প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ বলতে কী বোঝেন?

এমন অনেক শব্দগুচ্ছ বাংলা ভাষায় রয়েছে যাদের উচ্চারণ প্রায় একই হলেও এদের অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এদের
প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ বলে অভিহিত করা হয়। এ ধরনের কিছু শব্দজোড় পাওয়া যাবে যাদের বানান
অভিন্ন। তবে, বাংলা ভাষায় পৃথিবীর অনেক ভাষার মতোই ধ্বনিবর্ণের মধ্যে বহুপ্রতিসম সম্পর্ক বিরাজ করে।
তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব শব্দজোড়ের বানানে ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।
এ ধরনের শব্দ একটি ভাষার সমৃদ্ধি ও সৌকর্যের প্রতিনিধিত্ব করে। মনে রাখা প্রয়োজন যে, ভাষা ব্যবহারকারীরা যখন
অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভাষা ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করে, তখনই এসকল শব্দ ভাষার শব্দভাÐারে স্থায়িত্ব পেয়ে
থাকে। কেননা, দ্ব্যর্থবোধকতা এড়িয়ে যথাযথভাবে এসব শব্দ ব্যবহারে ভাষীর দক্ষতা বিশেষ প্রয়োজন। তাছাড়া,
আলংকারিক ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এ ধরনের প্রায় সমোচ্চারিত শব্দের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে। নিচে এ
ধরনের কিছু শব্দজোড়ের দৃষ্টান্ত দেওয়া হলো:

অন্ন (ভাত) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিতে মানুষের মুখে অন্ন ওঠা দায়।
অন্য (অপর) সংস্কার, সংস্কার বাদ দিয়ে দুটো অন্য কথা বল।

অনু (পশ্চাৎ) এই দেশে এক সময় স্ত্রীলোকদের মৃত স্বামীর চিতায় অনুগমন করতে হতো।
অণু (ক্ষুদ্রতম অংশ) এটুকু ভাতে আমার পেটের অণুটুকুও ভরবে না।

অনিষ্ট (ক্ষতি) অন্যের অনিষ্টের চিন্তা কখনো মনে এনো না।
অনিষ্ঠ (নিষ্ঠাহীন) লেখা পড়ায় অনিষ্ঠ হলে পাস করতে পারবে না।

অংশ (ভাগ) বাপের জমির অংশ মেয়েরাও ছাড়বে না।
অংস (কাঁধ) বিপদে দূরে সরে না থেকে অংস মেলাও।

অর্ঘ (মূল্য) তোমার একাজের অর্ঘ দেওয়ার সাধ্য আমার নাই।
অর্ঘ্য (পূজার উপকরণ) মানুষের জন্য কাজ করলে তারা তোমার পায়ের কাছে অর্ঘ্য সাজাবে।

অশ্ব (ঘোড়া) শুয়ে পড়ো, অশ্বের মতো দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ো না।
অশ্ম (পাথর) অশ্মে মাথা ঠুকে লাভ নাই, চল বাড়ি যাই।

অশক্ত (দুর্বল) বিপদে অশক্ত হতে নেই।
অসক্ত (আসক্তিহীন) বইয়ে অসক্ত হলে ছাত্রজীবন বৃথা হবে।

অনিল (বাতাস) গুমোট গরমে অনিল এসে প্রাণ জুড়াল।
অনীল (যা নীল নয়) আকাশ কি কখনো অনীল হয়?

