সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা মুসাফিরের সালাত ও তার কসর অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ১৪৫৫ – ১৫১২


১.অধ্যায়ঃ
মুসাফিরদের সলাত এবং তার ক্বস্‌র (সংক্ষিপ্ত করা)

১৪৫৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِي صَلاَةِ الْحَضَرِ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বাড়িতে কিংবা সফরে যে কোন অবস্থায় প্রথমে সলাত দু’ দু’ রাক‘আত করে ফর্‌জ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সফরের সলাত দু’ রাক‘আত ঠিক রাখা হলেও বাড়ীতে অবস্থানকালীন সলাতের রাক‘আত সংখ্যা বৃদ্ধি করা দেয়া হয়েছে। (ই. ফা. ১৪৪০ , ই. সে. ১৪৫০)

[বিঃদ্রঃ হাদিস নং ১৪৫৫ দুইবার এসেছে, তাই প্রথমটি হাদিস নং ১৪৫৪ এর সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হল।]

১৪৫৬
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَرَضَ اللَّهُ الصَّلاَةَ حِينَ فَرَضَهَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَتَمَّهَا فِي الْحَضَرِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ عَلَى الْفَرِيضَةِ الأُولَى ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সলাত ফরয করার সময় আল্লাহ তাআলা দু ‘ রাক‘আত করে ফরয করেছিলেন। তবে পরে বাড়ীতে অবস্থানকালীন সলাতে বৃদ্ধি করে পূর্নাঙ্গ করা হয়েছে এবং সফরকালীন সলাত পূর্বের মত দু’ রাক‘আতই রাখা হয়েছে। (ই. ফা. ১৪৪১, ই. সে. ১৪৫১)

১৪৫৭
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ الصَّلاَةَ، أَوَّلَ مَا فُرِضَتْ رَكْعَتَيْنِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ وَأُتِمَّتْ صَلاَةُ الْحَضَرِ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَقُلْتُ لِعُرْوَةَ مَا بَالُ عَائِشَةَ تُتِمُّ فِي السَّفَرِ قَالَ إِنَّهَا تَأَوَّلَتْ كَمَا تَأَوَّلَ عُثْمَانُ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

প্রথমে সলাত ফর্‌য হয়েছিল দু’ রাক‘আত করে। পরবর্তী সময়ে সফরকালীন সলাত দু’ রাক‘আত ঠিক রাখা হয়েছে কিন্ত বাড়ীতে অবস্থানকালীন সলাত পূর্ণাঙ্গ (অর্থাৎ চার রাক‘আত) করা হয়েছে।

বর্ণনাকারী যুহরী বলেছেনঃ আমি ‘উরওয়াহ্‌কে জিজ্ঞেস করলাম-তাহলে কী কারণে ‘আয়িশা (রাঃ) সফরকালীন সলাত পুরো আদায় করতেন? জবাবে ‘উরওয়াহ্‌ বললেনঃ ‘আয়িশাহ্‌ ‘উসমানের ব্যাখ্যার মতো এ হাদীসটির ব্যাখ্যা করেছেন। (ই.ফা. ১৪৪২,ই.সে ১৪৫২)

১৪৫৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَيْهِ، عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، قَالَ قُلْتُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ‏{‏ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا، مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا‏}‏ فَقَدْ أَمِنَ النَّاسُ فَقَالَ عَجِبْتُ مِمَّا عَجِبْتَ مِنْهُ فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ صَدَقَةٌ تَصَدَّقَ اللَّهُ بِهَا عَلَيْكُمْ فَاقْبَلُوا صَدَقَتَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইয়া’লা ইবনু উমাইয়্যাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ আমি ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাবকে জিজ্ঞেস করলাম যে,আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “কাফিররা তোমাদেরকে কষ্ট দিবে এ আশঙ্কা থাকলে সলাত ক্বস্‌র করে আদায় করতে তোমাদের কোন দোষ হবে না”-(সূরাহ্‌ আন্‌ নিসা ৪:১০১)। কিন্ত এখন তো লোকেরা নিরাপত্তা লাভ করেছেন। (সুতরাং এখন ক্বস্‌র সলাত আদায় করার প্রয়োজন কী?) এ কথা শুনে ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব বললেনঃ তুমি যে কারনে বিস্মিত হয়েছ আমিও ঠিক একই কারণে বিস্মিত হয়েছিলাম (অর্থাৎ আমিও ক্বস্‌র সলাত আদায়ের কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছিলাম না)। তাই উক্ত বিষয়ে আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ এটি তোমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সদাক্বাহ্‌ বা দান। সুতরাং তোমরা তাঁর দেয়া সদাক্বাহ্‌ গ্রহণ কর। (ই.ফা. ১৪৪৩,ই.সে ১৪৫৩)

১৪৫৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَيْهِ، عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، قَالَ قُلْتُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ إِدْرِيسَ ‏.‏

ইয়া’লা ইবনু উমাইয়্যাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাবকে জিজ্ঞেস করলাম। এ পর্যন্ত বর্ণনা করার পর তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইদরীস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪৪৪,ই.সে ১৪৫৪)

১৪৬০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ فَرَضَ اللَّهُ الصَّلاَةَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا وَفِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَفِي الْخَوْفِ رَكْعَةً ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমাদের নাবীর জবানীতে আল্লাহ তা’আলা বাড়ীতে অবস্থানকালীন সলাত চার রাক‘আত, সফরের সলাত দু’ রাক‘আত এবং ভীতিকর অবস্থানকালীন সলাত এক রাক‘আত ফারয্‌ করেছেন। (ই.ফা. ১৪৪৫, ই.সে ১৪৫৫)

