সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা ঈমান অধ্যায় তৃতীয় ভাগ হাদিস নং ২৩০ – ২৪৯


৫৮. অধ্যায়ঃ
অন্তর ও নাফ্‌সের কুচিন্তাসমূহের গুনাহ ক্ষমা করা হবে যদি তা অন্তর ও নাফ্‌সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে

২৩০
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، – وَاللَّفْظُ لِسَعِيدٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ يَتَكَلَّمُوا أَوْ يَعْمَلُوا بِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কথা বা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মাতের জন্য তাদের মনে কল্পনাগুলোকে মাফ করে দিয়েছেন। (ই.ফা. ২৩১; ই.সে. ২৩৯)  সরাসরি

২৩১
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَعَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، كُلُّهُمْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي عَمَّا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ بِهِ ‏”‏ ‏.‏



وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، وَهِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ شَيْبَانَ، جَمِيعًا عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মাতের জন্য কথা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত তাদের মনের কল্পনাগুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন।

যুহায়র ইবনু হার্‌ব, ইসহাক্‌ ইবনু মানসূর (রহঃ) … কাতাদাহ (রহঃ)-এর সূত্রেও হাদীসটি অনুরূপভাবে বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ২৩২, ২৩৩; ই.সে. ২৪০-২৪১)
৫৯. অধ্যায়ঃ
বান্দা যখন সৎকর্মের নিয়্যাত করে তখন সেটার (সাওয়াব) লিপিবদ্ধ করা হয়, আর যখন কোন পাপকাজের নিয়্যাত করে তা লিপিবদ্ধ করা হয় না (যতক্ষণ না তা কাজে পরিণত করে)

২৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا – ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا هَمَّ عَبْدِي بِسَيِّئَةٍ فَلاَ تَكْتُبُوهَا عَلَيْهِ فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا سَيِّئَةً وَإِذَا هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا فَاكْتُبُوهَا حَسَنَةً فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا عَشْرًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা (ফেরেশতাদেরকে) বলেন, আমার বান্দা কোন পাপ কর্মের কথা ভাবলেই তা লিখবে না বরং সে যদি তা করে তবে একটি পাপ লিখবে। আর যদি সে কোন নেক কাজের নিয়্যাত করে কিন্তু সে যদি তা না করে, তাহলেও এর প্রতিদানে তার জন্য একটি সাওয়াব লিখবে। আর তা সম্পাদন করলে লিখবে দশটি সাওয়াব। (ই.ফা. ২৩৪; ই.সে. ২৪২)

২৩৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا هَمَّ عَبْدِي بِحَسَنَةٍ وَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبْتُهَا لَهُ حَسَنَةً فَإِنْ عَمِلَهَا كَتَبْتُهَا عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ وَإِذَا هَمَّ بِسَيِّئَةٍ وَلَمْ يَعْمَلْهَا لَمْ أَكْتُبْهَا عَلَيْهِ فَإِنْ عَمِلَهَا كَتَبْتُهَا سَيِّئَةً وَاحِدَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, আমার বান্দা যখন কোন ভাল কাজের নিয়্যাত করে অথচ এখনো তা করেনি, তখন আমি তার জন্য একটি সাওয়াব লিখি; আর যদি তা কাজে পরিণত করে তবে দশ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত সাওয়াব লিখি। পক্ষান্তরে যদি মন্দ কাজের নিয়্যাত করে অথচ এখনো তা কাজে পরিণত করেনি তবে এর জন্য কিছুই লিখি না। আর তা কাজে পরিণত করলে একটি মাত্র পাপ লিখি। (ই.ফা. ২৩৫; ই.সে. ২৪৩)

২৩৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا تَحَدَّثَ عَبْدِي بِأَنْ يَعْمَلَ حَسَنَةً فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ حَسَنَةً مَا لَمْ يَعْمَلْ فَإِذَا عَمِلَهَا فَأَنَا أَكْتُبُهَا بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا وَإِذَا تَحَدَّثَ بِأَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً فَأَنَا أَغْفِرُهَا لَهُ مَا لَمْ يَعْمَلْهَا فَإِذَا عَمِلَهَا فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ بِمِثْلِهَا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ قَالَتِ الْمَلاَئِكَةُ رَبِّ ذَاكَ عَبْدُكَ يُرِيدُ أَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً – وَهُوَ أَبْصَرُ بِهِ – فَقَالَ ارْقُبُوهُ فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ بِمِثْلِهَا ‏.‏ وَإِنْ تَرَكَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً – إِنَّمَا تَرَكَهَا مِنْ جَرَّاىَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا أَحْسَنَ أَحَدُكُمْ إِسْلاَمَهُ فَكُلُّ حَسَنَةٍ يَعْمَلُهَا تُكْتَبُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ وَكُلُّ سَيِّئَةٍ يَعْمَلُهَا تُكْتَبُ بِمِثْلِهَا حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ যখন আমার কোন বান্দা মনে মনে কোন ভাল কাজ করার কল্পনা করে, তখন সে কাজ না করতেই আমি তার জন্যে একটি সাওয়াব লিখে রাখি। আর যদি সে কাজটি সম্পন্ন করে তখন তার দশগুণ নেকী লিখে রাখি। আর যদি সে অন্তরে অন্তরে কোন মন্দ কাজ করার কল্পনা করে, তখন সে কাজ না করা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেই। আর যদি সে কাজটি করে ফেলে তখন একটি মাত্র গুনাহ লিখে রাখি।

