সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা হায়েজ (ঋতুস্রাব) অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৫১৩ – ৬৫০

১০. অধ্যায়ঃ
অপবিত্রতার গোসলে কতটুকু পরিমাণ পানি ব্যবহার মুস্তাহাব, পুরুষ এবং মেয়েলোক একই অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা এবং তাদের উভয়ের মধ্যে একজনের অবশিষ্ট পানি দিয়ে অপরজনের গোসল করার বর্ণনা।

৬১৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنْ إِنَاءٍ هُوَ الْفَرَقُ مِنَ الْجَنَابَةِ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ফারাক্ (সাড়ে সাত কেজি) পরিমাণ পাত্রের পানি দিয়ে অপবিত্রতার গোসল করতেন। [৮৪] (ই.ফা. ৬১৭, ই.সে. ৬৩২)

[৮৪] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন : ওযূ এবং গোসলের জন্য পানির পরিমাণ নির্ধারিত নেই। কারণ কোন রিওয়ায়াতে গোসলের জন্য এক ফারাক (সাড়ে সাত কেজি) কোন রিওয়ায়াতের তিন মুদ। কাযী আয়ায (রহঃ) বলেন, এ রিওয়ায়াতের মুদের অর্থ ‘সা’ (আড়াই কেজি) তা হলে উভয় রিওয়ায়াতের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে। অপর এক রিওয়ায়াতে বর্ণিত হচ্ছে যে, ‘আয়িশাহ(রাঃ) এক সা পানি দ্বারা গোসল করেছেন। অপর এক রিওয়ায়াতে পাঁচ মাককুফ গোসলের জন্য আর ওযূর জন্য এক মাককুফ, এ রিওয়ায়াতে মাককুফের দ্বারা মুদ উদ্দেশ্য করা হয়েছে আর মুদের পরিমাণ ১১ ছটাক। অন্য এক রিওয়ায়াতে গোসলের জন্য ‘সা’ এবং ওযূর জন্য এক মুদের বর্ণনা করেছেন। অন্য আর এক রিওয়ায়াতে ওযূর জন্য এক মুদ এবং গোসলের জন্য এক সা থেকে পাঁচ মুদ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। সুতরাং ইমাম শাফিঈ এবং অন্যান উলামায়ি কিরাম বলেন, রিওয়ায়াতেরর এ মতপার্থক্যের দ্বারা বুঝা যায় যে, স্থান, কাল, পাত্র কিংবা অবস্থা ভেদে পানি কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে যাতে ওযূর অঙ্গসমূহ এবং গোসলের জন্য শরীরের কোন স্থানে শুকনা না থাকে ভালভাবে ভিজে যায় বরং একটি পশমের গোড়াও যেন শুকনা না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা সমীচীন নয়। এমন কি নদীর কিনারায় বসে ওযূ কিংবা গোসল করলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা যাবে না। (নাবাবী)

৬১৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ فِي الْقَدَحِ وَهُوَ الْفَرَقُ وَكُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَهُوَ فِي الإِنَاءِ الْوَاحِدِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ سُفْيَانَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ ‏.‏ قَالَ قُتَيْبَةُ قَالَ سُفْيَانُ وَالْفَرَقُ ثَلاَثَةُ آصُعٍ ‏.

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ফারাক পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করতেন। অনেক সময় আমি এবং তিনি একই পাত্রে গোসল করতাম।

সুফইয়ানের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে “একই পাত্র থেকে”।

কুতাইবাহ বলেন, সুফইয়ান বলেছেন, ফারাক্ হল তিন ‘সা’ পরিমাণ। [৮৫] (ই.ফা. ৬১৮, ই.সে. ৬৩৩)

৮৫. ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন: স্বামী এবং স্ত্রীর পবিত্রতার গোসল এক সঙ্গে একই পাত্রে জায়িয। এ ব্যাপারে মুসলিমদের … ঐকমত্য হয়েছে। অনুরূপভাবে পুরুষের ব্যবহারকৃত পানি হতে উদ্ধৃত পানি দ্বারা মহিলাদের গোসল জায়িয। এ বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে। উক্ত মহিলার ব্যবহারকৃত পানি হতে উদ্ধৃত পানি দ্বারা পুরুষের জন্য পবিত্রতা অর্জন করা সম্পর্কে কিছুটা মতানৈক্য থাকলেও সহীহ হাদীসের দ্বারা জায়িয প্রমানিত হয়েছে, তবে মহিলাদেরকে একটু সতর্কতার সাথে পানি ব্যবহার করা উচিত যাতে শরীরের ব্যবহারকৃত পানি পুনরায় পাত্রে পতিত না হয় কেননা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়া পানি ব্যবহার জায়িয নয়। (নাবাবী)

৬১৫
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ أَنَا وَأَخُوهَا، مِنَ الرَّضَاعَةِ فَسَأَلَهَا عَنْ غُسْلِ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم مِنَ الْجَنَابَةِ فَدَعَتْ بِإِنَاءٍ قَدْرِ الصَّاعِ فَاغْتَسَلَتْ وَبَيْنَنَا وَبَيْنَهَا سِتْرٌ وَأَفْرَغَتْ عَلَى رَأْسِهَا ثَلاَثًا ‏.‏ قَالَ وَكَانَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذْنَ مِنْ رُءُوسِهِنَّ حَتَّى تَكُونَ كَالْوَفْرَةِ ‏.

আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং ‘আয়িশাহ(রাঃ) এর দুধ ভাই একবার তাঁর কাছে গেলাম। অতঃপর তাঁর দুধ ভাই তাঁকে রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি একটি পাত্র আনালেন যা ছিল এক ‘সা’ পরিমাণ। তারপর তিনি গোসল করলেন। আমাদের এবং তাঁর মধ্যে পর্দা ছিল। তিনি তাঁর মাথায় তিনবার পানি ঢাললেন। আবূ সালামা বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রীগণ মাথার চুল কেটে রাখতেন তা ওয়াফরা-এর ন্যায় হয়ে যেত (ঘার বরাবর লম্বা চুলই ওয়াফরা)। [৮৬] (ই.ফা. ৬১৯, ই.সে. ৬৩৪)

[৮৬] (ওয়াফরা) ঐ চুলকে বলা হয় যা কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকে। কাযী আয়ায বলেন, আরবের মেয়েরা মাথার চুল বেনী গেঁথে রাখতো। সুতরাং রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রীগণ তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মৃত্যুর পর সম্ভবত এরূপ করতেন সৌন্দর্য বর্জন করার জন্য। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, কাযী আয়াযের মতো অন্যান্য উলামায়ে কিরামও বলেছেন। রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবদ্দশায় তাঁরা এরূপ করেছেন বলে ধারণা করা যায় না।

৬১৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ بَدَأَ بِيَمِينِهِ فَصَبَّ عَلَيْهَا مِنَ الْمَاءِ فَغَسَلَهَا ثُمَّ صَبَّ الْمَاءَ عَلَى الأَذَى الَّذِي بِهِ بِيَمِينِهِ وَغَسَلَ عَنْهُ بِشِمَالِهِ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْ ذَلِكَ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ وَنَحْنُ جُنُبَانِ ‏.

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন গোসল করতেন তখন ডানদিক থেকে শুরু করতেন। তিনি প্রথমেই ডান হাতে পানি ঢেলে তা ধুয়ে ফেলতেন। তারপর ডান হাত দিয়ে শরীরের যেখানে নাপাকী থাকত সেখানে পানি ঢেলে দিতেন এবং বাম হাত দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতেন। এটা শেষ করে তিনি মাথায় পানি ঢালতেন।

‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি এবং রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয়েই অপবিত্র অবস্থায় একই পাত্র থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। (ই.ফা. ৬২০, ই.সে. ৬৩৫)

৬১৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، – وَكَانَتْ تَحْتَ الْمُنْذِرِ بْنِ الزُّبَيْرِ – أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهَا أَنَّهَا، كَانَتْ تَغْتَسِلُ هِيَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ يَسَعُ ثَلاَثَةَ أَمْدَادٍ أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ ‏.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, তিনি এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে গোসল করতেন যাতে তিন মুদ্‌ বা তার সম পরিমান পানি ধরত। (ই.ফা. ৬২১, ই.সে. ৬৩৬)

৬১৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ تَخْتَلِفُ أَيْدِينَا فِيهِ مِنَ الْجَنَابَةِ ‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। আমাদের দুজনের হাত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তাতে লাগত। এ গোসল ছিল অপবিত্রতা থেকে। (ই.ফা. ৬২২, ই.সে. ৬৩৮)

৬১৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ – بَيْنِي وَبَيْنَهُ – وَاحِدٍ فَيُبَادِرُنِي حَتَّى أَقُولَ دَعْ لِي دَعْ لِي ‏.‏ قَالَتْ وَهُمَا جُنُبَانِ ‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে গোসল করতাম যা আমার এবং তাঁর মাঝখানে থাকত। তিনি আমার থেকে আগে তাড়াতাড়ি করে ফেলতেন। তখন আমি বলতাম, আমার জন্য একটু রেখে দিন, আমার জন্য একটু রেখে দিন। তিনি [‘আয়িশাহহ (রাঃ)] বলেন যে তারা উভয়েই অপবিত্র ছিলেন। (ই.ফা. ৬২৩, ই.সে. ৬৩৭)

৬২০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي مَيْمُونَةُ، أَنَّهَا كَانَتْ تَغْتَسِلُ هِيَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাইমুনাহ্‌ (রাঃ) আমাকে বলেন যে, তিনি ও রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রে গোসল করতেন। (ই.ফা. ৬২৪, ই.সে. ৬৩৯)

৬২১
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ أَكْبَرُ عِلْمِي وَالَّذِي يَخْطُرُ عَلَى بَالِي أَنَّ أَبَا الشَّعْثَاءِ أَخْبَرَنِي أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ بِفَضْلِ مَيْمُونَةَ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাইমুনাহ্‌ (রাঃ) এর উদ্বৃত্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন। (ই.ফা. ৬২৫, ই.সে. ৬৪০)

৬২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ، كَانَتْ هِيَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلاَنِ فِي الإِنَاءِ الْوَاحِدِ مِنَ الْجَنَابَةِ ‏.

