সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি ক্রয় বিক্রয় অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৩৭৬৭ – ৩৮৫৩


১৪. অধ্যায়ঃ
শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করা হারাম কিন্তু ‘আরায়া [১১] হারাম নয়

[১১] ‘আরায়া হলো, বাগানের মালিক কিছু গাছ কোন গরীবকে প্রদান করল। সে গাছগুলোতে তাজা রসালো খেজুর রয়েছে। এমতাবস্থায় সে গবীব লোকটির দ্বারা বাগানের মালিক বা অন্য কারো কাছে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রি করে দেয়াকে ‘আরায়া’ বলে। এটা জায়েয, তবে ৫ ওয়াকাক বা ১৮ মণ ৩০ কেজির বেশি হতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম- শারহে নাবাবী, ২য় খণ্ড, ৮ পৃ:।

৩৭৬৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ – وَاللَّفْظُ لَهُمَا – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَعَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ ‏.‏

য়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া, ইবনু নুমায়র ও যুহায়র ইবনু হার্ব (রহঃ) ভিন্ন সূত্রে ইবনু ‘উমার (রা.) সূ্রেত নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

খাওয়ার যোগ্য হওয়ার আগে তা বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং শুক্না খেজুরের বিনিময়ে রসালো তাজা খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৩২, ই.সে. ৩৭৩২)

৩৭৬৮
قَالَ ابْنُ عُمَرَ وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا ‏.‏ زَادَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ أَنْ تُبَاعَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) বর্ণনা করেন, যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরায়া ধরনের কেনা-বেচার অনুমতি দান করেছেন। ইবনু নুমায়র তাঁর বর্ণনায় (আরবী) শব্দটি বাড়িয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৩২, ই.সে. ৩৭৩২)

৩৭৬৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، – وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ – قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَلاَ تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ بِالتَّمْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَحَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ سَوَاءً ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা ফল ক্রয় করো না খাওয়ার যোগ্য হওয়ার আগে এবং তাজা রসালো খেজুর খরিদ করো না শুকনো খেজুরের বিনিময়ে।

ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেনঃ সালিম তাঁর পিতা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৩৩, ই.সে. ৩৭৩৩)

৩৭৭০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةُ أَنْ يُبَاعَ ثَمَرُ النَّخْلِ بِالتَّمْرِ وَالْمُحَاقَلَةُ أَنْ يُبَاعَ الزَّرْعُ بِالْقَمْحِ وَاسْتِكْرَاءُ الأَرْضِ بِالْقَمْحِ ‏.‏ قَالَ وَأَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ لاَ تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَلاَ تَبْتَاعُوا الثَّمَرَ بِالتَّمْرِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ سَالِمٌ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ رَخَّصَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ بِالرُّطَبِ أَوْ بِالتَّمْرِ وَلَمْ يُرَخِّصْ فِي غَيْرِ ذَلِكَ

ইবনুল মুসাইয়্যিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্‌ ও মুহাকালাহ্‌ নিষেধ করেছেন। মুযাবানাহ্‌ হল, গাছের খেজুর খুরমার (শুকনো খেজুর) বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করা। আর মুহাকালাহ্‌ হল, ক্ষেতের শস্য অনুমান করে সংগৃহীত শস্যের বিনিময়ে বিক্রি করা এবং সংগৃহীত গমের পরিবর্তে জমি বর্গা দেয়া।

ইবনু শিহাব (রহঃ) সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) সূ্ত্রে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফল খাওয়ার যোগ্য হওয়ার আগে ক্রয় করো না। আর খুরমার বিনিময়ে তাজা খেজুর ক্রয় করো না।

সালিম (রহঃ) … ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাবিত (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, অতঃপর ‘আরায়া’ প্রক্রিয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে তাজা অথবা শুকনা খেজুরের ক্রয়-বিক্রয়ে অনুমতি দান করেছেন। এ ছাড়া অন্য কোন ফলের ব্যাপারে তিনি এমন অনুমতি দেননি। (ই.ফা. ৩৭৩৪, ই.সে. ৩৭৩৪)

৩৭৭১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ، بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ لِصَاحِبِ الْعَرِيَّةِ أَنْ يَبِيعَهَا بِخَرْصِهَا مِنَ التَّمْرِ ‏.‏

যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরায়ার মালিককে এ অনুমতি দিয়েছে যে, সে আরায়াকৃত গাছের তাজা খেজুর অনুমানের ভিত্তিতে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করতে পারবে। (ই.ফা. ৩৭৩৫, ই.সে. ৩৭৩৫)

৩৭৭২
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي الْعَرِيَّةِ يَأْخُذُهَا أَهْلُ الْبَيْتِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا ‏.‏

যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরায়া পদ্ধতির অনুমতি প্রদান করেছেন। বাড়ীর মালিক আরায়া করা ফল অনুমান করে খুরমার বদলে রাখতে পারে তাজা রসযুক্ত খেজুর খাওয়ার জন্যে। (ই.ফা. ৩৭৩৬, ই.সে. ৩৭৩৬)

৩৭৭৩
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাফি’ (রহঃ) হতে একই সূত্রে এরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৩৭, ই.সে. ৩৭৩৭)

৩৭৭৪
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَالْعَرِيَّةُ النَّخْلَةُ تُجْعَلُ لِلْقَوْمِ فَيَبِيعُونَهَا بِخَرْصِهَا تَمْرًا ‏.‏

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উক্তরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি কিছু অতিরিক্ত বলেছেন যে, খেজুর গাছের আরায়া হল: নির্দিষ্ট সংখ্যক গাছ কাউকে দান করা। এরপর তার ঐ গাছগুলোর খেজুর অনুমান করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। (ই.ফা. ৩৭৩৮, ই.সে. ৩৭৩৮)

৩৭৭৫
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا ‏.‏ قَالَ يَحْيَى الْعَرِيَّةُ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ ثَمَرَ النَّخَلاَتِ لِطَعَامِ أَهْلِهِ رُطَبًا بِخَرْصِهَا تَمْرًا ‏.‏

যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরায়া পদ্ধতির ক্রয়-বিক্রয়ে অনুমানে পরিমাণ নির্ধারণ করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন।

ইয়াহ্‌ইয়া বলেন, আরায়া হলো নিজের পরিবারবর্গকে তাজা রসাল খেজুর খাওয়াবার জন্যে গাছের ঝুলন্ত খেজুর অনুমান দ্বারা পরিমাণ করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে খরিদ করে রাখা। (ই.ফা. ৩৭৩৯, ই.সে. ৩৭৩৯)

৩৭৭৬
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي الْعَرَايَا أَنْ تُبَاعَ بِخَرْصِهَا كَيْلاً ‏.‏

যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দানকৃত খেজুর অনুমানে পরিমাপ করে বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৪০, ই.সে. ৩৭৪০)

৩৭৭৭
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ أَنْ تُؤْخَذَ بِخَرْصِهَا ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন এবং বলেন, তা অনুমান করে নিবে। (ই.ফা. ৩৭৪১, ই.সে. ৩৭৪১)

৩৭৭৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا ‏.‏

রাফি’ (রহঃ) সূত থেকে বর্ণিতঃ

রাফি’ (রহঃ) সূত্রে উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন যে, আরায়া প্রক্রিয়ার ক্রয়-বিক্রয় অনুমানের ভিত্তিতে করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুমোদন দিয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৪২, ই.সে. ৩৭৪২)

৩৭৭৯
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ يَحْيَى، – وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ – عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ دَارِهِمْ مِنْهُمْ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ وَقَالَ ‏ “‏ ذَلِكَ الرِّبَا تِلْكَ الْمُزَابَنَةُ ‏”‏ ‏.‏ إِلاَّ أَنَّهُ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ النَّخْلَةِ وَالنَّخْلَتَيْنِ يَأْخُذُهَا أَهْلُ الْبَيْتِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا ‏.‏

