সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা কোরআনের মর্যাদাসমূহ ও এতদসংশ্লিষ্ট বিষয় অধ্যায় হাদিস নং ১৭৮৪ – ১৮৩৫

১৬. অধ্যায়ঃ
কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর যথার্থতা

১৭৮৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ، حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَؤُهَا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْرَأَنِيهَا فَكِدْتُ أَنْ أَعْجَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَمْهَلْتُهُ حَتَّى انْصَرَفَ ثُمَّ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ فَجِئْتُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَأْتَنِيهَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَرْسِلْهُ اقْرَأْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَكَذَا أُنْزِلَتْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِيَ ‏”‏ اقْرَأْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَرَأْتُ فَقَالَ ‏”‏ هَكَذَا أُنْزِلَتْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ‏”‏ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদুল ক্বারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি যেভাবে সূরাহ্‌ আল ফুরক্বান তিলাওয়াত করি হিশাম ইবনু হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)-কে অন্যভাবে তিলাওয়াত করতে শুনলাম অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সূরাটি আমাকে এভাবে পড়িয়েছিলেন। তৎক্ষণাৎ আমি তাকে বাধা দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পরক্ষণেই আবার তাকে পড়ে শেষ করার অবকাশ দিলাম। তারপর তাকে গলায় চাদর জড়িয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে গিয়ে বললাম : হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাকে যেভাবে সূরাহ্‌ আল ফুরক্বান পড়তে শিখিয়েছিলেন এ লোকটি তার থেকে ভিন্ন রকম করে সূরাটি পড়তে শুনেছি। এ কথা শুনে তিনি বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও। তারপর তাকে লক্ষ্য করে বললেন- তুমি পড়। তখন সে আবার সেভাবে পড়ল যেভাবে আমি তাকে পড়তে শুনেছিলাম। তারপর পড়ার পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটি এভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমি পড়। সুতরাং আমি পড়লেও তিনি বললেনঃ এভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে যতটুকু যেভাবে তোমাদের কাছে সহজ সেভাবেই পড়। (ই.ফা. ১৭৬৯, ই.সে. ১৭৭৬)

১৭৮৫
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدٍ الْقَارِيَّ، أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا، سَمِعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمٍ، يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ وَزَادَ فَكِدْتُ أُسَاوِرُهُ فِي الصَّلاَةِ فَتَصَبَّرْتُ حَتَّى سَلَّمَ ‏.

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় হিশাম ইবনু হাকীম (ইবনু হিযাম)-কে সূরা আল ফুরক্বান পড়তে শুনেছি। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি পরের অংশটুকু পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করলেন। তবে এতে এতটুকু কথা অতিরিক্ত আছে, আমি তাকে সলাতের মধ্যেই বাধা দিতে যাচ্ছিলাম। অবশেষে সালাম ফিরানো পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করলাম। (ই.ফা. ১৭৭০, ই.সে. ১৭৭৭)

১৭৮৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، كَرِوَايَةِ يُونُسَ بِإِسْنَادِهِ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইউনুস (রহঃ) থেকে সানাদসহ হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৭৭১, ই.সে. ১৭৭৮)

১৭৮৭
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَقْرَأَنِي جِبْرِيلُ – عَلَيْهِ السَّلاَمُ – عَلَى حَرْفٍ فَرَاجَعْتُهُ فَلَمْ أَزَلْ أَسْتَزِيدُهُ فَيَزِيدُنِي حَتَّى انْتَهَى إِلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ بَلَغَنِي أَنَّ تِلْكَ السَّبْعَةَ الأَحْرُفَ إِنَّمَا هِيَ فِي الأَمْرِ الَّذِي يَكُونُ وَاحِدًا لاَ يَخْتَلِفُ فِي حَلاَلٍ وَلاَ حَرَامٍ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জিব্‌রীল (‘আঃ) আমাকে একটি রীতিতে কুরআন মাজীদ পড়ালে আমি তা পড়ে নিলাম। আমি তার কাছে অতিরিক্ত চাইলে তিনি অতিরিক্ত বা অন্য রীতিতে পড়ে শুনতাম। এভাবে তিনি সাত সাতটি রীতি বা আঞ্চলিক নিয়মে আমাকে কুরআন মাজীদ পড়ে শুনিয়েছেন।

ইবনু শিহাব বলেছেনঃ আমি এ মর্মে অবহিত হয়েছি যে, এ সাতটি পদ্ধতি, রীতি বা নিয়মে কুরআন মাজীদ পড়ার কারণে হালাল হারামের ব্যাপারে কোন পার্থক্য সৃষ্টি হয় না বরং তা একই থাকে। (ই.ফা. ১৭৭২, ই.সে. ১৭৭৯)

১৭৮৮
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৭৭৩, ই.সে. ১৭৮০)

১৭৮৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كُنْتُ فِي الْمَسْجِدِ فَدَخَلَ رَجُلٌ يُصَلِّي فَقَرَأَ قِرَاءَةً أَنْكَرْتُهَا عَلَيْهِ ثُمَّ دَخَلَ آخَرُ فَقَرَأَ قِرَاءَةً سِوَى قِرَاءَةِ صَاحِبِهِ فَلَمَّا قَضَيْنَا الصَّلاَةَ دَخَلْنَا جَمِيعًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنَّ هَذَا قَرَأَ قِرَاءَةً أَنْكَرْتُهَا عَلَيْهِ وَدَخَلَ آخَرُ فَقَرَأَ سِوَى قِرَاءَةِ صَاحِبِهِ فَأَمَرَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَءَا فَحَسَّنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَأْنَهُمَا فَسُقِطَ فِي نَفْسِي مِنَ التَّكْذِيبِ وَلاَ إِذْ كُنْتُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا قَدْ غَشِيَنِي ضَرَبَ فِي صَدْرِي فَفِضْتُ عَرَقًا وَكَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَرَقًا فَقَالَ لِي ‏”‏ يَا أُبَىُّ أُرْسِلَ إِلَىَّ أَنِ اقْرَإِ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفٍ فَرَدَدْتُ إِلَيْهِ أَنْ هَوِّنْ عَلَى أُمَّتِي فرد إلي الثالثة اقرأه على سبعة أحرف فلك بكل ردة رددتكها مسألة تسألنيها فقلت اللهم اغفر لأمتي اللهم اغفر لأمتي وأخرت الثالثة ليوم يرغب إلي الخلق كلهم حتى إبراهيم صلى الله عليه وسلم

উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাসজিদে থাকা অবস্থায় জনৈক ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করে সলাত শুরু করল। সে এমন পদ্ধতিতে ক্বিরাআত পড়ল যা আমার নিকট অভিনব মনে হ’ল। অতঃপর আরেক ব্যক্তি প্রবেশ করে আগের ব্যক্তি থেকে ভিন্নতর (পদ্ধতিতে) ক্বিরাআত পড়ল। আমরা সলাত শেষ করে সকলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রবেশ করলাম। আমি বললাম, এ ব্যক্তি এমন (পদ্ধতিতে) ক্বিরাআত পড়েছে যে, আমার নিকট অভিনব মনে হয়েছে। অতঃপর আরেকজন প্রবেশ করে তার পূর্ববর্তী জনের থেকে ভিন্নতর (পদ্ধতিতে) ক্বিরাআত পড়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের উভয়ের ক্বিরাআত সম্পর্কে উত্তম মন্তব্য করলেন। এতে আমার মনে মিথ্যা অবিশ্বাসের উদ্রেক হ’ল, এমনকি জাহিলী যুগেও এমন তীব্র অবিশ্বাসের উদ্রেক হয়নি। আমাকে যে চিন্তা আচ্ছন্ন করেছিল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে আমার বক্ষস্থলে আঘাত করলেন। এতে আমি ঘর্মাক্ত হয়ে পড়লাম। যেন আমি ভীত-বুহ্বল হয়ে মহামহিম আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে উবাই! আমার নিকট বার্তা পাঠানো হয়েছে যে, আমি যেন এক হরফে (উচ্চারণ পদ্ধতিতে) কুরআন পড়ি। আমি অনুরোধ করে বললাম, আমার উম্মতের প্রতি সহজসাধ্য করুন। আমাকে প্রত্যুত্তরে বলা হল, তা দু’ হরফে (পদ্ধতিতে) পড়ুন। আমি তাঁকে পুনরায় অনুরোধ করলাম যে, আমার উম্মতের প্রতি সহজসাধ্য করুন। তৃতীয়বারে আমাকে বলা হল, তা সাত হরফে (পদ্ধতিতে) পাঠ করুন এবং আমার এ সাতবারের প্রতিবার প্রত্যুত্তরের পরিবর্তে আপনার জন্য একটি করে কিছু আমার নিকট প্রার্থনা করতে পারেন (যা আমি কবুল করব)। আমি বললাম, হে আল্লাহ ! আমার উম্মাতকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ ! আমার উম্মাতকে ক্ষমা করুন। আর তৃতীয় প্রার্থনাটি আমি সেদিনের জন্য স্থগিত করে রেখেছি, যেদিন সমগ্র সৃষ্টি, এমনকি ইব্‌রাহীম (‘আঃ) পর্যন্ত আমার প্রতি আগ্রহান্বিত হবেন। (ই.ফা. ১৭৭৪, ই.সে. ১৭৮১)

১৭৯০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي، خَالِدٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، أَخْبَرَنِي أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَقَرَأَ قِرَاءَةً وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) অবহিত করেছেন যে, তিনি মাসজিদে উপবিষ্ট থাকাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি প্রবেশ করে সলাত আদায় করল। তিমি এমন এক পদ্ধতিতে ক্বিরাআত পড়লেন… বর্ণনাকারী সংক্ষেপে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৭৭৫, ই.সে. ১৭৮২)

১৭৯১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَ أَضَاةِ بَنِي غِفَارٍ – قَالَ – فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفَيْنِ فَقَالَ ‏”‏ أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى ثَلاَثَةِ أَحْرُفٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَهُ الرَّابِعَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَأَيُّمَا حَرْفٍ قَرَءُوا عَلَيْهِ فَقَدْ أَصَابُوا ‏.

উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গিফার গোত্রের জলাশয়ের (কূপের) নিকট ছিলেন। তখন জিব্‌রীল (‘আঃ) তাঁর নিকট এসে বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, আপনি আপনার উম্মাতকে এক হার্‌ফে (পদ্ধতিতে) কুরআন পড়ান। তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর নিকট তাঁর মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করি। নিশ্চয় আমার উম্মাত এতে সমর্থ হবে না। জিব্‌রীল (‘আঃ) তৃতীয়বার এসে বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, আপনি যেন আপনার উম্মাতকে তিন হার্‌ফে (পদ্ধতিতে) কুরআন পড়ান। তিনি বলেনঃ নিশ্চয় আমার উম্মাত এতে সমর্থ হবে না। আমি আল্লাহর নিকট তাঁর মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করি। জিব্‌রীল (আঃ) চতুর্থবার তাঁর নিকট এসে বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, আপনি যেন আপনার উম্মাতকে সাত হার্‌ফে (পদ্ধতিতে) কুরআন শিক্ষা দেন। তারা এর যে কোন একটি পদ্ধতিতে পাঠ করলে তা যথার্থ হবে। (ই.ফা. ১৭৭৬, ই.সে. ১৭৮৩)

১৭৯২
وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

শু’বাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ১৭৭৭, ই.সে. ১৭৮৪)

১৭. অধ্যায়ঃ
ধীরস্থিরতার সাথে ক্বিরাআত পড়া, অতি দ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং এক রাক’আতে দু’ বা ততোধিক সূরা সংযোজনের বৈধতা

১৭৯৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَيْفَ تَقْرَأُ هَذَا الْحَرْفَ أَلِفًا تَجِدُهُ أَمْ يَاءً مِنْ مَاءٍ غَيْرِ آسِنٍ أَوْ مِنْ مَاءٍ غَيْرِ يَاسِنٍ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَكُلَّ الْقُرْآنِ قَدْ أَحْصَيْتَ غَيْرَ هَذَا قَالَ إِنِّي لأَقْرَأُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّ أَقْوَامًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ وَلَكِنْ إِذَا وَقَعَ فِي الْقَلْبِ فَرَسَخَ فِيهِ نَفَعَ إِنَّ أَفْضَلَ الصَّلاَةِ الرُّكُوعُ وَالسُّجُودُ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ‏.‏ ثُمَّ قَامَ عَبْدُ اللَّهِ فَدَخَلَ عَلْقَمَةُ فِي إِثْرِهِ ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ قَدْ أَخْبَرَنِي بِهَا ‏.‏ قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَجِيلَةَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ وَلَمْ يَقُلْ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ ‏.

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাহীক ইবনু সিনান নামে কথিত জনৈক ব্যক্তি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর নিকট এসে বলেন, হে ‘আবদুর রহমানের পিতা। নিম্নোক্ত শব্দটি আপনি কিভাবে পড়েন, ‘আলিফ’ সহযোগে না ‘ইয়া’ সহযোগে, অর্থাৎ (আরবী) অথবা (আরবী) বর্ণনাকারী আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, এ শব্দটি ছাড়া তুমি কি কুরআনের সবটুকু আয়ত্ত করে ফেলেছ? সে বলল, আমি তো মুফাস্‌সাল (সূরাহ্‌সমূহ) এক রাক’আতেই পড়ি। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, দ্রুত গতিতে অর্থাৎ কবিতা পড়ার ন্যায় দ্রুত গতিতে? কোন কোন লোক কুরআন পড়ে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করে না। বরং (সুষ্ঠুভাবে পড়লে) তা যখন অন্তরে প্রবেশ করে তখন তা হৃদয়ে বদ্ধমূল হয় এবং উপকারে আসে। সলাতের মধ্যে রুকু’-সাজদাহ্‌ হল সর্বাধিক ফাযীলাতপূর্ণ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা আমি অবশ্যই জানি। তিনি প্রতি রাক’আতে দুটি সূরা মিলিয়ে পড়তেন। অতঃপর ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) উঠে দাঁড়ান, ‘আলক্বামাহ্‌ (রহঃ)ও তার পিছনে পিছনে প্রবেশ করেন। অতঃপর তিনি বের হয়ে এসে বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) এ সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেছেন। ইবনু নুমায়র-এর রিওয়ায়াতে আছেঃ বাজীলাহ্‌ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এলো। তার এ বর্ণনায় “নাহীক ইবনু সিনান” নাম উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৭৭৮, ই.সে. ১৭৮৫)

১৭৯৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ وَكِيعٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَجَاءَ عَلْقَمَةُ لِيَدْخُلَ عَلَيْهِ فَقُلْنَا لَهُ سَلْهُ عَنِ النَّظَائِرِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ فَسَأَلَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ عِشْرُونَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ فِي تَأْلِيفِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাহীক ইবনু সিনান নামে কথিত জনৈক ব্যক্তি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এলো… (পূর্ববর্তী সানাদের) ওয়াকী’ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় আছেঃ ‘আলক্বামাহ্‌ (রহঃ) তার নিকট প্রবেশের জন্য এলেন। আমরা তাকে বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাক’আতে যে সূরা পড়তেন তার দৃষ্টান্ত সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করুন। তিনি তার নিকট প্রবেশ করে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর আমাদের নিকট বের হয়ে এসে বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর কুরআন সংকলনের বিশটি মুফাস্‌সাল সূরাহ্‌ (সূরাহ্‌ ক্বাফ থেকে পরবর্তী সূরাহ্‌ সমূহ)। (ই.ফা. ১৭৭৯, ই.সে. ১৭৮৬)

১৭৯৫
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا وَقَالَ إِنِّي لأَعْرِفُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ يَقْرَأُ بِهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اثْنَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ عِشْرِينَ سُورَةً فِي عَشْرِ رَكَعَاتٍ ‏.

আ’মাশ (রহঃ) একই সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত দু’জনের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এতে আরো আছে, আমি অবশ্যই সে দৃষ্টান্তগুলো জানি যা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করতেন। প্রতি রাক’আতে দুটি করে সূরা, এভাবে দশ রাক’আতে বিশটি সূরা। (ই.ফা. ১৭৮০, ই.সে. ১৭৮৭)

১৭৯৬
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الأَحْدَبُ، عَنْ أَبِي، وَائِلٍ قَالَ غَدَوْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ يَوْمًا بَعْدَ مَا صَلَّيْنَا الْغَدَاةَ فَسَلَّمْنَا بِالْبَابِ فَأَذِنَ لَنَا – قَالَ – فَمَكَثْنَا بِالْبَابِ هُنَيَّةً – قَالَ – فَخَرَجَتِ الْجَارِيَةُ فَقَالَتْ أَلاَ تَدْخُلُونَ فَدَخَلْنَا فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ يُسَبِّحُ فَقَالَ مَا مَنَعَكُمْ أَنْ تَدْخُلُوا وَقَدْ أُذِنَ لَكُمْ فَقُلْنَا لاَ إِلاَّ أَنَّا ظَنَنَّا أَنَّ بَعْضَ أَهْلِ الْبَيْتِ نَائِمٌ ‏.‏ قَالَ ظَنَنْتُمْ بِآلِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ غَفْلَةً قَالَ ثُمَّ أَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ فَقَالَ يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ قَالَ فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ لَمْ تَطْلُعْ فَأَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى إِذَا ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ قَالَ يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ قَدْ طَلَعَتْ ‏.‏ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَقَالَنَا يَوْمَنَا هَذَا – فَقَالَ مَهْدِيٌّ وَأَحْسِبُهُ قَالَ – وَلَمْ يُهْلِكْنَا بِذُنُوبِنَا – قَالَ – فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ الْبَارِحَةَ كُلَّهُ – قَالَ – فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّا لَقَدْ سَمِعْنَا الْقَرَائِنَ وَإِنِّي لأَحْفَظُ الْقَرَائِنَ الَّتِي كَانَ يَقْرَؤُهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ مِنَ الْمُفَصَّلِ وَسُورَتَيْنِ مِنْ آلِ حم

