মূলপাঠ
দূরবর্তী লোকের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে চিঠিপত্র। এটি একটি পরোক্ষ যোগাযোগ মাধ্যম।
চিঠিপত্রে সংবাদ আদান-প্রদানের বৈষয়িক প্রয়োজন যেমন সিদ্ধ হয়, তেমনি রচনার গুণে আর লেখকের
ব্যক্তিগত অনুভ‚তিতে সিক্ত হয়ে চিঠি, বিশেষত ব্যক্তিগত চিঠি কখনো কখনো সাহিত্য পদবাচ্য হয়ে ওঠে।
চিঠিপত্রে লেখকের জ্ঞান ও রুচিবোধের পরিচয় মেলে। চিঠিপত্র রচনার সূত্রপাত প্রাচীন কালেই। তবে চিঠিপত্র প্রেরণের
যে বিশ^ব্যাপী ডাকব্যবস্থা তা নিতান্তই হাল আমলের।
সাধারণভাবে চিঠিপত্র চার ধরনের Ñ
১. ব্যক্তিগত পত্র
২. সামাজিক পত্র
৩. ব্যবহারিক বা বৈষয়িক পত্র
৪. বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক পত্র
একেক ধরনের চিঠির কাঠামো একেক রকমের, তবে প্রতিটি ধরনের রয়েছে সুনির্দিষ্ট কাঠামো এবং ভাষাভঙ্গিও প্রায় নির্দিষ্ট।
কেবল ব্যক্তিগত পত্রে লেখক নিজস্ব ধরনে চিঠি রচনার স্বাধীনতা ভোগ করেন।
চিঠি লেখার কিছু সাধারণ নিয়মÑ
১. চিঠির ভাষা হবে আকর্ষণীয়, প্রাঞ্জল ও সহজে বোধগম্য।
২. শুদ্ধ বানানে, সঠিক বাক্যে ও সুন্দর হস্তাক্ষরে চিঠি লিখিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
৩. চিঠি মূল বক্তব্যকে ঘিরে লিখিত হবে; বাহুল্য বা অতিরঞ্জন পরিত্যাজ্য।
৪. কাঠামো মেনে চিঠি রচনা করতে হবে এবং খামে প্রেরক ও প্রাপকের পূর্ণ ঠিকানা সুস্পষ্টভাবে লিখতে হবে।
৫. পত্রিকায় প্রকাশের চিঠির দুটো অংশÑ একটি মূল চিঠি, অপরটি সম্পাদকের প্রতি ছাপানোর অনুরোধ।
৬. স্মারকলিপিতে সব সময় ‘আপনি’ সম্বোধন ব্যবহার করতে হয়।
১. ব্যক্তিগত পত্র :
সাধারণত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অথবা ব্যক্তিগত ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-ভাবনা, আবেগ-অনুভ‚তি প্রকাশের তাগিদে মানুষ আপন
পরিবার-পরিজন, বন্ধু-স্বজন বা পরিচিতজনের কাছে চিঠি লিখে থাকেন। এই ধরনের ব্যক্তিগত ভাবনা তাড়িত চিঠিই
ব্যক্তিগত চিঠি হিসেবে চিহ্নিত।
প্রচলিত কাঠামোতে ব্যক্তিগত চিঠির পাঁচটি অংশ। সেগুলো হচ্ছেÑÑ
(১) ঠিকানা ও তারিখ
(২) সম্ভাষণ
(৩) মূলপত্র
(৪) বিদায় সম্ভাষণ
(৫) স্বাক্ষর
(১) ঠিকানা ও তারিখ : পত্রের বামদিকের ওপরের অংশে প্রথমে পত্রলেখকের পূর্ণ ঠিকানা ও তার নিচে তারিখ লিখতে
হয়। যেমন :
৫০/১, নর্থ রোড
ঢাকা-১২০৫
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ অথবা,
গ্রাম- ভুরবুড়িয়া
ডাক- পুটিয়া বাজার
জেলা- নরসিংদী
২৬ আগষ্ট, ২০১৬খ্রি.