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তিনি এবং রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রে অপবিত্রতার গোসল করতেন।(ই.ফা. ৬২৬, ই.সে. ৬৪১)

৬২৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ بِخَمْسِ مَكَاكِيكَ وَيَتَوَضَّأُ بِمَكُّوكٍ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى بِخَمْسِ مَكَاكِيَّ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ مُعَاذٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنَ جَبْرٍ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ মাক্‌কুক পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং এক মাক্‌কুক পানি দিয়ে ওযূ করতেন। আর ইবনু আল মুসান্না বলেছেন: পাঁচ মাক্‌কুক দিয়ে গোসল করতেন এবং বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনু মু’আয ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি ‘ইবনু জাব্‌র’ শব্দটি উল্লেখ করেননি। (মাক্‌কুক ও মুদ্‌ পৌনে এগার ছটাক পরিমাণ এবং এক সা’ দু’সের এগার ছটাক পরিমাণ।) (ই.ফা. ৬২৭, ই.সে. ৬৪২)

৬২৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنِ ابْنِ جَبْرٍ، عَنْ أَنَسِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মুদ্‌ পানি দিয়ে ওযূ করতেন এবং এক সা’ থেকে পাঁচ মুদ্‌ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন। (ই.ফা. ৬২৮, ই.সে. ৬৪৩)

৬২৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ، – قَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – حَدَّثَنَا أَبُو رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُغَسِّلُهُ الصَّاعُ مِنَ الْمَاءِ مِنَ الْجَنَابَةِ وَيُوَضِّؤُهُ الْمُدُّ ‏.

সাফীনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সা’ পানিতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অপবিত্রতার গোসল সম্পন্ন হয়ে যেত এবং এক মুদ্‌ পানিতে ওযূ হয়ে যেত। (ই.ফা. ৬২৯, ই.সে. ৬৪৪)

৬২৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ – صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَطَهَّرُ بِالْمُدِّ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ حُجْرٍ أَوْ قَالَ وَيُطَهِّرُهُ الْمُدُّ ‏.‏ وَقَالَ وَقَدْ كَانَ كَبِرَ وَمَا كُنْتُ أَثِقُ بِحَدِيثِهِ ‏.

সাফীনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবা আবূ বকর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সা’ পানি দিয়ে গোসল এবং এক মুদ্‌ পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন (ওযূ)করতেন। আর ইবনু হুজ্‌র তাঁর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে বা তিনি বলেছেন, এক মুদ্‌ পানি তাঁকে অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করতেন। তিনি (আবূ রাইহানাহ্‌) বলেন, সাফীনাহ্‌ অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমি তাঁর বর্ণিত হাদীসের উপর নির্ভর করতে পারি না। (ই.ফা. ৬৩০, ই.সে. ৬৪৫)

১১. অধ্যায়ঃ
মাথা এবং কতিপয় অঙ্গে (গোসলের সময়) তিনবার পানি ঢেলে দেয়া মুস্তাহাব

৬২৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ تَمَارَوْا فِي الْغُسْلِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أَغْسِلُ رَأْسِي كَذَا وَكَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُفِيضُ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثَ أَكُفٍّ ‏”‏ ‏.

জুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মুখে লোকেরা গোসল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করল। কেউ কেউ বলল, আমি তো এ পরিমাণ পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে থাকি। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তো আমার মাথায় তিন কোষ পানি ঢেলে থাকি। [৮৭] (ই.ফা. ৬৩১, ই.সে. ৬৪৬)

[৮৭] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, পবিত্রতার গোসলের সময় মাথায় তিনবার পানি ঢেলে দেয়া মুস্তাহাব। যেমন ওযূর অঙ্গসমূহ তিনবার করে ধৌত করা মুস্তাহাব।)

৬২৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ذُكِرَ عِنْدَهُ الْغُسْلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فَقَالَ ‏ “‏ أَمَّا أَنَا فَأُفْرِغُ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثًا ‏”‏ ‏.

জুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে একবার অপবিত্রতা থেকে গোসলের আলোচনা করা হলে তিনি বললেন, আমি তো আমার মাথায় তিন বার পানি ঢেলে দেই। (ই.ফা. ৬৩২, ই.সে. ৬৪৭)

৬২৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ وَفْدَ، ثَقِيفٍ سَأَلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِنَّ أَرْضَنَا أَرْضٌ بَارِدَةٌ فَكَيْفَ بِالْغُسْلِ فَقَالَ ‏ “‏ أَمَّا أَنَا فَأُفْرِغُ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ سَالِمٍ فِي رِوَايَتِهِ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ وَقَالَ إِنَّ وَفْدَ ثَقِيفٍ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(তিনি বলেছেন) সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দল এসে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলঃ আমাদের এলাকাটি অত্যন্ত শীতপ্রধান, সেখানে আমরা (অপবিত্রতার) গোসল কীভাবে করব? তিনি বললেন, আমি তো আমার মাথায় তিন বার পানি ঢেলে থাকি।

ইবনু সালিম হুশায়ম ও আবূ বিশর্‌ এর মাধ্যমে তাঁর বর্ণিত হাদীসে বলেছেন, সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দল এসে ‘হে আল্লাহর রাসুল’ বলে সম্বোধন করেছিল। (ই.ফা. ৬৩৩, ই.সে. ৬৪৮)

