সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা সালাত অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৭২৩ – ৭৮২


১. অধ্যায়ঃ
আযানের সূচনা

৭২৩
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ الْمُسْلِمُونَ حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ يَجْتَمِعُونَ فَيَتَحَيَّنُونَ الصَّلَوَاتِ وَلَيْسَ يُنَادِي بِهَا أَحَدٌ فَتَكَلَّمُوا يَوْمًا فِي ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُهُمُ اتَّخِذُوا نَاقُوسًا مِثْلَ نَاقُوسِ النَّصَارَى وَقَالَ بَعْضُهُمْ قَرْنًا مِثْلَ قَرْنِ الْيَهُودِ فَقَالَ عُمَرُ أَوَلاَ تَبْعَثُونَ رَجُلاً يُنَادِي بِالصَّلاَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا بِلاَلُ قُمْ فَنَادِ بِالصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুসলিমরা মাদীনায় আসার পর একত্রিত হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সলাত আদায় করতেন। এজন্যে কেউ আযান দিত না। একদিন ব্যাপারটি নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করল। তাদের একজন বলল, নাসারাদের নাকূসের একটি অনুরূপ একটি নাকূস (ঘন্টা) ব্যবহার কর। তাদের অপরজন বলল, ইয়াহূদীদের শিঙ্গার অনুরূপ একটি শিঙ্গা ব্যবহার করে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমরা সলাতের জন্য ডাকতে একটি লোক পাঠাও না কেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে বিলাল! উঠো এবং সলাতের জন্যে ডাক। (ই. ফা. ৭২১, ই. সে. ৭৩৬)

২. অধ্যায়ঃ
আযানের শব্দগুলো দু’বার করে এবং ইকামতের শব্দগুলো একবার করে

৭২৪
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، جَمِيعًا عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ، الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ ‏.‏ زَادَ يَحْيَى فِي حَدِيثِهِ عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ فَحَدَّثْتُ بِهِ أَيُّوبَ فَقَالَ إِلاَّ الإِقَامَةَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ)-কে আযানের শব্দ জোড় সংখ্যায় এবং ইকামাতের শব্দ বেজোড় বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইয়াহ্‌ইয়া তার বর্ণনায় ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্‌-এর সূত্রে বলেছেন, তিনি আইয়ূব (রাঃ)-এর কাছে এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি বললেন, কিন্তু ‘কাদ্‌কা- মাতিস্‌ সলা-হ্‌’ শব্দটি ব্যতীত (এটি দু’বার বলবে) বাকী শব্দগুলো একবার করে বলবে (ই. ফা. ৭২২, ই. সে. ৭৩৭)

৭২৫
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ ذَكَرُوا أَنْ يُعْلِمُوا، وَقْتَ الصَّلاَةِ بِشَىْءٍ يَعْرِفُونَهُ فَذَكَرُوا أَنْ يُنَوِّرُوا نَارًا أَوْ يَضْرِبُوا نَاقُوسًا فَأُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (লোকেদের) সলাতের সময় জানানোর উদ্দেশে একটা কিছু নির্দিষ্ট করার জন্যে সহাবাগণ পরস্পর আলোচনা করলেন। তাঁরা বললেন, আগুন জ্বালানো হোক অথবা নাকূস (ঘন্টা) বাজানো হোক। বিলালকে আযানের শব্দগুলো দু’বার এবং ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে উচ্চারণ করার নির্দেশ দেয়া হল। (ই. ফা. ৭২৩, ই. সে. ৭৩৮)

৭২৬
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ لَمَّا كَثُرَ النَّاسُ ذَكَرُوا أَنْ يُعْلِمُوا ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ أَنْ يُورُوا نَارًا ‏.‏

খালিদ আল হায্‌যা হতে উল্লেখিত সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

যখন লোকসংখ্যা বেড়ে গেল, সহাবাগণ সলাতের সময় জানানোর একটি উপায় খুঁজে বের করার জন্যে পরস্পর আলোচনা করলেন…… অতঃপর সাকাফী-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। এ বর্ণনায় (আরবি) শব্দের পরিবর্তে (আরবি) শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে। (অর্থাৎ “আগুন জ্বালানো হোক” উভয় শব্দের অর্থ একই)। (ই. ফা. ৭২৪, ই. সে. ৭৩৯)

৭২৭
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ، الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ)-কে আযান জোড় সংখ্যায় এবং ইকামাত বেজোড় সংখ্যায় বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (ই. ফা. ৭২৫, ই. সে. ৭৪০)

৩. অধ্যায়ঃ
আযানের বর্ণনা

৭২৮
حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، مَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَبُو غَسَّانَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَهُ هَذَا الأَذَانَ ‏”‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ – ثُمَّ يَعُودُ فَيَقُولُ – أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ – مَرَّتَيْنِ – حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ – مَرَّتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ إِسْحَاقُ ‏”‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মাহযূরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এ আযান শিক্ষা দিয়েছেনঃ “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” (আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান)। পাঠে (চারবার)। “আশহাদু আল লা-ইলা-হা-ইল্লাল্ল-হ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই), “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই)। “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল),“আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল)। আবার তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ” দু’বার। “হাইয়্যা ‘আলাস সলা-হ্‌” (সলাতের জন্য এসো) দু’বার। “হাইয়্যা ‘আলাল ফালা-হ্‌” (কল্যাণের জন্যে এসো) দু’বার। ইসহাক্‌ তার বর্ণনায় আরও দু’টি বাক্য উল্লেখ করেছেন, “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” এবং “লা-ইলা-হা ইল্লাহ-হ”। (ই. ফা. ৭২৬, ই. সে. ৭৪১)

৪. অধ্যায়ঃ
একই মাসজিদে দু’জন মুওয়ায্‌যিন রাখা ভাল

৭২৯
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُؤَذِّنَانِ بِلاَلٌ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দু’জন মুওয়ায্‌যিন ছিলঃ বিলাল (রাঃ) এবং অন্ধ ‘আবদুল্লাহ ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)। (ই. ফা. ৭২৭, ই. সে. ৭৪২)

