তিরমিজি জ্ঞান অধ্যায় হাদিস নং ২৬৪৫ – ২৬৮৭

১. অনুচ্ছেদঃ
আল্লাহ তা‘আলা যার কল্যাণ চান তাকে ধর্মের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন

২৬৪৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَمُعَاوِيَةَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে ধর্মের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২২০), বুখারী ও মুসলিম। - -
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২. অনুচ্ছেদঃ
জ্ঞান সন্ধানের ফাযীলাত

২৬৪৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক জ্ঞানের খোঁজে কোন পথে চলবে, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের পথ সহজ করে দিবেন। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২২৫), মুসলিম। - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৪৭
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ الْعَتَكِيُّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ خَرَجَ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَرْجِعَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ فَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি জ্ঞানের খোঁজে বের হলে সে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় আছে বলে গণ্য হবে। -
যঈফ, মিশকাত (২২০), যঈফা (২০৩৭), আর-রাওয (১০৯) - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। কোন কোন রাবী এ হাদিস বর্ণনা করেছেন তবে মারফূরূপে নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

২৬৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَلَّى، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَخْبَرَةَ، عَنْ سَخْبَرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ كَانَ كَفَّارَةً لِمَا مَضَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفُ الإِسْنَادِ ‏.‏ أَبُو دَاوُدَ يُضَعَّفُ وَلاَ نَعْرِفُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَخْبَرَةَ كَبِيِرَ شَيْءٍ وَلاَ لأَبِيهِ وَاسْمُ أَبِي دَاوُدَ نُفَيْعٌ الأَعْمَى تَكَلَّمَ فِيهِ قَتَادَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

সাখবারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি জ্ঞান খোঁজ করে, এটা তার জন্য তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যায়। -
মাওযূ, মিশকাত (২২১), যঈফা (৫০১৭) - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি সনদের দিক হতে যঈফ। আবদুল্লাহ ইবনু সাখবারা ও তার পিতা সাখবারা (রাঃ)-এর হাদিস রিওয়ায়াত প্রসঙ্গে আমাদের বেশী কিছু জানা নেই। রাবী আবূ দাঊদের নাম নুফাই আল-আ’মা কাতাদা এবং অন্যান্যরা তার সমালোচনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

 সরাসরি

৩. অনুচ্ছেদঃ
‘ইল্‌ম (জ্ঞান) গোপন করা

২৬৪৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ قُرَيْشٍ الْيَامِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ عَلِمَهُ ثُمَّ كَتَمَهُ أُلْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক এমন ইলম (জ্ঞান) সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয় যা সে জানে, অতঃপর সে তা গোপন করে, তাকে ক্বিয়ামাতের দিবসে আগুনের লাগাম পরানো হবে। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৬৪) - -
জাবির ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪. অনুচ্ছেদঃ
জ্ঞান অন্বেষণকারীর সাথে সদ্ব্যাবহার করা এবং তাদের সদুপদেশ দেয়া

২৬৫০
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا نَأْتِي أَبَا سَعِيدٍ فَيَقُولُ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّ رِجَالاً يَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرَضِينَ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا أَتَوْكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ كَانَ شُعْبَةُ يُضَعِّفُ أَبَا هَارُونَ الْعَبْدِيَّ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مَا زَالَ ابْنُ عَوْنٍ يَرْوِي عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ حَتَّى مَاتَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو هَارُونَ اسْمُهُ عُمَارَةُ بْنُ جُوَيْنٍ ‏.‏

আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-এর নিকটে (জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে) আসলে তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপদেশকে “মারহাবা, স্বাগতম!” কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (আমার পরে) মানুষ তো তোমাদের অনুসারী হবে। দিকদিগন্ত হতে মানুষ ধর্মের জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে তোমাদের নিকটে আসবে। তারা তোমাদের নিকটে এলে তোমরা তাদের কল্যাণ সাধনের ব্যাপারে (আমার) উপদেশ গ্রহণ কর। -
যঈফ, ইবনু মাযাহ (২৪৯) - -
আবূ ঈসা বলেনঃ আলী ইবনু আবদুল্লাহ বলেছেন যে, ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ বলেছেন, শুবা (রহঃ) আবূ হারূন আবদীকে যঈফ বলতেন, কিন্তু ইবনু আওন আমৃত্যু তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। আবূ হারূনের নাম উমারা ইবনু জুয়াইন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

২৬৫১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَأْتِيكُمْ رِجَالٌ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ يَتَعَلَّمُونَ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ أَبُو سَعِيدٍ إِذَا رَآنَا قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هَارُونَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রাচ্যের দিক হতে বহু লোক জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে তোমাদের নিকটে আসবে। তারা তোমাদের নিকটে এলে তোমরা তাদের কল্যাণ কামনায় (আমার) সদুপদেশ গ্রহণ কর। তিনি (হারূন) বলেন, আবূ সাঈদ (রাঃ) আমাদের দেখলে বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপদেশকে স্বাগতম। -
যঈফ, দেখুন পূর্বের হাদিস। - -
আবূ ঈসা বলেন, আবূ হারূন আবদী-আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদিস ব্যতীত এই প্রসঙ্গে আমাদের কিছু জানা নাই।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৫. অনুচ্ছেদঃ
জ্ঞান উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে

২৬৫২
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَتْرُكْ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَزِيَادِ بْنِ لَبِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ هَذَا ‏.‏