সাহ্‌ল ইবনু আবূ হাস্‌মাহ্‌ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুক্‌না খেজুরের বদলে তাজা খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন: এটাই সুদ, এটাই ‘মুযাবানাহ্‌’। অবশ্য তিনি ‘আরায়াকৃত দু’ একটা খেজুর গাছের খেজুর বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছেন। বাড়ীর মালিক এর পরিমাণ অনুমান করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে রেখে দিবে এবং তাজা ফল খাবে। (ই.ফা. ৩৭৪৩, ই.সে. ৩৭৪৩)

৩৭৮০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ سَعِيدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَصْحَابِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ قَالُوا رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا ‏.‏

বাশীর ইবনু ইয়াসার (রহঃ)-এর সু্ত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতিপয় সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আরায়াকৃত খেজুর গাছের ফল অনুমান করে খুরমার বিনিময়ে বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৪৪, ই.সে. ৩৭৪৪)

৩৭৮১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ الثَّقَفِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ دَارِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ عَنْ يَحْيَى غَيْرَ أَنَّ إِسْحَاقَ وَابْنَ الْمُثَنَّى جَعَلاَ مَكَانَ الرِّبَا الزَّبْنَ وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ الرِّبَا ‏.‏

বাশীর ইবনু ইয়াসার (রহঃ)-এর সূত্রে তার মহল্লায় বসবাসকারী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কয়েকজন সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন-বর্ণনাকারী সাকাফী (রহঃ) সুলাইমান ইবনু বিলাল (রহঃ) বর্ণিত পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য ইসহাক্ ও ইবনু মুসান্না ‘সুদ’-এর জায়গার ‘মুযাবানা’ বলেছেন। আর ইবনু আবী ‘উমার বলেছেন ‘সুদ’। (ই.ফা. ৩৭৪৫, ই.সে. ৩৭৪৫)

৩৭৮২
وَحَدَّثَنَاهُ عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ، سَعِيدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

সাহল ইবনু আবূ হাস্মার সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত বর্ণনায় অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৪৬, ই.সে. ৩৭৪৬)

৩৭৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ، بْنِ كَثِيرٍ حَدَّثَنِي بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ، مَوْلَى بَنِي حَارِثَةَ أَنَّ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ، وَسَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، حَدَّثَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ إِلاَّ أَصْحَابَ الْعَرَايَا فَإِنَّهُ قَدْ أَذِنَ لَهُمْ ‏.‏

রাফি’ ইবনু খাদীজ ও সাহল ইবনু আবূ হাস্মাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘মুযাবানাহ্’ অর্থাৎ- শুকনা খেজুরের বদলে গাছের কাঁচা খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু আরায়ার মালিকগণ ছাড়া। কেননা তাদেরকে তিনি এর অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ৩৭৪৭, ই.সে. ৩৭৪৭)

৩৭৮৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ قُلْتُ لِمَالِكٍ حَدَّثَكَ دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، – مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ فِي خَمْسَةِ – يَشُكُّ دَاوُدُ قَالَ خَمْسَةٌ أَوْ دُونَ خَمْسَةٍ – قَالَ نَعَمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরায়া প্রক্রিয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে ফলের পরিমাণ অনুমানের ভিত্তিতে পাঁচ ওয়াসাকের চেয়ে স্বল্প বা পাঁচ ওয়াসাকের ভেতরে করার জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন। বর্ণনাকারী দাঊদের এ ব্যাপারে সন্দেহ যে, কথা এভাবে বলেছেন- পাঁচ বা পাঁচের কম। তখন মালিক বললেন, হ্যাঁ। (ই.ফা. ৩৭৪৮, ই.সে. ৩৭৪৮)

৩৭৮৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُزَابَنَةُ بَيْعُ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ كَيْلاً وَبَيْعُ الْكَرْمِ بِالزَّبِيبِ كَيْلاً ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ থেকে নিষেধ করেছেন। মুযাবানাহ্‌ হলো বৃক্ষের তাজা খেজুর পরিমাপ করে খুরমার বদলে বিক্রি করা এবং গাছের তাজা আঙ্গুর পরিমাপ করে কিশমিশের বিনিময়ে বিক্রি করা। (ই.ফা. ৩৭৪৯, ই.সে. ৩৭৪৯)

৩৭৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، بِشْرٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ بَيْعِ ثَمَرِ النَّخْلِ بِالتَّمْرِ كَيْلاً وَبَيْعِ الْعِنَبِ بِالزَّبِيبِ كَيْلاً وَبَيْعِ الزَّرْعِ بِالْحِنْطَةِ كَيْلاً ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্‌ করতে নিষেধ করেছেন। আর মুযাবানাহ্ হলো বৃক্ষের তাজা খেজুর অনুমানে খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা ও কাঁচা আঙ্গুর পরিমাপ নির্ধারণ করে কিশমিশের বিনিময়ে বিক্রি করা এবং ক্ষেতের গম অনুমানে পরিমাপ করে সংগৃহীত গমের বিনিময়ে বিক্রি করা। (ই.ফা. ৩৭৫০, ই.সে. ৩৭৫০)

৩৭৮৭
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ

‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে উক্ত সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৫১, ই.সে. ৩৭৫১)

৩৭৮৮
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُزَابَنَةُ بَيْعُ ثَمَرِ النَّخْلِ بِالتَّمْرِ كَيْلاً وَبَيْعُ الزَّبِيبِ بِالْعِنَبِ كَيْلاً وَعَنْ كُلِّ ثَمَرٍ بِخَرْصِهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্‌র উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। মুযাবানাহ্‌ হলো গাছের খেজুর পরিমাপ করে খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা এং কাঁচা আঙ্গুর পরিমাপ করে কিশমিশের বিনিময়ে বিক্রি করা। আর যে কোন ফল অনুমানের বিত্তিতে বিক্রি করতেও তিনি নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৫২, ই.সে. ৩৭৫২)

৩৭৮৯
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُزَابَنَةُ أَنْ يُبَاعَ مَا فِي رُءُوسِ النَّخْلِ بِتَمْرٍ بِكَيْلٍ مُسَمًّى إِنْ زَادَ فَلِي وَإِنْ نَقَصَ فَعَلَىَّ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্‌ নিষেধ করেছেন। মুযাবানাহ্‌ হলো গাছের মাথায় যে খেজুর আছে তার পরিমাণ অনুমান করে নির্ধারিত পরিমাণ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করা- এ শর্তের উপর যে, যদি বেশী হয় তবে তা আমার থাকবে। আর যদি কম হয় তবে সে ক্ষতি আমার উপরই আসবে। (ই.ফা. ৩৭৫৩, ই.সে. ৩৭৫৩)

৩৭৯০
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

আইয়ূব (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

আইয়ূব (রহঃ)-এর সূত্রে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৫৪, ই.সে. ৩৭৫৪)

৩৭৯১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُزَابَنَةِ أَنْ يَبِيعَ ثَمَرَ حَائِطِهِ إِنْ كَانَتْ نَخْلاً بِتَمْرٍ كَيْلاً وَإِنْ كَانَ كَرْمًا أَنْ يَبِيعَهُ بِزَبِيبٍ كَيْلاً وَإِنْ كَانَ زَرْعًا أَنْ يَبِيعَهُ بِكَيْلِ طَعَامٍ ‏.‏ نَهَى عَنْ ذَلِكَ كُلِّهِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ قُتَيْبَةَ أَوْ كَانَ زَرْعًا

আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্‌ নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ- বাগানে যদি খেজুর গাছ থাকে তবে তার কাঁচা খেজুর পরিমাপ করে শুকনো খেজুরের বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করা। আর যদি আঙ্গুর থাকে তবে তা পরিমাপ করে কিশমিশের বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করা। আর যদি তা ক্ষেতের ফসল হয় তবে তার পরিমাণ অনুমান করে সে পরিমাণ খাদ্য ক্রয়-করা-এসব করতে তিনি নিষেধ করেছেন।

