সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস সালাম অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৫৭০৬ – ৫৭৫৪

৩৫. অধ্যায়ঃ
জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষীর কাছে গমনাগমন নিষিদ্ধ

৫৭০৬
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُمُورًا كُنَّا نَصْنَعُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ كُنَّا نَأْتِي الْكُهَّانَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَلاَ تَأْتُوا الْكُهَّانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ كُنَّا نَتَطَيَّرُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُهُ أَحَدُكُمْ فِي نَفْسِهِ فَلاَ يَصُدَّنَّكُمْ ‏”‏ ‏.‏

মু’আবিয়াহ্‌ ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কিছু কর্মকান্ড আমরা অজ্ঞতার যুগে করতাম, (তার মধ্যে একটি হল) আমরা জ্যোতিষীর নিকট যেতাম। তিনি বললেন, আর জ্যোতিষীর নিকটে যেয়ো না। আমি বললাম, আমরা (নানা পদ্ধতিতে) ভাগ্য গণনা করতাম। তিনি বললেন, সেটি এমন একটি জিনিস, যা তোমাদের কেউ তার মনে উপলব্ধি করে, তবে সেটি যেন তোমাদের (কাজ-কর্ম হতে) বিরত না রাখে।

(ই.ফা. ৫৬১৯, ই.সে. ৫৬৪৮)

৫৭০৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنِي حُجَيْنٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُثَنَّى – حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَ مَعْنَى حَدِيثِ يُونُسَ غَيْرَ أَنَّ مَالِكًا فِي حَدِيثِهِ ذَكَرَ الطِّيَرَةَ وَلَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْكُهَّانِ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু রাফি, ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম, আবদ ইবনু হুমায়দ ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে ইউনুস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তবর্ণনাকারী মালিক (রহঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে ‘শুভাশুভ’ এর কথা উল্লেখ করেছেন। তাতে জ্যোতিষী এরব্যাপারটি উল্লেখ নেই। (ই. ফা. ৫৬২০, ই. সে. ৫৬৪৯)

৫৭০৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ، يَسَارٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ مُعَاوِيَةَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ قَالَ ‏ “‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ ‏”‏ ‏.‏

মু’আবিয়াহ ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) … মু’আবিয়াহ ইবনু হাকাম সুলামী (রাঃ) এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে, মু’আবিয়াহ (রাঃ) হতে আবূ সালামাহ (রহঃ) এর সানাদে যুহরী (রহঃ) এর অবিকল বর্ণনা করেছেন। কিন্ত ইয়াহইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ) বর্ধিত করে বলেছেন, আমি (মু’আবিয়াহ) বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে, যারা রেখা এঁকে(ভাগ্য নির্ধারণ) করে থাকে। তিনি বললেন, নবীদের মধ্যে একজন নবী রেখা অঙ্কন (ভাগ্য নির্ণয়) করতেন। সুতরাং যার রেখা তাঁর (রেখার) অবিকল হবে তা সেরূপই (সত্যই।) (ই. ফা. ৫৬২১, ই.সে. ৫৬৫০)

৫৭০৯
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْكُهَّانَ كَانُوا يُحَدِّثُونَنَا بِالشَّىْءِ فَنَجِدُهُ حَقًّا قَالَ ‏ “‏ تِلْكَ الْكَلِمَةُ الْحَقُّ يَخْطَفُهَا الْجِنِّيُّ فَيَقْذِفُهَا فِي أُذُنِ وَلِيِّهِ وَيَزِيدُ فِيهَا مِائَةَ كَذْبَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জ্যোতিষীরা কোন ব্যাপারে আমাদের কোন কথা বলত, অতঃপর তা আমরাবাস্তবে প্রত্যক্ষ করতাম। তিনি বললেন, সেটি একটি বাস্তব সত্য কথা, যা কোন জ্বিন চুরি করে এনে সেটি তার দোসর ঠাকুরের কর্ণে প্রবেশ করাতো, আর সে তার সঙ্গে একশ’টি অবাস্তব মিথ্যা জুড়ে দিত।

(ই. ফা. ৫৬২২, ই. সে.৫৬৫১)

৫৭১০
حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، – وَهْوَ ابْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ عُرْوَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ، يَقُولُ قَالَتْ عَائِشَةُ سَأَلَ أُنَاسٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْكُهَّانِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَيْسُوا بِشَىْءٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنَّهُمْ يُحَدِّثُونَ أَحْيَانًا الشَّىْءَ يَكُونُ حَقًّا ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تِلْكَ الْكَلِمَةُ مِنَ الْجِنِّ يَخْطَفُهَا الْجِنِّيُّ فَيَقُرُّهَا فِي أُذُنِ وَلِيِّهِ قَرَّ الدَّجَاجَةِ فَيَخْلِطُونَ فِيهَا أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ كَذْبَةٍ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদল লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জ্যোতিষীদের ব্যাপারে জানতে চাইলো। সে সময় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেন, ওরা (বাস্তব) কোন কিছুর উপরে (প্রতিষ্ঠিত) নয়। তারা বলল, হে আল্লাহর রসূল! তারা তো প্রায় সময় এমন কিছু বিষয়ে (আগাম) কথা বলে, যা বাস্তব হয়ে যায়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ঐ (একটি) কথা বাস্তব সত্যের অন্তর্ভুক্ত, যা জ্বিনেরা চুরি করে নিয়ে আসে এবং মুরগীর মতো কুট কুট করে তা তার দোসরের শ্রবণশক্তিতে ঢুকিয়ে দেয়। পরবর্তিতে তারা তার সঙ্গে শতাধিক মিথ্যা জুড়ে দেয়।

(ই. ফা. ৫৬২৩, ই. সে.৫৬৫২)

৫৭১১
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ رِوَايَةِ مَعْقِلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ তাহির (রহঃ) …. ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে যুহরী (রহঃ) হতে মা’কিল (রহঃ) এর হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৫৬২৪, ই. সে.৫৬৫৩)