অভ্যাস (বারবার চেষ্টা) পরীক্ষা কাছে, রাত জেগে, পড়ার অভ্যাস করো।
অভ্যাশ (নিকট) অংক অভ্যাস কর, পরীক্ষা অভ্যাশে।
১০
অবধ্য (বধের অযোগ্য) মানুষ মানুষের অবধ্য।
অবোধ্য (যা বোঝা যায় না) অবোধ্য তত্ত¡কথা সব জায়গায় বল না।
১১
অপরিণত (যা পরিণত হয়নি) অপরিণত বয়সে এ বই পড়ে কিছুই বুঝবে না।
অপরিণীত (অবিবাহিত) বিধবার ঘরে অপরিণীত দুটো মেয়ে আছে।
১২
অন্ত (শেষ) সংসারে কাজের অন্ত নাই।
অন্ত্য (যা অন্তে আছে) অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া শেষেই শ্মশান বৈরাগীর শোক নিঃশেষ হয়ে যায়।
১৩
অন্যান্য (অপরাপর) অন্যান্যের সঙ্গেই তার ভাল সম্পর্ক আছে।
অন্যোন্য (পরস্পর) অন্যোন্যের প্রতি ভালোবাসায় মানুষের সুখ।
১৪
অন্নপুষ্ট (ভোজনপুষ্ট) এ আকালে অন্নপুষ্ট মানুষ নেই।
অন্যপুষ্ট (কোকিল) কাকের বাসায় কোকিলের ছা অন্যপুষ্ট হয়।
১৫
অবদান (সৎকর্ম) মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য।
অবধান (মনোযোগ) স্বাধীন দেশের মান বাড়াতে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তিতে অবধান দিতে হবে।
১৬
অবিরাম (অনবরত) অবিরাম চেষ্টা মানুষকে সফলতা এনে দেয়।
অভিরাম (সুন্দর) পোশাকে নয়নাভিরাম সেজো না, মনের দিকে অভিরাম হও।
১৭
অপচয় (ক্ষতি) সময়ের অপচয় করলে জীবন নষ্ট হয়।
অবচয় (চয়ন) সবকিছুতেই সৌন্দর্য অবচয়ন করতে হবে।
১৮
অবিনীত (উদ্ধত) অবিনীত সন্তান মা-বাবার মর্যাদা নষ্ট করে।
অভিনীত (অভিনয় করা হয়েছে এখন) অনেক সময় নাট্যদলের অভিনীত মঞ্চনাটক দর্শকের মনে আশা জাগায়।
১৯
অজগর (সাপ) অজগর অলস প্রকৃতির।
অজাগর (নিদ্রা)মা অজাগর ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে আছে।
২০
অপগত (দূরীভূত) অপরের দুঃখ অপগত করতে জীবন বিলিয়ে দাও।
অবগত (জানা) দেশসেবা করতে চাইলে দেশ সম্পর্কে অবগত হওয়া চাই।
২১
আদি (মূল) চর্যাপদ বাংলার আদি কবিতা।
আধি (মনঃকষ্ট) আধি গোপন না করে খোলা মেলা আলোচনা করা ভালো।
২২
আশা (ভরসা) ছাত্রদের ওপর দেশের মানুষের অনেক আশা।
আসা (আগমন) আজ তার বাড়িতে আসা হবে না।
২৩
আবাস (বাসস্থান) ঢাকা শহরে অনেক মানুষের আবাস গৃহ নেই, তারা ফুটপথে থাকে।
আভাস (ইঙ্গিত) পুলিশের আভাসেই চোরটা পালিয়ে গেল।
২৪
আবরণ (আচ্ছাদন) ছাতার আবরণে রোদবৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আভরণ (অলংকার) আভরণের লোভ দেখিয়ে মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা যাবে না।
২৫
আপন (নিজ) আপন কাজে কেউ ফাঁকি দেয় না।
আপণ (দোকান) আপন থেকে লবণ কিনে এনো।
২৬
আষাঢ় (মাস বিশেষ) বাংলাদেশে আষাঢ়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়।
আসার (প্রবল বৃষ্টিপাত) আসার বন্যার অন্যতম কারণ।
২৭
উপাদান (উপকরণ) আমাদের দেশে কৃষি উপাদান সহজলভ্য।
উপাধান (বালিশ) উপাধানে মাথা রেখে ঘুমাও।
২৮
কূল (তট) নদীকূলে বসে সূর্যাস্ত দেখতে ভালো লাগে।
কুল (বংশ) উঁচুকুলে জন্মালেই ভালো মানুষ হওয়া যায় না।
২৯
কাক (পাখি বিশেষ) কাক কালো হয়।
কাঁখ (কোমর) কলসি কাখে মেয়েরা ঘাটে যায়।
৩০
ক্রীত (কেনা হয়েছে যা) শ্রমিকেরা ক্রীতদাস নয়।
কৃত (করা হয়েছে যা) প্রত্যেক মানুষ নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করে।