(২) সম্ভাষণ : যাকে উদ্দেশ্য করে চিঠিটি লেখা হচ্ছে তার সম্মান, মর্যাদা ও পত্রলেখকের সঙ্গে তার সম্পর্কের নিরিখে
সম্ভাষণসূচক শব্দ ব্যবহার করতে হয়। আর সম্ভাষণ লিখতে হয় পত্রের বামদিকে ঠিকানার পরের ধাপে। যেমন :
পরম শ্রদ্ধাভাজনেষু/শ্রদ্ধেয় আব্বা/প্রিয় সুলতান/¯েœহাস্পদ রাসেল/সুজনেষু ইত্যাদি।
(৩) মূলপত্র : এটিই চিঠির মূল অংশ। এ অংশে পত্রলেখক তার বক্তব্যকে সুন্দর করে গুছিয়ে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন
করবে। একই পত্রে একাধিক বক্তব্য থাকলে তা আলাদা আলাদা অনুচ্ছেদে লিখতে হবে।
(৪) বিদায় সম্ভাষণ : মূলপত্রের পরের ধাপে পত্রের বামদিকে বিদায় সম্ভাষণ লিখতে হয়। পত্রপ্রাপকের সঙ্গে সম্পর্কের
নিরিখে বিদায় সম্ভাষণসূচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে। যেমন :
ইতি, আপনার ¯েœহাস্পদ/ ¯েœহধন্য
ইতি, প্রীতিমুগ্ধ/ প্রিয় বান্ধব
ইতি, তোমার মঙ্গলপ্রার্থী
ইতি, বিনীত ইত্যাদি।
(৫) স্বাক্ষর : এটি চিঠির শেষ অংশ। এখানে পত্রলেখকের পুরো নাম বা প্রচলিত মুদ্রাকৃতি ব্যবহার করা যায়।
চিঠি প্রাপকের কাছে পৌঁছলেই এর সার্থকতা। প্রাপকের কাছে পৌঁছানোর জন্য খাম ব্যবহার করতে হয় এবং খামের
ডানদিকে প্রাপকের ও বামদিকে প্রেরকের পূর্ণ ঠিকানা লিখতে হয়। নি¤েœ একটি চিঠির পূর্ণ কাঠামো উপস্থাপিত হলো Ñ
(১) তারিখ ও ঠিকানা
(২) সম্ভাষণ
(৩) মূলপত্র
(৪) বিদায় সম্ভাষণ
(৫) স্বাক্ষর
স্ট্যাম্প
প্রেরক, প্রাপক,
নাম নাম
ঠিকানা ঠিকানা
ব্যক্তিগত পত্রের কতিপয় নমুনা উপস্থাপিত হলো Ñ
পত্র ১. জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে ছোট ভাইকে একটি পত্র লিখুন।
৮ জানুয়ারি ২০১৭ খ্রি.
মনোহরপুর, কুমিল্লা
প্রিয় আরিয়ান,
আমার ¯েœহের পরশ নিও। আজই সকালে তোমার চিঠি পেয়েছি। ভালো আছ জেনে নিশ্চিন্ত হলাম। আর অশেষ আনন্দে
পুলকিত হয়েছি এসএসসি পরীক্ষায় তোমার জিপিএ ৫ পাওয়ার সংবাদে। ভালো ফল অর্জনের জন্য তোমাকে অনেক
ধন্যবাদ।
ভালো ফল তোমার সামনে এক অবারিত দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে। এখন তোমার জীবনের লক্ষ্য স্থির করার পালা।
মনে রেখো, লক্ষ্য স্থির না থাকলে তোমার মেধা ও সামর্থ্যরে সঙ্গে জীবনের প্রকৃত সফলতার মেলবন্ধন হওয়ার সম্ভাবনা
কমে যাবে। বড় কোনো লক্ষ্য সামনে স্থির করা থাকলেই কেবল লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার উদ্যম তোমার মধ্যে তৈরি হবে।
আরেকটি কথা স্মরণে রেখো, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। নিজের লক্ষ্যকে কখনো ছোট করো না, তাতে নিজের শক্তির
উপর নিজেরই অবিচার করা হবে। কী হতে চাও সে লক্ষ্য ঠিক করে তার পেছনে এখনি ছুটতে শুরু করো, ঝাঁপিয়ে পড়
লক্ষ্য অর্জনের মিশনে। আর তাতেই তোমার জীবন সাফল্যের আলোয় উদ্ভাসিত হবে, নিজেকে খুঁজে পাবে সফল মানুষদের
কাতারে।
পরবর্তী পত্রে তোমার লক্ষ্যের কথা জানিও। স্বাস্থ্যের প্রতি যতœ নিও। আমরা সবাই ভালো আছি। তুমি ভালো থেকো।
ইতি
তোমার নিত্য শুভার্থী
ঊর্মি
স্ট্যাম্প
প্রেরক, প্রাপক,
ঊর্মি আরিয়ান ইউসুফ
৪৮, মহিলা কলেজ রোড ৩৬৪, সেন্ট্রাল রোড
মনোহরপুর, কুমিল্লা। ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫
পত্র ২. কোথাও বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পিতার কাছে পত্র লিখুন।
১৭ এপ্রিল ২০১৭ খ্রি.