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা ফাজ্‌রের সলাত আদায় করার পর ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। আমরা দরজার নিকট এসে সালাম করলে তিনি আমাদেরকে (ভিতরে প্রবেশের) অনুমতি দিলেন। আমরা কিছুক্ষণ দরজায় থেমে থাকলাম। তখন বাঁদী বের হয়ে এসে বলল, আপনারা প্রবেশ করছেন না কেন? আমরা ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম তিনি তাসবীহ্‌ পড়ছেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, অনুমতি দেয়ার পরও তোমাদের প্রবেশে কী বাধা ছিল? আমরা বললাম না, তেমন কোন বাধা ছিল না, তবে আমরা ভাবলাম, হয়ত ঘরের মধ্যে কে ঘুমিয়ে আছে। তিনি বললেন, তুমি উম্মু ‘আব্‌দের পুত্রের পরিবার সম্পর্কে অলসতার ধারণা করলে। বর্ণনাকারী বললেন, অতঃপর তিনি তাসবীহ পাঠে রত হলেন, শেষে যখন ভাবলেন যে, সূর্য উদিত হয়েছে তখন বললেন, হে বাঁদী দেখ, সূর্য উদিত হল কি না? বর্ণনাকারী বলেন, সে তাকিয়ে দেখল সূর্য উদিত হয়নি। তিনি আবার তাসবীহ্‌ পাঠে রত হলেন। শেষে তিনি যখন ভাবলেন, সূর্য উদিত হয়েছে তখন বললেন, হে বাঁদী ! দেখ তো সূর্য উদিত হয়েছে কি না? সে তাকিয়ে দেখল যে, সূর্য উদিত হয়েছে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি এ দিনটি আমাকে ফেরত দিয়েছেন , অধস্তন বর্ণনাকারী মাহদী বলেন, আমার মনে হয় তিনি এও বলেছেনঃ “এবং আমাদের অপরাধের কারণে আমাদের ধ্বংস করেননি।” বর্ণনাকারী বলেন, উপস্থিত লোকদের একজন বলল, গত রাতে আমি (সলাতে) মুফাস্‌সাল সূরা সম্পূর্ণটা পড়েছি। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, কবিতা পাঠের মত দ্রুত আমরা অবশ্যই কুরআনের সূরাসমূহের পাঠ শুনেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেসব সূরাহ্‌ (সলাতে) পড়তেন আমি সেসব সূরা মুখস্ত করে রেখেছিঃ মুফাস্‌সাল সূরাহ্‌সমূহ থেকে আঠারো সূরাহ্‌ এবং হা-মীম গ্রুপের দুটি সূরা।। (ই.ফা. ১৭৮১, ই.সে. ১৭৮৮)

১৭৯৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَجِيلَةَ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنِّي أَقْرَأُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ لَقَدْ عَلِمْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهِنَّ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ ‏.

শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বাজীলাহ্ গোত্রের নাহীক ইবনু সিনান নামীয় জনৈক ব্যক্তি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমি এক রাক’আতেই মুফাস্সাল সূরাহ্ পড়ে থাকি। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, কবিতা আবৃত্তির মতো দ্রুত গতিতে সলাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেসব সূরাহ্ পড়তেন তার দৃষ্টান্তসমূহ আমার জানা আছে। তিনি প্রতি রাক’আতে দু’টি সূরাহ্ পড়তেন। (ই.ফা, ১৭৮২.ই.সে. ১৭৮৯)

১৭৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ اللَّيْلَةَ كُلَّهُ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ – قَالَ – فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ سُورَتَيْنِ سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ‏.

‘আম্‌র ইবনু মুর্‌রাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ ওয়ায়িল (রহঃ)-কে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি ইবনু মাস ‘উদ (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমি আজ রাতে সমস্ত মুফাস্সাল সূরাহ্ সলাতের এক রাক’আতেই পড়েছি। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, কবিতা আবৃত্তির ন্যায় দ্রুত গতিতে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আরো বলেন, আমি অবশ্যই সেসব দৃষ্টান্ত অবহিত আছি, যেসব সূরাহ্ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একত্রে মিলিয়ে পড়তেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি মুফাস্সাল সূরাহ্‌গুলো থেকে বিশটি সূরার উল্লেখ করলেন, যার দু ‘টি করে সূরাহ্ প্রতি রাক ‘আতে পড়া হ’ত। (ই.ফা, ১৭৮৩.ই.সে. ১৭৯০)

১৮. অধ্যায়ঃ
ক্বিরাআত সম্পর্কিত

১৭৯৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً سَأَلَ الأَسْوَدَ بْنَ يَزِيدَ وَهُوَ يُعَلِّمُ الْقُرْآنَ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ كَيْفَ تَقْرَأُ هَذِهِ الآيَةَ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ أَدَالاً أَمْ ذَالاً قَالَ بَلْ دَالاً سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مُدَّكِرٍ ‏”‏ ‏.‏ دَالاً ‏.

আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) মাসজিদের মধ্যে কুরআন শিক্ষাদানরত অবস্হায় আমি জনৈক ব্যক্তিকে তার নিকট জিজ্ঞেস করতে দেখলাম যে, সে বলল, আপনি (আরবী) আয়াত কিভাবে পড়েন-(আরবী) শব্দে ‘দাল’ হার্‌ফ সহযোগে অথবা (আরবী) ‘যাল’ হার্ফ সহযোগে? তিনি বলেন, বরং (আরবী) ‘দাল’ সহযোগে। (ই.ফা, ১৭৮৪.ই.সে. ১৭৯১) (আরবী)

১৮০০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ هَذَا الْحَرْفَ ‏ “‏ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আরবী) শব্দ পাঠ করতেন। (ই.ফা, ১৭৮৫.ই.সে. ১৭৯২)

১৮০১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَدِمْنَا الشَّامَ فَأَتَانَا أَبُو الدَّرْدَاءِ فَقَالَ أَفِيكُمْ أَحَدٌ يَقْرَأُ عَلَى قِرَاءَةِ عَبْدِ اللَّهِ فَقُلْتُ نَعَمْ أَنَا ‏.‏ قَالَ فَكَيْفَ سَمِعْتَ عَبْدَ اللَّهِ يَقْرَأُ هَذِهِ الآيَةَ ‏{‏ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى‏}‏ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ ‏{‏ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى * وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى‏}‏ ‏.‏ قَالَ وَأَنَا وَاللَّهِ هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا وَلَكِنْ هَؤُلاَءِ يُرِيدُونَ أَنْ أَقْرَأَ وَمَا خَلَقَ ‏.‏ فَلاَ أُتَابِعُهُمْ ‏.

‘আলক্বামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা সিরিয়ায় পৌছলাম, আবুদ্ দারদা (রাঃ) আমাদের কাছে আগমন করলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর ক্বিরাআত পড়ে? আমি বললাম, হ্যাঁ আমি। তিনি বলেন, তুমি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে এ আয়াত (আরবী) কীভাবে পড়তে শুনেছ? তিনি বললেন, আমি তাকে উক্ত আয়াত এভাবে পড়তে শুনেছি : (আরবী)। আবুদ্ দারদা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ ! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আয়াতটি এভাবে পড়তে শুনেছি। কিন্তু এরা চায়, আমি যেন (আরবী) সহযোগে পড়ি। আমি তাদের অনুসরণ করব না। (ই.ফা, ১৭৮৬.ই.সে. ১৭৯৩)

১৮০২
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَتَى عَلْقَمَةُ الشَّامَ فَدَخَلَ مَسْجِدًا فَصَلَّى فِيهِ ثُمَّ قَامَ إِلَى حَلْقَةٍ فَجَلَسَ فِيهَا – قَالَ – فَجَاءَ رَجُلٌ فَعَرَفْتُ فِيهِ تَحَوُّشَ الْقَوْمِ وَهَيْئَتَهُمْ ‏.‏ قَالَ فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِي ثُمَّ قَالَ أَتَحْفَظُ كَمَا كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقْرَأُ فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ ‏.

ইব্রাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলক্বামাহ্ (রহঃ) সিরিয়ায় এলেন। তিনি মাসজিদে প্রবেশ করে সলাত আদায় করলেন, অতঃপর উঠে দাড়িঁয়ে একটি পাঠচক্রে গিয়ে বসলেন। ‘আলক্বামাহ্ (রহঃ) বলেন , জনৈক ব্যক্তি এলে আমি লোকদের মধ্যে তার প্রতি সপ্রতিভ সঙ্কোচবোধ লক্ষ্য করলাম। তিনি আমার পাশে বসলেন, অতঃপর (আমাকে) বললেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) যেভাবে পড়তেন, তুমি কি সেভাবে সংরক্ষণ করেছ…পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।(ই.ফা, ১৭৮৭.ই.সে. ১৭৯৪)

১৮০৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي، هِنْدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ لَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَقَالَ لِي مِمَّنْ أَنْتَ قُلْتُ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ ‏.‏ قَالَ مِنْ أَيِّهِمْ قُلْتُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ قَالَ هَلْ تَقْرَأُ عَلَى قِرَاءَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَاقْرَأْ ‏{‏ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى‏}‏ قَالَ فَقَرَأْتُ ‏{‏ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى * وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى * وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى‏}‏ ‏.‏ قَالَ فَضَحِكَ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا ‏.

