সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা ঈমান অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১০৬ – ১২৫

২৪. অধ্যায়ঃ
গুনাহ দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হয় এবং গুনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঈমান থাকে না অর্থাৎ ঈমানের পূর্ণতা থাকে না

১০৬
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيُّ، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولاَنِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ ‏”‏ ‏.

‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ يُحَدِّثُهُمْ هَؤُلاَءِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ثُمَّ يَقُولُ وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُلْحِقُ مَعَهُنَّ ‏”‏ وَلاَ يَنْتَهِبُ نُهْبَةً ذَاتَ شَرَفٍ يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত থাকাবস্থায় মু’মিন থাকে না, চুরি করার সময় চোরও ঈমানদার থাকে না, মদ্যপায়ীও মদ্যপান করার সময় মু’মিন থাকে না। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) অন্য সূত্রে এর সাথে এটাও বলেছেন, প্রকাশ্য দিবালোকে মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাইকারী যখন ছিনতাই করতে থাকে তখন সে মু’মিন থাকে না। [৩৬] (ই.ফা. ১০৮; ই.সে. ১১০)
[৩৬] ইমাম নাবাবী বলেন, তত্বান্বেষী ‘আলিমগণ উক্ত হাদীস সম্বন্ধে বলেন, উল্লেখিত অপরাধ করার অবস্থায় পূর্ণ ঈমান থাকে না। কতগুলো প্রবাদ আছে- যেমন লোকটির জ্ঞান নেই, তার অর্থ হলো উপকারী জ্ঞান নেই। শান্তি নেই, প্রকৃত শান্তি পরকালে। আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, যে ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ বলবে সে জান্নাতে যাবে যদিও সে যিনা ব্যভিচার ও চুরি করে। আর ‘উবাদাহ বিন সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। সহাবায়ে কিরাম আল্লাহর রসূলের হাতে বাই’আত করেছেন যে, তারা চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না আর অন্য কোন অপরাধ করবে না। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি বাই’আত পূর্ণ করবে তার প্রতিদান আল্লাহ দিবেন। আর যদি অপরাধ করে বসে এবং দুনিয়াতে শাস্তিপ্রাপ্ত হয় তবে তা কাফ্‌ফারাহ্‌ হবে, আর দুনিয়াতে যদি শাস্তি না হয় তাহলে আখিরাতে আল্লাহর ইচ্ছা হলে শাস্তি দিতে পারেন, ক্ষমাও করতে পারেন।
১০৭
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزْنِي الزَّانِي ‏”‏ ‏.‏ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ يَذْكُرُ مَعَ ذِكْرِ النُّهْبَةِ وَلَمْ يَذْكُرْ ذَاتَ شَرَفٍ ‏.‏

قَالَ ابْنُ شِهَابٍ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي بَكْرٍ هَذَا إِلاَّ النُّهْبَةَ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় না ….. বাকী অংশ লুটতরাজের বর্ণনাসহ উপরোক্ত হাদিসের অনূরুপ। তবে এতে মূল্যবান সামগ্রী কথাটির উল্লেখ নেই।

ইবনু শিহাব বলেন, সা’ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব ও আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) ….. আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আবূ বাকরের হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি النُّهْبَةَ ‘ছিনতাইয়ের’ কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১০৯; ই.সে. ১১১)
১০৮
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ وَأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ عُقَيْلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَذَكَرَ النُّهْبَةَ وَلَمْ يَقُلْ ذَاتَ شَرَفٍ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উকায়লের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং ছিনতাইয়ের কথাও বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি ذَاتَ شَرَفٍ ‘মুল্যবান’ কথাটি বলেন নি। (ই.ফা. ১১০; ই.সে. ১১২)

১০৯
وَحَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُطَّلِبِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ وَحُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে সকলেই যুহরীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১১১; ই.সে. ১১৩)

১১০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلُّ هَؤُلاَءِ بِمِثْلِ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ غَيْرَ أَنَّ الْعَلاَءَ وَصَفْوَانَ بْنَ سُلَيْمٍ لَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا ‏”‏ يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ هَمَّامٍ ‏”‏ يَرْفَعُ إِلَيْهِ الْمُؤْمِنُونَ أَعْيُنَهُمْ فِيهَا وَهُوَ حِينَ يَنْتَهِبُهَا مُؤْمِنٌ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ ‏”‏ وَلاَ يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাযি 
 থেকে বর্ণিতঃ

