নাম্বার বিস্তারিত
1 অতিবাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে অতি ছোট থেকো না, ছাগলে মুড়াবে।
2 অতি দীন ও অশক্ত লোকেরাই দৈবের দোহাই দিয়া থাকে।
3 অর্থই অনর্থের মূল।
4 অর্থ সম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞান সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না।
5 অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
6 অপরের দুঃখ কথা করিলে চিন্তন আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ।
7 অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে।
8 অভাবে স্বভাব নষ্ট।
9 অভিজ্ঞতা হল দুঃখ কষ্টের নির্যাস।
10 অসির চেয়ে মসি বড়।
11 অহংকার এমন এক আবরণ, যা মানুষের সকল মহত্ত্ব আবৃত করে ফেলে।
12 অশান্তি যুদ্ধ থেকেও গুরুতর।
13 আগে চল, আগে চল ভাই পড়ে থাকা পিছে, মরে থাকা মিছে, বেঁচে মরে কিবা ফল, ভাই।
14 আছে যাহা আপন হাতে, নিত্য খুশি থাকো তাতে পরদ্রব্যে করলে আশা, দুঃখ পাবে সর্বনাশা।
15 আত্মবিশ্বাসই বীরত্বের মূলমন্ত্র।
16 আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য।
17 আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে।
18 আপনা রাখিলে ব্যর্থ জীবন সাধনা জনম বিশ্বের তরে পরার্থে কামনা।
19 আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
20 আপনারে কভু ভেবোনা ক্ষুদ্র, ভাবিওনা দীন তুমি তুমি নিতে পার জয় করিয়া এ বিপুল বিশ্বভূমি।
21 আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে, আসে নাই কেহ অবনি পরে। সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
22 আভিজাত্যের অহংকারের মতো অন্যায়বোধ হয় আর একটিও নাই।
23 আমরা শক্তি আমরা বল, আমরা ছাত্রদল মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান ঊর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল, আমরা ছাত্রদল।
24 আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই, যে মোরে করেছে পর।
25 আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই সকলের সুখ, সখা, সুখ শুধু তাই।
26 আলস্য এক ভয়ানক ব্যাধি।
27 আলো ও অন্ধকার পাশাপাশি বাস করে একটিকে বাদ দিলে অন্যটি মূল্যহীন।
28 আলো বলে, অন্ধকার, তুই বড় কালো অন্ধকার বলে, ভাই তাই তুমি আলো।
29 আশার অন্ত নাইকো বটে আর সকলের অন্ত ঘটে।
30 ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।
31 উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।
32 উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে তিনি মধ্যম যিনি চলেন তফাতে।
33 এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
34 এক মাঘে শীত যায় না।
35 কত বড় আমি, কহে নকল হীরাটি। তাইত সন্দেহ করি, নহ ঠিক খাঁটি।
36 কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই।
37 করিতে পারি না কাজ সদা ভয় সদা লাজ। সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে।
38 কাক কোকিলের এক বর্ণ, স্বরে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন।
39 কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
40 কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা।
41 কীর্তিমানের মৃত্যু নাই।
42 কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে, ভাই বলে ডাক যদি দেব গলা টিপে, হেন কালে আকাশেতে উঠিলেন চাঁদা, কেরোসিন শিখা বলে- “এসো মোর দাদা।”
43 কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
44 কৃষ্ণ বলিয়া যারে তুমি আজি কর হীন অপমান রুধির তাহারো নহেত কৃষ্ণ- বহে সে-ও একই প্রাণ।
45 ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
46 ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
47 গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু।
48 গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন।
49 গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন।
50 গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।
51 ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
52 চকচক করলেই সোনা হয় না।
53 চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান।
54 চন্দ্র কহে, বিশ্বে আলো দিয়েছি ছড়ায়ে কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে।
55 চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন, ব্যথিত বেদন বুঝিতে কি পারে? কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।
56 জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে, সে জাতির নাম মানুষ জাতি; একই পৃথিবীর স্তন্যে লালিত, একই রবি-শশী মোদের সাথী।
57 জনগণই সকল ক্ষতার উৎস।
58 জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো ।
59 জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?
60 জাতীয় অবিচার জাতীয় পতনের নিশ্চিত কারণ।
61 জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
62 জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান।
63 জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ঠ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।
64 তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ।
65 তাই আজ প্রকৃতির উপর আধিপত্য নয় মানুষ গড়ে তুলতে চাইছে প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ।
66 তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?
