কী কী কারণে বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ হয় তা বল বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ করতে পারবে

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। অথচ লেখার ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমরা প্রায়ই নানা ধরনের অশুদ্ধি ঘটিয়ে ফেলছি। যেমন
বানান ভুল করি, তেমনি বাক্য নির্মাণেও অপপ্রয়োগ ঘটাই।
ভাষার শুদ্ধ প্রযোগ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জনের জন্যে প্রয়োজন ব্যাকরণ-জ্ঞান, শব্দ ও বাক্যের অপপ্রয়োগ সম্পর্কে বিশেষ
ধারণা এবং সেগুলো নিরসনে সতর্কতা ও সচেতন প্রয়াস। মুদ্রণ ও লেখায় ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় ত্রæটির
ক্ষেত্রগুলো হচ্ছেÑ
ক. বানানের অশুদ্ধি;
খ. বাক্যে পদের অপপ্রয়োগ;
গ. বাক্যে পদবিন্যাসের ত্রæটি;
ঘ. সাধু ও চলিতরীতির মিশ্রণজনিত ত্রæটি।
ক. বানানোর অশুদ্ধি : শব্দের উচ্চারণ অসতর্ককতার কারণে বানানে ভুল হয়। উচ্চারণ সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং উচ্চারণে
আঞ্চলিকতার প্রভাব থাকলে প্রায়ই বানানে ভুল হয়। একই ধ্বনির জন্যে একাধিক হরফ’ এবং ‘সমধ্বনিযুক্ত ব্যঞ্জনের
আধিক্য’ বানান ভুলের জন্য মুল কারণগুলোর অন্যতম। বানানের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে বানান ভুল হওয়াই
স্বাভাবিক। ভাষার গতি-প্রকৃতি পরিবর্তনের কারণে বানানের যে পরিবর্তন হয় সে সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য না জানা থাকলে
বানানে ভুল হতে পারে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং বাংলা একাডেমি
যথাক্রমে ১৯৩৭, ১৯৮৮, ১৯৯২ ও ২০১২ সালে বাংলা বানানের যে নিয়ম নির্ধারণ ও সুপারিশ করেছে; বানান সঠিকভাবে
লেখার জন্য সেসব নির্ধারিত নিয়ম ও সুপারিশ সম্পর্কে অবগত থাকা দরকার। এ ছাড়াও শুদ্ধ বানানের জন্য ব্যাকরণ-জ্ঞান
অপরিহার্য। সন্ধি, সমাস, উপসর্গ ও প্রত্যয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে শব্দ ও পদের গঠনরীতি জানা না থাকায় যেসব
বানানে ভুল হয় সেসব পরিহার করা যায়। ণত্ব বিধান, ষত্ব বিধান সরাসরি বানানের সঙ্গে যুক্ত বলে ব্যাকরণ-জ্ঞান দ্বারা ণত্ব
বিধান বা ষত্ব বিধান ঘটিত বানানের ভুলগুলো সহজেই এড়ানো সম্ভব হয়। এসব ছাড়াও সমোচ্চারিত শব্দের অর্থ ও বানান
পার্থক্য সম্বন্ধে সতর্ক থেকে বানানোর ভুল এড়ানো যায়।
খ. বাক্যে পদের অপপ্রয়োগ : একটি শব্দের অর্থ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে বাক্যে শব্দের অপপ্রয়োগ ঘটার সম্ভাবনাই
বেশি। ক্রিয়া, বিশেষ্য, বিশেষণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকলে, বাক্যে পদবিন্যাসগত ত্রæটি ঘটে। বিশেষ করে বিশেষ্য-
বিশেষণ যথাযথরূপে চিহ্নিত করে সেগুলোকে বাক্যে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা উচিত। উৎকর্ষ, সারল্য প্রভৃতি বিশেষণবিশেষ্য সম্পর্কে প্রয়োগকারীর ধারণার অভাবেই বাক্যে অপপ্রয়োগ হয়ে থাকে। লিঙ্গ, বচন প্রভৃতি ব্যাকরণ-সিদ্ধ জ্ঞানের
আলোকেই বাক্যে প্রয়োগ করা উচিত।
গ. বাক্যে পদবিন্যাসের ত্রæটি : শুদ্ধ বাক্যের জন্য অবশ্যই বাক্যে অভ্যন্তরীণ সুশৃঙ্খল পদবিন্যাস থাকা দরকার। ইচ্ছেমতো
এলোমেলো পদসংস্থান চলে না। পদশৃঙ্খলার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন রয়েছে। এসব নিয়ম-কানুন মেনে বাক্যে
পদসংস্থান করা উচিত। তবে বাক্যশৈলীর প্রয়োজনে বাংলা বাক্যের নিয়ম মেনে সম্মুখন ও পদবিপর্যয় ঘটানো চলে। বাক্যে
পদসংস্থান সম্পর্কে প্রায়োগিক ধারণা না থাকলে পদবিন্যাস ও অর্থের দিক থেকে বাক্য ত্রæটিপূর্ণ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘ. সাধু ও চলিতরীতির মিশ্রণজনিত ত্রæটি : সাধু ও চলিত ভাষার দুই রীতির যে কোনো একটিতে বেছে নিতে হয় বাক্য
তৈরির সশয়। এ দুই রীতির সংমিশ্রণ দূষণীয় বলে গণ্য হয় সাধু ও চলিত রীতির মিশ্রণকে ‘গুরুচÐালী’ দোষ বলা হয়।
‘গুরুচÐালী’ দোষে ভাষা দুর্বল ও শিথিল হয়ে পড়ে (কথাসাহিত্য ও নাটকের সংলাপ অবশ্য ব্যতিক্রম)। এসব কারণেই
ভাষার এ দুই রীতির মিশ্রণ যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত।
* স্ত্রীবাচক ‘-ইনী/-ইণী’ প্রত্যয়ান্ত শব্দের বানানে সতর্কতা : কিছু কিছু শব্দ আছে যেগুলোর শেষে ‘-ঈ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে
পুরুষবাচক শব্দ গঠিত হয়। যেমন: বিরহ থেকে বিরহী, অপরাধ থেকে অপরাধী। এরূপ শব্দকে স্ত্রীবাচক শব্দে পরিণত
করতে হলে মূল শব্দের সঙ্গে স্ত্রীবাচক ‘-ইনী’ প্রত্যয় যোগ করতে হয়। যেমন- বিরহ থেকে বিরহিনী।
* স্ত্রীবাচক- ‘ঈ’ ও ‘আ’-প্রত্যয়ের বাহুল্যজনিত ভুল: ‘-কর’ প্রত্যয়যোগে বাংলায় কয়েকটি বিশেষণ পদ গঠিত হয়। যেমন:
হিতকর, কার্যকর ইত্যাদি। এ জাতীয় শব্দের সঙ্গে স্ত্রীবাচক ‘Ñঈ’ প্রত্যয় ব্যবহার সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসারে সিদ্ধ।
যেমন: হিতকারী, কার্যকরী ইত্যাদি। বাংলা ‘-ঈ’ প্রত্যয়ের এ ধরনের প্রয়োগ অপ্রয়োজনীয় এবং স্ত্রীবাচক ‘-ঈ’ প্রত্যয়
ছাড়াই এসব শব্দ ব্যবহার করা সংগত।
* বানানে ‘ই’-কার ও ‘ঈ’-কার সম্পর্কে সতর্কতা :
সংস্কৃত-ইন্ প্রত্যয়ান্ত শব্দের মধ্যাংশে প্রত্যয়ের ই-কার : সংস্কৃত ‘ইন’ প্রত্যয়ান্ত শব্দের (সহযোগিন্, প্রতিযোগিন্ ইত্যাদি)
বাংলা পুরুষবাচক রূপ ঈ-কারান্ত হয়। যেমন: সহযোগী, প্রতিযোগী। কিন্তু ‘ইন’ প্রত্যয়ান্ত এসব শব্দে বিশেষ্যবাচক তা
কিংবা, ত্ব প্রত্যয় যুক্ত হলে- ইন, এর ন্ লোপ পায় এবং মূলের ই-কার বজায় থাকে। ফলে শব্দের মধ্যাংশে ‘ই’-কার
আসে। যেমন: সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা।
#NAME?