৬৩০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي الثَّقَفِيَّ – حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنْ جَنَابَةٍ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ حَفَنَاتٍ مِنْ مَاءٍ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ إِنَّ شَعْرِي كَثِيرٌ ‏.‏ قَالَ جَابِرٌ فَقُلْتُ لَهُ يَا ابْنَ أَخِي كَانَ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرَ مِنْ شَعْرِكَ وَأَطْيَبَ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(তিনি বলেছেন) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্রতার গোসল করার সময় মাথায় তিন আঁজলা পানি ঢালতেন। হাসান ইবনু মুহাম্মাদ তাঁকে (জাবিরকে) বললেন, আমার মাথায় তো চুল অনেক (কাজেই এটুকু পানি তো আমার জন্য যথেষ্ট নয়) জবাবে জাবির বললেন, ভাতিজা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাথায় চুল তোমার চেয়ে অনেক বেশি এবং উত্তম ও পরিচ্ছন্ন ছিল। (ই.ফা. ৬৩৪, ই.সে. ৬৪৯)

১২. অধ্যায়ঃ
গোসলকারিনীর (অপবিত্রতার) মাথার বেনীর হুকুম

৬৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أَشُدُّ ضَفْرَ رَأْسِي فَأَنْقُضُهُ لِغُسْلِ الْجَنَابَةِ قَالَ ‏ “‏ لاَ إِنَّمَا يَكْفِيكِ أَنْ تَحْثِي عَلَى رَأْسِكِ ثَلاَثَ حَثَيَاتٍ ثُمَّ تُفِيضِينَ عَلَيْكِ الْمَاءَ فَتَطْهُرِينَ ‏”‏ ‏.

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো মাথায় চুলের বেনী গেঁথে থাকি। সুতরাং অপবিত্রতার গোসলের সময় কি আমি তা খুলব? তিনি বললেন, না। বরং তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, তুমি মাথার ওপর তিন আঁজলা পানি ঢেলে দিবে। অতঃপর সারা শরীরে পানি ঢেলে দিয়ে পবিত্র হয়ে যাবে। [৮৮] (ই.ফা. ৬৩৫, ই.সে. ৬৫০)

[৮৮] উম্মু সালামাহ্‌ ও ‘আয়িশাহ(রাঃ) বর্ণিত হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে, মহিলাদের পবিত্রতার গোসলের সময় মাথার চুলের বেনী খোলা জরুরি নয়

৬৩২
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، فِي هَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ فَأَنْقُضُهُ لِلْحَيْضَةِ وَالْجَنَابَةِ فَقَالَ ‏ “‏ لاَ ‏”‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ ‏.

‘আম্‌র আন্‌ নাকিদ ও ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে উক্ত হাদীসটি বর্ণিত আছে। ‘আব্‌দুর রায্‌যাকের হাদীসে রয়েছে যে, “আমি কি তা হায়িয ও অপবিত্রতা থেকে গোসলের জন্যে খুলবো? তিনি বললেন, না”।এরপর ইবনু ‘উয়াইনার (উপরোক্ত) হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৬৩৬, ই.সে. ৬৫১)

৬৩৩
وَحَدَّثَنِيهِ أَحْمَدُ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – عَنْ رَوْحِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُوسَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ أَفَأَحُلُّهُ فَأَغْسِلُهُ مِنَ الْجَنَابَةِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ الْحَيْضَةَ ‏.

আহমাদ ইবনু সা’ঈদ আদ্‌ দারিমী (রহঃ) এর সূত্রে আইয়ূব ইবনু মূসা (রাঃ) হতে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

সেখানে উল্লেখ আছে যে, “আমি কি তা খুলে অপবিত্রতা থেকে গোসল করব?” সেখানে তিনি হায়িযের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৩৭, ই.সে. ৬৫২)

৬৩৪
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ بَلَغَ عَائِشَةَ أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَأْمُرُ النِّسَاءَ إِذَا اغْتَسَلْنَ أَنْ يَنْقُضْنَ رُءُوسَهُنَّ فَقَالَتْ يَا عَجَبًا لاِبْنِ عَمْرٍو هَذَا يَأْمُرُ النِّسَاءَ إِذَا اغْتَسَلْنَ أَنْ يَنْقُضْنَ رُءُوسَهُنَّ أَفَلاَ يَأْمُرُهُنَّ أَنْ يَحْلِقْنَ رُءُوسَهُنَّ لَقَدْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ وَلاَ أَزِيدُ عَلَى أَنْ أُفْرِغَ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثَ إِفْرَاغَاتٍ ‏.

‘উবায়দ ইবনু ‘উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, ‘আয়িশাহ(রাঃ) এর নিকটে খবর পৌঁছিল যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র স্ত্রীলোকদেরকে গোসলের সময় তাদের মাথার চুল (বেনী) খোলার আদেশ দিয়ে থাকেন। এ কথা জানার পর ‘আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, আশ্চর্য লাগে ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) এর মত লোক মেয়েদেরকে গোসলের সময় মাথার চুল খোলার আদেশ করেন। তাহলে তো তিনি তাদেরকে মাথার চুল মুড়ে ফেলার আদেশ দিতে পারেন। অথচ আমি এবং রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সাথে একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে অপবিত্রতার গোসল করেছি। এ সময় আমি আমার মাথায় তিন কোষ (দুই হাতের তালুর) অধিক পানি ঢালিনি। (ই.ফা. ৬৩৮, ই.সে. ৬৫৩)

১৩. অধ্যায়ঃ
হায়িয থেকে গোসলকারিনীর জন্যে রক্তের স্থানে (লজ্জাস্থানে) সুগন্ধযুক্ত কাপড়ের টুকরা বা তুলা ব্যবহার করা মুস্তাহাব