৩১
কপাল (ললাট) কপাল ভালোমন্দ বলে কিছু নাই কাজ করলে ফল লাভ করা যায়।
কপোল (গÐদেশ) কপোল বেয়ে চোখের জল ঝরে পড়ল।
৩২
খাট (পালঙ্ক) খাটতো দূরের কথা আমাদের দেশে বহু মানুষের ঘরই নাই।
খাটো (বেঁটে) আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দৈর্ঘে খাটো।
৩৩
খুর (পশুর পায়ের তলদেশ) গরুর খুরের নিচে পা পড়লে মানুষের পা থেতলে যায়।
ক্ষুর (চুল দাড়ি কামাবার অস্ত্রবিশেষ ক্ষৌরকর্মে) এখন ক্ষুরের চেয়ে বে¬ড-এর ব্যবহার বেড়েছে।
৩৪
গা (শরীর) কৃষকের গা রোদে পুড়ে তামাটে হয়।
গা (গ্রাম) গায়ের মানুষ সহজসরল হয়।
৩৫
ঘোড়া (অশ্ব) ঘোড়ার গায়ে শক্তি বেশি।
ঘোরা (বিচরণ) রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
৩৬
চাখড়ি (খড়িমাটি) চাখড়ি দিয়ে কাপড়ে দাগকাটা যায়।
চাকরি (বেতনের বিনিময়ে কাজ) চাকরিতে স্বাধীনতা নেই।
৩৭
চাল (ঘরের চালা) গ্রামেও এখন আর খড়ের চালের প্রচলন নেই।
চাল (চাউল) বর্তমান চালের বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
৩৮
চির (দীর্ঘকাল) চিরদিন কেউ বেঁচে থাকে না।
চীর (ছেঁড়া কাপড়) চীর হলেও পরিষ্কার করে পরতে হয়।
৩৯
ছার (অধম) সে আবার কোন ছার, তাকে কুর্নিশ করতে হবে!
ছাড় (অনুমতি) অশালীন সিনেমা প্রদর্শণীয় ছাড়পত্র বাতিল করতে হবে।
৪০
ছাদ (আচ্ছাদন) পায়ের নিচে মাটি আর মাথার ওপরে ছাদÑ এই তো চাই।
ছাদ (আকৃতি, গঠন) পৃথিবীতে নানা ছাদের মানুষ দেখা যায়।
৪১
জল (পানি) জলের কোন রং নেই।
জ্বল (দীপ্তি) রাতে ঝোপে ঝোপে জোনাকির আলো জ্বলজ্বল করে।
৪২
জাম (ফলবিশেষ) পাকা জামের রস অ¤øমধুর।
যাম (অংশ) দিবসের দ্বিতীয় যামে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।
৪৩
জিব (জিহŸা) কুকুরের জিব দিয়ে লালা পড়ে।
জীব (প্রাণী) বুদ্ধির জোরেই জীবজগতে মানুষ শ্রেষ্ঠ।
৪৪
জ্যোতি (আলো) চাঁদের নিজের কোন জ্যোতি নাই।
যতি (ছেদ) কাজে যতি দেওয়া মানে কাজবন্ধ করা নয়।
৪৫
টিকা (রোগের প্রতিষেধক) টিকা দিলে অনেক রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
টীকা (ব্যাখ্যা) অবোধ্য লেখায় টীকা টিপ্পনি জুড়ে স্পষ্ট করতে হয়।
৪৬
ডোল (ভাÐ) ডোলে ধান চাল রাখা হয়।
ঢোল (বাদ্যযন্ত্র) গায়কটি ঢাক ঢোল বাজিয়ে আসর জমিয়ে নিল।
৪৭
ডাল (শাখা) ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে।
ডাল (খাদ্যবিশেষ) গরিবের ডালভাত খেয়ে দিন কাটে।
৪৮
ঢাল (আঘাত প্রতিরোধ করার অস্ত্র) ঢাল দিয়ে সে তীরের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করল।
ঢাল (ঢালু জমিবিশেষ) পাহাড়ের ঢালে ঢালে জুম চাষ হয়।
৪৯
দিন (দিবস) দিন যেয়ে রাত আসে।
দীন (দরিদ্র) দীনে দয়া করা মানুষের ধর্ম।
৫০
দেশ (ভূখÐ) ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে।
দ্বেষ (হিংসা) দ্বেষ মানুষকে ধবংস করে।
৫১
দীপ (আলো) মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে শুভ কামনা করা হয়।
দ্বীপ (জলবেষ্টিত স্থলভাগ) ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম বদ্বীপ।
৫২
ধনী (বিত্তশালী) ধনী মানুষের ধনের লোভ অপরিসীম।
ধ্বনি (আওয়াজ) ১৯৭১ সালে ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি রাজাকারদের আতঙ্কিত করে তুলত।
