সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলামসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহ অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ১৩১৮ – ১৩৫৭

৩৭. অধ্যায়ঃ
ফজর ও ‘আসর সলাতের ফযীলত এবং এ দু’টির প্রতি যত্নবান হওয়া

১৩১৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلاَئِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ وَصَلاَةِ الْعَصْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمْ رَبُّهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي فَيَقُولُونَ تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাতের বেলা ও দিনের বেলা মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) এক দলের পর আর এক দল তোমাদের কাছে এসে থাকে এবং তাদের উভয় দল ফজর ও আসর সলাতের সময় একত্রিত হয়। অতঃপর যারা তোমাদের সাথে রাত্রি যাপন করেছে তারা উঠে যায়। তখন তাদের প্রভু মহান আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে কিরূপ অবস্থায় রেখে আসলে? যদিও তিনি তাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। মালায়িকাহ্ তখন বলেন, আমরা যখন তাদেরকে ছেড়ে চলে আসলাম তখন তারা সলাত আদায় করছিল। আবার তাদের কাছে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখনও তারা সলাত আদায় করছিল। (ই.ফা.১৩০৫, ই.সে.১৩১৭)

১৩১৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ وَالْمَلاَئِكَةُ يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মালায়িকাহ্ এক দলের পর আরেক দল তোমাদের কাছে এসে থাকে। এরপর আবুয্ যিনাদ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩০৬, ই.সে. ১৩১৮)

১৩২০
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ يَقُولُ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ نَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَقَالَ ‏”‏ أَمَا إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لاَ تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لاَ تُغْلَبُوا عَلَى صَلاَةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الْعَصْرَ وَالْفَجْرَ ثُمَّ قَرَأَ جَرِيرٌ ‏{‏ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا‏}‏ ‏.

জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে বসেছিলাম। এক সময় তিনি পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ অচিরেই (জান্নাতে) তো তোমরা তোমাদের প্রভু আল্লাহ তা’আলাকে এমন স্পষ্টভাবে দেখতে পারবে যেন এ চাঁদকে অবাধে দেখতে পাচ্ছ। (সুতরাং যদি এরূপ চাও) তাহলে সাধ্যমত সূর্যোদয়ের পূর্বের সলাত এবং সূর্যাস্তের পূর্বের সলাত উত্তম সময়ে আদায়ের মাধ্যমে আয়ত্তে রাখ। এ কথা দ্বারা তিনি ফজর ও আসরের সলাত বুঝালেন। অতঃপর জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ এ আয়াতটি পাঠ করলেন, (আরবী) “তুমি তোমার প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা ও প্রশংসা কর সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে – (সূরাহ্ ত্ব-হা ২০:১৩০) ”। (ই.ফা.১৩০৭, ই.সে.১৩১৯)

১৩২১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ وَوَكِيعٌ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ‏ “‏ أَمَا إِنَّكُمْ سَتُعْرَضُونَ عَلَى رَبِّكُمْ فَتَرَوْنَهُ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ثُمَّ قَرَأَ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ جَرِيرٌ ‏.

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) বলেন, “আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র, আবূ উসামাহ্ ও ওয়াকী’ থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি এতটুকু কথা অতিরিক্ত বলেছেনঃ তোমাদেরকে তোমাদের প্রভুর দরবারে পেশ করা হবে। তখন তোমরা তাঁকে এমনভাবে স্পষ্ট দেখতে পাবে যেমনভাবে এ চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ। তিনি আরো বলেছেনঃ অতঃপর তিনি (আয়াত) পাঠ করলেন। তবে জারীর (পাঠ করলেন) কথাটা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.১৩০৮, ই.সে.১৩২০)

১৩২২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، – قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، – عَنِ ابْنِ أَبِي خَالِدٍ، وَمِسْعَرٍ، وَالْبَخْتَرِيِّ بْنِ الْمُخْتَارِ، سَمِعُوهُ مِنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُمَارَةَ بْنِ رُؤَيْبَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَنْ يَلِجَ النَّارَ أَحَدٌ صَلَّى قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الْفَجْرَ وَالْعَصْرَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ آنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ الرَّجُلُ وَأَنَا أَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي ‏.

আবূ বাকর ইবনু ‘উমারাহ্ ইবনু রুআয়বাহ্ তার পিতা রুআয়বাহ্ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছিঃ এমন কোন ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের পূর্বের এবং সূর্যাস্তের পূর্বের সলাত অর্থাৎ- ফজর ও আসরের সলাত আদায় করে। এ কথা শুনে বাসরার অধিবাসী একটি লোক তাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি নিজে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট থেকে এ কথা শুনেছ? সে বলল, হ্যাঁ। তখন লোকটি বলে উঠল, আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নিজে এ হাদীসটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট থেকে শুনেছি। আমার দু’কান তা শুনেছে আর মন তা স্মরণ রেখেছে। (ই.ফা.১৩০৯, ই.সে.১৩২১)

১৩২৩
وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَارَةَ بْنِ رُؤَيْبَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَلِجُ النَّارَ مَنْ صَلَّى قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا ‏”‏ ‏.‏ وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ فَقَالَ آنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ أَشْهَدُ بِهِ عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ لَقَدْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهُ بِالْمَكَانِ الَّذِي سَمِعْتَهُ مِنْهُ ‏.

‘উমার ইবনু রুআয়বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে সলাত আদায় করবে সে জাহান্নামে যাবে না। এ সময় তার কাছে বাসরার অধিবাসী জনৈক ব্যক্তি বসেছিল। সে বলল, তুমি কি সরাসরি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট থেকে এ হাদীসটি শুনেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি এ হাদীসটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট থেকে শুনেছি। এ কথা শুনে বাসরার অধিবাসী লোকটি বলল-আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এ হাদীসটি আমিও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট থেকে যে স্থানে তুমি শুনেছ সে স্থানেই শুনেছি। (ই.ফা.১৩১০, ই.সে.১৩২২)

১৩২৪
وَحَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنِي أَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى الْبَرْدَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.

