সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা সালাত অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৭৮৩– ৮৩৪

১৬. অধ্যায়ঃ
সলাতে তাশাহহুদ পাঠ করা

৭৮৩
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نَقُولُ فِي الصَّلاَةِ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ ‏.‏ فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ فَإِذَا قَعَدَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَقُلِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ فَإِذَا قَالَهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , আমরা রসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে সলাত আদায় করার সময় (বৈঠকে) বলতাম, ‘আল্লাহর উপর সালাম হোক, অমুকের উপর শান্তি বর্ষিত হোক,একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেনঃ বস্তুত আল্লাহ নিজেই সালাম (শান্তিদাতা)। অতএব তোমাদের কেউ যখন সলাতে বসে সে যেন বলে, “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস্ সলাওয়া-তু ওয়াত্ তইয়্যিবা-তু আসসালা-মু ‘আলাইকা আইয়ুহান্ নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়াবারাকাতুহু আসসালা-মু ‘আলাইনা – ওয়া’আলা-ইবা-দিল্লা-হিস স-লিহীন’ অর্থাৎ “ যাবতীয় মান-মর্যাদা , প্রশংসা ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমাত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি নেমে আসুক।” যখন সে এ কথা গুলো বলে, তখন তা আল্লাহর প্রতিটি নেক বান্দাদের নিকট পৌঁছে যায়, সে আসমানে বা জমিনেই থাক। (অতঃপর বলবে) “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়ারসুলুহু” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রসূল।” অতঃপর সলাত আদায়কারী তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দু’আ পড়তে পারে। (ই.ফা. ৭৮০, ই. সে. ৭৯২)

৭৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ ‏”‏ ‏.‏

মানসূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে একই হাদীস বর্ণীত হয়েছে। তবে এ বর্ণনায় “অতঃপর সলাত আদায়কারী তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দু’আ পড়তে পারে।” এ কথাটুকু উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৭৮১, ই. সে. ৭৯৩)

৭৮৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَ حَدِيثِهِمَا وَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ ‏ “‏ ثُمَّ لْيَتَخَيَّرْ بَعْدُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ أَوْ مَا أَحَبَّ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদা ইবনু হুমায়দ- এর সানাদে মানসুর থেকে বর্ণিতঃ

একই হাদীস অবিকল বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বর্ণনায় শেষ অংশ হছেঃ অতঃপর সলাত আদায়কারী তার ইছানুযায়ী অথবা নিজের পছন্দমত যে কোন দু’আ পড়তে পারে। (ই.ফা.৭৮২, ই.সে.৭৯৪)

৭৮৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كُنَّا إِذَا جَلَسْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَنْصُورٍ وَقَالَ ‏ “‏ ثُمَّ يَتَخَيَّرُ بَعْدُ مِنَ الدُّعَاءِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে সলাতের মধ্যে বসতাম … মানসুরের হাদীসের অনুরুপ। এর শেষাংশের বর্ণনা হলোঃ তারপর সে যে কোন দু’আ পাঠ করবে। (ই.ফা.৭৮৩, ই.সে. ৭৯৫)

৭৮৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يَقُولُ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَخْبَرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم التَّشَهُّدَ كَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ كَمَا يُعَلِّمُنِي السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ ‏.‏ وَاقْتَصَّ التَّشَهُّدَ بِمِثْلِ مَا اقْتَصُّوا ‏.

ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত তাঁর উভয় হাতের মধ্যে নিয়ে আমাকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিয়েছেন, যেভাবে তিনি আমাকে কুরআনের সুরাহ শিক্ষা দিতেন, (অধস্তন রাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাখবারাহ্ বলেন), অন্যান্যরা যেরূপ তাশাহহুদের বর্ণনা দিয়েছেন, তিনি (ইবনু মাস’উদ) অনুরূপ তাশাহহুদের বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭৮৪, ই. সে. ৭৯৬)

৭৮৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَعَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ فَكَانَ يَقُولُ ‏ “‏ التَّحِيَّاتُ الْمُبَارَكَاتُ الصَّلَوَاتُ الطَّيِّبَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ رُمْحٍ كَمَا يُعَلِّمُنَا الْقُرْآنَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে যেভাবে কুরআনের সূরাহ্ শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবেই আমাদেরকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেনঃ আত্তাহিয়্যা-তুল-মুবা-রাকা-তুস সলাওয়া-তুত্ তাইয়্যিবা-তু লিল্লা-হিস্ সালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যুহান্ নাবিয়্যু ওয়ারহমাতুল্ল-হি ওয়াবারাকা-তুহ্ আসসালা-মু ‘আলাইনা – ওয়া’আলা-‘ইবা-দিল্লা হিস স-লিহীন , আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্ল-হ”। অর্থাৎ “যাবতীয় সম্মান ও মর্যাদা , প্রাচুর্য , প্রশংসা এবং পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বারাকাত অবতীর্ণ হোক। আমাদের ও আল্লাহর সকল নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল।”

ইবনু রুমহ এর বর্ণনায় আছেঃ তিনি যেভাবে আমাদের কুরআন শিক্ষা দিতেন। (ই.ফা. ৭৮৫, ই.সে. ৭৯৭)

৭৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে যেভাবে কুরআন শিক্ষা দিতেন, সেভাবেই আমাদেরকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিতেন। (ই.ফা. ৭৮৬, ই.সে.৭৯৮)

৭৯০
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الأُمَوِيُّ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ صَلاَةً فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أُقِرَّتِ الصَّلاَةُ بِالْبِرِّ وَالزَّكَاةِ – قَالَ – فَلَمَّا قَضَى أَبُو مُوسَى الصَّلاَةَ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ فَقَالَ أَيُّكُمُ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا قَالَ فَأَرَمَّ الْقَوْمُ ثُمَّ قَالَ أَيُّكُمُ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَرَمَّ الْقَوْمُ فَقَالَ لَعَلَّكَ يَا حِطَّانُ قُلْتَهَا قَالَ مَا قُلْتُهَا وَلَقَدْ رَهِبْتُ أَنْ تَبْكَعَنِي بِهَا ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَنَا قُلْتُهَا وَلَمْ أُرِدْ بِهَا إِلاَّ الْخَيْرَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو مُوسَى أَمَا تَعْلَمُونَ كَيْفَ تَقُولُونَ فِي صَلاَتِكُمْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَنَا فَبَيَّنَ لَنَا سُنَّتَنَا وَعَلَّمَنَا صَلاَتَنَا فَقَالَ ‏”‏ إِذَا صَلَّيْتُمْ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَالَ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ فَقُولُوا آمِينَ ‏.‏ يُجِبْكُمُ اللَّهُ فَإِذَا كَبَّرَ وَرَكَعَ فَكَبِّرُوا وَارْكَعُوا فَإِنَّ الإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَتِلْكَ بِتِلْكَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ يَسْمَعُ اللَّهُ لَكُمْ فَإِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ وَإِذَا كَبَّرَ وَسَجَدَ فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا فَإِنَّ الإِمَامَ يَسْجُدُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَتِلْكَ بِتِلْكَ ‏.‏ وَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ مِنْ أَوَّلِ قَوْلِ أَحَدِكُمُ التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ‏”‏ ‏.‏