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ ফেরেশতারা বলেন- হে প্রভূ! তোমার অমুক বান্দা একটি মন্দ কাজ করার ইচ্ছা করেছে অথচ তিনি স্বচক্ষে তা দেখেন, তখন তিনি তাদেরকে (ফেরেশতাদেরকে) বলেনঃ তাকে পাহারা দাও। (অর্থাৎ দেখ সে কি করে)। যদি সে এ কাজটি করে, তা হলে একটি গুনাহ লিখ। কেননা সে আমার ভয়েই তা বর্জন করেছে।

অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি তোমাদের কিউ ইসলামে নিষ্ঠাবান হয় তখন তার প্রত্যেকটি নেক কাজ যা সে করে তার জন্যে দশ থেকে সাতশ’ গুণ পরিমাণ নেকী লিখা হয় এবং প্রত্যেক মন্দ কাজের জন্য কেবলমাত্র একটি করে গুনাহ লিখা হয়। এভাবে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ হওয়া পর্যন্ত (অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত) চলতে থাকে। (ই.ফা. ২৩৬; ই.সে. ২৪৪)
২৩৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً وَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَعَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرًا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا لَمْ تُكْتَبْ وَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি নেক কাজের ইচ্ছা করে অথচ সম্পাদন করেনি, তার জন্য একটি সাওয়াব লিখা হয়। আর যে ইচ্ছা করার পর কার্যত সম্পাদন করে অনন্তর তার ক্ষেত্রে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত সাওয়াব লিখা হয়। পক্ষান্তরে যে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা করে আর তা না করে, তার কোন গুনাহ লিখা হয় না; আর তা করলে (একটি) গুনাহ লিখা হয়। (ই.ফা. ২৩৭; ই.সে. ২৪৫)  সরাসরি

২৩৬
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَرْوِي عَنْ رَبِّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ الْحَسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ ثُمَّ بَيَّنَ ذَلِكَ فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللَّهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً وَإِنْ هَمَّ بِهَا فَعَمِلَهَا كَتَبَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عِنْدَهُ عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ وَإِنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللَّهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً وَإِنْ هَمَّ بِهَا فَعَمِلَهَا كَتَبَهَا اللَّهُ سَيِّئَةً وَاحِدَةً ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা ভালো এবং মন্দ উভয়টিকে লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি কোন ভালো কাজ করার ইচ্ছা করে অথচ তা এখনও বাস্তবে পরিণত করেনি, তার জন্যে আল্লাহ নিজের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ সাওয়াব লিপিবদ্ধ করেন। আর যদি সে কোন ভালো কাজ করার ইচ্ছা করে এবং তা বাস্তবেও পরিণত করে, তখন আল্লাহ নিজের কাছে দশ থেকে সাতশ’ বা আরো অনেক গুণ বেশী সাওয়াব লিপিবদ্ধ করেন। আর যদি সে কোন মন্দ কাজ করার ইচ্ছা করে এবং তা বাস্তবে পরিণত না করে, তখন আল্লাহ নিজের কাছে একটি পরিপূর্ণ সাওয়াব লিখেন, কিন্তু যদি সে মন্দ কাজটি বাস্তবে পরিণত করে, তখন আল্লাহ তা’আলা কেবলমাত্র একটি পাপই লিপিবদ্ধ করেন। (ই.ফা. ২৩৮; ই.সে. ২৪৬)
 সরাসরি

২৩৭
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمَعْنَى حَدِيثِ عَبْدِ الْوَارِثِ ‏.‏ وَزَادَ ‏ “‏ وَمَحَاهَا اللَّهُ وَلاَ يَهْلِكُ عَلَى اللَّهِ إِلاَّ هَالِكٌ ‏”‏ ‏.‏

জা’দ আবূ ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সানাদে ‘আবদুল ওয়ারিস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেন। তবে এ হাদীসের বর্ণনাকারী নিম্নের বাক্যটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, ‘আল্লাহ উক্ত গুনাহ মাফ করে দেন’। আল্লাহর বিরুদ্ধে গিয়ে একমাত্র সে ধ্বংস হয় যার ধ্বংস অনিবার্য। (ই.ফা. ২৩৯; ই.সে. ২৪৭)
৬০. অধ্যায়ঃ
ঈমান সম্পর্কে ওয়াস্‌ওয়াসার সৃষ্টি হওয়া এবং কারো অন্তরে যদি তা সৃষ্টি হয় তবে সে কি বলবে?

