَيَتَقَدَّمُ أَمَامَ الْقَوْمِ، فَيَزْجُرُهُ عُمَرُ وَيَرُدُّهُ، ثُمَّ يَتَقَدَّمُ فَيَزْجُرُهُ عُمَرُ وَيَرُدُّهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِعُمَرَ ‏”‏ بِعْنِيهِ ‏”‏‏.‏ قَالَ هُوَ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏”‏ بِعْنِيهِ ‏”‏‏.‏ فَبَاعَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هُوَ لَكَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ تَصْنَعُ بِهِ مَا شِئْتَ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। আমি (আমার পিতা) ‘উমর (রাঃ)-এর একটি অবাধ্য জওয়ান উটের উপর সাওয়ার ছিলাম। উটটি আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে সকলের আগে আগে চলে যাচ্ছিল। ‘উমর (রাঃ) তাকে তাড়িয়ে ফিরিয়ে আনছিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমর (রাঃ)-কে বললেন, এটি আমার কাছে বিক্রি করে দাও। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এটা আপনারই। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি এটি আমার কাছে বিক্রি কর। তখন তিনি সেটি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বিক্রি করে দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমর! এটি তোমার, তুমি এটি দিয়ে যা ইচ্ছা তা কর।

২১১৬
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ بِعْتُ مِنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ مَالاً بِالْوَادِي بِمَالٍ لَهُ بِخَيْبَرَ، فَلَمَّا تَبَايَعْنَا رَجَعْتُ عَلَى عَقِبِي حَتَّى خَرَجْتُ مِنْ بَيْتِهِ، خَشْيَةَ أَنْ يُرَادَّنِي الْبَيْعَ، وَكَانَتِ السُّنَّةُ أَنَّ الْمُتَبَايِعَيْنِ بِالْخِيَارِ حَتَّى يَتَفَرَّقَا، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَلَمَّا وَجَبَ بَيْعِي وَبَيْعُهُ رَأَيْتُ أَنِّي قَدْ غَبَنْتُهُ بِأَنِّي سُقْتُهُ إِلَى أَرْضِ ثَمُودٍ بِثَلاَثِ لَيَالٍ وَسَاقَنِي إِلَى الْمَدِينَةِ بِثَلاَثِ لَيَالٍ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমীরুল মু’মিনীন ‘উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-এর খায়বারের জমিনের বিনিময়ে আমি ওয়াদির জমিন তাঁর কাছে বিক্রি করলাম। আমরা যখন ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করলাম, তখন আমি পিছনের দিকে ফিরে তাঁর ঘর হতে এই ভয়ে বের হয়ে গেলাম যে, তিনি হয়তো আমার এ বিক্রয় রদ্দ করে দিবেন। সে সময়ে এ রীতি প্রচলিত ছিল যে, বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকত। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, যখন আমার ও তাঁর মাঝে ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত হয়ে গেল তখন আমি চিন্তা করে দেখলাম যে, আমি এভাবে তাঁকে ঠকিয়েছি। আমি তাঁকে ছামূদ ভূখন্ডের তিন দিনের পথের দূরত্বের পরিমাণ পোঁছিয়ে দিয়েছি আর তিনি আমাকে মাদীনার তিন দিনের পথের দূরত্বের পরিমাণ পৌঁছে দিয়েছেন।

৩৪/৪৮. অধ্যায়ঃ
ক্রয়-বিক্রয়ে ধোঁকা দেয়া অপছন্দনীয়।

২১১৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَجُلاً، ذَكَرَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يُخْدَعُ فِي الْبُيُوعِ، فَقَالَ ‏ “‏ إِذَا بَايَعْتَ فَقُلْ لاَ خِلاَبَةَ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক সাহাবী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উল্লেখ করলেন যে, তাকে ক্রয়-বিক্রয়ে ধোঁকা দেয়া হয়। তখন তিনি বললেন, যখন তুমি ক্রয়-বিক্রয় করবে তখন বলে নিবে কোন প্রকার ধোঁকা নেই।

৩৪/৪৯. অধ্যায়ঃ
বাজার বা ব্যবসা কেন্দ্র সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।

