1 |
অতিবাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে অতি ছোট থেকো না, ছাগলে মুড়াবে। |
2 |
অতি দীন ও অশক্ত লোকেরাই দৈবের দোহাই দিয়া থাকে। |
3 |
অর্থই অনর্থের মূল। |
4 |
অর্থ সম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞান সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না। |
5 |
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে। |
6 |
অপরের দুঃখ কথা করিলে চিন্তন আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ। |
7 |
অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে। |
8 |
অভাবে স্বভাব নষ্ট। |
9 |
অভিজ্ঞতা হল দুঃখ কষ্টের নির্যাস। |
10 |
অসির চেয়ে মসি বড়। |
11 |
অহংকার এমন এক আবরণ, যা মানুষের সকল মহত্ত্ব আবৃত করে ফেলে। |
12 |
অশান্তি যুদ্ধ থেকেও গুরুতর।
|
13 |
আগে চল, আগে চল ভাই পড়ে থাকা পিছে, মরে থাকা মিছে, বেঁচে মরে কিবা ফল, ভাই। |
14 |
আছে যাহা আপন হাতে, নিত্য খুশি থাকো তাতে পরদ্রব্যে করলে আশা, দুঃখ পাবে সর্বনাশা। |
15 |
আত্মবিশ্বাসই বীরত্বের মূলমন্ত্র। |
16 |
আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য। |
17 |
আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে। |
18 |
আপনা রাখিলে ব্যর্থ জীবন সাধনা জনম বিশ্বের তরে পরার্থে কামনা। |
19 |
আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। |
20 |
আপনারে কভু ভেবোনা ক্ষুদ্র, ভাবিওনা দীন তুমি তুমি নিতে পার জয় করিয়া এ বিপুল বিশ্বভূমি। |
21 |
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে, আসে নাই কেহ অবনি পরে। সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। |
22 |
আভিজাত্যের অহংকারের মতো অন্যায়বোধ হয় আর একটিও নাই। |
23 |
আমরা শক্তি আমরা বল, আমরা ছাত্রদল মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান ঊর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল, আমরা ছাত্রদল। |
24 |
আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই, যে মোরে করেছে পর।
|
25 |
আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই সকলের সুখ, সখা, সুখ শুধু তাই। |
26 |
আলস্য এক ভয়ানক ব্যাধি। |
27 |
আলো ও অন্ধকার পাশাপাশি বাস করে একটিকে বাদ দিলে অন্যটি মূল্যহীন। |
28 |
আলো বলে, অন্ধকার, তুই বড় কালো অন্ধকার বলে, ভাই তাই তুমি আলো।
|
29 |
আশার অন্ত নাইকো বটে আর সকলের অন্ত ঘটে। |
30 |
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। |
31 |
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।
|
32 |
উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে তিনি মধ্যম যিনি চলেন তফাতে। |
33 |
এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। |
34 |
এক মাঘে শীত যায় না। |
35 |
কত বড় আমি, কহে নকল হীরাটি। তাইত সন্দেহ করি, নহ ঠিক খাঁটি। |
36 |
কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই। |
37 |
করিতে পারি না কাজ সদা ভয় সদা লাজ। সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে। |
38 |
কাক কোকিলের এক বর্ণ, স্বরে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন। |
39 |
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে? |
40 |
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা। |
41 |
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই। |
42 |
কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে, ভাই বলে ডাক যদি দেব গলা টিপে, হেন কালে আকাশেতে উঠিলেন চাঁদা, কেরোসিন শিখা বলে- “এসো মোর দাদা।” |
43 |
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
|
44 |
কৃষ্ণ বলিয়া যারে তুমি আজি কর হীন অপমান রুধির তাহারো নহেত কৃষ্ণ- বহে সে-ও একই প্রাণ।
|
45 |
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
|
46 |
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। |
47 |
গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু।
|
48 |
গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন।
|
49 |
গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন।
|
50 |
গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না। |
51 |
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
|
52 |
চকচক করলেই সোনা হয় না। |
53 |
চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান। |
54 |
চন্দ্র কহে, বিশ্বে আলো দিয়েছি ছড়ায়ে কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে। |
55 |
চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন, ব্যথিত বেদন বুঝিতে কি পারে? কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে। |
56 |
জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে, সে জাতির নাম মানুষ জাতি; একই পৃথিবীর স্তন্যে লালিত, একই রবি-শশী মোদের সাথী। |
57 |
জনগণই সকল ক্ষতার উৎস। |
58 |
জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো । |
59 |
জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে? |
60 |
জাতীয় অবিচার জাতীয় পতনের নিশ্চিত কারণ।
|
61 |
জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। |
62 |
জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান। |
63 |
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ঠ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। |
64 |
তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ।
|
65 |
তাই আজ প্রকৃতির উপর আধিপত্য নয় মানুষ গড়ে তুলতে চাইছে প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ।
|
66 |
তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?