২৩৮
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কিছু সহাবা তাঁর সামনে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু খটকার সৃষ্টি হয় যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটিই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াস্‌ওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়)। (ই.ফা. ২৪০; ই.সে. ২৪৮)  

২৩৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوَّابِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ رُزَيْقٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪১; ই.সে. ২৪৯)
২৪০
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ عَثَّامٍ، عَنْ سُعَيْرِ بْنِ الْخِمْسِ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْوَسْوَسَةِ قَالَ ‏ “‏ تِلْكَ مَحْضُ الإِيمَانِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ওয়াস্‌ওয়াসা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, এটাই সত্যিকারের ঈমান। (ই.ফা. ২৪২; ই.সে. ২৫০)

২৪১
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، – وَاللَّفْظُ لِهَارُونَ – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَزَالُ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يُقَالَ هَذَا خَلَقَ اللَّهُ الْخَلْقَ فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلْيَقُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মানুষের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এমন প্রশ্নেরও সৃষ্টি হয় যে, এ সৃষ্টিজগত তো আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাহলে আল্লাহকে সৃষ্টি করল কে? রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যার অন্তরে এমন প্রশ্নের উদয় হয় সে যেন বলে, ‘আমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি’। [৪৭] (ই.ফা. ২৪৩; ই.সে. ২৫১)

[৪৭] শাইতানের কুমন্ত্রণা হতে বাঁচার জন্য আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে হয়, ‘আ’উযুবিল্লাহ-হি ….. ’ পাঠ করবে এবং বলবে, (আরবী) ‘আমি আল্লাহর উপর এবং রসূলগণের উপর ঈমান এনেছি’-(মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি) । হাদীসে উল্লেখ আছে, তাহলে শাইতান নিরাশ হয়ে চলে যায়। কেননা, তার প্রতারণায় কোন ক্ষতি হলো না। যদি কারো মনে সন্দেহ আসে তবে তার আরও একটি চিকিৎসা আছে, তা হলো শাইতানকে বলবে, আল্লাহ সকলের সৃষ্টিকর্তা। তাঁর সৃষ্টিকর্তা কেউ হতে পারে না। অতএব তোমার এ ধরনের প্রশ্ন বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। (সংক্ষিপ্ত নাবাবী)
২৪২
وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْمُؤَدِّبُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُولُ مَنْ خَلَقَ السَّمَاءَ مَنْ خَلَقَ الأَرْضَ فَيَقُولُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِهِ وَزَادَ ‏”‏ وَرُسُلِهِ ‏”‏ ‏.‏

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্‌ (রহঃ) –এর সূত্রে উক্ত সানাদে থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, শাইতান তোমাদের নিকট এসে বলে, আকাশ কে সৃষ্টি করেছেন? জমিন কে সৃষ্টি করেছেন? উত্তরে সে বলে, আল্লাহ। এরপর রাবী পূর্ব হাদীসটির অনুরূপ এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি এর সঙ্গে (আরবী) শব্দটি বর্ধিত বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ২৪৪; ই.সে. ২৫২)  সরাসরি

২৪৩
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَعْقُوبَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُولُ مَنْ خَلَقَ كَذَا وَكَذَا حَتَّى يَقُولَ لَهُ مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ وَلْيَنْتَهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন : শাইতান তোমাদের কারো নিকট আসে এবং বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে, ওটা কে সৃষ্টি করেছে? পরিশেষে এ প্রশ্নও করে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? এ পর্যায়ে পৌঁছলে তোমরা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং এ ধরনের ভাবনা থেকে বিরত হও। [৪৮] (ই.ফা. ২৪৫; ই.সে. ২৫৩)

[৪৮] অর্থাৎ শাইতানের কুমন্ত্রণায় কোন ধারণা আসলে, তাকে দূর করে অন্য কাজে মনোযোগ দিবে এবং মনে করবে যে, এ শাইতানের কুমন্ত্রণা তাকে পথভ্রষ্ট করতে চায়। (নাবাবী)

২৪৪
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَأْتِي الْعَبْدَ الشَّيْطَانُ فَيَقُولُ مَنْ خَلَقَ كَذَا وَكَذَا ‏”‏ مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন : শাইতান আল্লাহর বান্দার কাছে আসে এবং কুমন্ত্রণা দিয়ে বলে; এটা কে সৃষ্টি করেছে? ….. (বাকী অংশ) পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ২৪৬; ই.সে. ২৫৪)

