সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি ক্রয় বিক্রয় অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৩৬৯৩ – ৩৭৬৬


১. অধ্যায়ঃ
মুলামাসাহ্‌ [৭] ও মুনাবাযাহ্‌ [৮] শ্রেণীর ক্রয়-বিক্রয় বাতিল

[৭] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ মুলামাসাহ্‌ হলো এমনতর বেচাকেনা যে, বিক্রেতা ক্রেতাকে বলবে তুমি এটা স্পর্শ করলেই তা তোমার হাতে কেনা সাব্যস্ত হয়ে যাবে। অথবা তুমি স্পর্শ করলে তোমরা কেনাকাটার ইচ্ছা স্বাধীনতা থাকবে না ইত্যাদি।

[৮] মুনাবাযাহ্‌ হলো ক্রেতা কোন দ্রব্য সামগ্রীর উপর কাপড় বা কংকর নিক্ষেপ করলেই তা ক্রয় বলে সাব্যস্ত হয়ে যাবে। তাতে ক্রেতার আর ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা থাকবেনা। (সহীহ মুসলিম-শারহে নাবাবী, ২য় খন্ড, ২ পৃঃ)

৩৬৯৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ، حَبَّانَ عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُلاَمَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুলামাসাহ্‌ ও মুনাবাযাহ্‌ শ্রেণীর ক্রয়-বিক্রয় বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৫৯, ই.সে. ৩৬৫৯)

৩৬৯৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৬৬০, ই.সে. ৩৬৬০)

৩৬৯৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদিল্লাহ ইবনু নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৬৬১, ই.সে. ৩৬৬১)

৩৬৯৬
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلِ، بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৬৬২, ই.সে. ৩৬৬২)

৩৬৯৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو، بْنُ دِينَارٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ مِينَاءَ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ نُهِيَ عَنْ بَيْعَتَيْنِ، الْمُلاَمَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ ‏.‏ أَمَّا الْمُلاَمَسَةُ فَأَنْ يَلْمِسَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا ثَوْبَ صَاحِبِهِ بِغَيْرِ تَأَمُّلٍ وَالْمُنَابَذَةُ أَنْ يَنْبِذَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا ثَوْبَهُ إِلَى الآخَرِ وَلَمْ يَنْظُرْ وَاحِدٌ مِنْهُمَا إِلَى ثَوْبِ صَاحِبِهِ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুলামাসাহ্ ও মুনাবাযাহ্ এ দু’প্রকার কেনা-বেচা নিষেধ করেছেন। মুলামাসাহ্’ অর্থ চিন্তা-ভাবনা না করেই ক্রেতা ও বিক্রেতা পরস্পরের কাপড় স্পর্শ করা। আর ‘মুনাবাযাহ্’ অর্থ (ক্রেতা ও বিক্রেতা) উভয়ে একে অন্যের প্রতি কাপড় ছুঁড়ে দেয়া এবং একজন আরেকজনের কাপড়ের দিকে খেয়াল না করা। (ই.ফা ৩৬৬৩, ই.সে. ৩৬৬৩)

৩৬৯৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ – قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، الْخُدْرِيَّ قَالَ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعَتَيْنِ وَلِبْسَتَيْنِ نَهَى عَنِ الْمُلاَمَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ فِي الْبَيْعِ ‏.‏ وَالْمُلاَمَسَةُ لَمْسُ الرَّجُلِ ثَوْبَ الآخَرِ بِيَدِهِ بِاللَّيْلِ أَوْ بِالنَّهَارِ وَلاَ يَقْلِبُهُ إِلاَّ بِذَلِكَ وَالْمُنَابَذَةُ أَنْ يَنْبِذَ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ بِثَوْبِهِ وَيَنْبِذَ الآخَرُ إِلَيْهِ ثَوْبَهُ وَيَكُونُ ذَلِكَ بَيْعَهُمَا مِنْ غَيْرِ نَظَرٍ وَلاَ تَرَاضٍ ‏.‏

আবূ সাঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দু’প্রকার কেনা-বেচা করতে ও দু’প্রকার বস্ত্র পরিধান করতে বারণ করেছেন। ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে তিনি ‘মুলামাসাহ্’ ও ‘মুনাবাযাহ্’ বারণ করেছেন। ‘মুলামাসাহ্’ হল (ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে) রাতে হোক কিংবা দিনে হোক একজন অপরজনের কাপড় হাতে স্পর্শ করবে। এরূপ করা ছাড়া (মাল) উল্টিয়ে-পাল্টিয়ে দেখা হয় না। আর ‘মুনাবাযাহ’ হল, পরস্পরের প্রতি কাপড় ছুঁড়ে মারবে এবং এরূপ করলেই উত্তমরূপে দেখে শুনে সম্মতি ছাড়াই উভয়ের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়ে যেত। (ই.ফা. ৩৬৬৪, ই.সে. ৩৬৬৪)

৩৬৯৯
وَحَدَّثَنِيهِ عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

আমর আন্ নাকিদ (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে একই সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

আমর আন্ নাকিদ (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে একই সূত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৬৬৫, ই.সে. ৩৬৬৫)

২. অধ্যায়:
পাথরের টুকরা নিক্ষেপের দ্বারা ক্রয়-বিক্রয় ও ধোঁকাপূর্ণ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ

৩৭০০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الْحَصَاةِ وَعَنْ بَيْعِ الْغَرَرِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: পাথরের টুকরা নিক্ষেপের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় ও ধোঁকাপূর্ণ ক্রয়-বিক্রয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৬৬, ই.সে. ৩৬৬৬)

৩. অধ্যায়:
হাবালুল হাবালাহ্ ক্রয়-বিক্রয় হারাম

৩৭০১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ بَيْعِ حَبَلِ الْحَبَلَةِ ‏.‏

ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া, মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ ও কুতাইবাহ্ ইবনু সা`ঈদ (রহ:) আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি “হাবালুর হাবালা” শর্তে কেনা-বেচা নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৬৭, ই.সে. ৩৬৬৭)

৩৭০২
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَتَبَايَعُونَ لَحْمَ الْجَزُورِ إِلَى حَبَلِ الْحَبَلَةِ ‏.‏ وَحَبَلُ الْحَبَلَةِ أَنْ تُنْتَجَ النَّاقَةُ ثُمَّ تَحْمِلَ الَّتِي نُتِجَتْ فَنَهَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: জাহিলী যুগের লোকেরা ‘হাবালুর হাবালাহ্’ শর্তে উটের গোশত কেনা-বেচা করত। “হাবালুল হাবালাহ” হল উটনীর বাচ্চা হবে, তারপর ঐ বাচ্চা গর্ভধারন করলে মূল্য পরিশোধ করা হবে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন। (ই.ফা.৩৬৬৮, ই.সে. ৩৬৬৮)

৪. অধ্যায়ঃ
কোন ভাইয়ের কেনা-বেচার সময় তার মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্য বলা, কেউ কোন বস্তু কেনার জন্য দরাদরি করছে তার উপরে দরাদরি করা, ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়াই মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দাম বলা এবং বেশী দেখানোর জন্যে ওলানে দুধ জমা করা হারাম

৩৭০৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে একে অপরের দামের উপর দাম বাড়িয়ে যেন কোন বস্তু ক্রয় না করে। (ই.ফা. ৩৬৬৯, ই.সে. ৩৬৬৯)

৩৭০৪
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلاَ يَخْطُبْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ إِلاَّ أَنْ يَأْذَنَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ কোন লোক যেন তার ভাইয়ের ক্রয় করার সময় তার উপর বেশী মূল্য বলে ক্রয় না করে এবং কেউ যেন তার অপর ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপরে তার অনুমতি ছাড়া প্রস্তাব না পাঠায়। (ই.ফা. ৩৬৭০, ই.সে. ৩৬৭০)

৩৭০৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَسُمِ الْمُسْلِمُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “কোন মুসলিম যেন অন্য মুসলিমের মূল্যের উপর মূল্য না বলে।” (ই.ফা. ৩৬৭১, ই.সে. ৩৬৭১)

৩৭০৬
وَحَدَّثَنِيهِ أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْعَلاَءِ، وَسُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، – وَهُوَ ابْنُ ثَابِتٍ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَسْتَامَ الرَّجُلُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ الدَّوْرَقِيِّ عَلَى سِيمَةِ أَخِيهِ ‏.‏

আহমদ ইবনু ইব্রাহীম দাওরাকী, মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না ও ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন ভাইয়ের দরদাম করার সময় কেউ যেন ঐ জিনিসের দরদাম না করে। দাওরাকীর রিওয়ায়াতে (আরবী) এর স্থলে (আরবী) বলা হয়েছে। (ই.ফা. ৩৬৭২ ই.সে. ৩৬৭২)

৩৭০৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُتَلَقَّى الرُّكْبَانُ لِبَيْعٍ وَلاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَلاَ تَنَاجَشُوا وَلاَ يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَلاَ تُصَرُّوا الإِبِلَ وَالْغَنَمَ فَمَنِ ابْتَاعَهَا بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ بَعْدَ أَنْ يَحْلُبَهَا فَإِنْ رَضِيَهَا أَمْسَكَهَا وَإِنْ سَخِطَهَا رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেনার উদ্দেশে কাফিলার সাথে আগেই গিয়ে সাক্ষাৎ করা যাবে না। তোমাদের কেউ যেন অপরের দাম বলার উপর দাম না বলে। কেনার উদ্দেশে ছাড়া মালের দাম বলে বৃদ্ধি করো না। শহরবাসী যেন পল্লীবাসী লোকের থেকে এগিয়ে গিয়ে দ্রব্য নিয়ে বিক্রি না করে। আর উট ও বকরীর ওলানে দুধ জমা করে না রাখে। এ অবস্থায় কেউ তা খরিদ করলে তার জন্য দু’পথের এক পথ অবলম্বনের অনুমতি রয়েছে- হয় সে তা রেখে দিবে, না হয় সে তা ফেরত দিবে এক সা’ খেজুরসহ। [৯] (ই.ফা. ৩৬৭৩, ই.সে. ৩৬৭৩)