‘আবুদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (শেষ যামানায়) আল্লাহ তা‘আলা মানুষের নিকট হতে একটানে ‘ইল্‌ম উঠিয়ে নিবেন না, বরং আলিমদেরকে উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই ‘ইল্‌ম উঠিয়ে নিবেন। অবশেষে যখন তিনি কোন আলিমই অবশিষ্ট রাখবেন না, তখন মানুষেরা অজ্ঞ জাহিলদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। তারপর বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নিকট প্রশ্ন করা হবে, আর তারা ‘ইল্‌ম ছাড়াই ফাতওয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৫২), বুখারী ও মুসলিম। - -
‘আয়িশাহ্ ও যিয়াদ ইবনু লাবীদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । যুহ্‌রী (রহঃ) এ হাদীস ‘উরওয়াহ্ হতে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ)-এর বরাতে এবং ‘উরওয়াহ্ হতে, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে, উভয় সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৫৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَخَصَ بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَذَا أَوَانٌ يُخْتَلَسُ الْعِلْمُ مِنَ النَّاسِ حَتَّى لاَ يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الأَنْصَارِيُّ كَيْفَ يُخْتَلَسُ مِنَّا وَقَدْ قَرَأْنَا الْقُرْآنَ فَوَاللَّهِ لَنَقْرَأَنَّهُ وَلَنُقْرِئَنَّهُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا زِيَادُ إِنْ كُنْتُ لأَعُدُّكَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَذِهِ التَّوْرَاةُ وَالإِنْجِيلُ عِنْدَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى فَمَاذَا تُغْنِي عَنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ جُبَيْرٌ فَلَقِيتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ قُلْتُ أَلاَ تَسْمَعُ إِلَى مَا يَقُولُ أَخُوكَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَالَ صَدَقَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِنْ شِئْتَ لأُحَدِّثَنَّكَ بِأَوَّلِ عِلْمٍ يُرْفَعُ مِنَ النَّاسِ الْخُشُوعُ يُوشِكُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَ جَمَاعَةٍ فَلاَ تَرَى فِيهِ رَجُلاً خَاشِعًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَمُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرَ يَحْيَى بْنِ سَعِيِدٍ الْقَطَّانِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ نَحْوُ هَذَا ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তিনি আকাশের দিকে তাকালেন, তারপর বললেনঃ এই সময়ে মানুষের কাছ থেকে ‘ইল্‌মকে ছিনিয়ে নেয়া হবে, এমনকি এ সম্পর্কে তাদের কোন সামর্থ্যই থাকবে না। যিয়াদ ইবনু লাবীদ আল-আনসারী (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের নিকট হতে কিভাবে ‘ইল্‌ম ছিনিয়ে নেয়া হবে, অথচ আমরা কুরআন তিলাওয়াত করি? আল্লাহ্‌র কসম! অবশ্যই আমরা তা তিলাওয়াত করবো এবং আমাদের স্ত্রীদের ও সন্তাদেরকেও তা শিখাবো। তিনি বললেনঃ হে যিয়াদ! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক, আমি তো তোমাকে মাদীনার অন্যতম জ্ঞানী ব্যক্তি বলেই গণ্য করতাম! এই তো ইয়াহূদী-নাসারাদের নিকট তাওরাত ও ইনজীল রয়েছে, তা তাদের কি কাজে লেগেছে? জুবাইর (রাঃ) বলেন, তারপর আমি উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে বললাম, আপনার ভাই আবু দারদা (রাঃ) কি বলছেন তা আপনি শুন্‌তে পাননি? আবু দারদা (রাঃ) যা বলেছেন, তা আমি তার নিকট বললাম। তিনি বলেন, আবু দারদা (রাঃ) ঠিকই বলেছেন। তুমি চাইলে আমি তোমাকে একটি কথা বলতে পারি। ইলমের যে বস্তুটি সর্বপ্রথম মানুষের কাছ থেকে তুলে নেয়া হবে তা হল বিনয়। খুব শীঘ্রই তুমি কোন জামে মাসজিদে গিয়ে হয়তো দেখবে যে, একজন লোকও সেখানে বিনয়াবনত নয়। -
সহীহঃ তাখরীজু ইক্বতিযায়িল ইল্‌মি আল-আমাল (৮৯) - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব । হাদীসবিশারদগণের মতে মু‘আবিয়াহ্ ইবনু সালিহ একজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী । ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ আল-কাত্তান ব্যতীত অন্য কেউ তার সমালোচনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই । মু‘আবিয়াহ্ ইবনু সালিহ হতেও এ রকম হাদীস বর্ণিত আছে । কোন কোন বর্ণনাকারী এই হাদীস ‘আবদুর রাহমান ইবনু জুবাইর ইবনু নুফাইর হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি ‘আওফ ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৬. অনুচ্ছেদঃ
‘ইল্‌মের বিনিময়ে যে লোক পার্থিব স্বার্থ খোঁজ করে

২৬৫৪
حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْعَثِ، أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ الْعِجْلِيُّ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي ابْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ لِيُجَارِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ أَوْ لِيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ أَوْ يَصْرِفَ بِهِ وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْهِ أَدْخَلَهُ اللَّهُ النَّارَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَإِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ عِنْدَهُمْ تُكُلِّمَ فِيهِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏

কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে লোক ‘আলিমদের সাথে তর্ক বাহাস করা অথবা জাহিল-মূর্খদের সাথে বাকবিতণ্ডা করার জন্য এবং মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশে ‘ইল্‌ম অধ্যয়ন করেছে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। -
হাসানঃ মিশকাত (২২৩-২২৫), তা‘লীকুর রাগীব (১/৬৮)। - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব । আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই জেনেছি । হাদীস বিশেষজ্ঞদের মতে ইসহাক ইবনু ইয়াহ্ইয়া ইবনু তালহা খুব একটা শক্তিশালী বর্ণনাকারী নন । তার স্মৃতিশক্তি সমালোচিত ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

 সরাসরি

২৬৫৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ الْهُنَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ أَيُّوبَ السِّخْتِيَانِيِّ، عَنْ خَالِدِ بْنِ دُرَيْكٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا لِغَيْرِ اللَّهِ أَوْ أَرَادَ بِهِ غَيْرَ اللَّهِ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَيُّوبَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করে অথবা এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কিছু অর্জনের ইচ্ছা করে সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্দিষ্ট করে নেয়। -
য’ঈফ; ইবনু মাযাহ- হাঃ নং-২৫৮ - -
এ অনুচ্ছেদে জাবির (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান গারীব। উপরিউক্ত সূত্র ব্যতীত আইয়ূবের কোন হাদিস আমাদের জানা নেই।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৭. অনুচ্ছেদঃ
শ্রুত জ্ঞান প্রচারে অনুপ্রেরণা দেয়া

২৬৫৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، مِنْ وَلَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ نِصْفَ النَّهَارِ قُلْنَا مَا بَعَثَ إِلَيْهِ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ إِلاَّ لِشَيْءٍ سَأَلَهُ عَنْهُ فَقُمْنَا فَسَأَلْنَاهُ فَقَالَ نَعَمْ سَأَلَنَا عَنْ أَشْيَاءَ سَمِعْنَاهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَحَفِظَهُ حَتَّى يُبَلِّغَهُ غَيْرَهُ فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আবান ইবনু ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলে, কোন একদিন যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) ঠিক দুপুরের সময় মারওয়ানের নিকট হতে বেরিয়ে আসলেন। আমরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলাম, সম্ভবতঃ কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করার জন্যই এ সময়ে মারওয়ান তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সুতরাং আমরা উঠে গিয়ে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি আমার কাছে কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করেছেন, যা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা‘আলা সেই ব্যক্তির চেহারা আনন্দ-উজ্জ্বল করুন, যে আমার কোন কথা শুনেছে, তারপর তা সঠিক ভাবে মনে রেখেছে এবং সেভাবেই অন্যের নিকট পৌঁছে দিয়েছে। এমন অনেক লোক আছে, যারা নিজেদের তুলনায় উচ্চতর জ্ঞানের অধিকারীর নিকট জ্ঞান পৌঁছে দিতে পারে। আর অনেক জ্ঞানের বাহক এমন রয়েছে যারা নিজেরাই জ্ঞানী নয়। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ(২৩০) - -
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ, মু‘আয ইবনু জাবাল, জুবাইর ইবনু মুত‘ইম, আবুদ্ দারদা ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৫৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا شَيْئًا فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা‘আলা সেই ব্যক্তিকে আলোকোজ্জ্বল করুন, যে আমার কোন কথা শুনেছে এবং যে ভাবে শুনেছে সেভাবেই অন্যের নিকট তা (জ্ঞান) পৌঁছে দিয়েছে। এমন অনেক ব্যক্তি আছে যার নিকট ‘ইল্‌ম পৌঁছানো হয় তিনি শ্রোতার চেয়ে বেশি হৃদয়জ্ঞমকারী হয়ে থাকেন। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৩২) - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । ‘আবদুল মালিক ইবনু ‘উমাইর ও এই হাদীসটি ‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আব্দিল্লাহ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৫৮
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَوَعَاهَا وَحَفِظَهَا وَبَلَّغَهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ‏.‏ ثَلاَثٌ لاَ يُغَلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ إِخْلاَصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَمُنَاصَحَةُ أَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَلُزُومِ جَمَاعَتِهِمْ فَإِنَّ الدَّعْوَةَ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা সেই ব্যক্তিকে আলোকোজ্জ্বল করুন যে আমার কথা শুনেছে, তা কন্ঠস্থ করেছে, সংরক্ষণ করেছে এবং অন্যের নিকট পৌঁছে দিয়েছে। অনেক জ্ঞানের বাহক যার নিকট জ্ঞান বহন করে নিয়ে যান তিনি তার (বাহকের) চাইতে বেশি বুদ্ধিমান হতে পারেন। মু‘মিনের অন্তর তিনটি বিষয়ে খিয়ানাত (অবহেলা) করতে পারে নাঃ আল্লাহ তা‘আলার জন্য নিষ্ঠাপূর্ণ ‘আমাল, মুসলিমদের নেতৃবর্গকে সদুপদেশ দান এবং মুসলিম জামা‘আত অবলম্বন। কেননা দা‘ওয়াত (আহ্বান) তাদের পশ্চাৎকেও পরিবেষ্টন করে। -
সহীহঃ সহীহাহ্ (৪০৪) - -
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৮. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি মিথ্যারোপ করা গুরুতর অপরাধ