৫৩
ধরা (পৃথিবী) ধনধান্যভরা আমাদের এই ধরা।
ধড়া (কটি বস্ত্র) ধড়া পরে তাকে অসহায় মনে হচ্ছে।
৫৪
ধাতৃ (বিধাতা) মানুষের মাঝেই ধাতৃ নিজেকে লুকিয়ে রাখেন।
ধাত্রী (দাই) ধাত্রী মা শিশুটিকে লালনপালন করেন।
৫৫
নীর (পানি) বানের নীর মানুষের দুঃখের কারণ।
নীড় (পাখির বাসা) কোকিল নীড় বানাতে পারে না।
৫৬
নিতি (রোজ) ঘরে ভাত নেই, অথচ নীতি অতিথি আগমন!
নীতি (নিয়ম) দেশ পরিচালনার নীতিই রাজনীতি।
৫৭
নিত্য (প্রতিদিন) সে নিত্য এখানে আসা যাওয়া করে।
নৃত্য (নাচ) ছোট শিশুটির নৃত্য সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
৫৮
নিরাশ (আশাহীন) কাজে সফল হতে হলে নিরাশ হলে চলবে না।
নিরাস (প্রত্যাখ্যান) দুর্নীতিকে মানুষ নিরাস করেছে।
৫৯
নিরস্ত্র (অস্ত্রহীন) ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সৈন্য।
নিরস্ত (ক্ষান্ত) জীবন দিয়েছে, তবু যুদ্ধে বাঙালি নিরস্ত হয়নি।
৬০
প্রদান (দেওয়া) বাংলাদেশ সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বিদেশীদের সম্মাননা প্রদান করেছে।
প্রধান (বড়, শ্রেষ্ঠ) ভাত বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য।
৬১
পরা (পরিধান) আদিম মানুষ কাপড় পরত না।
পড়া (পাঠ করা) বই পড়া মজার কাজ।
৬২
পান (পাতা বিশেষ) পাহাড়ে পানের চাষ ভালো হয়।
পান (পান করা) ধূমপান বদ অভ্যাস।
৬৩
প্রসাদ (অনুগ্রহ) প্রসাদ নয়, গরিবকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে।
প্রাসাদ (বড় দালান) ঢাকা শহরে প্রাসাদের অভাব নেই।
৬৪
পালক (পাখির ডানার অংশ) পালক পাখিকে শীত ও তাপ থেকে রক্ষা করে।
পলক (মুহূর্ত, অল্প সময়) পারমাণবিক বোমা এক পলকে আমাদের পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
৬৫
পরভৃত (কোকিল) বসন্তে পরভৃত ডাকে।
পরভৃৎ (কাক) পরভৃৎ কা কা করে।
৬৬
ফি (প্রত্যেক) ফিবছর আমরা নববর্ষ উদযাপন করি।
ফি (বেতন) বেসরকারি বিদ্যায়তনে ভর্তি ফি বৃদ্ধি করে শিক্ষাকে পণ্য বানানো হচ্ছে।
৬৭
বর্ষা (ঋতুবিশেষ) বর্ষাকালে মাঠঘাট পানিতে ভরে যায়।
বর্শা (অস্ত্রবিশেষ) বর্শার আঘাতে মানুষের মৃত্যু হয়।
৬৮
বান (বন্যা) বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াও।
বাণ (শর) বাণবিদ্ধ হরিণ শাবক ছটফট করতে করতে মারা গেল।
৬৯
বল (শক্তি) খাদ্য শরীরের বল বৃদ্ধি করে।
বল (খেলার বল) মাঠে বল হাতে সাকিব এক অনন্য খেলোয়াড়।
৭০
বিনা (ব্যতীত) বিনা কারণে কার্য হয় না।
বীণা (বাদ্যযন্ত্র) বীণার সুরে মানুষ আনন্দ পায়।
৭১
বিষ (গরল) আর্সেনিক এক প্রকার বিষ।
বিশ (কুড়ি) বিশ টাকায় এখন এক কেজি আলুও কিনতে পাওয়া যায় না।
৭২
ভাষণ (উক্তি, কথন, বক্তব্য) মিথ্যা ভাষণে মানুষকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।
ভাসন (দীপ্তি) সূর্যের আলোয় সোনা ভাসন ছড়ায়।
৭৩
ভারা (স্তূপাকার) ধান কাটা শেষে চাষিরা ভারা করে রাখে।
ভাড়া (মাশুল) এখন বাসের ভাড়াও মানুষের অসহনীয়।
৭৪
মন (অন্তর, হৃদয়) মনই মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
মণ (চল্লিশ সের) পরিমাপের জন্য এখন আর মণ ব্যবহার করা হয় না।
৭৫
মাস (ত্রিশ দিন) বারমাস সে এখানে থাকে।