১৪৬১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، جَمِيعًا عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مَالِكٍ، – قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا قَاسِمُ بْنُ مَالِكٍ الْمُزَنِيُّ، – حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ عَائِذٍ الطَّائِيُّ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ اللَّهَ فَرَضَ الصَّلاَةَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمُسَافِرِ رَكْعَتَيْنِ وَعَلَى الْمُقِيمِ أَرْبَعًا وَفِي الْخَوْفِ رَكْعَةً ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জবানীতে মুসাফিরের সলাত দু’ রাক‘আত, মুকীম বা বাড়ীতে অবস্থানকালীন সলাত চার রাক‘আত এবং ভীতিকর অবস্থায় সলাত এক রাক‘আত ফরয করেছেন। (ই.ফা. ১৪৪৬, ই.সে ১৪৫৬)

১৪৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ مُوسَى بْنِ سَلَمَةَ الْهُذَلِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ كَيْفَ أُصَلِّي إِذَا كُنْتُ بِمَكَّةَ إِذَا لَمْ أُصَلِّ مَعَ الإِمَامِ ‏.‏ فَقَالَ رَكْعَتَيْنِ سُنَّةَ أَبِي الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

মূসা ইবনু সালামাহ্‌ আল হুযালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি মাক্কায় অবস্থানকালে যদি ইমামের পিছনে সলাত আদায় না করি তাহলে কীভাবে সলাত আদায় করব। জবাবে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস বললেন, দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করবে। এটি আবুল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত। (ই.ফা. ১৪৪৭, ই.সে ১৪৫৭)

১৪৬৩
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي جَمِيعًا، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানদে অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪৪৮, ই.সে ১৪৫৭-ক)

১৪৬৪
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ – قَالَ – فَصَلَّى لَنَا الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ وَأَقْبَلْنَا مَعَهُ حَتَّى جَاءَ رَحْلَهُ وَجَلَسَ وَجَلَسْنَا مَعَهُ فَحَانَتْ مِنْهُ الْتِفَاتَةٌ نَحْوَ حَيْثُ صَلَّى فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ ‏.‏ قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا لأَتْمَمْتُ صَلاَتِي يَا ابْنَ أَخِي إِنِّي صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ ثُمَّ صَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَقَدْ قَالَ اللَّهُ ‏{‏ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ‏}‏ ‏.‏

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,আমি মাক্কার কোন একটি পথে ‘আসিম ইবনু ‘উমার-এর সাথে চলছিলাম। এ সময় তিনি আমাদের সাথে করে যুহরের সলাত আদায় করলেন এবং মাত্র দু’ রাক‘আত আদায় করলেন। তারপর তিনি তাঁর কাফিলার মধ্যে ফিরে আসলেন। আমরাও তাঁর সাথে ফিরে আসলাম। তিনি সেখানে বসে পড়লে আমরাও তাঁর সাথে বসে পড়লাম। এ সময় যে স্থানে তিনি সলাত আদায় করেছিলেন সে স্থানে তাঁর দৃষ্টি পড়লে কিছু সংখ্যক লোককে সেখানে দাঁড়ানো দেখতে পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এরা ওখানে কী করছে? আমি বললাম, তারা সুন্নাত পড়ছে। তিনি এ কথা শুনে বললেনঃ ভাতিজা, আমাদেরকে যদি সুন্নাত আদায় করতে হ’ত তাহলে আমি ফরয সলাত ও পূর্ণ আদায় করতাম। আমি সফরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে থেকে দেখেছি আমৃত্যু তিনি দু’ রাক’আতের অধিক আদায় করেননি। আমি সফরে আবূ বাক্‌রের সাথে থেকে দেখেছি আল্লাহ তাকে ওফাত দান না করা পর্যন্ত তিনি দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। আমি সফরে ‘উমারের সাথে দেখেছি তিনি দু’রাক‘আত সলাতই আদায় করেছেন। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “আল্লাহর রসূলের জীবনে তোমাদের অনুসরনের উত্তম নমুনা রয়েছে”-(সূরাহ আল আহ্‌যাব ৩৩ : ২১)। (ই.ফা. ১৪৪৯,ই.সে ১৪৫৮)

১৪৬৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، قَالَ مَرِضْتُ مَرَضًا فَجَاءَ ابْنُ عُمَرَ يَعُودُنِي قَالَ وَسَأَلْتُهُ عَنِ السُّبْحَةِ، فِي السَّفَرِ فَقَالَ صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ فَمَا رَأَيْتُهُ يُسَبِّحُ وَلَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا لأَتْمَمْتُ وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{‏ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ إِسْوَةٌ حَسَنَةٌ‏}‏

হাফস্‌ ইবনু ‘আসিম থেকে (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমি সাংঘাতিকভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লাম। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার আমাকে দেখতে আসলেন। সে সময় আমি তাঁকে সফরে সুন্নাত সলাত আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন- আমি সফরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গী হয়েছি। কিন্ত কখনো তাঁকে নাফ্‌ল সলাত আদায় করতে দেখেনি। আর আমি যদি সফরে সুন্নাত সলাত আদায় করতাম তাহলে ফরয সলাত ও পূর্ণ করে আদায় করতাম। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ ‘‘আল্লাহর রসূলের জীবনে তোমাদের অনুসরণের জন্য উত্তম নীতিমালা রয়েছে”-(সূরাহ্‌ আল আহ্‌যাব ৩৩ : ২১)। (ই.ফা. ১৪৫০, ই.সে ১৪৫৯)