৫৭১২
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ حَسَنٌ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، وَقَالَ، عَبْدٌ حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي رَجُلٌ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّهُمْ بَيْنَمَا هُمْ جُلُوسٌ لَيْلَةً مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رُمِيَ بِنَجْمٍ فَاسْتَنَارَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَاذَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا رُمِيَ بِمِثْلِ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ كُنَّا نَقُولُ وُلِدَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ عَظِيمٌ وَمَاتَ رَجُلٌ عَظِيمٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَإِنَّهَا لاَ يُرْمَى بِهَا لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنْ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى اسْمُهُ إِذَا قَضَى أَمْرًا سَبَّحَ حَمَلَةُ الْعَرْشِ ثُمَّ سَبَّحَ أَهْلُ السَّمَاءِ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ حَتَّى يَبْلُغَ التَّسْبِيحُ أَهْلَ هَذِهِ السَّمَاءِ الدُّنْيَا ثُمَّ قَالَ الَّذِينَ يَلُونَ حَمَلَةَ الْعَرْشِ لِحَمَلَةِ الْعَرْشِ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ فَيُخْبِرُونَهُمْ مَاذَا قَالَ – قَالَ – فَيَسْتَخْبِرُ بَعْضُ أَهْلِ السَّمَوَاتِ بَعْضًا حَتَّى يَبْلُغَ الْخَبَرُ هَذِهِ السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَتَخْطَفُ الْجِنُّ السَّمْعَ فَيَقْذِفُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ وَيُرْمَوْنَ بِهِ فَمَا جَاءُوا بِهِ عَلَى وَجْهِهِ فَهُوَ حَقٌّ وَلَكِنَّهُمْ يَقْرِفُونَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ ‏”‏ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণের মধ্যে আনসারদের জনৈক ব্যক্তি আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, তাঁরা এক রাত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বসা ছিলেন। সে সময় একটি নক্ষত্র পতিত হলো, যার দরুন আলোকিত হয়ে উঠল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেন, এ ধরনের (তারকা) পতিত হলে অজ্ঞতার যুগে তোমরা কি বলতে? তারা বলল, আল্লাহ এবং তাঁর রসূলই অধিক ভাল জানেন। আমরা বলতাম, আজ রাতে মনে হয় কোন মহান লোকের ভুমিষ্ঠ হয়েছে অথবা কোন মহান লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জেনে রাখো যে, তা কারো মৃত্যু কিংবা কারো জন্মের কারণে পতিত হয় না; কল্যাণময় ও মহান নামের অধিকারী আমাদের প্রতিপালক যখন কোন বিষয়ের সমাধান দেন, তখন আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তাসবীহ পাঠ করে। অতঃপর তাসবীহ পাঠ করে সে আকাশের ফেরেশতারা, যারা তাদের পার্শ্ববর্তী; পরিশষে তাসবীহ পাঠ এ নিকটবর্তী (পৃথিবীর) আসমানের অধিবাসীদের পর্যন্ত পৌছে। অতঃপর আরশ বহনকারীদের (ফেরেশতা) পার্শ্ববতী যারা তাঁরা আরশ বহনকারীদের বলে তোমাদের প্রতিপালক কি বললেন? সে সময় তিনি তাদের যা কিছু বলেছেন, তারা সে সংবাদ বর্ণনা করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরে আসমান সমূহের অধিবাসীরা একে অপরকে সংবাদ আদান-প্রদান করে। পরিশেষে এ নিকটবর্তীআকাশে সংবাদ পৌছে। সে সময় জ্বিনেরা অতর্কিতে গোপন খবরটি শুনে নেয় এবং তাদের দোসর জ্যোতিষীদের নিকট পৌছিয়ে দেয়, আর সাথে অতিরিক্ত কিছু জুড়ে দেয়। ফলে যা তারা ঠিকঠাকভাবে নিয়ে আসতে পারে, তাই ঠিক হয়; তবে তারা তাতে (কথামালা) সুবিন্যস্ত ও সংযোজন করে।

(ই. ফা. ৫৬২৫, ই. সে.৫৬৫৪)

৫৭১৩
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ، شَبِيبٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، – يَعْنِي ابْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ – كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ يُونُسَ، قَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَخْبَرَنِي رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ مِنَ الأَنْصَارِ وَفِي حَدِيثِ الأَوْزَاعِيِّ ‏”‏ وَلَكِنْ يَقْرِفُونَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ يُونُسَ ‏”‏ وَلَكِنَّهُمْ يَرْقَوْنَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ فِي حَدِيثِ يُونُسَ وَقَالَ اللَّهُ ‏”‏ حَتَّى إِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ مَعْقِلٍ كَمَا قَالَ الأَوْزَاعِيُّ ‏”‏ وَلَكِنَّهُمْ يَقْرِفُونَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ ‏”‏ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুহায়র ইবনু হারব আবূ তাহির হারমালাহ ও সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) … যুহরী (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্ত ইউনুস (রহঃ) বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনসার সাহাবীগণের কতিপয় লোক আমাকে বলেছেন। আর আওযা’ঈ (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তবে তারা সেটার মধ্যে (কথামালা) সুবিন্যস্ত ও সংযোজিত করে দেয়। আর ইউনুস (রহঃ) এর হাদীসে আছে, এত তারা অতিরিক্ত ও অতিরঞ্জিত করে। ইউনুস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে বাড়িয়ে বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “পরিশেষে যখন তাদের অন্তর হতে সংশয় দূর করে দেয়া হয়, সে সময় তারা বলে, তোমাদে স্রষ্টা কি বললেন? তারা বলে ঠিকই বলেছেন”- (সূরাহ সাবা ৩৪: ২৩) । আর মা’লিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আওযা’ঈ (রহঃ) যেমন বলেছেন, তবে তাতে তারা সুবিন্যস্ত ও সংযোজিত করে এরই উল্লেখআছে। (ই. ফা. ৫৬২৬, ই. সে.৫৬৫৫)

৫৭১৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، عَنْ بَعْضِ، أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلاَةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না আনাযী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কতক স্ত্রীর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে লোক ‘আররাফ’ [২৯] (অর্থাৎ হারানো জিনিসের সংবাদদাতা) এর (গণকের) নিকট গেল এবং তাকে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করল চল্লিশ রাত্রি তার কোন সলাত গ্রহনযোগ্য হবে না। (ই. ফা. ৫৬২৭, ই. সে.৫৬৫৬)






[২৯] হারানো জিনিসের সংবাদদাতা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩৬. অধ্যায়ঃ
কুষ্ঠ প্রভৃতি রোগাক্রান্ত ব্যক্তি হতে বেঁচে থাকা

৫৭১৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَارْجِعْ ‏”‏ ‏.‏

আমর ইবনু শারীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) … আমর ইবনু শারীদ (রাঃ) এর সানাদে তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাকীফ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্য জনৈক কুষ্ঠ রোগী ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট (খবর) পাঠালেন যে, আমরা তোমকে বাই‘আত করে নিয়েছি, তুমি ফিরে যাও। [৩০] (ই. ফা. ৫৬২৮, ই. সে.৫৬৫৭)






[৩০] হাদিসে কুষ্ঠ রোগীর সাথে একত্রে পানাহার ও উঠা বসার বিবরন পাওয়া যায়। অতএব সুন্নাহ মতে, তাদের ঘৃণা ও একঘরে করে সম্ভাব্য ও সাধারন সতর্কতা অবলম্বন বিধেয় ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩৭. অধ্যায়ঃ
সর্প ইত্যাদি হত্যা প্রসঙ্গ

