সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস যিকির দুআ তওবা ও ইসতিগফার অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৬৬৯৮ – ৬৭৭৪

১. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ তা‘আলার যিক্‌রের প্রতি অনুপ্রাণিত করা

৬৬৯৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ – قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ حِينَ يَذْكُرُنِي إِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلإٍ هُمْ خَيْرٌ مِنْهُمْ وَإِنْ تَقَرَّبَ مِنِّي شِبْرًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَىَّ ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعًا وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ জাল্লা শানুহু বলেন, আমি বান্দার ধারণা অনুযায়ী নিকটে আছি। যখন সে আমার যিকির (স্মরণ) করে সে সময় আমি তার সাথে থাকি। বান্দা আমাকে একাকী স্মরণ করলে আমিও তাকে এককী স্মরন করি। আর যদি সে আমাকে কোন সভায় আমার কথা স্মরণ করে তাহলে আমি তাকে তার চেয়ে উত্তম সভায় স্মরণ করি। যদি সে আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় তাহলে আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে আসি। যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে আমি তার দিকে দৌড়িয়ে আসি। (ই.ফা. ৬৫৬১, ই.সে. ৬৬১৫)

৬৬৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَىَّ ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعًا ‏”‏ ‏.‏

আ‘মাশ (রাঃ) হতে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণনা করেছেন। ‘যদি সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে তাহলে আমি তার দিকে এক গজ অগ্রসর হই’ তিনি এ কথাটি বর্ননা করেননি। (ই.ফা. ৬৫৬২, ই.সে. ৬৬১৬)

৬৭০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ قَالَ إِذَا تَلَقَّانِي عَبْدِي بِشِبْرٍ تَلَقَّيْتُهُ بِذِرَاعٍ وَإِذَا تَلَقَّانِي بِذِرَاعٍ تَلَقَّيْتُهُ بِبَاعٍ وَإِذَا تَلَقَّانِي بِبَاعٍ أَتَيْتُهُ بِأَسْرَعَ ‏”‏ ‏.‏

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এগুলো আমাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন। তারপর তিনি কিছু হাদীস উল্লেখ করেন। তম্মধ্যে একটি হাদীস এই, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যখন কোন বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসহর হয় তখন আমি তার পানে এক হাত অগ্রসহর হই। আর যখন সে একহাত অগ্রসহর হয় আমি তখন একগজ অগ্রসর হই। যখন সে দু’হাত অগ্রসহর হয় তখন আমি তার কাছে অতি তাড়াতাড়ি আসি। (ই.ফা. ৬৫৬৩, ই.সে. ৬৬১৭)

৬৭০১
حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا رَوْحُ، بْنُ الْقَاسِمِ عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسِيرُ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ فَمَرَّ عَلَى جَبَلٍ يُقَالُ لَهُ جُمْدَانُ فَقَالَ ‏”‏ سِيرُوا هَذَا جُمْدَانُ سَبَقَ الْمُفَرِّدُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا الْمُفَرِّدُونَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কার পথে চলতে থাকেন। অতঃপর ‘জুমদন’ নামে একটি পর্বতের কাছে গেলেন। এরপর তিনি বললেন, তোমরা এ জমদান পর্বতে সফর করো। ‘মুফার্রিদ’গণ অগ্রগামী হয়েছে। মানুষেরা প্রশ্ন করল, ‘মুফার্রিদ’ কারা! হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)? তিনি বললেন, বেশি বেশি আল্লাহর যিকিরে নিয়োজিত পুরুষ ও নারী। (ই.ফা. ৬৫৬৪, ই.সে. ৬৬১৮)

২. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর নামসমূহের বর্ণনা এবং যারা এগুলো সংরক্ষণ করে তার মর্যাদা প্রসঙ্গে

৬৭০২
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، – وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو – حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لِلَّهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ اسْمًا مَنْ حَفِظَهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَإِنَّ اللَّهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ ‏”‏ مَنْ أَحْصَاهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে লোকে এ নামগুলো সংরক্ষণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা বেজোড়। তিনি বেজোড় ভালবাসেন। ইবনু আবূ ‘উমার (রহঃ)-এর বর্ণনায় (আরবী) (সংরক্ষণ করে)-এর স্থলে (আরবী) (যে তা আয়ত্ত করে) বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৬৫৬৫, ই.সে. ৬৬১৯)