67 তোমার মাপে হয়নি সবাই, তুমিও হওনি সবার মাপে তুমি মর কারো ঠেলায়, কেউ-বা মরে তোমার চাপে।
68 তৃষ্ণার জল যখন আশার অতীত মরীচিকা তখন সহজে ভোলায়।
69 দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।
70 দন্ডিতের সাথে দন্ড-দাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
71 দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর।
72 দুঃখের মতো এত বড় পরশ পাথর আর নাই।
73 দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
74 দুর্নীতি জাতির সকল উন্নতির অন্তরায়।
75 দুধ কলা সমৃদ্ধ সোনার খাঁচা অপেক্ষা ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ অজানা আকাশ পাখির অনেক প্রিয়।
76 দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি ?
77 ধনের মানুষ, মানুষ নয় মনের মানুষই মানুষ।
78 ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যাক্ত করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে।
79 ধৈর্য ধর, ধৈর্য ধর, বাধ বাধ বুক সংসারে সহস্র দুঃখ আসিবে আসুক।
80 নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?
81 নহে আশরাফ আছে যার শুধু বংশ পরিচয় সেই আশরাফ জীবন যাহার পূণ্য কর্মময়।
82 নদীর এপার কহে ছাড়িয়ে নিঃশ্বাস ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।
83 নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা ?
84 নাম মানুষকে বড় করে না মানুষই নামকে বড় করে তোলে।
85 নিরক্ষরতা দুর্ভাগ্যের প্রসূতি।
86 নিতান্ত নির্বোধ শুধু সেইজন অমূল্য সময় করে বৃথায় যাপন।
87 নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল, যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো।
88 পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
89 পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয় পথের দু’ধারে আছে মোর দেবালয়।
90 পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
91 পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
92 পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়।
93 পুষ্প আপনার জন্য ফোঁটে না।
94 পেচাঁ রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনও ছুতা, জান না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।
95 পুণ্য পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে মানুষ হতে দাও তোমার সন্তানে।
96 প্রকৃত বীর একবারই মরে, কিন্তু কাপুরুষেরা মরে বারবার।
97 প্রথম যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে তুমি মাত্র কেঁদেছিলে, হেসেছিল সবে। এমন জীবন হবে করিতে গঠন, মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।
98 প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্র হীন ফুটিয়াছে ফুল এক অতিশয় দীন। ধিক্ ধিক্ বলে তারে কাননে সবাই, সূর্য উঠি বলে তারে ভালো আছো ভাই?
99 প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
100 প্রয়োজন ব্যতিত বন্ধু ও শত্রু চেনা যায় না।
101 প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক।
102 প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই।
103 প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থক।
104 ফুলের বাগান সবার মনেই আছে ফুল ফোটাতে সবাই নাহি পারে।
105 ফ্যাশনটা হল মুখোশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী।
106 বই কিনে কেউ কোনো দিন দেউলিয়া হয় না।
107 বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে।
108 বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায় কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে ফেলা যায় না।
109 বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
110 বলিতে না পার যাহা চোখের উপরে বলিওনা বলিওনা তাহা অগোচরে।
111 বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়, গুরু উত্তরসাধক মাত্র।
112 বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
113 বিনয় উন্নতি পথে প্রধান সোপান বিনয়ে মানব হয় মহামহীয়ান।
114 বিশ্রাম কাজেরই অঙ্গ এক সাথে গোঁথা নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা।
115 বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র নানাভাবে নানান জিনিস শিখছি দিবারাত্র।
116 বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখন ব’সে বিবি তালাকের ফতওয়া খুঁজেছি, ফিকাহ হাদিস চষে।
117 বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
118 বিদ্বানের দোয়াতের কালি শহিদের রক্তের চেয়েও পবিত্র।
119 বিত্ত হতে চিত্ত বড়
120 বুদ্ধি যার বল তার।
121 বেঁচেও মরে যদি মানুষ দোষে মরেও বাঁচে যদি মানুষ ঘোষে।
122 বৈরাগ্য-সাধনে মুক্তি, সে আমার নয় অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় লভিব মুক্তির স্বাদ।
123 ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ।
124 ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
125 মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে।
126 মধুর চেয়েও আছে মধু, সে এই আমার দেশের মাটি, আমার দেশের পথের :ধূলা, খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।
127 মনের আজ কহ যে ভাল-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে।
128 মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
129 মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে। মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
130 মা এবং মায়ের মুখের ভাষা দুটোর মূল্যই সমান।
131 মাটি হতে হে মানব তোমার জনম, আগুনের মতো কেন হও হে গরম।
132 মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।
133 মানুষকে ভুল করিতে না দিলে মানুষকে শিক্ষা লাভ করিতে দেওয়া হয় না।
134 মানুষের সর্বাপেক্ষা ভারী বোঝা হচ্ছে ক্রোধ।
135 মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষকই হল মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী।
136 মিত্রত্ব সর্বত্রই সুলভ, মিত্রত্ব রক্ষা করাই কঠিন
137 মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির-কাবা নাই।
138 মুক্ত কর ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়।
139 মুকুট পরা শক্ত; কিন্তু মুকুট ত্যাগ করা কঠিন।
140 মৃত্যুই কেবল উৎকোচ গ্রহণ করে না।
141 মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।
142 মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।
143 যত মত, তত পথ।
144 যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা।
145 যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষন আঁশ।
146 যারে তুমি নিচে ফেল, সে তোমারে বাঁধিছে যে নিচে, পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
147 যার যোগ্যতা যত অল্প, তার আড়ম্ভর তত বেশি ।
148 যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না।
149 যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু নিভাইছে তব আলো তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ তুমি কি বেসেছ ভাল?