[৯] এক সা’ খেজুরসহ ফেরত দেয়ার কারণ এই যে, যেহেতু ফেরত দেয়ার পূর্ব সময় পর্যন্ত ক্রেতা উক্ত জন্তুর দুধ দ্বারা উপকৃত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩৭০৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، – وَهُوَ ابْنُ ثَابِتٍ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ التَّلَقِّي لِلرُّكْبَانِ وَأَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَأَنْ تَسْأَلَ الْمَرْأَةُ طَلاَقَ أُخْتِهَا وَعَنِ النَّجْشِ وَالتَّصْرِيَةِ وَأَنْ يَسْتَامَ الرَّجُلُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন- পণ্য দ্রব্য নিয়ে আগমনকারীদের দিকে সামনে অগ্রসর হয়ে খরিদ করার উদ্দেশে সাক্ষাৎ করতে, শহুরে লোকদের এগিয়ে গিয়ে গ্রাম্য লোকদের থেকে পণ্য ক্রয় করতে, কোন সতীনকে তার অপর সতীনকে তালাক দিতে (স্বামীর কাছে) বলতে, মূল্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশে দাম বলতে, বিক্রয়ের পূর্বে দোহন না করে ওলানে দুধ জমা করে রাখতে এবং অপর ভাইয়ের দরদামের উপর দরদাম করতে। (ই.ফা. ৩৬৭৪,ই.সে. ৩৬৭৪)

৩৭০৯
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، ح وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ، بْنُ جَرِيرٍ ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالُوا، جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ فِي حَدِيثِ غُنْدَرٍ وَوَهْبٍ نُهِيَ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ مُعَاذٍ عَنْ شُعْبَةَ ‏.‏

আবু বাকর ইবনু নাফি’, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও আবদুল ওয়ারিস ইবনু ‘আবদুস সামাদ শু‘বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে গুনদার ও ওয়াহব- এর হাদীসে আছে, “নিষেধ করা হয়েছে।” আর ‘আবদুস সামাদের হাদীসে আছে-রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। যেমনটি আছে শু’বাহ থেকে মু‘আয বর্ণিত হাদীসে। (ই.ফা. ৩৬৭৫, ই.সে. ৩৬৭৫)

৩৭১০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ النَّجْشِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়া মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশে মূল্য বলতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৭৬, ই.সে. ৩৬৭৬)

৫. অধ্যায়ঃ
পণ্যদ্রব্য (বাজারে নিয়ে আসার আগেই) এগিয়ে গিয়ে ক্রয় করা হারাম

৩৭১১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ تُتَلَقَّى السِّلَعُ حَتَّى تَبْلُغَ الأَسْوَاقَ ‏.‏ وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ نُمَيْرٍ ‏.‏ وَقَالَ الآخَرَانِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ التَّلَقِّي ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

দ্রব্য বাজারে পৌঁছার আগেই এগিয়ে গিয়ে খরিদের জন্যে যেতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। এ হলো ইবনু নুমায়রের বর্ণনা। আর অপর দু’জন বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনে এগিয়ে গিয়ে পণ্য বহনকারী কাফিলার সাথে সাক্ষাৎ করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৭৭, ই.সে. ৩৬৭৭)

৩৭১২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) হতে ইবনু নুমায়রের বর্ণনার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৭৮, ই.সে. ৩৬৭৮)

৩৭১৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُبَارَكٍ، عَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي، عُثْمَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ تَلَقِّي الْبُيُوعِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি পণ্যদ্রব্য আসার পথে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে ক্রয় করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৭৯, ই.সে. ৩৬৭৯)

৩৭১৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُتَلَقَّى الْجَلَبُ ‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পণ্য বহনকারীদের সাথে অগ্রগামী হয়ে সাক্ষাৎ করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৮০, ই.সে. ৩৬৮০)

৩৭১৫
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي هِشَامٌ، الْقُرْدُوسِيُّ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَلَقَّوُا الْجَلَبَ ‏.‏ فَمَنْ تَلَقَّاهُ فَاشْتَرَى مِنْهُ فَإِذَا أَتَى سَيِّدُهُ السُّوقَ فَهُوَ بِالْخِيَارِ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এগিয়ে গিয়ে পণ্যবাহী কাফিলার সাথে মিলিত হয়ো না। যদি কেউ এরূপ করে এবং তার থেকে কোন বস্তু ক্রয় করে নেয় তবে বিক্রেতা বাজারে পৌঁছার পর বিক্রয় বহাল রাখা বা বাতিল করার ব্যাপারে ইখতিয়ার পাবে। (ই.ফা. ৩৬৮১, ই.সে. ৩৬৮১)

৬. অধ্যায়ঃ
শহরবাসী লোকের জন্যে পল্লীবাসীর দালাল হয়ে বিক্রি করা হারাম

৩৭১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ زُهَيْرٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى أَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ ‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন শহরবাসী পল্লীবাসীর পক্ষ হয়ে বিক্রি করবে না।

আর যুহায়র বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন শহরবাসীকে পল্লীবাসীর পক্ষে দালালী করে বিক্রি করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৬৮২, ই.সে. ৩৬৮২)

৩৭১৭
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُتَلَقَّى الرُّكْبَانُ وَأَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ مَا قَوْلُهُ حَاضِرٌ لِبَادٍ قَالَ لاَ يَكُنْ لَهُ سِمْسَارًا

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এগিয়ে গিয়ে পণ্যবহনকারী কাফিলার সাথে মিলিত হতে এবং শহরবাসীকে পল্লীবাসীর পক্ষ হয়ে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।