২৬৫৯
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক নিজ ইচ্ছায় আমার উপর মিথ্যারোপ করে, সে জাহান্নামকে তার বাসস্থান বানিয়ে নিক। -
সহীহঃ মুতাওয়াতির, ইবনু মা-জাহ (৩০), বুখারী ও মুসলিম। - -
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৬০
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ ابْنُ بِنْتِ السُّدِّيِّ، حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَكْذِبُوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ يَلِجُ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَالزُّبَيْرِ وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَنَسٍ وَجَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَعَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَمُعَاوِيَةَ وَبُرَيْدَةَ وَأَبِي مُوسَى الْغَافِقِيِّ وَأَبِي أُمَامَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَالْمُنْقَعِ وَأَوْسٍ الثَّقَفِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ أَثْبَتُ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ وَقَالَ وَكِيعٌ لَمْ يَكْذِبْ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً

‘আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করো না। কেননা যে লোক আমার উপর মিথ্যারোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে। -
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম - -
আবূ বাক্‌র, ‘উমার, ‘উসমান, যুবাইর, সা‘ঈদ ইবনু যাইদ, ‘অবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র, আনাস, জাবির, ইবনু ‘আব্বাস, আবূ সা‘ঈদ, ‘আম্‌র ইবনু আবাসাহ্, ‘উক্‌বাহ্ ইবনু আমির, মু‘আবিয়াহ্, বুরাইদাহ্, আবূ মূসা, আবূ উমামাহ্, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার, আল-মুন্‌কা’ ও আওস আস-সাকাফী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ । ‘আবদুর রাহমান ইবনু মাহ্‌দী বলেন, মানসূর ইবনুল মু‘তামির হলেন কূফাবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী । ওয়াকী‘ বলেন, রিব‘ঈ ইবনু হিরাশ মুসলিম অবস্থায় একটি মিথ্যাও বলেননি ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৬১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ – حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ بَيْتَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, (বর্ণনাকারী বলেন) আমার মনে হয় তিনি “ইচ্ছাকৃতভাবে” কথাটুকুও বলেছেন, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। -
সহীহঃ মুতাওয়াতির, বুখারী ও মুসলিম। দেখুন পূর্বের হাদীস। - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং যুহরী-আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর সূত্রে গারীব । নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ হাদীস আনাস (রাঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৯. অনুচ্ছেদঃ
যে ব্যক্তি মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করে

২৬৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَسَمُرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ وَرَوَى الأَعْمَشُ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَأَنَّ حَدِيثَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا مُحَمَّدٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ مَنْ رَوَى حَدِيثًا وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ إِسْنَادَهُ خَطَأٌ أَيَخَافُ أَنْ يَكُونَ قَدْ دَخَلَ فِي حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ إِذَا رَوَى النَّاسُ حَدِيثًا مُرْسَلاً فَأَسْنَدَهُ بَعْضُهُمْ أَوْ قَلَبَ إِسْنَادَهُ يَكُونُ قَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ فَقَالَ لاَ إِنَّمَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِذَا رَوَى الرَّجُلُ حَدِيثًا وَلاَ يُعْرَفُ لِذَلِكَ الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَصْلٌ فَحَدَّثَ بِهِ فَأَخَافُ أَنْ يَكُونَ قَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পক্ষ হতে যে লোক কোন হাদীস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে, তা মিথ্যা, সে মিথ্যাবাদীদের একজন। -
সহীহঃ আয্-যঈফার ভূমিকা (১/১২), মুসলিম। - -
‘আলী ইবনু আবী তালিব ও সামুরাহ্ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । এ হাদীসটি আল-হাকাম-‘আবদুর রাহমান ইবনু আবূ লাইলা হতে, তিনি সামুরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে শু‘বাহ্ (রহঃ) বর্ণনা করেছেন । আ‘মাশ ও ইবনু আবী লাইলা (রহঃ) আল-হাকাম হতে, তিনি ‘আবদুর রাহমান ইবনু আবী লাইলা হতে, তিনি ‘আলী (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন । সামুরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে ‘আবদুর রাহমান ইবনু আবী লাইলা বর্ণিত হাদীসটি মুহাদ্দিসগণের মতে অনেক বেশি সহীহ ।

আবূ ‘ঈসা বলেন, আমি আবূ মুহাম্মাদ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রহঃ)-কে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস “ যে ব্যক্তি আমার পক্ষ হতে কোন হাদীস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে, তা মিথ্যা, সে মিথ্যাবাদীদের একজন” সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম । আমি বললাম, যদি কোন ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করে এবং জানে যে, এর সনদ ত্রুটিপূর্ণ তবে সে কি এ হাদীস মোতাবেক মিথ্যুক বলে পরিগণিত হবে? অথবা যদি কোন ব্যক্তি মুরসাল হাদীসকে মুসনাদ হিসেবে বর্ণনা করে কিংবা সনদে উল্টাপাল্টা করে তাহলে সেও কি উক্ত হাদীসের আওতাভুক্ত বলে পরিগণিত হবে? ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রাহমান বলেন, না, বরং এ হাদীসের তাৎপর্য হলঃ যে এমন হাদীস বর্ণনা করে, যে সম্পর্কে সে জানে না, যে, এটা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস কি-না । আমি আশংকা করি যে, সে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্ত হাদীসের আওতাভুক্ত হবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১০. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীসের ব্যাপারে যা বলা নিষেধ

২৬৬৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَسَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، وَغَيْرُهُ، رَفَعَهُ قَالَ ‏ “‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ أَمْرٌ مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي مَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِ اللَّهِ اتَّبَعْنَاهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَسَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَكَانَ ابْنُ عُيَيْنَةَ إِذَا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى الاِنْفِرَادِ بَيَّنَ حَدِيثَ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ مِنْ حَدِيثِ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ وَإِذَا جَمَعَهُمَا رَوَى هَكَذَا ‏.‏ وَأَبُو رَافِعٍ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اسْمُهُ أَسْلَمُ ‏.‏