৫৭১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِ ذِي الطُّفْيَتَيْنِ فَإِنَّهُ يَلْتَمِسُ الْبَصَرَ وَيُصِيبُ الْحَبَلَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিষ্ঠে দুটি শুভ্র রেখাযুক্ত বিষধর সার্প হত্যা করার আদৈশ দিয়েছে। কারণ সেটা চোখের জ্যোতি হরণ করে নেয় এবং গর্ভস্থিত সন্তানের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে।

(ই. ফা. ৫৬২৯, ই. সে.৫৬৫৮)

৫৭১৭
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ الأَبْتَرُ وَذُو الطُّفْيَتَيْنِ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) হিশাম (রহঃ) … উপরোল্লিখিত সূ্রেত হাদীস বর্ণনা করেন এবং বলেন, ‘লেজ বিহীন পিঠে দু’টি শুভ্র রেখাযুক্ত সর্প’।

(ই.ফা. ৫৬৩০, ই.সে. ৫৬৫৯)

৫৭১৮
وَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ وَذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَسْتَسْقِطَانِ الْحَبَلَ وَيَلْتَمِسَانِ الْبَصَرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقْتُلُ كُلَّ حَيَّةٍ وَجَدَهَا فَأَبْصَرَهُ أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ أَوْ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ يُطَارِدُ حَيَّةً فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ ‏.‏

সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আম্‌র ইবনু মুহাম্মাদ আন্‌ নাকিদ (রহঃ) … সালিম (রহঃ) তাঁর পিতা সূ্ত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এমন সব সাপ যেগুলোর পিঠে দু’টি শুভ্র রেখাযুক্ত ও লেজবিহীন সাপ মেরে ফেলে। কারণ, এ দু’টি গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের দৃষ্টি কেড়ে নেয়।



বর্ণনাকারী বলেন, তাই ইবনু ‘উমার (রহঃ) যে কোন সর্প পেলে সাথে সাথে তাকে মেরে ফেলতেন। (একদিন) আবূ লুবাবাহ্‌ ইবনু ‘আবদুল মুন্‌যির (রহঃ) কিংবা যায়দ ইবনু খাত্তাব (রহঃ) তাকে লক্ষ্য করলেন যে, তিনি একটি সাপ মারার জন্য ছুটছেন। তখন তিনি [আবূ লুবাবাহ্‌ বা যায়দ (রহঃ) ] বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর বাড়িতে বসবাসকারী (সাপ) হত্যা করতে বারণ করেছেন!

(ই.ফা. ৫৬৩১, ই.সে. ৫৬৬০)

৫৭১৯
وَحَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ يَقُولُ ‏\”‏ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ وَالْكِلاَبَ وَاقْتُلُوا ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَلْتَمِسَانِ الْبَصَرَ وَيَسْتَسْقِطَانِ الْحَبَالَى ‏\”‏ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَنُرَى ذَلِكَ مِنْ سُمَّيْهِمَا وَاللَّهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ سَالِمٌ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَلَبِثْتُ لاَ أَتْرُكُ حَيَّةً أَرَاهَا إِلاَّ قَتَلْتُهَا فَبَيْنَا أَنَا أُطَارِدُ حَيَّةً يَوْمًا مِنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ مَرَّ بِي زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ أَوْ أَبُو لُبَابَةَ وَأَنَا أُطَارِدُهَا فَقَالَ مَهْلاً يَا عَبْدَ اللَّهِ ‏.‏ فَقُلْتُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِهِنَّ ‏.‏ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ نَهَى عَنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আমি কুকুর ধ্বংসের নির্দেশ প্রদান করতে শুনেছি- তিনি বলতেন, সাপ আর কুকুরগুলো মেরে ফেল। আর (বিশেষত) পিঠে ডোরাকাটা ও লেজকাটা সাপ মেরে ফেল। কেননা, এ দু’টি মানুষের চোখের শক্তি কেড়ে নেয় এবং গর্ভবতীদের গর্ভপাত ঘটায়। (সানাদের মধ্যবর্তী) বর্ণনাকারী যুহ্‌রী (রহঃ) বলেন, আমাদের অনুমানে সেটি তাদের বিষের কারণে; তবে এ ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলাই সর্বাধিক জ্ঞাত।

বর্ণনাকারী সালিম (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, তারপরে আমার অবস্থা এমন হলো যে, কোন সর্প দেখলেই আমি তাকে হত্যা না করে ছাড়তাম না। একদিনের ঘটনা, আমি গৃহে অবস্থান করে এমন একটি একটি সাপ ধাওয়া করছিলাম। তখান যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) অথবা আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) আমর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর আমি ধাওয়া করছিলাম। তিনি বললেন, থামো! হে ‘আবদুল্লাহ! তখন আমি বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো এদের হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপ ধ্বংস করতে বারণও করেছেন।

(ই.ফা. ৫৬৩২, ই.সে. ৫৬৬১)

৫৭২০
وَحَدَّثَنِيهِ حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ، حُمَيْدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ صَالِحًا، قَالَ حَتَّى رَآنِي أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ وَزَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالاَ إِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ يُونُسَ ‏”‏ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏”‏ ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ ‏”‏ ‏.‏

যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারমালাহ্‌ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া, ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ ও হাসান হুলওয়ানী (রহঃ) যুহ্‌রী (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূ্রেত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে (শেষ সানাদে) বর্ণনাকারী সালিহ্‌ (রহঃ) বলেছেন, ‘পরিশেষে আবূ লুবাবাহ্‌ ইবনু ‘আবদুল মুন্‌যির (রাঃ) এবং’ যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আমাকে প্রত্যক্ষ করলেন… এবং তাঁরা উভয়ে বললেন যে, তিনি ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপ হত্যা করতে বারণ করেছেন।



আর (প্রথম সূত্রের) বর্ণনাকারী ইউসুস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- ‘সব ধরনের সাপ মেরে ফেল’। তিনি ‘পিঠে ডোরাকাটা বিশিষ্ট ও লেজকাটা সাপ’ কথাটি উল্লেখ করেননি।



(ই.ফা. ৫৬৩২, ই.সে. ৫৬৬২)

৫৭২১
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَاللَّفْظُ، لَهُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ، كَلَّمَ ابْنَ عُمَرَ لِيَفْتَحَ لَهُ بَابًا فِي دَارِهِ يَسْتَقْرِبُ بِهِ إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَجَدَ الْغِلْمَةُ جِلْدَ جَانٍّ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ الْتَمِسُوهُ فَاقْتُلُوهُ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو لُبَابَةَ لاَ تَقْتُلُوهُ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي فِي الْبُيُوتِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু রুম্‌হ ও কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) … নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সঙ্গে তাঁর গৃহে তাঁর জন্য একটি দরজা খুলে নেয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন-যেটা দ্বারা তিনি মাসজিদের দিকে চলাচলের রাস্তা কাছাকাঠি করতে পারবেন। তখন কিশোররা (দেয়াল খুঁড়তে গিয়ে) একটি সাপের খোলস পেল। সে সময় ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, ওটিকে সন্ধান করে বের করে হত্যা কর। তখন আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) বললেন, তোমরা সেটিকে হত্যা করো না। কারণ, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপগুলোকে হত্যা করতে বারণ করেছেন।