৬৭০৩
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً إِلاَّ وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ هَمَّامٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّهُ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার নিরানব্বইটি নাম অর্থাৎ- এক কমে একশটি নাম রয়েছে। যে লোক তা আয়ত্ত করবে সে জান্নাতে গমন করবে। হাম্মাম (রহঃ) আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এটুকু বাড়িয়ে বলেছেন যে, ‘তিনি বেজোড় এবং তিনি বেজোড় পছন্দ করেন’। (ই.ফা. ৬৫৬৬, ই.সে. ৬৬২০)

৩. অধ্যায়ঃ
দু‘আতে দৃঢ়তা অবলম্বন করা এবং ‘আল্লাহ তুমি যদি চাও’ এ কথা না বলার বর্ণনা

৬৭০৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلْيَعْزِمْ فِي الدُّعَاءِ وَلاَ يَقُلِ اللَّهُمَّ إِنْ شِئْتَ فَأَعْطِنِي فَإِنَّ اللَّهَ لاَ مُسْتَكْرِهَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন দু‘আ করে সে যেন দৃঢ়তা প্রকাশের সাথে দু‘আ করে। আর সে যেন না বলে, “হে আল্লাহ! যদি তুমি ইচ্ছা কর তবে আমাকে দান কর”। কেননা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য কোন বাধ্যকারী নেই। (ই.ফা. ৬৫৬৭, ই.সে. ৬৬২১)

৬৭০৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلاَ يَقُلِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي إِنْ شِئْتَ وَلَكِنْ لِيَعْزِمِ الْمَسْأَلَةَ وَلْيُعَظِّمِ الرَّغْبَةَ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يَتَعَاظَمُهُ شَىْءٌ أَعْطَاهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন দু‘আ করে তখন সে যেন না বলে (আরবী) (হে আল্লাহ! আপনি যদি চান আমাকে মাফ করুন)। কিন্তু সে যেন দৃঢ়তার সাথে দু‘আ করে। সে যেন আগ্রহ নিয়ে দু‘আ করে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাকে যা দান করেন তা আল্লাহ তা‘আলার নিকট তেমন কোন বিশাল জিনিস নয়। (ই.ফা. ৬৫৬৮, ই.সে. ৬৬২২)

৬৭০৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ، – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ – عَنْ عَطَاءِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي إِنْ شِئْتَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي إِنْ شِئْتَ ‏.‏ لِيَعْزِمْ فِي الدُّعَاءِ فَإِنَّ اللَّهَ صَانِعٌ مَا شَاءَ لاَ مُكْرِهَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যেন কখনো এ কথা না বলে যে, “হে আল্লাহ! আপনি যদি চান আমাকে মাফ করুন, হে আল্লাহ! আপনি যদি চান আমার প্রতি রহ্মাত করুন।” সে যেন অবশ্যই দৃঢ়তার সাথে দু‘আ প্রার্থনা করে। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা মহান কারিগর, তিনি যা চান তাই করেন। তার উপর বাধ্যবাধকতা করার কেউ নেই। (ই.ফা. ৬৫৬৯, ই.সে. ৬৬২৩)

৪. অধ্যায়ঃ
বিপদে পড়লে মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা পোষণ অপছন্দনীয়

৬৭০৭
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ فَإِنْ كَانَ لاَ بُدَّ مُتَمَنِّيًا فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যেন বিপদে পড়ার কারণে মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা না করে। তবে মৃত্যু তার কামনা হয় তা হলে সে যেন বলে- “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে জীবিত রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত আমার হায়াত আমার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি আমার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর হয়, তবে আমাকে মৃত্যু দিয়ে দিন।” (ই.ফা. ৬৫৭০, ই.সে. ৬৬২৪)

