সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা মসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহ অধ্যায় ৪র্থ ভাগ হাদিস নং ১৩৫৮ – ১৪১০


৪২. অধ্যায়ঃ
জামা‘আতে সলাত আদায়ের ফযীলত এবং তা পরিত্যাগকারীর প্রতি কঠোরতা

১৩৫৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَةِ أَحَدِكُمْ وَحْدَهُ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা‘আতে সলাত আদায় করা তোমাদের কারো একাকী সলাত আদায় করার চাইতে পঁচিশ গুণ বেশী উত্তম। (ই.ফা.১৩৪৫, ই.সে.১৩৫৭)

১৩৫৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ تَفْضُلُ صَلاَةٌ فِي الْجَمِيعِ عَلَى صَلاَةِ الرَّجُلِ وَحْدَهُ خَمْسًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَتَجْتَمِعُ مَلاَئِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةُ النَّهَارِ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏{‏ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا‏}

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা‘আতের সাথে সলাত আদায় করা একাকী সলাত আদায় করার চেয়ে পঁচিশ গুণ বেশী উত্তম। তিনি আরো বলেছেনঃ রাতের কর্তব্যরত মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) এবং দিনের কর্তব্যরত মালায়িকাহ্ ফাজ্বরের সলাতের সময় একত্র হয় | এ কথা বলে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, এক্ষেত্রে তোমরা ইচ্ছা করলে কুরআনের আয়াতটি পাঠ করো – (আরবী) অর্থাৎ- “ফাজরের ওয়াক্তের কুরআন পাঠে উপস্থিত থাকে”- (সূরাহ্ ইসরা ১৭:৭৮)। (ই.ফা.১৩৪৬, ই.সে.১৩৫৮)

১৩৬০
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ، وَأَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَبْدِ الأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি ……। তবে আবূ বাকর ইবনু ইসহাক্ব তার বর্ণিত হাদীসে (আরবী) এর পরিবর্তে (আরবী) কথাটি উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা.১৩৪৬, ই.সে.১৩৫৮)

১৩৬১
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا أَفْلَحُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ سَلْمَانَ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ تَعْدِلُ خَمْسًا وَعِشْرِينَ مِنْ صَلاَةِ الْفَذِّ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক ওয়াক্ত সলাত জামা‘আতের সাথে আদায় করা পঁচিশ ওয়াক্ত একাকী সলাত আদায় করার সমান। (ই.ফা.১৩৪৮, ই.সে.১৩৬০)

১৩৬২
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَطَاءِ بْنِ أَبِي الْخُوَارِ، أَنَّهُ بَيْنَا هُوَ جَالِسٌ مَعَ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ إِذْ مَرَّ بِهِمْ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ خَتَنُ زَيْدِ بْنِ زَبَّانٍ مَوْلَى الْجُهَنِيِّينَ فَدَعَاهُ نَافِعٌ فَقَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ صَلاَةٌ مَعَ الإِمَامِ أَفْضَلُ مِنْ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ صَلاَةً يُصَلِّيهَا وَحْدَهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমামের সাথে এক ওয়াক্ত সলাত আদায় করা একাকী পঁচিশ ওয়াক্ত সলাত আদায় করার চেয়েও উত্তম। (ই.ফা.১৩৪৯, ই.সে.১৩৬১)

১৩৬৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَةِ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা‘আতের সাথে সলাত আদায় করা সলাত একাকী আদায় করা সলাত থেকে সাতাশ গুণ অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। (ই.ফা.১৩৫০, ই.সে.১৩৬২)

১৩৬৪
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ وَحْدَهُ سَبْعًا وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির জামা‘আতে সলাত আদায় করা তার একাকী আদায় করা সলাত থেকে সাতাশ গুণ অধিক (মর্যাদাসম্পন্ন)। (ই.ফা.১৩৫১, ই.সে.১৩৬৩)

১৩৬৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، ‏”‏ بِضْعًا وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي رِوَايَتِهِ ‏”‏ سَبْعًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.

ইবনু নুমায়র (রহঃ) তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

যে হাদীস বর্ণনা করেছেন তাতে “বিশগুণের কিছু বেশী” মর্যাদার কথা উল্লেখ করেছেন। আর আবূ বাকর (রহঃ) -এর বর্ণনায় “সাতাশগুণ” মর্যাদার কথা উল্লেখ আছে। (ই.ফা.১৩৫২, ই.সে.১৩৬৪)

১৩৬৬
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ رَافِعٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ بِضْعًا وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিশগুণের চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন। [১] (ই.ফা.১৩৫৩, ই.সে.১৩৬৫)






[১] মর্যাদা বেশী কম হওয়া বিষয়ে নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণ হ’ল সলাত আদায়কারী ব্যক্তির বিনয়, নম্রতা ও সুন্দরভাবে পূর্ণরূপে সলাত আদায় করার অবস্থানুপাতে সাওয়াব লাভ করার মর্যাদার পার্থক্য হবে | (শারহে মুসলিম-১ম খন্ড ২৩১ পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৩৬৭
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَدَ نَاسًا فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ فَقَالَ ‏ “‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلاً يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنْهَا فَآمُرَ بِهِمْ فَيُحَرِّقُوا عَلَيْهِمْ بِحُزَمِ الْحَطَبِ بُيُوتَهُمْ وَلَوْ عَلِمَ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا لَشَهِدَهَا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي صَلاَةَ الْعِشَاءِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক ওয়াক্ত সলাত জামা‘আতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু সংখ্যক লোককে না পেয়ে বললেনঃ আমি ইচ্ছা করেছি যে, কোন জনৈক ব্যক্তিকে আমি সলাতে ইমামাত করার আদেশ করি এবং যারা সলাতে জামা‘আতে আসে না তাদের কাছে যাই এবং কাঠ-খড় দ্বারা আগুন জ্বালিয়ে তাদের বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে দিতে আদেশ করি। তাদের কেউ যদি জানত যে তারা একখন্ড গোশত হাড্ডি পাবে তাহলে তারা তাতে অবশ্যই উপস্থিত হত। অর্থাৎ- ‘ইশার সলাতে (উপস্থিত হত)। (ই.ফা.১৩৫৪, ই.সে.১৩৬৬)