কুতাইবার অন্য বর্ণনায় রয়েছে “অথবা যদি তা ক্ষেতের ফসল হয়”। (ই.ফা. ৩৭৫৫, ই.সে. ৩৭৫৫)

৩৭৯২
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنِي الضَّحَّاكُ، ح وَحَدَّثَنِيهِ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ

আবূ তাহির, ইবনু রাফি’ ও সুওয়াইদ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) ভিন্ন ভিন্ন সূ্ত্রে নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে হাদীসটি অন্যান্যের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৫৬, ই.সে. ৩৭৫৬)

১৫. অধ্যায়ঃ
ফলবান খেজুর গাছ বিক্রি করা

৩৭৯৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ بَاعَ نَخْلاً قَدْ أُبِّرَتْ فَثَمَرَتُهَا لِلْبَائِعِ إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ ‏”

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি খেজুরের রেণু প্রবিষ্ট করানো খেজুর গাছ বিক্রি করে তবে ঐ গাছের খেজুর বিক্রেতার পাপ্য। অবশ্য ক্রেতা যদি খেজুর নেয়ার শর্ত করে থাকে তবে তা তার হবে। (ই.ফা. ৩৭৫৭, ই.সে. ৩৭৫৭)

৩৭৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، جَمِيعًا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَيُّمَا نَخْلٍ اشْتُرِيَ أُصُولُهَا وَقَدْ أُبِّرَتْ فَإِنَّ ثَمَرَهَا لِلَّذِي أَبَّرَهَا إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الَّذِي اشْتَرَاهَا‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন তাবিরকৃত খেজুর গাছ যদি মূলসহ ক্রয় করা হয় এবং ক্রেতা যদি ফল পাওয়ার শর্ত না দিয়ে থাকে, তবে তার ফল তাবিরকারীরই [১২] প্রাপ্য। (ই.ফা. ৩৭৫৮, ই.সে. ৩৭৫৮)






[১২] তাবীর হলো ‘পরাগায়ন’ অর্থাৎ- স্ত্রী জাতীয় খেজুর গাছের মুকুলে পুরুষ জাতীয় খেজুর গাছের মুকুলের রেণু প্রবিষ্ট করানো। (সহীহ মুসলিম- তাহ্‌কীক : ফু’আদ ‘আবদুল বাকী’, ৩য় খণ্ড, ২৬ পৃ:)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩৭৯৫
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَيُّمَا امْرِئٍ أَبَّرَ نَخْلاً ثُمَّ بَاعَ أَصْلَهَا فَلِلَّذِي أَبَّرَ ثَمَرُ النَّخْلِ إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন ব্যক্তি খেজুর গাছে তাবির করার পর মূল গাছটি বিক্রি করে দিয়ে ঐ গাছের খেজুর তাবিরকারী পাবে, যদি ক্রেতা ফল পাওয়ার শর্ত করে না থাকে। (ই.ফা. ৩৭৫৯, ই.সে. ৩৭৫৯)

৩৭৯৬
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

নাফি’র সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

নাফি’র সূত্রে এ হাদীস ঐরকমই বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৬০, ই.সে. ৩৭৬০)

৩৭৯৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ نَخْلاً بَعْدَ أَنْ تُؤَبَّرَ فَثَمَرَتُهَا لِلَّذِي بَاعَهَا إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ وَمَنِ ابْتَاعَ عَبْدًا فَمَالُهُ لِلَّذِي بَاعَهُ إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি তাবিরকৃত খেজুর গাছ খরিদ করবে সে উক্ত গাছের ফল পাওয়ার শর্ত না করলে ঐ গাছের ফল বিক্রেতার প্রাপ্য এবং কেউ যদি গোলাম খরিদ করে এবং উক্ত গোলামের মাল পাওয়ার শর্ত না করে তবে সে মাল বিক্রেতারই প্রাপ্য। (ই.ফা. ৩৭৬১, ই.সে. ৩৭৬১)

৩৭৯৮
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যুহরী (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে এ হাদীস অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৬২, ই.সে. ৩৭৬২)

৩৭৯৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুরূপ বলতে শুনেছি। (ই.ফা. ৩৭৬৩, ই.সে. ৩৭৬৩)

১৬. অধ্যায়ঃ
মুহাকালাহ্‌, মুযাবানাহ্‌, মুখাবারাহ্‌, খাবার যোগ্য হওয়ার আগেই ফল বিক্রি ও মু’আ-ওয়ামাহ্‌ অর্থাৎ- কয়েক বছরের জন্যে ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ

৩৮০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَالْمُخَابَرَةِ وَعَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ وَلاَ يُبَاعُ إِلاَّ بِالدِّينَارِ وَالدِّرْهَمِ إِلاَّ الْعَرَايَا ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাকালাহ্‌, মুযাবানাহ্‌, মুখাবারাহ্‌ ও পরিণত হওয়ার আগে ফল ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন। আর ‘আরায়া প্রক্রিয়া ছাড়া দীনার ও দিরহামের বিনিময় ব্যতীত ফল বিক্রি করা যাবে না। (ই.ফা. ৩৭৬৪, ই.সে. ৩৭৬৪)

৩৮০১
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، وَأَبِي، الزُّبَيْرِ أَنَّهُمَا سَمِعَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন- অতঃপর তিনি উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৬৫, ই.সে. ৩৭৬৫)

৩৮০২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ الْجَزَرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ، جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُخَابَرَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَعَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ حَتَّى تُطْعِمَ وَلاَ تُبَاعُ إِلاَّ بِالدَّرَاهِمِ وَالدَّنَانِيرِ إِلاَّ الْعَرَايَا ‏.‏ قَالَ عَطَاءٌ فَسَّرَ لَنَا جَابِرٌ قَالَ أَمَّا الْمُخَابَرَةُ فَالأَرْضُ الْبَيْضَاءُ يَدْفَعُهَا الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فَيُنْفِقُ فِيهَا ثُمَّ يَأْخُذُ مِنَ الثَّمَرِ ‏.‏ وَزَعَمَ أَنَّ الْمُزَابَنَةَ بَيْعُ الرُّطَبِ فِي النَّخْلِ بِالتَّمْرِ كَيْلاً ‏.‏ وَالْمُحَاقَلَةُ فِي الزَّرْعِ عَلَى نَحْوِ ذَلِكَ يَبِيعُ الزَّرْعَ الْقَائِمَ بِالْحَبِّ كَيْلاً ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখাবারাহ্‌, মুহাকালাহ্‌, মুযাবানাহ্‌ এবং খাওয়ার যোগ্য হওয়ার পূর্বেই ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেণ। আর দিরহাম ও দীনারের বিনিময়েই কেবল ফল বিক্রি করা যাবে, কিন্তু ‘আরায়া প্রক্রিয়াটি স্বতন্ত্র (অর্থাৎ- এতে ফলের বদলে ফল বিক্রয় চলবে)।

‘আতা (রহঃ) বলেনঃ ক্রয়-বিক্রয়ের ঐ ধরণগুলো সম্পর্কে জাবির (রাঃ) আমাদেরকে খুলে বলেছেন; মুখাবারাহ্‌ হলো: এক ব্যক্তিকে শস্যহীন শুন্য ক্ষেত প্রদান করা হয়। এরপর সে তাতে ফসল উৎপন্ন করে তারপর মালিক উৎপন্ন ফসলে অংশগ্রহণ করে। আর মুযাবানাহ্‌ হলো- গাছের মাথায় থাকা তাজা খেজুর অনুমানে পরিমাপ করে খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা। আর মুহাকালাহ্‌ ফসলের মধ্যে অনুরূপ পদ্ধতিতে হয়ে থাকে অর্থাৎ-ক্ষেতের বিদ্যমান শস্যকে অনুমানে পরিমাপ করে ঘরে রাখা শস্যের বিনিময়ে বিক্রি করা। (ই.ফা. ৩৭৬৬, ই.সে. ৩৭৬৬)