৬৭০৮
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – كِلاَهُمَا عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ مِنْ ضُرٍّ أَصَابَهُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া তিনি (আরবী) (তার উপর আপতিত বিপদের কারণে) এর স্থলে (আরবী) (যে বিপদ তার উপর পতিত হয়েছে) বলেছেন। (ই.ফা. ৬৫৭১, ই.সে. ৬৬২৫)

৬৭০৯
حَدَّثَنِي حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، وَأَنَسٌ، يَوْمَئِذٍ حَىٌّ قَالَ أَنَسٌ لَوْلاَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ ‏”‏ ‏.‏ لَتَمَنَّيْتُهُ ‏.‏

নায্‌র ইবনু আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস তখন জীবিত ছিলেন। তিনি (নায্র) বলেন, আনাস (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি না বলতেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ কখনো মৃত্যুর আশা করবে না”। তাহলে অবশ্যই আমি মৃত্যু কামনা করতাম। (ই.ফা. ৬৫৭২, ই.সে. ৬৬২৬)

৬৭১০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي، خَالِدٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى خَبَّابٍ وَقَدِ اكْتَوَى سَبْعَ كَيَّاتٍ فِي بَطْنِهِ فَقَالَ لَوْمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا أَنْ نَدْعُوَ بِالْمَوْتِ لَدَعَوْتُ بِهِ ‏.‏

কায়স ইবনু আবূ হাযিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা খাব্বাব (রাঃ)-এর নিকটে প্রবেশ করলাম। তিনি তার উদরে সাতবার লোহা গরম করে সেক দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বললেন, যদি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মৃত্যু কামনা করে দু‘আ করতে বারণ না করতেন তাহলে অবশ্যই আমি মৃত্যুর জন্য দু‘আ করতাম। (ই.ফা. ৬৫৭৩, ই.সে. ৬৬২৭)

৬৭১১
حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَجَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، وَوَكِيعٌ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) ….. অপর সানাদে ইবনু নুমায়র, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু‘আয ও ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাবীব ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি‘ (রহঃ) ইসমা‘ঈল (রহঃ) থেকে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস আলোচনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৫৭৪, ই.সে. ৬৬২৮)

৬৭১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَتَمَنَّى أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ وَلاَ يَدْعُ بِهِ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَهُ إِنَّهُ إِذَا مَاتَ أَحَدُكُمُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ وَإِنَّهُ لاَ يَزِيدُ الْمُؤْمِنَ عُمْرُهُ إِلاَّ خَيْرًا ‏”‏ ‏.‏

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাদের নিকট যা বর্ণনা করেছেন, অতঃপর তিনি কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করলেন। তার অন্যতম একটি এই যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং মৃত্যু আসার আগে যেন মৃত্যুর জন্য দু‘আ না করে। কেননা তোমাদের কেউ মারা গেলে তার ‘আমাল বন্ধ হয়ে যায়। আর মু‘মিন লোকের বয়স তার কল্যাণই বাড়িয়ে থাকে। (ই.ফা. ৬৫৭৫, ই.সে. ৬৬২৯)

৫. অধ্যায়ঃ
যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন আল্লাহ তাদের সাক্ষাৎ ভালোবাসেন আর যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না আল্লাহও তাদের সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না

৬৭১৩
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُبَادَةَ، بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏

‘উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন আল্লাহ তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন। আর যে লোক আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না। (ই.ফা. ৬৫৭৬, ই.সে. ৬৬৩০)

৬৭১৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.‏

‘উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৫৭৭, ই.সে. ৬৬৩১)

৬৭১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرُّزِّيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ الْهُجَيْمِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ فَكُلُّنَا نَكْرَهُ الْمَوْتَ فَقَالَ ‏”‏ لَيْسَ كَذَلِكِ وَلَكِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا بُشِّرَ بِرَحْمَةِ اللَّهِ وَرِضْوَانِهِ وَجَنَّتِهِ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ فَأَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا بُشِّرَ بِعَذَابِ اللَّهِ وَسَخَطِهِ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ وَكَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন। আর যে লোক আল্লাহর সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন তো আল্লাহও তার সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এটা কি মরণকে অপছন্দ করা আমরা সবাই তো তা অপছন্দ করি? তিনি বলেন, বিষয়টি এরূপ নয়। তবে যখন একজন মু’মিনকে আল্লাহর রহ্মাত, তাঁর রিযামন্দির ও জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয় তখন সে আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন এবং আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন। আর যখন কাফিরকে আল্লাহর ‘আযাব ও তার অসন্তুষ্টির সংবাদ দেয়া হয় তখন সে আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না এবং আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না। (ই.ফা. ৬৫৭৮, ই.সে. ৬৬৩২)

