ইবনে মাজাহ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৪২৭৩ – ৪৩৪১

৩১/৩৩. অধ্যায়ঃ
পুনরুত্থানের আলোচনা

৪২৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ صَاحِبَىِ الصُّورِ بِأَيْدِيهِمَا – أَوْ فِي أَيْدِيهِمَا – قَرْنَانِ يُلاَحِظَانِ النَّظَرَ مَتَى يُؤْمَرَانِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শিংগাধারী দু’ ফেরেশতা তাদের দু’ হাতে দু’টি শিংগা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন, কখন তাদের প্রতি (ফুৎকারের) নির্দেশ আসে। [৩৬০৫] -
তাহকীক আলবানীঃ মুনকার তবে (আরবি) শব্দে মাহফূয। - -
[৩৬০৫] হাদীসটি একক ভাবে ইমাম ইবনু মাজাহ বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১০৭৯।দঈফ আল-জামি ১৮৭২।

উক্ত হাদীসের রাবী ১ হাজ্জাজ সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকিম বলেন,তিনি আহলে ইলমের কাছে নির্ভরযোগ্য নয়।আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন,তার হাদীস দলিল দ্বারা গ্রহনযোগ্য নয়।অন্যত্র তিনি তাকে দূর্বল বলেছেন।আবূ যুররাহ আর রাযী বলেন,তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় তাদলীস করেন।মুহাম্মদ বিন সা’দ তাকে দূর্বল বলেছেন।আহমাদ বিন শুয়াওব আন নাসায়ী বলেন,তিনি দূর্বল,তার হাদীস দলিল দ্বারা গ্রহণযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২,৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা) ২.আতিয়্যাহ সম্পর্কে আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন,তিনি দূর্বল,তারা হাদীস গ্রহনযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন,তিনি দূর্বল। আবূ যূরআহ আর-রাযী বলেন,তিনি যাচাই বাছাই ছাড়া হাদীস গ্রহণ করেন ও তা বর্ণনা করেন।আহমাদ বিন হাম্বল বলেন,তিনি হাদীস বর্ণনায় দূর্বল। আহমাদ বিন শুয়াওব আন নাসায়ী বলেন,তিনি দূর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন,তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় অধিক ভূল করেন।ইমাম যাহাবী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন,তিনি দূর্বল (তাহযীবুল কামাল ৩৯৫৬,২০/১৪৫ পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

 সরাসরি

৪২৭৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ بِسُوقِ الْمَدِينَةِ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْبَشَرِ ‏.‏ فَرَفَعَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَدَهُ فَلَطَمَهُ قَالَ تَقُولُ هَذَا وَفِينَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏”‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ إِلاَّ مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ}‏ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ رَفَعَ رَأْسَهُ فَإِذَا أَنَا بِمُوسَى آخِذٌ بِقَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ فَلاَ أَدْرِي أَرَفَعَ رَأْسَهُ قَبْلِي أَوْ كَانَ مِمَّنِ اسْتَثْنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏.‏ وَمَنْ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى فَقَدْ كَذَبَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মদীনার বাজারে এক ইহূদী বললো, সেই সত্তার শপথ যিনি মূসা (আঃ) কে সমগ্র মানবজাতির উপর মর্যাদা দান করেছেন। এক আনসারী তার হাত তুলে তাকে সজোরে চড় মেরে বললো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে থাকা অবস্থায় তুমি একথা বলছো! বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট পেশ করা হলে তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “এবং শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে। ফলে যাদের আল্লাহ ইচ্ছা করবেন তারা ব্যতিত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সকলে মুর্ছিত হয়ে পড়বে। অতঃপর পুনরায় শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা দন্ডায়মান হয়ে তাকাতে থাকবে” (সূরা যুমারঃ ৬৮)। আমি হবো মাথা উত্তোলনকারী প্রথম ব্যক্তি। আমি মূসা আলাইহিস সালামকে আরশের একটি পায়া ধরে আঁকরে ধরা অবস্থায় দেখতে পাবো। আমি জানি না, তিনি কি আমার আগে তাঁর মাথা তুলেছেন, না আল্লাহ তাআলা তাকে অজ্ঞান হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। আর যে ব্যক্তি বলে যে, আমি ইউনুস বিন মাত্তা আলাইহিস সালাম অপেক্ষা উত্তম, সে মিথ্যা বলে।[৩৬০৬] -
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। - -
[৩৬০৬] মুসলিম ২৩৭৩।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

 সরাসরি

৪২৭৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ ‏ “‏ يَأْخُذُ الْجَبَّارُ سَمَوَاتِهِ وَأَرَضِيهِ بِيَدِهِ – وَقَبَضَ يَدَهُ فَجَعَلَ يَقْبِضُهَا وَيَبْسُطُهَا – ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْجَبَّارُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَيَتَمَايَلُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى الْمِنْبَرِ يَتَحَرَّكُ مِنْ أَسْفَلِ شَىْءٍ مِنْهُ حَتَّى إِنِّي لأَقُولُ أَسَاقِطٌ هُوَ بِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ মহাপ্রতাপশালী আল্লাহ তাঁর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে তাঁর হাতের মুঠোয় পুরে নিয়ে তা মুষ্টিবদ্ধ করবেন, অতঃপর তা সংকুচিত ও প্রসারিত করতে থাকবেন, অতঃপর বলবেন, আমিই মহাপ্রতাপশালী, আমিই রাজাধিরাজ। প্রতাপশালী দাম্ভিকেরা কোথায়? রাবী বলেন, এ কথা বলতে বলতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডানে বামে ঝুঁকছিলেন। শেষে আমি লক্ষ্য করলাম যে, মিম্বারের নিম্নাংশ তাকে নিয়ে দুলছে, এমনকি আমি বলতে লাগলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বার থেকে নিচে পড়ে যান কিনা।[৩৬০৭] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬০৭] মুসলিম ২৭৮৮। আয যিলাল ৫৪৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ ‏”‏ حُفَاةً عُرَاةً ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ وَالنِّسَاءُ قَالَ ‏”‏ وَالنِّسَاءُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا يُسْتَحْيَى قَالَ ‏”‏ يَا عَائِشَةُ الأَمْرُ أَشَدُّ مِنْ أَنْ يَنْظُرَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে মানবজাতিকে কী অবস্থায় সমবেত করা হবে? তিনি বলেনঃ নগ্নপদে উলংগ বদনে। আমি বললাম, নারীরাও? তিনি বলেনঃ নারীরাও। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এতে কি আমরা লজ্জিত হবো না? তিনি বলেনঃ হে আয়িশাহ! তখনকার অবস্থা হবে খুবই ভয়ংকর। কেউ কারো প্রতি দৃষ্টিপাত করার মত অবস্থায় থাকবে না। [৩৬০৮] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬০৮] সহীহুল বুখারী ৬৫২৭,মুসলিম ২৮৫৯,নাসায়ী ২০৮৩,২০৮৪,আহমাদ ২৩৭৪৪,২৪০৬৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৭৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيِّ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يُعْرَضُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلاَثَ عَرَضَاتٍ فَأَمَّا عَرْضَتَانِ فَجِدَالٌ وَمَعَاذِيرُ وَأَمَّا الثَّالِثَةُ فَعِنْدَ ذَلِكَ تَطِيرُ الصُّحُفُ فِي الأَيْدِي فَآخِذٌ بِيَمِينِهِ وَآخِذٌ بِشِمَالِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষকে তিনবার পেশ করা হবে। প্রথম দু’বার বাক-বিতন্ডা ও ওজর-আপত্তি পেশের জন্য। তৃতীয়বারে প্রত্যেকের আমলনামা উড়ে এসে হাতের নাগালে পৌঁছবে এবং কেউ তা ডান হাতে, কেউ তা বাম হাতে গ্রহণ করবে।[৩৬০৯] -
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল। - -
[৩৬০৯] [আহমাদ ১৯২১৬। তাখরীজুত তাহাবীয়াহ ৫৫৬, মিশকাত ৫৫৫৭, ৫৫৫৮।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৪২৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، وَأَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏{يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ}‏ قَالَ ‏”‏ يَقُومُ أَحَدُهُمْ فِي رَشْحِهِ إِلَى أَنْصَافِ أُذُنَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “যেদিন মানবজাতি জগতসমূহের প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড়াবে” (সূরা মুতাফফিফীনঃ ৬) শীর্ষক আয়াত সম্পর্কে বলেনঃ তাদের এক একজন নিজ দেহ নিঃসৃত ঘামের মধ্যে দু’ কান বরাবর ডুবন্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকবে।[৩৬১০] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১০][সহীহুল বুখারী ৪৯৩৮, মুসলিম ২৮৬২, তিরমিযী ২৪২২, ৩৩৩৫, ৩৩৩৬, আহমাদ ৪৫৯৯, ৪৬৮৩, ৫২৯৬, ৫৩৬৫, ৫৭৮৯, ৫৮৭৬, ৬০৩৯, ৬০৫০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ قَوْلِهِ ‏{يَوْمَ تُبَدَّلُ الأَرْضُ غَيْرَ الأَرْضِ وَالسَّمَوَاتُ ‏}‏ فَأَيْنَ تَكُونُ النَّاسُ يَوْمَئِذٍ قَالَ ‏”‏ عَلَى الصِّرَاطِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট “যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে এবং আকাশমন্ডলীও” (সূরা ইবরাহীমঃ ৪৮) শীর্ষক আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, সেদিন মানুষ কোথায় থাকবে? তিনি বলেনঃ পুলসিরাতের উপর।[৩৬১১] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১১] [মুসলিম ২৭৯১, তিরমিযী ৩১২১, আহমাদ ২৩৫৪৯, ২৪১৭৬, ২৪৫০২, ২৫৩০০, দারিমী ২৮০৯।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৮০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيِّ، أَحَدِ بَنِي لَيْثٍ – قَالَ – وَكَانَ فِي حَجْرِ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُهُ – يَعْنِي أَبَا سَعِيدٍ، – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ يُوضَعُ الصِّرَاطُ بَيْنَ ظَهْرَانَىْ جَهَنَّمَ عَلَى حَسَكٍ كَحَسَكِ السَّعْدَانِ ثُمَّ يَسْتَجِيزُ النَّاسُ فَنَاجٍ مُسَلَّمٌ وَمَخْدُوجٌ بِهِ ثُمَّ نَاجٍ وَمُحْتَبَسٌ بِهِ وَمَنْكُوسٌ فِيهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুলসিরাত জাহান্নামের দু’ তীরের সাথে যুক্ত থাকবে। তাতে থাকবে সাদান বৃক্ষের কাঁটা সদৃশ কাঁটাসমূহ। লোকজন তার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। কতক মুসলমান নিরাপদে তার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে, কতক কাঁটার আঁচড় খেয়ে, কতক কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে থাকার পর নাজাত পাবে এবং কতক মুখ থুবড়ে জাহান্নামের তলদেশে নিক্ষিপ্ত হবে।[৩৬১২] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১২] [আহমাদ ১০৬৯৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৮১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ، عَنْ حَفْصَةَ، قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِنِّي لأَرْجُو أَلاَّ يَدْخُلَ النَّارَ أَحَدٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ اللَّهُ ‏{وَإِنْ مِنْكُمْ إِلاَّ وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا}‏ قَالَ ‏”‏ أَلَمْ تَسْمَعِيهِ يَقُولُ ‏{ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا}‏ ‏.‏

হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি অবশ্যই আশা করি আল্লাহর মর্জি যারা বদর ও হুদায়বিয়ার প্রান্তরে উপস্থিত ছিল তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা’আলা কি বলেননিঃ “এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তা অতিক্রম করবে, এটা তোমার প্রভুর অনিবার্য সিদ্ধান্ত” (সূরা মরিয়মঃ ৭১)? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি কি শোননি যে, আল্লাহ বলেছেনঃ “পরে আমি মোত্তাকীদের উদ্ধার করবো এবং যালেমদের সেথায় নতজানু অবস্থায় রেখে দিবো” (সূরা মরিয়মঃ ৭২)।[৩৬১৩] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১৩] [হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহ আল-জামি’ ২৪৮২।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩১/৩৪. অধ্যায়ঃ
মু হাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য