আবূ বাকর তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দু’টি ঠান্ডা সময়ের (ফজর ও আসর) সলাত ঠিকমত আদায় করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (ই.ফা.১৩১১, ই.সে.১৩২৩)

১৩২৫
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ خِرَاشٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَنَسَبَا أَبَا بَكْرٍ فَقَالاَ ابْنُ أَبِي مُوسَى ‏.

হাম্মাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে উপরে বর্ণিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ইবনু খিরাশ ও বিশর ইবনুস্ সারী আবূ বাকরকে আবূ মূসার সাথে সম্পর্কিত করে আবূ বাকর ইবনু আবূ মূসা বলে উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা.১৩১২, ই.সে.১৩২৪)

৩৮. অধ্যায়ঃ
সূর্যাস্তের পর মূহুর্তেই মাগরিবের প্রথম ওয়াক্ত

১৩২৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ – عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي الْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَتَوَارَتْ بِالْحِجَابِ ‏.

সালামাহ্ ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সূর্য অস্তমিত হয়ে অদৃশ্য হলেই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা.১৩১৩, ই.সে.১৩২৫)

১৩২৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو النَّجَاشِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ، يَقُولُ كُنَّا نُصَلِّي الْمَغْرِبَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَنْصَرِفُ أَحَدُنَا وَإِنَّهُ لَيُبْصِرُ مَوَاقِعَ نَبْلِهِ ‏.

রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে মাগরিবের সলাত আদায় করতাম। অতঃপর আমাদের কেউ তীর ছুঁড়ে তা পতিত হওয়ার জায়গা পর্যন্ত দেখতে পেত (অর্থাৎ-ওয়াক্তের প্রথমেই শীঘ্র শীঘ্র সলাত আদায় করা হত)। (ই.ফা.১৩১৪, ই.সে.১৩২৬)

১৩২৮
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو النَّجَاشِيِّ، حَدَّثَنِي رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ، قَالَ كُنَّا نُصَلِّي الْمَغْرِبَ ‏.‏ بِنَحْوِهِ ‏.

রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মাগরিবের সলাত আদায় করতাম (উপরে বর্ণিত হাদীসের) অনুরূপ। (ই.ফা.১৩১৫, ই.সে.১৩২৭)

৩৯. অধ্যায়ঃ
‘ইশার সময় ও তাতে বিলম্ব করা

১৩২৯
وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَعْتَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي بِصَلاَةِ الْعِشَاءِ وَهِيَ الَّتِي تُدْعَى الْعَتَمَةَ فَلَمْ يَخْرُجْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ نَامَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لأَهْلِ الْمَسْجِدِ حِينَ خَرَجَ عَلَيْهِمْ ‏”‏ مَا يَنْتَظِرُهَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ غَيْرُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَفْشُوَ الإِسْلاَمُ فِي النَّاسِ ‏.‏ زَادَ حَرْمَلَةُ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَذُكِرَ لِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تَنْزُرُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏ وَذَاكَ حِينَ صَاحَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এ র স্ত্রী আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একরাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সলাত- যাকে ‘আতামাহ্ বলা হত – আদায় করতে অনেক দেরী করলেন। অনেক রাত পর্যন্ত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন না। এমন কি শেষ পর্যন্ত উমার ইবনুল খাত্তাব যেয়ে বললেন, মেয়ে ও শিশুরা ঘুমিয়ে পড়েছে। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন এবং এসে মসজিদের লোকদেরকে বললেনঃ এ সলাতের জন্য (এত রাতে) তোমরা ছাড়া এ পৃথিবীবাসীদের আর কেউ-ই অপেক্ষা করছে না। এ ঘটনাটি ছিল মানুষের মধ্যে ইসলাম বিস্তার লাভ করার পূর্বের। হারমালাহ্ তার বর্ণনায় এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, ইবনু শিহাব বলেছেনঃ আমার কাছে বলা হয়েছে যে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে বললেনঃ তোমাদের জন্য এটা ঠিক নয় যে, তোমরা আল্লাহর রসূলকে সলাতের জন্য তাকিদ করবে। ‘উমার ইবনুল খাত্তাব যখন উচ্চৈ স্বরে ডাকলেন তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথাটা বললেন। (ই.ফা.১৩১৬, ই.সে.১৩২৮)

১৩৩০
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ الزُّهْرِيِّ وَذُكِرَ لِي ‏.‏ وَمَا بَعْدَهُ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ সানাদে বর্ণিত হাদীসে তিনি যুহরীর কথা (আরবী) থেকে শুরু করে পরবর্তী অংশটুকু উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.১৩১৭, ই.সে.১৩২৯)

১৩৩১
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، كِلاَهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، – وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ – قَالُوا جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي الْمُغِيرَةُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَعْتَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ حَتَّى ذَهَبَ عَامَّةُ اللَّيْلِ وَحَتَّى نَامَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى فَقَالَ ‏”‏ إِنَّهُ لَوَقْتُهَا لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ ‏”‏ لَوْلاَ أَنْ يَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সলাত আদায় করতে অনেক রাত করলেন। এমনকি রাতের বড় একটা অংশ অতিবাহিত হয়ে গেল এবং মসজিদের লোকজনও ঘুমিয়ে পড়ল। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন এবং সলাত আদায় করে বললেনঃ এটাই ইশার সলাতের উত্তম সময়। তারপর তিনি বললেনঃ যদি আমি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম (তাহলে এ সময়কে ‘ইশার সলাতের সময় হিসেবে নির্দিষ্ট করতাম)।

‘আবদুর রাযযাক্ব বর্ণিত হাদীসে কিছুটা বর্ণনার তারতম্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যদি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে না দাঁড়াত। (ই.ফা.১৩১৮, ই.ফা.১৩৩০)