মিতব্যয়ী Ñ মিতব্যয়িতা দেশদ্রোহী Ñ দেশদ্রোহিতা
উপযোগী Ñ উপযোগিতা সত্যবাদী Ñ সত্যবাদিাত
অপকারী Ñ অপকারিতা পরিণামদর্শী Ñ পরিণামদর্শিতা
বিলাসী Ñ বিলাসিতা সহমর্মী Ñ সহমর্মিতা
* বানানে অনুস্বার সম্পর্কে সতর্কতা : বাংলায় অনুস্বার [ং]-এর উচ্চারণ ও ভূমিকা প্রায় ‘ঙ’-র মতো। তবে এটি কখনও
স্বতন্ত্রভাবে উচ্চারিত কিংবা স্বরাশ্রিত হয় না। শব্দের শুরুতেও এটি বসে না। শুধু অন্য বর্ণের সঙ্গে শব্দের মধ্যাংশে ও
শেষে এর প্রয়োগ হয়।
* সম্ভাষণসূচক শব্দের বানান সতর্কতা : পুরুষবাচক সম্ভাষণসূচক শব্দে এ-কারের পর ‘ষ’ হয়। যেমন:
শ্রদ্ধাভাজনেষু কল্যাণবরেষু সুজনেষু সুচরিতেষু
সুহৃদ্বরেষু বন্ধুবরেষু কল্যাণীয়েষু প্রীতিভাজনেষু
প্রিয়বরেষু কল্যাণীবরেষু ¯েœহাস্পদেষু
শ্রীচরণেষু শ্রদ্ধাস্পদেষু প্রিয়তমেধু
লক্ষণীয় : আ-কারের পর স্ত্রীবাচক সম্ভাষণে ‘সু’ হয়। যেমন: সচরিতাসু, পূজনীয়াসু, প্রিয়তমাসু, মাননীয়াসু, সুপ্রিয়াসু
ইত্যাদি।
* যুক্তব্যজ্ঞনের বানান সতর্কতা
ত্ব : ঘনত্ব, চত্বর, ত্বক, ত্বরণ, দায়িত্ব, দূরত্ব, নতুনত্ব, পিতৃত্ব, ভ্রাতৃত্ব, শিষ্যত্ব, সত্বর, স্বত্ব, স্থায়িত্ব, অস্তিত্ব,
ঋত্বিক, কর্তৃত্ব, কৃতিত্ব।
ঙ্ঘ : লঙ্ঘন, উল্লঙ্ঘন, জঙ্ঘ।
চ্ছ¡ : জলোচ্ছ¡াস, তরঙ্গোচ্ছ¡াস, ভাবোচ্ছ¡াস, উচ্ছ¡াস, উচ্ছ¡সিত।
ক্ব : ক্বচিৎ, নিক্বণ, পক্ব, পক্বাশয়
হ্ন : আহ্নিক, চিহ্ন, মধ্যাহ্ন, সায়াহ্ন, জাহ্নবী
ঙ্গ : গঙ্গা, তরঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, অঙ্গ, অঙ্গীকার, অন্তরঙ্গ, ইঙ্গিত, প্রসঙ্গ, প্রাঙ্গণ, ব্যঙ্গ, ভঙ্গ, শৃঙ্গ, ভঙ্গি, মঙ্গল, সুড়ঙ্গ।
চ্ছ : প্রচ্ছন্ন, বৃক্ষচ্ছায়া, মুখচ্ছবি, কথাচ্ছলে, তরুচ্ছায়া, স্বচ্ছন্দ।
ক্ষ : অক্ষি, পক্ষ, পক্ষী, রক্ষী, লক্ষণ, লক্ষণীয়, লক্ষ।
ন্ন : নিষ্পন্ন, প্রচ্ছন্ন
² : প², ল²ণ, ল²ী, সূ²
ঙ্ক : কঙ্কাল, কলঙ্ক, নিঃশঙ্ক, পঙ্ক, পঙ্কজ, শঙ্কিকল, পালঙ্ক, বঙ্কিম, অঙ্ক, অঙ্কন, অঙ্কুর, আতঙ্ক, আশঙ্কা, শঙ্কা।
ক্সক্ষ : মঙ্গলাকাক্সক্ষী, আকাক্সক্ষা, শুভাকাক্সক্ষী।
ঙ্খ : অনুপুঙ্খ, উচ্ছৃঙ্খল, পুঙ্খানুপুঙ্খ, শঙ্খ, শৃঙ্খল, শৃঙ্খলা
জ্জ্ব : ঔজ্জ্বল্য, প্রোজ্জ্বল, রৌদ্রোজ্জ্বল, অত্যুজ্জ্বল, উজ্জ্বল, সমুজ্জ্বল
জ্ব : জ্বালা, জ্বালাতন, জ্বলুনি, জ্বলজ্বল, জাজ্বল্যমান, প্রজ্বলন
ণœ : ক্ষুণœ, বিষণœ, ক্ষুণিœবৃত্তি
ণ্য : পণ্য, পুণ্য, প্রামাণ্য, গণ্য, ঘৃণ্য, তারুণ্য, নগণ্য, বরেণ্য, লাবণ্য।
ধ্ব : ধ্বংস, ধ্বজা, ধ্বনি, ধন্যাত্মক, বিধ্বস্ত, বিধ্বংস, সাধ্বী
ন্ব : অন্বয়, অন্বিত, তন্বী, মন্বন্তর, সমন্বয়।
ন্ন্য : সন্ন্যাস, সন্ন্যাসী।
›দ্ব : দ্ব›দ্ব, প্রতিদ্ব›িদ্বতা, প্রতিদ্ব›দ্বী, স›দ্বীপ
ত্থ : অভ্যুত্থান, উত্থান, উত্থিত
থ্ব : পৃথ্বী
স্ক : তিরস্কার, তেজস্কর, পুরস্কার, বয়স্ক, ভাস্কর, মনস্ক, সংস্করণ, সংস্কার
স্ম : অকস্মাৎ, আকস্মিক, জাতিস্মর, বিস্ময়, বিস্মরণ, ভস্ম, ভস্মীভূত, স্মরণ, স্মরণিকা
ত্ম/ত্ম্য : দেশাত্মবোধ, দৌরাত্ম্য, মারাত্মক, অধ্যাত্ম, আত্ম, আত্মীকরণ, আত্মীয়, আধ্যাত্মিক, একাত্ম, হিংসাত্মক,
মাহাত্ম্য।
ত্ত/ত্ত্য : উত্ত্যক্ত, উত্তাপ, উত্তীর্ণ, উত্তেজনা, উদাত্ত, একাত্তর, কৃত্তিবাস, পত্তন, উদ্বৃত্ত, উন্মত্ত, উত্তোলন, মৃত্তিকা, প্রদত্ত,
আত্তীকরণ, তাত্তিক, প্রতœতত্ত¡, মহত্ত¡, সত্তে¡ও
দ্ব : দ্বাদশ, দ্বার, দ্বিতীয়, অদ্বয়, অদ্বিতীয়, উপদ্বীপ, দ্ব›দ্ব, দ্বয়, দ্বীপ, দ্বেষ, দ্বৈত, বদ্বীপ, বিদ্বান, বিদ্বেষ, বিদ্বজ্জন,
প্রতিদ্ব›দ্বী।
দ্ম : ছদ্ম, পদ্ম, পদ্মা
দ্ধ : ক্রুদ্ধ, তদ্ধিত, পদ্ধতি, উদ্ধার, উদ্ধৃত, ঋদ্ধ, বৃদ্ধ, যুদ্ধ, রুদ্ধ, শুদ্ধ, সমৃদ্ধ, সমৃদ্ধি, সিদ্ধ
ণ¥ : ষাণ¥াসিক, হিরণ¥য়
স্য : আলস্য, বিশ্বাস্য, মৎস্য, শস্য, সদস্য, হিস্যা
শ্ম : অশ্ম, জীবাশ্ম, রশ্মি, শ্মশান, শ্মশ্রæ
ষ্ম : উষ্ম, উষ্মা, গ্রীষ্ম, ভীষ্ম, শ্লেষ্মা, শৈষ্মিক
ষ্ক : আবিষ্কার, জ্যোতিষ্ক, দুষ্কর, নিষ্কণ্টক, নিষ্কলঙ্ক, নিষ্কর্মা, নিষ্কাসন, পরিষ্কার, পুষ্করিণী, বহিষ্কার, মস্তিষ্ক
ষ্ক্রি : নিষ্ক্রিয়
স্ক্রি : তেজস্ক্রিয়, সংস্ক্রিয়া
ষ্প : চতুষ্পদ, দুষ্প্রবৃত্তি, দুষ্প্রাপ্য, নিষ্পত্তি, নিষ্পন্ন, নিষ্পাপ, নিষ্প্রভ, পুষ্পিত, বাষ্প, বাষ্পীয়, ভ্রাতুষ্পুত্র
স্প : অস্পষ্ট, আস্পদ, নিস্পন্দ, নিস্পৃহ, পরস্পর, বনস্পতি, বৃহস্পতি, শ্রদ্ধাস্পদেষু, ¯েœহাস্পদ, হাস্যাস্পদ
ষ্ফ : নিষ্ফল, নিষ্ফলতা
স্ত : অভ্যস্ত, আশ্বস্ত, ত্রস্ত, প্রশস্ত, বিন্যস্ত, বিপর্যস্ত, বিশ্বস্ত, সস্ত্রস্ত
স্থ : অন্তঃস্থ, অভ্যন্তরস্থ, তটস্থ, দুস্থ, প্রস্থ, মধ্যস্থ, মুখস্থ
স্ম : সম্মত, সম্মান, সম্মুখ, সম্মেলন, সম্মুখীন
শ্ব : অশ্ব, আশ্বস্ত, আশ্বাস, ঈশ্বর, ঐশ্বর্য, নিশ্বাস, বিশ্ব, বিশ্বাস, শাশ্বত, শ্বশুর, শ্বাস, শ্বেত
স্ব : আস্বাদ, ওজস্বী, নিঃস্ব, বিস্বাদ, ভাস্বর, সরস্বতী, স্বরূপ, স্বর্ণ, স্বাক্ষর, স্বাগত, স্বাস্থ্য, স্বেদ
স্ফ : পরিস্ফুট, প্রস্ফুটিত, বিস্ফোরণ, স্ফটিক, স্ফীত, স্ফুটনাঙ্ক, স্ফুরণ, স্ফূর্তি, স্বতঃস্ফূর্ত
হ্রে : হ্রেষা
ন্ম : উন্মুখ, উম্মুল, উন্মেষ, উন্মোচন, চিন্ময়, তন্ময়, মৃন্ময়, উন্মত্ত, উম্মাদ, উম্মুক্ত
ষ্ট : অনিষ্ট, আড়ষ্ট, নিকৃষ্ট, বিশিষ্ট, রাষ্ট্র
ষ্ঠ : জ্যেষ্ঠ, জ্যৈষ্ঠ, ষষ্ঠ, ভূমিষ্ঠ, শ্রেষ্ঠ
শ্য : দৃশ্য, অবশ্য, উদ্দেশ্য, সাদৃশ্য
ষ্য : ভাষ্য, মনুষ্য, শিষ্য
হ্রা : হ্রাস, ক্রমহ্রাসমান
* বানানে ‘ই/ঈ’ সংক্রান্ত সতর্কতা
কি/কী : একাকী-একাকিত্ব, কীর্তি, বিকীর্ণ-বিকিরণ
গি/গী : উদগীর্ণ-উদগিরণ, উপযোগী-উপযোগিতা, প্রতিযোগী-প্রতিযোগিতা, সহযোগী-সহযোগিতা, সর্বাঙ্গীণ-সর্বাঙ্গিক
