সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস যিকির দুআ তওবা ও ইসতিগফার অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৬৬৯৮ – ৬৭৭৪

১০. অধ্যায়ঃ
তাহলীল (‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলা), তাসবীহ্ (‘সুবহা-নাল্লা-হ’ বলা) ও দু‘আর ফাযীলাত

৬৭৩৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ‏.‏ فِي يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ ‏.‏ كَانَتْ لَهُ عَدْلَ عَشْرِ رِقَابٍ وَكُتِبَتْ لَهُ مِائَةُ حَسَنَةٍ وَمُحِيَتْ عَنْهُ مِائَةُ سَيِّئَةٍ وَكَانَتْ لَهُ حِرْزًا مِنَ الشَّيْطَانِ يَوْمَهُ ذَلِكَ حَتَّى يُمْسِيَ وَلَمْ يَأْتِ أَحَدٌ أَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلاَّ أَحَدٌ عَمِلَ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ وَمَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ فِي يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ خَطَايَاهُ وَلَوْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন কদীর।” অর্থাৎ- ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই; তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই; তাঁরই রাজত্ব, তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা; তিনিই সব বিষয়ের উপর শক্তিধর’- যে লোক এ দু‘আ প্রতিদিনে একশ’ বার পাঠ করে সে দশজন গোলামমুক্ত করার পুণ্য অর্জন হয়, তার (‘আমালনামায়) একশ’ নেকী লেখা হয় এবং তার হতে একশ’ পাপ মিটিয়ে দেয়া হয়। আর তা ঐ দিন বিকাল পর্যন্ত শাইতান (তার কুমন্ত্রণা) হতে তার জন্যে রক্ষাকারী হয়ে যায়। সেদিন সে যা পুণ্য অর্জন করেছে তার চেয়ে বেশি পুণ্যবান কেউ হবে না। তবে কেউ তার চাইতে বেশি ‘আমাল করলে তার কথা আলাদা। আর যে লোক দিনে একশ’ বার “সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হাম্দিহী”। অর্থাৎ- ‘আমি আল্লাহর সপ্রশংসা সহ তার পরিবত্রতা বর্ণনা করছি’ পাঠ করবে, তার সমস্ত পাপ মিটিয়ে দেয়া হবে, যদি ও তা সমুদ্রের ফেনার সম পরিমাণ হয়। (ই.ফা. ৬৫৯৮, ই.সে. ৬৬৫০)

৬৭৩৬
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ وَحِينَ يُمْسِي سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ مِائَةَ مَرَّةٍ ‏.‏ لَمْ يَأْتِ أَحَدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلاَّ أَحَدٌ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ أَوْ زَادَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সকালে ও সন্ধ্যায় ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহী’, অর্থাৎ- ‘আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তাঁরই’ একশ’ বার পড়ে আখিরাতের দিবসে তার তুলনায় উত্তম ‘আমাল নিয়ে কেউ আসবে না। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে লোক তার সমান ‘আমাল করে অথবা তার তুলনায় বেশি ‘আমাল করে। (ই.ফা. ৬৫৯৯, ই.সে. ৬৬৫১)

৬৭৩৭
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ أَبُو أَيُّوبَ الْغَيْلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، – يَعْنِي الْعَقَدِيَّ – حَدَّثَنَا عُمَرُ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ – عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ ‏ “‏ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ عَشْرَ مِرَارٍ كَانَ كَمَنْ أَعْتَقَ أَرْبَعَةَ أَنْفُسٍ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ ‏”‏

‘আমর ইবনু মাইমূন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি দশবার “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন কদীর।” অর্থাৎ- ‘আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, তিনি-ই সব বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ শক্তিধর’ পাঠ করবে সে যেন ইসমা‘ঈল (‘আঃ)-এর বংশের চারজন গোলামকে মুক্তি করে দিলেন। (ই.ফা. ৬৬০০, ই.সে. ৬৬৫২)

৬৭৩৮
وَقَالَ سُلَيْمَانُ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ حَدَّثَنَا عُمَرُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي السَّفَرِ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ رَبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ ‏.‏ بِمِثْلِ ذَلِكَ قَالَ فَقُلْتُ لِلرَّبِيعِ مِمَّنْ سَمِعْتَهُ قَالَ مِنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ – قَالَ – فَأَتَيْتُ عَمْرَو بْنَ مَيْمُونٍ فَقُلْتُ مِمَّنْ سَمِعْتَهُ قَالَ مِنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى – قَالَ – فَأَتَيْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى فَقُلْتُ مِمَّنْ سَمِعْتَهُ قَالَ مِنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ يُحَدِّثُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

