সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা মুসলিম হায়েজ (ঋতুস্রাব) অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৬৫১ – ৬৮৯


১৬. অধ্যায়ঃ
গোসল করার সময় কাপড় কিংবা অনুরূপ কিছু দিয়ে পর্দা করে নেবে

৬৫১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ، تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ ‏.‏ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ ‏.

উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাক্কাহ বিজয়ের বছর আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম। তখন আমি তাকে এ অবস্থায় পেলাম যে, তিনি গোসল করছিলেন, আর তার কন্যা ফাতিমাহ্‌ একটি কাপড় দিয়ে তাকে আড়াল করে রেখেছিল।৯২ (ই.ফা. ৬৫৫, ই.সে. ৬৭০)

[৯২] ইমাম নাবাবী(রহঃ) বলেনঃ প্রয়োজনের সময় গুপ্তাঙ্গ খোলা জায়িয, যেমন নির্জনে গোসল করার সময়, প্রসাব করার সময়, স্ত্রী সহবাসের সময় । কিন্তু লোক সম্মুখে গুপ্তাঙ্গ খোলা কখনও বৈধ নয় । অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন, নির্জনে গোসলের সময়ও লুঙ্গি পড়ে থাকা মুস্তাহাব । তাই প্রয়োজনে উলঙ্গ হয়ে গোসল করাও বৈধ আছে । (নাবাবী)

৬৫২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ حَدَّثَتْهُ أَنَّهُ، لَمَّا كَانَ عَامُ الْفَتْحِ أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِأَعْلَى مَكَّةَ ‏.‏ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى غُسْلِهِ فَسَتَرَتْ عَلَيْهِ فَاطِمَةُ ثُمَّ أَخَذَ ثَوْبَهُ فَالْتَحَفَ بِهِ ثُمَّ صَلَّى ثَمَانَ رَكَعَاتٍ سُبْحَةَ الضُّحَى ‏.

উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মক্কা বিজয়ের বছর তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলেন। তিনি তখন মাক্কার উঁচু এলাকায় অবস্থান করছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গোসল করতে গেলে ফাতিমাহ্‌ তাঁকে আড়াল করেন। এরপর তিনি নিজের কাপড় নিয়ে পরিধান করলেন। তারপর আট রাক’আত চাশতের সলাত আদায় করলেন। (ই.ফা. ৬৫৬, ই.সে. ৬৭১)

৬৫৩
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فَسَتَرَتْهُ ابْنَتُهُ فَاطِمَةُ بِثَوْبِهِ فَلَمَّا اغْتَسَلَ أَخَذَهُ فَالْتَحَفَ بِهِ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانَ سَجَدَاتٍ وَذَلِكَ ضُحًى ‏.

সা’ঈদ ইবনু আবূ হিন্‌দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অতঃপর তিনি বলেন, এরপর তাঁর কন্যা ফাতিমাহ্‌ তাঁর কাপড় দিয়ে তাঁকে আড়াল করে রেখেছিল। গোসল শেষে তিনি ঐ কাপড় নিয়ে পরিধান করলেন। তারপর দাঁড়িয়ে আট রাক’আত সলাত আদায় করলেন। আর সেটা ছিল চাশতের সময়। (ই.ফা. ৬৫৭, ই.সে. ৬৭২)

৬৫৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا مُوسَى الْقَارِئُ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً وَسَتَرْتُهُ فَاغْتَسَلَ ‏.

মাইমুনাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্যে পানি রাখলাম এবং তাঁকে আড়াল করলাম। এরপর তিনি গোসল করলেন। (ই.ফা. ৬৫৮, ই.সে. ৬৭৩)

১৭. অধ্যায়ঃ
লজ্জাস্থানের দিকে তাকানো হারাম

৬৫৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَلاَ الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَلاَ يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ وَلاَ تُفْضِي الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী(রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন পুরুষ অপর পুরুষের লজ্জাস্থানের দিকে তাকাবে না এবং কোন মহিলা অপর মহিলা লজ্জাস্থানের দিকে তাকাবে না; কোন পুরুষ অপর পুরুষের সাথে এক কাপড়ের নীচে (উলঙ্গ অবস্থায়) ঘুমাবে না এবং কোন মহিলা অপর মহিলার সাথে একই কাপড়ের নীচে ঘুমাবে না।৯৩

(ই.ফা. ৬৫৯, ই.সে. ৬৭৪)

[৯৩] “কোন পুরুষ অপর পুরুষের সাথে এক কাপড়ের নীচে ঘুমাবে না এবং কোন মহিলা অপর মহিলার সাথে একই কাপড়ের নীচে ঘুমাবে না ।” এর দ্বারা উদ্দেশ্য উভয়ের উলঙ্গ অবস্থায় যখন কোন প্রকার কাপড় থাকবে না । (নাবাবী)

৬৫৬
وَحَدَّثَنِيهِ هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالاَ – مَكَانَ عَوْرَةِ – عُرْيَةِ الرَّجُلِ وَعُرْيَةِ الْمَرْأَةِ ‏.