‘আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) বলেন, আমরা মাদীনায় আগমনের পর জিজ্ঞেস করলাম, এমন কোন বাজার আছে কি, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য হয়? সে বলল, কায়নুকার বাজার আছে। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বললেন, আমাকে বাজারের রাস্তা দেখিয়ে দাও। ‘উমর (রাঃ) বলেন, আমাকে বাজারের কেনা বেচা গাফিল করে রেখেছে।

২১১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَغْزُو جَيْشٌ الْكَعْبَةَ، فَإِذَا كَانُوا بِبَيْدَاءَ مِنَ الأَرْضِ يُخْسَفُ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يُخْسَفُ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ، وَفِيهِمْ أَسْوَاقُهُمْ وَمَنْ لَيْسَ مِنْهُمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ يُخْسَفُ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ، ثُمَّ يُبْعَثُونَ عَلَى نِيَّاتِهِمْ ‏”

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (পরবর্তী যামানায়) একদল সৈন্য কা’বা (ধ্বংসের উদ্দেশ্যে) অভিযান চালাবে। যখন তারা বায়দা নামক স্থানে পৌঁছবে তখন তাদের আগের পিছের সকলকে জমিনে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাদের অগ্রবাহিনী ও পশ্চাৎবাহিনী সকলকে কিভাবে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে, অথচ সে সেনাবাহিনীতে তাদের বাজারের (পণ্য-সামগ্রী বহনকারী) লোকও থাকবে এবং এমন লোকও থাকবে যারা তাদের দলভুক্ত নয়, তিনি বললেন, তাদের আগের পিছের সকলকে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। তারপরে (কিয়ামতের দিবসে) তাদের নিজেদের নিয়্যাত অনুযায়ী উত্থান করা হবে।

২১১৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ صَلاَةُ أَحَدِكُمْ فِي جَمَاعَةٍ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي سُوقِهِ وَبَيْتِهِ بِضْعًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً، وَذَلِكَ بِأَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ، لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ، لاَ يَنْهَزُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ، لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رُفِعَ بِهَا دَرَجَةً، أَوْ حُطَّتْ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ، وَالْمَلاَئِكَةُ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مُصَلاَّهُ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ، مَا لَمْ يُؤْذِ فِيهِ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কারো জামা’আতে সালাত আদায়ে নিজ ঘরের সালাতের চেয়ে বিশ গুণেরও অধিক মর্তবা রয়েছে। কারণ সে যখন উত্তমরূপে অযু করে মসজিদে আসে, সালাত আদায় ছাড়া অন্য কোন অভিপ্রায়ে আসে না, সালাত ছাড়া অন্য কিছুই তাকে উদ্বুদ্ধ করে না। এমতাবস্থায় তার প্রতি কদমে এক মর্তবা বৃদ্ধি করা হবে এবং একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর ফেরেশতাগণ তোমাদের সে ব্যক্তির জন্য (এ মর্মে) দু’আ করতে থাকবেন, যতক্ষণ সে যেখানে সালাত আদায় করেছে, হে আল্লাহ! আপনি তার প্রতি অনুগ্রহ করুন, তার প্রতি রহম করুন। যতক্ষণ না সে তথায় অযু ভঙ্গ করে, যতক্ষণ না সে তথায় কাউকে কষ্ট দেয়। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের সে ব্যক্তি সালাতে রত গণ্য হবে, যতক্ষণ সে সালাতের অপেক্ষায় থাকে।

২১২০
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي السُّوقِ، فَقَالَ رَجُلٌ يَا أَبَا الْقَاسِمِ‏.‏ فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّمَا دَعَوْتُ هَذَا‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ سَمُّوا بِاسْمِي، وَلاَ تَكَنَّوْا بِكُنْيَتِي ‏”‏‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সময় বাজারে ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, এই আবুল কাসিম! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকালে তিনি বললেন, আমি তো তাকে ডেকেছি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ কিন্তু আমার কুনিয়াতে কুনিয়াত রেখ না। [৭]