সকলেই যুহরীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে ‘আলা ও সাফওয়ান ইবনু সুলায়মের বর্ণিত হাদিসে “জনসম্মুখে” … বাক্যটি উল্লেখ নেই। আর হাম্মামের হাদীসে রয়েছে “লুটপাটকারীরা যখন লুটতরাজে ব্যতিব্যস্ত আর মু’মিনরা তার প্রতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করছে, এমতাবস্থায় সে মু’মিন থাকে না” কথাটির উল্লেখ রয়েছে। হাম্মাম তাঁর হাদীসে আরো বলেছেন, খিয়ানাতকারী যখন খিয়ানাত করে, তখন মু’মিন থাকে না। সুতরাং তোমরা সাবধান থেকো তোমরা সাবধান থেকো। (ই.ফা. ১১১; ই.সে. ১১৪)
১১১
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَالتَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ بَعْدُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ব্যভিচারী যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন সে মু’মিন থাকে না। চোর যখন চৌর্য বৃত্তিতে লিপ্ত হয়, তখন সে মু’মিন থাকে না। মদ্যপ ব্যক্তি যখন মদপানে লিপ্ত হয়, তখন সে মু’মিন থাকে না। তবে এরপর আর তাওবার দরজা খোলা থাকে। (ই.ফা. ১১২; ই.সে. ১১৬)
 সরাসরি

১১২
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَفَعَهُ قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزْنِي الزَّانِي ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ شُعْبَةَ ‏.‏

মারফূ’ সানাদে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত ……এরপর শু’বার হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১১৩; ই.সে. ১১৭)

১১৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَلَّةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَلَّةٌ مِنْ نِفَاقٍ حَتَّى يَدَعَهَا إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ ‏”‏ ‏.‏ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ ‏”‏ وَإِنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ ‏”‏ ‏.‏

’আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চারটি (দোষ) যার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে সে খাঁটি মুনাফিক; আর যার মধ্যে এ দোষগুলির একটি বর্তমান রয়েছে তার ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকীর একটি স্বভাব থেকে যায়। (১) যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, (২) সে সন্ধি চুক্তি করলে তা ভঙ্গ করে, (৩) সে ও’য়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৪) সে ঝগড়া করলে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে।

সুফইয়ান-এর হাদীসের মধ্যে রয়েছেঃ “আর যদি কারোর মধ্যে এ দোষগুলোর একটি বিদ্যমান থাকে, তা হলে তার মধ্যে মুনাফিকীর একটি স্বভাব রয়েছে।” [৩৭] (ই.ফা. ১১৪; ই.সে. ১১৮)
[৩৭] হাদীসে উল্লেখিত চারটি স্বভাব যার মধ্যে পাওয়া যাবে বরাবরের জন্য সে খাঁটি মুনাফিক। আর যদি মাঝে মধ্যে হয়ে যায় তাহলে সে খাঁটি মুনাফিক নয়। অন্য বর্ণনায় (আরবী) শব্দের স্থলে অত্র হাদীসে (আরবী) ব্যবহার হয়েছে, শব্দগুলো হলোঃ (আরবী)

‘আলিমগণের একটি দল বলেন, মুনাফিক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যামানায় ছিল, কারন তারা মিথ্যা বলে ঈমান প্রকাশ করতো; প্রকৃতপক্ষে তার উল্টো কাজ করতো।

আরো উল্লেখ করা যেতে পারে, কার্যতভাবে উল্লেখিত স্বভাবগুলো মাঝে মধ্যে পাওয়া গেলে মুনাফিক হবে না। বরং তা বিশ্বাস রেখে বললে মুনাফিক হবে। অধিকাংশ হাদীসে তিনটি দোষের কথা উল্লেখ আছে তবে চারটি দোষ থাকলে সে হাদীসের বিরোধীতা হবে না।

১১৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سُهَيْلٍ، نَافِعُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا ائْتُمِنَ خَانَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটি-(১) যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে; (২) ওয়া‘দা করলে তা ভঙ্গ করে; (৩) এবং তার কাছে আমানাত রাখা হলে সে তা খেয়ানাত করে। (ই.ফা. ১১৫; ই.সে. ১১৯)

১১৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ، مَوْلَى الْحُرَقَةِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مِنْ عَلاَمَاتِ الْمُنَافِقِ ثَلاَثَةٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا ائْتُمِنَ خَانَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটি (১) সে কথা বললে মিথ্যা বলে; (২) ও’য়াদা করলে ভঙ্গ করে; (৩) এবং তার কাছে আমানাত রাখা হলে খিয়ানাত করে। (ই.ফা. ১১৬; ই.সে. ১২০)

১১৬
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ أَبُو زُكَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْعَلاَءَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ‏ “‏ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ ‏”‏ ‏.