বর্ণনাকারী (তাউস) বলেনঃ আমি ইবনু ‘আব্বাসকে জিজ্ঞেস করলাম, শহরবাসী পলীবাসীর পক্ষ হয়ে বিক্রি করার মানে কী? তিনি বললেনঃ সে তার দালালী করবে না। (ই.ফা. ৩৬৮৩, ই.সে. ৩৬৮৩)

৩৭১৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح. وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ دَعُوا النَّاسَ يَرْزُقِ اللَّهُ بَعْضَهُمْ مِنْ بَعْضٍ‏”‏ ‏.‏ غَيْرَ أَنَّ فِي رِوَايَةِ يَحْيَى ‏”‏ يُرْزَقُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শহরের লোক গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে বিক্রয় করতে পারবে না। লোকদের একজনের দ্বারা অপরজনের রিয্‌কের যে ব্যবস্থা আল্লাহ করে রেখেছেন সে ব্যবস্থা চালু থাকতে দাও। (ই.ফা. ৩৬৮৪, ই.সে. ৩৬৮৪)

৩৭১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৬৮৫, ই.সে. ৩৬৮৫)

৩৭২০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ قَالَ نُهِينَا أَنْ يَبِيعَ، حَاضِرٌ لِبَادٍ ‏.‏ وَإِنْ كَانَ أَخَاهُ أَوْ أَبَاهُ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমাদেরকে এমনটি নিষেধ করা হয়েছে, গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে শহরের লোকেরা যেন বিক্রয় না করে, সে ভাই বা পিতাই হোক না কেন। (ই.ফা. ৩৬৮৬,ই.সে. ৩৬৮৬)

৩৭২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ،ح ‏.‏ وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ نُهِينَا عَنْ أَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে যে, শহরের লোক যেন গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে বিক্রয় না করে। (ই.ফা. ৩৬৮৭, ই.সে. ৩৬৮৭)

৭. অধ্যায়ঃ
কোন জন্তুর ওলান ফুলিয়ে বিক্রির হুকুম

৩৭২২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً فَلْيَنْقَلِبْ بِهَا فَلْيَحْلُبْهَا فَإِنْ رَضِيَ حِلاَبَهَا أَمْسَكَهَا وَإِلاَّ رَدَّهَا وَمَعَهَا صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি দুধ দোহন না করে ফুলিয়ে রাখা ওলান বিশিষ্ট বকরী খরিদ করে, তবে বাড়ী নিয়ে দোহনের পরে সে ইচ্ছা করলে রাখতে পারে আবার ইচ্ছা করলে ফেরতও দিতে পারে। ফেরত দিতে চাইলে এক সা’ খেজুরও সাথে দিবে। (ই.ফা. ৩৬৮৮, ই.সে. ৩৬৮৮)

৩৭২৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ فِيهَا بِالْخِيَارِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا وَإِنْ شَاءَ رَدَّهَا وَرَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ تَمْرٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলান ফুলিয়ে রাখা বকরী ক্রয় করবে, তিন দিন পর্যন্ত তার জন্যে ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকবে। ইচ্ছা করলে সেটি রাখতে পারে, আর যদি ফেরত দেয় তবে সে সাথে এক সা’ খেজুরও দিবে। (ই.ফা. ৩৬৮৯, ই.সে. ৩৬৮৯)

৩৭২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، – يَعْنِي الْعَقَدِيَّ – حَدَّثَنَا قُرَّةُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ بِالْخِيَارِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ رَدَّهَا رَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ طَعَامٍ لاَ سَمْرَاءَ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলান ফুলানো বকরী ক্রয় করবে, তিন দিন পর্যন্ত তার জন্য ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকবে। সে যদি উক্ত বকরী ফেরত দেয় তবে তার সাথে এক সা’ খাদ্য বস্তুও দিবে। এজন্য উৎকৃষ্ট গম দিতে হবে এমনটি নয়। (ই.ফা. ৩৬৯০, ই.সে. ৩৬৯০)

৩৭২৫
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا وَإِنْ شَاءَ رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ لاَ سَمْرَاءَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলানে দুধ ফুলান বকরী কিনবে তার জন্য ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকবে। ইচ্ছা করলে ক্রয় ঠিক রাখবে আর ইচ্ছা করলে এক সা’ খেজুরসহ ফেরত দিবে- এজন্য উত্তম গম দেয়া জরুরী নয়। (ই.ফা. ৩৬৯১, ই.সে. ৩৬৯১)

৩৭২৬
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ مَنِ اشْتَرَى مِنَ الْغَنَمِ فَهُوَ بِالْخِيَارِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আবূ ‘উমার (রহঃ) উপরে উল্লিখিত হাদিসটি ‘আবদুল ওয়াহ্ব থেকে উপরোক্ত সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

অবশ্য ‘আবদুল ওয়াহ্ব বর্ণনায় (আরবী) এর জায়গায় (আরবী) আছে। (ই.ফা. ৩৬৯২, ই.সে. ৩৬৯২)

৩৭২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا مَا أَحَدُكُمُ اشْتَرَى لِقْحَةً مُصَرَّاةً أَوْ شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ بَعْدَ أَنْ يَحْلُبَهَا إِمَّا هِيَ وَإِلاَّ فَلْيَرُدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ ‏”‏ ‏.‏

হুমাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশ কিছু হাদীস আমাদের নিকট বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি ওলান ফুলিয়ে রাখা উষ্ট্রী বা বকরী খরিদ করে তবে দুধ দোহনের পরে তার ইচ্ছা-স্বাধীনতা থাকবে। হয় তা রেখে দিবে অথবা এক সা’ খুরমাসহ ফেরত দিবে। (ই.ফা. ৩৬৯৩, ই.সে. ৩৬৯৩)

৮. অধ্যায়ঃ
ক্রয় করা জিনিস আপন আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে বিক্রি করলে বাতিল হবে

৩৭২৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَحْسِبُ كُلَّ شَىْءٍ مِثْلَهُ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে তা আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে বিক্রি করতে পারবে না।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি সকল বস্তুর বেলায় এ একই নিয়ম। (ই.ফা. ৩৬৯৪, ই.সে. ৩৬৯৪)

৩৭২৯
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ، أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، – وَهُوَ الثَّوْرِيُّ – كِلاَهُمَا عَنْ عَمْرِو، بْنِ دِينَارٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৬৯৫, ই.সে. ৩৬৯৫)

৩৭৩০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَحْسِبُ كُلَّ شَىْءٍ بِمَنْزِلَةِ الطَّعَامِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে নিজ আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে তা বিক্রি করতে পারবে না।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমার ধারণা খাদ্য দ্রব্যের যে বিধান, অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রেও এ একই বিধান প্রযোজ্য। (ই.ফা. ৩৬৯৬, ই.সে. ৩৬৯৬)

৩৭৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَكْتَالَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ لِمَ فَقَالَ أَلاَ تَرَاهُمْ يَتَبَايَعُونَ بِالذَّهَبِ وَالطَّعَامُ مُرْجَأٌ وَلَمْ يَقُلْ أَبُو كُرَيْبٍ مُرْجَأٌ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্য বস্তু ক্রয় করবে, সে তা মাপার আগে বিক্রি করতে পারবে না।

বর্ণনাকারী [তাউস (রহঃ)] বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাসের নিকট জিজ্ঞেস করলাম, এর কারণ কী? তিনি বললেন, তুমি কি দেখনি যে, লোকজন স্বর্ণ ও খাদ্যদ্রব্য বাকীতে ক্রয় করে? আবূ কুরায়ব ‘বাকী’ শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৩৬৯৭, ই.সে. ৩৬৯৭)

৩৭৩২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করলে তা পূর্ণ করায়ত্ব করার পূর্বে যেন বিক্রি না করে। (ই.ফা. ৩৬৯৮, ই.সে. ৩৬৯৮)

৩৭৩৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبْتَاعُ الطَّعَامَ فَيَبْعَثُ عَلَيْنَا مَنْ يَأْمُرُنَا بِانْتِقَالِهِ مِنَ الْمَكَانِ الَّذِي ابْتَعْنَاهُ فِيهِ إِلَى مَكَانٍ سِوَاهُ قَبْلَ أَنْ نَبِيعَهُ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় দ্রব্য ক্রয় করতাম। তখন তিনি এ মর্মে আদেশ দিয়ে আমাদের নিকট লোক পাঠাতেন যে, এ মাল বিক্রি করার আগেই যেন ক্রয়ের জায়গা হতে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়। (ই.ফা. ৩৬৯৯, ই.সে. ৩৬৯৯)

৩৭৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ‏”

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে তা পরিপূর্ণ করায়ত্বে নেয়ার আগে বিক্রি করতে পারবে না। (ই.ফা. ৩৭০০, ই.সে. ৩৭০০)

৩৭৩৫
قَالَ وَكُنَّا نَشْتَرِي الطَّعَامَ مِنَ الرُّكْبَانِ جِزَافًا فَنَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَبِيعَهُ حَتَّى نَنْقُلَهُ مِنْ مَكَانِهِ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আরো বলেনঃ আমরা কাফিলা থেকে দ্রব্য খরিদ করতাম। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে তা স্থানান্তরিত করার পূর্বে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭০০, ই.সে. ৩৭০০)

৩৭৩৬
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ وَيَقْبِضَهُ ‏”‏ ‏.

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে ততক্ষণ পর্যন্ত তা বিক্রি করতে পারবে না, যতক্ষণ না হস্তগত করে ও তাতে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে। (ই.ফা. ৩৭০১, ই.সে. ৩৭০১)

৩৭৩৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَقَالَ عَلِيٌّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক খাদ্যদ্রব্য খরিদ করে সে তা হস্তগত করার পূর্বে বিক্রি করতে পারবে না। (ই.ফা.৩৭০২, ই.সে. ৩৭০২)

৩৭৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُمْ كَانُوا يُضْرَبُونَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اشْتَرَوْا طَعَامًا جِزَافًا أَنْ يَبِيعُوهُ فِي مَكَانِهِ حَتَّى يُحَوِّلُوهُ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময়ে আন্দাজ করে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে স্থান বদল করার পূর্বে বিক্রি করলে লোকদের শাস্তি দেয়া হত। (ই.ফা.৩৭০৩, ই.সে. ৩৭০৩)

৩৭৩৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ قَدْ رَأَيْتُ النَّاسَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ابْتَاعُوا الطَّعَامَ جِزَافًا يُضْرَبُونَ فِي أَنْ يَبِيعُوهُ فِي مَكَانِهِمْ وَذَلِكَ حَتَّى يُئْوُوهُ إِلَى رِحَالِهِمْ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يَشْتَرِي الطَّعَامَ جِزَافًا فَيَحْمِلُهُ إِلَى أَهْلِهِ ‏.