‘আলক্বামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবুদ্ দারদা (রাঃ)–এর সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি আমাকে বলেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? আমি বললাম, ইরাকবাসী। তিনি বলেন, কোন্ এলাকার? আমি বললাম, কুফা এলাকার, তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর ক্বিরাআত পড়তে পার? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তাহলে (আরবী) সূরাটি পড়। আমি পড়লাম (আরবী) তিনি বলেন, আবুদ্ দারদা (রাঃ) হেসে দিয়ে বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সূরাটি এভাবে পড়তে শুনেছি। (ই.ফা, ১৭৮৮.ই.সে. ১৭৯৫)

১৮০৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ أَتَيْتُ الشَّامَ فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ ‏.

‘আলক্বামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌঁছে আবুদ্ দারদা (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। …হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ১৭৮৯, ই.সে. ১৭৯৬)

১৯. অধ্যায়ঃ
যে সকল ওয়াক্তে সলাত আদায় করা নিষেধ

১৮০৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَعَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসরের সলাতের পর থেকে সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের সলাতের পর থেকে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সলাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। [৩৯] (ই.ফা, ১৭৯০.ই.সে. ১৭৯৭)






[৩৯] এ সময়ে ফার্যের ক্বাযা আদায় করা যাবে এ মর্মে ‘উলামাদের ঐকমত্য রয়েছে। কারণগত সলাত যেমন তাহ্ইয়্যাতুল মাসজিদ, তিলাওয়াতের সাজদাহ্ ও শুক্রের সাজদাহ্, চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের সলাত, জানাযাহ্ আদায় করার ব্যাপারে আবূ হানীফা (রহঃ) বিপরীত মত পোষণ করলেও অধিকাংশ উলামাগণ এ সময়ে এ সকল সলাত আদায়ের পক্ষে জোরালো মত পোষণ করেছেন। আর ছুটে যাওয়া ফাজ্রের সুন্নাতও আদায় করা যাবে যেমনটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-যুহরের পরের দু’ রাক‘আত সুন্নাত ‘আসরের পরে আদায় করেছিলেন-যার স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। (মুসলিম শারহে নাবাবী-১ম খণ্ড ২৭৫ পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৮০৬
وَحَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، جَمِيعًا عَنْ هُشَيْمٍ، – قَالَ دَاوُدُ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، – أَخْبَرَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ غَيْرَ، وَاحِدٍ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَكَانَ أَحَبَّهُمْ إِلَىَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর একাধিক সহাবীর নিকট শুনেছি, যাদের মধ্যে আমার প্রিয়তম ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)- ও অন্তর্ভুক্ত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-আসরের সলাতের পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সলাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা, ১৭৯১.ই.সে. ১৭৯৮)

১৮০৭
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ، الْمِسْمَعِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ، بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ سَعِيدٍ وَهِشَامٍ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَشْرُقَ الشَّمْسُ ‏.

যুহায়র ইবনু হারব, আবূ গাস্সান মিসমা‘ঈ, ইসহাক্ব ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ)…সকলে ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে সা‘ঈদ ও হিশাম (রাঃ)- এর বর্ণনায় আছে : ‘ফজরের সলাতের পর সূর্য আলোকজ্জ্বল না হওয়া পর্যন্ত। ’ (ই.ফা, ১৭৯২.ই.সে. ১৭৯৯) (আরবী)

১৮০৮
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ اللَّيْثِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ‏”‏ ‏.

আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেছেনঃ আসরের সলাতের পর থেকে সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত কোন সলাত নেই এবং ফজরের সলাতের পর থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত। (ই.ফা, ১৭৯৩.ই.সে. ১৮০০)

১৮০৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَتَحَرَّى أَحَدُكُمْ فَيُصَلِّي عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَلاَ عِنْدَ غُرُوبِهَا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কেউ যেন সূর্যোদয়কালে এবং সূর্যাস্তের সময় সলাত আদায় করার সঙ্কল্প না করে। (ই.ফা. ১৭৯৪, ই.সে. ১৮০১)

১৮১০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَحَرَّوْا بِصَلاَتِكُمْ طُلُوعَ الشَّمْسِ وَلاَ غُرُوبَهَا فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بِقَرْنَىْ شَيْطَانٍ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় তোমাদের সলাতের সঙ্কল্প করো না। কারণ সূর্য শাইত্বনের দু ‘শিং –এর মাঝখান দিয়ে উদিত হয়। [৪০] (ই.ফা, ১৭৯৫.ই.সে. ১৮০২)






[৪০] “দু’ শিং” অর্থ হ’ল মাথার দু’ প্রান্ত। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকালে শাইত্বন তার মাথা সূর্যের নিকটবর্তী করে দেয় যাতে সূর্য ও মূর্তি পূজারী কাফিরদের সাজদাহ্গুলো শাইত্বনের জন্যে হয়। (মুসলিম শারহে নাবাবী-১ম খণ্ড ২৭৫ পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

১৮১১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي وَابْنُ، بِشْرٍ قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا بَدَا حَاجِبُ الشَّمْسِ فَأَخِّرُوا الصَّلاَةَ حَتَّى تَبْرُزَ وَإِذَا غَابَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَأَخِّرُوا الصَّلاَةَ حَتَّى تَغِيبَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সূর্যের কিনারা যখন প্রকাশিত হয় তখন সম্পূর্ণ প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সলাত বিলম্বিত কর। আবার সূর্যের কিনারা যখন অদৃশ্য হয়ে যায় তখন সম্পূর্ণ অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত তোমরা সলাত বিলম্বিত কর। (ই.ফা, ১৭৯৬.ই.সে. ১৮০৩)

১৮১২
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ بِالْمُخَمَّصِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا فَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَهَا حَتَّى يَطْلُعَ الشَّاهِدُ ‏”‏ ‏.‏ وَالشَّاهِدُ النَّجْمُ ‏.

আবূ বাস্‌রাহ্‌ আল গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখাম্মাস নামক স্হানে আমাদের নিয়ে আসরের সলাত আদায় করলেন। তিনি বললেনঃ এ সলাত তোমাদের পূর্ববর্তীদের নিকট পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা এ সলাত ধ্বংস করে দিল। যে ব্যক্তি এ সলাতের প্রতি যত্নবান হবে তাকে দ্বিগুণ সাওয়াব দেয়া হবে। এ সলাতের পর শাহিদ অর্থাৎ তারকা উদিত না হওয়া পর্যন্ত কোন সলাত নেই। (ই.ফা, ১৭৯৭.ই.সে. ১৮০৪)

১৮১৩
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ السَّبَائِيِّ، – وَكَانَ ثِقَةً – عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

আবূ বাস্‌রাহ্‌ আল গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে আসরের সলাত আদায় করলেন ….পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা, ১৭৯৮.ই.সে. ১৮০৫)

১৮১৪
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ ‏.

‘উলাইয়্যি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ‘উক্ববাহ্ ইবনু ‘আমির আল জুহানী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনটি সময়ে আমাদেরকে সলাত আদায় করতে এবং আমাদের মৃতদেরকে দাফন করতে নিষেধ করেছেন : (১)সূর্য যখন আলোকোদ্ভাসিত হয়ে উদয় হতে থাকে তখন থেকে তা পরিস্কারভাবে উপরে উঠা পর্যন্ত, (২) সূর্য যখন ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় থেকে হেলে যাওয়া পর্যন্ত, (৩) সূর্য ক্ষীণ আলোক হওয়া থেকে তা সম্পুর্ণ অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। (ই.ফা. ১৭৯৯, ই.সে. ১৮০৬)

২০. অধ্যায়ঃ
‘আমর ইবনু ‘আবাসাহ্ (রাযিঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ

১৮১৫
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو عَمَّارٍ، وَيَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، – قَالَ عِكْرِمَةُ وَلَقِيَ شَدَّادٌ أَبَا أُمَامَةَ وَوَاثِلَةَ وَصَحِبَ أَنَسًا إِلَى الشَّامِ وَأَثْنَى عَلَيْهِ فَضْلاً وَخَيْرًا – عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ قَالَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ السُّلَمِيُّ كُنْتُ وَأَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَظُنُّ أَنَّ النَّاسَ عَلَى ضَلاَلَةٍ وَأَنَّهُمْ لَيْسُوا عَلَى شَىْءٍ وَهُمْ يَعْبُدُونَ الأَوْثَانَ فَسَمِعْتُ بِرَجُلٍ بِمَكَّةَ يُخْبِرُ أَخْبَارًا فَقَعَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي فَقَدِمْتُ عَلَيْهِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَخْفِيًا جُرَءَاءُ عَلَيْهِ قَوْمُهُ فَتَلَطَّفْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ بِمَكَّةَ فَقُلْتُ لَهُ مَا أَنْتَ قَالَ ‏”‏ أَنَا نَبِيٌّ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ وَمَا نَبِيٌّ قَالَ ‏”‏ أَرْسَلَنِي اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ وَبِأَىِّ شَىْءٍ أَرْسَلَكَ قَالَ ‏”‏ أَرْسَلَنِي بِصِلَةِ الأَرْحَامِ وَكَسْرِ الأَوْثَانِ وَأَنْ يُوَحَّدَ اللَّهُ لاَ يُشْرَكُ بِهِ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ فَمَنْ مَعَكَ عَلَى هَذَا قَالَ ‏”‏ حُرٌّ وَعَبْدٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَمَعَهُ يَوْمَئِذٍ أَبُو بَكْرٍ وَبِلاَلٌ مِمَّنْ آمَنَ بِهِ ‏.‏ فَقُلْتُ إِنِّي مُتَّبِعُكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ يَوْمَكَ هَذَا أَلاَ تَرَى حَالِي وَحَالَ النَّاسِ وَلَكِنِ ارْجِعْ إِلَى أَهْلِكَ فَإِذَا سَمِعْتَ بِي قَدْ ظَهَرْتُ فَأْتِنِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَذَهَبْتُ إِلَى أَهْلِي وَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَكُنْتُ فِي أَهْلِي فَجَعَلْتُ أَتَخَبَّرُ الأَخْبَارَ وَأَسْأَلُ النَّاسَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ حَتَّى قَدِمَ عَلَىَّ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ يَثْرِبَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَقُلْتُ مَا فَعَلَ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَقَالُوا النَّاسُ إِلَيْهِ سِرَاعٌ وَقَدْ أَرَادَ قَوْمُهُ قَتْلَهُ فَلَمْ يَسْتَطِيعُوا ذَلِكَ ‏.‏ فَقَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنِي قَالَ ‏”‏ نَعَمْ أَنْتَ الَّذِي لَقِيتَنِي بِمَكَّةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ بَلَى ‏.‏ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَمَّا عَلَّمَكَ اللَّهُ وَأَجْهَلُهُ ‏.‏ أَخْبِرْنِي عَنِ الصَّلاَةِ قَالَ ‏”‏ صَلِّ صَلاَةَ الصُّبْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ حِينَ تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى يَسْتَقِلَّ الظِّلُّ بِالرُّمْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّ حِينَئِذٍ تُسْجَرُ جَهَنَّمُ فَإِذَا أَقْبَلَ الْفَىْءُ فَصَلِّ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَالْوُضُوءُ حَدِّثْنِي عَنْهُ قَالَ ‏”‏ مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيهِ وَخَيَاشِيمِهِ ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِي هُوَ لَهُ أَهْلٌ وَفَرَّغَ قَلْبَهُ لِلَّهِ إِلاَّ انْصَرَفَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ‏”‏ ‏.‏ فَحَدَّثَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَبَا أُمَامَةَ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ أَبُو أُمَامَةَ يَا عَمْرَو بْنَ عَبَسَةَ انْظُرْ مَا تَقُولُ فِي مَقَامٍ وَاحِدٍ يُعْطَى هَذَا الرَّجُلُ فَقَالَ عَمْرٌو يَا أَبَا أُمَامَةَ لَقَدْ كَبِرَتْ سِنِّي وَرَقَّ عَظْمِي وَاقْتَرَبَ أَجَلِي وَمَا بِي حَاجَةٌ أَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ وَلاَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا – حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مَرَّاتٍ – مَا حَدَّثْتُ بِهِ أَبَدًا وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏

সমস্যা? রিপোর্ট করুন!

‘ইকরামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

শাদ্দাদ (রহঃ), আবূ উমামাহ্ ও ওয়াসিলাহ্ (রাঃ)–এর সাক্ষাৎ লাভ করেছে এবং সিরিয়ায় আনাস (রাঃ)-এর সাহচর্য লাভ করেছে এবং তার উচ্ছসিত প্রশংসা ও গুণগান করেছে। আবূ উসামাহ্ (রাঃ) বলেন, ‘আম্‌র ইবনু আবাসাহ্ আস্ সুলামী (রাঃ) বলেছেন, আমি জাহিলী যুগে ধারণা করতাম যে, সব লোকই পথভ্রষ্ট ও তাদের কোন ধর্ম নেই। তারা দেব-দেবীর পূজা করত। এ অবস্হায় আমি শুনতে পেলাম যে, মাক্কায় জনৈক ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয় বর্ণনা করেছেন। আমি আমার বাহনে উপবিষ্ট হয়ে তাঁর নিকট এসে পৌঁছে দেখলাম যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেকে জনসমাগম থেকে সরিয়ে রাখেন, তাঁর সম্প্রদায় তাঁকে অত্যাচার-নির্যাতন করে। আমি কৌশলে মাক্কায় তাঁর নিকট প্রবেশ করলাম।

আমি তাঁকে বললাম, আপনি কে? তিনি বলেনঃ আমি একজন নবী : আমি বললাম, নবী কি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি বললাম, তিনি আপনাকে কোন্ জিনিস দিয়ে পাঠিয়েছেন? তিনি বলেন, তিনি আমাকে আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখতে, মূর্তিসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে, আল্লাহ এক ব‘লে –ঘোষণা করতে এবং তাঁর সাথে কোন কিছু শারীক না করতে পাঠিয়েছেন। আমি তাঁকে বললাম, এ ব্যাপারে আপনার সাথে কারা আছে? তিনি বলেনঃ স্বাধীন ও দাসেরা। বর্ণনাকারী বলেন, সেকালে তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর ওপর ঈমান আনয়নকারী আবূ বকর (রাঃ), বিলাল (রাঃ) প্রমুখ। আমি বললাম, আমিও আপনার অনুসারী হতে চাই। তিনি বলেনঃ বর্তমান পরিস্হিতিতে তুমি তাতে সক্ষম হবে না। তুমি কি আমার অবস্হা এবং (ঈমান আনয়নকারী) অন্যদের অবস্হা দেখছ না? বরং তুমি তোমার পরিবারে ফিরে যাও, যখন তুমি শুনতে পাবে যে, আমি বিজয়ী হয়েছি তখন আমার নিকট এসো। বর্ণনাকারী বলেন, তাই আমি আমার পরিবারে ফিরে এলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় আগমন করলেন, আমি তখন আমার পরিবারের সাথে ছিলাম। তিনি মাদীনায় আসার পর থেকে আমি খবরাখবর নিতে থাকলাম এবং লোকজনের নিকট জিজ্ঞেস করতে থাকলাম। শেষে আমার নিকট ইয়াস্রিব- এর একদল লোক অর্থাৎ একদল মাদীনাহ্বাসী এলে আমি জিজ্ঞেস করলাম, যে ব্যক্তি মাদীনায় এসেছেন তিনি কি করেন? তারা বলেন, লোকজন অতি দ্রুত তাঁর অনুসারী হচ্ছে, অথচ তাঁর জাতি তাঁকে হত্যা করতে বদ্ধ পরিকর, কিন্তু তারা তাতে সক্ষম হয়নি।

অতএব, আমি মাদীনায় এসে তাঁর নিকট প্রবেশ করলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তুমি তো মাক্কায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম : হ্যাঁ। আমি আরো বললাম, হে আল্লাহর নবী! আল্লাহ আপনাকে যা শিখিয়েছেন এবং যে সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ অজ্ঞ তা আমাকে শিক্ষা দিন , আমাকে সলাত সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ ফজরের সলাত আদায় কর, অতঃপর সূর্য উদিত হয়ে উপরে না ওঠা পর্যন্ত সলাত থেকে বিরত থাক। কারণ সূর্য উদিত হওয়ার সময় শাইত্বনের দু ‘শিং–এর মাঝখান দিয়ে উদিত হয় এবং তখন কাফিররা সূর্যকে সাজদাহ্ করে। অতঃপর তীরের ছায়া তার সমান না হওয়া পর্যন্ত তুমি সলাত আদায় কর, কারণ এ সলাতে মালায়িকাহ্ উপস্হিত হন। অতঃপর সলাত থেকে বিরত থাক, কারণ তখন জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়। অতঃপর সূর্য যখন ঢলে যায় তখন থেকে সলাত আদায় কর, এবং আসরের সলাত আদায় করা পর্যন্ত মালাকগণ (ফেরেশতামন্ডলী) উপস্হিত থাকেন। অতঃপর সূর্য অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত সলাত থেকে বিরত থাক। কারণ তা শাইত্বনের দু ‘শিং–এর মাঝখান দিয়ে অস্ত যায় এবং তখন কাফিররা সূর্যকে সাজদাহ্ করে।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী ! ওযূ সম্পর্কে আমাকে বলুন। তিনি বলেনঃ তোমাদের যে কোন ব্যক্তির নিকট ওযুর পানি পেশ করা হলে সে যেন কুলি করে, নাকে পানি দিয়ে তা পরিস্কার করে, এতে তার মূখমন্ডলের ও নাক গহবরের সমস্ত পাপ ঝরে যায়। অতঃপর যখন সে আল্লাহর নির্দেশ মতো মূখমন্ডল ধৌত করে, তখন পানির সাথে তার মূখমন্ডল থেকে, এমনকি দাড়ির আশপাশের সমস্ত পাপ ঝরে যায়। অতঃপর তার দু ‘হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়ার সাথে সাথে তার আঙ্গুলসমূহ থেকে পানির সাথে গুনাহসমূহ ঝরে যায়। অতঃপর সে যখন তার পদদ্বয় ধৌত করে তখন তার আঙ্গুলসমূহ দিয়ে তার পাপসমূহ ঝরে যায়। অতঃপর সে যদি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে, তাঁর যথাযোগ্য মর্যাদা বর্ণনা করে এবং আল্লাহর জন্য নিজের অন্তরকে পৃথক করে নেয় তাহলে সে তার জন্মদিনের মতো গুনাহমুক্ত হয়ে যায়।