(ই.ফা. ৫৬৩৩, ই.সে. ৫৬৬৩)

৫৭২২
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقْتُلُ الْحَيَّاتِ كُلَّهُنَّ حَتَّى حَدَّثَنَا أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ الْبَدْرِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ جِنَّانِ الْبُيُوتِ فَأَمْسَكَ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) সব ধরনের সাপ মেরে ফেলতেন। পরিশেষ আবূ লুবাবাহ্‌ ইবনু আবদুল মুন্‌যির আল-বাদ্‌রী (রাঃ) আমাদের হাদীস শুনালেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গৃহের সাপগুলোকে হত্যা করতে বারণ করেছেন। অতঃপর তিনি [ইবনু ‘উমার (রাঃ)] তা থেকে সংযত রইলেন।

(ই.ফা. ৫৬৩৪, ই.সে. ৫৬৬৪)

৫৭২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا لُبَابَةَ، يُخْبِرُ ابْنَ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ ‏.

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাফি’ (রহঃ) খবর দিয়েছেন যে, তিনি আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) -কে ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট (হাদীসের) সংবাদ দিতে শুনেছেন এ মর্মে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গৃহের (ছোট-খাটো) সাপগুলো হত্যা করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৩৫, ই.সে. ৫৬৬৫)

৫৭২৪
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ، اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي فِي الْبُيُوتِ ‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ও আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসহাক্‌ ইবনু মূসা আনসারী (রহঃ) … ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে …. (ভিন্ন সূত্রে) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা যুবা’ঈ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে এ মর্মে বর্ণিত যে, আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) তাঁকে (হাদীসের) সংবাদ দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাড়ী-ঘরে অবস্থানকারী সাপগুলো হত্যা করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৩৬, ই.সে. ৫৬৬৬)

৫৭২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي الثَّقَفِيَّ – قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى، بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ الأَنْصَارِيَّ، – وَكَانَ مَسْكَنُهُ بِقُبَاءٍ فَانْتَقَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ – فَبَيْنَمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ جَالِسًا مَعَهُ يَفْتَحُ خَوْخَةً لَهُ إِذَا هُمْ بِحَيَّةٍ مِنْ عَوَامِرِ الْبُيُوتِ فَأَرَادُوا قَتْلَهَا فَقَالَ أَبُو لُبَابَةَ إِنَّهُ قَدْ نُهِيَ عَنْهُنَّ – يُرِيدُ عَوَامِرَ الْبُيُوتِ – وَأُمِرَ بِقَتْلِ الأَبْتَرِ وَذِي الطُّفْيَتَيْنِ وَقِيلَ هُمَا اللَّذَانِ يَلْتَمِعَانِ الْبَصَرَ وَيَطْرَحَانِ أَوْلاَدَ النِّسَاءِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) .. নাফি’ (রহঃ) সংবাদ দিয়েছেন যে, আবূ লুবাবাহ্‌ ইবনু ‘আবদুল মুন্‌যির আনসারী (রাঃ) কুবায় বসবাস করতেন। অতঃপর তিনি স্থান পরিবর্তন করে মাদীনায় (মাসজিদে নাবাবীর সন্নিকটে) আসলেন। এমতাবস্থায় যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর [আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) -এর] সঙ্গে উপবিস্ট ছিলেন এবং তাঁর জন্য ছোট আাকরে একটি দরজা খুলছিলেন। অকস্মাৎ সে সময় তাঁরা বাড়ি ঘরে অবস্থানকারী একটি সাপ লক্ষ্য করলেন। তারা ওটিকে হত্যা করতে অগ্রসর হলে আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেগুলো মেরে ফেলতে বারণ করেছেন। তিনি (ওগুলো বলে) বাড়ি-ঘরে অবস্থানকারী সাপ বুঝাতে চেয়েছে। আর লেজকাটা ও পিঠে দু’টি সাদা দাগ বিশিষ্ট সাপ মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হয়ে যে, সে (সাপ) দু’টি এমন, যারা চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় এবং নারীদের গর্ভপাত ঘটায়।

(ই.ফা. ৫৬৩৭, ই.সে. ৫৬৬৭)

৫৭২৬
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ عِنْدَنَا ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَوْمًا عِنْدَ هَدْمٍ لَهُ فَرَأَى وَبِيصَ جَانٍّ فَقَالَ اتَّبِعُوا هَذَا الْجَانَّ فَاقْتُلُوهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو لُبَابَةَ الأَنْصَارِيُّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي تَكُونُ فِي الْبُيُوتِ إِلاَّ الأَبْتَرَ وَذَا الطُّفْيَتَيْنِ فَإِنَّهُمَا اللَّذَانِ يَخْطِفَانِ الْبَصَرَ وَيَتَتَبَّعَانِ مَا فِي بُطُونِ النِّسَاءِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর ভেঙ্গে ফেলা একটি দেয়ালের নিকট ছিলেন। অতঃপর একটি সাপের খোলস দেখতে পেয়ে বললেন, একে সন্ধান করে তা হত্যা কর। আবূ লুবাবাহ্‌ আনসারী (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি সেসব সাপ হত্যা করতে বারণ করেছেন যেগুলো বাড়ি-ঘরে অবস্থান করে; কিন্তু লেজ কাটা ও পিঠে দু’টি সাদা দাগযুক্ত সাপ (হত্যা করতে বলেছেন)। কারণ এ দু’টি এমন যারা দৃষ্টি শক্তি কেড়ে নেয় এবং স্ত্রীলোকদের গর্ভপাত ঘটায়।

(ই.ফা. ৫৬৩৭, ই.সে. ৫৬৬৮)

৫৭২৭
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أُسَامَةُ، أَنَّ نَافِعًا، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ مَرَّ بِابْنِ عُمَرَ وَهُوَ عِنْدَ الأُطُمِ الَّذِي عِنْدَ دَارِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَرْصُدُ حَيَّةً بِنَحْوِ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আবূ লুবাবাহ্‌ (রাঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট দিয়ে গেলেন। সে সময় ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) -এর গৃহের নিকট অবস্থিত দালানের কাছে ছিলেন। তখন তিনি একটি সাপ হত্যা করার জন্য লুকিয়ে ছিলেন। শেষাংশ লায়স ইবনু সা’দ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মতো।