৬৩৫
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنْ مَنْصُورٍ ابْنِ صَفِيَّةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ تَغْتَسِلُ مِنْ حَيْضَتِهَا قَالَ فَذَكَرَتْ أَنَّهُ عَلَّمَهَا كَيْفَ تَغْتَسِلُ ثُمَّ تَأْخُذُ فِرْصَةً مِنْ مِسْكٍ فَتَطَهَّرُ بِهَا ‏.‏ قَالَتْ كَيْفَ أَتَطَهَّرُ بِهَا قَالَ ‏ “‏ تَطَهَّرِي بِهَا ‏.‏ سُبْحَانَ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ وَاسْتَتَرَ – وَأَشَارَ لَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ بِيَدِهِ عَلَى وَجْهِهِ – قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ وَاجْتَذَبْتُهَا إِلَىَّ وَعَرَفْتُ مَا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ تَتَبَّعِي بِهَا أَثَرَ الدَّمِ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ فَقُلْتُ تَتَبَّعِي بِهَا آثَارَ الدَّمِ ‏.

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করল যে, কিভাবে সে তাঁর হায়িয থেকে গোসল করবে? হাদীসের রাবী বলেন, ‘আয়িশাহ(রাঃ) উল্লেখ করেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভদ্রমহিলাকে সে কিভাবে গোসল করবে, তা শিখিয়ে দিলেন তারপর সুগন্ধযুক্ত কাপড় বা তুলা ব্যবহার করবে এবং তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। সে বলল, এ সুগন্ধযুক্ত কাপড় দ্বারা আমি কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করব? তিনি বললেন, তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ্‌! (এত সোজা কথাও বুঝ না)। এরপর তিনি (মুখ) সরিয়ে নিলেন। (রাবী বলেন) সুফ্‌ইয়ান ইবনু ‘উয়াইনাহ্‌ নিজ মুখের উপর হাত দিয়ে আমাদেরকে ইশারা করে দেখালেন। ‘আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, আমি তাঁকে আমার দিকে টেনে আনলাম। আর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা আমি বুঝে ফেললাম। অতঃপর আমি মহিলাটিকে বললাম, তুমি তা (সুগন্ধযুক্ত কাপড় বা তুলা) রক্তের স্থানে (লজ্জাস্থানে) বুলিয়ে নিবে। ইবনু ‘উমার তাঁর বর্ণিত হাদীসে বলেছেন, তিনি বলেনঃ আমি বললাম, রক্তের স্থানে সুগন্ধযুক্ত কাপড়টি বুলিয়ে দিন। (ই.ফা. ৬৩৯, ই.সে. ৬৫৪)

৬৩৬
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ أَغْتَسِلُ عِنْدَ الطُّهْرِ فَقَالَ ‏ “‏ خُذِي فِرْصَةً مُمَسَّكَةً فَتَوَضَّئِي بِهَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ سُفْيَانَ ‏.

‘আয়িশাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক মহিলা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করল যে, আমি তুহ্‌র এর (হায়িয থেকে পবিত্রতার) সময় কিভাবে গোসল করব? তিনি বললেন, এক টুকরো সুগন্ধযুক্ত কাপড় বা তুলা নিবে তারপর তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। এরপর সুফ্‌ইয়ানের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৬৪০, ই.সে. ৬৫৫)

৬৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ، تُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَسْمَاءَ، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ غُسْلِ الْمَحِيضِ فَقَالَ ‏”‏ تَأْخُذُ إِحْدَاكُنَّ مَاءَهَا وَسِدْرَتَهَا فَتَطَهَّرُ فَتُحْسِنُ الطُّهُورَ ثُمَّ تَصُبُّ عَلَى رَأْسِهَا فَتَدْلُكُهُ دَلْكًا شَدِيدًا حَتَّى تَبْلُغَ شُئُونَ رَأْسِهَا ثُمَّ تَصُبُّ عَلَيْهَا الْمَاءَ ‏.‏ ثُمَّ تَأْخُذُ فِرْصَةً مُمَسَّكَةً فَتَطَهَّرُ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ أَسْمَاءُ وَكَيْفَ تَطَهَّرُ بِهَا فَقَالَ ‏”‏ سُبْحَانَ اللَّهِ تَطَهَّرِينَ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ كَأَنَّهَا تُخْفِي ذَلِكَ تَتَبَّعِينَ أَثَرَ الدَّمِ ‏.‏ وَسَأَلَتْهُ عَنْ غُسْلِ الْجَنَابَةِ فَقَالَ ‏”‏ تَأْخُذُ مَاءً فَتَطَهَّرُ فَتُحْسِنُ الطُّهُورَ – أَوْ تُبْلِغُ الطُّهُورَ – ثُمَّ تَصُبُّ عَلَى رَأْسِهَا فَتَدْلُكُهُ حَتَّى تَبْلُغَ شُئُونَ رَأْسِهَا ثُمَّ تُفِيضُ عَلَيْهَا الْمَاءَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ نِعْمَ النِّسَاءُ نِسَاءُ الأَنْصَارِ لَمْ يَكُنْ يَمْنَعُهُنَّ الْحَيَاءُ أَنْ يَتَفَقَّهْنَ فِي الدِّينِ ‏.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আসমা (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কাছে হায়িযের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, তোমাদের কেউ পানি এবং বরইয়ের পাতা নিয়ে সুন্দর ভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে দিয়ে ভালভাবে নাড়াচড়া করবে যাতে পানি সমস্ত চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তারপর তার উপর পানি ঢেলে দিবে। তারপর সুগন্ধযুক্ত কাপড় নিয়ে তার দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। আসমা বলল, তা দিয়ে সে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে। অতঃপর ‘আয়িশা (রাঃ) তাকে যেন চুপি চুপি বলে দিলেন, রক্ত বের হবার জায়গায় তা বুলিয়ে দিবে। সে অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, পানি নিয়ে তার দ্বারা সুন্দরভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে। তার মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ভাল করে নাড়াচড়া করবে যাতে চুলের গোঁড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে দিবে। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, আনসারদের মহিলারা কত ভাল ! লজ্জা তাদেরকে দীন-এর জ্ঞান থেকে ফিরিয়ে রাখে না। (ই.ফা. ৬৪১, ই.সে. ৬৫৬)