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ‘আমালে লোকেরা অনুমান করে খাদ্যদ্রব্য খরিদ করে নিজেদের জায়গায় না নিয়েই ক্রয় স্থলে তা বিক্রি করার কারণে তাদের শাস্তি দেয়া হত। ইবনু শিহাব (রহঃ) ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁর পিতা অনুমান করে খাদ্য বস্তু ক্রয় করত। এরপর তা বাড়ী নিয়ে আসত। (ই.ফা.৩৭০৪, ই.সে. ৩৭০৪)

৩৭৪০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَكْتَالَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ ‏”‏ مَنِ ابْتَاعَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে তা পরিমাপ করার আগে বিক্রি করতে পারবে না। (ই.ফা.৩৭০৫, ই.সে. ৩৭০৫)

আবূ বাকরের বর্ণনায় (আরবী) এর স্থলে (আরবী) রয়েছে। (ই. ফা. ৩৭০৫, ই. সে. ৩৭০৫)

৩৭৪১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا ‏.‏ فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى ‏.‏ قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেন, না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? [১০] অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।

রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (ই.ফা.৩৭০৬, ই.সে. ৩৭০৬)






[১০] গভর্ণর কর্তৃক প্রদত্ত খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদির রেশন কার্ড বিক্রি করে দেয়া অবৈধ। কারণ মালিক খাদ্যদ্রব্য উত্তেলন না করেই এবং তা নিজের করজায় না নিয়েই বিক্রি করে দিল। (সহীহ মুসলিম-শারহে নাবাবী, ২য় খন্ড, ৫-৬ পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩৭৪২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا ابْتَعْتَ طَعَامًا فَلاَ تَبِعْهُ حَتَّى تَسْتَوْفِيَهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ তুমি যখন কোন খাদ্য বস্তু ক্রয় করো, তখন তা সম্পূর্ণরূপে বুঝে নেয়ার আগে বিক্রি করো না। (ই.ফা.৩৭০৭, ই.সে. ৩৭০৭)

৯.অধ্যায়ঃ
অজ্ঞাত পরিমান খেজুরের স্তুপ নিদিষ্ট পরিমাণ খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করা হারাম

৩৭৪৩
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الصُّبْرَةِ مِنَ التَّمْرِ لاَ يُعْلَمُ مَكِيلَتُهَا بِالْكَيْلِ الْمُسَمَّى مِنَ التَّمْرِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অজ্ঞাত পরিমান খেজুরের স্তুপ নিদিষ্ট পরিমাণ খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা.৩৭০৮, ই.সে. ৩৭০৮)

৩৭৪৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ مِنَ التَّمْرِ ‏.‏ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ধরনের বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। তবে বর্ণনাকারী রাওয়া (রহঃ) হাদীসের শেষ অংশে খেজুরের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.৩৭০৯,ই.সে. ৩৭০৯)

১০. অধ্যায়ঃ
ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্যে খিয়ারে মাজলিস (ক্রয়-বিক্রয় ভঙ্গে ইচ্ছা-স্বাধীনতা) থাকবে

৩৭৪৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْبَيِّعَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ عَلَى صَاحِبِهِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا إِلاَّ بَيْعَ الْخِيَارِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্রেতা ও বিক্রেতার একজনের অপরের উপর (ক্রয়-বিক্রয় ভঙ্গ করার) ইচ্ছা-স্বাধীনতা থাকবে, যতক্ষণ তারা একে অপর থেকে আলাদা না হয়। তবে ইখতিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকলে তা ভিন্ন কথা। (ই.ফা.৩৭১০,ই.সে. ৩৭১০)

৩৭৪৬
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَهُوَ الْقَطَّانُ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ – جَمِيعًا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى، بْنُ سَعِيدٍ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، كِلاَهُمَا عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুহায়র ইবনু হারব ও ‘আলী ইবনু হুজর এবং আবূ রাবী‘ ও আবূ কামিল (রহঃ)…ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে, ইবনুল মুসান্না ও ইবনু আবূ ‘উমার এবং ইবনু রাফি‘ (রহঃ)……. ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে উপরে উল্লেখিত নাফি‘ থেকে মালিক এর বর্ণিত হাদিসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা.৩৭১১,ই.সে. ৩৭১১)