৭৩০
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(উপরের হাদীসের) অবিকল বর্ণিত হয়েছে। (ই. ফা. ৭২৮, ই. সে. ৭৪৩)

৫. অধ্যায়ঃ
অন্ধ ব্যক্তির সাথে চক্ষুস্মান লোক থাকলেও তার আযান দেয়া জায়িয

৭৩১
حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ مَخْلَدٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ يُؤَذِّنُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ أَعْمَى ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু মাকতূম (রাঃ) রসূল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মতিতে আযান দিতেন। তখন তিনি ছিলেন অন্ধ। (ই. ফা. ৭২৯, ই. সে. ৭৪৪)

৭৩২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লিখিত সানাদ পরম্পরায় হিশাম থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই. ফা. ৭৩০, ই. সে. ৭৪৫)

৬. অধ্যায়ঃ
অমুসলিম রাষ্ট্রের (বা এলাকার) কোন জনপদে আযানের শব্দ শুনা গেলে সেখানে আক্রমণ করা নিষেধ

৭৩৩
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُغِيرُ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ وَكَانَ يَسْتَمِعُ الأَذَانَ فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلاَّ أَغَارَ فَسَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ عَلَى الْفِطْرَةِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خَرَجْتَ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ فَنَظَرُوا فَإِذَا هُوَ رَاعِي مِعْزًى ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রভাতে শত্রুর উপর আক্রমণ করতেন। তিনি আযানের শব্দ শুনার জন্যে কান পেতে অপেক্ষায় থাকতেন। তিনি আযান শুনতে পেলে আক্রমণ থেকে বিরত থাকতেন, অন্যথায় আক্রমণ করতেন। তিনি এক ব্যক্তিকে “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” বলতে শুনেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ ব্যক্তি মুসলিম। সে পুনরায় বলল, “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলে। অতঃপর লোকটির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলেন, সে মেষপালের রাখাল। (ই. ফা. ৭৩১, ই. সে. ৭৪৬)

৭. অধ্যায়ঃ
মুওয়ায্‌যিনের আযান অনুরূপ শ্রবণকারীর বলা, নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দুরূদ পাঠ করা এবং তাঁর জন্যে ওয়াসীলাহ্‌ প্রার্থনা করা

৭৩৪
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুওয়ায্‌যিন যা বলে তোমরা তাই-ই বল। (ই. ফা. ৭৩২, ই. সে. ৭৪৭)

৭৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، وَغَيْرِهِمَا، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا اللَّهَ لِيَ الْوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الْجَنَّةِ لاَ تَنْبَغِي إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ فَمَنْ سَأَلَ لِيَ الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা যখন মুওয়ায্‌যিনকে আযান দিতে শুন, তখন সে যা বলে তোমরা তাই বল। অতঃপর আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। কেননা, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তার উপর দশবার রহমাত বর্ষণ করেন। অতঃপর আমার জন্যে আল্লাহর কাছে ওয়াসীলাহ্‌ প্রার্থনা কর। কেননা, ‘ওয়াসীলাহ্‌’ জান্নাতের একটি সম্মানজনক স্থান। এটা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একজনকেই দেয়া হবে। আমি আশা করি, আমিই হব সে বান্দা। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আমার জন্যে ওয়াসীলাহ্‌ প্রার্থনা করবে তার জন্যে (আমার) শাফা’আত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (ই. ফা. ৭৩৩, ই. সে. ৭৪৮)

৭৩৬
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسَافٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَقَالَ أَحَدُكُمُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ ‏.‏ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ ‏.‏ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.‏

‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুওয়ায্‌যিন যখন “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” বলে তখন তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তার জবাবে বলেঃ “আল্লহু আকবার, আল্ল-হু আকবার”। যখন মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” এর জবাবে সেও বলেঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলে: আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্লা-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ্‌’। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “হাইয়্যা ‘আলাস সলা-হ্‌” এর জবাবে সে বলেঃ “লা-হাওলা ওয়ালা-কুও্‌ওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “হাইয়্যা ‘আলাল ফালা-হ্‌” এর জবাবে সে বলেঃ ““লা-হাওলা ওয়ালা-কুও্‌ওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার”এর জবাবে সে বলেঃ “আল্ল-হু আকবর, আল্ল-হু আকবার”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। আযানের এ জবাব দেয়ার কারণে সে বেহেশতে যাবে। (ই. ফা. ৭৩৪, ই. সে. ৭৪৯)।

৭৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الْقُرَشِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا ‏.‏ غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ ‏”‏ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ وَأَنَا أَشْهَدُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ قُتَيْبَةُ قَوْلَهُ وَأَنَا ‏.‏

সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মুওয়ায্‌যিনের আযান শুনে যে ব্যক্তি বলে, “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্‌দাহু, লা-শারীকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু, ওয়া রসূলুহু, রাযীতু বিল্লা-হি রব্বান ওয়াবি মুহাম্মাদিন রসূলান ওয়াবিল ইসলা-মী দীনান” তার গুনাহ মাফ করা হবে। কুতাইবাহ্‌ তার হাদীসে (আরবী) শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ই. ফা. ৭৩৫, ই. সে. ৭৫০)

৮. অধ্যায়ঃ
আযানের ফাযীলাত এবং আযান শুনে শাইতানের পলায়ন

৭৩৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ يَدْعُوهُ إِلَى الصَّلاَةِ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الْمُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏

তাল্‌হাহ্‌ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া তার চাচার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ্‌ ইবনু আবূ সুফ্‌ইয়ান (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় মুওয়ায্‌যিন তাকে সলাতের জন্যে ডাকতে আসল। মু’আবিয়াহ্‌ (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামাতের দিন মুওয়ায্‌যিনদের গর্দান সবচেয়ে বেশি উঁচু হবে। (ই. ফা. ৭৩৬, ই. সে. ৭৫১)

৭৩৯
وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ

‘ঈসা ইবনু তালহাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরোক্ত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৭৩৭, ই. সে. ৭৫১)