[৭] ‘আবুল কাসিম’ ছিল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপনাম। তাঁর জীবদ্দশায় এ নাম রাখা নিষিদ্ধ ছিল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২১২১
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ دَعَا رَجُلٌ بِالْبَقِيعِ يَا أَبَا الْقَاسِمِ‏.‏ فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَمْ أَعْنِكَ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ سَمُّوا بِاسْمِي، وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي ‏”‏‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সাহাবী বাকী’ নামক স্থানে আবুল কাসিম বলে (কাউকে) ডাক দিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকালেন। তিনি বললেন, আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করিনি। তখন তিনি বললেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ কিন্তু আমার কুনিয়াতে কারো কুনিয়াত রেখ না।

২১২২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ الدَّوْسِيِّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي طَائِفَةِ النَّهَارِ لاَ يُكَلِّمُنِي وَلاَ أُكَلِّمُهُ حَتَّى أَتَى سُوقَ بَنِي قَيْنُقَاعَ، فَجَلَسَ بِفِنَاءِ بَيْتِ فَاطِمَةَ فَقَالَ ‏”‏ أَثَمَّ لُكَعُ أَثَمَّ لُكَعُ ‏”‏‏.‏ فَحَبَسَتْهُ شَيْئًا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا تُلْبِسُهُ سِخَابًا أَوْ تُغَسِّلُهُ، فَجَاءَ يَشْتَدُّ حَتَّى عَانَقَهُ وَقَبَّلَهُ، وَقَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَحْبِبْهُ وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُ ‏”‏‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ رَأَى نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ أَوْتَرَ بِرَكْعَةٍ‏.‏

আবূ হুরায়রা দাওসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিনের এক অংশে বের হলেন, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি এবং আমিও তাঁর সঙ্গে কথা বলিনি। অবশেষে তিনি বানূ কায়নুকা বাজারে এলেন (সেখান হতে ফিরে এসে) ফাতিমা (রাঃ)-এর ঘরের আঙ্গিণায় বসে পড়লেন। তারপর বললেন, এখানে খোকা [হাসান (রাঃ)] আছে কি? এখানে খোকা আছে কি? ফাতেমা (রাঃ) তাঁকে কিছুক্ষণ দেরী করালেন। আমার ধারণা হল তিনি তাঁকে পুতির মালা সোনা-রূপা ছাড়া যা বাচ্চাদের পরানো হতো, পরাচ্ছিলেন। তারপর তিনি দৌড়িয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং চুমু খেলেন। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তুমি তাঁকেও (হাসানকে) মহব্বত কর এবং তাকে যে ভালবাসবে তাকেও মহব্বত কর। সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, আমার কাছে ‘উবাইদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নাফি’ ইবনু জুবায়রকে এক রাক’আত মিলিয়ে বিতর আদায় করতে দেখেছেন।

২১২৩
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، حَدَّثَنَا مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُمَرَ، أَنَّهُمْ كَانُوا يَشْتَرُونَ الطَّعَامَ مِنَ الرُّكْبَانِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيَبْعَثُ عَلَيْهِمْ مَنْ يَمْنَعُهُمْ أَنْ يَبِيعُوهُ حَيْثُ اشْتَرَوْهُ، حَتَّى يَنْقُلُوهُ حَيْثُ يُبَاعُ الطَّعَامُ‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُبَاعَ الطَّعَامُ إِذَا اشْتَرَاهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ‏.‏

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সময়ে বাণিজ্যিক দলের কাছ হতে (পথিমধ্যে) খাদ্য ক্রয় করতেন। সে কারণে খাদ্য-দ্রব্য বিক্রয়ের স্থানে তা স্থানান্তর করার আগে বণিক দলের কাছ হতে ক্রয়ের স্থলে বেচা-কেনা করতে নিষেধ করার জন্য তিনি তাদের কাছে লোক পাঠাতেন।

২১২৪
See previous Hadith

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাবী (ইবনু মুনযির) বলেন, ইবনু ‘উমর (রাঃ) আরো বর্ণনা করেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্ণভাবে অধিকারে আনার আগে ক্রয় করা পণ্য বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।