(ই.ফা. ৫৬৩৯, ই.সে. ৫৬৬৯)

৫৭২৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى وَإِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي غَارٍ وَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ ‏{‏ وَالْمُرْسَلاَتِ عُرْفًا‏}‏ ‏.‏ فَنَحْنُ نَأْخُذُهَا مِنْ فِيهِ رَطْبَةً إِذْ خَرَجَتْ عَلَيْنَا حَيَّةٌ فَقَالَ ‏”‏ اقْتُلُوهَا ‏”‏ ‏.‏ فَابْتَدَرْنَاهَا لِنَقْتُلَهَا فَسَبَقَتْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَقَاهَا اللَّهُ شَرَّكُمْ كَمَا وَقَاكُمْ شَرَّهَا ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে একটি (পাহাড়ী) গুহায় ছিলাম। সে সময় কেবল (আরবী) (সূরা আল-মুরসালাত) তার উপরে অবতীর্ণ হয়েছিল, আর আমরা তাঁর কণ্ঠ থেকে তা সতেজভাবে (সরাসরি) শুনছিলাম। অকস্মাৎ একটি সাপ আমাদের সম্মুখে বের হয়ে আসলো। তিনি বললেন, তোমরা ওটাকে হত্যা করো। আমরা হতা করার জন্য তার পিছনে দৌড় প্রতিযোগিতা আরম্ভ করলাম। কিন্তু সে আমাদের হারিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা ওকে তোমাদের অনিষ্ট থেকে হিফাযাত করেছেন, যেমন তিনি তোমাদের হিফাযাত করেছেন তার অনিষ্ট হতে।

(ই.ফা. ৫৬৪০, ই.সে. ৫৬৭০)

৫৭২৯
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা’ঈদ ও ‘উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) … আ’মাশ (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূ্রেত হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৪১, ই.সে. ৫৬৭১)

৫৭৩০
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ – حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ مُحْرِمًا بِقَتْلِ حَيَّةٍ بِمِنًى ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ‘মুহ্‌রিম’ লোককে মিনায় একটি সাপ হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

(ই.ফা. ৫৬৪২, ই.সে. ৫৬৭২)

৫৭৩১
وَحَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَارٍ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ وَأَبِي مُعَاوِيَةَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে একটি (পাহাড়ী) গুহায় অবস্থান করছিলাম। বাকী অংশ জারীর (রহঃ) ও আবূ মু’আবিয়াহ্‌ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মতই।

(ই.ফা. ৫৬৪৩, ই.সে. ৫৬৭৩)

৫৭৩২
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ صَيْفِيٍّ، – وَهُوَ عِنْدَنَا مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ – أَخْبَرَنِي أَبُو السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فِي بَيْتِهِ قَالَ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي فَجَلَسْتُ أَنْتَظِرُهُ حَتَّى يَقْضِيَ صَلاَتَهُ فَسَمِعْتُ تَحْرِيكًا فِي عَرَاجِينَ فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ فَالْتَفَتُّ فَإِذَا حَيَّةٌ فَوَثَبْتُ لأَقْتُلَهَا فَأَشَارَ إِلَىَّ أَنِ اجْلِسْ ‏.‏ فَجَلَسْتُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي الدَّارِ فَقَالَ أَتَرَى هَذَا الْبَيْتَ فَقُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ كَانَ فِيهِ فَتًى مِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ – قَالَ – فَخَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْخَنْدَقِ فَكَانَ ذَلِكَ الْفَتَى يَسْتَأْذِنُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَنْصَافِ النَّهَارِ فَيَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَأْذَنَهُ يَوْمًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خُذْ عَلَيْكَ سِلاَحَكَ فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ قُرَيْظَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَأَخَذَ الرَّجُلُ سِلاَحَهُ ثُمَّ رَجَعَ فَإِذَا امْرَأَتُهُ بَيْنَ الْبَابَيْنِ قَائِمَةً فَأَهْوَى إِلَيْهَا الرُّمْحَ لِيَطْعُنَهَا بِهِ وَأَصَابَتْهُ غَيْرَةٌ فَقَالَتْ لَهُ اكْفُفْ عَلَيْكَ رُمْحَكَ وَادْخُلِ الْبَيْتَ حَتَّى تَنْظُرَ مَا الَّذِي أَخْرَجَنِي ‏.‏ فَدَخَلَ فَإِذَا بِحَيَّةٍ عَظِيمَةٍ مُنْطَوِيَةٍ عَلَى الْفِرَاشِ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَانْتَظَمَهَا بِهِ ثُمَّ خَرَجَ فَرَكَزَهُ فِي الدَّارِ فَاضْطَرَبَتْ عَلَيْهِ فَمَا يُدْرَى أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الْحَيَّةُ أَمِ الْفَتَى قَالَ فَجِئْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ وَقُلْنَا ادْعُ اللَّهَ يُحْيِيهِ لَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِنَّ بِالْمَدِينَةِ جِنًّا قَدْ أَسْلَمُوا فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُمْ شَيْئًا فَآذِنُوهُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ‏”‏ ‏.‏