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
পরম শ্রদ্ধেয় বাবা
আমার সালাম নিবেন। আশা করি সবাই মিলে ভালো আছেন। গতকাল আমার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পরীক্ষাও আশানুরূপ
হয়েছে, ভালো ফল অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি। কয়েক দিনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি
শুরু করব। পরীক্ষার কারণে শরীর ও মনের ওপর অনেক ক্লান্তি জমা হয়েছে। কোথাও একটু বেড়াতে যেতে পারলে এই
ক্লান্তি দূর হতো। ইতোমধ্যে আমার বন্ধুরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামি ২৫ মে
তারিখে তিন দিনের সফরে তারা রওনা হবে। পৃথিবীর বৃহত্তম ও আশ্চর্য সুন্দর এই সমুদ্র-উপক‚লে বেড়ানো আমার
দীর্ঘদিনের শখ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর সুযোগটি আমি হাতছাড়া করতে চাই না। আপনার অনুমতি পেলেই আমার এই ইচ্ছাটি
পূরণ হবে। আশা করি পরবর্তী পত্রে শীঘ্রই অনুমতি পাব। অনুমতি দিলে খরচ বাবদ ১০০০ টাকা পাঠাবেন। আমি ভালো
আছি। স্বাস্থ্যের প্রতি যতœ নিবেন। সোহানকে আমার শুভেচ্ছা ও মাকে আমার সালাম জানাবেন।
পুনশ্চ, কক্সবাজার থেকে ফিরেই কয়েকদিনের জন্য বাড়িতে বেড়াতে আসব।
ইতি
আপনার ¯েœহের
কমল
স্ট্যাম্প
প্রেরক, প্রাপক,
কমল আবু কায়সার শিকদার
২০৪, নর্থ হোস্টেল গ্রাম ও পোষ্ট Ñ আদিয়াবাদ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা। জেলা Ñ নরসিংদী।
পত্র ৩. নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লিখুন।
পহেলা বৈশাখ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
আজিমপুর, ঢাকা
সুপ্রিয় পরশ,
আজ শুভ বাংলা নববর্ষ, বাঙালি জাতির জীবনে এক পরম আনন্দের দিন। একরাশ পরম ভাল-লাগা আর নতুনের বার্তা
নিয়ে আমাদের জীবনে ঘটেছে আজকের সূর্যোদয়। বাংলা নববর্ষের এই শুভ লগ্নে তোমাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
অতীতের সকল ব্যর্থতা আর গøানি ঘুচে যাক, নতুন বছরটি হোক তোমার জন্য সাফল্য-রঙিন, নববর্ষের প্রথম প্রহরে তোমার
প্রতি রইল এই শুভ কামনা।
মঙ্গল পরিপূর্ণ হোক তোমার সারাটি বছর।
তোমার সুহৃদ
নোহাশ
স্ট্যাম্প
প্রেরক, প্রাপক,
নোহাশ কবীর আহমদ পরশ
২৬৪, পশ্চিম নাখালপাড়া ৩৮৭/১ পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী
তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫। উপজেলা মোড়, নরসিংদী।
২. সামাজিক পত্র :
সামাজিক অনুষ্ঠানাদি উপলক্ষে যেসব চিঠি লিখিত হয়, সেগুলোকেই সামাজিক পত্র বলা হয়।
সামাজিক পত্রের কয়েকটি নমুনা :
পত্র ৪. বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্র ( হিন্দু রীতি)।
শ্রীশ্রী প্রজাপতয়ে নমঃ
মহাত্মন,
প্রণামপূর্বক নিবেদন এই, আগামী ২৬ জানুয়ারি,২০১৭ খ্রি./ ১৩ মাঘ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার হাজীপুর নিবাসী শ্রীযুক্ত
মণীন্দ্রচন্দ্র রায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্যামলকান্তি রায়ের সঙ্গে আমার একমাত্র কন্যা শুকলা রায়ের শুভ পরিণয় সম্পন্ন হবে। উক্ত
দিবসে আমার নিজ বাড়িতে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সপরিবারে উপস্থিত থেকে শুভ কাজে যোগদান ও মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করে কৃতার্থ করবেন।
পত্র দ্বারা নিমন্ত্রণ প্রদানের ত্রæটি মার্জনা করবেন।
রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ বিনয়াবনত
২রা মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ হরেন্দ্রলাল রায়
পত্র ৫: আপনার কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানের একটি নিমন্ত্রণ পত্র লিখুন।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানÑ২০১৭
সুধী,
আগামী ২০ বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ/৩ মে, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ রোজ শনিবার কুমিল্লা সরকারী মহিলা কলেজে ২০১৫-১৬
শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত একাদশ শ্রেণি, ডিগ্রি (পাস) ১ম বর্ষ, অনার্স ১ম বর্ষ ও মাস্টার্স ১ম পর্ব শ্রেণির ছাত্রীদের নবীন বরণ
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, এম.পি. মহোদয় উপস্থিত থাকবেন বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আপনার/ আপনাদের উপস্থিতি কামনা করছি।
ধন্যবাদান্তে
প্রফেসর রুহুল আমিন ভূঁইয়া
অধ্যক্ষ, কুমিল্লা সরকারী মহিলা কলেজ, কুমিল্লা।
স্ট্যাম্প
প্রেরক, প্রাপক,
হরেন্দ্রলাল রায় পুলক কুমার সাহা
ভুলতা, রূপগঞ্জ ২২/৩ চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জ ।
অনুষ্ঠানসূচি :
১ম পর্ব :
১০:০০ - প্রধান অতিথিকে গার্ড অব অনার প্রদান
১০:১৫ - অতিথিদের মঞ্চে আসন গ্রহণ
১০:২০ - পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ
১০:৩০ - অতিথিদের বরণ
১০:৩৫ - স্বাগত ভাষণ
১০:৪০ - নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ
১০:৫০ - অতিথিবৃন্দের বক্তব্য
২য় পর্ব :
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
[বি. দ্র. খাম সংযুক্ত করতে হবে।]
পত্র ৬. আপনার কলেজে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একটি নিমন্ত্রণ পত্র লিখুন।
সুধী,
আগামী ২৫ বৈশাখ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ(৮ মে, ২০১৭ খ্রি.) সোমবার বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন
উপলক্ষে কলেজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা, রবীন্দ্র-রচনা থেকে পাঠ ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবে বিশিষ্ট রবীন্দ্র-গবেষক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকরম
হোসেন।
এ অনুষ্ঠানে আপনার সবান্ধব উপস্থিতি কামনা করছি।
বিনীত
১৫ বৈশাখ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ কাশফিয়া মুনজেরিন
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
কলেজ ছাত্রসংসদ
ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা।
অনুষ্ঠানসূচি :
১ম পর্ব :
১০:০০ - প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ
১০:০৫ - আলোচনা
১২:০০ - রবীন্দ্র-রচনাবলি থেকে পাঠ
১২:৩০ - রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন
০১:৩০ - অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা।
[ বি. দ্র. খাম সংযুক্ত করতে হবে।]
৩. ব্যবহারিক বা বৈষয়িক পত্র :
অফিসের কাজে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে সংবাদপত্রে লেখা চিঠি এ শ্রেণিভুক্ত।
কতিপয় নমুনা দেওয়া হলোÑ
পত্র ৭. হিসাব সহকারী পদে নিয়োগের জন্য একটি আবেদনপত্র লিখুন।
তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০১৭ খ্রি.