৪২৮২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ سِيمَاءُ أُمَّتِي لَيْسَ لأَحَدٍ غَيْرِهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন তারা (আমার উম্মাত) শুভ্র হস্তপদ ও উজ্জ্বল চেহারায় আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করবে। এটা হবে আমার উম্মাতের নিদর্শন, অন্য কোন উম্মাতের নয়।[৩৬১৪] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১৪] [মুসলিম ২৪৭, আহমাদ ৮২০৮, ৮৫২৪, ৯০৩৭, ১০৩৯৯।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي قُبَّةٍ فَقَالَ ‏”‏ أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَذَلِكَ أَنَّ الْجَنَّةَ لاَ يَدْخُلُهَا إِلاَّ نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ وَمَا أَنْتُمْ فِي أَهْلِ الشِّرْكِ إِلاَّ كَالشَّعَرَةِ الْبَيْضَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَسْوَدِ أَوْ كَالشَّعَرَةِ السَّوْدَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَحْمَرِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে একটি তাঁবুর মধ্যে ছিলাম। তিনি বলেনঃ তোমরা কি এ কথায় সন্তুষ্ট নও যে, তোমরা জান্নাতীদের সংখ্যার এক-চতুর্থাংশ হবে? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি আবার বলেনঃ তোমরা কি এ কথায় সন্তুষ্ট নও যে, তোমরা জান্নাতীদের সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হবে? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি বলেনঃ জান্নাতীদের অর্ধেক হবে তোমরা। এজন্য যে, জান্নাতে কেবল মুসলিম ব্যক্তিই প্রবেশ করবে। তোমরা মুশরিকদের তুলনায় কালো ষাঁড়ের চামড়ায় সাদা লোম সদৃশ অথবা লাল ষাঁড়ের চামড়ায় কালো লোম সদৃশ।[৩৬১৫] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১৫] [সহীহুল বুখারী ৬৫২৮, মুসলিম ২২১, তিরমিযী ২৫৪৭, আহমাদ ৩৬৫৩। রাওদুন নাদীর ৬০৮, ১৮৯, সহীহাহ ৮৪৯।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ يَجِيءُ النَّبِيُّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَيَجِيءُ النَّبِيُّ وَمَعَهُ الرَّجُلاَنِ وَيَجِيءُ النَّبِيُّ وَمَعَهُ الثَّلاَثَةُ وَأَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ وَأَقَلُّ فَيُقَالُ لَهُ هَلْ بَلَّغْتَ قَوْمَكَ فَيَقُولُ نَعَمْ ‏.‏ فَيُدْعَى قَوْمُهُ فَيُقَالُ هَلَ بَلَّغَكُمْ فَيَقُولُونَ لاَ ‏.‏ فَيُقَالُ مَنْ شَهِدَ لَكَ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ ‏.‏ فَتُدْعَى أُمَّةُ مُحَمَّدٍ فَيُقَالُ هَلْ بَلَّغَ هَذَا فَيَقُولُونَ نَعَمْ ‏.‏ فَيَقُولُ وَمَا عِلْمُكُمْ بِذَلِكَ فَيَقُولُونَ أَخْبَرَنَا نَبِيُّنَا بِذَلِكَ أَنَّ الرُّسُلَ قَدْ بَلَّغُوا فَصَدَّقْنَاهُ ‏.‏ قَالَ فَذَلِكُمْ قَوْلُهُ تَعَالَى ‏{وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا}‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (কিয়ামতের দিন) একজন নবী আসবেন, তাঁর সাথে থাকবে একজন মাত্র অনুসারী। আবার কোন নবীর সাথে থাকবে দু’জন অনুসারী। আবার কোন নবীর সাথে থাকবে তিনজন বা তার কম-বেশী অনুসারী। তাঁকে বলা হবে, তুমি কি তোমার জাতির নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছিলে? তিনি বলবেনঃ হাঁ। তার জাতিকে ডাকা হবে এবং বলা হবে, তিনি কি তোমাদের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছিলেন? তারা বলবে, না। তাঁকে বলা হবে, তোমার সাক্ষী কারা? তিনি বলবেনঃ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর উম্মাত। তখন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উম্মাতকে ডাকা হবে এবং জিজ্ঞেস করা হবে, নবী কি (তাঁর উম্মাতের নিকট আল্লাহর বাণী) পৌঁছিয়েছিলেন? তারা বলবে, হাঁ। তাদের আবার জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা তা জানলে কিভাবে? তারা বলবে, আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের অবহিত করেছিলেন যে, নিশ্চয় রাসূলগণ আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা তাঁর কথা সত্য বলে স্বীকার করেছি। তোমাদের জন্য এ কথার প্রমাণ হলো মহান আল্লাহর বাণী (অনুবাদ) : “এভাবে আমি তোমাদেরকে এক ন্যায়নিষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসূল তোমাদের সাক্ষীস্বরূপ হতে পারে।” (সূরা বাকারাঃ ১৪৩)।[৩৬১৬] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১৬] [সহীহুল বুখারী ৩৩৩৯, তিরমিযী ২৯৬১, আহমাদ ১০৮৭৮। সহীহাহ ২৪৪৮।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رِفَاعَةَ الْجُهَنِيِّ، قَالَ صَدَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا مِنْ عَبْدٍ يُؤْمِنُ ثُمَّ يُسَدَّدُ إِلاَّ سُلِكَ بِهِ فِي الْجَنَّةِ وَأَرْجُو أَلاَّ يَدْخُلُوهَا حَتَّى تَبَوَّءُوا أَنْتُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ ذَرَارِيِّكُمْ مَسَاكِنَ فِي الْجَنَّةِ وَلَقَدْ وَعَدَنِي رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ ‏”‏ ‏.‏

রিফা‘আহ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা (সফর থেকে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ফিরে এলে তিনি বলেনঃ সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! এমন কোন বান্দা নেই যে ঈমান আনার পর তার উপর অবিচল থেকেও জান্নাতের দিকে পরিচালিত হবে না। আমি আশা করি যে, তোমরা ও তোমাদের সৎ কর্মপরায়ণ সন্তানেরা জান্নাতে নিজ নিজ স্থানে না পৌঁছানো পর্যন্ত অন্য লোকেরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আমার মহান প্রভু আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোককে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।[৩৬১৭] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১৭] [আহমাদ ১৫৭৮২। সহীহাহ ২৪০৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৮৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ الأَلْهَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ الْبَاهِلِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ وَعَدَنِي رَبِّي سُبْحَانَهُ أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا لاَ حِسَابَ عَلَيْهِمْ وَلاَ عَذَابَ مَعَ كُلِّ أَلْفٍ سَبْعُونَ أَلْفًا وَثَلاَثُ حَثَيَاتٍ مِنْ حَثَيَاتِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

আবূ উমামাহ আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আমার মহান প্রতিপালক আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোককে বিনা হিসাবে জান্নাতে দাখিল করবেন এবং তাদের কোনরূপ শাস্তিও হবেনা। প্রতি হাজারের সাথে থাকবে আরও সত্তর হাজার করে এবং আরো থাকবে আমার মহান প্রতিপালকের তিন মুঠো পরিমাণ।[৩৬১৮] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬১৮] [তিরমিযী ২৪৩৭। সহীহাহ ২১৭৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৮৭
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ النَّحَّاسِ الرَّمْلِيُّ، وَأَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ نُكْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ سَبْعِينَ أُمَّةً نَحْنُ آخِرُهَا وَخَيْرُهَا ‏”‏ ‏.‏

মু‘আবিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মাত সত্তর সংখ্যা পূর্ণ করবে। আমরা হবো এর সর্বশেষ ও সর্বোত্তম উম্মাত।[৩৬১৯] -
তাহকীক আলবানীঃ হাসান - -
[৩৬১৯] [তিরমিযী ৩০০১, আহমাদ ১৯৫০৯, ১৯৫২০, ১৯৫৪০ দারিমী ২৭৬০। মিশকাত ৬২৮৫।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

 সরাসরি

৪২৮৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خِدَاشٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّكُمْ وَفَّيْتُمْ سَبْعِينَ أُمَّةً أَنْتُمْ خَيْرُهَا وَأَكْرَمُهَا عَلَى اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

মুআবিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় তোমরা উম্মাতের সংখ্যা সত্তরে পূর্ণ করেছো। এদের মধ্যে তোমরাই আল্লাহর নিকট অধিক উত্তম ও মর্যাদাবান উম্মাত।[৩৬২০] -
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। - -
[৩৬২০] [তিরমিযী ৩০০১, আহমাদ ১৯৫০৯, ১৯৫২০, ১৯৫৪০, দারিমী ২৭৬০।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

 সরাসরি

৪২৮৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ حَفْصٍ الأَصْبَهَانِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ أَهْلُ الْجَنَّةِ عِشْرُونَ وَمِائَةُ صَفٍّ ثَمَانُونَ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ وَأَرْبَعُونَ مِنْ سَائِرِ الأُمَمِ ‏”‏ ‏.‏

বুরায়দাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জান্নাতীদের একশত বিশটি কাতার হবে। তন্মধ্যে এই উম্মাতের হবে আশিটি কাতার এবং অন্যান্য উম্মাতের হবে চল্লিশটি।[৩৬২১] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬২১] [তিরপমিযী ২৫৪৬, আহমাদ ২২৪৩১, ২২৪৯৩, ২২৫৫২, দারিমী ২৮৩৫। মিশকাত ৫৬৪৪, রাওদুন নাদীর ৬০৮।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৯০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ نَحْنُ آخِرُ الأُمَمِ وَأَوَّلُ مَنْ يُحَاسَبُ يُقَالُ أَيْنَ الأُمَّةُ الأُمِّيَّةُ وَنَبِيُّهَا فَنَحْنُ الآخِرُونَ الأَوَّلُونَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমরা হলাম সর্বশেষ উম্মাত এবং সর্বপ্রথম আমাদের হিসাব গ্রহণ করা হবে। বলা হবে, উম্মী (নিরক্ষর) নবীর উম্মাত এবং তাদের নবী কোথায়? সুতরাং আমরা হলাম সর্বশেষ উম্মাত (দুনিয়াতে আগমনের দিক থেকে) এবং সর্বপ্রথম উম্মাত (জান্নাতে প্রবেশের দিক থেকে)।[৩৬২২] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬২২] [হাদীসটি ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ২৩৭৪।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৯১
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ أَبِي الْمُسَاوِرِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا جَمَعَ اللَّهُ الْخَلاَئِقَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أُذِنَ لأُمَّةِ مُحَمَّدٍ بِالسُّجُودِ فَيَسْجُدُونَ لَهُ طَوِيلاً ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعُوا رُءُوسَكُمْ قَدْ جَعَلْنَا عِدَّتَكُمْ فِدَاءَكُمْ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ কিয়ামতের দিন সমগ্র সৃষ্টিকে একত্র করার পর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উম্মাতকে সিজদারত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে। তারা দীর্ঘক্ষণ তাঁর উদ্দেশে সিজদারত থাকবে। অতঃপর বলা হবে, তোমরা মাথা উঠাও। আমি তোমাদের সমসংখ্যককে (কাফেরকে) জাহান্নামের ফিদয়া স্বরূপ দিয়েছি।[৩৬২৩] -
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। - -
[৩৬২৩][মুসলিম ২৭৬৭, আহমাদ ১৯১০৩, ১৯১৬১। দঈফাহ ২৫৪৯।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

 সরাসরি

৪২৯২
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ هَذِهِ أُمَّةٌ مَرْحُومَةٌ عَذَابُهَا بِأَيْدِيهَا فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ دُفِعَ إِلَى كُلِّ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَيُقَالُ هَذَا فِدَاؤُكَ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এই উম্মাত হলো অনুগ্রহপ্রাপ্ত। এদের দ্বারাই এদের শাস্তি হবে (পারষ্পরিক হানাহানির মাধ্যমে)। কিয়ামতের দিন প্রত্যেক মুসলমানকে একজন করে মুশরিক সোপর্দ করার হবে এবং বলা হবে, জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য এই হলো তোমার ফিদ্‌য়া।[৩৬২৪] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
৩৬২৪][হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৯৫৯, ১৩৮১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩১/৩৫. অধ্যায়ঃ
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমাত লাভের আশা করা যায়

৪২৯৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ لِلَّهِ مِائَةَ رَحْمَةٍ قَسَمَ مِنْهَا رَحْمَةً بَيْنَ جَمِيعِ الْخَلاَئِقِ فَبِهَا يَتَرَاحَمُونَ وَبِهَا يَتَعَاطَفُونَ وَبِهَا تَعْطِفُ الْوَحْشُ عَلَى أَوْلاَدِهَا وَأَخَّرَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ رَحْمَةً يَرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তাআলার একশত রহমাত রয়েছে। তন্মধ্যে একটি রহমাত তিনি সারা সৃষ্টির মধ্যে বণ্টন করেছেন। এই একটি রহমাতের কারণেই তারা একে অপরের প্রতি দয়াপরবশ হয়, পরষ্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। এর দ্বারা জীব-জন্তু তার বাচ্চার প্রতি মমতায় উদ্বুদ্ধ হয়। তিনি অবশিষ্ট নিরানব্বইটি রহমত কিয়ামতের দিন তাঁর বান্দাদের প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শনের জন্য রেখেছে।[৩৬২৫] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬২৫] [সহীহুল বুখারী ৬০০০, ৬৪৩৯, মুসলিম ২৭৫২, তিরমিযী ৩৫৪১, আবূ দাঊদ ৩৪৮৪, আহমাদ ৮২১০, ৯৩২৬, ৯৯১০, ১০২৯২, ১০৪২৯, দারিমী ২৭৮৫। সহীহাহ ১৬৩৪।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ مِائَةَ رَحْمَةٍ فَجَعَلَ فِي الأَرْضِ مِنْهَا رَحْمَةً فَبِهَا تَعْطِفُ الْوَالِدَةُ عَلَى وَلَدِهَا وَالْبَهَائِمُ بَعْضُهَا عَلَى بَعْضٍ وَالطَّيْرُ وَأَخَّرَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةٍ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ أَكْمَلَهَا اللَّهُ بِهَذِهِ الرَّحْمَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন এক শত রহমাত সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে থেকে তিনি মাত্র একটি রহমাত পৃথিবীতে বিতরণ করেছেন। এর দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে মা তার সন্তানের প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন করে এবং জীবজন্তু, পক্ষীকুল ইত্যাদিও পরষ্পরের প্রতি সহানুভুতি প্রদর্শন করে। অবশিষ্ট নিরানব্বইটি রহমাত তিনি কিয়ামতের দিনের জন্য রেখে দিয়েছেন। যেদিন কিয়ামত হবে সেদিন তিনি এটি দ্বারা একশত রহমাত পূর্ণ করবেন।[৩৬২৬] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬২৬] [হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمَّا خَلَقَ الْخَلْقَ كَتَبَ بِيَدِهِ عَلَى نَفْسِهِ إِنَّ رَحْمَتِي تَغْلِبُ غَضَبِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ যখন সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেছেন তখন নিজ হাতে নিজের ব্যাপারে লিখেছেনঃ “আমার রহমাত আমার ক্রোধের উপর বিজয়ী থাকবে”।[৩৬২৭] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬২৭] [সহীহুল বুখারী ৪১৯৪, মুসলিম ২৭৫১, তিরমিযী ৩৫৪৩, আহমাদ ৭৪৪৮, ৭৪৭৬, ২৭৩৪৩, ৮৪৮৫, ৮৭৩৫, ৮৯১৪, ৯৩১৪। সহীহাহ ১৬২৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا عَلَى حِمَارٍ فَقَالَ ‏”‏ يَا مُعَاذُ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ حَقَّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ‏.‏ وَحَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ إِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

মুআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তখন একটি গাধার পিঠে আরোহিত ছিলাম। তিনি বলেনঃ হে মুআয! তুমি কি জানো, বান্দার উপর আল্লাহর কী অধিকার রয়েছে এবং আল্লাহর উপর বান্দার কী অধিকার রয়েছে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক অবগত। তিনি বলেনঃ বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার এই যে, বান্দাহ তাঁরই ইবাদাত করবে এবং তাঁর সাথে অন্য কিছু শরীক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার এই যে, তারা (বান্দা) তদনুযায়ী আচরণ করলে তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন না।[৩৬২৮] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬২৮] [সহীহুল বুখারী ২৮৫৬, মুসলিম ৩০, তিরমিযী ২৬৪৩, আবূ দাঊদ ২৫৫৯, আহমাদ ১৩৩৩১, ২১৪৮৬, ২১৪৯৯, ২১৫৩৪, ২১৫৫৩, ২১৫৯১।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪২৯৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي بَعْضِ غَزَوَاتِهِ فَمَرَّ بِقَوْمٍ فَقَالَ مَنِ الْقَوْمُ فَقَالُوا نَحْنُ الْمُسْلِمُونَ ‏.‏ وَامْرَأَةٌ تَحْصِبُ تَنُّورَهَا وَمَعَهَا ابْنٌ لَهَا فَإِذَا ارْتَفَعَ وَهَجُ التَّنُّورِ تَنَحَّتْ بِهِ فَأَتَتِ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَرْحَمِ الرَّاحِمِينَ قَالَ ‏”‏ بَلَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ أَوَلَيْسَ اللَّهُ بِأَرْحَمَ بِعِبَادِهِ مِنَ الأُمِّ بِوَلَدِهَا قَالَ ‏”‏ بَلَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَإِنَّ الأُمَّ لاَ تُلْقِي وَلَدَهَا فِي النَّارِ ‏.‏ فَأَكَبَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهَا فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يُعَذِّبُ مِنْ عِبَادِهِ إِلاَّ الْمَارِدَ الْمُتَمَرِّدَ الَّذِي يَتَمَرَّدُ عَلَى اللَّهِ وَأَبَى أَنْ يَقُولَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা কোন এক জিহাদে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তিনি এক সম্প্রদায়ের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কারা এই সম্প্রদায়? তারা বলেন, আমরা মুসলমান। এক স্ত্রীলোক তার চুলার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলে সে তার পুত্রকে সরিয়ে নিল। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, আপনি কি আল্লাহর রাসূল? তিনি বলেন, হাঁ। সে বললো, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। আল্লাহ তাআলা কি দয়ালুদের মধ্যে সর্বাধিক দয়ালু নন? তিনি বলেন, অবশ্যই। স্ত্রীলোকটি বললো, সন্তানের প্রতি মা যতোটা দয়াপরবশ, আল্লাহ কি তাঁর বান্দাদের প্রতি তার চেয়ে অধিক দয়াপরবশ নন? তিনি বলেন, অবশ্যই। সে বললো, নিশ্চয়ই মা তার সন্তানকে আগুনে নিক্ষেপ করে না। একথায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথা অবনত করে কেঁদে দিলেন, অতঃপর মাথা তুলে তাকে বলেন, যে ব্যক্তি অবাধ্য, উদ্ধত, বিদ্রোহী, যে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলতে অস্বীকার করে, সে ব্যতীত আল্লাহ তার অপরাপর বান্দাদের শাস্তি দিবেন না।[৩৬২৯] -
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। - -
[৩৬২৯] (হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ২৩৭৮, দঈফাহ ৩১০৯, দঈফ আল-জামী’ ১৬৭৬।

উক্ত হাদীসের রাবী ১. ইবরাহীম বিন আয়ান সম্পর্কে আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দূর্বল। আবূ হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি অপরিচিত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দূর্বল। (তাহযীবুল কামালঃরাবী নং ১৫৪, ২/৫৩ নং পৃষ্ঠা) ২. ইসমাঈল বিন ইয়াহইয়া আশ-শায়বানী সম্পর্কে আবূ জাফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার মিথ্যা বলার ব্যাপারে অভিযোগ আছে। ইয়াজিদ বিন হারুন আল-আয়লী বলেন, তিনি মিথ্যুক। (তাহযীবুল কামালঃরাবী নং ৪৯৩, ৩/২১৩ নং পৃষ্ঠা) ৩. আবদুল্লাহ বিন আমর বিন হাফস সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকীম বলেন, তিনি দূর্বল, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শুয়ায়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দূর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দূর্বল। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দূর্বল ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৪০, ১৫/৩২৭ নং পৃষ্ঠা) ।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

 সরাসরি

৪২৯৮
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ لاَ يَدْخُلُ النَّارَ إِلاَّ شَقِيٌّ ‏”‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنِ الشَّقِيُّ قَالَ ‏”‏ مَنْ لَمْ يَعْمَلْ لِلَّهِ بِطَاعَةٍ وَلَمْ يَتْرُكْ لَهُ مَعْصِيَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুর্ভাগা হতভাগা ব্যতীত কেউ জাহান্নামে যাবে না। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! হতভাগা কে? তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যমূলক কাজ করেনি এবং তাঁর অবাধ্যচারিতা ত্যাগ করেনি।[৩৬৩০] -
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল। - -
[৩৬৩০] (আহমাদ ৯৩৮৮। মিশকাত ৫৬৯৩, দঈফ আল-জামী’ ৬৩৪২।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৪২৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – أَخُو حَزْمٍ الْقُطَعِيِّ – حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَرَأَ – أَوْ تَلاَ – هَذِهِ الآيَةَ ‏{هُوَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ}‏ فَقَالَ ‏”‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَا أَهْلٌ أَنْ أُتَّقَى فَلاَ يُجْعَلَ مَعِي إِلَهٌ آخَرُ فَمَنِ اتَّقَى أَنْ يَجْعَلَ مَعِي إِلَهًا آخَرَ فَأَنَا أَهْلٌ أَنْ أَغْفِرَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াত পাঠ বা তিলাওয়াত করলেন (অনুবাদ) : “একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী” (সূরা মুদ্দাসসিরঃ ৫৬) , অতঃপর বলেনঃ মহান আল্লাহ বলেছেন, আমিই উপযুক্ত যে, কেবল আমাকেই ভয় করতে হবে। অতএব আমার সাথে যেন অন্য ইলাহ যোগ না করা হয়। যে ব্যক্তি আমার সাথে অন্য কোন ইলাহ যোগ করা পরিহার করবে, আমি তাকে ক্ষমা করার অধিকারী। -
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ] -
৮/৪২৯৯ (১) . আনাস (রাঃ) , “একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী” (সূরা মুদ্দাসসির) শীর্ষক আয়াত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, আমিই উপযুক্ত যে, আমাকেই ভয় করতে হবে, আমার সাথে অন্যকে শরীক করা যাবে না। আর যে ব্যক্তি আমার সাথে শরীক করা পরিহার করেছে আমিই তাকে ক্ষমা করার অধিকারী। [৩৬৩১] -
তাহকীক আলবানীঃ দূর্বল। - -
[৩৬৩১] (তিরমিযী ৩৩২৮, আহমাদ ১২০৩৪, দারিমী ২৭২৪। মিশকাত ২৩৫১।

উক্ত হাদীসের রাবী ১. যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদীস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবূ শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে সাওরীর হাদীস বর্ণনায় ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃরাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা) ২. সুহায়ল বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে আবূ জাফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না। আহমাদ বিন শুয়ায়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দূর্বল, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না, তার সমালোচনা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃরাবী নং ২৬২৬, ১২/২১৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৪৩০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يُصَاحُ بِرَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ فَيُنْشَرُ لَهُ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ سِجِلاًّ كُلُّ سِجِلٍّ مَدَّ الْبَصَرِ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَلْ تُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ فَيَقُولُ أَظَلَمَتْكَ كَتَبَتِي الْحَافِظُونَ ثُمَّ يَقُولُ أَلَكَ عُذْرٌ أَلَكَ حَسَنَةٌ فَيُهَابُ الرَّجُلُ فَيَقُولُ لاَ ‏.‏ فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَاتٍ وَإِنَّهُ لاَ ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ فَتُخْرَجُ لَهُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ قَالَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ ‏.‏ فَتُوضَعُ السِّجِلاَّتُ فِي كِفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كِفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْبِطَاقَةُ الرُّقْعَةُ وَأَهْلُ مِصْرَ يَقُولُونَ لِلرُّقْعَةِ بِطَاقَةً

আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির সামনে আমার এক উম্মাতকে ডাকা হবে, অতঃপর তার সামনে নিরানব্বইটি দফতর পেশ করা হবে। প্রতিটি দফতর দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত দীর্ঘ হবে। মহান আল্লাহ বলবেন, তুমি কি এর কোন কিছু অস্বীকার করো? সে বলবে, না, হে আমার প্রভু! আল্লাহ বলবেন, তোমার উপর আমলনামা লেখক আমার ফেরেশতাগণ কি জুলুম করেছে? অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তোমার নিকট কি কোন নেকী আছে? সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে এবং বলবে, না। তখন আল্লাহ বলবেন, হাঁ, আমার নিকট তোমার কিছু নেকী জমা আছে। আজ তোমার উপর জুলুম করা হবে না। অতঃপর তার সামনে একটি চিরকুট তুলে ধরা হবে, যাতে লিপিবদ্ধ থাকবেঃ “আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রাসূল।” তখন সে বলবে, হে আমার রব! এতো বৃহৎ দফতরসমূহের তুলনায় এই ক্ষুদ্র চিরকুট আর কি উপকারে আসবে! তিনি বলবেন, তোমার প্রতি অন্যায় করা হবে না। অতঃপর সেই বৃহদাকার দফতরসমূহ এক পাল্লায় এবং সেই ক্ষুদ্র চিরকূটটি আরেক পাল্লায় রাখা হবে। এতে বৃহদাকার দফতরসমূহের পাল্লা হালকা হয়ে উপরে উঠে যাবে এবং ক্ষুদ্র চিরকুটের পাল্লা ভারী হয়ে যাবে। মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া বলেন, বিতাকা (চিরকুট) অর্থ রুক্‌আ (টুকরা) , মিসরবাসী রুক্‌আকে বিতাকা বলে।[৩৬৩২] -
তাহকীক আলবানীঃসহীহ। - -
[৩৬৩২] (তিরমিযী ২৬৩৯। মিশকাত ৫৫৫৯, সহীহাহ ১৩৫, আত-তালীকুর রাগীব ২/২৪০, ২৪১।)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩১/৩৬. অধ্যায়ঃ
হাওদ কাওসারের আলোচনা

৪৩০১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا، حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ لِي حَوْضًا مَا بَيْنَ الْكَعْبَةِ وَبَيْتِ الْمَقْدِسِ أَبْيَضَ مِثْلَ اللَّبَنِ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ وَإِنِّي لأَكْثَرُ الأَنْبِيَاءِ تَبَعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার জন্য বায়তুল্লাহ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ঝর্ণা আছে। এর পানি দুধের ন্যায় সাদা এবং এর পানপাত্র তারকাপুঞ্জের ন্যায় অসংখ্য। কিয়ামতের দিন অন্য সকল নবী-রাসূলের অনুসারীর চেয়ে আমার অনুসারীর সংখ্যা হবে অনেক বেশী।[৩৬৩৩] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৩৩] (হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আয-যিলাল ৭২৩।)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩০২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِنَّ حَوْضِي لأَبْعَدُ مِنْ أَيْلَةَ إِلَى عَدَنَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ النُّجُومِ وَلَهُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَذُودُ عَنْهُ الرِّجَالَ كَمَا يَذُودُ الرَّجُلُ الإِبِلَ الْغَرِيبَةَ عَنْ حَوْضِهِ ‏”‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنَا قَالَ ‏”‏ نَعَمْ تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ لَيْسَتْ لأَحَدٍ غَيْرِكُمْ ‏”‏ ‏.‏

হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার হাওদে কাওসারের পরিধি আয়লা থেকে এডেন পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এই হাওযের পানপাত্রের সংখ্যা হবে নক্ষত্ররাজির চেয়েও অধিক। এর পানি হবে দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। সেই মহান সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয় আমি এই হাওযের তীর থেকে একদল লোককে তাড়িয়ে দিবো, যেমন কোন লোক অপরিচিত উটকে তার কূপ থেকে তাড়িয়ে দেয়। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমাদের চিনতে পারবেন? তিনি বলেন, হাঁ, তোমরা উযু করার কারণে তোমাদের উযুর অঙ্গসমূহ উজ্জ্বল অবস্থায় আমার নিকট উপস্থিত হবে। তোমাদের ব্যতীত অন্য কারো এরূপ হবে না।[৩৬৩৪] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৩৪] (মুসলিম ২৪৮, আহমাদ ২২৮৩৫।)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩০৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُهَاجِرٍ، حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ سَالِمٍ الدِّمَشْقِيُّ، نُبِّئْتُ عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ الْحَبَشِيِّ، قَالَ بَعَثَ إِلَىَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَأَتَيْتُهُ عَلَى بَرِيدٍ فَلَمَّا قَدِمْتُ عَلَيْهِ قَالَ لَقَدْ شَقَقْنَا عَلَيْكَ يَا أَبَا سَلاَّمٍ فِي مَرْكَبِكَ ‏.‏ قَالَ أَجَلْ وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ الْمَشَقَّةَ عَلَيْكَ وَلَكِنْ حَدِيثٌ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحَدِّثُ بِهِ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْحَوْضِ فَأَحْبَبْتُ أَنْ تُشَافِهَنِي بِهِ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ حَدَّثَنِي ثَوْبَانُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ حَوْضِي مَا بَيْنَ عَدَنَ إِلَى أَيْلَةَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ أَوَانِيهِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ مَنْ شَرِبَ مِنْهُ شَرْبَةً لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا وَأَوَّلُ مَنْ يَرِدُهُ عَلَىَّ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ الدُّنْسُ ثِيَابًا وَالشُّعْثُ رُءُوسًا الَّذِينَ لاَ يَنْكِحُونَ الْمُنَعَّمَاتِ وَلاَ يُفْتَحُ لَهُمُ السُّدَدُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَبَكَى عُمَرُ حَتَّى اخْضَلَّتْ لِحْيَتُهُ ثُمَّ قَالَ لَكِنِّي قَدْ نَكَحْتُ الْمُنَعَّمَاتِ وَفُتِحَتْ لِيَ السُّدَدُ لاَ جَرَمَ أَنِّي لاَ أَغْسِلُ ثَوْبِي الَّذِي عَلَى جَسَدِي حَتَّى يَتَّسِخَ وَلاَ أَدْهُنُ رَأْسِي حَتَّى يَشْعَثَ ‏.‏