আবূ রাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যেন তোমাদের মধ্যে কাউকে এমন অবস্থায় না পাই যে, সে তার সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকবে এবং তার নিকট যখন আমার আদিষ্ট কোন বিষয় অথবা আমার নিষেধ সম্বলিত কোন হাদীস উত্থাপিত হবে তখন সে (তাচ্ছিল্যভরে) বলবে, আমি তা জানি না, আল্লাহ তা‘আলার কিতাবে আমরা যা পাই, তারই অনুসরণ করবো। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৩) - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । এ হাদীসটি কোন কোন বর্ণনাকারী সুফ্ইয়ান-ইবনুল মুনকাদির (রহঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন । আবার কোন কোন বর্ণনাকারী সালিম আবুন নায্‌র হতে, তিনি ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু আবী রাফি‘ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে, এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন । ইবনু ‘উয়াইনাহ্ যখন পৃথকভাবে উভয় সনদের উল্লেখ করতেন তখন মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদিরের বর্ণনাকে সালিম আবুন নায্‌রের বর্ণনা হতে পৃথক করে বর্ণনা করতেন এবং যখন উভয় সনদ একত্র করে বর্ণনা করতেন তখন প্রথমোক্তভাবে সনদটির উল্লেখ করতেন । আবূ রাফি‘ (রাঃ) ছিলেন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুক্তদাস, তার নাম আসলাম ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ جَابِرٍ اللَّخْمِيِّ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَلاَ هَلْ عَسَى رَجُلٌ يَبْلُغُهُ الْحَدِيثُ عَنِّي وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى أَرِيكَتِهِ فَيَقُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ فَمَا وَجَدْنَا فِيهِ حَلاَلاً اسْتَحْلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنَا فِيهِ حَرَامًا حَرَّمْنَاهُ وَإِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا حَرَّمَ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

মিক্বদাম ইবনু মাদীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবধান! খুব শীঘ্রই এমন ব্যক্তির আগমন ঘটবে যে, সে তার সুসজ্জিত গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে, তখন তার নিকট আমার কোন হাদীস পৌঁছলে সে বলবে, আমাদের ও তোমাদের সামনে তো আল্লাহ তা‘আলার কিতাবই আছে। আমরা তাতে যা হালাল পাব সেগুলো হালাল বলে মেনে নিব এবং যেগুলো হারাম পাব সেগুলো হারাম বলে মনে নিব। সাবধান! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা হারাম ঘোষনা করেছেন তা আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক হারামকৃত বস্তুর মতই হারাম। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১২) - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান, তবে উপরোক্ত সূত্রে গারীব ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১১. অনুচ্ছেদঃ
‘ইল্‌মে হাদীস লিপিবদ্ধ করার নিষেধাজ্ঞা

২৬৬৫
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ اسْتَأْذَنَّا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْكِتَابَةِ فَلَمْ يَأْذَنْ لَنَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ أَيْضًا عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ رَوَاهُ هَمَّامٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ‏.‏

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট (হাদীস) লিপিবদ্ধ করে রাখার অনুমতি চাইলাম, কিন্তু তিনি আমাদেরকে অনুমতি দেননি। -
সহীহঃ মুসলিম (৮/২২৯) অনুরূপ - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি যাইদ ইবনু আসলাম (রহঃ) হতে অন্য সূত্রেও বর্ণিত আছে । এটি হাম্মামও যাইদ ইবনু আসলাম হতে বর্ণনা করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১২. অনুচ্ছেদঃ
হাদীস লিপিবদ্ধ করার সম্মতি প্রসঙ্গে

২৬৬৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْخَلِيلِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَجْلِسُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيَسْمَعُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْحَدِيثَ فَيُعْجِبُهُ وَلاَ يَحْفَظُهُ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَسْمَعُ مِنْكَ الْحَدِيثَ فَيُعْجِبُنِي وَلاَ أَحْفَظُهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اسْتَعِنْ بِيَمِينِكَ ‏”‏ ‏.‏ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ لِلْخَطِّ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِذَلِكَ الْقَائِمِ ‏.‏ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ الْخَلِيلُ بْنُ مُرَّةَ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক আনসার সাহাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরবারে বসতেন এবং তাঁর নিকট হাদিস শুনতেন। হাদিসগুলো তার নিকটে ভালো লাগলেও তিনি তা মনে রাখতে পারতেন না। কোন এক সময় তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে তার এ অবস্থার কথা পেশ করে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার কথা শুনে থাকি এবং তা আমার নিকটে খুবই ভালো লাগে, কিন্তু তা মনে রাখতে পারি না। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তোমার ডান হাতের সাহায্য নাও, এই বলে তিনি লিখে রাখার প্রতি ইংগিত করেন। -
যঈফ, যঈফা (২৭৬১) - -
এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসের সনদ তেমন মজবুত নয়। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে বলতে শুনেছি, খালীল ইবনু মুররা মুনকারুল হাদিস। (অর্থাৎ প্রত্যাখ্যাত রাবী)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

২৬৬৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ فَذَكَرَ الْقِصَّةَ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو شَاهٍ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى شَيْبَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ مِثْلَ هَذَا ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক সময় (বিদায় হাজ্জে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণ দিলেন। আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) পূর্ণ হাদিস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবূ শাহ আরয করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! এ ভাষণটি আমাকে লিখে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ ভাষণটি (তোমরা) আবূ শাহের জন্য লিখে দাও। -
সহীহঃ মুখতাসার বুখারী (৭৬), বুখারী। - -
এ হাদিসে আরো বিবরণ আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । শাইবান (রহঃ) ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আবূ কাসীরের সূত্রে উক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৬৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَخِيهِ، وَهُوَ هَمَّامُ بْنُ مُنَبِّهٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ لَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرَ حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنِّي إِلاَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو فَإِنَّهُ كَانَ يَكْتُبُ وَكُنْتُ لاَ أَكْتُبُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَوَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ عَنْ أَخِيهِ هُوَ هَمَّامُ بْنُ مُنَبِّهٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের মধ্যে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) ব্যতীত আমার চাইতে বেশি তাঁর হাদীস সংরক্ষণকারী কেউ নেই। কারণ তিনি হাদীস লিখতেন, আর আমি লিখতাম না। -
সহীহঃ মুখ্তাসারুল বুখারী (৭৭), বুখারী। - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । ওয়াহ্‌ব ইবনু মুনাব্বিহ তার ভাই হতে বর্ণনা করেন, যার নাম হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৩. অনুচ্ছেদঃ
বানী ইসরাঈল হতে কিছু বর্ণনা করা প্রসঙ্গে

২৬৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلاَ حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পক্ষ থেকে একটি মাত্র আয়াত হলেও তা (মানুষের নিকট) পৌঁছে দাও। আর বানী ইসরাঈলের বরাতে (হাদীস) কথা বর্ণনা করতে পার, এতে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যা চাপিয়ে দেয়, সে যেন জাহান্নামে তার থাকার জায়গা নির্ধারণ করে নেয়।