১৩৬৮
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لَهُمَا – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ أَثْقَلَ صَلاَةٍ عَلَى الْمُنَافِقِينَ صَلاَةُ الْعِشَاءِ وَصَلاَةُ الْفَجْرِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِي بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘ইশা ও ফাজরের সলাত আদায় করা মুনাফিক্বদের সর্বাপেক্ষা কঠিন। তারা যদি জানত যে, এ দু’টি সলাতের পুরষ্কার বা সাওয়াব কত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে বুক হেঁচড়ে হলেও তারা এ দু’ওয়াক্ত জামাআতে উপস্থিত হত | আমি ইচ্ছা করেছি সলাত আদায় করার আদেশ দিয়ে কাউকে ইমামতি করতে বলি। আর আমি কিছু লোককে নিয়ে জ্বালানী কাঠের বোঝাসহ যারা সলাতের জামা‘আতে আসে না তাদের কাছে যাই এবং আগুন দিয়ে তাদের ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দেই। (ই.ফা.১৩৫৫, ই.সে.১৩৬৭)

১৩৬৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ فِتْيَانِي أَنْ يَسْتَعِدُّوا لِي بِحُزَمٍ مِنْ حَطَبٍ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ تُحَرَّقُ بُيُوتٌ عَلَى مَنْ فِيهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কিছু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে একটি হাদীস হলো, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি মনস্থ করেছি যে, লোকজনকে জ্বালানী কাঠের স্তূপ করতে বলি। তারপর একজনকে সলাতে ইমামাত করতে আদেশ করি এবং লোকজনসহ গিয়ে তাদের ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দেই, যারা জামা‘আতে উপস্থিত হয় না। (ই.ফা.১৩৫৬, ই.সে.১৩৬৮)

১৩৭০
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِنَحْوِهِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.১৩৫৭, ই.সে.১৩৬৯)

১৩৭১
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، سَمِعَهُ مِنْهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِقَوْمٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ ‏ “‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلاً يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ أُحَرِّقَ عَلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ بُيُوتَهُمْ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জুমু’আর সলাত আদায় করতে আসে না এমন এক দল লোক সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার ইচ্ছা হয় যে, জনৈক ব্যক্তিকে সলাতে ইমামত করার নির্দেশ দেই আর আমি গিয়ে যারা জুমু’আর সলাত আদায় করতে আসে না, আগুন লাগিয়ে তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেই। (ই.ফা.১৩৫৮, ই.সে.১৩৭০)

৪৩. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি আযান শুনে তার জন্য মাসজিদে আসা ওয়াজিব

১৩৭২
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، كُلُّهُمْ عَنْ مَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ، – قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا الْفَزَارِيُّ، – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَصَمِّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ أَعْمَى فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَيْسَ لِي قَائِدٌ يَقُودُنِي إِلَى الْمَسْجِدِ ‏.‏ فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُرَخِّصَ لَهُ فَيُصَلِّيَ فِي بَيْتِهِ فَرَخَّصَ لَهُ فَلَمَّا وَلَّى دَعَاهُ فَقَالَ ‏”‏ هَلْ تَسْمَعُ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَجِبْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক অন্ধ লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এসে বলল ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে ধরে মাসজিদে নিয়ে আসার মতো কেউ নেই’। অতঃপর তাকে বাড়ীতে সলাত আদায় করার অনুমতি প্রদান করার জন্য সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) – এর কাছে আবেদন জানাল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বাড়ীতে সলাত আদায় করার অনুমতি দিলেন। কিন্তু যে সময় লোকটি ফিরে যেতে উদ্যত হলো তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন? তুমি কি সলাতের আযান শুনতে পাও? সে বলল, হ্যাঁ (আমি আযান শুনতে পাই)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তাহলে তুমি মাসজিদে আসবে। (ই.ফা.১৩৫৯, ই.সে.১৩৭১)

৪৪. অধ্যায়ঃ
জামা’আতের সাথে সলাত আদায় করা হিদায়াতের শামিল

১৩৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلاَةِ إِلاَّ مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ أَوْ مَرِيضٌ إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلاَةَ – وَقَالَ – إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَنَا سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى الصَّلاَةَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُؤَذَّنُ فِيهِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাদের ধারণা হলো মুনাফিক্ব যার নিফাক্ব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং রুগ্ন ব্যক্তি ছাড়া কেউই সলাতের জামা’আত পরিত্যাগ করেনা। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) – এর সময় রুগ্ন ব্যক্তিও দু’জন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে সলাতের জামা’আতে উপস্থিত হত। তিনি আরো বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের হিদায়াতের কথা শিখিয়েছেন। আর হিদায়াতের কথা ও পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো সে মসজিদে গিয়ে সলাত আদায় করা যে মাসজিদে আযান দেয়া হয়েছে। (ই.ফা.১৩৬০, ই.সে.১৩৭২)

১৩৭৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللَّهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّ اللَّهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُورَ ثُمَّ يَعْمِدُ إِلَى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوهَا حَسَنَةً وَيَرْفَعُهُ بِهَا دَرَجَةً وَيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلاَّ مُنَافِقٌ مَعْلُومُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤْتَى بِهِ يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আগামীকাল ক্বিয়ামাতের দিন মুসলিম হিসেবে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ পেতে আনন্দবোধ করে, সে যেন ঐ সলাতের রক্ষণাবেক্ষণ করে, যেসব সলাতের জন্য আযান দেয়া হয়। কেননা, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের নাবীর জন্য হিদায়াতের পন্থা পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করেছেন। আর এসব সলাতও হিদায়াতের পন্থা পদ্ধতি, যেমন জনৈক ব্যক্তি সলাতের জামা’আতে উপস্থিত না হয়ে বাড়ীতে সলাত আদায় করে থাকে, অনুরূপ তোমরাও যদি তোমাদের বাড়ীতে সলাত আদায় করো তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরা তোমাদের নাবীর সুন্নাত বা পন্থা-পদ্ধতি পরিত্যাগ করলে। আর তোমরা যদি এভাবে তোমাদের নাবীর সুন্নাত বা পদ্ধতি পরিত্যাগ করো তাহলে অবশ্যই পথ হারিয়ে ফেলবে। কেউ যদি অতি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সলাত আদায় করার জন্য) কোন একটি মাসজিদে উপস্থিত হয় তাহলে মাসজিদে যেতে সে যতবার পদক্ষেপ ফেলবে তার প্রতিটি পদক্ষেপের পরিবর্তে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য একটি নেকী লিখে দেন, তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন এবং একটি করে পাপ দূর করে দেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমরা মনে করি যার মুনাফিক্বী সর্বজনবিদিত এমন মুনাফিক্ব ছাড়া কেউ-ই জামা’আতে সলাত আদায় করা ছেড়ে দেয় না। অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর যামানায় এমন ব্যক্তি জামা’আতে উপস্থিত হত যাকে দু’জন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে এসে সলাতের কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হত। (ই.ফা.১৩৬১, ই.সে.১৩৭৩)