হিততান ইবনু ‘আবদুল্লাহ আর্ রাকাশী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ মুসা আশ’আরী (রাঃ)- এর সাথে সলাত আদায় করলাম। তিনি যখন তাশাহহুদে বসলেন, জামা’আতের মধ্য হতে এক ব্যাক্তি বলে উঠল, ‘সলাত পুণ্য ও যাকাতের সাথে ফারয করা হয়েছে’। রাবী বললেন, আবূ মুসা (রাঃ) সলাত শেষ করে সালাম ফিরানোর পর বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এরূপ বলেছে? লোকেরা নিরব থাকল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন , তোমাদের মধ্যে কে এরূপ এরূপ বলেছে? এবারও লোকেরা নীরব থাকল। অতঃপর তিনি বললেন , হে হিততান ! সম্ভবত তুমিই এটা বলেছ। তিনি ( হিততান ) বললেন, আমি তা বলিনি। অবশ্য আমার ভয় হচ্ছিল যে আপনি আমার উপর এজন্যে রেগে যান কি-না ! এমন সময় লোকদের মধ্যে হতে এক ব্যাক্তি বলল, আমি এরুপ বলেছি। আমি এর মাধ্যমে কল্যাণই আশা করেছিলাম। আবূ মুসা (রাঃ) বললেন, নিজেদের সলাতের মধ্যে কী বলতে হবে তা কি তোমরা জান না? রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন, তিনি আমাদেরকে নিয়মকানুন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন এবং আমাদেরকে সলাত আদায় করার শিক্ষা দিয়েছেন। তা হচ্ছেঃ তোমরা যখন সলাত আদায় করবে, তোমাদের লাইনগুলো ঠিক করে নিবে। অতঃপর তোমাদের কেউ তোমাদের ইমামতি করবে। সে যখন তাকবীর বলবে, তোমরাও তাকবীর বলবে। সে যখন “গাইরিল মাগযুবি ‘আলাইহিম ওয়ালায্ যোল্লীন” বলবে তোমরা তখন ‘আমীন’ বলবে। আল্লাহ তোমাদের ডাকে সারা দিবেন। সে যখন তাকবীর বলে রুকু‘তে যাবে, তোমরাও তাকবীর বলে রুকু ‘তে যাবে। কেননা , ইমাম তোমাদের আগে রুকু‘তে যাবে এবং তোমাদের আগে রুকু’ থেকে উঠবে। রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এটা ওটার বিনিময়ে, তথা ইমাম যেমন রুকু’ সাজদার আগে যাবে, তেমনি আগে উঠবে। সে যখন ‘সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলবে ,তোমরা তখন “আল্ল-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদ” বলবে, আল্লাহ তোমাদের এই কথা শুনবেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা তার নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষায় বলেছেনঃ ‘সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” (আল্লাহ তার প্রশংসাকারীর প্রশংসা শুনেন)। সে যখন তাকবীর বলবে এবং সাজদায় যাবে , তোমরাও তার পরপর তাকবীর বলে সাজদায় যাবে। কেননা, ইমাম তোমাদের আগে সাজদায় যাবে এবং তোমাদের আগে সাজদা থেকে উঠবে। রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের তাকবীর ও সাজদাহ্ ইমামের পরে হবে। যখন তোমরা বৈঠকে বসবে, তোমাদের পাঠ হবেঃ আত্তাহিয়্যাতুত্ তাইয়্যিবা-তুস্ সালাওয়া-তু লিল্লা-হি আসসালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু আসসালামু ‘আলাইনা – ওয়া’আলা-‘ইবা-দিল্লা হিস্ স-লিহীন , আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাসুলুহ” অর্থাৎ- সকল প্রকার পবিত্র ও একান্ত মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক ‘ইবাদাতসমুহ আল্লাহরই জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর পক্ষ হতে শান্তি, রহমত ও বারাকাত নাযিল হোক এবং আমাদের উপর ও আল্লাহর নেককার বান্দাদের উপরও শান্তি বর্ষিত হোক।আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ‘ইবাদাতের যোগ্য নয় এবং আমি এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দাস ও তাঁর দূত।” (ই.ফা. ৭৮৭, ই. সে. ৭৯৯)

৭৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ قَتَادَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ جَرِيرٍ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ قَتَادَةَ مِنَ الزِّيَادَةِ ‏”‏ وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا ‏”‏ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَحَدٍ مِنْهُمْ ‏”‏ فَإِنَّ اللَّهَ قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ إِلاَّ فِي رِوَايَةِ أَبِي كَامِلٍ وَحْدَهُ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ قَالَ أَبُو بَكْرِ ابْنُ أُخْتِ أَبِي النَّضْرِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ مُسْلِمٌ تُرِيدُ أَحْفَظَ مِنْ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ فَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ هُوَ صَحِيحٌ يَعْنِي وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا ‏.‏ فَقَالَ هُوَ عِنْدِي صَحِيحٌ ‏.‏ فَقَالَ لِمَ لَمْ تَضَعْهُ هَا هُنَا قَالَ لَيْسَ كُلُّ شَىْءٍ عِنْدِي صَحِيحٍ وَضَعْتُهُ هَا هُنَا ‏.‏ إِنَّمَا وَضَعْتُ هَا هُنَا مَا أَجْمَعُوا عَلَيْهِ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) হতে এ সুত্রে থেকে বর্ণিতঃ

একই হাদীস বর্ণনা হয়েছে। জারীর সুলাইমানের সুত্রে কাতাদার এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনায় আরো আছে, ‘ইমাম যখন কুরআন পাঠ করে তোমরা তখন চুপ থাক।’ আবূ আওয়ানার সূত্রে কেবল আবূ কামিলের বর্ণনা ছাড়া আর কোন রাবীর বর্ণনায় এ কথাগুলো নেইঃ ‘মহান আল্লাহ তার নাবীর কণ্ঠে বলেছেনঃ ‘সামিআল্ল-হু লিমান হামিদাহ”।

আবূ ইসহাক্ বলেন, আবূ নাযর এর বোনের ছেলে আবূ বাক্‌র বলেছেন, এ হাদীসটির সমালোচনা করা হলে ইমাম মুসলিম তাকে বললেন, সুলাইমানের চেয়েও কি বড় হাফিয কেউ আছে? আবূ বাক্‌র তাকে বললেন, আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ)- এ বর্ণনা সম্পর্কে আপনার কী মত? তিনি বললেন, তার বর্ণনা সহীহ ইমাম যখন কুরআন পাঠ করে তোমরা চুপ থাক। ইমাম মুসলিম বলেন, এ হাদীস আমার মতে সহীহ। আবূ বাক্‌র বললেন, তাহলে আপনার কিতাবে তা যোগ করেননি কেন? তিনি বললেন, আমি যেটা সহীহ মনে করি শুধু তাই আমার কিতাবে লিপিবদ্ধ করা জরুরী মনে করিনা। বরং যেসব হাদীস সহীহ বলে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমি কেবল তাই আমার কিতাবে সংকলন করেছি। (ই. ফা. ৭৮৮, ই. সে. ৮০০)