১৩৩২
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ مَكَثْنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ نَنْتَظِرُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – لِصَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ فَخَرَجَ إِلَيْنَا حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ أَوْ بَعْدَهُ فَلاَ نَدْرِي أَشَىْءٌ شَغَلَهُ فِي أَهْلِهِ أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ فَقَالَ حِينَ خَرَجَ ‏ “‏ إِنَّكُمْ لَتَنْتَظِرُونَ صَلاَةً مَا يَنْتَظِرُهَا أَهْلُ دِينٍ غَيْرُكُمْ وَلَوْلاَ أَنْ يَثْقُلَ عَلَى أُمَّتِي لَصَلَّيْتُ بِهِمْ هَذِهِ السَّاعَةَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَمَرَ الْمُؤَذِّنَ فَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَصَلَّى ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন রাতে ইশার সলাতে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলাম। রাতের একতৃতীয়াংশ অথবা তারও বেশী সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আমাদের কাছে আসলেন। আমরা জানি না তিনি পারিবারিক কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন, না অন্য কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি এসে আমাদেরকে বললেনঃ তোমরা এমন এক সলাতের জন্য অপেক্ষা করছ যার জন্য তোমরা ছাড়া অন্য কোন দ্বীনের লোকেরা অপেক্ষা করছেনা। (তারপর তিনি বললেন) আমার উম্মাতের জন্য যদি ভাল না হত তাহলে আমি তাদের সাথে প্রতিদিন এসময়েই (ইশার) সলাত আদায় করতাম। এরপর তিনি মুয়াযযিনকে আযান দিতে আদেশ করলেন। এরপর মুয়াযযিন ইক্বামত দিলে তিনি সলাত আদায় করলেন। (ই.ফা.১৩১৯, ই.সে.১৩৩১)

১৩৩৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شُغِلَ عَنْهَا لَيْلَةً فَأَخَّرَهَا حَتَّى رَقَدْنَا فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ اسْتَيْقَظْنَا ثُمَّ رَقَدْنَا ثُمَّ اسْتَيْقَظْنَا ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ لَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ اللَّيْلَةَ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ غَيْرُكُمْ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ইশার সলাত আদায় করতে খুব দেরী করে ফেললেন। এমনকি আমরা সবাই মসজিদেই ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর জেগে উঠে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। এরপর আবার জেগে উঠলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে এসে বললেনঃ আজকের এ রাতে তোমরা ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ-ই সলাতের জন্য অপেক্ষা করছে না। (ই.ফা.১৩২০, ই.সে.১৩৩২)

১৩৩৪
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، ‏.‏ أَنَّهُمْ سَأَلُوا أَنَسًا عَنْ خَاتَمِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَخَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ ذَاتَ لَيْلَةٍ إِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ أَوْ كَادَ يَذْهَبُ شَطْرُ اللَّيْلِ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا وَنَامُوا وَإِنَّكُمْ لَمْ تَزَالُوا فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرْتُمُ الصَّلاَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ خَاتَمِهِ مِنْ فِضَّةٍ وَرَفَعَ إِصْبَعَهُ الْيُسْرَى بِالْخِنْصَرِ ‏.

সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা আনাসকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর আংটি (বা সিল-মোহর) সম্পর্কে জানার জন্য জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ এক রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সলাত আদায় করতে দেরী করলেন। এত দেরী করলেন যে, রাতের অর্ধেক অতিবাহিত হয়ে গেল অথবা প্রায় অর্ধেক অতিবাহিত হওয়ার উপক্রম হল। তখন তিনি আসলেন এবং বললেনঃ অনেক লোক সলাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েছে। (কিন্তু তোমরা সলাতের জন্য অপেক্ষা করছ) যে সময় থেকে তোমরা সলাতের জন্য অপেক্ষা করছ সে সময় থেকে তোমরা সলাতরত আছ। আনাস বলেছেন, আমি যেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রৌপ্য নির্মিত আংটির চাকচিক্য বা উজ্জ্বলতা এখনও দেখতে পাচ্ছি। এ কথা বলে আনাস তার বাঁ হাতের কনিষ্ঠ অঙ্গুলি উঠিয়ে ইশারা করলেন (অর্থাৎ- এর দ্বারা তিনি বুঝালেন যে, আংটিটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর ঐ আঙ্গুলেই পরিহিত ছিল)। (ই.ফা.১৩২১, ই.সে.১৩৩৩)

১৩৩৫
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ، سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ نَظَرْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً حَتَّى كَانَ قَرِيبٌ مِنْ نِصْفِ اللَّيْلِ ثُمَّ جَاءَ فَصَلَّى ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَكَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ خَاتَمِهِ فِي يَدِهِ مِنْ فِضَّةٍ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক রাতে (ইশার সলাত আদায় করতে) আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এভাবে রাত প্রায় অর্ধেক হয়ে আসল। এরপর তিনি এসে সলাত আদায় করলেন এবং সলাত শেষে আমাদের দিকে ঘুরে বসলেন। আমি যেন এ মূহুর্তেও হাতের আঙ্গুলে পরিহিত আংটির উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি। (ই.ফা.১৩২২, ই.সে.১৩৩৪)

১৩৩৬
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ ‏.

কুররাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।তবে তাঁর বর্ণনাতে ‘পরে তিনি আমাদের দিকে ঘুরালেন’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.১৩২৩, ই.সে.১৩৩৫)