৭৪০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ ذَهَبَ حَتَّى يَكُونَ مَكَانَ الرَّوْحَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الرَّوْحَاءِ ‏.‏ فَقَالَ هِيَ مِنَ الْمَدِينَةِ سِتَّةٌ وَثَلاَثُونَ مِيلاً ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ শাইতান সলাতের আযানের শব্দ শুনে পালাতে পালাতে রাওহা পর্যন্ত চলে যায়।

সুলাইমান (আ’মাশ) বলেন, আমি তাকে (আবূ সুফ্‌ইয়ানকে) রাওহা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এ স্থানটি মাদীনাহ্‌ থেকে ছত্রিশ মাইল দূরে অবস্থিত। (ই. ফা. ৭৩৮, ই. সে. ৭৫২)

৭৪১
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

আ’মাশ থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৭৩৯, ই. সে. নেই)

৭৪২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ أَحَالَ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ صَوْتَهُ فَإِذَا سَكَتَ رَجَعَ فَوَسْوَسَ فَإِذَا سَمِعَ الإِقَامَةَ ذَهَبَ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ صَوْتَهُ فَإِذَا سَكَتَ رَجَعَ فَوَسْوَسَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শাইতান যখন সলাতের আযান শুনতে পায় তখন বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালাতে থাকে যেন আযানের শব্দ তার কানে পৌঁছতে না পারে। মুওয়ায্‌যিন যখন আযান শেষ করে তখন সে ফিরে এসে (সলাত আদায়কারীর) সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। সে পুনরায় যখন ইকামাত শুনতে পায়- আবার চলে যায় যেন এর শব্দ তার কানে না যেতে পারে। যখন ইকামাত শেষ হয় তখন সে ফিরে এসে (সলাত আদায়কারীদের অন্তরে) সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। (ই. ফা. ৭৪০, ই. সে. ৭৫৩)

৭৪৩
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ وَلَهُ حُصَاصٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুওয়ায্‌যিন যখন আযান দেয় তখন শাইতান পিছন ঘুরে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যায়। (ই. ফা. ৭৪১, ই. সে. ৭৫৪)

৭৪৪
حَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، قَالَ أَرْسَلَنِي أَبِي إِلَى بَنِي حَارِثَةَ – قَالَ – وَمَعِي غُلاَمٌ لَنَا – أَوْ صَاحِبٌ لَنَا – فَنَادَاهُ مُنَادٍ مِنْ حَائِطٍ بِاسْمِهِ – قَالَ – وَأَشْرَفَ الَّذِي مَعِي عَلَى الْحَائِطِ فَلَمْ يَرَ شَيْئًا فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي فَقَالَ لَوْ شَعَرْتُ أَنَّكَ تَلْقَى هَذَا لَمْ أُرْسِلْكَ وَلَكِنْ إِذَا سَمِعْتَ صَوْتًا فَنَادِ بِالصَّلاَةِ فَإِنِّي سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا نُودِيَ بِالصَّلاَةِ وَلَّى وَلَهُ حُصَاصٌ ‏”‏ ‏.‏

সুহায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে বানু হারিসাহ্‌ গোত্রের কাছে পাঠালেন। রাবী বলেন, আমার সাথে একটি বালক অথবা আমার এক সাথী ছিল। একটি বাগানের ভিতর থেকে তার নাম ধরে কে যেন তাকে ডাকল। আমার সাথী বাগানের মধ্যে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল, কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না। আমি এ ঘটনা আমার পিতার কাছে বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, আমি যদি জানতে পারতাম যে তুমি এমন অবস্থার মুখোমুখি হবে তবে তোমাকে পাঠাতাম না, কিন্তু যখন তুমি সেরূপ কোন শব্দ শুনতে পাও তখন সলাতের অনুরূপ আযান দিবে। কেননা আমি আবূ হুরায়রা্(রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ যখন সলাতের আযান দেয়া হয় শাইতান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যায়। (ই. ফা. ৭৪২, ই. সে. ৭৫৫)

৭৪৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ التَّأْذِينَ فَإِذَا قُضِيَ التَّأْذِينُ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلاَةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ يَقُولُ لَهُ اذْكُرْ كَذَا وَاذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ مِنْ قَبْلُ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ مَا يَدْرِي كَمْ صَلَّى ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন সলাতের আযান দেয়া হয়, শাইতান পিছন ঘুরে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালিয়ে যায় যেন আযানের শব্দ সে শুনতে না পায়। আযান শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে আসে। আবার যখন ইকামাত দেয়া হয় তখন সে পলায়ন করে। ইকামাত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে আসে এবং সলাত আদায়কারীদের মনে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করতে থাকে। সে তাকে বলে, এটা স্মরণ কর, এটা স্মরণ কর। সে কথাগুলো সলাতের আগে তার স্মরণও ছিল না। শেষ পর্যন্ত সলাত আদায়কারী দ্বিধায় পড়ে যে, সে বলতেও পারে না যে, কত রাকা’আত পড়ল। (ই. ফা. ৭৪৩, ই. সে. ৭৫৬)

৭৪৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ إِنْ يَدْرِي كَيْفَ صَلَّى ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ বর্ণনার শেষের অংশ নিম্নরূপঃ এমনকি লোকের খেয়ালই থাকে না যে, সে কিভাবে সলাত শেষ করল। (ই. ফা. ৭৪৪, ই. সে. ৭৫৭)

৯. অধ্যায়ঃ
তাকবীরে তাহরীমার সময়, রুকূ’তে যাওয়ার সময় এবং রুকূ’ থেকে মাথা উঠানোর সময়, কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো (রফ’উল ইয়াদাইন) মুস্তাহাব, কিন্তু সাজদাহ্ থেকে ওঠার সময় এটা না করা মুস্তাহাব

৭৪৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ كُلُّهُمْ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ مَنْكِبَيْهِ وَقَبْلَ أَنْ يَرْكَعَ وَإِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُهُمَا بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ ‏.‏

সালিম থেকে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি-যখন তিনি সলাত শুরু করতেন তখন উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি রুকূ’তে যাওয়ার আগে এবং রুকূ’ থেকে উঠার সময়ও এরূপ করতেন। কিন্তু তিনি দুই সাজদার মাঝখানে হাত উঠাতেন না (ই. ফা. ৭৪৫, ই. সে. ৭৫৮)

