সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা কসম অধ্যায় হাদিস নং ৪১৯০ – ৪২৩৩

৮. অধ্যায়ঃ
ক্রীতদাসদের সাথে আচার-আচরণ এবং দাসকে চপেটাঘাতের কাফ্ফারা

৪১৯০
حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ ذَكْوَانَ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ زَاذَانَ أَبِي عُمَرَ، قَالَ أَتَيْتُ ابْنَ عُمَرَ وَقَدْ أَعْتَقَ مَمْلُوكًا – قَالَ – فَأَخَذَ مِنَ الأَرْضِ عُودًا أَوْ شَيْئًا فَقَالَ مَا فِيهِ مِنَ الأَجْرِ مَا يَسْوَى هَذَا إِلاَّ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ لَطَمَ مَمْلُوكَهُ أَوْ ضَرَبَهُ فَكَفَّارَتُهُ أَنْ يُعْتِقَهُ ‏”‏

আবূ ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)- এর কাছে আগমন করলাম, ইতোমধ্যে একজন ক্রীতদাসকে মুক্ত করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন যে, তিনি মাটি থেকে একটি কাঠি অথবা অন্য কোন বস্তু নিয়ে বললেন, তাকে আযাদ করার মধ্যে তার সমতুল্য পুণ্যও নেই। কিন্তু আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি নিজ ক্রীতদাসকে চপেটাঘাত করল অথবা প্রহার করল, এর কাফ্ফারা হল তাকে মুক্ত করে দেয়া। (ই.ফা. ৪১৫২, ই.সে. ৪১৫১)

৪১৯১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فِرَاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ ذَكْوَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ زَاذَانَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، دَعَا بِغُلاَمٍ لَهُ فَرَأَى بِظَهْرِهِ أَثَرًا فَقَالَ لَهُ أَوْجَعْتُكَ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ فَأَنْتَ عَتِيقٌ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَخَذَ شَيْئًا مِنَ الأَرْضِ فَقَالَ مَا لِي فِيهِ مِنَ الأَجْرِ مَا يَزِنُ هَذَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ ضَرَبَ غُلاَمًا لَهُ حَدًّا لَمْ يَأْتِهِ أَوْ لَطَمَهُ فَإِنَّ كَفَّارَتَهُ أَنْ يُعْتِقَهُ ‏”‏ ‏.‏

যযান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

, ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর এক গোলামকে ডাকলেন। এরপর তার পিঠে (প্রহারের) দাগ দেখতে পেলেন। তিনি তাকে বললেন, তুমি কি এতে যন্ত্রণা অনুভব করছ? সে বলল, না। তখন তিনি বললেন, তুমি মুক্ত। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি মাটি থেক কোন বস্তু নিয়ে বললেন, তাকে আযাদ করার মধ্যে এতটুকু পুণ্যও মেলেনি। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আপন গোলামকে বিনা অপরাধে প্রহার করল কিংবা চপেটাঘাত করল, এর কাফ্ফারাহ্ হল তাকে মুক্ত করে দেয়া। (ই.ফা. ৪১৫৩, ই.সে. ৪১৫২)

৪১৯২
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، بِإِسْنَادِ شُعْبَةَ وَأَبِي عَوَانَةَ أَمَّا حَدِيثُ ابْنِ مَهْدِيٍّ فَذَكَرَ فِيهِ ‏”‏ حَدًّا لَمْ يَأْتِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ وَكِيعٍ ‏”‏ مَنْ لَطَمَ عَبْدَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ الْحَدَّ‏.‏

আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনু মুসাঃন্না (রহঃ) উভয়েই সুফ্ইয়ান (রহঃ)- এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু মাহদী (রহঃ)- এর হাদীসের উল্লেকপূর্বক বলেন যে, এতে (আরবী) (বিনা অপরাধে) কথাটি উল্লেখ আছে। আর ওয়াকী (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে (আরবী) (যে ব্যক্তি আপন গোলামকে চপেটাঘাত করল) বাক্যটির উল্লেখ আছে। তিনি তাঁর হাদীসে (আরবী) (অপরাধের শাস্তি) কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪১৫৪, ই.সে. ৪১৫৩)

৪১৯৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ لَطَمْتُ مَوْلًى لَنَا فَهَرَبْتُ ثُمَّ جِئْتُ قُبَيْلَ الظُّهْرِ فَصَلَّيْتُ خَلْفَ أَبِي فَدَعَاهُ وَدَعَانِي ثُمَّ قَالَ امْتَثِلْ مِنْهُ ‏.‏ فَعَفَا ثُمَّ قَالَ كُنَّا بَنِي مُقَرِّنٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ لَنَا إِلاَّ خَادِمٌ وَاحِدَةٌ فَلَطَمَهَا أَحَدُنَا فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَعْتِقُوهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لَيْسَ لَهُمْ خَادِمٌ غَيْرُهَا قَالَ ‏”‏ فَلْيَسْتَخْدِمُوهَا فَإِذَا اسْتَغْنَوْا عَنْهَا فَلْيُخَلُّوا سَبِيلَهَا ‏”‏ ‏.‏

মু’আবিয়াহ্ ইবনু সুওয়াইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, একদা আমি আমাদের এক গোলামকে চপেটাঘাত করলাম। এরপর আমি পালিয়ে গেলাম এবং যুহরের সালাতের আগে আগে ফিরে এলাম। আমি আমার পিতার পিছনে সলাত আদায় করলাম। তিনি তাকে এবং আমাকে ডাকলেন। গোলামকে বললেন, তুমি তার কাছ থেকে বদলা নাও। অবশেষে সে ক্ষমা করে দিল। এরপর তিনি বললেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সময়কালে বানী মুকার্রিন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। আমাদের মাত্র একটি গোলাম ছিল। একদা আমাদের কোন একজন তাকে চপেটাঘাত করল এবং এ সংবাদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছল। তখন তিনি বললেন, তাকে আযাদ করে দাও। তারা বলল, সে ব্যতীত তাদের কোন খাদেম নেই। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা তার কাছ হতে সেবা গ্রহণ করতে থাক, যখনই তার প্রয়োজন মিটে যাবে তখনই তোমরা তাকে মুক্ত করে দিবে। (ই.ফা. ৪১৫৫, ই.সে. ৪১৫৪)