১৩৩৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأَصْحَابِي الَّذِينَ، قَدِمُوا مَعِي فِي السَّفِينَةِ نُزُولاً فِي بَقِيعِ بُطْحَانَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ فَكَانَ يَتَنَاوَبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ كُلَّ لَيْلَةٍ نَفَرٌ مِنْهُمْ قَالَ أَبُو مُوسَى فَوَافَقْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَأَصْحَابِي وَلَهُ بَعْضُ الشُّغُلِ فِي أَمْرِهِ حَتَّى أَعْتَمَ بِالصَّلاَةِ حَتَّى ابْهَارَّ اللَّيْلُ ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِهِمْ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ لِمَنْ حَضَرَهُ ‏”‏ عَلَى رِسْلِكُمْ أُعْلِمُكُمْ وَأَبْشِرُوا أَنَّ مِنْ نِعْمَةِ اللَّهِ عَلَيْكُمْ أَنَّهُ لَيْسَ مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ يُصَلِّي هَذِهِ السَّاعَةَ غَيْرُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ مَا صَلَّى هَذِهِ السَّاعَةَ أَحَدٌ غَيْرُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ لاَ نَدْرِي أَىَّ الْكَلِمَتَيْنِ قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى فَرَجَعْنَا فَرِحِينَ بِمَا سَمِعْنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার সাথে যে সব সঙ্গী-সাথী ও বন্ধু-বান্ধব জাহাজে চড়ে এসেছিল সবাই বাক্বী নামক একটি কঙ্করময় স্থানে অবস্থানরত ছিলাম। আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাতে অবস্থান করছিলেন। প্রতি দিন রাতে ‘ইশার সলাতের সময় পালা করে তাদের (আমার সাথে জাহাজে আগত বন্ধু-বান্ধব) একদল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে (তাঁর সাথে ইশার সলাত আদায় করার জন্য) যেত। আবূ মূসা বলেন, একদিন (পালাক্রমে) আমি ও আমার সঙ্গী-সাথীরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে গেলাম। তিনি সেদিন কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই ‘ইশার সলাতের জন্য আসতে দেরী করলেন। সলাত শেষ হলে উপস্থিত সবাইকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন, কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর। আমি তোমাদেরকে কিছু অবহিত করছি। তোমরা সু-সংবাদ গ্রহণ কর। কারণ এটা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নি’আমাত যে, এ মূহুর্তে তোমরা ছাড়া অন্য কোন মানুষই সলাত আদায় করছে না। অথবা (আবূ মূসা বলেন,) এ দু’টি কথার মধ্যে কোন কথাটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন তা আমার মনে নেই।

আবূ মূসা বর্ণনা করেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে যা শুনলাম তাতে অত্যন্ত খুশী হয়ে ফিরে আসলাম। (ই.ফা.১৩২৪, ই.সে.১৩৩৬)

১৩৩৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَىُّ حِينٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ أَنْ أُصَلِّيَ الْعِشَاءَ الَّتِي يَقُولُهَا النَّاسُ الْعَتَمَةَ إِمَامًا وَخِلْوًا قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ أَعْتَمَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ الْعِشَاءَ – قَالَ – حَتَّى رَقَدَ نَاسٌ وَاسْتَيْقَظُوا وَرَقَدُوا وَاسْتَيْقَظُوا فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ الصَّلاَةَ ‏.‏ فَقَالَ عَطَاءٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَخَرَجَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ الآنَ يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى شِقِّ رَأْسِهِ قَالَ ‏ “‏ لَوْلاَ أَنْ يَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُصَلُّوهَا كَذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَاسْتَثْبَتُّ عَطَاءً كَيْفَ وَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ كَمَا أَنْبَأَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ فَبَدَّدَ لِي عَطَاءٌ بَيْنَ أَصَابِعِهِ شَيْئًا مِنْ تَبْدِيدٍ ثُمَّ وَضَعَ أَطْرَافَ أَصَابِعِهِ عَلَى قَرْنِ الرَّأْسِ ثُمَّ صَبَّهَا يُمِرُّهَا كَذَلِكَ عَلَى الرَّأْسِ حَتَّى مَسَّتْ إِبْهَامُهُ طَرَفَ الأُذُنِ مِمَّا يَلِي الْوَجْهَ ثُمَّ عَلَى الصُّدْغِ وَنَاحِيَةِ اللِّحْيَةِ لاَ يُقَصِّرُ وَلاَ يَبْطِشُ بِشَىْءٍ إِلاَّ كَذَلِكَ ‏.‏ قُلْتُ لِعَطَاءٍ كَمْ ذُكِرَ لَكَ أَخَّرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَتَئِذٍ قَالَ لاَ أَدْرِي ‏.‏ قَالَ عَطَاءٌ أَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ أُصَلِّيَهَا إِمَامًا وَخِلْوًا مُؤَخَّرَةً كَمَا صَلاَّهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَتَئِذٍ فَإِنْ شَقَّ عَلَيْكَ ذَلِكَ خِلْوًا أَوْ عَلَى النَّاسِ فِي الْجَمَاعَةِ وَأَنْتَ إِمَامُهُمْ فَصَلِّهَا وَسَطًا لاَ مُعَجَّلَةً وَلاَ مُؤَخَّرَةً ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আত্বাকে জিজ্ঞেস করলাম, ইশার সলাত যাকে লোকে ‘আতামাহ্ বলে থাকে- পড়ার জন্য আপনার কাছে কোন সময়টা সবচেয়ে পছন্দনীয়? (তা জানতে পারলে) ইমাম হয়ে বা একাকী থেকে আমিও সে সময় ইশার সলাত আদায় করতাম। এ কথা শুনে আত্বা বললেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাসকে বলতে শুনেছি – নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন ইশার সলাত আদায় করতে বেশ দেরী করে ফেললেন। এমনকি লোকজন (মসজিদে) ঘুমিয়ে পড়ল। পরে জেগে উঠে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। এরপর তারা আবার জেগে উঠলে ‘উমার ইবনুল খাত্তাব উঠে গিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বললেন, সলাতের সময় হয়েছে। আত্বা বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস বলেছেন – অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন। আমি যেন এ মূহুর্তেও দেখছি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল থেকে পানি টপকে পড়ছে। আর তিনি মাথার একপাশে হাত দিয়ে আছেন। তিনি বললেনঃ যদি আমি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতাম তাহলে আমি তাদেরকে এ রকম সময়েই (ইশার) সলাত আদায় করার আদেশ করতাম। ইবনু জুরায়জ বলেন- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথার উপর কীভাবে হাত রাখার কথা ‘আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস তাকে বলেছেন আমি তা আত্বাকে দেখাতে বললাম। তখন ‘আত্বা তার আঙ্গুলগুলো কিছুটা ছড়ালেন এবং আঙ্গুলের পার্শ্বদেশ মাথার পার্শ্বভাগে রাখলেন। অতঃপর আঙ্গুলগুলো মাথার উপর দিয়ে টেনে নীচের দিকে নিয়ে আসলেন। এরূপ এমনভাবে করলেন যে, বৃদ্ধাঙ্গুলি মুখমন্ডলের দিকে কানের পার্শ্ব স্পর্শ করল। অতঃপর কপালের পার্শ্বদেশ ও দাড়ির প্রান্তভাগ পর্যন্ত টেনে নিলেন। এ সময় খুব জোরে চাপ দিচ্ছিলেন না আবার আঙ্গুলগুলো খুব শিথিলও করছিলেন না, শুধু আলতোভাবে টেনে নিচ্ছিলেন। ইবনু জুরায়জ বলেন, আমি আত্বাকে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে রাতে ইশার সলাত কত দেরী করেছিলেন বলে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস আপনার কাছে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেনঃ আমি জানি না। আত্বা বললেন, ইশার সলাত আমি ইমাম হিসেবে কিংবা একা আদায় করি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ রাতে যেভাবে দেরী করে আদায় করেছেন সেভাবে দেরী করে আদায় করাই আমার কাছে সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয়। তবে লোকের সাথে জামা’আতের ইমাম হয়ে সলাত আদায়কালে কিংবা একাকী আদায়কালে এ সময়টা যদি তোমার জন্য কষ্টকর হয় তাহলে মাঝামাঝি সময়ে আদায় করো। বেশী আগেও আদায় করোনা কিংবা বেশী বিলম্বেও আদায় করোনা। (ই.ফা.১৩২৫, ই.সে.১৩৩৭)