৭৯২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ‏ “‏ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَضَى عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সানাদ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ তার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষায় বলেনঃ ‘সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” অর্থাৎ যে আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি তা শুনেন। ( ই. ফা. ৭৮৯, ই. সে. ৮০১)

১৭. অধ্যায়ঃ
তাশাহহুদ পড়ার পর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর দুরূদ পাঠ করা

৭৯৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الأَنْصَارِيَّ، – وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ هُوَ الَّذِي كَانَ أُرِيَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ – أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ فِي مَجْلِسِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ فَقَالَ لَهُ بَشِيرُ بْنُ سَعْدٍ أَمَرَنَا اللَّهُ تَعَالَى أَنْ نُصَلِّيَ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تَمَنَّيْنَا أَنَّهُ لَمْ يَسْأَلْهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُولُوا ‏ “‏ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ‏.‏ وَالسَّلاَمُ كَمَا قَدْ عَلِمْتُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসলেন, আমরা তখন সা’দ ইবনু ‘উবাদাহ্ (রাঃ) এর বৈঠক এ উপস্থিত ছিলাম। বাশীর ইবনু সা’দ (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ! মহান আল্লাহ আপনার উপর দুরূদ পাঠ করার জন্যে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা কিভাবে আপনার উপর দুরূদ পাঠ করব? রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ করে থাকলেন। এমনকি আমরা আফসোস করে বললাম, সে যদি তাঁকে এ প্রশ্ন না করত ! অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা বল- “আল্ল-হুম্মা সল্লি ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা-সল্লাইতা আলা-আ-লি ইবর-হীমা ওয়াবা-রিক ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা বা-রকতা ‘আলা আ-লি ইবর-হীমা ফিল ‘আলামীন। ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।” অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ ও তার পরিবার-পরিজনের উপর রহমত বর্ষণ করো-যেভাবে তুমি ইবরাহীম (আঃ) এর পরিবার-পরিজনের উপর রহমাত বর্ষণ করেছ। তুমি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার-পরিজনকে বারাকাত ও প্রাচুর্য দান করো-যেভাবে তুমি ইবরাহীম (‘আঃ)- এর পরিবার-পরিজনকে দুনিয়া ও আখিরাতে বারাকাত ও প্রাচুর্য দান করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত।“ আর সালাম দেয়ার নিয়ম যা তোমরা ইতিপূর্বে জেনেছ। (ই.ফা.৭৯০, ই.সে. ৮০২)

৭৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ لَقِيَنِي كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ فَقَالَ أَلاَ أُهْدِي لَكَ هَدِيَّةً خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا قَدْ عَرَفْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ ‏ “‏ قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আবূ লাইলা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কা’ব ইবনু ‘উজরাহ (রাঃ) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, আমি কি তোমাকে কিছু উপহার দিব না? রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসলেন, আমরা বললাম আমরা আপনাকে কিভাবে সালাম করবো তা জানতে পেরেছি কিন্তু আপনার উপর কিভাবে দূরুদ পাঠ করব? তিনি বললেনঃ তোমরা বল, “ আল্ল-হুম্মা সল্লি ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা-সল্লাইতা ‘আলা- আ-লি ইবর-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্ল-হুম্মা বা-রিক ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা- বা-রকতা ‘আলা আ-লি ইবর-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।” অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর বংশধরদের উপর ঐরূপ রহমাত নাযিল কর যেমনটি করেছিলে ইবরাহীম (‘আঃ)-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর বংশধরদের উপর ঐরূপ বারাকাত নাযিল কর যেমনটি করেছিলে ইবরাহীম (‘আঃ) এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।” (ই.ফা. ৭৯১, ই.সে.৮০৩)

৭৯৫
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، وَمِسْعَرٍ، عَنِ الْحَكَمِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ مِسْعَرٍ أَلاَ أُهْدِي لَكَ هَدِيَّةً

হাকাম থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদ সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু মিস’আরের বর্ণনায় ‘আমি কি তোমাকে কিছু উপহার দিব না’ কথাটুকু নেই। (ই.ফা. ৭৯২, ই.সে.৮০৪)

৭৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَعَنْ مِسْعَرٍ، وَعَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَكَمِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلِ اللَّهُمَّ ‏.

হাকাম থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদ সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এ সূত্রে “ওয়া বা-রিক’আলা-মুহাম্মাদিন” উল্লেখ করেছেন এবং “আল্ল-হুম্মা” শব্দের উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৭৯৩,ই.সে.৮০৫)

৭৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ، أَنَّهُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ ‏ “‏ قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু নুমায়র ও ‘আমর ইবনু সুলায়ম বলেন, আবূ হুমায়দ আস সা‘ইদী থেকে বর্ণিতঃ

তারা (সহাবাগণ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমরা আপনার উপর কিভাবে দরূদ পড়বো? তিনি বললেনঃ বল, “আল্ল-হুম্মা সল্লি ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা- আয্ওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা-সল্লাইতা ‘আলা-আ-লি ইবরাহীমা ওয়াবা-রিক ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা- আয্ওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা-বা-রাকতা ‘আলা-আ-লি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।” অর্থাৎ হে আল্লাহ ! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর বিবিগন এবং তাঁর বংশধরগনের প্রতি রহমাত বর্ষন কর, যেভাবে তুমি রহমাত বর্ষন করেছ ইবরাহীম (‘আঃ)-এর পরিজনের প্রতি- তুমি বারাকাত নাযিল কর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর বিবিগনের প্রতি যেভাবে তুমি বারাকাত নাযিল করেছ ইবরাহীম (‘আ)-এর পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সন্মানিত।(ই.ফা. ৭৯৪, ই.সে.৮০৬)

৭৯৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়ে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমাত নাযিল করেন।(ই.ফা. ৭৯৫ ,ই.সে.৮০৭ )

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৮. অধ্যায়ঃ
তাসমী’ , তাহমীদ ও আমীন সর্ম্পকে

৭৯৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَالَ الإِمَامُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেনঃ ইমাম যখন “সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলে তোমরা তখন “আল্লা-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদ” বল। কেননা যার এ কথা মালায়িকাদের (ফেরেশতাদের) কথার সাথে মিলে যাবে তার আগের গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হবে। (ই.ফা. ৭৯৬ , ই.সে. ৮০৮)