চি/চী : উদীচী, দধীচি, প্রতীচী, প্রাচি, প্রাচীন
জি/জী : পুঞ্জীভ’ত-পুঞ্জিত, জীবী-জীবিকা
ণি/ণী : বর্ণিত-নির্ণীত
তি/তী : অতীন্দ্রিয়, অতীব, অতীত, কৃতী-কৃতিত্ব, স্ত্রীত্ব, প্রীতি, প্রতীতি, প্রীমতী-মতি
থি/থী : পৃথিবী, ভাগীরথী, রথী-সারথি
ধি/ধী : দধীচি, ধী-উপাধি, সুধী (সম্বোধনেও সুধী)
নি/নী : কনীনিকা, নির্নিমেষ, নিরবধি, নীরবতা, নীরস, নিশি, মনীষী
দী : প্রতিদ্ব›দ্বী-প্রতিদ্ব›িদ্দ¦তা, বন্দী-বন্দিত্ব
পি/পী : পিপীলিকা, প্রীতি
বি/বী : কৃষিজীবী, বার্তাজীবী, মসীজীবী, জীবিকা, বীতশ্রদ্ধ, বীভৎস, বিরস (কিন্তু-নীরস)
ভি/ভী : বিভীষণ, বিভীষিকা
মি/মী : উম্মীলন, নিমীলিত, মীমাংসা, সম্মিলন, সম্মিলিত, বাল্মীকি, সমীচীন, সমীপ, সমীহ
য়ি/য়ী : দায়ী-দায়িত্ব, স্থায়ী-স্থায়িত্ব
বি/বী : অপকারী-অপকারিতা, উপকারী-উপকারিতা, কিরীটী, গরীয়সী, নারীত্ব, নিরীক্ষণ, পরীক্ষা-পরীক্ষিত, মরিচামরীচিকা, শরীরী-শারীরিক
শি/শী : অনুশীলন, আশীর্বাদ, নিশীথ, মাংসাশী, শশী, শিশি, সাঁড়াশি, সুশীল, শ্রী, আশিস
ষি/ষী : মনীষী, মহিষী
সি/সী : উদাসীন, গরীয়সী, সন্ন্যাসী, সমাসীন, সসীম
হি/হী : গ্রহীতা, গৃহীত, হীন, তুহিন, মহী, মহিষী, হিমেল
লি/লী : অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি, গৃহস্থালি, পাকস্থলী
* বানানে ‘উ/ঊ’ সংক্রান্ত সতর্কতা
উ/ঊ : উর্বর, উরু, ঊর্ধ্ব, ঊর্মি, ঊষর, উহ্য, ঊনবিংশ
কু/কূ : অনুকূল, আকুল, কুলবধূ, কূপ-কুয়ো, প্রতিকূল
চু/চূ : চূড়া-চুড়ো, চূষ্য, চূষণীয়
টু/টু : কটু-কটূক্তি
তু/তু : কৌতুক, কৌতূহল, স্তূপ
থু/থূ : ধূলি-ধুলো, খেলাধুলা, ধূম, ধুমধাম, ধূপ, ধূসর, বধূ, বঁধু
দু/দূ : তদূর্ধ্ব, ন্যূন, নূতন (কিন্তু নতুন), নূপুর, অনুকম্পা, অনুকূল
পু/পূ : পূর্ব-পুব, পূজা-পুজো, পূজারি, পূরণ, পুরাণ, পুরানো
ফু/ফূ : স্ফুরণ, স্ফূর্তি, ফুর্তি
ভু/ভূ : অদ্ভুত, উদ্ভূত, পরাভূত, ত্রিভুজ, ভুবন, ভুল, ভূষণ, ভূলোক, ভূত
মু/মূ : মুমূর্ষু, মুমুক্ষু, মূক, মুখ, মূর্ছা, মূর্খ, মূঢ়, মূলা-মুলো, সমূহ
শু/শূ : শূন্য, শূর, শুশ্রƒষা, শুভ্র, শুঁড়, শূদ্র
রু/রূ : জাগরূক, তদ্রƒপ, দুরূহ, মরূদ্যান-মরু, মহীরুহ, অরূপ, অরুণ
সু/সূ : মধুসূদন, সূ², সুর (দেবতা, ধ্বনিসৌকর্য), সূর (বীর)
হু/হূ : মুহূর্ত, মুহুর্মুহু
* ‘র/ড়/ঢ়’ সংক্রান্ত সতর্কতা
র/ড়/ঢ় : নীর, নীড়, আড়ম্বর, ষড়যন্ত্র, ষড়ভুজ, আড়ষ্ট, আরূঢ়, রূঢ়, আষাঢ়, গূঢ়, দৃঢ়, প্রগাঢ়।
* ‘ত//’ সংক্রান্ত সতর্কতা
ত/ৎ : উপস্থিত, করিতকর্মা, কুৎসিত, কৈফিয়ত, অজিত, উচিত, উতরাই, তফাত, নিশ্চিত, পঞ্চায়েত, ফুরসত,
মারফত, রঞ্জিত, অর্থাৎ, ঈষৎ, জগৎ, তাবৎ, বৃহৎ, মহৎ, শরৎ, অকস্মাৎ, বৈদাৎ, নস্যাৎ, পশ্চাৎ,
সাক্ষাৎ, ক্কচিৎ, তড়িৎ, বিদ্যুৎ, ভবিষ্যৎ, তৎক্ষণাৎ, যকৃৎ, অভিজিৎ, বিশ্বজিৎ, রণজিৎ, সত্যজিৎ।
লক্ষণীয় : প্রত্যয় বা বিভক্তি যুক্ত হলে ৎ-এর জায়গায় ‘ত’ হয়। যেমন : শরতে, পাশ্চাত্য, মহত্ত¡।
* ‘য’-ফলাজলিত সকর্তকা
ধ্য/ধ্যা : অধ্যবসায়, অধ্যয়ন, অধ্যাদেশ, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ, অধ্যায়
ত্য/ত্যা : ত্যক্ত, প্রত্যন্ত, প্রত্যহ, অত্যাচার, অত্যাবশ্যক, ইত্যাদি, প্রত্যাখ্যান, প্রত্যাগত, প্রত্যাবর্তন, প্রত্যাশা,
অত্যধিক, অত্যন্ত, অত্যল্প, ইত্যবসর, গত্যন্তর, জাত্যভিমান, প্রত্যাহার, সত্যাসত্য
দ্য/দ্যা : আদ্যক্ষর, আদ্যন্ত, দ্ব্যর্থক, যদ্যপি, অদ্যাপি, অদ্যাবধি
ব্য/ব্যা : ব্যাপ্ত, ব্যায়াম, ব্যাসার্ধ, ব্যতীত, ব্যত্যয়, ব্যথা, ব্যথিত, ব্যপদেশ, ব্যবধান, ব্যবসা, ব্যবস্থা, ব্যবহার,
ব্যভিচার, ব্যয়, ব্যক্ত, ব্যক্তি, ব্যগ্র, ব্যঞ্জন, ব্যতিক্রম, ব্যতিরেকে, ব্যর্থ, ব্যস্ত, ব্যাকরণ, ব্যাকুল, ব্যাখ্যা,
ব্যাখ্যাত, ব্যাধি, ব্যাপার, ব্যাহত
ভ্য/ভ্যা : অভ্যাগত, অভ্যস্ত, অভ্যন্তরীণ, অভ্যাস
না/ন্যা : অন্যায়, ন্যায়, ন্যস্ত, বিন্যস্ত, ন্যায্য, বিন্যাস
* যুক্তব্যঞ্জনের রূপ সম্পর্কে ধারণার অভাবে বানান অশুদ্ধি
ক্ষè (ক্+ষ্+ণ) : তীক্ষè
হ্ন (হ্+ন) : চিহ্ন, সায়াহ্ন, মধ্যাহ্ন, বহ্নি
ঞ্জ (ঞ্+জ) : অঞ্জলি, প্রাঞ্জল, রঞ্জিত
ত্রæ (ত্র্++উ) : শত্রæ, ত্রæটি
ক্র (ক্+র) : শুক্র, ক্রুদ্ধ, বক্র, ক্রুর
জ্ঞ (জ্+ঞ) : বিজ্ঞ, বিজ্ঞান, অনুজ্ঞা, অজ্ঞান, জ্ঞান
ক্ষ (ক্+ষ) : বক্ষ, ক্ষুদ্র, ক্ষীণ, কক্ষ, লক্ষ
² (ক্+ষ্+ম্) : ল²ণ, ল²ী
হ্ম (হ্+ম) : ব্রাহ্মণ, ব্রহ্ম
* সমাস-ঘটিত অশুদ্ধি সম্পর্কে সতর্কতা : সংস্কৃত ইন-প্রত্যয়ান্ত শব্দের প্রথমার একবচনের রূপ হিসেবে বাংলায় ধনী,
পাপী, গুণী ইত্যাদি শব্দ এসেছে। কিন্তু নিঃ (নির)-উপসর্গযোগে সমাসবদ্ধ হলে এগুলোর অন্তে ঈ-কার হওয়ার কথা নয়।
কারণ এসব ক্ষেত্রে ধনী, পাপী ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে সমাস হয় না, সমাস হয় ধন, পাপ ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে। যেমন: নেই
ধন যার= নির্ধন, নেই পাপ যার = নিষ্পাপ। এ নিয়মে নির্ধনী, নিষ্পাপী ইত্যাদি শব্দ অশুদ্ধ। এ রকম :
অশুদ্ধ শুদ্ধ অশুদ্ধ শুদ্ধ
নির্গুণী নির্গুণ নিরপরাধী নিরপরাধ
নিরভিমানী নিরভিমান নীরোগী নীরোগ
নিরহঙ্কারী নিরহঙ্কার নির্দোষী নির্দোষ
নির্ধনী নির্ধন নির্জ্ঞানী নির্জ্ঞান
সমাস-ঘটিত অন্যান্য অশুদ্ধি
সলজ্জ (সরজ্জা নয়) অহর্নিশ (অহনিশি নয়)
যুবরাজ (যুবরাজা নয়) দিবারাত্র (দিবারাত্রি নয়) সশঙ্ক (সশঙ্কা নয়)
অর্ধরাত (অর্ধরাত্রি নয়) মাতৃজাতি (মাতাজাতি নয়) অহোরাত্র (অহোরাত্রি নয়)
রাজগণ (রাজাগণ নয়) গরিমমÐিত (গরিমামÐিত নয়) সক্ষম (সক্ষমিত নয়)