সুলাইমান (রহঃ) রাবী‘ ইবনু খুসায়ম (রহঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাবী’কে প্রশ্ন করলাম, আপনি কার কাছ হতে তা শুনেছেন? তিনি বললেন, ‘আম্‌র ইবনু মাইমূন (রহঃ) হতে। তিনি বলেন, তখন আমি ‘আম্‌র ইবনু মাইমূন (রহঃ)-এর নিকট গেলাম এবং বললাম, আপনি কার কাছ হতে শুনেছেন? তিনি বলেন, (শা‘বী বলেন) অতঃপর আমি ইবনু লাইলার কাছে গিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কার থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) হতে, তিনি প্রত্যক্ষভাবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৬০০, ই.সে. ৬৬৫৩)

৬৭৩৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ الْبَجَلِيُّ قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু‘টি কালিমাহ্ জিহ্বার উপর (উচ্চারণে) খুবই হাল্কা, মীযানের পাল্লায় খুবই ভারী, রহ্মান (পরম দয়ালু আল্লাহ)-এর নিকট অত্যন্ত প্রিয়। তা হলো “সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহী সুবহা-নাল্ল-হিল ‘আযীম”, অর্থাৎ- ‘আমি আল্লাহ তা‘আলার সমস্ত প্রশংসা, পরিবত্রতা জ্ঞাপন করছি, আমি মহান আল্লাহর পবিত্রতা জ্ঞপন করছি, আমি মহান আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি। (ই.ফা. ৬৬০১, ই.সে. ৬৬৫৪)

৬৭৪০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لأَنْ أَقُولَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি বলি- “সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার”। অর্থাৎ- “আল্লাহর পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ভিন্ন কোন মা‘বূদ নেই, আল্লাহ মহান” পড়া আমার নিকট বেশি প্রিয়- সে সব বিষয়ের চেয়ে, যার উপর সূর্য উদিত হয়। (ই.ফা. ৬৬০২, ই.সে. ৬৬৫৫)

৬৭৪১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ عَنْ مُوسَى الْجُهَنِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُوسَى الْجُهَنِيُّ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عَلِّمْنِي كَلاَمًا أَقُولُهُ قَالَ ‏”‏ قُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَهَؤُلاَءِ لِرَبِّي فَمَا لِي قَالَ ‏”‏ قُلِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُوسَى أَمَّا عَافِنِي فَأَنَا أَتَوَهَّمُ وَمَا أَدْرِي ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فِي حَدِيثِهِ قَوْلَ مُوسَى ‏.‏

মুস‘আব ইবনু সা‘দ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জনৈক গ্রাম্য লোক এসে বলল, আমাকে একটি কালাম শিক্ষা দিন, যা আমি নিয়মিত পাঠ করব। তিনি বললেন, তুমি বলো- “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু আল্ল-হু আকবার কাবীরা ওয়াল হামদু লিল্লা-হি কাসীরা সুবহানাল্ল-হি রাব্বিল ‘আ-লামীনা লা- হাওলা ওয়ালা- কুও্ওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আযীযিল হাকীম”। অর্থাৎ- “আল্লাহ ভিন্ন কোন মা‘বূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই, আল্লাহ মহান, সবচেয়ে মহান, আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা এবং আমি আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীনের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। পরাক্রমশালী বিজ্ঞানময় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ভাল কাজ করার এবং খারাপ কাজ হতে বিরত থাকার সাধ্য কারো নেই।” সে বলল, এসব তো আমার রবের জন্য। আমার জন্যে কি? তিনি বললেন, বলো, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে দিন এবং আমাকে জীবিকা দান করুন।

মূসা (রহঃ) বলেন, (আমার মনে হয়) তিনি (আরবী) (‘আ-ফিনী) “আমাকে মাফ করুন” কথাটি বলেছেন। তবে আমি তাতে সংশয় আছি এবং আমি জানি না। আর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) তার হাদীসে মূসার উক্তি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৬৬০৩, ই.সে. ৬৬৫৬)

৬৭৪২
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُ مَنْ أَسْلَمَ يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ মালিক আল আশজা‘ঈ (রহঃ) তাঁর পিতার সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন লোক ইসলাম কবূল করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এ দু‘আ বলতে শিখিয়ে দিতেন, “আল্ল-হুম্মাগ্ ফিরলী ওয়ার্হাম্নী ওয়াহ্দিনী ওয়ার্যুক্নী”। অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথপ্রদর্শন করুন এবং আমাকে জীবিকা দান করুন। (ই.ফা. ৬৬০৪, ই.সে. ৬৬৫৭)