১৩৩৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُؤَخِّرُ صَلاَةَ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সলাত দেরী করে আদায় করতেন। (ই.ফা.১৩২৬, ই.সে.১৩৩৮)

১৩৪০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ نَحْوًا مِنْ صَلاَتِكُمْ وَكَانَ يُؤَخِّرُ الْعَتَمَةَ بَعْدَ صَلاَتِكُمْ شَيْئًا وَكَانَ يُخِفُّ الصَّلاَةَ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كَامِلٍ يُخَفِّفُ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের মতো করেই সলাত আদায় করতেন। তবে তিনি ইশার সলাত তোমাদের চেয়ে একটু দেরী করে আদায় করতেন। আর তিনি সলাত হালকা করে আদায় করতেন।

আবূ কামিল বর্ণিত হাদীসে (আরবী) শব্দটির স্থানে (আরবী) শব্দ উল্লেখ আছে। তবে উভয় শব্দের অর্থ একই। (ই.ফা.১৩২৭, ই.সে.১৩৩৯)

১৩৪১
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تَغْلِبَنَّكُمُ الأَعْرَابُ عَلَى اسْمِ صَلاَتِكُمْ أَلاَ إِنَّهَا الْعِشَاءُ وَهُمْ يُعْتِمُونَ بِالإِبِلِ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ গেঁয়ো বেদুঈন লোকেরা যেন তোমাদের সলাতের নামকরণের ব্যাপারে প্রভাব বিস্তার না করে বসে। জেনে রাখো সলাতের নাম হলো ইশা। আর তারা উট দোহন করতে দেরী করে তাই এ সলাতকেও তারা ‘আতামাহ্’ [১] বলে। (ই.ফা.১৩২৮, ই.সে.১৩৪০)

[১] অধিকাংশ গ্রাম্য আরববাসীরা ইশার সলাতকে ‘আতামাহ্’ বলে অভিহিত করে থাকে। অথচ কুরআন মাজীদে রাতের সলাতের নাম ইশা বলে উল্লিখিত হয়েছে। কারণ তারা উট দোহন করতে অনেক সময় দেরী করে। রাতের অন্ধকার গভীর ও গাঢ়তর হলে তারা উট দোহন করে। তাই বলা হয়েছে- তোমরা এ সলাতকে ইশার সলাত বলবে।

১৩৪২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَغْلِبَنَّكُمُ الأَعْرَابُ عَلَى اسْمِ صَلاَتِكُمُ الْعِشَاءِ فَإِنَّهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ الْعِشَاءُ وَإِنَّهَا تُعْتِمُ بِحِلاَبِ الإِبِلِ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ গেঁয়ো বেদুঈন লোকেরা যেন তোমাদেরকে ইশার সলাতের নামকরণের ব্যাপারে প্রভাবান্বিত না করে বসে। কেননা, আল্লাহর কিতাবে এ সলাতের নাম ‘ইশা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত ব্যাপার হলো তারা (গ্রাম্য লোকেরা) উট দোহনে অনেক বিলম্ব করে থাকে। (ই.ফা.১৩২৯, ই.সে.১৩৪১)

৪০. অধ্যায়ঃ
ফজরের সলাত প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা মুস্তাহাব যে সময়কে ‘তাগলীস্’ বলা হয় এবং তাতে কিরাআতের পরিমাণ

১৩৪৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، كُلُّهُمْ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ نِسَاءَ الْمُؤْمِنَاتِ، كُنَّ يُصَلِّينَ الصُّبْحَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ يَرْجِعْنَ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ لاَ يَعْرِفُهُنَّ أَحَدٌ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুমিন মহিলারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ফজরের সলাত আদায় করতেন এবং তা সর্বাঙ্গে কাপড় জড়িয়ে ঘরে ফিরতেন। (তখনও এরূপ অন্ধকার থাকত যে,) তাদেরকে কেউ চিনতে পারত না। (ই.ফা.১৩৩০, ই.সে.১৩৪২)

১৩৪৪
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَقَدْ كَانَ نِسَاءٌ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ يَشْهَدْنَ الْفَجْرَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ ثُمَّ يَنْقَلِبْنَ إِلَى بُيُوتِهِنَّ وَمَا يُعْرَفْنَ مِنْ تَغْلِيسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالصَّلاَةِ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ঈমানদার স্ত্রী লোকেরা সর্বাঙ্গে চাদর জড়িয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সাথে ফজরের সলাত আদায় করত। কিন্তু যেহেতু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্ধকার থাকতেই ফজরের সলাত আদায় করতেন তাই সলাত শেষে যখন তারা ঘরে ফিরত তখনও তাদেরকে চেনা যেত না। (ই.ফা.১৩৩১, ই.সে.১৩৪৩)

১৩৪৫
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَعْنٌ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ النِّسَاءُ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ مَا يُعْرَفْنَ مِنَ الْغَلَسِ ‏.‏ وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ فِي رِوَايَتِهِ مُتَلَفِّفَاتٍ ‏.