৮০০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ سُمَىٍّ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট থেকে উপরের হাদীসের অনূরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।(ই.ফা. ৭৯৭ , ই.সে. ৮০৯)

৮০১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ آمِينَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেনঃ ইমাম যখন ‘আ-মীন’ বলে, তোমরাও তখন ‘আ-মীন’ বল। কেননা যার ‘আ-মীন’ বলা মালায়িকাদের (ফেরেশতাদের)‘আ-মীন’ বলার সাথে মিলে যাবে তার আগেকার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। ইবনু শিহাব বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আ-মীন’ বলতেন।(ই.ফা. ৭৯৮ , ই.সে. ৮১০)

৮০২
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ ابْنِ شِهَابٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি…… উপরের (মালিকের) হাদীসের অবিকল। কিন্তু এ বর্ণনায় ইবনু শিহাবের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়নি। (ই.ফা. ৭৯৯ , ই.সে. ৮১১)

৮০৩
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ آمِينَ ‏.‏ وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ ‏.‏ فَوَافَقَ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ সলাতে ‘আ-মীন’ বলল এবং আকাশমণ্ডলীর মালায়িকারাও (ফেরেশতারাও)‘আ-মীন’ বলল। একজনের ‘আ-মীন’ এর সাথে আরেকজনের ‘আ-মীন’ মিলে গেল। তার আগের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।(ই.ফা. ৮০০ , ই.সে. ৮১২)

৮০৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ ‏.‏ وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ ‏.‏ فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ‘আ-মীন’ বলে এবং আকাশমণ্ডলীর মালায়িকারাও (ফেরেশতারাও)‘আ-মীন’ বলে। উভয়ের ‘আ-মীন’ যদি একই সাথে মিলে যায়, তবে আল্লাহ তার আগের গুনাহ মাফ করে দেবেন।(ই.ফা. ৮০১, ই.সে. ৮১৩ )

৮০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে।(ই.ফা. ৮০২, ই.সে. ৮১৪ )

৮০৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَالَ الْقَارِئُ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏.‏ فَقَالَ مَنْ خَلْفَهُ آمِينَ ‏.‏ فَوَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ أَهْلِ السَّمَاءِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কারী (ইমাম) যখন সলাতে غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ বলে, তখন তার পিছনের লোকেরাও (মুক্তাদীগন)أمين (আ-মীন) বলবে। তাদের এ কথা আকাশমণ্ডলীর অধিবাসী মালায়িকাদের কথার সাথে একত্রে উচ্চারিত হলে, তাদের (মুক্তাদী) পিছনের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।(ই.ফা. ৮০৩, ই.সে. ৮১৫ )

১৯. অধ্যায়ঃ
মুক্তাদীগণ ইমামের অনুসরন করবে

৮০৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ سَقَطَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ نَعُودُهُ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى بِنَا قَاعِدًا فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعُونَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলেন। ফলে তাঁর শরীরের ডানপাশ আহত হল। আমরা তাঁকে দেখতে গেলাম। ইতিমধ্যে সলাতের সময় হয়ে গেল। তিনি আমাদের নিয়ে বসে বসে সলাত আদায় করলেন। আমরাও তার পেছনে বসে সলাত আদায় করলাম। তিনি সলাত শেষ করে বললেনঃ ইমাম এজন্যই বানানো হয় যে, তার অনুসরন করা হবে। অতএব সে যখন আল্ল-হু আকবার বলে তোমরাও ‘আল্ল-হু আকবার’ বল। সে যখন সাজদাহ্ করে , তোমরাও সাজদাহ্ কর।সে যখন হাত উঁচু করে দাঁড়ায় তোমরাও হাত উঁচু করে দাঁড়াও। সে যখন ‘সামি আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলে, তোমরা তখন ‘রব্বানা- ওয়ালাকাল হামদ” বল। সে যখন বসে সলাত আদায় করে (ইমামতি করে) , তোমরাও সবাই মিলে বসে সলাত আদায় কর। (ই.ফা.৮০৪, ই.সে. ৮১৬)

৮০৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ خَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ فَصَلَّى لَنَا قَاعِدًا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে আহত হলেন। তিনি বসে বসে আমাদের সলাত আদায় করালেন। ………… অবশিষ্টাংশ উপরের হাদীসের অনুরুপ।(ই.ফা. ৮০৫, ই.সে. ৮১৭)

৮০৯
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صُرِعَ عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا وَزَادَ ‏ “‏ فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলেন। ফলে তাঁর শরীরের ডানপাশ আহত হল। উপরের হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় আরো আছে, ইমাম যখন দাঁড়িয়ে পড়ে, তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় কর। (ই. ফা. ৮০৬, ই. সে. ৮১৮)

৮১০
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكِبَ فَرَسًا فَصُرِعَ عَنْهُ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ وَفِيهِ ‏ “‏ إِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার সওয়ার হলেন। তিনি এর পিঠ থেকে পড়ে গেলেন। ফলে তাঁর শরীরের ডানপাশ আঘাতপ্রাপ্ত হল। উপরের হাদীসের অনুরূপ। এতে আরো আছেঃ সে (ইমাম) যখন দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে, তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় কর। (ই. ফা.৮০৭, ই.সে.৮১৯)

৮১১
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَنَسٌ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَقَطَ مِنْ فَرَسِهِ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَلَيْسَ فِيهِ زِيَادَةُ يُونُسَ وَمَالِكٍ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়া থেকে পড়ে গেলেন। এতে তাঁর শরীরের ডানপাশে আঘাত পেলেন। উপরের হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় ইউনুস ও মালিকের বর্ধিত বর্ণনাটুকু নেই। (ই. ফা.৮০৮, ই.সে. ৮২০)

৮১২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ عَلَيْهِ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ يَعُودُونَهُ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا ‏.‏ فَجَلَسُوا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا ‏”‏ ‏.‏

’আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হলেন। সহাবাদের কিছু সংখ্যক লোক তাঁকে দেখতে আসলেন। রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে বসে সলাত আদায় করলেন। তাঁরা তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করতে শুরু করলে তিনি তাদেরকে ইশারায় বললেনঃ তোমরা বসে যাও। তাঁরা বসে গেলেন। সলাত শেষ করে তিনি বললেনঃ অনুসরন করার জন্যেই ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সে যখন রুকু ‘তে যাবে তোমরাও তখন রুকু‘তে যাবে। সে যখন মাথা উঠাবে তোমরাও তখন মাথা উঠাবে। সে যখন বসে বসে সলাত আদায় করবে তোমরাও বসে বসে সলাত আদায় করবে। (ই.ফা. ৮০৯, ই.সে. ৮২১)

৮১৩
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي جَمِيعًا، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা.,৮১০, ই.সে.৮২২)