যাহ্‌হাক ইবনু ‘উসমান (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই (আরবি) এর স্থলে (আরবি) এর উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ- উলঙ্গ অবস্থায় পুরুষ পুরুষের দিকে এবং নারী নারীর দিকে তাকাতে পারবেনা এবং একই বিছানায় ঘুমাবে না। (ই.ফা. ৬৬০, ই.সে. ৬৭৫)

১৮. অধ্যায়ঃ
নির্জনে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়িয

৬৫৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ يَغْتَسِلُونَ عُرَاةً يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى سَوْأَةِ بَعْضٍ وَكَانَ مُوسَى – عَلَيْهِ السَّلاَمُ – يَغْتَسِلُ وَحْدَهُ فَقَالُوا وَاللَّهِ مَا يَمْنَعُ مُوسَى أَنْ يَغْتَسِلَ مَعَنَا إِلاَّ أَنَّهُ آدَرُ – قَالَ – فَذَهَبَ مَرَّةً يَغْتَسِلُ فَوَضَعَ ثَوْبَهُ عَلَى حَجَرٍ فَفَرَّ الْحَجَرُ بِثَوْبِهِ – قَالَ – فَجَمَحَ مُوسَى بِإِثْرِهِ يَقُولُ ثَوْبِي حَجَرُ ثَوْبِي حَجَرُ ‏.‏ حَتَّى نَظَرَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ إِلَى سَوْأَةِ مُوسَى قَالُوا وَاللَّهِ مَا بِمُوسَى مِنْ بَأْسٍ ‏.‏ فَقَامَ الْحَجَرُ حَتَّى نُظِرَ إِلَيْهِ – قَالَ – فَأَخَذَ ثَوْبَهُ فَطَفِقَ بِالْحَجَرِ ضَرْبًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَاللَّهِ إِنَّهُ بِالْحَجَرِ نَدَبٌ سِتَّةٌ أَوْ سَبْعَةٌ ضَرْبُ مُوسَى بِالْحَجَرِ ‏.

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করে বলেন, এগুলো আবূ হুরায়রা (রাঃ) মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি হল, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, বানী ইসরাঈলগণ উলঙ্গ হয়ে গোসল করত, একে ওপরের লজ্জাস্থানের দিকে দেখত। আর মূসা (‘আঃ) গোসল করতেন একাকী। তাই তারা বলাবলি করত, আল্লাহর কসম মূসা আমাদের সাথে গোসল করে না কারণ তার একশিরা রোগ হয়েছে। একবার তিনি গোসল করতে গিয়ে একটি পাথরের উপর তাঁর কাপড় রাখলেন। এরপর পাথরটি তাঁর কাপড় নিয়ে দৌড়াতে লাগল। রাবী বলেন, মূসা (‘আঃ) তার পিছু পিছু ছুটলেন আর বলতে লাগলেন, পাথর! আমার কাপড়, পাথর! আমার কাপড়। এমনিভাবে বনী ইসরাঈলগণ মূসা (‘আঃ)-এর লজ্জাস্থান দেখে ফেলল এবং তারা বলল, আল্লাহর কসম মুসার তো কোন খুত নেই। এরপর পাথর দাঁড়িয়ে গেল এবং তাঁকে দেখে নিল। রাবী বলেন, এরপর তিনি তাঁর কাপড় তুলে নিলেন এবং (রাগে) পাথরকে মারতে শুরু করে দিলেন।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! পাথরের ওপর মূসা (আঃ)- এর আঘাতের ছয়টি কি সাতটি চিহ্ন রয়েছে। (ই.ফা. ৬৬১, ই.সে. ৬৭৬)

১৯. অধ্যায়ঃ
লজ্জাস্থান ঢাকার ব্যাপারে বিশেষভাবে সাবধানতা অবলম্বনের বর্ণনা

৬৫৮
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَاللَّفْظُ، لَهُمَا – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، – أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَمَّا بُنِيَتِ الْكَعْبَةُ ذَهَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَعَبَّاسٌ يَنْقُلاَنِ حِجَارَةً فَقَالَ الْعَبَّاسُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اجْعَلْ إِزَارَكَ عَلَى عَاتِقِكَ مِنَ الْحِجَارَةِ ‏.‏ فَفَعَلَ فَخَرَّ إِلَى الأَرْضِ وَطَمَحَتْ عَيْنَاهُ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَامَ فَقَالَ ‏ “‏ إِزَارِي إِزَارِي ‏”‏ ‏.‏ فَشَدَّ عَلَيْهِ إِزَارَهُ ‏.‏ قَالَ ابْنُ رَافِعٍ فِي رِوَايَتِهِ عَلَى رَقَبَتِكَ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ عَلَى عَاتِقِكَ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন কা’বাহ্‌ তৈরি করা হচ্ছিল তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ‘আব্বাস (রাঃ) পাথর বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ‘আব্বাস (রাঃ) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, পাথর বহনের সুবিধার্থে তোমার লুঙ্গি কাঁধের উপর তুলে নাও। এরপর তিনি এরুপ করলেন। সাথে সাথেই তিনি (বেহুশ হয়ে) মাটিতে পড়ে গেলেন। আর তাঁর উভয় চোখ আকাশের দিকে নিবদ্ধ হল। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, আমার লুঙ্গি , আমার লুঙ্গি। এরপর তাঁর লুঙ্গি পরিয়ে দেয়া হল। ইবনু রাফি’ তার রিওয়াতে কাধের স্থলে ঘাড়ে উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৬৬২, ই.সে. ৬৭৭)