’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন সময় ফজরের সলাত আাদয় করতেন যে, সলাত শেষে মেয়েরা শরীরে চাদর জড়িয়ে ঘরে ফিরত। কিন্তু তখনও এরূপ অন্ধকার থাকত যে, তাদের কাউকে চেনা যেত না।

আনসারী তার বর্ণিত হাদীসে (আরবী) শব্দের স্থানে (আরবী) উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা.১৩৩২,ই.সে.১৩৪৪)

১৩৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ الْحَجَّاجُ الْمَدِينَةَ فَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَاجِرَةِ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ نَقِيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا وَجَبَتْ وَالْعِشَاءَ أَحْيَانًا يُؤَخِّرُهَا وَأَحْيَانًا يُعَجِّلُ كَانَ إِذَا رَآهُمْ قَدِ اجْتَمَعُوا عَجَّلَ وَإِذَا رَآهُمْ قَدْ أَبْطَئُوا أَخَّرَ وَالصُّبْحَ كَانُوا أَوْ – قَالَ – كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهَا بِغَلَسٍ ‏.

মুহাম্মদ ইবনু ‘আমর ইবনু হাসান ইবনু ‘আলী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হাজ্জাজ মাদীনাতে আসলে আমরা জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহকে সলাতের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাত বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পর প্রচন্ড গরম থাকতে, ‘আসরের সলাত সূর্যের আলো উজ্জ্বল থাকতে, মাগরিবের সলাত সূর্য অস্তমিত হতে এবং ইশার সলাত কখনো দেরী করে এবং কখনো আগে ভাগেই আদায় করতেন। কিন্তু লোকজনের আসতে দেরী দেখলে তিনিও দেরী করে আদায় করতেন। আর ফাজরের সলাত বেশ অন্ধকার থাকতেই আদায় করতেন। (ই.ফা.১৩৩৩, ই.সে.১৩৪৫)

১৩৪৭
وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ الْحَجَّاجُ يُؤَخِّرُ الصَّلَوَاتِ فَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بِمِثْلِ حَدِيثِ غُنْدَرٍ ‏.

মুহাম্মদ ইবনু ‘আমর ইবনুল হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হাজ্জাজ (ইবনু ইউসুফ) সলাত দেরী করে আদায় করতেন। তাই আমরা জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। (ই.ফা.১৩৩৪, ই.সে.১৩৪৬)

১৩৪৮
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي سَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَسْأَلُ أَبَا بَرْزَةَ، عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – قُلْتُ آنْتَ سَمِعْتَهُ قَالَ فَقَالَ كَأَنَّمَا أَسْمَعُكَ السَّاعَةَ – قَالَ – سَمِعْتُ أَبِي يَسْأَلُهُ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ لاَ يُبَالِي بَعْضَ تَأْخِيرِهَا – قَالَ يَعْنِي الْعِشَاءَ – إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَلاَ يُحِبُّ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَلاَ الْحَدِيثَ بَعْدَهَا ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ ثُمَّ لَقِيتُهُ بَعْدُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ وَكَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ يَذْهَبُ الرَّجُلُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ – قَالَ – وَالْمَغْرِبَ لاَ أَدْرِي أَىَّ حِينٍ ذَكَرَ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ لَقِيتُهُ بَعْدُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ وَكَانَ يُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ فَيَنْظُرُ إِلَى وَجْهِ جَلِيسِهِ الَّذِي يَعْرِفُ فَيَعْرِفُهُ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ يَقْرَأُ فِيهَا بِالسِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ ‏.

সাইয়্যার ইবনু সালামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি শুনেছি আমার পিতা সালামাহ্ আবূ বারযাহ্-কে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি নিজে কি জিজ্ঞেস করতে শুনেছ? এ কথা শুনে সাইয়্যার বললেনঃ হ্যাঁ। আমার মনে হচ্ছে যেন আমি এখনই জিজ্ঞেস করতে শুনছি। সাইয়্যার ইবনু সালামাহ্ বললেনঃ আমি শুনলাম আমার পিতা তাকে (আবূ বারযাহ্) রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে আবূ বারযাহ্ বললেন- ‘ইশার সলাত আদায় করতে রাত দ্বি-প্রহর পর্যন্ত দেরী করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোটেই দ্বিধা করতেন না। তবে ইশার সলাত আদায় না করে ঘুমানো এবং ইশার সলাতের পরে কথাবার্তা বলা তিনি পছন্দ করতেন না। শু’বাহ্ বলেন, পরে এক সময়ে আবার আমি সাইয়্যার ইবনু সালামাহ্ এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, সূর্য মাথার উপর থেকে পশ্চিমে ঢলে পড়লেই যুহরের সলাত আদায় করতেন। আর আসরের সলাত এমন সময় আদায় করতেন যে, সলাত শেষ করে মাদীনার শহরতলীর দূরবর্তীস্থানে গিয়ে পৌছার পরও সূর্যের তেজ থাকত। এরপর সাইয়্যার ইবনু সালামাহ্ বললেনঃ মাগরিবের সলাত কোন সময় তিনি আদায় করার কথা তিনি বলে ছিলেন তা আমি মনে করতে পারছি না। সালামাহ্ বলেছেনঃ পরে আবার এক সময় আবূ বারযার সাথে সাক্ষাৎ করে আমি তাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাতের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তিনি ফাজরের সলাত এমন সময় আদায় করতেন যে, সলাত শেষে লোকজন তার পাশের পরিচিত লোকের দিকে তাকিয়ে তাকে চিনতে পারত না। আবূ বারযাহ্ আরো বলেছেন, ফাজরের সলাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ষাট থেকে একশ’ পর্যন্ত আয়াত তিলাওয়াত করতেন। (ই.ফা.১৩৩৫, ই.সে.১৩৪৭)

১৩৪৯
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بَرْزَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يُبَالِي بَعْضَ تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَكَانَ لاَ يُحِبُّ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَلاَ الْحَدِيثَ بَعْدَهَا ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ ثُمَّ لَقِيتُهُ مَرَّةً أُخْرَى فَقَالَ أَوْ ثُلُثِ اللَّيْلِ ‏.