‘আম্‌র ইবনু ‘আবাসাহ্ (রাঃ) এ হাদীসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহচর আবূ উমামাহ্ (রাঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি তাকে বলেন, হে ‘আম্‌র ইবনু ‘আবাসাহ্! লক্ষ্য করুন আপনি বলেছেন, এক স্হানেই লোকটিকে এত সাওয়াব দেয়া হবে! ‘আম্‌র (রাঃ) বলেন, হে আবূ উমামাহ্ ! আমি বার্ধক্যে পৌছে গেছি, আমার হাড়গোড় দূর্বল হয়ে গেছে এবং আমার মৃত্যু সন্নিকটে। এ অবস্হায় আল্লাহ ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি মিথ্যারোপে আমার কি ফায়দাহ্। আমি যদি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ হাদীস একবার, দু ‘বার, তিনবার, এমনকি সাতবার গুণতাম তাহলে কখনো তা বর্ণনা করতম না, কিন্তু এর অধিক সংখ্যক বার তাঁর নিকট শুনেছি। (ই.ফা, ১৮০০.ই.সে. ১৮০৭)

২১. অধ্যায়ঃ
সূর্যোদয় ও অস্তকালে সলাত আদায় না করা

১৮১৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ وَهِمَ عُمَرُ إِنَّمَا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُتَحَرَّى طُلُوعُ الشَّمْسِ وَغُرُوبُهَا ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উমার (রাঃ) ধারণা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকালে সলাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা, ১৮০১.ই.সে. ১৮০৮)

১৮১৭
وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لَمْ يَدَعْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ ‏.‏ قَالَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَتَحَرَّوْا طُلُوعَ الشَّمْسِ وَلاَ غُرُوبَهَا فَتُصَلُّوا عِنْدَ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আস্‌রের সলাতের পর দু’ রাক’আত (নাফ্‌ল) সলাত (আদায় করা) ত্যাগ করেননি। বর্ণনাকারী বলেন, ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) আরো বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপেক্ষায় থেক না যে, তখন সলাত আদায় করবে। (ই.ফা. ১৮০২, ই.সে. ১৮০৯)

২২. অধ্যায়ঃ
‘আস্‌র সলাতের পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পঠিত দু’ রাক’আত সলাত সম্পর্কে জ্ঞাতব্য

১৮১৮
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ، بْنَ أَزْهَرَ وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَقُلْ إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُمَا ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكُنْتُ أَصْرِفُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ النَّاسَ عَنْهَا ‏.‏ قَالَ كُرَيْبٌ فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا وَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي بِهِ ‏.‏ فَقَالَتْ سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ ‏.‏ فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ ‏.‏ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْهُمَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا أَمَّا حِينَ صَلاَّهُمَا فَإِنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَصَلاَّهُمَا فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ فَقُولِي لَهُ تَقُولُ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَسْمَعُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ – قَالَ – فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏ “‏ يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ بِالإِسْلاَمِ مِنْ قَوْمِهِمْ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ ‏”‏ ‏.

কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস, আবদুর রহমান ইবনু আযহার ও মিস্‌ওয়ার ইবনু মাখরামাহ্‌ (রাঃ) প্রমুখ তাকে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। তারা বললেন, তুমি তাকে [‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-কে] আমাদের পক্ষ থেকে সালাম জানাবে এবং ‘আস্‌রের সলাতের পর দু’ রাক’আত (নাফ্‌ল) সলাত আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে এবং বলবে যে, আমাদের অবহিত করা হয়েছে যে, আপনি সে দু’ রাক’আত আদায় করেন, অথচ আমরা জানতে পেরেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমিও ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর সাথে লোকজনকে এ সলাত থেকে বিরত রাখতাম। আবূ কুরায়ব (রাঃ) বলেন, তারা আমাকে যে বিষয়সহ পাঠিয়েছিলেন, আমি তাঁর ঘরে প্রবেশ করে তা তাকে পৌছে দিলাম। তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস কর। আমি বের হয়ে তাদের নিকট এসে ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর কথা তাদেরকে অবহিত করলাম। অতঃপর তারা আমাকে যে বিষয়সহ ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট পাঠিয়েছিলেন, সেই একই বিষয়সহ উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সে সলাত আদায় করতে নিষেধ করতে শুনেছি, তা সত্ত্বেও পরে আমি তাকে তা আদায় করতে দেখেছি। তিনি যখন এ সলাত আদায় করেছেন তার বিবরণ এই যে, তিনি ‘আস্‌রের সলাত আদায় করলেন, অতঃপর আমার নিকট প্রবেশ করলেন, তখন আনসার সম্প্রদায়ভুক্ত বানূ হারাম-এর কতক মহিলা আমার নিকট উপস্থিত ছিল। তিনি দু’ রাক’আত সলাত আদায় করলেন। আমি এক দাসীকে তাঁর নিকট পাঠিয়ে বললাম, তুমি গিয়ে তাঁর এক পাশে দাঁড়াবে, তারপর তাঁকে বলবে, উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেছেন, হে আল্লাহর রসূল ! এ দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতে আপনি নিষেধ করেছেন তা আমি শুনেছি, আর এখন দেখছি, আপনি তা আদায় করছেন। তিনি তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করলে সে তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে। বর্ণনাকারী বলেন, দাসী তাই করল। তিনি তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করলে সে তাঁর জন্য অপেক্ষায় থাকে। তিনি সলাত থেকে অবসর হয়ে বলেনঃ হে আবূ উমাইয়্যাহ্‌-এর কন্যা ! তুমি ‘আস্‌রের সলাতের পর দু’ রাক’আত সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছ। তার বিবরণ এই যে, ‘আবদুল ক্বায়স গোত্রের কতক লোক স্বগোত্রের পক্ষ থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের উদ্দেশে আমার নিকট আসে। (তাদের নিয়ে) ব্যস্ত থাকার কারণে আমি যুহরের সলাতের পরবর্তী দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতে পারিনি। এ হ’ল সে দু’ রাক’আত। (ই.ফা. ১৮০৩, ই.সে. ১৮১০)

১৮১৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ – قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنِ السَّجْدَتَيْنِ اللَّتَيْنِ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهِمَا بَعْدَ الْعَصْرِ فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّيهِمَا قَبْلَ الْعَصْرِ ثُمَّ إِنَّهُ شُغِلَ عَنْهُمَا أَوْ نَسِيَهُمَا فَصَلاَّهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ ثُمَّ أَثْبَتَهُمَا وَكَانَ إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَثْبَتَهَا ‏.‏ قَالَ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ قَالَ إِسْمَاعِيلُ تَعْنِي دَاوَمَ عَلَيْهَا ‏.

আবূ সালামাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আয়িশাহ্‌ (রাঃ)-কে দু’ রাক’আত সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন যা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আস্‌র সলাতের পর আদায় করেছিলেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আস্‌র সলাতের আগে ঐ দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতেন। অতঃপর ব্যস্ততার কারণে অথবা ভুলে গিয়ে তিনি তা আদায় করেননি। সে দু’ রাক’আতই তিনি ‘আস্‌র সলাতের পর আদায় করেছেন, অতঃপর তা নিয়মিত পড়তে থাকেন। তিনি কোন সলাত আদায় করলে তা নিয়মিত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৮০৪, ই.সে. ১৮১১)

১৮২০
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي جَمِيعًا، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ عِنْدِي قَطُّ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট (অবস্থানকালে) ‘আস্‌র সলাতের পরের দু’ রাক’আত কখনো ত্যাগ করেননি। (ই.ফা. ১৮০৫, ই.সে. ১৮১২)

১৮২১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الأَسْوَدِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ صَلاَتَانِ مَا تَرَكَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي قَطُّ سِرًّا وَلاَ عَلاَنِيَةً رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ঘরে অবস্থানকালে দু’টি সলাত প্রকাশ্যে বা গোপনে কখনো ত্যাগ করেননিঃ ফাজ্‌রের সলাতের পূর্বে দু’ রাক’আত এবং ‘আস্‌র সলাতের পর দু’ রাক’আত। (ই.ফা. ১৮০৬, ই.সে. ১৮১৩)

১৮২২
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، وَمَسْرُوقٍ، قَالاَ نَشْهَدُ عَلَى عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ مَا كَانَ يَوْمُهُ الَّذِي كَانَ يَكُونُ عِنْدِي إِلاَّ صَلاَّهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي ‏.‏ تَعْنِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ ‏.