|
67 |
তোমার মাপে হয়নি সবাই, তুমিও হওনি সবার মাপে তুমি মর কারো ঠেলায়, কেউ-বা মরে তোমার চাপে।
|
68 |
তৃষ্ণার জল যখন আশার অতীত মরীচিকা তখন সহজে ভোলায়।
|
69 |
দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।
|
70 |
দন্ডিতের সাথে দন্ড-দাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
|
71 |
দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর।
|
72 |
দুঃখের মতো এত বড় পরশ পাথর আর নাই।
|
73 |
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
|
74 |
দুর্নীতি জাতির সকল উন্নতির অন্তরায়।
|
75 |
দুধ কলা সমৃদ্ধ সোনার খাঁচা অপেক্ষা ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ অজানা আকাশ পাখির অনেক প্রিয়।
|
76 |
দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি ?
|
77 |
ধনের মানুষ, মানুষ নয় মনের মানুষই মানুষ।
|
78 |
ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যাক্ত করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে।
|
79 |
ধৈর্য ধর, ধৈর্য ধর, বাধ বাধ বুক সংসারে সহস্র দুঃখ আসিবে আসুক।
|
80 |
নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?
|
81 |
নহে আশরাফ আছে যার শুধু বংশ পরিচয় সেই আশরাফ জীবন যাহার পূণ্য কর্মময়।
|
82 |
নদীর এপার কহে ছাড়িয়ে নিঃশ্বাস ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।
|
83 |
নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা ?
|
84 |
নাম মানুষকে বড় করে না মানুষই নামকে বড় করে তোলে।
|
85 |
নিরক্ষরতা দুর্ভাগ্যের প্রসূতি।
|
86 |
নিতান্ত নির্বোধ শুধু সেইজন অমূল্য সময় করে বৃথায় যাপন।
|
87 |
নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল, যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো।
|
88 |
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
|
89 |
পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয় পথের দু’ধারে আছে মোর দেবালয়।
|
90 |
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
|
91 |
পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
|
92 |
পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়।
|
93 |
পুষ্প আপনার জন্য ফোঁটে না।
|
94 |
পেচাঁ রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনও ছুতা, জান না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।
|
95 |
পুণ্য পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে মানুষ হতে দাও তোমার সন্তানে।
|
96 |
প্রকৃত বীর একবারই মরে, কিন্তু কাপুরুষেরা মরে বারবার।
|
97 |
প্রথম যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে তুমি মাত্র কেঁদেছিলে, হেসেছিল সবে। এমন জীবন হবে করিতে গঠন, মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।
|
98 |
প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্র হীন ফুটিয়াছে ফুল এক অতিশয় দীন। ধিক্ ধিক্ বলে তারে কাননে সবাই, সূর্য উঠি বলে তারে ভালো আছো ভাই?
|
99 |
প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
|
100 |
প্রয়োজন ব্যতিত বন্ধু ও শত্রু চেনা যায় না।
|
101 |
প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক।
|
102 |
প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই।
|
103 |
প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থক।
|
104 |
ফুলের বাগান সবার মনেই আছে ফুল ফোটাতে সবাই নাহি পারে।
|
105 |
ফ্যাশনটা হল মুখোশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী।
|
106 |
বই কিনে কেউ কোনো দিন দেউলিয়া হয় না।
|
107 |
বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে।
|
108 |
বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায় কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে ফেলা যায় না।
|
109 |
বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
|
110 |
বলিতে না পার যাহা চোখের উপরে বলিওনা বলিওনা তাহা অগোচরে।
|
111 |
বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়, গুরু উত্তরসাধক মাত্র।
|
112 |
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
|
113 |
বিনয় উন্নতি পথে প্রধান সোপান বিনয়ে মানব হয় মহামহীয়ান।
|
114 |
বিশ্রাম কাজেরই অঙ্গ এক সাথে গোঁথা নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা।
|
115 |
বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র নানাভাবে নানান জিনিস শিখছি দিবারাত্র।
|
116 |
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখন ব’সে বিবি তালাকের ফতওয়া খুঁজেছি, ফিকাহ হাদিস চষে।
|
117 |
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
|
118 |
বিদ্বানের দোয়াতের কালি শহিদের রক্তের চেয়েও পবিত্র।
|
119 |
বিত্ত হতে চিত্ত বড়
|
120 |
বুদ্ধি যার বল তার।
|
121 |
বেঁচেও মরে যদি মানুষ দোষে মরেও বাঁচে যদি মানুষ ঘোষে।
|
122 |
বৈরাগ্য-সাধনে মুক্তি, সে আমার নয় অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় লভিব মুক্তির স্বাদ।
|
123 |
ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ।
|
124 |
ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
|
125 |
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে।
|
126 |
মধুর চেয়েও আছে মধু, সে এই আমার দেশের মাটি, আমার দেশের পথের :ধূলা, খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।
|
127 |
মনের আজ কহ যে ভাল-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে।
|
128 |
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
|
129 |
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে। মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
|
130 |
মা এবং মায়ের মুখের ভাষা দুটোর মূল্যই সমান।
|
131 |
মাটি হতে হে মানব তোমার জনম, আগুনের মতো কেন হও হে গরম।
|
132 |
মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।
|
133 |
মানুষকে ভুল করিতে না দিলে মানুষকে শিক্ষা লাভ করিতে দেওয়া হয় না।
|
134 |
মানুষের সর্বাপেক্ষা ভারী বোঝা হচ্ছে ক্রোধ।
|
135 |
মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষকই হল মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী।
|
136 |
মিত্রত্ব সর্বত্রই সুলভ, মিত্রত্ব রক্ষা করাই কঠিন
|
137 |
মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির-কাবা নাই।
|
138 |
মুক্ত কর ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়।
|
139 |
মুকুট পরা শক্ত; কিন্তু মুকুট ত্যাগ করা কঠিন।
|
140 |
মৃত্যুই কেবল উৎকোচ গ্রহণ করে না।
|
141 |
মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।
|
142 |
মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।
|
143 |
যত মত, তত পথ।
|
144 |
যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা।
|
145 |
যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষন আঁশ।
|
146 |
যারে তুমি নিচে ফেল, সে তোমারে বাঁধিছে যে নিচে, পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
|
147 |
যার যোগ্যতা যত অল্প, তার আড়ম্ভর তত বেশি ।
|
148 |
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না।
|
149 |
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু নিভাইছে তব আলো তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ তুমি কি বেসেছ ভাল?