১৪৬৬
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَصَلَّى الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হাজ্জের সফরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ্‌ থেকে যুহরের সলাত চার রাক‘আত আদায় করে রওয়ানা হয়েছিলেন এবং যুল-হুলায়ফাতে পৌছে ‘আস্‌রের সলাত দু’ রাক‘আত আদায় করেছিলেন। (ই.ফা. ১৪৫১, ই.সে ১৪৬০)

১৪৬৭
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ، سَمِعَا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَصَلَّيْتُ مَعَهُ الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের সফরে আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মাদীনায় যুহরের সলাত চার রাক‘আত আদায় করে বের হয়েছি এবং যুল-হুলায়ফাতে পৌছে তাঁর সাথে ‘আস্‌রের সলাত মাত্র দু’ রাক‘আত আদায় করেছি। (ই.ফা. ১৪৫২, ই.সে ১৪৬১)

১৪৬৮
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، كِلاَهُمَا عَنْ غُنْدَرٍ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، غُنْدَرٌ – عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْهُنَائِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قَصْرِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ مَسِيرَةَ ثَلاَثَةِ أَمْيَالٍ أَوْ ثَلاَثَةِ فَرَاسِخَ – شُعْبَةُ الشَّاكُّ – صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ‏.‏

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়াযীদ আল হুনায়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে সফররত অবস্থায় সলাতে ক্কস্‌র করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তিন মাইল অথবা তিন ফারসাখ দূরত্বের সফরে বের হতেন তখনই দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়াযীদ আল হুনায়ী তিন মাইল দূরত্বের কথা বলেছেন, না তিন ফারসাখ দূরত্বের কথা বলেছেন তাতে শু’বার সন্দেহ রয়েছে। (ই.ফা. ১৪৫৩, ই.সে ১৪৬২)

১৪৬৯
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، – قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ إِلَى قَرْيَةٍ عَلَى رَأْسِ سَبْعَةَ عَشَرَ أَوْ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ مِيلاً فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ فَقَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ صَلَّى بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ فَقَالَ إِنَّمَا أَفْعَلُ كَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ ‏.‏

জুবায়র ইবনু নুফায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি শুরাহ্‌বীল ইবনু আস্‌ সিম্‌ত্ব (রাঃ)-এর সাথে সতের বা আঠার মাইল দূরবর্তী এক গ্রামে গেলাম। তিনি সেখানে (চার রাক’আতের পরিবর্তে) দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করলেন। আমি তাঁকে কারণ জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেলনঃ আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যা করতে দেখেছি তাই করে থাকি। (ই.ফা. ১৪৫৪, ই.সে ১৪৬৩)

১৪৭০
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَقَالَ عَنِ ابْنِ السِّمْطِ، وَلَمْ يُسَمِّ شُرَحْبِيلَ وَقَالَ إِنَّهُ أَتَى أَرْضًا يُقَالُ لَهَا دَوْمِينُ مِنْ حِمْصَ عَلَى رَأْسِ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ مِيلاً ‏.‏

শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

শু’বাহ্ (রহঃ) এ সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি (শু’বাহ্) শুরাহবীল না বলে মুহাম্মাদ ইবনুস্ সিম্ত্ব (রহঃ) উল্লেখ করেছেন। তিনি তার বর্ণিত হাদীসে এতটুকু কথা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তিনি হিম্স-এর আঠার মাইল দূরবর্তী “দূমীন” নামে পরিচিত একটি স্থানে উপনীত হলেন। (ই.ফা. ১৪৫৫, ই.সে ১৪৬৪)

১৪৭১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ حَتَّى رَجَعَ ‏.‏ قُلْتُ كَمْ أَقَامَ بِمَكَّةَ قَالَ عَشْرًا ‏.‏

আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (বিদায় হাজ্জের সফরে) আমরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মাদীনাহ্‌ থেকে মাক্কার দিকে বের হলাম। (এ সফরে) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সব ওয়াক্তের সলাতই দু’ রাক‘আত করে আদায় করেছেন এবং মাদীনায় ফিরে এসেছেন। বর্ণনাকারী ইসহাক্ব ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া বর্ণনা করেছেন- আমি আনাস ইবনু মালিককে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি মাক্কায় ক’দিন পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন? জবাবে আনাস ইবনু মালিক বললেনঃ দশদিন। (ই.ফা. ১৪৫৬, ই.সে ১৪৬৫)

১৪৭২
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ هُشَيْمٍ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুশায়ম বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪৫৭,ই.সে ১৪৬৬)

১৪৭৩
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ خَرَجْنَا مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الْحَجِّ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ ‏.

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমরা মাদীনাহ্‌ থেকে হাজ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম …। এরপর তিনি পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। (ই.ফা. ১৪৫৮, ই.সে ১৪৬৭)

১৪৭৪
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، جَمِيعًا عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرِ الْحَجَّ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে তিনি হাজ্জের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৪৫৯, ই.সে ১৪৬৮)

২. অধ্যায়ঃ
মিনায় সলাত ক্বস্‌র করা

১৪৭৫
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى صَلاَةَ الْمُسَافِرِ بِمِنًى وَغَيْرِهِ رَكْعَتَيْنِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ رَكْعَتَيْنِ صَدْرًا مِنْ خِلاَفَتِهِ ثُمَّ أَتَمَّهَا أَرْبَعًا ‏.