বরাবর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
দেশ-বাংলা গ্রæপ
৪৭, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা।
বিষয় : . হিসাব সহকারী পদে নিয়োগের আবেদন।
জনাব
সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ১১ জানুয়ারি, ২০১৭ খ্রি. তারিখের ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে
জানতে পারলাম, আপনার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কিছু সংখ্যক শিক্ষানবীশ হিসাব সহকারী নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত
পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আমার প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নি¤েœ উপস্থাপন করলাম।
১. নাম : সানজিদা শাহনাজ
২. মাতার নাম : ফেরদৌস আরা
৩. পিতার নাম : মোঃ দৌলত হোসেন
৪. জন্ম তারিখ : ৫ মার্চ, ১৯৯৩ খ্রি.
৫. ধর্ম : ইসলাম
৬. জাতীয়তা : বাংলাদেশি (জন্মসূত্রে)
৭. স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম- হাসনাবাদ, ডাকঘর - হাসনাবাদ, উপজেলা- রায়পুরা, জেলা- নরসিংদী।
৮. বর্তমান ঠিকানা : ২১, নাজিম উদ্দীন রোড, ঢাকা- ১১০০।
৯. শিক্ষাগত যোগ্যতা :
পরীক্ষা বোর্ড/বিশ^বিদ্যালয় ফলাফল বছর
এস.এস.সি ঢাকা জি.পি.এ. ৩.২০ ২০০৮
এইচ.এস.সি ঢাকা জি.পি.এ. ৩.০৫ ২০১০
বি.বি.এস (অনার্স) জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় জি.পি.এ. ২.৭৩ ২০১৫
অতএব, মহোদয় সমীপে নিবেদন উপর্যুক্ত তথ্যের আলোকে আমাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের হিসাব সহকারী পদে নিয়োগের
জন্য বিবেচনা করে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
সানজিদা শাহনাজ
সংযুক্তি :
১. সদ্য তোলা তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি।
২. সকল পরীক্ষার সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. এককপি চারিত্রিক সনদ।
৪. নাগরিক সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
পত্র ৮. ছুটির আবেদনপত্র।
তারিখ : ১৪ ফেব্রæয়ারি ২০১৭ খ্রি.
বরাবর
অধ্যক্ষ
লোহাগড়া আদর্শ সরকারি কলেজ, নড়াইল।
বিষয় : দুই দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন।
জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে, বিশেষ পারিবারিক প্রয়োজনে আমার ১৫ ও ১৬ ফেব্রæয়ারি, ২০১৬ খ্রি. তারিখ সোম ও মঙ্গলবার
এই দুদিন ছুটি প্রয়োজন।
অনুগ্রহপূর্বক কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতিসহ উক্ত দুদিনের নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
আপনার বিশ^স্ত
জোনায়েদ আহম্মেদ
প্রভাষক, বাংলা
লোহাগড়া আদর্শ সরকারি কলেজ, নড়াইল।
পত্র ৯. বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লিখুন।
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
১ নং আর.কে. মিশনরোড, ঢাকা।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নি¤œলিখিত চিঠিটি ছাপিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত
কাজী আলাওল
গ্রামÑ সৈয়দ নগর
ডাকঘর Ñ ঘোষগ্রাম
জেলা Ñ দিনাজপুর।
বৃক্ষ রোপণের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। জনভারে এদেশের প্রকৃতি বিপর্যস্ত। মানুষের বিপুল জ¦ালানি ও
আসবাবপত্রের চাহিদার কারণে বন কেটে উজাড় করা হচ্ছে। পাহাড় ও বনভুমি কেটে আবাদী জমিতে পরিণত করা হচ্ছে,
সেখানে বাড়িঘর বানানো হচ্ছে। ফলত বৃক্ষহীন হয়ে যাচ্ছে এদেশ, যার পরিণাম ভয়াবহ। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে
এদেশ দিন দিন মরুময়তার দিকে এগোচ্ছে। যা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
নির্মিতিÑ২৭৪ ঐঝঈ-২৮৫১
ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশের জন্য একটি দেশের মোট আয়তনের কমপক্ষে ২৫ ভাগ বনভ‚মি থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে
বাংলাদেশে আছে মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সারাদেশ জুড়ে বৃক্ষনিধন রোধের
পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য দেশের প্রত্যেককে জীবন ও পরিবেশের জন্য বৃক্ষের
গুরুত্ব বোঝাতে হবে এবং সকলকে বৃক্ষ রোপণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি ও বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে
সরকারী উদ্যোগে প্রতি বছর পয়লা জুলাই থেকে সাতই জুলাই পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদ্যাপিত হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে
সরকারের এ প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু ভয়াবহতার তুলনায় সরকারের এ প্রচেষ্টা খুবই অপ্রতুল।
এখন দরকার ব্যক্তিগত ও বেসরকারী পর্যায়ের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও
আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীর উদ্যোগে গড়ে তুলতে হবে বৃক্ষরোপণ আন্দোলন। প্রত্যেকের বাড়িতে ও প্রতিটি পরিত্যক্ত
জায়গায় বৃক্ষরোপণ করে বাংলাদেশকে বৃক্ষের সবুজে পরিপূর্ণ করতে হবে। তবেই আমরা প্রাণের প্রাচুর্যে বাঁচব, বাঁচবে
বাংলাদেশ।
বিনীত
কাজী আলাওল
গ্রামÑ সৈয়দ নগর
ডাকঘর Ñ ঘোষগ্রাম
জেলা Ñ দিনাজপুর।
পত্র ১০. কলেজের নবীনদের বরণ উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করুন।
ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির নবাগত শিক্ষার্থীদের
বরণপত্র
তারিখ: ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ
হে স্বপ্নসারথী
সীমাহীন সবুজাভ স্বপ্ন ও অফুরন্ত বর্ণিল সম্ভাবনা সত্তার শেকড়ে ধারণ করে তোমরা প্রবেশ করেছ প্রথিতযশা বিদ্যায়তন
ঢাকা কলেজের পবিত্র অঙ্গনে। জ্ঞান সাধনার এই আলোকিত ভূবনে তোমাদের উষ্ণ স্বাগতম ও প্রাণঢালা অভিবাদন।
হে জ্ঞানার্থী
জ্ঞানসাধনার এক উর্বর তীর্থভূমি ঢাকা কলেজ। এই কলেজের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে
সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বিভিন্ন অঙ্গনে রেখেছে তাদের অসামান্য প্রতিভার ছাপ; নিজেরা আলোকিত হয়েছে; আলোকিত
করেছে দেশ, জাতি ও বিশ্বকে; এতদ্সঙ্গে উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে ঢাকা কলেজের সম্মান। তোমরা সেই জ্যোতির্ময়
অগ্রজদের উত্তরসূরি; তাদের হাতের ঝাÐা আজ তোমাদের হাতে সমর্পিত, যোগ্যতম অনুজের মতোই সেই ঝাÐা বহন করে
নিয়ে যাবে সম্ভাবনার দূরলোকেÑ এটাই তোমাদের কাছে আজ প্রাণের দাবি।
হে ভবিষ্যতের কাÐারি
তোমরা বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীÑএটা অবশ্যই তোমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার।
এই সৌভাগ্য তখনই চূড়ান্ত সার্থকতা পাবে, যখন তোমরা কলেজের সকল শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে,
আন্তরিক নিষ্ঠায় করবে জ্ঞানের সাধনা । তোমরা এ দেশের ভবিষ্যতের কাÐারি। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, সাহিত্য-
শিল্প-সংস্কৃতি সকল অঙ্গনের নেতৃত্বভার তোমাদেরকেই বহন করতে হবে। বিচক্ষণ প্রশাসন, প্রাজ্ঞ শিক্ষকমÐলি ও দক্ষ
কর্মচারীদের সমন্বয়ে ঢাকা কলেজে বিদ্যমান রয়েছে শিক্ষার এক আদর্শ পরিবেশ। এই চির সবুজের ক্যাম্পাসে মেধা আর
মননশীলতা চর্চার মাধ্যমে তোমাদের প্রতিভা শতদল শতপুষ্পে বিকশিত হোক, হিরণ¥য় হোক তোমাদের জ্ঞান-অভিযাত্রা।
তোমাদের যোগ্যতম নেতৃত্ব, মেধা, প্রতিভা আর সাধনার কর্ষণে সমৃদ্ধ হোক এ জনপদ।
হে আলোর অভিসারী
আলোর সঙ্গেই যেমন মিশে থাকে অন্ধকার, তেমনি মাদকসেবন, ইভটিজিং, জুয়াখেলা, বখাটেদের সঙ্গে আড্ডা এমনি বহু
প্রতিভানাশী, আত্মঘাতী প্রলোভন ওৎ পেতে আছে সর্বত্র। তোমাদেরকে সতর্ক হতে হবে সেই সব প্রলোভন সম্পর্কে, মুক্ত
থাকতে হবে সেই সব মোহ থেকে। স্বীয় বিবেক ও বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। মনে রাখতে হবে, তোমরা বড়
হয়েছ; নিজের অভিভাবকত্ব এখন নিজেকেই করতে হবে, এখন নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় পাহারাদার । কবির ভাষায় :
“এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।”
তোমরা যুবক, তোমরা তরুণ। তোমাদেরকে এখন যুদ্ধ করতে হবে শত প্রলোভনের বিরুদ্ধে, নিজের ভেতরকার রিপুর
বিরুদ্ধে, প্রতিভা-বিকাশের সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে। তোমাদেরকে এখন লড়াই করতে এমন একটি জীবন অর্জনের জন্য
যে জীবন হবে বিভাময়, সাফল্যে মোড়ানো, মানবিক মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত, দেশপ্রেমে উচ্চকিত ও সর্বজনীন কল্যাণবোধে
প্রাণিত।
ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
পত্র ১১. আপনার এলাকার উন্নয়নের আবশ্যকীয়তা বর্ণণা করে মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি রচনা করুন।
তারিখ : ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী
লে. কর্ণেল (অবঃ) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ( বীর প্রতীক ) এম. পি. সমীপে
শ্রদ্ধা-স্মারক
হে নরসিংদীর সূর্য-সন্তান