৩৮০৩
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، كِلاَهُمَا عَنْ زَكَرِيَّاءَ، قَالَ ابْنُ أَبِي خَلَفٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الْمَكِّيُّ، وَهُوَ جَالِسٌ عِنْدَ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَالْمُخَابَرَةِ وَأَنْ تُشْتَرَى النَّخْلُ حَتَّى تُشْقِهَ – وَالإِشْقَاهُ أَنْ يَحْمَرَّ أَوْ يَصْفَرَّ أَوْ يُؤْكَلَ مِنْهُ شَىْءٌ – وَالْمُحَاقَلَةُ أَنْ يُبَاعَ الْحَقْلُ بِكَيْلٍ مِنَ الطَّعَامِ مَعْلُومٍ وَالْمُزَابَنَةُ أَنْ يُبَاعَ النَّخْلُ بِأَوْسَاقٍ مِنَ التَّمْرِ وَالْمُخَابَرَةُ الثُّلُثُ وَالرُّبُعُ وَأَشْبَاهُ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ زَيْدٌ قُلْتُ لِعَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ أَسَمِعْتَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَذْكُرُ هَذَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাকালাহ্‌, মুযাবানাহ্‌, মুখাবানাহ্‌, মুখাবারাহ্‌ এবং খেজুর লাল বা হলদে অথবা খাদ্যোপযোগী হওয়ার পূর্বে খরিদ করতে নিষেধ করেছেন। মুহাকালাহ্‌ হলো- ক্ষেতের শস্য নির্ধারিত পরিমাণ খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করা। মুযাবানাহ্‌ হচ্ছে- গাছের খেজুর কয়েক অসক খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা। মুখাবারাহ্‌ বলা হয়- এক তৃতীয়াংশ, এক চতুর্থাংশ বা এরূপ নির্দিষ্ট কোন অংশকে।

যায়দ (রহঃ) বলেনঃ আমি ‘আতা ইবনু আবূ রাবাহ্‌কে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহকে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ বলেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ই.ফা. ৩৭৬৭, ই.সে. ৩৭৬৭)

৩৮০৪
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ، مِينَاءَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُخَابَرَةِ وَعَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ حَتَّى تُشْقِحَ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لِسَعِيدٍ مَا تُشْقِحُ قَالَ تَحْمَارُّ وَتَصْفَارُّ وَيُؤْكَلُ مِنْهَا ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্‌, মুহাকালাহ্‌, মুখাবারাহ্‌ এবং ফল পাকার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।

রাবী বলেন, আমি সা’ঈদকে জিজ্ঞেস করলাম পাকার অর্থ কী? তিনি বললেন, লাল বর্ণ বা হলুদ বর্ণ ধারণ করা এবং খাওয়ার যোগ্য হওয়া। (ই.ফা. ৩৭৬৮, ই.সে. ৩৭৬৮)

৩৮০৫
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، – وَاللَّفْظُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، وَسَعِيدِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَالْمُعَاوَمَةِ وَالْمُخَابَرَةِ – قَالَ أَحَدُهُمَا بَيْعُ السِّنِينَ هِيَ الْمُعَاوَمَةُ – وَعَنِ الثُّنْيَا وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাকালাহ্‌, মুযাবানাহ্‌, মু’আওয়ামাহ্‌ ও মুখাবারাহ নিষেধ করেছেন। দু’জনের একজনে বলেন কয়েক বছরের জন্যে বিক্রি করার নাম মু’আওয়ামাহ্‌। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন কিছু অংশ বাদ দেয়া হতে [১৩] আর অনুমতি দিয়েছেন আরায়ার বেলায়। (ই.ফা. ৩৭৬৯, ই.সে. ৩৭৬৯)






[১‌৩] ‘কিছু অংশ বাদ’ অর্থাৎ বিক্রেতা শস্যস্তুপ বা বাগানের গাছগুলো থেকে অজ্ঞাত পরিমাণ কিছু বাদ দিয়ে বিক্রি করতে চাইলে সে বেচাকেনা বাতিল বলে গণ্য হবে। (শারহে মুসলিম, ইমাম নাবাবী, ২য় খণ্ড, ১১ পৃ)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩৮০৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَذْكُرُ بَيْعُ السِّنِينَ هِيَ الْمُعَاوَمَةُ ‏.‏

জাবির (রা.)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এ কথাটি উল্লেখ করেননি যে, কয়েক বছরের জন্যে বিক্রি করা হলো মু’আওয়ামাহ্। (ই.ফা. ৩৭৭০, ই.সে. ৩৭৭০)

৩৮০৭
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا رَبَاحُ بْنُ، أَبِي مَعْرُوفٍ قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ وَعَنْ بَيْعِهَا السِّنِينَ وَعَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَطِيبَ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে, কয়েক বছরের জন্যে বিক্রি করতে এবং ফল পরিপক্ক হওয়ার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই-ফা. ৩৭৭১, ই.সে. ৩৭৭১)

১৭. অধ্যায়ঃ
জমি বর্গা [১৪] দেয়া

[১৪] এ অধ্যায়ে বর্ণিত হাদীসের মর্মে জমি বর্গা দেয়া নিষিদ্ধ বুঝা যায়। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক গৃহীত খাইবারের ভূমি ব্যবস্থা দ্বারা বর্গা দেয়া বৈধ প্রমাণিত। জমির মালিক জমি চাষাবাদ না করে তা কৃষককে আল্লাহর ওয়াস্তে চাষাবাদ করতে দেয়া উত্তম বিধায়, বর্গা দেয়া মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এ নিষেধ মানে মাকরূহ তানজিহ্‌। আর বর্গা দেয়াও জায়িয। তবে এ পরিমাণ ফসল দিতে হবে বা এ অংশেষ ফসল দিতে হবে- এরূপ শর্ত করে বর্গা দেয়া অবৈধ।

৩৮০৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৭২, ই.সে. ৩৭৭২)

৩৮০৯
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، – لَقَبُهُ عَارِمٌ وَهُوَ أَبُو النُّعْمَانِ السَّدُوسِيُّ – حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا مَطَرٌ الْوَرَّاقُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا فَإِنْ لَمْ يَزْرَعْهَا فَلْيُزْرِعْهَا أَخَاهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার কাছে জমি আছি সেটি তার চাষাবাদ করা উচিত। যদি সে নিজে তা না করে তবে যেন তার কোন ভাইকে চাষাবাদ করতে প্রদান করে। (ই.ফা. ৩৭৭৩, ই.সে. ৩৭৭৩)

৩৮১০
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِقْلٌ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ لِرِجَالٍ فُضُولُ أَرَضِينَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ فَضْلُ أَرْضٍ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيَمْنَحْهَا أَخَاهُ فَإِنْ أَبَى فَلْيُمْسِكْ أَرْضَهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতিপয় সাহাবীর প্রয়োজনের চেয়েও বেশী জমি ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার নিকট প্রয়োজনের বেশী জমি আছে সে যেন তা চাষাবাদ করে অথবা তার কোন ভাইকে (চাষাবাদ করতে) দেয়। আর যদি সে তা না চায় তাহলে তার জমি সে আটকে রাখুক। (ই.ফা. ৩৭৭৪, ই.সে. ৩৭৭৪)

৩৮১১
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، أَخْبَرَنَا الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُؤْخَذَ لِلأَرْضِ أَجْرٌ أَوْ حَظٌّ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শ্রমের উপরে বা ফসলের অংশ দিয়ে জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৭৫, ই.সে. ৩৭৭৫)