৬৫৯
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْقُلُ مَعَهُمُ الْحِجَارَةَ لِلْكَعْبَةِ وَعَلَيْهِ إِزَارُهُ فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ عَمُّهُ يَا ابْنَ أَخِي لَوْ حَلَلْتَ إِزَارَكَ فَجَعَلْتَهُ عَلَى مَنْكِبِكَ دُونَ الْحِجَارَةِ – قَالَ – فَحَلَّهُ فَجَعَلَهُ عَلَى مَنْكِبِهِ فَسَقَطَ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ – قَالَ – فَمَا رُؤِيَ بَعْدَ ذَلِكَ الْيَوْمِ عُرْيَانًا ‏.

জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সাথে কা’বাহ্‌ মেরামতের জন্যে পাথর বয়ে নিচ্ছিলেন। আর তাঁর পরনের ছিল লুঙ্গি। এরপর তাঁর চাচা ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁকে বললেন, ভাতিজা; তোমার লুঙ্গি খুলে যদি কাঁধের উপর পাথরের নীচে রেখে নিতে (তাহলে ভাল হত)। তিনি লুঙ্গি খুলে তাঁর কাঁধের উপর রাখলেন। সাথে সাথেই তিনি বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন। যাবির (রাঃ) বলেন, সেদিনের পর থেকে আর কখনো তাঁকে উলঙ্গ দেখা যায়নি। (ই.ফা. ৬৬৩, ই.সে.৬৭৮)

৬৬০
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ الأَنْصَارِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ أَقْبَلْتُ بِحَجَرٍ أَحْمِلُهُ ثَقِيلٍ وَعَلَىَّ إِزَارٌ خَفِيفٌ – قَالَ – فَانْحَلَّ إِزَارِي وَمَعِيَ الْحَجَرُ لَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ أَضَعَهُ حَتَّى بَلَغْتُ بِهِ إِلَى مَوْضِعِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ارْجِعْ إِلَى ثَوْبِكَ فَخُذْهُ وَلاَ تَمْشُوا عُرَاةً ‏”‏ ‏.

মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একটি ভারী পাথর বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আর তখন আমার পরনে ছিল একটা পাতলা লুঙ্গি। তিনি বলেন, এরপর আমার লুঙ্গি খুলে গেল। পাথরটি তখন আমার কাছে ছিল। তাই আমি লুঙ্গি তুলে নিতে পারলাম না। এমনিভাবে আমি পাথরটি যথাস্থানে নিয়ে গেলাম। এরপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমার কাপড়ের কাছে ফিরে গিয়ে তা নিয়ে এসো। আর কখনো উলঙ্গ হয়ে চলবে না। (ই.ফা. ৬৬৪, ই.সে. ৬৭৯)

২০. অধ্যায়ঃ
প্রসাবের ও পায়খানার সময় পর্দা করা

৬৬১
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ، – وَهُوَ ابْنُ مَيْمُونٍ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، مَوْلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ أَرْدَفَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ خَلْفَهُ فَأَسَرَّ إِلَىَّ حَدِيثًا لاَ أُحَدِّثُ بِهِ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ وَكَانَ أَحَبَّ مَا اسْتَتَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِحَاجَتِهِ هَدَفٌ أَوْ حَائِشُ نَخْلٍ ‏.‏ قَالَ ابْنُ أَسْمَاءَ فِي حَدِيثِهِ يَعْنِي حَائِطَ نَخْلٍ ‏.

আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, একদিন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর সাওয়ারীর পিছন দিকে বসালেন এবং আমাকে চুপে চুপে এমন একটি কথা বললেন যা আমি কাউকে কখন বলব না। তবে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সমাধা করার সময় উচু ঢিলা অথবা ঘন গাছগাছালি দ্বারা ঢাকা স্থানকে সবচেয়ে বেশী পছন্দ করতেন। ইবনু আসমা তাঁর বর্ণিত হাদীসে বলেছেন, অর্থাৎ খেজুর বাগানের আড়ালে মানাবীয় প্রয়োজন সমাধান করাটাই বেশী পছন্দ করতেন। (ই.ফা. ৬৬৫, ই.সে. ৬৮০)

২১. অধ্যায়ঃ
একমাত্র বীর্যপাত থেকে গোসল ফার্‌য করণ [৯৪]

[৯৪] কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসুখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফারয হয়।

৬৬২
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ – قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ شَرِيكٍ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي نَمِرٍ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الاِثْنَيْنِ إِلَى قُبَاءٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا فِي بَنِي سَالِمٍ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَابِ عِتْبَانَ فَصَرَخَ بِهِ فَخَرَجَ يَجُرُّ إِزَارَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَعْجَلْنَا الرَّجُلَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ عِتْبَانُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ الرَّجُلَ يُعْجَلُ عَنِ امْرَأَتِهِ وَلَمْ يُمْنِ مَاذَا عَلَيْهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ ‏”‏ ‏.