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আবু সাল্লাম) বলেন, উমার বিন আবদুল আযীয (রাঃ) আমাকে ডেকে পাঠান। আমি একটি খচ্চরের পিঠে সাওয়ার হয়ে তার নিকট আসি। আমি তার নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, হে আবূ সাল্লাম! আমি আপনার বাহনের ব্যাপারে আপনাকে কষ্ট দিয়েছি। তিনি বলেন, হাঁ, আল্লাহর শপথ! হে আমিরুল মুমিনীন। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আপনাকে কষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আমার ছিলো না। আমি জানতে পেরেছি যে, আপনি হাওয কাওসার সম্পর্কিত একটি হাদীস রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মুক্তদাস সাওবান (রাঃ) -র সূত্রে বর্ণনা করেন। আমি সেই হাদীসখানি আপনার মুখে শুনতে আগ্রহী। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মুক্তদাস সাওবান (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার হাওয এডেন থেকে আয়লা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এর পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। এর পাত্র সংখ্যা আকাশের তারকারাজির সমান। যে কেউ এই হাওয থেকে এক ঢোক পানি পান করতে পারবে, সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। দরিদ্র মুহাজিরগণ সর্বপ্রথম এর পানি পানের সৌভাগ্য লাভ করবে, যাদের মাথার চুল উস্কখুষ্ক, পোষাক ধুলি মলিন, যারা ধনবান পরিবারের মেয়েদের বিবাহ করতে পারেনি এবং যাদের আপ্যায়নের জন্য ঘরের দরজাসমূহ খোলা হয়নি। রাবী বলেন, (এ হাদীস শুনে) উমার (রাঃ) কেঁদে দিলেন, এমনকি তার দাড়ি অশ্রুসিক্ত হয়ে গেলো। তিনি বলেন, আমি তো ধনীর দুলালী বিবাহ করেছি এবং আমার জন্য সব দরজাই তো উন্মুক্ত। এখন থেকে আমি আমার পরিধেয় বস্ত্র ময়লাযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ধৌত করব না এবং মাথার চুল উষ্কখুষ্ক না হওয়া পর্যন্ত তৈল ব্যাবহার করবো না।[৩৬৩৫] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৩৫] (তিরমিযী ২৪৪৪। সহীহাহ ১০৮২, আস-সুন্নাহ লি ইবনু আবূ আসিম ৭০৭, ৭০৮, মিশকাত ৫৫৯২।)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩০৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا بَيْنَ نَاحِيَتَىْ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَالْمَدِينَةِ أَوْ كَمَا بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَعَمَّانَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার হাওদের দু’ তীরের ব্যবধান (ইয়ামানের রাজধানী) সানআ’ ও মদীনার মধ্যকার দূরত্বের সমান অথবা মদীনা ও আম্মানের মধ্যকার দূরত্বের সমান।[৩৬৩৬] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৩৬] (সহীহুল বুখারী ৬৫৮০, মুসলিম ২৩০৩, আহমাদ ১১৯৫৪, ১২৮৪৯, ১২৮৮১, ১২৯৯২। আয-যিলাল ৭১৪।)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩০৫
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يُرَى فِيهِ أَبَارِيقُ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সেখানে (হাওয কাওসারের তীরে) আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জের সমান সংখ্যক স্বর্ণ ও রৌপ্য নির্মিত পানপাত্রসমূহ দৃশ্যমান থাকবে।[৩৬৩৭] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৩৭] (মুসলিম ২৩০৩, ২৩০৪।)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩০৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ أَتَى الْمَقْبَرَةَ فَسَلَّمَ عَلَى الْمَقْبَرَةِ فَقَالَ ‏”‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى بِكُمْ لاَحِقُونَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ وَدِدْتُ أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا إِخْوَانَنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَلَسْنَا إِخْوَانَكَ قَالَ ‏”‏ أَنْتُمْ أَصْحَابِي وَإِخْوَانِي الَّذِينَ يَأْتُونَ مِنْ بَعْدِي وَأَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ لَمْ يَأْتِ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ ‏”‏ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ رَجُلاً لَهُ خَيْلٌ غُرٌّ مُحَجَّلَةٌ بَيْنَ ظَهْرَانَىْ خَيْلٍ دُهْمٍ بُهْمٍ أَلَمْ يَكُنْ يَعْرِفُهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ أَلاَ لَيُذَادَنَّ رِجَالٌ عَنْ حَوْضِي كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ فَأُنَادِيهِمْ أَلاَ هَلُمُّوا ‏.‏ فَيُقَالُ إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ وَلَمْ يَزَالُوا يَرْجِعُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ ‏.‏ فَأَقُولُ أَلاَ سُحْقًا سُحْقًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবরস্থানে এসে কবরবাসীদের সালাম দিলেন এবং বললেন, “আসসালামু আলায়কুম দারা কাওমীম মু‘মিনীন ওয়াইন্না ইনশাআল্লাহ তাআলা বিকুম লাহিকূন” (ঈমানদার কবরবাসীরা! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। অচিরেই আল্লাহর মর্জি আমরা তোমাদের সাথে মিলিত হবো)। অতঃপর তিনি বলেনঃ নিশ্চয় আমাদের আকাঙ্ক্ষা এই যে, আমরা আমাদের ভাইদের দেখতে পাবো। তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি বলেনঃ তোমরা আমার সাহাবী। আর যারা আমাদের পরে আসবে তারা আমার ভাই। আমি তোমাদের আগেই হাওযের নিকট উপস্থিত হবো। তারা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এমন লোকদের আপনার উম্মাতরূপে কিভাবে চিনবেন, যারা এখনো জন্মলাভ করেনি? তিনি বলেনঃ তোমরা কি দেখো না, যদি কোন ব্যক্তির একটি সাদা পা ও সাদা পেশানীযুক্ত ঘোড়া অপর ব্যক্তির কালো ঘোড়ার পালে মিশে যায়, তবে সে কি তার ঘোড়াটি চিনতে পারবে না? তারা বলেন, হাঁ, নিশ্চয় চিনতে পারবে। তিনি বলেনঃ তারা কিয়ামতের দিন উযুর বদৌলতে সাদা পেশানী ও সাদা হাত-পা বিশিষ্ট অবস্থায় আসবে। তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের আগেই হাওয কাওছারে উপস্থিত হবো। একদল লোক আমার হাওয থেকে বিতাড়িত হবে, যেমন পথভোলা উট বিতাড়িত হয়। আমি তাদেরকে ডেকে বলবোঃ তোমরা এদিকে এসো তোমরা এদিকে এসো। তখন বলা হবে, এসব লোক আপনার পর (দীনকে) পরিবর্তন করেছে এবং অবিরত তারা তাদের পশ্চাতে ফিরে গেছে। তখন আমি বলবোঃ সাবধান! দূর হও দূর হও।[৩৬৩৮] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৩৮] (আহমাদ ৯০৩৭। আল-আহকাম ১৯০, ইরওয়া ৭৭৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩১/৩৭. অধ্যায়ঃ
শাফা‘আতের আলোচনা

৪৩০৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ فَتَعَجَّلَ كُلُّ نَبِيٍّ دَعْوَتَهُ وَإِنِّي اخْتَبَأْتُ دَعْوَتِي شَفَاعَةً لأُمَّتِي فَهِيَ نَائِلَةٌ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নবীর জন্য একটি করে দু‘আ আছে যা কবুল করা হয়। আর প্রত্যেক নবী তাঁর দু‘আর ব্যাপারে তাড়াহুড়া করেছেন আর আমি আমার দু‘আ আমার উম্মাতের শাফা‘আতের জন্য জমা রেখেছি। অতএব আমার উম্মাতের মধ্যে যারা আল্লাহর সাথে শিরক না করে মারা যাবে তারা আমার শাফাআতপ্রাপ্ত হবে।[৩৬৩৯] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৩৯] [সহীহুল বুখারী ৬৩০৪, মুসলিম ১৯৮, তিরমিযী ৩৬০২, আহমাদ ৭৬৫৭, ২৭৩৪৮, ৮৭৩৬, ৮৮৯৮, ৯০৪৮, ৯২২০, ৯২৬৮, ৯৯৩৮, মুওয়াত্তা মালিক ৪৯২, দারিমী ২৮০৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩০৮
حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، وَأَبُو إِسْحَاقَ الْهَرَوِيُّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَاتِمٍ قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ الأَرْضُ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ وَلاَ فَخْرَ وَلِوَاءُ الْحَمْدِ بِيَدِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি আদম সন্তানদের সরদার, তাতে গর্বের কিছু নেই। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আমার জন্য জমীন বিদীর্ণ হবে (কবর থেকে সর্বপ্রথম আমিই উঠবো) , এতে গর্বের কিছু নাই। আমিই হবো সর্বপ্রথম শাফাআতকারী এবং সর্বাগ্রে আমার শাফাআতকবুল করা হবে। এতেও কোন গর্ব নেই। কিয়ামতের দিন আল্লাহর প্রশংসার পতাকা আমার হাতে থাকবে। এতেও গর্বের কিছু নেই।[৩৬৪০] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৪০] [ তিরমিযী ৩১৪৮, ৩৬১৫। তাখরীজুত তাহাবীয়াহ ১২৭, সহীহাহ ১৫৭১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩০৯
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَمَّا أَهْلُ النَّارِ الَّذِينَ هُمْ أَهْلُهَا فَإِنَّهُمْ لاَ يَمُوتُونَ فِيهَا وَلاَ يَحْيَوْنَ وَلَكِنْ نَاسٌ أَصَابَتْهُمُ النَّارُ بِذُنُوبِهِمْ أَوْ بِخَطَايَاهُمْ فَأَمَاتَتْهُمْ إِمَاتَةً حَتَّى إِذَا كَانُوا فَحْمًا أُذِنَ لَهُمْ فِي الشَّفَاعَةِ فَجِيءَ بِهِمْ ضَبَائِرَ ضَبَائِرَ فَبُثُّوا عَلَى أَنْهَارِ الْجَنَّةِ فَقِيلَ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ أَفِيضُوا عَلَيْهِمْ فَيَنْبُتُونَ نَبَاتَ الْحِبَّةِ تَكُونُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ كَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ كَانَ فِي الْبَادِيَةِ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আহা দোযখবাসী, যারা জাহান্নামবাসী তারা সেখানে মরবেও না, বাঁচবেও না। তবে কতক লোক তাদের ভুলত্রুটি ও গুনাহের কারণে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করবে। আগুন তাদের দগ্ধীভূত করবে, ফলে তারা কয়লাবৎ হয়ে যাবে। তখন তাদের শাফাআতের অনুমতি দেয়া হবে। তাদের দলে দলে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে এবং জান্নাতের ঝরণার নিকট ছড়িয়ে রাখা হবে। তখন বলা হবে, হে জান্নাতবাসীরা! তোমরা তাদের উপর পানি ছিটিয়ে দাও। ফলে তারা প্লাবনের পর উর্বর মাটিতে চারাগাছ গজানোর মত গজিয়ে উঠবে। রাবী বলেন, উপস্থিত এক ব্যক্তি বললো, মনে হয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেন বন-বাদাড়ে বসবাস করতেন।[৩৬৪১] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৪১] [মুসলিম ১৮৪, ১৮৫। সহীহাহ ১৫৫১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩১০
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ لأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন আমার শাফাআত হবে আমার উম্মাতের কবীরা গুনাহগারদের জন্যই।[৩৬৪২] -
তাহকী আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৪১] [তিরমিযী ২৪৩৬। মিশকাত ৫৫৯৯, রাওদুন নাদীর ৪৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩১১
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ خُيِّرْتُ بَيْنَ الشَّفَاعَةِ وَبَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ نِصْفُ أُمَّتِي الْجَنَّةَ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ لأَنَّهَا أَعَمُّ وَأَكْفَى أَتُرَوْنَهَا لِلْمُتَّقِينَ لاَ وَلَكِنَّهَا لِلْمُذْنِبِينَ الْخَطَّائِينَ الْمُتَلَوِّثِينَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে শাফাআত করার অথবা আমার উম্মাতের অর্ধেক জান্নাতী হওয়ার মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ করার অবকাশ দেয়া হয়েছিলো। আমি শাফাআতকে গ্রহণ করেছি। কেননা তা ব্যাপক বিস্তৃত এবং অধিক ফলপ্রসূ। তোমরা কি মনে করো যে, শাফাআত মুত্তাকীদের জন্য? না, বরং তা গুনাহগার, অপরাধে অভিযুক্ত এবং সত্য-মিথ্যার মধ্যে মিশ্রণকারীদের জন্য।[৩৬৪৩] -
তাহকীক আলবানীঃ “لأ نها …” বাক্যটি ব্যতীত সহীহ। - -
[৩৬৪২] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ৩৫৮৫, দঈফ আল-জামি’ ২৯৩২।

উক্ত হাদীসের রাবী আবূ বাদর সম্পর্কে আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তার হাদীস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি আশা করি তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামাল : রাবী নং ২৭০২, ১২/৩৮২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