৬৭১৬
حَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৫৭৯, ই.সে. ৬৬৩৩)

৬৭১৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَالْمَوْتُ قَبْلَ لِقَاءِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন। আর যে লোক আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না। আর মৃত্যু আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের পূর্বে (সংঘটিত হয়)। (ই.ফা. ৬৫৮০, ই.সে. ৬৬৩৩)

৬৭১৮
حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ عَامِرٍ، حَدَّثَنِي شُرَيْحُ بْنُ هَانِئٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بِمِثْلِهِ ‏.‏

শুরায়াহ্ ইবনু হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশা (রাঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাদীসের হুবহু বলেছেন। (ই.ফা. ৬৫৮১, ই.সে. ৬৬৩৪)

৬৭১৯
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ شُرَيْحِ، بْنِ هَانِئٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَذْكُرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا إِنْ كَانَ كَذَلِكَ فَقَدْ هَلَكْنَا ‏.‏ فَقَالَتْ إِنَّ الْهَالِكَ مَنْ هَلَكَ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَا ذَاكَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَيْسَ مِنَّا أَحَدٌ إِلاَّ وَهُوَ يَكْرَهُ الْمَوْتَ ‏.‏ فَقَالَتْ قَدْ قَالَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَيْسَ بِالَّذِي تَذْهَبُ إِلَيْهِ وَلَكِنْ إِذَا شَخَصَ الْبَصَرُ وَحَشْرَجَ الصَّدْرُ وَاقْشَعَرَّ الْجِلْدُ وَتَشَنَّجَتِ الأَصَابِعُ فَعِنْدَ ذَلِكَ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ ভালোবাসেন আল্লাহ তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন। আর যে লোক আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না। তিনি (শুরায়াহ্) বলেন, অতঃপর আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট আসলাম এবং বললাম, হে মু’মিনদের জননী! আমি আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একটি হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। যদি বিষয়টি এমন হয় তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তখন তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা অনুযায়ী যে লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে প্রকৃতভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি কী? তিনি (রাবী) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহর সাক্ষাৎ পছন্দ করে আল্লাহ তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসে না আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন না আর আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে মৃত্যুকে অপছন্দ করে না। তখন তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথাই বলেছেন। তবে তুমি যা বুঝেছ বিষয়টি ঠিক তা নয়। মূলতঃ যখন অপলক দৃষ্টিতে তাকাবে, শ্বাস বুকে থমকে যাবে, শরীরের পশম খাড়া হয়ে যাবে এবং আঙ্গুলগুলো খিচে যাবে ঐ সময় যে লোক আল্লাহর সাক্ষাৎ ভালোবাসে আল্লাহও তার সাক্ষাৎ ভালোবাসেন এবং সে সময় যে আল্লাহর সাক্ষাৎ পছন্দ করবে না আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করবেন না। (ই.ফা. ৬৫৮২, ই.সে. ৬৬৩৫)

৬৭২০
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنِي جَرِيرٌ، عَنْ مُطَرِّفٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ عَبْثَرٍ ‏.‏

মুতার্রিফ (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

‘আবসার (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৫৮৩, ই.সে. ৬৬৩৬)

৬৭২১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, যে লোক আল্লাহর সাক্ষাৎ পছন্দ করে আল্লাহ তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে লোক আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে না আল্লাহও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন না। (ই.ফা. ৬৫৮৪, ই.সে. ৬৬৩৬)

৬. অধ্যায়ঃ
যিকর, দু‘আ ও আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করার মর্যাদা