আব্দুর রহমান ইবনু আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) তাঁর পিতা আবূ সা’ঈদ আল খুদরী থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক সোমবারে আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কুবা এলাকার দিকে গেলাম। আমরা বানু সালিম গোত্রের মহল্লায় পৌঁছালে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইত্‌বান এর গেইটে দাঁড়ালেন এবং তাকে উচ্চঃস্বরে ডাকলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি পরনের লুঙ্গি হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে বের হয়ে আসলেন। এ অবস্থা দেখে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমরা কি লোকটিকে তাড়াহুড়োয় ফেলে দিলাম? তখন ‘ইতবান বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যদি কোন ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সাথে সহবাসের সময় তাড়াহুড়ো করে এবং তাতে বীর্যপাত না হয় তখন তাকে কি করতে হবে? (অর্থাৎ তাকে গোসল করতে হবে কিনা?) জবাবে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বস্তুত বীর্যপাত ঘটলেই গোসল করতে হবে। [৯৫] (ই.ফা. ৬৬৬, ই.সে. ৬৮১)

[৯৪] কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসুখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফারয হয়।

[৯৫] “বস্তুতঃ বীর্যপাত ঘটলেই গোসল করতে হবে।” এ কথার ব্যাখ্যায় ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, সহবাস করলেই গোসল ফরয হয়ে যায়। এ ব্যাপারে উম্মাতের ইজমা (ঐকমত্য) হয়েছে। সহবাস দ্বারা বীর্যপাত হোক বা না হোক শুদুমাত্র পুরুষদের যৌনাঙ্গের অগ্রভাগ মহিলার গুপাতাঙ্গে প্রবেশ করলেই গোসল করতে হবে। “বীর্যপাত ঘটলেই গোসল করতে হবে” এ হাদীস মানসুখ (রহিত) হয়েছে। অর্থাৎ ইসলামের প্রথম যুগে এ হুকুম ছিল যে, সহবাসে বীর্যপাত না ঘটলে গোসল করা অপরিহার্য নয়। কিন্তু পরবর্তীতে তা রহিত হয়ে গেছে। এ অধ্যায়ে (৮৭-৩৪৮) নম্বর হাদীসটি নাসিখ (রহিতকারী)

৬৬৩
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পানির (ধাতু বের হলে) দ্বারা (গোসল) ফারয হয়। (ই.ফা. ৬৬৭, ই.সে. ৬৮২)

৬৬৪
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَلاَءِ بْنُ الشِّخِّيرِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْسَخُ حَدِيثُهُ بَعْضُهُ بَعْضًا كَمَا يَنْسَخُ الْقُرْآنُ بَعْضُهُ بَعْضًا ‏.

আবূল ‘আলা ইবনু শিখ্‌খীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর এক হাদীস অপর হাদীসকে মানসুখ (রহিত) করে দিতে যেমনিভাবে কুরআনের এক আয়াত অপর আয়াতকে মানসুখ করে। (ই.ফা. ৬৬৮, ই.সে. ৬৮৩)

৬৬৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَخَرَجَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ فَقَالَ ‏”‏ لَعَلَّنَا أَعْجَلْنَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِذَا أُعْجِلْتَ أَوْ أَقْحَطْتَ فَلاَ غُسْلَ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ الْوُضُوءُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ بَشَّارٍ ‏”‏ إِذَا أُعْجِلْتَ أَوْ أُقْحِطْتَ ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক আনসারীর (বাড়ির) সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে সংবাদ পাঠালেন। সে বেরিয়ে এলো আর তার মাথা থেকে তখন ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সম্ভবত আমরা তোমাকে তাড়াহুড়োর মধ্যে ফেলেছি। সে বলল হ্যাঁ, ইয়া রসূলুল্লাহ্‌! তিনি বললেন, যখন (কোন কারণে) তোমাকে তাড়াতাড়ি (বীর্য বের হবার আগেই উঠে পড়তে হয়) অথবা বীর্য বের হতে বাধাপ্রাপ্ত হও তখন তোমার উপর গোসল করা (ফারয) নয় বরং তোমার উপর শুধু ওযূ করা জরুরী। আর ইবনু বাশশার বলেন, যখন তোমাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে ফেলা হয়েছে বা তোমাকে বীর্যপাত করতে বাধা দেয়া হয়েছে। (ই.ফা. ৬৬৯, ই.সে. ৬৬৮)

৬৬৬
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يُصِيبُ مِنَ الْمَرْأَةِ ثُمَّ يُكْسِلُ فَقَالَ ‏ “‏ يَغْسِلُ مَا أَصَابَهُ مِنَ الْمَرْأَةِ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي ‏”