৩৮১২
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَزْرَعَهَا وَعَجَزَ عَنْهَا فَلْيَمْنَحْهَا أَخَاهُ الْمُسْلِمَ وَلاَ يُؤَاجِرْهَا إِيَّاهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যার জমি আছে সে যেন তাতে চাষাবাদ করে। তা যদি সে না পারে অথবা অক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তার অপর কোন মুসলিম ভাইকে (চাষাবাদ করতে) দেয়। কিন্তু বর্গা দিবে না। (ই.ফা. ৩৭৭৬, ই.সে. ৩৭৭৬)

৩৮১৩
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ سَأَلَ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى عَطَاءً فَقَالَ أَحَدَّثَكَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيُزْرِعْهَا أَخَاهُ وَلاَ يُكْرِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

শাইবান ইবনু ফার্রূখ (রহঃ) হাম্মাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সুলাইমান ইবনু মুসা (রহঃ) ‘আতা-কে জিজ্ঞেস করলেন আপনার নিকট জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) কি এ কথা বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যার জমি আছে সে যেন তা চাষাবাদ করে অথবা তার অপর ভাইকে চাষ করার জন্যে দিয়ে দেয়। সেটা বর্গায় দিবে না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তা-ই। (ই.ফা. ৩৭৭৭, ই.সে. ৩৭৭৭)

৩৮১৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُخَابَرَةِ ‏.‏

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখাবারাহ্‌ নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৭৮, ই.সে. ৩৭৭৮)

৩৮১৫
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ، حَيَّانَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَ لَهُ فَضْلُ أَرْضٍ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيُزْرِعْهَا أَخَاهُ وَلاَ تَبِيعُوهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ لِسَعِيدٍ مَا قَوْلُهُ وَلاَ تَبِيعُوهَا يَعْنِي الْكِرَاءَ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার নিকট অতিরিক্ত জমি আছে তার উচিত সেটি চাষাবাদ করা অথবা আবাদ করার জন্যে তার অপর ভাইকে দেয়া। তোমরা সেটা বিক্রি করো না।

(রাবী বলেন) আমি সা’ঈদকে জিজ্ঞেস করলাম, বিক্রি করো না-এ কথা কি বর্গা দেয়া? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তা-ই। (ই.ফা. ৩৭৭৯, ই.সে. ৩৭৭৯)

৩৮১৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا نُخَابِرُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنُصِيبُ مِنَ الْقِصْرِيِّ وَمِنْ كَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ فَلْيُحْرِثْهَا أَخَاهُ وَإِلاَّ فَلْيَدَعْهَا‏”‏ ‏.‏

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে জমি বর্গায় নিতাম এবং প্রাপ্য হিসেবে শস্য মাড়াই করার পর ছড়ায় যা অবশিষ্ট থাকত তা এবং এ ধরনের সামান্য কিছু ভাগ পেতাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার জমি আছে সে সেটা আবাদ করুক অথবা তার অপর ভাইকে দিয়ে আবাদ করাক অন্যথায় সে নিজেই ধরে রাখুক। (ই.ফা. ৩৭৮০, ই.সে. ৩৭৮০)

৩৮১৭
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، – قَالَ ابْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، – حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ الْمَكِّيَّ، حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَأْخُذُ الأَرْضَ بِالثُّلُثِ أَوِ الرُّبُعِ بِالْمَاذِيَانَاتِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ فَقَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا فَإِنْ لَمْ يَزْرَعْهَا فَلْيَمْنَحْهَا أَخَاهُ فَإِنْ لَمْ يَمْنَحْهَا أَخَاهُ فَلْيُمْسِكْهَا ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘আমালে আমরা খালের সন্নিকটবর্তী জমিতে এক তৃতীয়াংশ ও এক চতুর্থাংশ ফসলের বিনিময়ে জমি বর্গা দিতাম। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তথায় দাঁড়িয়ে বললেন, জামি যার সে-ই তাতে চাষ করবে। আর যদি সে তা না করে তবে যেন তার ভাইকে আবাদ করতে দেয়। যদি তার ভাইকে তা না দেয়, তবে যেন তা আটকে রাখে। (ই.ফা. ৩৭৮০, ই.সে. ৩৭৮০)

৩৮১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَهَبْهَا أَوْ لِيُعِرْهَا ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি- যার জমি আছে সে যেন তা দান করে অথবা সে যেন তা ধার দেয়। (ই.ফা. ৩৭৮২, ই.সে. ৩৭৮২)

৩৮১৯
وَحَدَّثَنِيهِ حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوَّابِ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ فَلْيُزْرِعْهَا رَجُلاً ‏”‏ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ)-এর সূত থেকে বর্ণিতঃ

আ’মাশ (রহঃ)-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। অবশ্য তিনি বলেছেন যে, সে যেন তা চাষ করে অথবা অন্য কোন লোককে চাষ করতে দেয়। (ই.ফা. ৩৭৮৩, ই.সে. ৩৭৮৩)

৩৮২০
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَهُ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ ‏.‏ قَالَ بُكَيْرٌ وَحَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ كُنَّا نُكْرِي أَرْضَنَا ثُمَّ تَرَكْنَا ذَلِكَ حِينَ سَمِعْنَا حَدِيثَ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন।

বুকায়র (রহঃ) নাফি’র সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের জমি বর্গায় দিতাম। এরপর রাফি’ ইবনু খাদীজের হাদীস শুনে তা ছেড়ে দেই। (ই.ফা. ৩৭৮৪, ই.সে. ৩৭৮৪)

৩৮২১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الأَرْضِ الْبَيْضَاءِ سَنَتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ‏.‏

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খালি জমি দু’ বা তিন বছরের জন্যে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৮৫, ই.সে. ৩৭৮৫)

৩৮২২
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ الأَعْرَجِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَتِيقٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ السِّنِينَ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ سِنِينَ ‏.‏

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েক বছরের জন্য জমি বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।

ইবনু আবূ শাইবার বর্ণনায় আছে-কয়েক বছরের জন্যে ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৮৬, ই.সে. ৩৭৮৬)

৩৮২৩
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ، أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيَمْنَحْهَا أَخَاهُ فَإِنْ أَبَى فَلْيُمْسِكْ أَرْضَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যার জমি আছে তার উচিত সে যেন তা চাষ করে অথবা তার অপর ভাইকে তা আবাদ করতে দেয়। এতে যদি সে রাজী না হয়, তাহলে তার জমি যেন সে আটকে রাখে। (ই.ফা. ৩৭৮৭, ই.সে. ৩৭৮৭)

৩৮২৪
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ نُعَيْمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْحُقُولِ ‏.‏ فَقَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَابَنَةُ الثَّمَرُ بِالتَّمْرِ ‏.‏ وَالْحُقُولُ كِرَاءُ الأَرْضِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুযাবানাহ্‌ ও হুকূল থেকে নিষেধ করতে শুনেছেন। তখন জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, মুযাবানাহ্‌ হলো কাঁচা খেজুরের বিনিময়ে শুকনা খেজুর বদল করা। আর হুকূল হলো জমি বর্গা দেয়া। (ই.ফা. ৩৭৮৮, ই.সে. ৩৭৮৮)

৩৮২৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ – عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ ‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাকালাহ্‌ [১৫] ও মুযাবানাহ[১৬] থেকে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৮৯, ই.সে. ৩৭৮৯)






[১৫] ‘মুহাকালাহ্‌’ ক্ষেত্রে শস্য অনুমান করে সংগৃহীত শস্যের বিনিময়ে বিক্রি করা।

[১৬] ‘মুযাবানাহ্‌’ গাছে থাকা খেজুর ঘরের শুকনো খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 সরাসরি

৩৮২৬
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ، مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ ‏.‏ وَالْمُزَابَنَةُ اشْتِرَاءُ الثَّمَرِ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ ‏.‏ وَالْمُحَاقَلَةُ كِرَاءُ الأَرْضِ ‏.‏