৬৭২২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ، بْنِ الأَصَمِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ إِذَا دَعَانِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী আমি আছি। আর যখন সে আমাকে ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দেই। (ই.ফা. ৬৫৮৫, ই.সে. ৬৬৩৭)

৬৭২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارِ بْنِ عُثْمَانَ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ، – وَهُوَ التَّيْمِيُّ – عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا تَقَرَّبَ عَبْدِي مِنِّي شِبْرًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا وَإِذَا تَقَرَّبَ مِنِّي ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعًا – أَوْ بُوعًا – وَإِذَا أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বলেন, যখন আমার বান্দা আমার প্রতি এক বিঘত এগিয়ে আসে তখন আমি তার প্রতি এক হাত এগিয়ে আসি। আর যখন সে আমার প্রতি এক হাত অগ্রসহর হয় তখন আমি তার প্রতি এক গজ অগ্রসর হই। আর যখন সে আমার প্রতি হেঁটে আসে তখন আমি তার প্রতি দৌড়ে আসি। (ই.ফা. ৬৫৮৬, ই.সে. ৬৬৩৮)

৬৭২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْقَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ إِذَا أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً ‏”‏ ‏.‏

মু‘তামির (রহঃ) তার পিতার সানাদে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় (আরবী) (যখন সে পায়ে হেঁটে আসে তখন আমি তার দিকে দৌড়ে আসি) উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৫৮৭, ই.সে. ৬৬৩৯)

৬৭২৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي وَأَنَا مَعَهُ حِينَ يَذْكُرُنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلإٍ خَيْرٍ مِنْهُ وَإِنِ اقْتَرَبَ إِلَىَّ شِبْرًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا وَإِنِ اقْتَرَبَ إِلَىَّ ذِرَاعًا اقْتَرَبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ জাল্লা শানুহু ‘ইরশাদ করেনঃ আমি আমার বান্দার নিকট তার ধারণা অনুযায়ী থাকি। যখন সে আমার স্মরণ করে তখন আমি তার সাথী হয়ে যাই। যখন সে একাকী আমার স্মরণ করে তখন আমি একাকী তাকে স্মরণ করি। যখন সে কোন সভায় আমার স্মরণ করে তখন আমি তাকে তার চেয়েও উত্তম সভায় স্মরণ করি। যদি সে আমার প্রতি এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে আসি। যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় তাহলে আমি তার দিকে এক গজ (দু’হাত) অগ্রসর হই। যদি সে আমার প্রতি পায়ে হেঁটে আসে আমি তার প্রতি দৌড়ে আসি। (ই.ফা. ৬৫৮৮, ই.সে. ৬৬৪০)

৬৭২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا وَأَزِيدُ وَمَنْ جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ فَجَزَاؤُهُ سَيِّئَةٌ مِثْلُهَا أَوْ أَغْفِرُ وَمَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي شِبْرًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا وَمَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعًا وَمَنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً وَمَنْ لَقِيَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطِيئَةً لاَ يُشْرِكُ بِي شَيْئًا لَقِيتُهُ بِمِثْلِهَا مَغْفِرَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন, যে লোক একটি নেক কাজ করবে তার জন্য রয়েছে দশগুণ প্রতিদান; আর আমি তাকে আরও বৃদ্ধি করে দিব। আর যে লোক একটি খারাপ কর্ম করবে তার প্রতিদান সে কর্মের সমান অথবা আমি তাকে মাফ করে দিব। যে লোক আমার প্রতি এক বিঘত এগিয়ে আসে আমি তার প্রতি এক হাত অগ্রসর হই। আর যে লোক আমর প্রতি এক হাত এগিয়ে আসে আমি তার দিকে দু’হাত (এক গজ) অগ্রসর হই। যে লোক আমার নিকট পায়ে হেঁটে আসে আমি তার প্রতি দৌড়িয়ে আসি। যে লোক আমার সাথে কাউকে কোন বিষয়ে অংশীদার স্থাপন ব্যতীত পৃথিবী তুল্য গুনাহ নিয়েও আমার সাথে সাক্ষাৎ করে তাহলে আমি তার সাথে অনুরূপ পৃথিবী তুল্য মার্জনা নিয়ে সাক্ষাৎ করি।