মেঘনা-শীতলক্ষা-হাড়িধোয়া- ব্রহ্মপুত্রের পলি বিধৌত প্রাচীন সভ্যতার পাদপীঠ নরসিংদী জেলার উর্বর মাটির কোলে জন্ম
নিয়েছে কীর্তিধন্য অগণিত সন্তান। আপনি সেই সূর্য-সন্তানদের অন্যতম চূড়ামণি; স্বীয় মেধা, প্রজ্ঞা, শ্রম আর অধ্যবসায়ে
সফল হয়েছেন নিজে, গর্বিত করেছেন নরসিংদীবাসীকে।
হে মুক্তির জ্যোতির্ময় বীর সেনানী
পরাধীনতার ঘন অন্ধকারভেদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যোদয়ে আপনি এক পরাক্রমশালী বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ঔপনিবেশিক শাসনে, পেষণে এই দেশের মানুষ যখন দিশেহারা, মুক্তির জন্য আপামর বাঙালি যখন মরীয়া, তখনই
বাঙালির মুক্তির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অবিনাশী ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর
নিরাপদ চাকুরির মায়া বিসর্জন দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন; জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছেন পরম
কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা, বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন মুক্তির সৌরভ। মুক্তিযুদ্ধে আপনার অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ
রাষ্ট্র আপনাকে ভূষিত করেছে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে। আমরা আপনার সম্মানে প্রণতি জানাই।
হে আদর্শ রাজনীতিবিদ
আপনি ছিলেন দেশপ্রেমে নিবেদিত একজন অত্যন্ত চৌকষ সেনাকর্মকর্তা। সেনাবাহিনীর গৌরবময় চাকুরি থেকে অত্যন্ত
সম্মানের সঙ্গে আপনি অবসর নিয়েছেন, কিন্তু অবসর নেননি দেশপ্রেমের অকৃত্রিম ব্রত থেকে; নিজেকে জড়িয়েছেন দেশের
সেবা করার আরো বিস্তৃত ও প্রসারিত অঙ্গনেÑÑরাজনীতিতে। আপনি সুস্থ ধারার প্রগতিশীল ও উন্নয়নমুখী রাজনীতির এক
আদর্শ কাÐারি; বর্তমান বিবদমান ও সংঘাতময় রাজনীতির পটভূমিতে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। জনগণের সরাসরি ভোটে পর
পর দুই বার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যা আপনার প্রতি জনগণের এক অফুরন্ত
ভালবাসা ও আস্থারই প্রতিফলন। জনগণের মতো আপনার ওপর আস্থা স্থাপন করেছেন জননেত্রী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আপনাকে নিযুক্ত করেছেন তাঁর মন্ত্রিসভার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। আপনার এ অর্জন আমাদের জন্য গৌরবের, অধিকন্তু সৌভাগ্যের।
হে উন্নয়নের রূপকার
উন্নয়নের একটি রূপকল্প নিয়েই আপনি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন সেই রূপকল্পকে
বাস্তবে রূপ দেওয়ার। জনদরদী বন্ধু হিসেবে আপনি রাস্তা -ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার-হাট, কৃষকের মাঠ, শিল্পকারখানা Ñ সর্বত্র আপনি সরকারের উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার নতুন দায়িত্ব
আমাদেরকে বিশেষভাবে আশান্বিত করে তুলেছে; কারণ আমরা প্রমত্ত মেঘনার তীরবর্তী নদীভাঙন কবলিত জনপদের
বাসিন্দা। নদী-ভাঙনে প্রতি বছর আমাদের ব্যাপক জীবন ও সম্পদহানি ঘটে থাকে। ফসল, জমি ও ঘরবাড়ি হারিয়ে
আমাদের নিঃস্ব হওয়ার ইতিহাস সুপ্রাচীন। নদীর বুকে হারিয়ে গেছে আমাদের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, রাস্তা, ঘাট।
নদীর প্রমত্ত ¯্রােতের কারণে এতদঞ্চলে কোনো পাকা রাস্তা, সেতু গড়ে ওঠেনি। মন্থর নৌপথই আমাদের একমাত্র
যোগাযোগ মাধ্যম। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে একুশ শতকের পৃথিবীতেও আমরা কার্যত গৃহবন্দী। বর্তমানে
আপনি শুধু আমাদের প্রতিনিধিই নন, আপনি পুরো দেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার কর্ণধার। আমাদের গভীর আশা,
আপনার নতুন দায়িত্ব আমাদের ভাগ্য খুলে দেবে, আমাদের জীবনে বয়ে আনবে সৌভাগ্যের সোনালি বার্তা। আমাদের
দুর্ভাগ্যের কথা, আমাদের দুর্ভাগ্যের কারণ কোনো কিছুই আপনার অজানা নয়। তবু আমাদের ভাগ্যোন্নয়নের কিছু জোর
দাবি নিয়ে আপনার দরবারে আমরা হাজির হয়েছি।
১. মেঘনার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে দ্রæত বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করে আমাদের জীবন, সম্পদ রক্ষার
কার্যকর উদ্যোগ নেবেন।
২. সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য পাকা রাস্তা ও সেতু, বিশেষ করে নরসিংদী জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি
যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করবেন।