৬৭৪৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَزْهَرَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَسْلَمَ عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ ‏ “‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ মালিক আল আশজা‘ঈ-এর পিতার সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন কোন ব্যক্তি ইসলামে দীক্ষা গ্রহণ করত তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রথমে সলাত আদায়ের শিক্ষা দিতেন। তারপর তিনি তাকে এ কালিমাসমূহ পাঠ করার নির্দেশ দিতেন, “আল্ল-হুম্মাগ্ ফির্লী ওয়ার্হাম্নী ওয়াহ্দিনী ওয়া‘আ-ফিনী ওয়ার্যুক্নী।” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন এবং আমার জীবিকা উপকরণ দান করুন।” (ই.ফা. ৬৬০৫, ই.সে. ৬৬৫৮)

৬৭৪৪
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَقُولُ حِينَ أَسْأَلُ رَبِّي قَالَ ‏”‏ قُلِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي ‏”‏ ‏.‏ وَيَجْمَعُ أَصَابِعَهُ إِلاَّ الإِبْهَامَ ‏”‏ فَإِنَّ هَؤُلاَءِ تَجْمَعُ لَكَ دُنْيَاكَ وَآخِرَتَكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মালিক (রাঃ)-এর পিতা সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছেন যে, তাঁর নিকট এক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি যখন আমার প্রতিপালকের নিকট দু‘আ করব তখন কিভাবে তা প্রকাশ করব? তিনি বললেন, তুমি বলো, “আল্ল-হুম্মাগ্ ফির্লী ওয়ার্হাম্নী ওয়া‘আ-ফিনী ওয়ার্যুক্নী।” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে মাফ করে দিন এবং আমাকে জীবিকা দান করুন।” আর তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি ছাড়া সব আঙ্গুল একত্র করে বললেন, এ শব্দগুলো তোমাকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয়টাকে একসাথে করে দিবে। (ই.ফা. ৬৬০৬, ই.সে. ৬৬৫৯)

৬৭৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، وَعَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ مُوسَى الْجُهَنِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُوسَى الْجُهَنِيُّ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكْسِبَ كُلَّ يَوْمٍ أَلْفَ حَسَنَةٍ ‏”‏ ‏.‏ فَسَأَلَهُ سَائِلٌ مِنْ جُلَسَائِهِ كَيْفَ يَكْسِبُ أَحَدُنَا أَلْفَ حَسَنَةٍ قَالَ ‏”‏ يُسَبِّحُ مِائَةَ تَسْبِيحَةٍ فَيُكْتَبُ لَهُ أَلْفُ حَسَنَةٍ أَوْ يُحَطُّ عَنْهُ أَلْفُ خَطِيئَةٍ ‏”‏ ‏.‏

মুস‘আব ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা (সা‘দ) আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন যে, তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে (বসা) ছিলাম। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার পুণ্য হাসিল করতে অপারগ হয়ে যাবে? তখন সেখানে বসে থাকদের মধ্য থেকে এক প্রশ্নকারী প্রশ্ন করল, আমাদের কেউ কিবাবে এক হাজার পুণ্য হাসিল করবে, তিনি বললেন, সে একশ’ তাসবীহ্ (সুবহানাল্ল-হ) পাঠ করলে তার জন্য এক হাজার পুণ্য লিখিত হবে এবং তার (‘আমালনামা হতে এক হাজার পাপ মুছে দেয়া হবে। (ই.ফা. ৬৬০৭, ই.সে. ৬৬৬০)

১১. অধ্যায়ঃ
কুরআন পাঠ ও যিক্‌রের জন্য একত্রিত হওয়ার মর্যাদা

৬৭৪৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ وَمَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ وَمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلاَّ نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ وَمَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক কোন ঈমানদারের দুনিয়া থেকে কোন মুসীবাত দূর করে দিবে, আল্লাহ তা‘আলা বিচার দিবসে তার থেকে মুসীবাত সরিয়ে দিবেন। যে লোক কোন দুঃস্থ লোকের অভাব দূর করবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াও আখিরাতে তার দুরবস্থা দূর করবেন। যে লোক কোন মুসলিমের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাই-এর সহযোগিতায় আত্মনিয়োগ করে আল্লাহ ততক্ষণ তার সহযোগিতা করতে থাকেন। যে লোক জ্ঞানার্জনের জন্য রাস্তায় বের হয়, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। যখন কোন সম্প্রদায় আল্লাহর গৃহসমূহের কোন একটি গৃহে একত্রিত হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং একে অপরের সাথে মিলে (কুরআন) অধ্যয়নে লিপ্ত থাকে তখন তাদের উপর শন্তিধারা অবতীর্ণ হয়। রহ্মাত তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে এবং ফেরেশ্তাগণ তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখেন। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিকটবর্তীদের (ফেরেশ্তাগণের) মধ্যে তাদের কথা আলোচনা করেন। আর যে লোককে ‘আমালে পিছনে সরিয়ে দিবে তার বংশ (মর্যাদা) তাকে অগ্রসর করে দিবে না। [৭] (ই.ফা. ৬৬০৮, ই.সে. ৬৬৬১)