মাষ (কলাই) মাষকলাই ডাল খেতে ভালো।
৭৬
মরা (মৃত) মরা মানুষ পানিতে ভেসে ওঠে।
মড়া (শবদেহ) মড়াকে তাড়াতাড়ি সৎকার করাই ভালো।
৭৭
মূর্খ (জ্ঞানহীন) মূর্খ মানুষের কাÐজ্ঞান থাকে না।
মুখ্য (প্রধান) মেধা নয়, টাকাই শিক্ষা গ্রহণের জন্য মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।
৭৮
মোড়ক (আচ্ছাদন) বিজ্ঞাপনের মোড়কে পণ্যের গুণ বোঝা যায় না।
মড়ক (মহামারি) আগে মড়ক লেগে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত।
৭৯
যোগ্য (উপযুক্ত) চোরের ছেলে চোর যোগ্য বাপের যোগ্য পুত্র বটে।
যজ্ঞ (যাগ, উৎসব) বাংলা নববর্ষে ঢাকা মহানগর মানুষের মিলনযজ্ঞে পরিণত হয়।
৮০
রচক (রচয়িতা) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের জাতীয় সংগীতের রচক।
রোচক (উপভোগ্য) মুখরোচক হলেই খাদ্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয় না।
৮১
রাধা (রাধিকা) রাধা কৃষ্ণের লীলা বৈষ্ণব মতে ভগবত লীলা।
রাঁধা (রন্ধন করা) যে ভাত রাঁধে সে চুলও বাঁধে।
৮২
লক্ষ (সংখ্যা বিশেষ) লক্ষ লক্ষ মানুষ মাঠে নেমেছে।
লক্ষ্য (দৃষ্টি, উদ্দেশ্য, গন্তব্যস্থল) লক্ষ্যহীন জাতি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না।
৮৩
লব্ধ (লাভ করা) জ্ঞানলব্ধ মানুষ পথ চিনতে ভুল করে না।
লুব্ধ (আকৃষ্ট) বাহারি পোশাক দেখে অনেকেই লুব্ধ হয়।
৮৪
লক্ষণ (চিহ্ন) নিয়মিত লেখাপড়া করা ভালো ছাত্রের লক্ষণ।
ল²ণ (রামের ভাই) রাম ও ল²ণ সহোদর।
৮৫
শয্যা (বিছানা) শয্যা বিছিয়ে সে ঘুমিয়ে গেলো।
সজ্জা (সাজ) বর সজ্জায় তাকে বেশ মানিয়েছে।
৮৬
শব (মৃতদেহ) সব ধর্মেই শব সৎকারের কথা আছে।
সব (সকল) সব মানুষের মুখে ভাত জোগানোর দায়িত্ব সরকারের।
৮৭
শিকার (মৃগয়া) শিকার করা অনেক মানুষের শখ।
স্বীকার (মেনে নেওয়া) ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্য বাহিনী পরাজয় স্বীকার করে।
৮৮
সর্গ (অধ্যায়) বইটির পাঠ সর্গে মহাকাব্যের অধ্যায়কে সর্গ বলা হয়।
স্বর্গ (বেহেশত) মাতৃভূমি মানুষের কাছে স্বর্গের সমান।
৮৯
সহিত (সঙ্গে) পণ্যের সহিত বিনা মূল্যে উপহার দেওয়া বিক্রয় কৌশল।
স্ব-হিত (নিজ কল্যাণ) পাগলেও স্ব-হিত বোঝে।
৯০
সাড়া (সংকেত) বিড়ালের সাড়া পেয়ে ইঁদুরটি পালিয়ে গেল।
সারা (সমাপ্ত) কাজ সারা হলেই ঘরে ফিরব।
৯১
সাক্ষর (অক্ষর জ্ঞান) গত কয়েক বছরে দেশে স্বাক্ষর মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
স্বাক্ষর (নামসই) আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই স্বাক্ষর করতে জানে না।
৯২
হাড় (অস্থি) হাড়ই সম্বল, তার শরীরে মাংস নেই বললেই চলে।
হার (পরাজয়) প্রতিদ্ব›দ্বীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কাউকে না কাউকে হার মানতেই হয়।
৯৩
হাঁস (হংস) হাঁস পানিতে সাতাঁর কাটে।
হাস (হাসি) হাসতে পারলে মন ভালো থাকে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
১. প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ বলতে কী বোঝেন?
২. নিচের প্রায় সমোচ্চারিত শব্দজোড়ের অর্থসহ বাক্যরচনা করুন।
ক. অপচয় খ. অন্ত গ. আসা
অবচয় অন্ত্য আশা
ঘ. অংশ ঙ. অনিল

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]