অতলস্পর্শ (অতলস্পর্শী নয়) মহিমমÐিত (মহিমামÐিত নয়) পিতৃহারা (পিতাহারা নয়)
সুবুদ্ধি (সুবুদ্ধিমান নয়) ভ্রাতৃবৃন্দ (ভ্রাতাবৃন্দ নয়)
* প্রত্যয়-ঘটিত বিভিন্ন অশুদ্ধি সম্পর্কে সতর্কতা :
দূষণীয় (দোষণীয় নয়) লক্ষণীয় (লক্ষ্যণীয় নয়) ঐকতান (ঐক্যতান নয়)
মথিত (মন্থিত নয়) গন্য (গণ্যনীয় নয়) মান্য (মান্যনীয় নয়)
গণনীয় (গণ্যনীয় নয়) মোহ্যমান (মুহ্যমান নয়) ঐকমত্য (ঐক্যমত নয়)
মধুরিমা (মাধুরিমা নয়) আর্থনীতিক (অর্থনৈতিক নয়) বন্দ্য (বন্দ্যনীয় নয়)
গ্রাহ্য (গ্রাহানীয় নয়) রমণীয় (রমাণীয় নয়) চূষণীয় (চোষণীয় নয়)
রম্য (রম্যণীয় নয়) পূজনীয় (পূজ্যনীয় নয়) সামসময়িক (সমসাময়িক নয়)
নির্দোষিতা (নির্দোষতা নয়) সর্জন (সৃজন নয়) পরিত্যাজ্য (পরিত্যজ্য নয়)
সহনীয় (সহ্যনীয় নয়) নির্গুণতা (নির্গুণিতা নয়) শ্রোতব্য (শ্রæতব্য নয়)
সহনীয় (সহ্যনীয় নয়)
লক্ষণীয় : অর্থনৈতিক, মুহ্যমান, রাজনৈতিক, সমসাময়িক, সৃজন ইত্যাদি শব্দ বাংলায় বহুল প্রচলিত ও গৃহীত।
শব্দ প্রয়োগের আরও কিছু জটিলতা
বাক্যে শব্দ প্রয়োগ করতে গিয়ে আমরা প্রায়ই জটিলতায় পড়ি। শব্দটি কি এক সাথে হবে নাকি আলাদা হবে। ‘নয়তো’
হবে নাকি ‘নয় তো হবে। ‘গতকাল’ হবে নাকি ‘গত কাল’ হবে এই নিয়ে ভাবনার শেষ থাকে না। এখানে এ ধরনের কিছু
প্রচলিত শব্দের শুদ্ধ প্রয়োগ দেখানো হলোÑ
না হয়/নাহয় : না হয় না হবে। সে নাহয় থাকুক।
নয় তো/নয়তো : এখন নয় তো পরে যাবে। যাও, নয়তো কষ্ট পাবে।
না হলে/নাহলে : তার সঙ্গে দেখা না হলে চলে এসো। নাচ নাহলে গান শেখো।
কেন না/কেননা : তুমি কেন না বললে? যাব, কেননা আগে কখনো যাইনি।
ক্ষণ/কাল : যতক্ষণ ততক্ষণ, কিছুক্ষণ। নানামত, নানান ঝামেলা।
বহু : বহুকাল, বহুদিন, বহুভাষী। বহু ভাশা, বহু কষ্ট।
বহুল : বিলাসবহুল, জনবহুল। বহুল পরিচিত, বহুল প্রচলিত।
বিশেষ : অবস্থাবিশেষ, ফুলবিশেষ। বিশেষ গ্রন্থ, বিশেষ অবস্থা।
ভাবে : ভালোভাবে, খারাপভাবে। সে ভাবে আছে।
মাত্র : এইমাত্র, একটিমাত্র, বলামাত্র। মাত্র পাঁচ মিনিট।
সব/সারা : সব লোক, সব সময়। সারা অঙ্গ, সারা বাড়ি [ব্যতিক্রম; সবকিছু, সারাক্ষণ]
প্রতি : প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতিবছর। জনতার প্রতি, শিক্ষকের প্রতি।
প্রায় : প্রায় সকালে, প্রায় প্রতিদিন। বিস্মৃতপ্রায়, বিলুপ্তপ্রায়।
মূলক : ভ্রান্তিমূলক, বৃত্তিমূলক, বৈষম্যমূলক।
প্রধান : প্রধান ব্যক্তিত্ব, প্রধান শিক্ষক। শীতপ্রধান, কৃষিপ্রধান।
পরায়ণ : কর্তব্যপরায়ণ, দায়িত্বপরায়ণ।
সম্মত : বাস্তবসম্মত, বিজ্ঞানসম্মত, বিধিসম্মত।
ব্যাপী : জীবনব্যাপী, বছরব্যাপী, পৃথিবীব্যাপী।
নি, না : যাইনি, খাইনি, করিনি, ধরি না, যাই না।
নেই/নয় : ভালো নেই, আলো নেই, মন্দ নয়, এটা নয়।
টি, টা, খানা, খানি, গুলি, গুলো, রা, এরা, গণ, বৃন্দ : এই শব্দগুলো কখনোই আলাদা বসবে না। যেমনÑ বইটি, ছেলেটি,
বাড়িখানা, মেয়েগুলো, ছাত্ররা, শ্রমিকেরা, শিক্ষকগণ, ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
বোধ হয়/বোধ হয় : আমার বোধ হয় সে আসবে না। তুমি বোধহয় আজ কলেজে যাচ্ছো না।
তার পর/ তারপর : সেই ছোটবেলা থেকে পড়লেখা শুরু করেছি, তার পর থেকে এখন পর্যন্ত পড়ার মধ্যেই আছি।
আমি বাসায় গিয়ে তারপর ফোন করবো।
বাক্যে পদবিন্যাসের ত্রæটি
বাক্যে শব্দের বিন্যাসের ওপর বাক্যের অর্থ নির্ভরশীল। অনেক সময় কোনো শব্দের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে বাক্যের অর্থ
সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে। সে জন্যে প্রয়োজনীয় শব্দ ঠিক যে জায়গায় বসা উচিত সেই জায়গায় বসাতে হয়। যেমন:
আয়েশা ঐ লোকটাকে শুধু দেখেছে। (অন্য কিছু করেনি)
আয়েশা শুধু ঐ লোকটাকে দেখেছে। (অন্য কাউকে দেখেনি)
শুধু আয়েশা ঐ লোকটাকে দেখেছে। (অন্য কেউ নয়)
১. বাক্যে বিশেষণ প্রয়োগে সংগতি : বিশেষণের অবস্থান হওয়া উচিত সম্পর্কিত শব্দের পাশে। তা না হলে অর্থ-বিভ্রান্তি
ঘটতে পারে। যেমন: বিশেষণের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে নিচের বাক্যে দুটিতে অর্থের পরিবর্তন ঘটে গেছে:
আমার ছেলে প্রথম ছবি আঁকে স্কুলে।
আমার প্রথম ছেলে ছবি আঁকে স্কুলে।
বিশেষণের প্রয়োগ যথাস্থানে হওয়া উচিত। নিচের উদাহরণগুলোতে বাক্যের দুর্বলতার কারণ বিশেষণের অপপ্রয়োগ :
দুর্বল : সপ্তাহব্যাপী কলেজে বই মেলা শুরু হয়েছে।
উন্নত : কলেজে সপ্তাহব্যাপী বই মেলা শুরু হয়েছে।
লক্ষণীয় : গরম গরুর দুধ, টাটকা গরুর দুধ ইত্যাদি বাংলা বাক্যরীতির দিক থেকে ভুল নয়। কারণ, গরুর দুধ, অলুক
সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাসবদ্ধ পদ। স্বভাবতই এর আগে গরম, টাটকা ইত্যাদি বিশেষণ বসতে পারে। কিন্তু পড়ার সময় গরম
গরু, টাটকা গরু ইত্যাদি বিদঘুটে অর্থবোধক হতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে গরুর গরম দুধ, গরুর টাটকা দুধ লেখাই
শ্রেয়।
২. বাক্যে সর্বনাম প্রয়োগে সংগতি : বাক্যে সর্বনামের অবস্থান সম্পর্কে সতর্কতা বজায় রাখা দরকার, যেন কোনো ধরনের
বিভ্রান্তির অবকাশ না থাকে। কারণ কখনও কখনও সর্বনামের অবস্থান বদলের ফলে বাক্যের অর্থ বদলে যেতে পারে।
যেমন:
সে গল্প ছিল গণপ্রথার বিরুদ্ধে। (সে- নির্দেশক সর্বনাম)
গল্পে সে ছিল গণপ্রথার বিরুদ্ধে। (সে- ব্যক্তিবাচক সর্বনাম)
অশুদ্ধি : তিনি চান, তারা তার পছন্দমতো পেশা বেছে নিক।
শুদ্ধ : তিনি চান, তারা তাদের পছন্দমতো পেশা বেছে নিক।
বাক্যে অনেক সময় সর্বনামের অপপ্রয়োগও হয়ে থাকে। যেমন:
অপপ্রয়োগে : দুষ্কৃতকারীরা তিনি ও তাঁকে দেখতে আসা ডাক্তারকে শাসিয়েছে।
উন্নত : দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে এবং তাঁকে দেখতে আসা ডাক্তারকে শাসিয়েছে।
অনেক সময় বাক্যে অপ্রয়োজনে সর্বনামের ব্যবহার হতে পারে:
অপপ্রয়োগ : অধ্যক্ষকে টেলিফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
উন্নত : টেলিফোনে যোগাযোগ করেও অধ্যক্ষকে পাওয়া যায়নি।
৩. বাক্যে অব্যয় প্রয়োগে সংগতি : একই ধরনের অব্যয়ের পর পর পুনরুক্তি না থাকাই শ্রেয়। যেমনÑ
দুবল: সবাই একে একে চলে গেল, তাকেও সুতরাং চলে যেতে হলো।
উন্নত : সবাই একে একে চলে গেল, সুতরাং তাকেও চলে যেতে হলো।
বাক্যের উত্তরণে সংগতিপূর্ণ অব্যয়ের প্রয়োগ :
সংগতিহীন : ইভু ঢাকায় পড়তে চায় এবং বাবা-মা তাতে রাজি হচ্ছেন না।
সংগতিপূর্ণ : ইভু ঢাকায় পড়তে চায়; কিন্তু বাবা-মা তাতে রাজি হচ্ছেন না।
৪. ক্রিয়া পদ ও ক্রিয়ার কাল প্রয়োগে সংগতি : যথাযথ ক্রিয়াদের প্রয়োগ না হলে বাক্য সংগতিপূর্ণ হয় না। যেমন:
দুর্বল : তিনি শিক্ষার মানে উন্নয়নের জন্যে কিছু পরামর্শ রাখেন।
উন্নত : তিনি শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্যে কিছু পরামর্শ দেন।
বাক্যে ক্রিয়ার কালগত সংগতি রক্ষিত না হলে বাক্য শিথিল ও দুর্বল হয়ে পড়ে। যেমন:
দুর্বল : তিনি এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন এবং সঠিক তদন্তের দাবি জানান।
উন্নত : তিনি এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং সঠিক তদন্তের দাবি জানান।
ক্রিয়াপদের প্রয়োজনীয় অংশ উহ্য থাকলেও বাক্য অস্পষ্ট ও শিথিল হতে পারে। যেমন:
দুর্বল : এ কাজটি আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
উন্নত : এ কাজটি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
উদ্দেশ্য পদের পুরুষের সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়ার সংগতি না থাকলে বাক্য শুদ্ধ হয় না। যেমন:
অশুদ্ধ : তিনি সভায় উপস্থিত ছিল।
শুদ্ধ : তিনি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
৫. বিভক্তি প্রয়োগে সংগতি : বিভক্তি প্রয়োগে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি যেন না থাকে। যেমন:
দুর্বল : কর্তৃপক্ষ গোলযোগ সৃষ্টি করায় দশজন ছাত্র বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উন্নত : গোলযোগ সৃষ্টি করায় কর্তৃপক্ষ দশজন ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৬. বাক্যে বচন সংগতি : পূর্বগামী বিশেষ্যের বচন অনুসারে অনুগামী সর্বনামের বচনে সংগতি রক্ষা করতে হয়। অর্থাৎ
পূর্বগামী বিশেষ্য একবচন বোঝালে অনুগামী সর্বনামও একবচন হবে। যেমন:
অশুদ্ধ : আমাদের ক্লাসে যে নব্বই জন শিক্ষার্থী আছে তার মধ্যে পঞ্চাশ জনই ছাত্রী।
শুদ্ধ : আমাদের ক্লাসে যে নব্বই জন শিক্ষার্থী আছে তাদের মধ্যে পঞ্চাশ জনই ছাত্রী।
৭. সাধু ও চলিত রীতির মিশ্রণজনিত ত্রæটি : ভাষা প্রয়োগে কখনও চলিত রীতির রূপের সঙ্গে সাধু রীতির রূপ মেশানো
উচিত নয়। হয় সাধু রীতির প্রয়োগ হবে, না হয় চলিত রীতির। ভাষা ব্যবহারে সাধু ও চলিত রীতির মিশেল দূষণীয় বলে
এ ধরনের মিশ্রণ সযতেœ পরিহার করতে হয়। সাধু ও চলিত রীতির মিশ্রণ দেখা গেলে যেকোনো একটি রীতিতে তা
পরিবর্তন করে নিতে হয়।
মিশ্রিত : তাকে কলেজে যাইতে হইবে।
সাধু : তাহাকে কলেজে যাইতে হইবে।
চলিত : তাকে কলেজে যেতে হবে।
কিছু বহুল ব্যবহৃত বানানের শুদ্ধরূপ উল্লেখ করা হল:
অশুদ্ধ শুদ্ধ
অপরাহ্ন অপরাহ্ণ
অধ্যায়ন অধ্যয়ন
অত্যান্ত অত্যন্ত
অতিথী অতিথি
অহরাত্রি অহোরাত্র
অধ্যাবসায় অধ্যবসায়
অকালপক্ক অকালপক্ব
অক্ষুণœ অক্ষুণœ
অকালমুস্মান্ড অকালমুষ্মাÐ
অঙ্গিকার অঙ্গীকার
অগ্নিমান্দ অগ্নিমান্দ্য
অনুকুল অনুকূল
অঙ্গাঙ্গী অঙ্গাঙ্গি
অকুণ্ঠ অকুণ্ঠ
অনিষ্ঠ অনিষ্ট
অনাস্তা অনাস্থা
অনিন্দ অনিন্দ্য
অনির্বান অনির্বাণ
অধিনস্ত অধীনস্থ
অস্পষ্ঠ অস্পষ্ট
অনুজ্জল অনুজ্জ্বল
অনুসংগ অনুষঙ্গ
অন্তভুক্ত অন্তর্ভুক্ত
আকাংখা আকাক্সক্ষা
আইনজীবি আইনজীবী
আদ্যান্ত আদ্যন্ত
আত্বস্ত আত্মস্থ
আশাঢ় আষাঢ়
আশ্বীর্বাদ আশীর্বাদ
আগমনি আগমনী
আংগিনা আঙিনা
আলচ্যমান আলোচ্যমান
আমাবস্যা অমাবস্যা
আবিস্কার আবিষ্কার
আয়ত্ব আয়ত্ত
আত্বসমর্পন আত্মসমর্পণ
আগুন্তক আগন্তুক
অনুসঙ্গিক আনুষঙ্গিক
আত্মৎসর্গ আত্মোৎসর্গ
আড়ষ্ঠ আড়ষ্ট
আপত্বি আপত্তি
আরোহন আরোহণ
আশংকা আশঙ্কা
ইতিপূর্বে ইতঃপূর্বে
ইতিমধ্যে ইতোমধ্যে
ইংরেজী ইংরেজি
ইদৃশ ঈদৃশ
ইয়ত্বা ইয়ত্তা
ইহজগত ইহজগৎ
ইষত ঈষৎ
ঈর্ষাপরায়ন ঈর্ষাপরায়ণ
উচ্ছাস উচ্ছ¡াস
উজ্জল উজ্জ্বল
উচীত উচিত
উত্তির্ন উত্তীর্ণ
উচ্ছৃংখল উচ্ছৃঙ্খল
উচ্চঃস্বর উচ্চৈঃস্বর
উদ্ধৃত্ত উদ্ধৃত
উম্মোচিত উন্মোচিত
উপযোগীতা উপযোগিতা
উপরুক্ত উপর্যুক্ত
উম্মুলিত উম্মুলিত
উম্মুক্ত উন্মুক্ত
উর্ধ্বশ্বাস ঊর্ধ্বশ্বাস
ঋনী ঋণী
একত্রিত একত্র
এ্যালুমিনিয়াম অ্যালুমিনিয়াম
ই, ঈ আ
এ, ঐ, ও, ঔ

উ, ঋ
এতদ্বতীত এতদ্ব্যতীত
ঐক্যতান ঐকতান
ঐতিয্য ঐতিহ্য
ঐশর্য ঐশ্বর্য
ওষ্ট ওষ্ঠ/ওষ্ঠ্য
ঔজ্জল ঔজ্জ্বল্য
কার্য্যালয় কার্যালয়
কিম্বদন্তী কিংবদন্তি
কৃতিবাস কৃত্তিবাস
কৌতুহল কৌতূহল
কলংকিত কলঙ্কিত
ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষতিগ্রস্ত
কণ্ঠস্ত কণ্ঠস্থ
কনিষ্ট কনিষ্ঠ
কলংক কলঙ্ক
কর্মজীবি কর্মজীবী
কল্যান কল্যাণ
কর্মনিষ্টা কর্মনিষ্ঠা
কোষ্টকাটিন্য কোষ্ঠকাঠিন্য
কাংখিত কাক্সিক্ষত
কৃপন কৃপণ
কৌতূক কৌতুক
কিনাংক কিণাঙ্ক
খুজাখুজি খোঁজাখুঁজি
খুঁরাখুঁরি খোঁড়াখুঁড়ি