আব সা’ঈদ খুদ্‌রী (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাবানাহ্‌ ও মুহাকালাহ্‌ থেকে নিষেধ করেছেন। মুযাবানাহ্‌ হলো খেজুর গাছের মাথায় ঝুলে থাকা ফল ক্রয় করা, আর মুহাকালাহ্‌ হলো জমি ইজারা দেয়া। (ই.ফা. ৩৭৯০, ই.সে. ৩৭৯০)

৩৮২৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ كُنَّا لاَ نَرَى بِالْخِبْرِ بَأْسًا حَتَّى كَانَ عَامُ أَوَّلَ فَزَعَمَ رَافِعٌ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মুখাবারাহ্‌ করায় কোন দোষ মনে করতাম না। এভাবে যখন প্রথম বছর অতিবাহিত হলো, তখন রাফি’ (রাঃ) বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজ থেকে নিষেধ করেছেন।

৩৮২৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَإِبْرَاهِيمُ، بْنُ دِينَارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كُلُّهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ وَزَادَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ فَتَرَكْنَاهُ مِنْ أَجْلِهِ ‏.‏

‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য ইবনু ‘উয়াইনাহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে অতিরিক্ত আছে যে-এরপর এ কারণে আমরা তা ছেড়ে দেই। (ই.ফা. ৩৭৯১, ই.সে. ৩৭৯১)

৩৮২৯
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ لَقَدْ مَنَعَنَا رَافِعٌ نَفْعَ أَرْضِنَا ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাফি’ (রহঃ) আমাদেরকে আমাদের জমি হতে ফায়দা হাসিল করা হতে বাধা দান করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৯৩, ই.সে. ৩৭৯৩)

৩৮৩০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يُكْرِي مَزَارِعَهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي إِمَارَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ مُعَاوِيَةَ حَتَّى بَلَغَهُ فِي آخِرِ خِلاَفَةِ مُعَاوِيَةَ أَنَّ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ يُحَدِّثُ فِيهَا بِنَهْىٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ عَلَيْهِ وَأَنَا مَعَهُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ كِرَاءِ الْمَزَارِعِ ‏.‏ فَتَرَكَهَا ابْنُ عُمَرَ بَعْدُ ‏.‏ وَكَانَ إِذَا سُئِلَ عَنْهَا بَعْدُ قَالَ زَعَمَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর জমি ইজারা দিতেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবূ বাক্‌র, ‘উমার, ‘উসমান ও মু’আবিয়াহ্‌ (রাঃ)-এর খিলাফাত কালের প্রথম যুগ পর্যন্ত। এরপর মু’আবিয়াহ্‌ (রাঃ)-এর খিলাফাতের শেষ দিকে তাঁর কাছে এ সংবাদ গেল যে, রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) এ বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিষেধমূলক হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর নিকট উপস্থিত হলেন। আমিও তাঁর সাথে ছিলাম। এরপর তিনি তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি ইজারা দিতে নিষেধ করতেন। এরপরি ইবনু ‘উমার (রাঃ) তা বাদ দেন।

এরপর হতে যখন তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হত, তিনি বলতেন-ইবনু খাদীজ (রাঃ) বলেছেন: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ থেকে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৯৪, ই.সে. ৩৭৯৪)

৩৮৩১
وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ وَزَادَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ قَالَ فَتَرَكَهَا ابْنُ عُمَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَكَانَ لاَ يُكْرِيهَا ‏.‏

আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আইয়ূব (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। ইবনু ‘উলাইয়্যার বর্ণনায় আইয়ূব (রহঃ) বাড়তি আরও বলেছেন যে, এরপর ইবনু ‘উমার (রাঃ) তা পরিত্যাগ করেন এবং আর কখনও জমি ইজারা দেননি। (ই.ফা. ৩৭৯৫, ই.সে. ৩৭৯৫)

৩৮৩২
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ ذَهَبْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ إِلَى رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ حَتَّى أَتَاهُ بِالْبَلاَطِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كِرَاءِ الْمَزَارِعِ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, একদা আমি ইবনু ‘উমারের সাথে রাফি’ ইবনু খাদীজের নিকট গেলাম। বালাত নামক স্থানে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হলো। তিনি তাকে অবহিত করলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি ইজারা দিতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৭৯৬, ই.সে. ৩৭৯৬)

৩৮৩৩
وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ أَتَى رَافِعًا فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার রাফি’র নিকট আসেন। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস উল্লেখ করেন। (ই.ফা. ৩৭৯৭, ই.সে. ৩৭৯৭)

৩৮৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، – يَعْنِي ابْنَ حَسَنِ بْنِ يَسَارٍ – حَدَّثَنَا ابْنُ، عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَأْجُرُ الأَرْضَ – قَالَ – فَنُبِّئَ حَدِيثًا عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ – قَالَ – فَانْطَلَقَ بِي مَعَهُ إِلَيْهِ – قَالَ – فَذَكَرَ عَنْ بَعْضِ عُمُومَتِهِ ذَكَرَ فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ ‏.‏ قَالَ فَتَرَكَهُ ابْنُ عُمَرَ فَلَمْ يَأْجُرْهُ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) জমি বর্গা দিতেন। নাফি’ বলেন, এরপর রাফি’ বর্ণিত একটি হাদীস তাকে জানান হলো। রাবী বলেন, তিনি আমাকে সাথে নিয়ে তার নিকট গেলেন। তিনি তার কোন চাচার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করলেন। তাতে উল্লেখ আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। রাবী বলেন, এরপর থেকে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এ কাজ ত্যাগ করেন এবং আর কোন সময় জমি বর্গা দেননি। (ই.ফা. ৩৭৯৮, ই.সে. ৩৭৯৮)

৩৮৩৫
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فَحَدَّثَهُ عَنْ بَعْضِ، عُمُومَتِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

‘আওন থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত হাদীস বর্ণিত। রাবী বলেন, এরপর তিনি তার চাচার সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৭৯৯, ই.সে. ৩৭৯৯)

৩৮৩৬
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يُكْرِي أَرَضِيهِ حَتَّى بَلَغَهُ أَنَّ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ الأَنْصَارِيَّ كَانَ يَنْهَى عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ يَا ابْنَ خَدِيجٍ مَاذَا تُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي كِرَاءِ الأَرْضِ قَالَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ لِعَبْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ عَمَّىَّ – وَكَانَا قَدْ شَهِدَا بَدْرًا – يُحَدِّثَانِ أَهْلَ الدَّارِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَعْلَمُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ الأَرْضَ تُكْرَى ثُمَّ خَشِيَ عَبْدُ اللَّهِ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْدَثَ فِي ذَلِكَ شَيْئًا لَمْ يَكُنْ عَلِمَهُ فَتَرَكَ كِرَاءَ الأَرْضِ ‏.‏

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) নিজের জমি বর্গা দিতেন। পরে তার কাছে এ সংবাদ পৌঁছল যে, রাফি’ ইবনু খাদীজ আনসারী (রাঃ) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করে থাকেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁর সাথে দেখা করে জিজ্ঞেস করেন, হে ইবনু খাদীজ! জমি বর্গার ব্যাপারে আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কি হাদীস বর্ণনা করেছেন? রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) ‘আবদুল্লাহকে বললেন, আমি আমার দু’জন চাচার নিকট শুনেছি- যাঁরা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা পরিবার-পরিজনের নিকট বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে আমি ভাল করেই জানতাম যে, জমি বর্গা দেয়া যায়। এরপর ‘আবদুল্লাহ ভীত হলো যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হয়তো এমন কিছু বলেছেন, যা তিনি জানতে পারেননি। সুতরাং তিনি জমি বর্গা দেয়া ত্যাগ করেন। (ই.ফা. ৩৮০০, ই.সে. ৩৮০০)