৩৭৪৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِذَا تَبَايَعَ الرَّجُلاَنِ فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا وَكَانَا جَمِيعًا أَوْ يُخَيِّرُ أَحَدُهُمَا الآخَرَ فَإِنْ خَيَّرَ أَحَدُهُمَا الآخَرَ فَتَبَايَعَا عَلَى ذَلِكَ فَقَدْ وَجَبَ الْبَيْعُ وَإِنْ تَفَرَّقَا بَعْدَ أَنْ تَبَايَعَا وَلَمْ يَتْرُكْ وَاحِدٌ مِنْهُمَا الْبَيْعَ فَقَدْ وَجَبَ الْبَيْعُ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রা.) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দু’জন লোক পরস্পর কেনাবেচা করলে যতক্ষণ তারা একে অন্যের থেকে পৃথক না হয় এবং একত্রিত থাকে ততক্ষণ তাদের প্রত্যেকেরই ক্রয়-বিক্রয় বাতিল করার স্বাধীনতা থাকবে। কিংবা যদি একজন অপরজনকে ক্রয়-বিক্রয় বাতিল করার ইখ্তিয়ার প্রদান করে এবং এরূপ শর্তে ক্রয়-বিক্রয় সমাধা হয় তবে এ ক্রয়-বিক্রয় ঠিক থাকবে। আর যদি ক্রয়-বিক্রয়ের পর তারা একজন অন্যজন থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং উভয়ের কোন একজন ক্রয়-বিক্রয় বাতিল না করে তবে তাও ঠিক থাকবে। (ই.ফা. ৩৭১২, ই.সে. ৩৭১২)

৩৭৪৮
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، – قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَمْلَى عَلَىَّ نَافِعٌ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا تَبَايَعَ الْمُتَبَايِعَانِ بِالْبَيْعِ فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ مِنْ بَيْعِهِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا أَوْ يَكُونُ بَيْعُهُمَا عَنْ خِيَارٍ فَإِذَا كَانَ بَيْعُهُمَا عَنْ خِيَارٍ فَقَدْ وَجَبَ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ نَافِعٌ فَكَانَ إِذَا بَايَعَ رَجُلاً فَأَرَادَ أَنْ لاَ يُقِيلَهُ قَامَ فَمَشَى هُنَيَّةً ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্রেতা ও বিক্রেতা যখন ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করে তখন তাদের প্রত্যেকেরই ক্রয়-বিক্রয় প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে সুযোগ থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা একে অন্যের থেকে পৃথক না হয়ে যায়। অথবা যদি ক্রয়-বিক্রয় খিয়ারের শর্তে (নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় ঠিক রাখা না রাখার শর্ত) হয়ে থাকে তখনও খিয়ার বহাল থাকবে।

ইবনু আবূ ‘উমারের বর্ণনায় আরো রয়েছে- নাফি’ বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) যখন কারো সাথে ক্রয়-বিক্রয় করতেন এবং তিনি তা বহাল রাখতে চাইতেন, তখন উঠে গিয়ে এদিক সেদিক কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতেন, তারপর দ্বিতীয়পক্ষের নিকট আবার প্রত্যাবর্তন করতেন। (ই.ফা. ৩৭১৩, ই.সে. ৩৭১৩)

৩৭৪৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، و يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ وَقُتَيْبَةُ وَابْنُ حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ، عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كُلُّ بَيِّعَيْنِ لاَ بَيْعَ بَيْنَهُمَا حَتَّى يَتَفَرَّقَا إِلاَّ بَيْعُ الْخِيَارِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে কেনা-বেচা পুরোপুরি হবে না তারা পরস্পর আলাদা হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু খিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় হলে; (পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও খিয়ার বহাল থাকবে)। (ই.ফা. ৩৭১৪, ই.সে. ৩৭১৪)

১১. অধ্যায়ঃ
ক্রয়-বিক্রয়ে সত্য বলা ও দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা

৩৭৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ، عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا وَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا ‏”‏ ‏.‏

হাকীম ইবনু হিযাম (রা.) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতার একজন আরেকজন থেকে পৃথক হওয়া পর্যন্ত খিয়ার থাকবে। উভয়ে যদি সত্য কথা বলে এবং দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করে দেয় তবে তাদের কেনা-বেচায় বরকত হবে। আর যদি তারা কেনা-বেচার মধ্যে মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে তবে তাতে বরকত থাকবে না। (ই.ফা. ৩৭১৫, ই.সে. ৩৭১৫)

৩৭৫১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ، يُحَدِّثُ عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ وُلِدَ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ وَعَاشَ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً ‏.‏

হাকীম ইবনু হিযাম (রা.) সূ্ত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) সূ্ত্রে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এরকম হাদীস বর্ণনা করেন।

মুসলিম ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ) বলেন, হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) কা’বার ভিতরে ভূমিষ্ট হন ও একশ’ বিশ বছর বেঁচে থাকেন। (ই.ফা. ৩৭১৬, ই.সে. ৩৭১৬)

১২. অধ্যায়ঃ
কেনা-বেচায় প্রতারিত হওয়া

৩৭৫২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ، عُمَرَ يَقُولُ ذَكَرَ رَجُلٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يُخْدَعُ فِي الْبُيُوعِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ بَايَعْتَ فَقُلْ لاَ خِلاَبَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَكَانَ إِذَا بَايَعَ يَقُولُ لاَ خِيَابَةَ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জানাল যে, ক্রয়-বিক্রয়ে তাকে প্রতারিত করা হয়। তখন তিনি বললেনঃ তুমি যার সাথে কেনা-বেচা করবে তাকে বলবে, কোন প্রকার প্রতারণা থাকবে না। এরপর থেকে যখনও সে কিছু খরিদ করত, তখনই বলে দিত কোন প্রকার প্রতারণা থাকবে না। (ই.ফা. ৩৭১৭, ই.সে. ৩৭১৭)