৪৫. অধ্যায়ঃ
জামা’আতের সাথে ‘ইশা ও ফাজরের সলাত আদায় করার ফযীলত

১৩৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، قَالَ كُنَّا قُعُودًا فِي الْمَسْجِدِ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْمَسْجِدِ يَمْشِي فَأَتْبَعَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ بَصَرَهُ حَتَّى خَرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবুশ্ শা’সা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) – এর সাথে মাসজিদে বসেছিলাম। ইতোমধ্যে মুয়াযযিন (সলাতের জন্য) আযান দিলো। এ সময়ে জনৈক ব্যক্তি মসজিদ থেকে উঠে চলে যেতে থাকল। আর আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) তার প্রতি তাকিয়ে দেখতে থাকলেন। লোকটি মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেল। এ দেখে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেনঃ এ ব্যক্তি তো আবুল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) – এর নীতি ও পদ্ধতির নাফরমানী করল। (ই.ফা.১৩৬২, ই.সে.১৩৭৪)

১৩৭৬
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – هُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ – عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ الْمُحَارِبِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَرَأَى، رَجُلاً يَجْتَازُ الْمَسْجِدَ خَارِجًا بَعْدَ الأَذَانِ فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏.

আবুশ্ শা’সা আল মুহারিবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আযানের পর জনৈক ব্যক্তিকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে দেখে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, এ লোকটি তো আবুল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আদেশ লঙ্ঘন করল। (ই.ফা.১৩৬৩, ই.সে.১৩৭৫)

৪৬. অধ্যায়ঃ
মুয়ায্‌যিন আযান দিলে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিষেধ

১৩৭৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، – وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ – حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، قَالَ دَخَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ الْمَسْجِدَ بَعْدَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ فَقَعَدَ وَحْدَهُ فَقَعَدْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّهُ ‏”‏ ‏.

‘আবদুর রহ্‌মান ইবনু আবূ ‘আম্‌রাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন মাগরিবের সলাতের পর ‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান মাসজিদে এসে একাকী এক জায়গায় বসলেন। তখন আমি তার কাছে গিয়ে বসলাম। তিনি আমাকে বললেন – ভাতিজা, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জামা’আতের সাথে ‘ইশার সলাত আদায় করল সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত সলাত আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফাজ্‌রের সলাত জামা’আতের সাথে আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে সলাত আদায় করল। (ই.ফা. ১৩৬৪, ই.সে. ১৩৭৬)

১৩৭৮
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَسَدِيُّ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.

আবূ সাহ্‌ল ‘উসমান ইবনু হাকীম থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৬৫, ই.সে. ১৩৭৭)

১৩৭৯
وَحَدَّثَنِي نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ – عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلاَ يَطْلُبَنَّكُمُ اللَّهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَىْءٍ فَيُدْرِكَهُ فَيَكُبَّهُ فِي نَارِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.

জুনদুব ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফাজ্‌রের সলাত আদায় করল সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো। আর আল্লাহ তোমাদের কারো কাছে তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তাদানের বিনিময়ে কোন অধিকার দাবী করেন না। যদি করেন তাহলে তাকে এমনভাবে পাকড়াও করবেন যে, উল্টিয়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন। (ই.ফা. ১৩৬৬, ই.সে. ১৩৭৮)

১৩৮০
وَحَدَّثَنِيهِ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا الْقَسْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةَ الصُّبْحِ فَهْوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلاَ يَطْلُبَنَّكُمُ اللَّهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَىْءٍ فَإِنَّهُ مَنْ يَطْلُبْهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَىْءٍ يُدْرِكْهُ ثُمَّ يَكُبَّهُ عَلَى وَجْهِهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জুনদুব (ইবনু ‘আবদুল্লাহ) আল ক্বাসরীকে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফাজ্‌রের সলাত আদায় করল সে আল্লাহর নিরাপত্তা লাভ করল। আর আল্লাহ তা’আলা যদি তাঁর নিরাপত্তা প্রদানের হাক্ব কারো থেকে দাবী করে বসেন তাহলে সে আর রক্ষা পাবে না। তাই তাকে মুখ থুবড়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন। (ই.ফা. ১৩৬৭, ই.সে. ১৩৭৯)

১৩৮১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ هَارُونَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جُنْدَبِ بْنِ سُفْيَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ فَيَكُبَّهُ فِي نَارِ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.

জুনদুব ইবনু সুফ্‌ইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে তিনি “তাকে উল্টিয়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন” কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৩৬৮, ই.সে. ১৩৮০)

৪৭. অধ্যায়ঃ
কোন ওযরবশতঃ জামা’আতে শারীক না হওয়া

১৩৮২
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ مَحْمُودَ بْنَ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ وَهُوَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ أَنْكَرْتُ بَصَرِي وَأَنَا أُصَلِّي لِقَوْمِي وَإِذَا كَانَتِ الأَمْطَارُ سَالَ الْوَادِي الَّذِي بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ وَلَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ آتِيَ مَسْجِدَهُمْ فَأُصَلِّيَ لَهُمْ وَدِدْتُ أَنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَأْتِي فَتُصَلِّي فِي مُصَلًّى ‏.‏ فَأَتَّخِذَهُ مُصَلًّى ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ سَأَفْعَلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِتْبَانُ فَغَدَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ حِينَ ارْتَفَعَ النَّهَارُ فَاسْتَأْذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَذِنْتُ لَهُ فَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى دَخَلَ الْبَيْتَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ مِنْ بَيْتِكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَشَرْتُ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ الْبَيْتِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرَ فَقُمْنَا وَرَاءَهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ – قَالَ – وَحَبَسْنَاهُ عَلَى خَزِيرٍ صَنَعْنَاهُ لَهُ – قَالَ – فَثَابَ رِجَالٌ مِنْ أَهْلِ الدَّارِ حَوْلَنَا حَتَّى اجْتَمَعَ فِي الْبَيْتِ رِجَالٌ ذَوُو عَدَدٍ فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ أَيْنَ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُنِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ ذَلِكَ مُنَافِقٌ لاَ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَقُلْ لَهُ ذَلِكَ أَلاَ تَرَاهُ قَدْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ يُرِيدُ بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّمَا نَرَى وَجْهَهُ وَنَصِيحَتَهُ لِلْمُنَافِقِينَ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ ثُمَّ سَأَلْتُ الْحُصَيْنَ بْنَ مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيَّ – وَهُوَ أَحَدُ بَنِي سَالِمٍ وَهُوَ مِنْ سَرَاتِهِمْ – عَنْ حَدِيثِ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ فَصَدَّقَهُ بِذَلِكَ ‏.