গীতাঞ্জলী গীতাঞ্জলি
গ্রামীন গ্রামীণ
গঞ্ঝনা গঞ্জনা
গগণ গগন
গরিষ্ট গরিষ্ঠ
গহণা গহনা
গৃহিণি গৃহিণী
গর্ভধারনী গর্ভধারিণী
গুনাগুন গুণাগুণ
গোষ্টি গোষ্ঠী
গৃহস্থলী গৃহস্থালি
গার্হ্যস্থ গার্হস্থ্য
ঘুরাঘুরি ঘোরাঘুরি
ঘুর্নিঝড় ঘূর্ণিঝড়
ঘুর্ণমান ঘূর্ণমান
ঘনিষ্ট ঘনিষ্ঠ
চতুস্পদি চতুষ্পদী
চতুস্কোন চতুষ্কোণ
চক্ষুস্মান চক্ষুষ্মান
চুর্নবিচুর্ন চূর্ণবিচূর্ণ
চাক্ষুস চাক্ষুষ
ছাত্র-ছাত্রীগন ছাত্র-ছাত্রীগণ
ছন্দপতন ছন্দঃপতন
ছায়ামুর্তি ছায়ামূর্তি
জগত জগৎ
জ্যোৎ¯œা রাত জ্যোৎ¯œা
জীবীকা জীবিকা
জলোচ্ছাস জলোচ্ছ¡াস
জাজল্যমান জাজ্বল্যমান
জোতিষ্ক জ্যোতিষ্ক
ঝরণা ঝরনা
টর্ণেডো টর্নেডো
ঠোট ঠোঁট
ঠান্ডা ঠাÐা
ঠোংগা ঠোঙা
ডাষ্টবিন ডাস্টবিন
ডিংগি ডিঙি
ঢেরস ঢেঁড়স
ততক্ষণাত তৎক্ষণাৎ
তরান্বিত ত্বরান্বিত
তত্তীয় তত্ত¡ীয়
তিরষ্কার তিরস্কার
তরুনী তরুণী
ক, খ
গ, ঘ
চ, ছ
জ, ঝ
ট, ঠ, ড, ঢ

ত্যগ ত্যাগ
ত্বরন ত্বরণ
তাজ্য ত্যাজ্য
ত্রিভূজ ত্রিভুজ
তোরণ তোরণ
দারিদ্রতা দরিদ্রতা/দারিদ্র্য
দূরাবস্থা দুরবস্থা
দৈন্যতা দৈন্য/দীনতা
দুষিত দূষিত
দুষণীয় দূষণীয়
দÐবিদি দÐবিধি
দারিদ্র দারিদ্র্য
দায়ীত্ব দায়িত্ব
দীর্ঘজীবি দীর্ঘজীবী
দূরন্ত দুরন্ত
দূর্ঘটনা দুর্ঘটনা
দাম্পত্ব দাম্পত্য
দাসত্ত দাসত্ব
দুস্কৃতি দুষ্কৃতি
দুরত্ব দূরত্ব
দুরুহ দুরূহ
দুর্বৃত্ত দুর্বৃত্ত
দৌরাত্ম দৌরাত্ম্য
দৌহিত্য দৌহিত্র
দধিচি দধীচি
দ্বন্দ দ্ব›দ্ব
দুর্বিসহ দুর্বিষহ
দুধর্ষ দুর্ধর্ষ
দ্রবিভুত দ্রবীভূত
ধরনী ধরণি
ধুলিসাত ধূলিসাৎ
ধৈর্যধারন ধৈর্যধারণ
ধুমপান ধূমপান
ধারনা ধারণা
ধুলিধুসর ধূলিধূসর
নূন্যতম ন্যূনতম
নুপুর নূপুর
নিরব নীরব
নিশিথিনি নিশীথিনী
নবায়ণ নবায়ন
নিষ্টুর নিষ্ঠুর
ন্যয়পরায়ন ন্যায়পরায়ণ
নিঃসরন নিঃসরণ
নিগুঢ় নিগূঢ়
নিপুন নিপুণ
নিমন্ত্রন নিমন্ত্রণ
প্রতিযোগীতা প্রতিযোগিতা
প্রাণীবিদ্যা প্রাণিবিদ্যা
পিপিলিকা পিপীলিকা
পোষ্টমাষ্টার পোস্টমাস্টার
পরিস্কার পরিষ্কার
পানিণি পাণিনি
পরজীবি পরজীবী
প্রনয়ন প্রণয়ন
পুরষ্কার পুরস্কার
প্রতিদ্ব›দ্বীনতা প্রতিদ্ব›িদ্বতা
প্রনয়ন প্রণয়ন
প্রজণ¥ প্রজন্ম
পিরীত পিরিতি
প্রাণী জগত প্রাণিজগৎ
পৈত্রিক পৈতৃক
প্রাতঃরাশ প্রাতরাশ
প্রনয়িণী প্রণয়িনী
পূণ্য পুণ্য
পরিত্যাক্তা পরিত্যক্তা
পন্ডিতমন্য পÐিতম্মন্য
পরিনিতা পরিণীতা
পূনঃপূন পুনঃপুন
পালাপার্বন পালাপার্বণ
পূননির্মান পুনর্নির্মাণ



প, ফ
পঁচা পচা
প্রাত¯œান প্রাতঃ¯œান
পাষান পাষাণ
পূন্যকীর্তি পুণ্যকীর্তি
প্রত্যুতপন্নমতি প্রত্যুৎপন্নমতি
প্রত্যার্পন প্রত্যর্পণ
পাপীষ্ঠ পাপিষ্ঠ
পুরান পুরাণ
প্রোজ্জল প্রোজ্জ্বল
প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রতিদ্ব›দ্বী
ফটোষ্ট্যাট ফটোস্ট্যাট
বিভিসিকা বিভীষিকা
ব্রাহ্মন ব্রাহ্মণ
ব্যতিত ব্যতীত
বুদ্ধিজীবি বুদ্ধিজীবী
বহিঃস্কার বহিস্কার
বানিজ্য বাণিজ্য
ব্যাকরন ব্যাকরণ
ব্যায় ব্যয়
বিদুষি বিদুষী
ব্যার্থ ব্যর্থ
বাল্মিকি বাল্মীকি
বাংগালী বাঙালি
বয়ঃজেষ্ঠ্য বয়োজ্যেষ্ঠ
বিদ্রæপ বিদ্রƒপ
বশিভুত বশীভূত
বহিপ্রকাশ বহিঃপ্রকাশ
বক্ষ্যমান বক্ষ্যমাণ
ব্যপ্ত ব্যাপ্ত
বহিশত্রæ বহিঃশত্রæ
ব্যাথীত ব্যথিত
ব্যাঞ্জনা ব্যঞ্জনা
ব্যাবস্থাপক ব্যবস্থাপক
বিনাপনি বীণাপাণি
বৈয়াকরণিক বৈয়াকরণ
ব্যরিষ্টার ব্যারিস্টার
বাঞ্চিত বাঞ্ছিত
বিষন্ন বিষণœ
বিথিকা বীথিকা
বৈশিষ্ঠ্য বৈশিষ্ট্য
ব্যকুলতা ব্যাকুলতা
ব্যয়াম ব্যায়াম
ভূবণ ভুবন
ভৌগলিক ভৌগোলিক
ভশ্ম ভস্ম
ভূবনভূলানো ভুবনভুলানো
ভ্রাতাগণ ভ্রাতৃগণ
ভÐামী ভÐামি
ভবিষ্যৎদানী ভবিষ্যদ্বাণী
ভাংগাগরা ভাঙাগড়া
ভ্রæন ভ্রƒণ
ভৎসনা ভর্ৎসনা
ভ্রƒকূটি ভ্রƒকুটি
ভ্রাতুস্পুত্র ভ্রাতুষ্পুত্র
মুহূর্ত মুহূর্ত
মূমর্ষু মুমূর্ষু
মনমোহন মনোমোহন
মনকষ্ট মনঃকষ্ট
মনিষি মনীষী
মরীচীকা মরীচিকা
মুখস্ত মুখস্থ
মন্ত্রীসভা মন্ত্রিসভা
মনোপুত মনঃপূত
মন্ত্রীত্ব মন্ত্রিত্ব
মিমাংশা মীমাংসা
মনযোগ মনোযোগ
মুখমুখী মুখোমুখি
মাধুর্য্য মাধুর্য
মৎসজীবি মৎস্যজীবী
মনিজাল মণিজাল
মনুষ্যত্য মনুষ্যত্ব



মনক্ষুন্ন মনঃক্ষুণœ
ম্যনেজার ম্যানেজার
ম্যাজিষ্ট্যাট ম্যাজিস্ট্রেট
ম্যগাজিন ম্যাগাজিন
¤্রয়িমান ¤্রয়িমাণ
যক্ষা য²া
যথেষ্ঠ যথেষ্ট
যশশ্বিনী যশস্বিনী
রামায়ন রামায়ণ
রনতুর্য রণতূর্য
রমনি রমণী
রাজলক্ষী রাজল²ী
রেজিষ্টার রেজিস্ট্রার
রৌদ্রজ্জল রৌদ্রোজ্জ্বল
লজ্জাস্কর লজ্জাকর
লাঙ্গল লাঙল
লক্ষ্যনীয় লক্ষণীয়
লগিষ্ট লঘিষ্ঠ
লাঞ্চিত লাঞ্ছিত
লাঞ্চনা লাঞ্ছনা
শ্রদ্ধাঞ্জলী শ্রদ্ধাঞ্জলি
শান্তনা সান্ত¡না
শশ্রæষা শুশ্রƒষা
শিরচ্ছেদ শিরñেদ
শারীরীক শারীরিক
শ্বাশুড়ি শাশুড়ি
শষ্য শস্য
শীকার স্বীকার
শমিরণ সমীরণ
শ্বাস-প্রসাদ শ্বাস-প্রশ্বাস
শরনাথীনী শরণার্থিনী
শুভাকাংখি শুভাকাক্সক্ষী
শোনীতধারা শোণিতধারা
শ্বশুড়বাড়ী শ্বশুরবাড়ি
শ্রমজীবি শ্রমজীবী
শ্রবন শ্রবণ
শ্রাবন শ্রাবণ
ষ্টেশন স্টেশন
ষ্টেডিয়াম স্টেডিয়াম
ষ্টেশন স্টেশন
ষ্টিমার স্টিমার
ষান্মাসিক ষাণ¥াষিক
স, হ
সমীচিন সমীচীন
সন্যাসী সন্ন্যাসী
সন্ধিহান সন্দিহান
স্বস্ত্রীক সন্ত্রীক
সহযোগীতা সহযোগিতা
সুষ্ঠ সুষ্ঠু
স্বরস্বতী সরস্বতী
স্বামীগৃহ স্বামিগৃহ
সুপারিস সুপারিশ
সাতন্ত্র স্বাতন্ত্র্য
স্বার্থকতা সার্থকতা
সহকারি সহকারী
সম্বাদ সংবাদ
সম্বলিত সংবলিত
সম্বর্ধনা সংবর্ধনা
সমিপবর্তিনী সমীপবর্তিনী
¯েœহাশীষ ¯েœহাশিস
সম্বলিত সংবলিত
স্বক্ষরতা সাক্ষরতা
সধর্মচুত স্বধর্মচ্যুত
সন্ধ্যাপ্রদ্বিপ সন্ধ্যাপ্রদীপ
সংকীর্ন সংকীর্ণ, সঙ্কীর্ণ
সন্তুষ্ঠ সন্তুষ্ট
সর্বাংগীন সর্বাঙ্গীণ
সহপাটি সহপাঠী
সতিসাধবী সতীসাধ্বী
সহযোগীতা সহযোগিতা



য, র
