বহুব্রীহি সমাস
‘বহুব্রীহি’ শব্দটির অর্থ হলো বহু আছে ব্রীহি যার অর্থাৎ অনেক ধান আছে যার। বহু অর্থ অনেক আর ব্রীহি অর্থ ধান=অনেক ধান। কিন্তু সমাসে এর অর্থ অনেক সম্পদের মালিক। যে সমাসে তৃতীয়া পদের অর্থপ্রাধান্য পায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। অথবা ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর নামপ্রধান সমাসকে বহুব্রীহি সমাস বলে। অথবা যে সমাসের সমস্যমান শব্দগুলোর নির্দিষ্ট কোন অর্থ না বুঝিয়ে তৃতীয়া অর্থপ্রধান শব্দকে বোঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
ব্যাকরণে সমাসের ক্ষেত্রে অর্থাৎ একাধিক শব্দ একশব্দে পরিণত করা অর্থাৎ সংক্ষিপ্তকরণের প্রসঙ্গে বহুব্রীহি শব্দটির ব্যবহার হয়। যেমন: নীল কণ্ঠ যার-নীলকণ্ঠ। এখানে নীল অর্থাৎ ‘বিষ’ কণ্ঠে যার তাকেই অর্থাৎ শিবকে বোঝানো হয়েছে। ‘নীল’ বা ‘কণ্ঠ’ কোন শব্দের অর্থের প্রাধান্য না হয়ে তৃতীয়া একটি শব্দ শিবকে বোঝানো হয়েছে। ‘নীল কণ্ঠ যার’ না বলে একটি শব্দ ‘নীলকণ্ঠ’ বলে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করা হয়েছে। ‘যার’ শেষে বসে। ব্যতিহার (দ্বিত্বক্রিয়া)—‘যে’ মাঝে বসে। মধ্যপদলোপী ‘যে’ মাঝে বসে। ‘সহ’ প্রথমে পৃথকভাবে আর পদের শেষে ‘সহ’ একসঙ্গে বসে।
বহুব্রীহি সমাসের ব্যতিক্রম ব্যবহার
১. সমাসজাত শব্দের আগে ‘স’ যোগ হয় যদি পূর্বশব্দে সহ বা সহিত থাকে। যেমন: বান্ধবসহ বর্তমান=সবান্ধব, সহ উদর যার—সহোদর।
২. সমাসজাত শব্দের পরে ‘ক’ যোগ হয় যদি পরশব্দে মাতৃ, পুত্র, স্ত্রী থাকলে। যেমন: নদী মাতৃ/মাতা যার—নদী মাতৃক, ‘বি’ হয়েছে পত্নী যার—বিপত্নীক, স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান—সস্ত্রীক।
৩. সমাসজাত শব্দের পরে ‘লা’ বসে যোগ হয় যদি পরপদে ‘অ’ থাকে আবার নাভ যোগ হয় যদি নাভি থাকে। মাতৃ, পুত্র, স্ত্রী থাকলে। যেমন: পদ্ম নাভিতে যার—পদ্মনাভ।
৪. যুবতী স্থলে যুব আর জায়া স্থলে জানি হয়। যেমন: যুবতী জায়া যার—যুবজানি।
৫. পূর্বপদ ও পরপদ একই থাকতে পারে তবে স্ব স্ব সমাসে শব্দ যোগ করে সেই সমাস গঠন করা যায়। যেমন: দ্বিগু: ত্রিফলা—ত্রি ফলের সমাহার/ বহুব্রীহি: ত্রি ফলা যার।
বহুব্রীহি সমাসের গাণিতিক গঠন
১. বিশেষ্য+ বিশেষ্য+ যার = বহুব্রীহি সমাস
২. বিশেষ্য+ সপ্তমী বিভক্তি+ বিশেষ্য+ যার = বহুব্রীহি সমাস
৩. বিশেষণ+ বিশেষ্য+ যার = বহুব্রীহি সমাস
৪. বিশেষ্য +র/এর+দিকে/সাথে+ বিশেষ্য+ যার = বহুব্রীহি সমাস
৫. বিশেষ্য+বিশেষ্য+যে = বহুব্রীহি সমাস
৬. বিশেষ্য+ক্রিয়াপদ+যে &nbnbsp; = বহুব্রীহি সমাস
৭. বিশেষ্য+র/এর+সহিত বর্তমান = মধ্যপদলপী বহুব্রীহি সমাস
৮. বিশেষ্য+ বিশেষ্য+ দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
৯. বিশেষ্য+বিভক্তি+বিশেষ্য+বিভক্তি+ যে+ নামক্রিয়া= ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
১০. বিশেষ্য+ ক্রিয়া +যিনি = বহুব্রীহি সমাস
১১. বিশেষ্য+ ক্রিয়া +যিনি = বহুব্রীহি সমাস
১২. সংখ্যা+বিশেষ্য+র/এর+বিশেষ্য +যার = বহুব্রীহি সমাস