৮১৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ وَهُوَ قَاعِدٌ وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُ النَّاسَ تَكْبِيرَهُ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا فَرَآنَا قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْنَا فَقَعَدْنَا فَصَلَّيْنَا بِصَلاَتِهِ قُعُودًا فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ ‏ “‏ إِنْ كِدْتُمْ آنِفًِا لَتَفْعَلُونَ فِعْلَ فَارِسَ وَالرُّومِ يَقُومُونَ عَلَى مُلُوكِهِمْ وَهُمْ قُعُودٌ فَلاَ تَفْعَلُوا ائْتَمُّوا بِأَئِمَّتِكُمْ إِنْ صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِنْ صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমরা তাঁর পিছনে সলাত আদায় করলাম। তিনি বসে বসে সলাত আদায় করছিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) লোকদেরকে তার তাকবীর জোরে শুনিয়ে দিচ্ছিলেন। তিনি আমাদের দিকে খেয়াল করে আমাদেরকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলেন। তিনি আমাদের ইশারা করলেন। সে জন্য আমরা বসে গেলাম। আমরা তাঁর সাথে বসে সলাত আদায় করলাম। সালাম ফিরানোর পর তিনি বললেনঃ তোমরা পারস্য ও রোমের (সাম্রাজ্যের) লোকদের মতোই করতে যাচ্ছিলে। তাদের বাদশাহ বসে থাকে আর তারা দাঁড়িয়ে থাকে। তোমরা কখনো এমন করো না। সবসময় তোমাদের ইমামদের অনুসরণ করবে। সে যদি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে, তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে। সে যদি বসে সলাত আদায় করে তোমরাও বসে সলাত আদায় করবে। (ই.ফা.,৮১১, ই.সে.৮২৩)

৮১৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرُّؤَاسِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ خَلْفَهُ فَإِذَا كَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَبَّرَ أَبُو بَكْرٍ لِيُسْمِعَنَا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ اللَّيْثِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সলাত আদায় করালেন। আবূ বাক্‌র(রাঃ) তার পেছনেই ছিলেন রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাকবীর বললেন, আবূ বাক্‌র আমাদেরকে শুনিয়ে জোরে তাকবীর বললেন। ……হাদীসের অবশিষ্ট অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা.. ৮১২, ই.সে.৮২৪)

৮১৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَلاَ تَخْتَلِفُوا عَلَيْهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইমাম এজন্য নিযুক্ত করা হয় যে, তার অনুসরন করা হবে, তোমরা কখনো তার উল্টো করো না। সে যখন আল্ল-হু আকবার বলে, তোমরাও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলো। সে যখন রুকু‘ করে, তোমরাও তখন রুকু‘ করো। সে যখন “সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলে তোমরাও তখন ‘আল্ল-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদ” বলো। সে যখন সাজদায় যায়, তোমরাও তখন সাজদায় যাও। সে যখন বসে সলাত আদায় করে, তোমরাও সবাই মিলে বসে সলাত আদায় করো। (ই.ফ.৮১৩, ই.সে. ৮২৫)

৮১৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে উপরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৮১৪, ই.সে.৮২৬)

২০. অধ্যায়ঃ
তাকবীর ও অন্যান্য বিষয়ে ইমামের আগে যে কোন কাজ করা নিষেধ

৮১৮
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ، خَشْرَمٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تُبَادِرُوا الإِمَامَ إِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَالَ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏.‏ فَقُولُوا آمِينَ ‏.‏ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে (সলাতের ) শিক্ষা দিয়ে বলতেনঃ ইমামের আগে কোন কাজ করো না। সে যখন ‘আল্লা-হু আকবার’ বলে, তোমরা ‘আল্লা-হু আকবার’ বলো। সে যখন,’ওয়ালায্ যোয়া-ল্লীন’ বলে, তোমরাও তখন ‘আ-মীন’ বল। সে যখন রুকুতে যায়, তোমরাও তখন রুকুতে যাও। সে যখন “সামি ‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলে তোমরা তখন “আল্ল-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ’ বলো। (ই.ফা.৮১৫,ই.সে.৮২৭)

৮১৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ إِلاَّ قَوْلَهُ ‏”‏ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏.‏ فَقُولُوا آمِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ ‏”‏ وَلاَ تَرْفَعُوا قَبْلَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছ থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ বর্ণনায় ইমামের ‘ওয়ালায্ যোয়া-ল্লীন’ বলার পর ‘আ-মীন’ বলার কথা উল্লেখ নেই। তবে এতে আরো আছে, তোমরা ইমামের আগে হাত উঠাবে না। (ই.ফা. ৮১৬, ই.সে. ৮২৮)

৮২০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى، – وَهُوَ ابْنُ عَطَاءٍ – سَمِعَ أَبَا عَلْقَمَةَ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا الإِمَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ فَإِذَا وَافَقَ قَوْلُ أَهْلِ الأَرْضِ قَوْلَ أَهْلِ السَّمَاءِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ; ইমাম ঢাল স্বরূপ। সে যখন বসে বসে সলাত আদায় করে- তোমরাও বসে বসে সলাত আদায় করো। সে যখন ‘সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ’ বলে তোমরা তখন ‘আল্ল-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ’ বলো। জমিনবাসীর কথা আকাশমণ্ডলীর (ফেরেশতার) কথার সঙ্গে একত্রে উচ্চারিত হলে আল্লাহ তার (বান্দার) পিছনের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (ই.ফা. ৮১৭, ই.সে.৮২৯)

৮২১
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ وَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعُونَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমাম এ জন্য নিযুক্ত করা হয় যে ,তার অনুসরন করা হবে। সে যখন তাকবীর বলে- তোমরাও তাকবীর বলো। সে যখন সাজদাহ্ করে, তোমরাও সাজদাহ্ করো। সে যখন “সামি আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলে-তোমরা তখন “আল্ল-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদ” বলো। সে যখন দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করো। সে যখন বসে সলাত আদায় করে তোমরাও সবাই মিলে বসে সলাত আদায় করো। (ই.ফা.৮১৮, ই.সে.৮৩০)

২১. অধ্যায়ঃ
ইমাম অসুস্থ হয়ে পড়লে বা সফরে গেলে, অথবা অন্য কোন ওজর থাকলে তিনি তার প্রতিনিধি নিয়োগ করবেন, কোন কারনে ইমাম যদি বসে সলাত আদায় করেন-সেক্ষেত্রে মুক্তাদীদের কোন অসুবিধা না থাকলে তারা দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে, কারন সক্ষম মুক্তাদীর বসে সলাত আদায় করার নির্দেশ (মানসুখ) রহিত হয়ে গেছে।