 সরাসরি

৪৩১২
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ يَجْتَمِعُ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُلْهَمُونَ – أَوْ يَهُمُّونَ شَكَّ سَعِيدٌ – فَيَقُولُونَ لَوْ تَشَفَّعْنَا إِلَى رَبِّنَا فَأَرَاحَنَا مِنْ مَكَانِنَا فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ آدَمُ أَبُو النَّاسِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَأَسْجَدَ لَكَ مَلاَئِكَتَهُ فَاشْفَعْ لَنَا عِنْدَ رَبِّكَ يُرِحْنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا ‏.‏ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ – وَيَذْكُرُ وَيَشْكُو إِلَيْهِمْ ذَنْبَهُ الَّذِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي مِنْ ذَلِكَ – وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا فَإِنَّهُ أَوَّلُ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ – وَيَذْكُرُ سُؤَالَهُ رَبَّهُ مَا لَيْسَ لَهُ بِهِ عِلْمٌ وَيَسْتَحْيِي مِنْ ذَلِكَ – وَلَكِنِ ائْتُوا خَلِيلَ الرَّحْمَنِ إِبْرَاهِيمَ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى عَبْدًا كَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَعْطَاهُ التَّوْرَاةَ ‏.‏ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ – وَيَذْكُرُ قَتْلَهُ النَّفْسَ بِغَيْرِ النَّفْسِ – وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولَهُ وَكَلِمَةَ اللَّهِ وَرُوحَهُ ‏.‏ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا عَبْدًا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ ‏.‏ قَالَ فَيَأْتُونِي فَأَنْطَلِقُ – قَالَ فَذَكَرَ هَذَا الْحَرْفَ عَنِ الْحَسَنِ ‏.‏ قَالَ فَأَمْشِي بَيْنَ السِّمَاطَيْنِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ عَادَ إِلَى حَدِيثِ أَنَسٍ – قَالَ ‏”‏ فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي فَإِذَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ يَا مُحَمَّدُ وَقُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الثَّانِيَةَ فَإِذَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ لِي ارْفَعْ مُحَمَّدُ قُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الثَّالِثَةَ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِيِّ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ مُحَمَّدُ قُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الرَّابِعَةَ فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কিয়ামতের দিন ঈমানদার বান্দারা সমবেত হবে। তখন তাদের অন্তরে ইলহাম করা হবে এবং তারা বলবে, কেউ যদি আমাদের প্রভুর নিকট আমাদের জন্য শাফাআত করতো তাহলে তিনি আমাদেরকে এ অবস্থা থেকে শান্তি দিতে পারতেন। অতএব তারা আদাম (আঃ) এর নিকট এসে বলবে, আপনি আদম, মানবজাতির পিতা। আল্লাহ নিজ হাতে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর ফেরেশতাদের দ্বারা আপনাকে সিজদা করিয়েছেন। আপনি আমাদের এ অবস্থা থেকে নাজাতের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট শাফাআত করুন। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের উপযুক্ত নই। তিনি তাদের নিকট নিজের কৃত গুনাহের কথা উল্লেখ করে আক্ষেপ করবেন এবং এতে লজ্জিত হবেন। বরং তোমরা নূহ আলাইহিস সালামের নিকট যাও। কেননা তিনি ছিলেন পৃথিবীবাসীর প্রতি আল্লাহর প্রেরিত প্রথম রাসূল। অতএব তারা তাঁর নিকট উপস্থিত হবে। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের উপযুক্ত নই। তিনি অজ্ঞাতে আল্লাহর নিকট যে নিবেদন করেছিলেন, তা স্মরণ করে লজ্জিত হবেন। বরং তোমরা দয়াময় রহমানের প্রিয় বান্দা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের নিকট যাও। অতএব তারা তাঁর নিকট আসলে তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই। বরং তোমরা মূসা আলাইহিস সালামের নিকট যাও। তিনি ছিলের আল্লাহর প্রিয় বান্দা, তাঁর সাথে আল্লাহ বাক্যালাপ করেছেন এবং তাঁকে তাওরাত কিতাব দান করেছেন। অতএব তারা তাঁর নিকট উপস্থিত হবে। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই। তিনি একটি অন্যায় হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করবেন। তোমরা বরং আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, তাঁর বাক্য, তাঁর দেয়া রূহ ঈসা আলাইহিস সালামের নিকট যাও। অতএব লোকেরা তাঁর নিকট এসে উপস্থিত হবে। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই। বরং তোমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট যাও, যাঁর পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তখন তারা আমার নিকট আসবে এবং আমি রওয়ানা হবো। রাবী বলেন, হাসান (রাঃ) -এর সনদে এই শব্দাবলী বর্ণিত আছেঃ তিনি বলেন, আমি মুমিনদের দু’টি সারির মাঝখান দিয়ে অগ্রসর হতে থাকবো। কাতাদা (রাঃ) বলেনঃ তারপর রাবী আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের শব্দাবলীতে বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি আমার প্রভুর নিকট (শাফাআতের) অনুমতি প্রার্থনা করবো এবং আমাকে অনুমতি দেয়া হবে। আমি তাঁকে দেখামাত্র সিজদায় লুটিয়ে পড়বো। আল্লাহ যতক্ষণ চাইবেন আমাকে সিজদাবনত অবস্থায় রাখবেন। অতঃপর নির্দেশ দেওয়া হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও, বলো, শোনা হবে এবং চাও, দেয়া হবে, শাফাআত করো, কবুল করা হবে। অতএব তিনি যা আমাকে শিখিয়ে দিবেন সেই বাক্যে আমি তাঁর প্রশংসা করবো। অতঃপর আমি শাফাআত করবো। তবে আমার জন্য শাফাআতের একটি সীমা বেঁধে দেয়া হবে। আল্লাহ শাফাআত প্রাপ্তদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি পুনরায় আমার প্রভুর নিকট ফিরে আসবো এবং তাঁকে দেখামাত্র সিজদায় লুটিয়ে পড়বো। আল্লাহ যতক্ষণ চাইবেন আমাকে সিজদাবনত রাখবেন। অতঃপর আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও, বলো, শোনা হবে; চাও, দেয়া হবে; শাফাআত করো, কবুল করা হবে। তিনি আমাকে যে বাক্য শিখিয়ে দিবেন, আমি সেই বাক্যে তাঁর প্রশংসা করবো, অতঃপর শাফাআত করবো। আমাকে একটি সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। আল্লাহ শাফাআত প্রাপ্তদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি তৃতীয় বারের মত ফিরে যাবো এবং আমার প্রভুকে দেখামাত্র সিজদায় পতিত হবো। আল্লাহ যতক্ষণ চাইবেন আমাকে সিজদাবনত রাখবেন। অতঃপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও; বলো, শোনা হবে; প্রার্থনা করো, কবুল করা হবে; শাফাআত করো, মঞ্জুর করা হবে। আমি আমার মাথা উঠাবো এবং তাঁর শিখানো বাক্যে তাঁর প্রশংসা করবো এবং তারপর আমি শাফাআত করবো এবং আমাকে একটা সীমা বেঁধে দেয়া হবে। আল্লাহ শাফাআত কৃতদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি চতুর্থবার গিয়ে বলবো, হে প্রভু! কুরআন যাদের আটক করে রেখেছে তারা ব্যতীত আর কেউ অবশিষ্ট নেই। রাবী বলেন, কাতাদা (রাঃ) এই হাদীস বর্ণনা করে বলেছেন, আনাস বিন মালিক (রাঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শেষে এমন ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে যে শুধু বলেছে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই) এবং যার অন্তরে একটি গমের দানা পরিমাণ নেক আমল থাকবে। আর এমন ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে যে বলেছে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এবং যার অন্তরে থাকবে বার্লির দানা পরিমাণ নেক আমল (ঈমান)। এমন ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে যে বলেছেঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এবং যার অন্তরে অণু পরিমাণ নেক আমল থাকবে।[৩৬৪৪] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৪৩] [সহীহুল বুখারী ৪৪৭৬, মুসলিম ১৯৩, আহমাদ ১১৭৪৩,। আয যিলাল ৮০৪, ৮১০, ৮৪৯।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩১৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عِلاَقِ بْنِ أَبِي مُسْلِمٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يَشْفَعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلاَثَةٌ الأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْعُلَمَاءُ ثُمَّ الشُّهَدَاءُ ‏”‏ ‏.‏

উসমান বিন আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির লোক শাফাআত করবে। নবীগণ, অতঃপর আলিমগণ, অতঃপর শহীদগণ।[৩৬৪৫] -
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। - -
[৩৬৪৪] [হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫৬১১, তাখরীজুত তাহাবীয়াহ ২০৮, দঈফাহ ১৯৭৮।

উক্ত হাদীসের রাবী ১। আম্বাসাহ বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, হাদীস বিশারদগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইমাম তিরমিযী ও আবূ দাঊদ আস-সাজিসতানী তাকে দুর্বল বলেছেন। আবূ যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদীস বর্ণনা করেন, তার হাদীস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামাল : রাবী নং ৪৫৩৬, ২২/৪১৬ নং পৃষ্ঠা) ২। আল্লাক বিন আবূ মুসলিম সম্পর্কে আবূ হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি এককভাবে হাদীস বর্ণনা করলে তার ঐ হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামাল : রাবী নং ৪৫৯৬, ২২/৫৪৯ নং পৃষ্ঠা) ]

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

 সরাসরি

৪৩১৪
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ كُنْتُ إِمَامَ النَّبِيِّينَ وَخَطِيبَهُمْ وَصَاحِبَ شَفَاعَتِهِمْ غَيْرَ فَخْرٍ ‏”‏ ‏.

উবায় বিন ক’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কিয়ামাতের দিন আমি হবো নবীগণের ইমাম, তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য পেশকারী এবং তাদের প্রধান সুপারিশকারী, তাতে কোন গর্ব নেই। [৩৬৪৬] -
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। - -
[৩৬৪৫] [তিরমিযী ৩৬১৩। আয যিলাল ৭৮৭, তাখরীজুল মিশকাত ৫৭৬৮।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

 সরাসরি

৪৩১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لَيَخْرُجَنَّ قَوْمٌ مِنَ النَّارِ بِشَفَاعَتِي يُسَمَّوْنَ الْجَهَنَّمِيِّينَ ‏”‏ ‏.‏

ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার শাফাআতের বদৌলতে “জাহান্নামী” নামের একদল জাহান্নাম থেকে নাজাত পাবে।[৩৬৪৭] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৪৫] [সহীহুল বুখারী ৬৫৬৬, তিরমিযী ২৬০০, আবূ দাঊদ ৪৭৪০, আহমাদ ১৯৩৯৬,।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْجَذْعَاءِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ بِشَفَاعَةِ رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَكْثَرُ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ سِوَاكَ قَالَ ‏”‏ سِوَاىَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ أَنَا سَمِعْتُهُ ‏.

আবদুল্লাহ বিন আবুল জাদআ’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ আমার উম্মাতের এক ব্যক্তির শাফাআতে তামীম গোত্রের জনসংখ্যার চেয়েও অধিক লোক জান্নাতে যাবে। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেই ব্যক্তি কি আপনি ব্যতীত অন্য কেউ? তিনি বলেনঃ আমি ব্যতীত। আমি (আবদুল্লাহ বিন আবুল জাদআ’) জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট শুনেছি। [৩৬৪৮] - -
[৩৬৪৬] তিরমিযী ২৪৩৮, আহমাদ ১৫৪৩০, ১৫৪৩১, দারিমী ২৮০৮। মিশকাত ৫৬০১, সহীহাহ ২১৭৮।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

 সরাসরি

৪৩১৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَ بْنَ عَامِرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ الأَشْجَعِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ أَتَدْرُونَ مَا خَيَّرَنِي رَبِّيَ اللَّيْلَةَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّهُ خَيَّرَنِي بَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ نِصْفُ أُمَّتِي الْجَنَّةَ وَبَيْنَ الشَّفَاعَةِ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنَا مِنْ أَهْلِهَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هِيَ لِكُلِّ مُسْلِمٍ ‏”‏ ‏.‏

আওফ বিন মালিক আল-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কি জানো, আমার প্রভু আজ রাতে আমাকে কোন্‌ বিষয়ে অবকাশ দিয়েছেন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। তিনি বলেনঃ তিনি (আল্লাহ) আমাকে এই অবকাশ দিয়েছেন যে, আমার উম্মাতের অর্ধেক সংখ্যক জান্নাতে প্রবেশ করবে অথবা তাদের নাজাতের জন্য শাফা‘আতের অনুমতি থাকবে। আমি শাফা‘আতের অবকাশ গ্রহণ করলাম। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আল্লাহর কাছে দুআ’ করুন যেন তিনি আমাদেরকে শাফাআত লাভের যোগ্য বানান। তিনি বলেনঃ এই শাফাআত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য।[৩৬৪৯] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৪৭] [তিরমিযী ২৪৪১। আয যিলাল ৮১৮-৮২০, আত তা’লীকুর রাগীব ৪/২১৫৮।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩১/৩৮. অধ্যায়ঃ
জাহান্নামের বর্ণনা

৪৩১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَيَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ نُفَيْعٍ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ نَارَكُمْ هَذِهِ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءًا مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ وَلَوْلاَ أَنَّهَا أُطْفِئَتْ بِالْمَاءِ مَرَّتَيْنِ مَا انْتَفَعْتُمْ بِهَا وَإِنَّهَا لَتَدْعُو اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لاَ يُعِيدَهَا فِيهَا ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দুনিয়ার এ আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ (উত্তাপের দিক থেকে)। যদি সেই আগুনকে দু’বার পানি দ্বারা ঠাণ্ডা করা না হতো তবে তোমরা এর দ্বারা উপকৃত হতে পারতে না। এ আগুন মহামহিম আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছে যে আবার তাকে জাহান্নামে ফেরত না নেয়া হয়। [৩৬৫০] -
তাহকীক আলবানী : এ বাক্য গুলো খুবই দুর্বল তবে وانها لتدعو “ …… বাক্যটি বাদে সহীহ। - -
[৩৬৪৮] [হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/২৬৬, দঈফাহ ৩২০৮, দঈফ আল-জামি’ ২০১৮।