৭৪৮
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ لِلصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى تَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ وَإِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ وَلاَ يَفْعَلُهُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ ‏.‏

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন নিজের দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন, অতঃপর তাকবীর তাহরীমা বলতেন। তিনি রুকূ’তে যাওয়ার সময় এবং রুকূ’ থেকে উঠার সময়ও কাঁধ পর্যন্ত দুই (আল্ল-হু আকবার) হাত তুলতেন। কিন্তু সাজদাহ্ থেকে মাথা তোলার সময় তিনি (এরূপ) করতেন না। (ই. ফা. ৭৪৬, ই. সে. ৭৫৯)

৭৪৯
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنٌ، – وَهُوَ ابْنُ الْمُثَنَّى – حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ كَمَا قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ لِلصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى تَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ ‏.‏

যুহরী (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে ইবনু জুরায়জ (রহঃ)-এর অবিকল বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতে দাঁড়াতেন, দুই হাত কাঁধ বরাবর উঁচু করতেন, অতঃপর ‘আল্ল-হু আকবার’ বলে তাকবীরে তাহরীমা করতেন। (ই. ফা. ৭৪৭, ই. সে. ৭৬০)

৭৫০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّهُ رَأَى مَالِكَ بْنَ الْحُوَيْرِثِ إِذَا صَلَّى كَبَّرَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَ يَدَيْهِ وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ هَكَذَا ‏.‏

আবূ কিলাবাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মালিক বিন হুওয়াইরিস (রাঃ)-কে দেখলেন যে, তিনি যখন রুকূ’তে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখনো উভয় হাত উত্তোলন করলেন এবং যখন রুকূ’ থেকে মাথা তুললেন তখনো হাত উত্তোলন করলেন। তিনি আরো বলেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করতেন। (ই. ফা. ৭৪৮, ই. সে. ৭৬১)

৭৫১
حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَالَ ‏ “‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাকবীর বলতেন, কান পর্যন্ত উভয় হাত উত্তোলন করতেন। তিনি যখন রুকূ’তে যেতেন উভয় হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করতেন। তিনি যখন রুকূ’ থেকে মাথা তুলতেন তখন “সামি’আল্ল-হ লিমান হামিদাহ” বলতেন এবং অনুরূপ (কান পর্যন্ত উভয় হাত উত্তোলন) করতেন। (ই. ফা. ৭৪৯, ই. সে. ৭৬২)

৭৫২
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّهُ رَأَى نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا فُرُوعَ أُذُنَيْهِ ‏.‏

কাতাদাহ্‌ (রহঃ) হতে উক্ত সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

[মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) বলেন যে,] তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কানের লতি বরাবর হাত তুলতে দেখেছেন। (ই. ফা. ৭৫০, ই. সে. ৭৬৩)

১০. অধ্যায়ঃ
সলাতের মধ্যে ঝুঁকে পড়ার সময় এবং সোজা হয়ে উঠার সময় ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতে হবে, কিন্তু রুকূ’ থেকে উঠার সময় “সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলতে হবে

৭৫৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সালামাহ্‌ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্(রাঃ) তাদের সলাত আদায় করে দেখাতেন। তিনি প্রতিবার ঝুঁকে পড়ার সময় এবং সোজা হওয়ার সময় ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতেন। তিনি সলাত শেষে বলতেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের চেয়ে অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ সলাত আদায় করতে পারি। (ই. ফা. ৭৫১, ই. সে. ৭৬৪)

৭৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُولُ ‏”‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ ‏”‏ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يَفْعَلُ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا حَتَّى يَقْضِيَهَا وَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْمَثْنَى بَعْدَ الْجُلُوسِ ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ বাক্‌র ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ হুরায়রা্(রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতে দাঁড়াতেন ‘আল্ল-হু আকবার’ বলে সলাত শুরু করতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকূ’তে যেতেন। তিনি রুকূ’ থেকে পিঠ সোজা করে দাঁড়ানোর সময় (আরবি) (যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেন আল্লাহ তার কথা শুনে থাকেন) বলতেন। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় (আরবি) (হে আল্লাহ! তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা) বলতেন। তিনি তাকবীর সাজদাহ থেকে মাথা তোলার সময়ও তাকবীর বলতেন। প্রত্যেক রাক’আতে সলাত শেষ করা পর্যন্ত তিনি এরূপই করতেন। দ্বিতীয় রাক’আতের বসার পর ওঠার সময়ও তিনি তাকবীর বলতেন।

অতঃপর আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বললেন, আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ সলাত আদায় করতে পারি। (ই. ফা. ৭৫২, ই. সে. ৭৬৫)

৭৫৫
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنٌ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ إِنِّي أَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলে সলাত শুরু করতেন। …… উপরের (ইবনু খুরায়য-এর) হাদীসের অনুরূপ। কিন্তু এ বর্ণনায় আবূ হুরাইরার কথা, “আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ সলাত আদায় করতে পারি”- কথাটুকু উল্লেখ নেই। (ই. ফা. ৭৫৩, ই. সে. ৭৬৬)

৭৫৬
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ – حِينَ يَسْتَخْلِفُهُ مَرْوَانُ عَلَى الْمَدِينَةِ – إِذَا قَامَ لِلصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَفِي حَدِيثِهِ فَإِذَا قَضَاهَا وَسَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সালামাহ্‌ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মারওয়ান যখন আবূ হুরায়রা্(রাঃ)-কে মাদীনায় খলীফা নিযুক্ত করলেন- তিনি যখন ফরয সলাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলে শুরু করতেন। উপরের হাদীসের অনুরূপ। উক্ত হাদীসেই রয়েছে, তিনি সলাত শেষে সালাম ফিরিয়ে মাসজিদে উপস্থিত লোকেদের দিকে মুখ করে বসলেন। তিনি বললেনঃ সে সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি তোমাদের চেয়ে রসূলুল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ সলাত আদায় করতে পারি। (ই. ফা. ৭৫৪, ই. সে. ৭৬৭)