৪১৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ عَجِلَ شَيْخٌ فَلَطَمَ خَادِمًا لَهُ فَقَالَ لَهُ سُوَيْدُ بْنُ مُقَرِّنٍ عَجَزَ عَلَيْكَ إِلاَّ حُرُّ وَجْهِهَا لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ بَنِي مُقَرِّنٍ مَا لَنَا خَادِمٌ إِلاَّ وَاحِدَةٌ لَطَمَهَا أَصْغَرُنَا فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُعْتِقَهَا ‏.‏

হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক বৃদ্ধ তার চাকরকে তড়িঘড়ি করতে গিয়ে চপেটাঘাত করল। সুওয়াইদ ইবনু মুকার্রিন (রহঃ) তাকে বললেন, আপনি তার মূল্যবান চেহারা ছাড়া আর কোন স্থান পেলেন না। আপনি আমাকে বানী মুকার্রিন গোত্রের সাঃত সদস্য বিশিষ্ট পরিবারে সপ্তম লোক হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের একজন গোলাম ব্যতীত অন্য কোন গোলাম ছিল না। একদা আমাদের মধ্যকার সর্ব কনিষ্ঠ ব্যক্তি তাকে চপেটাঘাত করল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন তাকে আযাদ করে দিতে। (ই.ফা. ৪১৫৬, ই.সে. ৪১৫৫)

৪১৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ كُنَّا نَبِيعُ الْبَزَّ فِي دَارِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ أَخِي النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ فَخَرَجَتْ جَارِيَةٌ فَقَالَتْ لِرَجُلٍ مِنَّا كَلِمَةً فَلَطَمَهَا فَغَضِبَ سُوَيْدٌ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ إِدْرِيسَ ‏.‏

হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নু’মান ইবনু মুকার্রিন (রহঃ)- এর ভাই সুওয়াইদ ইবনু মুকার্রিন (রহঃ)- এর বাড়িতে কাপড় বিক্রি করছিলাম। এমন সময় একজন দাসী বেরিয়ে এসে আমাদের একজন লোকের সাথে তর্ক করল। তখন সে তাকে একটি চপেটাঘাত মারল। এতে সুওয়াইদ (রাঃ) রাগান্বিত হলেন। তখন তিনি ইবনু ইদ্রীস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪১৫৭, ই.সে. ৪১৫৬)

৪১৯৬
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ قَالَ لِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ مَا اسْمُكَ قُلْتُ شُعْبَةُ ‏.‏ فَقَالَ مُحَمَّدٌ حَدَّثَنِي أَبُو شُعْبَةَ الْعِرَاقِيُّ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ أَنَّ جَارِيَةً لَهُ لَطَمَهَا إِنْسَانٌ فَقَالَ لَهُ سُوَيْدٌ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ الصُّورَةَ مُحَرَّمَةٌ فَقَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنِّي لَسَابِعُ إِخْوَةٍ لِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَا لَنَا خَادِمٌ غَيْرُ وَاحِدٍ فَعَمَدَ أَحَدُنَا فَلَطَمَهُ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُعْتِقَهُ ‏.‏

সুওয়াইদ ইবনু মুকার্রিন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর একজন দাসী ছিল। এক ব্যক্তি একদা তাকে চপেটাঘাত করল। তখন সুওয়াইদ (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি কি জাননা যে, চেহারায় চপেটাঘাত করা নিষিদ্ধ? নিশ্চয়ই তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছ যে, আমরা সাঃত ভাই। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর যামানায় আমাদের একজনের গোলাম ব্যতীত আর কারো গোলাম ছিল না। একদা আমাদের মধ্যকার জনৈক ব্যক্তি তাকে চপেটাঘাত করল। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন তাকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য। (ই.ফা. ৪১৫৮, ই.সে. ৪১৫৭)

৪১৯৭
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، قَالَ قَالَ لِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ مَا اسْمُكَ فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ ‏.‏

শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদার (রাঃ) এরপর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? অতঃপর তিনি ‘আবদুস সামাদ (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪১৫৯, ই.সে. ৪১৫৮)

৪১৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ الْبَدْرِيُّ كُنْتُ أَضْرِبُ غُلاَمًا لِي بِالسَّوْطِ فَسَمِعْتُ صَوْتًا مِنْ خَلْفِي ‏”‏ اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمْ أَفْهَمِ الصَّوْتَ مِنَ الْغَضَبِ – قَالَ – فَلَمَّا دَنَا مِنِّي إِذَا هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ يَقُولُ ‏”‏ اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَلْقَيْتُ السَّوْطَ مِنْ يَدِي فَقَالَ ‏”‏ اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ أَنَّ اللَّهَ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَى هَذَا الْغُلاَمِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ لاَ أَضْرِبُ مَمْلُوكًا بَعْدَهُ أَبَدًا ‏.‏

আবূ মাস’ঊদ বদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি আমার ক্রীতদাসকে চাবুক দিয়ে প্রহার করছিলাম। হঠাৎ আমার পিছনে থেকে একটি শব্দ শোনলাম, হে আবূ মাস’ঊদ! জেনে রেখো! রাগের কারণে আমি শব্দটি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম না। বর্ণনাকারী বলেন, যখন তিনি আমার কাছাকাছি এলেন তখন দেখতে পেলাম, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। এবং তিনি বলছেনঃ হে আবূ মাস’ঊদ! তুমি জেনে রেখো, হে আবূ মাস’ঊদ! তুমি জেনে রেখো! বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমি চাবুকটি আমার হাত থেকে ফেলে দিলাম। এরপর তিনি বললেন, হে আবূ মাস’ঊদ! তুমি জেনে রেখো যে, এ গোলামের উপর তোমার ক্ষমতার চেয়ে তোমার উপর আল্লাহ তা’আলা অধিক ক্ষমতাবান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, এরপর কখনও কোন কৃতদাসকে আমি প্রহার করবো না। (ই.ফা. ৪১৬০, ই.সে. ৪১৫৯)