১৮. অধ্যায়ঃ
খাদ্যের বিনিময়ে জমি ইজারা

৩৮৩৭
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ كُنَّا نُحَاقِلُ الأَرْضَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنُكْرِيهَا بِالثُّلُثِ وَالرُّبُعِ وَالطَّعَامِ الْمُسَمَّى فَجَاءَنَا ذَاتَ يَوْمٍ رَجُلٌ مِنْ عُمُومَتِي فَقَالَ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَمْرٍ كَانَ لَنَا نَافِعًا وَطَوَاعِيَةُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ أَنْفَعُ لَنَا نَهَانَا أَنْ نُحَاقِلَ بِالأَرْضِ فَنُكْرِيَهَا عَلَى الثُّلُثِ وَالرُّبُعِ وَالطَّعَامِ الْمُسَمَّى وَأَمَرَ رَبَّ الأَرْضِ أَنْ يَزْرَعَهَا أَوْ يُزْرِعَهَا وَكَرِهَ كِرَاءَهَا وَمَا سِوَى ذَلِكَ ‏.‏

রাফি’ খাদীজ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে জমির মুহাকালাহ্‌ করতাম এবং এক তৃতীয়াংশ, এক চতুর্থাংশ বা নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যের বিনিময়ে ইজারা দিতাম। এরপর এক সময় আমার এক চাচা আমাদের নিকট এসে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এমন একটি বিষয় থেকে নিষেধ করেছেন যা আমাদের জন্যে লাভজনক ছিল। আর আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা মেনে চলা আমাদের জন্যে অধিক কল্যাণকর। তিনি আমাদেরকে জমি মুহকালাহ করতে এবং এক তৃতীয়াংশ, এক চতুর্থাংশ বা নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যের বিনিময়ে ইজারা দিতে নিষেধ করেছেন। আর জমির মালিককে নিজে চাষ করতে বা অপরের দ্বারা চাষ করাতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইজারা বা অন্য কিছু করার বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। (ই.ফা. ৩৮০১, ই.সে. ৩৮০১)

৩৮৩৮
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ يَعْلَى بْنُ حَكِيمٍ قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ، يُحَدِّثُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ كُنَّا نُحَاقِلُ بِالأَرْضِ فَنُكْرِيهَا عَلَى الثُّلُثِ وَالرُّبُعِ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ ‏.‏

রাফি’ ইবনু খাদীজ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা জমির মুহাকালাহ্‌ করতাম এবং এক তৃতীয়াংশ ও এক চতুর্থাংশের বিনিময়ে ইজারা দিতাম। এরপর ইবনু ‘উলাইয়্যার হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৮০২, ই.সে. ৩৮০২)

৩৮৩৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏

ইয়া’লা ইবনু হাকীম (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়া’লা ইবনু হাকীম (রাঃ)-এর সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৮০৩, ই.সে. ৩৮০৩)

৩৮৪০
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ، حَكِيمٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَقُلْ عَنْ بَعْضِ عُمُومَتِهِ ‏.‏

রাফি’র সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

রাফি’র সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন। কিন্তু তাতে তার কোন এক চাচার কথা বলেননি। (ই.ফা. ৩৮০৪, ই.সে. ৩৮০৪)

৩৮৪১
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي النَّجَاشِيِّ، مَوْلَى رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ رَافِعٍ، أَنَّ ظُهَيْرَ بْنَ رَافِعٍ، – وَهُوَ عَمُّهُ – قَالَ أَتَانِي ظُهَيْرٌ فَقَالَ لَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَمْرٍ كَانَ بِنَا رَافِقًا ‏.‏ فَقُلْتُ وَمَا ذَاكَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَهُوَ حَقٌّ ‏.‏ قَالَ سَأَلَنِي كَيْفَ تَصْنَعُونَ بِمَحَاقِلِكُمْ فَقُلْتُ نُؤَاجِرُهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى الرَّبِيعِ أَوِ الأَوْسُقِ مِنَ التَّمْرِ أَوِ الشَّعِيرِ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ فَلاَ تَفْعَلُوا ازْرَعُوهَا أَوْ أَزْرِعُوهَا أَوْ أَمْسِكُوهَا ‏”‏ ‏.‏

রাফি’ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

যুহায়র ইবনু রাফি’ (রহঃ) তাঁর চাচা হন। রাফি’ বলেন, যুহায়র একদা আমার নিকট এসে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এমন একটি বিষয় থেকে নিষেধ করেছেন যা আমাদের জন্যে ছিল লাভজনক। আমি বললাম, তা কী? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন তাই যথার্থ। তিনি বললেন, আমার নিকট তিনি জিজ্ঞেস করেছেন, কিভাবে তোমরা মুহাকালাহ্‌ করো? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা খালের সন্নিকটবর্তী জমির ফসলের শর্তে বিংবা খুরমা বা যবের কয়ের অসক প্রদানের শর্তে জমি বর্গা দিয়ে থাকি। তিনি বললেন, আর এরূপ করো না। তোমরা নিজেরা চাষ করো অথবা অপরকে দিয়ে চাষ করাও, তা না হলে এমনি রেখে দাও। (ই.ফা. ৩৮০৫, ই.সে. ৩৮০৪ [ক])

৩৮৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي النَّجَاشِيِّ، عَنْ رَافِعٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا وَلَمْ يَذْكُرْ عَنْ عَمِّهِ ظُهَيْرٍ

রাফি’ (রা.) সূ্ত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত। কিন্তু এতে তার চাচা যুহায়রের নাম উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৩৮০৬, ই.সে. ৩৮০৫)

১৯. অধ্যায়ঃ
স্বর্ণ-রৌপ্যের বিনিময়ে জমি ভাড়া দেয়া

৩৮৪৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ قَيْسٍ، أَنَّهُ سَأَلَ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ، فَقَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ قَالَ فَقُلْتُ أَبِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَقَالَ أَمَّا بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَلاَ بَأْسَ بِهِ ‏.‏

হানযালাহ্ ইবনু কায়স (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাফি’ ইবনু খাদীজের নিকট জমি বর্গা দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জমি বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। রাবী বলেন, তখন আমি বললাম : স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিনিময়েও কি নিষেধ? তিনি বললেন, স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিনিময়ে হলে কোন সমস্যা নেই। (ই.ফা. ৩৮০৭, ই.সে. ৩৮০৬)

৩৮৪৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي، عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنِي حَنْظَلَةُ بْنُ قَيْسٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَأَلْتُ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ عَنْ كِرَاءِ الأَرْضِ، بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَقَالَ لاَ بَأْسَ بِهِ إِنَّمَا كَانَ النَّاسُ يُؤَاجِرُونَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمَاذِيَانَاتِ وَأَقْبَالِ الْجَدَاوِلِ وَأَشْيَاءَ مِنَ الزَّرْعِ فَيَهْلِكُ هَذَا وَيَسْلَمُ هَذَا وَيَسْلَمُ هَذَا وَيَهْلِكُ هَذَا فَلَمْ يَكُنْ لِلنَّاسِ كِرَاءٌ إِلاَّ هَذَا فَلِذَلِكَ زُجِرَ عَنْهُ ‏.‏ فَأَمَّا شَىْءٌ مَعْلُومٌ مَضْمُونٌ فَلاَ بَأْسَ بِهِ ‏.‏

হানযালাহ্‌ ইবনু কায়স আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাফি’ ইবনু খাদীজকে স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিনিময়ে জমি বর্গা দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, এতে কোন সমস্যা নেই। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘আমালে লোকেরা পানির ঝর্ণার পাশ্ববর্তী অংশ, খালের অগ্রভাগের ভেজা অংশ ও ক্ষেতের অন্যান্য সুবিধা নেয়ার শর্তে জমি বর্গা দিত। এতে কখনও এক অংশ বিনষ্ট হত ও অপর অংশ ভাল থাকত। আবার কখনও এ অংশ ভাল থাকত আর অপর অংশ বিনষ্ট হত। আর এ ধরনের বর্গায় বঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই হত না। এ কারণে তিনি এ থেকে নিষেধ করেন। আর যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের (স্বর্ণ-রৌপ্যের) বিনিময়ে বর্গা দেয়া হয়, তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই। (ই.ফা. ৩৮০৮, ই.সে. ৩৮০৭)