৬৩৮
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَقَالَ قَالَ ‏ “‏ سُبْحَانَ اللَّهِ تَطَهَّرِي بِهَا ‏”‏ ‏.‏ وَاسْتَتَرَ ‏.‏

শু’বাহ্‌ থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! তা দ্বারা পবিত্রতা লাভ করবে। অতঃপর তিনি আড়াল করলেন। (ই.ফা. ৬৪২, ই.সে. ৬৫৭)

৬৩৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ شَكَلٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَغْتَسِلُ إِحْدَانَا إِذَا طَهُرَتْ مِنَ الْحَيْضِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ ‏.

‘আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আসমা বিনতু শাকাল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমাদের কেউ যখন হায়িয থেকে পবিত্র হবে তখন সে কিভাবে গোসল করবে? এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীসটির মধ্যে অপবিত্রতার গোসলের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৪৩, ই.সে. ৬৫৮)

১৪. অধ্যায়ঃ
ইসতিহাযাহ [৮৯] বা রক্তপ্রদর রোগগ্রস্ত মহিলার গোসল ও তার সলাত প্রসঙ্গ

[৮৯] ইসতিহাযাহ্‌ বলা হয় ঐ রক্তকে যা হায়িয ও নিফাসের নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত মহিলাদের লজ্জাস্থান দিয়ে রক্ত বের হয় । এ রক্ত একটি রগ থেকে বের হয়ে থাকে যাকে আদিল বলা হয় । আর হায়িযের রক্ত জরায়ুর ভিতর থেকে বের হয় । ইসতিহাযার রক্ত সাধারনত লাল কিংবা হলদে অথবা মেটে রং হয় এবং হায়িযের রক্ত স্বভাবত কালচে রং হয় । সুতরাং রক্তের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখলে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় ।

ইসতিহাযাহ রোগাক্রান্ত মহিলা সুস্থ মহিলার মত সলাত, সওম, ই’তিকাফ, কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত সহ যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী করতে পারবে । তবে প্রত্যেক ওয়াক্তের সলাতে প্রারম্ভে ওযূ করে নিবে । আর যখন সলাত আদায় করার নিয়্যাত করবে তখন লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে এবং উক্তস্থানে এক টুকরো কাপড়, তুলা লাগিয়ে রাখবে । (নাবাবী)

৬৪০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ ‏ “‏ لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي ‏”‏ ‏.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ফাতিমাহ্‌ বিনতু আবূ হুরায়শ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসুল! আমি একজন ইসতিহাযাহ্‌ বা রক্তপ্রদর রোগগ্রস্ত নারী। কখনো এ রোগ থেকে মুক্ত হই না। তাই আমি এ সলাত আদায় করা কি ছেড়ে দিব? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ না , তুমি সলাত আদায় ছাড়বেনা। কেননা, এ হায়িয না বরং একটি শিরা নিঃসৃত রক্ত। তাই যখন হায়িয দেখা দিবে তখন শুধু সলাত আদায় করবেনা। আর যখন হায়িয ভাল হয়ে যাবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলে গোসল করে পবিত্র হয়ে সলাত আদায় করবে। (ই.ফা. ৬৪৪, ই.সে. ৬৫৯)

[৮৯] ইসতিহাযাহ্‌ বলা হয় ঐ রক্তকে যা হায়িয ও নিফাসের নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত মহিলাদের লজ্জাস্থান দিয়ে রক্ত বের হয় । এ রক্ত একটি রগ থেকে বের হয়ে থাকে যাকে আদিল বলা হয় । আর হায়িযের রক্ত জরায়ুর ভিতর থেকে বের হয় । ইসতিহাযার রক্ত সাধারনত লাল কিংবা হলদে অথবা মেটে রং হয় এবং হায়িযের রক্ত স্বভাবত কালচে রং হয় । সুতরাং রক্তের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখলে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় ।

ইসতিহাযাহ রোগাক্রান্ত মহিলা সুস্থ মহিলার মত সলাত, সওম, ই’তিকাফ, কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত সহ যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী করতে পারবে । তবে প্রত্যেক ওয়াক্তের সলাতে প্রারম্ভে ওযূ করে নিবে । আর যখন সলাত আদায় করার নিয়্যাত করবে তখন লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে এবং উক্তস্থানে এক টুকরো কাপড়, তুলা লাগিয়ে রাখবে । (নাবাবী)

৬৪১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِمِثْلِ حَدِيثِ وَكِيعٍ وَإِسْنَادِهِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ قُتَيْبَةَ عَنْ جَرِيرٍ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَسَدٍ وَهِيَ امْرَأَةٌ مِنَّا ‏.‏ قَالَ وَفِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ زِيَادَةُ حَرْفٍ تَرَكْنَا ذِكْرَهُ ‏.

জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ফাতিমাহ্‌ বিনতু আবূ হুবায়শ ইবনু ‘আব্দুল মুত্তালিব ইবনু আসাদ যিনি আমাদের বংশের একজন মহিলা ছিলেন- রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলেন। আর হাম্মাদ ইবনু যায়দ-এর হাদীসে একতা অক্ষর অতিরিক্ত ছিল, আমরা তা উল্লেখ করিনি।

(ই.ফা. ৬৪৫, ই.সে. ৬৬০)

৬৪২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ اسْتَفْتَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي أُسْتَحَاضُ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ صَلِّي ‏”‏ ‏.‏ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ ‏.‏ قَالَ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَلَكِنَّهُ شَىْءٌ فَعَلَتْهُ هِيَ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ ابْنَةُ جَحْشٍ وَلَمْ يَذْكُرْ أُمَّ حَبِيبَةَ ‏.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ্‌ বিনতু জাহ্‌শ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে মাসআলা জানতে চেয়ে বলল, আমার ইসতিহাযাহ্‌ হয়েছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ওটা হল একতা রগের (ধমনী) রক্ত। তাই তুমি গোসল করে ফেলবে তারপর সলাত আদায় করবে। এরপর সে প্রতি সলাতের সময়ই গোসল করত। রাবী লায়স ইবনু সা’দ বলেন, ইবনু শিহাব এ কথা উল্লেখ করেননি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু হাবীবাহ্‌কে প্রত্যেক সলাতের সময়ই গোসলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বরং এটা সে নিজের থেকেই করত। ইবনু রুম্‌হ তার বর্ণনায় জাহ্‌শের কন্যার কথা বলেছেন, উম্মু হাবীবার নাম উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৪৬, ই.সে. ৬৬১)

৬৪৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ – خَتَنَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ – اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ فَاسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنَّ هَذَا عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ فِي مِرْكَنٍ فِي حُجْرَةِ أُخْتِهَا زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حَتَّى تَعْلُوَ حُمْرَةُ الدَّمِ الْمَاءَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَحَدَّثْتُ بِذَلِكَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَقَالَ يَرْحَمُ اللَّهُ هِنْدًا لَوْ سَمِعَتْ بِهَذِهِ الْفُتْيَا وَاللَّهِ إِنْ كَانَتْ لَتَبْكِي لأَنَّهَا كَانَتْ لاَ تُصَلِّي ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শ্যালিকা এবং আব্দুর রহমান ইবনু ‘আওফ-এর স্ত্রী হাবীবাহ্‌ বিনতু জাহা্‌শ সাত বছর যাবৎ ইসতিহাযার রোগী ছিলেন। তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এ ব্যাপারে মাসআলা জানতে চাইলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটা হায়িয নয়; বরং ধমনীর (রগের) রক্ত। তাই তুমি গোসল করে ফেল এবং সলাত আদায় কর।

‘আয়িশাহহ্‌ (রাঃ) বলেন, এরপর তিনি তার বোন যায়নাব বিনতু জাহ্‌শ-এর ঘরে একটি পাত্রের মধ্যে বসে গোসল করতেন। এমনকি পানি রক্তে লাল হয়ে যেত।

ইবনু শিহাব বলেন, আমি এই হাদীসটি আবূ বাক্‌র ইবনু ‘আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশাম-এর কাছের বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’য়ালা হিন্‌দের ওপর রহমাত করুন। সে যদি এ ফাতাওয়ার (মাসআলাহ্‌) শুনতে পেত! আল্লাহর কসম! সে শুধু কাঁদত। কারন সে সলাত আদায় করতনা (এ মাসআলা তার জানা ছিলনা। ফলে সলাত আদায় করতে না পারার কারণে কাঁদত)। (ই.ফা. ৬৪৭, ই.সে. ৬৬২)

৬৪৪
وَحَدَّثَنِي أَبُو عِمْرَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتِ اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ إِلَى قَوْلِهِ تَعْلُوَ حُمْرَةُ الدَّمِ الْمَاءَ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.

আয়িশাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ্‌ বিনতু জাহ্‌শ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলো। আর সাত বৎসর ধরে তার ইসতিহাযাহ্‌ চলছিল। এরপর রাবী আবূ ‘ইমরান ‘আম্‌র ইবনুল হারিসের অনুরূপ “এমনকি পানি রক্তে লাল হয়ে যেত” পর্যন্ত বর্ণনা করেন এর পরবর্তী অংশ তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৪৮, ই.সে. ৬৬৩)

৬৪৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ ابْنَةَ جَحْشٍ، كَانَتْ تُسْتَحَاضُ سَبْعَ سِنِينَ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ

‘আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাহ্‌শ-এর কন্যার সাত বৎসর যাবত ইসতিহাযাহ্‌ ছিল। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। (ই.ফা. ৬৪৯, ই.সে. ৬৬৪)

৬৪৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيِبٍ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدَّمِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ رَأَيْتُ مِرْكَنَهَا مَلآنَ دَمًا فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ امْكُثِي قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحْبِسُكِ حَيْضَتُكِ ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ‏”‏ ‏.