৪১৯৯
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَهُوَ الْمَعْمَرِيُّ – عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ، الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِ عَبْدِ الْوَاحِدِ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِهِ ‏.‏ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ فَسَقَطَ مِنْ يَدِي السَّوْطُ مِنْ هَيْبَتِهِ ‏.‏

ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম যুহায়র ইবনু হারব, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’, আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) সকলেই আ’মাশ (রহঃ) সুত্রে থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল ওয়াহিদ (রহঃ)- এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু জারীর (রহঃ)- এর বর্ণিত হাদীস (আরবী) (তাঁর ভয়ে আমার হাত থেকে চাবুকটি পড়ে গেল) এ বাক্যটি অতিরিক্ত সংযোজিত হয়েছে। (ই.ফা. ৪১৬১, ই.সে. ৪১৬০)

৪২০০
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ أَضْرِبُ غُلاَمًا لِي فَسَمِعْتُ مِنْ خَلْفِي صَوْتًا ‏”‏ اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ لَلَّهُ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ فَالْتَفَتُّ فَإِذَا هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَمَا لَوْ لَمْ تَفْعَلْ لَلَفَحَتْكَ النَّارُ أَوْ لَمَسَّتْكَ النَّارُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মাস’ঊদ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার এক দাসকে প্রহার করছিলাম। হঠাৎ আমার পিছন দিক থেকে একটি আওয়াজ শোনলাম। হে আবু মাস’ঊদ! জেনে রেখো, তুমি তার উপর যেরূপ শক্তিমান, আল্লাহ তা’আলা তোমার ওপর এর চেয়ে অধিক শক্তিমান। হঠাৎ পিছন দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! সে আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সাবধান! যদি তুমি তা না করতে তাহলে অবশ্যই দোযখ তোমাকে গ্রাস করতো। কিংবা (রাবীর সন্দেহ) দোযখ তোমাকে অবশ্যই স্পর্শ করতো। (ই.ফা. ৪১৬২, ই.সে. ৪১৬১)

৪২০১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ، أَبِي عَدِيٍّ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، أَنَّهُ كَانَ يَضْرِبُ غُلاَمَهُ فَجَعَلَ يَقُولُ أَعُوذُ بِاللَّهِ – قَالَ – فَجَعَلَ يَضْرِبُهُ فَقَالَ أَعُوذُ بِرَسُولِ اللَّهِ ‏.‏ فَتَرَكَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وَاللَّهِ لَلَّهُ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَعْتَقَهُ ‏.‏

আবূ মাস’ঊদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একদা তার গোলামকে মারছিলেন। তখন সে বলতে লাগলো- আমি আল্লাহর কাচে পরিত্রাণ চাই। বর্ণনাকারী বলেন, তখনও তিনি তাকে প্রহার করছিলেন। এরপর সে বলল, আমি আল্লাহর রসূলের কাছে সাহায্য চাই। তখন তিনি তাঁকে ছেড়ে দিলেন। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহর শপথ! তুমি তার উপর যতটুকু শক্তিমান, আল্লাহ তা’আলা তোমার উপর তার চেয়ে অধিক শক্তিমান। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তাকে আযাদ করে দিয়েছেন। (ই.ফা. ৪১৬৩, ই.সে. ৪১৬২)

৪২০২
وَحَدَّثَنِيهِ بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ أَعُوذُ بِاللَّهِ أَعُوذُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

বিশর ইবনু খালিদ উক্ত হাদীসটি শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ একই সূত্রে বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি (আরবী) (আমি আল্লাহর কাছে পরিত্রাণ চাই, আমি আল্লাহর রাসূলের কাছে সাহায্য চাই) এ বাক্যটির উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪১৬৪, ই.সে. ৪১৬৩)

৯. অধ্যায়ঃ
নিজ দাস-দাসীর প্রতি যে যিনার অপবাদ প্রদান করে তার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী

৪২০৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ غَزْوَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي نُعْمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ قَذَفَ مَمْلُوكَهُ بِالزِّنَا يُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ كَمَا قَالَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আবুল কাসিম (মুহাম্মাদ) (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আপন দাস-দাসীর উপর ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগ আনলো, কিয়ামাত দিবসে তার উপর এ মিথ্যা অপবাদের শাস্তি আপতিত হবে। কিন্তু সে যা বলেছে তা যদি সত্যি হয় তবে নয় (তবে অভিযোগকারী আর শাস্তি পাবে না)। (ই.ফা. ৪১৬৫, ই.সে. ৪১৬৪)

৪২০৪
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ، يُوسُفَ الأَزْرَقُ كِلاَهُمَا عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِهِمَا سَمِعْتُ أَبَا، الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم نَبِيَّ التَّوْبَةِ ‏.‏

আবূ কুরায়ব ও যুহায়র ইবনু হারয (রাযিঃ)….. উভয়ে ফুযায়ল ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই বর্ণনা করেছেন। আর তাদের উভয়ের হাদীসে (আরবী) (তাওবার নবী আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে এ কথা বলতে শুনেছি)- এর উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ৪১৬৬, ই.সে. ৪১৬৫)

১০. অধ্যায়ঃ
নিজে যা খাবে ও পরিধান করবে দাস-দাসীকেও তা খেতে পরতে দেয়া এবং তাদের সাধ্যের বাইরে কাজের ভার না দেয়া