ইয়াহইয়া ইবনু মুহাম্মাদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি উপরোক্ত সানাদে ইবনু ‘আবদুর রহমান থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি- যদিও সে সওম পালন করে এবং সলাত আদায় করে এবং মনে করে যে, সে মুসলিম। (ই.ফা. ১১৭; ই.সে. ১২১)  সরাসরি

১১৭
وَحَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ التَّمَّارُ، وَعَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدٍ عَنِ الْعَلاَءِ ذَكَرَ فِيهِ ‏ “‏ وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহইয়া ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত ‘আলা (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে উল্লেখ আছে ….. যদিও সে সওম পালন করে, সলাত আদায় করে এবং মনে করে যে, সে মুসলিম। (ই.ফা. ১১৮, ই.সে ১২২)
২৬. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে ‘হে কাফির!’ বলে সম্বোধন করে তার ঈমানের অবস্থা

১১৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَفَّرَ الرَّجُلُ أَخَاهُ فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি তার ভাইকে ‘কাফির’ বলে আখ্যায়িত করলে সে কুফরী তাদের উভয়ের কোন একজনের উপর অবশ্যই ফিরে আসবে। (ই.ফা. ১১৯; ই.সে. ১২৩)

১১৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَيُّمَا امْرِئٍ قَالَ لأَخِيهِ يَا كَافِرُ ‏.‏ فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا إِنْ كَانَ كَمَا قَالَ وَإِلاَّ رَجَعَتْ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কেউ তার ভাইকে ‘কাফির’ বলে সম্বোধন করলে উভয়ের একজনের উপর তা ফিরে আসবে। যাকে ‘কাফির’ বলা হয়েছে সে কাফির হলো তো হলোই, নতুবা কথাটি বক্তার উপরই ফিরে আসবে। (ই.ফা. ১২০; ই.সে. ১২৪)

২৭. অধ্যায়ঃ
জেনে শুনে নিজের পিতাকে অস্বীকারকারীর ঈমানের অবস্থা

১২০
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَيْسَ مِنْ رَجُلٍ ادَّعَى لِغَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُهُ إِلاَّ كَفَرَ وَمَنِ ادَّعَى مَا لَيْسَ لَهُ فَلَيْسَ مِنَّا وَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنْ دَعَا رَجُلاً بِالْكُفْرِ أَوْ قَالَ عَدُوَّ اللَّهِ ‏.‏ وَلَيْسَ كَذَلِكَ إِلاَّ حَارَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজ পিতার পরিবর্তে অন্য কাউকে পিতা বলে, সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি এমন কিছু দাবী করে যা তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয় এবং সে যেন জাহান্নামে তার আবাসস্থল বানিয়ে নেয়। আর কেউ কাউকে ‘কাফির’ বলে ডাকলে বা ‘আল্লাহর দুশমন’ বলে ডাকল, যদি সে তা না হয় তাহলে এ কুফরী সম্বোধনকারীর প্রতি ফিরে আসবে। (ই.ফা. ১২১; ই.সে. ১২৫)

১২১
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ أَبِيهِ فَهُوَ كُفْرٌ ‏”‏ ‏.‏

ইরাক ইবনু মালিক (রহঃ)-এর সূত্রে আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ হুরায়রাহ কে বলতে শুনেছেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নিজেদের পিতৃপরিচয় থেকে বিমুখ হয়ো না। কেননা যে ব্যক্তি নিজের পিতৃপরিচয় দিতে ঘৃণাবোধ করলো, সে কুফরী করলো। (ই.ফা. ১২২; ই.সে. ১২৬)

১২২
আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমার উভয় কর্ণ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছে যে, ইসলাম গ্রহণের পর যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে মেনে নেয় তার জন্য জান্নাত হারাম। আবূ বাকরাহ বলেন, আমিও রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ কথা শুনেছি। (ই.ফা. ১২৩; ই.সে. ১২৭)

১২৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَعْدٍ، وَأَبِي، بَكْرَةَ كِلاَهُمَا يَقُولُ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ، وَوَعَاهُ، قَلْبِي مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ غَيْرُ أَبِيهِ فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ ‏”‏ ‏.

সা’দ ও আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আমার দুই কান শুনেছে এবং আমার অন্তর স্মরণ রেখেছে যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আপন পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে মেনে নেয় অথচ সে জানে যে, সে তার পিতা নয়, তার জন্য জান্নাত হারাম। (ই.ফা. ১২৪; ই.সে. ১২৮)
 সরাসরি

২৮. অধায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ মুসলিমদের গালি-গালাজ করা গুনাহের কাজ এবং তাদের সাথে মারামারি করা কুফরী

১২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ الرَّيَّانِ، وَعَوْنُ بْنُ سَلاَّمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كُلُّهُمْ عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زُبَيْدٌ فَقُلْتُ لأَبِي وَائِلٍ أَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ يَرْوِيهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ ‏.‏

وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ شُعْبَةَ قَوْلُ زُبَيْدٍ لأَبِي وَائِلٍ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুসলিমকে গালি দেয়া গুনাহের কাজ এবং তার সাথে মারামারি করা কুফরী। রাবী যুবায়দ বলেন, আমি (আমার উসতায) আবূ ওয়ায়িলকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদকে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ রিওয়ায়াত করতে শুনেছেনে? তিনি (আবূ ওয়ায়িল) বললেন, হ্যাঁ।

তবে রাবী শু’বার হাদীসে আবূ ওয়ায়িলের সাথে যুবায়রের উক্ত কথার উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ১২৫; ই.সে. ১২৯)
১২৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১২৬; ই.সে. ১৩০)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]