২৪৫
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ النَّاسُ يَسْأَلُونَكُمْ عَنِ الْعِلْمِ حَتَّى يَقُولُوا هَذَا اللَّهُ خَلَقَنَا فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِ رَجُلٍ فَقَالَ صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ قَدْ سَأَلَنِي اثْنَانِ وَهَذَا الثَّالِثُ ‏.‏ أَوْ قَالَ سَأَلَنِي وَاحِدٌ وَهَذَا الثَّانِي ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মানুষ তোমাদেরকে জ্ঞানের কথা জিজ্ঞেস করবে, এক পর্যায়ে তারা এ কথাও জিজ্ঞেস করবে, আল্লাহ তো আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তাহলে আল্লাহকে সৃষ্টি করল কে?

রাবী বলেন, তখন আবূ হুরায়রা (রাঃ) এক ব্যক্তির হাত ধরা অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যই বলেছেন। আমাদের দুই ব্যক্তি এ ধরনের প্রশ্ন করেছে, আর এ হলো তৃতীয় জন। বর্ণনাকারী বলেন, অথবা তিনি বলেছেন, আমাকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছে আর এ হলো দ্বিতীয় জন।

যুহায়র ইবনু হা্রব ও ইয়’কুব আদ্‌ দাওরাকী (রহঃ) ….. আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, মানুষ সর্বদা …..। এরপর রাবী ‘আবদুল ওয়ারিসের রিওয়ায়াতের ন্যায় বর্ণনা করেন। তবে তিনি এ সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উল্লেখ করেননি। তবে হাদীসটির শেষে ‘আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যই বলেছেন’ কথাটি সংযুক্ত করেন। (ই.ফা. ২৪৭; ই.সে. ২৫৫-২৫৬)
২৪৬
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَيَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَارِثِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الإِسْنَادِ وَلَكِنْ قَدْ قَالَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে আবূ হুরায়রা! মানুষ তোমাকে প্রশ্ন করতে থাকবে। এমন কি এ প্রশ্নও করবে, আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন; তাহলে আল্লাহকে সৃষ্টি করল কে? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, পরবর্তীকালে একদিন আমি মাসজিদে (নাবাবীতে) উপস্থিত ছিলাম। এমন সময়ে কতিপয় বেদুঈন এসে আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগল, হে আবূ হুরায়রা! এ তো আল্লাহ তা’আলা। তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবূ হুরায়রা (রাঃ) হাতে কিছু কংকর নিয়ে তাদের প্রতি তা নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, বেরিয়ে যাও, বেরিয়ে যাও, আমার বন্ধু (রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) সত্য কথাই বলে গেছেন। (ই.ফা. ২৪৮; ই.সে. ২৫৭)
২৪৭
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرُّومِيِّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، – وَهُوَ ابْنُ عَمَّارٍ – حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَزَالُونَ يَسْأَلُونَكَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ حَتَّى يَقُولُوا هَذَا اللَّهُ فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ ‏”‏ قَالَ فَبَيْنَا أَنَا فِي الْمَسْجِدِ إِذْ جَاءَنِي نَاسٌ مِنَ الأَعْرَابِ فَقَالُوا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ هَذَا اللَّهُ فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ قَالَ فَأَخَذَ حَصًى بِكَفِّهِ فَرَمَاهُمْ ثُمَّ قَالَ قُومُوا قُومُوا صَدَقَ خَلِيلِي ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন। অবশ্যই লোকেরা তোমাদেরকে সব বিষয়ে জিজ্ঞেস করবে। এমন কি তারা বলবে, আল্লাহ তো সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, তাঁকে সৃষ্টি করল কে? (ই.ফা. ২৪৯; ই.সে. ২৫৮)

২৪৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّ أُمَّتَكَ لاَ يَزَالُونَ يَقُولُونَ مَا كَذَا مَا كَذَا حَتَّى يَقُولُوا هَذَا اللَّهُ خَلَقَ الْخَلْقَ فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ আপনার উম্মাত সর্বদা এটা কে সৃষ্টি করল। এ ধরনের প্রশ্ন করতে থাকবে। এমনকি এ প্রশ্নও করবে যে, সকল সৃষ্টিই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তা হলে আল্লাহকে সৃষ্টি করল কে? (ই.ফা. ২৫০; ই.সে. ২৫৯)
 সরাসরি

২৪৯
حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الْمُخْتَارِ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ غَيْرَ أَنَّ إِسْحَاقَ لَمْ يَذْكُرْ قَالَ ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ إِنَّ أُمَّتَكَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে রাবী ইসহাক্‌ তাঁর রিওয়ায়াতে “আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, আপনার উম্মাত” ….. এ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২৫১; ই.সে. ২৬০)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]