মাহ্‌মূদ ইবনুর রাবী’ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আনসারী সহাবী ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। অথচ আমি আমার ক্বওমের লোকদের ইমামাত করি। কিন্তু বৃষ্টি হলে তাদের ও আমার এলাকার মধ্যবর্তী উপত্যকা প্লাবিত হয়ে যায়। তাই আমি মাসজিদে গিয়ে সলাত আদায় করাতে পারি না। (এভাবে আমিও জামা’আতে সলাত আদায় করা থেকে বঞ্চিত হই) হে আল্লাহর রসূল! তাই আমার আকাঙ্ক্ষা হলো, আপনি আমার বাড়ীতে গিয়ে একটি জায়গায় সলাত আদায় করবেন। সে স্থানটিকে আমি আমার সলাতের স্থান হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিব। হাদীস বর্ণনাকারী মাহমূদ ইবনুর রাবী’ আল আনসারী বলেন, এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগীর আমি তা করব। ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক আল আনসারী বলেন: পরদিন সকালে কিছুটা বেলা হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) আসলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমার বাড়ীতে প্রবেশের) অনুমতি চাইলেন। আমি তাকে অনুমতি দিলে তিনি বাড়ীর ভিতরে গিয়ে না বসেই সোজা ঘরে প্রবেশ করলেন এবং আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। ঘরের কোন্‌ স্থানে সলাত আদায় করলে তোমার ভাল হয়? আমি তখন তাকে ঘরের এক কোণের দিকে ইশারা করে দেখিয়ে দিলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে সলাত আদায় করতে দাঁড়ালেন। তিনি তাকবীরে তাহরীমা বললে আমরাও তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি দু’ রাক’আত সলাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক আল আনসারী বলেন – আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর জন্য ছোট ছোট টুকরা করে যে গোশ্‌ত পাক করেছিলাম তা খাওয়ার জন্য তাঁকে তৎক্ষণাৎ চলে যেতে বাধা দিলাম। ইতোমধ্যে (খবর ছড়িয়ে পড়াতে) আমাদের আশে-পাশের বাড়ীর লোকজন ছুটে আসল। শেষ পর্যন্ত ঘরে বেশ কিছু সংখ্যক লোক জমে গেল। তাদের মধ্যে একজন বলল, মালিক ইবনুদ্‌ দুখশুন কোথায়? (তাকে তো দেখছি না!) অন্য একজন বলে উঠল, আরে, সে তো মুনাফিক্ব। সে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলকে মোটেই পছন্দ করে না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার সম্পর্কে এভাবে বলো না। তুমি কি মনে করো না যে, সে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” বলেছে। অর্থাৎ- “আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই” বলে বিশ্বাস করেছে। ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক আল আনসারী বলেন, এ কথা শুনে উপস্থিত সবাই বলল, আল্লাহ এবং তাঁর রসূলই এ ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। একজন বলল, আমরা দেখি, সে মুনাফিক্বদের সাথে হাসিমুখে আলাপ করে এবং তাদের (উপদেশ দানের মাধ্যমে) কল্যাণ কামনা করে বা তাদের সাথে সলাপরামর্শ করে। (এ কথা শুনে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই বলে ঘোষণা করেছে, আল্লাহ তা’আলা তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করেছেন। বর্ণনাকারী ইবনু শিহাব বলেন- পরে আমি বানী সালিম গোত্রের নেতৃস্থানীয় হুসায়ন ইবনু মুহাম্মাদ আনসারীকে মাহমূদ ইবনুর রাবী’ বর্ণিত হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি হাদীসটির সত্যতা স্বীকার করলেন। (ই.ফা. ১৩৬৯, ই.সে. ১৩৮১)

১৩৮৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي مَحْمُودُ بْنُ رَبِيعٍ، عَنْ عِتْبَانَ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ يُونُسَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ أَيْنَ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُنِ أَوِ الدُّخَيْشِنِ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ قَالَ مَحْمُودٌ فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ نَفَرًا فِيهِمْ أَبُو أَيُّوبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا أَظُنُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا قُلْتَ – قَالَ – فَحَلَفْتُ إِنْ رَجَعْتُ إِلَى عِتْبَانَ أَنْ أَسْأَلَهُ – قَالَ – فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَوَجَدْتُهُ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ وَهُوَ إِمَامُ قَوْمِهِ فَجَلَسْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَحَدَّثَنِيهِ كَمَا حَدَّثَنِيهِ أَوَّلَ مَرَّةٍ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ ثُمَّ نَزَلَتْ بَعْدَ ذَلِكَ فَرَائِضُ وَأُمُورٌ نُرَى أَنَّ الأَمْرَ انْتَهَى إِلَيْهَا فَمَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لاَ يَغْتَرَّ فَلاَ يَغْتَرَّ ‏.

‘ইত্‌বান ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে গেলাম। তবে এ হাদীসে তিনি এতটুকু অধিক বর্ণনা করেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি বলে উঠল, মালিক ইবনুদ্‌ দুখশুন অথবা বলল (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) মালিক ইবনুদ্‌ দুখায়শিন কোথায়? তিনি হাদীসটিতে এতটুকু কথা অধিক বলেছেন যে, মাহমূদ ইবনুর রাবী’ বলেছেন, আমি এ হাদীসটি একদল লোকের কাছে বর্ণনা করলাম। তাদের মধ্যে (সহাবা) আবূ আইয়ূব আল আনসারীও ছিলেন। তিনি বললেন, তুমি যা বললে আমার মনে হয় না রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা বলেছেন। মাহমূদ ইবনুর রাবী’ বলেন, এ কথা শুনে আমি এ মর্মে শপথ করলাম যে ‘ইত্‌বান ইবনু মালিককে আবার জিজ্ঞেস করার জন্য তার কাছে ফিরে যাব। তিনি বলেছেনঃ অতঃপর আমি তার কাছে গেলাম। তখন তিনি অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর দৃষ্টিশক্তিও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তিনি ছিলেন তার ক্বওমের ইমাম। আমি গিয়ে পাশে বসে এ হাদীসটি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি আমাকে প্রথমবারের মতো করে হাদীসটি বর্ণনা করে শুনালেন। হাদীসটির বর্ণনাকারী যুহরী বলেছেন, এ ঘটনার পরেও আরো অনেক ফারয ও অন্যান্য বিষয়ে হুকুম আহ্‌কাম অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা মনে করি যে, (হুকুম-আহ্‌কামের) বিষয়টি এর পরেই শেষ হয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি ধোঁকায় পড়তে না চায়, সে যেন এর দ্বারা ধোঁকায় না পড়ে। (ই.ফা. ১৩৭০, ই.সে. ১৩৮২)