আবূ বারযাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সলাত দেরী করে মধ্যরাতে আদায় করতে কোন দ্বিধা বা ভ্রূক্ষেপ করতেন না। হাদীসের বর্ণনাকারী শু’বাহ্ বলেছেন, পরবর্তী সময়ে আমি আবার আবূ বারযার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি আগের কথার সাথে এ কথাটুকু যোগ করে বলেলনঃ অথবা রাতের এক তৃ্তীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করে ‘ইশার সলাত আদায় করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভ্রূক্ষেপ করতেন না। (ই.ফা.১৩৩৬, ই.সে.১৩৪৮)

১৩৫০
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ أَبِي الْمِنْهَالِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بَرْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُؤَخِّرُ الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ وَيَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا وَكَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ مِنَ الْمِائَةِ إِلَى السِّتِّينَ وَكَانَ يَنْصَرِفُ حِينَ يَعْرِفُ بَعْضُنَا وَجْهَ بَعْضٍ ‏.

আবূ বারযাহ্ আল আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সলাত রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করে আদায় করতেন। তিনি ইশার সলাতের পূর্বে ঘুমানো এবং কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন। আর ফাজরের সলাতে ষাট থেকে একশ’ আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করতেন এবং এমন সময় সলাত শেষ করতেন যখন আমরা পরস্পরকে মুখ দেখে চিনতে পারতাম না। (ই.ফা.১৩৩৭, ই.সে.১৩৪৯)

৪১. অধ্যায়ঃ
নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে সলাত আদায় করা মাকরূহ আর ইমাম বিলম্ব করলে মুক্তাদী কি করবে?

১৩৫১
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ ‏”‏ كَيْفَ أَنْتَ إِذَا كَانَتْ عَلَيْكَ أُمَرَاءُ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا أَوْ يُمِيتُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي قَالَ ‏”‏ صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ فَصَلِّ فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ خَلَفٌ عَنْ وَقْتِهَا ‏.

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তুমি যদি এমন ইমামের অধীনস্থ হয়ে পড় যে উত্তম সময়ে সলাত আদায় না করে দেরী করে আদায় করবে তাহলে কী করবে? আবূ যার বলেন – এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম (হে আল্লাহর রসূল!) , এরূপ অবস্থায় পতিত হলে আপনি আমাকে কী করতে আদেশ করছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি উত্তম সময়ে সলাত আদায় করে নিবে। তারপরে যদি তাদের সাথে অর্থাৎ- ইমামের সাথে জামাআতে সলাত পাও তাহলে তাদের সাথেও আদায় করবে। এটা তোমার জন্য নাফল হিসেবে গণ্য হবে।

তবে বর্ণনাকারী খালাফ তার বর্ণনায় (আরবী) কথাটা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.১৩৩৮, ই.সে.১৩৫০)

১৩৫২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّهُ سَيَكُونُ بَعْدِي أُمَرَاءُ يُمِيتُونَ الصَّلاَةَ فَصَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ صَلَّيْتَ لِوَقْتِهَا كَانَتْ لَكَ نَافِلَةً وَإِلاَّ كُنْتَ قَدْ أَحْرَزْتَ صَلاَتَكَ ‏”‏ ‏.

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃহে আবূ যার! আমার পরে অচিরেই এমন আমীর বা শাসকদের আবির্ভাব ঘটবে যারা একেবারে শেষ ওয়াক্তে সলাত আদায় করবে। এরূপ হলে তুমি কিন্তু সময় মতো (সলাতের উত্তম সময়ে) সলাত আদায় করে নিবে। পরে যদি তুমি তাদের সাথে সলাত আদায় করো তাহলে তা তোমার জন্য নাফল হিসেবে গণ্য হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে তুমি অন্তত তোমার সলাত রক্ষা করতে সক্ষম হলে। (ই.ফা.১৩৩৯, ই.সে.১৩৫১)

১৩৫৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ إِنَّ خَلِيلِي أَوْصَانِي أَنْ أَسْمَعَ وَأُطِيعَ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ وَأَنْ أُصَلِّيَ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا ‏ “‏ فَإِنْ أَدْرَكْتَ الْقَوْمَ وَقَدْ صَلَّوْا كُنْتَ قَدْ أَحْرَزْتَ صَلاَتَكَ وَإِلاَّ كَانَتْ لَكَ نَافِلَةً ‏”‏ ‏.

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার বন্ধু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আমীরের বা নেতার আদেশ শুনতে ও মানতে আদেশ করেছেন যদিও সে একজন হাত-পা কাটা ক্রীতদাস হয়। আর আমি যেন সময় মতো (প্রথম ওয়াক্তে) সলাত আদায় করি। এরপরে তুমি দেখ যে, লোকজন (জামা‘আতে) সলাত আদায় করে নিয়েছে তাহলে তুমি তো আগেই তোমার সলাত হিফাযাত করেছ। অন্যথায় (অর্থাৎ- তাদের সাথে জামা‘আতের সলাত পেলে) তা তোমার জন্য নাফল হিসেবে গণ্য হবে। (ই.ফা.১৩৪০, ই.সে.১৩৫২)

১৩৫৪
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُدَيْلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْعَالِيَةِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَضَرَبَ فَخِذِي ‏”‏ كَيْفَ أَنْتَ إِذَا بَقِيتَ فِي قَوْمٍ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالَ مَا تَأْمُرُ قَالَ ‏”‏ صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا ثُمَّ اذْهَبْ لِحَاجَتِكَ فَإِنْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ وَأَنْتَ فِي الْمَسْجِدِ فَصَلِّ ‏”‏ ‏.