অথবা সংখ্যা+বিশেষ্য+ যে+বিশেষ্য +র/এর = বহুব্রীহি সমাস
১৩. বিশেষ্য+ নাই/+যাতে = নং/নঞ বহুব্রীহি সমাস
অথবা নাই +বিশেষ্য+ যার = নং/নঞ বহুব্রীহি সমাস
১৪. নয়+ বিশেষ্য+(যার) = নং/নঞ বহুব্রীহি সমাস
১৫. ন (নয় করা যায়)+বিশেষ্য+ যা = নং/নঞ বহুব্রীহি সমাস
১. বিশেষ্য+ বিশেষ্য+ যার = বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য nbsp; সমাস
সহোদর সহ উদর যার বহুব্রীহি সমাস
বিমনা মনের অভাব যার বহুব্রীহি সমাস
দশগজি দশ গজ পরিমাণ যার বহুব্রীহি সমাস
একরোখা এক দিকে রোখ যার বহুব্রীহি সমাস
চন্দ্রচূড় চন্দ্র চূড়া যার বহুব্রীহি সমাস
সহোদর সহ (একই) উদর যার বহুব্রীহি সমাস
নদী মাতৃক নদী মাতা যার বহুব্রীহি সমাস
তিমিরকুন্তলা তিমিরের ন্যায় কুন্তল যার বহুব্রীহি সমাস
দশানন দশ আনন যার বহুব্রীহি সমাস
হাতেছড়ি হাতে ছড়ি যার বহুব্রীহি সমাস
আশীবিষ আশীতে বিষ যার বহুব্রীহি সমাস
শ্বাপদ শ্বার/কুকুরের মতো পদ যার বহুব্রীহি সমাস
বিপত্নীক বিগত পত্নী যার বহুব্রীহি সমাস
সতীর্থ সমান তীর্থ যার বহুব্রীহি সমাস
২. বিশেষ্য+ সপ্তমী বিভক্তি+ বিশেষ্য+ যার = বহুব্রীহি সমাস
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
বীণাপাণি বীণা পাণিতে যার বহুব্রীহি সমাস
ঊর্ণনাভ ঊর্ণ নাভিতে যার বহুব্রীহি সমাস
পাপমতি পাপে মতি যার বহুব্রীহি সমাস
৩. বিশেষণ+ বিশেষ্য+ যার = বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
অল্পপ্রাণ অল্প প্রাণ যার বহুব্রীহি সমাস
মহাত্মা মহান আত্মা যার বহুব্রীহি সমাস
সুহৃদয় সুন্দর হৃদয় যার বহুব্রীহি সমাস
পাঁচগজি পাঁচ গজ পরিমাণ যার বহুব্রীহি সমাস
মন্দভাগ্য মন্দ ভাগ্য যার বহুব্রীহি সমাস
বার্ধক্য বৃদ্ধাবস্থা যার বহুব্রীহি সমাস
নীলকণ্ঠ নীল কণ্ঠে যার বহুব্রীহি সমাস
সুশীল সু (সুন্দর) শীল যার বহুব্রীহি সমাস
কমবখত কম বখত যার বহুব্রীহি সমাস
৪. বিশেষ্য +র/এর+দিকে/সাথে+ বিশেষ্য+ যার = বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
ঘরমুখো ঘরের দিকে মুখ যার বহুব্রীহি সমাস
সদর্প দর্পের সাথে বর্তমান বহুব্রীহি সমাস
৫. বিশেষ্য+বিশেষ্য+যে =বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাসের নাম
সহকর্মী সমান কর্মী যে বহুব্রীহি সমাস
৬. বিশেষ্য+ক্রিয়াপদ+যে = বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
জাদুকর জাদু করে যে বহুব্রীহি সমাস
জলচর জলে চরে যে বহুব্রীহি সমাস
পকেটমার পকেট মারে যে বহুব্রীহি সমাস
৭. বিশেষ্য+র/এর+সহিত বর্তমান = মধ্যপদলপী বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
সজল জলের সহিত বর্তমান মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
সবান্ধব বান্ধবসহ বর্তমান/বান্ধবের সহিত মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
৮. বিশেষ্য+ বিশেষ্য+ দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
হাতেখড়ি হাতে খড়ি দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
৯. বিশেষ্য+বিভক্তি+বিশেষ্য+বিভক্তি+ যে+ নামক্রিয়া = ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