১৩৮৪
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، قَالَ إِنِّي لأَعْقِلُ مَجَّةً مَجَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ دَلْوٍ فِي دَارِنَا ‏.‏ قَالَ مَحْمُودٌ فَحَدَّثَنِي عِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بَصَرِي قَدْ سَاءَ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ إِلَى قَوْلِهِ فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ وَحَبَسْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَشِيشَةٍ صَنَعْنَاهَا لَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ مِنْ زِيَادَةِ يُونُسَ وَمَعْمَرٍ ‏.

মাহমূদ ইবনুর রাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বাড়ীতে একটি বালতি থেকে পানি নিয়ে যে কুল্লি করেছিলেন তা এখনো আমার মনে আছে। মাহমূদ ইবনুর রাবী বলেন, ‘ইত্‌বান ইবনু মালিক আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি এভাবে হাদীসটি বর্ণনা করে, “তিনি আমাদের সাথে নিয়ে দু’রাক’আত সলাত আদায় করলেন। আর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য পাকানো জাশীশাহ্‌ নামক খাবার খেতে তাকে ঠেকিয়ে রাখলাম পর্যন্ত” উল্লেখ করলেন। তবে এরপর ইউনুস ও মা’মার বর্ণিত অতিরিক্ত কথাটুকু তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৩৭১, ই.সে. ১৩৮৩)

৪৮. অধ্যায়ঃ
জামা’আতে নাফ্‌ল সলাত এবং চাটাই, মুসল্লা ও কাপড় ইত্যাদি পবিত্র বস্তুর উপর সলাত আদায় জায়িয

১৩৮৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَدَّتَهُ، مُلَيْكَةَ دَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِطَعَامٍ صَنَعَتْهُ فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ قُومُوا فَأُصَلِّيَ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فَقُمْتُ إِلَى حَصِيرٍ لَنَا قَدِ اسْوَدَّ مِنْ طُولِ مَا لُبِسَ فَنَضَحْتُهُ بِمَاءٍ فَقَامَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَفَفْتُ أَنَا وَالْيَتِيمُ وَرَاءَهُ وَالْعَجُوزُ مِنْ وَرَائِنَا فَصَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তাঁর দাদী মুলায়কাহ্‌ তার নিজের হাতে প্রস্তুত একটি খাবার খেতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে দা’ওয়াত দিলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা খেলেন। খাওয়া শেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা সবাই উঠে দাঁড়াও, আমি তোমাদের (বারাকাত বা শিক্ষাদানের) জন্য সলাত আদায় করব। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেনঃ আমি উঠে গিয়ে আমাদের একটি চাটাইয়ের উপর দাঁড়ালাম যা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে কালো বর্ণ ধারণ করেছিল। আমি সেটির উপর কিছু পানি ছিটিয়ে দিলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ চাটাইয়ের উপর দাঁড়ালেন। আর বৃদ্ধা মহিলারা দাঁড়ালেন পিছনে। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সাথে নিয়ে দু’রাক’আত সলাত আদায় করলেন এবং তারপর চলে গেলেন। (ই.ফা. ১৩৭২, ই.সে. ১৩৮৪)

১৩৮৬
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ شَيْبَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا فَرُبَّمَا تَحْضُرُ الصَّلاَةُ وَهْوَ فِي بَيْتِنَا فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ ثُمَّ يُنْضَحُ ثُمَّ يَؤُمُّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَقُومُ خَلْفَهُ فَيُصَلِّي بِنَا وَكَانَ بِسَاطُهُمْ مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আখলাক্ব বা নৈতিক চরিত্রের বিচারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন সর্বোত্তম মানুষ। অনেক সময় এমন হয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ঘরে থাকতেই সলাতের সময় হয়ে গেছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বিছানার উপর থাকতেন সেটিই ঝেড়ে ফেলে পানি ছিটিয়ে দিতে বলতেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের ইমামাত করতেন। আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়াতাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করতেন।

বর্ণনাকারী (আবূ তাইয়্যাহ্‌) বলেনঃ তাঁর (আনাস ইবনু মালিক-এর) বাড়ীর বিছানা খেজুর পাতায় তৈরি ছিল। (ই.ফা. ১৩৭৩, ই.সে. ১৩৮৫)

১৩৮৭
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْنَا وَمَا هُوَ إِلاَّ أَنَا وَأُمِّي وَأُمُّ حَرَامٍ خَالَتِي فَقَالَ ‏”‏ قُومُوا فَلأُصَلِّيَ بِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فِي غَيْرِ وَقْتِ صَلاَةٍ فَصَلَّى بِنَا ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ لِثَابِتٍ أَيْنَ جَعَلَ أَنَسًا مِنْهُ قَالَ جَعَلَهُ عَلَى يَمِينِهِ ‏.‏ ثُمَّ دَعَا لَنَا أَهْلَ الْبَيْتِ بِكُلِّ خَيْرٍ مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ فَقَالَتْ أُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ خُوَيْدِمُكَ ادْعُ اللَّهَ لَهُ ‏.‏ قَالَ فَدَعَا لِي بِكُلِّ خَيْرٍ وَكَانَ فِي آخِرِ مَا دَعَا لِي بِهِ أَنْ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَبَارِكْ لَهُ فِيهِ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বাড়ীতে আসলেন। তখন সেখানে শুধু আমি, আমার মা এবং আমার খালা উম্মু হারাম ছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) [আমাদের লক্ষ্য করে বললেন,] উঠো, আমি তোমাদের নিয়ে সলাত আদায় করব। তখন কোন ফরয সলাতের ওয়াক্ত ছিল না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করলেন। জনৈক ব্যক্তি (হাদীস বর্ণনাকারী) সাবিতকে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনাসকে তাঁর কোন্‌ পাশে দাঁড় করিয়েছিলেন? তিনি (সাবিত) বললেনঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডান পাশে দাঁড় করিয়েছিলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পরিবারের সবার জন্য দুন্‌ইয়া ও আখিরাতের সব রকম কল্যাণের জন্য দু’আ করলেন। আমার মাতা তখন বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার এ ক্ষুদ্র খাদিমের (আনাসের) জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার জন্য সব রকমের কল্যাণের দু’আ করলেন। দু’আর শেষভাগে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বললেন তা হলো : হে আল্লাহ! তার সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দাও এবং এতে তাকে বারাকাত দান করো। (ই.ফা. ১৩৭৪, ই.সে. ১৩৮৬)