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার উরুর উপর সজোরে হাত মেরে বললেনঃ যারা সময় মতো সলাত আদায় না করে দেরী করে আদায় করে, তোমাকে যদি এমন লোকদের মাঝে থাকতে হয় তাহলে কী করবে? বর্ণনাকারী ‘আবদুল্লাহ ইবনুস সাবিত বলেন – আবূ যার জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আপনি আমাকে কী আদেশ করছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি সময় মতো (প্রথম ওয়াক্তে) সলাত আদায় করে নাও এবং নিজের কাজে চলে যাও। তারপর যখন সলাত আদায় করা হবে তখন যদি তুমি মসজিদে উপস্থিত থাক তাহলে (তাদের সাথে জামা‘আতে) সলাত আদায় করে নাও। (ই.ফা.১৩৪১, ই.সে.১৩৫৩)

১৩৫৫
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، قَالَ أَخَّرَ ابْنُ زِيَادٍ الصَّلاَةَ فَجَاءَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّامِتِ فَأَلْقَيْتُ لَهُ كُرْسِيًّا فَجَلَسَ عَلَيْهِ فَذَكَرْتُ لَهُ صَنِيعَ ابْنِ زِيَادٍ فَعَضَّ عَلَى شَفَتِهِ وَضَرَبَ فَخِذِي وَقَالَ إِنِّي سَأَلْتُ أَبَا ذَرٍّ كَمَا سَأَلْتَنِي فَضَرَبَ فَخِذِي كَمَا ضَرَبْتُ فَخِذَكَ وَقَالَ إِنِّي سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا سَأَلْتَنِي فَضَرَبَ فَخِذِي كَمَا ضَرَبْتُ فَخِذَكَ وَقَالَ ‏ “‏ صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ مَعَهُمْ فَصَلِّ وَلاَ تَقُلْ إِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ فَلاَ أُصَلِّي ‏”‏ ‏.

আবুল ‘আলিয়াহ্ আল বাররা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (একদিন) ‘আবদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ সলাত আদায় করতে দেরী করল। এরপরেই ‘আবদুল্লাহ ইবনুস্ সামিত আমার কাছে আসলেন। আমি তাকে একখানা চেয়ার পেতে দিলে তিনি বসলেন। তখন আমি তার কাছে আবদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ – এর কৃতকর্মের কথা উল্লেখ করলাম। তখন তিনি ঠোঁট কামড়িয়ে সজোরে আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেন – আমিও এ ব্যাপারে আবূ যারকে জিজ্ঞেস করে ছিলাম, তুমি যেমন আমাকে জিজ্ঞেস করলে। আর আমি যেভাবে তোমার উরুর উপরে সজোরে হাত মারলাম তেমনি তিনিও আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেন, তুমি যেমন আমাকে জিজ্ঞেস করলে ঠিক তেমনি আমিও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আর আমি যেমন তোমার উরুর উপর সজোরে আঘাত করলাম ঠিক তেমনি তিনিও আমার উরুর উপর হাত মেরে বললেনঃ তুমি সময় মতো (প্রথম ওয়াক্তে) সলাত আদায় করে নিবে। তবে সবার সাথে জামা‘আতে যদি সলাত আদায় করার সুযোগ হয় তাহলে তাদের সাথেও সলাত আদায় করে নিবে – এক্ষেত্রে বলবে না যে, আমি সলাত আদায় করে নিয়েছি তাই এখন আমি সলাত আদায় করব না। (ই.ফা.১৩৪২, ই.সে.১৩৫৪)

১৩৫৬
وَحَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي نَعَامَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ ‏ “‏ كَيْفَ أَنْتُمْ – أَوْ قَالَ كَيْفَ أَنْتَ – إِذَا بَقِيتَ فِي قَوْمٍ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا فَصَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا ثُمَّ إِنْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلِّ مَعَهُمْ فَإِنَّهَا زِيَادَةُ خَيْرٍ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনুস সামিত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ যার তাকে বললেন – তোমরা অথবা বললেন (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) তুমি যদি এমন লোকদের মধ্যে অবস্থান করো যারা সময় মতো সলাত আদায় না করে দেরী করে পড়ে তাহলে কী করবে? এরপর আবার নিজেই বললেন, তুমি সময়মত (প্রথম ওয়াক্তে) সলাত আদায় করে নিবে। তারপর জামা‘আতে সলাত হলে তাদের সাথেও সলাত আদায় করে নিবে। কারণ এটি তোমার জন্য বাড়তি সওয়াবের কাজ হিসেবে গণ্য হবে। (ই.ফা.১৩৪৩, ই.সে.১৩৫৫)

১৩৫৭
وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – وَهْوَ ابْنُ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مَطَرٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ نُصَلِّي يَوْمَ الْجُمُعَةِ خَلْفَ أُمَرَاءَ فَيُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ – قَالَ – فَضَرَبَ فَخِذِي ضَرْبَةً أَوْجَعَتْنِي وَقَالَ سَأَلْتُ أَبَا ذَرٍّ عَنْ ذَلِكَ فَضَرَبَ فَخِذِي وَقَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ “‏ صَلُّوا الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا وَاجْعَلُوا صَلاَتَكُمْ مَعَهُمْ نَافِلَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ ذُكِرَ لِي أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَرَبَ فَخِذَ أَبِي ذَرٍّ ‏.

আবুল ‘আলিয়াহ্ আল বাররা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনুস সামিতকে বললাম, আমি এমন সব আমীর বা নেতার পিছনে জুমু‘আর সলাত আদায় করি যারা দেরী করে সলাত আদায় করে থাকে। মাত্বার বলেনঃ এ কথা শুনে আবুল ‘আলিয়াহ্ আল বাররা আমার উরুর উপরে সজোরে এমনভাবে হাত দিয়ে চাপড়ালেন যে, আমি ব্যথাই পেলাম। এবার তিনি বললেন- এ বিষয়ে আমি আবূ যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনিও আমার উরুর উপরে সজোরে হাত দিয়ে চাপড়িয়ে বললেন – আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ এমতাবস্থায় তোমরা সময়মত (প্রথম ওয়াক্তে) সলাত আদায় করে নিবে। আর তাদের সাথে জামা‘আতের সলাতকে নাফল হিসেবে আদায় করবে। আবুল ‘আলিয়াহ্ আল বাররা আরো বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনুস্ সামিত বলেছেন, আমি জানতে পেরেছি যে, (এ কথা বলার সময়) আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ যার – এর উরুর উপর সজোরে চাপড় দিয়েছিলেন। (ই.ফা.১৩৪৪, ই.সে.১৩৫৬)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]