হিশাম ইবন যুহ্‌রাহ্‌ (রহঃ) -এর মুক্ত গোলাম আবূ সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) -এর নিকট তাঁর গৃহে ঢুকলেন। তিনি বলেন, সে সময় আমি তাঁকে সলাতরত অবস্থায় পেলাম এবং তাঁর সলাত শেষ করা পর্যন্ত তাঁর অপেক্ষায় বসে থাকলাম। সে সময় গৃহের কোণে রেখে দেয়া খেজুর ডালের স্তুপের মাঝে কিচু একটার নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। আমরা দেখতে পেলাম যে, এটি একটি সাপ। আমি সেটিকে হত্যা করার জন্য লাফ দেয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। তখন তিনি (সলাতে থেকেই) ইঙ্গিত করলেন যে, বসে থাকে। সলাত সমাপ্ত করে গৃহের একটি ঘরের দিকে ইশারা করে বললেন, এ ঘরটি কি তুমি দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হ্যাঁ! তিনি বললেন, সেখানে নববিবাহিত আমাদের এক যুবক থাকত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে খন্দক যুদ্ধে বের হলাম। ঐ যুবক মধ্যাহ্নের সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অনুমতি চেয়ে নিত এবং তার পরিবারের নিকট ফিরে যেত। একদিন সে (যথারীতি) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অনুমতি কামনা করলে তিনি তাকে বললেন, তোমার যুদ্ধাস্ত্র তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও। কারণ, আমি তোমার উপরে বানূ কুরাইযাহ্‌ (ইয়াহূদীদের আক্রমণ) -এর সংশয়করছি। ব্যক্তিটি তার অস্ত্র নিয়ে (গৃহে) প্রত্যাবর্তন করল। সেখানে সে তার (সদ্য বিবাহিতা) স্ত্রীকে দু’দরজার মাঝে দণ্ডায়মান অবন্থায় লক্ষ্য করল এবং (তার প্রতি সন্দিহান হয়ে) তাকে বল্লম দিয়ে আঘাত হানার উদ্দেশে তা তার দিকে স্থির করে ধরল। আত্মসম্মানবোধ তাকে পেয়ে বসেছিল। তখন সে (স্ত্রী) বলল, তোমার বল্লমটি নিজের নিকট সংযত রাখো এবং ঘরে প্রবেশ করো। তুমি যাতে তা দেখতে পারো, যা আমাকে বের হতে বাধ্য করেছে। সে গৃহে ঢুকেই দেখতে পেল যে, এক বিশালাকার সাপ বিছানার উপরে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে। সে এর প্রতি বল্লম স্থিত করে তার মাধ্যমে এটিকে গেঁথে ফেলল। অতঃপর বের হয়ে তা (বল্লমটি) বাড়ীর মধ্যেই পুঁতে রাখল। সে সময় তা নড়ে চড়ে তাকে ছোবল মারলো এবং (ক্ষণিকের মধ্যে) সাপ কিংবা যুবক এ দু’জনের কে বেশী দ্রুত মৃত্যুবরণকারী ছিল তা আঁচ করা গেল না। বর্ণনাকারী [আবূ সা’ঊদ (রাঃ)] বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে যেয়ে ঘটনাটি বিবরণ দিয়ে তাঁকে বললাম, আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন, তিনি যেন আমাদের মাঝে তাকে আবার তাজা করে দেন। সে সময় তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর বললেন, মাদীনায় কিছু জিন রয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাই, (সাপ ইত্যাদিরূপে) তাদের কিয়দংশ তোমরা লক্ষ্য করলে তাকে তিন দিন সাবধান সংকেত দিবে; তারপরে তোমাদের সম্মুখে (তা) প্রকাশ পেলে তাকে হত্যা করবে। কারণ, সে একটি (অবাধ্য) শাইতান, (অর্থাৎ, সে মুসলিম নয়)।

(ই.ফা. ৫৬৪৪, ই.সে. ৫৬৭৪)

৫৭৩৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ أَسْمَاءَ بْنَ عُبَيْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ رَجُلٍ، يُقَالُ لَهُ السَّائِبُ – وَهُوَ عِنْدَنَا أَبُو السَّائِبِ – قَالَ دَخَلْنَا عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَبَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ إِذْ سَمِعْنَا تَحْتَ، سَرِيرِهِ حَرَكَةً فَنَظَرْنَا فَإِذَا حَيَّةٌ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ صَيْفِيٍّ وَقَالَ فِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ لِهَذِهِ الْبُيُوتِ عَوَامِرَ فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْهَا فَحَرِّجُوا عَلَيْهَا ثَلاَثًا فَإِنْ ذَهَبَ وَإِلاَّ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّهُ كَافِرٌ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ لَهُمُ ‏”‏ اذْهَبُوا فَادْفِنُوا صَاحِبَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) -এর নিকট গমন করলাম। আমরা উপবিষ্ট ছিলাম, এমতাবস্থায় অকস্মাৎ তাঁর খাটের নীচে একটা নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। তাকিয়ে দেখি যে, সেটা একটা সাপ… ঘটনা সহ হাদীসটি (পূর্বোল্লিখিত) সাইফী (রহঃ) হতে মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে তিনি বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; এসব গৃহে আরও কতক অধিবাসী রয়েছে। সুতরাং সে রকমের কোন কিছু তোমরা লক্ষ্য করলে তাদের প্রতি তিনবার সাবধান বাণী উচ্চারণ করবে, এতে যদি (তারা) চলে যায় তো ভাল! নতুবা তোমরা তাকে হত্যা করবে। কারণ সে কাফির (অবাধ্য)। আর তিনি তাদের (মৃত ব্যক্তির অভিভাবকদের) বললেন, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের সঙ্গীকে দাফন করো। (ই.ফা. ৫৬৪৫, ই.সে. ৫৬৭৫)

৫৭৩৪
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، حَدَّثَنِي صَيْفِيٌّ، عَنْ أَبِي السَّائِبِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ بِالْمَدِينَةِ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ قَدْ أَسْلَمُوا فَمَنْ رَأَى شَيْئًا مِنْ هَذِهِ الْعَوَامِرِ فَلْيُؤْذِنْهُ ثَلاَثًا فَإِنْ بَدَا لَهُ بَعْدُ فَلْيَقْتُلْهُ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূসা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনায় জিনদের এমন একটি দল রয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাই যে লোক এসব গৃহের অধিবাসী (সাপ ইত্যাদির রূপধারী) এ ধরনের কোন কিছু দেখতে পায়, সে যেন তাকে তিনবার সাবধানী সংকেত দেয়; তারপরও যদি তার সম্মুখে তা প্রকাশ পায় তবে সে যেন তা হত্যা করে ফেলে, কারণ একট (অবাধ্য) শাইতান। (ই.ফা. ৫৬৪৬, ই.সে. ৫৬৭৬)

৩৮. অধ্যায়ঃ
কাঁকলাস (টিকটিকি) মেরে ফেলা মুস্তাহাব

৫৭৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ، بْنِ شَيْبَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أُمِّ شَرِيكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا بِقَتْلِ الأَوْزَاغِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ أَمَرَ ‏.‏

উম্মু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে কাঁকলাস মেরে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে (শুধু) ‘নির্দেশ করেছেন’ রয়েছে, (অর্থাৎ, ‘তাকে’ শব্দটি নেই)।

(ই.ফা. ৫৬৪৭, ই.সে. ৫৬৭৭)

৫৭৩৬
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ شَرِيكٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، اسْتَأْمَرَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي قَتْلِ الْوِزْغَانِ فَأَمَرَ بِقَتْلِهَا ‏.‏ وَأُمُّ شَرِيكٍ إِحْدَى نِسَاءِ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ ‏.‏ اتَّفَقَ لَفْظُ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي خَلَفٍ وَعَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ وَحَدِيثُ ابْنِ وَهْبٍ قَرِيبٌ مِنْهُ ‏.‏

উম্মু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে কাঁকলাস হত্যা করার বিষয়ে বিধান জানতে চাইলেন, তখন তিনি তাকে তা মেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন।



উম্মু শারীক (রাঃ) হলেন বানূ ‘আমির ইবনু লুওয়াই সম্প্রদায়ের জনৈক স্ত্রীলোক। এ হাদীসের রিওয়ায়াতে ইবনু আবূ খালাফ ও ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) -এর শব্দ অভিন্ন। আর ইবনু ওয়াহ্‌ব (রহঃ) (প্রথম সূত্রে) -এর বর্ণিত হাদীস (এর শব্দ) -এর পাশাপাশি। (ই.ফা. ৫৬৪৮, ই.সে. ৫৬৭৮)