১৩৮৮
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُخْتَارِ، سَمِعَ مُوسَى بْنَ أَنَسٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِ وَبِأُمِّهِ أَوْ خَالَتِهِ ‏.‏ قَالَ فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ وَأَقَامَ الْمَرْأَةَ خَلْفَنَا ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এবং তার মা অথবা খালাকে সাথে করে সলাত আদায় করলেন। তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর ডানে দাঁড় করালেন এবং মেয়েদের পিছনে দাঁড় করালেন। (ই.ফা. ১৩৭৫, ই.সে. ১৩৮৭)

১৩৮৯
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.

শু’বাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৭৫, ই.সে. ১৩৮৮)

১৩৯০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، كِلاَهُمَا عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي مَيْمُونَةُ، زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا حِذَاءَهُ وَرُبَّمَا أَصَابَنِي ثَوْبُهُ إِذَا سَجَدَ وَكَانَ يُصَلِّي عَلَى خُمْرَةٍ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর স্ত্রী মায়মূনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করতেন আর আমি তাঁর পাশেই থাকতাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্ করতেন তখন কোন কোন সময় তাঁর কাপড় আমার শরীর স্পর্শ করত। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাটাইয়ের উপর সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৩৭৬, ই.সে. ১৩৮৯)

১৩৯১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، جَمِيعًا عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَهُ يُصَلِّي عَلَى حَصِيرٍ يَسْجُدُ عَلَيْهِ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (একদিন) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে গিয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাটাইয়ের উপর সলাত আদায় করছেন এবং চাটাইয়ের উপরই সাজদাহ্ করছেন। (ই.ফা. ১৩৭৭, ই.সে. ১৩৯০)

৪৯. অধ্যায়ঃ
ফারয সলাত জামা’আতে আদায়ের ফাযীলত এবং সলাতের জন্য অপেক্ষা করা

১৩৯২
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ، كُلُّهُمْ عَنِ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ غَيْرَ أَنَّهُمْ لَمْ يَقُولُوا خَلْفَ أَبِي الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি মাসজিদে জামা’আতের সাথে সলাত আদায় করলে তা তার বাড়ীতে বা বাজারে সলাত আদায় করার চেয়ে বিশগুণেরও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। কারণ কোন লোক যখন সলাতের জন্য ওযূ করে এবং ভালভাবে ওযূ করে মাসজিদে আসে তাকে সলাত ছাড়া আর কিছুই মাসজিদে আনে না; আর সে সলাত ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যও পোষণ করে না। সুতরাং এ উদ্দেশে সে যখনই পদক্ষেপ করে তখন থেকে মাসজিদে প্রবেশ না করা পর্যন্ত তার প্রতিটি নেকীর বদলে ঐ ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি করে পাপ মিটিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর মাসজিদে প্রবেশ করার পর যতক্ষণ সে সলাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ততক্ষণ যেন সে সলাতরত থাকে। আর তোমাদের কেউ যখন সলাত আদায় করার পর সলাতের স্থানেই বসে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত মালায়িকাহ্‌ (ফেরেশ্‌তাগণ) তার জন্য এ বলে দু’আ করতে থাকে যে, হে আল্লাহ! তুমি তার তাওবাহ্‌ ক্ববূল করো। এরূপ দু’আ ততক্ষণ পর্যন্ত করতে থাকে যতক্ষণ না সে কাউকে কষ্ট দেয় এবং যতক্ষণ পর্যন্ত ওযূ নষ্ট না করে। [১] (ই.ফা. ১৩৭৮, ই.সে. ১৩৯১)






[১]হে আল্লাহ! তার প্রতি অনুগ্রহ কর এবং তাকে ক্ষমা কর।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৩৯৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ الرَّيَّانِ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِ مَعْنَاهُ ‏.

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৭৯, ই.সে. ১৩৯২)

১৩৯৪
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مَجْلِسِهِ تَقُولُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ وَأَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত সলাতের পর উক্ত স্থানে বসে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত মালায়িকাহ্‌ এ বলে তার জন্য দু’আ করতে থাকে যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি তাকে রহ্‌মাত দান করো। আর তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি ততক্ষণ সলাতরত বলেই গণ্য হবে যতক্ষণ সে সলাতের জন্য অপেক্ষামান থাকে। [ই.ফা. ১৩৮০, ই.সে. ১৩৯২ (ক) ]

১৩৯৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ الْعَبْدُ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَ فِي مُصَلاَّهُ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ وَتَقُولُ الْمَلاَئِكَةُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ ‏.‏ حَتَّى يَنْصَرِفَ أَوْ يُحْدِثَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ مَا يُحْدِثُ قَالَ يَفْسُو أَوْ يَضْرِطُ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত সলাতের জন্য বসে সলাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সলাতরত থাকে আর মালায়িকাহ্‌ও ততক্ষণ পর্যন্ত তার জন্য এ বলে দু’আ করতে থাকে যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি তাকে রহম করো। (আর মালায়িকাহ্‌) ততক্ষণ পর্যন্ত এরূপ দু’আ করতে থাকে যতক্ষণ সে সেখান থেকে উঠে চলে না যায় কিংবা যতক্ষণ ওযূ নষ্ট না করে। হাদীস বর্ণনাকারী রাফি’ বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম ‘হাদাস বা ওযূ নষ্ট করা কাকে বলে? তিনি বললেনঃ নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু নিঃসরণ করা। (ই.ফা. ১৩৮১, ই.সে. ১৩৯৩)