৭৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يُكَبِّرُ فِي الصَّلاَةِ كُلَّمَا رَفَعَ وَوَضَعَ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا هَذَا التَّكْبِيرُ قَالَ إِنَّهَا لَصَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্(রাঃ) সলাতের মধ্যে যখনই ঝুঁকতেন অথবা উঠতেন তাকবীর বলতেন। আমরা বললাম, হে আবূ হুরায়রা! এটা কিসের তাকবীর? তিনি বললেন, এটা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের তাকবীর। (ই. ফা. ৭৫৫, ই. সে. ৭৬৮)

৭৫৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ وَيُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি প্রতিবার উঠা-বসায় তাকবীর বলতেন। তিনি বলতেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমনই করতেন। (ই. ফা. ৭৫৬, ই. সে. ৭৬৯)

৭৫৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، قَالَ صَلَّيْتُ أَنَا وَعِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، خَلْفَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَكَانَ إِذَا سَجَدَ كَبَّرَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ كَبَّرَ وَإِذَا نَهَضَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ فَلَمَّا انْصَرَفْنَا مِنَ الصَّلاَةِ – قَالَ – أَخَذَ عِمْرَانُ بِيَدِي ثُمَّ قَالَ لَقَدْ صَلَّى بِنَا هَذَا صَلاَةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ أَوْ قَالَ قَدْ ذَكَّرَنِي هَذَا صَلاَةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

মুতার্‌রিফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) ‘আলী (রাঃ)-এর পিছনে সলাত আদায় করেছি। তিনি যখন সিজদায় যেতেন ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতেন, যখন সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন তখনও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতেন এবং দুই রাক’আত পূর্ণ করে (তাশাহুদ পড়ার পর) উঠার সময়ও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতেন। আমরা যখন সলাত শেষ করলাম, ‘ইমরান (রাঃ) আমার হাত ধরে বললেন, তিনি (আলী) আমাদেরকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ সলাত আদায় করালেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বললেন, তিনি (‘আলী) আমাদেরকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। (ই. ফা. ৭৫৭, ই. সে. ৭৭০)

১১. অধ্যায়ঃ
প্রতি রাক’আতে সুরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পড়া অপরিহার্য, কেউ যদি (ভালভাবে) সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পড়তে বা শিখতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন তার সুবিধামত স্থান থেকে কিরাআত পাঠ করে নেয়

৭৬০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏”‏ ‏.‏

‘উবাইদাহ্‌ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি (সলাতে) সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করে না তার সলাত ই হয় না। (ই. ফা. ৭৫৮, ই. সে. ৭৭১)

৭৬১
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْتَرِئْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏

‘উবাদাহ্‌ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে উম্মুল কুরআন (সুরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌) পাঠ করে না তার সলাতই হয় না। (ই. ফা. ৭৫৯, ই. সে. ৭৭২)

৭৬২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ مَحْمُودَ بْنَ الرَّبِيعِ الَّذِي، مَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَجْهِهِ مِنْ بِئْرِهِمْ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏

‘উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে লোক উম্মুল কুরআন (সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌) পাঠ করেনা তার সলাত ই হয় না। (ই. ফা. ৭৬০, ই. সে. ৭৭৩)

৭৬৩
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَزَادَ فَصَاعِدًا ‏.‏

ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম এবং ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন ‘আবদুর রায্‌যাক। তিনি বলেন, আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন মা’মার যুহরী হতে উক্তরূপ। (ই. ফা. ৭৬১, ই. সে. নেই)

৭৬৪
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهْىَ خِدَاجٌ – ثَلاَثًا – غَيْرُ تَمَامٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنَّا نَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ ‏.‏ فَقَالَ اقْرَأْ بِهَا فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ الْعَبْدُ ‏{‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏}‏ ‏.‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى حَمِدَنِي عَبْدِي وَإِذَا قَالَ ‏{‏ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ‏}‏ ‏.‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي ‏.‏ وَإِذَا قَالَ ‏{‏ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ‏}‏ ‏.‏ قَالَ مَجَّدَنِي عَبْدِي – وَقَالَ مَرَّةً فَوَّضَ إِلَىَّ عَبْدِي – فَإِذَا قَالَ ‏{‏ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ‏}‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ ‏.‏ فَإِذَا قَالَ ‏{‏ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ‏}‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ حَدَّثَنِي بِهِ الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فِي بَيْتِهِ فَسَأَلْتُهُ أَنَا عَنْهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি সলাত আদায় করল অথচ তাতে উম্মুল কুরাআন (সূরাহ্‌ ফা-তিহা) পাঠ করেনি তার সলাত ত্রুটিপূর্ণ থেকে গেল, পূর্ণাঙ্গ হল না। এ কথাটা তিনবার বলেছেন। আবূ হুরায়রা্(রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে সলাত আদায় করব তখন কী করব? তিনি বললেন, তোমারা চুপে চুপে তা পড়ে নাও। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আমার এবং আমার বান্দার মাঝে আমি সলাত কে অর্ধেক অর্ধেক করে ভাগ করে নিয়েছি এবং আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়। বান্দা যখন বলে, (আরবী) (সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য), আল্লাহ তা’আলা তখন বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। সে যখন বলে, (আরবি) (তিনি অতিশয় দয়ালু এবং করুণাময়); আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ বান্দা আমার প্রশংসা করেছে, গুণগান করেছে। সে যখন বলে, (আরবি) (তিনি বিচার দিনের মালিক); তখন আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করেছে। আল্লাহ আরো বলেনঃ বান্দা তার সমস্ত কাজ আমার উপর সমর্পন করেছে। সে যখন বলে, (আরবি) (আমরা কেবল তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তখন আল্লাহ বলেনঃ এটা আমার এবং আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। (এখন) আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়। যখন সে বলে, (আরবি) আমাদের সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করুন। যেসব লোকদের আপনি নি’আমাত দান করেছেন, তাদের পথে নয় যাদের প্রতি আপনার গযব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, তখন আল্লাহ বলেনঃ এসবই আমার বান্দার জন্যে এবং আমার বান্দার জন্যে রয়েছ সে যা চায়।