৩৪/৫০. অধ্যায়ঃ
বাজারে চিল্লানো ও হৈ হুল্লোড় করা অপছন্দনীয়।

২১২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، حَدَّثَنَا هِلاَلٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ ـ رضى الله عنهما ـ قُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ صِفَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي التَّوْرَاةِ‏.‏ قَالَ أَجَلْ، وَاللَّهِ إِنَّهُ لَمَوْصُوفٌ فِي التَّوْرَاةِ بِبَعْضِ صِفَتِهِ فِي الْقُرْآنِ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا، وَحِرْزًا لِلأُمِّيِّينَ، أَنْتَ عَبْدِي وَرَسُولِي سَمَّيْتُكَ الْمُتَوَكِّلَ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلاَ غَلِيظٍ وَلاَ سَخَّابٍ فِي الأَسْوَاقِ، وَلاَ يَدْفَعُ بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ، وَلَنْ يَقْبِضَهُ اللَّهُ حَتَّى يُقِيمَ بِهِ الْمِلَّةَ الْعَوْجَاءَ بِأَنْ يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ وَيَفْتَحُ بِهَا أَعْيُنًا عُمْيًا، وَآذَانًا صُمًّا، وَقُلُوبًا غُلْفًا‏.‏ تَابَعَهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ هِلاَلٍ‏.‏ وَقَالَ سَعِيدٌ عَنْ هِلاَلٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ سَلاَمٍ‏.‏ غُلْفٌ كُلُّ شَىْءٍ فِي غِلاَفٍ، سَيْفٌ أَغْلَفُ، وَقَوْسٌ غَلْفَاءُ، وَرَجُلٌ أَغْلَفُ إِذَا لَمْ يَكُنْ مَخْتُونًا‏.‏

‘আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস (রাঃ)-কে বললাম, আপনি আমাদের কাছে তাওরাতে বর্ণিত আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গুণাবলী বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আচ্ছা। আল্লাহর কসম! কুরআনে বর্ণিত তাঁর কিছু গুণাবলী তাওরাতেও উল্লেখ করা হয়েছেঃ “হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে প্রেরণ করেছি” এবং উম্মীদের রক্ষক হিসাবেও। আপনি আমার বান্দা ও আমার রসূল। আমি আপনার নাম মুতাওয়াক্কিল (আল্লাহর উপর ভরসাকারী) রেখেছি। তিনি বাজারে কঠোর রূঢ় ও নির্দয় স্বভাবের ছিলেন না। তিনি মন্দর প্রতিশোধ মন্দ দ্বারা নিতেন না বরং মাফ করে দিতেন, ক্ষমা করে দিতেন। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে ততক্ষণ মৃত্যু দিবেন না যতক্ষণ না তাঁর দ্বারা বিকৃত মিল্লাতকে ঠিক পথে আনেন অর্থাৎ যতক্ষণ না তারা (আরববাসীরা) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর ঘোষনা দিবে। আর এ কালিমার মাধ্যমে অন্ধ-চক্ষু, বধির-কর্ণ ও আচ্ছাদিত হৃদয় খুলে যাবে।

আবদুল ‘আযীয ইবনু আবূ সালামাহ (রহঃ) হিলাল (রহঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় ফুলাইহ (রহঃ)- এর অনুসরণ করেছেন। সা’ঈদ (রহঃ) ……… ইবনু সালাম (রহঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

৩৪/৫১. অধ্যায়ঃ
ওজন করার পারিশ্রমিক প্রদানের দায়িত্ব বিক্রেতা বা দ্রব্য প্রদানকারীর উপর।

আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “যখন তারা লোকদের মেপে দেয় অথবা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়”- (মুত্বাফফিফীন (৮৩):৩)। এখানে …………. অর্থাৎ ……….. এবং …………অর্থাৎ …………. যেমন বলা হয়…………. অর্থাৎ……………..।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঠিকভাবে মেপে নিবে উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেছেন, যখন তুমি বিক্রি করবে তখন মেপে দিবে আর যখন ক্রয় করবে তখন মেপে নিবে।

২১২৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِيعُهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ ‏”‏‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করবে, সে তা পুরোপুরি আয়ত্তে না এনে বিক্রি করবে না।