৩. আমরা বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত; আমাদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।
৪. আমাদের চরাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবেন। এ অঞ্চলে বিভিন্ন ধাপের কিছু
উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
আপনি কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের একটি সমস্যাপীড়িত জনপদকে দারিদ্র্যমুক্ত, নিরক্ষরতামুক্ত, সমৃদ্ধ ও উন্নত করতে;
আমাদের দাবিগুলো আপনার কর্মসূচিরই অংশ মাত্র।
হে স্বপ্নসাধক
আধুনিক সমৃদ্ধ ও কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে আপনার কর্ম-প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তা অ¤øান হোক, দীঘায়ু
হোক আপনার স্বপ্ন, দীর্ঘায়ু হোন আপনি।
গুণমুগ্ধ এলাকাবাসী
নরসিংদী সদর, নরসিংদী।
পত্র ১২. কোনো বিশিষ্ট শিল্পপতির উদ্দেশ্যে মানপত্র রচনা করুন।
বিশিষ্ট শিল্পপতি, দানবীর, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী
জনাব আবদুল বাছির মোল্লা-র
নরসিংদী সরকারি কলেজ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুভাগমন উপলক্ষে
সম্মাননাপত্র
তারিখ; ০৩ মে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ
হে ধ্রুপদী আলোর অভিযাত্রী
বৈশাখের তপ্ত দাবদাহের তৃষাতুর বুকে বর্ষার মেঘমেদুর শীতলতার ন্যায় সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা পুষ্প-পত্রে সুশোভিত
নরসিংদী সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে আপনার শুভাগমন আমাদেরকে করেছে সজীব, প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত; আপনার
পদস্পর্শে আজ এ পবিত্র অঙ্গন হয়ে উঠেছে আনন্দমুখর। খুশির ফল্গুধারায় ¯œাত এদিন আমাদের জন্য এক শুভ সূচনার
বার্তাবহ স্মরণীয় দিন। আমাদের মাঝে আপনার মতো শিক্ষা-দরদি ও জ্ঞানপূজারিকে পেয়ে আমরা গর্বিত ও ধন্য। আপনি
আমাদের আনন্দিত হৃদয়ের শ্রদ্ধার্ঘ গ্রহণ করুন।
হে কীর্তিমান সুধী
আপনি বর্তমান বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ও বরেণ্য শিল্পোদ্যোক্তা। স্বপ্নসম্ভব সাফল্যের এক অধীশ্বর আপনি; পরাভব
না-মানা এক সর্বজয়ী সত্তা; সাফল্যগাথার এক রূপদক্ষ শিল্পী; সংগ্রামী মানুষদের জন্য এক আদর্শস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
জন্মেছিলেন প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে মমতাময়ী মায়ের কোলে,
জীবন-বাস্তবতার সঙ্গে লড়ে-যুঝেই তিলে তিলে বড় হয়েছেন। স্বীয় প্রজ্ঞা আর সাধনায় আপনি নিজ হাতে গড়ে নিয়েছেন
আপন ভাগ্য; সামান্যের সমতল থেকে যাত্রা করে অসামান্য পারঙ্গমতায় আজ আপনি সাফল্যের হিমালয়-উচ্চতাকে স্পর্শ
করেছেন। কিন্তু সমতলের কথা আপনি ভুলেননি, সমতলকে ছেড়েও যাননি; নিরুপম মহানুভবতায় সমতললগ্ন থেকে পরম
প্রীতি ও ভালবাসায় অবহেলিত ও নিরক্ষর মানুষদের ভাগ্যোন্নয়নে আপনি এক অনলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন, যা এক
অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মানুষ ও মানবতার জন্য।
হে নিবেদিতপ্রাণ কর্মবীর
আমরা অনুভব করি, জ্ঞানে ও সম্পদে সমৃদ্ধ ও আলোকদীপ্ত জনপদ হিসেবে নরসিংদী জেলাকে গড়ে তোলার জন্য আপনি
আপনার দান, ধ্যান ও কর্মকে নিবদ্ধ করেছেন। আপনার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এতদঞ্চলের এক ব্যাপক বেকার জনগোষ্ঠীর
কর্মসংস্থান করেছে, উন্নত করেছে এককালের হতদরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রা ও জীবনমান। আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের
শ্রমিকদের জন্য নিশ্চিত করেছেন উন্নত কর্ম-পরিবেশ এবং তাদের সন্তানদের জন্য উন্নত জীবনের স্বপ্ন। সুবিধাবঞ্চিত ও
পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে আলোকিত করার লক্ষে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন অগণিত আধুনিক শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান; নিশ্চিত করেছেন উন্নত শিক্ষা-পরিবেশ ও গুণগত মান। তাছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে আপনার
মুক্ত হস্তের দান এতদঞ্চলের মানুষের ধর্মচর্চার পরিবেশকে উন্নত করেছে এবং নৈতিকতানিষ্ঠ মানুষ গড়ে তোলায় অসাধারণ
প্রভাব রাখছে। মানবিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাÐে আপনার আর্থিক ও মানসিক সহযোগিতা একটি উন্নত সমাজ ও সংস্কৃতি