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করলাম সে ব্যক্তি সম্পর্কে যে স্ত্রী সহবাস করে (অথচ) তারপর বীর্যপাত হল না। তিনি বললেন, স্ত্রীর (লজ্জাস্থান) থেকে তার (লজ্জাস্থানে) যা লেগেছে তা ধুয়ে ফেলবে। তারপর ওযূ করবে এবং সলাত আদায় করবে। (ই.ফা. ৬৭০, ই.সে. ৬৮৫)

৬৬৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الْمَلِيِّ، عَنِ الْمَلِيِّ، – يَعْنِي بِقَوْلِهِ الْمَلِيِّ عَنِ الْمَلِيِّ أَبُو أَيُّوبَ، – عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الرَّجُلِ يَأْتِي أَهْلَهُ ثُمَّ لاَ يُنْزِلُ قَالَ ‏ “‏ يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ ‏”‏ ‏.

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তারপর বীর্যপাত হয় না- তাঁর সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সে তার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে এবং ওযূ করবে। (ই.ফা. ৬৭১, ই.সে. ৬৮৬)

৬৬৮
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ قُلْتُ أَرَأَيْتَ إِذَا جَامَعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يُمْنِ قَالَ عُثْمَانُ ‏ “‏ يَتَوَضَّأُ كَمَا يَتَوَضَّأُ لِلصَّلاَةِ وَيَغْسِلُ ذَكَرَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عُثْمَانُ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

যায়দ ইবনু খালিদ আল জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি ‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেন, কোন লোক যদি তাঁর স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করে এবং বীর্যপাত না হয় তাহলে তাঁর হুকুম কি? ‘উসমান (রাঃ) বললেন, সে সালাতের ওযূ করে নিবে। এবং তার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে। ‘উসমান (রাঃ) বলেন, আমি এটা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি। (ই.ফা. ৬৭২, ই.সে. ৬৮৭)

৬৬৯
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنِ الْحُسَيْنِ، قَالَ يَحْيَى وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ذَلِكَ، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবূ আইয়ুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এমন শুনেছেন। (ই.ফা. ৬৭৩, ই.সে. ৬৮৮)

২২. অধ্যায়ঃ
কেবল বীর্যপাত হলেই গোসল করতে হবে, এ হুকুম রহিতকরণ

৬৭০
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ ح وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، وَمَطَرٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِذَا جَلَسَ بَيْنَ شُعَبِهَا الأَرْبَعِ ثُمَّ جَهَدَهَا فَقَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْغُسْلُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ مَطَرٍ ‏”‏ وَإِنْ لَمْ يُنْزِلْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زُهَيْرٌ مِنْ بَيْنِهِمْ ‏”‏ بَيْنَ أَشْعُبِهَا الأَرْبَعِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন কেউ তার স্ত্রীর চার-হাত পায়ের মাঝখানে বসবে এবং তার সাথে মিলবে তখন তার উপর গোসল ফারয হবে।

মাতার-এর হাদীসে ‘যদিও বীর্য বের না করে’- বাক্যটি অতিরিক্ত রয়েছে।

যুহায়র বলেছেন, তাদের মধ্য হতে কেউ যদি নারীর চার শাখার মধ্যে বসে। [৯৬] (ই.ফা. ৬৭৪, ই.সে. ৬৮৯)

[৯৬] নারীর চার শাখা বলতে তার দু’হাত ও দু’পা বুঝানো হয়েছে। তবে কেউ কেউ বলেন, নারীর যোনীর চার পাশ। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, নারীর যোনীর মধ্যে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করলে, উভয়ের গোসল ফারয হয়। এক সময় এ সম্বন্ধে সাহাবাদের মাঝে মতানৈক্য থাকলেও পরবর্তী সময়ে গোসল ফরয হওয়ার উপর ইজমা বা ঐকমত্য স্থাপন হয়ে গেছে।

৬৭১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَبَلَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ شُعْبَةَ ‏”‏ ثُمَّ اجْتَهَدَ ‏”‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏”‏ وَإِنْ لَمْ يُنْزِلْ ‏”‏ ‏.

কাতাদাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণিত রয়েছে। তবে শু’বার হাদীসে ‘এরপর মিলিত হয়’ কথাটির উল্লেখ আছে। কিন্তু ‘যদিও বীর্য বের না হয়’- কথাটি বর্ণনা নেই। (ই.ফা. ৬৭৫, ই.সে. ৬৯০)