ইব্রাহীম বলেন, হাসান ইবনু বিশ্‌র হাদীসটি ওয়াকী‘ সানাদে অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৫৮৯, ই.সে. ৬৬৪১)

৬৭২৭
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا أَوْ أَزِيدُ ‏”‏ ‏.‏

আ‘মাশ (রহঃ)-এর সানাদে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে পার্থক্য এই যে, তিনি বলেছেন, তার জন্যে রয়েছে দশগুণ প্রতিদান কিংবা আমি আরও বৃদ্ধি করে দিব। (ই.ফা. ৬৫৯০, ই.সে. ৬৬৪২)

৭. অধ্যায়ঃ
দুনিয়াতে শাস্তি কার্যকরের জন্য দু‘আ করা অপছন্দনীয়

৬৭২৮
حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْحَسَّانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَادَ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ قَدْ خَفَتَ فَصَارَ مِثْلَ الْفَرْخِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَلْ كُنْتَ تَدْعُو بِشَىْءٍ أَوْ تَسْأَلُهُ إِيَّاهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ كُنْتُ أَقُولُ اللَّهُمَّ مَا كُنْتَ مُعَاقِبِي بِهِ فِي الآخِرَةِ فَعَجِّلْهُ لِي فِي الدُّنْيَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ سُبْحَانَ اللَّهِ لاَ تُطِيقُهُ – أَوْ لاَ تَسْتَطِيعُهُ – أَفَلاَ قُلْتَ اللَّهُمَّ آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَدَعَا اللَّهَ لَهُ فَشَفَاهُ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন মুসলিম রোগীকে সেবা করতে গেলেন। সে (অসুখে কাতর হয়ে) অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল, এমনকি সে পাখির ছানার মতো হয়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তুমি কি কোন বিষয় প্রার্থনা করছিলে অথবা আল্লাহর নিকট বিশেষভাবে কিছু চেয়েছিলে? সেবলল, হ্যাঁ। আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহ! আপনি পরকালে আমাকে যে সাজা দিবেন তা এ ইহকালেই দিয়ে দিন। সে সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সুবহানাল্লাহ্! তোমার এমন সামর্থ্য নেই যে, তা বহন করবে? অথবা তুমি তা সহ্য করতে পরবে না। তুমি এমনটি বললে না কেন? হে আল্লাহ! আমাদের কল্যাণ দাও পৃথিবীতে এবং কল্যাণ দান করো পরকালেও। আর জাহান্নাম হতে আমাদেরকে রক্ষা করো। তিনি (রাবী) বলেন, তখন তিনি তার জন্য আল্লাহর নিকট দু‘আ করেন। আর আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দেন। (ই.ফা. ৬৫৯১, ই.সে. ৬৬৪৩)

৬৭২৯
حَدَّثَنَاهُ عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ ‏ “‏ وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ الزِّيَادَةَ ‏.‏

হুমায়দ (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

হুমায়দ (রহঃ)-এর সূত্রে ‘জাহান্নাম থেকে আমাদের রক্ষা কর’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। এর অতিরিক্ত অংশ তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৫৯২, ই.সে. ৬৬৪৪)

৬৭৩০
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّعليه وسلم دَخَلَ عَلَى رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِهِ يَعُودُهُ وَقَدْ صَارَ كَالْفَرْخِ ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ حُمَيْدٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ لاَ طَاقَةَ لَكَ بِعَذَابِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فَدَعَا اللَّهَ لَهُ فَشَفَاهُ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহাবাদের মধ্য থেকে এক রোগীকে সেবা করতে যান। সে ভীষণ কাতর হয়ে পাখির ন্যায় হয়ে গিয়েছিল। হুমায়দ-এর হাদীসের অর্থানুযায়ী বর্ণনা করেন। কিন্তু তার হাদীসে আছে যে, “আল্লাহর সাজা সহ্য করার মতো সামর্থ্য তোমার নেই” আর এরপর “তিনি আল্লাহর নিকট দু‘আ করলেন এবং আল্লাহ তাকে সুস্থ করলেন” কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৫৯৩, ই.সে. ৬৬৪৫)