১৩৯৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا دَامَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ لاَ يَمْنَعُهُ أَنْ يَنْقَلِبَ إِلَى أَهْلِهِ إِلاَّ الصَّلاَةُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যতক্ষণ পর্যন্ত সলাতের জন্য কোন ব্যক্তি অপেক্ষা করে এবং শুধু সলাতের কারণেই সে ঘরে (পরিবার-পরিজনের কাছে) ফিরে যায় না ততক্ষণ পর্যন্ত সে যেন সলাতরত অবস্থায়ই থাকে (অর্থাৎ- যতক্ষণ পর্যন্ত সে সলাতের জন্য অপেক্ষা করল ততক্ষণ সে সলাত আদায় করল বলেই ধরে নেয়া হবে)। (ই.ফা. ১৩৮২, ই.সে. ১৩৯৪)

১৩৯৭
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ هُرْمُزَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَحَدُكُمْ مَا قَعَدَ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ فِي صَلاَةٍ مَا لَمْ يُحْدِثْ تَدْعُو لَهُ الْمَلاَئِكَةُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সলাতের জন্য অপেক্ষা করে তখন ওযূ ভঙ্গ না করা পর্যন্ত সে যেন সলাতরত থাকল। এ সময়ে মালাকগণ এ বলে তার জন্য দু’আ করতে থাকো যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করো। হে আল্লাহ! তুমি তার প্রতি রহম করো। (ই.ফা. ১৩৮৩, ই.সে. ১৩৯৫)

১৩৯৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ هَذَا ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৮৪, ই.সে. ১৩৯৬)

৫০.অধ্যায়ঃ
মাসজিদের দিকে অধিক পদচারণা ও যাতায়াতের ফাযীলত

১৩৯৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ أَعْظَمَ النَّاسِ أَجْرًا فِي الصَّلاَةِ أَبْعَدُهُمْ إِلَيْهَا مَمْشًى فَأَبْعَدُهُمْ وَالَّذِي يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنَ الَّذِي يُصَلِّيهَا ثُمَّ يَنَامُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ ‏”‏ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ فِي جَمَاعَةٍ ‏”‏ ‏.

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার হাঁটার পথ (অর্থাৎ-ঘর) মসজিদ থেকে বেশী দূরে সে সলাতের অধিক সাওয়াব লাভের হাক্বদ্বার আর যে ব্যক্তি সলাতের জন্য অপেক্ষা করে ইমামের সাথে (জামা’আতে) সলাত আদায় করে সে ঐ ব্যক্তির চেয়ে বেশী সাওয়াবের হাক্বদ্বার যে একাকী সলাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে।

আবূ কুরায়ব-এর বর্ণনাতে “জামা‘আতে ইমামের সাথে সলাত আদায় করে” কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। (ই.ফা. ১৩৮৫, ই.সে. ১৩৯৭)

১৪০০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ لاَ أَعْلَمُ رَجُلاً أَبْعَدَ مِنَ الْمَسْجِدِ مِنْهُ وَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ صَلاَةٌ – قَالَ – فَقِيلَ لَهُ أَوْ قُلْتُ لَهُ لَوِ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا تَرْكَبُهُ فِي الظَّلْمَاءِ وَفِي الرَّمْضَاءِ ‏.‏ قَالَ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ مَنْزِلِي إِلَى جَنْبِ الْمَسْجِدِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ يُكْتَبَ لِي مَمْشَاىَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرُجُوعِي إِذَا رَجَعْتُ إِلَى أَهْلِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قَدْ جَمَعَ اللَّهُ لَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ ‏”‏ ‏.

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জৈনিক লোক সম্পর্কে জানি যার বাড়ী অপেক্ষা কারো বাড়ী মসজিদ থেকে অধিক দূরে ছিল বলে আমার জানা নেই। জামা’আতের সাথে কোন ওয়াক্তের সলাত আদায় করা তিনি ছাড়তেন না। উবাই ইবনু কা’ব বলেনঃ তাকে বলা হলো অথবা (বর্ণনাকারী আবূ ‘উসমান নাহদীর সন্দেহ) আমি বললামঃ যদি তুমি একটি গাধা কিনে নাও এবং তার পিঠে আরোহণ করে রাতের অন্ধকারে এবং রোদের মধ্যে সলাত আদায় করতে আসো তাহলে তো বেশ ভালই হয়। একথা শুনে সে বললঃ আমার বাড়ী মাসজিদের পাশে হোক তা আমি পছন্দ করি না। আমি চাই মাসজিদে হেঁটে আসা এবং মাসজিদে থেকে ঘরে আমার পরিবার-পরিজনের কাছে যাওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ আমার জন্য (‘আমালনামায়) লিপিবদ্ধ হোক। তার এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ তা’আলা তোমার জন্য অনুরূপ সাওয়াবই একত্রিত করে রেখেছেন। (ই.ফা. ১৩৮৬, ই.সে. ১৩৯৮)

১৪০১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ بِنَحْوِهِ ‏.

আত্‌ তায়মী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৮৭, ই.সে. ১৩৯৯)

১৪০২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ بَيْتُهُ أَقْصَى بَيْتٍ فِي الْمَدِينَةِ فَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ الصَّلاَةُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَتَوَجَّعْنَا لَهُ فَقُلْتُ لَهُ يَا فُلاَنُ لَوْ أَنَّكَ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا يَقِيكَ مِنَ الرَّمْضَاءِ وَيَقِيكَ مِنْ هَوَامِّ الأَرْضِ ‏.‏ قَالَ أَمَا وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ بَيْتِي مُطَنَّبٌ بِبَيْتِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَحَمَلْتُ بِهِ حِمْلاً حَتَّى أَتَيْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ – قَالَ – فَدَعَاهُ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ وَذَكَرَ لَهُ أَنَّهُ يَرْجُو فِي أَثَرِهِ الأَجْرَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ لَكَ مَا احْتَسَبْتَ ‏”‏ ‏.

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক আনসারী ছিল যার বাড়ী মাদীনার অন্য লোকদের বাড়ীর তুলনায় (মাসজিদে নাবাবী থেকে) দূরে অবস্থিত ছিল। কিন্ত সে জামা’আতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে এক ওয়াক্ত সলাতও ছাড়ত না। উবাই ইবনু কা’ব বলেন, আমরা তার জন্য সমবেদনা অনুভব করলাম। তাই তাকে বললাম, হে অমুক! আপনি যদি একটি গাধা খরিদ করে নিতেন তাহলে সূর্যের খরতাপ থেকে রক্ষা পেতেন এবং বিষাক্ত পোকা-মাকড় থেকেও নিরাপত্তা লাভ করতে পারতেন। সে বলল, আল্লাহ্‌র শপথ!মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরের সাথেই আমার ঘর হোক তা আমি পছন্দ করি না। তার এ কথা আমার কাছে খুবই দুর্বিষহ মনে হলো। তাই আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে গিয়ে বিষয়টি তাঁকে জানালাম। তিনি তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন- সে পুনরায় অনুরূপ কথা বলল। সে এ কথাও বলল যে, এভাবে সে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে সাওয়াব বা পুরস্কার আশা করে। এ কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি যা আশা করেছ তা তুমি অবশ্যই লাভ করবে। (ই.ফা. ১৩৮৮, ই.সে. ১৪০০)

১৪০৩
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَزْهَرَ الْوَاسِطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.