সুফ্‌ইয়ান বলেন, আমি ‘আলা ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়া’কূবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে এ হাদীস বর্ণনা করে শুনান। এ সময় তিনি রোগশয্যায় ছিলেন এবং আমি তাকে দেখতে গিয়াছিলাম। ( ই. ফা. ৭৬২, ই. সে. ৭৭৪)

৭৬৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি (আগের হাদীসের ন্যায়)। (ই. ফা. ৭৬৩, ই. সে. ৭৭৫)

৭৬৬
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ، أَنَّ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى بَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةً فَلَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ سُفْيَانَ وَفِي حَدِيثِهِمَا ‏”‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي ‏”‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, যে ব্যক্তি সলাত আদায় করল অথচ তাতে সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করল না…… সুফ্‌ইয়ানের হাদীসের অনুরূপ। তাদের উভয়ের হাদীসে রয়েছে, মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি সলাত কে আমার ও আমার বান্দাদের মধ্যে দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছি, এর অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার। (ই. ফা. ৭৬৩, ই. সে. ৭৭৫)

৭৬৭
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُوَيْسٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْ أَبِي وَمِنْ أَبِي السَّائِبِ، وَكَانَا، جَلِيسَىْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالاَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهْىَ خِدَاجٌ ‏”‏ ‏.‏ يَقُولُهَا ثَلاَثًا بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সলাত আদায় করল, কিন্তু তাতে ফাতিহাতুল কিতাব (সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌) পাঠ করল না-তবে এ সলাত ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তাদের হাদীসের অনুরূপ। (ই. ফা. ৭৬৪, ই. সে. ৭৭৬)

৭৬৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِقِرَاءَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَمَا أَعْلَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْلَنَّاهُ لَكُمْ وَمَا أَخْفَاهُ أَخْفَيْنَاهُ لَكُمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কুরআন পাঠ ছাড়া সলাত ই হয় না। আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সলাতে কিরাআত উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করেছেন আমরাও তাতে তোমাদের জন্য উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করি। তিনি যে সলাতে চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করেছেন আমরাও তাতে তোমাদের জন্যে চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করি। (ই. ফা. ৭৬৫, ই. সে. ৭৭৭)

৭৬৯
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو – قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي كُلِّ الصَّلاَةِ يَقْرَأُ فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى مِنَّا أَخْفَيْنَا مِنْكُمْ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ إِنْ لَمْ أَزِدْ عَلَى أُمِّ الْقُرْآنِ فَقَالَ إِنْ زِدْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ خَيْرٌ وَإِنِ انْتَهَيْتَ إِلَيْهَا أَجْزَأَتْ عَنْكَ ‏.‏

‘আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বলেছেন, সলাতের প্রতি রাক’আতে কুরআন থেকে পাঠ হবে (আমরা পাঠ করি)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সলাতে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করেছেন, আমরাও সে সলাতে তোমাদের শুনিয়ে কুরআন পাঠ করি এবং যে সলাতে চুপিসারে কুরআন পাঠ করেছেন সে সলাতে আমরাও চুপিসারে কুরআন পাঠ করি। একজন লোক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমি যদি সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌র বেশি না পড়ি তবে কি আমার সলাত যথেষ্ট হবে? তিনি বললেন, তুমি যদি সূরাহ্‌ ফাতিহার পর আরো আয়াত পাঠ কর তবে এটা তোমার জন্য কল্যাণকর আর যদি তুমি সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করেই থেমে যাও তবে সেটাও তোমার জন্য যথেষ্ট। (ই. ফা. ৭৬৬, ই. সে. ৭৭৮)

৭৭০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – عَنْ حَبِيبٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي كُلِّ صَلاَةٍ قِرَاءَةٌ فَمَا أَسْمَعَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى مِنَّا أَخْفَيْنَاهُ مِنْكُمْ وَمَنْ قَرَأَ بِأُمِّ الْكِتَابِ فَقَدْ أَجْزَأَتْ عَنْهُ وَمَنْ زَادَ فَهُوَ أَفْضَلُ ‏.‏

‘আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক সলাতেই কিরাআত পাঠ করতে হবে। নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সলাতে আমাদের শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করেছেন, আমরাও তাতে তোমাদের শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করি। তিনি যে সলাতে আওয়াজ না করে চুপিসারে কিরাআত পাঠ করেছেন, আমরাও তাতে তোমাদের না শুনিয়ে নিম্নস্বরে কিরাআত পাঠ করি। যে ব্যক্তি সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করল তা তার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি আরো সূরাহ্‌ পাঠ করল, এটা তার জন্য বেশি ভাল। (ই. ফা. ৭৬৭, ই. সে. ৭৭৯)

৭৭১
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّلاَمَ قَالَ ‏”‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏”‏ ‏.‏ فَرَجَعَ الرَّجُلُ فَصَلَّى كَمَا كَانَ صَلَّى ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏”‏ ‏.‏ حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَالَ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا عَلِّمْنِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)মাসজিদে প্রবেশ করলেন, অতঃপর এক লোক মাসজিদে প্রবেশ করে সলাত আদায় করল। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে তাঁকে সালাম দিলে তিনি তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেনঃ যাও পুনরায় সলাত আদায় কর, কেননা তুমি সলাত আদায় করনি। লোকটি ফিরে গিয়ে আগের মতোই সলাত আদায় করল। অতঃপর নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাঁকে সালাম করল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়া ‘আলাইকাস সালাম। অতঃপর তিনি বললেনঃ যাও তুমি পুনরায় সলাত আদায় কর, কেননা তোমার সলাত আদায় হয়নি। তিনি পরপর তিনবার তাকে এ রকম নির্দেশ দিলেন। অতঃপর লোকটি বলল, সে সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন; আমি এর চেয়ে সুন্দর করে সলাত আদায় করতে পারি না। আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি যখন সলাতে দাঁড়াও, তাকবীর বল, অতঃপর কুরআনের যে অংশ তোমার কাছে সহজ মনে হয় তা থেকে পাঠ কর। অতঃপর রুকূতে যাও এবং শান্তভাবে রুকূতে থাক। অতঃপর রুকূ’ থেকে সোজা মনে দাঁড়াও, অতঃপর সিজদায় যাও এবং সিজদার মধ্যে শান্তভাবে থাক, অতঃপর সিজদা থেকে উঠে আরামে বস। সমস্ত সলাত তুমি এভাবে আদায় কর। (ই. ফা. ৭৬৮, ই. সে. ৭৮০)