৬৭৩১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ الْعَطَّارُ، عَنْ سَعِيدِ، بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৫৯৪, ই.সে. ৬৬৪৬)

৮. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর স্মরণ সভার মর্যাদা

৬৭৩২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى مَلاَئِكَةً سَيَّارَةً فُضْلاً يَتَبَّعُونَ مَجَالِسَ الذِّكْرِ فَإِذَا وَجَدُوا مَجْلِسًا فِيهِ ذِكْرٌ قَعَدُوا مَعَهُمْ وَحَفَّ بَعْضُهُمْ بَعْضًا بِأَجْنِحَتِهِمْ حَتَّى يَمْلَئُوا مَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَإِذَا تَفَرَّقُوا عَرَجُوا وَصَعِدُوا إِلَى السَّمَاءِ – قَالَ – فَيَسْأَلُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ مِنْ أَيْنَ جِئْتُمْ فَيَقُولُونَ جِئْنَا مِنْ عِنْدِ عِبَادٍ لَكَ فِي الأَرْضِ يُسَبِّحُونَكَ وَيُكَبِّرُونَكَ وَيُهَلِّلُونَكَ وَيَحْمَدُونَكَ وَيَسْأَلُونَكَ ‏.‏ قَالَ وَمَاذَا يَسْأَلُونِي قَالُوا يَسْأَلُونَكَ جَنَّتَكَ ‏.‏ قَالَ وَهَلْ رَأَوْا جَنَّتِي قَالُوا لاَ أَىْ رَبِّ ‏.‏ قَالَ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْا جَنَّتِي قَالُوا وَيَسْتَجِيرُونَكَ ‏.‏ قَالَ وَمِمَّ يَسْتَجِيرُونَنِي قَالُوا مِنْ نَارِكَ يَا رَبِّ ‏.‏ قَالَ وَهَلْ رَأَوْا نَارِي قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْا نَارِي قَالُوا وَيَسْتَغْفِرُونَكَ – قَالَ – فَيَقُولُ قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ فَأَعْطَيْتُهُمْ مَا سَأَلُوا وَأَجَرْتُهُمْ مِمَّا اسْتَجَارُوا – قَالَ – فَيَقُولُونَ رَبِّ فِيهِمْ فُلاَنٌ عَبْدٌ خَطَّاءٌ إِنَّمَا مَرَّ فَجَلَسَ مَعَهُمْ قَالَ فَيَقُولُ وَلَهُ غَفَرْتُ هُمُ الْقَوْمُ لاَ يَشْقَى بِهِمْ جَلِيسُهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলার এক গ্রুপ ভ্রাম্যমান বর্ধিত ফেরেশ্তা রয়েছে। তারা যিকিরের বৈঠক সমূহ সন্ধান করে বেড়ায়। তাঁরা যখন কোন যিকিরের বৈঠক পায় তখন সেখানে তাদের (যিকিরকারীদের) সাথে বসে যায়। আর পরস্পর একে অপরকে বাহু দ্বারা ঘিরে ফেলেন। এমনকি তাঁরা তাদের মাঝে ও নিকটতম আকাশের ফাঁকা জায়গা পূরণ করে ফেলে। আল্লাহর যিকিরকারীগণ যখন পৃথক হয়ে যায় তখন তাঁরা আকাশমণ্ডলীতে আরোহণ করে। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কোত্থকে আসছো? অথচ তিনি তাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী অবহিত। তখন তাঁরা বলতে থাকেন, আমরা ভূমণ্ডলে অবস্থানকারী আপনার বান্দাদের কাছ হতে আসছি, যারা আপনার তাসবীহ্ পড়ে, তাকবীর পড়ে, তাহ্লীল বলে (‘লা-ইলা-হাইল্লাল্লা-হ’-এর) যিকির করে, আপনার প্রশংসা করে এবং আপনার নিকট তাদের প্রত্যাশিত বিষয় প্রার্থনা করে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দারা আমার নিকট কি প্রার্থনা করে? তাঁরা বলেন, তারা আপনার নিকট আপনার জান্নাত প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, তারা কি আমার জান্নাত প্রত্যক্ষ করেছে? তাঁরা বলেন, না; হে আমাদের প্রভু! তিনি বলেন, তারা যদি আমার জান্নাত প্রত্যক্ষ করত তাহলে তারা কি করত? তাঁরা বলেন, তাঁরা আপনার নিকট আশ্রয় চায়। তিনি বলেন, কি বিষয় হতে তাঁরা আমার নিকট আশ্রয় চায়? তাঁরা বলেন, হে আমাদের প্রভু! আপনার জাহান্নাম হতে (মুক্তির জন্য)। তিনি বলেন, তারা কি আমার জাহান্নাম প্রত্যক্ষ করেছে? তারা বলেন, না; তারা প্রত্যক্ষ করেনি। তিনি বলেন, তারা যদি আমার জাহান্নাম প্রত্যক্ষ করত তাহলে কী করত? তারা বলেন, তারা আপনার নিকট ক্ষমা প্রর্থনা করে। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ বলবেন, আমি তাদের মার্জনা করে দিলাম এবং তারা যা প্রার্থনা করছিল আমি তা তাদের প্রদান করলাম। আর তারা যা হতে আশ্রয় চেয়েছিল আমি তা থেকে তাদের মুক্তি দিলাম। অতঃপর তারা বলবে, হে আমাদের রব! তাদের মাঝে তো অমুক পাপী বান্দা ছিল, যে তাদের সাথে বৈঠকের নিকট দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে বসেছিল। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ বলবেন, আমি তাকেও মাফ করে দিলাম। তারা তো এমন একটি কওম যাদের সঙ্গীরা দুর্ভাগা হয়না। (ই.ফা. ৬৫৯৫, ই.সে. ৬৬৪৭)