‘আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ্‌ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। এরপর ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি তার পাত্র দেখেছি রক্তে পরিপূর্ণ। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তোমার হায়িয যে কয়দিন হয়, সে কয়দিন পরিমাণ তুমি অপেক্ষা কর। তারপর গোসল করে ফেল এবং সলাত আদায় কর। (ই.ফা. ৬৫০, ই.সে. ৬৬৫)

৬৪৭
حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ قُرَيْشٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ الَّتِي كَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ شَكَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الدَّمَ فَقَالَ لَهَا ‏ “‏ امْكُثِي قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحْبِسُكِ حَيْضَتُكِ ثُمَّ اغْتَسِلِي ‏”‏ ‏.‏ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, ‘আব্দুর রহমান ইবনু ‘আওফ-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ্‌ বিনতু জাহ্‌শ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তার রক্ত প্রদরের অসুবিধার কথা বলল। তিনি তাকে বললেনঃ তুমি তোমার মাসিক ঋতুর মেয়াদ পরিমাণ অপেক্ষা কর (অর্থাৎ) এ সময়ে সলাত আদায় করবেনা। এ সময় পার হলে তুমি গোসল করবে এবং সলাত আদায় করবে। তাই তিনি প্রতেক সলাতের সময়েই গোসল করতেন।৯০ (ই.ফা. ৬৫১, ই.সে. ৬৬৬)

[৯০] হায়য অবস্থায় সলাত মাফ এবং সওমের কাযা করতে হয় । এটা পরম করুণাময় আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ তা না হলে সলাতের কাযা করতে মহিলাদের বিশেষ কষ্ট হতো । সলাত দৈনিক পাঁচবার পড়তে হয় বিধায় বছরের বহু সলাতের কাযা করতে হতো । আর সওম বছরে একবার মাত্র । সুতরাং ৫/৭ দিন সওম কাযা করা কোন কঠিন কিছু নয় । (নাবাবী)

১৫. অধ্যায়ঃ
ঋতুবতী মহিলার উপর সওম কায়া করা জরুরী, সলাত নয়

৬৪৮
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ، ح وَحَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، عَنْ مُعَاذَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ فَقَالَتْ أَتَقْضِي إِحْدَانَا الصَّلاَةَ أَيَّامَ مَحِيضِهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ قَدْ كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ لاَ تُؤْمَرُ بِقَضَاءٍ ‏.

মু’আযাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক মহিলা ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করল, আমাদের কেউ কি তার হায়িযের দিন গুলোর সলাত কাযা করবে? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তুমি কি হারুরিয়্যাহ্‌ [৯১] (খারিজীয়া)? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে আমাদের কারো হায়িয হলে পড়ে তাকে (সলাত) কাযা করার নির্দেশ দেয়া হতো না। (ই.ফা. ৬৫২, ই.সে. ৬৬৭)

[৯১] (হরুরী) ‘হারুরা’ কুফা নগরের নিকটবর্তী একটি গ্রামের নাম । প্রথমে খারিজীরা এ গ্রামে এসে একত্রিত ছিল এ জন্য তাদেরকে হারুরী বলা হয়েছে । এ খারেজীরা সহীহ হাদীস এবং মুসলিমদের ঐক্যমতের বিরোধিতা করে বলে হায়িযা অর্থাৎ ঋতুবতী মহিলাদের সলাত কাযা করতে হবে । (নাবাবী)

৬৪৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاذَةَ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ قَدْ كُنَّ نِسَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحِضْنَ أَفَأَمَرَهُنَّ أَنْ يَجْزِينَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ تَعْنِي يَقْضِينَ ‏.

মু’আযাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, ঋতুবতী মহিলা কি সলাত কাযা করবে? ‘আয়িশাহহ (রাঃ) বললেন, তুমি কি হারুরিয়্যাহ্‌? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পত্নীগনের হায়িয হতো, তিনি কি তাদেরকে (সলাত) কাযা করার হুকুম দিয়েছেন? মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার বলেন (আরবি) সলাত কাযা করা। (ই.ফা. ৬৫৩, ই.সে. ৬৬৮)

৬৫০
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ وَلاَ تَقْضِي الصَّلاَةَ فَقَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ قُلْتُ لَسْتُ بِحَرُورِيَّةٍ وَلَكِنِّي أَسْأَلُ ‏.‏ قَالَتْ كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ ‏.

মু’আযাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, ঋতুবতী মহিলা সওম কাযা করবে এবং সলাত কাযা করবেনা এটা কেমন কথা? তুমি কি হারুরিয়্যাহ্‌? আমি বললাম, আমি হারুরিয়্যাহ্‌ নয়; বরং আমি (জানার জন্যই কেবল) জিজ্ঞেস করছি। তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] বললেন, আমাদের এরূপ হত। তখন আমাদেরকে কেবল সওম কাযা করার নির্দেশ দেয়া হত, সলাত কাযা করার নির্দেশ দেয়া হত না। (ই.ফা. ৬৫৪, ই.সে. ৬৬৯)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]