৮২২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ لَهَا أَلاَ تُحَدِّثِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ بَلَى ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّى النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ ‏”‏ ‏.‏ فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّى النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ ‏”‏ ‏.‏ فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّى النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ ‏”‏ ‏.‏ فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّى النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَتْ وَالنَّاسُ عُكُوفٌ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِصَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ – قَالَتْ – فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَأَتَاهُ الرَّسُولُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكَ أَنْ تُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ رَجُلاً رَقِيقًا يَا عُمَرُ صَلِّ بِالنَّاسِ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ ‏.‏ قَالَتْ فَصَلَّى بِهِمْ أَبُو بَكْرٍ تِلْكَ الأَيَّامَ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ لِصَلاَةِ الظُّهْرِ وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ يَتَأَخَّرَ وَقَالَ لَهُمَا ‏”‏ أَجْلِسَانِي إِلَى جَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي وَهُوَ قَائِمٌ بِصَلاَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ ‏.‏ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَدَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ لَهُ أَلاَ أَعْرِضُ عَلَيْكَ مَا حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هَاتِ ‏.‏ فَعَرَضْتُ حَدِيثَهَا عَلَيْهِ فَمَا أَنْكَرَ مِنْهُ شِيْئًا غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ أَسَمَّتْ لَكَ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ مَعَ الْعَبَّاسِ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ هُوَ عَلِيٌّ ‏.‏

’উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাকে বললাম , আপনি আমার কাছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (মৃত্যুকালীন) রোগের অবস্থার বর্ণনা করবেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসুস্থতা বেড়ে গেল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন লোকেরা সলাত আদায় করেছে কি? আমরা বললাম , না, আল্লাহর রাসুল! তারা আপনার অপেক্ষা করছে। তিনি বললেন, আমার জন্যে পাত্রে পানি রাখো। আমরা তাই করলাম। তিনি ওযূ করলেন, অতঃপর উঠতে গিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি বললেন, লোকেরা কি সলাত আদায় করেছে? আমরা বললাম , না তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ,হে আল্লাহর রাসুল! তিনি(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার জন্যে পাত্রে পানি রাখো। আমরা তাই করলাম। তিনি ওযূ করলেন। অতঃপর উঠতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ লোকেরা কি সলাত আদায় করেছে? আমরা বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তারা আপনার অপেক্ষা করছে। তিনি বললেনঃ আমার জন্যে পাত্রে পানি রাখো। আমরা তাই করলাম। তিনি ওযূ করে উঠতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পরলেন। অতঃপর জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ লোকেরা কি সলাত আদায় করেছে? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তারা আপনার অপেক্ষায় আছে। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, লোকেরা ‘ইশার সলাত আদায়ের জন্য মাসজিদে রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অপেক্ষায় বসেছিল। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকরের কাছে লোক পাঠালেন। সংবাদ বাহক ( আবূ বাকরের কাছে) এসে বলল, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে লোকেদের নিয়ে সলাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আবূ বাক্‌র(রাঃ) ছিলেন খুবই কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি বললেন, হে ‘উমার! লোকদের নিয়ে সলাত আদায় করো। ‘উমার (রাঃ) বললেন, এজন্য আপনিই অধিক উপযুক্ত। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, এ কয়দিন আবূ বাক্‌র(রাঃ)সলাত আদায় করালেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুটা সুস্থ হলেন। তিনি দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে যুহরের সলাত আদায় করতে বের হলেন। তাদের একজন ছিলেন ‘আব্বাস (রাঃ)। ইতিমধ্যে আবূ বাক্‌র(রাঃ) লোকদের নিয়ে সলাত আদায় শুরু করে দিয়েছিলেন, আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে দেখে পিছে সরে আসতে উদ্যত হলেন। নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইশারায় বললেনঃ পিছনে হটে এসো না। তিনি তাদের উভয় কে বললেন, আমাকে তার পাশে বসিয়ে দাও। তারা তাঁকে আবূ বাক্‌র(রাঃ)-এর পাশে বসিয়ে দিলেন। আবূ বাক্‌র(রাঃ) দাঁড়িয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুকরনে সলাত আদায় করলেন এবং লোকেরা আবূ বাক্‌র(রাঃ)-এর অনুকরনে সলাত আদায় করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসেই সলাত আদায় করলেন। ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, অতঃপর আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে বললাম, নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসুখ সম্পর্কে ‘আয়িশাহ্(রাঃ) যা বলেছেন, আমি কি তা আপনার সামনে পেশ করবো না? তিনি বললেন, হ্যাঁ, বলো। আমি তার কাছে ‘আয়িশাহ্(রাঃ) এর দেয়া বিবরন তুলে ধরলাম। তিনি সামান্যতমও দ্বিমত করলেন না। শুধু বললেন, ‘আব্বাস (রাঃ) এর সাথে যে অপর ব্যক্তি ছিলো, তিনি কি তোমাকে তার নাম বলেছেন? আমি বললাম , না। তিনি বললেন, তিনি হচ্ছেন ‘আলী। (ই.ফা.৮১৯, ই.সে.৮৩১)

৮২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ، أَوَّلُ مَا اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ فَاسْـتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِهَا وَأَذِنَّ لَهُ – قَالَتْ – فَخَرَجَ وَيَدٌ لَهُ عَلَى الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ وَيَدٌ لَهُ عَلَى رَجُلٍ آخَرَ وَهُوَ يَخُطُّ بِرِجْلَيْهِ فِي الأَرْضِ ‏.‏ فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ أَتَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ هُوَ عَلِيٌّ ‏.‏

‘আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বপ্রথম মাইমুনাহ্ (রাঃ)–এর ঘরে রোগাক্রান্ত হন। তিনি সেবা-শুশ্রূষার জন্য তার [‘আয়িশাহ্(রাঃ)–এর] ঘরে যাওয়ার ব্যাপারে নিজের স্ত্রীদের অনুমতি চাইলেন। তারা তাঁকে অনুমতি দিলেন। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেনঃ তিনি এক হাত ফাযল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)–এর কাঁধের উপর রেখে এবং অপর হাত অন্য এক ব্যাক্তির কাঁধের উপর রেখে সামনের পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে (সলাত আদায়ের জন্য মাসজিদে) গেলেন। ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) –এর কাছে এ কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, তুমি কি জানো, ‘আয়িশাহ্(রাঃ) যার নাম বলেননি তিনি কে? তিনি হলেন ‘আলী (রাঃ)। (ই.ফা.৮২০, ই.সে.৮৩২)

৮২৪
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي فَأَذِنَّ لَهُ فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلاَهُ فِي الأَرْضِ بَيْنَ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ ‏.‏ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَأَخْبَرْتُ عَبْدَ اللَّهِ بِالَّذِي قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ هَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الآخَرُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قَالَ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ عَلِيٌّ ‏.‏

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন এবং উত্তরোত্তর তা বাড়তে থাকল, তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে সেবা শুশ্রূষার জন্য আমার ঘরে আসার এবং থাকার অনুমতি চাইলেন। তারা তাঁকে অনুমতি দিলেন। তিনি ‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) এবং অপর এক ব্যক্তি কাঁধে ভর দিয়ে মাটিতে পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে (মাসজিদে সলাত আদায় করতে) গেলেন।