৪২০৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ مَرَرْنَا بِأَبِي ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ وَعَلَيْهِ بُرْدٌ وَعَلَى غُلاَمِهِ مِثْلُهُ فَقُلْنَا يَا أَبَا ذَرٍّ لَوْ جَمَعْتَ بَيْنَهُمَا كَانَتْ حُلَّةً ‏.‏ فَقَالَ إِنَّهُ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ مِنْ إِخْوَانِي كَلاَمٌ وَكَانَتْ أَمُّهُ أَعْجَمِيَّةً فَعَيَّرْتُهُ بِأُمِّهِ فَشَكَانِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَقِيتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ سَبَّ الرِّجَالَ سَبُّوا أَبَاهُ وَأُمُّهُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ هُمْ إِخْوَانُكُمْ جَعَلَهُمُ اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ فَأَطْعِمُوهُمْ مِمَّا تَأْكُلُونَ وَأَلْبِسُوهُمْ مِمَّا تَلْبَسُونَ وَلاَ تُكَلِّفُوهُمْ مَا يَغْلِبُهُمْ فَإِنْ كَلَّفْتُمُوهُمْ فَأَعِينُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏

মা’রূর ইবনু সুওয়াইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমরা ‘রাবাযাহ’ নামক স্থানে আবূ যার (রাঃ)- এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন তাঁর গায়ে একটি চাদর ছিল এবং তাঁর গোলামের গায়েও অনুরূপ একটি চাদর ছিল। তখন আমরা বললাম, হে আবূ যার (রাঃ)! যদি আপনি উভয়টি একত্রিত করতেন, তাহলে এক জোড়া চাদর হতো। তিনি বললেন, আমার মধ্যে এবং আমার ভাই সম্পর্কীয় ব্যক্তিটির মধ্যে কিছু কথা আছে। তার মা একজন অনারব। একদা আমি তার মাকে উল্লেখ করে তাকে ভর্ৎসনা করলাম। তখন সে আমার বিরুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে নালিশ করল। এরপর যখন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম তখন তিনি বললেন, হে আবূ যার! তুমি এমন ব্যক্তি, যার মধ্যে জাহিলী যুগের কাজকর্ম রয়েছে (যে সময়ে একে অন্যের বাপ-মাকে অবজ্ঞা ও তুচ্ছজ্ঞান করতো)। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যে ব্যক্তি মানুষদেরকে গালি দেয় তার প্রতি উত্তরে তারাও তার পিতা মাতাকে উল্লেখ করে গালি দেয়া স্বাভাবিক। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ যার! তোমার মধ্যে জাহিলী যুগের কর্মকান্ড এখনও বিদ্যমান (অর্থাৎ তার মন্দ কথার বদলায় তার বাবা-মাকে গালি দেয়া অন্যায়)। তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন। তোমরা যা খাবে তাদেরকেও তা খাওয়াবে এবং তোমরা যেমন পোশাক পরবে তাদেরকে তা পরাবে। তোমরা তাদের উপর এমন কোন কাজের ভার চাপিয়ে দিবে না, যা করতে তারা হিমশিম খেয়ে যায়। যদি তোমরা তাদেরকে কোন কাজে কষ্ট দাও, তাহলে এ কাজে তাদের সাহায্যও করো। (ই.ফা. ৪১৬৭, ই.সে. ৪১৬৬)

৪২০৬
وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِي حَدِيثِ زُهَيْرٍ وَأَبِي مُعَاوِيَةَ بَعْدَ قَوْلِهِ ‏”‏ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ عَلَى حَالِ سَاعَتِي مِنَ الْكِبَرِ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي مُعَاوِيَةَ ‏”‏ نَعَمْ عَلَى حَالِ سَاعَتِكَ مِنَ الْكِبَرِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عِيسَى ‏”‏ فَإِنْ كَلَّفَهُ مَا يَغْلِبُهُ فَلْيَبِعْهُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ زُهَيْرٍ ‏”‏ فَلْيُعِنْهُ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ ‏”‏ فَلْيَبِعْهُ ‏”‏ ‏.‏ وَلاَ ‏”‏ فَلْيُعِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ انْتَهَى عِنْدَ قَوْلِهِ ‏”‏ وَلاَ يُكَلِّفْهُ مَا يَغْلِبُهُ ‏”‏ ‏.‏

আহমাদ ইবনু ইউনুস, আবূ কুরায়ব ও ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ)….. সকলেই আ’মাশ (রহঃ)….. থেকে এ একই সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তিনি যুহায়র ও আবূ মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, হাদীসে “তোমার মধ্যে জাহিলী যুগের কর্মকাণ্ড বিদ্যমান’’ এ কথার পর কিছু বাড়িয়ে যোগ করেছেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, তা কি আমার বয়োবৃদ্ধে হবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ। আর আবূ মু’আবিয়াহ্র বর্ণনায় আছে, হ্যাঁ, তোমার বয়োবৃদ্ধকালে। আর ‘ঈসাঃ (রহঃ)- এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যদি তুমি তাকে সাধ্যের বাইরে কোন কাজ করতে দাও, যা সে করতে অক্ষম, তবে তাকে বিক্রি করে দাও। আর যুহায়র (রহঃ)-এর হাদীসে আছে “অতএব তুমি তাকে তখন সাঃহায্যও করবে।” আবূ মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)- এর হাদীসে “তুমি তাকে বিক্রি করে দাও” অথবা “সাহায্য কর” কোন কথার উল্লেখ নেই। “তুমি তাকে এমন কাজের ভার চাপিয়ে দিও না, যা করতে সে অক্ষম” এ কথা দ্বারাই হাদীস শেষ হয়েছে। (ই.ফা. ৪১৬৮, ই.সে. ৪১৬৭)