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) তাঁর পিতা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার-এর মাধ্যমে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মিনা এবং অন্যান্য স্থানে মুসাফিরের মতো দু’ রাক‘আত করে সলাত আদায় করেছিলেন। আর আবূ বকর, ‘উমার তাদের খিলাফাত যুগে এবং ‘উসামান তাঁর খিলাফাতের প্রথম দিকে সফরকালের সলাত দু’ রাক‘আত করে আদায় করেছেন এবং পরবর্তী সময়ে পূর্ণ চার রাক‘আত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ১৪৬০,ই.সে ১৪৬৯)

১৪৭৬
وَحَدَّثَنَاهُ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، جَمِيعًا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ بِمِنًى ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ وَغَيْرِهِ ‏.

যুহ্‌রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি এতে ‘মিনাতে’ কথাটি উল্লেখ করেছেন। তবে ‘অন্যান্য স্থানে’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৪৬১, ই.সে ১৪৭০)

১৪৭৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ وَأَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ وَعُمَرُ بَعْدَ أَبِي بَكْرٍ وَعُثْمَانُ صَدْرًا مِنْ خِلاَفَتِهِ ثُمَّ إِنَّ عُثْمَانَ صَلَّى بَعْدُ أَرْبَعًا ‏.‏ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا صَلَّى مَعَ الإِمَامِ صَلَّى أَرْبَعًا وَإِذَا صَلاَّهَا وَحْدَهُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (বিদায় হাজ্জের সময়) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনাতে (ফরয সলাত চার রাক’আতের পরিবর্তে) দু’ রাক‘আত আদায় করেছেন। পরে আবূ বাক্‌র তাঁর খিলাফাতকালে তাই করেছেন। আবূ বাক্‌রের পর ‘উমারও তাই করেছেন। কিন্ত পরে চার রাক‘আত আদায় করেছেন। সুতরাং, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার ইমামের পিছনে সলাত আদায় করলে চার রাক‘আত আদায় করতেন। কিন্ত যখন তিনি একাকী সলাত আদায় করতেন দু’ রাক‘আত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৬২, ই.সে ১৪৭১)

১৪৭৮
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَهُوَ الْقَطَّانُ ح وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.

’উবায়দুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪৬৩, ই.সে ১৪৭২)

১৪৭৯
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، سَمِعَ حَفْصَ بْنَ عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى صَلاَةَ الْمُسَافِرِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ ثَمَانِيَ سِنِينَ أَوْ قَالَ سِتَّ سِنِينَ ‏.‏ قَالَ حَفْصٌ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُصَلِّي بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَأْتِي فِرَاشَهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَىْ عَمِّ لَوْ صَلَّيْتَ بَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ لَوْ فَعَلْتُ لأَتْمَمْتُ الصَّلاَةَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের সময় মিনাতে অবস্থানকালে মুসাফিরের ন্যায় দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। অতঃপর আবূ বাক্‌র, ‘উমার এবং ‘উসমানও তাঁদের খিলাফাতকালে আট বছর অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহে) ছয় বছর যাবৎ তাই করেছেন। হাফস্‌ বর্ণনা করেছেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার মিনাতে অবস্থানকালে সলাত দু’ রাক‘আত আদায় করতেন এবং পরে তাঁর বিছানায় চলে আসলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, চাচা, আপনি আরও দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করলে ভাল হ’ত। তিনি বললেনঃ আমার যদি এরূপ করতে হ’ত তাহলে আমি ফরয সলাত পূর্নাঙ্গ করে (চার রাক‘আত) আদায় করতাম। (ই.ফা. ১৪৬৪, ই.সে ১৪৭৩)

১৪৮০
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَقُولاَ فِي الْحَدِيثِ بِمِنًى ‏.‏ وَلَكِنْ قَالاَ صَلَّى فِي السَّفَرِ ‏.

শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণিত। তবে তারা তাঁদের বর্ণিত হাদীসে মিনাতে অবস্থাকালে কথাটি উল্লেখ করেননি। বরং বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে এভাবে সলাত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ১৪৬৫, ই.সে ১৪৭৪)

১৪৮১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ صَلَّى بِنَا عُثْمَانُ بِمِنًى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فَقِيلَ ذَلِكَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ وَصَلَّيْتُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ وَصَلَّيْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ فَلَيْتَ حَظِّي مِنْ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ رَكْعَتَانِ مُتَقَبَّلَتَانِ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উসমান মিনাতে অবস্থানকালে আমাদের সাথে নিয়ে ফারয্‌ সলাত চার রাক‘আত আদায় করলেন। বিষয়টি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদকে অবহিত করা হলে তিনি ”ইন্না- লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলাই-হি র-জিঊন” পরলেন। পরে তিনি বললেনঃ আমি মিনাতে অবস্থানকালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছি। আবূ বাক্‌র সিদ্দীকের সাথেও দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছি। আমি মিনাতে অবস্থানকালে ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাবের সাথেও দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছি। চার রাক’আতের পরিবর্তে দু’ রাক‘আত সলাতই যদি আমার জন্য মাকবূল হ’ত তাহলে কতই না ভাল হ’ত। (ই.ফা. ১৪৬৬, ই. সে. ১৪৭৫)

১৪৮২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، وَابْنُ، خَشْرَمٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عِيسَى، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ ও আবূ কুরায়ব, ‘উসমান ইবনু আবূ শায়বাহ্, ইসহাক্ব ও ইবনু খশ্রাম (রহঃ) ….. সকলেই আ’মাশ থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪৬৭, ই.সে ১৪৭৬)

১৪৮৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ، قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى – آمَنَ مَا كَانَ النَّاسُ وَأَكْثَرَهُ – رَكْعَتَيْنِ ‏.