৫৭৩৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِ الْوَزَغِ وَسَمَّاهُ فُوَيْسِقًا ‏.‏

‘আমির ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) -এর পিতা [সা’ঈদ (রাঃ) ] থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁকলাস হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাকে ‘ছোট্ট ফাসিক’ ‘ক্ষুদে দুষ্কৃতিকারী’ নাম দিয়েছেন।

(ই.ফা. ৫৬৪৯, ই.সে. ৫৬৭৯)

৫৭৩৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلْوَزَغِ ‏ “‏ الْفُوَيْسِقُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ حَرْمَلَةُ قَالَتْ وَلَمْ أَسْمَعْهُ أَمَرَ بِقَتْلِهِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁকলাসকে ‘ছোট্ট ফাসিক’ বলেছেন।

হারামালাহ (রহঃ) বর্ধিতাকারে বর্ণনা করেন যে, তিনি [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেছেন যে, (তবে) আমি তাঁকে তা হত্যা করার আদেশ দিতে শুনিনি।

(ই.ফা. ৫৬৫০, ই.সে. ৫৬৮০)

৫৭৩৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قَتَلَ وَزَغَةً فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً وَمَنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّانِيَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً لِدُونِ الأُولَى وَإِنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّالِثَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً لِدُونِ الثَّانِيَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রথম আঘাতে যে লোক কাঁকলাস মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত পরিমাণ সাওয়াব। আর যে লোক দ্বিতীয় আঘাতে তাকে হত্যা করবে, তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব, প্রথমবারের চাইতে কম। আর তৃতীয় আঘাতে হত্যা করে ফেলে, তাহলে তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব, তবে দ্বিতীয়বারের থেকে কম।

(ই.ফা. ৫৬৫১, ই.সে. ৫৬৮১)

৫৭৪০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ يَعْنِي ابْنَ زَكَرِيَّاءَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، كُلُّهُمْ عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ خَالِدٍ عَنْ سُهَيْلٍ إِلاَّ جَرِيرًا وَحْدَهُ فَإِنَّ فِي حَدِيثِهِ ‏ “‏ مَنْ قَتَلَ وَزَغًا فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ كُتِبَتْ لَهُ مِائَةُ حَسَنَةٍ وَفِي الثَّانِيَةِ دُونَ ذَلِكَ وَفِي الثَّالِثَةِ دُونَ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) সূ্ত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সুহায়ল (রহঃ) হতে সংকলিত খালিদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মার্থ সম্পন্ন হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু শুধামাত্র (অনুরূপ সানাদের) বর্ণনাকারী জাবীর (রহঃ) (এর বর্ণনায় ভিন্নতা রয়েছে) , তাঁর বর্নিত হাদীসে আছে, যে লোক প্রথম আঘাতে কাঁকলাস হত্যা করবে, তার জন্য একশ’ সাওয়াব লেখা হয়, আর দ্বিতীয় আঘাতে এর চেয়ে কম আর তৃতীয় আঘাতে তার থেকে কম (সাওয়াব লেখা হয়)। (ই.ফা. ৫৬৫২, ই.সে. ৫৬৮২)

৫৭৪১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ يَعْنِي ابْنَ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ سُهَيْلٍ، حَدَّثَتْنِي أُخْتِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ سَبْعِينَ حَسَنَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ্‌ (রহঃ) … আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম আঘাতে (হত্যা করতে পারলে) সত্তরটি সাওয়াব। (ই.ফা. ৫৬৫৩, ই.সে. ৫৬৮৩)

৩৯. অধ্যায়ঃ
পিঁপড়া মারার নিষেধাজ্ঞা

৫৭৪২
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَنَّ نَمْلَةً قَرَصَتْ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ فَأَمَرَ بِقَرْيَةِ النَّمْلِ فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَفِي أَنْ قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَهْلَكْتَ أُمَّةً مِنَ الأُمَمِ تُسَبِّحُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, একটি পিঁপড়া নবীদের কোন নবীকে কামড় দিলে তিনি পিঁপড়ার বসতি সম্বন্ধে আদেশ দিলেন, ফলে তা জ্বালিয়ে দেয়া হলো। সে সময় আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিকট এ প্রেক্ষিতে ওয়াহী নাযিল করলেন যে, একটি (মাত্র) পিঁপড়া তোমাকে কামড় দিল, তাতেই কিনা সমস্ত উম্মাত ও সৃষ্টিকূলের এমন একটি সৃষ্টি জাতিকে জ্বালিয়ে দিলে যারা আল্লাহর তাসবীহ্‌ পাঠ করছিল?

(ই.ফা. ৫৬৫৪, ই.সে. ৫৬৮৪)

৫৭৪৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ نَزَلَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ فَأَمَرَ بِجِهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ تَحْتِهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فَهَلاَّ نَمْلَةً وَاحِدَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নবীদের মধ্যে কোন একজন নবী একটি বৃক্ষের নিচে অবস্থান নিলেন, সে সময় একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড় দিল। তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশ করলে তার আসবাবপত্র গাছ তলা হতে সরিয়ে ফেলা হলো। তারপর তাদের পিঁপড়া সম্বন্ধে নির্দেশ দিলে তাদের বাসা জ্বালিয়ে দেয়া হলো। তখন আল্লাহ তা’আলা তার নিকট ওয়াহী প্রেরণ করলেন, এমতাবস্থায় একটি মাত্র (অপরাধী) পিঁপড়াকে (শাস্তি) দিলেন না কেন?

(ই.ফা. ৫৬৫৫, ই.সে. ৫৬৮৫)

৫৭৪৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نَزَلَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ فَأَمَرَ بِجِهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ تَحْتِهَا وَأَمَرَ بِهَا فَأُحْرِقَتْ فِي النَّارِ – قَالَ – فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فَهَلاَّ نَمْلَةً وَاحِدَةً ‏”‏ ‏.‏

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এ হলো সেসব হাদীস যা আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, এ বলে তিনি কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করলেন, (সেগুলোর একটি হলো) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নবীকূলের একজন নবী একটি বৃক্ষের নিচে অবস্থান করলেন, তখন একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড় দিল, সে সময় তিনি তার আসবাবপত্র (বের করার) বিষয়ে আদেশ দিলে তা বৃক্ষের নিচ থেকে বের করা হলো এবং তিনি নির্দেশ দিলে পিঁপড়াগলো আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হলো। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিকট ওয়াহী প্রেরণ করলেন, এহেন অবস্থায় একটি মাত্র পিঁপড়াকে (শাস্তি) দিলেন না কেন?