৪২০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَاصِلٍ الأَحْدَبِ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا ذَرٍّ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ وَعَلَى غُلاَمِهِ مِثْلُهَا فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ قَالَ فَذَكَرَ أَنَّهُ سَابَّ رَجُلاً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَيَّرَهُ بِأُمِّهِ – قَالَ – فَأَتَى الرَّجُلُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ إِخْوَانُكُمْ وَخَوَلُكُمْ جَعَلَهُمُ اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ فَمَنْ كَانَ أَخُوهُ تَحْتَ يَدَيْهِ فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ وَلاَ تُكَلِّفُوهُمْ مَا يَغْلِبُهُمْ فَإِنْ كَلَّفْتُمُوهُمْ فَأَعِينُوهُمْ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশ্শার (রহঃ) মা’রূর ইবনু সুওয়াইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ যার (রাঃ)- কে দেখতে পেলাম যে, তাঁর গায়ে একটি চাদর এবং তাঁর গোলামের গায়েও অনুরূপ একটি চাদর রয়েছে। তখন আমি এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন যে, কোন এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর যামানায় এক ব্যক্তিকে গালি দিয়েছিল। প্রত্যুত্তরে সে ব্যক্তি তার মাকে উল্লেখ করে গালি দিল। বর্ণনাকারী বলেন, তখন লোকটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে এসে ঐ ঘটনা বর্ণনা করলো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই তোমার মধ্যে অজ্ঞতা যুগের কর্মকাণ্ড বিদ্যমান। তারা তোমাদের ভাই, তোমাদের গোলাম। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তির অধীনে তার কোন ভাই থাকে তার উচিত তাকে এমন খাদ্য দেয়া যা সে নিজে খায় এবং এমন পোশাক দেয়া যা সে নিজে পরে। আর তোমরা তাদের উপর এমন কাজের ভার চাপিয়ে দিও না যা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়। আর যদি তোমরা তাদেরকে সামর্থ্যের বাইরে কাজ দাও, তবে তোমরা তাদেরকে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতাও করো। (ই.ফা. ৪১৬৯, ই.সে. ৪১৬৮)

৪২০৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو، بْنُ الْحَارِثِ أَنَّ بُكَيْرَ بْنَ الأَشَجِّ، حَدَّثَهُ عَنِ الْعَجْلاَنِ، مَوْلَى فَاطِمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ لِلْمَمْلُوكِ طَعَامُهُ وَكِسْوَتُهُ وَلاَ يُكَلَّفُ مِنَ الْعَمَلِ إِلاَّ مَا يُطِيقُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ কৃতদাসের জন্যে খাওয়া-দাওয়া ও পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যবস্থা করা মনিবের দায়িত্ব। তার সাধ্যের বাইরে কোন কাজের জন্য তাকে কষ্ট দেয়া যাবে না। (ই.ফা. ৪১৭০, ই.সে. ৪১৬৯)

৪২০৯
وَحَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا صَنَعَ لأَحَدِكُمْ خَادِمُهُ طَعَامَهُ ثُمَّ جَاءَهُ بِهِ وَقَدْ وَلِيَ حَرَّهُ وَدُخَانَهُ فَلْيُقْعِدْهُ مَعَهُ فَلْيَأْكُلْ فَإِنْ كَانَ الطَّعَامُ مَشْفُوهًا قَلِيلاً فَلْيَضَعْ فِي يَدِهِ مِنْهُ أُكْلَةً أَوْ أُكْلَتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ دَاوُدُ يَعْنِي لُقْمَةً أَوْ لُقْمَتَيْنِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন গোলাম খাদ্য তৈরী করে তার মনিবের কাছে নিয়ে আসে যাতে তার তাপ ও ধোঁয়া সে সহ্য করেছে, তখন তার উচিত হবে তাকে কাছে বসিয়ে তা থেকে কিছু খাবার প্রদান করা। আর যদি খাবারের পরিমাণ অতি অল্প হয়, তবে সে যেন তার হাতে অন্ততঃ এক লোকমা অথবা দু’ লোকমা খাবার প্রদান করে। বর্ণনাকারী দাউদ (রহঃ) ….. বলেন যে, (আরবী) এর অর্থ (আরবী) এক লোকমা অথবা দু’ লোকমা। (ই.ফা. ৪১৭১, ই.সে. ৪১৭০)

১১. অধ্যায়ঃ
কল্যাণকামিতার সাথে মনিবের সেবা ও ভালভাবে আল্লাহর ‘ইবাদাতকারী দাস-দাসীর পুরস্কার

৪২১০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا نَصَحَ لِسَيِّدِهِ وَأَحْسَنَ عِبَادَةَ اللَّهِ فَلَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন চাকর যখন কল্যাণকামিতার সাথে আপন মনিবের সেবা করে এবং উত্তমরূপে আল্লাহর ‘ইবাদাতও করে- তখন সে দু’টি পুরস্কার প্রাপ্ত হবে। (ই.ফা. ৪১৭২, ই.সে. ৪১৭১)

৪২১১
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَهْوَ الْقَطَّانُ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أُسَامَةُ، جَمِيعًا عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ ‏.‏

যুহায়র ইবনু হারব, মুহাম্মাদ ইবনু নুমায়র, আবূ বাক্র আবূ শাইবাহ্ ও হারূন ইবনু সা‘ঈদ আইলী (রহঃ) ….. সকলেই ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে মালিক (রহঃ) …… এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪১৭৩, ই.সে. ৪১৭২)

৪২১২
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولُ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لِلْعَبْدِ الْمَمْلُوكِ الْمُصْلِحِ أَجْرَانِ ‏”‏ ‏.‏ وَالَّذِي نَفْسُ أَبِي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ لَوْلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْحَجُّ وَبِرُّ أُمِّي لأَحْبَبْتُ أَنْ أَمُوتَ وَأَنَا مَمْلُوكٌ ‏.‏ قَالَ وَبَلَغَنَا أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ لَمْ يَكُنْ يَحُجُّ حَتَّى مَاتَتْ أُمُّهُ لِصُحْبَتِهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ لِلْعَبْدِ الْمُصْلِحِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمَمْلُوكَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সৎ গোলামের জন্যে দ্বিগুণ পুরস্কার রয়েছে। সে মহান আল্লাহর শপথ! যাঁর হাতে আবূ হুরায়রা্‌র জীবন, যদি আল্লাহর পথে জিহাদ করা, হজ্জ করা এবং আমার মায়ের সেবা করা অধিক পুণ্যের বিষয় না হতো, তবে গোলাম অবস্থায় মৃত্যু হওয়াকেই আমি অধিক পছন্দ করতাম। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা জানতে পারলাম যে, আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ) হজ্জে গমন করেননি তাঁর মায়ের মৃত্যুর আগে। কেননা তিনি সর্বদা তাঁর পাশে থেকে সেবা করতেন।