[৭] যে ব্যক্তিকে তার ‘আমালে দূর সরিয়ে রাখে। তাকে তার সমৃদ্ধ বংশ মর্যাদা এগেয়ে নিতে পারবে না। সুতরাং যার ‘আমাল কম সে কখনো অধিক সৎকর্মশীল লোকের মর্যাদায় উন্নীত হতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তার উচিত হবে যে, স্বল্প ‘আমাল, বাপ-দাদাদের কৃতিত্ব ও বংশমর্যাদার উপর ভরসা না করে সর্বদা নেক ‘আমালে জড়িয়ে থাকা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৬৭৪৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَاهُ نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، وَفِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ أَبِي أُسَامَةَ لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ التَّيْسِيرِ عَلَى الْمُعْسِرِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ….. আবূ মু‘আবিয়াহ্ (রহঃ)-এর হাদীসের অবিকল। তবে আবূ উসামার হাদীসে “দুঃস্থ লোকের অভাব লাঘব করার” বর্ণনা নেই। (ই.ফা. ৬৬০৯, ই.সে. ৬৬৬২)

৬৭৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، أَنَّهُ قَالَ أَشْهَدُ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ لاَ يَقْعُدُ قَوْمٌ يَذْكُرُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ حَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَنَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ ‏”‏ ‏.‏

আগার আবূ মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আবূ হুরায়রা্ ও আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) তারা উভয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন জাতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলার যিকির করতে বসলে একদল ফেরেশ্তা তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং রহ্মাত তাদেরকে ঢেকে নেয়। আর তাদের উপর শান্তি নাযিল হয় এবং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিকটস্থ ফেরেশ্তাগণের মধ্যে তাদের আলোচনা করেন। (ই.ফা. ৬৬১০, ই.সে. ৬৬৬৩)

৬৭৪৯
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

শু‘বাহ্ (রাঃ) হতে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৬১০, ই.সে. ৬৬৬৪)

৬৭৫০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي نَعَامَةَ السَّعْدِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ عَلَى حَلْقَةٍ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ مَا أَجْلَسَكُمْ قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ ‏.‏ قَالَ آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ قَالُوا وَاللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ ‏.‏ قَالَ أَمَا إِنِّي لَمْ أَسْتَحْلِفْكُمْ تُهْمَةً لَكُمْ وَمَا كَانَ أَحَدٌ بِمَنْزِلَتِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقَلَّ عَنْهُ حَدِيثًا مِنِّي وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَى حَلْقَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ ‏”‏ مَا أَجْلَسَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ وَنَحْمَدُهُ عَلَى مَا هَدَانَا لِلإِسْلاَمِ وَمَنَّ بِهِ عَلَيْنَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَاللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَمَا إِنِّي لَمْ أَسْتَحْلِفْكُمْ تُهْمَةً لَكُمْ وَلَكِنَّهُ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُبَاهِي بِكُمُ الْمَلاَئِكَةَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা‘ঈদ আল খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) মাসজিদে একটি ‘হাল্কা’র উদ্দেশে বের হলেন। অতঃপর তিনি বললেন, কিসে তোমাদেরকে এখানে বসিয়েছে (তোমরা এখানে বসেছ কেন)? তারা বলল, আমরা আল্লাহর যিকির করতে বসেছি। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! এছাড়া আর কোন বিষয় তোমাদেরকে বসায়নি? (তোমরা কি শুধু এ জন্যই বসেছ?) তারা বলল, আল্লাহর শপথ! এছাড়া অন্য কোন বিষয় আমাদেরকে বসায়নি। তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে অপবাদ দেয়ার উদ্দেশে শপথ প্রার্থনা করিনি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দৃষ্টিতে আমার যে সম্মান ছিল সে অনুযায়ী আমার চেয়ে কম হাদীস বর্ণনাকারী কেউ নেই। একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহাবাদের একটি ‘হালকা’র নিকটে গিয়ে বললেন, কিসে তোমাদের বসিয়েছে? তারা বলল, আমরা বসেছি আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। যেহেতু তিনি আমাদেরকে ইসলামের দিকে পথ দেখিয়েছেন এবং আমাদের উপর তিনি ইহসান করেছেন। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমাদেরকে কি শুধু এ বিষয়েই বসিয়েছে?