|
150 |
যাহারা এ পৃথিবীতে হয়ে গেছেন চিরধন্য নিজের জন্য ভাবেন নিকো, ভেবেছিলেন পরের জন্য।
|
151 |
যে অন্যায় আদেশ পালন করে সেও অন্যায় করে।
|
152 |
যে একা সেই সামান্য, যে একা সেই সামান্য, যার ঐক্য নাই সে তুচ্ছ।
|
153 |
যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ বাতি।
|
154 |
যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে, সহস্র শৈবালদাম বাঁধে আসি তারে। যে জাতি জীবন হারা অচল, অসাড় পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।
|
155 |
যে সহে, সে রহে। |
156 |
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।
|
157 |
যেমন কর্ম তেমন ফল।
|
158 |
রাখি যাহা তাহা বোঝা, কাঁধে চেপে রহে দিই যাহা তার ভার বরাবর বহে।
|
159 |
রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।
|
160 |
রৌদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে সে ভিজে দিবা-রাতি মোদের ক্ষুধার জন্য যোগায়, চায় নাকো সে খ্যাতি।
|
161 |
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
|
162 |
শিক্ষাই জাতির মেরুদ-।
|
163 |
শুনহে মানুষ ভাই সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
|
164 |
শুধালো পথিক ‘সাগর হতে কী অধীক ধনবান ?’ জ্ঞানী বলেন, ‘বাছা তুষ্ট হৃদয় তারো চেয়ে গরীয়ান।’
|
165 |
শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
|
166 |
সকল পাথর হলে মহামূল্য মণি মণির কদর কিছু হত না কখনি।
|
167 |
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
|
168 |
সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
|
169 |
সত্য মূল্য না দিয়েই সাহিত্যের খ্যাতি করা চুরি ভালো নয় ভালো নয়, নকল সে সৌখিন মজদুরী।
|
170 |
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।
|
171 |
সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারে, আর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে।
|
172 |
সবুরে মেওয়া ফলে।
|
173 |
সম্পদে যাদের ঠেকে না চরণ মাটির মালিক তাহারাই হন।
|
174 |
সমালোচক শত্রু নয়, সেই প্রকৃত বন্ধু।
|
175 |
সত্য যে কঠিন কঠিনেরে ভালো বাসিলাম, সে কখনো করেনা বঞ্চনা।
|
176 |
সঙ্গদোষে লোহা ভাসে।
|
177 |
সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে সার্থক জনম মাগো, তোমায় ভালবেসে।
|
178 |
সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ। শব্দার্থ ঃ দর্পণ:-আয়না।
|
179 |
সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার কে পারে চালাতে রাজ্য শাসনের রীতিনীতি সূক্ষ্মভাবে রয়েছে ইহাতে।
|
180 |
সুখের ফসল এতই সোজা চাষাবাদে দহন-সহন তবেই না প্রাপ্তির খোঁজ।
|
181 |
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
|
182 |
সুসময়ে বন্ধু বটে অনেকের হয় অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়।
|
183 |
সুজনে সু-যশ গায় কু-যশ ঢাকিয়া কুজনে কু-রব করে সু-রব নাশিয়া।
|
184 |
সেই ধন্য নরকুলে লোকে যারে নাহি ভুলে মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন।
|
185 |
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
|
186 |
স্পষ্টভাষী শত্রু, নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো ।
|
187 |
স্বদেশের উপকারে নেই যার মন কে বলে মানুষ তারে, পশু সেই জন।
|
188 |
স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত বংশী করে নিজ স্বরে অপরে মোহিত।
|
189 |
স্বার্থমগ্ন যেজন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।
|
190 |
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
|
191 |
সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর।
|
192 |
সংসারে সংসারী সাজ কর নিত্য নিজ কাজ।
|
193 |
সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা।
|
194 |
হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই, অগৌরব হল মিথ্যায়, মূর্খতায়।
|
195 |
হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস।
|
196 |
হে অতীত তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে।
|