৬৭২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، – وَهَذَا حَدِيثُهُ – حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، قَالَ – وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، – عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ اخْتَلَفَ فِي ذَلِكَ رَهْطٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ فَقَالَ الأَنْصَارِيُّونَ لاَ يَجِبُ الْغُسْلُ إِلاَّ مِنَ الدَّفْقِ أَوْ مِنَ الْمَاءِ ‏.‏ وَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ بَلْ إِذَا خَالَطَ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ ‏.‏ قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى فَأَنَا أَشْفِيكُمْ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ فَقُمْتُ فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَأُذِنَ لِي فَقُلْتُ لَهَا يَا أُمَّاهْ – أَوْ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ – إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكِ عَنْ شَىْءٍ وَإِنِّي أَسْتَحْيِيكِ ‏.‏ فَقَالَتْ لاَ تَسْتَحْيِي أَنْ تَسْأَلَنِي عَمَّا كُنْتَ سَائِلاً عَنْهُ أُمَّكَ الَّتِي وَلَدَتْكَ فَإِنَّمَا أَنَا أُمُّكَ ‏.‏ قُلْتُ فَمَا يُوجِبُ الْغُسْلَ قَالَتْ عَلَى الْخَبِيرِ سَقَطْتَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا جَلَسَ بَيْنَ شُعَبِهَا الأَرْبَعِ وَمَسَّ الْخِتَانُ الْخِتَانَ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ ‏”‏ ‏.

আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুহাজির ও আনসারদের একটি দল এ ব্যাপারে মতবিরোধ করল। আনসারগণ বলল, জোরে অথবা স্বাভাবিক গতিতে পানি (বীর্য) বের না হলে গোসল ফারয হয় না। আর মুহাজিরগণ বলল, স্ত্রী সঙ্গে শুধু মিললেই গোসল ফারয (বীর্য বের হোক বা না হোক) আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, আমি এ ব্যপারে তোমাদেরকে শান্ত করছি। এরপর আমি উঠে গিয়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলাম। আমাকে অনুমতি দেয়া হল। আমি তাকে বললাম, মা ! অথবা (তিনি বলছিলেন) হে মু’মিনদের মা! আমি আপনার কাছে একটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে চাই কিন্তু আমি লজ্জাবোধ করছি। তুমি তোমার গর্ভধারিণী মাকে যে ব্যপারে প্রশ্ন করতে পারতে সে ব্যপারে আমাকে প্রশ্ন করতে লজ্জাবোধ করো না। আমি তো তোমার মা। আমি বললাম, গোসল কিসে ফারয হয়? তিনি বললেন, জানা-কোন লোকের কাছেই তুমি প্রশ্ন করেছ। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন কোন পুরুষ স্ত্রীর চার হাত-পায়ের মাঝখানে বসবে এবং একের লজ্জাস্থান অপরের লজ্জাস্থানের সাথে লাগবে তখন গোসল ফারয হবে। (ই.ফা. ৬৭৬, ই.সে. ৬৯১)

৬৭৩
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عِيَاضُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ كُلْثُومٍ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ إِنَّ رَجُلاً سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يُجَامِعُ أَهْلَهُ ثُمَّ يُكْسِلُ هَلْ عَلَيْهِمَا الْغُسْلُ وَعَائِشَةُ جَالِسَةٌ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنِّي لأَفْعَلُ ذَلِكَ أَنَا وَهَذِهِ ثُمَّ نَغْتَسِلُ ‏”‏ ‏.

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা এক লোক রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করল-যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করে, অতঃপর বীর্য বের হবার আগেই তার পুরুষাঙ্গ বের করে ফেলে তাহলে কি তাদের উভয়ের গোসল ফারয হবে? এ সময়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ) সেখানে উপবিষ্ট ছিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি এবং আয়িশাহ্‌ (রাঃ) ঐরূপ করি, এরপর আমরা গোসল করে ফেলি। (ই.ফা. ৬৭৭, ই.সে. ৬৯২)

২৩. অধ্যায়ঃ
অগ্নি স্পৃষ্ট দ্রব্যাদি থেকে (খাবার পর) ওযূ করা সম্পর্কে [৯৭]

[৯৭] অগ্নি স্পৃষ্ট দ্রব্যাদি খাবার পর ওযূ করা। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, ইমাম মুসলিম (রহঃ) এ অধ্যায়ে প্রথমে এ সকল হাদীসের উল্লেখ করেছেন, যেগুলোর দ্বারা সাব্যস্ত হয় যে, আগুনের দ্বারা পাকানো খাদ্যবস্তু খেলে ওযূ নষ্ট হয়ে যায়। অতঃপর ঐ সকল হাদীসের বর্ণনা পেশ করেছেন, যেগুলোর দ্বারা প্রমানিত হয়েছে যে, এ ধরনের খাবার খেলে ওযূ নষ্ট হয় না। সুতরাং প্রথমে উল্লেখিত হাদীসসমুহ মানসুখ (রহিত)। এ ব্যাপারে পূর্ববর্তী জমহুর উলামায়ে কিরাম, সাহাবায়ি কিরাম ও তাবি’ঈনে প্রায় ঐকমত্য ঘোষণা করেছেন। তবে যে কোন জিনিস খাওয়ার পর কুলি করা এবং হাত-মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলা মুস্তাহাব (নাবাবী)

৬৭৪
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ خَارِجَةَ بْنَ زَيْدٍ الأَنْصَارِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الْوُضُوءُ مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ ‏

যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন, আগুনে পাকানো খাবার খেয়ে ওযূ করতে হবে। (ই.ফা. ৬৭৮, ই.সে. ৬৯৩)

৬৭৫
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ قَارِظٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، وَجَدَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَتَوَضَّأُ عَلَى الْمَسْجِدِ فَقَالَ إِنَّمَا أَتَوَضَّأُ مِنْ أَثْوَارِ أَقِطٍ أَكَلْتُهَا لأَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ تَوَضَّئُوا مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ ‏”‏ ‏.