বর্ণনাকারী আবূ তাহির তাঁর বর্ণিত হাদীস (আরবী) (সৎ গোলামের জন্যে) কথাটির উল্লেখ করেছেন। কিন্তু (আরবী) (ক্রীতদাস) শব্দটি তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৪১৭৪, ই.সে. ৪১৭৩)

৪২১৩
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ الأُمَوِيُّ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ بَلَغَنَا وَمَا بَعْدَهُ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি (আরবী) (আমাদের কাছে সংবাদ পৌঁছেছে থেকে নিয়ে এর পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি)। (ই.ফা. ৪১৭৫, ই.সে. ৪১৭৪)

৪২১৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا أَدَّى الْعَبْدُ حَقَّ اللَّهِ وَحَقَّ مَوَالِيهِ كَانَ لَهُ أَجْرَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَحَدَّثْتُهَا كَعْبًا فَقَالَ كَعْبٌ لَيْسَ عَلَيْهِ حِسَابٌ وَلاَ عَلَى مُؤْمِنٍ مُزْهِدٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে গোলাম আল্লাহর হক এবং তার মনিবের হক আদায় করল, তার জন্য দ্বিগুণ পুরস্কার রয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন যে, এই হাদীসটি কা‘ব (রাঃ)- এর নিকট বর্ণনা করলাম তখন কা‘ব (রাঃ) বললেন, কিয়ামাতের দিন তার কোন হিসাব নেই এবং ঐ মু’মিনের ওপরও কোন হিসাব নেই যার সম্পদ কম। (ই.ফা. ৪১৭৬, ই.সে. ৪১৭৫)

৪২১৫
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপর্যুক্ত হাদীস যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আ‘মাশ (রহঃ) থেকে একই সূত্রে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪১৭৬, ই.সে. ৪১৭৬)

৪২১৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نِعِمَّا لِلْمَمْلُوكِ أَنْ يُتَوَفَّى يُحْسِنُ عِبَادَةَ اللَّهِ وَصَحَابَةَ سَيِّدِهِ نِعِمَّا لَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ ব্যাপারে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে উত্তমরূপে ‘ইবাদাত করে মৃত্যুবরণ করেছে এবং আপন মনিবের উত্তম সেবা করেছে, ঐ গোলামের জন্য কতই না উত্তম পুরস্কার রয়েছে, তার জন্য কতই না উত্তম প্রতিদান রয়েছে। (ই.ফা. ৪১৭৭, ই.সে. ৪১৭৭)

১২. অধ্যায়ঃ
অংশীদারিত্ব আছে এমন গোলাম মুক্ত করা

৪২১৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قُلْتُ لِمَالِكٍ حَدَّثَكَ نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلاَّ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন গোলামে নিজের অংশ মুক্ত করে দেয় আর তার কাছে এমন পরিমাণ সম্পদ আছে যা দ্বারা সে ঐ গোলামের সম্পূর্ণ মূল্য ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিশোধ করতে সক্ষম তখন সে যেন অন্যান্য অংশীদারদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করে দেয় এবং নিজ দায়িত্বে তাকে সম্পূর্ণভাবে আযাদ করে দেয়। অন্যথায় সে যে অংশ আযাদ করল, তাই শুধু আযাদ হবে। (ই.ফা. ৪১৭৮, ই.সে. ৪১৭৮)

৪২১৮
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ مِنْ مَمْلُوكٍ فَعَلَيْهِ عِتْقُهُ كُلُّهُ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَهُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথভাবে ক্রয় করা কোন গোলামের নিজ অংশ আযাদ করে দিল, তার উপর কর্তব্য হবে সম্পূর্ণ গোলাম আযাদ করে দেয়া, যদি সম্পূর্ণ গোলামের মূল্য পরিশোধের মত সম্পদ তার কাছে থাকে। আর যদি এ পরিমাণ সম্পদ তার কাছে না থাকে, তবে সে যে অংশ আযাদ করল, তাই শুধু আযাদ হবে। (ই.ফা. ৪১৭৯, ই.সে. ৪১৭৯)

৪২১৯
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ نَافِعٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَعْتَقَ نَصِيبًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مِنَ الْمَالِ قَدْرُ مَا يَبْلُغُ قِيمَتَهُ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ عَدْلٍ وَإِلاَّ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শারীকানায় ক্রয় করা কোন গোলামের নিজ অংশ আযাদ করে দেয় এবং তার কাছে গোলামের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের মত সম্পদও থাকে তখন তার উপর কর্তব্য হবে ন্যায়সঙ্গতভাবে সকলের মূল্য পরিশোধ করে তাকে সম্পূর্ণ আযাদ করে দেয়া। অন্যথায় সে যে অংশ আযাদ করল তাই শুধু আযাদ হবে। (ই.ফা. ৪১৮০, ই.সে. ৪১৮০)

৪২২০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمْ ‏ “‏ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ ‏”‏ ‏.‏ إِلاَّ فِي حَدِيثِ أَيُّوبَ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَإِنَّهُمَا ذَكَرَا هَذَا الْحَرْفَ فِي الْحَدِيثِ وَقَالاَ لاَ نَدْرِي أَهُوَ شَىْءٌ فِي الْحَدِيثِ أَوْ قَالَهُ نَافِعٌ مِنْ قِبَلِهِ وَلَيْسَ فِي رِوَايَةِ أَحَدٍ مِنْهُمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ إِلاَّ فِي حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏

কুতাইবাহ্ ইবনু সা‘ঈদ, মুহাম্মাদ ইবনু রুম্হ, মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না, আবূ রাবী‘, আবূ কামিল, যুহায়র ইবনু হারব, ইসহাক্ ইবনু মানসূর, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি‘, হারূন ইবনু সা‘ঈদ আইলী (রহঃ) ….. সকলেই ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সকলেই ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তাঁদের বর্ণিত হাদীসে (আরবী) (আর যদি তার কাছে সম্পদ না থাকে, তবে সে যে অংশ আযাদ করল তাই শুধু আযাদ হবে) এরূপ বাক্যের উল্লেখ করেছেন। আর তারা এ কথাও বলেছেন যে, আমরা জানি না যে, প্রকৃতপক্ষেই এ শব্দগুলো হাদীসের অন্তর্ভুক্ত, না বর্ণনাকারী নাফি‘ (রহঃ) নিজের পক্ষ হতেই এগুলো বলেছেন। উল্লিখিত বর্ণনাকারীদের বর্ণনায় “আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে এ কথা বলতে শুনেছি- এ কথাটি একমাত্র লায়স ইবনু সা‘দ- এর হাদীস ব্যতীত অন্য কারো বর্ণনায় নেই। (ই.ফা. ৪১৮১, ই.সে. ৪১৮১)

৪২২১
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَهُ وَبَيْنَ آخَرَ قُوِّمَ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ قِيمَةَ عَدْلٍ لاَ وَكْسَ وَلاَ شَطَطَ ثُمَّ عَتَقَ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ إِنْ كَانَ مُوسِرًا ‏”‏ ‏.‏

‘আমর আন নাকিদ ও ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) ….. উভয়েই.. ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন গোলামকে আযাদ করল যার মধ্যে তার এবং অপরের অংশীদারিত্ব আছে, তবে তার সম্পদ থেকে অন্যের অংশ ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিশোধ করা কর্তব্য। যদি সে প্রাচুর্যশালী হয়, নিজ দায়িত্বে স্বীয় সম্পদ দ্বারা তাকে মুক্ত করে দেয়া উচিত। (ই.ফা. ৪১৮২, ই.সে ৪১৮২)

৪২২২
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ عَتَقَ مَا بَقِيَ فِي مَالِهِ إِذَا كَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথভাবে ক্রয় করা কোন গোলামের নিজ অংশ আযাদ করল, বাকী অংশটুকু তার সম্পদ থেকে আযাদ করে দেয়া কর্তব্য, যদি তার এমন সম্পদ থাকে যা দিয়ে গোলামের মূল্য পরিশোধ করা যায়। (ই.ফা ৪১৮৩, ই.সে. ৪১৮৩)

৪২২৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الْمَمْلُوكِ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيُعْتِقُ أَحَدُهُمَا قَالَ ‏ “‏ يَضْمَنُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ দু’জনের অংশীদারিত্বে কোন গোলামের একজন মালিক যদি তার অংশ আযাদ করে দেয়, তবে সে (অপরের অংশের) যামিন হবে। (ই.ফা. ৪১৮৪, ই.সে. ৪১৮৪)

৪২২৪
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَعْتَقَ شَقِيصًا مِنْ مَمْلُوكٍ فَهُوَ حُرٌّ مِنْ مَالِهِ ‏”‏ ‏.‏

শু‘বাহ্ (রহঃ) সূত্রে হাদীসটি একই সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

যদি কেউ যৌথভাবে ক্রয় করা কোন গোলামের এক অংশ আযাদ করল, সে স্বাধীন হবে তার মাল দ্বারাই। (অর্থাৎ নিজ দায়িত্বে স্বীয় সম্পদ দ্বারা তাকে সম্পূর্ণ মুক্ত করে দেয়া কর্তব্য)। (ই.ফা. ৪১৮৫, ই.সে. ৪১৮৫)

৪২২৫
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَعْتَقَ شَقِيصًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَخَلاَصُهُ فِي مَالِهِ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ اسْتُسْعِيَ الْعَبْدُ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি যৌথ মালিকানার কোন গোলামের নিজ অংশ আযাদ করল, তবে তার মাল থেকেই তাকে সম্পূর্ণ মুক্ত করে দেয়া কর্তব্য, যদি সে সম্পদশালী হয়। আর যদি তার সম্পদ না থাকে তবে গোলামের দ্বারা সেবা কার্য আদায় করবে বটে, কিন্তু তার উপর কোন কঠোরতা আরোপ করতে পারবে না। (ই.ফা. ৪১৮৬, ই.সে. ৪১৮৬)

৪২২৬
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ أَبِي، عَرُوبَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عِيسَى ‏ “‏ ثُمَّ يُسْتَسْعَى فِي نَصِيبِ الَّذِي لَمْ يُعْتِقْ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আবূ ‘আরূবাহ্ (রহঃ) হতে একই সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর ‘ঈসাঃ (রহঃ)- এর বর্ণিত হাদীসে “এরপর যে অংশ আযাদ হয়নি সে অংশ আযাদ করানোর চেষ্টা করবে, কিন্তু তার উপর কোন কঠোরতা আরোপ করা যাবে না” বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা. ৪১৮৭, ই.সে. ৪১৮৭)

৪২২৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ، بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ أَنَّ رَجُلاً، أَعْتَقَ سِتَّةَ مَمْلُوكِينَ لَهُ عِنْدَ مَوْتِهِ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ فَدَعَا بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَزَّأَهُمْ أَثْلاَثًا ثُمَّ أَقْرَعَ بَيْنَهُمْ فَأَعْتَقَ اثْنَيْنِ وَأَرَقَّ أَرْبَعَةً وَقَالَ لَهُ قَوْلاً شَدِيدًا ‏.‏

ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যাক্তি তার মৃত্যুকালে নিজের ছয়জন গোলামকে আযাদ করল। অথচ গোলামগুলো ব্যতীত তার আর কোন সম্পদও ছিলও না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ডাকালেন এবং তাদেরকে তিনভাগে ভাগ করলেন। তারপর তাদের মধ্যে লটারী করে দু’জনকে সম্পূর্ণভাবে আযাদ করলেন এবং বাকী চারজনকে গোলাম বানিয়ে রাখলেন। আর তার (মৃতের) প্রতি শক্ত ভাষা প্রয়োগ করলেন। [২৪] (ই.ফা. ৪১৮৮, ই.সে. ৪১৮৮)

[২৪] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, অপর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর শক্ত কথা ছিল, যদি পূর্বেই আমরা এ বিষয়টি জানতাম তাহলে তার জানাযা পড়তাম না। (সহীহ মুসলিম শারহে নাবাবী, ২য় খণ্ড, ৫৪ পৃষ্ঠা)

৪২২৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي، عُمَرَ عَنِ الثَّقَفِيِّ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ أَمَّا حَمَّادٌ فَحَدِيثُهُ كَرِوَايَةِ ابْنِ عُلَيَّةَ وَأَمَّا الثَّقَفِيُّ فَفِي حَدِيثِهِ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ أَوْصَى عِنْدَ مَوْتِهِ فَأَعْتَقَ سِتَّةَ مَمْلُوكِينَ ‏.‏

আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আর হাম্মাদ (রহঃ)- এর বর্ণিত হাদীসটি ইবনু ‘উলাইয়াহ্ (রহঃ)- এর হাদীসের অনুরূপ। আর সাকাফী (রহঃ)- এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, “আনসারী এক লোক তাঁর মৃত্যুর সময় ওয়াসিয়্যাত করায় তাঁর ছয়জন গোলামকে মুক্ত করা হলো”। (ই.ফা. ৪১৮৯, ই.সে. ৪১৮৯)

৪২২৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ وَحَمَّادٍ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মিনহাল দারীর ও আহমদ ইবনু ‘আবদাহ্ (রহঃ) ….. উভয়ে ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযিঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্ (রহঃ) ও হাম্মাদ- এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪১৯০, ই.সে. ৪১৯০)

১৩. অধ্যায়ঃ
মুদাব্বারকে [২৫] বিক্রি করা বৈধ

[২৫] ‘মুদাব্বার’ ঐ শ্রেণীর গোলামকে বলে- যার মনিব মৃত্যুর পূর্বে বলল, আমার মৃত্যুর পর তুমি মুক্ত।

৪২৩০
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ أَعْتَقَ غُلاَمًا لَهُ عَنْ دُبُرٍ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنِّي ‏”‏ ‏.‏ فَاشْتَرَاهُ نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بِثَمَانِمِائَةِ دِرْهَمٍ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ ‏.‏ قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ عَبْدًا قِبْطِيًّا مَاتَ عَامَ أَوَّلَ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনসারী একজন লোক তাঁর গোলামকে এ শর্তে আযাদ করলে যে, তুমি আমার মৃত্যুর পর স্বাধীন। সে গোলাম ব্যতীত তার আর কোন সম্পদও ছিল না। এ সংবাদ যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছল তখর তিনি বললেনঃ আমার কাছ থেকে তাকে কিনে নিবে, এমন কে আছে? তখন নু‘আয়ম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আটশ‘ দিরহামের বিনিময়ে তাকে কিনে নিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ অর্থ আনসারীকে দিয়েছিলেন।

‘আমর (রহঃ) বলেন, আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহকে বলতে শুনেছি যে, সে ছিল একজন কিবতী গোলাম। সে (‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)- এর খিলাফতের) প্রথম বছর মৃত্যুবরণ করে। (ই.ফা. ৪১৯১, ই.সে. ৪১৯১)

৪২৩১
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ سَمِعَ عَمْرٌو، جَابِرًا يَقُولُ دَبَّرَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ غُلاَمًا لَهُ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ فَبَاعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ جَابِرٌ فَاشْتَرَاهُ ابْنُ النَّحَّامِ عَبْدًا قِبْطِيًّا مَاتَ عَامَ أَوَّلَ فِي إِمَارَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ ‏.‏

জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আনসারী এক লোক তাঁর গোলামকে এই বলে আযাদ করল যে, আমার মৃত্যুর পর তুমি স্বাধীন। কিন্তু সে গোলাম ব্যতীত তাঁর আর কোন সম্পদ ছিল না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বিক্রি করেন।জাবির (রাঃ) বলেন যে, ইবনু নাহ্‌হাম (রাঃ) তাকে ক্রয় করলো। সে গোলামটি ছিল একজন কিবতী। ইবনু যুবায়র (রাঃ)- এর খিলাফত কালের প্রথম বছর সে মৃত্যুবরণ করে। (ই.ফা. ৪১৯২, ই.সে. ৪১৯২)

৪২৩২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُدَبَّرِ نَحْوَ حَدِيثِ حَمَّادٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ ‏.‏

জাবির (রাযিঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

“মুদাব্বার সম্পর্কে হাম্মাদ (রহঃ) কর্তৃক ‘আমর ইবনু দীনারের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৪১৯৩, ই.সে. ৪১৯৩)

৪২৩৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي الْحِزَامِيَّ – عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ، سُهَيْلٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، ح. وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ، ذَكْوَانَ الْمُعَلِّمِ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرٍ، ح. وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مَطَرٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ، أَبِي رَبَاحٍ وَأَبِي الزُّبَيْرِ وَعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَهُمْ فِي، بَيْعِ الْمُدَبَّرِ ‏.‏ كُلُّ هَؤُلاَءِ قَالَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ حَمَّادٍ وَابْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ جَابِرٍ ‏.‏

কুতাইবাহ, ‘আবদুল্লাহ ইবনু হাশিম ও আবূ গাস্সান মিসমা‘ঈ (রহঃ), সকলেই নাবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হাম্মাদ (রহঃ) এবং ইবনু ‘উয়াইনাহ্ (রাঃ) কর্তৃক ‘আমর (রাঃ) ও জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৪১৯৪, ই.স. ৪১৯৪)

FOR MORE CLICK HERE

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]