তারা বলল, আল্লাহর শপথ! আমাদেরকে একমাত্র ঐ বিষয় বসিয়েছে। তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে অপবাদ দেয়ার জন্যে শপথ করতে বলিনি; বরং আমার নিকট জিব্রীল (‘আঃ) এসে আমাকে অবহিত করেছেন যে, আল্লাহ সুবাহাহু ওয়াতা‘আলা ফেরেশ্তাগণের নিকট তোমাদের মর্যাদা সম্পর্কে আলোচনা করছেন। (ই.ফা. ৬৬১১, ই.সে. ৬৬৬৫)

১২. অধ্যায়ঃ
বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগ্‌ফার করা মুস্তাহাব

৬৭৫১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنِ الأَغَرِّ الْمُزَنِيِّ، – وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّهُ لَيُغَانُ عَلَى قَلْبِي وَإِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ ‏”‏ ‏.‏

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী আগার আল মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার অন্তরে কখনো কখনো অলসতা দেখা দেয়, তাই আমি দৈনিক একশ’ বার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি। (ই.ফা. ৬৬১২, ই.সে. ৬৬৬৬)

৬৭৫২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي، بُرْدَةَ قَالَ سَمِعْتُ الأَغَرَّ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُحَدِّثُ ابْنَ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّي أَتُوبُ فِي الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবা আগার (রাঃ) হতে শুনেছি, তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ্ করো। কেননা আমি আল্লাহর নিকট প্রতিদিন একশ’ বার তাওবাহ্ করে থাকি। (ই.ফা. ৬৬১৩, ই.সে. ৬৬৬৭)

৬৭৫৩
حَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

শু‘বাহ্ (রহঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৬১৪, ই.সে. ৬৬৬৮)

৬৭৫৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ – كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ تَابَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় হওয়ার আগে তাওবাহ্ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবাহ্ কবূল করবেন। [৮] (ই.ফা. ৬৬১৫, ই.সে. ৬৬৬৯)






[৮] কিয়ামাতের প্রাক্কালে সূর্য পশ্চিমাকাশে উদিত হবে। পশ্চিম দিকে সূর্যোদয় হওয়ার পরে আর কারো তাওবাহ্ আল্লাহ তাআলা কবূল করবেন না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৩. অধ্যায়ঃ
যিক্‌র নিম্নস্বরে করা মুস্তাহাব

৬৭৫৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَجْهَرُونَ بِالتَّكْبِيرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَيُّهَا النَّاسُ ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِنَّكُمْ لَيْسَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا إِنَّكُمْ تَدْعُونَ سَمِيعًا قَرِيبًا وَهُوَ مَعَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَأَنَا خَلْفَهُ وَأَنَا أَقُولُ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ فَقَالَ ‏”‏ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى كَنْزٍ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ قُلْ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তখন মানুষেরা উচ্চৈঃস্বরে তাক্বীর পাঠ করতেছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে মানবজাতি! তোমরা জীবনের উপর সদয় হও। কেননা তোমরা তো কোন বধির অথবা অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছো না। নিশ্চয়ই তোমরা ডাকছো সর্বশ্রোতা, নিকটবর্তী সত্তাকে যিনি তোমাদের সাথেই আছেন। আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, আমি তাঁর পিছে ছিলাম। তখন আমি বলছিলাম, আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কোন ভাল কাজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং মন্দ কর্ম থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য নেই। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স! আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের মধ্যে কোন একটি গুপ্তধনের কথা জানিয়ে দিব? আমি বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রসূল! অতঃপর তিনি বললেন, তুমি বলো, (আরবী) “লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ”, অর্থাৎ- ‘আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো (ভাল কর্মের দিকে) এগিয়ে যাওয়া এবং (খারাপ কর্ম থেকে) ফিরে আসার সামর্থ্য নেই’। (ই.ফা. ৬৬১৬, ই.সে. ৬৬৭০)

৬৭৫৬
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ جَمِيعًا عَنْ حَفْصِ بْنِ، غِيَاثٍ عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

‘আসিম (রহঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে তার হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৬১৭, ই.সে. ৬৬৭১)

৬৭৫৭
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ يَصْعَدُونَ فِي ثَنِيَّةٍ – قَالَ – فَجَعَلَ رَجُلٌ كُلَّمَا عَلاَ ثَنِيَّةً نَادَى لاَ إِلَهَ إِلاَ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ – قَالَ – فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّكُمْ لاَ تُنَادُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ‏”‏ يَا أَبَا مُوسَى – أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ – أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى كَلِمَةٍ مِنْ كَنْزِ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ مَا هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা (সহাবাগণ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলেন এবং তারা একটি উঁচু টিলায় আরোহণ করতিছিলেন। তিনি বলেন, লোক যখনই কোন টিলার উপরে উঠত তখন উচ্চকণ্ঠে “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার” (আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ্ নেই এবং আল্লাহ মহান) বলত। তিনি (রাবী) বলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তো অবশ্যই কোন বধির কিংবা অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছো না। তিনি বলেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ মূসা অথবা হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স! আমি কি তোমাকে এমন এক কালিমাহ্ সম্পর্কে জানিয়ে দিব না যা জান্নাতের গুপ্তধন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তা কি? তিনি বললেন, “লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ” অর্থাৎ- আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো ভাল কর্ম করার এবং খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকার সামর্থ্য নেই। (ই.ফা. ৬৬১৮, ই.সে. ৬৬৭২)