‘উবাইদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি ‘আয়িশা(রাঃ)-এর বর্ণনা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট পেশ করলাম। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, ‘আয়িশাহ্(রাঃ) যে (দ্বিতীয়) ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি- তুমি তাকে চিনতে পেরেছ কি? ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, আমি বললাম, না। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি:) বললেন, তিনি হলেন ‘আলী (রাঃ)। (ই.ফা.৮২১.ই.সে.৮৩৩)

৮২৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَقَدْ رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ وَمَا حَمَلَنِي عَلَى كَثْرَةِ مُرَاجَعَتِهِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ فِي قَلْبِي أَنْ يُحِبَّ النَّاسُ بَعْدَهُ رَجُلاً قَامَ مَقَامَهُ أَبَدًا وَإِلاَّ أَنِّي كُنْتُ أَرَى أَنَّهُ لَنْ يَقُومَ مَقَامَهُ أَحَدٌ إِلاَّ تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ فَأَرَدْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, [রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসুস্থকালীন অনুপস্থিতিতে আবূ বাক্‌র(রাঃ) –কে ইমাম নিযুক্ত করার ব্যাপারে] আমি রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বারবার কথা কাটাকাটি করেছি। কোন লোক অধিকাংশ সময় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হোক এ উদ্দেশে আমি কথা কাটাকাটি করিনি। আমার ধারণা ছিল যে, যে ব্যক্তি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবে তাকে লোকেরা ভালবাসবে না এবং তাকে তারা অশুভ কুলক্ষণ বলে মনে করবে। সুতরাং আমি চেয়েছিলাম যে, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্‌র(রাঃ) –কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা থেকে যেন বিরত থাকেন। (ই.ফা.৮২২, ই.সে.৮৩৪)

৮২৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ – قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، – أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْتِي قَالَ ‏”‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ لاَ يَمْلِكُ دَمْعَهُ فَلَوْ أَمَرْتَ غَيْرَ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا بِي إِلاَّ كَرَاهِيَةُ أَنْ يَتَشَاءَمَ النَّاسُ بِأَوَّلِ مَنْ يَقُومُ فِي مَقَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَرَاجَعْتُهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَقَالَ ‏”‏ لِيُصَلِّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرٍ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ অবস্থায় আমার ঘরে এসে বললেনঃ আবূ বাক্‌রকে লোকেদের নিয়ে সলাত আদায় করতে বলো। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! আবূ বাক্‌র(রাঃ) হলেন কোমল হৃদয়ের লোক। কুরআন পাঠ করার সময় তিনি অশ্রু সংবরণ করতে পারবেন না। আপনি যদি আবূ বাক্‌র(রাঃ) –কে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নির্দেশ দিতেন ! ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ ! আমার অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। আমার আশঙ্কা ছিল, লোকেরা কুলক্ষণ মনে করবে যে, এ সে ব্যক্তি যিনি সর্বপ্রথম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, আমি দু’-তিনবার আমার কথার পুনরাবৃত্তি বললাম। কিন্তু তিনি আগের মতই বললেন ; আবূ বাক্‌র লোকদের নিয়ে সলাত আদায় করুক। তোমরা তো ইউসুফ (আঃ)-এর ঘটনার মহিলাদের মতো। (ই.ফা.৮২৩।,ই.সে.৮৩৫)

৮২৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ بِلاَلٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ ‏”‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ إِنَّهُ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعِ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ وَإِنَّهُ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعِ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ ‏.‏ فَقَالَتْ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ ‏.‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَأَمَرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ – قَالَتْ – فَلَمَّا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَقَامَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلاَهُ تَخُطَّانِ فِي الأَرْضِ – قَالَتْ – فَلَمَّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ حِسَّهُ ذَهَبَ يَتَأَخَّرُ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُمْ مَكَانَكَ ‏.‏ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ – قَالَتْ – فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ جَالِسًا وَأَبُو بَكْرٍ قَائِمًا يَقْتَدِي أَبُو بَكْرٍ بِصَلاَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيَقْتَدِي النَّاسُ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অসুস্থ হয়ে পড়লেন, বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সলাতের কথা জানালেন। তিনি বললেনঃ আবূ বকর (রাঃ) -কে লোকদের নিয়ে সলাত আদায় করতে বলো। বর্ণনাকারী [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসুল! আবূ বকর (রাঃ) কোমলমনা লোক। তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবে লোকেদের (কিরাআত) শুনাতে পারবেন না, আপনি যদি উমার (রাঃ) -কে নির্দেশ দিতেন। বর্ণনাকারী [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেন, আমি হাফসাহ্ (রাঃ) -কে বললাম- তুমিও তাঁকে বলো। হাফসাহ্ তা্ঁকে বলল, ‘আবূ বাক্‌র কোমলমনা লোক। তিনি যখন আপনার স্থলে দাঁড়াবেন, লোকদের কিরাআত শুনাতে সক্ষম হবেন না। আপনি যদি উমার (রাঃ) – কে নির্দেশ দিতেন! তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তো দেখছি ইউসুফের সাথী মহিলাদের মতই। আবূ বাক্‌রকে লোকদের নিয়ে সলাত শুরু করতে বললেন,রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুটা সুস্থতাবোধ করলেন। বর্ণনাকারী [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেন, তিনি দাঁড়িয়ে দু’ব্যক্তির কাঁধে ভর দিয়ে (মাসজিদে) রওয়ানা হলেন। তাঁর দু’পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে মাটিতে দাগ কেটে যাচ্ছিল। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি যখন মাসজিদে ঢুকলেন আবূ বাকর (রাঃ) তাঁর আগমন অনুভব করে পিছে সরে আসতে প্রস্তুত হলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইশারায় বললেনঃ নিজের স্থানে দাঁড়িয়ে থাকো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আবূ বাকরের বাম পাশে বসলেন।রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে বসে লোকদের সলাত আদায় করালেন এবং আবূ বক্‌র দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলেন। আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাতের সাথে অনুসরণ করলেন আর লোকেরা আবূ বাকরের সলাতের অনুসরণ করল। (ই.ফা. ৮২৪, ই.সে ৮৩৬)

৮২৮
حَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِهِمَا لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَضَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ فَأُتِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أُجْلِسَ إِلَى جَنْبِهِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُهُمُ التَّكْبِيرَ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عِيسَى فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَبُو بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُ النَّاسَ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে উপরের হাদীসের অনুরুপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ইসহাক্ ও মিনজাবের বর্ণনায় আছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মৃত্যু রোগে আক্রান্ত হলেন। “ইবনু মুসহিরের বর্ণনায় আছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে নিয়ে আসা হলো এবং তাঁর (আবূ বাকরের) পাশে বসিয়ে দেয়া হলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের সলাত আদায় করালেন এবং আবূ বাকর তাদেরকে তাকবীর শুনালেন। ‘ঈসার বর্ণনায় আছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসলেন এবং লোকদের সলাত আদায় করালেন। আবূ বাক্‌র তাঁর পাশেই ছিলেন। আবূ বাক্‌র লোকদের মুকাব্বির হলেন। (ই.ফা. ৮২৫ ,ই.সে. ৮৩৭ )