৩৭৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا فَكَانَ إِذَا بَايَعَ يَقُولُ لاَ خِيَابَةَ ‏.‏

আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে এদের বর্ণিত হাদীসে এ কথাটি নেই যে, “এরপর থেকে সে যখনই কিছু ক্রয় করত তখনই বলত কোন প্রকার প্রতারণা থাকবে না।” (ই.ফা. ৩৭১৮, ই.সে. ৩৭১৮)

১৩. অধ্যায়ঃ
ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে বিক্রি করা নিষেধ

৩৭৫৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهَا نَهَى الْبَائِعَ وَالْمُبْتَاعَ

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফল উপযোগী হওয়ার পূবেৃ বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। নিষেধ করেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই। (ই.ফা. ৩৭২০, ই.সে. ৩৭১৯)

৩৭৫৫
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.)-এর সূ্ত্রে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সূ্ত্রে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭২০, ই.সে. ৩৭২০)

৩৭৫৬
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَزْهُوَ وَعَنِ السُّنْبُلِ حَتَّى يَبْيَضَّ وَيَأْمَنَ الْعَاهَةَ نَهَى الْبَائِعَ وَالْمُشْتَرِيَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাকার আগে খেজুর বিক্রি করতে এবং সাদা হওয়ার আগে ও দুর্যোগ-মুক্ত হওয়ার পূর্বে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। আর ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই তিনি নিষেধ করেছেন। (ইফা. ৩৭২১, ই.সে. ৩৭২১)

৩৭৫৭
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَتَذْهَبَ عَنْهُ الآفَةُ قَالَ يَبْدُوَ صَلاَحُهُ حُمْرَتُهُ وَصُفْرَتُهُ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরিপক্ক হওয়ার আগে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পূর্বে তোমরা ফল ক্রয় করো না।

বর্ণনাকারী বলেনঃ খাওয়ার যোগ্য হওয়ার অর্থ লাল বর্ণ ও হলদে বর্ণ ধারণ করা। (ই.ফা. ৩৭২২, ই.সে. ৩৭২২)

৩৭৫৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ لَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ

ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন, যতক্ষণ না তা পরিপক্ক হয়। এর পরবর্তী অংশ তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৩৭২৩, ই.সে. ৩৭২৩)

৩৭৫৯
حَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল ওয়াহব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭২৪, ই.সে. ৩৭২৪)

৩৭৬০
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَعُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.)-এর সূ্ত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

মালিক ও ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭২৫, ই.সে. ৩৭২৫)

৩৭৬১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَبِيعُوا الثَّمَرَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ ‏”‏ ‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরিপক্ক হওয়ার আগে তোমরা ফল বিক্রি করো না। (ই.ফা. ৩৭২৬, ই.সে. ৩৭২৬)

৩৭৬২
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِي حَدِيثِ شُعْبَةَ فَقِيلَ لاِبْنِ عُمَرَ مَا صَلاَحُهُ قَالَ تَذْهَبُ عَاهَتُهُ ‏.‏

যুহায়র ইবনু হার্ব (রহঃ) সুফ্ইয়ান (রহঃ)-এর সূত্রে এবং ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ও শু’বাহ্ (রহঃ) সূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। অবশ্য শু’বার বর্ণনায় এতটুকু অতিরিক্ত আছে যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে পরিপক্ক হওয়ার অর্থ কী, জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ প্রাকৃতিক দূর্যোগ পার হওয়া। (ই.ফা. ৩৭২৭, ই.সে. ৩৭২৭)

৩৭৬৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح. وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى – أَوْ نَهَانَا – رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَطِيبَ ‏.‏

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন অথবা তিনি বলেন, আমাদের নিষেধ করেছেন ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে তা বিক্রি করতে। (ই.ফা. ৩৭২৮, ই.সে. ৩৭২৮)

৩৭৬৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন ফল আহারযোগ্য হওয়ার আগেই বিক্রি করতে। (ই.ফা. ৩৭২৯, ই.সে. ৩৭২৯)

৩৭৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ، فَقَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَأْكُلَ مِنْهُ أَوْ يُؤْكَلَ وَحَتَّى يُوزَنَ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ مَا يُوزَنُ فَقَالَ رَجُلٌ عِنْدَهُ حَتَّى يَحْزَرَ ‏.‏

আবূল বুখ্‌তারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট গাছে থাকা খেজুর বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলাম। তখন তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গাছের খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন যতক্ষণ না তা খাওয়া যায় বা খাওয়ার যোগ্য হয় এবং ওজন করা যায়। রাবী বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে ওজন করবে? তখন তার পাশেই অবস্থানকারী জনৈক ব্যক্তি উত্তর দিল- পরিমাণ করবে। (ই.ফা. ৩৭৩০, ই.সে. ৩৭৩০)

৩৭৬৬
حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي، نُعْمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَبْتَاعُوا الثِّمَارَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফল খাওয়ার উপযোগী হওয়ার আগে তোমরা ক্রয় করবে না। (ই.ফা. ৩৭৩১, ই.সে. ৩৭৩১)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]