৭৭২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَاحِيَةٍ وَسَاقَا الْحَدِيثَ بِمِثْلِ هَذِهِ الْقِصَّةِ وَزَادَا فِيهِ ‏ “‏ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক মাসজিদে প্রবেশ করে সলাত আদায় করল। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদের) এক প্রান্তে বসা ছিলেন, হাদীসের পরবর্তী অংশ পূর্বের হাদীসের মতোই। কিন্তু এ বর্ণনায় আরও আছেঃ তুমি যখন সলাত আদায় করার ইচ্ছা পোষণ কর তখন ভাল করে ওযূ করে নাও। অতঃপর কিবলামূখী হও, অতঃপর ‘আল্ল-হু আকবার’ বল। (ই. ফা. ৭৬৯, ই. সে. ৭৮১)

১২. অধ্যায়ঃ
ইমামের পিছনে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করা মুক্তাদীদের জন্য নিষেধ

৭৭৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، قَالَ سَعِيدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الظُّهْرِ – أَوِ الْعَصْرِ – فَقَالَ ‏”‏ أَيُّكُمْ قَرَأَ خَلْفِي بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا وَلَمْ أُرِدْ بِهَا إِلاَّ الْخَيْرَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ بَعْضَكُمْ خَالَجَنِيهَا ‏”‏ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে যুহ্‌র অথবা ‘আস্‌র-এর সলাত আদায় করালেন। সলাত শেষে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে আমার পিছনে (আরবি) (সূরাহ্‌ আ’লা) পাঠ করেছ? এক ব্যক্তি বলল, আমি। এর মাধ্যমে কল্যাণই কামনা করেছিলাম। তিনি বললেন, আমি জানতে পেরেছি তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কাছ থেকে কুরআন ছিনিয়ে নিচ্ছে। (ই. ফা. ৭৭০, ই. সে. ৭৮২)

৭৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ زُرَارَةَ بْنَ أَوْفَى، يُحَدِّثُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ فَجَعَلَ رَجُلٌ يَقْرَأُ خَلْفَهُ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏”‏ أَيُّكُمْ قَرَأَ ‏”‏ أَوْ ‏”‏ أَيُّكُمُ الْقَارِئُ ‏”‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ قَدْ ظَنَنْتُ أَنَّ بَعْضَكُمْ خَالَجَنِيهَا ‏”‏ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাত আদায় করলেন। এক লোক তাঁর পিছনে সূরাহ্‌ ‘সাব্বিহিস্‌মা রাবি্‌কাল আ’লা-” পাঠ করল। সলাত শেষে নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ কে সূরাহ্‌ পাঠ করেছে? লোকটি বলল, আমি। তিনি বললেনঃ আমি অনুসন্ধান করেছি তোমাদের কেউ কেউ আমার কাছ থেকে (কুরআন) পাঠ ছিনিয়ে নিচ্ছে। (ই. ফা. ৭৭১, ই. সে. ৭৮৩)

৭৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ وَقَالَ ‏ “‏ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ بَعْضَكُمْ خَالَجَنِيهَا ‏”‏ ‏.‏

কাতাদাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাত আদায় করলেন এবং বললেনঃ আমি জানতে পেরেছি তোমাদের কেউ কেউ আমার কাছ থেকে (কুরআন) ছিনিয়ে নিচ্ছো। (ই. ফা. ৭৭২, ই. সে. ৭৮৪)

১৩. অধ্যায়ঃ
‘বিসমিল্লাহ’ সশব্দে না পড়ার পক্ষে দলীল

৭৭৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ كِلاَهُمَا عَنْ غُنْدَرٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ فَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْهُمْ يَقْرَأُ ‏{‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ‏}‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাক্‌র(রাঃ), ‘উমার (রাঃ) ও ‘উসমান (রাঃ)-এর সাথে সলাত আদায় করেছি। আমি তাদের কাউকে ‘বিসমিল্লাহ-হির রহমা-নির রহীম” (সশব্দে) পড়তে শুনিনি। (ই. ফা. ৭৭৩, ই. সে. ৭৮৫)

৭৭৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَزَادَ قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لِقَتَادَةَ أَسَمِعْتَهُ مِنْ أَنَسٍ قَالَ نَعَمْ نَحْنُ سَأَلْنَاهُ عَنْهُ ‏.‏

শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি কাতাদাহ্ কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি উপরের হাদীসটি আনাস (রাঃ)- এর কাছে সরাসরি শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমরা তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাদের এ হাদীস শুনান। (ই.ফা. ৭৭৪, ই.সে .৭৮৬)

৭৭৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَبْدَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، كَانَ يَجْهَرُ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ يَقُولُ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ‏.‏ وَعَنْ قَتَادَةَ أَنَّهُ كَتَبَ إِلَيْهِ يُخْبِرُهُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ فَكَانُوا يَسْتَفْتِحُونَ بِـ ‏{‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏}‏ لاَ يَذْكُرُونَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فِي أَوَّلِ قِرَاءَةٍ وَلاَ فِي آخِرِهَا ‏.‏

‘আবদাহ থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এ কথাগুলো উচ্চঃস্বরে পড়তেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে আল্লাহ, তোমারই পবিত্রতা বর্ণনা করি এবং তোমারই শুকর আদায় করি, তোমার নাম বড়ই বরকতপূর্ণ, তোমার মর্যাদা সর্বচ্চো, তুমি ছাড়া আর কেউ মা’বুদ নেই।”

কাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তাকে বলেছেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) , ‘উমার (রাঃ)- এর পিছনে সলাত আদায় করেছি। তারা সকলে সলাতে (আরবি) দিয়ে শুরু করতেন। তারা কিরাআতের শুরুতেও (আরবি) পড়তেন না , শেষেও না। (ই.ফা. ৭৭৫, ই.সে.৭৮৭)

৭৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، أَخْبَرَنِي إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَذْكُرُ ذَلِكَ ‏.‏

ইসহাক্ ইবনু ‘আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ তালহাহ্ (রহ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) – কে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন। (ই.ফা.৭৭৬,ই.সে. ৭৮৮)

১৪. অধ্যায়ঃ
যারা বলে, বিসমিল্লা-হ, সূরাহ্ বারাআহ্ (তাওবাহ্) ছাড়া আর সব সূরারই অংশ তাদের দলীল

৭৮০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا الْمُخْتَارُ بْنُ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ بَيْنَ أَظْهُرِنَا إِذْ أَغْفَى إِغْفَاءَةً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مُتَبَسِّمًا فَقُلْنَا مَا أَضْحَكَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آنِفًا سُورَةٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَرَأَ ‏”‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏{‏ إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ * فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ * إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ‏}‏ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَتَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ خَيْرٌ كَثِيرٌ هُوَ حَوْضٌ تَرِدُ عَلَيْهِ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ فَيُخْتَلَجُ الْعَبْدُ مِنْهُمْ فَأَقُولُ رَبِّ إِنَّهُ مِنْ أُمَّتِي ‏.‏ فَيَقُولُ مَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَتْ بَعْدَكَ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ ابْنُ حُجْرٍ فِي حَدِيثِهِ بَيْنَ أَظْهُرِنَا فِي الْمَسْجِدِ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ مَا أَحْدَثَ بَعْدَكَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর মাজলিসে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ তাঁর উপর অচৈতন্য ভাব চেপে বসল। অতঃপর তিনি মুচকি হেসে মাথা তুললেন। আমরা বললাম , হে আল্লাহর রাসুল! আপনার হাসির কারন কি? তিনি বললেনঃ এ মাত্র আমার উপর একটি সুরাহ্ অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি পাঠ করলেনঃ ‘বিস্‌মিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’। নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে ‘কাওসার’ দান করেছি। অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের জন্য সলাত আদায় কর আবং কুরবানী দাও। তোমার কুৎসা রটনাকারীরাই মূলত শিকড়কাটা, নির্মূল। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা কি জান ‘কাওসার’ কি? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এটা একটা ঝর্ণা। আমার মহান প্রতিপালক আমাকে তা দেয়ার জন্য ওয়া’দা করেছেন। এর মধ্যে অশেষ কল্যাণ রয়েছে, আমার উম্মতের লোকেরা কিয়ামতের দিন এ হাওযের পানি পান করতে আসবে। এ হাওযে রয়েছে তারকার মত অসংখ্য পানপাত্র (গ্লাস)। এক ব্যাক্তিকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। আমি তখন বলবঃ প্রভু! সে আমার উম্মতেরই লোক। আমাকে তখন বলা হবে , তুমি জান না , তোমার মৃত্যুর পর এরা কি অভিনব কাজ (বিদ’আত) করেছে।

ইবনু হজরের বর্ণনায় আরো আছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে আমাদের কাছে এসেছেন এবং আল্লাহ বলবেন, এ ব্যাক্তি আপনার পরে বিদ’আত চালু করেছে। (ই.ফা.৭৭৭,ই.সে. ৭৮৯)

৭৮১
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَخْبَرَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ أَغْفَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِغْفَاءَةً ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فِي الْجَنَّةِ عَلَيْهِ حَوْضٌ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏”‏ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু মুসহির বর্ণিত (উপরোল্লিখিত) হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর উপর অচেতন ভাব দেখা গেল। ….. ইবনু মুসহির- এর হাদীসের অনুরুপ। তবে এ বর্ণনায় আছে, কাওসার একটি সুন্দর ঝর্ণার নাম। আমার প্রতিপালক জান্নাতের এ ঝর্ণাধারা আমাকে দেয়ার ওয়া’দা করেছেন। এ বর্ণনায় ‘তারকার মতো অসংখ্য পানপাত্রের’ কথা উল্লেখ নেই। (ই.ফা.৭৭৮, ই.সে.৭৯০)

১৫. অধ্যায়ঃ
তাকবীরে তাহরীমার পর বুকের নিচে কিন্তু নাভির উপরে বাঁ হাতের উপর দান হাত রাখবে এবং সাজদাহরত অবস্থায় উভয় হাত কাঁধ বরাবর মাটিতে রাখবে

৭৮২
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، وَمَوْلًى، لَهُمْ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِيهِ، وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ يَدَيْهِ حِينَ دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ كَبَّرَ – وَصَفَ هَمَّامٌ حِيَالَ أُذُنَيْهِ – ثُمَّ الْتَحَفَ بِثَوْبِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ أَخْرَجَ يَدَيْهِ مِنَ الثَّوْبِ ثُمَّ رَفَعَهُمَا ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ فَلَمَّا قَالَ ‏ “‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمَّا سَجَدَ سَجَدَ بَيْنَ كَفَّيْهِ ‏.‏

ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে দেখলেন, তিনি সলাত শুরু করার সময় দুই হাত তুললেন এবং তাকবীর বললেন। হাম্মামের বর্ণনায় আছে, তিনি দুই হাত কান পর্যন্ত উঠালেন ; অতঃপর চাদরে ঢেকে নিলেন এবং ডান হাত বাঁ হাতের উপর রাখলেন। তিনি যখন রুকু’তে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন, উভয় হাত কাপড়ের ভিতর থেকে বের করলেন, অতঃপর উভয় হাত উত্তোলন করলেন, অতঃপর তাকবীর বলে রুকু’তে গেলেন, তিনি যখন ‘সামিয়াল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ বললেন দু’হাত উঠালেন। তিনি যখন সাজদায় গেলেন, দু’হাতের মাঝখানে সাজদাহ্ করলেন। [ই.ফা.৭৭৯, ই.সে. ৭৯১]

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]