কানাকানি কানে কানে যে কথা ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
কোলাকুলি কোলে কোলে যে মিলন ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
হাতাহাতি হাতে হাতে যে লড়াই ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
হাসাহাসি হাসতে হাসতে যে ক্রিয়া ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
রক্তারক্তি রক্তেরক্তে যে কাণ্ড ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
গলাগলি গলায় গলায় যে মিল ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
১০. বিশেষ্য+ ক্রিয়া +যিনি = বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
সত্যবাদী সত্যকথা বলেন যিনি বহুব্রীহি সমাস
১১. বিশেষ্য+ ক্রিয়া +যিনি =বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
গৃহস্থ গৃহে স্থির যে বহুব্রীহি সমাস
১২. সংখ্যা+বিশেষ্য+র/এর+বিশেষ্য+যার=বহুব্রীহি সমাস অথবা সংখ্যা+বিশেষ্য+যে+বিশেষ্য +র/এর = বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
সেতার সে তারের যন্ত্র যার/তিন তার যে যন্ত্রের বহুব্রীহি সমাস
১৩. বিশেষ্য+ নাই/+যাতে—নং/নঞ বহুব্রীহি সমাস অথবা নাই +বিশেষ্য+ যার = নং/নঞ বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
নির্ভুল ভুল নাই যাতে নঞ বহুব্রীহি সমাস
বেয়াদব আদব নাই যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অপয়া পয় নাই যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অজ্ঞান জ্ঞান নাই যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অভাগ্য ভাগ্য নাই যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অবোধ বোধ নাই যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
১৪. নয়+ বিশেষ্য+(যার) = নং/নঞ বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
অবিশ্বাস্য নয় বিশ্বাস্য নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনাশ্রিত নয় আশ্রিত নঞ বহুব্রীহি সমাস
অস্থির নয় স্থির নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনিষ্ট নয় ইষ্ট নঞ বহুব্রীহি সমাস
অপর্যাপ্ত নয় পর্যাপ্ত নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনুচিত নয় উচিত নঞ বহুব্রীহি সমাস
অকাতর নয় কাতর নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনৈক্য নয় ঐক্য/নাই ঐক্য নঞ বহুব্রীহি সমাস
নিরর্থক নাই অর্থ যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনধিক নয় অধিক নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনসূয়া নাই অসূয়া (হিংসা) যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনতিবৃহৎ নয় অতি বৃহৎ নঞ বহুব্রীহি সমাস
বেহায়া নাই হায়া যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনাদর নয় আদর নঞ বহুব্রীহি সমাস
বেসরকারি নয় সরকারি নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনাসক্ত নয় আসক্ত নঞ বহুব্রীহি সমাস