২১২৭
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ، وَعَلَيْهِ دَيْنٌ فَاسْتَعَنْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى غُرَمَائِهِ أَنْ يَضَعُوا مِنْ دَيْنِهِ، فَطَلَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ، فَلَمْ يَفْعَلُوا، فَقَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اذْهَبْ فَصَنِّفْ تَمْرَكَ أَصْنَافًا، الْعَجْوَةَ عَلَى حِدَةٍ، وَعَذْقَ زَيْدٍ عَلَى حِدَةٍ، ثُمَّ أَرْسِلْ إِلَىَّ ‏”‏‏.‏ فَفَعَلْتُ، ثُمَّ أَرْسَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ عَلَى أَعْلاَهُ، أَوْ فِي وَسَطِهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ كِلْ لِلْقَوْمِ ‏”‏‏.‏ فَكِلْتُهُمْ حَتَّى أَوْفَيْتُهُمُ الَّذِي لَهُمْ، وَبَقِيَ تَمْرِي، كَأَنَّهُ لَمْ يَنْقُصْ مِنْهُ شَىْءٌ‏.‏ وَقَالَ فِرَاسٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ حَدَّثَنِي جَابِرٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَمَا زَالَ يَكِيلُ لَهُمْ حَتَّى أَدَّاهُ، وَقَالَ هِشَامٌ عَنْ وَهْبٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ جُذَّ لَهُ فَأَوْفِ لَهُ ‏”‏‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (আমার পিতা) ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু হারাম (রাঃ) ঋণী অবস্থায় মারা যান। পাওনাদারেরা যেন তাঁর কিছু ঋণ ছেড়ে দেয়, এজন্য আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে সাহায্য চাইলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের কাছে কিছু ঋণ ছেড়ে দিতে বললে, তারা তা করল না। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, যাও, তোমার প্রত্যেক ধরনের খেজুরকে আলাদা আলাদা করে রাখ, আজওয়া আলাদা এবং আযকা যায়দ আলাদা করে রাখ। পরে আমাকে খবর দিও। আমি [জাবির (রাঃ)] তা করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে খবর দিলাম। তিনি এসে খেজুরের (স্তুপ এর) উপরে বা তার মাঝখানে বসলেন। তারপর বললেন, পাওনাদারদের মেপে দাও। আমি তাদের মেপে দিতে লাগলাম, এমনকি তাদের পাওনা পুরোপুরি দিয়ে দিলাম। আর আমার খেজুর এরূপ থেকে গেল, যেন এ হতে কিছুই কমেনি।

ফিরাস (রহঃ) শা’বী (রহঃ) সূত্রে জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের এ পর্যন্ত মেপে দিতে থাকলেন যে, তাদের ঋণ পরিশোধ করে দিলেন। হিশাম (রহঃ) ওহাব (রহঃ) সূত্রে জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন গাছ থেকে খেজুর কেটে নাও এবং পুরোপুরি আদায় করে দাও।

৩৪/৫২. অধ্যায়ঃ
মেপে দেয়া পছন্দনীয়।

২১২৮
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ كِيلُوا طَعَامَكُمْ يُبَارَكْ لَكُمْ ‏”‏‏.‏

মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের খাদ্য মেপে নিবে, তাতে তোমাদের জন্য বরকত হবে।

৩৪/৫৩. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সা’ ও মুদ-এ (দু’টো নির্দিষ্ট পরিমাপ) বরকত বা কল্যাণ কামনা সম্পর্কে।

এ প্রসঙ্গে ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস বর্ণিত রয়েছে।

২১২৯
حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ، وَدَعَا لَهَا، وَحَرَّمْتُ الْمَدِينَةَ كَمَا حَرَّمَ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ، وَدَعَوْتُ لَهَا فِي مُدِّهَا وَصَاعِهَا، مِثْلَ مَا دَعَا إِبْرَاهِيمُ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ لِمَكَّةَ ‏”‏‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইবরাহীম (আঃ) মক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন ও তার জন্য দু’আ করেছেন। আমি মাদীনাহ্‌কে হারাম ঘোষণা করেছি, যেমন ইবরাহীম (আঃ) মক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন এবং আমি মাদীনাহ্‌র মুদ ও সা’ এর জন্য দু’আ করেছি। যেমন ইবরাহীম (আঃ) মক্কার জন্য দু’আ করেছিলেন।