৮২৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ – قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فِي مَرَضِهِ فَكَانَ يُصَلِّي بِهِمْ ‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ وَإِذَا أَبُو بَكْرٍ يَؤُمُّ النَّاسَ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ اسْتَأْخَرَ فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىْ كَمَا أَنْتَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ حِذَاءَ أَبِي بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ ‏.‏ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏

’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর অসুস্থাবস্থায় আবূ বাক্‌রকে লোকদের সলাতের ইমামতি করার নির্দেশ দিলেন। এ সময় তিনি তাদের সলাত আদায় করাতেন।

‘উরওয়াহ্ (রহঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুটা সুস্থতাবোধ করলেন। তিনি সলাত আদায় করার জন্য বের হলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) লোকদের ইমামতি করছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁর আগমন বুঝতে পেরে পিছু হটতে চাইলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইশারায় বললেনঃ যেভাবে আছ সেই ভাবে থাকো। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোজাসোজি আবূ বাকরের পাশে বসে গেলেন। সলাতের মধ্যে আবূ বকর (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অনুসরণ করলেন এবং লোকেরা আবূ বাকরের অনুসরণ করল। (ই.ফা. ৮২৬, ই.সে ৮৩৮)

৮৩০
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ – وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فِي وَجَعِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الاِثْنَيْنِ – وَهُمْ صُفُوفٌ فِي الصَّلاَةِ – كَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِتْرَ الْحُجْرَةِ فَنَظَرَ إِلَيْنَا وَهُوَ قَائِمٌ كَأَنَّ وَجْهَهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ ‏.‏ ثُمَّ تَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَاحِكًا – قَالَ – فَبُهِتْنَا وَنَحْنُ فِي الصَّلاَةِ مِنْ فَرَحٍ بِخُرُوجِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى عَقِبَيْهِ لِيَصِلَ الصَّفَّ وَظَنَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَارِجٌ لِلصَّلاَةِ فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ أَنْ أَتِمُّوا صَلاَتَكُمْ – قَالَ – ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْخَى السِّتْرَ – قَالَ – فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে রোগে ইন্তিকাল করেন তাতে রোগাক্রান্ত হওয়াকালীন সময়ে আবূ বাকর (রাঃ) তাদের সলাতের ইমামতি করতেন। সোমবার দিন যখন লোকেরা সলাতের লাইনে দাঁড়ানো ছিল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরের পর্দা সরিয়ে দিলেন। তিনি দাঁড়িয়ে আমাদের দিকে তাকালেন। তাঁর মুখমন্ডল মুসহাফ তথা কুরআনের পাতার মতো জ্বলজ্বল করছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হাসলেন। আমরা সলাতের মধ্যে থেকেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আগমন অনুভব করে খুশিতে আত্নহারা হয়ে গেলাম। আবূ বকর (রাঃ) অনুমান করলেন,রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের জন্য বের হচ্ছেন। তাই তিনি লাইনে মিলিত হওয়ার জন্য পিছনে সরে আসছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ তোমরা তোমাদের সলাত পূর্ণ করো। বর্ণনাকারী বলেন,অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (নিজের হুজরায়) প্রবেশ করে পর্দা ছেড়ে দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঠিক এ দিন ইন্তিকাল করেন। (ই.ফা ৮২৭, ই.সে ৮৩৯)

৮৩১
وَحَدَّثَنِيهِ عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ آخِرُ نَظْرَةٍ نَظَرْتُهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَشَفَ السِّتَارَةَ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ وَحَدِيثُ صَالِحٍ أَتَمُّ وَأَشْبَعُ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,আমি সোমবার দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে শেষবারের মতো দেখেছি, যখন তিনি (জানালার) পর্দা সরিয়ে ছিলেন। এ মর্মে সালিহ-এর হাদীস অধিক পূর্ণাঙ্গ। (ই.ফা. ৮২৭, ই.সে. ৮৪০)

৮৩২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الاِثْنَيْنِ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন সোমবার দিন হলো,……… পূর্বের হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৮২৮, ই.সে. ৮৪১)

৮৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمْ يَخْرُجْ إِلَيْنَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا فَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَذَهَبَ أَبُو بَكْرٍ يَتَقَدَّمُ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحِجَابِ فَرَفَعَهُ فَلَمَّا وَضَحَ لَنَا وَجْهُ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا نَظَرْنَا مَنْظَرًا قَطُّ كَانَ أَعْجَبَ إِلَيْنَا مِنْ وَجْهِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ وَضَحَ لَنَا – قَالَ – فَأَوْمَأَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ وَأَرْخَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحِجَابَ فَلَمْ نَقْدِرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন দিন যাবৎ আমাদের কাছে আসতে পারেননি। সলাতের জন্য ইকামাত দেয়া হলো। আবূ বকর (রাঃ) সামনে এগুতে যাচ্ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের হুজরার পর্দা উঠাতে বলে তিনি নিজেই তা উঠিয়ে ফেললেন। আমাদের সামনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চেহেরা দেখা গেল। তিনি যখন আমাদের জন্য দেখা দিলেন, তাঁর চেহারা এত সুন্দর দেখাচ্ছিল যে, আমরা ইতোপূর্বে কখনো এমন দৃশ্য দেখিনি। রাবী (আনাস) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের হাতের ইশারায় আবূ বাক্‌রকে সামনে এগিয়ে যেয়ে সলাত পড়াতে বললেন। অতঃপর আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্দা টেনে দিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি আর বাইরে বের হতে পারেননি। (ই.ফা. ৮২৯, ই.সে. ৮৪২)

৮৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَدَّ مَرَضُهُ فَقَالَ ‏”‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَقَالَ ‏”‏ مُرِي أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَصَلَّى بِهِمْ أَبُو بَكْرٍ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন এবং তা দিন দিন বাড়তে লাগল। তিনি বললেনঃ আবূ বকর (রাঃ) -কে লোকদের সলাতের ইমামতি করতে বলো। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসুল! আবূ বাকর (রাঃ) নরম হৃদয়ের মানুষ। আপনার জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকেদের সলাত পড়ানোর শক্তি তার নেই। তিনি বললেন আবূ বাক্‌রকে নির্দেশ দাও, সে যেন লোকেদের নিয়ে সলাত আদায় করে নেয়। তোমরা তো ইউসুফের ঘটনা সংক্রান্ত মহিলাদের মতই। রাবী বলেন, অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবিত থাকাবস্থায় তাদের সলাতে ইমামতি করলেন। (ই.ফা. ৮৩০, ই.সে. ৮৪৩)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]