৩৮৪৫
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ، الزُّرَقِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ، يَقُولُ كُنَّا أَكْثَرَ الأَنْصَارِ حَقْلاً – قَالَ – كُنَّا نُكْرِي الأَرْضَ عَلَى أَنَّ لَنَا هَذِهِ وَلَهُمْ هَذِهِ فَرُبَّمَا أَخْرَجَتْ هَذِهِ وَلَمْ تُخْرِجْ هَذِهِ فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ وَأَمَّا الْوَرِقُ فَلَمْ يَنْهَنَا ‏.‏

রাফি’ ইবনু খাদীজ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আনসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জমির মালিক ছিলাম। এ শর্তে আমরা জমির ইজারা দিতাম যে, এ অংশ আমাদের আর ঐ অংশ তাদের। এরপর অনেক সময় এ অংশে ফসল ফলত আর ঐ অংশে কিছুই ফলত না। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজ থেকে আমাদেরকে নিষেধ করেন। আর রৌপ্যের বিনিময়ে ইজারা দিতে তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেননি। (ই.ফা. ৩৮০৯, ই.সে. ৩৮০৮)

৩৮৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ)-এর সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩৮১০, ই.সে. ৩৮০৯)

২০. অধ্যায়ঃ
বর্গাচাষ এবং টাকার বিনিময়ে জমি ভাড়া বিষয়

৩৮৪৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَعْقِلٍ عَنِ الْمُزَارَعَةِ، فَقَالَ أَخْبَرَنِي ثَابِتُ بْنُ الضَّحَّاكِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَارَعَةِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ نَهَى عَنْهَا ‏.‏ وَقَالَ سَأَلْتُ ابْنَ مَعْقِلٍ ‏.‏ وَلَمْ يُسَمِّ عَبْدَ اللَّهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মা’কালের নিকট মুযারা’আ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি বললেন, সাবিত ইবনু যাহহাক (রাঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযারা’আ থেকে নিষেধ করেছেন। (এ নিষেধাজ্ঞা জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলের শর্তে হলে হবে। তবে খাইবারের ভূমি বর্গাচাষের হাদীস থেকে বর্গাচাষ বৈধ প্রমাণিত।)

ইবনু আবূ শাইবাহর বর্ণনায় কথাটি এরুপ আছে যে, তিনি তা থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন-আমি ইবনু মা’কালের নিকট জিজ্ঞেস করেছি। তিনি ‘আবদুল্লাহর নাম বলেনন। (ই ফা ৩৮১১, ই সে ৩৮১০)

৩৮৪৮
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، الشَّيْبَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْقِلٍ فَسَأَلْنَاهُ عَنِ الْمُزَارَعَةِ، فَقَالَ زَعَمَ ثَابِتٌ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُزَارَعَةِ وَأَمَرَ بِالْمُؤَاجَرَةِ وَقَالَ ‏ “‏ لاَ بَأْسَ بِهَا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু মা’কালের নিকট উপস্থিত হই এবং মুযারা’আ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি জানান, সাবিত (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযারা’আহ করতে নিষেধ করেছেন এবং ইজারা দিতে আদেশ করেছেন আর বলেছেন-এতে কোন সমস্যা নেই। (ই ফা ৩৮১২ ই সে ৩৮১১)

২১. অধ্যায়ঃ
কোন বিনিময় গ্রহণ ব্যতীতই জমি চাষাবাদ করতে দেয়া

৩৮৪৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرٍو، أَنَّ مُجَاهِدًا، قَالَ لِطَاوُسٍ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى ابْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ فَاسْمَعْ مِنْهُ الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَانْتَهَرَهُ قَالَ إِنِّي وَاللَّهِ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُ مَا فَعَلْتُهُ وَلَكِنْ حَدَّثَنِي مَنْ هُوَ أَعْلَمُ بِهِ مِنْهُمْ – يَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لأَنْ يَمْنَحَ الرَّجُلُ أَخَاهُ أَرْضَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَأْخُذَ عَلَيْهَا خَرْجًا مَعْلُومًا ‏”‏ ‏.‏

আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুজাহিদ তাউসকে বললেনঃ আপনি আমাদের সাথে ইবনু রাফি’ ইবনু খাদীজের নিকট চলুন এবং তার পিতার সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হাদীসটি শুনুন। রাবী ‘আমর (রাঃ) বলেন, তখন রাবী (রহঃ) তাঊস (রহঃ) মুজাহিদকে তিরস্কার করে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি যদি জানতাম যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজ থেকে নিষেধ করেছেন- তবে আমি তা করতাম না। কিন্তু তাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী অর্থাৎ- ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির পক্ষে তার কোন জমি অপর ভাইকে স্বেচ্চায় চাষাবাদ করতে দেয়া তার উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলের চুক্তিতে দেয়া অপেক্ষা ভাল। (ই ফা ৩৮১৩ ই সে ৩৮১২)

৩৮৫০
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، وَابْنُ، طَاوُسٍ عَنْ طَاوُسٍ، أَنَّهُ كَانَ يُخَابِرُ قَالَ عَمْرٌو فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ لَوْ تَرَكْتَ هَذِهِ الْمُخَابَرَةَ فَإِنَّهُمْ يَزْعُمُونَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُخَابَرَةِ ‏.‏ فَقَالَ أَىْ عَمْرُو أَخْبَرَنِي أَعْلَمُهُمْ بِذَلِكَ يَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَنْهَ عَنْهَا إِنَّمَا قَالَ ‏ “‏ يَمْنَحُ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَأْخُذَ عَلَيْهَا خَرْجًا مَعْلُومًا ‏”‏ ‏.‏

তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মুখাবারাহ করতেন। ‘আমর বলেন, আমি তাঁকে বললাম, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনি যদি এ মুখাবারাহ করা ছেড়ে দিতেন (তবে তা সুন্দর হত)। কেননা লোকেরা মনে করে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখাবারাহ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বললেন, হে ‘আমর! তাদের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী অর্থাৎ- ইবনু ‘আব্বাস, তিনি আমাকে বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে নিষেধ করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, তোমাদের কোন ভাইকে কোন বিনিময় গ্রহণ ছাড়াই জমি চাষাবাদ করতে দেয়া নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলের চুক্তিতে দেয়া অপেক্ষা উত্তম। (ই ফা ৩৮১৪ ই সে ৩৮১৩)

৩৮৫১
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ شُعْبَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই ফা ৩৮১৫ ই সে ৩৮১৪)

৩৮৫২
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، – قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، – أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لأَنْ يَمْنَحَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ أَرْضَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَأْخُذَ عَلَيْهَا كَذَا وَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ لِشَىْءٍ مَعْلُومٍ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ الْحَقْلُ وَهُوَ بِلِسَانِ الأَنْصَارِ الْمُحَاقَلَةُ.

আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কারো ভূমি তার অপর ভাইকে নিঃস্বার্থভাবে চাষাবাদ করতে দেয়া নির্দিষ্ট পরিমাণ ফসলের বদলে দেয়ার চেয়ে উত্তম।

রাবী বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ এটাকেই বলা হয় ‘হাক্ল’, আর আনসারদের পরিভাষায় বলা হয় ‘মুহাকালাহ’। (ই ফা ৩৮১৬ ই সে ৩৮১৫)

৩৮৫৩
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ أَبِي زَيْدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَإِنَّهُ أَنْ يَمْنَحَهَا أَخَاهُ خَيْرٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যার জমি আছে সে যদি তা অপর ভাইকে নিঃস্বার্থভাবে চাষাবাদ করতে দেয় তবে সেটি তার জন্য উত্তম। (ই ফা ৩৮১৭ ই সে ৩৮১৬)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]