২১৩০
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مِكْيَالِهِمْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِي صَاعِهِمْ وَمُدِّهِمْ يَعْنِي أَهْلَ الْمَدِينَةِ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইয়া আল্লাহ! আপনি তাদের মাপের পাত্রে বরকত দিন এবং তাদের সা’ ও মুদ- এ বরকত দিন অর্থাৎ মাদীনাবাসীদের। (৬৪১৪, ৭৩৩১)

(আ.প্র. ১৯৮২, ই.ফা. ১৯৯৭)

৩৪/৫৪. অধ্যায়ঃ
খাদ্য শস্য বিক্রয় করা ও তা মজুতদারী সম্পর্কে যা উল্লেখ করা হয়।

২১৩১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ الأَوْزَاعِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ رَأَيْتُ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ الطَّعَامَ مُجَازَفَةً يُضْرَبُونَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَبِيعُوهُ حَتَّى يُؤْوُوهُ إِلَى رِحَالِهِمْ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যারা অনুমানে (না মেপে) খাদ্য ক্রয় করে নিজের স্থানে পৌঁছানোর আগেই তা বিক্রি করত, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে আমি দেখেছি যে, তাদেরকে মারা হতো। (২১২৩)

(আ.প্র. ১৯৮৩, ই.ফা. ১৯৯৮)

২১৩২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَبِيعَ الرَّجُلُ طَعَامًا حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ كَيْفَ ذَاكَ قَالَ ذَاكَ دَرَاهِمُ بِدَرَاهِمَ وَالطَّعَامُ مُرْجَأٌ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ {مُرْجَئُونَ} مُؤَخَّرُونَ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদ্য (ক্রয় করে) পুরোপুরি আয়ত্বে না এনে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। [রাবী তাউস (রহঃ) বলেন,] আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, এ কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বললেন, এ এভাবে হয়ে থাকে যে, দিরহাম এর বিনিময়ে আদান-প্রদান হয় অথচ পণ্যদ্রব্য অনুপস্থিত থাকে।

ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, আয়াতে বর্ণিত ………… অর্থ যারা আল্লাহর নির্দেশ পালনে বিলম্বিত করে।

(২১৩৫, মুসলিম ২১/৮, হাঃ ১৫২৫, আহমাদ ৩৩৪৬) (আ.প্র. ১৯৮৪, ই.ফা. ১৯৯৯)

২১৩৩
حَدَّثَنِي أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, খাদ্য ক্রয় করে কেউ যেন তা হাতে আসার পূর্বে বিক্রি না করে। (২১২৪)

(আ.প্র. ১৯৮৫, ই.ফা. ২০০০)

২১৩৪
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ كَانَ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ يُحَدِّثُهُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ أَنَّهُ قَالَ مَنْ عِنْدَهُ صَرْفٌ فَقَالَ طَلْحَةُ أَنَا حَتَّى يَجِيءَ خَازِنُنَا مِنْ الْغَابَةِ قَالَ سُفْيَانُ هُوَ الَّذِي حَفِظْنَاهُ مِنْ الزُّهْرِيِّ لَيْسَ فِيهِ زِيَادَةٌ فَقَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يُخْبِرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ رِبًا إِلاَّ هَاءَ وَهَاءَ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ رِبًا إِلاَّ هَاءَ وَهَاءَ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ رِبًا إِلاَّ هَاءَ وَهَاءَ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ رِبًا إِلاَّ هَاءَ وَهَاءَ

মালিক ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ঘোষণা দিলেন যে, কে সারফ এর বেচা-কেনা (দিরহাম এর বিনিময়ে দীনার এর বেচা-কেনা) করবে? তালহা (রাঃ) বললেন, আমি করব। অবশ্য আমার পক্ষের বিনিময় প্রদানে আমার হিসাবরক্ষক গা’বা (এলাকা) হতে ফিরে আসা পর্যন্ত দেরি হবে। (বর্ণনাকারী) সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, আমি যুহরী (রহঃ) হতে এটুকু মনে রেখেছি, এর হতে বেশী নয়। এরপর যুহরী (রহঃ) বলেন, মালিক ইবনু আওস (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, তিনি ‘উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন, নগদ হাতে হাতে বিনিময় ছাড়া সোনার বদলে সোনা বিক্রি, গমের বদলে গম বিক্রি, খেজুরের বদলে খেজুর বিক্রি, যবের বদলে যব বিক্রি করা সুদ হিসাবে গণ্য।

