সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা ওয়াসিয়াত অধ্যায় হাদিস নং ৪০৯৬ – ৪১১৪


১. অধ্যায়ঃ
এক তৃতীয়াংশের ওয়াসিয়্যাত

৪০৯৬
حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَىْءٌ يُرِيدُ أَنْ يُوصِيَ فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির কিছু অর্থ সম্পদ রয়েছে, আর সে এ সম্পর্কে ওয়াসিয়্যাত করতে চায়, সে মুসলিম ব্যক্তির উচিত হবে না ওয়াসিয়্যাত লিখে না রেখে দু’টি রাতও অতিবাহিত করা। (ই.ফা. ৪০৫৮, ই.সে. ৬ষ্ঠ খন্ড -৪০৫৭)

৪০৯৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي كِلاَهُمَا، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُمَا قَالاَ ‏”‏ وَلَهُ شَىْءٌ يُوصِي فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُولاَ ‏”‏ يُرِيدُ أَنْ يُوصِيَ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আবু বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ‘উবাইদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ

আবু বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ‘উবাইদুল্লাহ থেকে উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন। তবে এ হাদীসে আছে, তাঁরা উভয়ে বলেছেন, তার কাছে ওয়াসিয়্যাত করার মত কিছু আছে। তাঁরা এ কথা বলেননি যে, সে ওয়াসিয়্যাত করার ইচ্ছা করে। (ই. ফা.৪০৫৯, ই. সে. ৪০৫৮)

৪০৯৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ، حَرْبٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَقَالُوا جَمِيعًا ‏”‏ لَهُ شَىْءٌ يُوصِي فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ إِلاَّ فِي حَدِيثِ أَيُّوبَ فَإِنَّهُ قَالَ ‏”‏ يُرِيدُ أَنْ يُوصِيَ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ كَرِوَايَةِ يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে উবাইদুল্লাহ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। আর তাঁরা সবাই এভাবে বলেছেন যে তার কাছে এমন সম্পদ আছে, যাতে সে ওয়াসিয়্যাত করতে পারে। কিন্তু আইয়ূব (রহঃ)- এর হাদীসে রয়েছে যে, তিনি বলেছেন, সে তাতে ওয়াসিয়্যাত করতে চায়। ‘উবাইদুল্লাহ থেকে ইয়াহ্‌ইয়ার বর্ণনার মতই। ( ই. ফা. ৪০৬০, ই. সে. ৪০৫৯)

৪০৯৯
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهْوَ ابْنُ الْحَارِثِ – عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَىْءٌ يُوصِي فِيهِ يَبِيتُ ثَلاَثَ لَيَالٍ إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ مَا مَرَّتْ عَلَىَّ لَيْلَةٌ مُنْذُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَلِكَ إِلاَّ وَعِنْدِي وَصِيَّتِي ‏.‏

সালিম (রহঃ)- এর সূত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহকে বলতে শুনেছেন, কোন মুসলিম ব্যক্তির জন্যে সঙ্গত নয়, তার কাছে ওয়াসিয়্যাত করার মত সম্পদ আছে এমতাবস্থায় ওয়াসিয়্যাত লিখিত না রেখে তিন রাত অতিবাহিত করা।

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ কথা শোনার পর এক রাতও আমার উপর পার হয়নি যে, আমার ওয়াসিয়্যাত আমার কাছে ছিল না। (ই. ফা. ৪০৬১, ই. সে. ৪০৬০)

৪১০০
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ ‏.‏

আবূ তাহির ও হারমালাহ্‌, ‘আবদুল মালিক ইবনু শু’আয়ব, ইবনু লায়স, ইবনু আবূ ‘উমার ‘আব্‌দ ইবনু ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সকলেই যুহরী (রহঃ) সূত্রে উক্ত সানাদে ‘আম্‌র ইবনু হারিস এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৪০৬২, ই. সে. ৪০৬১)

৪১০১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ مِنْ وَجَعٍ أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى الْمَوْتِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَلَغَنِي مَا تَرَى مِنَ الْوَجَعِ وَأَنَا ذُو مَالٍ وَلاَ يَرِثُنِي إِلاَّ ابْنَةٌ لِي وَاحِدَةٌ أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَىْ مَالِي قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ أَفَأَتَصَدَّقُ بِشَطْرِهِ قَالَ ‏”‏ لاَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَلَسْتَ تُنْفِقُ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلاَّ أُجِرْتَ بِهَا حَتَّى اللُّقْمَةُ تَجْعَلُهَا فِي فِي امْرَأَتِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي قَالَ ‏”‏ إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلاً تَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ إِلاَّ ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً وَلَعَلَّكَ تُخَلَّفُ حَتَّى يُنْفَعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ اللَّهُمَّ أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ رَثَى لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَنْ تُوُفِّيَ بِمَكَّةَ ‏.‏