স্বাক্ষী সাক্ষী
স্বায়ত্বশাসন স্বায়ত্তশাসন
স্যাতস্যাতে স্যাঁতসেঁতে
সচ্ছন্দ্য স্বচ্ছন্দ
সাচ্ছন্দ স্বাচ্ছন্দ্য
স্বত্ত¡াধিকার স্বত্বাধিকার
সার্থত্যাগ স্বার্থত্যাগ
সংস্কৃতিক সাংস্কৃতিক
হীনমন্যতা হীনম্মন্যতা
নিচের কিছু বাক্যের শুদ্ধ প্রয়োগ উল্লেখ করা হলো:
বাক্য শুদ্ধিকরণ
অপ্রপ্রয়োগ শুদ্ধ প্রয়োগ
অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার। অন্নাভাবে প্রতি ঘরে হাহাকার বা অন্নাভাবে ঘরে ঘরে
হাহাকার।
অপব্যয় একটি মারাত্মক ব্যাধি। অপচয় একটি মারাত্মক অভ্যাস।
অতিলোভে তাতী নষ্ট। অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।
অতিশয় দুঃখিত হলাম। খুব দুঃখ পেলাম।
অভাবগ্রস্থ ছাত্রটি তার দুরাবস্থার কথা সাশ্রæনয়নে বর্ণনা
করল।
অভাবগ্রস্ত ছাত্রটি তার দুরবস্থার কথা অশ্রæপূর্ণ নয়নে বর্ণনা
করল।
অল্প দিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য হলেন। অল্পদিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য লাভ করলেন।
আইনানুসারে তিনি একাজ করতে পারেন না। আইনত তিনি এ কাজ করতে পারেন না।
আপনার সঙ্গে আমার গোপন পরামর্শ আছে। আপনার সঙ্গে আমার একটি গোপনীয় পরামর্শ আছে।
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পণ্যতা অনুচিৎ। আবশ্যক ব্যয়ে কৃপণতা (বা কার্পণ্য) অনুচিত।
আবশ্যকীয় কাগজপত্র নিয়ে আসবেন। আবশ্যক কাগজপত্র নিয়ে আসবেন।
আমাদের উচিত নহে উন্নতির পথে কুঠারাঘাত করা। উন্নতির মূলে কুঠারাঘাত করা আমাদের উচিত নহে।
আমার আর বাঁচিবার স্বাদ নেই। আমার আর বাঁচার সাধ নেই।
আমার এ পুস্তকের কোনো আবশ্যক নেই। আমার এ পুস্তকের কোনো আবশ্যকতা নেই।
আমার এ কাজে মনোযোগীতা নেই। আমার এ কাজে মনোযোগ নেই।
আজকালকার মেয়েগুলো যেমন মুখরা তেমন বিদ্যানও
বটে।
আজকালকার মেয়েগুলো যেমন মুখরা তেমন বিদুষীও
বটে।
আমি তোমাকে অন্তরের অন্তঃস্থল হতে ধন্যবাদ দিলাম। আমি তোমাকে অন্তরের অন্তঃস্থল হতে ধন্যবাদ জানালাম।
আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞতা রইলাম। আমি তোমার নিকট কৃতজ্ঞ রইলাম।
আমি আপনার জ্ঞাতার্থে এই সংবাদ লিখলাম। আমি আপনার অবগতির জন্যে (বা আপনাকে জ্ঞাপনার্থে)
এই সংবাদ লিখলাম।
আমি এ ঘটনা চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেছি। আমি এ ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছি। / আমি এ ঘটনা প্রত্যক্ষ
করেছি।
আমি ও আমার মামা ঢাকা গিয়েছিলাম। আমার মামা ও আমি ঢাকা গিয়েছিলাম।
অপ্রপ্রয়োগ শুদ্ধ প্রয়োগ
আমি সন্তোষ হলাম। আমি সন্তুষ্ট হলাম।
আমি সাক্ষী দিব না। আমি সাক্ষ্য দেব না।
আমি গীতাঞ্জলী পড়েছি। আমি গীতাঞ্জলি পড়েছি।
আমি তার আগমন সংবাদে সন্তোষ হয়েছি। আমি তার আগমন সংবাদে সন্তুষ্ট হয়েছি।
আমি, তুমি ও তিনি আজ বাগানে যাবেন। তিনি, তুমি ও আমি আজ বাগানে যাব।
উৎপন্ন বৃদ্ধির জন্যে কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন।
একের লাঠি দশের বোঝা। দশের লাঠি একের বোঝা।
এমন অসহ্যনীয় ব্যাথ্যা আমি আর কখনো অনুভব করিনি। এমন অসহ্য (বা অসহনীয়) ব্যথা আমি আর কখনও
অনুভব করিনি।
এটা লজ্জাস্কর ব্যাপার। এটা লজ্জাকর ব্যাপার।
এর আবশ্যক নেই। এর আবশ্যকতা নেই।
এক সদ্যজাত শিশুর সর্বাংগিন কুশলতা কামনা করে তিনি
কাব্যিকতা করেছেন।
এক সদ্যোজাত শিশুর সর্বাঙ্গীন কুশল কামনা করে তিনি
কাব্য রচনা করেছেন।
একটা গোপন কথা বলি। একটা গোপনীয় কথা বলি।
কন্যার বাপ সবুর করতে পারতেন, কিন্তু বরের বাপ সুবুর
করিতে চাহিলেন না।
কন্যার বাপ সবুর করতে পারতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর
করতে চাইলেন না।
কালীদাস বিখ্যাত কবি। কালিদাস বিখ্যাত কবি।
কীর্তিবাস বাংলা রামায়ন লিখেছেন। কীর্তিবাস বাংলা রামায়ণ লিখেছেন।
কুপুরুষের মতো কথা বলছো কেন? কাপুরুষের মতো কথা বলছো কেন?
গণিত শাস্ত্র সকলের নিকট নিরস নহে। গণিত শাস্ত্র সকলের নিকট নীরস নহে।
ঘটনাটি শুনে গ্রামবাসী আশ্চর্য হয়ে গেল। ঘটনাটি শুনে গ্রামবাসী আশ্চার্যান্বিত হয়ে গেল।
ছেলেটি বংশের মাথায় চুনকালি দিল। ছেলেটি বংশের মুখে চুনকালি দিল।
ছেলেটি ভয়ানক মেধাবী। ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী।
তোমার দ্বারা সে অপমান হয়েছে। তোমার দ্বারা সে অপমানিত হয়েছে।
তোমার তিরষ্কার বা পুরষ্কার কিছুই চাই না। তোমার কাছ থেকে তিরস্কার বা পুরস্কার কিছুই চাই না।
তিনি স্বস্ত্রীক কুমিল্লা বাস করেন। তিনি সস্ত্রীক কুমিল্লায় বাস করেন।
তা প্রমাণ হয়েছে। তা প্রমাণিত হয়েছে।
তাকে স্বপরিবারে দাওয়াত করে। তাকে সপরিবারে দাওয়াত করো।
তার বৈমাত্রেয় সহোদর ডাক্তার। তার সহোদর ডাক্তার। / তার বৈমাত্রেয় ডাক্তার।
তাদের মধ্যে বেশ সখ্যতা দেখতে পাই। তাদের মধ্যে বেশ সখ্য দেখতে পাই।
তার দুর্দমনীয় অধ্যবসায় সত্যিই প্রশংসনীয়। তার অধ্যবসায় সত্যিই প্রশংসনীয়।
তার চেষ্টা নিস্ফল হলো। তার চেষ্টা নিষ্ফল হলো।
অপ্রপ্রয়োগ শুদ্ধ প্রয়োগ
তার উদ্ধতপূর্ণ আচরণে ব্যথিত হয়েছি। তার উদ্ধত (বা ঔদ্ধত্যপূর্ণ) আচরণে ব্যথিত হয়েছি।
তার সাঙঘাতিক আনন্দ হলো। তার অপরিসীম আনন্দ হলো।
তোমার তথ্য গ্রাহ্যযোগ্য নয়। তোমার তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়।
তাহারা বাড়ি যাচ্ছে। তারা বাড়ি যাচ্ছে।
তাহাকে এখান থেকে যাইতে হবে। তাকে এখান থেকে যেতে হবে।
তুমি কি বার্ষীক ক্রীরা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে না? তুমি কি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে না?