উক্ত হাদীসের রাবী নুফায়’ আবূ দাঊদ সম্পর্কে আবূ বিশর আদ দাওলাবী বলেন তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম তিরমিযী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত, তার থেকে কোন হাদীস গ্রহণ করা যাবে না। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। (তাহযীবুল কামাল : রাবী নং ৬৪৬৬, ৩০/১০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

 সরাসরি

৪৩১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ اشْتَكَتِ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا فَقَالَتْ يَا رَبِّ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا ‏.‏ فَجَعَلَ لَهَا نَفَسَيْنِ نَفَسٌ فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسٌ فِي الصَّيْفِ فَشِدَّةُ مَا تَجِدُونَ مِنَ الْبَرْدِ مِنْ زَمْهَرِيرِهَا وَشِدَّةُ مَا تَجِدُونَ مِنَ الْحَرِّ مِنْ سَمُومِهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জাহান্নাম তার প্রভুর নিকট অভিযোগ করে বললো, হে আমার রব! আমার একাংশ অপরাংশকে গ্রাস করেছে। তখন আল্লাহ তাকে দু’বার নিঃশ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেনঃ একটি শীতকালে অপরটি গ্রীষ্মকালে। তোমরা দুনিয়াতে যে ঠাণ্ডা অনুভব করো তা হলো জাহান্নামের হিম শীতলতা থেকে এবং যে গরম অনুভব করো তা হলো জাহান্নামের আগুনের উষ্ণতা থেকে।[৩৬৫১] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৪৯] [সহীহুল বুখারী ৫৩৭, ৩২৬০, মুসলিম ৬১৫, তিরমিযী ১৫৭, ২৫৯২, নাসায়ী ৫০০, আবূ দাঊদ ৪০২, আহমাদ ৭০৯০, ৭২০৫, ৭৪২৪, ৭৫৫৮, ৭৬৬৫, ৭৭৭০, ২৭৪৪৩, ৮৩৭৮, ৮৬৮৩, ৮৮৬১, ৮৮৮১, ৮৯৩৯, ২৭৪৯৪, ৯৬৩৯, ১০১২৮, ১০১৬০, ১০২১৪, ১১১০৪, মুয়াত্তা’ মালিক ২৮২৯, দারিমী ১২০৭, ২৮৪৫। সহীহাহ ১৪৫৭।]

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩২০
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ أُوقِدَتِ النَّارُ أَلْفَ سَنَةٍ فَابْيَضَّتْ ثُمَّ أُوقِدَتْ أَلْفَ سَنَةٍ فَاحْمَرَّتْ ثُمَّ أُوقِدَتْ أَلْفَ سَنَةٍ فَاسْوَدَّتْ فَهِيَ سَوْدَاءُ كَاللَّيْلِ الْمُظْلِمِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জাহান্নামের আগুন হাজার বছর ধরে উত্তপ্ত করার পর তা সাদা রং ধারণ করে আবার তা হাজার বছর ধরে উত্তপ্ত করার পর লাল রং ধারণ করে। আবার হাজার বছর ধরে উত্তপ্ত করার পর তা কালো বর্ণ ধারণ করে। এখন তা গভীর অন্ধকার রাতের মতো অন্ধকার অবস্থায় আছে।[৩৬৫২] -
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল। - -
[৩৬৫০] [তিরমিযী ২৫৯১। দঈফাহ ১৩০৫৮,দঈফ আল-জামি’ ২১২৫।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৪৩২১
حَدَّثَنَا الْخَلِيلُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يُؤْتَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَنْعَمِ أَهْلِ الدُّنْيَا مِنَ الْكُفَّارِ فَيُقَالُ اغْمِسُوهُ فِي النَّارِ غَمْسَةً ‏.‏ فَيُغْمَسُ فِيهَا ثُمَّ يُقَالُ لَهُ أَىْ فُلاَنُ هَلْ أَصَابَكَ نَعِيمٌ قَطُّ فَيَقُولُ لاَ مَا أَصَابَنِي نَعِيمٌ قَطُّ ‏.‏ وَيُؤْتَى بِأَشَدِّ الْمُؤْمِنِينَ ضُرًّا وَبَلاَءً ‏.‏ فَيُقَالُ اغْمِسُوهُ غَمْسَةً فِي الْجَنَّةِ ‏.‏ فَيُغْمَسُ فِيهَا غَمْسَةً فَيُقَالُ لَهُ أَىْ فُلاَنُ هَلْ أَصَابَكَ ضُرٌّ قَطُّ أَوْ بَلاَءٌ فَيَقُولُ مَا أَصَابَنِي قَطُّ ضُرٌّ وَلاَ بَلاَءٌ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন কাফেরদের মধ্য থেকে এমন এক ব্যক্তিকে হাযির করা হবে, যে দুনিয়াতে আরাম-আয়েশে দিন কাটিয়েছে। বলা হবে, তোমরা (ফেরেশতারা) একে জাহান্নামে একটি চুবান দাও। অতএব তাকে জাহান্নামে একটি চুবান দেয়া হবে। অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, হে অমুক! তুমি কি কখনো সুখের ছোঁয়া পেয়েছো? সে বলবে, না, আমি কখনো সুখের ছোঁয়া পাইনি। অতঃপর (কিয়ামতের দিন) ঈমানদারদের মধ্য হতে এমন এক ব্যক্তিকে হাযির করা হবে, যে দুনিয়াতে দুঃখ-কষ্ট ও বিপদাপদে জীবন কাটিয়েছে। বলা হবে, একে একটু জান্নাত দেখাও। অতঃপর তাকে জান্নাত দেখানো হবে। এরপর তাকে বলা হবে, হে অমুক! তোমাকে কি কখনো দুঃখ-কষ্ট ও বিপদাপদ স্পর্শ করেছে? সে বলবে, আমি কখনো দুঃখ-কষ্টে পতিত হইনি।[৩৬৫৩] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৫১] [মুসলিম ২৮০৭, আহমাদ ১২৬৯৯। সহীহাহ ১১৬৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْكَافِرَ لَيَعْظُمُ حَتَّى إِنَّ ضِرْسَهُ لأَعْظَمُ مِنْ أُحُدٍ وَفَضِيلَةُ جَسَدِهِ عَلَى ضِرْسِهِ كَفَضِيلَةِ جَسَدِ أَحَدِكُمْ عَلَى ضِرْسِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কাফেরদের দেহ হবে অস্বাভাবিক মোটা, এমনকি তার এক একটি দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের চেয়েও বড়। আর তার দেহ হবে তার দাঁতের তুলনায় এতো বিরাট, যেমন তোমাদের কারো দাঁতের তুলনায় তার দেহ অনেক বড় হয়ে থাকে। [৩৬৫৪] -
তাহকীক আলবানী : “ و فضـىلة …” বাক্য ব্যতীত সহীহ; কারণ এ শব্দগুলো দুর্বল। - -
[৩৬৫২] [আহমাদ ১০৮৪৮।

উক্ত হাদীসের রাবী ১। মুহাম্মাদ বিন আবূ লায়লা সম্পর্কে ইয়া’কূব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি স্বিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি দঈফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪০৬, ২৫/৬২২ নং পৃষ্ঠা) ২। উক্ত হাদীসের রাবী আতিয়্যাহ আল-আওফী সম্পর্কে আবূ বাক্‌র আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তার হাদীস দলীলযোগ্য নয়। আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবূ যুরআহ আর -রাযী বলেন, তিনি যাচাই বাছাই ছাড়া হাদীস গ্রহণ করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামাল : রাবী নং ৩৯৫৬, ২০/১৪৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

 সরাসরি

৪৩২৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَبِي بُرْدَةَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَدَخَلَ عَلَيْنَا الْحَارِثُ بْنُ أُقَيْشٍ فَحَدَّثَنَا الْحَارِثُ، لَيْلَتَئِذٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ بِشَفَاعَتِهِ أَكْثَرُ مِنْ مُضَرَ وَإِنَّ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَعْظُمُ لِلنَّارِ حَتَّى يَكُونَ أَحَدَ زَوَايَاهَا ‏”‏ ‏.‏

হারিস বিন উকায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আবদুল্লাহ) বলেন, এক রাতে আমি আবূ বুরদাহ (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। ইত্যবসরে হারিস বিন উকায়স (রাঃ) আমাদের নিকট প্রবেশ করলেন। হারিস (রাঃ) সে রাতে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে এমন ব্যক্তিও হবে যার শাফা‘আতে মুদার গোত্রের লোকসংখ্যার চেয়ে অধিক সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবার আমার উম্মাতের মধ্যে এমন ব্যক্তিও হবে, যে জাহান্নামের জন্য এতো হৃষ্টপুষ্ট হবে যে, এমনকি তার এক কোণা ভরে যাবে।[৩৬৫৫] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৫৩] [আহমাদ ২২১৫৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يُرْسَلُ الْبُكَاءُ عَلَى أَهْلِ النَّارِ فَيَبْكُونَ حَتَّى يَنْقَطِعَ الدُّمُوعُ ثُمَّ يَبْكُونَ الدَّمَ حَتَّى يَصِيرَ فِي وُجُوهِهِمْ كَهَيْئَةِ الأُخْدُودِ لَوْ أُرْسِلَتْ فِيهِ السُّفُنُ لَجَرَتْ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জাহান্নামীদের জন্য পাঠানো হবে কেবল কান্নাকাটি। তারা কাঁদতে কাঁদতে তাদের চোখের পানি শেষ হয়ে যাবে। অতঃপর তাদের চোখ দিয়ে ঝরতে থাকবে রক্তাশ্রু। ফলে তাদের মুখমণ্ডলে বিরাটকায় গর্ত সদৃশ গর্ত সৃষ্টি হবে। তাতে নৌযান ছেড়ে দিলে অবশ্যি তা অনায়াসে চলতে পারবে। [৩৬৫৬] -
তাহকীক আলবানী : (আরবি) বাক্যগুলো ব্যতীত সহীহ; কারণ বাক্যগুলো দুর্বল। - -
[৩৬৫৪] [হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১৬৭৯.

উক্ত হাদীসের রাবী ইয়াযীদ আর-রাকাশী সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকিব বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। আবূ বাক্‌র আল-বুরকানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবূ বাক্‌র আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদীস দলীলযোগ্য নয়, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়া’কূব বিন সুফইয়ান বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামাল : রাবী নং ৬৯৫৮, ৩২/৬৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

 সরাসরি

৪৩২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوتُنَّ إِلاَّ وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ }‏ ‏”‏ وَلَوْ أَنَّ قَطْرَةً مِنَ الزَّقُّومِ قُطِرَتْ فِي الأَرْضِ لأَفْسَدَتْ عَلَى أَهْلِ الدُّنْيَا مَعِيشَتَهُمْ فَكَيْفَ بِمَنْ لَيْسَ لَهُ طَعَامٌ غَيْرُهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত পড়লেন (অনুবাদ) : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় করো এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী না হয়ে কোন অবস্থায় মরো না” (সূরা আল ইমরানঃ ১০২)। যাককূমের একটি বিন্দুও যদি পৃথিবীতে পতিত হতো তাহলে দুনিয়াবাসীর জীবন দুর্বিসহ হয়ে যেতো। আর এটাই যাদের খাদ্য হবে তাদের কী অবস্থা হবে।[৩৬৫৭] -
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল। - -
[৩৬৫৫] [তিরমিযী ২৫৮৫। আত তা’লীকুর রাগীব ৪/২৩৬, রাওদুন নাদীর ৪৫১।]

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৪৩২৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَادَةَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ تَأْكُلُ النَّارُ ابْنَ آدَمَ إِلاَّ أَثَرَ السُّجُودِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَى النَّارِ أَنْ تَأْكُلَ أَثَرَ السُّجُودِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জাহান্নামের আগুন সিজদার চিহ্নসম্বলিত স্থান ব্যতীত আদম সন্তানের সমস্ত দেহ খেয়ে ফেলবে। আল্লাহ তাআলা সিজদার চিহ্নসমূহ গ্রাস করা জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করেছেন। [৩৬৫৮] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৫৮] সহীহুল বুখারী ৮০৬, ৬৫৭৪, ৭৪৩৮, মুসলিম ১৮২, নাসায়ী ১১৪০, আহমাদ ৭৬৬০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩২৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يُؤْتَى بِالْمَوْتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُوقَفُ عَلَى الصِّرَاطِ فَيُقَالُ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ ‏.‏ فَيَطَّلِعُونَ خَائِفِينَ وَجِلِينَ أَنْ يُخْرَجُوا مِنْ مَكَانِهِمُ الَّذِي هُمْ فِيهِ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَهْلَ النَّارِ فَيَطَّلِعُونَ مُسْتَبْشِرِينَ فَرِحِينَ أَنْ يُخْرَجُوا مِنْ مَكَانِهِمُ الَّذِي هُمْ فِيهِ فَيُقَالُ هَلْ تَعْرِفُونَ هَذَا قَالُوا نَعَمْ هَذَا الْمَوْتُ ‏.‏ قَالَ فَيُؤْمَرُ بِهِ فَيُذْبَحُ عَلَى الصِّرَاطِ ثُمَّ يُقَالُ لِلْفَرِيقَيْنِ كِلاَهُمَا خُلُودٌ فِيمَا تَجِدُونَ لاَ مَوْتَ فِيهِ أَبَدًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “মৃত্যু” নামক সৃষ্টিকে এনে কিয়ামতের দিন পুলসিরাতের উপর স্থাপন করা হবে। অতঃপর ডাকা হবে, হে জান্নাতবাসীগণ! তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আবির্ভূত হবে, না জানি তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। অতঃপর বলা হবে, হে জাহান্নামবাসীরা! তারা আনন্দিত ও উৎফুল্ল হয়ে আত্নপ্রকাশ করবে, হয়তো তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে। অতঃপর বলা হবে, তোমরা কি একে চিনো? তারা বলবে, হাঁ, এ হলো “মৃত্যু”। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অতঃপর তার সম্পর্কে নির্দেশ দেয়া হলে তাকে পুলসিরাতের উপর যবেহ করা হবে। অতঃপর জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের বলা হবে, তোমরা উভয় দল স্ব স্ব স্থানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করো। এখানে কখনো মৃত্যু নেই। [৩৬৫৯] -
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। - -
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “মৃত্যু” নামক সৃষ্টিকে এনে কিয়ামতের দিন পুলসিরাতের উপর স্থাপন করা হবে। অতঃপর ডাকা হবে, হে জান্নাতবাসীগণ! তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আবির্ভূত হবে, না জানি তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। অতঃপর বলা হবে, হে জাহান্নামবাসীরা! তারা আনন্দিত ও উৎফুল্ল হয়ে আত্নপ্রকাশ করবে, হয়তো তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে। অতঃপর বলা হবে, তোমরা কি একে চিনো? তারা বলবে, হাঁ, এ হলো “মৃত্যু”। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অতঃপর তার সম্পর্কে নির্দেশ দেয়া হলে তাকে পুলসিরাতের উপর যবেহ করা হবে। অতঃপর জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের বলা হবে, তোমরা উভয় দল স্ব স্ব স্থানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করো। এখানে কখনো মৃত্যু নেই। [৩৬৫৯] -
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