সহীহঃ রাওযুন নাযীর (৫৮২), তাখরীজুল ইল্‌ম লিআবী খাইসামা (১১৯/৪৫), বুখারী। - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-আবূ আসিম হতে, তিনি আওযাঈ হতে, তিনি হাসসান ইবনু আতিয়্যাহ্‌ হতে, তিনি আবূ কাবশা আস-সালূলী হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণিত আছে । এ হাদীসটিও সহীহ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৪. অনুচ্ছেদঃ
সৎ কাজের পথপ্রদর্শক উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর সমতুল্য

২৬৭০
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ يَسْتَحْمِلُهُ فَلَمْ يَجِدْ عِنْدَهُ مَا يَتَحَمَّلُهُ فَدَلَّهُ عَلَى آخَرَ فَحَمَلَهُ ‏.‏ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ الدَّالَّ عَلَى الْخَيْرِ كَفَاعِلِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْبَدْرِيِّ وَبُرَيْدَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একজন লোক এসে তার নিজের জন্য একটি বাহন চাইল। কিন্তু তাকে তিনি দেয়ার মত কোন বাহন না পেয়ে তাকে অন্য এক লোকের নিকট পাঠিয়ে দিলেন। সেই ব্যক্তি তাকে একটি বাহন দিল। সে এ ঘটনাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললে তিনি বলেনঃ সৎকাজের পথপ্রদর্শক উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর সমতুল্য। -
হাসান সহীহঃ সহীহাহ্‌ (১১৬০), তা’লীকুর রাগীব (১/৭২)। - -
আবূ মাস‘ঊদ আল-বাদ্‌রী ও বুরাইদাহ্‌ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবু ‘ঈসা বলেন, এ সূত্রে অর্থাৎ- আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হাদীসটি গারীব ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

 সরাসরি

২৬৭১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَمْرٍو الشَّيْبَانِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْبَدْرِيِّ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَحْمِلُهُ فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ أُبْدِعَ بِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ائْتِ فُلاَنًا ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَاهُ فَحَمَلَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ أَوْ قَالَ عَامِلِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو عَمْرٍو الشَّيْبَانِيُّ اسْمُهُ سَعْدُ بْنُ إِيَاسٍ وَأَبُو مَسْعُودٍ الْبَدْرِيُّ اسْمُهُ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو ‏.‏

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَقَالَ ‏”‏ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَشُكَّ فِيهِ ‏.‏

আবূ মাস‘ঊদ আল-বাদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একজন লোক একটি বাহন (জন্তুযান) চাইতে এসে বলে, আমার জন্তুযানটি চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে (বা মরে গেছে)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি অমুক ব্যক্তির নিকট যাও। সে তার নিকট গেলে সে তাকে একটি জন্তুযান দান করল। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে লোক কোন সৎ কাজের পথ দেখায়, তার জন্য উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সওয়াব রয়েছে। -
সহীহঃ মুসলিম (৬/৪১) - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । আবূ ‘আমর আশ-শাইবানীর নাম সা‘দ ইবনু ইয়াস এবং আবূ মাস‘ঊদ আল-বাদ্‌রী (রাঃ)-এর নাম ‘উকবাহ্‌ ইবনু ‘আম্‌র । আল-হাসান ইবনু ‘আলী আল-খাল্লাল-‘আবদুল্লাহ ইবনু নুমাইর হতে, তিনি আ‘মাশ হতে, তিনি আবূ ‘আম্‌র আশ্‌-শাইবান হতে, তিনি আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপরের হাদীসের মত হাদীস বর্ণনা করেছেন । তবে তাতে সন্দেহমুক্তভাবে “মিসলু আজরি ফাঈলিহি” উল্লেখ আছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৭২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اشْفَعُوا وَلْتُؤْجَرُوا وَلْيَقْضِ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ مَا شَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَبُرَيْدٌ يُكْنَى أَبَا بُرْدَةَ أَيْضًا وَهُوَ كُوفِيٌّ ثِقَةٌ فِي الْحَدِيثِ رَوَى عَنْهُ شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ ‏.‏

আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আবেদন কর, সাওয়াব পাবে। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাবীর মুখ দিয়ে যা চান তাই ফায়সালা করান। -
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৪৪৬), বুখারী ও মুসলিম। - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । বুরাইদের উপনাম আবূ বুরদাহ্, তিনি আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ)-এর ছেলে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবী বুরদাহ্‌ এর পুত্র । তিনি কুফাবাসী নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী । তার নিকট হতে শু‘বাহ্‌, সুফ্‌ইয়ান সাওরী ও সুফ্‌ইয়ান ইবনু ‘উয়াইনাহ্‌ হাদীস বর্ণনা করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৭৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا مِنْ نَفْسٍ تُقْتَلُ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا وَذَلِكَ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ أَسَنَّ الْقَتْلَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ ‏”‏ سَنَّ الْقَتْلَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ قَالَ ‏”‏ سَنَّ الْقَتْلَ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অন্যায়ভাবে যে কোন লোককেই হত্যা করা হয় তার খুনের (গুনাহর) একটি অংশ আদমের ছেলের (কাবীল) উপর বর্তাবে। কেননা সর্বপ্রথম সে-ই (প্রাণ) হত্যার প্রচলন করে। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৬১৬), বুখারী ও মুসলিম। - -
‘আবদুর রায্‌যাকের বর্ণনায়, “আসান্নাল কাতলা” স্থলে “সান্নাল কাতলা” বর্ণিত আছে । উক্ত বর্ণনাটি ইবনু আবী ‘উমার সুফ্‌ইয়ান ইবনু ‘উয়াইনাহ্‌ হতে, তিনি আ‘মাশ হতে এই সানাদে বর্ণনা করেছেন । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৫. অনুচ্ছেদঃ
সৎপথে বা ভ্রান্তপথে ডাকার ফলাফল

২৬৭৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ يَتَّبِعُهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ يَتَّبِعُهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি হিদায়াতের পথে আহ্বান করে তাহলে সে তার অনুসারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, তবে অনুসরণকারীদের সাওয়াব থেকে মোটেও কম করা হবে না। আর বিপথের দিকে আহ্বানকারী ব্যক্তি তার অনুসারীদের পাপের সমপরিমাণ পাপের অংশীদার হবে, তবে তাদের (অনুসরণকারীদের) পাপ থেকে মোটেই কমানো হবে না। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২০৬), মুসলিম। - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৭৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ سَنَّ سُنَّةَ خَيْرٍ فَاتُّبِعَ عَلَيْهَا فَلَهُ أَجْرُهُ وَمِثْلُ أُجُورِ مَنِ اتَّبَعَهُ غَيْرَ مَنْقُوصٍ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ سَنَّ سُنَّةَ شَرٍّ فَاتُّبِعَ عَلَيْهَا كَانَ عَلَيْهِ وِزْرُهُ وَمِثْلُ أَوْزَارِ مَنِ اتَّبَعَهُ غَيْرَ مَنْقُوصٍ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ حُذَيْفَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَرِيرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَيْضًا ‏.‏

জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ ভালো কাজের প্রচলন করলে এবং তার অনুসরণ করা হলে সে তার নিজের সাওয়াবও পাবে এবং তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, তবে তাদের সাওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না। আবার কেউ মন্দ কাজের প্রচলন করলে এবং তার অনুসরণ করা হলে তার উপর নিজের গুনাহ্‌ বর্তাবে উপরন্তু তার অনুসারীদের সম-পরিমাণ গুনাহ্‌র অংশীদারীও হবে, কিন্তু তাতে অনুসরণকারীদের গুনাহ্‌র পরিমাণ একটুও কমানো হবে না। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২০৩), মুসলিম। - -
হুযাইফাহ্‌ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একাধিক সূত্রে একই রকম বর্ণিত রয়েছে । এ হাদীসটি আল-মুন্‌যির ইবনু জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ হতে তার বাবা হতে এই সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে । ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু জারীর হতে তার বাবার বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতেও তা বর্ণিত হয়েছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৬. অনুচ্ছেদঃ
সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা এবং বিদ‘আত পরিহার করা

২৬৭৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ وَعَظَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا بَعْدَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ فَقَالَ رَجُلٌ إِنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏ “‏ أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ يَرَى اخْتِلاَفًا كَثِيرًا وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّهَا ضَلاَلَةٌ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَعَلَيْهِ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

وَقَدْ رَوَى ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَالْعِرْبَاضُ بْنُ سَارِيَةَ يُكْنَى أَبَا نَجِيحٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ حُجْرِ بْنِ حُجْرٍ عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

ইরবায ইবনু সারিয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন ফজরের নামাযের পর আমাদেরকে মর্মস্পর্শী ওয়াজ শুনালেন, যাতে (আমাদের) সকলের চোখে পানি এলো এবং অন্তর কেপে উঠলো। কোন একজন বলল, এ তো বিদায়ী ব্যক্তির নাসীহাতের মতো। হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এখন আপনি আমাদেরকে কি উপদেশ দিচ্ছেন? তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করার এবং (নেতার আদেশ) শ্রবণ ও মান্য করার উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (নেতা) হাবশী ক্রীতদাস হয়ে থাকে। তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তারা বহু বিভেদ-বিসম্বাদ প্রত্যক্ষ করবে। তোমরা নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করা হতে দূরে থাকবে। কেননা তা গুমরাহী। তোমাদের মধ্যে কেউ সে যুগ পেলে সে যেন আমার সুন্নাতে ও সৎপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নাতে দৃঢ়ভাবে অবিচল থাকে। তোমরা এসব সুন্নাতকে চোয়ালের দাঁতের সাহায্যে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৪২) - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । এ হাদীসটি সাওর ইবনু ইয়াযীদ-খালিদ ইবনু মা‘দান হতে, তিনি ‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আম্‌র আস-সুলামী হতে, তিনি আল-ইরবায ইবনু সারিয়াহ্‌ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন । আল-হাসান ইবনু ‘আলী আল-খাল্লাল আরো অনেকে আবূ আসিম হতে, তিনি সাওর ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি খালিদ ইবনু মা‘দান হতে, তিনি ‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আম্‌র আস-সুলামী হতে, তিনি আল-ইরবায ইবনু সারিয়াহ্‌ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণনা করেছেন । আল-ইরবায (রাঃ)-এর উপনাম আবূ নাজীহ । এ হাদীস হুজ্‌র ইবনু হুজ্‌র-ইরবায (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণিত হয়েছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৭৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِبِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ ‏”‏ اعْلَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مَا أَعْلَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ اعْلَمْ يَا بِلاَلُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مَا أَعْلَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ أَنَّهُ مَنْ أَحْيَا سُنَّةً مِنْ سُنَّتِي قَدْ أُمِيتَتْ بَعْدِي فَإِنَّ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلَ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنِ ابْتَدَعَ بِدْعَةَ ضَلاَلَةٍ لاَ يَرْضَاهَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ عَمِلَ بِهَا لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِ النَّاسِ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَمُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ هُوَ مِصِّيصِيٌّ شَامِيٌّ وَكَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ ابْنُ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ ‏.‏

কাসীর ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল ইবনুল হারিসকে বলেনঃ তুমি জেনে রাখ। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি জেনে রাখব? তিনি বললেনঃ হে বিলাল! তুমি জেনে রাখ। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কি জেনে রাখব? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি (আমার) এমন কোন সুন্নত জীবিত করবে, যা আমার (মৃত্যুর পর) পর বিলীন হয়ে যাবে, তার জন্য রয়েছে সেই সুন্নতের উপর আমলকারীর সম-পরিমান সওয়াব। তবে তাদের সওয়াব হতে কিছুই কমানো হবে না। আর যে ব্যক্তি পথভ্রষ্টতার বিদ’আত চালু করে, যা আল্লাহ ও তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সন্তুষ্ট করে না তার জন্য রয়েছে সেই বিদ’আতের উপর আমলকারীর সম-পরিমাণ পাপ। তবে তাদের পাপ হতে কিছুই কমানো হবে না। -
যঈফ, ইবনু মাযাহ (২১০) - -
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান। মুহাম্মাদ ইবনু উয়াইনা হলেন মিসসীসী এবং সিরিয়াবাসী। আর কাসীর ইবনু আবদুল্লাহর দাদার নাম আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

২৬৭৮
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ حَاتِمٍ الأَنْصَارِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا بُنَىَّ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ تُصْبِحَ وَتُمْسِيَ لَيْسَ فِي قَلْبِكَ غِشٌّ لأَحَدٍ فَافْعَلْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِي ‏”‏ يَا بُنَىَّ وَذَلِكَ مِنْ سُنَّتِي وَمَنْ أَحْيَا سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي ‏.‏ وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ ثِقَةٌ وَأَبُوهُ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ صَدُوقٌ إِلاَّ أَنَّهُ رُبَّمَا يَرْفَعُ الشَّىْءَ الَّذِي يُوقِفُهُ غَيْرُهُ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ بَشَّارٍ يَقُولُ قَالَ أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ وَكَانَ رَفَّاعًا وَلاَ نَعْرِفُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَنَسٍ رِوَايَةً إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ بِطُولِهِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى عَبَّادُ بْنُ مَيْسَرَةَ الْمِنْقَرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَذَاكَرْتُ بِهِ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ فَلَمْ يَعْرِفْهُ وَلَمْ يُعْرَفْ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثُ وَلاَ غَيْرُهُ وَمَاتَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ سَنَةَ ثَلاَثٍ وَتِسْعِينَ وَمَاتَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ بَعْدَهُ بِسَنَتَيْنِ مَاتَ سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ হে বৎস! তুমি যদি সকাল-সন্ধ্যা এমনভাবে কাটাতে পার যে, তোমার অন্তরে কারো প্রতি কোন রকম বিদ্বেষ নেই, তাহলে তাই কর। তিনি আমাকে পুনরায় বললেনঃ হে বৎস! এটা হল আমার সুন্নত। আর যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে জীবিত করল সে আমাকেই ভাল বাসল, আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসল সে তো জান্নাতে আমার সাথেই থাকবে। -
যঈফ, মিশকাত (১৭৫) - -
এই হাদিসে বড় ঘটনা রয়েছে, আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান এবং উপরিউক্ত সূত্রে গারীব। মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ আনসারী ও তার পিতা উভয়ই সিকাহ রাবী। ‘আলী ইবনু যাইদ সত্যবাদী, কিন্তু যে হাদিসকে অন্যরা মাওকূফরূপে বর্ণনা করেছেন, তিনি কখনো কখনো তা মারফূ’রূপে বর্ণনা করেন। আমি মুহাম্মদ ইবনু বাশশারকে বলতে শুনেছি, আবুল ওয়ালীদ বলেন, শু’বা বলেছেনঃ ‘আলী ইবনু যাইদ আমাদের নিকট হাদিস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অনেক (মাওকূফ রিওয়ায়াতকে) মারফূ’রূপে বর্ণনা করেছেন। সা’ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) আনাস (রাঃ) হতে উপরিউক্ত হাদিসটি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা ব্যতীত আরো হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। ‘আব্বাদ ইবনু মাইসারা আল-মিনকারী উক্ত হাদিস ‘আলী ইবনু যাইদ হতে আনাস (রাঃ)–এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে সা’ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের উল্লেখ করেননি। আমি বিষয়টি নিয়ে মুহাম্মাদ ইবনু ইসমা’ঈলের সাথে আলোচনা করলে তিনি এ প্রসঙ্গে তার অজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সা’ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব সরাসরি আনাস (রাঃ) হতে উক্ত হাদিস বা অন্য কোন হাদিস বর্ণনা করেছেন কি না সে ব্যাপারেও তার অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) ৯৩ হিজরিতে এবং সা’ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব তার দু’বছর পর ৯৫ হিজরীতে মারা যান।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