150 যাহারা এ পৃথিবীতে হয়ে গেছেন চিরধন্য নিজের জন্য ভাবেন নিকো, ভেবেছিলেন পরের জন্য।
151 যে অন্যায় আদেশ পালন করে সেও অন্যায় করে।
152 যে একা সেই সামান্য, যে একা সেই সামান্য, যার ঐক্য নাই সে তুচ্ছ।
153 যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ বাতি।
154 যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে, সহস্র শৈবালদাম বাঁধে আসি তারে। যে জাতি জীবন হারা অচল, অসাড় পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।
155 যে সহে, সে রহে।
156 যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।
157 যেমন কর্ম তেমন ফল।
158 রাখি যাহা তাহা বোঝা, কাঁধে চেপে রহে দিই যাহা তার ভার বরাবর বহে।
159 রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।
160 রৌদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে সে ভিজে দিবা-রাতি মোদের ক্ষুধার জন্য যোগায়, চায় নাকো সে খ্যাতি।
161 লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
162 শিক্ষাই জাতির মেরুদ-।
163 শুনহে মানুষ ভাই সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
164 শুধালো পথিক ‘সাগর হতে কী অধীক ধনবান ?’ জ্ঞানী বলেন, ‘বাছা তুষ্ট হৃদয় তারো চেয়ে গরীয়ান।’
165 শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
166 সকল পাথর হলে মহামূল্য মণি মণির কদর কিছু হত না কখনি।
167 সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
168 সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
169 সত্য মূল্য না দিয়েই সাহিত্যের খ্যাতি করা চুরি ভালো নয় ভালো নয়, নকল সে সৌখিন মজদুরী।
170 সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।
171 সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারে, আর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে।
172 সবুরে মেওয়া ফলে।
173 সম্পদে যাদের ঠেকে না চরণ মাটির মালিক তাহারাই হন।
174 সমালোচক শত্রু নয়, সেই প্রকৃত বন্ধু।
175 সত্য যে কঠিন কঠিনেরে ভালো বাসিলাম, সে কখনো করেনা বঞ্চনা।
176 সঙ্গদোষে লোহা ভাসে।
177 সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে সার্থক জনম মাগো, তোমায় ভালবেসে।
178 সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ। শব্দার্থ ঃ দর্পণ:-আয়না।
179 সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার কে পারে চালাতে রাজ্য শাসনের রীতিনীতি সূক্ষ্মভাবে রয়েছে ইহাতে।
180 সুখের ফসল এতই সোজা চাষাবাদে দহন-সহন তবেই না প্রাপ্তির খোঁজ।
181 সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
182 সুসময়ে বন্ধু বটে অনেকের হয় অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়।
183 সুজনে সু-যশ গায় কু-যশ ঢাকিয়া কুজনে কু-রব করে সু-রব নাশিয়া।
184 সেই ধন্য নরকুলে লোকে যারে নাহি ভুলে মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন।
185 সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
186 স্পষ্টভাষী শত্রু, নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো ।
187 স্বদেশের উপকারে নেই যার মন কে বলে মানুষ তারে, পশু সেই জন।
188 স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত বংশী করে নিজ স্বরে অপরে মোহিত।
189 স্বার্থমগ্ন যেজন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।
190 স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
191 সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর।
192 সংসারে সংসারী সাজ কর নিত্য নিজ কাজ।
193 সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা।
194 হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই, অগৌরব হল মিথ্যায়, মূর্খতায়।
195 হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস।
196 হে অতীত তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে।
Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]