আসওয়াদ ও মাসরূক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পালার দিন আমার ঘরে অবস্থানকালে ‘আস্র সলাতের পর দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৮০৭, ই.সে. ১৮১৪)

২৩. অধ্যায়ঃ
মাগরিবের (ফার্‌য) সলাতের পূর্বক্ষণে দু’ রাক’আত আদায় করা মুস্তাহাব

১৮২৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ فُضَيْلٍ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، – عَنْ مُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ التَّطَوُّعِ، بَعْدَ الْعَصْرِ فَقَالَ كَانَ عُمَرُ يَضْرِبُ الأَيْدِي عَلَى صَلاَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ وَكُنَّا نُصَلِّي عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ قَبْلَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَّهُمَا قَالَ كَانَ يَرَانَا نُصَلِّيهِمَا ‏.‏ فَلَمْ يَأْمُرْنَا وَلَمْ يَنْهَنَا

মুখতার ইবনু ফুলফুল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর নিকট ‘আস্‌র সলাতের পর দু’ রাক’আত সলাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) ‘আস্‌রের সলাতের পর সলাত আদায় করার অপরাধে লোকদের হাতে আঘাত করতেন। আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে সূর্যাস্তের পর মাগরিবের সলাতের পূর্বে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তা আদায় করতেন? তিনি বলেন, তিনি আমাদেরকে এ সলাত আদায় করতে দেখতেন, কিন্তু তিনি তা আদায় করতে আমাদের নির্দেশও দিতেন না এবং নিষেধও করতেন না। (ই.ফা. ১৮০৮, ই.সে. ১৮১৫)

১৮২৪
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، – وَهُوَ ابْنُ صُهَيْبٍ – عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنَّا بِالْمَدِينَةِ فَإِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ لِصَلاَةِ الْمَغْرِبِ ابْتَدَرُوا السَّوَارِيَ فَيَرْكَعُونَ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ حَتَّى إِنَّ الرَّجُلَ الْغَرِيبَ لَيَدْخُلُ الْمَسْجِدَ فَيَحْسِبُ أَنَّ الصَّلاَةَ قَدْ صُلِّيَتْ مِنْ كَثْرَةِ مَنْ يُصَلِّيهِمَا ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মাদীনায় ছিলাম। মুয়ায্‌যিন মাগরিবের সলাতের আযান দিলে তারা তাড়াহুড়া করে স্তম্ভের নিকট গিয়ে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করতেন। এমনকি কোন আগন্তুক মাসজিদে প্রবেশ করলে অধিক সংখ্যক সলাত আদায়কারীর কারণে মনে হ’ত যে, (ফারয্‌) সলাত শেষ হয়ে গেছে। (ই.ফা. ১৮০৯, ই.সে. ১৮১৬)

২৪. অধ্যায়ঃ
প্রত্যেক দু’আযানের (আযান ও ইক্বামাত) মাঝে রয়েছে সলাত

১৮২৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ الْمُزَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلاَةٌ – قَالَهَا ثَلاَثًا قَالَ فِي الثَّالِثَةِ – لِمَنْ شَاءَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্‌ফাল আল মুযানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতি দু’আযানের মাঝখানে সলাত আছে। তিনি কথাটি তিনবার বলেন। তৃতীয়বারে তিনি বলেনঃ যে তা আদায় করতে চায় তার জন্য। (ই.ফা. ১৮১০, ই.সে. ১৮১৭)

১৮২৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ فِي الرَّابِعَةِ ‏ “‏ لِمَنْ شَاءَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাযিঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি চতুর্থবারে বলেছেনঃ যার ইচ্ছা হয়। (ই.ফা. ১৮১১, ই.সে. ১৮১৮)

২৫. অধ্যায়ঃ
শঙ্কার (ভয়ের) সময় সলাত

১৮২৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةً وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى مُوَاجِهَةُ الْعَدُوِّ ثُمَّ انْصَرَفُوا وَقَامُوا فِي مَقَامِ أَصْحَابِهِمْ مُقْبِلِينَ عَلَى الْعَدُوِّ وَجَاءَ أُولَئِكَ ثُمَّ صَلَّى بِهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَضَى هَؤُلاَءِ رَكْعَةً وَهَؤُلاَءِ رَكْعَةً ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি দলের এক দলের সাথে এক রাক’আত সলাতুল খাওফ আদায় করেন, তখন অপর দলটি শত্রুবাহিনীর মুকাবিলায় রত ছিলেন। অতঃপর প্রথম দলটি দ্বিতীয় দলের স্থানে গিয়ে শত্রুর মুখোমুখি অবস্থান গ্রহন করে এবং শেষোক্ত দলটি আসলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সাথে এক রাক’আত সলাত আদায় করে সালাম ফিরান। অতঃপর উভয় দল পৃথক পৃথকভাবে এক রাক’আত করে সলাত আদায় করে। (ই.ফা. ১৮১২, ই.সে. ১৮১৯)

১৮২৮
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَوْفِ وَيَقُولُ صَلَّيْتُهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِهَذَا الْمَعْنَى ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতুল খাওফ সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এ সলাত আদায় করেছি ….. পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক। (ই.ফা. ১৮১৩, ই.সে. ১৮২০)

১৮২৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ، عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ فَقَامَتْ طَائِفَةٌ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ بِإِزَاءِ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبُوا وَجَاءَ الآخَرُونَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ قَضَتِ الطَّائِفَتَانِ رَكْعَةً رَكْعَةً – قَالَ – وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ فَإِذَا كَانَ خَوْفٌ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَصَلِّ رَاكِبًا أَوْ قَائِمًا تُومِئُ إِيمَاءً ‏.

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক যুদ্ধে সলাতুল খাওফ (শঙ্কাকালীন সলাত) আদায় করলেন। সামরিক বাহিনীর একাংশ তাঁর সাথে সলাতে দাঁড়াল এবং অপরাংশ শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থানে ছিল। তিনি তাঁর সঙ্গের দলটিকে নিয়ে এক রাক’আত সলাত আদায় করলেন। অতঃপর তারা চলে গেল এবং অপর দলটি আসার পর তিনি তাদের নিয়ে আর এক রাক’আত সলাত আদায় করলেন। অতঃপর উভয় দল স্বতন্ত্রভাবে এক রাক’আত করে সলাত আদায় করে নিল। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, ভয়-ভীতি বা বিপদাশঙ্কা অধিক বৃদ্ধি পেলে আরোহী অবস্থায় বা দাঁড়ানো অবস্থায় ইশারায় সলাত আদায় করবে। (ই.ফা. ১৮১৪, ই.সে. ১৮২১)

১৮৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَصَفَّنَا صَفَّيْنِ صَفٌّ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْعَدُوُّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا جَمِيعًا ثُمَّ رَكَعَ وَرَكَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَرَفَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَقَامَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ فِي نَحْرِ الْعَدُوِّ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السُّجُودَ وَقَامَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ انْحَدَرَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ بِالسُّجُودِ وَقَامُوا ثُمَّ تَقَدَّمَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ وَتَأَخَّرَ الصَّفُّ الْمُقَدَّمُ ثُمَّ رَكَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَرَفَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ الَّذِي كَانَ مُؤَخَّرًا فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى وَقَامَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ فِي نُحُورِ الْعَدُوِّ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السُّجُودَ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ انْحَدَرَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ بِالسُّجُودِ فَسَجَدُوا ثُمَّ سَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَسَلَّمْنَا جَمِيعًا ‏.‏ قَالَ جَابِرٌ كَمَا يَصْنَعُ حَرَسُكُمْ هَؤُلاَءِ بِأُمَرَائِهِمْ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সলাতুল খাওফ আদায় করেছি। তিনি আমাদেরকে দু’ দলে বিভক্ত করলেন। একদল ছিল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে আর শত্রুবাহিনী ছিল আমাদের ও ক্বিবলার মাঝখানে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীরে তাহরীমা বললে আমরাও সকলে তাকবীরে তাহরীমা বললাম। তিনি রুকূ’ করলে আমরা সকলেই রুকূ’ করলাম অতঃপর তিনি রুকূ’ থেকে মাথা উঠালে আমরা সকলেই মাথা উঠালাম। অতঃপর তিনি সাজদায় গেলেন এবং তার নিকটস্থ কাতারের লোকজনও, আর খানিক দূরের কাতারটি শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাজদাহ্‌ সমাপ্ত করলেন এবং তাঁর নিকটস্থ কাতারও দাঁড়িয়ে গেল, তখন খানিক দূরের কাতারটি সাজাদায় গেল। আর এরা দাঁড়িয়ে থাকল। অতঃপর পিছনের দলটি সামনে আসল এবং সামনের দলটি পিছনে সরে গেল। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ’ করলে আমরাও সকলে রুকূ’ করলাম। অতঃপর তিনি রুকূ থেকে মাথা উঠালে আমরাও সকলে মাথা উঠালাম। অতঃপর তিনি সাজদায় গেলেন এবং তাঁর নিকটবর্তী দলটি যারা প্রথম রাক’আতে পিছনে ছিল, তারাও। আর খানিক দূরের দলটি শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকটবর্তী দলটিসহ সাজদাহ্‌ সমাপ্ত করার পর খানিক দূরের দলটি সাজদায় গেল। এবং এভাবে সলাত আদায় করল। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরালে আমরাও সালাম ফিরালাম। জাবির (রাঃ) বলেন, যেমন তোমাদের প্রহরীগণ তাদের আমীরগণকে পাহারা দেয়। (ই.ফা. ১৮১৫, ই.সে. ১৮২২)

১৮৩১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْمًا مِنْ جُهَيْنَةَ فَقَاتَلُونَا قِتَالاً شَدِيدًا فَلَمَّا صَلَّيْنَا الظُّهْرَ قَالَ الْمُشْرِكُونَ لَوْ مِلْنَا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً لاَقْتَطَعْنَاهُمْ ‏.‏ فَأَخْبَرَ جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – وَقَالُوا إِنَّهُ سَتَأْتِيهِمْ صَلاَةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنَ الأَوْلاَدِ فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ – قَالَ – صَفَّنَا صَفَّيْنِ وَالْمُشْرِكُونَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ – قَالَ – فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا وَرَكَعَ فَرَكَعْنَا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ مَعَهُ الصَّفُّ الأَوَّلُ فَلَمَّا قَامُوا سَجَدَ الصَّفُّ الثَّانِي ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الأَوَّلُ وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الثَّانِي فَقَامُوا مَقَامَ الأَوَّلِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا وَرَكَعَ فَرَكَعْنَا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ مَعَهُ الصَّفُّ الأَوَّلُ وَقَامَ الثَّانِي فَلَمَّا سَجَدَ سَجَدَ الصَّفُّ الثَّانِي ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا سَلَّمَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ ثُمَّ خَصَّ جَابِرٌ أَنْ قَالَ كَمَا يُصَلِّي أُمَرَاؤُكُمْ هَؤُلاَءِ ‏.

জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে জুহায়নাহ্‌ গোত্রের একদল লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলাম। তারা আমাদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হ’ল। আমরা যখন যুহরের সলাত আদায় করলাম তখন মুশরিকরা বলল, আমরা যদি একযোগে আক্রমন করতাম তাহলে মুসলিমদেরকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারতাম। জিব্‌রীল (‘আঃ) বিষয়টি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অবহিত করলে তিনিও আমাদের অবহিত করেন। তিনি বলেনঃ মুশরিকরা আরো বলেছে যে, মুসলিমদের নিকট শীঘ্রই এমন একটি সলাতের ওয়াক্ত উপস্থিত হচ্ছে যা তাদের নিকট তাদের সন্তানের চেয়েও অধিক প্রিয়। অতঃপর বর্ণনাকারী বলেন, ‘আস্‌র সলাতের ওয়াক্ত উপস্থিত হলে তিনি আমাদের দু’ কাতারে বিভক্ত করেন। আর মুশরিকরা আমাদের ও ক্বিবলার মধ্যখানে অবস্থানরত ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীরে তাহরীমাহ্‌ বললে আমরাও তাকবীর বললাম এবং তিনি রুকূ’ করলে আমরাও রুকূ’ করলাম। অতঃপর তিনি সাজদাহ্‌ করলে প্রথম কাতারটি সাজদায় গেল। অতঃপর তারা যখন দাঁড়াল তখন দ্বিতীয় কাতারটি সাজদায় গেল। অতঃপর প্রথম কাতার পিছনে সরে গেল এবং পিছনের কাতার সামনে এগিয়ে এসে প্রথম কাতারের স্থানে দাঁড়াল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর দিলে আমরাও তাকবীর দিলাম এবং তিনি রুকূ’ করলে আমরাও রুকূ’ করলাম। অতঃপর প্রথম কাতার তাঁর সাথে সাজদায় গেল এবং দ্বিতীয় কাতার দাঁড়িয়ে থাকল। দ্বিতীয় কাতার সাজদাহ্‌ করার পর সকলে বসে গেল এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরিয়ে সলাত শেষ করলেন। আবুয্‌ যুবায়র (রহঃ) বলেন, এরপর জাবির (রাঃ) বিশেষভাবে বলেন, যেমন তোমাদের বর্তমান কালের শাসকগণ সলাত আদায় করেন। (ই.ফা. ১৮১৬, ই.সে. ১৮২৩)

১৮৩২
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ، الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِأَصْحَابِهِ فِي الْخَوْفِ فَصَفَّهُمْ خَلْفَهُ صَفَّيْنِ فَصَلَّى بِالَّذِينَ يَلُونَهُ رَكْعَةً ثُمَّ قَامَ فَلَمْ يَزَلْ قَائِمًا حَتَّى صَلَّى الَّذِينَ خَلْفَهُمْ رَكْعَةً ثُمَّ تَقَدَّمُوا وَتَأَخَّرَ الَّذِينَ كَانُوا قُدَّامَهُمْ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ قَعَدَ حَتَّى صَلَّى الَّذِينَ تَخَلَّفُوا رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ ‏.

সাহ্‌ল ইবনু আবূ হাসমাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহচরদের নিয়ে সলাতুল খাওফ আদায়ের উদ্দেশে তাদেরকে তাঁর পিছনে দু’ কাতারে কাতারবন্দী করেন। তাঁর নিকটবর্তী কাতারের সাথে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাক’আত সলাত আদায় করলেন, অতঃপর দাঁড়ালেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে থাকলেন যতক্ষণ যাবৎ না তাঁর পিছনের কাতার এক রাক’আত সলাত আদায় করল, অতঃপর সামনে এগিয়ে আসল এবং তাঁর নিকটবর্তী দল পেছনে সরে গেল। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এদের নিয়ে আরেক রাক’আত সলাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে থাকলেন যতক্ষণ যাবৎ না পিছনে সরে যাওয়া কাতার এক রাক’আত সলাত আদায় করল। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরান। (ই.ফা. ১৮১৭, ই.সে. ১৮২৪)

১৮৩৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ صَالِحِ، بْنِ خَوَّاتٍ عَمَّنْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلاَةَ الْخَوْفِ أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ وِجَاهَ الْعَدُوِّ ‏.‏ فَصَلَّى بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ ‏.‏ ثُمَّ انْصَرَفُوا فَصَفُّوا وِجَاهَ الْعَدُوِّ وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمُ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ ‏.

সালিহ ইবনু খাও্‌ওয়াত (রহঃ) ‘যাতুর্‌ রিক্বা’ যুদ্ধে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সলাতুল খাওফ আদায়কারী এক সহাবীর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

একটি দল কাতারবন্দী হয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সলাত আদায় করল এবং অপর দল শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত থাকল। তাঁর সাথের দলটিকে নিয়ে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাক’আত সলাত আদায় করলেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং তারা নিজস্বভাবে আরেক রাক’আত আদায় করল। অতঃপর তারা সরে গিয়ে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াল। অতঃপর পরবর্তী দলটি এগিয়ে আসলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে নিয়ে অবশিষ্ট এক রাক’আত সলাত আদায় করলেন, অতঃপর বসে থাকলেন এবং তারা নিজস্বভাবে আরো এক রাক’আত আদায় করল। (ই.ফা. ১৮১৮, ই.সে. ১৮২৫)

১৮৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كُنَّا بِذَاتِ الرِّقَاعِ قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا عَلَى شَجَرَةٍ ظَلِيلَةٍ تَرَكْنَاهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَسَيْفُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعَلَّقٌ بِشَجَرَةٍ فَأَخَذَ سَيْفَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَرَطَهُ فَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَخَافُنِي قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي قَالَ ‏”‏ اللَّهُ يَمْنَعُنِي مِنْكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَتَهَدَّدَهُ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَغْمَدَ السَّيْفَ وَعَلَّقَهُ – قَالَ – فَنُودِيَ بِالصَّلاَةِ فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ تَأَخَّرُوا وَصَلَّى بِالطَّائِفَةِ الأُخْرَى رَكْعَتَيْنِ قَالَ فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ وَلِلْقَوْمِ رَكْعَتَانِ ‏.

জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে রওয়ানা হয়ে ‘যাতুর্‌ রিক্বা’ নামক স্থানে পৌছে গেলাম। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা কোন ছায়াদার গাছের নিকট পৌছলে তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য (বিশ্রামের) ছেড়ে দিতাম। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তরবারিখানা একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত থাকা অবস্থায় এক মুশরিক ব্যক্তি এসে তাঁর তরবারিখানা হস্তগত করে তা কোষমুক্ত করল। অতঃপর সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, তুমি কি আমাকে ভয় কর? তিনি বলেনঃ না। সে বলল, কে তোমাকে আমার (আক্রমনের) থেকে রক্ষা করবে? তিনি বলেনঃ আল্লাহ আমাকে তোমার থেকে রক্ষা করবে। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ লোকটিকে হুমকি দিলে সে তরবারিখানা খাপের মধ্যে ঢুকিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখল। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর সলাতের জন্য আযান দেয়া হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক দলের সাথে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করলেন। অতঃপর এ দলটি পিছনে সরে গেল এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপর দলের সাথে আরো দু’ রাক’আত সলাত আদায় করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হ’ল চার রাক’আত এবং লোকদের হল দু’ রাক’আত। (ই.ফা. ১৮১৯, ই.সে. ১৮২৬)

১৮৩৫
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ حَسَّانَ – حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – وَهُوَ ابْنُ سَلاَّمٍ – أَخْبَرَنِي يَحْيَى، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ جَابِرًا، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ صَلَّى بِالطَّائِفَةِ الأُخْرَى رَكْعَتَيْنِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَصَلَّى بِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ‏.

জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সলাতুল খাওফ আদায় করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ দলের একটির সাথে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করলেন, অতঃপর অপর দলের সাথে দু’ রাক’আত আদায় করলেন। অতএব, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদায় করলেন চার রাক’আত এবং অন্য সকলে আদায় করলেন দু’ রাক’আত। (ই.ফা. ১৮২০, ই.সে. ১৮২৭)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]