১৭. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিষেধকৃত বিষয় হতে বিরত থাকা

২৬৭৯
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اتْرُكُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ فَإِذَا حَدَّثْتُكُمْ فَخُذُوا عَنِّي فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِكَثْرَةِ سُؤَالِهِمْ وَاخْتِلاَفِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে যে বিষয়ে বলি না সে বিষয়ে তোমরাও আমাকে ত্যাগ কর (নিজ উদ্যোগে কোন প্রশ্ন করো না)। আমি তোমাদের মধ্যে কিছু বললে আমার নিকট হতে তা গ্রহণ কর। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ তাদের নাবীদেরকে বেশি বেশি প্রশ্ন ও বিরুদ্ধাচরণ করার কারণে ধ্বংস হয়েছে। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১, ২), বুখারী ও মুসলিম অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৮. অনুচ্ছেদঃ
মদীনার ‘আলিমদের প্রসঙ্গে

২৬৮০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رِوَايَةً ‏ “‏ يُوشِكُ أَنْ يَضْرِبَ النَّاسُ، أَكْبَادَ الإِبِلِ يَطْلُبُونَ الْعِلْمَ فَلاَ يَجِدُونَ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْ عَالِمِ الْمَدِينَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ حَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ أَنَّهُ قَالَ فِي هَذَا سُئِلَ مَنْ عَالِمُ الْمَدِينَةِ فَقَالَ إِنَّهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ هُوَ الْعُمَرِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزَ الزَّاهِدُ ‏.‏ وَسَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مُوسَى يَقُولُ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ هُوَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ‏.‏ وَالْعُمَرِيُّ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنْ وَلَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অচিরেই মানুষ উটে চড়ে ‘ইলম অন্বেষণের উদ্দেশ্যে দুনিয়া ঘুরে বেড়াবে। কিন্তু তারা মদীনার ‘আলিমদের অপেক্ষা বিজ্ঞ ‘আলিম আর কোথাও খুঁজে পাবে না। -
য’ঈফ; মিশকাত-হাঃ নং-২৪৬; তা’লীক ‘আলা তানকীল-হাঃ নং- ১/৩৮৫; য’ঈফাহ-হাঃ নং-৪৮৩৩ - -
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান। এটা ইবনু ‘উয়াইনার রিওয়ায়াত। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেনঃ মাদীনার ‘আলিম হলেন মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)। ইসহাক ইবনু মূসা বলেনঃ আমি ইবনু ‘উয়াইনাকে আরো বলতে শুনেছি, মদীনার এ ‘আলিম হলেন ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বংশীয় পার্থিব মোহ বিমুখ ‘আবদুল ‘আযীয ইবনু ‘আবদুল্লাহ। (আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ) আমি ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মূসাকে বলতে শুনেছি, ‘আবদুর রাযযাক বলেছেন, তিনি হলেন মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

১৯. অনুচ্ছেদঃ
জ্ঞানের মর্যাদা ‘ইবাদাতের চাইতেও বেশি

২৬৮১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ جَنَاحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ فَقِيهٌ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজন ফকীহ (বিজ্ঞ ‘আলিম) শাইতানের জন্য হাজার (মূর্খ) ‘আবিদ অপেক্ষা বিপজ্জনক। -
-মাওযূ ; ইবনু মাযাহ- হাঃ নং- ২২২ - -
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

 সরাসরি

২৬৮২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ كَثِيرٍ، قَالَ قَدِمَ رَجُلٌ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى أَبِي الدَّرْدَاءِ وَهُوَ بِدِمَشْقَ فَقَالَ مَا أَقْدَمَكَ يَا أَخِي فَقَالَ حَدِيثٌ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحَدِّثُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَمَا جِئْتَ لِحَاجَةٍ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ أَمَا قَدِمْتَ لِتِجَارَةٍ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ مَا جِئْتَ إِلاَّ فِي طَلَبِ هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَبْتَغِي فِيهِ عِلْمًا سَلَكَ اللَّهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ وَإِنَّ الْعَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ حَتَّى الْحِيتَانُ فِي الْمَاءِ وَفَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ إِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ إِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا إِنَّمَا وَرَّثُوا الْعِلْمَ فَمَنْ أَخَذَ بِهِ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَلاَ نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ وَلَيْسَ هُوَ عِنْدِي بِمُتَّصِلٍ هَكَذَا حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَإِنَّمَا يُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَاصِمِ بْنِ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جَمِيلٍ عَنْ كَثِيرِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مَحْمُودِ بْنِ خِدَاشٍ وَرَأَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ هَذَا أَصَحَّ ‏.‏