হারিসাহ্‌ ইবনু ওয়াহ্‌ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মিনাতে অবস্থানকালে আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছি। অথচ লোকজন নিরাপদ ও আতঙ্কহীন ছিল। (ই.ফা. ১৪৬৮,ই.সে ১৪৭৭)

১৪৮৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي حَارِثَةُ بْنُ وَهْبٍ الْخُزَاعِيُّ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى وَالنَّاسُ أَكْثَرُ مَا كَانُوا فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ حَارِثَةُ بْنُ وَهْبٍ الْخُزَاعِيُّ هُوَ أَخُو عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ لأُمِّهِ ‏.

হারিসাহ্‌ ইবনু ওয়াহ্‌ব আল খুযা‘ঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বিদায় হাজ্জের সময় মিনাতে অবস্থানকালে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে সলাত আদায় করেছি। তিনি তখন দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছিলেন। তখন তাঁর পিছনে বহু সংখ্যক লোক ছিল।

ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেনঃ হারিসাহ্‌ ইবনু ওয়াহ্‌ব খুযা‘ঈ ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাবের ভাই। তারা একই মায়ের গর্ভজাত সন্তান। (ই.ফা. ১৪৬৯, ই.সে ১৪৭৮)

৩. অধ্যায় :
বর্ষণমুখর দিনে গৃহে সলাত আদায়

১৪৮৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَذَّنَ بِالصَّلاَةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ فَقَالَ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ ذَاتُ مَطَرٍ يَقُولُ ‏ “‏ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ‏”‏ ‏.

নাফি ‘ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন ঝড় ও শীতের রাতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) সলাতে আযান দিলেন। আযানে তিনি বললেনঃ তোমরা যার যার বাড়ীতে সলাত আদায় করে নাও। পরে তিনি বললেন যে, শীতের রাত অথবা মেঘাচ্ছন্ন রাত হলে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয়ায্‌যিনকে এ কথা ঘোষণা করতে আদেশ দিতেনঃ ‘তোমরা বাড়ীতে সলাত আদায় কর।‘ (ই.ফা. ১৪৭০, ই.সে ১৪৭৯)

১৪৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ نَادَى بِالصَّلاَةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ وَمَطَرٍ فَقَالَ فِي آخِرِ نِدَائِهِ أَلاَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ أَوْ ذَاتُ مَطَرٍ فِي السَّفَرِ أَنْ يَقُولَ أَلاَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি শীত ও ঝড়-বৃষ্টি কবলিত এক রাতে সলাতের আযান দিলেন। তিনি তার আযানে শেষে উচ্চৈঃস্বরে বলেন, শোন! তোমরা নিজ নিজ অবস্থানস্থলে সলাত আদায় করে নাও। শোন! তোমরা নিজ নিজ অবস্থানস্থলে সলাত আদায় করে নাও। অতঃপর তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফররত অবস্থায় শীত বা বর্ষণমুখর রাতে মুয়ায্‌যিনকে নির্দেশ দিতেন, সে যেন বলে, শোন! তোমরা নিজ নিজ অবস্থানে সলাত আদায় করে নাও। (ই.ফা. ১৪৭১, ই.সে ১৪৭৯-ক)

১৪৮৭
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ نَادَى بِالصَّلاَةِ بِضَجْنَانَ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِهِ وَقَالَ أَلاَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ ‏.‏ وَلَمْ يُعِدْ ثَانِيَةً أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ‏.‏ مِنْ قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার তিনি ‘যজনান’ নামক স্থানে সলাতের আযান দিলেন। এ পর্যন্ত বর্ণনা করার পর তিনি উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। তবে এতটুকু কথা অধিক বর্ণনা করলেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার বললেনঃ তোমরা যার যার অবস্থান স্থলেই সলাত আদায় করে নাও। তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার-এর কথা, “তোমরা যার যার অবস্থান স্থলেই সলাত আদায় করে নাও” কথাটি দ্বিতীয়বার বললেন না। (ই.ফা. ১৪৭২, ই.সে. ১৪৮০)

১৪৮৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَمُطِرْنَا فَقَالَ ‏ “‏ لِيُصَلِّ مَنْ شَاءَ مِنْكُمْ فِي رَحْلِهِ ‏”‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এক সফরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সঙ্গী ছিলাম। ইতোমধ্যে বৃষ্টি হলে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কেউ চাইলে নিজের জায়গাতে অবস্থান করে সেখানেই সলাত আদায় করে নিতে পারো। (ই.ফা. ১৪৭৩, ই.সে. ১৪৮১)

১৪৮৯
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ، صَاحِبِ الزِّيَادِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ لِمُؤَذِّنِهِ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ إِذَا قُلْتَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَلاَ تَقُلْ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ قُلْ صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ – قَالَ – فَكَأَنَّ النَّاسَ اسْتَنْكَرُوا ذَاكَ فَقَالَ أَتَعْجَبُونَ مِنْ ذَا قَدْ فَعَلَ ذَا مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي إِنَّ الْجُمُعَةَ عَزْمَةٌ وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أُحْرِجَكُمْ فَتَمْشُوا فِي الطِّينِ وَالدَّحْضِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক বৃষ্টিঝরা দিনে তিনি মুয়াযযিনকে বললেনঃ আজকের আযানে যখন তুমি “আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লা-হ” বলে শেষ করবে তার পরে কিন্তু “হাইয়্যা ‘আলাস সলা-হ” বলবে না। বরং বলবে, “সল্লু ফী বুয়ূতিকুম” অর্থাৎ- তোমরা তোমাদের বাড়ীতেই সলাত আদায় করে নাও।