 সরাসরি

৩১/৩৯. অধ্যায়ঃ
জান্নাতের বর্ণনা

৪৩২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَعْدَدْتُ لِعِبَادِيَ الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَمِنْ بَلْهَ مَا قَدْ أَطْلَعَكُمُ اللَّهُ عَلَيْهِ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏{فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ }‏ قَالَ وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقْرَؤُهَا مِنْ قُرَّاتِ أَعْيُنٍ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, আমি আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের জন্য এমন কিছু তৈরী করে রেখেছি, যা কোন চোখ কখনও দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এবং কোন মানুষের অন্তরের কল্পনা তার ধারণাও করতে পারেনি। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, যেসব উপকরণাদির কথা আল্লাহ তাআলা তোমাদের বলেছেন সেগুলোর কথা বাদ দিয়েও বরং তোমরা ইচ্ছা করলে পড়তে পারোঃ “কেউ জানে না তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ” (সূরা আস-সাজদাঃ ১৭)। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) এর স্থলে (আরবী) পড়তেন। [৩৬৬০] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৬০] সহীহুল বুখারী ৩২৪৪, মুসলিম ২৮২৪, তিরমিজি ৩১৯৭, দারিমী ২৭০৭। সহীহাহ ১৯৭৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩২৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ لَشِبْرٌ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الأَرْضِ وَمَا عَلَيْهَا – الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জান্নাতের এক বিঘত পরিমাণ স্থান সমগ্র পৃথিবী ও তার মধ্যকার সব কিছু থেকে উত্তম। [৩৬৬১] -
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল। - -
[৩৬৬১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ৪৩০৮, দঈফ আল-জামি ৪৬৭৮।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩০
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَوْضِعُ سَوْطٍ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏”‏ ‏.‏

সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতের এক চাবুক পরিমাণ জায়গা, পৃথিবী ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম। [৩৬৬২] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৬২] সহীহুল বুখারী ২৮৯২, ৩২৫০, তিরমিজি ১৬৪৮। আত তালীকুর রাগীব ৪/২৭৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩১
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ الْجَنَّةُ مِائَةُ دَرَجَةٍ كُلُّ دَرَجَةٍ مِنْهَا مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَإِنَّ أَعْلاَهَا الْفِرْدَوْسُ وَإِنَّ أَوْسَطَهَا الْفِرْدَوْسُ وَإِنَّ الْعَرْشَ عَلَى الْفِرْدَوْسِ مِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ فَإِذَا مَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ ‏”‏ ‏.‏

মুআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ জান্নাতের একশ তলা রয়েছে। এক তলা থেকে অপর তলার ব্যবধান আসমান-জমীনের মধ্যকার দূরত্বের সমান। নিশ্চয় এর শীর্ষ স্তরে রয়েছে ফিরদাওস এবং মধ্যবর্তী স্তরও ফিরদাওস। আল্লাহর আরশ ফিরদাওসের উপরে অবস্থিত। এখান থেকে জান্নাতের ঝরণাসমূহ প্রবাহিত। তোমরা যখন আল্লাহর কাছে চাইবে তখন তাঁর নিকট ফিরদাওস নামক জান্নাত প্রার্থনা করবে। [৩৬৬৩] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৬৩] তিরমিজি ২৫৩০। সহীহাহ ৯২২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩২
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُهَاجِرٍ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ الْمَعَافِرِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ كُرَيْبٍ، – مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ – قَالَ حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ يَوْمٍ لأَصْحَابِهِ ‏”‏ أَلاَ مُشَمِّرٌ لِلْجَنَّةِ فَإِنَّ الْجَنَّةَ لاَ خَطَرَ لَهَا هِيَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ نُورٌ يَتَلأْلأُ وَرَيْحَانَةٌ تَهْتَزُّ وَقَصْرٌ مَشِيدٌ وَنَهَرٌ مُطَّرِدٌ وَفَاكِهَةٌ كَثِيرَةٌ نَضِيجَةٌ وَزَوْجَةٌ حَسْنَاءُ جَمِيلَةٌ وَحُلَلٌ كَثِيرَةٌ فِي مَقَامٍ أَبَدًا فِي حَبْرَةٍ وَنَضْرَةٍ فِي دَارٍ عَالِيَةٍ سَلِيمَةٍ بَهِيَّةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَحْنُ الْمُشَمِّرُونَ لَهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ قُولُوا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ الْجِهَادَ وَحَضَّ عَلَيْهِ ‏.‏

উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের বললেনঃ আছে না কি কেউ জান্নাতের জন্য কোমর বেঁধে কর্ম সম্পাদনকারী? কেননা জান্নাতের বিকল্প বা সমতুল্য কিছু নেই। কাবার প্রভুর শপথ! তার আলো ঝলমল করে বিচ্ছুরিত হয়। পুস্পরাজি ঘ্রাণ ছড়ায়। সুরম্য অট্টালিকাসমূহ, বহমান স্রোতস্বিনী, সুমিষ্ট ফলের প্রাচুর্য, অলংকারে সজ্জিতা পরমা সুন্দরী স্ত্রী, চিরস্থায়ী বাসস্থান সবুজ শ্যামলিমায় নিয়ামতে ভরপুর, গগনচুম্বী নিরাপদ ও মনোরম বাড়িঘর। তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এ জান্নাতের জন্য কোমর বাঁধলাম। তিনি বলেনঃ তোমরা “ইনশাআল্লাহ” বলো। অতঃপর তিনি জিহাদ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং তাতে যোগদানে উৎসাহিত করেন। [৩৬৬৪] -
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল। - -
[৩৬৬৪] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তালীকুর রাগীব ৪/২৫৩, দঈফাহ ৩৩৫৮।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَوَّلُ زُمْرَةٍ تَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ عَلَى ضَوْءِ أَشَدِّ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ إِضَاءَةً لاَ يَبُولُونَ وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ وَلاَ يَمْتَخِطُونَ وَلاَ يَتْفِلُونَ أَمْشَاطُهُمُ الذَّهَبُ وَرَشْحُهُمُ الْمِسْكُ وَمَجَامِرُهُمُ الأَلُوَّةُ أَزْوَاجُهُمُ الْحُورُ الْعِينُ أَخْلاَقُهُمْ عَلَى خَلْقِ رَجُلٍ وَاحِدٍ عَلَى صُورَةِ أَبِيهِمْ آدَمَ سِتُّونَ ذِرَاعًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বপ্রথম দলের লোকেদের চেহারা হবে পূর্নিমা রাতের পূর্ণ চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল। তাদের পরবর্তী দলের চেহারা হবে আকাশের উজ্জ্বল তারকারাজির মত। জান্নাতবাসীগণ পেশাব করবে না, পায়খানাও করবে না। তাদের নাকে শ্লেষ্মা হবে না এবং থুথুও ফেলবে না। তাদের চিরুনী হবে সোনার তৈরী। তাদের শরীর থেকে নির্গত ঘাম মিশকের ন্যায় সুগন্ধময় হবে। তাদের জন্য চন্দন কাঠ ও আগরবাতি জ্বালানো থাকবে। তাদের স্ত্রীগণ হবে আয়তলোচনা হূর। তাদের চরিত্র… বৈশিষ্ট হবে একই ব্যক্তির ন্যায়। তারা তাদের পিতা আদম আলাইহিস সালামের অবয়বে ষাট হাত লম্বা হবে। -
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ] -
৭/৪৩৩৩ (১) . আবূ বাক্‌র বিন আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল (তিনি সত্যবাদী তবে তার ব্যাপারে শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে) , উমারাহ ইবনুল কা’কা’, আবূ সালিহ, আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)। [৩৬৬৫] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৬৫] সহীহুল বুখারী ৩২৪৫, মুসলিম ২৮৩৪, তিরমিজি ২৫৩৭।

উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবূ যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসায়ী বলেন, কোণ সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩৪
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الْكَوْثَرُ نَهَرٌ فِي الْجَنَّةِ حَافَتَاهُ مِنْ ذَهَبٍ مَجْرَاهُ عَلَى الْيَاقُوتِ وَالدُّرِّ تُرْبَتُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ وَمَاؤُهُ أَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ وَأَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ الثَّلْجِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাওসার হলো জান্নাতের একটি ঝরণা। এর উভয় তীর স্বর্ণপাতে মোড়ানো। এর পানি প্রবাহিত হবে নীলকান্ত মণি ও মুক্তার উপর দিয়ে। তার মাটি কস্তুরীর চেয়েও সুগন্ধযুক্ত, পানি মধুর চেয়েও সুমিষ্ট এবং বরফের চেয়েও অধিক সাদা। [৩৬৬৬] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৬৬] তিরমিজি ৩৩৬১। মিশকাত ৫৬৪১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ سَنَةٍ لاَ يَقْطَعُهَا ‏”‏ ‏.‏ وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏{وَظِلٍّ مَمْدُودٍ * وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ ‏)‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতে একটি প্রকাণ্ড গাছ আছে। এর ছায়া যে কোন আরোহী শত বছর ধরে অতিক্রম করতে থাকবে, কিন্তু তা অতিক্রম করতে পারবে না। তোমরা চাইলে এ আয়াত পড়তে পারো (অর্থ) : “সম্প্রসারিত ছায়া” (সূরা ওয়াকিয়াঃ ৩০)। [৩৬৬৭] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৬৭] সহীহুল বুখারী ৪৮৮১, মুসলিম ২৮২৬, তিরমিজি ২৫২৩, দারিমী ২৭১৬, ২৭১৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي الْعِشْرِينَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ لَقِيَ أَبَا هُرَيْرَةَ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَجْمَعَ، بَيْنِي وَبَيْنَكَ فِي سُوقِ الْجَنَّةِ ‏.‏ قَالَ سَعِيدٌ أَوَفِيهَا سُوقٌ قَالَ نَعَمْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ إِذَا دَخَلُوهَا نَزَلُوا فِيهَا بِفَضْلِ أَعْمَالِهِمْ فَيُؤْذَنُ لَهُمْ فِي مِقْدَارِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا فَيَزُورُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيُبْرِزُ لَهُمْ عَرْشَهُ وَيَتَبَدَّى لَهُمْ فِي رَوْضَةٍ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ فَتُوضَعُ لَهُمْ مَنَابِرُ مِنْ نُورٍ وَمَنَابِرُ مِنْ لُؤْلُؤٍ وَمَنَابِرُ مِنْ يَاقُوتٍ وَمَنَابِرُ مِنْ زَبَرْجَدٍ وَمَنَابِرُ مِنْ ذَهَبٍ وَمَنَابِرُ مِنْ فِضَّةٍ وَيَجْلِسُ أَدْنَاهُمْ – وَمَا فِيهِمْ دَنِيءٌ – عَلَى كُثْبَانِ الْمِسْكِ وَالْكَافُورِ مَا يُرَوْنَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَرَاسِيِّ بِأَفْضَلَ مِنْهُمْ مَجْلِسًا ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا قَالَ ‏”‏ نَعَمْ هَلْ تَتَمَارَوْنَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ كَذَلِكَ لاَ تَتَمَارَوْنَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ وَلاَ يَبْقَى فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ أَحَدٌ إِلاَّ حَاضَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مُحَاضَرَةً حَتَّى إِنَّهُ يَقُولُ لِلرَّجُلِ مِنْكُمْ أَلاَ تَذْكُرُ يَا فُلاَنُ يَوْمَ عَمِلْتَ كَذَا وَكَذَا – يُذَكِّرُهُ بَعْضَ غَدَرَاتِهِ فِي الدُّنْيَا – فَيَقُولُ يَا رَبِّ أَفَلَمْ تَغْفِرْ لِي فَيَقُولُ بَلَى فَبِسَعَةِ مَغْفِرَتِي بَلَغْتَ مَنْزِلَتَكَ هَذِهِ ‏.‏ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ غَشِيَتْهُمْ سَحَابَةٌ مِنْ فَوْقِهِمْ فَأَمْطَرَتْ عَلَيْهِمْ طِيبًا لَمْ يَجِدُوا مِثْلَ رِيحِهِ شَيْئًا قَطُّ ثُمَّ يَقُولُ قُومُوا إِلَى مَا أَعْدَدْتُ لَكُمْ مِنَ الْكَرَامَةِ فَخُذُوا مَا اشْتَهَيْتُمْ ‏.‏ قَالَ فَنَأْتِي سُوقًا قَدْ حُفَّتْ بِهِ الْمَلاَئِكَةُ فِيهِ مَا لَمْ تَنْظُرِ الْعُيُونُ إِلَى مِثْلِهِ وَلَمْ تَسْمَعِ الآذَانُ وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى الْقُلُوبِ ‏.‏ قَالَ فَيُحْمَلُ لَنَا مَا اشْتَهَيْنَا لَيْسَ يُبَاعُ فِيهِ شَىْءٌ وَلاَ يُشْتَرَى وَفِي ذَلِكَ السُّوقِ يَلْقَى أَهْلُ الْجَنَّةِ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَيُقْبِلُ الرَّجُلُ ذُو الْمَنْزِلَةِ الْمُرْتَفِعَةِ فَيَلْقَى مَنْ هُوَ دُونَهُ – وَمَا فِيهِمْ دَنِيءٌ – فَيَرُوعُهُ مَا يَرَى عَلَيْهِ مِنَ اللِّبَاسِ فَمَا يَنْقَضِي آخِرُ حَدِيثِهِ حَتَّى يَتَمَثَّلَ لَهُ عَلَيْهِ أَحْسَنُ مِنْهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يَحْزَنَ فِيهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ نَنْصَرِفُ إِلَى مَنَازِلِنَا فَيَتَلَقَّانَا أَزْوَاجُنَا فَيَقُلْنَ مَرْحَبًا وَأَهْلاً لَقَدْ جِئْتَ وَإِنَّ بِكَ مِنَ الْجَمَالِ وَالطِّيبِ أَفْضَلَ مِمَّا فَارَقْتَنَا عَلَيْهِ فَنَقُولُ إِنَّا جَالَسْنَا الْيَوْمَ رَبَّنَا الْجَبَّارَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَحِقُّنَا أَنْ نَنْقَلِبَ بِمِثْلِ مَا انْقَلَبْنَا ‏”‏ ‏.‏

সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি যে, তিনি যেন আমাকে ও তোমাকে জান্নাতের বাজারে একত্র করেন। সাঈদ (রাঃ) বলেন, জান্নাতে কি বাজারও আছে? তিনি বললেন, হাঁ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে অবহিত করেছেন যে, জান্নাতবাসীরা জান্নাতে প্রবেশ করে নিজ নিজ মর্যাদা অনুসারে সেখানে স্থান পাবে। অতঃপর দুনিয়ার সময় অনুসারে এক জুমুআর দিনে তাদেরকে (তাদের প্রভুকে দেখার) অনুমতি দেয়া হবে এবং তারা তাদের মহামহিম আল্লাহর দর্শন লাভ করবে। তাদের জন্য তাঁর আরশ প্রকাশিত হবে। জান্নাতের কোন এক উদ্যানে তাদের সামনে তাদের প্রভুর (তাজাল্লীর) প্রকাশ ঘটবে। তাদের জন্য নূর, মণি-মুক্তা, পদ্মরাগমণি, যমরূদ ও সোনা-রূপা ইত্যাদির মিম্বার স্থাপন করা হবে। তাদের মধ্যকার সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতবাসীও কস্তুরী ও কর্পূরের স্তুপের উপর আসন গ্রহণ করবে। তবে সেখানে কেউ হীন বা নীচ হবে না। মিম্বারে আসীন ব্যক্তিগণকে তারা তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বা উৎকৃষ্ট ভাববে না।

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি আমাদের প্রভুর দর্শন লাভ করবো? তিনি বলেনঃ হাঁ। সূর্য বা পূর্নিমার চাঁদ দেখতে তোমাদের কি কোন সন্দেহ হয়? আমরা বললাম, না। তিনি বলেনঃ ঠিক সেরূপ তোমরা তোমাদের মহামহিম প্রভুর দর্শন লাভেও তোমাদের কোন সন্দেহ থাকবে না। সেই মজলিসে উপস্থিত এমন কোন লোক থাকবে না যার সামনে মহামহিম আল্লাহ উদ্ভাসিত না হবেন। এমনকি তিনি একে একে তাদের নাম ধরে ডেকে বলবেন, হে অমুকের পুত্র অমুক! তুমি অমুক দিন এরূপ এরূপ কাজ করেছ, তা তোমার স্মরণ আছে কি? এভাবে তিনি তাকে দুনিয়ার কতক নাফরমানী ও বিদ্রোহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। সে তখন বলবে, হে আমার প্রভু! আপনি কি আমাকে ক্ষমা করেননি। এ অবস্থায় হঠাৎ তাদের উপর এক খণ্ড মেঘ এসে তাদেরকে ছেয়ে ফেলবে এবং তা থেকে তাদের উপর সুঘ্রাণ (বৃষ্টি) বর্ষিত হবে, যেরূপ সুঘ্রাণ তারা ইতোপূর্বে কখনো কিছুতে পায়নি। অতঃপর তিনি বলবেন, ওঠো! আমি তোমাদের সম্মানে মেহমানদারির আয়োজন করেছি, সেদিকে অগ্রসর হও এবং যা কিছু পছন্দ হয় গ্রহণ করো। তখন আমরা একটি বাজারে এসে উপস্থিত হবো যা ফেরেশতাগণ পরিবেষ্টন করে রাখবেন। সেখানে এমন সব পণ্যসামগ্রী থাকবে যা না কোন চোখ দেখেছে, না কোন কান শুনেছে এবং কখনো অন্তরের কল্পনা জগতে ভেসেছে। আমরা সেখানে যা চাইবো তাই তুলে দেয়া হবে। তবে ক্রয়-বিক্রয় হবে না। সেই বাজারে জান্নাতবাসীগণ পরস্পরের সাথে সাক্ষত করবে। উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন জান্নাতবাসী সামনে অগ্রসর হয়ে তার চেয়ে অল্প মর্যাদাসম্পন্ন বেহেশতবাসীর সাথে সাক্ষাত করবে। তবে সেখানে তাদের মধ্যে উঁচু-নীচু বোধ থাকবে না। তিনি তার পোশাক দেখে পেরেশান হয়ে যাবেন। একথা শেষ হতে না হতেই তিনি মনে করতে থাকবেন যে, তার পরনেও পূর্বাপেক্ষা উত্তম পোশাক শোভা পাচ্ছে। আর এরূপ এজন্যই হবে যে, সেখানে কাউকে দুঃখ-কষ্ট বা দুশ্চিন্তা স্পর্শ করবে না।

অতঃপর আমরা নিজেদের জায়গায় ফিরে আসবো এবং স্ব স্ব স্ত্রীর সাথে সাক্ষাত পাবো। তারা বলবে, মারহাবা স্বাগতম। কী ব্যাপার! যে আকর্ষণীয় রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলে, তদপেক্ষা উত্তম সৌন্দর্য নিয়ে ফিরে এসেছো। আমরা বলবো, আজ আমরা আমাদের মহাপ্রতাপশালী মহিমাময় প্রভুর সাথে মজলিশে বসেছিলাম। তাই আমাদের এই পরিবর্তন ঘটেছে এবং এরূপ ঘটাই ছিলো স্বাভাবিক। [৩৬৬৮] -
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল। - -
[৩৬৬৮] সহীহুল বুখারী ৮০৬, মুসলিম ১২৭, ১২৮, আবূ দাউদ ১২৯, ১৩৫, তিরমিজি ২৪৩৪, ২৫৪৯, ৩১৪৮, নাসায়ী ১১৪০, দারিমী ২৮০১, ২৮১৭। মিশকাত ৫৬৪৭, দঈফাহ ১৭২২।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ أَبُو مَرْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا مِنْ أَحَدٍ يُدْخِلُهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ إِلاَّ زَوَّجَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً ثِنْتَيْنِ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَسَبْعِينَ مِنْ مِيرَاثِهِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ مَا مِنْهُنَّ وَاحِدَةٌ إِلاَّ وَلَهَا قُبُلٌ شَهِيٌّ وَلَهُ ذَكَرٌ لاَ يَنْثَنِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ مِنْ مِيرَاثِهِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ يَعْنِي رِجَالاً دَخَلُوا النَّارَ فَوَرِثَ أَهْلُ الْجَنَّةِ نِسَاءَهُمْ كَمَا وُرِثَتِ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ ‏.‏

আবূ উমামাহ (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ যাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন তাদের প্রত্যেককেই বাহাত্তরজন স্ত্রীর সাথে বিবাহ দিবেন। তাদের মধ্যে দু’জন হবে আয়তলোচনা হূর এবং সত্তরজন হবে জাহান্নামীদের থেকে ওয়ারিসী সূত্রে প্রাপ্ত। তাদের প্রত্যেকের স্ত্রী অঙ্গ হবে অত্যন্ত কামাতুর এবং পুরুষের অঙ্গ হবে অত্যন্ত সুদৃঢ় অটল। হিশাম বিন খালিদ (রাঃ) বলেন, জাহান্নামীদের থেকে প্রাপ্ত স্ত্রী বুঝতে সেইসব পবিত্রা নারীদের বুঝানো হয়েছে যাদের স্বামীরা জাহান্নামী হয়েছে। কিন্তু স্ত্রীরা ঈমানদার হওয়ার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করেছে। যেমন ফেরাউনের স্ত্রী জান্নাতী। [৩৬৬৯] -
তহাকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। - -
[৩৬৬৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ৪৪৭৩।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

 সরাসরি

৪৩৩৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الْمُؤْمِنُ إِذَا اشْتَهَى الْوَلَدَ فِي الْجَنَّةِ كَانَ حَمْلُهُ وَوَضْعُهُ فِي سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ كَمَا يَشْتَهِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মু’মিন ব্যক্তি জান্নাতে সন্তান কামনা করলে তার স্ত্রী গর্ভধারণ করবে এবং সন্তান প্রসব করবে এবং সন্তানটি হবে বয়সে যুবক (আবূ দাউদ ও তিরমিযি) ; এসবকিছু মুহূর্তের মধ্যে সম্পন্ন হবে। [৩৬৭০] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৭০] তিরমিজি ২৫৬৩, দারিমী ২৭১২। মিশকাত ৪/৫৬৪৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩৩৯
دَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنِّي لأَعْلَمُ آخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا مِنْهَا وَآخِرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً الْجَنَّةَ ‏.‏ رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ حَبْوًا فَيُقَالُ لَهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ إِنَّهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَإِنَّ لَكَ مِثْلَ الدُّنْيَا وَعَشَرَةَ أَمْثَالِهَا – أَوْ إِنَّ لَكَ مِثْلَ عَشَرَةِ أَمْثَالِ الدُّنْيَا – فَيَقُولُ أَتَسْخَرُ بِي – أَوْ أَتَضْحَكُ بِي – وَأَنْتَ الْمَلِكُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ‏.‏ فَكَانَ يُقَالُ هَذَا أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সবশেষে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে এবং সবশেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে আমি তাকে অবশ্যই চিনি। এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে। তাকে বলা হবে, তুমি যাও এবং জান্নাতে প্রবেশ করো। অতএব সে তথায় পৌঁছার পর তার মনে হবে ইতোপূর্বেই তা ভরপুর হয়ে গেছে। সে ফিরে এসে বলবে, হে প্রভু! আমি তা ভরপুর পেলাম। মহান আল্লাহ বলবেন, যাও এবং জান্নাতে প্রবেশ করো। সে পুনরায় তথায় ফিরে যাবে এবং তার মনে হবে যে, জান্নাত ইতোপূর্বেই ভরপুর হয়ে গেছে। সে ফিরে এসে বলবে, হে প্রভু! তা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। মহিমাময় আল্লাহ বলবেন, তুমি যাও এবং জান্নাতে প্রবেশ করো। কেননা, তোমাকে দেয়া হলো পৃথিবী পরিমাণ স্থান এবং তার দশ গুণ অথবা তোমার জন্য রয়েছে পৃথিবীর দশ গুণ। তখন সে বলবে, আপনি মালিক হয়ে আমার সাথে হাসি-ঠাট্টা করছেন। রাবী বলেন, একথা বলার পর আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে হাসতে দেখলাম। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত প্রকাশিত হলো। অতঃপর বলা হতো, এ ব্যক্তিই হবে মর্যাদায় সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতী। [৩৬৭১] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৭১] সহীহুল বুখারী ৬৫৭১, ৭৫১১, মুসলিম ১৬৩, ১৮৬, তিরমিজি ২৫৯৫, আহমাদ ৩৫৮৪, ৪৩৭৭। মুখতাসরুশ শামাইল ১৯৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩৪০
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ سَأَلَ الْجَنَّةَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَتِ الْجَنَّةُ اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَمَنِ اسْتَجَارَ مِنَ النَّارِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَتِ النَّارُ اللَّهُمَّ أَجِرْهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি তিনবার জান্নাত প্রার্থনা করলে জান্নাত বলে, “হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও”। আবার কোন ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি লাভের প্রার্থনা করলে জাহান্নাম বলে, “হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি দাও”। [৩৬৭২] -
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। - -
[৩৬৭২] তিরমিজি ২৫৭২। মুখতাসরুশ শামাইল ৪/২২২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৪৩৪১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ لَهُ مَنْزِلاَنِ مَنْزِلٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْزِلٌ فِي النَّارِ فَإِذَا مَاتَ فَدَخَلَ النَّارَ وَرِثَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مَنْزِلَهُ فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى ‏{أُولَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ }‏ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের জন্য দু’টি করে আবাস রয়েছে। একটি আবাস জান্নাতে এবং একটি জাহান্নামে। অতএব কোন ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর জাহান্নামে প্রবেশ করলে তার জান্নাতের আবাস জান্নাতীরা ওয়ারিসী সূত্রে লাভ করবে। এটাই হলো আল্লাহ্‌র নিম্নোক্ত বাণীর তাৎপর্য (অনুবাদঃ “তারাই হবে ওয়ারিস” (সূরা মুমিনূনঃ ১০)। [৩৬৭৩] - -
[৩৬৭৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ২২৭৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]