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে আসেন; এমন রোগের সময় যাতে আমি মৃত্যুর কাছাকাছি হয়ে পড়েছিলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! রোগের কারণে আমার কী অবস্থা হয়েছে, আপনি তো দেখতেই পাচ্ছেন? আমি একজন সম্পদশালী ব্যক্তি, অথচ একটি মাত্র কন্যা সন্তান ব্যতীত আমার আর কোন ওয়ারিস নেই। সুতরাং আমি আমার সম্পদের দু’-তৃতীয়াংশ দান করতে পারব কি? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে কি অর্ধেক মাল সদাকাহ্‌ করতে পারব? তিনি বললেন, না। বরং এক তৃতীয়াংশ এবং এক তৃতীয়াংশও বেশী হয়ে যায়। তোমার ওয়ারিসদের অভাবমুক্ত অবস্থায় রেখে যাওয়া তোমার জন্যে উত্তম, এমন অভাবগ্রস্ত অবস্থায় ছেড়ে যাওয়ার চেয়ে যে, তারা মানুষের নিকট হাত পাতবে। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যে তুমি যা কিছুই খরচ কর তার উপর তোমাকে প্রতিদান দেয়া হবে। এমনকি, সে লোকমাটির বদৌলতেও যা তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি তো আমার সাথীদের পর তাদের পিছনে রয়ে যাচ্ছি। তিনি বললেন, তুমি পেছনে রয়ে গেছো (জীবিত রয়ে গেছো), তাতে তুমি এমন ‘আমাল করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পার যাতে তোমার মর্যাদা বাড়বে ও উঁচু হবে। আর সম্ভবত তুমি পরবর্তীতেও থাকবে অর্থাৎ দীর্ঘায়ু লাভ করবে। এমনকি বহু সম্প্রদায় তোমার দ্বারা লাভবান হবে এবং বহু লোক তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (নাবীজী দু’আ করলেন।) ইয়া আল্লাহ! আমার সাথীদের হিজরাত অক্ষুণ্ন রাখুন এবং তাদেরকে পশ্চাতে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু সা’দ ইবনু খাওলার জন্যে আফসোস।

বর্ণনাকারী বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেন। কারণ, তিনি মাক্কায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন। (ই. ফা. ৪০৬৩, ই. সে. ৪০৬২)

৪১০২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

কুতাইবাহ্‌ ইবনু সা’ঈদ, আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ, আবূ তাহির, হারমালাহ্‌, ইসহাক্‌ ইবনু ইবরাহীম ও ‘আব্‌দ হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সকলেই যুহরীর সূত্রে উক্ত সানাদের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৪০৬৪, ই. সে. ৪০৬৩)

৪১০৩
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ، إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَىَّ يَعُودُنِي ‏.‏ فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَعْدِ ابْنِ خَوْلَةَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَكَانَ يَكْرَهُ أَنْ يَمُوتَ بِالأَرْضِ الَّتِي هَاجَرَ مِنْهَا ‏.‏

সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার রোগের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্যে আমার নিকট আগমন করেন। তারপর যুহরীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেন এবং সা’দ ইবনু খাওলার প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর উক্তির উল্লেখ নেই। তবে এতে এ কথা রয়েছে, কোন ব্যক্তি যেখান থেকে হিজরাত করেছে তথায় মৃত্যুবরণ করুক, এটা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পছন্দ করেন না। (ই. ফা. ৪০৬৫, ই. সে. ৪০৬৪)

৪১০৪
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ، بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنِي مُصْعَبُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَرِضْتُ فَأَرْسَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ دَعْنِي أَقْسِمْ مَالِي حَيْثُ شِئْتُ فَأَبَى ‏.‏ قُلْتُ فَالنِّصْفُ فَأَبَى ‏.‏ قُلْتُ فَالثُّلُثُ قَالَ فَسَكَتَ بَعْدَ الثُّلُثِ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ بَعْدُ الثُّلُثُ جَائِزًا ‏.‏

মুস’আব ইবনু সা’দ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে সংবাদ প্রেরণ করি। (তিনি আসলেন) আমি বললাম, আমার সম্পত্তি যে পরিমাণ ইচ্ছা বন্টন করার অনুমতি দিন। তিনি সম্মতি জানালেন না। আমি বললাম, তা হলে অর্ধেক? তিনি তাও স্বীকার করলেন না। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? রাবী বলেন, এক-তৃতীয়াংশ বলার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব থাকেন।

রাবী বলেন, এরপর থেকে এক তৃতীয়াংশ জায়িয হয়ে যায়। ( ই. ফা. ৪০৬৬, ই. সে. ৪০৬৫)

৪১০৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فَكَانَ بَعْدُ الثُّلُثُ جَائِزًا ‏.‏

সিমাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সিমাক (রহঃ)- এর সূত্রে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি “এরপর থেকে এক তৃতীয়াংশ বৈধ হয়ে যায়’ কথাটি বর্ণনা করেননি। (ই. ফা. ৪০৬৭, ই. সে. ৪০৬৬)

৪১০৬
وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَادَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ فَالنِّصْفُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ أَبِالثُّلُثِ فَقَالَ ‏”‏ نَعَمْ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ ‏”‏ ‏.‏

মুস’আব ইবনু সা’দ (রহঃ)- এর সূত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার রোগের খোঁজ-খবর নিতে এলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি কি আমার সমস্ত সম্পদ ওয়াসিয়্যাত করে যাব? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তা হলে অর্ধেক? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন, হ্যাঁ এবং বললেন এক-তৃতীয়াংশ অনেক। ( ই. ফা. ৪০৬৮, ই. সে. ৪০৬৭)

৪১০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو، بْنِ سَعِيدٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ ثَلاَثَةٍ، مِنْ وَلَدِ سَعْدٍ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَى سَعْدٍ يَعُودُهُ بِمَكَّةَ فَبَكَى قَالَ ‏”‏ مَا يُبْكِيكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ قَدْ خَشِيتُ أَنْ أَمُوتَ بِالأَرْضِ الَّتِي هَاجَرْتُ مِنْهَا كَمَا مَاتَ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مِرَارٍ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالاً كَثِيرًا وَإِنَّمَا يَرِثُنِي ابْنَتِي أَفَأُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالثُّلُثَيْنِ قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَالنِّصْفُ قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَالثُّلُثُ قَالَ ‏”‏ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّ صَدَقَتَكَ مِنْ مَالِكَ صَدَقَةٌ وَإِنَّ نَفَقَتَكَ عَلَى عِيَالِكَ صَدَقَةٌ وَإِنَّ مَا تَأْكُلُ امْرَأَتُكَ مِنْ مَالِكَ صَدَقَةٌ وَإِنَّكَ أَنْ تَدَعَ أَهْلَكَ بِخَيْرٍ – أَوْ قَالَ بِعَيْشٍ – خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ بِيَدِهِ ‏.‏

সা’দ (রাঃ)- এর তিন পুত্র তাঁদের পিতার থেকে থেকে বর্ণিতঃ

মক্কায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সা’দের অসুখ দেখার জন্যে তাঁর নিকট আসেন। সা’দ (রাঃ) কেঁদে ফেলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কেন কাঁদছ? তিনি বললেন, আমি ভয় পাচ্ছি, যে স্থান থেকে হিজরত করেছি, সেথায় না আমি মারা যাই; যেমনিভাবে মারা গিয়েছেন সা’দ ইবনু খাওলা (রাঃ)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ইয়া আল্লাহ! সা’দকে সুস্থতা দান করুন তিন বার বললেন। সা’দ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার প্রচুর সম্পদ আছে। আর একমাত্র কন্যাই আমার উত্তরাধিকার হবে। তবে কি আমার সমুদয় সম্পদ ওয়াসিয়্যাত করতে পারি? তিনি বললেন, না। সা’দ (রাঃ) বললেন, তবে কি দুই-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন, না। সা’দ (রাঃ) বললেন, তা হলে অর্ধেক? তিনি বললেন, না। সা’দ বললেন, তাহলে এক তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এক তৃতীয়াংশ আর এক তৃতীয়াংশই অনেক। তোমার সম্পদ থেকে তুমি যা সদাকাহ্‌ কর তা তো সদাকাহ্‌-ই এবং তোমার পরিবারের জন্যে যা খরচ কর তাও সদাকাহ্‌ আর তোমার মাল থেকে তোমার স্ত্রী যা খায় তাও সদাকাহ্‌। তোমার পরিবার-পরিজনকে যদি তুমি সম্পদশালী রেখে যাও, অথবা বলেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে রেখে যাও, তবে তা তাদের মানুষের কাছে হাতপাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার তুলনায় ভাল। আর এ কথা বলতে তিনি নিজ হাত দিয়ে ইশারা করলেন। (ই. ফা. ৪০৬৯, ই. সে. ৪০৬৮)

৪১০৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ ثَلاَثَةٍ، مِنْ وَلَدِ سَعْدٍ قَالُوا مَرِضَ سَعْدٌ بِمَكَّةَ فَأَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ ‏.‏

সা’দ (রাঃ)- এর তিন পুত্র থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা বলেছেন, সা’দ (রাঃ) মাক্কায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর খোঁজ-খবর নেয়ার জন্যে তাঁর কাছে আসেন। পরবর্তী অংশ সাকাফীর হাদীসের অনুরূপ। (ই. ফা. ৪০৭০, ই. সে. ৪০৬৯)