হাদীসের বর্ণনা কারী (‘আবদুল্লাহ ইবনু হারিস) বলেছেনঃ এরূপ করা লোকজন পছন্দ করল না বলে মনে হ’ল। তা দেখে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস বললেনঃ তোমরা এ কাজকে আজগুবি মনে করছ? অথচ যিনি আমার চেয়ে উত্তম তিনি এরূপ করেছেন। জুমু’আর সলাত আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু তোমরা কাদাযুক্ত পিচ্ছিল পথে কষ্ট করে চলবে তা আমি পছন্দ করিনি। (ই.ফা. ১৪৭৪, ই.সে. ১৪৮২)

১৪৯০
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ، قَالَ خَطَبَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ فِي يَوْمٍ ذِي رَدْغٍ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ وَلَمْ يَذْكُرِ الْجُمُعَةَ وَقَالَ قَدْ فَعَلَهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي ‏.‏ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، بِنَحْوِهِ ‏.

‘আবদুল হামীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু হারিস (রহঃ) – কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, এক বৃষ্টিঝরা দিনে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস আমাদের সামনে বক্তৃতা করলেন। এতটুকু বর্ণনা করে তিনি পূর্বোক্ত ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্‌ বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি জুম’আর দিনের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেন, যিনি আমার চেয়ে উত্তম অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন।

আবূ কামিল বলেছেনঃ হাম্মাদ ‘আসিম-এর মাধ্যমে ‘আবদুল্লাহ ইবনু হারিস থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৪৭৫, ই.সে. ১৪৮৩)

১৪৯১
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، – هُوَ الزَّهْرَانِيُّ – حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَعَاصِمٌ الأَحْوَلُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِهِ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.

আইয়ূব ও ‘আসিম আল-আহ্ওয়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি পূর্বোক্ত হাদীসের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৪৭৬, ই.সে. ১৪৮৪)

১৪৯২
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، صَاحِبُ الزِّيَادِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ، قَالَ أَذَّنَ مُؤَذِّنُ ابْنِ عَبَّاسٍ يَوْمَ جُمُعَةٍ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ وَقَالَ وَكَرِهْتُ أَنْ تَمْشُوا فِي الدَّحْضِ وَالزَّلَلِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক বৃষ্টিঝরা জুমু‘আর দিনে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস-এর (নিযুক্ত) মুয়াযযিন আযান দিলেন। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি ইবনু ‘উলাইয়্যাহ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বিষয়বস্তু বর্ণনা করলেন। তিনি (‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস) বললেনঃ তোমরা কর্দম্ময় ও পিচ্ছিল পথে চলবে তা আমার পছন্দ হয়নি। (ই.ফা. ১৪৭৭, ই.সে. ১৪৮৫)

১৪৯৩
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَمَرَ مُؤَذِّنَهُ – فِي حَدِيثِ مَعْمَرٍ – فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ وَذَكَرَ فِي حَدِيثِ مَعْمَرٍ فَعَلَهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي ‏.‏ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বৃষ্টিঝরা জুমু’আর দিনে তার (নিযুক্ত) মুয়ায্‌যিনকে আযান দেয়ার আদেশ দিলেন।

মা’মার-এর হাদীসে রয়েছে, বৃষ্টিঝরা জুমু’আর দিনে উক্ত বর্ণনাকারীর অনুরূপ এবং মা’মার-এর বর্ণিত হাদীসে এ কথাও আছে যে, যিনি আমার চেয়ে উত্তম অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন। (ই.ফা. ১৪৭৮, ই.সে. ১৪৮৬)

১৪৯৪
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، – قَالَ وُهَيْبٌ لَمْ يَسْمَعْهُ مِنْهُ – قَالَ أَمَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ مُؤَذِّنَهُ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস (রহঃ) এর মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বৃষ্টিঝরা জুমুআর দিনে তার (নিযুক্ত) মুয়াজ্জিনকে আযান দেয়ার আদেশ দিলেন। এভাবে তিনি অন্য বর্ণনাকারীদের অনুরূপ বর্ণনা করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৭৯, ইসলামীক সেন্টার ১৪৮৭)

৪. অধ্যায়ঃ
সফরে সওয়ারী জন্তুর উপর নাফ্‌ল সলাত আদায় বৈধ, তারটি মুখটি যেদিকে হোক না কেন

১৪৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي سُبْحَتَهُ حَيْثُمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ نَاقَتُهُ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সওয়ারীর মুখ যেদিকেই থাক না কেন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীর পিঠে বসে নাফ্‌ল সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৮০, ই.সে. ১৪৮৮)

১৪৯৬
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উটের মুখ যেদিকেই থাকুক না কেন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটের পিঠে বসেই নাফ্‌ল সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৮১, ই.সে. ১৪৮৯)

১৪৯৭
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَهُوَ مُقْبِلٌ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ كَانَ وَجْهُهُ – قَالَ – وَفِيهِ نَزَلَتْ ‏{‏ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ‏}

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা থেকে মাদীনায় আসার পথে যে দিকেই তাঁর মুখ হোক না কেন সওয়ারীতে বসে সলাত আদায় করতেন। এ ব্যাপারেই আয়াত (অর্থ) “তোমরা যেদিকেই মুখ ফিরাবে সেটিই আল্লাহ্‌র দিক” – (সূরাহ আল বাক্বারাহ ২ : ১১৫) অবতীর্ণ হয়। (ই.ফা. ১৪৮২, ই.সে. ১৪৯০)

১৪৯৮
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، وَابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مُبَارَكٍ وَابْنِ أَبِي زَائِدَةَ ثُمَّ تَلاَ ابْنُ عُمَرَ ‏{‏ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ‏}‏ وَقَالَ فِي هَذَا نَزَلَتْ ‏.