বেওয়ারিশ বে/নাই ওয়ারিশ যার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনাচার নয় আচার নঞ বহুব্রীহি সমাস
১৫. ন (নয় করা যায়)+বিশেষ্য+ যা = নং/নঞ বহুব্রীহি সমাস
নমুনা
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাস
অনাচার ন আচার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনাদি ন আদি নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনশন ন অশন নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনন্য ন অন্য নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনেক ন এক নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনার্য ন আর্য নঞ বহুব্রীহি সমাস
অবিচার ন বিচার নঞ বহুব্রীহি সমাস
অনেক ন এক নঞ বহুব্রীহি সমাস
অন্যান্য সমাস
১. নিত্যসমাস: যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না তাকে নিত্যসমাস বলে। দুই-নব্বই-এর মাঝে ‘এবং’ না বসে ‘ও’ বসে। কিন্তু প্রত্যেক বইতে ‘এবং’ দেয়া। যেমন: অন্য গ্রাম—গ্রামান্তর, গৃহান্তর, কেবল দর্শন—দর্শনমাত্র, আমি, তুমি ও সে—আমরা, দুই ও নব্বই—বিরানব্বই।
২. প্রাদিসমাস: উপসর্গযোগে (অনু, প্র, প্রতি, পরি) গঠিত সমাসকে প্রাদিসমাস বলে। যেমন: প্র (প্রকৃষ্ট যে বচন)—প্রবচন, প্র (প্রকৃষ্টরূপে) যে ভাত (আলোকিত)—প্রভাত, পরি যে ভ্রমণ—পরিভ্রমণ, অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ—অনুতাপ।
৩. একদেশি সমাস: কালবাচক সমাসকে একদেশি সমাস বলে। যেমন: অহ্নের অপর ভাগ—অপরাহ্ন।
৪. নঞসমাস: পূর্বশব্দে আগে ‘ন/না/নাই/নাই/নয়’ যোগে যে সমাস হয় তাকে নঞ(নং) সমাস বলে। পদের পূর্বের ‘অ/আ/ন/বে’ উঠে ‘ন’ বসে। যেমন:
তৎপুরুষ সমাস: অভাব (ন ভাব), অসুখ, অনাদর, অজানা, আনুলি, অমানুষ, নাছোড়, নাবালক, নাতিদীর্ঘ, নামঞ্জুর, বেতাল।
বহুব্রীহি : অবুঝ (নাই বুঝ যার), অজ্ঞান, বিশ্রী, নির্ভুল, বেহুঁশ।
৫. অলুক সমাস: যে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না তাকে অলুক সমাস বলে। যেমন:
দ্বন্দ্ব সমাস : দুধেভাতে (দুধে ও ভাতে), মায়ে-ঝিয়ে, হাতে-কলমে।
তৎপুরুষ সমাস: ঘিয়েভাজা, কলের গান, গরুর গাড়ি।
বহুব্রীহি : মাথায়-পাগড়ি (মাথায় পাগড়ি যার), গলায়-গামছা।
৬. সংখ্যাবাচক সমাস: সংখ্যা দিয়ে যে সমাস হয় তাকে সংখ্যাবাচক সমাস বলে। যেমন:
দ্বন্দ্ব সমাস : সাত-পাঁচ, সাত-সতের, উনিশ-বিশ, নয়-ছয়।
দ্বিগু : ত্রি পদের সমাহার—ত্রিপদী, ত্রিফলা, নবরত্ন, পঞ্চনদ, সেতার।
বহুব্রীহি : দশ গজ পরিমাণ যার—দশগজি, চৌচাল, চারহাতি, পোয়া, সেতার।
৭. বহুপদি সমাস: বহুপদ দিয়ে গঠিত সমাসকে বহুপদি সমাস বলে। যেমন: দ্বন্দ্ব সমাস: সাহেব, বিবি ও গোলাম, হাত, পা, নাক, মুখ ও চোখ।
৮. একশেষ সমাস: বহুশব্দ থেকে সমাসজাত একটি শব্দে গঠিত সমাসকে একশেষ সমাস বলে। যেমন: দ্বন্দ্ব সমাস: আমরা—সে, তুমি ও আমি, তোমরা—সে ও তুমি।
৯. সুপসুপা সমাস: বিভক্তিযুক্ত নামশব্দের সাথে বিভক্তিযুক্ত নামশব্দের সমাস হলে সুপসুপা সমাস বলে। যেমন: রাত্রির মধ্য—মধ্যরাত্রি, রাত্রির পূর্ব—পূর্বরাত্রি, অহ্নের মধ্যে—মধ্যাহ্ন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