(২১৭০, ২৭৭৪, মুসলিম ২২/১৫, হাঃ ১৫৮৬, আহমাদ ১৬২) (আ.প্র. ১৯৮৬, ই.ফা. ২০০১)

৩৪/৫৫. অধ্যায়ঃ
হস্তগত হওয়ার পূর্বে খাদ্য বিক্রি করা এবং যে পণ্য নিজের কাছে নেই তা বিক্রি করা।

২১৩৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ الَّذِي حَفِظْنَاهُ مِنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ سَمِعَ طَاوُسًا يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ أَمَّا الَّذِي نَهَى عَنْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَهُوَ الطَّعَامُ أَنْ يُبَاعَ حَتَّى يُقْبَضَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَلاَ أَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ مِثْلَهُ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা নিষেধ করেছেন, তা হল অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রয় করা। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি, প্রত্যেক পণ্যের ব্যাপারে অনুরূপ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। (২১৩২)

(আ.প্র. ১৯৮৭, ই.ফা. ২০০২)

২১৩৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ زَادَ إِسْمَاعِيلُ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ

ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, খাদ্য ক্রয় করে পুরোপুরি মেপে না নিয়ে। রাবী ‘ইসমাঈল (রহঃ) আরো বলেন, খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে নিজের অধিকারে না এনে কেউ যেন তা বিক্রি না করে। (২১২৪)

(আ.প্র. ১৯৮৮, ই.ফা. ২০০৩)

৩৪/৫৬. অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তি অনুমানের ভিত্তিতে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করলে কারো কারো মতে যতক্ষণ তা নির্দিষ্ট স্থানে না পৌঁছাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তা বিক্রয় করা জায়িয নয়।

২১৩৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ النَّاسَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَبْتَاعُونَ جِزَافًا يَعْنِي الطَّعَامَ يُضْرَبُونَ أَنْ يَبِيعُوهُ فِي مَكَانِهِمْ حَتَّى يُؤْوُوهُ إِلَى رِحَالِهِمْ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে দেখেছি যে, লোকেরা খাদ্য আনুমানিক পরিমাণের ভিত্তিতে বেচা-কেনা করত, পরে তা সেখানেই নিজেদের ঘরে তুলে নেয়ার আগেই বিক্রি করলে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হতো। (২১২৩)

(আ.প্র. ১৯৮৯, ই.ফা. ২০০৪)

৩৪/৫৭. অধ্যায়ঃ
কোন বস্তু বা জন্তু ক্রয় করার আগে বিক্রেতার নিকট তা রেখে বিক্রয় করা অথবা হস্তগত করার আগে এর মৃত্যু হওয়া।

ইবনু ‘উমর (রাঃ) বলেন, যদি বিক্রয়কালে পশু জীবিত ও যথাযথ অবস্থায় থাকে (এবং পরে তার কোন ক্ষতি হয়) তবে তা ক্রেতার মাল নষ্ট হয়েছে বলে গণ্য হবে।

২১৩৮
حَدَّثَنَا فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَلَّ يَوْمٌ كَانَ يَأْتِي عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ يَأْتِي فِيهِ بَيْتَ أَبِي بَكْرٍ أَحَدَ طَرَفَيْ النَّهَارِ فَلَمَّا أُذِنَ لَهُ فِي الْخُرُوجِ إِلَى الْمَدِينَةِ لَمْ يَرُعْنَا إِلاَّ وَقَدْ أَتَانَا ظُهْرًا فَخُبِّرَ بِهِ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ مَا جَاءَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذِهِ السَّاعَةِ إِلاَّ لأَمْرٍ حَدَثَ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ قَالَ لأَبِي بَكْرٍ أَخْرِجْ مَنْ عِنْدَكَ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا هُمَا ابْنَتَايَ يَعْنِي عَائِشَةَ وَأَسْمَاءَ قَالَ أَشَعَرْتَ أَنَّهُ قَدْ أُذِنَ لِي فِي الْخُرُوجِ قَالَ الصُّحْبَةَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الصُّحْبَةَ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ عِنْدِي نَاقَتَيْنِ أَعْدَدْتُهُمَا لِلْخُرُوجِ فَخُذْ إِحْدَاهُمَا قَالَ قَدْ أَخَذْتُهَا بِالثَّمَنِ