আবূ কুরায়ব, ইবনু নুমায়র (রহঃ) …… সকলে ‘আবদুল মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনুল মুবারাক ও ইবনু আবূ যায়িদাহ্ বর্ণিত হাদীসে এ কথা উল্লেখিত হয়েছে যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) “তোমরা যেদিকেই মুখ করনা কেন সবই আল্লাহ্‌র দিক” – (সূরাহ আল বাক্বারাহ ২ : ১১৫)। এ আয়াতটি তিলওয়াত করে বললেন, এ আয়াতটি এ ব্যাপারেই অবতীর্ণ হয়। (ই.ফা. ১৪৮৩, ই.সে. ১৪৯১)

১৪৯৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عَلَى حِمَارٍ وَهُوَ مُوَجِّهٌ إِلَى خَيْبَرَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি গাধার পিঠে আরোহণ করে খায়বারের দিকে মুখ করে সলাত আদায় করতে দেখেছি। (ই.ফা. ১৪৮৪, ই.সে. ১৪৯২)

১৫০০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ أَسِيرُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ بِطَرِيقِ مَكَّةَ – قَالَ سَعِيدٌ – فَلَمَّا خَشِيتُ الصُّبْحَ نَزَلْتُ فَأَوْتَرْتُ ثُمَّ أَدْرَكْتُهُ فَقَالَ لِي ابْنُ عُمَرَ أَيْنَ كُنْتَ فَقُلْتُ لَهُ خَشِيتُ الْفَجْرَ فَنَزَلْتُ فَأَوْتَرْتُ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَلَيْسَ لَكَ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُسْوَةٌ فَقُلْتُ بَلَى وَاللَّهِ ‏.‏ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ عَلَى الْبَعِيرِ ‏.

সা‘ঈদ ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমারের সাথে মাক্কার পথ ধরে চলছিলাম। ভোর হয়ে যাচ্ছে মনে করে একসময় সওয়ারী থেকে নেমে বিত্‌র এর সলাত আদায় করলাম এবং পড়ে তাঁর কাছে গিয়ে পৌছলাম। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনে ‘উমার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথায় ছিলে? আমি বললাম, ফাজ্‌রের সময় হয়ে যাচ্ছে দেখে সওয়ারী থেকে নেমে বিত্‌র এর সলাত আদায় করলাম। এ কথা শুনে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার বললেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবনে কি তোমার অনুসরণের জন্য উত্তম আদর্শ নেই। আমি বললাম, আল্লাহ্‌র শপথ! তা অবশ্যই আছে। তিনি বললেন, উটের পিঠে বসেই রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্‌র সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৮৫, ই.সে. ১৪৯৩)

১৫০১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ ذَلِكَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সওয়ারীর মুখ যেদিকেই থাক না কেন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সফরে) সওয়ারীর পিঠে সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৮৬, ই.সে. ১৪৯৪)

‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার বলেছেনঃ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমারও এরূপ করতেন। (অর্থাৎ সফরে তিনি সওয়ারীর পিঠে আরোহণরত অবস্থায় নাফ্‌ল সলাত আদায় করতেন। সওয়ারী কোন্‌ দিকে মুখ করে চলছে তাতে কোন দোষ আছে বলে মনে করতেন না।)

১৫০২
وَحَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীর উপর বসেই বিত্‌র সলাত আদায় করতেন। (ই. ফা. ১৪৮৭, ই. সে. ১৪৯৫)

১৫০৩
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَبِّحُ عَلَى الرَّاحِلَةِ قِبَلَ أَىِّ وَجْهٍ تَوَجَّهَ وَيُوتِرُ عَلَيْهَا غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يُصَلِّي عَلَيْهَا الْمَكْتُوبَةَ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সওয়ারী যে দিকেই মুখ করে চলুক না কেন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ারীর উপর বসে নাফ্‌ল সলাত আদায় করতেন এবং সওয়ারীর উপরেই বিত্‌র সলাত আদায় করতেন। তবে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ারীর উপর ফরয সলাত আদায় করতেন না। (ই.ফা. ১৪৮৮, ই.সে. ১৪৯৬)

১৫০৪
وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي السُّبْحَةَ بِاللَّيْلِ فِي السَّفَرِ عَلَى ظَهْرِ رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমির ইবনু রবী’আহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি সফররত অবস্থায় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রাতের বেলা নফল সলাত সওয়ারীর পিঠে বসে যেদিকে সওয়ারীর মুখ ছিল সেদিকে মুখ করে আদায় করতে দেখেছেন। (ই.ফা. ১৪৮৯, ই.সে. ১৪৯৭)

১৫০৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ، قَالَ تَلَقَّيْنَا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ حِينَ قَدِمَ الشَّامَ فَتَلَقَّيْنَاهُ بِعَيْنِ التَّمْرِ فَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي عَلَى حِمَارٍ وَوَجْهُهُ ذَلِكَ الْجَانِبَ – وَأَوْمَأَ هَمَّامٌ عَنْ يَسَارِ الْقِبْلَةِ – فَقُلْتُ لَهُ رَأَيْتُكَ تُصَلِّي لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ ‏.‏ قَالَ لَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُهُ لَمْ أَفْعَلْهُ ‏.

আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) যখন শাম (যা বর্তমানে সিরিয়া) থেকে (অথবা শামে) আসলেন, তখন আমরা তাঁর সাথে আইনুত্ তাম্‌র নামক স্থানে সাক্ষাৎ করলাম। তখন দেখলাম তিনি একটি গাধার পিঠে বসে ঐ দিকে মুখ করে সলাত আদায় করছেন। বর্ণনাকারী হুমাম ক্বিবলার বাম দিকে ইশারা করে দেখালেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, আমি আপনাকে ক্বিবলাহ্ ছাড়া অন্য দিকে মুখ করে সলাত আদায় করতে দেখলাম যে, তিনি বললেনঃ যদি আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এরূপ করতে না দেখতাম তাহলে আমিও এরূপ করতাম না। (ই.ফা. ১৪৯০, ই.সে. ১৪৯৮)

৫. অধ্যায়ঃ
সফরে দু’ ওয়াক্তের সলাত একত্রে (এক ওয়াক্তে) আদায় জায়িয

১৫০৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَجِلَ بِهِ السَّيْرُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন সফরে দ্রুত চলতে হলে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিব এবং ‘ইশার সলাত একসাথে আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৯১, ই.সে. ১৪৯৯)

১৫০৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بَعْدَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ وَيَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ ‏.

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন সফরে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) -কে দ্রুত পথ চলতে হলে সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশের লালিমা অদৃশ্য হওয়ার পর তিনি মাগরিব এবং ‘ইশার সলাত একত্র করে আদায় করতেন। এ ব্যাপারে তিনি বলতেনঃ সফরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যখন দ্রুত চলতে হ’ত তখন তিনি মাগরিব এবং ‘ইশার সলাত একসাথে আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৯২, ই.সে. ১৫০০)

১৫০৮
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ ‏.

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) -এর মাধ্যমে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার) বলেছেনঃ আমি দেখেছি সফরে দ্রুত পথ চলার প্রয়োজন হলে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিব এবং ‘ইশার সলাত একসাথে আদায় করে নিতেন। (ই.ফা. ১৪৯৩, ই.সে. ১৫০২)

১৫০৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ فِي السَّفَرِ يُؤَخِّرُ صَلاَةَ الْمَغْرِبِ حَتَّى يَجْمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি দেখেছি সফরে কখনো রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দ্রুত চলতে মাগরিব এবং ‘ইশার সলাত দেরী করে একসাথে আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৯৪, ই.সে. ১৫০৩)

১৫১০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، – يَعْنِي ابْنَ فَضَالَةَ – عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ارْتَحَلَ قَبْلَ أَنْ تَزِيغَ الشَّمْسُ أَخَّرَ الظُّهْرَ إِلَى وَقْتِ الْعَصْرِ ثُمَّ نَزَلَ فَجَمَعَ بَيْنَهُمَا فَإِنْ زَاغَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَرْتَحِلَ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَكِبَ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ার পূর্বেই যদি তিনি সফরে রওয়ানা হতেন তাহলে ‘আস্‌রের সলাতের সময় পর্যন্ত দেরী করতেন এবং তারপর কোথাও থেমে যুহর ও ‘আস্‌রের সলাত একসাথে আদায় করতেন। কিন্তু রওয়ানা হওয়ার পূর্বেই যদি সূর্য ঢলে পড়ত তাহলে তিনি যুহরের সলাত আদায় করে তারপর যাত্রা করতেন। (ই.ফা. ১৪৯৫, ই.সে. ১৫০৪)

১৫১১
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ الْمَدَايِنِيُّ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فِي السَّفَرِ أَخَّرَ الظُّهْرَ حَتَّى يَدْخُلَ أَوَّلُ وَقْتِ الْعَصْرِ ثُمَّ يَجْمَعُ بَيْنَهُمَا ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে থাকাকালীন দু’ওয়াক্ত সলাত একসাথে আদায় করতে মনস্থ করলে যুহর সলাত আদায় করতে বিলম্ব করতেন। পরে ‘আস্‌রের ওয়াক্ত শুরু হলে তিনি যুহর ও ‘আস্‌রের সলাত এক সাথে আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৯৬, ই.সে. ১৫০৫)

১৫১২
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَجِلَ عَلَيْهِ السَّفَرُ يُؤَخِّرُ الظُّهْرَ إِلَى أَوَّلِ وَقْتِ الْعَصْرِ فَيَجْمَعُ بَيْنَهُمَا وَيُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ حَتَّى يَجْمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعِشَاءِ حِينَ يَغِيبُ الشَّفَقُ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সফররত অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন তাড়াহুড়ো থাকলে ‘আস্রের সময় পর্যন্ত যুহরের সলাত আদায় করতে দেরী করতেন এবং ‘আস্রের প্রাথমিক সময়ে যুহর ও ‘আস্রের সলাত একসাথে আদায় করতেন। আর এ অবস্থায় তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের সলাত ও দেরী করে পশ্চিমাকাশে রক্তিম আভা অন্তর্হিত হওয়ার সময় মাগরিব ও ‘ইশার সলাত একসাথে আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৪৯৭, ই.সে. ১৫০৬)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]