তুমি, করিম ও আমি আজ পড়তে যাব। করিম, তুমি ও আমি আজ পড়তে যাব।
তুমিই টাকাটা আত্মসাৎ করেছ। তুমিই টাকা আত্মসাৎ করেছ।
দৈন্যতা প্রশংসনীয় নয়। দীনতা প্রশংসনীয় নয়।
দিবারাত্রি পরিশ্রমে তার শারীরিক স্বাস্থ্য ভঙ্গ হয়েছে। দিনরাত পরিশ্রমের ফলে তার স্বাস্থ্য ভেঙে গিয়েছে।
নূতন নূতন ছেলেগুলো স্কুলে বড় উৎপাত করছে। নতুন ছেলেগুলো স্কুলে এসে বড় উৎপাত করছে।
নিপরাধী, নিষ্পাপীকে শাস্তি দেবে কেন? নিরপরাধ, নিষ্পাপকে শাস্তি দেবে কেন?
পূর্বদিকে সূর্য উদয় হয়। পূর্বদিকে সূর্য উদিত হয়।
পরপকার মানুষত্বের পরিচায়ক। পরোপকার মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।
পরবর্তীতে আপনি আসবেন। আপনি পরে আসবেন।
পড়াশোনায় তোমার মনোযোগীতা দেখতেছি না। পড়াশোনায় তোমার মনোযোগ দেখছি না।
পরিষ্কার পোশাক পরিহিত ছেলেটি উড়োজাহাজের
আবিষ্কারকের নাম বলতে পারায় পুরষ্কার পাইল ও নমষ্কার
করিয়া চলিয়া গেল।
পরিষ্কার পোশাক পরিহিত ছেলেটি উড়োজাহাজের
আবিষ্কারকের নাম বলিতে পারায় পুরষ্কার পাইল ও
নমস্কার করিয়া চলিয়া গেল।
ব্যাকুলিত চিত্তে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম। ব্যাকুল চিত্তে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম।
বৃক্ষটি সমূলসহ উৎপাটিত হয়েছে। বৃক্ষটি সমূলে উৎপাটিত হয়েছে।
বাংলাদেশ উন্নতশীল দেশে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।
বিদ্যাণকে সকলে শ্রদ্ধা করে। বিদ্বানকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
বিপদ হতে সতর্কিত থাকিও। বিপদ হতে সতর্ক থাকিও।
বিপদগ্রস্থ হয়ে তিনি আজ এসেছিলেন। বিপদগ্রস্ত হয়ে তিনি আজ এসেছেন।
বিগত পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার জন্যে সে চেষ্টা করতেছে। বিগত পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার জন্যে সে চেষ্টা করেছিল।
মেয়েটি সুকেশিনী এবং সুহাসি। মেয়েটি সুকেশা (বা সুকেশী) এবং সুহাসিনী।
মেয়েটি স্বয়স্বর। মেয়েটি স্বয়ংবরা।
মেয়েটি বিদ্যান কিন্তু ঝগড়াটে। মেয়েটি বিদুষী কিন্তু ঝগড়াটে।
মহারাজা সভাগৃহে প্রবেশ করলেন। মহারাজ সভাগৃহে প্রবেশ করলেন।
মাদকাশক্তি ভালো নয়। মাদকাসক্তি ভালো নয়।
মুমূর্ষ ব্যক্তিটির প্রতি সকলেরই সহানুভূতি ছিল। মুমুর্ষু লোকটির জন্যে সকলেরই সহানুভুতি ছিল।
অপ্রপ্রয়োগ শুদ্ধ প্রয়োগ
যেই সব ছাত্রেরা পরীক্ষা দেয় নাই, তাদেরকে শাস্তি
দেওয়া হয়েছে।
যেসব ছাত্র পরীক্ষা দেয়নি, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
যশ লাভ করবার জন্যে তার আকাঙ্খা খুব বেশি। যশোলাভের জন্যে তার আকাক্সক্ষা খুব বেশি।
যাবতীয় লোকসমূহ সভায় উপস্থিত ছিল। যাবতীয় লোক সভায় উপস্থিত ছিল।
যাবতীয় প্রাণীকুল এই গ্রহের বাসিন্দা। সকল প্রাণী এই গ্রহের বাসিন্দা।
রবীঠাকুরের গীতাঞ্জলী বিখ্যাত কাব্য। রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি বিখ্যাত কাব্য।
রচনাটির উৎকর্ষতা অনস্বীকার্য। রচনাটির উৎকর্ষ (বা উৎকৃষ্টতা) অনস্বীকার্য।
শুধুমাত্র গায়ের জোরে কাজ হয় না। শুধু গায়ের জোরে কাজ হয় না।
শওকত ওসমানের কৃতদাসের হাসি একটি আদমজি
পুরস্কারে সম্মানিত উপন্যাস।
শওকত ওসমানের ‘ক্রীতদাসের হাসি’ আদমজি পুরস্কারে
সম্মানিত একটি উপন্যাস।
অসুস্থ্যের জন্যে আমি কাল আসতে পারিনি। অসুস্থতার জন্যে আমি কাল আসতে পারিনি।
শশীভূষণ কি আসেনি? শশিভুষণ কি আসেনি?
শিল্পায়নের সাহায্যে দেশ সমৃদ্ধশালী হতে পারে। শিল্পায়নের সাহায্যে দেশ সমৃদ্ধ (সমৃদ্ধিশালী) হতে পারে।
সে কৌতুক করার কৌতুহল সম্বরণ করতে পারল না। সে কৌতুক করার কৌতূহল সংবরণ করতে পারল না।
সে অপমান হইয়াছে। সে অপমানিত হইয়াছে।
সে সংকট অবস্থায় পড়েছে। সে সংকটজনক অবস্থায় পড়েছে।
সে সমস্ত কথা বিস্তারিত বলল। সে সব কথা বিস্তারিত বলল।
সেখানে গেলে তুমি অপমান হবে। সেখানে গেলে তুমি অপমানিত হবে।
সব মাছগুলোর দাম কত? সব মাছের দাম কত?
সর্ববিষয়ে বাহুল্যতা বর্জন করবে। সর্ববিষয়ে বাহুল্য (বা বহুলতা) বর্জন করবে।
সমস্ত ছাত্রগণই পড়াশোনায় অমনোযোগী। সকল ছাত্রই পড়াশোনায় অমনোযোগী।
সূর্য উদয় হয়েছে। সূর্য উদিত হয়েছে।
সকল ছাত্রগণ ক্লাসে উপস্থিতি ছিল। সকল ছাত্র ক্লাসে উপস্থিত ছিল।
সশঙ্কিত চিত্তে সে বলতে লাগল। সশঙ্ক (শঙ্কিত) চিত্তে সে বলতে লাগল।
সবধান পূর্বক চলবে। সাবধানে চলবে।
সারথি কশাঘাত করিবা মাত্র ঘোড়াগুলো বায়ূবেগে ধাবমান
হইল।
সারথি কশাঘাত করিবা মাত্র, অশ্বগুলো বায়ুবেগে ধাবমান
হইল।
হস্তীটি অপরিসীম স্থল। হস্তীটি অত্যন্ত স্থুলকায়।
হিমালয় পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বৃহত্তর পর্বত। হিমালয় পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা উচ্চ পর্বত।
হে ত্রিনয়নী, আমাকে রক্ষা করো। হে ত্রিনয়না, আমাকে রক্ষা করো।
অশ্রæজলে বুক ভেসে গেল। অশ্রæতে বুক ভেসে গেল।
তাহার সৌজন্যেতায় মুগ্ধ হয়েছি। তার সৌজন্যে মুগ্ধ হয়েছি।
অপ্রপ্রয়োগ শুদ্ধ প্রয়োগ
সকল সভ্যগণ এখানে উপস্থিত ছিলেন। সভ্যগণ/সকল সভ্য এখানে উপস্থিত ছিলেন।
এক অগ্রহায়ণে শীত যায় না। এক মাঘে শীত যায় না।
তারা একত্রে গমন করলো। তারা গমন করল।
পরবর্তীতে আপনি এলে ভালো হবে। পরবর্তী সময়ে আপনি এলে ভালো হবে।
আপনি স্বপরিবার আমন্ত্রিত। আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত।
দারিদ্রতাকে জয় করতে হলে, পরিশ্রম কর। দরিদ্রতাকে/দারিদ্র্যকে জয় করতে হলে পরিশ্রম করো।
শুধুমাত্র তুমি গেলেই হবে। শুধু তুমি গেলেই হবে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
১. কী কী কারণে বাংলা ভাষায় অপপ্রয়োগ ঘটেÑ আলোচনা করুন।
২. নিচের শব্দগুলো শুদ্ধ করে লিখুনÑ
অপরাহ্ন, নিপুন, আরোহন, উচ্ছাস, কৌতুহল, কৃপন, গোষ্টী, ব্রাহ্মন, সাতন্ত্র, স্বাক্ষী।
৩. নিচের বাক্যগুলোর শুদ্ধ প্রয়োগ দেখান:
অন্যায়ের ফল দুর্নিবার্য।
আমি সন্তোষ হলাম।
একটা গোপন কথা বলি।
তা প্রমাণ হয়েছে।
দৈন্যতা প্রশংসনীয় নয়।
রোগের বৃদ্ধি হয়েছে।
সে অপমান হয়েছে।
সূর্য উদয় হয়েছে।
আপনি স্বপরিবার আমন্ত্রিত।
শুধুমাত্র তুমি গেলই হবে।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]