‘আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৩৮৯, ই.সে. ১৪০১)

১৪০৪
وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَتْ دِيَارُنَا نَائِيَةً عَنِ الْمَسْجِدِ، فَأَرَدْنَا أَنْ نَبِيعَ، بُيُوتَنَا فَنَقْتَرِبَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَنَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ لَكُمْ بِكُلِّ خُطْوَةٍ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের বাড়ী মসজিদ থেকে দূরে অবস্থিত ছিল। আমরা মাসজিদের আশে-পাশে বাড়ী নির্মাণের জন্য ঐ ঘর-বাড়ী বেঁচে ফেলতে মনস্থ করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা করতে নিষেধ করেন। তিনি (আমাদের সম্বোধন করে) বললেনঃ (সলাতের জন্য মাসজিদের আসার) প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তোমাদের মর্যাদা ও সাওয়াব বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। (ই.ফা. ১৩৯০, ই.সে. ১৪০২)

১৪০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، قَالَ حَدَّثَنِي الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَلَتِ الْبِقَاعُ حَوْلَ الْمَسْجِدِ فَأَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَنْتَقِلُوا إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُمْ ‏”‏ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَنْتَقِلُوا قُرْبَ الْمَسْجِدِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَرَدْنَا ذَلِكَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ يَا بَنِي سَلِمَةَ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাসজিদে নাবাবীর পাশে কিছু জায়গা খালি হলে বানূ সাল্যমাহ্‌ গোত্র সেখানে এসে বসতি স্থাপন করতে মনস্থ করল। বিষয়টি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের (বানূ সালিমাহ্‌ গোত্রের লোকদের) উদ্দেশে বললেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, তোমরা মাসজিদের কাছে চলে আসতে চাও। তারা বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমরা তাই মনস্থ করেছি। এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে বানূ সালিমাহ্‌ গোত্রের লোকেরা! তোমরা তোমাদের ঐ বাড়ীতেই থাকো। কারণ তোমাদের সলাতের জন্য মাসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপ লিপিবদ্ধ করা হয়। (ই.ফা. ১৩৯১, ই.সে. ১৪০৩)

১৪০৬
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ كَهْمَسًا، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَتَحَوَّلُوا، إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ ‏.‏ – قَالَ – وَالْبِقَاعُ خَالِيَةٌ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ يَا بَنِي سَلِمَةَ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا مَا كَانَ يَسُرُّنَا أَنَّا كُنَّا تَحَوَّلْنَا ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বানূ সালিমাহ্‌ গোত্রের লোকজন মাসজিদে নাবাবীর কাছে এসে উক্ত খালি স্থানে বসতি স্থাপন করতে মনস্থ করল| মাসজিদের নাবাবীর পাশে কিছু খালি জায়গা ছিল। বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবগত হলে তিনি তাদেরকে সম্বোধন করে বললেনঃ হে বানূ সালিমাহ্‌ গোত্রের লোকজন ! তোমরা তোমাদের বর্তমান ঘর-বাড়ীতেই থাকো | সলাতের জন্য মাসজিদে আসতে তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ (পদক্ষেপের বিনিময়ে সাওয়াব) লিখিত হয় | নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কথা শুনে তারা বললঃ আমরা এতে (এ কথায় এতো খুশী হলাম যে) আমাদের বাড়ী-ঘর স্থানান্তরিত করে মাসজিদের কাছে আসলেও তত খুশী হতাম না। (ই.ফা. ১৩৯২, ই.সে. ১৪০৪)

৫১. অধ্যায়ঃ
সলাতের জন্য পদচারণা করা যদ্বারা পাপ মোচন ও মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।

১৪০৭
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ مَشَى إِلَى بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ لِيَقْضِيَ فَرِيضَةً مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ كَانَتْ خَطْوَتَاهُ إِحْدَاهُمَا تَحُطُّ خَطِيئَةً وَالأُخْرَى تَرْفَعُ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বাড়ী থেকে পাক-পবিত্র হয়ে (ওযূ করে) তারপর কোন ফারয সলাত আদায় করার জন্য হেঁটে আল্লাহর কোন ঘরে (মাসজিদে) যায় তার প্রতিটি পদক্ষেপের একটি পাপ ঝরে পড়ে এবং অপরটিতে মর্যাদা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। (ই.ফা. ১৩৯৩, ই.সে. ১৪০৫)

১৪০৮
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ – كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তবে বকরের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কারো বাড়ীর দরজার সামনেই যদি একটি নদী থাকে আর সে ঐ নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? এ ব্যাপারে তোমরা কি বলো? সবাই বললঃ না, তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকবে না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটিই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের দৃষ্টান্ত | এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন। (ই.ফা. ১৩৯৪, ই.সে. ১৪০৬)

১৪০৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ كَمَثَلِ نَهَرٍ جَارٍ غَمْرٍ عَلَى بَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالَ الْحَسَنُ وَمَا يُبْقِي ذَلِكَ مِنَ الدَّرَنِ

জাবির থেকে বর্ণিত, যিনি ‘আবদুল্লাহর পুত্র থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সলাতকে তোমাদের কারোর বাড়ীর দরজার পাশ দিয়ে দু’কূল ছাপিয়ে উঠা প্রবহমান নদীর সাথে উপমা দেয়া যেতে পারে। আর ঐ নদীতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে। বর্ণনাকারী বলেন, হাসান বলেছেনঃ এভাবে (গোসল করলে) কোন ময়লা অবশিস্ট থাকবে না। (ই.ফা. ১৩৯৫, ই.সে. ১৪০৭)

১৪১০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ نُزُلاً كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে এবং সন্ধ্যায় সলাত আদায় করতে মাসজিদে যায় এবং যতবার যায় আল্লাহ তা’আলা ততবারই তার জন্য জান্নাতের মধ্যে মেহমানদারীর উপকরণ প্রস্তত করেন। (ই.ফা. ১৩৯৬, ই.সে. ১৪০৮)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]