৪১০৯
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ حُمَيْدِ، بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنِي ثَلاَثَةٌ، مِنْ وَلَدِ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُنِيهِ بِمِثْلِ حَدِيثِ صَاحِبِهِ فَقَالَ مَرِضَ سَعْدٌ بِمَكَّةَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ عَنْ حُمَيْدٍ الْحِمْيَرِيِّ ‏.‏

হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার নিকট সা’দ ইবনু মালিকের তিন পুত্র বর্ণনা করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, সা’দ মাক্কায় অসুস্থ হয়ে পড়লো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্যে তার কাছে আসেন। পরবর্তী অংশ ‘আম্‌র ইবনু সা’ঈদ সূত্রে বর্ণিত হুমায়দ হিমইয়ারী (রহঃ)- এর হাদীসের অনুরূপ। (ই. ফা. ৪০৭১, ই. সে. ৪০৭০)

৪১১০
حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَوْ أَنَّ النَّاسَ، غَضُّوا مِنَ الثُّلُثِ إِلَى الرُّبُعِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ وَكِيعٍ ‏”‏ كَبِيرٌ أَوْ كَثِيرٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হায়! লোকজন যদি এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে এক চতুর্থাংশ করতো। কেননা, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এক তৃতীয়াংশ এবং এক-তৃতীয়াংশই বেশী। ওয়াকী’-এর হাদীসে আছে ‘বড়’ বা ‘বেশী’। (ই. ফা. ৪০৭২, ই. সে. ৪০৭১)

২. অধ্যায়ঃ
মৃতের জন্যে দান-খয়রাতের সওয়াব পৌঁছা

৪১১১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَبِي مَاتَ وَتَرَكَ مَالاً وَلَمْ يُوصِ فَهَلْ يُكَفِّرُ عَنْهُ أَنْ أَتَصَدَّقَ عَنْهُ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করলো, আমার পিতা মারা গেছে এবং তিনি কিছু সম্পদ রেখে গেছেন; কিন্তু ওয়াসিয়্যাত করেননি। তার পক্ষ থেকে সদাকাহ্‌ করা হলে কি তার গুনাহ ক্ষমা হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ( ই. ফা. ৪০৭৩, ই. সে. ৪০৭২)

৪১১২
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أُمِّيَ افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا وَإِنِّي أَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ فَلِيَ أَجْرٌ أَنْ أَتَصَدَّقَ عَنْهَا قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বললো, আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। তাঁর ব্যাপারে আমি ধারণা করি, তিনি যদি কথা বলতে পারতেন তবে সদাকাহ্‌ করতেন। আমি যদি তাঁর পক্ষে সদাকাহ্‌ করি, তবে কি আমার এ কাজের কোন সাওয়াব হবে? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। ( ই. ফা. ৪০৭৪, ই. সে. ৪০৭৩)

৪১১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّيَ افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا وَلَمْ تُوصِ وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ أَفَلَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার মা হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন এবং কোন ওয়াসিয়্যাত করেননি। তাঁর প্রতি আমার ধারণা যে, যদি তিনি কথা বলার সুযোগ পেতেন তবে সদাকাহ্‌ করতেন। আমি যদি তার পক্ষে সদাকাহ্‌ করি, তবে কি তিনি সাওয়াব পাবেন? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। ( ই. ফা. ৪০৭৫, ই. সে. ৪০৭৪)

৪১১৪
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنِي الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ، بْنُ إِسْحَاقَ ح وَحَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا رَوْحٌ، – وَهُوَ ابْنُ الْقَاسِمِ – ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَمَّا أَبُو أُسَامَةَ وَرَوْحٌ فَفِي حَدِيثِهِمَا فَهَلْ لِي أَجْرٌ كَمَا قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ ‏.‏ وَأَمَّا شُعَيْبٌ وَجَعْفَرٌ فَفِي حَدِيثِهِمَا أَفَلَهَا أَجْرٌ كَرِوَايَةِ ابْنِ بِشْرٍ ‏.‏

আবূ কুরায়ব হাকাম ইবনু মুসা, উমাইয়াহ্‌ ইবনু বিসতাম ও আবু বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ কুরায়ব হাকাম ইবনু মুসা, উমাইয়াহ্‌ ইবনু বিসতাম ও আবু বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ (রহঃ) … এ সকল সূত্রে হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্‌ (রহঃ) থেকে উক্ত সানাদে হাদীসটি উল্লেখ করেন। তবে উসামাহ ও রাওহ (রহঃ)- এর বর্ণিত হাদীসে আছে, আমার কি সাওয়াব হবে? যেমন বলেছেন, ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সা’ঈদ। আর শু’আয়ব ও জা’ফার (রহঃ)- এর বর্ণনায় আছে, তাঁর কি সাওয়াব হবে? যেমন রয়েছে ইবনু বিশ্‌রের রিওয়ায়াতে। ( ই. ফা. ৪০৭৬, ই. সে. ৪০৭৫)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]