কাইস ইবনু কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মাদীনা হতে দামিশকে (অবস্থানরত) আবু দারদা (রাঃ)-এর নিকট এলো। তিনি প্রশ্ন করলেন, ভাই! তুমি কি প্রয়োজনে এসেছো? সে বলল, একটি হাদীসের জন্য এসেছি। আমি জানতে পারলাম যে, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে সেই হাদীস বর্ণনা করছেন। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন, তুমি অন্য কোন প্রয়োজনে আসনি? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসনি? সে বলল, না; সে আরো বলল, আমি শুধুমাত্র সেই হাদীসটির খোঁজেই এসেছি। এবার তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ‘ইল্‌ম লাভের উদ্দেশ্যে যে লোক পথ চলে আল্লাহ তা‘আলা এর মাধ্যমে তাকে জান্নাতের পথে পৌঁছে দেন এবং ফেরেশতাগণ ইল্‌ম অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। অতঃপর আসমান-যমীনের সকল প্রাণী (আল্লাহ তা‘আলার নিকট) আলিমদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানির জগতের মাছসমূহও। সমস্ত নক্ষত্ররাজির উপর পূর্ণিমার চাঁদের যে প্রাধান্য, ঠিক তেমনি (মূর্খ) ‘আবিদগণের উপর আলিমদের মর্যাদা বিদ্যমান। অবশ্যই আলিমগণ নাবীদের ওয়ারিস। আর নাবীগণ উত্তরাধিকার হিসেবে কোন দীনার বা দিরহাম রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গেছেন মীরাস হিসেবে ‘ইল্‌ম। সুতরাং যে ব্যক্তি ইল্‌ম লাভ করেছে, সে পূর্ণ অংশ লাভ করেছে। -
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২২৩) - -
আবূ ‘ঈসা বলেন, আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আসিম ইবনু রাজা ইবনু হাইওয়ার রিওয়ায়াত হিসেবেই জেনেছি । আমার মতে এই সনদসূত্র মুত্তাসিল নয় । উক্ত হাদীসটি মাহ্‌মূদ ইবনু খিদাশও আমাদের নিকট অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন । আসিম ইবনু রাজা ইবনু হাইওয়া-দাঊদ ইবনু জামিল হতে, তিনি কাসীর ইবনু কাইস হতে, তিনি আবুদ্‌ দারদা (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রেও উক্ত হাদীস বর্ণিত আছে । এই সনদসূত্রটি মাহমূদ ইবনু খিদাশের বর্ণনার চাইতে অনেক বেশি সহীহ । মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী) ও এই সনদকে অধিক সহীহ মনে করেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৮৩
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنِ ابْنِ أَشْوَعَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ سَلَمَةَ الْجُعْفِيِّ، قَالَ قَالَ يَزِيدُ بْنُ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ مِنْكَ، حَدِيثًا كَثِيرًا أَخَافُ أَنْ يُنْسِيَنِي، أَوَّلَهُ آخِرُهُ فَحَدِّثْنِي بِكَلِمَةٍ تَكُونُ جِمَاعًا ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ اتَّقِ اللَّهَ فِيمَا تَعْلَمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ وَهُوَ عِنْدِي مُرْسَلٌ ‏.‏ وَلَمْ يُدْرِكْ عِنْدِي ابْنُ أَشْوَعَ يَزِيدَ بْنَ سَلَمَةَ وَابْنُ أَشْوَعَ اسْمُهُ سَعِيدُ بْنُ أَشْوَعَ ‏.‏

ইয়াযীদ ইবনু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হে আল্লাহ্‌র রাসূল ! আমি তো আপনার নিকট হতে অনেক হাদিস শুনেছি। এখন আমার ভয় হয় যে, পরের হাদিসগুলো পূর্বের হাদিসগুলোকে ভুলিয়ে দিতে পারে। সুতরাং আপনি আমাকে এমন একটি বাক্য বলুন যার মধ্যে সব কিছু শামিল থাকবে। তিনি বলেনঃ তুমি যা জান সে ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় কর। -
যঈফা (১৬৯৬) - -
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটির সনদসূত্র মুত্তাসিল নয়। আমার মতে এটি মুরসাল হাদিস। আমার মতে ইবনু আশওয়াআ (রহঃ) ইয়াযীদ ইবনু সালামা (রাঃ)-এর দেখা পাননি। ইবনু আশওয়াআ-এর নাম সাঈদ।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

 সরাসরি

২৬৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ أَيُّوبَ الْعَامِرِيُّ، عَنْ عَوْفٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَصْلَتَانِ لاَ تَجْتَمِعَانِ فِي مُنَافِقٍ حُسْنُ سَمْتٍ وَلاَ فِقْهٌ فِي الدِّينِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ حَدِيثِ عَوْفٍ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هَذَا الشَّيْخِ خَلَفِ بْنِ أَيُّوبَ الْعَامِرِيِّ وَلَمْ أَرَ أَحَدًا يَرْوِي عَنْهُ غَيْرَ أَبِي كُرَيْبٍ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَلاَءِ وَلاَ أَدْرِي كَيْفَ هُوَ

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমন দু’টি স্বভাব আছে যা মুনাফিক্বের মধ্যে একত্রে সমাবেশ হতে পারে না (১) উত্তম চরিত্র ও (২) দ্বীনের সুষ্ঠু জ্ঞান। -
সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (২১৯), সহীহাহ্‌ (২৭৮)। - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব । এ হাদীসের ব্যাপারে খালাফ ইবনু আইয়ূবের সূত্র ব্যতীত ‘আওফ (রহঃ)-এর বর্ণনা হিসেবে আমাদের কিছু জানা নেই । মুহাম্মাদ ইবনুল আলা ব্যতীত আমি তার বরাতে অন্য কাউকে হাদীস বর্ণনা করতে দেখিনি । খালাফ ইবনু আইয়ূবের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৮৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ جَمِيلٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاَنِ أَحَدُهُمَا عَابِدٌ وَالآخَرُ عَالِمٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِي عَلَى أَدْنَاكُمْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ وَأَهْلَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا وَحَتَّى الْحُوتَ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْخَيْرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَمَّارٍ الْحُسَيْنَ بْنَ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ الْفُضَيْلَ بْنَ عِيَاضٍ يَقُولُ عَالِمٌ عَامِلٌ مُعَلِّمٌ يُدْعَى كَبِيرًا فِي مَلَكُوتِ السَّمَوَاتِ ‏.‏

আবূ উমামাহ্‌ আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দু’জন লোকের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আলোচনা করা হল। তাদের একজন আবিদ (সাধক) এবং অন্যজন ‘আলিম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সাধারণ ব্যক্তির উপর আমার যতখানি মর্যাদা, ঠিক তেমনি একজন ‘আলিমের মর্যাদা একজন ‘আবিদের উপর। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌, তাঁর ফেরেশতাগণ এবং আসমান-যামীনের অধিবাসীরা, এমনকি গর্তের পিঁপড়া এবং পানির মাছ পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্য দু’আ করে যে মানুষকে কল্যাণকর জ্ঞান শিক্ষা দেয়। -
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (২১৩), তা’লীকুর রাগীব (১/৬০)। - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ । আমি আবূ ‘আম্মার আল-হুসাইন ইবনু হুরাইসকে বলতে শুনেছি, আমি ফুযাইল ইবনু ‘ইয়াযকে বলতে শুনেছি, কর্মতৎপর একজন জ্ঞানবান শিক্ষককে ঊর্ধ্বজগতে মহান বলে আখ্যায়িত করা হয় ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

২৬৮৬
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ الشَّيْبَانِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَنْ يَشْبَعَ الْمُؤْمِنُ مِنْ خَيْرٍ يَسْمَعُهُ حَتَّى يَكُونَ مُنْتَهَاهُ الْجَنَّةُ ‏”‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মু’মিন ব্যক্তি কখনো কল্যাণকর কথা শুনে জান্নাতে না যাওয়া পর্যন্ত তৃপ্তি পাবে না। -
যঈফ, মিশকাত (২১৬) - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

২৬৮৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْوَلِيدِ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْكَلِمَةُ الْحِكْمَةُ ضَالَّةُ الْمُؤْمِنِ فَحَيْثُ وَجَدَهَا فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ الْفَضْلِ الْمَدَنِيُّ الْمَخْزُومِيُّ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা মু’মিনের হারানো ধন। সুতরাং সে যেখানেই তা পাবে, সে-ই হবে তার অধিকারী। -
অত্যন্ত দূর্বল , মিশকাত (২১৬) - -
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদিস প্রসঙ্গে জেনেছি। ইবরাহীম ইবনুল ফাযল আল- মাখযূমী হাদিসশাস্ত্রে দূর্বল।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]