ইবনু শিহাব বলেন, ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) তাঁকে বলেছেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইব্‌রাহীম ইবনু কারিয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একদিন আবূ হুরায়রা (রাঃ)- কে মাসজিদের সামনে ওযূ করতে দেখেছেন। আবূ হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি কয়েক টুকরো পনির খেয়েছি, তাই ওযূ করছি। কেননা, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। তোমরা আগুনের রান্না করা খাবার খেলে ওযূ করবে। (ই.ফা. ৬৭৮, ই.সে. ৬৯৩)

৬৭৬
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، وَأَنَا أُحَدِّثُهُ، هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ أَنَّهُ سَأَلَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ عَنِ الْوُضُوءِ، مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ فَقَالَ عُرْوَةُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَوَضَّئُوا مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ ‏”‏ ‏.

ইবনু শিহাব থেকে বর্ণিতঃ

আমি সা’ঈদ ইবনু খালিদ ইবনু ‘আম্‌র ইবনু ‘উসমান –এর কাছে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছিলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন যে, তিনি আগুনে পাকানো খাবার খেয়ে ওযূ করা সম্পর্কে ‘উরওয়াহ্‌ন ইবনু যুবায়রকে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি বললেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ)- কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন, তোমরা আগুনে রান্না করা খাবার খেয়ে ওযূ করবে। (ই.ফা. ৬৭৮, ই.সে. ৬৯৩)

২৪. অধ্যায়ঃ
আগুনে রান্না খাবার খেয়ে ওযূ করার বিধান মানসুখ (রহিত) হওয়া সম্পর্কে

৬৭৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكَلَ كَتِفَ شَاةٍ ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বকরীর কাঁধের গোশ্‌ত খেলেন তারপর সলাত আদায় করলেন কিন্তু ওযূ করলেন না। (ই.ফা. ৬৭৯, ই.সে. ৬৯৪)

৬৭৮
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنِي وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ح وَحَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَكَلَ عَرْقًا – أَوْ لَحْمًا – ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ وَلَمْ يَمَسَّ مَاءً ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার হাড়ে লাগানো গোশ্‌ত অথবা গোশ্‌ত খেলেন। তারপর সলাত আদায় করলেন; কিন্ত ওযূ করলেন না এবং পানিও স্পর্শ করলেন না। (ই.ফা. ৬৮০, ই.সে. ৬৯৫)

৬৭৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحْتَزُّ مِنْ كَتِفٍ يَأْكُلُ مِنْهَا ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.

‘আম্‌র ইবনু উমাইয়্যাহ্‌ আয্‌ যামরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার দেখলেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটী বকরীর কাঁধের গোশ্‌ত কেটে খাচ্ছেন। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করলেন আর ওযূ করলেন না। (ই.ফা. ৬৮১, ই.সে. ৬৯৬)

৬৮০
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحْتَزُّ مِنْ كَتِفِ شَاةٍ فَأَكَلَ مِنْهَا فَدُعِيَ إِلَى الصَّلاَةِ فَقَامَ وَطَرَحَ السِّكِّينَ وَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ ‏.

‘আম্‌র ইবনু উমাইয়্যাহ আয্‌ যামরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখলাম তিনি একটী বকরীর কাঁধের গোশ্‌ত (ছুরি দিয়ে) কাটছেন। এরপর তিনি তা খেলেন। ইতিমধ্যেই সলাতের জন্যে ডাকা হল। তিনি তখন দাঁড়িয়ে গেলেন এবং ছুরিটি ফেলে দিলেন এবং সলাত আদায় করলেন; কিন্তু ওযূ করলেন না। (ই.ফা. ৬৮২, ই.সে. ৬৯৭)

ইবনু শিহাব বলেন, ‘আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস তাঁর পিতা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস-এর মাধ্যমে রসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৮২, ই.সে. ৬৯৭)

৬৮১
قَالَ عَمْرٌو وَحَدَّثَنِي بُكَيْرُ بْنُ الأَشَجِّ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَكَلَ عِنْدَهَا كَتِفًا ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.

‘আম্‌র বলেন, বুকায়র ইবনু আল আশাজ্জ কুরায়ব-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী মাইমূনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার তাঁর কাছে বসে কাঁধের গোশ্‌ত খেলেন, তারপর সলাত আদায় করলেন কিন্তু ওযূ করলেন না। (ই.ফা. ৬৮২, ই.সে. ৬৯৭)

৬৮২
قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ ‏.

ইয়া’কূব ইবনু আল আশাজ্জ কুরায়ব-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী মায়মুনাহ্‌ (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৮২, ই.সে. ৬৯৭)

৬৮৩
قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي غَطَفَانَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ أَشْهَدُ لَكُنْتُ أَشْوِي لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَطْنَ الشَّاةِ ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.

আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য বকরীর পেটের গোশ্‌ত ভুনা করতাম (তিনি তা খেতেন) তারপর পুনরায় ওযূ না করেই সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ৬৮২, ই.সে. ৬৯৭)

৬৮৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ لَبَنًا ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَتَمَضْمَضَ وَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ لَهُ دَسَمًا ‏”‏ ‏.

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার দুধ পান করলেন। তারপর পানি আনালেন। এরপর কুলি করলেন এবং বললেন, এতে তৈলাক্ত পদার্থ রয়েছে। (ই.ফা. ৬৮৩, ই.সে. ৬৯৮)

৬৮৫
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، وَأَخْبَرَنِي عَمْرٌو، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِ عُقَيْلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، مِثْلَهُ ‏.

আহমাদ ইবনু ‘ঈসা (রহঃ), যুহায়র ইবনু হার্‌ব, হারমালাহ্‌ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া প্রত্যেকেই থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু শিহাব থেকে ‘উকায়ল-এর সানাদে যুহরী থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৮৪, ই.সে. ৬৯৯)

৬৮৬
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَمَعَ عَلَيْهِ ثِيَابَهُ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ فَأُتِيَ بِهَدِيَّةٍ خُبْزٍ وَلَحْمٍ فَأَكَلَ ثَلاَثَ لُقَمٍ ثُمَّ صَلَّى بِالنَّاسِ وَمَا مَسَّ مَاءً ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার কাপড় পরে সলাতের জন্য বের হলেন। এমন সময় কিছু রুটি ও গোশ্‌ত উপঢৌকন এলো। এরপর তিনি (সেখান থেকে) তিনি লুকমা খেলেন। তারপর লোকদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করলেন এবং পানি স্পর্শও করলেন না। (ই.ফা. ৬৮৫, ই.সে. ৭০০)

৬৮৭
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ حَلْحَلَةَ وَفِيهِ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، شَهِدَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَالَ صَلَّى وَلَمَ يَقُلْ بِالنَّاسِ ‏.

মুহাম্মাদ ইবনু ‘আম্‌র ইবনু ‘আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একদিন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তারপর তিনি ইবনু হাল্‌হালাহ্‌-এর হাদীস (উপরোক্ত হাদীস)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেন। সেখানে উল্লেখ আছে যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এমন করতে দেখেছেন। আর এ হাদীসের রাবী শুধু সলাত আদায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। লোকদেরকে নিয়ে কথাটির উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৮৬, ই.সে. ৭০১)

২৫. অধ্যায়ঃ
উটের গোশ্‌ত খেয়ে ওযূ করা সম্পর্কে

৬৮৮
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَأَتَوَضَّأُ مِنْ لُحُومِ الْغَنَمِ قَالَ ‏”‏ إِنْ شِئْتَ فَتَوَضَّأْ وَإِنْ شِئْتَ فَلاَ تَوَضَّأْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَتَوَضَّأُ مِنْ لُحُومِ الإِبِلِ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ فَتَوَضَّأْ مِنْ لُحُومِ الإِبِلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أُصَلِّي فِي مَبَارِكِ الإِبِلِ قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাযি:) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, আমি কি বকরীর গোশ্‌ত খেয়ে ওযূ করব? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা ওযূ করতে পার আর নাও করতে পার। সে বলল,আমি কি উটের গোশ্‌ত খেয়ে ওযূ করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, উটের গোশ্‌ত খেয়ে তুমি ওযূ করবে। সে বলল, আমি কি বকরীর ঘরে সলাত আদায় করতে পারি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে বলল, আমি কি উটের ঘরে সলাত আদায় করতে পারি? তিনি বললেন, না। [৯৮] (ই.ফা. ৬৮৭, ই.সে. ৭০২)

[৯৮] যেহেতু অত্র হাদীসে স্পষ্ট প্রমাণ করছে যে, উটের গোশ্‌ত খেলে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। সেহেতু কোন প্রকার মন্তব্য ছাড়াই এ নির্দেশ মেনে নিতে হবে। ওযূ অবস্থায় উটের গোশ্‌ত খেয়ে সলাত আদায়ের ইচ্ছা করলে অবশ্যই পুনরায় ওযূ করতে হবে। উটের আস্তাবলে সলাত আদায়ের নিষেধের কারণ হচ্ছে, উট দুষ্ট প্রকৃতির বিরাট পশু। সলাত আদায়কারীর ক্ষতিসাধন করতে পারে। পক্ষান্তরে বকরীর ঘরে সলাত আদায় করলে ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা নেই। (নাবাবী)

৬৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، ح وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، وَأَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، كُلُّهُمْ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي كَامِلٍ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ ‏.

আবূ বক্‌র ইবনু আবূ শায়বাহ্‌ ও কাসিম ইবনু যাকারিয়্যা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে আবূ কামিল-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬৮৮, ই.সে. ৭০৩)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]