(ই.ফা. ৫৬৫৬, ই.সে. ৫৬৮৬)

৪০. অধ্যায়ঃ
বিড়াল হত্যা করা হারাম

৫৭৪৫
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَسَقَتْهَا إِذْ حَبَسَتْهَا وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক স্ত্রী লোককে একটি বিড়ালের জন্য ‘আযাব দেয়া হয় এজন্য যে, সে বিড়ালটিকে আটকে রেখেছিল, পরিশেষে সে-টি মারা গেল। যার জন্য সে জাহান্নামে গেল। যে মেয়ে লোকটি বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছে, নিজেও পানাহার করায়নি আর সেটিকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমিনের পোকা মাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে।

(ই.ফা. ৫৬৫৭, ই.সে. ৫৬৮৭)

৫৭৪৬
وَحَدَّثَنِي نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَعَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ مَعْنَاهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাস্‌র ইবনু ‘আলী জাহ্‌যামী (রহঃ) … আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৫৮, ই.সে. ৫৬৮৮)

৫৭৪৭
وَحَدَّثَنَاهُ هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مَعْنِ بْنِ عِيسَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারূন ইবনু ‘আবদুল্লাহ ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার (রহঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ রকম বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৫৯, ই.সে. ৫৬৮৯)

৫৭৪৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ لَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَسْقِهَا وَلَمْ تَتْرُكْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি মেয়ে লোককে একটি বিড়ালের কারণে শাস্তি দেয়া হয়। সে নিজেও বিড়ালটিকে পানাহর করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি যাতে করে সে (নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে।

(ই.ফা. ৫৬৬০, ই.সে. ৫৬৯০)

৫৭৪৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدُ، بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِهِمَا ‏”‏ رَبَطَتْهَا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ ‏”‏ حَشَرَاتِ الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম (রহঃ) উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাঁদের উভয়ের বর্ণিত হাদীসে আছে, ‘সে তাকে আটকে রাখল’। (এছাড়া প্রথম সানাদের) বর্ণনাকারী আবূ মু’আবিয়াহ্‌ (রহঃ) -এর বর্ণিত হাদীসে আছে, জমিনের ‘কীটপতঙ্গ’। অর্থাৎ (আরবী) শব্দের স্থানে (আরবী) অর্থ একই) শব্দ আছে। (ই.ফা. ৫৬৬১, ই.সে. ৫৬৯১)

৫৭৫০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে (পূর্বোল্লিখিত সানাদের) বর্ণনাকারী হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্‌ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মে বর্ণনা করেছেন।

৫৭৫১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) … আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে পূর্ব বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৬৩, ই.সে. ৫৬৯৩)

৪১. অধ্যায়ঃ
যে কোন পশু পাখীকে পান করানো ও খাবার দেওয়ার ফযীলাত

৫৭৫২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْعَطَشُ فَوَجَدَ بِئْرًا فَنَزَلَ فِيهَا فَشَرِبَ ثُمَّ خَرَجَ فَإِذَا كَلْبٌ يَلْهَثُ يَأْكُلُ الثَّرَى مِنَ الْعَطَشِ فَقَالَ الرَّجُلُ لَقَدْ بَلَغَ هَذَا الْكَلْبَ مِنَ الْعَطَشِ مِثْلُ الَّذِي كَانَ بَلَغَ مِنِّي ‏.‏ فَنَزَلَ الْبِئْرَ فَمَلأَ خُفَّهُ مَاءً ثُمَّ أَمْسَكَهُ بِفِيهِ حَتَّى رَقِيَ فَسَقَى الْكَلْبَ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنَّ لَنَا فِي هَذِهِ الْبَهَائِمِ لأَجْرًا فَقَالَ ‏”‏ فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জনৈক লোক কোন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, এমতাবস্থায় সে খুব তৃষ্ণার্ত হলো। সে একটি কূপ দেখতে পেয়ে তাতে নেমে পড়ল এবং পানি পান করল। তারপর সে বেরিয়ে এলো। সে সময় দেখতে পেল যে, (তৃষ্ণায় কাতর) একটি কুকুর জিভ বের করে হাঁপাচ্ছে আর মাটি চাটছে। লোকটি (মনে মনে) বলল, কুকুরটিকে আমার মতো তীব্র তৃষ্ণায় পেয়েছে। তখন সে কুয়ায় নামল এবং তার (চামড়ার) মোজায় পানি ভরল। তারপরে সে তার মুখ বন্ধ করে উপরে উঠল এবং কুকুরটিকে পান করাল। মহান আল্লাহতার (এ ‘আমালের) কদর করলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন। (সাহাবীগণ) প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ রসূল! তাহলে কি আমাদের জন্য এসব প্রাণীর ব্যাপারেও (সদাচরণে) সওয়াব রয়েছে? তিনি বললৈন, প্রতিটি ‘তাজা কলিজায়’ সাওয়াব রয়েছে।

(ই.ফা. ৫৬৬৪, ই.সে. ৫৬৯৪)

৫৭৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَنَّ امْرَأَةً بَغِيًّا رَأَتْ كَلْبًا فِي يَوْمٍ حَارٍّ يُطِيفُ بِبِئْرٍ قَدْ أَدْلَعَ لِسَانَهُ مِنَ الْعَطَشِ فَنَزَعَتْ لَهُ بِمُوقِهَا فَغُفِرَ لَهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) -এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, এক বেশ্যা নারী কোন এক গরমের দিনে একটি কুকুরকে একটি কুয়ার পাশে ঘুরতে দেখতে পেল। সেটি তৃষ্ণায় তার জিভ বের করে হাঁপাচ্ছিল। তখন সে তার (চামড়ার) মোজা দ্বারা তার জন্য পানি তুলে আনল এবং পান করাল। অবশেষে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হলো। (ই.ফা. ৫৬৬৫, ই.সে. ৫৬৯৫)

৫৭৫৪
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ بَيْنَمَا كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ قَدْ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إِسْرَائِيلَ فَنَزَعَتْ مُوقَهَا فَاسْتَقَتْ لَهُ بِهِ فَسَقَتْهُ إِيَّاهُ فَغُفِرَ لَهَا بِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি কুকুর একটি (পানি ভর্তি) কূপের চতুর্দিকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তৃষ্ণায় যে প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী হয়েছি।। সে সময় বানী ইসরাঈলের পতিতাদের এক পতিতা তাকে লক্ষ্য করলো এবং (দয়াদ্র হয়ে) সে তার (চামড়ার) মোজা খুলে ফেলল এবং তার জন্য পানি উঠিয়ে এনে তাকে পান করিয়ে দিল। যার কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হলো।

(ই.ফা. ৫৬৬৬, ই.সে. ৫৬৯৬)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]