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এমন দিন খুব কমই গিয়েছে, যে দিন সকালে বা বিকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমার পিতা) আবূ বকর (রাঃ)-এর ঘরে আসেন নি। যখন তাঁকে (আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে) মাদীনার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হল, তখন তিনি একদিন দুপুরের সময় আগমন করায় আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়লাম। আবূ বকর (রাঃ)-কে এ সংবাদ জানানো হলে তিনি বলে উঠলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিশেষ কোন ঘটনার কারণেই অসময়ে আগমন করেছেন। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রবেশ করলেন তখন তিনি আবূ বকর (রাঃ)-কে বললেন, যারা তোমার কাছে আছে তাদের সরিয়ে দাও। আবূ বকর (রাঃ) বললেন হে আল্লাহর রসূল! এরা তো আমার দুই কন্যা ‘আয়িশা ও আসমা। তিনি বললেন, তুমি কি জান আমাকে তো বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে? আপনার সফরসঙ্গী হওয়া আমার কাম্য হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি আমার সফরসঙ্গী হবে। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার কাছে দু’টি উটনী রয়েছে, যা আমি হিজরতের জন্য প্রস্তুত রেখেছি। এর একটি আপনি গ্রহণ করুন। তিনি বললেন, আমি মূল্যের বিনিময়ে তা গ্রহণ করলাম। (৪৭৬)

(আ.প্র. ১৯৯০, ই.ফা. ২০০৫)

৩৪/৫৮. অধ্যায়ঃ
কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে, এবং তার দাম দস্তুর করার উপর দর-দাম না করে যতক্ষণ না সে অনুমতি প্রদান করে বা ছেড়ে দেয়।

২১৩৯
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَبِيعُ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয় না করে।

(২১৬৫, ৫১৫২, মুসলিম ১৬/৫, হাঃ ১৪১২, আহমাদ ৪৭২২) (আ.প্র. ১৯৯১, ই.ফা. ২০০৬)

২১৪০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَلاَ تَنَاجَشُوا وَلاَ يَبِيعُ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلاَ يَخْطُبُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلاَ تَسْأَلُ الْمَرْأَةُ طَلاَقَ أُخْتِهَا لِتَكْفَأَ مَا فِي إِنَائِهَا

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গ্রামবাসীর পক্ষে শহরবাসী কর্তৃক বিক্রয় করা হতে নিষেধ করেছেন এবং তোমরা প্রতারণামূলক দালালী করবে না। কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে। [৮] কেউ যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। কোন মহিলা যেন তার বোনের (সতীনের) তালাকের দাবী না করে, যাতে সে তার পাত্রে যা কিছু আছে, তা নিজেই নিয়ে নেয়। (অর্থাৎ বর্তমান স্ত্রীর হক নষ্ট করে নিজে তা ভোগ করার জন্য)

(২১৪৮, ২১৫০, ২১৫১, ২১৬০, ২১৬২, ২৭২৩, ২৭২৭, ৫১৪৪, ৫১৫২, ৬৬০১, মুসলিম ২১/৪, হাঃ ১৫১৫, আহমাদ ৯৫২৩) (আ.প্র. ১৯৯২, ই.ফা. ২০০৭)


[৮] শহরবাসী যেন গ্রাম্য লোককে ঠকিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে গ্রাম্য লোকের পক্ষে পণ্য বিক্রয় না করে। নিজের প্রাপ্য অংশ বৃদ্ধি করে অধিক সুখ সুবিধা ভোগ করার উদ্দেশ্যে কোন নারী যেন তার সতীনকে তালাক দেয়ার জন্য স্বামীকে উদ্বুদ্ধ না করে।

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]