বিনির্মাণে এক সুদূরব্যাপ্ত ভূমিকা রেখে চলেছে Ñ যা এ সমাজে অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। কর্মে, সাধনায় ও সাফল্যে
আপনি প্রকৃতই একজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব।
হে নন্দিত শিক্ষানুরাগী
নরসিংদী জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ নরসিংদী সরকারী কলেজ আপনার সহযোগিতায় ঋদ্ধ হয়েছে বার বার। নরসিংদী
সরকারী কলেজ, এর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণের প্রতি আপনার রয়েছে অনুপমেয় ভালবাসা। সম্প্রতি আপনার অনুদানে মাটি
ভরাটের মাধ্যমে খেলার উপযোগী হয়ে ওঠেছে জলাবদ্ধতায় অকেজো হয়ে থাকা কলেজের খেলার মাঠ। নরসিংদী সরকারী
কলেজের প্রতি আপনার আন্তরিকতা ও অনন্য ভালবাসার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনের পক্ষ
থেকে আপনাকে সকৃতজ্ঞ অভিনন্দন জানাই।
হে মান্যবর
আপনি দীর্ঘায়ু লাভ করুন, ধন ও জ্ঞানের অন্বয়ী সাধনায় আপনি যে অসাধারণ জীবনমÐল গড়ে তুলেছেন, তা আরো
বিভাময় ও প্রসারিত হোক, আপনি মানুষ ও মানবতার জন্য এক অনশ্বর প্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকুন, প্রতœ-অক্ষরে লেখা
থাকুক আপনার মহত্তে¡র কথা, নশ্বর পৃথিবীতে শত-সহ¯্র বছর পরেও লোকে লোকে ধ্বনিত হোক আপনার জয়গাঁথাÑ
নরসিংদী সরকারী কলেজ পরিবার আপনার জন্য এই শুভ কামনা করে।
ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ
নরসিংদী সরকারি কলেজ, নরসিংদী।
৪. ব্যবসায়িক পত্র :
ব্যবসায়িক লেন-দেন, কোনো দ্রব্যের অর্ডার, চুক্তিÑ এসব প্রয়োজনে যে সব চিঠি লিখিত হয়, সেগুলো ব্যবসায়িক পত্র
হিসেবে পরিগণিত।
ব্যবসায়িক চিঠির নমুনা :
পত্র ১৩. কিছু বই সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে কোনো পুস্তক প্রকাশককে চিঠি লিখুন।
১৭/১২/২০১৩ খ্রি.
গ্রামÑকল্যাণপুর
ডাকঘর Ñ কৃষ্ণপুর
উপজেলা Ñ আজমিরিগঞ্জ
জেলাÑ নেত্রকোনা
ম্যানেজার
ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
৩৮/৩ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০
জনাব,
জরুরি ভিত্তিতে আপনার প্রকাশনার নি¤œলিখিত বইসমূহ আমার ঠিকানায় ভিপিপি ডাকযোগে পাঠালে বাধিত হবো।
সবগুলো বইয়ের সর্বশেষ সংস্করণ পাঠাবেন।
অগ্রিম হিসেবে ৩০০/Ñ টাকা পাঠানো হলো।
১. আগুনপাখি Ñ হাসান আজিজুল হক ১ কপি
২. সাবিত্রী উপাখ্যান Ñ হাসান আজিজুল হক ১ কপি
৩. ফিরে যাই ফিরে আসি Ñ হাসান আজিজুল হক ১ কপি
আপনার বিশ^স্ত
আলী হায়দার
নি¤œলিখিত চিঠিগুলো নিজে নিজে অনুশীলন করুন :
ব্যক্তিগত পত্র
১. বন্ধুুর পিতৃ-বিয়োগে সান্ত¡না জানিয়ে চিঠি লিখুন।
২. ছোট ভাইকে পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার উপদেশ দিয়ে চিঠি লিখুন।
৩. একুশের বইমেলার বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে চিঠি লিখুন।
৪. জীবনের লক্ষ্য বিষয়ে পিতার সঙ্গে মতানৈক্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের যুক্তি তুলে ধরে পিতার নিকট পত্র লিখুন।
৫. হোস্টেল জীবনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বড় ভাইকে চিঠি লিখুন।
সামাজিক পত্র
১. জন্মদিন উপলক্ষে বন্ধুকে নিমন্ত্রণ পত্র লিখুন।
২. কলেজে সরস্বতী পুজা উদ্যাপন উপলক্ষে একটি দাওয়াতপত্র রচনা করুন।
৩. একটি সভার আহŸান পত্র রচনা করুন।
আবেদন পত্র
১. শিক্ষা সফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে অধ্যক্ষের নিকট আবেদনপত্র লিখুন।
২. সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য একটি আবেদনপত্র লিখুন।
৩. আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি চেয়ে পুলিশ সুপারের নিকট আবেদনপত্র রচনা করুন।
৪. রাস্তা-সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি আবেদন লিখুন।
৫. ইভ-টিজিং নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি পত্র লিখুন।
অন্যান্য
১. কলেজ অধ্যক্ষের বিদায় উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করুন।
২. আপনার এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে একটি স্মারকলিপি রচনা করুন।
৩. কোনো নষ্ট পণ্য ফেরত নেওয়ার তাগিদ দিয়ে সরবরাহকারীকে একটি চিঠি লিখুন।
স্ট্যাম্প
প্রেরক, প্রাপক,
আলী হায়দার ম্যানেজার
গ্রামÑকল্যাণপুর ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
ডাকঘর Ñ কৃষ্ণপুর ৩৮/৩ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০
উপজেলা Ñ আজমিরিগঞ্জ
জেলাÑ নেত্রকোনা
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