৯. অধ্যায়ঃ
হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করো এবং আখিরাতে কল্যাণ দান করো আর জাহান্নাম হতে আমাদের মুক্তি দাও- এ দু‘আর মর্যাদা

৬৭৩৩
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، – وَهُوَ ابْنُ صُهَيْبٍ – قَالَ سَأَلَ قَتَادَةُ أَنَسًا أَىُّ دَعْوَةٍ كَانَ يَدْعُو بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرَ قَالَ كَانَ أَكْثَرُ دَعْوَةٍ يَدْعُو بِهَا يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ أَنَسٌ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ بِدَعْوَةٍ دَعَا بِهَا فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ بِدُعَاءٍ دَعَا بِهَا فِيهِ ‏.‏

‘আবদুল ‘আযীয ইবনু সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কাতাদাহ্ আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন্ দু‘আ সর্বাধিক পড়তেন? তিনি বললেন, তিনি যে দু‘আ দ্বারা সর্বাধিক দু‘আ করতেন তাতে বলতেন : “আল্ল-হুম্মা আ-তিনা- ফিদ্দুন্ইয়া- হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াকিনা- ‘আযা-বান্ না-র”। অর্থাৎ- ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতে কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে বাঁচিয়ে রাখো।’

রাবী বলেন, আনাস (রাঃ) যখনই কোন দু‘আ করার সংকল্প করতেন তখন তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ন্যায়] দু‘আ করতেন। তারপর যখন তিনি কোন ব্যাপারে দু‘আ করার সংকল্প করতেন তখন তাতে এ দু‘আ পড়তেন। (ই.ফা. ৬৫৯৬, ই.সে. ৬৬৪৮)

৬৭৩৪
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু‘আ পাঠ করতেন : “রব্বনা- আ-তিনা- ফিদ্দুন্ইয়া- হাসানাও ওয়াফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াকিনা- ‘আযা-বান্ না-র”। অর্থাৎ- ‘হে আমাদের রব! আমাদের পার্থিব জীবনে কল্যাণ দান করো, আখিরাতে কল্যাণ দান করো। আর জাহান্নামের শাস্তি হতে আমাদের বাঁচাও।’ (ই.ফা. ৬৫৯৭, ই.সে. ৬৬৪৯)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]