৬৭৫৮
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আগমন করলেন। এরপর তিনি তার হুবহু হাদীস উল্লেখ করেন। (ই.ফা. ৬৬১৭, ই.সে. ৬৬৭১)

৬৭৫৯
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي، عُثْمَانَ عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ عَاصِمٍ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক যুদ্ধে আমরা রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তারপর তিনি ‘আসিম-এর হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৬৬২০, ই.সে. ৬৬৭৪)

৬৭৬০
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزَاةٍ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَقَالَ فِيهِ ‏ “‏ وَالَّذِي تَدْعُونَهُ أَقْرَبُ إِلَى أَحَدِكُمْ مِنْ عُنُقِ رَاحِلَةِ أَحَدِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِ ذِكْرُ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কোন এক যুদ্ধাভিযানে ছিলাম। তারপর তিনি সম্পূর্ন হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি তার বর্ণনায় বলেছেন, “ঐ সত্তার শপথ, তোমরা যাকে ডাকছো তিনি তোমাদের উটের গর্দানের চেয়েও অতি নিকটবর্তী।” তবে তার হাদীসে “লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ” কথাটির উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৬৬২১, ই.সে. ৬৬৭৫)

৬৭৬১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، – وَهُوَ ابْنُ غِيَاثٍ – حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى كَلِمَةٍ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ – أَوْ قَالَ – عَلَى كَنْزٍ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ بَلَى ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আল আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে এমন একটি কালিমাহ্ সম্পর্কে জানিয়ে দিব না যা জান্নাতের গুপ্তধন? কিংবা তিনি বলেছেন, জান্নাতের গুপ্ত ধনসমূহের মধ্য হতে একটি গুপ্তধনের কথা কি বলব না? তখন আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি বললেন, “লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ” অর্থাৎ- (আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো ভাল কর্ম করার এবং খারাপ কর্ম থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য নেই)। (ই.ফা. ৬৬২২, ই.সে. ৬৬৭৬)

৬৭৬২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاَتِي قَالَ ‏ “‏ قُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَبِيرًا – وَقَالَ قُتَيْبَةُ كَثِيرًا – وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বললেন, আপনি আমাকে এমন একটি দু‘আ শিখিয়ে দিন, যা দ্বারা আমি আমার সলাতে দু‘আ করব। তিনি বললেন, তুমি বলো, ‘‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী যলাম্তু নাফ্সী যুলমান কাবীরা” অর্থাৎ- ‘হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর বড় যুল্ম করেছি।’

কুতাইবাহ্ (রাঃ) বলেন, “কাসীরা, ওয়ালা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আন্তা ফাগফির্লী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফূরুর রহীম” অর্থাৎ- ‘অনেক। আপনি ছাড়া কেউ পাপরাশি মার্জনা করতে পারে না। সুতরাং আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে মাফ করুন এবং আমার উপর দয়া করুন। অবশ্যই আপনি একমাত্র ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (ই.ফা. ৬৬২৩, ই.সে. ৬৬৭৭)

৬৭৬৩
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي رَجُلٌ، سَمَّاهُ وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ يَزِيدَ بْنَ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، يَقُولُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِّمْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاَتِي وَفِي بَيْتِي ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ ظُلْمًا كَثِيرًا ‏”‏ ‏.‏

আবুল খায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি আমাকে এমন একটি দু‘আ শিখিয়ে দিন যার সাহায্যে আমি আমার সলাতে ও গৃহে নিয়মিত দু‘আ পড়তে পারি। তারপর তিনি লায়স-এর হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া হাদীসে রয়েছে যে, তিনি (আরবী) বলেছেন। (ই.ফা. ৬৬২৩, ই.সে. ৬৬৭৮)

১৪. অধ্যায়ঃ
(আল্লাহর কাছে) ফিত্‌নাহ্‌ ইত্যাদির অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা

৬৭৬৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو بِهَؤُلاَءِ الدَّعَوَاتِ ‏ “‏ اللَّهُمَّ فَإِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اللَّهُمَّ فَإِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু‘আসমূহ পাঠের মাধ্যমে দু‘আ করতেন, “আল্ল-হুম্মা ফাইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন্ ফিতনাতিন্ না-রি ওয়া ‘আযা-বিন্ না-রি ওয়া ফিতনাতিল কব্রি ওয়া ‘আযা-বিল্ কব্রি ওয়ামিন্ শার্রি ফিতনাতিল গিনা ওয়ামিন্ শার্রি ফিতনাতিল ফাক্রি ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন্ শার্রি ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল, আল্ল-হুম্মাগ্সিল খতা- ইয়া-ইয়া বিমা-য়িস্ সাল্জি ওয়াল বারাদ, ওয়ানাক্কি কল্বী মিনাল খতা-ইয়া- কামা- নাক্কাইতাস্ সাওবাল্ আব্ইয়াযা মিনাদ্ দানাস ওয়া বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খতা-ইয়া-ইয়া কামা- বা-‘আদ্তা বাইনাল মাশ্রিকি ওয়াল মাগ্রিব, আল্ল-হুম্মা ফা-ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়াল মা’সামি ওয়াল মাগ্রাম।” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট জাহান্নামের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই, জাহান্নামের শাস্তি হতে আশ্রয় চাই, কবরের ফিতনাহ্, কবর শাস্তি ও ধন-সম্পদের ফিতনাহ্ এবং অসচ্ছলতার ফিতনার খারাবী হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। আমি আপনার নিকট মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার বিভ্রান্তির অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ! আমার গুনাহ্সমূহ বরফ ও কুয়াশার স্নিগ্ধ-শীতল পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিন। আমার অন্তর পবিত্র করে দিন যেভাবে আপনি সাদা কাপড় ময়লা হতে পরিষ্কার করে দেন। আমি ও আমার গুনাহসমূহের মাঝে দুরত্ব করে দিন যেমন আপনি পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে দুরত্ব সৃষ্টি করেছেন। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অলসতা, বার্ধক্য, গুনাহ ও ধার-কর্জ হতে আশ্রয় চাই।” (ই.ফা. ৬৬২৪, ই.সে. ৬৬৭৯)

৬৭৬৫
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

হিশাম (রহঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণিত। (ই.ফা. ৬৬২৫, ই.সে. ৬৬৮০)

১৫. অধ্যায়ঃ
অক্ষমতা, অলসতা ইত্যাদি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা

৬৭৬৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ وَأَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ، بْنُ مَالِكٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْهَرَمِ وَالْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল ‘আজ্যি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুব্নি ওয়াল হারামি ওয়াল বুখ্লি ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল কব্রি ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া- ওয়াল মামা-ত”। অর্থাৎ- “হেআল্লাহ! আমি আপনার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, বার্ধক্য, বখিলতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আপনার নিকট আরও আশ্রয় চাচ্ছি কবরের শাস্তি, জীবন ও মরণের ফিতনার খারাবী থেকে।” (ই.ফা. ৬৬২৬, ই.সে. ৬৬৮১)

৬৭৬৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّ يَزِيدَ لَيْسَ فِي حَدِيثِهِ قَوْلُهُ ‏ “‏ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তার অবিকল হাদীস বর্ণিত। তবে ইয়াযীদ বর্ণিত হাদীসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী ‘জীবন ও মরণের ফিতনার খারাবী হতে’ কথাটি উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৬৬২৭, ই.সে. নেই)

৬৭৬৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَخْبَرَنَا ابْنُ مُبَارَكٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ تَعَوَّذَ مِنْ أَشْيَاءَ ذَكَرَهَا وَالْبُخْلِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আশ্রয় চেয়েছেন বর্ণিত বিষয়সমূহ থেকে এবং বখিলতা হতে। (ই.ফা. ৬৬২৮, ই.সে. ৬৬৮২)

৬৭৬৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا هَارُونُ الأَعْوَرُ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو بِهَؤُلاَءِ الدَّعَوَاتِ ‏ “‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْكَسَلِ وَأَرْذَلِ الْعُمُرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَفِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু‘আসমূহ পাঠ করতেনঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল বুখ্লি ওয়াল কাসালি ওয়া আর্যালিল ‘উমুরি ওয়া ‘আযা-বিল কব্রি ওয়া ফিতনাতিল মাহ্ইয়া- ওয়াল মামা-ত”। অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে বখিলতা, অলসতা, নিকৃষ্ট জীবন-যাপন, কবরের শাস্তি এবং জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।” (ই.ফা. ৬৬২৯, ই.সে. ৬৬৮৩)

১৬. অধ্যায়ঃ
খারাপ সিদ্ধান্ত, (মুসীবাতে) দুঃখ পাওয়া ইত্যাদি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা

৬৭৭০
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنِي سُمَىٌّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَعَوَّذُ مِنْ سُوءِ الْقَضَاءِ وَمِنْ دَرَكِ الشَّقَاءِ وَمِنْ شَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ وَمِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ ‏.‏ قَالَ عَمْرٌو فِي حَدِيثِهِ قَالَ سُفْيَانُ أَشُكُّ أَنِّي زِدْتُ وَاحِدَةً مِنْهَا ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন অদৃষ্টের অনিষ্ট থেকে, দুঃখ পাওয়া থেকে, শত্রুদের আনন্দ থেকে এবং বালা-মুসীবাতের কষ্ট থেকে।

‘আম্‌র তাঁর হাদীসে বলেছেন যে, সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেছেন, আমি সন্দেহ করছি, এর মধ্যে একটি বাড়িয়ে বলেছি। (ই.ফা. ৬৬৩০, ই.সে. ৬৬৮৪)

৬৭৭১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، وَاللَّفْظُ، لَهُ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَعْقُوبَ، أَنَّ يَعْقُوبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ بُسْرَ بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ خَوْلَةَ بِنْتَ حَكِيمٍ السُّلَمِيَّةَ، تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ نَزَلَ مَنْزِلاً ثُمَّ قَالَ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ‏.‏ لَمْ يَضُرُّهُ شَىْءٌ حَتَّى يَرْتَحِلَ مِنْ مَنْزِلِهِ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

খাওলা বিনতু হাকীম আস্ সুলামিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ যে লোক কোন ঘাঁটিতে নেমে এ দু‘আ পড়ে, “আ‘ঊযু বিকালিমাতিল্ লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ শার্রি মা- খলাক্”। অর্থাৎ- “আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালাম দিয়ে তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির খারাবী হতে আশ্রয় চাই।” সে ঐ ঘাঁটি হতে অন্য ঘাঁটিতে রওনা না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোন কিছুই কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। (ই.ফা. ৬৬৩১, ই.সে. ৬৬৮৫)

৬৭৭২
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَأَبُو الطَّاهِرِ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، – وَاللَّفْظُ لِهَارُونَ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنَا عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – أَنَّ يَزِيدَ بْنَ أَبِي، حَبِيبٍ وَالْحَارِثَ بْنَ يَعْقُوبَ حَدَّثَاهُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ حَكِيمٍ السُّلَمِيَّةِ، أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ إِذَا نَزَلَ أَحَدُكُمْ مَنْزِلاً فَلْيَقُلْ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ‏.‏ فَإِنَّهُ لاَ يَضُرُّهُ شَىْءٌ حَتَّى يَرْتَحِلَ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

খাওলাহ্ বিনতু হাকীম আস্ সুলামিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন কোন ঘাঁটিতে নামেন তখন সে যেন এ দু‘আ পড়ে- “আ‘ঊযু বিকালিমাতিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ শার্রি মা- খলাক্”। অর্থাৎ- ‘আমি পূর্ণাঙ্গ কালিমাহ্ দ্বারা আল্লাহর নিকট তাঁর সৃষ্টির খারাবী থেকে পানাহ চাই’। এতে সে লোক এ ঘাঁটি হতে অন্যত্র রওনা হওযা পর্যন্ত কোন কিছু তাকে ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। (ই.ফা. ৬৬৩২, ই.সে. ৬৬৮৬)

৬৭৭৩
قَالَ يَعْقُوبُ وَقَالَ الْقَعْقَاعُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ ذَكْوَانَ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَقِيتُ مِنْ عَقْرَبٍ لَدَغَتْنِي الْبَارِحَةَ قَالَ ‏”‏ أَمَا لَوْ قُلْتَ حِينَ أَمْسَيْتَ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ تَضُرُّكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! গত রাতে একটি বিচ্ছু আমাকে দংশন করার কারণে আমি বড় কষ্ট পেয়েছি। তিনি বললেন, যদি তুমি সন্ধ্যায় এ দু‘আটি পড়তে “আ‘ঊযু বিকালিমাতিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ শার্রি মা-খলাক্” অর্থাৎ- ‘আমি পূর্ণাঙ্গ কালিমাহ্ দ্বারা আল্লাহর নিকট তাঁর সৃষ্টির খারাবী থেকে পানাহ চাই’। তাহলে সে তোমাকে ক্ষতি করতে পারত না। (ই.ফা. ৬৬৩২, ই.সে. ৬৬৮৬)
৬৭৭৪
وَحَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ يَعْقُوبَ، أَنَّهُ ذَكَرَ لَهُ أَنَّ أَبَا صَالِحٍ، مَوْلَى غَطَفَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَدَغَتْنِي عَقْرَبٌ ‏‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(তিনি বলেন,) এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে একটি বিচ্ছু দংশন করেছে। এরপর ইবনু ওয়াহ্ব-এর হাদীসের অবিকল। (ই.ফা. ৬৬৩৩, ই.সে. ৬৬৮৭)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]